তারা আমাদের কেউ নয়।
না জ্ঞাতি-কুটুম, না পড়শী-স্বজন।
এমন কি মুচকি হেসে পাশ কাটিয়ে যাওয়া
সখা বান্ধব, কেউ না।
তারপরেও কি এক কামরূপ-মায়ার বলে
তারা মধ্যরাতে আমার ঘরে ঢুকে পড়ে।
আমার আঙ্গুল কেটে নিয়ে যায়।
যাতে আর কলমটা ধরতে না পারি।
আমার মুখের ফাটায় সুপার-গ্লু লাগিয়ে দেয়,
যাতে আর স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণ কোনটাই
উচ্চারিত না হয় ঐ ফাটল দিয়ে আর কোন দিন।
আমি সিভিল সার্জনের পথ চেয়ে বসে থাকি,
কবে অস্ত্রপচার হবে- তবে ভাত খাব।
শিরাতে আই-ভি- সেই পথে খাবার নয়-
খাবারের আত্মাটা আসা যাওয়া করে।
আমাকে ধরে রাখে জীবনের সাথে-
শেষটা দেখাবে বলে।
এই এক নিদারুন সময়-
আমার ভাত নেই, ভাষা নেই আজ।
একটা মরনশীল মুখ, অবিকল মানুষের মুখ
শব্দমুখর হয়নি আমার দিকে তাকিয়ে তবুও।
তবু কাকেরা করেছিল কা-কা রবে
সশব্দ প্রতিবাদ।
কাকেরা সব সময় মৃতের মাংশের লোভে
কা-কা ডাকে না। তারাও বাউরা হয় কখনও।
আজকাল আমি অবিকল মানুষের থেকে
কাকেদের বিশ্বাস করি বেশী।