তারা আমাদের কেউ নয়।
না জ্ঞাতি-কুটুম, না পড়শী-স্বজন।
এমন কি মুচকি হেসে পাশ কাটিয়ে যাওয়া
সখা বান্ধব, কেউ না।
তারপরেও কি এক কামরূপ-মায়ার বলে
তারা মধ্যরাতে আমার ঘরে ঢুকে পড়ে।
আমার আঙ্গুল কেটে নিয়ে যায়।
যাতে আর কলমটা ধরতে না পারি।
আমার মুখের ফাটায় সুপার-গ্লু লাগিয়ে দেয়,
যাতে আর স্বরবর্ণ ব্যঞ্জনবর্ণ কোনটাই
উচ্চারিত না হয় ঐ ফাটল দিয়ে আর কোন দিন।
আমি সিভিল সার্জনের পথ চেয়ে বসে থাকি,
কবে অস্ত্রপচার হবে- তবে ভাত খাব।
শিরাতে আই-ভি- সেই পথে খাবার নয়-
খাবারের আত্মাটা আসা যাওয়া করে।
আমাকে ধরে রাখে জীবনের সাথে-
শেষটা দেখাবে বলে।
এই এক নিদারুন সময়-
আমার ভাত নেই, ভাষা নেই আজ।
একটা মরনশীল মুখ, অবিকল মানুষের মুখ
শব্দমুখর হয়নি আমার দিকে তাকিয়ে তবুও।
তবু কাকেরা করেছিল কা-কা রবে
সশব্দ প্রতিবাদ।
কাকেরা সব সময় মৃতের মাংশের লোভে
কা-কা ডাকে না। তারাও বাউরা হয় কখনও।
আজকাল আমি অবিকল মানুষের থেকে
কাকেদের বিশ্বাস করি বেশী।
খুব দুঃখজনক।
লেলন বলেছিলেন; “আমরা এমন এক সমাজে বাস করি যেখানে ভালবাসার মানুষকে জনসম্মুখে চুম্বন করা পাপ কিন্তু জনসম্মুখে সহিংসতা ঘটানো পাপ নয়”।
চিন্তা করে মাঝে মাঝে অবাক হই; গলায় তরোয়াল ধড়া অপরাধ নয়; কিন্তু খাতার উপরে কলম ধড়া অপরাধ। যুগে যুগে এভাবেই শক্তির জোড়ে ধর্মকে টিকিয়ে রাখা হয়েছে; তবুও তারা বলে “ধর্মে কোন জোড় জবরদস্তী নাই; ইসলাম শান্তির ধর্ম”।
এর চাইতে বড় জোকস আর আছে কি ???
শক্তির বদলে যুক্তি যদি হত হাতিয়ার তবে ধর্ম আজকে জাদুঘরেই স্থান পেত।
কবিতাটি ভালো লিখেছেন 🙂
রহস্যের বেড়াজাল আছে; যে কেউ চাইলে তার নিজের মতন করে ভাবানুবাদ করে নিতে পারবে তার নিজের প্রয়োজন মতন; কিছুটা ঈশ্বরের বানীর মতন লেখা 🙂
(Y)
@এম এস নিলয়,
আপনার ক্রিটিসিজমটা বরাবরই ভাল হয়। বিস্তারিত এবং তথ্যভুল হয়। অনেকের থেকে গঠন মুলক হয়। আমি কবিতা বড় একটা লেখি না। কবিতা হোক আর যাই হোক, তা যদি পৃথিবীটাকে একটুখানি বদলে না দিতে পারে, তবে তা দিয়ে কি হবে? অনেক ধন্যবাদ।
অনেক অনেক সুন্দর একটি কবিতা পড়লাম। ভাললাগলো
@মাসুদ,
কবিতা মনে আনুক নতুন ঘ্রানের বাতাস। অজস্র ধন্যবাদ।