চট্টগ্রাম কলেজের দুই মেধাবী ছাত্র রায়হান রাহী ও উল্লাস দাস। তারা ছিলেন এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী, তাই সর্বশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পরীক্ষার। পরীক্ষার জন্য এডমিট কার্ড সংগ্রহ করতে ৩০ মার্চ রবিবার কলেজে যাচ্ছিলেন সকাল ১১ টার দিকে, পথিমধ্যে তাদের দুজনকে ডেকে নিয়ে কয়েকজন মিলে ধর্মানুভুতিতে আঘাতের অভিযোগে মারধোর শুরু করে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী প্রায় ৫ পৃষ্ঠার একটি লিফলেট জনগণের মধ্যে বিলিয়ে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করা হয়। প্রমাণ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ধর্ম নিয়ে করা তাদের বিভিন্ন মন্তব্য ঐ লিফলেটে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়।
রায়হান রাহী
একটা পর্যায়ে তথাকথিত নাস্তিক্যবাদ প্রচারের অভিযোগে ঐ এলাকার ধর্মান্ধ জনগণকে সাথে নিয়ে রাহী ও উল্লাসকে প্রচণ্ড মারধোর করা হয়। প্রথমে টেক মসজিদের ভেতরে নিয়ে মারধোর করতে করতে তাদের মূল রাস্তায় নামিয়ে আনলে, সেখানে পূর্ব-পরিকল্পনা মাফিক অপেক্ষারত আরো কিছু মানুষ অংশ নেয় ২ তথাকথিত নাস্তিককে গণধোলাই দিতে। নারায়ে তাকবির বলে ধ্বনি দিয়ে চলতে থাকে নির্মম গণধোলাই। গণধোলাই এর একপর্যায়ে মুমূর্ষু রায়হান ও উল্লাসকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের দুজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, আর পুলিশের সাথে থানায় যায় ধর্মানুভুতিতে আঘাত প্রাপ্ত ধর্মান্ধ এবং তাদের অনুভূতি জাগ্রতকারী গোষ্ঠী।
উল্লাস দাস
পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেবার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়, উত্তেজিত ধর্মান্ধ জনতার ঢল নেমে আসে থানায়। সবার দাবী ৫৭ ধারায় জামিন অযোগ্য অপরাধ করেছে তারা তাই এই ধারায়ই মামলা করতে হবে। আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা, বয়স (দুজনারই ১৭ বছর) বিবেচনা করে পুলিশ এই ধারায় না এগোতে চাইলেও উত্তেজিত ধর্মান্ধ জনতার চাপে পুলিশ নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়। পুলিশের মধ্যেও কয়েকজন ৫৭ ধারায় মামলা করতে আগ্রহী ছিলো যুক্তি হলো এটি সাইবার অপরাধ।
আসুন দেখি পুলিশের এজাহারে কি লেখা হয়েছে – “…………… দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাইয়া দেখিতে পাই যে, দুই জন লোককে ৫০/৬০ জন উত্তেজিত জনতা মারধোর করিতেছে। তাৎক্ষনিকভাবে ধৃত আসামীদ্বয়কে উত্তেজিত জনতার কবল হইতে উদ্ধার করিয়া উপস্থিত জনসাধরনকে জিজ্ঞেস করিয়া জানিতে পারি যে, উক্ত আসামীদ্বয় ফেইসবুকে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) ও আয়েশা (রাঃ) সম্পর্কে বিভিন্ন অবমাননাকর ও মানহানিকর ধর্মীয় উস্কানি মূলক বক্তব্য পোস্ট করিয়াছে। এই সময় ঘটনার বিষয়ে ধৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তাহারা উপস্থিত লোকজনের সামনে নাম ঠিকানা প্রকাশ করে ফেইসবুকে প্রকাশিত কটূক্তির বিষয় স্বীকার করে।
তখন ১ নম্বর আসামী কাজী মাহমুদুর রহমান রায়হান (রায়হান রাহী) তাহার ব্যবহৃত SYMPHONY-XPLORE, W-35 মডেলের মোবাইলে সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেইসবুকে তাহার আইডি খুলিয়া ইনবক্সের মন্তব্যগুলো উপস্থিত জনসাধরনের সামনে উপস্থাপন করিলে দেখা যায়, কাজী রায়হান রাহী, ফারাবী সাফাউর রহমান নামক ফেইসবুক আইডির সহিত ফেইসবুকে ম্যাসেজ আদান প্রদান কালে লিখেন যে, ‘এমনকি কোন নারীর যদি অন্তত ৩০ বছর বয়সে স্বামী মারা যায়, সে আরেকবার বিয়ে করে। আয়শার ক্ষেত্রে কি হয়েছিলো?’ উক্ত ১ নং আসামী এইরুপ ইসলাম ধর্ম ও মহানবীকে বিদ্রূপ করিয়া কুরুচিপূর্ণ অসংখ্য ম্যাসেজ লিখেন। একই বিষয়ে ধৃত ১ নং আসামীর ফেইসবুক পেজে জনৈক ইমরান আজাদ নামের আইডির এক ব্যক্তি ম্যাসেজে লিখেন যে ‘প্রচলিত কোন প্রথাকে যিনি বন্ধ করতে পারেন না তিনি কেমন নবী?’
(সহ ব্লগারদের পরামর্শ অনুযায়ী নিরাপত্তা জনিত কারণে রাহী ও উল্লাসের পিতা-মাতার নাম ও ঠিকানা মুছে দেয়া হল। এই চিত্রটি নেয়া হয়েছে ব্লগার শেহাবের পোস্ট থেকে)
এরুপভাবে ধৃত ২ নং আসামী উল্লাস দাস তাহার আইডির মাধ্যমে ধৃত ১ আসামীর ফেইসবুক আইডিতে মন্তব্ব্য পোস্ট করেন যে, ‘ আদর্শ নিয়া কথা কচ্ছু? কয়টা দেশ ১৪০০ বছরে ইছলামি আদর্শ মানছে হুনি? হুরপরীর লোভ দেখাইয়া আর কতো? সনাতন, ইসলাম সব ই ফ্লপ খাইবে। ’ এইরূপ ইচ্ছাকৃতভাবে ইলেকট্রনিক বিন্যাসে কুরুচিপূর্ণ ইসলাম ধর্ম সম্পর্কীয় মান হানিকর বিভিন্ন মন্তব্য করিয়া আইন শৃঙ্খলা অবনতিসহ এবং ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করিয়া তথা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানিয়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ (সংশোধনী ২০১৩) এর ৫৭ ধারায় অপরাধ করিয়াছে।……….”
উল্লাসের পরিবার থেকে নিয়োগকৃত উকিল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি আর এই মামলা লড়বেন নাহ। কারণ ছেলেটা হিন্দু হয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলেছে, তিনি তার ধর্মের উর্দ্ধে যেয়ে কিছু করতে পারবেন না। গতকাল ৩১ মার্চ সোমবার বিকাল সাড়ে চারটার পরে চট্টগ্রাম নতুন আদালত ভবনের ২০৮ নম্বর রুমে এই মামলার কাজ চলে। সেখানে উল্লাসকে হাজির না করে শুধু রাহিকে হাজির করা হয়। ভীষণভাবে ভেঙ্গে পড়ে রাহি, খুব কাঁদছিলো ছেলেটি। এরপর বিচারক তাদের রিমান্ড মঞ্জুর না করে, জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলে পাঠিয়ে দেয়।
এই বিষয়ে ব্লগার সুমিত চৌধুরী বলেন, ‘শেষে যখন আদালত থেকে ফিরে আসছিলাম তখন খুবই খারাপ লাগছিলো। দেখছিলাম দিক-বিদিক জ্ঞানশুন্য হয়ে গেছে রাহির বাবা, কাঁদতে কাঁদতে পাগলপ্রায় তার মা। দেশীয় আইন অনুযায়ী নাবালক ছেলেগুলোর কথা ভেবে মুষড়ে পড়ছিলাম বারবার। এখনো মাত্র সতেরো বছর বয়স, অথচ এই বয়সেই তাদের আসামী বানিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হলো চার দেয়ালের মাঝে! সময়টা এখন তাদের খুবই ঝুঁকিপূর্ণ আর এই সময়েই কিনা তারা গিয়ে পড়ল কুখ্যাত সব আসামীদের মাঝে! একবার ভাবুন কি শিখে বের হবে তারা! কেমন মানুষদের সংস্পর্শে থাকবে তারা! কী হবে তাদের আগামীর ভবিষ্যত! জেলের ভেতরটা কতটা খারাপ তা একমাত্র ঐখানে যারা থেকে এসেছে তারাই জানে। ঐখানে যারা থাকে তারাতো সাধারণের চাইতে আরো অতিমাত্রার আস্তিক, একবার ভাবুন যখন তারা জানবে এরা কি দোষে এসেছে কি অবস্থাটা হবে তাদের! তার চাইতেও বড় কথা অনেক বছর যাবৎ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বেশ আরাম-আয়েশে আর প্রভাবের সাথেই আছে কুখ্যাত সন্ত্রাসী শিবিরের নাছির। এসব আর ভাবতে পারছি না, নিজেকে বড় অসহায় মনে হচ্ছে এই মুহুর্তে! আর কিছু না হোক অন্তত তাদের বয়েসটা বিবেচনা করা দরকার ছিলো বিচারকের…….’
নেপথ্যে সেই ফারাবিঃ উপরের মামলার এজাহারে ফারাবি সাফাউর রহমানের নাম ইতিমধ্যেই এসেছে। ফারাবির সাথে ব্যক্তিগত ম্যাসেজের কথোপকথন উত্তেজিত জনতা বারবার বলছিলো, আর প্রচারকৃত লিফলেটেও ফারাবির সাথে ব্যক্তিগত ধর্ম নিয়ে আলোচনা গুলো উদ্দেশ্যমূলক ভাবে প্রচার করা হয়। প্রশ্ন হলো, ২ জনের মধ্যে ব্যক্তিগত কথোপকথন অর্থাৎ ফেসবুক চ্যাট কিভাবে এতো মানুষে জেনে গেলো? প্রথমত এই মামলার গণধোলাই খাওয়া ভিকটিম তা প্রকাশ করতে পারে অথবা ফারাবি প্রকাশ করতে পারে। যেহেতু ভিকটিমের প্রকাশ করার প্রশ্নই আসেনা, তাই প্রকাশ করতে পারে একমাত্র ফারাবি।
রাহী এবং উল্লাস পরিচিত মুখের সেলিব্রেটি টাইপের কেউ নয়। কোন উল্লেখযোগ্য ব্লগে লেখালেখি করতেও তাদের দেখিনি, অবশ্য এই ক্ষেত্রে তাদের বয়স এবং পড়াশুনার ব্যপারটাও আমাদের বিবেচনা করা উচিত। কিন্তু রাহী ও উল্লাস উভয়েই ফারাবির সাথে দীর্ঘ সময় বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্ক করেছে একথা একেবারেই স্পষ্ট। এছাড়াও ফারাবির বিভিন্ন লেখায় বিভিন্ন সময়ে উল্লাস ও রাহীকে যুক্তিতর্ক করতে দেখা যায়। আমি ফারাবির সাথে এই রকম কিছু মন্তব্যের স্ক্রিনশট প্রকাশ করছি, কারণ মন্তব্যগুলো ডিলেট হবার সম্ভাবনা অনেক বেশী।
তবে এখানেই ক্ষান্ত নয় ফারাবি, ৩১ শে মার্চ সোমবার রাতে তার মাধ্যমেই গ্রেফতার হয়েছে রাহী এটি স্বীকার করে নিয়ে ফারাবি লিখেন – “আমার এই status এ কাজী রায়হান রাহীর কমেন্ট দ্বারাই আজকে পুলিশ কাজী রায়হান রাহীকে গ্রেফতার করেছে। উম্মুল মুমেনীনদেরকে নিয়ে কাজী রায়হান রাহী এত বাজে বাজে কমেন্ট করেছে যে তাকে কোন ভদ্র ঘরের ছেলে বলা যায় না। আসলে এটা শুধু কাজী রায়হান রাহী নয় অনলাইনের প্রত্যেকটা নাস্তিকই আসিফ মহিউদ্দীন, অভিজিৎ রায় এরা সব সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রীদেরকে নিয়ে মিথ্যাচার করে, অশ্লীল কথা বলে। যেমন সূরা আত তাহরীমের ১ম ১২ আয়াতের শানে নুযুলে উম্মুল মুমেনীন মারিয়া কিবতিয়ার নাম কোন তাফসীরকারক উল্লেখ না করলেও এই অভিজিৎ রায় উনার লেখা নোটে ও ব্লগে উম্মুল মুমেনীন মারিয়া কিবতিয়ার প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে এসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ব্যক্তিগত চরিত্র সম্পর্কে চরম অশ্লীল কিছু কথা বলেছে তার লেখা নোটে ও ব্লগে।
এরপরে ফারাবি নাস্তিকদের প্রকাশ্যে হত্যা করার হুমকি দিয়ে বলেন –
“এখন সময় এসেছে যেইসব নাস্তিক আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে অশ্লীল কথা বলবে তাদের কে থাবা বাবার ন্যায় তিলতিল মৃত্যু যন্ত্রণা দিয়ে প্রকাশ্যে হত্যা করা। বাংলাদেশে হয় আমরা মুসলমানরা বেঁচে থাকব নয় নাস্তিকরা বেঁচে থাকবে।”
শুনেছি অপ্রাপ্তবয়স্ক এই দুজনার পরিবারেও রয়েছে আতঙ্ক, রাহী এবং উল্লাসের এবার আর এইচএসসি পরীক্ষা দেয়া তো হচ্ছেই নাহ, অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের ভবিষ্যৎ। উল্লাসের বাবা অপেক্ষায় আছে, ছেলেকে কোন রকম মামলা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ইন্ডিয়ায় চলে যাবার। উল্লাসের পরিবারের উপর চলছে স্থানীয় জামাত শিবিরের হুমকি ধামকি। কতো বড় সাহস তাদের ছেলের হিন্দু হয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলে! অন্যদিকে রাহীর মা শুধু মূর্ছা যাচ্ছে, আর রাহীকে ফিরে পেতে চাচ্ছে। আমাদের কি কিছুই করার নেই?
কষ্ট লেগেছে মেধাবি ছেলে দুটির জন্য আর আশাবাদি হয়েছি ওদের এত ছোট বয়সে ফারাবির মত একজন প্রশিক্ষিত ক্যডারকে এমন বুদ্ধিদীপ্ত সংলাপ এর মধ্যমে পরাভুত করায়। অভিনন্দন ‘রাহী’ আর ‘উল্লাস ‘ তোমাদের ।
মুক্ত মনা মানুষদের এমন নিপিড়নের ইতিহাস অনেক পুরানো আর সব কালেই এই জাতীয় নিপিড়নের সুযোগ রাষ্ট্রই দিয়ে থাকে । পৃথিবীতে অনাদিকাল থেকেই রাষ্ট্র যন্ত্র অার ধর্মীয় সংগঠনের মধ্যে থেকেছে এক গোপন আঁতাত ।
রাষ্টীয় ক্ষমতায় যারাই থেকেছে তারাই জনগণ কে করেছে শোষন আর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলো করেছে শাষন। এই দুই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যেই অবস্হান নিয়েছে তার উপর নেমে এসেছে নির্মম আঘাত। ইতিহাসের প্রথম বলী হচ্ছে মহান দার্শনিক ‘সক্রেটিস ‘।
তাই এখন সময় এসেছে সঙ্গবদ্ধ হওয়ার,প্রস্তুতি থাকতে হবে প্রতিঘাত করার,ক্ষমতা অর্জন করতে হবে ফারাবিদের প্রতিহত করার এবং এটি সম্ভব এর প্রমান রাহী আর উল্লাস।
এর জন্য শুধু বুদ্ধিমত্তার সাথে এগিয়ে যেতে হবে সৃষ্টি করতে হবে ব্যপক গণসচেতনা। তা না হলে কোন অবস্হাতেই এমন একটি সু-সংঘটিত গোষ্টীর কাছ থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব নয় ।
সত্যি কথা বলতে কি কখনো বুঝিনি এই ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হবে। বিশ্বাস করুন বা নাই করুন, ৩০ তারিখ ঘটনার দিন থেকে জামিনের তারিখ পর্যন্ত থানা, কোর্ট, জেলখানায় যে পরিমান ধর্মের অবমাননা দেখেছি সেটা দিয়ে মহাকাব্য লিখা যেতে পারে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বাংলাদেশে ধর্মের অবমাননা বলতে কেবল ইসলাম অবমাননাই বুঝায়। এখানে অন্য কোনো ধর্ম হয়তোবা ধর্তব্য নয়। এজন্যই হয়তো ফেসবুকে সনাতন ধর্মকে নিয়ে সৃষ্ট বিভিন্ন নোংরা পেইজের এডমিনরা কোনোদিন আইনের মুখোমুখি হয়না কিংবা হবে কিনা সেটাও জানিনা। কিন্তু এখন আমার হাত পা বাঁধা। তাই প্রায় একমাস ধরে আমার এবং উল্লাসের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো খোলাখুলিভাবে প্রকাশ করবোনা। একটাই কথা বলি, নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করি, নিজের আদর্শকে ধরে রাখার সর্বাত্মক চেস্টাই করে যাবো। ধন্যবাদ, আমাদেরকে ছেড়ে চলে না যাওয়ার জন্য। নিজেদেরকে কিছুটা শক্তিশালি মনে হয়। হয়তোবা শেষ হয়ে যাবো রাতের আঁধারে কোনো হিংস্র কোনো মানবসদৃশ পশুদের শাণিত ছোরায়, কিন্তু নিজেকে আমার প্রচন্ড ভয় করে। মরতে মরতেই হয়তো পশুদের কারো মস্তিষ্ক ছিঁড়ে বুঝার চেস্টা করবো- তাদের প্যারাইটাল লোব এত জঘন্য কেন! ধন্যবাদ সবাইকে।
@কাজী রায়হান রাহী, দেখা হবে বিজয়ে (Y)
@অর্ফিউস,
৫৭ ধারা ভাল নাকি মন্দ, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করার পর আপনার বাই পোলার রোগটা নিয়ে কোন অনিশ্চয়তা থাকার কথা নয়।
@পত্র,
চেনা চেনা লাগে তবু অচেনা!! সেই ভদ্রলোক নাকি তার সাথে সম্পর্কিত কেউ মাল্টি নিক নিয়ে এসেছে কে জানে :p। যাই হোক।
মুসলমানের ছোঁয়া খাওয়া লালন যখন নিজের পরিবার ও সমাজের কাছে ঘৃণার স্বীকার, তখন লালনের প্রশ্ন ছিল, ‘জাত জিনিষটা কীভাবে চইলা যায়? এইটা কি দেহ থাইক্যা ফুচ কইরা বাড়াই যায়?’ লালনের মতো আমারও প্রশ্ন সকল ধর্মবিশ্বাসীদের কাছে, ধর্মানুভূতিতে কীভাবে আঘাত লাগে? তীরের মতো এসে ছলাৎ করে বিঁধে যায়?
রাষ্ট্রের কাছে আমার প্রশ্ন, ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য (যদিও আদৌ তারা সেটা করেছে কিনা, বা সত্যি কথা বললেই যদি কারো ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগার ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়) আপনি যদি কাউকে আটক করেন, তবে নাস্তিকদের অনুভূতিতে আঘাত যদি কেউ দেয় সেটা নিয়ে আপনারা কী করবেন?
@সংবাদিকা, আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম যে এটি ( আপনার নিক) লিঙ্গ নিরপেক্ষ শব্দ যা আদিল ভাইকে বলেছি। তবে শব্দের মানে নিয়ে একটু সমস্যা ছিল যা আপনি একেবারে স্ক্রীনশট সহ দেখিয়ে দিলেন। অনেক ধন্যবাদ এ জন্য আপনাকে। 🙂
@আদিল ভাই, @ সংবাদিকা,
আসেন আমরা টপিকে ফিরে যাই প্লিজ। কারন কথায় কথা বাড়ে, আর তাছাড়াও আমরা একটা ছোটখাট বিষয়কে শুধু টেনে লম্বা বানাচ্ছি। ধন্যবাদ দুজনকেই।
ছেলে দুইটা Stupid.
নিজ আইডিতে ওরকম মন্তব্য করা ঠিক হয় নি।
কারণ
অমানবিক
ধর্ম ভাইরাস তুই আর কত অমানবিক হবি
মানুষের মাজে জন্ম নিয়ে আর কত মানুষরে কামড়াবি
বিগত কয়েক হাজার বছর ধরে তুই কামড়িয়ে মারলি
কয়েক হাজার, লক্ষ মানুষ
এখনো তর হলনারে হুঁশ
তুই কত কাল থাকবিরে আর অমানবিক বরবর
কত নারীকে মারবিরে আর মাটিতে পুতে পাথর
কত পুরুষের নিলে কেটে কলিজার ভেতর
আর কত অমানবিক হবি তুই বল ?
তর মরণ কামড়ে কত মরুর বুকে জাগল রক্তের প্লাবন
উজাড় হল কত মানবের মায়াবন
আর কি চাস বল
এইতো কিছু দিন আগে কেড়ে নিলি
রাজিব হায়দার , তাড়িয়ে দিলে নাছরিন , হুমায়ূন আজাদ আর আসিফের উপর করলে বরবর হামলা
আর কত অমানবিক হবে তুই
আর কত রক্তে স্নান করাবে আমার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ।
এই ঘটনার পর থেকে অনেকে ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছে যে জামাত শিবির বিরোধী অবস্থানের কারনেই এদের ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। এই অভিযোগ কতটা সত্য?
সত্য না হলে এই ধরনের প্রচারনা বন্ধ করা উচিত। বাক স্বাধীনতার ইস্যুকে বেহুদা ভুল ডিরেকশনে ঘোরানোর চেষ্টা ক্ষতি ছাড়া ভাল কিছু করবে না। রাজীব হত্যার পর রাজীবের লেখালেখি গোপন করার প্রচেষ্টাও ক্ষতি ছাড়া লাভ কিছু করেনি।
@আদিল মাহমুদ ভাই,
রায়হান রাহী ও উল্লাস দাস চট্টগ্রাম কলেজের স্টুডেন্ট | আপনি হয়ত জানেন যে চট্টগ্রাম কলেজ এবং কলেজ এরিয়ায় জামাত-শিবির কন্ট্রোল করে| রাহী বিভিন্ন সময়ে চট্টগ্রাম কলেজে শিবিরের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সমালোচনা করছে এবং ফেসবুক/ব্লগেও জামাত শিবির নিয়ে লেখালেখি করতো| নিউজে পড়লাম রাহীর বাবাও বলেছেন যে রাহী শিবিরে যোগ দেয়নি বলে শিবিরের কর্মীরা ষড়যন্ত্র করে তাঁর ছেলেকে ফাসিয়েছে !!
আর রাহীর বিরুদ্ধে কারা পুলিশে অভিযোগ করেছে জানেন ?
==> রাহীর উপর আক্রমণকারী ঐসব ছাত্রশিবিরের ক্যাডার ও তাদের নেতা ফারাবী শফিউর রহমান !!! :-s
অবশেষে সরকার স্বঠিক কাজটা করেছে , এসব সর্বনাশাদের জন্যে সরকারের এবং গনজাগরনমন্চের অনেক মাশুল দিতে হয়েছে এবং মৌলবাদীদের রাজনৈতিক ভাবে সুবিধার করে দিয়েছে , এরা সর্বনাশা ! এরা অন্য মতের মানুষের সম্মান করেনা !!!!
রাহী ও উল্লাস এই ছোট ছেলে দুটোকে এক্ষুনি মুক্তি দেওয়া হোক
@কাজী রহমান ভাইয়া, আমিও আপনার সাথে বলছি যে তাদের মুক্তি দেয়া হোক। এই ধরনের গ্রেফতার গ্রহনযোগ্য নয়।
@অর্ফিউস,
রাষ্ট্র আর ধর্ম যখন একাকার হয়ে যায় আর ৫৭ ধারা টাইপের আইন শক্তিশালী করা হয় তখন নাগরিকের মৌলিক অধিকারের দফারফা হয়ে যায়। এগুলো ওয়ানওয়ে টিকেটের মত। শাসক ফাসকরাও এসবের বিরোধিতা না করে বরং ক্ষমতায় টেকার অস্ত্র হিসেবে এসব ব্যবহার করে চলে। সময় নিয়ে মৌলিক কাঠামো আর মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে না পারলে সুবিধা হবে না। দীর্ঘমেয়াদী সুচিন্তিত আর সুস্থির ভাবনা প্রয়োগ ছাড়া মোটেও সুবিধা হবে না বলে আমার ধারণা।
@কাজী রহমান ভাইয়া,
খুবই সঠিক কথা বলেছেন। কিন্তু এই কথাটা অনেকেই বুঝতে চান না, এটাই আফসোস!
প্রতিটি ধর্মের মানুষ কিছু নির্দিষ্ট বিষয়কে কোন ধরনের যুক্তি প্রমান ছাড়াই শুধুমাত্র আবেগ দিয়ে বিশ্বাস করে বংশপরম্পরায় সেই ধর্মীয় অনুশাসনগুলো মেনে চলেন। প্রতিটি ধর্মের এমন কিছু বিষয় (ধর্মের মুল ভিত্তি) আছে যেক্ষেত্রে মনে কোন ধরনের সংশয় বা অবিশ্বাস আনা যাবে না। বিষয়গুলি অন্তরে বিশ্বাস, মুখে স্বীকার এবং কাজে প্রকাশ করতে হবে। সমস্যা হচ্ছে, বিষয়গুলিকে বাস্তব সম্মত কোনরূপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা,পর্যালোচনা বা যুক্তি-তর্কের মুখোমুখি করলেই বিপদ। বিষয়গুলির সত্যতা বা গ্রহনযোগ্যতা যাচাইমুলক কোন প্রশ্নের যৌক্তিক উত্তর দিতে ব্যার্থ হলেই প্রশ্নকর্তাকে নাস্তিক অভিহিত করা হয় এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দোষে দায়ী করা হয়।
অন্যদিকে কিছু মানুষ আছেন, যারা প্রচলিত ধর্মগুলির ধর্মীয় বিশ্বাসের মুল ভিত্তিগুলিকে অযৌক্তিক বিবেচনায় কোন ধর্মকেই মানেন না। প্রচলিত ধর্মগুলিকে না মানাটাই তাদের আবেগ,অনুভূতি ও বিশ্বাস তথা চেতনার কথা।
ধার্মিকের বিশ্বাসের সাথে যুক্ত আবেগ,অনুভূতিতে আঘাত লাগার মতো কথা বললে যদি অপরাধ হয়, তবে নাস্তিকের বিশ্বাসের সাথে যুক্ত আবেগ,অনুভূতিতে আঘাত লাগার মতো কথা বলেলে অপরাধ নয় কেন ?
@বাকীদুল ইসলাম, জানতে চাওয়া বা না জানা কোনটাই অপরাধ নয়।
বরং জানতে না চাওয়া এবং সত্য জেনে অস্বীকার করা অপরাধ…
আপনার কমেন্টটি ভালো লাগলো 🙂
@বাকীদুল ইসলাম,
বুঝছি আপনি প্যাঁচে পরছেন !! 😀
ধার্মিকদের ধর্ম বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত কিন্তু নাস্তিকদের নাস্তিকতা কোনও বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত না !! :-s
যেমন ধরেন হেরোইন নেওয়া একধরনের নেশা, তদ্রুপ হেরোইন না নেওয়াকেও কি একধরনের নেশা বলা যায় ?? 😕
@তারিক ভাই,
আপনার মাঝে অসাধারন স্বচ্ছ যুক্তি বরাবরই আমার খুব ভাল লাগে। :guru: (C)
আর তাছাড়াও কেউ যদি হেরোইন নেয় তবে তো তার সাজা হওয়া উচিত না, যেহেতু সে তার নিজের ক্ষতি করছে অন্যের না। অন্তত ধর্মের ও তার অনুসারীদের কুৎসা রটালে অন্যদের মানসিক আঘাত লাগে; হেরোইন সেবন করলে তো সেটা অন্যের এমনকি মানসিক আঘাতও লাগে না। কিন্তু এই কথাটা বুঝাবেন কাকে ভাই? অন্তত যারা বুঝেও বুঝে না তাদের তো বুঝাতে পারবেনই না।
@অর্ফিউস ভাই ,
ধার্মিকদের ধর্মপালন কিংবা নাস্তিকদের নাস্তিক্যবাদের চর্চা এইদুটি বিষয়ের কোনটির ক্ষেত্রেই আমার বিশেষ কোন চুলকানি নাই | কারন এইদুটি বিষয়ই হল ব্যক্তিগত বিষয়/ব্যক্তি স্বাধীনতার বিষয় | সমস্যা হয় তখনই যখন এগুলোকে রাজনীতিতে টেনে এনে রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়| :-X
আরেকটা ব্যাপার আছে অনেকেই বলে যে নাস্তিকদের সকল ধর্মের সমালোচনার ক্ষেত্রে কোনো লিমিট নির্ধারন করে দেওয়া উচিত না | এই ধারনাটি হয়ত: পশ্চিমা বিশ্বের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যেখানে ধর্মগুলো বহু ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে এসে বর্তমানে চুপসে গেছে আর ধার্মিকেরাও হয়েছে “লিবারেল”| কিন্তু অন্যদিকে ইসলাম অন্যান্য ধর্মের তুলনায় অনেক নতুন ধর্ম, যা এখনো খুব একটা ঘাত-প্রতিঘাতের সম্মুক্ষিন হয়নি এবং মুসলিমরা মোটামুটি মডারেটও হয়নি !! তাই সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের দেশে ইসলাম ধর্মের সমালোচনা একটা লিমিট পর্যন্তই করা উচিত | আমার ধারণা ধর্ম/ধর্মীয় রীতিনীতির সমালোচনা “স্পেশাল” ব্যক্তিকেন্দ্রিক বিদ্বেষ / জাতি বিদ্বেষ ছাড়াও করা সম্ভব | 🙂
@তারিক ভাই,
সেটাই।
@বাকীদুল ইসলাম,
এই লেখায় লেখক অনেক ব্যাপার চেপে গিয়েছেন – সুবিধা অনুযায়ী। এই ব্যাপারে জানতে ইচ্ছে হলে একটু ইন্টারনেট ঘাঁটেন – সার্চ করেন – সবগুলো কথোপকথন এর প্রিন্ট স্ক্রিন পড়েন। তার পর মন্তব্য করেন……
তাদের ঐ সব মন্ত্যব্যর জন্য আমি মোটেও তাদের গ্রেপ্তারের পক্ষপাতী নই। তবে এটা অন্স্বীকার্য এই দুই কিশোরের নৈতিক শিক্ষার অভাব আছে – তারা যা – এক কথায় “বেয়াদপ”। চিটাগং এ এমন বেয়াদপ দেখা যায়। আমি জানি – এবং চিনি এই টাইপের বেয়াদপ কে। তারা খামাখাই হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ এমনকি ধর্ম যারা বিশ্বাস করেনা – তাদের গালাগালি করে – যদি তারা একমত না হয়। এর দায় তাদের বাবা-মা দেরও সামান্য নিতেই হবে – কেননা তারা এখনও কিশোর।
@সংবাদিকা,
আমিও না। তবে ভাই একটা প্রশ্নের জবাব আমাকে কেউ দিল না, আর তা হল চোর বা ছিনতাইকারি গনধোলাই খেয়ে মারা যাচ্ছে এমন খবর আমরা অনেকেই পাই। কিন্তু ১৭ বছরের ছেলে ৫০/৬০ জনের নির্মম গন ঘোলাই খেয়ে এখনো বহাল তবিয়তে আছেন ( বেঁচে থাকাটাই আমি মারা যাবার তুলনায় বহাল তবিয়ত বলেই মনে করি); যেখানে চুরি বা ছিনতাইয়ের চেয়েও মৌলবাদীরা ধর্মানুভুতির চেয়েও বেশি অ্যাগ্রেসিভ হবে এটাই স্বাভাবিক। এই খবরটা আমার কাছে কেমন জানি ধাঁধা লাগছে। তবে কি সত্যি ৫০/৬০ জন গনধোলাই দিয়েছিল নাকি সংখ্যাটা একটু এদিক সেদিক হয়েছে বুঝতে পারছি না। কোন খবর ছাপলেই হবে না, সাথে একটু সর্বজনগ্রাহ্য প্রমান দেখানো যে জরুরী সেটা কেন জানি অনেকেই ভেবে দেখেন না।
যাক বালকদুটির ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ জানিয়ে মন্তব্যের ইতি টানছি!
@সংবাদিকা,
এই সংশ্লিষ্ট কিছু স্ক্রিনশট আপনাকে দেবার অনুরোধ করছি যাতে প্রমাণ হয় ছেলেগুলো বেয়াদব। আমি বরং তাদেরকে যুক্তিতর্ক করতেই দেখেছি, আর সুবিধা অনুযায়ী কিছু চেপে যাবার উদ্দেশ্য আমার নেই, হয়তো আমার চোখে তা পড়ে নি বলেই দেই নি।
@সংবাদিকা,
আপনি মুক্তমনার সদস্যতো আপু ?!?
আমি কিন্তু চেক করে দেখেছি যে, রাহী বেয়াদবি বা অশ্লীলতার সাথে সম্পৃক্ত নয়।
@শেহজাদ আমান,
এখানেই অনেকের চিন্তা করার ফান্ডামেন্টাল সমস্যা!! মুক্তমনা আর এথিস্ট গুলিয়ে ফেলা… যেমন ৩০-৪০ বছর আগে আগ্রজদের অনেকে কম্যুনিস্ট, এথিস্ট এবং এগনস্টিক গুলিয়ে ফেলত!! চিন্তাটা আরেকটু আউট অফ দ্যা বাক্সো-পেট্রা করেন… লাভ বৈ ক্ষতি হপেনা!
অশ্লীলতার কথা কোথা হতে আনলেন… শব্দটাতো তাদের বিরুদ্ধে যাদের অভিযোগ সেইসব কাঠমোল্লারাও করেনি। আউট অফ দি বক্স ভাবা উচিত তবে আউট অফ দি কন্টেক্সট বর্জন করা উচিত।
আর সংবাদিকা, “আপু” নয়, “ভাইয়া”।
@সংবাদিকা,
আমি আপনাকে ছেলেগুলার বেয়াদবির কিছু স্ক্রিনশট দিতে আবারও অনুরোধ করছি। আর আপনি যদি নিজে নিশ্চিত না হয়ে অন্য একজনার সম্পর্কে মন্তব্য করে থাকেন সেটা দুঃখজনক হবে। আর আমাদের মধ্যে অনেক নবীন নাস্তিক আছেন যারা প্রথম প্রথম একটু লাফালাফি করে তবে মেচুরিটি হলে এটা ঠিক হয়ে যায়। দয়া করে রাহী ও উল্লাসের বেয়াদবির প্রমাণপত্র হাজির করুন, দেখি তারা ফারাবি হুজুরের সাথে কি কি বেয়াদবি করেছে। :-s :-s :-s
@নিলয় নীল,
বেয়াদবী ঠিক কাকে বলে? কেউ একটু বোঝাবেন?
আমি একবার ক্লাস এইটে বেয়াদব হিসাবে তীব্র ঝাড়ি খাইছিলাম। ঘটনা ছিল জ্যামিতি ক্লাসে জ্যামিতি বক্স আনা নিয়ে। স্যারের নির্দেশ ছিল সকলকে জ্যামিতি বক্স আনতে হবে। আমাদের দুই ভাই এর একটাই বক্স, তারও সব যন্ত্রপাতি নাই, আসলে স্কুল লেভেলের জ্যামিতিতে কম্পাস স্কেল আর চাঁদা ছাড়া কিছু লাগেও না। আমার বক্সে ঠিক প্রয়োযনীয় জিনিসগুলাই ছিল, বাকি সেটস্কয়ার আরো কিসব বক্সে থাকে যেগুলি ইঞ্জিঃ এর লাগে আমার ছিল না।
স্যার বেঞ্চে বেঞ্চে চেক করা শুরু করলেন। আমাকে জিজ্ঞাস করলেন বাকিগুলি কই? আমি খুব ভদ্রভাবেই বললাম স্যার বাকিগুলি তো আমাদের লাগে না। আর একটা বাক্যও বলি নাই। স্যার মহা খাপ্পা হয়ে গেলেন, আমাকে বিশাল বেয়াদব চিহ্নিত করে ৫ মিনিটের ঝাঁড়ি, এরপর গার্জিয়ানের কাছে রিপোর্ট।
স্যারের যে সমস্যা সেটা আমাদের সমাজের সাধারন সমস্যা। কম বয়সীদের কাছে সত্য কথা, ন্যায্য কথা শোনাটাও বেয়াদবী।
@নিলয় নীল,
হা হা… আপনি বুঝে গিয়েছেন… পড়েছেনও। তবে, ফারাবী মোটেও আমার কন্সার্ন নয়। আমার কোন কিছু অপছন্দ হলে আমি আর যাই করি – গালাগাল করবনা।
আর একটা বিষয়, আমার কোন মতেই বুঝতে পারিনা… ধর্মটাকে পুরো আলাদা জ্ঞানের ডিসিপ্লিন হিসেবে চিন্তা না করে কিছু কিছু আত্মস্বীকৃত নাস্তিকরা সামাজিক বিজ্ঞানের আলোকে কেন চিন্তা করেনা!! জাতীয়তাবোধ, সংস্কৃতি, ভাষা, জীবনাচার ইত্যাদির মত ধর্মও একটা অঙ্গ। পশ্চিমে উত্তর আয়ারল্যান্ড এই ধর্মটাকেই সংস্কৃতির উপর স্থান দিয়েছে – তারা মনে করে এটা তাদের জন্য অধিকতর মঙ্গলজনক। এজন্য আয়ারল্যান্ডে যুক্ত না হয়ে ব্রিটেনের সাথে আছে। এসব আসলে কেয়োটিক।
@সংবাদিকা,
🙂
ভাইরে, আপনার বিপদ দেখে আমার সত্যি দুঃখ হচ্ছে। শুধুমাত্র “ক” এর সাথে একটা আকার থাকার জন্য আপনাকে যেমন শুরু থেকেই এই ব্যখ্যাটা বার বার দিতে হচ্ছে, আমাকেও তেমনি আধা মুসলমান অবস্থার জন্য শুরু থেকেই নিজেকে ব্যাখ্যা করা লাগতেছে যে আমি আস্তিক নাস্তিকের মাঝামাঝি। কেন যে শেষে আকার থাকলে বহু মানুষ স্ত্রী লিঙ্গ ভেবে বসে আল্লা মালুম! আমি ভাবতেছি যে আমার নাম বদলে অর্ফিউস ( সংশয়বাদী) বা অর্ফিউস ( আধা মুসলমান) এই টাইপ কিছু বানিয়ে নেব। আপনিও বিকল্প চিন্তা করতে পারেন! ( মজা করলাম কিন্তু!)
@অর্ফিউস,
– খুব অবাক হবার কিছু আছে কি? সংবাদিকা নামের কোন শব্দ আসলেই বাংলায় আছে কিনা জানি না, তবে আকার থাকলে স্ত্রীলিংগ ধরে নেওয়াটাই স্বাভাবিক।
শিক্ষিকা শুনলে আপনার মানসে স্ত্রী/পুরুষ যে কেউই হতে পারে এমন সম্ভাবনা আসে?
@আদিল ভাই,
আমিও জানি না। তবে দেখেন নাটিকা বলে একটা শব্দ আছে বলেই জানি। এটাকে নাটকের স্ত্রী লিঙ্গ ভাবার কারন আছে কি? জানা নেই, জানা থাকলে জানাবেন।
সাংবাদিক শব্দটির কিন্তু লিঙ্গ নিরপেক্ষ, কাজেই সংবাদিকার নিক যদি “সংবাদিকা” না হয়ে “সাংবাদিকা” হত তবু কি সেটা স্ত্রী লিঙ্গ মনে হওয়াটা স্বাভাবিক ছিল? 🙂
@অর্ফিউস,
সংবাদিকা শব্দ সম্পর্কে আমার কোন ধারনা নাই আগেই বলছি।
প্রানীদের সাথে জড় বস্তুর লিংভেদ মেলানো যায় কি?
নদ নদী, উপন্যাস উপন্যাসিকা এসবের লিংগ স্ত্রী/পুরুষ খুবই এবস্ট্রাক্ট। নদ নদী আসলে স্ত্রী পুরুষ হয় না সকলেই জানি, স্রেফ বাংলা সাহিত্যের অলংকরন, তাও লিগার্থে নয়। নাটিকার মানে মহিলা নাটক নয়, ছোট নাটক বলেই জানি। আপনার চেনা কোন ভাল মহিলা নাটকের সন্ধান পেলে আমাকে জানাবেন।
কিন্তু শিক্ষক শিক্ষিকা খুবই পরিষ্কার লিংগ বোধক শব্দ। তেমনি সংবাদিকাও শুনলে প্রথমেই মহিলা চরিত্রই মানসপটে আসা খুবি স্বাভাবিক।
@আদিল ভাই,
আমি বলেছি যে,
এটাকে নাটকের স্ত্রী লিঙ্গ ভাবার কারন আছে কি?
মানে একটা প্রশ্ন করেছি। নাটিকা,পুস্তিকা এইসব যেমন মহিলা নাটক বা মহিলা বই হতে পারে না, তেমনি সংবাদিকা কোনভাবেই স্ত্রী লিঙ্গ হতে পারে না। এটা হয়ত ক্ষুদ্র সংবাদ, বা এই টাইপ কিছু হবে; যেমন নাটক থেকে নাটিকা, পুস্তক থেকে পুস্তিকা।
যাইহোক “সংবাদিকা” শুনে যদি কারো মনে হওয়া স্বাভাবিক হয় যে এটা শিক্ষিকার মত স্ত্রী লিঙ্গ, সেখানে শিক্ষক যেমন পুংলিংগ, ঠিক “সংবাদক” বা “সংবাদিক” নামের পুংলিঙ্গ থাকতে হত, যেটা নেই। যেটা আছে সেটা হল “সাংবাদিক” আর এটা লিঙ্গ নিরপেক্ষ!!
কাজেই ভদ্রলোক ( সংবাদিকা) তাঁর নিক কোন স্ত্রী লিঙ্গ হিসাবে নিয়েছেন, অথবা শুধু আকার আছে এতেই স্ত্রী লিঙ্গ ভাবার অবকাশ থাকতে পারে, নাটক থেকে নাটিকা, পুস্তক থেকে পুস্তিকা সাংবাদিক থেকে সাংবাদিকা ভাবারও অবকাশ আছে যদি শব্দগুলির সাথে পরিচয় না থাকে।
” সংবাদিক” এটাই পড়ুন। সংবাদক আছে কিনা এটা আমিও নিশ্চিত নই, যেমন সংবাদিকার ব্যাপারে আপনি নিশ্চিত নন।
@অর্ফিউস,
1. আমি মনে হয় আপনাকে একবার বলেছিলাম- ব্লগে সাধারণ তথ্য মূলক উপাদান (যা খুব সহজেই পাওয়া যায় হাফ মিনিটে, কয়েক ক্লিকে) কেউ জানতে চাইলে আমি এটা যথা সম্ভব না দেওয়ার চেষ্টা করি, কেননা এই সার্চ ইঞ্জিনের যুগে এটা আসলেই দুঃখজনক। বিদেশের ইউনিভার্সিটির ইনফরমেশন সেন্টার কর্তৃপক্ষের একটা অলিখিত (কোন কোন ক্ষেত্রে লিখিত) নির্দেশনা থাকে – তাদের ওয়েবসাইটে আগে খুঁজতে এবং না পেলে এরপর কন্সার্ন প্রকাশ করতে – সেই অনুযায়ী রিজয়েন্ডার দেওয়া হয়।
2. এই মন্তব্যর থ্রেডে যা পেলাম খুবই দুঃখজনক!! জিম্যাট/জিআরই দিতে আমরা সবাই ২৫০০-৩৫০০ ইংরেজি শব্দ শেখার চেষ্টা করি, টোফল/আইইএলটিএস দেবার জন্য ইংরেজি এপ্রোপ্রিয়েট প্রিপোজিশন, ফ্রেস অথবা প্রোভার্ব কিংবা সিনোন্যাম, অ্যান্টোন্যাম, হাইপোন্যাম ইত্যাদি শিখে ফেলি কয়েক হাজার – সাথে গ্রামার/ সেন্টেন্স কারেকশন আছেই। অথচ, বাংলাই ঠিক মত শিখিনী আমরা। দেশে স্পেলিং বি প্রতিযোগিতা হয় মহা সমারোহে আর বাংলা বানানে…… যদিও আমাদের পরে দেশে বাংলা ভাষা প্রতিযোগ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আস্তে আস্তে চেঞ্জ হবে…
আমাদের অনেক শিক্ষিত ব্যক্তি আছেন যারা ইংরেজি লেখা এবং বানানে সামান্য ভুল হলে সাথে সাথে ধরিয়ে দেন – মহা উৎসাহে – যেটা হয়ত ইংরেজি ভাষা ভাষীরাও ওভারলুক করবে। কিন্তু কোন লেখায় ভুল বাংলা লেখা থাকলে ধরিয়ে দেওয়া দূরের কথা নিজেরাও ধরতে পারেননা!!
আমি মনে করি প্রত্যক শিক্ষিত মানুষের কাছেই ভাষা সম্পর্কিত(ফার্স্ট ল্যাংগুয়েজলিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা) চার ধরনের অভিধান আছে কিংবা থাকা উচিৎ। সঙ্গে প্রফেশনাল ডিকশনারি এবং বুক অফ গ্লোসারিস অথবা জারগন তো আছেই। কেউ যদি তৃতীয় ভাষাও পারেন ওটার জন্য এমন। আর আগে যেটা বললাম – ইন্টারনেট তো আছে – এক্টি-দুটি ক্লিকের কিংবা আঙ্গুলের ছোঁয়াইতো ব্যাপার।
পড়তে হবে,
কাজেই ভদ্রলোক ( সংবাদিকা) তাঁর নিক কোন স্ত্রী লিঙ্গ হিসাবে নিয়েছেন, অথবা শুধু আকার আছে এতেই স্ত্রী লিঙ্গ ভাবার অবকাশ থাকতে পারে, তবে নাটক থেকে নাটিকা, পুস্তক থেকে পুস্তিকা সাংবাদিক থেকে সাংবাদিকা ভাবারও অবকাশ আছে, যদি শব্দগুলির সাথে পরিচয় না থাকে।
এই একটা “তবে” না থাকাটা মনে হয় কথার অর্থ উলটে দিতে পারে।
@অর্ফিউস/সংবাদিকা,
আমার দেখা মুক্তমনা ব্লগের অন্যতম একজন (সম্ভবত শীর্ষ) জটিল ব্লগার সংবাদিকা। সহজ কোন বিষয় আশ্চর্যজনক ভাবে প্যাঁচিয়ে জটিল উত্তপ্ত করে ফেলায় এমন মেধার পরিচয় দিতে ব্লগ জীবনে তেমন দেখি না।
সংবাদিকা শব্দ নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করছিলাম আমি এবং অর্ফিউস। আমি আগেই স্বীকার করেছিলাম যে সংবাদিক্তা শব্দের সাথে আমার পরিচয় নেই। আমি বাংলা ইংরেজী দুই ভাষায়ই অতি দূর্বল, বহুবার বলেছি, ব্যাকরনের কথা মনে হলে এখনো আমার গায়ে জ্বর আসে। এখানকার কেউ কেউ আমার কোন লেখা ভাল মনে হলে বহু বানান ভুল ধরেছেন। বাংলা ব্লগ জগতে মোটামুটি প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে শিক্ষিতরাই বিচরন করে। সেখানে এক একজনার যে অবস্থা দেখি (তাদের কেউ কেউ একাধিক বইও বার করে ফেলেছেন) সেখানে সীমাবদ্ধ সত্ত্বেও নিজেকে মনে হয় বেশ উন্নত।
কথা হল একটি শব্দ যা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে যার অর্থ আপত চোখে আমরা দুজনের কেউই জানি না সেটার অর্থ সরাসরি না বলে জাতির শিক্ষা দীক্ষার মান, বি স্পেল প্রতিযোগীতা.।।জিআরই টোফেল…এসব নিয়ে বলে ফলাফল কি পাওয়া গেল? সংবাদিকার মানে জানা গেল?
সংবাদিকা সাহেবের পরামর্শমত ইন্টারনেটে সংবাদিকা লিখে ক্লিক দিলাম। ফলাফল প্রথম পাতায় যা আসল বলতে গেলে তার সবই ব্লগার সংবাদিকার নানান ব্লগ পেজ।
আরেক ধাপ এগিয়ে একটি অনলাইন বাংলা ডিক্সনারী সার্চ দিলাম। সেখানেও সংবাদিকা শব্দটি পেলাম না। কাছাকাছি সংবাদী আছে। সংবাদিকা নেই।
http://www.ebangladictionary.com/alphabet/%E0%A6%B8/page/2
নিঃসন্দেহে সংবাদিকা শব্দ ভাষায় থাকলেও খুব একটি সাধারন নয়। এটি না জানার অজ্ঞানতা নিয়ে নাতিদীর্ঘ লেকচারের যৌক্তিকতা (বিশেষ করে অর্থ প্রকাশ না করে) নিয়ে প্রশ্ন করাটা নিশ্চয়ই অন্যায় হবে না।
@আদিল মাহমুদ এবং @অর্ফিউস,
[img]https://lh5.googleusercontent.com/-Kuj1AT2dQTo/Uz7hFDnpCSI/AAAAAAAAAMI/_82hMxL3W98/w700-h560-no/songbadika+1.jpg[/img]
[img]https://lh4.googleusercontent.com/-v4riZTF5eV4/Uz7hJJxMoFI/AAAAAAAAAMQ/7hvsh8gwZ_8/w700-h560-no/songbadika+2.jpg[/img]
@আদিল মাহমুদ,
না জানাটা মোটেও আমার কন্সার্ন ছিলনা। আপনি সম্ভবত বয়স এবং ব্লগের বয়স – দু ক্ষেত্রেই আমার সিনিয়র হবেন। আশা করি কিছু মনে করেননি। পৃথিবীতে সবকিছু সবাই জানবে – এমন ঘটনা অসম্ভব।
আমার কন্সার্ন হল – এই ব্লগ সহ বিভিন্ন ব্লগ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে তথ্য প্রদানের জন্য বলে… যেটা তারা খুব সহজেই ইন্টারনেট থেকে কিংবা খুবই সাধারন বই যা সবার সংগ্রহে থাকার কথা, তা হতে সহজেই পেয়ে যেতে পারে। অর্ফিউসের সাথে আমার অন্য একটি লেখার থ্রেডে এ বিষয়ে কথা হয়েছিল।
আপনাকে ধন্যবাদ।
@অর্ফিউস,
FYI
আধামুসলমান আর সংশয়বাদী এক জিনিস না। সম্পূর্ণ ভিন্ন।
@তানভীরুল ইসলাম,
কোন সমস্যা নেই এতে। আধা মুসলিম/ আধা কাফের/ আধা মুসলিম আধা খ্রিষ্টান/ আধা ইহুদি, আধা নাস্তিক, আধা ইমানদার/ আধা শয়তান / আধা ফেরেশ্তা যা ইচ্ছা ভাবুন।
আমার অবস্থান পাল্টাবে না তাতে।
গোঁড়া মুসলিমরা প্রায়শ একটা কথা বলে থাকে আর সেটা হল,” ওই মিয়া তুমি কিসের নাস্তিক, নাস্তিক মানে কি তুমি বুঝো? আগে যোগ্যতা অর্জন করে পরে নিজেকে নাস্তিক বল।”
নাস্তিক হতে কি কোন যোগ্যতা লাগে? সৃষ্টি কর্তাকে অবিশ্বাস করলে কি তাকে আস্তিক বলার অবকাশ আছে? নাই তাই না? আমি আধা মুসলিম বলেছি কারন আমার জন্ম মুসলিম পরিবারে। আর ধর্ম নিয়ে আমার যেহেতু তেমন চুলকানি নাই, কাজেই নিজের আসল নাম ( সার্টিফিকেট বলেন বা পাসপোর্ট), নিজের আইডেন্টিটি সবই মুসলিম। বদলানোর সুযোগ বাংলাদেশে আছে কিনা জানি না; থাকলেও বদলাতাম না কারন আমি এই ব্যাপারে মোটামুটি উদাসীন। আবার স্রষ্টার অস্তিত্ব নিয়ে সন্দিহান; থাকতেও পারে নাও থাকতে পারে, ধর্ম পালন করিনা সেকারনেই, আবার ধার্মিকদের সাথে কোপাকুপিতেও আগ্রহ পাই না। একজন হুজুর বলেন পাদ্রী বলেন বা খাট্টা নাস্তিক বলেন কারো আগে পিছে নাই আমি যতক্ষন না নিজের লেজে পাড়া পড়ছে, ব্যাস এটাই আমি।
এই অপরাধে আমাকে সুবিধাবাদী বল্লেও আমি রাগ করব না, কারন এটাও বাকস্বাধীনতার অংশ হতে পারে। ধন্যবাদ।
@অর্ফিউস,
আপনি কী তা নিয়ে আমার বিন্দু মাত্র মাথাব্যাথা নাই। আমি স্রেফ বলেছি সংশয়বাদী এবং আধামুসলমানের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে।
(অল্প কথায় বললে)
আধামুসলমান হলো সে, যে ইসলাম আধাখেচড়া ভাবে পালন করছে। বা পুরোপুরি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারছে না। তার তার ধর্মবিষয়ক সিদ্ধান্ত ইসলাম কেন্দ্রিক। সম্ভবত অন্য ধর্মগুলোকে সে আর দশজন মুসলিমের মত এমনিতেই বাতিল করে দিয়েছে।
আর সংশয়বাদী হচ্ছে সে, যে সবকিছুর শুরু কোনো ঈশ্বর বা সে ধরনের সত্ত্বার হাত ধরে হয়েছে কি না তার পক্ষে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণাদি পায়নি। আবার সেটাকে পুরোপুরি বাতিল করে দিতেও পারছে না। সংশয়ে ভুগছে।
@তানভীরুল ইসলাম, ব্যখা করার জন্য ধন্যবাদ যদিও এ নিয়ে আমারও বিন্দু মাত্র মাথা ব্যাথা নেই। আমার উপরের করা মন্তব্যে আমি নিজেকে পরিষ্কার করেছি বলেই আমার বিশ্বাস। কাজেই কোন Ism সম্পর্কেও মাথাব্যাথা নেই। তবু নতুন জিনিস জানাবার জন্য ধন্যবাদ।
@শেহজাদ আমান,
মুক্তমনা অনেকেই হতে পারে,তবে আদর্শ মুক্তমনা ঐ একজনই,রোমান্টিকা। মুক্তমনা হতে হলে আপনাকে যেকোন বিষয়ে তাৎক্ষণিক গুগল করতে পারদর্শী হতে হবে,দেশে দেশে অস্ত্র পাচার সম্পর্কে সাম্যক ধারণা থাকতে হবে,সময়মত পিছলামী দিতে পারায় দক্ষ হতে হবে,বৌদ্ধ ধর্ম কতো মৌলবাদী,ঐ ধর্মে কতো বিস্তর নৃশঃসতা আছে সে বিষয়ে জানাশোনা থাকতে হবে,ইসলাম ধর্ম নিয়ে টক মিষ্ট রোমান্টিকতায় ভুগতে হবে,তবেই না আপনি আদর্শ মুক্তমনা!বাকীরা সব গুলিয়ে ফেলা মুক্তমনা!
@পত্র,
মুহাম্মদের চরিত্র হননেও পারদর্শী হতে হবে কি বলেন?
সবই যখন বললেন আপনার বিপরীত মনা ব্লগারের সম্পর্কে সেখানে আপনার সমমনাদের সম্পর্কেও একটা কথা আমি না হয় নিজের গরজেই বলে দিলাম।
@অর্ফিউস,
উপরে একটা মন্তব্যে আপনি বলেছেন,”আমি কারও আগেও নাই পিছেও নাই,যতক্ষণ না নিজের লেজে পাড়া পড়ছে,ব্যাস এটাই আমি।”
নিজেকে খুব পরিষ্কার ভাবে ব্যাখ্যা করলেন।তাহলে তো আপনার লেজে পাড়া পড়ে গেছে বোধহয়!
আবার দেখলাম বাক স্বাধীনতার দোহায় দিয়ে নিজেই নিজেকে সুবিধাবাদী বলছেন।কেউ সুবিধাবাদী বললে মেনে নেবেন বলেছেন।
অনেক সময় এরকম হয়,চারিদিকের এত ঝড়,ঝঞ্ঝা মুখর পরিবেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত মানুষ মাঝে মাঝে নিজের জন্য একটু সুবিধা জনক জায়গা খোঁজে।
@পত্র,
শুধু আপনার ভুলটা ভাঙ্গিয়ে দেবার জন্যই উত্তর দিচ্ছি। না আমার লেজে পাড়া পড়েনি, পড়লে এত সোজা ভাষায় বলতাম না নিশ্চিত থাকেন।
আপনি যেহেতু একজনের সাথে কথাবার্তায় আরেকজনকে বিশেষায়িত করছেন, আমিও ঠিক আরেকজন হয়েই আপনাকে দেখিয়ে দিলাম যে এমন করলে আপনার রিঅ্যাকশন কি হতে পারে, মানে অন্যের সাথে কথাবার্তা নিজের গায়ে টেনে নিয়ে কেউ যদি বিশেষায়িত করা শুরু করলে রিঅ্যাকশন কি হতে পারে কারো এটাই দেখালাম আপনার আপনার মাধ্যমে।
আর আমি যদি নিজেকে ব্যখ্যা করেই থাকি তবে জেনে রাখবেন যে আপনি নিজেকে ব্যখ্যা করার পরেই সেটা করেছি।
ওই বাক্যটা বোঝার সক্ষমতা আপনার আছে বলে অনে হচ্ছে না। যাকে বলেছি উনি এটা বুঝেছেন বলেই আমার বিশ্বাস।
বাক স্বাধীনতার দোহাই আমি দেই নি, বরং বাকস্বাধীনতার নামে ফাতরামিকে সমর্থন করলে কি হয় সেটা বুঝাতেই আমি তানভীর সাহেব কে বলেছি যে এটা কারো কারো কাছে বাক স্বাধীনতা হতেও পারে। ওটা ছিল ভদ্র ভাবে একটা বক্রোক্তি; যেহেতু বুঝেন নি তাই ভেঙ্গে বললাম।
@পত্র,
আরেকটা কথা, আমি এটা যদিও বলিনি শুধুই বলেছি যে কেউ বললে আমি কিছু মনে করব না, তবু আপনার যদি এটাই মনে হয় যে আমি নিজেই নিজেকে সুবিধাবাদী বলেছি, তবে তাই সই। তবে আপনার জানা থাকা ভাল যে চোর কিন্তু কোনদিন বলেনা যে সে চোর, বরং নিজেকে সাধুই দাবী করে থাকে। ধন্যবাদ।
@সংবাদিকা,
প্রিয় সাংবাদিকা ভাই, এই লেখায় এবং এর আগেও কিছু লেখায় আপনার মন্তব্য দেখে আপনাকে আমার প্রচণ্ড বেয়াদপ মনে হচ্ছে। মুক্তমনায় মুক্তচিন্তা চর্চা করতে আসি। এখানে বেয়াদবি দেখতে চাই না।
@তানভীরুল ইসলাম,
তানভীরুল ইসলাম ভাই, আপনি আমার ভাবধারা, লেখা, চিন্তা কিংবা মন্তব্যর পছন্দ নাই করতে পারেন। তবে সহ ব্লগার হিসেবে ন্যূন সৌজন্যটা টা বজায় রাখা তো উচিত। তাই নয় কি??
নিক নেম – “সাংবাদিকা” নয় “সংবাদিকা” – খেয়াল করে কিন্তু – “সাং” নয় “সং”, “সং” – “রং”, “ঢং” এর ছন্দে “সং”।
@সংবাদিকা,
বেয়াদবকে মুখের উপর বেয়াদব বলে দেওয়াটাই আমার কাছে নূ্যনতম সৌজন্য। আপনি এই লেখার একাধিক মন্তব্যে বলেছেন লেখক নিজের “সুবিধা অনুযায়ি” স্ক্রিনশট দিচ্ছেন। তাও উপযুক্ত ব্যাখ্যা ছাড়া। এটা যে লেখককে সরাসরি শঠ বা জোচ্চোরটাইপ কিছু বলার সামিল তা কি বোঝেন?
আর লেখাটা দুই কিশোরের ধর্মান্ধ গোষ্টির ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়া নিয়ে। এখানে লেখকের ব্যক্তিগত “সুবিধা” আসলো কোথা থেকে? আপনার মন্তব্যের টোনে ফারাবির প্রতিই যেন টান চোখে পড়ে।
@তানভীরুল ইসলাম,
আপনি বেআদব ঢাকবেন না আদব ডাকবেন ওটা আমার মোটেও কন্সার্ন নয়। যাই ডাকেন – যারে ডাকবেন তার নাম/নিক ঠিক মত লেখার ব্যাপারটাই আমি উল্লেখ করেছি – এটা হল বেসিক ব্লগীয় রীতি, নীতি এবং ভদ্রতা – কেননা এতে ভুল হলে আরেক ব্যক্তির নামে হয়ে যেতে পারে… তানভী… না লিখে কেউ যদি তানপীম্প… লেখে ফেলে তাহলে তো হলোনা… তাইনা ব্রো???
সো নেক্সট টাইম – সাং… না লিখে খেয়েলা করে সং… যেন লেখেন… খেয়াল কৈরা কিন্তু… রং, ঢং এর ছন্দে সং…
@তানভীরুল ইসলাম,
আপনার বোঝার আগে লেখক নিজেই বুঝে গিয়েছেন আমি কি নিয়ে বলেছি… লেখক নিজেই পড়েছেন তা। আমার মন্তব্য যার উদ্দেশ্য করা – তিনি যেহেতু বোঝেছেন তাই আমি আর এসব কষ্ট করে পেস্ট দেবার চেষ্টা করিনি। খেয়াল কৈরা কিন্তু… উপ্রে আছে কথোপকথন
১৮ বছরের নিচের দুজন ছেলেকে ধরে, প্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীদের মত তাদের জেলে প্রেরণ, জামিন না মঞ্জুর এবং তাদের শিক্ষাজীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়ার মত চরম অমানবিক কাজের বিরুদ্ধে যে ধরণের প্রতিক্রিয়া সবার মধ্যে আশা করেছিলাম, তা অবশ্যই দেখতে পাচ্ছিনা।
আসলেই বুঝতে পারছিনা, সবাই বেশ খানিকটা নির্লিপ্ত আর চুপচাপ কেন? কোন প্রতিবাদী কর্মসূচির উদ্যোগও চোখে পরলোনা কোথাও।
আসলে, আমরা যারা মুক্ত আর উদার চিন্তা-চেতনায় বিশ্বাসী এবং সেই আদর্শকে ধারন করে লেখালেখি করি, তারা কি বুঝতে পারছিনা এখনো যে এইসব ঘটনা কিসের ইঙ্গিত?
ভবিষ্যতে আমরা যে কেউ এই ন্যাক্কারজনক কালাকানুনের স্বীকার হতে পারি। তাই সবার প্রতি আমার একটাই আর্জি ও দাবি –“আপনারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই দুই ব্লগারের গ্রেফতার এবং এই ন্যাক্কারজনক ৫৭ ধারার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে প্রতিবাদী কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে নামুন।“
অনেকেই বলতে পারেন, মাঠে নেমে আর কি-ই বা হবে? আমি বলবো মাঠে না নামলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। র্যােব কতৃক অন্যায়ভাবে লিমনকে যখন সন্ত্রাসি হিসেবে চিহ্নিত করে পঙ্গু করে দেয়া হলো, তখন সুশীল সমাজ আর সাধারণ মানুষ এর বিরুদ্ধে চরমভাবে প্রতিবাদী হয়েছিল বলেই র্যােব লিমনের বিরুদ্ধে সুবিধা করতে পারে নাই। যদি প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে মানুষ রাজপথে না নামতো, তাহলে পঙ্গু লিমন এখনো জেলের ভিতরই পচে মরতো।
আমার আর্থিক আর জনবলের শক্তি এখন ঠিক সেই জায়গায় নেই যে আমি নিজ উদ্যোগে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কর্মসূচি নামিয়ে দেব। কিন্তু, অনলাইনে যারা মুক্তচিন্তার ব্লগার আর এক্টিভিস্ট আছেন, তারা এক হলে মিলিত শক্তির মাধ্যমে অনেক কিছুই করা সম্ভব।
এটলিস্ট মানব বন্ধন, র্যালী বা প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থানের মত কিছু জিনিসতো করা যায়ই।
ধর্মান্ধতা, উগ্রবাদিতা আর সরকারি প্রহসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদি হওয়ার এখনি সময়। সময় এখনই একটু সাহসী হওয়ার। এটা করতে ব্যর্থ হলে সামনে হয়তো আরও খারাপ সময় অপেক্ষা করছে; আমরা কেউই হয়তো ভবিষ্যতে নিরাপদ থাকবোনা। বাংলাদেশ পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের মত উগ্র মৌলবাদীদের দেশে পরিণত হওয়ার দিকে ধাবিত হবে।
@শেহজাদ আমান,
এই কালা কানুনের বিরুদ্ধে কয়েকবার রাজপথে নেমেছিলাম আমরা, এখানে দেখতে পারেন। মিডিয়া কভারেজ ভালো পেলেও সরকার খুব একটা কানে নেয় নি।
আমাদের আন্দোলনের সময়ের একটি প্ল্যাকার্ড খুব প্রাসাঙ্গিক মনে হলো, নিম্নে দিলাম।
[img]http://i59.tinypic.com/33eo7c6.jpg[/img]
@নিলয় নীল,
প্লে কার্ডে লেখা উচিত ছিল –
আমাদের দেশে –
খুন করা ফাঁসীর দন্ডপ্রাপ্ত ফৌজদারি মামলার আসামী
রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেয়ে পার পেয়ে যায়।
সেই তুলনায় গালাগালি করে কারো
অনুভূতিতে আঘাত করা
সামাজিক অপরাধ তো কিছুই না!
@নিলয় নীল, আন্দোলন একটা টেস্ট ম্যাচের মত! বেশ কয়েকবার করেই এটার পালা শেষ মনে করলে হবেনা। এই ব্যাপারে আরও নিত্যনতুন আন্দোলন অব্যহত রাখতে হবে। সমাজের প্রভাবশালি গোষ্ঠী ও সুশীল সমাজকে এটার সাথে যুক্ত করতে হবে।
এখানে একটা দুঃখের ব্যাপার এই যে, জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে ‘রুখে দাড়াও বাংলাদেশ’ নামে যেরকম সুশীলদের প্লাটফর্ম হয়েছে, তেমনি গনতান্ত্রিক অধিকার হরন ও মুক্তচিন্তার অধিকার কেড়ে নেয়ার বিরুদ্ধে সুশিল সমাজের ভিতর হতে সেরকম কোন আন্দোলনই দেখা যায় নাই।
যেন জামাত-শিবিরই একমাত্র সমস্যা আমাদের দেশে। আওয়ামী লীগও যে ক্ষেত্র বিশেষে জামাত-শিবিরের চেয়ে কম নয়, এই ব্যাপারটা তারা বুঝতে চায়না, বা বুঝেও বোঝেনা। তারা হয়ে পড়েছে একচোখা আর দলকানা।
@নিলয় নীল,
সরকার কানে এমনি এমনি তোলে না। অস্বাভাবিক পথে ক্ষমতায় থাকা সরকার চাইবেই তার নিজ স্বার্থে এমন যথেচ্ছ কালাকানুন বানাতে। সাধারন নাগরিকদের দায়িয়ত্ব থাকে তার প্রতিবাদ করার। গত বছর এই ৫৭ ধারা আলোচনায় আসার পর উচিত ছিল এর বিরুদ্ধে জোর প্রতিবাদ করার। হয়েছে আরো উলটো, সরকার বাহাদূর এই আইন আরো শক্ত করেছে , মৌলবাদী গোছের লোকজনের কথাই নেই, যারা মুক্তচিন্তার পথিক বলে পরিচিত, তারাও কি রিয়েল জগত কি ভার্চূয়াল জগত নীরবে এই শক্ত গেরো মেনে নিয়েছে। উলটো আরো কিছু আঁতেলুকচুয়াল ব্লগার এইসব আইন দীর্ঘদিন ধরে সমর্থন করে আসছে।
কি চমতকার আইন, আপনি কি থেকে কি মুখ ফসকে বলে ফেলবেন, অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে দাবী করে আপনার নামে ৫৭ ধারা যে কেউই ঠুকে দিতে পারে, তাতে পুলিশে ধরে নিয়ে যাবে, জামিনও মিলবে না। হীরক রাজার আইনও বরং আরো ভাল।
গুরুত্বপূর্ন ইস্যু কি সেটা বেশীরভাগ লোকে বুঝতে পারে কিনা সে নিয়ে আমার বহুদিনের সংশয় আছে। পাকিস্থান গালাগাল করায় যে পরিমান উতসাহ মুক্তচিন্তকদের দেখি তার কানাকাড়িও এমন ইস্যুতে দেখি না।
@আদিল ভাই, ৫৭ ধারার ভাল মন্দ কি জানি না তেমনটা। তবে এটা ব্যবহার করেই মনে হয় মাহমুদুর রহমান কেও সোজা করা হয়েছিল।
@অর্ফিউস,
আপনিও ৫৭ ধারার ভাল মন্দ নিয়ে সন্দিহান? ভাল।
মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে ঠিক কোন আইনী ধারা চলছে একটু বুঝিয়ে বলবেন? সে প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছ এবং আইনী? তদন্ত কোন পর্যায়ে আছে? আমার জানার আগ্রহ আছে। অভিযোগ কি, মামলা ঠিক কোন পর্যায়ে আছে এইসব। এই পথ ধরে সামনের দিনে মৌলবাদী সরকার ক্ষমতায় এলে আরো বহু জনে যখন ভুগবে তখন মৌলবাদীরাও একই সুরে বলবে অমূককে শায়েস্তা করতে এই আইন দরকার আছে।
মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করার বিরুদ্ধে আরো আগ থেকেই নানান ধারা আছে, প্রেস এক্ট আছে।
বাস্তবে বাংলাদেশের সরকার সরকার কাউকে ফাটকে পুরে রাখতে চাইলে বহু উপায় আছে। ৫৭ ধারা লাগে না। ৫৪ ধারাই যথেষ্ট।
@আদিল ভাই,
সন্দিহান সেটাতো বলিনি। অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছি।
এক্স্যাক্টলি, এজন্যেই তো বললাম যে আসলে কয়টা ধারা তুলে দেয়া দরকার! ভাল মন্দ বিচার করতে গেলে অনেক কিছুরই বিলোপ করতে হবে, তবে মনে হয় না সেটা কেউই করতে চাইবে। আপনি নিজেই বললেন যে ৫৭ ধারা লাগে না ৫৪ ধারাই যথেষ্ট; সেক্ষেত্রে ৫৭ ধারা কেন ৫৪ ধারা সহ আরো অনেক কিছু নিয়েই আলোচনা করা দরকার যেহেতু সব কিছুইকেই ব্যবহার করে ফাটকে পুরতে পারে বাংলাদেশ সরকার!!
আসলে সরকার ইচ্ছে করলে অনেক কিছুই করতে পারে, কাজেই আইনের ধারার ভালমন্দ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভোগা নিশ্চয়ই খুব অস্বাভাবিক না, কি বলেন?
যেটা দরকার সেটা হল সহনশীলতা যেটা কিনা বাংলাদেশের প্রায় সব পদের মানুষের মধ্যে মোটামুটি অনুপস্থিত, সেখানে ধারা দিয়ে কি হবে? আইনের অনেক অনেক ধারা আছে যেগুলোকে নিজের মত করে ব্যবহার করা সম্ভব। পরিবর্তন দরকার আসলে মানসিকতার আমি কিন্তু শুরু থেকেই এটাই অনে করি!
মধ্যবিত্ত বাঙ্গালীর সবচেয়ে আদরের মন্তব্য “এ দেশের কিশ্যু হবে না” ক্রমান্বয়ে সত্য হইবার পথে ধাবিত হচ্ছে। দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী হওয়া আজ আমাদের দেশে অতিকল্পনার চেয়ে কম কিছু হয়ে যাচ্ছে না। এখন শুধু “দেখি কি করে!”
@আহসান জামান,
আশাবাদের বিকল্প আর কিছু পাচ্ছি না বলেই বোধহয় আশাবাদী।
পৃথিবীর সব দেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন আমার বাংলাদেশ সেই মধ্যযুগীয় বর্বরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
@সত্য সন্ধানী,
উর্বর মস্তিষ্কে বর্বরতাই ভবিতব্য।
রাহী বা উল্লাসের ঠিকানা মুছে দেয়ার মত একদিন মুছে দিতে সিথির সিঁদুর, হাতের শাখা, গলার পৈতে বা নামের শেষে লাগানো বাহারী পদবী। এসবই অতি সাধারণ বিষয়। ফারাবীর মত লোকদেরকে আমি বা আপনি যতই সিরিয়াসলি নেই না কেন তাতে করে খুব বেশি লাভ হবে না। আমাদের যুক্তি তর্কের উপস্থাপন ব্লগ, বা বড়জোড় সমমনা মানুষদের মাঝেই বিস্তার লাভ করবে। আমরা ঘৃনা প্রকাশ করবো, যুক্তি উপস্থাপন করবো। কিন্তু ফারাবীরা রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় ধর্মের ধ্বজাধারী হিসেবে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াবে আপনার আমাার নাকের ডগায়।
@অর্ক রায় চৌধুরী,
আমি খুব অবাক হই ফারাবির শক্তি দেখে যে একসময় ছিল আমার কাছেও বিনোদনের উৎস। মৃত্যুর হুমকি দেবার জন্য ফারাবির নামে ৫৭ ধারায় মামলা হয় না কেন? :-Y
@ লেখক,খবরের সুত্র দিলে অনেকের বুঝতে সুবিধা হত। সুত্র কোথাও খুজে পেলাম না। সুত্র ছাড়া এমন একটা খবর একটু ধাঁধার সৃষ্টি করে বৈকি।
৫০/৬০ জনের গন ধোলাই খেয়েও যে ছেলেদুটি বেঁচে আছে এতে ভাল লাগছে, তবে বিস্মিতও হচ্ছি যে দুজন মানুষের পক্ষে আদৌ এত লোকের গন ধোলাই খেয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব কিনা।
যাইহোক তাঁরা অন্তত কোন না কন হাসপাতালে ভর্তি আছেন নিশ্চয়ই। লেখকের কাছে অনুরোধ রইল পাঠকদের সেটা জানানোর জন্য। ধন্যবাদ।
@অর্ফিউস,
আমার প্রাপ্ত তথ্য গুলো দেয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র, লেখার ক্ষেত্রে ঘটনাকে প্রধান্য দিয়েছি। আর স্বল্প সময়ে লেখার জন্য লেখার বানান বা কাঠামোগত অনেক ভুল অস্বীকার করছি না। আশা করি আমার লেখার কাঠামোর থেকে ঘটনার উপর গুরুত্ব প্রদান করবেন।
ফেসবুকের এই পোস্টটির মন্তব্যগুলো পড়ুন:
লিংক
রাহী ও উল্লাসকে যারা মেরেছে, ওরা নির্লজ্জভাবে তা প্রকাশ্যে স্বীকার করছে এবং পুনরায় এই কাজ আবার করার কথা বলছে।
আমি ভিক্টিমদের পরিবারের সাথে কথা বলেছি; ওরা কোন এগ্রেসিভ লিগ্যাল একশানে যেতে চাইছে না।
ভিক্টিমদের পরিবার যেভাবেই হোক এই মামলাগুলো নিষ্পত্তি করতে চাইছে ।
দু:খজনক!
এছাড়া, কালপ্রিটদের অনেকেই চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাথে জড়িত ছিল/ আছে।
চারপাশ থেকে এই রিকুয়েস্ট করে ফোন আসছে, ছেলেগুলো ছোট, তাই না বুঝে এই কাজ করেছে, ওদের বিরুদ্ধে কোন একশ্যান যেন নেয়া না হয়।
অবাক হবেন, কালপ্রিটরা সবাই মাইনর।
শেষ কয়েক বছর ধরে এই কথা খুব বলা হচ্ছে, লীগের ভেতর জামাত-শিবিরের এজেন্ট ঢুকে পড়েছে।
সেই কথাকে সত্য বলে প্রমাণিত করলো চট্টগ্রাম কলেজে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা।
চট্টগ্রাম কলেজ শিবির নিয়ন্ত্রিত কলেজগুলোর মধ্যে অন্যতম।
এই কলেজে ছাত্রলীগ বলে পরিচয় দেয়া কিছু ছাত্র যখন শিবিরের মত কাজ করে, তখন বুঝা যায়, এরা কোন প্রজাতির লীগ।
লীগের নামকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করে শিবিরের পার্সাস সার্ভ করায় হচ্ছে এদের মূল উদ্দেশ্য।
লীগের নেতা-কর্মীদের এই বিষয়ে সচেতন থাকাটা জরুরি।
এ এক আজব দেশে বাস করছি ভাই।
মানুষ মারলে, মানুষকে হত্যার হুমকি দিলে, রাষ্ট্রকে লুটপাট করলে, সংখ্যালঘু নিপীড়ন করলে, দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে এই দেশে জেলে যেতে হয় না কিন্তু সমালোচনামূলক লেখালেখির জন্য এই দেশে জেলে যেতে হয়।
শেষ আপডেট হলো:
ভিক্টিমদের ফ্যামিলি কোন লিগ্যাল একশানে যাবে না।
ভিক্টিমরা জেলে বসে তাদের এইচএসসি পরীক্ষা দেবে।
আরেকটি কথা না বললেই নয়; আজকের পর থেকে যদি ঐ পরিবারের কিছু হয় স্পষ্টতই সেসবের জন্য দায়ী থাকবেন যারা এসব ঐ পরিবারের তথ্য প্রকাশ করেছেন এবং নির্ঝর মজুমদার যিনি সরবরাহ করেছেন।
নির্ঝর মজুমদারকে বলছি-
আন্দোলন ছেড়ে যে পালিয়ে যায়, সে কাপুরুষ-নর্দমার কীট; তুমিও তাই। আন্দোলনের স্পর্শকাতর মুহুর্তে আমেরিকায় পালিয়ে গিয়েছিলে, ওখানেই থাকতে। দেশটা একজন ভন্ডমুক্ত হতো।
দয়া করে এই পরিবার দুটোর কোন ক্ষতি করো না। তোমার মত পাবলিসিটির লোভ এদের নেই। লেট দেম লিভ, প্লিজ।
@সাব্বির হোসাইন,
ঐ পরিবারের তথ্য মুছে দেয়া হলো।
@সাব্বির হোসাইন,
আসলেই দুঃখজনক।
কিন্তু, সরকার তো পারে অপরাধীদের বিরুদ্ধে অয়াকশনে যেতে।
এই সরকার না মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার! 😀 😀 😀
কিছু কিছু ব্লগ লেখকদের মত এই লেখাতেও কেবল সুবিধাজনক প্রিন্ট স্ক্রিন গুলো দেওয়া হয়েছে! মুক্তমনে এই লেখাটি লিখলে সবগুলো প্রিন্ট স্ক্রিনই দেওয়া হত। আর, যেটা দেওয়া হয়েছে ওটা পরলে মনে হয় দুই-তিন অর্বাচীনের কথোপকথন…
বাক স্বাধীনতার অর্থ এই নয় যে যা খুশি তা বলা!
@সংবাদিকা,
এই লিমিটটা কে ঠিক করে দিবে? আপনার কাছে যেটা “যা খুশি তা বলা” সেটাই অন্যজনের কাছে “যথার্থ” বলে বিবেচিত হবে। এটা ব্যক্তির উপর নির্ভর করে। আর যেখানে ইসলাম নিয়ে সমালোচনাই নিষেধ সেখানে “বাক স্বাধীনতার অর্থ এই নয় যে যা খুশি তা বলা” পুরোই অপ্রসঙ্গিক!
@সুষুপ্ত পাঠক,
এটাই – ব্যাল্যান্স।
@সুষুপ্ত পাঠক,
ভাই, আপনাদের দুজনের কথায় একটু নাক গলাব ( ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আগেই)।
কেউ যদি এই ব্লগে “যথার্থ” মনে করে ক্রমাগত চ বর্গীয় গালিগালাজ করে আপনি কি সেটা সমর্থন করবেন?খুব সহজ একটা উদাহরন; জটিলের মধ্যে যাবার ইচ্ছা নেই আপাতত।
আপনার মুল্যবান মতামত জানার অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ।
একটু আগে একটা খবর পড়লাম; শিরোনাম ছিল Saudi Arabia declares all atheists are terrorists :O
বিস্তারিত পড়তে এখানে চলে যান।
খবরটি পড়ে তেমন অবাক হলাম না।
মশারী যদি সুঁইকে তার পেছনে একটা ফুঁটা থাকার অপরাধে দোষী বলে ভৎসনা করে তবে মূর্খের সাথে কথা বলে লাভ কি ??? যে কিনা নিজেও কোনদিন গুনে শেষ করতে পারবে না তার নিজের গায়ে কতগুল ফুঁটা তার কি শোভা পায় সুঁইয়ের পিছে একটি ফুঁটা বলে তাকে দোষী বলার???
প্রসঙ্গিক একটি কার্টুন মনে এলঃ
সকল ক্ষারক ক্ষার নহে, তবে তবে সকল ক্ষারই ক্ষারক।
সকল নবী রসুল নহে, তবে সকল রসুলই নবী।
একইভাবে…
[img]http://2.bp.blogspot.com/-ZSSA-3F7QHs/UzjxjyGbWYI/AAAAAAAAT-4/buoMp8hlsfI/s1600/liXxn0Uaj_I.jpg[/img]
মামলার কাগজগুলো আমি সচলায়তনে আমার লেখায় প্রকাশ করেছিলাম। পরে ইস্টিশনের লেখাটি পড়ে নিরাপত্তাজনিত কারণে বাবা-মা’র নাম আর বাড়ির ঠিকানা মুছে আবার আপলোড করেছি। আপনিও সেটি করতে পারেন। সময় বাঁচানোর জন্য চাইলে আমার ছবিগুলোই ব্যবহার করতে পারেন।
@শেহাব,
ধন্যবাদ আপনাকে, আমি সচলায়তনে গিয়ে আপনার ছবি নিয়েই ব্যবহার করেছি।
আমি বুঝি না
এই সময়ে এই যুগেও যদি
এমন ব্রেন ওয়াশ চলতেই থাকে
তাইলে তো দেশ আরও একটা পাকিস্তান
হয়ে যাবে
গঠনমূলক সমালোচনা সহ্য করার
বা যুক্তি দিয়ে লড়াইয়ের ক্ষমতা না থাকে
তাইলে সেই অন্ধ বিশ্বাসের কি মানে
কই কোন জায়গায় তো লেখা নাই এইরকম
কিসের বিশ্বাস তাইলে
কিসের ফালতু ওনুভুতি আর তা নিয়ে লাফালাফি
দেশটারে মেধাশুন্য তালেবানী রাষ্ট্র করার
জন্যে কতিপয় এই সব মানুষের
কাছে যদি প্রতিনিয়ত হারতে হয়
তাইলে কিসের দেশ কিসের স্বাধীনতা
আর দিন গেলে পত্র পত্রিকায় দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে
@সৃজন বিশ্বাস,
আসলেই অনেক বেশী হতাশ হয়ে পড়ছি, বিশেষ করে যখন এই ধরণের ঘটনা দেখছি।
– অবশ্যই করার আছে। খামোখা আর নিরীহ ছেলেপিলের জীবন যাতে নষ্ট না হয় সেটা নিশ্চিত করতে সংবিধান থেকে বাক স্বাধীনতার ধারাটি তুলে দেবার দাবী জানানো। দেশের মানূষের ধর্মানুভূতি (ষ্পষ্ট করে বললে ইসলামানুভূতি) এত প্রবল যে তার সাথে ব্লগে ব্লগে কিছু লেখালেখি করে তেমন কিছু করার নেই। শুভ তার লেখায় বলেছে যে টক শোতে বহু কিছু আলোচিত সমালোচিত হলেও ৫৭ ধারার সমালোচনার নামটিও কেউ করেন না। সেক্যুলার বলে যারা পরিচিত ছিলেন এককালে তারাও বলতে গেলে এখন ধার্মিক সেক্যুলার, নাস্তিক গাল শুনলে তারাও আতংকে শিউরে উঠেন। তারা বংগবন্ধুর প্রবল ভক্ত কিন্তু ৭২ সালের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের কথা মুখে আনেন না, কোরান সম্বল করে হফাজত জামাত মোকাবিলা করেন। তারা পাকিস্তানী পতাকা দেখলে বাপ মা চৌদ্দ পুরুষ গাল দেন, কিন্তু ইসলামী ভ্রার্তৃত্ববোধের কথা শুনলে বেজায় খেপে ওঠেন, উগ্র নাস্তিক গাল দেন, জামাতের সাথে তূলনা করেন। এহেন ভন্ডামি ভড়ং এর চাইতে বরং সব গোল্লায় যাওয়া ভাল।
সংবিধানে যতদিন বাক স্বাধীনতার ধারা থাকবে ততদিন লোকে বিভ্রান্ত হবে, ফাঁদে পা দিয়ে কি থেকে কি বলে দেবে আর মামলা হামলায় পড়ে জীবন নষ্ট হবে। তার চাইতে সমাজ যে মূল্যবোধ ধারন করে সেটাই মেনে নেন। সরকারকে বেশী গাল দিয়ে লাভ নেই। তারাও পরিস্থিতি বোঝে, মদীনা সনদ তো এমনি এমনি আঁকড়াতে চায় না। পাকিস্তান হতে এমনিতেই খুব বেশী্ দেরী নেই। সব গোল্লায় একেবারেই চলে গেলে হয়ত ভবিষ্যতে কোনদিন বোধদয় হয় এটাই আশা।
@আদিল ভাই,
আপনি কেন জানি একটু বেশি হতাশ হয়ে গেছেন। এত হতাশার কারন কি আসলেই ঘটেছে? ধর্মানুভুতি নামের যে বায়বীয় পদার্থ সেটার পুরো বিরোধিতা করেই বলছি যে, ধর্মের গঠনমুলক সমালোচনা কিন্তু আপনিও করে থাকেন, কিন্তু সেটা মনে হয় না খুব বেশি মানুষের মধ্যে প্রবল জ্বালা সৃষ্টি করে। আমি যে চুনোপুটি মানুষ সেও কিন্তু ধর্মের ভুলগুলি নিয়ে বা ধর্মাচারের নানা উদ্ভট দিক গুলো নিয়ে বেশ ভালই মস্করা করে থাকি, এমন আরো অনেকেই আছে।
কিন্তু ঠাট্টা মস্করা অথবা গঠনমুলক সমালোচনা আর চরিত্র হননের মধ্যে অনেকখানি ফারাক আছে, সেটা আপনাকে বুঝিয়ে বলার দরকার নেই। অবশ্য যারা একটি ধর্মের বা ধর্মটির প্রচারকের চরিত্র হনন করেও থাকেন তাদের কোনরকম হয়রানী করার চরম বিরোধিতা করেও শুধু এটুকুই বলতে চাই যে, ধর্মপুরুষদেরকে লুচ্চা,লম্পট, জোচ্চর, ডাকাত, পেডোফাইল এইসব খুব আপত্তিকর উপনামে অভিহিত না করেও কিন্তু তাদেরকে ধুয়ে দেয়া যায় খুব ভাল ভাবেই।
আসলে এইসব উপনামে অভিহিত করাকে ধর্মের সমালোচনা না বলে ধর্মের বিরুদ্ধে ( ক্ষেত্রবিশেষে ধর্মের অনুসারীদের বিরুদ্ধে) বিজাতীয় আক্রোশ বললেও ভুল বলা হবে না, আর এই বিজাতীয় আক্রোশ পোষণ করাটা কি আদৌ বাকস্বাধীনতার মধ্যে ফেলা উচিত? বাক স্বাধীনতা মানে নিশ্চয়ই কারো চরিত্র হনন নয়।
এখানে পশ্চিমের সহনশীলতার উদাহরন টেনে আনাটা বাস্তবসম্মত হবে না কারন পশ্চিমের মত সহনশীলতা আমাদের দেশে এখনি আশা করাটা উচিত না। তাছাড়াও পশ্চিম কিন্তু একদিনে সহনশীল হয় নি। দীর্ঘ একটা সময় পাড়ি দিয়েই কিন্তু তাদের মধ্যে সহনশীলতা এসেছে।
আমাদের মনে হয় সেই সময়টা আসতে আরো খানিকটা দেরী আছে। হয়ত অনেক দেরি আছে, অনেক সময় পাড়ি দিতে হতে পারে।
সেখানে সব একেবারেই গোল্লায় চলে গেলে ভবিষ্যতে কোনদিন বোধদয় হতে পারে এমন আশা করার ভিত্তিটা কি? আফগানিস্তান যেমন গোল্লায় গেছিল, এখন তালেবান সরে যাবার পরেও আফগানিস্তানের কতটা পরিবর্তন এসেছে? তুরস্ককে তো কামাল প্রায় জোর করেই সেক্যুলার বানিয়েছিলেন, কি লাভ হয়েছে? আস্তে আস্তে কিন্তু তুরস্ক ঠিকই বিপরীত দিকেই ধাবিত হচ্ছে। ইরানে ইসলামী বিপ্লবের কারন হিসাবে কি শাহের কোন দায়দায়িত্বই নেই?
এটা কি শুধুই ধর্মীয় উন্মাদনার কারনে, নাকি ধর্মকে ডান্ডা পেটা করাও একটা কারন? মানুষের স্পর্শকাতর অংশে আঘাত দিয়ে মানুষকে সোজা পথে আনা যায় না,বরং এতে মানুষের বিগড়ে যাবার চান্স আরো বেশি প্রবল হয়, এটা নিশ্চয়ই আপনি অস্বীকার করবেন না! ট্রয় সিনেমা দেখেছেন না? সেখানে কিন্তু ওডিসিউস একিলিসকে বলেছিল, “Some times you need to serve in order to lead!”
সেখানে ধর্মকে ক্রমাগত ডান্ডা পেটা করার চেয়ে একটু সহজভাবে এর মোকাবেলা করা যায় না?
@অর্ফিউস ভাই,
ডান্ডা-পেটা না করেও যুক্তি দিয়ে অবশ্যই ধর্মীয় গোড়ামী মোকাবেলা করা যায় | কিন্তু যারা ধর্মকে ক্রমাগত ডান্ডা-পেটা করে তারা মুসলিমদের গোড়া দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য ক্রমাগত ইসলামকে ডান্ডা মারে না; এদের উদ্দেশ্য হল ইসলামকে ব্যাশিং করে বিকৃত মজা লুটা !!
এই ধরনের মজা লুটতে গিয়ে যে তারা সেক্যুলারিজম কিংবা মুক্তবুদ্ধির চর্চার ক্ষেত্রে কি পরিমান ক্ষতি করছে তা তারা হয়ত বুঝতেই পারছে না ! :X
ঐ ইসলাম ব্যাশারগুলোর কারণেই জামাত-শিবির ধর্মপ্রান মানুষের ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে তাদের দলীয় স্বার্থসিদ্ধির কাজে লাগাচ্ছে এবং তাদের বিরুদ্ধে লেখালেখি করা মানুষগুলোর আক্রমন করছে !!
@তারিক ভাই,
খুব সুন্দর বলেছেন। আমি যেটা রাখঢাক করে বলেছি, আপনি সেটা সরাসরি বলেছেন। (Y)
@তারিক,
সহমত।
পাকিস্তান জিন্দাবাদ! 😛
@বিপ্লব রহমান,
মদিনা সনদ তার ই প্রমাণ। :-Y
কার গ্রেফতার হওয়ার কথা আর কারা গ্রেফতার হলো। রায়হান রাহী আর উল্লাসের মতো ছেলেদের এমন অবস্থায় পড়তে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়ছি। আমার ছোট ভাইয়েরও তিন তারিখ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা, এই মেধাবী ছেলেদেরও তাই। অথচ আজ তারা জেল হাজতে। মাননীয় সরকারের কাছে অনুরোধ, নিজেদের জামায়াত বানানো থামান, দেশের সূর্য সন্তানদের চিনতে শিখুন, মর্যাদা দিতে শিখুন।
@রায়হান আবীর,
তাদের পরীক্ষা দেয়া আর হচ্ছে না, এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। সব কিছুই পরিকল্পিত ছিলো।
@নিলয় নীল, কারাগার থেকে এরা পরীক্ষা দিচ্ছে বলেই একটা খবর পড়লাম।
গলায় তরবারি ঠেকিয়ে “বল ইসলাম শান্তির ধর্ম” সত্যটির আধুনিক রূপ বাংলাদেশের এই ৫৭ ধারা।
সেই হাজার বছর আগে থেকেই মানুষ এই সংস্কৃতি দেখে আসছে; কিন্তু এই আধুনিক কালে এসেও যে সেটা দেখতে হবে কে জানতো???
৫৭ ধারার সাথে সাথে ধর্মানুনুভুতির ছাইপাসের বিলুপ্তির প্রচেষ্টা করতে হবে আমাদেরই।
আমাদের নিজেদের স্বার্থেই ৫৭ ধারার মতন আজগুবি ধারার বিলুপ্তি জরুরী।
যত দিন যাবে এটা কেবল অসাধু মানুষের হাতিয়ার রূপেই ফুলে ফেঁপে প্রকাশ পাবে; সাধারন মানুষের কোন কাজে আসবে না।
সুব্রত শুভর সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই; “টক শোগুলোতে হাজারো জিনিস নিয়ে প্যাচাল মারলেও এই আইন সর্ম্পকে সবাই কেমন যেন নীরব। এই আইন যে উদ্দেশ্যে করা হোক না কেন এই আইনের মাধ্যমে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হবে সাধারণ জনগণ। আর কোন কিছু ভাবতে পারছি না, আর কোন কিছু বুঝতে চাই না। শুধু জেলের ভেতরে ছেলেগুলো কেমন আছে তাই ভাবছি। ‘ছেলেগুলোর মুক্তি চাই’ এই কথাটি ছাড়া আর কিছুই বলার নেই।”
@এম এস নিলয়,
‘ছেলেগুলোর মুক্তি চাই’ এই কথাটি ছাড়া আর কিছুই বলার নেই।”
Canons of professional conduct and etiquette নামক বিধিটি আইনজীবীদের জন্য বাধ্যতামূলক একটি পাঠ এবং নিয়ম। কিন্তু চট্টগ্রামের আইনজীবী কেন মামলা লড়বেন না এটি পোষ্টে স্পষ্ট। আমি জানি ১৯৩৯ সালে ভারতে Rangila Rasul নামে একটি প্রকাশনা ছিল এবং সেটি আদালতেই নিস্পত্তি হয়; লেখক দায়মুক্তি পায়। আশা করি উচ্চাদালতে কেউ আবেদন করলে সুরাহা হবে। কিন্তু তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা ফারাবী এড়িয়ে যেতে পারেনা এবং দন্ডবিধি ১৯৬০ অনুযায়ী শ্রেণী সংগ্রামের উস্কানীর দায় বর্তায়। কিন্তু কাজীর গরু কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই। আফসোস!!!!!!!!
@দৃষ্টি,
উল্লাস ও রাহীর মুক্তি চাই, ৫৭ ধারার বিলোপ চাই।
ফ্লেক্সি ফারাবী বলে ফারাবীকে নিয়ে ঠাট্টা-তামশা করা, ফারাবীকে হাল্কা ভাবে নেবার সুযোগ আর নেই, কারণ ফারাবী গড়পড়তা বাঙালী মুসলমানের প্রতিনিধি, ফারাবী তাদের মেধা ও মনন, জ্ঞান ও যুক্তি ধারণ করে। ফারাবী অন-লাইনে একটার পর একটা খুনের হুমকি দিয়ে গেছে, এক/দুইটা তার মধ্য থেকে বাস্তবায়নের চেষ্টাও হয়েছে। ফারাবীর কিচ্ছুটি হয় নাই। ফারাবী অভিদা’র বই তুলে নিতে বলেছে, বাংলা অন-লাইন জগত প্রতিবাদে ফেটে পড়লেও রকমারি ঠিকই ফারাবীর দাবী মেনে নিয়েছে। আর সর্বশেষ ফারাবীর স্ট্যাটাসে মন্তব্যের সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয়েছে চট্টগ্রাম কলেজের দুই মেধাবী ছাত্রকে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ফারাবী বা ফারাবীরাই নিয়ন্ত্রণ করে এদেশের সরকার, আইন-আদালত, পুলিশ-মিলিটারি ইত্যাদি সব। জয়তু ফারাবী হুজুর!
@ফারহানা আহমেদ,
এক সময়ের ছাগু সম্রাট ফারাবি অনেক মুক্তমনার কাছেই বিনোদনের উৎস। তবে ওকে নিয়ে এখন সিরিয়াসলি ভাবা উচিৎ।
অদ্ভুত এই দেশ…
মানুষ মারলে, মানুষকে হত্যার হুমকি দিলে, রাষ্ট্রকে লুটপাট করলে, সংখ্যালঘু নিপীড়ন করলে, দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করলে এই দেশে জেলে যেতে হয় না কিন্তু সমালোচনামূলক লেখালেখির জন্য এই দেশে জেলে যেতে হয়।
দেশটা নষ্ট, ভ্রষ্টদের অধিকারে চলে গেছে…
@সাব্বির হোসাইন,
কিছুই বলার নাই, শুধু ওদের মুক্তি চাই।
@নিলয় নীল,
রাহী আর উল্লাসের ঠিকানাটা মুছে দিয়ে পুনরায় আপলোড করুন।
আমাদের দেশটা নিরাপদ নয়।
ওদের পরিবারের ক্ষতি হতে পারে।
তাই, ওদের ঠিকানাটি মুছে দিন।
@সাব্বির হোসাইন,
আপনার পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। ঠিকানাটা মুছে দেয়া হলো।
এখন সকল নাস্তিকদের উচিত আস্তিকদের বিরুদ্ধে মামলা করা এই মর্মে যে- নাস্তিক ধর্মানুভুতি তে আঘাত করেছে অমুক ও তমুক। ফাইজলামি আইন নিয়ে ফাইজলামি শুরু করলেই সরকারের টনক নড়বে। বাচ্চা ছেলে দুটোর জন্য খারাপ লাগছে।
@আম্মানসুরা,
ফাইজলামির এই আইন আওয়ামীলীগের ক্ষমতা ছাড়ার পরে আওয়ামীলীগের জন্যও ভয়ংকর হয়ে দেখা দিতে পারে।
এই সেই রায়হান রাহী যে জাফল ইকবার স্যারের নামে কুত্সাপেইজ খুলেছিলো?
@তাতার বাহিনী,
আপনি আবার এই খবর কৈ পেলেন ভাই? :-O
আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না, না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
@তাতার বাহিনী, জাফর ইকবালের নামে কুৎসাপেইজ! রাহী? :hahahee: :hahahee: :hahahee: