(1)
ক্রিকেট রক্তে ঢোকা, ড্রাগের নেশা। সেই ১৯৮৩ সালে লর্ডসে কপিলদেব বিশ্বকাপ তুল্লেন-ব্যাস, ভারতে তরুন রক্তে উঠল ক্রিকেট ঝড়। আমার বয়স তখন দশ। অলিগলিতে অত ক্রিকেট তখন কেও খেলে না। অলিম্পিকে মাঝে সাঝে হকিতে মেডেল পায় ভারত। ফুটবলে এশিয়াতে পাত্তা পায় না। ঠিক এমন একটা অদ্ভুত অবস্থা যেখানে খেলা নিয়ে গর্ব করার কিছু নেই অপ্রত্যাশিত ভাবে ভারত বিশ্বজয়ী!
তবে সেই ১৯৮৩ সালে টিভি সবার বাড়িতে আসে নি। এর পরেই শুরু ভারতেঐতিহাসিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। দূরদর্শনের রিলে স্টেশন ঢুকবে ঢুকবে করছে। কিন্ত খেলা দেখার উপায় নেই । টিভি থাকলেও রিলে স্টেশন না থাকলে খেলা দেখা যেত না। রেডিও সার। প্রথম একদিনের ম্যাচে শ্রীনগরে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারত দশ উইকেটে গোহারা হারল। গাভাসকর কঃ দুজো বো মার্শাল ০।
ইডেনে পরেছিল তৃতীয় টেস্ট ম্যাচ। প্রথমদিন দেখতে গেছিলাম। বাউন্ডারি লাইন থেকে মার্শাল দৌড় শুরু করলেন, পাঁচটা স্লিপ।
এবং আবার গাভাসকর ক দুজো বো মার্শাল ০।
যদ্দুর মনে আছে চাপানের বিরতির আগেই ভারত শেষ। কত করেছিল মনে নেই। তবে ভারত ইনিংস এ হেরেছিল। ৬ টা টেস্টের মধ্যে দুটোতে ইনিংসে হার, বাকীটাতে ইনিংসে হার বাঁচিয়েছিল কোনক্রমে। সেই হচ্ছে আমার প্র্রথম চাক্ষুশ ক্রিকেট দেখা। মার্শাল হোল্ডিং গার্নার রবার্টস একসাথে মুর্গী চেবাতো ভারতের ব্যাটিংকে। হোল্ডিং এবং গার্নার এত বড় মাপের বোলার ছিলেন, দুদিকে সুইং করাতেন নব্বই মাইলে। আমার মনে হয় না তেন্ডুলকার, দাদা আর দ্রাভিড় সমৃদ্ধ ভারতীয় ব্যাটিং কোনকালে ক্লাইভের সেই ভয়ংকর পেস ব্যাটারিকে খেলতে সমর্থ হত।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাতে একদিনের ম্যাচে ৭-০ তে হারার পর প্রমানিত হয়, ভারতের লর্ডস জয় ছিল ফ্লুক!
(2)
কিন্ত তাতে কি। সেই ৩ মাসের ওয়েস্ট ইন্ডিজ টুরের সাথে সাথে আরেকটি নীরব বিপ্লব ঘটে। রাজীব গান্ধী ক্ষমতায় এলেন। সাথে সাথে নিয়ে এলেন স্যাম পিদ্রোদা বলে এক আমেরিকা প্রবাসী দেশী প্রযুক্তিবিদ-যিনি ভারতে মিডিয়া এবং টেলিকম বিপ্লব শুরু করেন। প্রথমেই সর্বত্র টিভি রিলে স্টেশন বসানোর কাজ শুরু হয়। ফলে ১৯৮৫ সালের মধ্যে ভারতের গ্রামেও পৌছে গেল রঙীন টিভি।
এটাই ছিল সেই মিডিয়া বিপ্লব, যা আজকের ক্রিকেটের পতনের জন্য দায়ী। ১৯৮৫ সালে তখন সব মধ্যবিত্ত বাড়িতে টিভি কেনার ধুম। অস্ট্রেলিয়াতে ৭ দেশীয় বেনসন হেজেস কাপ হচ্ছে। প্রথম ডে নাইট খেলা। ক্রিকেটারদের রঙীন ড্রেস। ভারত এখানেও জিতল। একটিও ম্যাচ না হেরে। ফাইনাল পাকিস্তানের সাথে। এই ম্যাচটা সম্ভবত ভারতের ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ম্যাচ, যেটা ভারতের সবাই সর্বত্র দেখল। তখনো সবার বাড়িতে টিভি আসে নি। গ্রামে ২০ ট বাড়ি প্রতি একটা টিভি। ফাইনালের দিন টিভিটাকে সব বাড়িতে বারান্দাতে আনতে হয়। ভারত পাকিস্তানের ফাইনাল। গ্রামের দিকেও প্রতিটা টিভিতে ৫০-৬০ জন দেখছে। মা, মাসী, কাকা, দাদু-যারা জীবনে কোনদিন ক্রিকেট দেখে নি, তাদের জীবনেও সেদিন ঢুকে গেল ক্রিকেট। শিবরামকৃষ্ণান নামে এক তরুন লেগস্পিনারের ভেলকিতে পাকিস্তান ১৭১ এ কাত! তাতে কি! ওদিকেও আছে ইমরান খান। তখনো আক্রাম আসেন নি। কাদিরের সাথে ইমরানের ঝামেলা চলাতে, কাদির বাদ! ফলে অনায়াসেই মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে ভারত জিতে যায়।
এখান থেকেই শুরু ভারতের ক্রিকেট বিস্ফোরনের আর ভারতীয় বোর্ডের রমরমার। এর আগে পর্যন্ত ভারতীয় বোর্ড ছিল বেশ গরীব। কিন্ত যেই জেনেগেল এমন খেলা, যা এখন সব ভারতীয়রা দেখছে, মাত্র এক দশকে ভারতীয় বোর্ডের ইনকাম বাড়ে ২৫ গুন। কারন টিভি সত্ত্ব। হিসাব সোজা। একটা বলিউড ফিল্ম মেরেকেট এক কোটি ভারতীয় দেখে যদি খুব হিট হয়। আর ভারত পাকিস্তানের ফাইনাল? সাত ঘন্টা ধরে দেখবে অন্তত ত্রিশ কোটি ভারতীয়। ভারতী মার্কেটে প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর থেকে বড় সুযোগ আর কি আছে?
ফলে ঘটনা হল এই-১৯৮৩ সালে যে বোর্ডের ইনকাম ছিল দশকোটি টাকাও না ( তখনকার মূল্যে ১০ মিলিয়ান ডলার। উপায় হত শুধু টিকিট বেচে ) , আজ সেই বোর্ডের বাৎসরিক আয় ৫৩০০ কোটি টাকা। কেও কেও বলেন ১২০০ মিলিয়ান ডলার। ত্রিশ বছরে ডলার টার্মে ইনকাম বেড়েছে ১২০ গুন। ডলার টার্মে ইনফ্লেশন এডজাস্ট করলে, দাঁড়াচ্ছে ৫০ গুন বৃদ্ধি গত ত্রিশ বছরে। তুলনামূলক ভাবে ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়া বোর্ডের বৃদ্ধি নেহাৎ অকিঞ্ছিৎকর। শুধু তাই না। আই সিসির অর্থের অধিকাংশ জোগান আসে ভারতের টিবি সত্ত্ব থেকে। পাকিস্তানের অবস্থা এতটাই খারাপ, তাদের বোর্ডের ৮০% টাকা আসতে ভারতের সাথে খেলাগুলির টিভি সত্ত্ব থেকে।
(3)
মুশকিলের সূত্রপাত এখানেই। একটা দৈত্যেকে যদি ক্রমাগত খেতে দেওয়া হতে থাকে, তার চাহিদা বাড়বেই। এইভাবে ভালোই চলছিল ভারতীয় বোর্ডের। তারাও আই সি সিতে গুন্ডাগর্দি করতে যায় নি। কারন ভাল খেতে পড়তে পেলে, কে আর ঝামেলা করতে চাইবে?
সবদিন ত আর সমান যায় না! ভারতের অর্থনীতিতে টান ধরতেই বোর্ডের লোকেদের টনক নড়ল এই অর্জিত ক্ষমতা দিয়ে, কলকাঠি নড়িয়ে কিভাবে উপায় বাড়ানো অব্যাহত থাকে। কিন্ত বোর্ডের ইনকাম কমবে কেন বা এই ধরনের হঠকারিতার কারন কি?
ভারতীয় বোর্ড কর্তা শ্রীনি ঘাঘু মাল। উনি ক্রিকেট ধ্বংস করেও ব্যবসা টেকাতে চান। কেন উনি শঙ্কায় ভুগছেন?
কারনটা একটু গভীরে বোঝা দরকার। সেই ১৯৮৫ সাল আর নেই যে বিজ্ঞাপন দিতে টিভিতেই যেতে হবে। এখন রিটেল মার্কেটিং এর অনেক উপায়। ভারতে সব থেকে বেশী টাকা যাচ্ছে মোবাইল মার্কেটং এ। মোবাইল টিউন, এস এম এস বিজ্ঞাপন অনেক সস্তা এবং তার থেকে রিটার্ন অনেক বেশী। ফলে সর্বত্র কমছে টিভির ইনকাম। এর ওপর সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এ অনেক বাজেট চলে যাচ্ছে। কোম্পানীর মার্কেটিং বাজেট ফিক্সড। এবং এটা পরিক্ষিত সত্য মোবাইল মার্কেটিং বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অনেক বেশী কার্যকরী টিভি বিজ্ঞাপনের থেকে। আর ভারতের ক্রিকেট বিজ্ঞাপনের হার এত বেশী-ওই টাকা দিয়ে অনেক বেশী মোবাইল ক্যাম্পেন চালানো যায়।
অর্থাৎ সোনার ডিম পাড়া হাঁসটা আস্তে আস্তে আর ডিম পাড়বে না। সুতরাং এখন ইনকাম বাড়নোর উপায় আই আই সির কাছে নিজের হকটা বাড়ানো। কিন্ত সেটার সাথে কেন টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় ডিভিশন চালু করতে হল বুঝলাম না। আই সি সির কাছে নিজের হকটা বাড়ালে কেও কিছু সাড়াশব্দও করত না, ছোট্ট একটা নিউজ আসত মিডিয়াতে। কিন্ত এই গোলমেলে দ্বিতীয় ডিভিশনটা চালু করার প্রস্তাব কেন রাখল ভারত, ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার বোর্ড?
এটার পেছনেও তারা মার্কেটের যুক্তি দেখাচ্ছেন। আই সি সির বর্তমান আইন অনুযায়ী সব টেস্ট খেলিয়ে দেশকেই সব দেশের সাথে খেলতে হয়। এদের বক্তব্য বাংলাদেশ বা জিম্বাওয়ের সাথে এদের খেলা থাকলে টি আর পি ওঠে না-ফলে বোর্ডের ঘরে টাকা আসে না। এতেব এদেরকে বাদ দেওয়ার জন্য একটা স্কিম কর।
যদি আমি ভারতীয় বোর্ডের মার্কেট যুক্তিকেই ধরি, তাহলেও কোন কারন দেখি না কেন বাংলাদেশ বা জিম্বাওয়েকে দ্বিতীয় ডিভিশনে পাঠানো হবে। বাংলাদেশ টিম যথেষ্ঠ ভাল খেলছে ওয়ান ডেতে। সুতরাং তারা টেস্টেও ভাল খেলতে সক্ষম। শুধু দরকার সুযোগ দেওয়ার। দরকার বাংলাদেশের টিম যাতে ভাল টিমের সাথে আরো বেশী ৪-৫ দিনের ম্যাচ খেলতে পারে। বাংলাদেশের পরিকাঠামোর উন্নতি দরকার।
মার্কেটের যুক্তি মানলে বাংলাদেশের মার্কেট বাদ দিয়ে কি লাভ? বরং বাংলাদেশের টেস্ট পরিকাঠামো ভাল করে দেওয়াটা অনেক বেশী যুক্তিপূর্ন। তাতে মার্কেট বাড়বে। বাংলাদেশকে দ্বিতীয় ডিভিশনে পাঠানো মার্কেটের যুক্তিতেও ধোপে টেকে না।
তবে এই প্রেক্ষিতে শ্রীনির মস্তানি বেশ কুৎসিত। আজ পড়লাম উনি বাংলাদেশের কর্তাদের হুমকি দিয়েছেন ভারতকে সাপোর্ট না করলে, ভারত বাংলাদেশে খেলতে যাবে না। এতে বাংলাদেশের বোর্ডের ৭০-৮০% ইনকাম কমবে। সেটা শ্রীনি বিলক্ষণ জানেন। কিন্ত শ্রীনি এটা জানেন না, বাংলাদেশে শাহবাগ বলে একটা স্কোয়ার আছে। যদি বাংলাদেশের কর্তারা ৭০% ইনকাম কমার ভয়ে, ভারতকে সমর্থন করে যা নিউজিল্যান্ড, দক্ষিন আফ্রিকা এবং জিম্বাওয়ে করেছে টাকা হারানোর ভয়ে, ওদের চামড়া খুলে ডুগডুগি বাজাবে শাহবাগ স্কোয়ার।
এই মুহুর্তে ক্রিকেটের ভবিষয়ত শাহবাগ স্কোয়ারের হাতে। ক্রিকেটকে ধ্বংস করতে শ্রীনির দরকার আর একটিমাত্র ভোট। সেই ভোটটি আছে বাংলাদেশের হাতে। এই লোকটা নির্লজ্জ্ব ভাবে সব আইন ভেঙে ভারতীয় ক্রিকেট ধ্বংস করেছে। এখন বিশ্বক্রিকেট ধ্বংসের খেলায় নেমেছে। শাহবাগের তারুণ্যের চেতনা পারে ক্রিকেটকে শ্রীনির মতন ব্যবসায়ীদের হাত থেকে রক্ষা করতে। ক্রিকেটবিশ্ব কৃতজ্ঞ থাকবে শাহবাগের প্রতি।
এই http://bartamanpatrika.com/content/sports.htm পেজটা একটু পড়ুন আর ১, ২ আর ১১ নং খবর গুলি ভালকরে খেয়াল করবেন। ক্রিকেটের শ্রাদ্ধ আর ফুটবলের সাফল্য কামনা করছি।
বাংলাদেশের অবনমন নাও আটকাতে পারে। কারন দুটো
(১) তিন প্রধান, ওই তিন প্রধান নামবে না, ওই দাবী থেকে সরে এসেছে। মানে অবনমন সবার হতে পারে। হয়ত ভারত বা অস্ট্রেলিয়ার ৫ এর কমে নামার ভয় নেই।
(২) ওয়েস্ট ইন্ডিজ যারা বিরোধি ছিল, সবার অবনমন মেনে নেওয়ার পর, ভারতের দাবী মেনে নিচ্ছে। কারন শ্রীনির দাবি মানলে, ওদের উপায় বাড়বে ৫০%।
নিউজিল্যান্ড ও ওই কারনে ভারতের দাবী মেনে নিচ্ছে।
ভারতের ঘুঁষ হচ্ছে এই যে ভারত ওই দেশগুলির সাথে বেশী খেলবে বলে চুক্তিবদ্ধ হবে। আর ভারতের সাথে খেলা = বাকী আটটা দেশের সাথে খেলা অর্থনৈতিক টার্মে। ভারতের সাথে একটা ম্যাচে একটা দেশ যে আয় করে, বাকী সাতটা দেশের সাথে খেলাতে সব যোগ করলেও তা করে না। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাল্টি খাওয়ার পর এই মুহুর্তে দক্ষিন আফ্রিকা, পাকিস্তান আর বাংলাদেশ বাকী রইল।
পাকিস্তান বা দক্ষিন আফ্রিকার অবনমনের ভয় নেই। ফলে ভারতের ঘুঁষ তারা হজম করবে। কারন বলির পাঁঠা হচ্ছে বাংলাদেশ আর জিম্বাওয়ে।
আমার ব্যক্তিগত ধারনা বাংলাদেশের ক্রিকেটের সামনে অসমান লড়াই। একদিন শুধু বিরতি।
ভাই খবরে তো পড়লাম আইসিসি ঐ প্রস্তাবের দুই স্তরের টেস্ট ফরম্যাট থেকে সরে এসেছে এবং বাংলাদেশ টেস্ট শংকামুক্ত !! লিংক: এখানে।
অনেকের মধ্যেই এই হতাশাটা দেখি ভারতকে নিয়ে। ভারত আমাদের স্বাধীনতায় এত বড় উপকার করেছে, আর এখন বাঁশ দিতে চায় কীভাবে? রাজনীতিতে স্থায়ী বন্ধু বলে কিছু নেই। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশকে ভালোবেসে ভারত সাহায্য করে নি। তার নিজস্ব স্বার্থ তখন বাংলাদেশের স্বার্থের সাথে একবিন্দুতে মিলে গিয়েছিলো বলেই এগিয়ে এসেছিলো। এখন স্বার্থ মিলছে না, গলা টিপে ধরতে চাইছে। একাত্তরে কোন ভূ-রাজনৈতিক কারণে ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করেছিলো, এই বিষয়টা নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে আমার। এর মানে অবশ্য এই না যে, আমি ভারতের ভূমিকাটাকে অস্বীকার করছি। ওটা ঐতিহাসিক বাস্তবতা, অস্বীকার করার উপায় নেই, উচিতও না।
আমি সবসময় বলি যে, বাংলাদেশের একশ্রেণীর মানুষের ভারতপ্রেম এবং আরেক শ্রেণীর মানুষের পাকিস্তান প্রেমটা ঝেড়ে ফেলার সময় এসেছে। এটা চরম একটা হীনমন্যতা। আমাদের মাথায় কেনো ঢোকে না যে, আমরা আলাদা একটা দেশ। আমাদের চিন্তা-ভাবনা, আবেগ, স্বার্থ সবকিছু আলাদা ভারত এবং পাকিস্তান থেকে। প্রেম যদি নিজের ভিতরে তৈরি করতে চান, বাংলাদেশ প্রেম জাগ্রত করুন। এতে ক্ষতির কিছু নেই, বরং যে দেশটা নীরবে শত দুঃখ-কষ্ট যন্ত্রণা সহ্য করেও আপনাকে মায়ের স্নেহে প্রতি মুহুর্তে লালন পালন করে চলেছে, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হবে।
ভারতীয় বোর্ডের কর্মকর্তারা নিজেদের স্বার্থে উন্মাদ হয়ে দুবাইতে কী আচরণ করেছে তার একটা রূপ উঠে এসেছে আনন্দবাজার পত্রিকায়।
ঢাকার ক্রিকেটমহলের উদ্ধৃতি দিয়ে আনন্দবাজার যা বলতে চেয়েছে, সেটি অবশ্য সত্য নয়। পাপন যে এত বিশাল চাপ ইস্পাত দৃঢ়তা দিয়ে মোকাবেলা করেছেন, তা তিনি প্রেসিডেন্টের ছেলে বা সাংসদ হবার কারণে নয়। তিনি এই শক্তি পেয়েছেন, তাঁর পিছনে পাথরের দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ষোল কোটি অবিভেদ্য মানুষের অমিত তেজ থেকে।
বিপ্লব পালদের মতো শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ভারতীয় এবং অন্যান্য দেশের মানুষ, যাঁরা সংকীর্ণ দেশপ্রেমের উর্ধ্বে উঠে ক্রিকেটের প্রতি নিখাঁদ ভালবাসা দেখিয়েছেন এই চরম ক্রান্তিকালে, তাঁদের প্রতি রইলো আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
@ ফরিদ ভাই,
লিখে ফেলেন ভাইয়া, খুব দারুন একটা জিনিস হতে পারে এটা। সত্যি ৭১ সালের ভারতের ভুমিকাতে আমাদের অনেকের বেশ বাড়াবাড়ি রকমের মোহ আছে ভারত কে ঘিরে, যা্র কারনে অনেকেই ভারতের সম্পর্কে কোন কড়া সমালোচনা করতে চায় না যা মোটেও ভাল না। প্রকৃত ব্যাপারটা জানতে পারলে অনেকেই উপকৃত হবে। এতে সাদাকে সাদা আর কালো কে কালো বলতে পারার মত সৎসাহসী মানুষ অনেক বেড়ে যেতেও পারে, যা কিনা আসলেই জরুরী।
কাজেই যত দ্রুত সম্ভব এই নিয়ে আপনার লেখাটা পাব এই আশায় থাকলাম।
এই ভারতই এক সময় বিশ্বায়নের কথা বলে আই সি সি থেকে ইংল্যান্ডের প্রভাব কমিয়ে এনেছে , এখন আবার নিজেই দাদা গিরি করতে চায় ………… ভারতের প্রশাসন , পররাষ্ট্র নীতি উচ্চবর্ণের লোকেরা ঠিক করে , তাই তারা এখানে ক্রিকেট এর মদ্ধে বর্ণবাদ ঢুকাতে চায়। আশ্চর্য যারা আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামের বন্ধু তারাই আমাদের টেস্ট স্ট্যাটাস পয়সার লোভ দেখিয়ে কেড়ে নিতে চায়, মান সম্মান পয়সা দিয়ে কেনা যায় না, আবার বিক্রিও করা যায় না পৃথিবীতে সবাই স্বার্থের দালাল , এখানে কেউ কারো বন্ধু নয় ।
শেষ পর্যন্ত যা ভেবেছিলাম তাই হল। ভারতের জন্য অতিরিক্ত ডেভেলেপমেন্ট ফান্ড বরাদ্দ হয়েছে-যেটা ঠিক আছে যেহেতু ভারত অনেক বড়, এবং পরিকাঠামোর জন্য বেশী টাকা দরকার।
বাকী সব ফালতু দাবীগুলি বাতিল। শুধু মানরক্ষার খাতিরে আগামী দুবছর এই তিন দেশ থেকে আই সি সির প্রেসিডেন্ট হবে। মানে শ্রীনি ব্যাটা আই সি সির প্রেসিডেন্ট হয়ে গেল। কে জানে এটাও আসল চাল ছিল কি না। একে বলে পর্বতের মূসিক প্রসব।
লেখাটি ভাল লাগলো। ক্রিকেট আমাদের দেশে এখনো বানিজ্য পর্যায়ে যায় নি। কিন্তু শাহাবাগ স্কোর তো তেমন কিছু করতে পারেনি। মানুষের আবেগের বহিঃপ্রকাশ হয়েছিল বটে কিন্তু যৌক্তিক কোন দাবী আদায় কিংবা মূল পরিবর্তনের ধারে কাছে ও যায় নি। এই ক্ষেত্রে শাহাবাগ আন্দোলন কিছু করতে পারবে তা আমার মনে হয় না। তবে ভাবতে ভাল লাগে এই টুকু।
সত্যি খুব শান্তি লাগছে এখন বিজয় হয়েছে আমাদের শাহবাগ স্কোয়ারের জন্য আবার ভালবাসা, আর বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের জন্য ভালবাসা ও শুভ কামনা। আর বিপ্লব দাকে আবার ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নিরপেক্ষ মন নিয়ে লেখার জন্য ।
শ্রীনিবাসনের নাম প্রথমে শুনেছিলাম অনেক আগে ১২-১৩ বছর আগে – ইন্ডিয়াজ গ্রেট বিজনেস পাইওনিয়ার হিসেবে – কানিং ব্যবসায়ী হিসেবে মোটামুটি পরিচিত। অন্যকোন শ্রুড কেউ হলে এমন কান্ড আসলে কেউ করতনা। একটা মহা মিস্টেক করে ফেলল – ক্রিকেটের জন্য তার নিজের জন্য বটেই। সে শুধু টাকার কথা চিন্তা করেছে – হয়ত ইন্দিয়ান ক্রিকেটকে ঐ আমেরিকান ফুটবল-বেসবল কিংবা বাস্কেট বল অথবা ইউরোপীয় ক্লাব ভিত্তিক আদলে গড়তে চেয়েছে!!! যেখানে শুধু টাকার ঝনঝনানি থাকবে – খেলোয়াড় বেচাকেনা হবে – ১০০ কোটি দর্শক – ক্লীবও চিন্তা করলে ঠিকাছে – তবে বাস্তব ফ্যাক্টর গুলো মোটেও আমলে নেয়নি সে – সাথে আছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের/কর্তৃপক্ষের জেমস সাদারল্যান্ড – ইংল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ড এর বোর্ড কে আমার চামচ ছাড়া আর কিছু মনে হয়নি।
এই ব্যাপারটি (তাদের প্রস্তাব) এখন মোটামুটি শীত নিদ্রায় চলে গেল এখন – আশা করি নিদ্রা আর ভাংবেনা। যে ব্যাক্তি এটা ফাঁস করেছে – হয়ত এখন তাঁর নাম যানা না গেলেও ভবিষ্যতে যানা যাবে কোন একদিন। এদোয়ার্ড স্নোডেন বিশ্ব মানবতা কিংবা আমেরিকার আমজনতার ভালো করেছে কিনা এখনো অনেকে নিশ্চিত নন কিন্তু এই “শ্রীনিবাসন স্কিম” যে ফাঁস করেছে সে বিশ্ব ক্রিকেটকে নিশ্চিত ধবংসের হাত থেকে রক্ষা করেছে।
ধন্যবাদ আমাদের শাহবাগ স্কোয়ারের শক্তির প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোর জন্য।
বলতে ভুলে গেছি বিপ্লব। তোমার এই লেখাটা অসাধারণ হয়েছে। হ্যাটস অফ!!
ক্রিকেট খেলার ১২টা বেজেছে আইপিএল এর সময় থেকে, এবার প্রস্তাবটা পাশ হলে মৃত্যু ঘোষনা করতে হবে। টি২০ যতই বিনোদন দিক, টেস্ট ক্রিকেট নামক শিকড়টা মরে গেলে গাছ বেশিদিন টিকবেনা।
আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতে চাই বাংলাদেশ এটার পক্ষে ভোট দিবেনা, ক্রিকেটই হলো একমাত্র জিনিস যেটা সব বাংলাদেশিদের আনন্দে ভাসাতে পারে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নিশ্চয়ই এত অবিবেচক হবেনা যাতে করে ক্রিকেট শেষ হয়ে যায়।
সামান্য তথ্যগত ভূল আছে। দ: আফ্রিকাই প্রথম টিম যারা এটার প্রতিবাদ করেছে। তবে ভারতের সাথে ঝামেলা না থাকলে সম্ভবত বিগ থ্রি এর জায়গায় তাদের নিয়ে বিগ ফোর হতো।
অল্প কথায় ক্রিকেট বিশ্বে নির্লজ্জ পূঁজিবাদ এবং তার মধু সত্ত্ব ভোগকারি সাম্রাজ্যবাদের চক্র চমতকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। শ্রীনিবাসন করুক আর যেই করুক, যেভাবে ক্রিকেটে অর্থবিত্তের লেলিহান শিখা প্রবেশ করছিল তাতে এমন কিছু হওয়া ছিল অবশ্যম্ভাবী।
আমি নিজে ছেলেবেলা থেকে ছিলাম ভয়াবহ ক্রিকেট পাগল, জীবনে বহু পাগলামি করেছি এই খেলার মোহে। এখনো ইউটিউবে সেই পুরনো দিনের নানান মধুর ক্রিকেটিয় স্মৃতিচারন করি। কিন্তু বর্তমান দিনের কোন খবর ইচ্ছে করেই রাখি না ২০০৪ সালের পর থেকে।
তখনই দেখছিলাম কিভাবে এই রাজসিক ভদ্রলোকের খেলা বলে পরিচিত নির্মল বিনোদনে কিভাবে নোংরামী ঢুকছে। দেবতূল্য সব ষ্টারদের একের পর এক ম্যাচ ফিক্সিং এ জড়িয়ে পড়া, শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের টাকার লোভে একের পর এক নানান কায়দার শর্টকাট ভার্ষন আবিষ্কার করে সিরিজের পর সিরিজ খেলিয়ে তালগোল হারানো শুরু হবার পর আর ধৈর্য্য রাখতে পারিনি। অচিরেই মনে হচ্ছিল ক্রিকেটও ফুটবলের মত ৯০ মিনিটের খেলায় পরিনত হবে।
ওয়াসিম আকরাম খেলা শুরু করেছিল ‘৮৫ এর জানুয়ারী থেকেই, তবে অষ্ট্রেলেশিয়া কাপে খেলেছিল কিনা এখন মনে নেই।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২-টায়ার পদ্ধতি চালু হচ্ছে না। শ্রীনি পিছু হটেছেন। এটাই স্বাভাবিক ছিল। কারন আসল উদ্দেশ্য ছিল আই আই সি থেকে বেশী টাকা নেওয়া, যেহেতু ভারত থেকেই ৮০% টাকা আসে আই সি সির এবং ভারত বড় দেশ বলে খরচাও অনেক বেশী।
আমি একটু অবাকই হয়েছিলাম। কারন আসল উদ্দেশ্য ছিল আই সি সিতে নিজেদের ভাগ বাড়ানো। তার জন্য এই ধরনের টু টায়ার সিস্টেম, পার্মানেন্ট পজিশন কিছু দরকার ছিল না। এগুলোতে বরং অন্য বোর্ডেরা বেঁকে বসবে। চালে মারাত্মক ভুল করেছেন শ্রীনি। এখন তার আসল দাবী মিটবে কি না সন্দেহ। যেটা তিনি অনায়াসেই পেতে পারতেন, এই দুটায়ার প্রপোজাল টা না দিলে। কেও মাথা ঘামাত না।
IPL নামের সার্কাস আরম্ভ হবার পর থেকে ক্রিকেট দেখা বাদ দিয়ে দিয়েছি। ভারতের বাঘরা বিদেশে কেমন নাকানিচোবানি খায় দেখেছেন তো। ফুটবল বিশ্বকাপের অপেক্ষায় আছি। আর শ্রীনি এবার মার্চে যাচ্ছে তবে যাবার আগে নয় না দশ দেশের এই হাস্যকর খেলা তার আবার র্যাংকিং এসব মনেহয় পুরোপুরি ধ্বংস করেই যাবে। শ্রীনির প্রতি শুভকামনা রইল। ভারত ও বাংলাদেশে ফুটবল তার স্বমহিমায় ফিরে আসুক।
@অজয় রাউত,
তাতে কি হয়েছে দাদা, ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের টাকা আছে, আর এইটার জোরে তারা ধরাকে সরা জ্ঞান করতে চায়। আপনি দেখেছেন যে ধোনী অনেক বিখ্যাত ফুটবলারের চেয়েও আয় করে বেশি, যেখানে আর দশটা দেশের ক্রিকেটার রা যথেষ্ট সমস্যায় থাকে।
@অজয় রাউত,
আমিও। এখন না আবার আরো শর্ট ভার্সন ১০ ওভারের ম্যাচ চলে আসে।
খুব দারুন লিখেছেন দাদা। এই ঘটনাটা আগেই পড়েছিলাম। পড়ে মনে খুব দুঃখ পেয়েছিলাম, যে ভারতের খাই খাই এতই বেড়েছে , আর সেই সাথে ক্ষমতার দাপট, যে প্রতিবেশীরা যেমন রাজনৈতিক ভাবেও ( যেমন সীমান্তে হত্যা) স্বস্তিতে নেই, তেমনি ক্রিকেট নামের খেলাটিকেও আজ এরা গ্রাস করতে চলেছে। এটা যদিও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, তবু ব্যাপার প্রায় একই হল। যদি সত্যি এদের এই জিনিস সফল হয়ে যায়, তবে টাকার কাছে খেলা হেরে যাবে। 🙁
বি.দ্র. আপনার লেখার প্রতিটি লাইনের সাথে একমত খালি শচিন সম্পর্কে ঐ কথাটা ছাড়া। শচীন যদি আকরাম, অ্যামব্রোস,ডোনাল্ড, মাকগ্রাদের খুব ভালভাবে সামলাতে পারে, তবে ক্যারিবিয় সেই চার পেস ব্যাটারী কে কেন নয়? যাই হোক এটা অবশ্য দুই যুগের ব্যাপার, যেহেতু শচীন সেই সময় ছিল না আর তাই বলার উপায় নেই।আর থাকলেও আপনার ভাষ্যমতেও কিন্তু ভারতীয় উন্মত্ত সমর্থক চাপ তখন তেমনটা ছিল না, মানে ১৯৮৫ সালের আগে ।
চিন্তার কিছু নেই বিপ্লব। সারা বিশ্ব ভাবে আমরা একটা গরীব দেশ, খেতে-টেতে পাই না। নেতারা চোর-চোট্টা বদমায়েশ। পয়সার লোভ দেখিয়ে বা গায়ের জোর দেখিয়ে যা খুশি তাই করিয়ে নিতে পারবে। কিন্তু, কেউ জানে না যে, এই দেশের সাধারণ মানুষগুলো কতখানি খাঁটি, কতখানি ইস্পাত কঠিন মেরুদণ্ড তাঁদের, কতখানি গভীর দেশপ্রেম বুকের মধ্যে জমানো তাঁদের।
আমি ওই দেশে জন্মেছি, ওই দেশে বড় হয়েছি, ওই দেশের সাধারণ মানুষকে খুব নিবিড়ভাবে দেখেছি। পাকিস্তানিরা বলতো ভেতো বাঙালি ভীতুর জাত। কিন্তু, যখন এই ভীতুর জাতের কিশোরেরাই বুকে বোমা বেঁধে ট্যাংকের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়া শুরু করলো, তখন বুঝলো যে এরা কী জাত। এবারো জানি, ভারত, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের থোতা মুখ ভোতা এই ভেতো বাঙালিরাই করে দেবে।
ক্রিকেট আমাদের আবেগ, বাণিজ্য না। যারা আজ আমাদের তুচ্ছ করে দ্বিতীয় স্তরে নামিয়ে দিতে চাচ্ছে, খুব বেশিদিন নেই, তারাই একদিন আমাদের সাথে খেলতে নামার আগে বুকে দশবার ফুঁ দিয়ে নামবে।
@ফরিদ আহমেদ,
ফরিদ ভাই, একদম খাঁটি সত্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে! তবে একটা সন্দেহ আছে, ঘটনার সাথে ভারত জড়িয়ে থাকলে আজকাল দেশ প্রেম দ্বিগুন বেড়ে যায়। তাই সই। লক্ষ্য দেশটাকে ভালোবাসা। যেকোন ভাবে তা আসুক আমি তাতেই রাজি। এখন ক্রিকেট বাঁচাতে যদি আমাদের দেশপ্রেমের পরাকাষ্ঠা সৃষ্টি হয় তো সে মন্দের ভালো, কি বলেন?
আর ক্রিকেটে আমাদের দ্বিতীয় ক্যাটাগরীতে রেখে ক্রিকেটের নতুন নিয়ম অন্ততঃ আমরা মেনে নিতে পারিনা। চলার পথের কাঁটা ছড়ানোকে তাই ধিক্কার দেওয়া ছাড়া উপায়কি? আমজনতার মতো আমাদের নেতাদের উপলব্ধি যদি যথাযথ হতো তাহলে চিন্তা ছিলোনা, ওরাতো স্বল্প দামেই নিজেদের বিকিয়ে দিতে পারলে বাঁচে, তাতে কয়েক পুরুষের নির্ঝঞ্ঝাট টিকে থাকাটা নিশ্চিত হয়! এটাকেই পূঁজি করেছে ঐ তিন মোড়ল!
@কেশব কুমার অধিকারী,
ভারত জড়িত থাকলে এক দলের দেশপ্রেম দ্বিগুণ হবে, পাকিস্তান জড়িত থাকলে আরেক দলের তিন গুণ হবে, এই সমস্ত হীনমন্যতা ঝেড়ে ফেলে দেবার সময় এসেছে। আমরা একটা আলাদা দেশ। ভারত প্রেম বা পাকিস্তান প্রেম দিয়ে আমাদের কোনো লাভ নেই। নিজেরটা নিজেদেরই বুঝে নিতে হবে আমাদের।
@ফরিদ আহমেদ,
ক্রিকইনফোতে লেটেস্ট খবর দেখেন, বাংলাদেশ বেশ শক্ত অবস্থান নিয়েছে এখন:
যথেষ্ট বিরোধিতা থাকায় আইসিসি আপাতত তিন স্টুজেসের ড্রাফটের ভোট স্থগিত রেখেছে সামনের মাস পর্যন্ত। শাবাস বাংলাদেশ!
সঠিক কথা (Y)
@ফরিদ ভাইয়া,
ভাত আর ইলিশমাছ ভাজা, অথবা ভুনা গরুর মাংস দিয়ে ভাত যে কি সুস্বাদু জিনিস, এইটা যদি ওই পাকি গুলো বুঝত তাহলে এইসব না বলে ভাত খাওয়া শুরু করত। ভাতের চেয়ে আরামের খাবার আর কিছু হতে পারে না, মানে আমরা সব বাঙ্গালীরা জানি এটা। 🙂 । আসলে রুটি খেকো পাকি আর ভারতীয় বা বার্গার স্যান্ডউইচ আর টোস্ট বিস্কুট খেকো উন্নাসিক সাদা চামড়ার লোক যারা ছুরি দিয়ে কেটে কাঁটা চামচ দিয়ে ওইসব খায় , তারা ভাতের স্বাদ বুঝবে না। আমার মতে ভাত হল আমাদের পুর্বের ঐতিহ্যের এমন অসাধারন জিনিস, যার মর্ম ওরা বুঝবে না। 😀
@অর্ফিউস,
এই যাহ! বাংলাদেশের থেকে ভারতে ভাত খানেওয়ালা লোক ঢের বেশি আছে! 😛
আমাদের আদরের শ্রীনি সাহেব তো তামিল| তামিলরা হেব্বি ভাত খায়| ইদলি দোসা তো ভাতের অপভ্রংশ মাত্র| ভাত-রুটি-ডাল-মুরগি নয়, এরা মুন্ডু চিবিয়ে খেতে আর টাকা হজম করতে ওস্তাদ|
@অনামী,
তাই নাকি? আমার তো ধারনা ছিল যে পশ্চিম বাংলার লোক রা ছাড়া সারা ভারতে রুটি খাওয়া হয় বেশি। ইসস কি ভুল।
ওহ আচ্ছা। আসলে এইগুলার নাম আমি শুনেছিলাম। ভাবতাম এইগুলা মনে হয় বড়া টাইপ জিনিস। তাহলে এইগুলা ভাতের মত? 🙁 পাশের দেশের খাবার সম্পর্কেই জানি না দেখতেসি।
এইটা তো হবেই, পুঁজিবাদী সিস্টেম এইটা খুব ভাল পারে। নর্স দেশগুলার অর্থনীতি ঢের মানব কল্যানমুখী, সাথে কানাডা আর অস্ট্রেলিয়ার টাও।
ভারত তো আসলে আমেরিকার মত পুঁজিবাদী নীতিই গ্রহন করেছে কি বলেন? এতো লোম খেতে পায় না বলেই জানি, অথচ কত্ত বিলিওনিয়ার :-s
@অর্ফিউস,
পড়ুন, এতো লোক খেতে পায় না
টাইপো ইদানিং বেশি বেড়ে গেছে আমার :-Y