আয়না পড়া, পানি পড়া, বাটি চালান, জাদু-টোনা করা, বান মারা ইত্যাদি ব্যাপারগুলোর নাম আমরা অনেকেই শুনেছি। এগুলো যুক্তিবাদী মানুষের কাছে প্রবল হাসির জিনিস হলেও অনেকের কাছে গুরুতর সত্য। অনেকে এসবের সুফল ও কুফল হাতেনাতে পেয়ে থাকেন। যেমন, কারো কোনও জিনিস বা টাকা পয়সা হারিয়ে গেল। তখন হারানো জিনস ও হরণকারীকে খুঁজে পেতে আয়না পড়া, চুন পড়া, চাল পড়া ও বাটি চালান খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম। চাল পড়া ও চুন পড়া সন্দেহভাজন ব্যক্তিদেরকে খাওয়ানো হয়। এতে করে দোয়ার কুদরতে দোষী ব্যক্তির গলা থেকে তাৎক্ষণিক রক্ত ঝরতে শুরু করবে অঝোরে। তুলারাশির জাতক জাতিকারা আয়নার ভেতরে দেখতে পাবে চোরের মুখ এবং চুরির সময়কাল, পদ্ধতি ইত্যাদির বৃত্তান্ত ভিডিও চিত্র।
তুলারাশির জাতক জাতিকারা পড়ানো বাটিতে হাত দিলে দোয়ার বরকতে সেই পড়ানো বাটি তাকে চালিত করে নিয়ে যাবে প্রকৃত চোরের কাছে।এতে করে আসল চোর জনসমক্ষে ধরা পড়ে।থানা পুলিশের ঝামেলায় যেতে হয় না মোটেও। তাছাড়া পুলিশ বেশিরভাগ সময়ই নিরপরাধ মানুষকে অযথা হয়রানি করে থাকে।
যেকোনো প্রকার দুরারোগ্য রোগ থেকে আরোগ্য লাভের জন্য পানি পড়া, মধু পড়ার কোনও বিকল্প নেই। যেমন বাতের ব্যথা, দাঁতের ব্যথা, পেটের ব্যথা, মাথাব্যথা ইত্যাদি। আরোগ্যলাভ তাৎক্ষণিক ও সুনিশ্চিত। মনে কেবল বিশ্বাস থাকা প্রয়োজন। বিগত জীবনে বহু বহু গ্যালন পানি-পড়া বিছমিল্লাহ বলে আমিও পান করেছি। আমার কথায় আস্থা রাখুন। ফল পাবেন। এছাড়া হাত-ব্যথা, পা-ব্যথা, কোমর-ব্যথা ও মাথাব্যথার জন্য রয়েছে তেল-পড়া।
আরেকটা বিশেষ ধরনের তেল-পড়া রয়েছে নবজাত শিশুদের জন্য। খাঁটি সরিষার তেল পড়া। এই ফলপ্রসূ চিকিৎসা পদ্ধতি আমি নিজ-চোখে উপভোগ করেছি। এক টেবিল চামচ পড়ানো খাঁটি সরিষার তেল নবজাত শিশুকে হাঁ করিয়ে তার কচি মুখের ভেতরে বিছমিল্লাহ সহকারে ঢেলে দিতে হবে। তেলের কঠিন ঝাঁঝে,ও দোয়ার বরকতে ফুলের মতন কোমল শিশুর জিহ্বা, গলা, কণ্ঠনালী দুর্বিষহভাবে জ্বলে উঠবে। আর অসহায়, তেলাক্রান্ত শিশুটি গগনবিদারী চিৎকার করতে থাকবে ঘণ্টাখানেক। তারপর দুর্দশাগ্রস্ত, বিধ্বস্ত শিশুটি ক্লান্ত হয়ে, চোখমুখ খাঁটি সরিষার তেলের মত লাল করে এক সময় ঘুমিয়ে পড়ে। এই বিশেষ তেল-পড়া নাকি অনেক গুণে গুণান্বিত। এতে শিশুদের পুষ্টি হয়, শিশুরা বাড়ে ভালো, ঘুমায় ভালো, জ্বালাতন করে না।
মনে করুন, আপনি কারো প্রণয়প্রার্থী। তার চরণতলে মনে মনে আপনার জীবন সঁপে দিয়ে রেখেছেন। গুনগুন করে তার উদ্দেশ্যে গাইছেন, চরণ ধরিতে দিয়ো গো। কিন্তু হায়! যার চরণতলে জীবন সঁপেছেন, যার চরণ ধরার জন্য বেসুরে গাইছেন, তিনি আপনার জীবন মন গান সকলই পায়ে মাড়িয়ে দিয়ে নিঠুরের মতন চলে যান নিশ্চিন্তে।আর যেতে যেতে বলেন, পায়ের তলে নরম ঠেকলো কি? কী করবেন আপনি এই শোচনীয় অবস্থায়? হাল ছেড়ে দেবেন? ধরাশায়ী হয়ে পড়ে থাকবেন? না। পানি-পড়া, পানপড়া বা আতর পড়া আপনার ব্যর্থপ্রেমে সফলতা আনতে পারে। শুধু সাহস করে আপনার প্রাণের প্রার্থিত মানুষকে পানপড়া বা পানি পড়া একটু কৌশলে খাইয়ে দিতে হবে। আর আতর পড়া আপনার নিজের গায়ে মেখে তার চারপাশে সৌরভ ছড়াতে হবে। তিনি সাথে সাথে বিমোহিত হয়ে লায়লি বা মজনু হয়ে আপনার পায়ে এসে লুটিয়ে পড়ে বলবেন, এই চরণকমল যে ধরলুম আর ছাড়বো না।
মনে করুন, এমন কোনো লোক আছে যাকে আপনি দুইচোখে দেখতে পারেন না। সারা-দিবানিশি তার সর্বাঙ্গীণ সর্বনাশ কামনা করেন। তার অনিষ্ট কামনা করে উপাসনালয়গুলোতে টাকাপয়সা, সিন্নি-ফিরনি মানত করেন। নফল এবাদত করে তার উপর লানত বর্ষণ করতে থাকেন। কিন্তু তার এমন ঈশ্বরের প্রাণ যে, সে মরেও না, তার কোনও ক্ষতিও হয় না। উপরন্তু আপনি নফল এবাদত করে সারা হচ্ছেন, উপাসনালয়ে টাকা দিতে দিতে ভিখিরি হয়ে যাচ্ছেন। কী করবেন তখন? এত অল্পতেই নিরাশ হয়ে যাবেন? না। তার জন্য বান মারুন। এক বানেই পটল তুলতে বাধ্য হবে সেই কৈ মাছ। আপনি যদি আওয়ামীলীগ করেন তবে খালেদা জিয়ার জন্য বান মারুন, বিএনপি হলে শেখ হাসিনার জন্য বান মারুন। হরতাল-অবরোধ করে দেশের ক্ষতি করার দরকার পড়বে না মোটেও।
আরো রয়েছে কলম পড়া, বই পড়া। সমাসন্ন পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী যেই কলমগুলোতে লিখবে ও যে বিষয়গুলোর উপর পরীক্ষা হবে সে বইগুলো পীর, হুজুর বা মৌ-লোভীর কাছ থেকে পড়িয়ে নেওয়া। এই পদ্ধতিতে গেলে পড়াশোনার ঝামেলায় যাবার কোনো দরকার নেই। বই ও কলম পড়িয়ে এনে ফুরফুরে মনে ঘুরতে থাকুন। পরীক্ষায় প্রথমের আগে শূন্য হবেন নিশ্চিতভাবে। আমার নিজের চোখে দেখা। তাছাড়া ভালো ফলাফলের জন্য পরীক্ষার আগে বাসায় এবং মসজিদে মিলাদ-মাহফিল তো অবশ্যই দিতে হবে।
ভালো ছাত্রছাত্রী হবার জন্য আরো অনেক সুযোগ রয়েছে। যেমন জ্ঞানের তাবিজ। এই তাবিজ পরিধানে শুধু ভালো ছাত্রছাত্রী নয়, জ্ঞানী হওয়াও কোনো ব্যাপার না।একটা ঘটনা বলছি। আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। সামনে পরীক্ষা। অংক পরীক্ষার চিন্তায় বুক ঢিপঢিপ করছে। আমার এক বান্ধবী যে আমার চেয়েও বড় গণিতবিদ তার দেখলাম কোনো চিন্তা-চেতনাই নেই পরীক্ষা নিয়ে। কারণ সে দুই টাকা দিয়ে একটি জ্ঞানের তাবিজ কিনে ফেলেছে বাসার সামনের তাবিজ বিক্রেতা থেকে।এই তাবিজ গলায় ঝুলিয়ে রাখলেই পরীক্ষা ভালো হয়ে যাবে। আমি তাকে অনেক অনুনয়-বিনয় করে বললাম, আমাকে অন্তত একদিনের জন্য তাবিজটা পরতে দে। আমার কাছে দুই টাকা নেই। আমার পাষাণ বান্ধবী আমায় বলল, আটআনা দিলে একদিনের জন্য ভাড়া নিতে পারিস তাবিজটি। বিনে পয়সায় পাবি না। আমি দুইটাকা চুরি করে তাবিজ কিনেছি, তোকে মাগনা দেবো কেন? আমি তার পর দিন আট আনা চুরি করে এনে তাবিজখানা ভাড়া নিয়ে নিলাম একদিনের জন্য। বাড়িতে নিয়ে অতি সাবধানে ভেতরে খুলে দেখলাম। লেখা রয়েছে, হে প্রভু জ্ঞান দাও। আমি সাথে সাথে নকল করে ফেললাম। একটা কাগজে ‘হে প্রভু জ্ঞান দাও, লিখে তাবিজের প্যাকেট কিনে মোম দিয়ে সীলগালা করে সুতো দিয়ে গলায় ঝুলিয়ে দিলাম জ্ঞানের তাবিজ। মনে মনে সারাক্ষণ অধ্যয়ন করতে লাগলাম, হে প্রভু জ্ঞান দাও, হে প্রভু জ্ঞান দাও। কায়মনোবাক্যে একটা বাক্যই কেবল অধ্যয়ন করেছিলাম সেইবার পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে। অংক পরীক্ষার খাতার উপর শুরুতে বড় বড় অক্ষরে লিখে দিয়েছিলাম, হে প্রভু জ্ঞান দাও। ফলাফল হয়েছিল হৃদয়-বিদারক। পরীক্ষার ফলাফলের পরের ফলাফল হয়েছিল ততোধিক হৃদয়-বিদারক।
যদি এমন হয়, বসন্তকাল পেরিয়ে যাচ্ছে তবু কোকিল ডাকছে না। মানে বিবাহের বয়েস চলে যাচ্ছে কিন্তু বিবাহ হচ্ছে না। তখন কী করবেন? হতাশার চাদরে ঢাকবেন না নিজেকে। সাতদিনে বিবাহ হইবার তাবিজ নিন। গলায় বা হাতে পরুন। শুষ্ক মরুতেও বসন্ত চলে আসবে ফুরফুর করে। কোকিল ডাকবে, ফুলে ফলে ভরে যাবে আঙিনা।
আরও কিছু অত্যাধুনিক পড়া আছে উন্নত-বিশ্বে। যেগুলো সম্পর্কে জানবার সৌভাগ্য আমার দেশে থাকা অবস্থায় হয়নি। আমেরিকায় আসায় পর নিত্যনৈমিত্তিক দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশের পীর, মৌ-লোভী, হুজুরেরা উন্নত, আধুনিক দেশে এসে অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি চালু করেছেন। ব্যবসা তাদের জমজমাট। এই ব্যবসা, দোয়া মাহফিল, মিলাদ পড়ানো, ফ্রীতে ফতোয়া দেওয়া ইত্যাদি মানবিক কর্মকাণ্ড করে তাদের একেকজনের কয়েকটা করে বাড়ি এই বিধর্মীদের দেশে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে ইনশাল্লাহ।
পুরুষদের জন্য গেঞ্জি-পড়া, অন্তর্বাস পড়া। মহিলাদের জন্য সকল প্রকার অন্তর্বাস সহ, ব্লাউজ-পড়া, কামিজ পড়া, সায়া পড়া, বোরকা পড়া, কানের দুল পড়া, চুড়ি পড়া, আংটি পড়া, নোলক পড়া ইত্যাদি। বেপর্দা বেদ্বীন দেশগুলোতে এসে অনেক বাঙালি রমণীর চরিত্রও বিদেশিনীদের মত বিগড়ে যায়। তাদের চোখ ও মন সীমা লঙ্ঘন করে। চোখ ও মনের মাধ্যমে তারা ব্যভিচারে লিপ্ত হয়। পড়ানো পোষাক-পরিচ্ছদ ও গয়না পরিধান করলে শয়তানের কুপ্ররোচনায় প্ররোচিত হওয়ার আশংকা নেই। তাই এখানকার অনেক স্বামীই নিশ্চিন্ত, দ্বীনী দাম্পত্যের জন্য স্ত্রীর ব্যবহারের প্রায় সমস্ত জিনিসই পড়িয়ে আনেন। এতে করে স্ত্রীরা তাদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের হেফাজতে ব্রতী হয়। পুরুষের কাপড়চোপড় পড়ানো হয় শুধুমাত্র রোগমুক্তির জন্য। কারণ তাদের সীমা-পরিসীমা নেই লঙ্ঘনের জন্য। একবার আমার এক আত্মীয়ের অসুখ হয়েছিল। তার গেঞ্জি ও অন্তর্বাস পড়িয়ে এনে তাকে পরিধান করানোর সাথে সাথেই সে সুস্থ হয়ে উঠতে লাগল। পাশাপাশি অবশ্যি উন্নতমানের চিকিৎসাও তার করানো হয়েছিল। তবে এ ক্ষেত্রে চিকিৎসা বিজ্ঞানের কোনো অবদান নেই তা বলাই বাহুল্য। সকল কৃতিত্ব অনিবার্যভাবে গেছে অন্তর্বাস পড়া ও পড়কের উপর। তার পসার বেড়েছে ব্যাপক হারে।
সিদ্ধ পুরুষদের পানি-পড়া বা নিরালায় অন্ধকার-কক্ষে বিশেষ ধরনের আশীর্বাদে অনেক জন্ম-বন্ধ্যা নারীকেই আমরা সন্তানবতী হয়ে সন্তান লাভ করতে দেখেছি। কারণ সিদ্ধ পুরুষদের ফুঁৎকার কিংবা হাতের স্পর্শেও শুক্রাণু থাকে। নইলে সাধারণ মানুষ ও সিদ্ধ পুরুষে পার্থক্য কোথায়? কিন্তু পবিত্র জমজমের পানিতে যে শুক্রাণু আছে এটা কেউ জানতো না আগে।এই অলৌকিক কুদরত আবিষ্কৃত হয়ে গেছে। আবিষ্কার করেছে আমার এক হিন্দু বান্ধবী। ঘটনা আমার চোখে দেখা। আমার এক হিন্দু বান্ধবীর বাচ্চা হচ্ছিল না বহু বছর। সে কারো কাছে শুনেছে যে, খাস দিলে জমজমের পানি পান করবার সময় আল্লার কাছে যা প্রার্থনা করা হয় আল্লা তা-ই দান করেন মুক্তহস্তে। সে একজনের কাছ থেকে জমজমের পানি সংগ্রহ করে, ক্ষণিকের তরে কপালের সিঁদুর মুছে, হাতের শাখা খুলে কেবলা-মুখী হয়ে বিছমিল্লাহ বলে খাস দিলে সেই পবিত্র পানি পান করার সময় বলল, হে আল্লা সন্তান দাও। আল্লা সাথে সাথেই দিয়ে দিলেন শুক্রাণু। সে গর্ভবতী হয়ে পড়ল।সে অনেকদিন যাবত সন্তান লাভ করার জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন ছিল। তবে এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক বা চিকিৎসা বিজ্ঞানের যে কোনোই অবদান নেই তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সে তখনই নিয়ত করে ফেলল, ছহী-ছালামতে যদি সন্তানটি ভূমিষ্ঠ হয় তবে সে একজন খাস মুমিন, অথচ পবিত্র হজ্জে যেতে সংগতিহীন বান্দাকে পবিত্র হজ্জব্রত পালন করতে সকল ব্যয়ভার অতি সানন্দ-চিত্তে বহন করবে, এবং বিশাল এক কনটেইনার পবিত্র জমজমের পানি আনাবে তার মাধ্যমে। যা পান করে যেকোনো বন্ধ্যা রমণী তার মত মা হবার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারে। যথা সময়ে তার সন্তান ছহী-ছালামতে ভূমিষ্ঠ হলো। সে তার নিয়ত পালন করলো অক্ষরে অক্ষরে। একজন দীন দ্বীনী ব্যক্তিকে পবিত্র হজ্জে পাঠালো সম্পূর্ণ তার নিজের খরচে। জমজমের পানিও আনিয়েছে, বিতরণ করছে বন্ধ্যাদের মধ্যে। তবে হৃদয়-বিদারক ব্যাপার হচ্ছে, ইছলামের ও জমজম কুয়ার পানির এতো বড় সুফল ভোগের পরও সেই নাফরমান আজও ইছলাম গ্রহণ করেনি। আফছোছ!
একটা প্রশ্ন আমার দুষ্টু মনে উঁকি দেয়। তা হচ্ছে, সিদ্ধ পুরুষদের আশীর্বাদ বা জমজমের পানি পান করার মাধ্যমে যে সকল শিশু জন্ম লাভ করে তাদের জন্মদাতা আসলে কে?
🙁
প্রায়ই পত্রিকায় দেখি , “আজ প্রেমের প্রস্তাব পাবেন” ।
পাইনা ক্যারে ?
লেখক ভাই, সব তো হকারের মত গরগর করে উগলে দিলেন,,কিন্তু কোন একটার ও তো ব্যাখ্যা দিলেন না এটা কেমন হল।।।ভাই বেশি কিছু না শুধু বাটি চালান এর scientific ব্যাখ্যা চাই।যদি বলেন মিথ্যা তাহলে আর কিছু বলার নাই,,,কিন্তু আমি জীবনে অনেকবার দেখছি,,কিন্তু কারও কাছে scientific ব্যাখ্যা পেলাম না।আমার ক্লাসমেট তুলা রাশি তার হাতে একাটা কাসার বাটি রাখলে কিভাবে বাটি চলে যে ২,৩ জন মানুষ আটকানো যায়না।সে কিন্তু বিজ্ঞান কম জানেনা কেমিক্যালে এম এস সি,,,,,গঠনমূলক উত্তর দিলে ভাল লাগবে
জমজমের পানি দিয়ে করলে উপকার হতে পারে এমন কিছু মাসালা আমার উপরে নাজিল হইলো এই লেখা পরিয়া।
১। ইহা দিয়া শৌচকাজ সম্পাদন করিলে আল্লার রহমতে পাইলস রোগের উপশম হবে।
২। মুত্র বিসর্জনের পর এই পানি দ্বারা লিঙ্গ ধৌত করিলে আল্লার অশেষ রহমতে ঈমান সময় মতন শক্ত হইবে।
৩। এই পানি পারফিউমের সাথে ঘরে ছিটাইলে বদ বাইউর গন্ধ লোপ পাইবে।
৪। টয়লেট ক্লিনারের সাথে ব্যবহার করিলে মলের হলদে দাগ দূর হইবে।
৫। মদের সাথে সেবন করিলে সেই মদ হালাল হইয়া যাইবে।
এখন বাইরে যাইতে হবে। তাই বাকি আয়াত গুলা অন্য কোনদিন কমুনে 😀
হাহাহা—আপনি পড়ে মজা পেয়েছেন জেনে আমিও মজা পেলেম।
হাহাহা…… শিরোনাম ও শেষ লাইন পড়ে মজা পেলাম! (Y)
বিশ্বাসের ভাইরাস মগজে ঢুকিলে যুক্তিবোধ মরিয়া যায়। তখন বেসম্ভব বলিয়া কোন কিছু থাকে না। জমজমে তখন জমাট মজা পাওয়া যায়। কাহার সন্তান কাহাকে আব্বা বলিয়া ডাকিল সেই প্রশ্ন তখন অবান্তর হইয়া হয়।
@প্রদীপ দেব,
:hahahee: :hahahee: সত্যি বিশ্বাসের ভাইরাসটা অতিমাত্রায় অনিষ্টকারী :-Y :-Y
@প্রদীপ দেব,
আব্বা বলিয়া ডাকিলেই হইলো। উহা কোথা হইতে আসিল তাহাতে কি আসিয়া যায়?
@তামান্না ঝুমু,
বাচ্চা কাচ্চা না হয়েও,আব্বা ডাক শোনার জন্য খুবই সুন্দর বুদ্ধি আছে। অবিলম্বে রোমান ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত হওয়া, আর কৌমার্য্যের মহান (!) ব্রত নিয়ে পুরোহিত হওয়া।
তলে তলে অবশ্য কৌমার্য্য রাখার দরকার নেই, কারন ধরা পড়ার আগ পর্যন্ত এই আব্বারা ( ফাদার) যতই অপকর্ম করুক না কেন, মানুষেড় চোখে ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসাবেই সমাদৃত হতে থাকবেন।
চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা যদি না পড়ে ধরা :-s
@ কাজী ভাই, বুঝলাম আপনার অন্তর্বাস পড়ার গুরু বিদ্যা জানা.:))
দেশ ইসলামের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ( ইন্সাল্লাহু তায়ালা) সাথে সাথে কবিরাজি বা তুকতাক বিদ্যা হুজুরের দিকে ধাবিত হচ্ছে, আর তাতে মেয়েরাই বেশি খুশি মনে হয়. শুনেছি আমাদের গ্রামে হুজুরেরা কোবরেজী করতে যেয়ে প্রায়ই কারো না কারো বউ নিয়ে পালিয়ে যায়.
@হেলাল
ভাই, অল্পবিস্তর জানি না বললে মিথ্যা কথা বলা হয়ে যায়। তওবা তওবা। তবে একটা কথা নিশ্চই জানেন যে স্পর্শ করে পড়তে হয়। ফুকফাক যা ই দ্যান, চোখ বন্ধ করে পড়ার পর। এইখানে দুনিয়ার আলো আন্ধার কিস্স্যু না, নুরানী আলোই সকল সাফল্যের মূল। এই কারণেই সকল পক্ষ খুশি থাকেন।
অধিকাংশ লোক যেহেত এসবে বিশ্বাস করে, তাহলে তা সত্যি না হয়ে পারেনা.
বাই দা ওয়ে, মেয়েদের অন্তর্বাস পড়া কারো জানা থাকলে জানাবেন. :))
@হেলাল,
পড়াবেন না পড়া শিখে পড়বেন?
এই পড়াটা আমারও একটু শেখার ইচ্ছে ছিলো যে :))
@কাজী ভাইয়া,
ইসসিরে কি সর্বনাশ, এই নাকি নবীজীর কাম কাজ। আপ্নে তো দেখি ভাই ইসলামের নবীজির একেবারে যোগ্য উত্তর সুরী হয়ে যাবার রাস্তায় আছে 😀
@অর্ফিউস,
ইয়ে, কাজ না, কাম।
খাস দিলে পেয়ারা নবীজিকে মানবেন, হাদিস মানবেন তা হলেই আপনার কোন চিন্তা নাই। যদি না মানেন,
তাহলে তো আপনি আল্লা কোরান কিছুই মানলেন না। ভয়াবহ গুনাহ হবে। এই সব থেকে বাঁচতে দিনে সাতবার কোরানের ৪ নম্বর সূরা আন নিসার ৮০ তম আয়াত পড়বেন:
যে লোক রসূলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করল। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি। লিঙ্ক
কি বুঝলেন? নবীজির কাজ কাম সবই হাদিস। ওনাকে পাওয়ার অফ এটর্নি দেওয়া হয়েছে। সুতরাং; সুতরাং, অতএব, নবীজিকে মানলে, আল্লা মানা হোল , কোরান মানা হোল, কাজ হোল এবং কাম হোল।
বোঝে না তো কিছু খালি ইশেরে কয় লিচু ……………….. যত্তসব :-[
হাহাহা, হ নবীজিরে তো মানতেই হইব, না মাইনা আমি পরকালে ৭২ উদ্ভিন্ন যৌবনা রমনী হারাতে চাইতেছি না। দুনিয়াতে তো আর এই গতি নাই , কাজেই পরকালই ভরসা। আর তাই পরকালই হল আসল কাল :hahahee:
নবীজি দোয়া কইরে দিয়েন :p
এইডা যদি আল্লাহর কথা হয়, তাইলে আর নবী পাঠায়া কাম কি? হ্যাতে তো আগে ভাগেই জানে যে কে হেদায়েত প্রাপ্ত হইব আর কে হইব না :-s
হা হা হা, ভাল লিখেছেন। 🙂
@অভিজিৎ,
ধন্যবাদ দাদা। 🙂 🙂
মানুষ বড়ই অদ্ভুত এক প্রাণী , এই যুগে মানুষ যা দেখে এবং গবেষণাগারে যন্ত্রপাতির সাহায্যে মনিটরে যা ফুটে ওঠে তার উপরেই সে অগাথ বিশ্বাসী হয় , সৃষ্টিকর্তার আপন জগত এর ক্রিয়াকালাপ যদি এই ইহজগতের যন্ত্রপাতির ক্ষমতার বাইরে হয় তাহলে যুক্তিবাদি মানুষ কখনই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব স্বীকার করবে না ,অথচ মহাকর্ষ, অভিকর্ষ বল মানুষ না দেখেও নিউটনের যুক্তিতে বিশ্বাস করছে । প্রশ্ন হচ্ছে মানুষ কি স্রষ্টা ও তার দৈব জগত বিশ্বাস করার জন্য আরেকটি নিউটনের জন্য অপেক্ষা করবে , নাকি চিরতরে স্রষ্টার অস্তিত্ত বিলীন করে দিবে ?
@ফয়সাল,আমি ভাবছি যে এই ব্লগের বিজ্ঞান লেখকরা আপনার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কি বলবেন!! যাক আপাতত উনাদেরটা উনাদের হাতেই ছেড়ে দেই, আমি কিছু বলি।
হ্যাঁ এটা ঠিক কারন,
আপনিযে বিজ্ঞানের আবিষ্কারের সুফল ভোগ করেও এই কথাটা বলতে পারছেন যে মানুষ না স্রষ্টাকে (?) স্বীকার করতে রাজী নয়, অথচ নিউটনের ( বা অন্য বিজ্ঞানীদের) আবিষ্কারকে বিশ্বাস করছে। এতে আপনি নিজেই প্রমান করলেন নিজের কথাটা।
আচ্ছা আমার একটা প্রশ্নের জবাব দিতে পারবেন? বোল্ড করা অংশটায় আপনি যন্ত্রপাতি আর মনিটর এই জিনিসগুলি কিন্তু দেখতে পাচ্ছেন, সেখানে কোন যুক্তিতে অস্বীকার করবেন বলতে পারেন? নাকি বলবেন যে মনিটর বলে আসলে কিছু নেই, সব মিথ্যা কথা? তাহলে আপনি পিসি নামক যে জিনিসটি ব্যবহার করছেন সেটার কি দশা হবে, সবই তো বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার। সবচেয়ে ভাল হত না এইটাই কি যদি আপনি আল্লাহর আবিষ্কার করা দুয়েকটা জিনিস নিয়ে হাজির করেন প্রমান সহ? এখানে যদি আপনার উত্তর হয় সব আসলেই কোরানেই ছিল; প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যে দাবীই করেন না কেন তবে আর কারো কিছু বলার থাকে না।
নিউটনের মত কেউ আসলেই তিনি যদি বৈজ্ঞানিক ভাবে স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমানের চেষ্টা করেন, আর না পেরে বিজ্ঞানের উপর থেকেই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন, তবে মনে হয় না সেই নতুন নিউটন আদৌ বিজ্ঞানী হিসাবে স্বীকৃতি পাবেন। কাজেই আপনার চিন্তার কারন নেই এমন কিচ্ছু হবে না।
যদি স্রষ্টা নিজে এসে বলেন আর কিছু প্রমান দেন, যেটা মানুষের কোন কাজে লাগবে, অন্য বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের মত প্রমানিত হবে, ততক্ষণ স্রষ্টা নামক কোন জিনিসকে মানুষের পক্ষে অস্বীকার করাটা কিন্তু অস্বাভাবিক নয়। আপনি যদি চোখে দেখে আর সুফল ভোগ করেও কোন জিনিস পুরাপুরি বিশ্বাস করতে রাজী নন, সেখানে কিভাবে আশা করেন যে অন্যরা না দেখে একটা জিনিস বিশ্বাস করবে?
তাহলে আপনি পরোক্ষভাবে মেনে নিচ্ছেন যে এটা করা সম্ভব? তাহলে যে জিনিসের অস্তিত্ব বিলীন করা সম্ভব এবং সেটা আপনার সগোত্রীয় মানব সন্তানদের হাতেই , সেক্ষেত্রে সে জিনিএর উপর বিশ্বাস স্থাপন করা কতটা যৌক্তিক?
@অর্ফিউস, আপনার কথা গুলো বুঝতে আমার কষ্ট হচ্ছে আসলে কি বোঝাতে চেয়েছেন বুঝলাম না , আমি বলি …… আমরা যারা বিজ্ঞান নিয়ে পরাশুনা করি তাদের বেশিরভাগ কখনই স্রষ্টার অস্তিত্ব বিলিন করে দেই না , কারন স্রষ্টার অস্তিত্ব নিরূপণ করার মত ভারিয়াবল (চলক) ধরার জন্য প্রযুক্তি এখন আমাদের হাতে নেই , বিজ্ঞানের স্রস্টা বিষয়ক সুত্র গুল এখনও হাইপথিসিস পর্যায়ে আছে , কবে যে সেগুল এক্সপেরিমেন্তাল পর্যায়ে আসবে তা বলা মুশকিল , মজার বাপার হচ্ছে আপ্নারা যারা বিজ্ঞানের যুক্তি দিয়ে আস্তিকতা কে বিনাশ করেন , সেই বিজ্ঞান নিয়ে যারা পরাশুনা করেন তাদের বেশিরভাগই আস্তিকতা কে একটি হাইপথিসিস হিসেবে বিশ্বাস করেন। অনেকেই চায় স্রষ্টা যেন আমাদের মাইক্রোস্কোপের নিচে এসে ধরা দেন , ব্যাপারটা হাস্যকর …… অন্তত আমাদের কাছে …………… হাস্যকর
@ফয়সাল, ভাইজান, বিজ্ঞানের কথা আমাকে বলে লাভ নেই, মাধ্যমিক লেভেলের পর থেকে বিজ্ঞান কে বিদায় করে দিয়েছি আমি। তবে ঈশ্বর বা আল্লাহ যে মোটেও বিজ্ঞানসম্মত কোন জিনিস না , সেটা বুঝতে কিন্তু বানিজ্য বা মানবিক বিভাগের লোকদেরও খুব বেশি সমস্যা হয় না, কাজেই এখানে বিজ্ঞানের স্রস্টা বিষয়ক সুত্র গুলি দিয়ে তেমন কোন ফায়দা হবে না। চোখে দেখা যায় না এমন জিনিস আমার বিশ্বাস করতে আপত্তি আছে।
তবে উড়িয়েও দেই না, থাকতেও পারে, আর না থাকতেও পারে, তাতে আমার কি?আচ্ছা ধরেই নিলাম যে ঈশ্বর আছেন। তাতে আমার কি কিছু লাভ হচ্ছে? সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ কর্ম করেই কিন্তু পেটের ভাত জোটাচ্ছি, ঈশ্বর কিন্তু এমনকি আমার নেট বিল টাও দিয়ে দিচ্ছেন না( আপনার টা কি দিচ্ছেন?)। এবার ধরে নেন যে ঈশ্বর নেই, এতে আমার কিন্তু কাজ বন্ধ থাকছে না। কারন বাঁচতে হলে সবাইকে কাজ করতেই হবে, আমাকেও আপনাকেও তাই না?
বাকি থাকে মানসিক শান্তি? সেক্ষেত্রে আপনি ঈশ্বর কে মানুন সমস্যা কি? আমার এমনিতেই যথেষ্ট মানসিক শান্তি আছে, এতে আল্লাহর অস্তিত্ব বা অনস্তিত্বের সাথে আমার মানসিক শান্তি বা স্বস্তির পারদ মোটেও ওঠা নামা করে না। কাজেই যে জিনিস আমার কোন উপকারেই আসে না, খামোখা আমি সে জিনিস নিয়ে চিন্তা করার চেয়ে, ওই সময়টা আমি সিনেমা দেখা, ভিডিও গেম খেলা এইসব করে ব্যয় করতেই পছন্দ করি। সেই সময়টায় আপনি যদি নামাজ রোজা করেন আমার তো কোন আপত্তি নাই। সেখানে আমি বা অন্য কেউ বিশ্বাস না করলে বা মাথা না ঘামালে আপনার কষ্ট পাবার কারন থাকা উচিত নয়। অবশ্য আপনি যদি আমার মঙ্গল চিন্তায় আল্লাহর প্রতি যুক্তিদিয়ে বিশ্বাস স্থাপন করতে বলেন, তবে আমি বলব যে আপনি না হয় আমার জন্য দোয়া টোয়া করতে পারেন এতে আমি খুশিই হব। তাছাড়া বাড়তি চিন্তার কিছু নাই, যদি আল্লাহ থেকেও থাকেন, তবে আমার অবিশ্বাসের জন্য দোযখে আমি, যাব, আপনার বয়ের কারন নেই , আপনি বেহেশতেই চলে যাবেন ইনশাল্লাহ 🙂
@অর্ফিউস, আমার মনে হয় ব্যাপারটা এখানেই সমাপ্ত হোক , আপনি মাধ্যমিকে বিজ্ঞান কে বিদায় দিলেও যুক্তি তর্ক কে নিশ্চই বিদায় দেননি । ঈশ্বর কে বোঝার জন্য আপনার যে টুকু জ্ঞান আপনে যথেষ্ট মনে করেন তা সত্যি হলে পৃথিবীর সকল বিজ্ঞান ছাত্র ও বিজ্ঞানী নাস্তিক হয়ে যেত । মানুষের বিশ্বাসের স্বাধীনতা আছে , আপনার বিশ্বাস আপনার কাছে , আর আমারটা আমার কাছে। আমরা আলোচনা করতে পারি আমাদের বিশ্বাস গুল নিয়ে, তর্ক করতে পারি, যুক্তি দিতে পারি , সে যুক্তি কে কতটুকু গ্রহন করল সেটা তার বিবেকের ব্যাপার। তবে আলোচনা শুরুর আগেই যদি কোন কিছু আপনি নাকচ করে দেন তাহলে ত আর যুক্তি আর তর্কের জায়গা থাকে না। আমি ধার্মিক তবে ধর্মান্ধ না, আশা করি আপনি সেকুলার হলেও কট্টর নন । আমার কাছে ঈশ্বর সবচেয়ে অসাম্প্রদায়িক , তা না হলে তিনি সব অবিশ্বাসীকে মেরে ফেলতেন , তিনিই হিন্দু, মুস্লিম, নাস্তিক সৃষ্টি করেছেন , তার বোধ বিবেচনা নিশ্চই মানুষের মত না, মানুষের মত প্রতিশোধ পরায়ন তিনি হতে পারেন না , প্রথমে আপনি বলেছেন ঈশ্বর মোটেও বিজ্ঞান সম্মত জিনিশ না আবার কিছুক্ষন পরে বললেন ঈশ্বর থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে , খেয়াল করেছেন!! আপনি এখানে নিজেই নিজের বিপক্ষে বললেন , এটা স্বাভাবিক , মানুষ মাত্রই এরকম হয় আমারও হয়। ঈশ্বর কে মানুষ সৃষ্টি করেনি ,তাই মানুষ ঈশ্বরকে নিজের মত করে দেখতে চায় হোক সে আস্তিক ,মুস্লিম বা নাস্তিক, এখানেই যত সমস্যা ………। এই সমস্যার সমাধান হবে না যদি ঈশ্বর নিজে মানুষ কে কোন কিছু না বলেন(ঈশ্বরের বানি……… কুরান,বাইবেল,বেদ, ইত্তাদি, যদিও এগুলর অনেক কিছুই মানুষ নিজের স্বার্থে পরিবর্তন করে ফেলেছে ) বা কোন ইঙ্গিত দেন । ঈশ্বরের সেই ইঙ্গিত মানুষ কিভাবে বুঝবে তা মানুষই ভাল জানে । ভাল থাকবেন , ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন।
@ফয়সাল,
আপনার যদি মনে হয় যে বিজ্ঞানের ছাত্ররাই একমাত্র স্টান্ডার্ড আর বাকিরা অচ্ছুৎ তাহলে তো আর কিছু বলার থাকে না। সেক্ষেত্রে আমিও পালটা বলতে পারি যে ঈশ্বরকে বোঝার জন্য যদি বাড়তি কোন বিজ্ঞানের দরকার হয়, তবে বিজ্ঞান ছাত্ররা সবাই ধার্মিক হয়ে যেত।
আপনার কথাগুলো ভাল লাগল। ধার্মিক হলে খারাপ কিছু না, আপনি যে ধর্মান্ধ না সেটা জেনে ভাল লাগলো, আর তার সুত্র ধরেই বলতে চাই যে, আপনার যেমন বিশ্বাস করার অধিকার আছে, অন্য কারো সেটা অবিশ্বাস করার অধিকার আছে তাই নয় কি? ঠিক তেমনি অলৌকিক ব্যাপার সাপারগুলো নিয়ে মাথা না ঘামাতে চাইবারও অধিকার থাকা উচিত নয় কি?
এখানে আমি আগেও অনেক ধর্মীয় বিতর্ক দেখেছি যা একসময় প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ব্যক্তি আক্রমনে পর্বসিত হয়েছে, যেটা নিশ্চয়ই আপনার বা আমার অথবা সুরুচি সম্পন্ন কোন মানুষের কাম্য নয়, কি বলেন আপনি?
আসলে ধর্ম নিয়ে আমি এইজন্যেই বিতর্কে অংশ নেই না পারতপক্ষে কারন এতে ব্যাপারটা ব্যক্তিগত বিদ্বেষে রুপ নিতে পারে, যা আমার পছন্দ নয়। আপনার সাথে আমার মতে অমিল থাকতে পারে, কিন্তু আপনাকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমন করা বা বিশেষণে বিশেষায়িত করার ঘোর বিরোধী আমি, আর ধর্মালোচনায় সাধারনত এমন্টাই হয়ে থাকে। আর দেখুন ওপেন ফোরামে আমি আপনি সুস্থ বিতর্ক করতে চাইলেও কিন্তু অনেক সময় সেটা হয়ে উঠে না কারন অন্য অনেকেই চলে আসবে, এদের মধ্যে কেউ কেউ হয়ত ব্যাপারটাকে ব্যক্তি বা জাতি বিদ্বেষের পর্যায়ে নিয়ে যাবে, আর তাই আমি এইসব এড়িয়ে চলি। এখানে আপনার বা আর কারো বিশ্বাস বাতিল করার চেয়ে আমি বরং নিজেদের বিসশ্বাস বা অবিশ্বাস নিজেদের মধ্যে রাখার পক্ষপাতি, তবে সেই বিশ্বাসের ফলে অন্য কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেটাও একটা মানবিক দাবী।
আসলে আমি কি বাদী সেটা আমি জানি না। আমি যা তাকে সম্ভবত সংশয়বাদী বলা হয়। আর আমি নিজে সচেতন ভাবে কোন মানুষকে অফেন্ড করতে চাই না, যদিও হয়ত অবচেতনে করে ফেলতে পারি। আর সচেতন ভাবে কাউকে অফেন্ড করতে চাই না, তাই ধর্ম বিষয়ক বিতর্ক আর বেশিরভাগ লেখা এড়িয়ে চলি ভাই, কারন এইসব লেখাতেই অযথাই মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়।
যেমন দেখেন আপনার সাথে কিন্তু আমি বসে এক কাপ চা খেতে পারি বা ডিনার করতে পারি, কিন্তু যদি ধর্ম নিয়ে কচলাকচলি করি যেখানে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে, আর একটা বন্ধুত্বপুর্ন পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবার আশংকা থাকে।
এই পোষ্টে আমি যেসব রসিকতা করেছি তা কিন্তু নিছকই মজা করে, কারো ধর্ম বিশ্বাস কে আহত করার জন্য না, সেটা আশা রাখি বুঝতে পেরেছেন। তবু আমার কোন রসিকতায় আপনি আহত হলে আমি আন্তরিক ভাবেই দুঃখিত। 🙂
আশা করি আমি আপনাকে বুঝাতে পেরেছি যে কেন আমি বিতর্ক এড়িয়ে যাচ্ছিলাম? কারণটা এইযে, আমি কারো মনে সচেতন ভাবে আঘাত করতে চাইনি কখনও। অবশ্যই সমাপ্ত হোক এটা তবে বন্ধুত্বপুর্ন মন নিয়ে কি বলেন? 🙂
@অর্ফিউস,
তবে মজা ছাড়া যেটুকু অংশ আছে, সেটা কিন্তু সমালোচনা ছিল, যা মোটেও জাতিবিদ্বেষ মুলক নয় আপনি দেখেছেন। আশা করি এটুকু নেবার মত সহনশীলতা আপ্নারো আছে। বিষয়টি পরিষ্কার না করলে অনেকের কাছেই ব্যাপারটা হেঁয়ালির মত শোনাতে পারে। ধন্যবাদ।
জমজমের পানিতে আর্সেনিকের সংবাদ শুনেছিলাম, শুক্রানুর সংবাদ এই প্রথম শুনলাম। অবশ্য এটা দুষন নয়, কুদরত।
ভারতের আজমীর শরিফের খাজা বাবার দরগাহতেও অনেক হিন্দুও মানত করে শুনেছি।
বাটি চালা…জ্বীন চালা……বান মারা…ভুডু বিদ্যা এসব নিয়ে হাঁসাহাসি কিংবা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা উচিত নয়। কারন বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত নয় মানেই মিথ্যা প্রমানিত নয়। বিজ্ঞান এসব কোন বিদ্যাকেই মিথ্যা প্রমান করতে পারেনি। আজ থেকে ৫০০ বছর পর যে বৈজ্ঞানিক ভাবেই এসব প্রমান হবে না কে বলতে পারে? এই অকাট্য যুক্তি অনুধাবন করার পর আমি এসব বিদ্যা খুব সিরিয়াসলি নেই।
ইয়ে মানে আদিল ভাই আপনি মনে হয় অন্ধ বিশ্বাসকে ব্যঙ্গ করার জন্যেই কথাটা বললেন তাই না? আমি কিন্তু আসলেই বুঝতে পারলাম না। মানে বান মারা, ভুডু বিদ্যা বা জ্বীন ভুত এইসব তো আসলেই কাল্পনিক!!
@অর্ফিউস,
না ভাই, আমি এই সমস্ত ব্যাপারে আজকাল খুবই সিরিয়াস। এ সমস্ত বিদ্যার ওপর আমি একই সাথে পূর্ন বিশ্বাস রাখি। বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করতে পারে না কি সমর্থন দেয় তা তা বিজ্ঞানেরই দূর্বলতা ভাই, তবে ৫০০ বছর পর যে পুরো ব্যাখ্যা দিতে পারবে না বিজ্ঞান লাইনের লোক হয়ে তাই বা বলি কিভাবে? তখন আমাকে নিয়ে লোকে হাসি ঠাট্টা করবে না (ধরা যাক আমি আরো ৫০০ বছর বাঁচবো, বিশ্বাসে কিইই না হয়)???
বিজ্ঞান ছাড়াও এ সমস্ত বিদ্যার স্বাক্ষী আছেন বহু বিখ্যাত লোক, তারা কি সকলে মিথ্যা বলেন নাকি?? শুধু ইউটিউবে সামান্য সার্চ দিয়েই দেখুন কত অথেনটিক ভিডিও বার হয়।
্জ্বিন পরি (রেফারেন্সঃ জ্বিন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস), হনুমানের পাহাড় বহন, ঝাড়ফুক, বাটি/চাল চালা এসবে তো বহু আগেই বিশ্বাস এনেছি, এখন আমি সম্প্রতি জানতে পেরেছি যে সনাতন ধর্মাবলম্বিদের বহু বছরের লালিত বিশ্বাস জন্মান্তরবাদও আসলে সত্য (এমনকি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত!)।
প্রকৃত বিজ্ঞান মনষ্ক লোকে কখোনই বিজ্ঞান প্রমান করে না বলে কিছুকে উড়িয়ে দেয় না, সবই একদিন সত্য হতে পারে এ যুক্তিতে যত আজগুবিই বলে মনে হোক না সত্য বলে ধরে নেয়।
এতক্ষনে অরিন্দম কহিলা বিষাদে…. হ আর বুঝতে বাকি নাই রে ভাই আপনার কথার মাজেজা, চালায়া যান, আমি সাথে আছি, তবে আমি কিন্তু এখন থেইকা সর্ব ধর্মে বিশ্বাসী, তাই সৈনিক হবার ইচ্ছা নাই। খালি মার্সেনারী হিসাবে কাজ করার ইচ্ছা আছে, যে মালপানি দিব বেশি, তার ধর্ম প্রচার করব তত বেশি 😀
তবে দেইখেন, সদালাপ কিন্তু আপনারে ইতিমধ্যেই সাপের ওঝা বানায়ে দিছে, দিনে দিনে না জানি কত কি বানায় :hahahee:
হাহাহা বেশ ভাল তালিকা দিয়েছেন ঝুমু :)) । তবে সবচেয়ে মজা লেগেছে খালেদা আর হাসিনাকে বান মারার কথা :hahahee: :hahahee: সত্যি তো এই কাজটা করা গেলেই তো এত রাজনীতির মাঠ গরম হয় না, আর জনতাও মারা যায় না।
আফসোস করে লাভ নাই, আল্লাহর যাকে ইচ্ছা তিনি তাঁকে হিদায়েত দেন, যাকে ইচ্ছা দেন না। প্রমান চান? কোরান খুলে দেখুন 😀 😉
যাক লেখাটা পরে অনেকদিন পর বেশ ভাল লাগল, ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটার জন্য।
তামান্না ঝুমু, এ নিয়ে আফসোস করার কিছু নেই! এই যেমন ধরুন সারাদিনের ক্লান্তি ঘোচাতে আমি মাঝে মাঝে ডকুমন্টারী বা সিনেমা দেখি বা গান শুনি! আর ওরা ওদের ক্লান্তি ঘুচাতে নিজেরাই ওসব করে অভিনেতা-অভিনেত্রী হিসেবে! এও একরকম চিত্ত বিনোদন। নিজের জন্যেও বটে পরের জন্যেতো বলাই বাহুল্য!
@কেশব কুমার অধিকারী,
বিনোদনই বটে। উৎকৃষ্ট মানের বিনোদন।
ডি.এন.এ টেস্ট করে বাপের পরিচয় বের করা যায় তাই না?
বাংলাদেশে ডি.এন.এ টেস্ট কোথায় কোথায় করা যায় আর খরচ কত?
@কাজী রহমান,
ডি এন এ টেস্টের জন্য নিশ্চয়ই কোনো আয়াত বা তাবিক-কবজের ব্যবস্থা আছে। আপনি তো আলেম ও নবী মানুষ। এই ব্যাপারে একটু জানাবেন।
@তামান্না ঝুমু,
তাবিজ টেস্টের মনে হয় দরকার নাই। কোরানে আছে পানি থেকে সকল প্রানের সৃষ্টি।
জমজমে কি আছে? পানি। তা হলে শোনেন:
কোরানের ২১ নম্বর সূরা আল-আন্বিয়া, আয়াত নম্বর ৩০-
কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না? লিঙ্ক:
হলো এখন? কুয়াতে পানি আছে, ঠিক আছে?
ইয়ে, অবশ্য কিছু বেত্বমিজ বদ আছে, তারা নানা ভ্যাজাল সৃষ্টি করে, পন্ডিতি দেখায়। বলে একই কোরানে তো আবার অন্য রকম কথাও আছে। তা হলে কোনটা বিশ্বাস করবো , ইত্যাদি ইত্যাদি। নিচের আয়াত দেখায়:
‘যিনি তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে সুন্দর করেছেন এবং কাদামাটি থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন।’ ( কোরানের ৩২ নম্বর সূরা সেজদাহ, ৭ নম্বর আয়াত) লিঙ্ক
অথবা
সে কি স্খলিত বীর্য ছিল না? অতঃপর সে ছিল রক্তপিন্ড, অতঃপর আল্লাহ তাকে সৃষ্টি করেছেন এবং সুবিন্যস্ত করেছেন। ( কোরানের ৭৫ নম্বর সূরা আল ক্বেয়ামাহ, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর আয়াত) লিঙ্ক
ওরা বলে আসল কথা কোনটা? পানি না কাদামাটি? বীর্য না রক্তপিন্ড ? এই সব নানান বিপজ্জনক কথাবার্তা বলার পর প্রশ্ন করে কোরানে পরস্পর বিরোধী কথা কেন? কোনটা মানবো , ইত্যাদি ইত্যাদি। ওদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। ওরা যুক্তিবাদী। আরে ধর্ম হইলো বিশ্বাসের ব্যপার। পানি না কাদামাটি, বীর্য নাকি রক্তপিন্ড; এত কোথায় কাজ কি? বাচ্চা পয়দা হয়েছে কি না? হইলে দশে দশ। অন্ধকার কামরা আর কে কাকে কি ছোঁয়াছুয়ি; অস্তাগ্ফেরুল্লা, এইসব কি, যত্তোসব। কৌতূহল , যুক্তি, সন্দেহ, প্রশ্ন কিচ্ছু করা যাবে না। ব্যাস।
হও যদি কেউ প্রশ্নকারী, আল্লা-হ পাক রাগবে ভারী
আল ইমরান ষাইট পড়, সংশয় ছেড়ে বিশ্বাস ধর।
যা তোমার পালকর্তা বলেন তাই হচ্ছে যথার্থ সত্য। কাজেই তোমরা সংশয়বাদী হয়ো না। ( কোরানের ৩ নম্বর সূরা আল এমরান, ৬০ নম্বর আয়াত) লিঙ্ক:
এখন থেকে ভালো হয়ে যান। ছেলেদের চেয়ে বেশি বেশি এবাদত করে। নেকবান ব্যাটাছেলেরা ৭২ খান চির যৌবনা হুর, আর বোনাস হিসেবে আরো অনেক কিছু পাবে। আপনারা? নারীরা পাবেন ঘোড়ার ডিম। সোনা রুপার থালায় কিছু ফলটল অবশ্য পাবেন। দেখেন হিজাব নেকাব করে, তেতুল ভাব ছেড়ে আল্লার রহমতে কিছু যদি পান; কে জানে? স্বয়ং নবীপাক বলেছেন যে তিনি নিজে দেখে এসেছেন দোজখে অধিকাংশই নারী আর নারীতে ভরা। তিনিই বলেছেন নারীদের বেশি বেশি এবাদত করতে- (বুখারী ভলিউম ২, বুক ২৪, নম্বর ৫৪১, বাংলায় দ্বিতীয় খণ্ড, জাকাত অধ্যায়, ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের জাকাত প্রদান করা, হজরত আবুসাঈদ খুদরীর বর্ণিত হাদিসখানি) । তবে, মনে রাখবেন; ছেলেরা এই দুনিয়ায় গোটা চারেক, তালাক সিস্টেমে অফুরন্ত আর বেহেশতে; ওই যে; ৭২ খান চির যৌবনা হুর, আর বোনাস।
@কাজী রহমান,
কোরানই সকল বিজ্ঞানের আধার। বেদ্বীন অকৃতজ্ঞ বিজ্ঞানীরা কোরান পড়ে পড়ে সব কিছু জানবে, আবিষ্কার করবে, কিন্তু কৃতিত্ব নেবে নিজেরা। আল্লা কোরানে বলেছেন, পানি থেকে সকল প্রাণের সৃষ্টি। এখনকার বিজ্ঞানীরা কোরান পড়ে নিয়ে তা-ই বলছে। পানিতেই নাকি প্রথম প্রাণের উৎপত্তি।
শুক্রাণু এক ধরনের পানিই তো। মানুষের পানিতে শুক্রাণু থাকবে, আর আল্লার পানি জম জমে শুক্রাণু থাকবে না, তা কীকরে হয়? আল্লা কি এতোই নপুংশক?
@তামান্না ঝুমু,
এবং কাদামাটি থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন।
কাদামাটি=পানি,
বীর্য =পানি
ইত্যাদি=পানি
আরে তাই তো :-s
@কাজী রহমান,
মাটির সাথে পানি মেশালেই তো কাদামাটি হয়,
বীর্য তো পানিই,
ইত্যাদি মানে অন্যান্য রকমের তরল আরকি। তাও তো পানিই।
আরে ভাই
এক্কেবারে তাই।
@কাজী রহমান, কবি ভাইয়া , এইসব কি শুনি? কবি থেকে নবীতে প্রোমোশন পেলেন কবে? 😉
@অর্ফিউস,
কাজী রহমান একজন নবুয়াত প্রাপ্ত কবি। আপনি জানতেন না বুঝি? আল্লা সকল ভাষাভাষীদের জন্য নবী পাঠিয়েছেন। তিনি আমাদের বাংলাভাষী নবী।
@তামান্না ঝুমু, নাহ জানতাম না, সত্যি কবি ভাইয়া নবুয়ত প্রাপ্ত হলে তো মাশাল্লাহ। নবী রসুল দেখার শখ ছিল আমার, এইবার দেখলাম :p . আমার অবশ্য নবী হবার ক্ষমতা নেই,তাই সাহাবি হয়েই থাকা লাগবে।আজ থেকে কাজী ভাইয়ের সাহাবিত্ব গ্রহন করার ইচ্ছা করতেছি, যদি উনি অনুমোদন দেন 😀
@অর্ফিউস,
শোনেন; আমার উপর মাঝে মাঝেই জ্বেনের আসর হয়। আসর হলেই কবি হয়ে যাই। আরো বেশী বেশী ঝকমকে হয়ে যাই। জ্বেনের দেশে নানান রকম জ্বেন আছে। ভালো, মন্দ, কবি, অকবি, হিরো, ভিলেন, হিংসুটে, গুঁফো, মাকুন্দা, গান্জু, ফেবু ইত্যাদি ইত্যাদি। ঐখানে আমার দিন রাত ভালই কাটে। কিন্তু মাঝে মাঝেই এক হিংসুটে মাকুন্দা জ্বেন খুব জ্বালায়। আমার যে এত জ্বিন বান্ধবী তা দেখে ওই মাকুন্দা জ্বেন নানান ভং চং করে আর খালি আঙ্গুর ফল টক আঙ্গুর ফল টক বলে চিৎকার করতে থাকে। যতই বলি গোঁফ রাখো, ঝুলে পড়, কবতে লিখো; সে কিস্যু বোঝেনা, খালি বলে আঙ্গুর ফল টক, আরনা আরনা, আঙ্গুর ফল টক। ওটার যন্ত্রনায় তাই মাঝে মাঝে কবি নবী পাল্টাপাল্টি করি। এই হইলো আসল কথা। ইদানিং শুনছি ফেবুপ্রেমিক হইসে, কবতে লেখা শুরু করসে। বড় শান্তিতে আছি রে ভাই। দেখি কয়দিন তার সেই ভাব থাকে।
হেহেহে এইবার দেখি ফরিদ ভাইয়া এসে আপনাকে কি জবাব দেন,সত্যি তো আপনার মত মহান চ্যাংড়া কবিকে বুড়া বানিয়ে দেয়া উচিত না, এইটা মেনে নেয়া যায় না, 😀 আর তাছাড়া কবিতা লেখায় ( পালটাপালটি) তো কেউই কম যাচ্ছেন না।
বয়স যাই হোক কবি ভাইয়া, মনের বয়স কিন্তু ১৮ ই আছে, না হলে এত্ত সুন্দর রোমান্টিক কবিতা কিভাবে আসে ;-)। আপনার এই মন্তব্য দেখে আবার আপনার শেষ দুটি কবিতা পরে ফেললাম। সত্যি জোস!! (Y)
@অর্ফিউস,
আরে ফরিদ দাদা কিন্তু ভালো ছেলে। এখন সে মিষ্টি মিষ্টি ফুটফুটে কোবতে লিখে বেড়াচ্ছে। খুবই আনন্দে আছে। মাঝে মাঝে একটু আধটু ইয়ে, মানে ইয়ে করে ফেলে আরকি; কিন্তু ওটা সে করে জ্বেনের আসর হলে :))
@কাজী রহমান,কবিজী ( নবীজি :-p), অবশই ফরিদ ভাইয়া অতি ভাল মানুষ,এটা সজ্জন মাত্রেই স্বীকার করবেন। মাশাল্লাহ আপনেও ভালা মানুষ, খারাপ না( কবিতায় একটু ইতং বিতং করে বটে, কিন্তু একটু খুনসুটি ছাড়া আবার কবিতা জমে না;-) , তবে যদি জ্বেনে ধরলে সমস্যা আছে, এতে শরিল খারাপ হইবে। আপনারে আসলে পরি ধরনের দরকার আছে বোজ্জেন কবি ভাইয়া?এতে আপনের কবিতায় আর কেউ কিচ্ছু কইতে পারত না, জ্বেনে ধরলেও না) এইবার সমস্যা হইল যে জ্বেনে না ধরার উপায় খান কি? এইডা আধুনিক জ্বেন,আয়াতুল কুরসীতে কাম হইত না। আপনে অর থেইক্কা আদিল কুরসী বা দাওয়া ই আদিল মাহমুদ এইসব জিনিস করেন ( এইসব জিনিসের মাজেজা সদালাপে পাবেন ইনশাল্লাহ, সেখানে আপনে নিজেও এক চক্রান্ত কারী হিসাবেই চিহ্নিত :-p )। আপনেও কি কানাডা থাকেন? তাইলে তো আদিল হুজুররে সহজেই পাইবেন,যান ঝাড়ফুক দিয়া আসেন গিয়া, এতে আর জ্বেন না ধইরা পরী ধরবে নে।
বি দ্র. আমি আঞ্চলিক ভাষা ভাল কইতারী না, তয় মাঝে মইদ্ধ্যে শখ হয় ;-D , এইজন্যেই মেলা খিচুরি ফাকাই হেলিছচি, হারলে( পারলে) মোরে ক্ষমাসুন্দর চক্ষে দেখিবেন।
তবে কবিজী, পরি ধরলে এইডার যদি কুনো পার্শপ্রতিক্রিয়া আসে আপনার পরিবারের মানে আমাদের ভাবীর, কাছ থেকে, সেইডার জন্য কিন্তু আমি দায়ী না, কাজেই পরি ধরানোর ইচ্ছা থাকলে নিজের রিস্ককে কাজটা করা লাগবে :))
@কাজী রহমান,
এইখানে বুদ্ধিজীবি সাজার ফক্করি ফরফরানি করে কোনো ফায়দা নাই। ফিকির করে ফোকর বের করে ফেসবুকে আসেন। ফল পাবেন ফটাফট। ফেসবুক ইজ ফান। ফুটফুটে ফিমেলদের সাথে ফষ্টিনষ্টি করে ফাটাফাটি ফুর্তির সময় কাটানো যায়। ফড়ফড় করে মন্তব্য করবেন, হড়হড় করে লাইক পাবেন। ফুল বিলোবেন, ফল পাবেন সাথে সাথেই।
@ফরিদ আহমেদ,
তাই তো কই, তাই তো কই ঘটনা কি। যাই কও দাদা; ইয়ে মানে ফষ্টিনষ্টির টোপ টা কিন্তু মোক্ষম হইসে। এইবার মনে হয় গোঁফ ছাড়াই ৩৩ দেওয়া যায়। ফিলিম বানাইবা, কোবতে লিখবা, নস্টালজিয়া ছাইবা; ভালো, কিন্তু ধরা খাইও না। তখন কিন্তু আরনা আরনা আর করুম না আরনা, এইসব কয়া পার পাবা না। যাকগা, খোমাখাতার রাস্তা খুইজ্যা পাইলেই ইন হয়া যামু।
গুড পরামর্শ দিসো হেল্লেগা (^) (তুমি তো আবার পানের কদর বুঝো না, হেপ্পি কেকই নাইলে খাও)
@কাজী রহমান,
ব্লগগুলো এখন বার্ধক্যগ্রস্থ, বিগত যৌবনা। ফেসবুকই ফিউচার। ফেসবুক ইজ দ্য বেস্ট ফান। ফুল্লকুসুমদের সাথে ফ্লার্টিং করার দারুণ জায়গায়। আগে যে কেন বুঝি নাই। আফসোস!!! সময় থাকতে সুদ্বুদ্ধি জাগান সদ্বংশজাত সরাবি কবি। পরে নইলে পস্তাবেন।
আমি ফেসবুকে কী আকাম-কুকাম করি, আপনি জানেন কেমনে? আপনারতো ফেসবুক আইডি নাই। ভাবির একাউন্ট থেকে যে ঢোকেন, এটা কিন্তু ঠিক না। বউ দেখে তাঁরে প্রাইভেসি দিবেন না, এই সমস্ত মধ্যযুগীয় বর্বরতা পরিহার করুন।
@ফরিদ আহমেদ,
আমি ফেসবুকে কী আকাম-কুকাম করি, আপনি জানেন কেমনে?
@কাজী রহমান,
ভাবীদের? কয়টা বুলবুলি পাখি পোষেণ আপনি? :-s
@ফরিদ আহমেদ,
জানি তো জানি তো নব্য ফুলকবি ফরিদ এখন সোজা কথা ব্যাঁকা কইরালাইবা। চাপ্লিসে চান্স নিবা। হিসাব দ্যাহো দাদা:
ইহজগতে একখান।
জ্বেনজগতে অনেকখান।
জ্বেনজগতে কাইত হয়া, আউলা হয়া দুই একখান কোবতে লিখি, তাতেও কি হিংসা, ফরিদ নিজেই এখন ফুলকবি।
দাদারে মহিলা জ্বেনের জ্বালায় অস্থির আছি, আমার কোন বদ জ্বেন লাগব না। এই (^) খাও, ক্ষ্যান্ত দাও, ছাইড়া দাও কাইন্দা বাঁচি :-X
কুসংস্কারের তালিকাটি ভালই লাগল। এ তো চলছে এবং আরও বহু বছর চলবেও………
@গীতা দাস,
এর চলা শেষ হবে কিনা কে জানে। কুসংস্কারে অনেক আমেরিকানও কম যায় না। প্রায় রাস্তার পাশে হাত গণনার সাইন বোর্ড দেখা যায়। কারো কারো একমাত্র পেশাই হচ্ছে মানুষের হাত গণনা। অনেক পত্রিকা ও ইন্ডিয়ান টিভি চ্যানেলগুলোতে পীর ও সৌভাগ্য পাথরের বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়।
@তামান্না ঝুমু,
যারা আমেরিকাতে এইসব বিশ্বাস করে তারা কি আসলেই বিশ্বাস করে, নাকি খালি খালি হুজুগের মাথায় এইসব বিশ্বাস করে থাকে?? এত উন্নত দেশেও তাহলে এই জিনিস আছে, জেনে বিস্মিত হচ্ছি!!
@অর্ফিউস,
মানুষে গণনা করাই বলেই তো গণকদের ব্যবসা চলে। এখানে বিভিন্ন ধর্মের উপাসনালয়ের সংখ্যা ও এদের জৌলুসের মাত্রা অনুন্নত দেশগুলির চেয়ে অনেক বেশি। মাদ্রাসাও আছে অনেক। হিজাব নেকাবের ভয়াবহতা দেশেও এতো দেখিনি। মুছলিম উম্মাহর নাম দেশে থাকতে কখনও শুনিনি। এখানে এসে আমাকে হিজাবের শিকার হতে হয়েছিল, এবং মুছলিম উম্মাহর মিটিঙেও যেতে হয়েছিল।
@তামান্না ঝুমু,
এইটা কোন সমস্যা না। দেশে ছিলেন প্রথম দিকে, পরে গেছেন প্রবাসে। ভবিষ্যতে অপেক্ষা করেন আরো কিছু শুনবেন।
দুঃখ পাবেন না, এইটাকে ফ্যাশন হিসাবে নিন, কারন বাংলাদেশের যা অবস্থা এতে আরো অনেক কিছুর শিকার আমরা হব।তাই ফ্যাশন হিসাবে নিলে দুঃখ কম লাগে।
অতীতে আমাদের দেশে আধুনিক পোশাক হিসাবে মোটামুটি মধ্যবিত্ত মেয়েরাও জিন্স ফতুয়া পরতেন, কেউ কেউ বাকা চোখে তাকালেও খুব বেশি প্রতিক্রিয়া হত না। ওয়াজ মাহফিলের জোয়ারে এইটা ধীরে ধীরে বোরকার দিকে ডাইভার্ট হয়ে গেল। এইবার আবার না ঘরের মধ্যেও মহিলাদের বোরকা পরার আইন জারি হয়।
দিন যাবে অন্য সবাই আধুনিক হবে ( সব ক্ষেত্রে চিন্তা চেতনা, ব্যক্তি স্বাধীনতা সব ক্ষেত্রে) দ্রুত অথবা আস্তে ধীরে, আর আমরা দ্রুত বা ধীরে হলেও পেছন দিকে পিছাতে থাকব ইনশাল্লাহ। এইটা আমাদের ( মুসলিম , আরো ভাল করে বললে বাঙ্গালী মুসলিমদের) ইউনিক বৈশিষ্ট্য ।
অনেকে কিন্তু ফ্যাশন করে তাবলীগে যায়, ধরে নিন এটা তেমন 🙂 আর ওইযে বললাম ভবিষ্যতের কথা ভেবে সব ফ্যাশনেই তৈরি থাকা লাগবে, যেমন পুরুষের জন্য আস্তে আস্তে লম্বা দাড়ি রাখার ফ্যাশন :-p
জমজমের পানি পান করবে মুখ দিয়ে যাবে মূত্রথলিতে আর বাচ্চা হবে গৰ্ভাশয়ে !!! :clap
কোরানিক সাইন্সের এই অগ্রগতি দেখে আমি অবাক। তারপরেও কেন যে মানুষ ইসলাম ধৰ্ম গ্রহন করে না, বুঝি না ! :-X
@তারিক,
সবই কুদরতের খেলা। কুদরতে বিশ্বাস স্থাপন করুন।
@তারিক ভাই, হুহু, এইসব আপনি বুঝবেন না। এইসব বুঝতে হলে আগে ভাল করে কোরান পড়ে বোঝা লাগে, আর কোরান বুঝতে হলে রাতদিন জাকির বাবার পিস টিভি দেখা লাগে, সেইসব দেখেন? না দেখেন না, কাজেই আপনার ইহকাল উজ্জ্বল হলেই পরকাল অন্ধকার :))
@অর্ফিউস,
পরকালই হলো আসল কাল। ইহকাল তার জন্য পরীক্ষাক্ষেত্র। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য জ্ঞানের তাবিজ পরুন এবং বাসায় ও মসজিদে মিলাদ-মাহফিল দিন। পাস করিবেন ইনশাল্লাহ।
@তামান্না ঝুমু, পাস করতেই হবে। দেখেন না আজকাল কিসব মিরাকল শুরু হয়েছে।
এই যে দেখেন
ইনি নতুন যুগাবতার বলেই মনে হচ্ছে। নাহ তারিক ভাই যাই করেন করুন, আমি আর আপনাদের সাথে তাল দিয়ে পরকাল হারাতে পারব না, তৌবা করে আসব ভাবছি হুজুরের কাছ থেকে । অবশ্য নিশ্চিত বেহশত গমনের জন্য একাধিক ধর্ম পালনের পরিকল্পনা আছে আর কি, একটা না লাগলে আরেকটা আপ্নাকেও এই সর্ব ধর্মের দাওয়াত দিয়ে গেলাম 😀
@অর্ফিউস,
দাওয়াত কবুল। খানা-পিনার ব্যবস্থা কেমন?
আজ থেকে আমরা হিন্দু, মুছলিম, জৈন, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, শিখ আরও দশ বিশ হাজার যা যা ধর্ম- অধর্ম আছে সব কিছুরই গর্বিত অনুসারী।
@তামান্না ঝুমু,
শুকুর আলহামদুলিল্লাহ। 🙂
দুনিয়াতে বেশি খানাপিনার ব্যবস্থা নাই, সব পাবেন আখেরাতে। 😀 দুনিয়ার এই শস্যক্ষেত্রে চাষবাস করবেন আখেরাতের জন্য। দুনিয়াদারির চিন্তাকরা গুনাহের কাজ। সব তাঁর উপর ছেড়ে দিন। অবশ্য তিনি যদি আপনাকে তাঁর মার্সেনারি হিসাবে কিছু বেতন দেন তবে আলাদা কথা। জেনে হয়ত যে আজকাল তিনি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়ে মার্সেনারী নিয়োগ করছেন।
নমঃ নমঃ , আমেন আমেন, সুম্মা আমীন :p । তবে কথায় কি আর চিড়া ভিজবে? আপনার একটা নৈতিক দায়িত্ব এড়িয়ে গেলে চলবে কেন?এই নতুন সর্ব ধর্মের জন্য একটা সুরা নাজিল করলে কেমন হয়? এইটা আপনাকে করতে হবে, এইটা আমার মত লোকের দ্বারা হবে না।
পড়ুন, জানেন হয়ত যে আজকাল তিনি (আল্লাহ)
@অর্ফিউস,
সূরা লেখা কোনো ব্যাপার হলো? দেখুন কিছুটা টিপস দিয়ে দিচ্ছি আপনাকে ফ্রীতে। যেমন, গরুতে চ’ড়ে আসমানে গিয়েছি, উটে চ’ড়ে পাতালে গিয়েছি। গুহার ভিতরে প্রমোদ ভ্রমণে গিয়েছি, ইত্যাদি একটু জ্বরে কাঁপা কাঁপা ভাব নিয়ে বলে দিলেই তো কালজয়ী সূরা হয়ে গেল।
@তামান্না ঝুমু,
:hahahee: :hahahee: :hahahee:
@অর্ফিউস ভাই ,
প্রথমে দেখেন কোরানে সূরা মারইয়াম(১৯) এর ২০ ও ২১ নং আয়াতে বলা আছে সঙ্গী বিহীন সন্তান ধারন সম্ভব !! সুতরাং জান্নাতের ভিসা চাইলে ঐ সন্ন্যাসিনীর ঘটনাকে অবৈঙ্গানিক বলে অবিশ্বাস করা যাবে না !!! :-s
আবার অন্যদিকে দেখেন সূরা আল আন-আম(৬) এর ১০১ নং আয়াতে বলা হয়েছে সঙ্গী বিহীন সন্তান ধারন অসম্ভব !!
কোরানের স্ট্যান্ড ক্লিয়ার না, আমি কনফিউজড ! :-X
কোরানের স্ববিরোধীতার আরও একটা নমুনা ! :-O
@তারিক ভাই, কোরানের স্ট্যান্ডে আমার মনে হয় যে যুক্তিসম্পন্ন মানুষরা সব্বাই কনফিউজড 😉 । বাইবেল বা কোরানের রগরগে আয়াত আপাতত বাদ দিলেও কোরানের যে পরিমান স্ববিরোধিতা আছে যেটা আপনি বাইবেলের পুরাতন নিয়মে পাবেন না। ( অবশ্য নতুন নিয়ম কে টেনে আনলে আবার দুই নিয়মই একেঅপ্রকে বাতিল করে দেয়। কিন্তু কোরান যে এদিকে দিয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে। এক সুরার দাবী আরেক সুরাতে সম্পুর্ন অস্বীকার করার মহান কৃতিত্ব একমাত্র কোরানেই আছে।
শুনেন ভাইয়া, রসিকতার সুত্র ধরে বললে বলতে হয় যে এইসব আল্লাহর হুকুমে হয়। কিন্তু সিরিয়ায় হয়ে আলোচনা করতে গেলে এই নিয়ে শুধু একটা জিনিসই বলার থাকে আর তা হল জাকির নায়েক সম্ভবত মুসলিমদের মধ্যে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় প্রতারক আর ভন্ড।
এই লোকের মত এত সাফল্যের সাথে মনে হয় না কেউ আগে ভন্ডামী করতে পেরেছে। একজন এম বি বি এস ডাক্তার হয়ে সে স্রেফ ইসলাম সাধারন মানুষের কাছে বেচে দেখেন দিয়ে আজ নিজের জন্য ১০টা বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পোষার ক্ষমতা রাখে এই লোক।
পীস টিভি আমি দেখি না , অবশ্য শুনি যে এতে নাকি বিজ্ঞাপন দেয়া হয় না। যেখানে বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে না সেখানে পিস টিভি চলে কিভাবে সারাক্ষন ধর্মগান করে? বুঝতেই পারেন যে পিস টিভি কাদের টাকায় চলে।
এছাড়াও দেখবেন যদি কোন দেশ পিস টিভির পিছনে টাকা নাও ঢালে, তবু শুধুমাত্র ভক্তদের পকেট কেটে যাকির নায়েক আরো কয়েকটা পিস টিভি খুলতে পারে। কাজেই যেখানে এই ব্যক্তি ইসলাম প্রচারের নামে কিছু চাতুর্য পুর্ন বক্তব্য দিয়ে, অমুসলিমদের সাথে তর্কের সময়ে কোরানের এইখানে থেকে একটা, আর তারপরে মাঝখানের সব বাদ দিয়ে আরেক আয়াত থেকে আরেকটা অংশ যেভাবে চালনা করে, মুসলিমরা এমনকি করান খুলেও দেখে না যে জাকির আসলে কি করছে। বাংলাদেশীদের আরেকটা স্বভাব আছে যে রাস্তায়ও যদি কোন আরবী লেখা দেখে, সেটা তুলে নিয়ে চুমু খাবে, সেইটা কোরানের আয়াত কিনা যাচাই করবে না। আপনি আরবিতে ইরোটক কবিতা লিখে ফেলে রাখেন, দেখবেন না বুঝেই কিভাবে তাজিমের সাথে চুমু খেয়ে সযত্নে তুলে রাখবে।
এই শ্রেনীর মানুষরা হল জাকির নায়েকের মুরীদ। আর এইরকম একলব্য শ্রেনীর মুরিদ আসলে নিজেদের এবং সারা দুনিয়ার জন্য ক্ষতি ছাড়া কিছুই করতে পারবে না।
এখানে কোমল মতি শিশু কি ভাবল না ভাবল সেটা কিছুই না। যা ইসলাম দ্বারা সিদ্ধ সবই ভাল কাজ, আর যা ইসলামের বাইরে তার সবই খারাপ এইরকম ২য় শ্রেনীর মনোভাব নিয়ে যারা চলাফেরা করে এদের কাছে কোন জাকির নায়েকের বর্জ্যঅ ভাল লাগবে, কারন সেটা ইসলামিক বর্জ্য। কোন জানি হাদিসে পরেছিলাম ( মনে নেই) যে এক সাহাবী বলতেছে যে হুজুরের থুতু মোবারক। এইটা কি কোন কথা হল বলেন? যদি নবীজির
থুতুকে এত তাজিমের সাথে গদগদ ভঙ্গীতে উচ্চারন করা হয়, তবে এদের কাছ থেকে ভাল কিছু আশা করা যায় না।
সুখের বিষয় যে আজকাল অনেক মুসলিম এইটা কোরানে নাই, ওটার অন্য ব্যখ্যা হবে এইসব বলে পিছলে যান, তবে এতে করেও যদি বিকৃত জিনিসগুলির কিছুটা কমে যায় এটাও বাড়তি বোনাস।
@অর্ফিউস,
পিস টিভিতে জোকার নায়েক প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় দান-খয়রাত আর জাকাতের টাকা চেয়ে বিশ্ব মুসলিমদের কাছে ইসলামিক স্টাইলে আবেদন জানায়। আপনার ধারনাও যৌক্তিক যে পিস টিভি/জোকার নায়েক এর অৰ্থের সোৰ্স টা নিয়ে অনেক সন্দেহ আছে। আর পিস টিভিতে আমি পিস মোবাইলের বিজ্ঞাপন দিতে দেখেছি !!! 😛
[img]http://androidurdu.com/wp-content/uploads/2013/07/Peace-Tv-Mobile-Phone.png[/img]
একমত। আসলেই এই জোকার নায়েক খুবই চালাকির আশ্রয় নিয়ে মানুষকে বোকা বানায়। এর ভক্তগুলোর বেশির ভাগই সহজসরল প্রকৃতির(এদের কোরানের ভিতরে কি লেখা আছে কোন ধারনা নাই!) তাই তারা জোকারের চালাকি ধরতে পারে না।
@তারিক ভাইয়া দারুন খবর দিয়েছেন , তাহলে জোকার এইরকম খয়রাতী টাকায় চলে? আর সবাই কিনা নিজেদের কষ্টার্জিত টাকা এইভাবে জলে ঢালে? হায়রে দুনিয়া, এর থেকে যদি না খেয়ে থাকা লোকের জন্য কিছু করত, তবে অনেক লোক বেঁচে যেত। কিন্তু কি আর করা, সবাই যে প্রোগ্রামড হয়ে গেছে শিশু কাল থেকেই।
@অর্ফিউস,
না দাদা এসব না করলেও বিশ্বাস করা যায়, যেমন আমি করি। ইয়ে আমি হলাম গিয়ে, টিমবাকটু বা কামস্কাটকার (কোথাকার ছাই ভুলে গেছি) ফাদার এল কে নাথ (মতান্তরে বাবা লোকনাথ ) ইউনিভার্সিটি থেকে বাটিচালানে ডক্টরেট। :rotfl:
@অজয় রাউত, মাশাল্লা দাদা তাহলে এইবার আমাদের একটু বাটিচালনা শিখায়ে দেন, এই মন্দার জামান্য় টুপাইস কামানো যাবে উপরি হিসাবে:-p । বিনিময় আপনি লাভের কিছু বখরা পাবেন ইহকালে।তবে পরকালের কথা কিছু বলতে পারি না, কারন আমার নিজের কপালেই পরকালে কি আছে সেটা আমার কাছে পরিষ্কার না। হাবিয়া দোজখ না হলেও তার কাছাকাছি সিট বুক করা আছে মনে হয় 😉 ।
@অর্ফিউস ভাই,
জোকার নায়েকের পিস টিভিতে দেখেছি কিছু শিশুকে দিয়ে ধৰ্মপ্রচার ও কোরানের আয়াতের ব্যাক্ষা প্রচার করা হয়। আমি চিন্তা করি ঐসব শিশু যখন কোরানের বহু আয়াত(যেমন: বিবাহ বহির্ভুত যৌনসম্পর্ক, পরকীয়া, যুদ্ধবন্দীনিদের ধর্ষন, বহুবিবাহ,…ইত্যাদি ) পড়ে এবং সেগুলো জনসমক্ষে ব্যাক্ষা করে তখন তাদের শিশু মনে এসব আয়াতের কি প্রভাব পরে ??
বেহেশত নামক ঐ যৌনপল্লীতে অনন্ত কাল শুধু একটার পর একটা যৌনকৰ্ম করে যাওয়া !! এই ব্যাপার চিন্তা করলে আর বেহেশতে যাওয়ার ইচ্ছা হয় না … 🙁
ভাইজান, এতো বড় কারন লাগে না। বেহেশতে এইযে অনন্ত জীবন, এইটাই বেহেশতে না যেতে চাওয়ার জন্য যথেষ্ট। তবে এতে আপনার আপত্তি না থাকলে খৃস্টানী বেহেশ্ত বেছে নিতে পারেন। যতদুর জানি যে ওইখানে সেক্সের কোন ব্যবস্থা নেই। দুনিয়াতেও ঈশ্বরকে পাবার সবচেয়ে বড় উপায় হল কৌমার্য্য। অথবা মনাস্টেরী জীবন যাপন করেন। বেহেশ্তে গিয়ে সোজা ঈশ্বরের পায়ের কাছে বসে তার গুণগান করেন। ইসলাম তো তবু কিছু লোভ দেখিয়েছে, এদিক দিয়ে অন্যরা আরো নিরস।
আর ইসলামের এই রসের কারনেই মনে হয় মানুষ এত উগ্র, হাজারহোক ৭২টা উদ্ভিন্ন যৌবনা চিরকুমারী নারী ( সেক্সের পরেও আবার কুমারী হয়ে যাবে) , সাথে উপরি পাওনা হিসাবে দুনিয়ার বউ ( যদি সে দোজখ বাসী না হয়), নাহ আমি এইসব ত্যাগ তিতিক্ষার মধ্যে নেই, আমি চার্বাক দর্শনে বিশ্বাসী মোটা মাথার মানুষ, আমি সুখেই বাঁচতে চাই দুনিয়া আর আখিরাতে :hahahee:
জমজমের পানিতে শুক্রাণু আছে, তা কোনদিন শুনিনি।
তবে একটা কথা আজ মাথায় ঢুকছে, ইসলামিক জ্ঞানহীন মানুষরা,মনগড়া কিছু কর্মকাণ্ড করে ইসলামের সমালোচক তথা নাস্তিকদের সমালোচনার বিষয় বানিয়েদেয়।
বি:দ্র: উপরোল্লিখিত ধারনা বা বিশ্বাস গুলো ইসলাম সমর্থন করেনা
ভাই, উপরোল্লিখিত বিষয় গুলি কোরান সমর্থন করে না।