“Murad takla jukti dia bal, falti pic dicos kan! Lakapora koira kata bal,”
এটার বাংলায় অনুবাদ করতে গিয়ে মন্তব্যে দুজনকে দিয়ে অনুবাদ করে দেখা গেলো:
অনুবাদ ১ঃ মুরাদ টাকলা যুক্তি দিয়া বাল, ফালতি পিক দিকস ক্যান? লাকাপড়া কইরা কাটা বাল।
অনুবাদ ২: মুরোদ থাকলে যুক্তি দিয়ে বল। ফালতু পিক দিছস ক্যান? লেখাপড়া কইরা কথা বল।
জয়ন্ত কুমেরের সেই উক্তি বাঙলা অনলাইন জগতকে চিরতরে বদলে দিবে কে ভেবেছিল? কে ভেবেছিল সেই উক্তি এতো বিখ্যাত হবে?

আসছে ফেব্রুয়ারী আমাদের বাঙালী জাতির গর্বের মাস, আমাদের ভাষার মাস। বাঙালীর পরে একমাত্র আসাম এবং ত্রিপুরার সংগ্রামী জনতাই শুধু ভাষার জন্য আন্দোলন করে রক্ত দিয়েছে। ভালোবাসা বলি আর দুর্বলতা বলি, আমাদের মায়ের ভাষা, আমাদের নিজের ভাষার জন্য মনে আমাদের জায়গা থাকাটা স্বাভাবিক। আমরা চেষ্টা করে যাই ভালোভাবে বাঙলা শিখতে।

কিন্তু বর্তমানে সাইনবোর্ডে, বিলবোর্ডে, পরীক্ষার খাতায় এবং সর্বশেষ অনলাইন জগতে বাঙলা ভাষা বিকৃতকারীদের দৌরাত্ম্য খুব বেশিমাত্রায় লক্ষ করা যাচ্ছে। অসচেতনতা নাকি শিক্ষার অভাব নাকি স্বেচ্ছায় করা হয় এগুলো সেটা তাদের উপরেই ছেড়ে দেয়া উচিত। আমি একটু কড়া ভাষায় বলছি রীতিমতো বাংলাভাষাকে ধর্ষণের প্রতিযোগিতায় নেমেছে একেকজন অনলাইনে এবং অফ্লাইনে।

বছরখানেক আগে জয়ন্ত কুমেরের সেই উক্তি নিয়ে মুরাদ টাকলার উপরে ভিত্তি করেনামে ফেসবুকে একটি পেইজ খোলা হয় এবং নিয়মিত সেই পেইজে স্ক্রীনশট দিয়ে বাঙলাভাষার বারোটা বাজানো ব্যক্তিবিশেষ নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করে। শুধু হাসি-ঠাট্টাতে পেইজটি সীমাবদ্ধ না থেকে হাসির ছলে মানুষকে সচেতন করে দেয়াই মূল লক্ষ্য ছিল।

শুধু যে ভাষার বিকৃতিতে এই ব্যাপারগুলো অনেকক্ষেত্রে অশ্লীলতার পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। যেমন কেউ যদি লেখ, “amar dick thick assay” তাহলে লক্ষণীয় dick thick এর বাঙলা মানে কি দাঁড়ায়? পেইজে কিছু ট্রল পাওয়া যায়, একনজরে দুইটা দেখে আসি-

অথবা কিছু টাকলা এভাবে বলে থাকে, “‘I lik u. u lik me. give nambar. i col u…’ ”
আরো বিনোদন তো বাকিই আছে-
যেমন প্রেমিক প্রেমিকাকে চুড়ি দিয়েও শান্তি পায় না-

বিশিষ্ট হেফাজতি-জামাতির ফাঁসি চাওয়া-

অথবা এরমানে তো অভিজ্ঞ মুরাদ টাকলার এডমিনেরাও বের করতে ব্যর্থ হয়

একটু দেখে আসি এডমি ভাইরাসদের

অনেকে এড না করলে নাস্তিক ঘোষণা দেয়ার হুমকিও দেয়-

শেষ করার আগে একটা সাইনবোর্ড দিয়ে যাই

বেশি লেখালেখি করে আপনাদের বিরক্ত করতে চাইনা। বাঙলাভাষার বিক্রিটি রোধে শুধু একটি পেইজ যথেষ্ট না সেটা আমি জানি, আপনি জানেন এবং আমরা সবাই জানি। সবাই নিজ উদ্যোগে ভালোবেসেই বাংলাভাষার বিপর্যয় রোধে কাজ করতে পারি। ব্যক্তিগতভাবে আমরা কিছু তো করতেই পারি।