আপনারা হয়তো সবাই অবগত আছেন যে, দেশে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা মাত্রাতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সহিংসতাগুলোর কোনটি রাজনৈতিক, কোন কোনটি আবার খুব নগ্নভাবেই সাম্প্রদায়িকবিদ্বেষপ্রসূত। আমি কোন বিশ্লেষণে না গিয়ে বিগত কয়েকদিনে ঘটা কেবল গুটিকয় ঘটনা নমুনা স্বরূপ তুলে ধরছি।
১। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় নিহত ৬
- দোহায় (ঢাকার অদূরে) ৩ * দিনাজপুরে ২ * নোয়াখালিতে ১
- ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী দেশব্যাপী সহিংসতা চলছে তীব্রভাবে। দোহায় জাতীয় পার্টি ও আ’লীগের সমর্থকদের মধ্যে দিনভর সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ৩ জন ও আহত হয়েছে ১৫ জন। মৃত ব্যক্তিরা হলেন: মকবুল হোসেন (৩২), মাসুদ খন্দকার (৩০) ও খুরশিদ আলম (৩৫)। আহতদের মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
- নোয়াখালীতে সংঘর্ষে নিহত ১ জন, আর জেলার নানা স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে ভাঙচুর ও লুটপাট চলেছে।
২। সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস
- দিনাজপুরে হিন্দু বাড়িঘরে হামলা লুট আর আগুন
নির্বাচনের পর দিনাজপুরে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোটদানে অংশ নেবার অপরাধে জামাত-শিবির ও বিএনপির সশস্ত্র ক্যাডাররা দিনাজপুর সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়নের একটি গ্রামে (কর্নাই ) হিন্দু সম্প্রদায়ের শতাধিক বাড়ি, অর্ধ শতাধিক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে।এই তাণ্ডবে সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন চরম আতঙ্কে। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে তাদের অনেকেই অনাহারে-অর্ধাহারে দিন অতিবাহিত করছেন। নিরাপত্তার অভাবে অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন।
দিনাজপুর সদর উপজেলার ১নং চেহেলগাজী ইউনিয়নের কর্নাই গ্রামটি (হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে) মূলত সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রাম। ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনে এসব সংখ্যালঘু পরিবার যাতে ভোটকেন্দ্রে না যায়, এ নিয়ে বেশ কয়দিন ধরেই সংখ্যালঘু পরিবারগুলোকে জামাত-শিবির ও বিএনপির সশস্ত্র ক্যাডাররা হুমকি দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই আতঙ্ক বিরাজ করছিল গ্রামটিতে।
কর্নাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে আসা পরিবারগুলোর ওপর প্রথম বিকেল ৩ টার দিকে হামলা চালানো হয়। ভোট গণনার পরপরই নির্বাচন বিরোধী প্রায় ১ হাজার লোক লাটিসেটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঐ গ্রামের ৫টি পাড়ায় সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর শুরু করে হামলা। সাড়ে ৩ ঘন্টাব্যাপী চলে এ তাণ্ডবলীলা।সন্ত্রাসীরা কর্নাই গ্রামের সাহাপাড়া, প্রিতমপাড়া, প্রফুলপাড়া, তেলিপাড়া ও অজয় পাড়ায় দফায় দফায় ছালাতে থাকে সন্ত্রাসী হামলা।গভীর রাত পর্যন্ত হামলা চালিয়ে ঐ এলাকার ৪ শতাধিক বাড়ি, অর্ধশতাধিক দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে। সর্বস্ব হারিয়ে এসব পরিবারের আহাজারিতে গোটা এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। নারীদের সম্ভ্রমহানি করা হয়েছে কেউই তা মুখ ফুটে বলছেন না।
৮০ বছর বয়সী স্বরবালা জানালেন, তার শতবর্ষী স্বামী তরুণী কান্তকে হামলার সময় থেকে সারা রাত খুঁজে পান নি। তবে গতকাল সকালে খুঁজে পান। তিনি জানান, তার ২ পুত্রবধূ, ৩ মেয়ে সারারাত নির্জন বাঁশঝোপে লুকিয়ে ছিল। আরেক বর্ষীয়ান মহিলা পূর্ণিমা বালা (৭৫) জানান,
‘হামরা নৌকায় যতবার ভোট দিছু ততবারই হামার ভাগ্যত এমনটা হছে।হামরা তবে কুইঠে যাম?’
এ ব্যাপারে তারা অভিযোগ করে বলেন, হামলা শুরুর সঙ্গে প্রশাসনকে জানিয়েও কোন সহযোগিতা তারা পান নি।গতকাল সাংসদ ইকবাল রহিম সহ প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। হামলার শিকার হয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা হচ্ছেন:- জগৎচন্দ্র রায় (তার কম্পিউটার দোকান লুটপাট ও ভাঙচুর হয়), নুরু ইসলামের চায়ের দোকান লুটপাট ও ভাঙচুর, ডা. মাহফুজের ওষুধের দোকান লুটপাট ও ভাঙচুর, মো শাহিনুর আলির চায়ের দোকান লুটপাট ও ভাঙচুর, কার্তিক শীলের সেলুন চায়ের দোকান লুটপাট ও ভাঙচুর, জেপাই রায়ের পানের দোকান লুটপাট ও ভাঙচুর, লিখন চন্দ্র রায়ের মুদর দোকান লুটপাট ও ভাঙচুর, বিষ্ণু চন্দ্র রায়ের কম্পিউটার দোকান লুটপাট ও ভাঙচুর, শ্যামল চন্দ্র রায়ের মোবাইলের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট, লিটন চন্দ্র রায়ের ওষুধের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট, সুজন শীলের সেলুন ভাঙচুর ও লুটপাট, কার্তিক চন্দ্র রায়ের ওষুধের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট, নকুল চন্দ্র রায়ের মুদি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট, মহাদেব শীলের মুদি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট, দেবেন্দ্র চন্দ্র রায়ের পান স্টোর ভাঙচুর ও লুটপাট, ডা. রাজকুমার রায়ের ওষুধের দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট, কৈলাস চন্দ্র রায়ের মুদি দোকান ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ, বিকালূ চন্দ্র রায়ের টেইলার্স ভাঙচুর, ও লুটপাট, আমল বানিয়ার জুয়েলার্স ভাঙচুর, মুনিরাম রায়ের পানস্টোর লুটপাট ও ভাঙচুর, রতন শীলের সেলুন লুটপাট ও ভাঙচুর, প্রমথ‘র মিষ্টি ও ভাতের দোকান লুটপাট ও ভাঙচুর, সত্যেন্দ্র নাথের কাচা মালের দোকান লুটপাট ও ভাঙচুর, সুলতান আলির কাচা মালের দোকান লুটপাট ও ভাঙচুর, বাংগুরু রায়ের মুদির দোকান লুটপাট ও ভাঙচুর, দলেন রায়ের পানস্টোর লুটপাট ও ভাঙচুর এবং ডা. লিটন রায়ের ওষুধের দোকান লুটপাট ও ভাঙচুর । (সূত্র: সংবাদ ০৭/০১/১৪)
এই গ্রামটিকে আমি বিলক্ষণ চিনি সেই আমার ছোট বেলা থেকেই। অনেকবার গেছি। দিনাজপুর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে দার্জিলিং রোডের ওপরই ইতিহাস প্রসিদ্ধ চেহেল গাজীর মাজার। ইতিহাসের চাইতে অবশ্য কিংবদন্তী ও জনশ্রুতিই প্রাধান্য পেয়েছে। যেমন নাম থেকেই শুরু করা যাক। মাজারের ভেতরে লাল শালুকে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণে যে বিশাল কবরটি দৃষ্ট হয় সেটি নাকি দৈর্ঘ্যে ৪০ হাত, কেই কোনদিন মেপে দেখেছেন কিনা জানিনা। অনেকে বলেন যে গাজী এখানে শায়িত তিনি নাকি ৪০ হাত লম্বা বুজরুক বা আউলিয়া ছিলেন। আবার অন্য মত হলো এখানে ৪০জন গাজিকে একসাথে কবর দেয়া হয়েছিল তাই এর নাম চেহেল গাজী। এই গাজী নাকি এখানকার হিন্দুরাজা গোপাল রায়কে যুদ্ধে পরাজিত ও নিধন করেছিলেন।যুদ্ধ অনেকদিন চলেছিল, আর গোপাল ছিলেন অসম সাহসী যোদ্ধা সহজে পরাজয় মানেন নি। জনশ্রুতি হলো গাজী অবশেষে ছলনার আশ্রয় নিয়ে গোপাল কে নিহত করেন। যুদ্ধে পীর সাহেবও মারাত্মকভাবে ক্ষত বিক্ষত হয়েছিলেন, আর এতেই তিনি মৃত্যু বরণ করেন। ৪০ হাত দীর্ঘ গাজীকে এখানেই সমাহিত করা হয়। ছোট বেলায় দেখেছি স্থানটি অরণ্যবেষ্টিত বেশ, ভয় ভয় করতো; মহররমের সময় এখানে একটি মেলা বসত। লোকে বলত কাহরার মেলা, মনে হয়, ’কাহরা’ কালবালার স্থানীয় উচ্চারণ। ছোট বেলায় শুনেছি মাজারটিকে লোকে বলত ‘শিয়াল গাজী’। ইসলামাইজেশনের ফলে এটি দাঁড়ায় চেহেল গাজী। চেহেল অর্থ চল্লিশ।
চেহেল গাজী স্থানটি বস্তুত একটি শিব মন্দিরের – মূল মাজার থেকে সামান্য উত্তর দিকে একটি শিব মন্দিরের অস্তিত্ব সেদিনও ছিল। সামনে একটি ছোট দিঘী। এই চেহেল গাজী মাজারের পশ্চিমে কিছু দূরেই আমাদের আলোচ্য হিন্দু অধ্যুষিত কর্ণাই গ্রাম।গ্রামটির পাশ দিয়ে বয়ে ঘেছে ছোট্ট একটি ক্যানাল- পূর্ব্ পশ্চিমে বহমান।খালের উত্তর পাড়ে অবস্থিত উচ্চভূমি সরকারের খাস জমি। এই জমির ওপরই বিহারী ও কিছু স্থানীয় মুসলিম জনের বাস। এদের সাথে প্রায়শ খালের ওপারে বাসরত হিন্দু এলাকার পরিবারগুলোর সংহাত হয়। আমার মনে আছে একবার উচ্চভূমির মুসলমানরা হিন্দুদের একটি কালী মন্দির ভেঙে দিয়েছিল।সেসময় আমি ও আমার কিছু বন্ধু ঐ এলাকায় গিয়েছিলাম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে।প্রশাসনও আমাদের সহায়তা করেছিলো – আমাদের সাথে দিয়েছিল একটি আনসার ও পুলিশ ফোর্স।তাই কর্ণাইয়ে সাম্প্রদায়িকতা নতুন নয়।এখন সংযোজিত হয়েছে জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী – অশিক্ষিত বর্বর। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হয় দুর্বল বা এ্যাকশনে যেতে অনীহ। পরিস্থিতি তাই ভয়াবহ।তাই আমাকে বার বার উচ্চারণ করতে হয়:
কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে, বাঁশি সংগীতহারা,
অমাবস্যার কারা
লুপ্ত করেছে আমার ভুবন দুঃস্বপনের তলে।…
- অভয় নগরে মালোপাড়ায় তাণ্ডব
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় চেঙ্গুটিয়া মালোপাড়ায় নির্বাচনে ভোট দেয়ার কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের অর্ধশত বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয় জামাত-শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা।তাণ্ডবের শিকার এসব হিন্দু পরিবার এখন গ্রাম ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ দেয়াপাড়া গ্রামে। গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন যশোরের ডিসি মোস্তাফিজুর রহমান এসপি জয়দেব ভদ্র।
স্থানীয় সুত্র থেকে জানা গেছে হামলার শিকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন গত রোববার (৫/১/১৪) চাঁপাতলা আলিম মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যায়। এ সময় ঐ এলাকার আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে কিছু লোক বাধা দেয়। তখন তারা মালোপাড়ার বিশ্বনাথ সরকার ও ম্যামল সরকারকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।এ ঘটনার পরদিন রোববার বিকেলে জামাত-শিবিরের ক্যাডাররা উপজেলার চেঙ্গুটিয়া এলাকার চাপাতলা মালোপাড়া এলাকায় হামলা চালায়। তবে গ্রামবাসীদের প্রতিরোধের মুখে তারা পালিয়ে যায়। পরে রাতে কয়েকশ ক্যাডার সংঘবদ্ধ হয়ে ঐ গ্রামে ফের হামলা চারায়। হাতবোমার বিস্ফোরণ ও ভাঙচুরে আতঙ্কিত হয়ে এলাকার সব নারী-পুরুষ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। ক্যাডাররা অর্ধশত বাড়িঘরে হামলা চালায়। ১০-১২টিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। আতঙ্কিত গ্রামবাসী ভৈরব নদী পার হয়ে দক্ষিণ দেয়াপাড়া গ্রামে আশ্রয় নেয়। খবর পেয়ে গতকাল সোমবার (৬/১/১৪) যশোরের ডিসি ও এসপি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেখানে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২’শ কম্বল বিলি করা হয়েছে। যশোরের সহকারী এসপি রেশমা শারমিন জানিয়েছেন যে জামাত-শিবিরের ক্যাডাররা ঐ গ্রামসমুহে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর লুটপাট করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২’শ নারী-পুরুষ। (সূত্র: সংবাদ: ০৭/০১/১৪)
আর বাংলাদেশেও নির্বাচন পরবর্তী সাম্প্রদায়িক নির্যাতন নতুন নয়। তাই যারা এইবারের সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের মধ্যে ভারত-আ’লীগের যৌথ ষড়যন্ত্র খুঁজে বেড়াচ্ছেন, তারা হয়ত বাংলাদেশে বাস করেন না। এবং খোঁজ রাখেন না ইতিহাস-ঐতিহ্যের!!!
বিষয়টি নিয়ে এই বয়সে কষ্ট করে কলম ধরবার জন্য স্যারকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!
স্যার, সশ্রদ্ধ প্রনাম রইলো। এইযে তান্ডব, এর কারণ কি? ৬০/৭০ বছর আগে যে দাঙ্গা হতো তার একটা কারণ হয়তো ছিলো। কিন্তু আজতো এ অঞ্চলের মানুষ অপেক্ষাকৃত বেশী শিক্ষিত। তাহলে? মূল কারণকি রাজনৈতিক ধর্ম? বা রাজনীতির ধার্মিকীকরণ? তা যদি নাই হবে তবে এরকম পরিস্থিতিতে রাষ্ট্র নির্বিকার থাকে কি করে? আজকের বিডি নিউজ ২৪ ডট কম এ অধ্যাপক জাফর ইকবালেরও এই লেখাতে তিনি তরুন প্রজন্মের কাছে আশ্রয় চাইছেন বিষয়টি নিয়ে। তাহলে কি বলতে হবে যে আমরা দিন দিন পিছিয়ে পরছি নিদারুন ভাবে? এই উগ্রতা থেকে বের হবার উপায় কি? শুধু এদেশের হিন্দু সম্প্রদায় নয়, বৌদ্ধ, খৃষ্টিান এবং উপজাতীয় নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী গুলোও বছরের পর বছর নিদারুন নির্যাতনের শিকার। এখনই কিছু একটা করা দরকার। আমার মনে হয়, দেশের বিবেক হিসেবে আপনাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে আজকের তরুণ প্রজন্মকে আগামীর দরজায় পৌঁছাবার প্রত্যয়ে।
স্যার, আমি হলপ করে বলতে পারি বাংলাদেশে কন দিন হিন্দুদের উপর এই ধরনের পাশবিক আত্যাচার বন্ধ হবে না যতদিন না কন শক্ত আইন চালু হয়। শুধু আইন না, সংগে তার কঠর প্রয়গ। এবং এটাও সত্য কন সরকার এটা কন দিন করবেও না।
বাংলাদেশে হিন্দুদের যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হবে। তার যন্যে আগে যেটা চাই তা হল
১) বাংলাদেশি হিন্দুদের পঃ বাংলা মুখি না হওয়া
২) জনবল যা হিন্দুদের নাই । তাই প্রয়জন হিন্দুদের জন বিসফড়ন ঠিক যেমনটি করছে পঃ বাংলার মুসল্মানেরা।
৩) তার পর চাই অনেক রাজনইতিক ব্যক্তি ঠিক যেমন পঃ বাংলায় প্রত্যেক পার্টিতে আসংখ্য মুসল্মান MLA, MP, Minister আছে।
স্যারকে সর্নিবন্ধ অনুরোধ করছি হিন্দুদের উপর নির্বাচনোত্তর সহিংসতার বিচারের জন্য বর্তমান সরকারের সাথে লবি করতে।