টিভিতে দেখলাম ভোটের দিন রাতে অভয়নগরে হিন্দুরা বাঁচার জন্য অন্ধকারে নদীতে ঝাপ দিয়েছে। দিনাজপুরে এক প্রাইমারি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র বানিয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছে বেশ কিছু হিন্দু পরিবার। আভয়নগরের এক বৃদ্ধ দেখলাম ঘটনা বর্ণনা করছে এভাবে “শালা মালাউনের বাচ্চা, বলে দিছে ঘায়”। এক মহিলা দেখলাম বলছে আমাদের বর্ডারে দিয়ে আসেন।সাঈদীর রায়ের পর থেকে যে কত হিন্দু বাড়ি পোড়ানো তার কোন হিসাব নেই। নোয়াখালি,চট্টগ্রাম, খুলনা, পাবনা,লালমনিরহাট, যশোর,বরিশাল মোটামুটি সব জয়গাতেই হামলা হয়েছে।তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা বোধহয় সাতক্ষীরার হিন্দুদের।
কাদের মোল্লার ফাঁসির রাতে আমাদের থানার নতুন বাজারের হিন্দুদের দোকান গুলোতে বেছে বেছে হামলা করা হয়, এক কসমেটিকস দোকান ভাঙচুর করে সারা রাস্তায় ছড়িতে ছিটেয়ে রাখা হয় ঐ দোকানের যত মেরিল পেট্রোলিয়াম জেলি, যে কসমেটিকসটি দোকান ভাঙচুর করা হয় তার পাশেই ছিল এক হুজুরের হারবাল ওষুধের দোকান, হামকারীরা ঐ দোকানের দরজাও ভাঙে, তবে ভেতরে ঢুকে বোধহয় ভূল বুঝতে পারে, তাই কোন রকম ভাঙচুর করেনি, ঐ হুজুরের দোকানের শুধু দরজাই ভাঙ্গা হয়েছিল আর কোন ক্ষতি তারা করে নি। এছাড়া তারা কয়েকটি দোকান পুড়িয়ে দেয়। অনেক হিন্দুরে বলতে শুনি তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না, কারণ প্রতিবার একটা করে রায় হয় আর তাদের উপর অত্যাচার শুরু হয়।
এমনিতেই এদেশের হিন্দুদের মাঝে এক ধরণের ভারত ম্যানিয়া কাজ করে,সেই পালে হাওয়া লাগাবে এই সহিংসতা।তবে অনেকে হিন্দুদের ইচ্ছে থাকলেও ভারতে যাতে পারছে না ,কারণ হিন্দুদের জমি জমা এখন কেউ কিনছে না।সবাই অপেক্ষায় আছে চলে গেলেই দখল করে নেবে,সেই সুযোগের।তারপরও প্রতিদিন মানুষ ভারতে চলে যাচ্ছে,যারা পাসপোর্টে যাচ্ছে তারও আর ফিরছে না।অনেকেই ভারতে সবকিছু ঠিকঠাক করে রেখেছে, শুধু অপেক্ষা করছে দেশের পরিস্তিতি একটু হওয়ার।
বিভিন্ন পরিসংখ্যান হিন্দুদের সংখ্যার ব্যাপারে যে হিসাব দেয় তা খুবই আশংকাজনক।
উইকির এই হিসাব মতে ১৯৪১ এ ২৮%,৬১তে ১৮%, ৭৪এ ১৩%,৯১এ ১০%,০১এ ৯.২% এবং ১১তে ৮.২% বা তার চেয়ে কম হিন্দু জনসংখ্যা আছে। বর্তমানে হিসাব করলে কি ফিগার আসবে জানি না কিন্তু এই হারে কমতে থকালে বিলুপ্ত হতে বেশী দিন লাগবে না।
এদেশের হিন্দুদের প্রায়ই বলতে শুনি “ভাই আমি হিন্দু মানুষ, ভিড়ের মধ্যে যাব না।”এদেশে হিন্দুরা সবসময় কেমন যেন ভয়ে ভয়ে থাকে,কখন কি হয়ে যায়। অনেকে অপরিচিত এলাকার রাস্তা ঘাটে নিজের হিন্দু পরিচয় দিতে চায় না, হোটেল ঢুকে সচেতন ভাবেই জলকে পানি বলে। স্বাধীন দেশে এভাবে নিজের পরিচয় গোপন করতে চাওয়া নিঃসন্দেহে বেদনাদায়ক।
কিছু রোমান্টিক মানুষরা অবশ্য বলেন এটা নাকি সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির দেশ। কিসের সম্প্রতি, কিসের আম্লিগ, কিসের বিম্পি – হিন্দুদের জমি দখলের সময় এদের একতার শেষ নেই। কেউ কেউ বলে নির্বাচনী সহিংসতা,কেউ বলে আম্লিগরে ভোট দেয় বলে,এসব না বরং, এক বিশেষ চেতনায় বলিয়ান হয়ে কিছু লোক এসব কাজ করে আর কিছু চালাক এই সুযোগে লুটপাট করতে থাকে। এদেশের চোর ডাকাতরাও সহজ টার্গেট হিসেবে বেছে নেয় কোন হিন্দু বাড়ি বা দোকান। কেন শুধু শুধু বাড়তি রিক্স নেবে।এরা যে শুধু টাকা পয়সা লুটে তাই না সাথে আরও কিছু লুটে নিয়ে যায়।
জানি না ভারতে চলে যাওয়াই একমাত্র সমাধান কিনা, এত লোক ভারতে গিয়ে খাবেই বা কি করে!
আমি এক হিন্দু ভদ্রোলোককে চিনতাম যিনি তার ভিটে বাড়ি বেচে দিয়ে ভারতে চলে গিয়েছিলেন,উনি মাঝেমধ্যে তার আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে আসতেন। উনি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এক কলা বাগানে দাঁড়িতে থাকতেন, যে বাগানটা এক সময় তার নিজের ছিল।
নিষ্ঠুর এই দেশে জন্মানোর জন্য হিন্দুদের হৃদয়ের মৃত্যু হয়ে গেছে অনেক আগেই,বাকী ছিল শুধু শারীরিক মৃত্যু,তার ব্যাবস্থাও পাকাপাকীভাবে করা হয়ে গেল।
হিন্দু বাড়ী ঘর পোড়ানোর খরব শুনতে শুনতে এখন যেন সব সয়ে গেছে, দেখেও কোন অনুভূতি হয় না, যেন ওরা কারও বন্ধু না, যেন ওরা কারও বাবা না, যেন ওরা কারও সন্তান না,যেন ওরা কোন মানুষ না, যেন ওরা শুধুই মালাউন।
মানুষ শুধু মানুষের জন্যই হোক, কেটে যাক সাম্প্রদায়িক বিভেদের দেয়াল!
তেব্র আওয়ামী সমর্থক কেউ কেউ প্যান্ট খুলে ফেলছেন… আশা করি শর্টপ্যান্ট খুলবেননা… জাঙ্গিয়ার কথা নাইবা বললাম……
ত্বকী হত্যাকান্ড এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উপর রামুর সাম্প্রদায়িক আক্রমণে পর শুরুতেই সবাই পৃ কন্সিভড প্রেজুডিস ভাবনায় না জেনেই চোখ বন্ধ করে ট্যাগ লাগিয়ে দিয়েছিলেন…… এজন্য ক্ষমাও চেয়েছেন কেউ কেউ পরে…… এই মুক্তমনাতেই……
দেশে এখন অতি নীচ রাজনীতির মচ্ছব চলছে…… যে কেউ যা ইচ্ছা সুবিধে নিতে পারে…… সাম্প্রতিক হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে যে সাম্প্রদায়িক আক্রমণ হয়েছে এটা আসলে কারা করেছে ??? কি উদ্দেশ্য করেছে ???
Some attackers seen with Tuku
সাঁথিয়ায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুকুর আত্মীয়কে ‘জিজ্ঞাসাবাদ’
সিপিবি-বাসদের পর্যবেক্ষণ
‘সাঁথিয়ায় হিন্দুদের ওপর হামলা ছিল টুকুর প্রশ্রয়ে’
বরিশালে মন্দির ও বাড়িতে আগুন দেয় ছাত্রলীগকর্মীরা!
মনিরামপুরে আতঙ্কে সংখ্যালঘুরা, নির্বিকার পুলিশ
অভয় নগরে জামাতের সঙ্গে ছিল পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরাও
যারাই এই হীন কাজ করে সেই দোষীদের ধরে আবশ্যই বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে… কিন্তু আদও হবে…… সর্ষের মধ্যই যদি ভূত থাকে!!
[img]http://archive.thedailystar.net/beta2/wp-content/uploads/2013/11/Attack-on-Hindus.jpg[/img]
মাঝে মাঝে ছবিই কথা বলে…
@সংবাদিকা, ছবি কিন্তু এডিটও করা যায়, কাজেই ছবি বা ভিডিওর কথায় বেশি ভরসা না রাখাই মনে হয় ভাল 🙂
জামা কাপড় খোলাখুলি না হয় এই মুক্ত মনাতে আমরা নাইবা করলাম, প্লিজ।
সত্যি। আর এজন্যই ওরা আরও বেশি করে হিন্দু মারে, যেন হিন্দুরা একসময় সাক্ষ্য দেয়া তো দূরের কথা, বরং নিজেরাই বিচার বন্ধের দাবী জানাতে বাধ্য হয়।
অতীতে এভাবেই দখল হয়েছে। এটা খুব স্বাভাবিক যে, চোরেরাও তাদের সোনালী অতীত থেকেই শিক্ষা নেবে।
ঠিক। লুটেরা ভাই ভাই।
ঐ যে দিদি বলেছেন, জন্মই বোধহয় আজন্ম পাপ!
বিঃ দ্রঃ প্রথম ছবিটি দেখে চোখের পানি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে যায়! এমনই দুর্ভাগা দেশ আমাদের, এ নিয়ে উচ্চকিত হওয়ারও সুযোগ নেই! সাম্প্রদায়িক বিষ সর্বত্র!
@কাজি মামুন,
কি আর বলল বলেন,পৃথিবী খুব নিষ্ঠুর জায়গা।
বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গেও সাম্প্রদায়িকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাইরে সেরকম কোন লক্ষ্যন দেখা না গেলেও, অনেকেই মনে মনে ভেবে রাখছেন কিভাবে এর শোধ তোলা যায়। এতে ইন্ধন প্রদান করছে একশ্রেণীর বঙ্গজ আঁতেলের নিরবতা (যারা প্যালেস্তাইন, সিরিয়া নিয়ে কলকাতা অচল করেন)। এখানে রীতিই হল সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের খবর যথাসম্ভব চেপে যাওয়া, যাতে দাঙ্গা না ছড়াতে পারে। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হচ্ছে। আসলে পুরো দক্ষীণ এশিয়াই সংকটের দোরগোড়ায়। লগারিদমিক হারে উগ্রবাদ বাড়ছে।
@ধ্রুব,
একটা ভাল পয়েন্ট বলেছেন।ভারতের মানুষ এবং সরকারের উচিত হবে কোন ভাবেই যেন এই সাম্প্রদায়িকতার রেশ ওখানে না পড়ে,সেই চেষ্টা করা।
যখন সয়ং রাষ্ট্র(পাকিস্থান) এইদেশকে সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিনত করতে চেয়েছিল তখন বাঙ্গালীরা যুদ্ধ করেছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য এবং স্বাধীনতা লাভ করেছে সেই ১৯৭১ সালে, কিন্তু বাঙ্গালীদের কি ভাগ্য চিন্তা করেন এই ২০১৪ সালে এসেও একটা অসাম্প্রদায়িক দেশ পেল না !!!
@তারিক ভাই,
গুগল বাংলাস্তান লিখে সার্চ দিয়ে একটা মজার জিনিস পেয়েছি। জনসংখ্যা : আনুমানিক ১৪ কোটি (বিধর্মী ও নাস্তিক নিধন কর্মসূচির পর) সময় করে একবার দেখে আসবেন। আমার মনে হয় যে ২০৭০ সাল লাগবে না, তার আগেই এই জিনিস দেখা যাবে।
@অর্ফিউস, ভাই লিংক গিয়ে বুঝলাম আমার আশংকা সত্য হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। ;-(
বৰ্তমানে যেভাবে বাংলাদেশে আরব সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসন শুরু হয়েছে আসলেই ২০৭০ সাল লাগবে না এর আগেই বাংলাদেশ, ইসলামী প্রজাতন্ত্র বাংলাস্তান-এ রুপান্তরিত হবে। আর “জয় বাংলা” রুপান্তরিত হয়ে হবে “আল্লাহু আকবর“। :-X
@তারিক ভাই,
প্রায়তো হয়ে গেছেই। দেখেন না ধর্ম নিরপেক্ষ দলও কিভাবে ধর্ম নিরপেক্ষতা ছেড়ে ধর্মের খোলসে আশ্রয় নিচ্ছে। গতবার শেখ হাসিনার শরিয়া আইনে বিচারের হুমকি মনে আছে না? উনি নিজে বুঝতে শুরু করেছেন যে বেশিরভাগ মানুষ শরিয়া ভক্ত( অবশ্যই শরিয়ার প্রকৃত মাজেজা না বুঝে), আর তাই ভোট পেতে হলে শরিয়াপ্রীতি মোটামুটি ফরজ।
তবে এই প্রীতি যদি রাজনৈতিক কৌশল হয় আর পরে সত্যি এরা ভাল কিছু করতে পারে, তবে আশা রাখি ভয়ের তেমন কারন নেই।
@অর্ফিউস ভাই,
‘৭৫ পরবৰ্তী সময় হতে যেভাবে বাংলাদেশকে ইসলামীকরন করা হয়েছে কিংবা বাঙ্গালি জাতীয়তা বোধে উদ্বদ্ধু হয়ে স্বাধীনতা অৰ্জন করা বাঙ্গালিদের যেভাবে ৰ্ধমান্ধ করা হয়েছে তার প্রভাব অবশ্যই রাজনীতিতে পরেছে। সাম্প্রতিক সময়ের একটা উদাহরন :
হেফাজতের ৫ই মে’র ঐ সমাবেশের পর শেখ হাসিনা মদিনা সনদে দেশ চালাবেন বলে বক্তব্য দেন, যার ফলস্রুতিতে অনেক সেক্যুলারিস্ট উনার উপর ক্ষুদ্ধ হন। আমাকে অনেকে জিজ্ঞাসা করেছিল, উনি কি আসলেই মদিনা সনদে দেশ চালানোর চিন্তা করেছিলেন? না চালালে কেন উনি ঐ বক্তব্য দিয়েছিলেন?
এই বিষয়ে আমার বক্তব্য ছিল: হেফাজতের ৰ্ধমান্ধরা যখন বিম্পি জামাতের ফান্ডিংয়ে আলতু-ফালতু দাবী নিয়ে এক বিশাল সমাবেশ করে এবং ঐ সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগকে নাস্তিকদের দল ঘোষনা করে, তখন সংখ্যাগোরিষ্ঠ মুসলিম দেশের সেক্যুলার দল আওয়ামী লীগ কিভাবে বিম্পি জামাতের এই রাজনৈতিক চাল মোকাবেলা করবে ???
আওয়ামী লীগের সামনে দুইটি উপায় ছিল ,
১) নিজেদের দলকে নাস্তিকদের দল হিসেবে মেনে নিয়ে মুসলিম বাঙ্গালিদের সৰ্মথন হারানো, অথবা
২) মুসলিমেরা যেই ভাষা বুঝে সেই ভাষায় কথা বলা এবং মদিনা সনদের অসাম্প্রদায়িক দিক বিবেচনা করে এই উদাহরন জনসমক্ষে তুলে ধরা। (I)
মূলকথা: ৰ্ধম নিয়ে রাজনীতি করা বিম্পি-জামাতের রাজনৈতিক চালের জবাব আওয়ামী লীগকে ঐ ধরনের রাজনীতি করেই দিতে হবে। :-Y
@তারিক,
তখনও সম্প্রদায়িকতা ছিল,তখনও বেছে বেছে হিন্দুদের হত্যা,হিন্দু বাড়ী আগুন দেওয়া এসব চলতো।তবে তখন মনেহয় এদের মধ্যে বাঙালিত্ত একটু বেশী ছিল।কিন্তু এখনকার বৈশ্বিক ট্রেন্ড ভিন্ন।সারা বিশ্বে ইসলামীকরনের যে জোয়ার শুরু হয়েছে তাতে এদেশের মানুষ ভীষণই কাতর।
@প্রাক্তন আঁধারে,
বাঙ্গালীদের বিৰ্বতনের টাইমলাইন,
বাঙ্গালি(৭৫ পূৰ্ববৰ্তী সময়ে) >> বাঙ্গালি মুসলিম(৭৫ পরবৰ্তী সময়ে) >> মুসলিম বাঙ্গালি(বৰ্তমান অবস্থা) >> মুসলিম(আগামীতে 😕 )।
শুধু এই দেশ না মুসলিম সংখ্যাগোরিষ্ঠ সবদেশেই একই অবস্থা। বুঝেন না অন্য ৰ্ধমগুলোর তুলনায় নতুন ৰ্ধম, তাই ইসলাম একটু বেশী লাফালাফি করছে !! :-O
@তারিক ভাই,
লাফালাফি থাকবে না। খালি ইসলামকে বৃহত্তম ধর্মে পরিনত হতে দিন ( অবশ্যই উচ্চজন্ম হার দিয়ে), তারপর যখন ভাবা হবে যে আল্লাহর দ্বীন পরিপুর্নতা পেয়েছে,তারপর অভাব অনটন বাড়তে দিন, আর আরবের তেল ফুরাতে দিন, তারপর দেখবেন মজা। আমার জীবদ্দশাতে এই জিনিস দেখলে খুব খুশি হব আমি। খ্রিষ্টান ধর্মও কিন্তু নির্বিষ হবার আগে লাফালাফির চুড়ান্ত সীমায় চলে গেছিল, আর তারপরেই আস্তে আস্তে পতন শুরু হয় খ্রিষ্ট ধর্মগুরুদের। ইসলামেরও সামনে এই দিন আসছে। ইতিহাস সাক্ষী, যারা যত বেশি লাফায় তাদের লাফানি থেমে যায় তত দ্রুত 😛
@অর্ফিউস,
চরম সত্য। সহমত। (Y)
যে দেশের বেশীরভাগ মানুষই হয় নিরক্ষর অথবা অপশিক্ষায় শিক্ষিত , সে দেশে গনতন্ত্র রাখা নিরাপদ নয়। বাংলাদেশে যারা গণতন্ত্রের জন্য কান্না কাটি করেন , তারা আবার ভেবে দেখুন। সত্যিকারের গনতন্ত্র যদি বাংলাদেশে কায়েম হয় , তাহলে ঐ সংখ্যাগুরু নিরক্ষর অথবা অপশিক্ষায় শিক্ষিতদের শাসনই কায়েম হবে এবং তারা সকলেই মালাউন শব্দটি ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। সত্যিকারের গনতন্ত্র কায়েম করে সব ‘মালাউনদের’ এরা নরকে পাঠিয়ে দেবে। গনতন্ত্র বলে কথা !
@সংশপ্তক ভাই, তাহলে কি করা উচিত বলে আপনি মনে করেন? এই দেশে কি সৎ যোগ্য ( বর্তমানের গণতন্ত্রের চেয়ে ভাল) একনায়ক খুঁজে পাওয়া সম্ভব? আমি কেন জানি এ নিয়েও ভরসা পাই না। সন্দেহ আর অবিশ্বাস এই পর্যায়ে চলে গেছে আমার। সরকার এখন কি করছে এটা মাথায় আসছে না। সংখ্যা লঘুদের নিরাপত্তা এমন জোরদার করা দরকার যেন আর এইসব অমাননিক ঘটনা না ঘটে।
হিটলারের বিরুদ্ধে পশ্চিমারা খুবই সোচ্চার। কিন্তু ইয়াহিয়া খান আর তার জারজ সন্তান রাজাকার দের জন্য এদের দরদ দেখে মনে হয় যে এরা আসলেই সুবিধাবাদী শয়তান ছাড়া আর কিছু না। না হলে এরা যদি নিরপেক্ষ ভাবে একটু খতিয়ে দেখত, তবে বুঝতো যে হিটলারের চেয়ে মানুষ মারার রেট এদের বেশি।
পার্থক্য হল হিটলারের ইহুদী বিদ্বেষ, আর পাকি জারজ এবং তার বাংলাদেশী জারজ সন্তানদের ( রাজাকার) হিন্দু বিদ্বেষ!
@অর্ফিউস,
বাস্তববাদী হতে হবে। আমার মতে, সেনাবাহিনী আওয়ামী লীগকে সামনে রেখে দেশ চালনার যে ছক ২০০৮ সালে তৈরী করেছিল , দেশ এখন মোটামুটি সেভাবেই এগুচ্ছে। এর মাঝে ছোট বড় ভুল ভ্রান্তি যা হয়েছে , তা এবার শোধরানো হবে। দেখতে থাকুন। আর ক্যাপিটাল হিলে লবিং করে, নিউ ইয়র্ক টাইমস অথবা বিদেশী পত্রিকায় প্রবন্ধ লিখে সরকার বদলানোর যুগ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।
তবে, যদি মনে করেন যে , গনতন্ত্র কোন ধর্ম কিংবা ঐশী বাণী , তাহলে আমার আর বলার কিছু নেই। যষ্মিন দেশে যদাচার।
@সংশপ্তক ভাই,
নারে ভাই, সেই যুগ শেষ। পেটে ভাত না থাকলে আর জীবনের নিরাপত্তা না থাকলে ধার্মিক মানুষ নামাজ রোজা ছেড়ে কাজ কর্ম খোঁজায় বা ওভার টাইম করার জন্য ব্যাস্ত হয়ে পড়ে, সেখানে ধর্মানুভুতির মত ভয়াবহ জিনিসের চেয়ে গনতান্ত্রনুভুতি একেবারেই নস্যি। দেশে যা শুরু হয়েছে তাতে এখন যেকোন মুল্যে নিরাপদ জীবনের গ্যারান্টি সহকারে শান্তিতে খেয়েপরে বাচতে চাই, গনতন্ত্র ধুয়ে কি পানি খাব?
গণতন্ত্র দিয়ে আর যাই হোক পেট ভরে না যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হরতাল আর অবরোধ দিয়ে দেশ কে অচল করে দেয়া হয়। অন্যদের কথা জানি না তবে আমি হাড়ে হাড়ে এই কয়মাসে টের পেয়েছি যে গণতান্ত্রিক ভাবে দেশ অচল করার ফল কি হয়। আর কিছুদিন এভাবে চলতে থাকলে ছোট ও মাঝারী ব্যবসাগুলো মোটামুটি লাটে উঠে যাবে। এইটা তো আর প্রবাসী সুশীলরা টের পাবে না কারন মনে হয়
” চির সুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে
কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে কভু আশীবিষে দংশেনি যারে”
আমাদের দেশের সুশীলদের হয়েছে এই দশা। যারা প্রবাসী জাতীয়তাবাদী সুশীল তাদের পক্ষে পশ্চিমা দেশে থেকে মোটা বেতন পেয়ে এইসব বুলি দেয়া খুবই সোজা, কিন্তু বাস্তবতাটা যে কতখানি কঠিন, তা বুঝা ততটাই শক্ত।
গুলি বা পেট্রোল বোমা খাবার আশংকা সারাক্ষণ থাকলে এই রোমান্টিসজম আর থাকবে না, আর গনহত্যা কে ইলেকশন ঠিক করার যুদ্ধ বলেও রায় দেয়া যাবে না।
একটা সময়ে এক মন্তব্যে আমি বলেছিলাম যে সেনাবাহিনী অপদার্থ, এদের খালি বসিয়ে রেখে খাওয়ানো হচ্ছে, আজ বাস্তবতার চড়টা কষে খাবার পরে আমি আমার এই বক্তব্য থেকে পুরা সরে গিয়েছি। ৫ মে তে হেফাজতি তান্ডবের পরেই এই ধারনা পাল্টাতে শুরু করেছিল, এখন এক্কেবারে চলে গেছে।
র্যাব বিজিবি আর আর্মী তে যে কি তফাৎ এইবার বুঝতে পেরেছি ভাই।না হলে আর্মী দেখেই আমার এলাকার রাজনৈতিক মারামারি প্রায় থেমে গেছে কেন? কোন জামাত শিবির কে আর প্রকাশ্যে দেখি না কেন? কথা হল যে মানুষ শক্তে ভক্ত। আজ মনে হচ্ছে যে আরো আর্মী নামিয়ে জামাতকে একেবারে নির্মুল করে দিলেই মনে হয় আমরা বেচে যাই।
আপনাকে ভাই অনেক আন্তরিক ধন্যবাদ যে আপনার সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সেনাবাহিনী সম্পর্কে অনেক উন্নাসিক মনোভাব বদলাতে পেরেছি,বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর রোল টা বুঝতে পেরেছি খুব ভাল ভাবেই। আর সাথে বাস্তবতার ঠ্যালা তো আছেই। আগে অসভ্য জাতিকে সভ্য করা আর তারপরে গণতন্ত্রে চিন্তা, সোজা কথায় নিয়মিত ভাতের ( জান মালের নিরাপত্তা) ব্যবস্থা না করে আমি আর চায়ের ( গণতন্ত্র) চিন্তার পক্ষপাতি না।
@সংশপ্তক,
এজন্য সার্ভিসে কিছু lifer প্রয়োজন।
@সংশপ্তক,
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্য গভীর ভাবে দেখা প্রয়োজন।আপনি যে অধিকাংশ মানুষের কথা বলেছেন তারা নিজেরাই ঠিকমত বুঝে না গণতন্ত্র কি জিনিস।তবে রোম্যানটিক দের কথা ভিন্ন।এই রোম্যানটিকদের একটা সুবিধা আছে,এরা সব সময় তথা কথিত আফিম গণতন্ত্রের চারনভূমি থেকে সুবিধাজনক এবং নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে।আর তাদের রোম্যানটিকতার ফল ভোগ করেতে হয় অন্য কাউকে।
@প্রাক্তন আঁধারে,
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ সম্পর্কে হেয় করা এই কথাগুলো না বললেই কি নয়? বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যথেষ্ট রাজনৈতিক প্রজ্ঞাসম্পন্ন। সুষ্ঠু নির্বাচন যতবারই হয়েছে, সঠিক জায়গায় ভোট দিতে তাঁরা ভুল করে নি কখনো। কাজেই, তাঁরা গণতন্ত্র বোঝে না, এই ধরণের অবমাননাকর মন্তব্য করা মোটেও কাম্য নয়। এই বক্তব্য বরং কিছু শিক্ষিত লোকের জন্য প্রযোজ্য, যাঁরা বেনেভোলেন্ট স্বৈরাচার খোঁজে যাবতীয় সমস্যার সমাধান হিসাবে। জমিদার যেমন কোনোদিন প্রজা হিতকারক হয় না, পীর যেমন কোনোদিন সৎ হয় না, তেমনি স্বৈরাচারও কোনোদিন বেনেভোলেন্ট হয় না।
@ফরিদ ভাইয়া,
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।ভূল ভ্রান্তি হয়ে গেয়ে ধরিয়ে দেবেন।
সঠিক জায়গা কোনটি?যদি সুষ্ঠ নির্বাচন হয় তবে বিম্পি জামাতের জয় নিশ্চিত,তারেকের প্রধানমন্ত্রী হওয়াও নিশ্চিত।নৌকার খেল ৫ সিটিতে দেখা গেছে।আম্লিগ ভাল মন্দ যায় করুক,আলেম মারার শাস্তি জনগণ তাদের দেবেই।যদি নির্বাচন সুষ্ঠ হয় আর আম্লিগ খুব ভাল করে তবুও ৩০ ভাগের বেশী সিট পাবে না।বাকী ৭০ অন্য কোথাও গেলে সমস্যা ছিল তবে এই ৭০ ভাগ যাবে বিম্পি জামাতের ঘরে। আর জামাত বা তারেককে আমি মোটেই সঠিক জায়গা বলে করি না।
আর যদি বলেন এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া।তাহলে বলব ততদিনে হয়ত সব শেষ হয়ে যাবে।হিন্দু বা যুদ্ধাপরাধী বলে কোন শব্দ থাকবে না।শুধু প্রতিবাদ করেই যেতে হবে,আর বাচ্চু রাজাকারের দাঁত কেলানো হাসি দেখতে দেখতেই আমাদের মৃত্যু হবে।
নিজের পাতে ঝোল গেলে গণতন্ত্র ভালো, আর অন্যের পাতে গেলে গণতন্ত্র খারাপ, এই মানসিকতাটা বিপদজনক। সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতকে মেনে নেওয়া, তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। এখানে ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের গুরুত্ব নেই। সম্মিলিত সংখ্যাধিক্যের মতামতই সবার উর্ধ্বে।
দেশের সত্তর ভাগ লোক যদি বিএনপি-জামাতকে ভোট দেয়, আর তার কারণে যদি তারেক প্রধানমন্ত্রী হয়ে যায়, তারপরেও বিএনপি-জামাতকে অভিনন্দন জানানোটা সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক শিষ্টাচার। এর সাথে হিন্দু বিতাড়নের কোনো সম্পর্ক নেই। জনগণ হিন্দু নিধনের জন্য বিএনপি-জামাত জোটকে ভোট দেবে না।
আপনার ভাষ্য অনুযায়ী এখন মাত্র তিরিশ ভাগ লোকের সমর্থনপুষ্ট দল ক্ষমতা দখল করে আছে। এটা কি গণতন্ত্র? আগামী পাঁচ বছর পরে এই সমর্থন যখন তেরো শতাংশে নেমে আসবে তখনো আমরা আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকাটাকে ন্যায়সঙ্গত বলবো? প্রয়োজন বলবো? কেন? শুধুমাত্র দলীয় আনুগত্য আর ব্যক্তিগত স্বার্থের প্রয়োজনে? গত নির্বাচনে এই জনগণইতো আওয়ামী লীগকে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা দিয়েছিলো। বিএনপির কোমর ভেঙ্গে দিয়েছিলো? হঠাত করে কী এমন হলো যে পাশার দান এভাবে উল্টে গেলো? বিএনপিতো আর মন্ত্রযুক্ত কোনো বাতাসা খাওয়া নি বুদ্ধু জনগণকে। আলেমদের ধরে ঠেঙ্গানি দিছে বলেই আওয়ামী লীগ হারবে, এটা অতি সরলীকরণ তত্ত্ব। শুধুমাত্র আমাদের স্বার্থ সার্ভ করবে বলে আওয়ামী লীগের ভুলের সমালোচনা না করাটা আত্মঘাতী। বাকশালের এক ভুল আমাদের পিছিয়েছে ২১ বছর, আওয়ামী লীগের এই একক প্রহসনের নির্বাচন আমাদের পিছিয়ে দেবে আরো বিয়াল্লিশ বছর।
তিতা-মিঠা নিয়ে এখন পর্যন্ত গণতন্ত্রই সেরা শাসন ব্যবস্থা। হিন্দু নিশ্চিহ্ন হবে, যুদ্ধাপরধী শব্দ থাকবে না, বাচ্চু রাজাকারের দাঁত কেলানো হাঁসি দেখতে হবে, এই ভয়ে যদি আমরা আজকে আওয়ামী লীগের এই গণতন্ত্র হত্যার প্রতিবাদ না করি, ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। আমরা ছিয়ানব্বইয়ের নির্বাচনকে বলি প্রহসনের নির্বাচন, আর এই নির্বাচনকে বলছি প্রয়োজনের নির্বাচন। কী হাস্যকর! ভবিষ্যতে বিএনপি যখন এই পথে আবারো হাঁটবে কোন নৈতিকতার জোরে আমরা সেটার প্রতিবাদ করবো?
@ফরিদ আহমেদ,
আ.লীগরে নিয়ে বিশেষ কোন আবেগ নেই।আমি বরং আম্লিগের বিকল্প খুঁজি।এমন দল যারা মানুষের জন্য কাজ করবে,যাদের মূলনীতি হবে মানব ধর্ম।খুব ভাল না হলেও মোটামুটি মানুষের কথা বলে,মানুষের জন্য কাজ করতে চায় এমন দল দু একটা আছে বলেই জানি,যাদেরকে এদেশের প্রজ্ঞাবান জনগণ যে, ভোট দেবে না তাও জানি।আমি এর ওর দালাল কোন দলের কথা বলছি না।জনগণের কাছে পৌছাতে পারে নি এসব কথা বলে হয়ত কথা বাড়ানো যাবে,তবে সত্যিকার মানবতা, মানবধর্ম সামনে নিয়ে জনগণের কাছে গেলেও জনগণ তাদের ভোট দেবে না।বরং যারা আফিম দেখাবে তাদেরকেই ভোট দেবে।এখানেই জনগণের সঠিক বেঠিক বড় গোলমেলে লাগে।
মুক্তমনায় আপনার যে লেখা গুলো তার সব গুলোই আমি পড়েছি।আপনার লেখা থেকেই বুঝি মার খেলে কেমন লাগে তা আপনি বোঝেন।সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের অল্টিমেট ফলাফল যদি আমার মৃত্যুর কারণ হয় তবে সেই মতামতে আমার আপত্তি আছে।
আপনাকে বিব্রত করার জন্য এই কথাগুলো আমি বলি নাই। ব্যক্তিগতভাবে আমি আপনাকে খুবই পছন্দ করি।
আপনার জীবন যেখানে সংকটাপন্ন সেখানে নীতিকথার কোনো মূল্য আসলে নেই। আপনার আপত্তিতে আমি কোনো আপত্তি খুঁজে পাচ্ছি না।
গনণতন্ত্র নিয়ে এত কিছু বলার মূল উদ্দেশ্য কিছুটা ভিন্ন। মুক্তমনা অত্যন্ত উঁচু মানের প্লাটফর্ম। এখানে যে আলোচনা হয়, তা দিয়ে অনেকেই প্রভাবিত হয়। সেই মুক্তমনায় যখন স্বৈরশাসক, সামরিক শাসক, হিতকর একনায়কের পক্ষে কথা বলা হয়, তখন বিষয়টা অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে, আদিল মাহমুদের মত অসাধারণ রাজনৈতিক বিশ্লেষককেও প্রচলিত রাজণীতিতে হতাশ হয়ে এক নায়কের পক্ষে কথা বলতে দেখেছি। এগুলো দুষিত তন্ত্র। হাজারো দোষত্রুটি নিয়েও গণতন্ত্র এদের চেয়ে হাজার গুণে উত্তম।
আপনি মানবধর্মের কথা বলা যে দলগুলোর কথা বললেন, যারা ভালো ভালো কথা বলে বা কাজ করেও জনগণের সমর্থন পায় না, তাদের বড় ধরণের ত্রুটি আছে জনগণের নাড়ির স্পন্দন বোঝার, তাদের কাছে পৌছানোর। যেদিন বুঝবে তারা সেটা বুঝবে, যেদিন তারা জনগণের আঙিনাতে গিয়ে উপস্থিত হতে পারবে আত্মার আত্মীয় হয়ে, সেদিন জনগণও তাদের বুকে টেনে নেবে।
আইফোন থেকে কমেন্ট করছি। এখানে বাংলা টাইপ করা একটা বিভীষিকা। যা বলতে চাচ্ছি তার কিছুই ঠিকমত বলতে পারছি না। দুঃখিত আমি।
@ফরিদ আহমেদ,
এই না হলে ফরিদ আহমেদ; একবারে আমার মনের কথা…পার্থক্য শুধু আমি আপনার মতো লিখে প্রকাশ করতে পারি না! (Y) (F)
@প্রাক্তন আঁধারে, দেখেন ভাই, গনতন্ত্র মানতে গেলে কিন্তু আপনার এই কথা খাটে না খুব বেশি। হ্যাঁ পরিস্থিতির শিকার হয়ে আমরা অনেকেই হয়ত লীগের ক্ষমতায় থাকাটা ( যেকোন মুল্যে!) কামনা করছি, কিন্তু এটা কিন্তু মোটেও গণতান্ত্রিক মানসিকতা নয়, বরং পুরাপুরি অগণতান্ত্রিক মানসিকতা, এটা আপনি নিশ্চয়ই জানেন।
বাংলাদেশে এখনো পরমত সহ্য করার সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি, আর তাই গনতন্ত্রের সুফল আমরা পাচ্ছি না, কাজেই গণতন্ত্র পছন্দ করি বা না করি, গণতন্ত্রের সংজ্ঞা উলটে দেবার কোন সুযোগ নেই।
এখন আমরা শুধু এ নিয়ে কথা বলতে পারি যে বাংলাদেশের এই অবস্থায় গণতন্ত্রের কতটুকু দরকার আছে, অথবা আদৌ দরকার আছে কি নেই এই বিষয়ে।
কিন্তু গণতন্ত্র মানতে ( মানা হবে কি হবে না এই বিতর্ক এখানে নয়!) হলে কিন্তু জনমতের তোয়াক্কা করতেই হবে, বরং সেটা না করলেই হবে অগণতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা। আর তাই ৩০ ভাগ কেন, যদি শতভাগ ভোটও বি এন পি জামাতের ঘরে যায় সেক্ষেত্রে কিছুই করার নেই, গণতন্ত্র মানতে গেলে এটা মানতেই হবে।
কাজেই ভোট দেয়া যেহেতু মানুষের অধিকার,আর যার ভোট সে নিজে দেবে এটাই কিন্তু গণতন্ত্রের নিয়ম। বড়জোর মানুষকে কনভিন্স করা যেতে পারে ভাল আর মন্দে পার্থক্য বুঝানোর জন্য, কাকে ভোট দেয়া উচিত না উচিত না এটা নিয়ে কনভিন্স করার চেষ্টা করা, কিন্তু সরাসরি ভোটার রা গনতন্ত্রের কিছু বোঝে না এইটা বলা মানে কিন্তু প্রকৃত পক্ষে গনতন্ত্রের সংজ্ঞা বদলে দিতে চাওয়া।
পড়ুন,
কাকে ভোট দেয়া উচিত বা উচিত না এটা নিয়ে কনভিন্স করার চেষ্টা করা 🙂
@অর্ফিউস,
গণতন্ত্রের সংজ্ঞা বদলে দেবার আমি কে?আমার লেখায় যদি এমন কিছু মনেহয়ে থাকে তবে আন্তরিকভাবে মাফ চাইছি।
তবে যে বেশীরভাগ মানুষকে গণতন্ত্র সচেতন বলে মনেকরা হচ্ছে,তারা নিজেরাও কিন্তু গণতন্ত্র চায় না।খুব সহজেই বোঝা যাবে,যদি ফেসবুকে একটি পেজ খুলে লিখে দেন-আপনি কি চান আল্লাতন্ত্র নাকি গণতন্ত্র?কয়েক ঘন্টার মধ্যে বোঝা যাবে গণতন্ত্রের অবস্থান কোথায়।ফেসবুকারদের প্রতি বিশ্বাস না থাকলে রাস্তা-ঘাট,গ্রাম-গঞ্চের মানুষের কাছেও জিঞ্জেস করে দেখতে পারেন।
@প্রাক্তন আঁধারে,
জানি এটা, কারন মুসলিমদের মধ্যে একটা বড় অংশ চায় ইসলামী শাসন, চায় শরিয়া আইন;বুঝেও বুঝেনা যে এটা তারা নিজেরাও মানতে পারবে না, আর তাই গনতন্ত্র কে হারাম বলে মেনে নেয়া হয়।
এদের অবস্থাও অনেকটা ফেসবুকারদের মতই। এরা খুবই পরস্পরবিরোধী চিন্তাচেতনা দিয়ে চালিত হয়। অনেকটা শ্যাম রাখি না কুল রাখী অবস্থা। প্রকৃতই যারা জনমত কে সম্মান জানাতে চান তাঁদের উচিত এইসব মানুষের মধ্যে অনুপ্রেরনা জাগাবার চিন্তাভাবনা করা, চেষ্টা করা, কিন্তু জোরপুর্বক তাদের মত প্রকাশের অধিকার কে হরন করা কোন গণতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচায়ক নয় বলেই মনে হয়।
আপনার বা আমার কাছে যেটা যুক্তি সঙ্গত মনে হচ্ছে, সেটা অন্যের কাছে নাও মনে হতে পারে, সেক্ষেত্রে উচিত হবে তাদের ভুল ভাঙ্গানোর চেষ্টা করা। কিন্তু কেউ যদি ভেবে বসে যে তাদের ছোট করা হচ্ছে তবে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনাই বেশি 😉
এটা তো আমি বলিনি। আমি আপনার যে কথাটার সাথে দ্বিমত করেছি সেটা হল গণতন্ত্র বোঝে কি বোঝে না।
আর মানুষের জানমালের উপর হুমকি এলে সেটার বিরোধিতা করার অধিকার কিন্তু সবার রয়েছে। দেখেন উপরে আমি নিজেও সংশপ্তক কে দেয়া একটা উত্তরে সবিস্তারে বলেছি যে আমি গনতন্ত্র ফনতন্ত্রের আগে নিজের নিরাপদ জীবন কেই প্রাধান্য দেই অনেক বেশি, আর এই দেশে যেহেতু আমরা গনতন্ত্রের সুফল পাচ্ছি না, কাজেই যে জিনিস সাময়িক হলেও সুফল দিতে পারে সেটাই আমার কাম্য। বাস্তবতাও এটাই বলে, কিন্তু তার মানে কিন্তু এই না যে আমার এই চিন্তাটা গণতান্ত্রিক!!
২০০৮ সালের নির্বাচনের আগের যে সেমি মার্শাল ল ছিল, প্রথমদিকে কিন্তু এটা যথেষ্ট ভাল ছিল, পরে কিন্তু ধীরে ধীরে সেটা ব্যর্থতার দিকে ধাবিত হয়েছে। কিন্তু প্রথমদিকে কিন্তু জিনিসটা বেশ কাজ দিচ্ছিল।
ঠিক তেমনি যদি কোন অগণতান্ত্রিক শক্তিকে বা কোন গণতান্ত্রিক দলকে ( সেটা যে দলই হোক) একক ভাবে বিরোধীদল বিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতায় রাখার চিন্তা করা হয়, তবে তারাও একসময় সেচ্ছাচারী হয়ে উঠবে বলেই মনে হয়। অতীতে এমনকি বঙ্গবন্ধু পর্যন্ত নিজের সদিচ্ছা থাকা সত্বেও তাঁর দলের কিছু বিশৃঙ্খল লোকদের বশে আনতে পারেন নাই, সেখানে বর্তমান নেতৃত্ব পারবে এমন ভরসা করি কিভাবে?
আসলে একতরফা ক্ষমতা সবসময়েই স্বেচ্ছাচারিতার জন্ম দিতে বাধ্য। এখন দেখেন বাংলাদেশে যদি কোন গ্রহনযোগ্য ৩য় শক্তি ( গণতান্ত্রিক; আর্মী নয়) থাকতো তাহলে কিন্তু বি এন পি এবার ইলেকশন না করলেও তেমন কোন কথা উঠতো না, নেই বলেই কিন্তু এত কথা উঠছে।
@প্রাক্তন আঁধারে,
ছি ভাই, আমি কি তাই বলেছি নাকি যে আপনি সংজ্ঞা বদলে দিচ্ছেন! আমি তো বলতে চেয়েছিলাম যে এটা অনেকে ভাবতে পারে, যেহেতু গনতন্ত্র মানেই জনতাত্র চাওয়া না চাওয়ার প্রতিফলন, কাজেই জনতাই যদি চায় তবে সেভাবেই তারা ভোট দেবে, আর সেই রায়ের বিরোধিতা করাও আপনার আমার সবার মানবিক অধিকার।
তবু আপনাকে আহত করে থাকলে আমি আন্তরিক ভাবেই ক্ষমাপ্রার্থী।
একটা ছোট পরিসংখ্যান দেই। বাংলাদেশে ১৯৪১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল শতকরা ২৮ ভাগ। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের অব্যবহিত পরে তা শতকরা ২২ ভাগে এসে দাঁড়ায়। এরপর থেকেই সংখ্যালঘুদের উপর ক্রমাগত অত্যাচার এবং নিপীড়নের ধারাবাহিকতায় দেশটিতে ক্রমশ হিন্দুদের সংখ্যা কমতে থাকে। ১৯৬১ সালে ১৮.৫%, ১৯৭৪ সালে কমে দাঁড়ায় ১৩.৫%, ১৯৮১ সালে ১২.১%, এবং ১৯৯১ সালে ১০% এ এসে দাঁড়ায়। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে হিন্দুদের শতকরা হার কমে ৮ ভগের নিচে নেমে এসেছে বলে অনুমিত হয়। যারা বিলুপ্ত বন্য প্রাণী নিয়ে চিন্তিত, এখন বাংলাদেশের হিন্দুদের দিকে একটু নেক নজর দিতে পারেন। আপনাদের নেক নজর থাকলে কে জানে – সাইবেরিয়ান বাঘ, মেরু ভল্লুক কিংবা বিরল প্রজাতির পাণ্ডাদের মত হয়তো বিলুপ্তির হাত থেকে হিন্দুরা রক্ষা পেলেও পেতে পারে এ যাত্রা।
প্রতিবার দেশে নির্বাচন নিয়ে তামাসা শুরু হয়, আর তামাসার পর শুরু হয় গণহারে কচুকাটা। এভাবেই চলছে। ’৪৭ এ একবার, ’৬৫তে পাক-ভারত যুদ্ধের পরে একবার ’৭১ এ একবার , এরশাদের আমলে দুবার, ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরে দাঙ্গায় নাজেহাল হয়ে বহু হিন্দু হিন্দু পার্শ্ববর্তী ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল এদেশের চৌদ্দ পুরুষের ভিটেমাটি ছেড়ে। পূর্ণিমা রাণীর মত বহু হতভাগ্য নারীকে হতে হয়েছিল গণধর্ষনের শিকার। এই তো সেদিন – সাঈদীর বিচারের পরেও অসংখ্য হিন্দু বাড়ি জালিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। স্বাধীন দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার পেতে হলে যদি বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ হতে হয়, ভাইকে পুড়ে মরতে হয়, বোনকে দেখতে হয় ধর্ষিতা, তাহলে এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারটা চেয়ে কি ফায়দা কে জানে। বরং বিচার ফিচার হলেই মনে হয় এই অভাগারা একটু নিরাপদে থাকে। সাইদীর ফাঁসি হইলেই বা কি আর আওয়ামীলীগ নির্বাচনে জিতলেই বা কি লাভ। কচুকাটা তো চলছেই।
মনে পড়ে শামসুর রাহমান একবার একটা কবিতা লিখেছিলেন, ‘সুধাংশু যাবে না’ নামে। আমার অত্যন্ত প্রিয় একটা কবিতা। কবিতাটা এরকমের –
***
চমৎকার কবিতা নিঃসন্দেহে। এরশাদের আমলে যখন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে, তখন বাবরি মসজিদ ইস্যু করে দাঙ্গা লাগানো হয়েছিল। আমি তখন ঢাকা কলেজে পড়ি। চোখের সামনেই মরণ চাঁদের দোকান ধূলিস্ম্যাৎ হয়ে যেতে দেখেছিলাম। দেখেছিলাম ক্ষুধার্ত চোখের হায়নাদের মিছিল করে জগন্নাথ হলের কালীবাড়ির দিকে যেতে… তখনো আমি রোমান্টিক কবিদের মতোই শামসুর রাহমানকে আবৃত্তি করতাম – এ পবিত্র মাটি ছেড়ে কখনো কোথাও, পরাজিত সৈনিকের মতো সুধাংশু যাবে না’।
আজ মনে হয় বড়ই ইম্প্র্যাকটিক্যাল রোমান্টিক ছিল এ পাগলামি। বছর দশেক আগে আমি সিঙ্গাপুরে থাকাকালীন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আলমগীর হুসেন নামের এক বড় ভাইয়ের সাথে থাকতাম রুম শেয়ার করে। আমার লেখালিখির সূত্র ধরে উনিও একসময় লেখালিখিতে এসেছিলেন। উনি শামসুর রাহমানের কবিতাটার একটা প্যারোডি লিখেছিলেন এরকমের –
======
মজার ব্যাপার হচ্ছে আজকে যখন ‘সুধাংশু যাবে না’ লিখে নেটে সার্চ দিলাম, কোথাওই শামসুর রাহমানের মূল কবিতাটি পেলাম না। সব জায়গাতেই আলমগীরের লেখা কবিতাটাই পেলাম। অনেকে ওটাকে শামসুর রাহমানের কবিতা হিসেবে ব্লগে টগে পোস্টও করেছেন। কিন্তু আমি জানি কবিতাটি শামসুর রাহমানের নয়, ওটা আলমগীরের প্যারোডি (শামসুর রাহমানের মূল কবিতাটি পিডিএফ আকারে মুক্তমনায় আছে, দ্রঃ), আমার সামনেই সেই প্যারোডি-কবিতাটি আলমগীর লিখেছিলেন ।
কবিতার বিবর্তন দেখে শত দুঃখের মাঝেও হাসি পেল। আমার প্রিয় দেশটাও যেন কবিতার মতোই মূর্তিমান প্যারোডি হয়ে গেছে। হ্যা, ‘সুধাংশু যাবে না’র চেয়ে ‘সুধাংশু তুই পালা’ ই বরং এখন রূঢ় বাস্তবতা।
এখন আমি রোমান্টিক কবির মতো ‘এ পবিত্র মাটি ছেড়ে কখনো কোথাও, পরাজিত সৈনিকের মতো সুধাংশু যাবে না’ বলে অহংকার করি না, বরং আলমগীরের মতো করেই ভাবি – ‘আমার কাতর মিনতি বন্ধু, এখনই তুই পালা’।
য পলায়তি স জীবতি।
সত্যি এইসব ঘটনার পর আরেকটি জিনিস যেটি আরো বদ্ধমুল ভাবে মনে গেঁথে যায় আর সেটা হল, ক্ষমতার বাইরে থাকতেই জামাত পার্টি ( বি এন পির নাম নিলাম না, ওদের আর কোন ফিল্ড টিম আছে কিনা আমার সন্দেহ আছে) যে তান্ডব করছে, ক্ষমতা থেকে আওয়ামী লীগ নামলে কি হবে কে জানে। আর হাসিনার জীবনের নিরাপত্তাই বা কে দেবে? ২১ আগস্টে যে আরেকটি ১৫ আগস্টের লক্ষ্যেই গ্রেনেড মারা হয় আর স্নাইপার দিয়ে গুলি করা হয় হাসিনাকে, এটা তো পরিষ্কার।
আমার মত কিছু লোক আছে উভয় সংকটে, একদিকে গনতন্ত্র আরেকদিকে মানবতা বা জামাতভীতি কোনদিকে যাই বলেন? খুবই বিভ্রান্ত; অবশ্য এদেশে জন্ম নিয়েই মনে হয় সবচেয়ে বিভ্রান্ত হয়েছিলাম মায়ের পেট থেকে ভুমিষ্ট হবার পরে সেটা হয়ত এখন আর মনে নেই ( বয়স বাড়ার ফলে)।
@অর্ফিউস,
শুধু হিন্দদের জন্য নয় আমাদের সবার জন্যই সামনে খুব কঠিন দিন অপেক্ষা করছে।আর উভয় সংকট তো আছেই।
আসলে এদেশে এদেশের মানুয়রা বাঙাল হবে না মুসলমান হবে তাই নিয়েই কনফিউজড়।
@প্রাক্তন আঁধারে,
বোধ হয় বেশিরভাগ মানুষ কে বুঝিয়েছেন তাই না? 🙂 । অল্প হলেও কিছু মানুষ কিন্তু আছেন যারা আগে নিজেকে বাঙ্গালী, এবং তারও আগে নিজেদের মানুষ পরিচয় দিতেই পছন্দ করেন।
@অর্ফি ভাই,
বেশীরভাগ মানুষকেই বুঝিয়েছে আর এই দলে হিন্দুরাও আছে।
প্রফেসর আনিসুজ্জামানের একটি মন্তুব্য তুলে ধরছিঃ
“বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক নয়, এ-কথা আমি সাধারণভাবে মানি। কিন্তু তাদের মধ্যে যে অনেকে সাম্প্রদায়িক এবং সক্রিয়ভাবে অন্যধর্মের প্রতি বিদ্বিষ্ট, তার প্রমাণ তো চাক্ষুষ দেখতে পাচ্ছি। সংবিধানের সর্বশেষ সংশোধনীতে ধর্মনিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনা গেলেও রাষ্ট্রধর্মের বিধান বর্জিত হয়নি—সে কাদের মুখ চেয়ে? এই গোঁজামিলের মতো অবস্থাই বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির। বেশ আছি আমরা—পরস্পর ভাই ভাই—কিন্তু কখন যে তোমার মাথায় বাড়ি দেবো, তার ঠিক নেই, আর দিলে ওটা অগ্রজের শাসন বলে মেনে নিও।”
বিষয়টি আর কেবল মাথায় বাড়ি দেবার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে মনে হচ্ছে না। আমার মতে নির্বাচনের পর এইসব সহিংসতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শেখ হাসিনার অবশ্য করণীয় কাজগুলোর মধ্যে এক নাম্বারে থাকা উচিত। যদি পুলিশ-র্যাবে কাজ না হয় তা হলে আর্মি নামিয়ে হলেও এই দুঃসহ অবস্থা দূর করতে হবে। ক্যামেরার সামনে হাসি হাসি মুখে দাঁড়ানোর চেয়ে এটা অনেক জরুরী।
@মনজুর মুরশেদ,
এটাই হলো প্রকৃত অবস্থা,মাথায় বাড়ি দিতে এখন আর কারও বিশেষ হাত কাঁপে না।
অবশ্যই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া দরকার।তবে হামলার আগেই যদি কোনভাবে প্রতিরোধ ব্যাবস্থা নেওয়া যায়,তাহলে সবচেয়ে ভাল হয়।প্রতিটা হামলার পর হিন্দুদের মনে যে ক্ষতের সৃষ্টি হয় তা অপূরণীয়।এই ক্ষত রাব বা পুলিশ দিয়ে পূরণ করা যাবে না।
সংখ্যালঘু হয়ে জন্মানোই আজন্ম পাপ।
@গীতা দাস,
এই পাপ আজন্ম নয়। চিন্তার কিছু নেই। যেভাবে দিন গড়াচ্ছে তাতে আপনাকে আমরা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভারতে পাঠিয়ে সংখ্যাগুরু করে দেবো, ইনশাল্লা। সংখ্যালঘু শব্দ এক সময় বাংলাদেশে আর থাকবে না, সংখ্যানিশ্চিহ্ন বলে একটা নতুন শব্দ অভিধানে শোভা পাবে।
সেখানকার নদী কি এমনই মধুমতি
@ফরিদ আহমেদ,
আংশিক একমত। আমি ভারতে যাব না, সংখ্যাগুরু হব এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু শব্দ থাকবে না, কারণ আমি ধর্মান্তরিত হয়েও এখানেই থাকব।
@গীতা দাস,
একটা সুন্দর দেখে ইসলামি নাম ঠিক করে ফেলেন আপা। এই হিন্দুয়ানি নামে চলবে না। আর সৌদি বোরকা কিনতেও ভুলবেন না যেন। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
এই তো বেশ, দিদি থেকে আপা হয়ে গেছি।
আর আমার নামের আকিকা তো আমি করব না। একটা বড় খাওয়া দাওয়ার আয়োজন কর। নাম দাও আর সাথে একটা বোরকা উপহার। তবে বললে বোরকা জামাত বা হেফাজতই কিনে দেবে।
@গীতা দাস,
দিদি, আপনি শুধু সংখ্যাগুরুই হবেন না, সাথে সুযোগ পাবেন প্রথম শ্রেণীর সংখ্যাগুরুর মর্যাদা! নও-সংখ্যাগুরুরা বাড়ির নতুন বউয়ের মতই খাতির-যত্ন পেয়ে থাকে, জানেন তো?
সুতরাং, দিদি দেরী করবেন না যেন!
@কাজি মামুন,
আমি কিন্তু সংখ্যাগুরু হলে শাশুড়ির মত ক্ষমতা চাই, নতুন বউয়ের মত খাতির-যত্ন না।
আর নিচের তোমার মন্তবের সাথে একমত। একজন যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায় হবে আর শত শত হিন্দুকে আতংকিত হতে হবে । খেসারত দিতে হবে। আর জমি বেচা? কেউ মেয়ের বিয়ে, ছেলের পড়া বা চিকিৎসা উপলক্ষ্যে এবং অজুহাতে এক বিঘার জায়গায় দুই বিঘা বেচে ফেলছে।আর সোনার জমি বেচে চোখের জল ফেলছে।