বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম দেশ কোনটি, এই প্রশ্ন করলে বেশির ভাগ লোকই কোনো রকমের দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছাড়াই বলে দেবেন যে ভারত। যাঁরা একটু বেশি খোঁজ খবর রাখেন, মুচকি হেসে বলবেন, ভুটান। হ্যাঁ, এই দ্বিতীয় অংশরাই সঠিক। ভুটানই বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম দেশ। যেদিন বাংলাদেশ-ভারত মিত্রবাহিনী গঠিত হয়, ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, সেই ৩রা ডিসেম্বর ভুটান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ভারতই যে ভুটানকে দিয়ে এটা করিয়েছিল তাতে কোনো সন্দেহ নেই। অজানা খাবার অন্য কাউকে দিয়ে আগে খাইয়ে যেমন স্বাদ পরীক্ষা করা হয়, ভারতও ভুটানকে দিয়ে এই জায়গাটা পরীক্ষা করিয়ে নিয়েছিল।
ভারত করাক বা ভুটান নিজের গরজেই করুক, ভুটান বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম দেশ, এটাই প্রতিষ্ঠিত সত্য।
এখন আমি যদি বলি যে, এই তথ্যও সঠিক নয়। ভারত বা ভুটান নয়, বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী দেশটি হচ্ছে ভিন্নতর একটি দেশ, আমাকে পাগল ঠাওড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে ষোল আনাই। কিন্তু, এটাই আসল সত্যি। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশ ভারত বা ভুটান কেউ-ই নয়। যে দেশটি এই স্বীকৃতি দিয়েছিল, তার নামটি কল্পনায় আনতেও কষ্ট হবে আমাদের।
বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতিদানকারী দেশটির নাম হচ্ছে ইজরায়েল। এটি নিঃসন্দেহে বিস্ময়কর একটা তথ্য। তবে, আরো বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে ইজরায়েল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে একবার নয়, দুই দুই বার।
ইজরায়েলের প্রথম স্বীকৃতি আসে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে। প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের কাছে একাত্তর সালের এপ্রিল মাসের আটাশ তারিখে বাংলাদেশকে স্বীকৃতির চিঠি পাঠায় তারা। স্বীকৃতির সাথে সাথে ছিল যুদ্ধে সাহায্য করার জন্য সমরাস্ত্র দেবার অঙ্গীকার। বাংলাদেশ সরকার সেই স্বীকৃতি গ্রহণ করে নি। সমরাস্ত্র সাহায্যের প্রস্তাবও প্রত্যাখান করে।
ইজরায়েলের বদলে ভারতের কাছ থেকে এই স্বীকৃতি প্রথম আসার কথা ছিল। কারণ, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই উদার হস্তে ভারত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে যে, এত সুযোগ থাকার পরেও ভারত কেন বাংলাদেশকে শুরুতেই স্বীকৃতি দেয় নি? কেন ভারতকে অপেক্ষা করতে হলো ডিসেম্বর পর্যন্ত? বরুণ রায় ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে লেখা প্রবন্ধ ‘কেন ভারত ঠিক এই মুহুর্তে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিল?’-তে এ প্রসঙ্গে বলেনঃ
“প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী গত ২৬শে জুলাই যখন বাংলাদেশের ব্যাপার নিয়ে সংসদের বিরোধী দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে মিলিত হন, তখন তাঁরা একবাক্যে বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারকে স্বীকৃতি দেবার জন্যে তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
তার উত্তরে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, স্বীকৃতির প্রশ্নে ভারত সরকার তাঁদের মন খোলা রেখেছেন। যে মুহুর্তে বোঝা যাবে স্বীকৃতি দিলে বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের জাতীয় স্বার্থেরও সাহায্য হবে, সেই মুহুর্তেই বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
সেই বিশেষ মুহুর্ত হঠাৎ এই সময় কেন দেখা দিল? ভারত সরকার তাঁদের সিদ্ধান্তের জন্য ডিসেম্বরের ছয় তারিখটিকে কেন বেছে নিলেন? এই সিদ্ধান্ত কেন আরও আগে নেওয়া হলো না, বিশেষত যখন স্বীকৃতি দেবার পক্ষে একাধিক সুযোগ নয়াদিল্লীর সামনে হাজির হয়েছিল, এবং যখন স্বীকৃতি দেবার জন্য দেশের মানুষ দীর্ঘকাল যাবত দাবী জানিয়ে আসছিল?
প্রথম সুযোগ এসেছিল গত মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে, যখন পশ্চিম পাকিস্তানী সৈন্যদের সর্বাত্মক আক্রমণের জবাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করে একটি অস্থায়ী সরকার গঠন করেছিল শেখ মুজিবর রহমানকে রাষ্ট্রপ্রধান করে। ঐ সরকারের কোনো আনুষ্ঠানিক ক্যাবিনেট তখনও ছিল না, কিন্তু কার্যত গোটা বাংলাদেশ ছিল মুক্তি সংগ্রামীদের দখলে। নয়াদিল্লী ইচ্ছে করলে তারই ভিত্তিতে স্বীকৃতি দিতে পারত। পিকিং সরকার আরও কম ভিত্তিতে কম্বোডিয়ার নরোদম সিহানুকের নির্বাচিত সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
কিন্তু ভারত ঐ প্রলোভন গ্রহণ করে নি।
দ্বিতীয়বার সুযোগ এসেছিল যখন গত ১৭ই এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তের কাছে বাংলাদেশের একটি গ্রামে অস্থায়ী সরকারের নেতৃবৃন্দ প্রকাশ্যে শপথ গ্রহণ করেন। ঐ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বিশ্বের দেশগুলির কাছে স্বীকৃতির জন্য অনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন জানিয়েছিলেন এবং ঐ আবেদনের সূত্র ধরে ভারত সরকারের পক্ষে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনো বাধা ছিল না। কেন না তারই চারদন আগে রায় বেরিলীতে এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশ সরকার যদি আবেদন জানান তাহলে স্বীকৃতির প্রশ্নটি বিবেচনা করা হবে।
কিন্তু তখনও ভারত কোনো সিদ্ধান্ত নেয় নি।
তৃতীয় একটা সুযোগ হাজির হয়েছিল গত ৯ই আগষ্ট ভারত ও সোভিয়েট ইউনিয়নের মধ্যে মৈত্রী ও পারস্পরিক সাহায্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার পরে। ততদিনে এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খাঁ বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো মীমাংসা আলোচনায় বসতে রাজি নন। আর এটাও স্পষ্ট ছিল যে, ভারতের মনোভাব যথেষ্ট কঠিন হয়ে উঠেছে। চুক্তি স্বাক্ষরের অব্যবহিত পরেই স্বীকৃতির মাধ্যমে ঐ মনোভাব প্রকাশ পেলে অবাক হবার কিছু থাকত না।
কিন্তু নয়াদিল্লী তখনও লাফিয়ে পড়ে নি।
এ ছাড়া জনমতের চাপেরও সুযোগ তো ছিলই। বাংলাদেশের সংগ্রামে সমবেদনা ও একাত্মবোধ প্রকাশ করে গত ৩১শে মার্চ সংসদে সর্ববাদীস্মমত প্রস্তাব গৃহীত হবার পর থেকে গণ-অভিমতের সবগুলি মাধ্যম থেকে স্বীকৃতি দেবার জন্যে সরকারের কাছে প্রবল দাবী জানানো হয়েছে। চাপ ছিল সংসদের শ্রীমতী গান্ধীর নিজের দলের, দুয়েকটি ছাড়া সমস্ত রাজনৈতিক দলের, বিভিন্ন রাজ্য বিধানসভার, সংবাদপত্রের। জয়প্রকাশ নারায়ণ, আচার্য বিনোবা ভাবের ও এম সি চাগলার মতো শ্রদ্ধেয়, বিচক্ষণ জননেতারাও ভারতকে সাহস সঞ্চয় করে বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি দিতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। যদি প্রকৃত জাতীয় দাবী বলতে কোনো একটি বিষয় থাকত তবে তা ছিল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেবার দাবী। জনমতের এই প্রবল চাপের কাছে নতি স্বীকার করে নয়াদিল্লী এই দীর্ঘ আট মাসের মধ্যে আরো আগে যে কোনো সময় স্বীকৃতি দিতে পারত।
কিন্তু দেয় নি।
এর কারণ কি? সাহসের অভাব? দ্বিধা? ঝুঁকি নেবার অনিচ্ছা? বৃহৎ শক্তির ভয়? স্বীকৃতির সমস্ত দাবীকেই ভারত সরকার এতবার এতভাবে এড়িয়ে গেছেন, এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যেভাবে স্বীকৃতির ব্যাপারে তাঁকে চাপ না দেবার জন্য একাধিকবার অনুরোধ জানিয়েছেন যে, ভারতের বাংলাদেশ নীতি সম্পর্কে জনমনে এই প্রশ্নগুলি দেখা দিতে আরম্ভ করেছিল।
কিন্তু এর কোনোটাই সত্যি ছিল না, কেন না প্রধানমন্ত্রী একটা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুসরণ করে চলেছিলেন, এবং এতগুলি কথায় না বললেও বিভিন্ন সময়ে তিনি এ সম্পর্কে যথেষ্ট ইঙ্গিতও করেছিলেন, যদিও সে সময় তার তাৎপর্য গরম কথার আড়ালে হারিয়ে গিয়েছিল।” (৭১-এর যুদ্ধে পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ – দেবদুলাল বন্দোপাধ্যায়)
বরুণ রায়ের দীর্ঘ বক্তব্য থেকে বোঝা গেল যে, ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেবার বিষয়ে যে, দীর্ঘসূত্রিতা করেছে তার মূলে ছিল সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা, ভারতের জাতীয় স্বার্থ দেখা এবং একই সময়ে বাংলাদেশের স্বার্থ যাতে ক্ষুন্ন না হয়, সেই বিষয়টাও নিশ্চিত করা। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেবার বিষয়ে ভারত তার নিজস্ব স্বার্থ দেখবে, এতে দোষণীয় কিছু নেই।
কিন্তু ইজরায়েল এত কিছু চিন্তা-ভাবনা করে আসে নি। বাংলাদেশ তাদের থেকে ভৌগলিকভাবে এত দূরে যে, কোনো স্বার্থে আসার সুযোগও বাংলাদেশের ছিল না। তারপরেও তারা সবার আগে বাংলাদশকে স্বীকৃতি দেবার পত্র পাঠিয়েছে। এর মূল কারণ আবেগগত। নেপালে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত বলেন, “ইজরায়েল বাংলাদেশের জনগনের সংগ্রামের সাথে তাদের মিল খুজে পেয়েছিল।”
দ্বিতীয়বার তারা আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় বাহাত্তর সালের ফেব্রুয়ারী মাসের চার তারিখে। মন্ত্রীপরিষদের নিয়মিত সভার অপেক্ষা না করে সব মন্ত্রীর সাথে টেলিফোনে আলাপ করে, তাদের সম্মতি নিয়ে ইজরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুস সামাদ আজাদকে তারবার্তা পাঠান।
Israel Recognizes Bangladesh
February 7, 1972
JERUSALEM (Feb. 6)Israel has officially recognized the new state of Bangladesh. The announcement said that Foreign Minister Abba Eban informed Bangladesh Foreign Minister Abdus Samad Azad of the recognition in a cable Friday. The recognition decision was taken after telephone consultations with all members of the Cabinet Friday instead of waiting for today’s regular Cabinet meeting.
Source: http://www.jta.org/1972/02/07/archive/israel-recognizes-bangladesh
বাংলাদেশ সরকার ইজরায়েলের এই সদিচ্ছার কোনো উত্তর দেবারও প্রয়োজন বোধ করে নি। কারণটা কী? ইজরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের মুসলিম ভাইদের ধরে ধরে আচ্ছামত পিটুনি দেয়। ওদের পিটুনি আমাদের গায়ে এসেও সজোরে লাগে। মুসলমান-মুসলমানতো নাকি ভাই ভাই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই ভাই-রা আবার বাংলাদেশের জন্ম মন থেকে মেনে নিতে পারে নি। রীতিমত গোস্যা করেছিল তারা হুট করে বাংলাদেশ জন্মে যাওয়ায়। কেউ-ই স্বীকৃতি দিতে রাজি ছিল না তখন। অনেক দেন দেরবার করে, বহু বছর সাধ্য সাধনা করে তাদের গোস্যা ভাঙাতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
তারা এখন আমাদের মুসলিম উম্মাহ, মুসলিম ভ্রাতৃত্বের অংশ। আর ইজরায়েল? শত্রু রাষ্ট্র!
বাংলাদেশের পাসপোর্টে পরিষ্কার করে লেখা থাকে একটা বাক্য, ALL COUNTRIES OF THE WORLD EXCEPT ISRAEL।
অথচ মিশর, তুরস্কের মতো মধ্যপ্রাচ্যের অনেক মুসলিম দেশেরই কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে ইজরায়েলের সাথে। আমরা পোপের চেয়েও বড় খৃস্টান।
দূরদেশের মুসলমান ভাইদের জন্য আমাদের দরদ কতখানি ভাবেন। এইবার আসেন ঘরের খবর নেই। যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধ করতে হয়েছে নয় মাস ধরে, যে পাকিস্তান আমাদের ত্রিশ লাখ মানুষকে মেরেছে কুকুর বিড়ালের মত, যে পাকিস্তান আমাদের দুই লক্ষ নারীকে ধর্ষণ করেছে, সেই পাকিস্তান আমাদের প্রাণের বন্ধু। আমরা তাদের আদরের ছোট ভাই। ছোট ভাই বলেই হয়তো সব ব্যাপারে ভাইয়াগিরি ফলাতে আসে তারা। এই যেমন কাদের মোল্লার মতো একজন নৃশংস ঘাতককে বিচার করে আমরা ফাঁসিতে ঝোলাতেই মাতম পড়ে গেছে তাদের দেশে। আমরা নাকি ফেরেস্তার মতো একজন মানুষকে জুডিসিয়াল কিলিং করেছি। কেউ গালাগাল করছে আমাদের, কেউ আমাদের আক্রমণ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছে, পার্লামেন্টে আমাদের জন্য নিন্দা প্রস্তাব আনছে।
ওদের সবচেয়ে প্রগতিশীল অংশ, যাদেরকে প্রথম আলো প্রতিনিয়ত প্রমোট করে চলেছে আমাদের প্রতি সহানুভূতিসম্পন্ন বলে, সেই তাদের প্রতিনিধি হামিদ মীরও ইনিয়ে বিনিয়ে বলছে যে, কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দিয়ে আমরা ভুল করেছি। আমাদের সেই ভুল স্বীকার করতে হবে। সবচেয়ে প্রগতিশীলদেরই যদি এই দুর্গতি হয়, তবে বাকিদের অবস্থা কী তা সহজেই অনুমেয়।
আমি দেশে থাকা অবস্থায় পাকিস্তানিদের সাথে পরিচিত হবার কোনো সুযোগ পাই নি। বিদেশে আসার পরে পড়ালেখা, কাজ বা বাইরে বের হবার কারণে প্রচুর পাকিস্তানির সাথে পরিচিত হবার সুযোগ হয়েছে। আগে এদের প্রতি রাগ ছিল একাত্তরের কারণে। এখন এদের প্রচুর লোককে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে দ্বিধা নেই যে, পৃথিবীতে খচ্চর লোক দিয়ে পরিপূর্ণ কোনো জাতি যদি থেকে থাকে, তবে তা নিঃসন্দেহে এই পাকিস্তানিরা। হেন কোনো অপকর্ম নেই, যা এরা করতে পারে না। আমি মাঝে মাঝে খুব বিস্মিত হয়ে ভাবি যে, এই অদ্ভুত অসৎ, মিথ্যাবাদী, নাক উঁচু, প্রতারকে পরিপূর্ণ একটা জাতির সাথে এক দেশ হিসাবে আমরা তেইশ বছর ছিলাম কী করে?
এই ইতর দেশটার জন্য কেন আমাদের পাসপোর্টে লেখা নেই ALL COUNTRIES OF THE WORLD EXCEPT PAKISTAN?
লেখা নেই, তাতে কী? এখন সময় এসেছে এই কথাটা লেখার।
পাকিস্তানকে মাথায় তুলেছে বাংলাদেশ সেটা সত্যি। এই ব্যাপারে কোন কথা নেই। কিন্তু ইজরায়েল আমার দেশকে প্রথম ঘোষনা দিক, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ ওদের সাথে সম্পর্ক রাখুক এটাতে আমার কিছুই যায় আসে না। আমার ইহুদিদের উপর ক্ষোভ নেই। যদি ইজরায়েলের কথা বলেন অবশ্যই আছে। এই দেশটা মানুষের রক্তের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিদিন ‘মানুষ’কে এরা হত্যা করছে। হত্যা করছে শিশুদের। সে মুসলিমই হোক আর যেই হোক। আমি ইজরায়েল, ইউএস, ইউকে, রাশিয়া প্রতিটা দেশের বিপক্ষে
অসাধারণ, তথ্যে পরিপূর্ণ, মুক্তমনের লেখা। মুক্তমনা ব্লগেই এ লেখা মানায়। আমি শেয়ার করলাম।
ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ
আমার মতে প্রথম স্বীকৃতিদাতা দেশ হল পাকিস্তান। পাকিস্তানি প্রতিনিধি নিয়াজিই সেনাবাহিনী সমেত আত্মসমর্পণ করে স্বীকার করে স্বাধীন বাংলাদেশকে।
আপনার লেখায় ইসরাইলকে স্বীকৃত দেবার বাহাত্তর সালের ডকুমেন্টটি পেলাম কিন্তু ১৭ এপ্রিলের কোন ডকুমেন্ট নেই।এটা কেন?১৭ এপ্রিলের ডকুমেন্টটা দিন।
ভালো লাগলো।
ভুটান, ভারত উভয় দেশ-ই ৬ ডিসেম্বর স্বীকৃতি দেয়। তবে ভুটানের স্বীকৃতি ভারতের কিছু ঘণ্টা আগে আসে।
লেখাটা খুব খুব পছন্দ হল। কৃতজ্ঞতা জানাই লেখককে। ধন্যবাদ
৪ ডিসেম্বার যে ভুটান বাংলাদেশ কে সিকৃতি দেয় তার বিস্তারিত বা লিংক দিলে খুশি হতাম
বংবন্ধু যখন নিজেই পাকিস্তান গিয়ে ভুট্টু সাহেবর সাথে কোলাকোলি করেন এবং তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন , উনার যখন কোন আপত্তি ছিল না পাকিস্তানের সাথে বন্ধুত্তের তাহলে আপনারা সবাই কি তার থেকে বেশঈ বাংআলি হয় গেলেন না কি ?
আমি মুক্ত মনা সম্পরকে আগে ভাবতাম, এখানে যারা প্রবেশ করে তারা আসলেই মূল্যবান সময় নিয়ে যুক্তি সঙ্গত আলচনা করে আবেগের উরধে উঠে, কিন্তু আজ আমার ভাবনাটা উল্টে গেল। আপনারাও মূর্খ মানুষ ও মুন্সিদের মত আবেগের ভিতর থেকে বাহির হতে পারেন নাই। এটা বুঝা গেল আপনাদের পাকিস্তান কে ঢালাও বিরধিতা করা দেখে। আপনারা যেমন ধরমের বিষয়ে যুক্তি সারা কুনো কিছু গ্রহন করতে চান না,তাহলে আপ্নারা পাকিস্তান ও ১৯৭১ নিয়ে ক্যান কুনো যুক্তি গ্রহন করেন না, আপনারাও ও মুন্সিদের মত এমন জাইগা তে আছেন যে, সব বুজলাম কিন্তু তাল গাছ আমার, সেই বিষয়ে যে বিষয়ে আপনাদের জানা নেই। আমি কিছু কথা বলে আপনাদের চিন্তা জগতে নতুন আলোড়ন তুলতে চাই। সত্যি কারে মুক্ত মনারা কিন্তু সব কিছু শুধু যুক্তি দিয়েই গ্রহন করবে না, তারা সেই সাথে তা বুজতে হলে ঘটনাটার সময় ও তার সমসাময়িক অনেক জ্ঞান তার থাকতে হবে। আমরা সবাই ঢালাও ভাবে পাকিস্তান কে দুষ দেই, কিন্তু আমরা কি এটা জানি যে, ১৯৪৭ এর পুরবে পাকিস্তান এর জন্মের জন্য সবচেয়ে বেশী সংখক চেস্টা করেছে টারা বাঙালি, যত সংখ্যক পাকিস্তানি পাকিস্তান কে চেয়েছে, তার চেয়ে বেঙ্গল প্রদেশের মুস্লমান বাংলালি রাই পাকিস্তান কে বেশী চেয়েছে, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লে আপনার জানতে পারবেন যে, পাকিস্তান এর জন্য এই বাংলালিরা কি করেছে। আর পাকিস্তান এর জন্মের পর শুশন ও ৩০ লাখ মানুষ মারা জাওয়ার বিষয়ই কি বা আপ্নারা মুক্তমনারা কি কখনো যুক্তি দিয়ে ভেবেছেন? পাকিস্তান ক্যান জন্ম নিল? তার কি প্রয়োজন ছিল? ১৯৪৬ সালে একমাত্র মুসলিম লিগের মননিত প্রাদেশিক প্রধান মন্তি হিসেবে বেঙ্গল প্রদেশেই মুসলিম লিগ পাশ করেছে, অখন্ড ভারতের আর কুনো প্রদেশের মুসলিম লিগ এর কেও প্রধান মন্তি হতে পারে নাই ১৯৪৬ এর ইলেক্সনে, এর মানে কি আপ্নারা কখন ও কি রাগ ছাড়া যুক্তি দিয়ে ভেবে দেখেছেন? এই বাংলার মানুষ ই পাকিস্তান কে জন্ম দিয়েছ, পাকিস্তান রা একা জন্ম দেই না, একা ত প্রশ্মই আসে না, বরং আমরা বাংগালিরাই পাকিস্তান কে জন্ম দিয়েছি। মুক্ত মনা আমিও, আমিও আমার একাডেমিক পরা শুনার চেয়ে মুক্ত চিন্তার পেছনেই সময় অনেক অনেক বেশী দিয়েছি বিগত ৬ কি ৭ বছর এবং এখনও দিয়ে জাছছি। আমরা শুধু ধর্ম নিয়ে মুক্ত চিন্তা করতে পারি না,আমাদের ইতিহাস নিয়ে ও মুক্ত চিন্তা করতে হবে, কারন আমাদের ইতিহাস এ প্রচুর কথার মার পেচ আসে, যা খুব চিন্তাশীল মানুষ ছাড়া বুজতে পারবে না,যা অতি বাংলাদেশি মনভাব থাকলে ও আপনি বুজবেন না, আবার আপনি অল্পতেই যদি রেগে জান বা এমন এক জাইগা তে থাকেন যে, সব ই বুঝেন কিন্তু আপনি ১৯৭১ নিয়ে পাকিস্তান দের ই দুষ দেন, তাহলেও আপনি ট অই মূর্খ লুকদের মত হলেন যারা জুক্তির চেয়ে আবেগ কেই বেশী প্রস্রই দেই। কাজেই সত্যি কারের মুক্ত মনা হতে চাইলে আপনা কে দেশ ও জাতিওতাবাদ এর উরধেও উঠ তে হবে।
আমি দেশে থাকা অবস্থায় পাকিস্তানিদের সাথে পরিচিত হবার কোনো সুযোগ পাই নি। বিদেশে আসার পরে পড়ালেখা, কাজ বা বাইরে বের হবার কারণে প্রচুর পাকিস্তানির সাথে পরিচিত হবার সুযোগ হয়েছে। আগে এদের প্রতি রাগ ছিল একাত্তরের কারণে। এখন এদের প্রচুর লোককে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে দ্বিধা নেই যে, পৃথিবীতে খচ্চর লোক দিয়ে পরিপূর্ণ কোনো জাতি যদি থেকে থাকে, তবে তা নিঃসন্দেহে এই পাকিস্তানিরা। হেন কোনো অপকর্ম নেই, যা এরা করতে পারে না। আমি মাঝে মাঝে খুব বিস্মিত হয়ে ভাবি যে, এই অদ্ভুত অসৎ, মিথ্যাবাদী, নাক উঁচু, প্রতারকে পরিপূর্ণ একটা জাতির সাথে এক দেশ হিসাবে আমরা তেইশ বছর ছিলাম কী করে?
আমার মনের কথাটাই লিখে দিলেন ভাইয়া (Y)
একজন ইহুদি হওয়াই আমার দোষ। তাই সর্বদা আমাকে খ্রিষ্টানের ভেক ধারন করতে হয়! যাই হোক, ইসরায়েল তো এক আল্লাহ (জেহোভাহ) কে মেনে নিয়েছে। কিন্তু আমাদের সবাই মারতে চায়, সবাই ধ্বংস করতে চায়। কেন? কারন আমররা ইহুদি। ভেবে দেখুন, যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সাহায্য না করত, তাহলে আমাদের কি হত?
আজ ইসরায়েল কে স্বীকৃতি দেয়া, না দেয়া কেন শুধু ধর্মের অনুশাসনে আবদ্ধ? হলোকাস্টের পর যা হয়েছে তা শুধু ইহুদি জাতির establishment ছাড়া কিছুই নয়।
সুতরাং প্রতিক্ষায় থাকলাম, কবে নিজেকে ইহুদি হিসেবে পরিচয় দিতে পারব…
ইসরাইল একটি ধর্মভিত্তিক জাতিগোষ্ঠি। ঈশ্বরকতৃক প্রতিশ্রুত দেশের যুক্তিতে ফিলিস্তিনিদের দেশ দখল করে নিয়েছে এবং ফিলিস্তিনিদের নিজ দেশ থেকে বিতাড়িতও করেছে। আরবদের ঘনিষ্ঠ ভাবে চেনার এবং জানার সু্যোগ হয়েছে। এমন স্বার্থপর অসভ্য জাত কমই আছে। তবু ফিলিস্তিনিদের দেশ দখল করে নেয়াটা সমর্থন করা যায় না। ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিতে তাই আমার আপত্তি। তবে পাকিস্তান থেকে আমরা মনে প্রাণে যত দূরে থাকি, ততই মংগল।
আচ্ছা ধরুন, আমি কাউকে প্রশ্ন করলামঃ বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশ কোনটি?
নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নোত্তরে অপশন হিসেবে রাখলামঃ
ক. ভুটান
খ. ভারত
গ. পাকিস্তান
ঘ. ইজরায়েল
আপনি কোনটিকে বেঁছে নেবেন? কেন?
আপনি যদি ভুটানকে বেঁছে নেন ( পাকিস্তানের কোনই সম্ভাবনা নেই, সঙ্গে ভারতেরও) , তার বিপক্ষে ইজরায়েলকে দাঁড়া করিয়ে দেওয়া যেতে পারে। কারন, আপনার দেওয়া সূত্র এবং কথার উপর ভিত্তি করে ইজরায়েলকেই বলা যেতে পারে বাংলাদেশের প্রথম স্বীকৃতি-প্রদানকারী দেশ।
যদিও এখন প্রতিষ্ঠিত যে, ভূটানই সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তাহলে আপনার মতে কোনটাকে বেঁছে নেওয়া উচিত? আসল সত্যটা নাকি প্রতিষ্ঠিত মিথ্যাটা?
ধন্যবাদ। এমন একটা তথ্য জানানোর জন্য, যা আমার জানা ছিল না। আমার জ্ঞানের বহর:
বলিহারি!
“ইজরায়েল বাংলাদেশের জনগনের সংগ্রামের সাথে তাদের মিল খুজে পেয়েছিল।” কি কঠিন কথা!!!! বাংলাদেশের জন্ম কি অন্য কোন দেশের মানুষকে জোর করে পৃথিবীর তাবৎ শক্তিশালী দেশের দ্বারা হঠিয়ে দিয়ে হয়েছিল? যদি এরা জার্মানির কথা বলে, তাহলে তার জার্মানির মাটি দখল করে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেনি কেন? এক স্বীকৃতিই যদি অতি বড় কৃতজ্ঞতার অংশ হয়ে যায় তাহলে তো আমাদের ভারতকে আমাদের দেশের সীমান্ত খুলে দেয়া উচিত যা খুশী করার জন্য, কারণ তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্য করেছিল।
“ইজরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের মুসলিম ভাইদের ধরে ধরে আচ্ছামত পিটুনি দেয়।” কথাটা খুব সুন্দর, এতে বোঝা যায় লেখক আসলে দুনিয়া বিচ্ছিন্ন… লেখকের কাছে ফিলিস্তিনের নারী, শিশু, নিরপরাধ মানুষ বিমান, ট্যাঙ্ক, ভারী অস্ত্র দিয়ে মারা যদি “পিটুনী” হয় তাহলে সে আসলে সদ্য ভূমিস্ট শিশু, অথবা প্রতিবন্ধী অথবা ইসরাইলের খাস লোক…
@এনায়েত করিম,
আমার মনে হয় লেখক হাল্কাভাবে যা বলতে চেয়েছেন তা আপনি বুঝতে পারেন নি। উপরে একটি মন্তব্যে লেখক পরিষ্কারভাবে বলেছেন “প্যালেস্টাইন ইস্যুতে আমরা পরিষ্কারভাবে ইসরাইলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছি। সেই অবস্থান এখনো পালটায় নি আমাদের।”
বাংলাদেশ কেন ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় না তার বড় কারন মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধ, সাথে অর্থনৈতিক কারনও আছে। তবে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যতদিন আমাদের পরহেজগার নেতা-নেত্রীরা সময়ে অসময়ে ওমরাহ করতে ছুটবেন ততদিন ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবার মত কিছু ঘটবে না।
(Y)
অনবদ্য লেখার জন্য আপনাকে (F)
এই নোটটি গুরুচণ্ডালি ডটকম-এর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংকলনে যুক্ত করা হয়েছে। [লিংক]
আপনাকে ধন্যবাদ।
ইসরায়েলের স্বীকৃতি দানের ব্যাপারটা আমি জানতাম না। আমরা ইতিহাসের অনেক কিছুই জানি না। আমাদের জানতে দেয়া হয়নি। ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি লেখার জন্যে।
চমৎকার তথ্যবহুল লেখা ফরিদ ভাই অবশ্য আপনার সব লেখাই তাই। (F)
(১) ইসরায়েল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে চেয়েছিল বাংলাদেশকে কিংবা বাঙ্গালীকে ভালোবাসে এজন্য নয়, এজন্য যে যে তারা বাংলাদেশ হতে পাল্টা স্বীকৃতি আশা করেছিল। একটা বার্গেনিং চিপ হিসেবে।
(২) ইসরায়েলকে স্বীকৃতি না দেওয়া কিংবা ইসরায়েল এর সাথে বানিজ্য- যদিও ত্রিশ বছর আগে অনেক কারন ছিল কিন্তু বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে বাহুল্য। ইসরায়েল এর সাথে সম্পর্ক স্থাপনে বাংলাদেশের আসলে বাধা থাকা এই মূহুর্তে উচিত নয়।
(৩) স্বীকৃতি না দিলেই যে ভারত দোষের কিছু করে ফেলেছে তা বলাও একটি হাস্যকর ব্যপার। একটি বড় আন্তর্জাতিক রাস্ট্র হিসেবে কিছু করে ফেলতে পারেনা। যেমন আমেরিকা পারছেনা তাইওয়ান কে স্বীকৃতি দিতে। তাছাড়া বাংলাদেশের মত ভারতেও ওই সময় বেশ কয়েকটি অঞ্চলে স্বাধীনতা আন্দোলন চলছিল। ভারত যাই করুক – নিজের নিরাপত্তা বিসর্জন দেবেনা। তাছাড়া ১৯৭১ সালে ভারত এই অঞ্চলকে পূর্ব পাকিস্তান না ডেকে “পূর্ববঙ্গ” কিংবা “বাংলা” ডাকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়।
(৪) এখন দেখা যাক বাংলাদেশ কয়টি দেশকে এখন পর্যন্ত স্বীকৃতি দেয়নি –
১. ইসরায়েল
২. দক্ষিন ওসেটিয়া
৩. আবখাজিয়া
৪. কসোভ
৫. তাইওয়ান
৬. ট্রান্সনিটরিয়া
৭. সোমালিল্যান্ড
৮. ট্রার্কিস সাইপ্রাস
এই আটটি দেশ খুবই স্বাধীন ভাবে রাস্ট্র পরিচালনা করেছে। এর মধ্য মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ট আবার চারটি।
সুতরাং, লেখকের “মুসলিম ভাতৃত্ববোধ” তত্ত্ব এখানে খাটেনা। ইসরায়েল এর সাথে সম্পর্ক স্থাপন না করার মূল কারন ছিল ততকালীন সময়ে যেন আরবের সাথে সম্পর্কের অবনতি না ঘটে। কসভোর ব্যাপারে নীতিগত সমর্থন এবং মুসলিম “ভাই-ব্রাদার” হলেও বাংলাদেশ কিন্তু কসভোকে স্বীকৃতি দেয়নি।
৫. পাকিস্তানের ব্যাপারটা এই মূহুর্তে বাংলাদেশের জন্য দুই মুখো ব্যাপার হয়ে গিয়েছে – এবং তা আমেরিকার মতই। অনেককেই বলতে শুনি পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে – যদি বাস্তবে তা করা যেত আমার আসলেই অনেক ভালো লাগত। তেমনি ভালো লাগত ঐ সময় ১৯৭১ সালে পাকিস্তানকে নীতিগত সমর্থন জানানো এবং খাদ্য জাহাজ ফিরিয়ে দেওয়া আমিরিকাকে বুড়ো আঙ্গুল যদি আমরা দেখাতে পারতাম। কিন্তু এটা করা আমাদের দেশের জন্য অনেক কঠিন। খুশি হতাম এই সপ্তাহে বিজয় দিবসে স্মৃতিসৌধে না যাওয়া ইউরোপীয় রাস্ট্রদূতদের দেশ হতে এক্রিডিটাশন বাদ দিয়ে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে এবং পারসোনা নন গ্রাটা ঘোষণা করতে।
অনেক নতুন প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধের বিশেষ চেতনায় চিতায়িত তরুণতরুণী আমেরিকার ১৯৭১ এ ভূমিকার অংশটি চেপে যায় – NSA ধরে ফেলবে কিনা – ফান্ডিং বাদ হয়ে যাবে কিনা এই ভয়ে।
এখানে অনেক কিছুই বলা যেত “আন্তর্জাতিক রাজনীতি” বিষয়ক।
শুধুই বলতে হচ্ছে – ব্যাপারগুলো যত সরল ভাবে ভাবা হয় তত সরল নয়।
ফরিদ ভাই,
আগে থেকেই একমত। তবে আমার মনে হয়না যে এখনো ইসরাইলের সাথে আমাদের কূটনৈতিক কুসম্পর্ক বজায় রাখা উচিৎ। একটু চারদিকে তাকিয়ে দেখুন তো যাদের জন্যে ইসরাইলকে দূরে রেখেছি আমরা তারা আমাদের কাছে কিনা….!
প্যালেস্টাইন দখলদার হিসেবে ইসরাইলকে যতই গালি দেই, কেউ কি বলতে পারবেন ইতিহাসে শেষ কবে প্যালেস্টাইন স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিস্ঠিত ছিল?
all countries except Pakistan .পাসপোর্টে লিখা না থাকুক, হৃদয়ে লিখে নিলাম।
একটা দেশ স্বাধীন হয়েছে ৪০ বছর পার হল, এখনো স্বাবলম্বী হতে পারল না, বৈদেশিক সম্পর্ক নিয়ে এত মাথাব্যথা হয় কী করে কে জানে? ভাত কাপড় নেই, একদিন বর্ডার সিল করে ফরাক্কা খুলে দিলে পরের দিন খুঁজে পাওয়া যাবে না, ওদিকে জ্ঞানের ঘাটতি নেই। বাংলাদেশের অর্ধক লোক তো বিদেশে থাকে। 😀 😀
আর একটা কথা, মুসলমান ভাই, মুসলমান ভাই করে চ্যাঁচামেচি করছেন না? মুসলমানের সঙ্গে অন্য জাতের ক্যাচাল বাঁধলে তবু থামানো যায়। কিন্তু মুসলমানে মুসলমানে লাগলে ‘আল্লা’ও অক্ষম।
১০০% একমত পোষন করছি “ALL COUNTRIES OF THE WORLD EXCEPT PAKISTAN”
অজানা তথ্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। (F)
এইবার মিঞা তোমার খবর আছে :))
@কাজী রহমান,
লাশ ফালায় দিবো, নাকি জেলে নিয়া অন্ধকূপে রাখবো? :-s
অল এক্সসেপ্ট Indian Dalal
পাকিপন্থী এখানেও ভারতের গন্ধ পাইছে ! :lotpot: :lotpot:
মুসলিম-মুসলিম ভাই ভাই তাই না ! 😉
কত অজানারে!
আমার কাছে নতুন তথ্য এবং কঠিনভাবে একমত যে পাসপোর্টে লেখা উচিত, ‘অল কান্ট্রিজ এক্সসেপ্ট পাকিস্তান’ প্রস্তাবটি যথাযথ স্থানে যথা নিয়মে দাখিল করার পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কারণেতো বটেই একটা অকার্যকর রাষ্ট্র বলেও।
@গীতা দাস,
প্রাণের দাবি একখান, ভাগো তুমি পাকিস্তান। 🙂
এছাড়া ফারজানা স্নিগ্ধাকেও ওনার তথ্য ও কাহিনীর জন্য ধন্যবাদ। লোকজনের এমন অবস্থা যে কোরানের বিভিন্ন জায়গা নিয়ে তর্ক করা যেতে পারে, কিন্তু ইজরায়েল নিয়ে কোন কথা বলা যাবে না। এটা যেন Mother of all blasphemy! যে দু-একজন কথা বলেছে তাদেরকে সরকার কি হেনস্থা করেছে সেটাতো কয়েক্জন পাঠক আগেই উল্লেখ করেছেন।
ফরিদ আহমেদকে লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। এই সম্বন্ধে আমার কিছু ধারনা ছিল এবং কিন্তু ইন্টারনেট অনেক ঘাঁটাঘাটি করেও বেশী তথ্য উদ্ধার করতে সমর্থ হই নি। পৃথিবীর কোন দেশের পাসপোর্টে কোন বিশেষ দেশে যাওয়া নিষিদ্ধ আছে কিনা জানি না (পাকিস্তান ছাড়া), তবে বাংলাদেশ সরকার তার নাগরিকদের কোন বিশেষ দেশে না যেতে দিলে সেটা তাদের নাগরিক অধিকারই ক্ষুন্ন করে। যেখানে মিশর ও তুরস্কের মত দেশের সাথে ইজরাইলের সরকারি সম্পর্ক আছে সেখানে বাংলাদেশীদের ইজরাইল ভীতির কারণ আমি খুঁজে পাই না। ইন্দোনেশিয়ার সম্পর্ক আছে, মালয়েশিয়ার সাথে সরকারি সম্পর্ক না থাকলেও প্রচুর অর্থনৈতিক লেনদেন হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ছাড়া প্রতিটি দেশের সাথে ইজরাইলের কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে। এমন কি মুসলিম দেশে মালদ্বীপের সাথেও। শুধু বাংলাদেশের পাসপোর্টের মত পাকিস্তানের পাসপোর্টেও ঐরকম ইজারাইলে অনুমোদিত নয় বলে ছাপ আছে।
আরব দেশগুলোকে বদান্যতা দেখাতে এক ধরনের হীনমন্যতায় ভুগছে বাংলাদেশ, ইজরাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করলে কি মধ্যপ্রাচ্য থেকে বাংলাদেশীদের বার করে দেবে? আমার তো মনে হয় না।
আর একটা ব্যাপার হল ইজারাইল নিয়ে লেখা বাংলাদেশে একটা বিপজ্জনক ব্যাপার। বিভিন্ন ধরনের আন্দোলন প্যালাস্টাইন সম্পর্কে কিছু জানুক না না জানুক সেটাকে এমন গুরুত্ব দিয়েছে যে ইজরাইল নিয়ে কিছু বললে সে মোশাদ বা সি আই এর চর হয়ে যায়। প্যালাস্টাইনের ব্যাপারে সহানুভূতিশীল থেকেও বাংলাদেশ তার পররাষ্ট্র নীতিতে একটা স্বাধীন ধারায় চলতে পারে। মার্কিন দেশ যে কিনা ইজরাইলের এত বন্ধু সেখানে হাজার হাজার প্যালাস্টাইনের লোক প্রতিবছর অধিবাসী হচ্ছে। তাই প্রথম যে কাজটি বাংলাদেশের করা উচিত তাহল পাসপোর্ট থেকে ঐ সিলটি তুলে দেওয়া। কারুর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করার দরকার নেই, বরং সম্পর্ক স্থাপন করার দরকার আছে।
@দীপেন ভট্টাচার্য,
এতো বছর আগের তথ্য আসলে খুব বেশি ইন্টারনেটে নেই। ইসরাইলের এই প্রস্তাব বিষয়ক পুরো বিবরণ আমি পড়েছিলাম বহু বছর আগে এক বইয়ে। এখন সেই বইয়ের নামও মনে নেই, লেখকের নামও বিস্মরনে হারিয়ে গেছে। শুধু এইটুকু মনে আছে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের হর্তাকর্তা ধরণের কেউ ছিলেন।
ইজরায়েল আর ইহুদি, এই দুটো বিষয় এতো নেতিবাচকভাবে আমাদের সমাজে গেথে আছে যে, এর উর্ধ্বে উঠে যুক্তিপূর্ণভাবে কোনো চিন্তা করার মতো অবস্থায় বেশির ভাগ লোকই নেই।
হাহাহা, খারাপ কী? চরদের ওরা নিশ্চয় ভালোই পে করে। 🙂
ফরিদ আহমেদ,
চার বছর আগে যেদিন প্রথম পাসপোর্ট হাতে পাই, সেদিনই বিষয়টা আমার মাথায় খেলে যায়। প্রথম কথা হচ্ছে, মানুষ যখন মঙ্গলে আর চাঁদে জায়গা-জমি কেনার তোরজোড় চালাচ্ছে, সেই সময়ে পৃথিবীর মানচিত্রের কোন একটা ভূ-ভাগ আমার জন্য নিষিদ্ধ – মানতে সত্যি কষ্ট হয়। দ্বিতীয়ত, নিষিদ্ধ যদি হতেই হয়, তবে যে দেশটা সবার আগে নিষিদ্ধ হবার কথা সেটা না হয়ে সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরের একটা দেশের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে রাখা হয়েছে, তা-ও কেবলমাত্র ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধের দোহাইয়ে। এটা অবশ্য অনেকেই মানতে নারাজ। একবার ফেসবুকে এ নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। আমার শ্রদ্ধেয় এক বিসিএস ক্যাডার বড়ভাই বিষদভাবে বুঝিয়ে দিলেন কেন এখানে ধর্মকে টেনে আনা উচিৎ না। “জিও-পলিটিক্স” নিয়ে একটা বই পড়ারও উপদেশও দিয়ে দিলেন। সাথে সাথে ইসরাইলের প্রতিষ্ঠাকালিন ভূ-সীমারেখা আর আজকের ভূ-সীমারেখার দিকে তাকিয়ে দেখতেও বললেন। আমি আমার টাকমাথা চুলকে চুলকেও বুঝতে পারলাম না সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরে থেকে এসে চীন, ভারত, মায়ানমার, এসব ডিঙিয়ে কেমন করে ওরা এদেশে ঢুকে পড়তে পারে। আর আমরা এমন কী হীরার খনির উপর বাস করছি যা দখলের জন্য একমাত্র ইসরায়েলই ওঁৎ পেতে আছে? আমি আর কথা বাড়ালাম না। নিজের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কথা ভেবে সেবার চুপ করলাম, কিন্তু ভেতরে ভেতরে আজও সেই সমীকরণ মেলাতে পারছি না।
ইন্টারনেটে সার্চ করলে ইসরায়েলের স্বীকৃতি দেয়ার দাবী সংক্রান্ত বেশ কিছু লেখা পাওয়া যায়। মানুষের চিন্তার পরিধি বাড়লেও যারা এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্তটি নেবেন, তারাই তো দেখি অনড় এ বিষয়ে। এই গোড়ামির পেছনে ধর্মীয় আবেগ ছাড়া আর কোনো যৌক্তিক কারণ দেখতে পাই না।
আপনার প্রস্তাবনা যদি বাস্তবায়ন হয়, তবে সবচাইতে ভালো। তা-ও যদি না হয়, অন্তত ইসরায়েলের সাথে সাথে পাকিস্তানকেও যোগ করা হোক নিষিদ্ধের তালিকায়। আর এর উপযুক্ত সময় এখনই।
ধন্যবাদ আপনার চমৎকার প্রস্তাবনার জন্য। একদিন হয়তো আপনার মননের দলের মানুষের ভারে স্বীকৃতি পাবে আমাদের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম দেশটি।
স্কুল-কলেজ ,পাড়া-মহল্লা বা গ্রামে যেখানেই যাই না কেনো আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের ঘৃণ্যার তীরটা ইসরাইলের দিকে তাক করা থাকে । কোনো কিছুই হলে বলতে শোনা যায় –
ক্লাস ১০ এ যখন পড়ি তখন এক বন্ধুর সাথে হিটলার নিয়ে কথা হল তার চোখে হিটলার আবার দেব তুল্যু কেননা সে ইহুদি নিধণ করেছে এবং আমার ঐ বন্ধুর মন খারাপ ছিল যে কেনো ইহুদি নামক পুরো জাতিটাকে ধ্বংস করতে পারল না ।
অথচ আমরা ভুলে যাই আমরা দুধ-কলা দিয়ে কাল সাঁপ পুষে যাচ্ছি দিনের পর দিন । ‘৭১ এ এত নৃশংতা চালানোর পর এদেশের কিছু মানুষ আছে যাদের পাকিস্তান প্রীতি দেখলে আমার সত্যি ভয় লাগে । এরা খেলার সাথে রাজনী্তির মিশ্রণ করে না ; পাকিস্তান কোনো পাপ বা খারাপ কাজ করলেও এদেশের মুসলমানরা তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখতেও কার্পণ্য করে না । এদের সংখ্যা যে কম তা না কিন্তু এদের নিয়ে গত ৪৩ বছর ধরে একসাথে আছি মনে হয় এই দেশটা ক্যান্সার এর সাথে লড়াই করে যাচ্ছে দিনের পর দিন ।
আপনাকে অসংখ্য ধ্যনবাদ এমন সময় উপযোগী লেখাটা দেয়ার জন্য । আমাদের উচিত ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা এবং ওদের কাছ থেকে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি , শিক্ষা , শিল্প-বাণিজ্য এসব ক্ষেত্রে আমরা পরস্পরকে সাহায্য নিতে পারি ।
এই লেখাটি একটু সময় নিয়ে পড়লে ইজরায়েল আর দ: ক্ষিন আফ্রিকার সম্পর্ক নিয়ে অনেক কিছু জানা যাবে।
http://mondoweiss.net/2013/12/alliance-relationship-apartheid.html
It wasn’t long before Israel initiated defense cooperation with some of the world’s most notoriously brutal regimes, including Argentina’s military dictatorship, Pinochet’s Chile, and apartheid South Africa.
At its core, the Israeli–South African relationship was a marriage of interests and ideologies. Israel profited handsomely from arms exports and South Africa gained access to cutting-edge weaponry at a time when the rest of the world was turning against the apartheid state. For the next twenty years, a Janus- faced Israel denied its ties with South Africa, claiming that it opposed apartheid on moral and religious grounds even as it secretly strengthened the arsenal of a white supremacist government.
Israel and South Africa joined forces at a precarious and auspicious time. The alliance began in earnest after the October 1973 Yom Kippur War, and shared military and economic interests drove the relationship for the next three years. Though both countries were receiving varying degrees of support from the United States, neither enjoyed a defense pact with Washington and both were wary of relying too heavily on the Americans for their survival— especially in the early 1970s, when unconditional U.S. support for Israel was by no means assured. This alliance exposed Israel to great risks in the realm of public relations, especially when the Jewish state’s legitimacy was already under attack at the U.N. from pro-Palestinian groups and aligning itself with the hated apartheid regime threatened to tarnish its reputation further.
Rabin’s Labor Party government, which ruled the country from 1974 to 1977, did not share the ethnic nationalist ideology of South Africa’s rulers, but Israel’s war-battered industries desperately needed export markets and the possibility of lucrative trade with South Africa was hard for Defense Minister Shimon Peres to resist. As Rabin, Peres, and a new generation of leaders inherited the party from David Ben-Gurion and Golda Meir, the conviction that compromising certain values was necessary for survival gained sway and socialist idealism gave way to realpolitik. During the Rabin years, South African arms purchases breathed life into the Israeli economy and Israeli weapons helped to reinforce the beleaguered and isolated apartheid regime in Pretoria.
The impact of their tryst was felt across the globe. As the Cold War spread south in the 1970s, Africa became an ideological battleground, pitting Angolan government troops and their Cuban allies against South Africa’s formidable military machine, which owed its prowess in no small measure to Israel. The U.S. government feared that South Africa’s white minority regime, driven by a siege mentality and militant anticommunism, might resort to the nuclear option when faced with Soviet proxies on its borders. The U.S. government had by 1970 accepted that Israel was a member of the nuclear club, but Washington worked tirelessly in the late 1970s to prevent South Africa from joining it. As hard as officials in Jimmy Carter’s administration tried, their nonproliferation policy failed to prevent South Africa from acquiring the bomb soon after Carter left office, and subsequent U.S. administrations couldn’t stop Israel from helping the apartheid state develop more advanced components of its nuclear arsenal.
These two isolated states formed an alliance that allowed South Africa to develop advanced nuclear missile technology and provided Israel with the raw material and testing space it needed to expand its existing arsenal of missiles and nuclear weapons. All of this occurred in the face of intense international criticism, surveillance by U.S. and Soviet intelligence agencies, and constant condemnation by the United Nations General Assembly.
This mutually beneficial relationship was forged outside the jurisdiction of international conventions such as the Nuclear Non- Proliferation Treaty (NPT) and the Missile Technology Control Regime (MTCR), the cornerstones of Western efforts to prevent the spread of weapons of mass destruction. The two countries developed and improved their respective weapons systems under such secrecy that not even American intelligence agencies knew the full extent of their cooperation.
The Israeli–South African relationship was not only about profit and battlefield bravado, however. After Menachem Begin’s Likud Party came to power in 1977, these economic interests converged with ideological affinities to make the alliance even stronger. Many members of the Likud Party shared with South Africa’s leaders an ideology of minority survivalism that presented the two countries as threatened outposts of European civilization defending their existence against barbarians at the gates.
Indeed, much of Israel’s top brass and Likud Party leadership felt an affinity with South Africa’s white government, and unlike Peres and Rabin they did not feel a need to publicly denounce apartheid while secretly supporting Pretoria. Powerful military figures, such as Ariel Sharon and Rafael (Raful) Eitan, drew inspiration from the political tradition of Revisionist Zionism—a school of thought that favored the use of military force to defend Jewish sovereignty and encouraged settlement of the biblical lands of Greater Israel, including the West Bank and the Gaza Strip. Sharon, Eitan, and many of their contemporaries were convinced that both nations faced a fundamentally similar predicament as embattled minorities under siege, fighting for their survival against what they saw as a common terrorist enemy epitomized by Nelson Mandela’s African National Congress (ANC) and Yasser Arafat’s Palestine Liberation Organization (PLO). The ANC may have never employed indiscriminate violence to the extent that the PLO did, but in the eyes of the generals in Tel Aviv and Pretoria, Mandela and Arafat were one and the same: terrorist leaders who wished to push them into the sea. And for the top brass in both countries, the only possible solution was tight control and overwhelming force.
Foreign Ministry officials in Israel did not always approve of close ties with South Africa, but it was the defense establishments— not the diplomatic corps— that managed the alliance. The military’s dominance was so complete that the Israeli embassy in Pretoria was divided by a wall through which no member of the diplomatic corps was allowed to pass. Only when opponents of apartheid within the Israeli government sought to bring down that wall in the late 1980s did the alliance begin to crumble.
প্রথমেই বলে রাখি আমি ইজরাইলের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্থাপনকে সমর্থন করি এবং যতদিন না পাকিস্তান বাংলাদেশে গনহত্যার জন্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে ততদিন পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক না রাখাকেও সমর্থন করি। এখন আসা যাক আসল প্রসংগে
“বাংলাদেশ তাদের থেকে ভৌগলিকভাবে এত দূরে যে, কোনো স্বার্থে আসার সুযোগও বাংলাদেশের ছিল না। তারপরেও তারা সবার আগে বাংলাদশকে স্বীকৃতি দেবার পত্র পাঠিয়েছে। এর মূল কারণ আবেগগত। নেপালে নিযুক্ত ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত বলেন, “ইজরায়েল বাংলাদেশের জনগনের সংগ্রামের সাথে তাদের মিল খুজে পেয়েছিল।”
এটা অত্যন্ত অজ্ঞতা প্রসূত একটি কথা। ১৯৬৬ সালের যুদ্ধের পরে ইজারায়েল পশ্চীম তীর, গাজা এবং পুরো সিনাই উপত্যকা দখল করার পর থেকেই ইজরাইল দুনিয়াজুড়ে আকটি অবৈধ দখলদারী সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিসেবে চিহ্নিত হয়। পুরো মুসলিম দুনিয়া তো বটেই, এমনকি তৃতীয় বিশ্বের অধিকাংশ নতুন স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশগুলি ইজরাইলের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। ইজরাইল সেসময়ে দুনিয়ায় একঘরে হওয়া থেকে রক্ষার জন্যে যেখানে পারে বন্ধুত্ব ও সম্পর্ক স্থাপনে প্রবল আগ্রহী হয়ে ওঠে। ১৯৭১ সালে একটি মুসলিম প্রধান দেশ যদি ইজরাইলের বন্ধু রাষ্ট্র হতে পারতো, তবে ইজরাইলের জন্যে সেটা হতো এক বিশাল সাফল্য। এখানে আবেগের বিন্দুমাত্র জায়গা নেই। কেনো নেই সেটি বলছি।
৭০ এর দশকে ইজরাইল দুনিয়ার যেখানে পেরেছে সেখানে বন্ধু ও সহযোগী রাষ্ট্র খুজেছে, এবং এটা করতে যেয়ে তারা দুনিয়ার সবচেয়ে বিতর্কিত রাষ্ট্রের সরকারগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। বাংলাদেশের চাইতে শ্বেত শাসিত সাউথ আফ্রিকা ও রোডেশিয়া (আজকের জিম্বাবুয়ে) ইজরায়েল থেকে কম ভৌগলিক দূরত্বের নয়। ৭০ ও ৮০ এর দশকে যখন সাউথ আফ্রিকা ও রোডেশিয়াতে সাদাদের শাসন ও স্বাধীনতাকামী কালোদের নিষ্ঠুর দলন এর বিরুদ্ধে সারা পৃথিবীতে তীব্র প্রতিক্রিয়া চলছিলো তখন ইজরায়েল ছিলো এই দুই রাষ্ট্রের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বিপুল অস্ত্র ও অর্থ সাহায্য তো বটেই, এমনকি ইজরায়েল গোপনে সাউথ আফ্রিকার নিউক্লিয়ার বোমা তৈরীর গোপন প্রোগ্রামেও সক্রিয় সহায়তা করেছিলো। আমি নীচে এই সাহায্য সহায়তার কিছু উদাহরন দিচ্ছি।
আসল কথা হলো দ: আফ্রিকা, রোডেশিয়ার মুক্তিকামী সংখ্যা গরিষ্ঠ কালোদের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে কোথায় ছিলো ইজরাইলের ভৌগলিক দূরত্ব থেকে আবেগগত সম্পর্ক?
Israel and Zimbabwe established formal diplomatic relations in 1993. Prior to Zimbabwe’s independence, Israel sold weapons and military equipment to the White-minority government of Rhodesia, which was involved in the Rhodesian Bush War.
http://en.wikipedia.org/wiki/Israel%E2%80%93Zimbabwe_relations
http://mondoweiss.net/2013/12/alliance-relationship-apartheid.html
@সফিক,
আমিও এ কথাগুলো বলতে চাইছিলামঃ ভারত যে কারণে নিজে স্বীকৃতি না দিয়ে ভুটানকে সামনে দাঁড়া করিয়েছিল, ইসরায়েলও সেই একই কারণে বাংলাদেশকে সবার আগে স্বীকৃতি দেবার জন্য উন্মুখ ছিল। আসলে এই সমস্ত ক্ষেত্রে আবেগের জায়গা নেই, পুরোটাই রাজনীতির খেলা।
তারপরেও পাকিস্তানের মত রাষ্ট্রের সাথে ভাতৃপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে সম্পর্ক বজায় রেখে ইসরায়েলকে সরিয়ে রাখার কোন মানে হয় না। আর একটা সময় নাৎসী বাহিনীদের হাতে ইহুদিদের অত্যাচার, তাদের বাস্তুচ্যুত হয়ে হন্যে হয়ে ঘরের অন্বেষণ – এগুলো না হয় বাদই থাকুক আপাতত।
@সফিক, ও অভিজিৎ দা, দুজনকেই ধন্যবাদ আলোচনায় এই অংশটুকু যোগ করার জন্য। লেখকের লেখায় পাকিস্থানের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ব্যাপারে যৌক্তিক ব্যাক্ষা থাকলেও ইস্রায়েল কেন বাংলাদেশের সাথে সম্পোর্কন্নোয়নে আগ্রহী ছিলো সে সময়ে সেটা ব্যাক্ষা করা হয়নি। মূলত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি অনেকটাই ভারতের নীতির সাথে মিল ছিলো আর নেহেরু শাসনাধিন কংগ্রেস যতদিন ক্ষমতায় ছিল ততদিন আরব বিশ্বের সাথে সুসম্পর্ক বজায়ের জন্য ভারতও ইসরায়েলকে যথেষ্ট পরিমানে এড়িয়ে চলত আর মৌখিকভাবে প্যালেস্টাইনিদের স্বাধিনতা সংগ্রামকে ভারত সমর্থন করত। বাংলাদেশ স্বাধিন হবার পরে আরব বিশ্বের সাথে সুসম্পর্ক রাখাটা জরুরী হয়ে পড়ে নিতান্তই অর্থনৈতিক কারনে আর তাই ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি, আরেকটি দেশের সাথে সম্পর্ক ছিলো না সেটি হল সাউথ আফ্রিকা তাদের বর্ণবাদি আচরনের জন্য। রাজনৈতিক বিশ্লেষণ করলেও দেখা যাবে ইস্রায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকলে বাংলাদেশের আহামরি কোন লাভ হত না, যতটা না আরবদেশ গুলো থেকে পাওয়া গিয়েছিলো সেই সময়ে অদক্ষ শ্রমিক পাঠিয়ে। সফিক ভাই যেটা বললেন, ৭০ এর দশকে ইস্রায়েল হন্য হয়ে তাদের স্বীকৃতি দানের জন্য দেশ খুঁজছিলো আর তাদের স্বীকৃতি গ্রহণ করলে হিতে বিপরীত হবার আশঙ্কাও কম ছিলো না। ১৯৪৭ সালের প্রথম প্রহরেই ইস্রায়েলের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন গুরিয়ন জিন্নার কাছে ইস্রায়েলকে স্বীকৃতি প্রদান ও পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কস্থাপনের জন্য জিন্নার কাছে টেলিগ্রাম পাঠিয়েছিলো, সো ব্যাপারটা এমন না যে ইসরায়েল আমাদের সংগ্রামের সাথে তাদের মিল খুঁজে পেয়ে আমাদের স্বীকৃতি দেয়ার জন্য উঠে পরে লেগেছিলো, আসলে সে যাকে পাচ্ছিলো তাকেই বাজিয়ে দেখছিলো; আর মোদ্দা কথা হল, আমাদের স্বাধিনতা সংগ্রামের সাথে ইসরায়েলের জায়োনিস্ট আন্দোলনের তুলনা করলে আমাদের স্বাধিনতা আন্দোলনকেই অপমান করা হবে, এটা আমাদের বোঝা উচিৎ। আমাদের স্বাধিনতা সংগ্রামের সময় প্রয়োজনের তুলনায় দক্ষ কূটনীতিকের অভাব ছিলো স্বাধীনতার সময় যারা আরব বিশ্ব এবং ও আই সি -কে কনভিন্স করতে পারতো যে- পাকিস্তানিরা ধর্মের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশে গণহত্যা চালাচ্ছে। এটাকে আরব বিশ্ব বা ও আই সি-র ব্যার্থতার চেয়ে আমি বলব আমাদের কূটনৈতিক ব্যার্থতা বেশী। আর পাকিস্তান সে সময়ে আমেরিকার নতুন ডাল-কুত্তা হবার কারনে মার্কিন ঘরানার দেশ গুলো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেয়ার পেছনে একটা কারন হতে পারে। যাই হোক, আমার জানা মতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে প্যালেস্টাইনি কমান্ডোদের ট্রেনিং দেয়া হত, জানিনা এখনও দেয়া হয় কিনা, ইস্রায়েলের সাথে বর্তমানে বাংলাদেশের সম্পর্ক সৃষ্টি হলে এটাকে কোন দৃষ্টিতে দেখা হবে সেটাও একটা প্রশ্ন। যাই হোক, ইসরায়েলিদের সাথে আমাদের সরাসরি কোন কনফ্লিকট অফ ইনটারেস্ট নাই যেটা পাকিস্তানিদের সাথে আছে। এদের সাথে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক না রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে আর তাতে জঙ্গিবাদের ভয় কিছুটা হলেও কমবে, কিন্তু ভয় হল চায়না আর আরব বিশ্ব যদি এতাকে ভালো চোখে না দেখে আর ভারত যদি এর ফয়দা লুটতে চায় তখনই একটা সমস্যা তৈরী হতে পারে। দেখা যাক- ভবিষতে কি হয়।
** শেষের লাইনে ‘এদের’ বলতে পাকিদের বুঝিয়েছি।
@যুদ্ধবাজ,
তুলনাটা আমি করি নি। ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত করেছেন।
আপনার চমৎকার বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। (F)
@সফিক,
মনসা যেমন বেহুলার বাসর ঘরের ছিদ্র খুঁজে পেয়েছিল, আপনিও যে আমার লেখায় ছিদ্র খুঁজে পাবেন, এটা জানাই ছিল আমার। আপনি হচ্ছেন ছিদ্রান্বেষী লোক। 🙂
জোকস এপার্ট, আপনি আমার লেখার দুর্বল জায়গাটা সঠিকভাবেই চিহ্নিত করেছেন। হ্যাঁ, আপনার সাথে আমি একমত যে, এখানে আবেগের কোনো জায়গা নেই। কথা দিচ্ছি এই অনুচ্ছেদটা পুনর্লিখন করব আমি। যদিও এই অংশটা লেখার মূল স্পিরিটকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে না বলেই আমার বিশ্বাস।
এই লেখাটা মুক্তমনার জন্য লিখিত ছিল না। ফেইসবুকে একজনকে উত্তর দিতে গিয়েছিলাম। ফেইসবুক আমার কাছে মোটামুটি ফাজলেমির একটা জায়গা। কোনো কিছুকেই সিরিয়াসলি নেই না আমি ফেইসবুকে। সেই মানসিকতা থেকেই উত্তর লিখেছিলাম। পরে দেখি যে উত্তরটা বিশাল হয়ে গিয়েছে, তখনই হুট করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে মুক্তমনায় দিয়েছি। স্বীকার করছি, আমার আরো যাচাই-বাছাই করে, সম্পাদনা করে, পোস্ট দেওয়া উচিত ছিল।
@ফরিদ আহমেদ,ধন্যবাদ ক্রীটিসিজমটি স্পোর্টিংলি নেবার জন্যে। মন্তব্যটা করেই মনে হলো তথ্যগুলো আরেকটু পরিশীলিতভাবে পরিবেশন করা যেতো, কিন্তু মন্তব্য এডিট করার কোনো অপশন তো নেই (দরকারও নেই, কে কি বলেছে তার রেকর্ড থাকা অবশ্যই দরকার)।
আপনার মূল প্রতিপাদ্যের সাথে পুরোপুরি একমত। পাকিস্তান নামের অসভ্য, লজ্জাহীন দেশের সাথে সম্পর্ক রাখার চেয়ে ইজরাইলের সাথে সম্পর্ক থাকা অনেক বেশী আকাংখীত।
@ফরিদ আহমেদ,
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নির্ভর করে পারস্পরিক স্বার্থের ওপর, আবেগ অনুভূতি ব্যাক্তি পর্যায়ে কাজ করতে পারে। এ কারনে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ধরাবাঁধা সীমা নেই। অমূকে বিধর্মী বলে আমাদের বন্ধু হতে পারে না এই জাতীয় ঐশীবানী দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক হয় না।
কাল বলতে ভুলে গেছিলাম মিশর ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করার পর গোস্ম্যা করে সৌদী আরব মিশরের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল এবং অনূদান বাতিল করেছিল দীর্ঘদিন যাবত। বাংলাদেশের জন্যও এমন কিছু করা খুবই সম্ভব। যদিও এখন সৌদী আরব নিজেই ইসরায়েলী অস্ত্র কিনছে সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সাহায্য করার জন্য।
ইসরাইলের সাথে শুধু মিশর তুরষ্ক নয়, জর্ডানেরও পূর্ন কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে। এ ছাড়াও আর কিছু আরব দেশের সাথে বিভিন্ন সময় বানিজ্যিক সম্পর্ক কিছুদিনের জন্য হয় আবার প্যালষ্টাইনে সঙ্ঘর্ষ বাঁধলে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।
পাকিস্থানের সাথে রিকন্সিলেশন এর চেষ্ঠা বহুদিন ধরে এদেশেরই এক গোষ্ঠী খুবই সুনিপুন ভাবে করে যাচ্ছে, আর ইদানিং তারা কাদের মোল্লার ফাঁসির পর জামাত আর মুক্তিযোদ্ধাকে একসাথে মিলেমিশে থাকার উপদেশ প্রকাশ্যেই দিচ্ছে। এই সময়ে আপনার এই ৰ্দুদান্ত দাবীর সাথে সৰ্ম্পূনভাবে একমত জানাইলাম। আমরা আমাদের পাসপোর্টে লেখা দেখতে চাই:
পাকিস্থান হতে হাজার গুন ভাল ইজরায়েল, পাকিস্থান আসলেই সংখ্যাগোরিষ্ঠ খচ্চরের দেশ !
@তারিক,
তারিক ভাই,নিজেকে মানুষ এবং বাংলাদেশের নাগরিক এই পরিচয়টা সবার আগে রেখে আমি আপনার কথায় শতভাগ সহমত পোষণ করছি। (Y)
ভুল করলেন ফরিদ ভাই। এমনিতেই আপনাদের শত্রুর শেষ নেই- অনেকেই মনে করে ইস্রায়েলের টাকায় মুক্তমনা চলে-এবার, সেই প্রচারে আরো বাড়বে। এমনিতেই এই উপমহাদেশের লোকেরা পাগল আবেগপ্রবন -এদের যা খুশি বোঝানো যায়-এবার আপনার শত্রু আপনার লেখা নিয়ে উল্লাস করবে।
কাউকে না কাউকে এই মুসলিম ব্রাদারহুডের চাকে ঢিল মারতেই হত। আপনি সজোরে মেরেছেন। তবে একটা তথ্য এদের দিলে ভাল হত- সেটা হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে কোন মুসলিম দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় নি। সব কটা মুসলিমদেশ বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছে এটা জেনেও বাংলাদেশে পাক সেনা অবাধে হত্যা এবং ধর্ষন চালাচ্ছে।
শুধু তাই না। অনেক দেশের মুসলমানরা তখন এটাও আশা প্রকাশ করেছিল, খান সেনারা রেপ করেই বাংলাদেশের নারী গর্ভে এত সাচ্চা মুসলমাদের জন্ম দেবে, যে দেশটা আসল মুসলমানের দেশ হবে!!
আপনি কি করবেন ফরিদ ভাই যখন ইসলাম নামক একটা ধর্মের মাদকে, আপনাদের মুসলিম ভাইরা এতটাই সেন্সলেস যে তারা ইসলামের নামে নিজেদের মা বোন স্ত্রঈদের ধর্ষনকেও আল্লার মেহেরবানী বলে মনে করে? ইসলামের ভাতৃত্ব যদি তাদের এতটাই নরপশু বানায় যে, সে তার নিজের বৌ এর গর্ভে পাকিস্তানের সেনার ভ্রুনকে আহ্বান করে, তাহলে আমার মনে হয় না কিছু করার আছে।
ইতিহাস খুলে দেখুন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শুধু অমুসলিমরাই বাংলাদেশের পাশে ছিল। বিদেশের মুসলমানরা চাইছিল পাকসেনারা বাংলাদেশের নারীর গর্ভে সাচ্চা মুসলমানের জন্ম দিক। এই ছিল, তাদের ভাতৃত্বের নমুনা।
@বিপ্লব পাল,
ভুল করে ভুল করছিগো দাদা। আরতো ফেরার পথ নাই। আমি আর বেঙ্গলেনসিস ইজরায়েলে রাজনৈতিক আশ্রয় নেবার জন্য রওনা দিচ্ছি। আল বিদা। 🙁
@বিপ্লব দা, খুবই কড়া কথা শুনালেন সন্দেহ নেই। কিন্তু জোরালো প্রতিবাদ করি কিভাবে? সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের যে আসল মানসিকতা, সেটাকেই আপনি তুলে এনেছেন খুব সুন্দর ভাবে !!
আমার মনে হয় এইসব ভ্রাতৃত্ব বাদ দিয়ে আমাদের মুসলিমদের সুময় এসেছে ধর্ম পরিচয়ের আগে নিজেদের মানুষ পরিচয়টাকেই বড় করে দেখা। কারন ইসলামী ভ্রাতৃত্ব বলে আসলে কিছু নেই, থাকতে পারে না, এটা আমরা বুঝতেও চাইনা।
যদি মুসলিম ভ্রাতৃত্ব এতই বড় হয়, তবে কেন হিন্দু প্রধান ভারত (!) আমাদের মুক্তি যুদ্ধের সময় এত সাহায্য করল আর ১ কোটি মানুষকে খাইয়ে পরিয়ে বাঁচিয়ে রাখল, যেখানে মুসলিম ভাইরা (!?) আমাদের তেলাপোকার মত হত্যা করল, আমাদের মা বোন দের সম্ভ্রম হানী করল? এই প্রশ্নের যে কমন রেডিমেড উত্তর পাওয়া যায় ( সেটা নিশ্চয়ই আপনার অজানা নয়) , সেটা হল ভারত কাজটা করেছে নিজের স্বার্থে!!
এভাবে বললে কেউ কি কারো পাশে দাঁড়ানোর ভরসা করতে পারবে ভবিষ্যতে? এটা আসলে আমরা বুঝেও বুঝতে চাই না।
@বিপ্লব পাল,
Dear Biplab, we of course denounce Pakistan for their atrocities and we also denounce India for their utmost interference into my country’s affairs. I hate both pro india and pro Pakistan. India is putting us on verge for her own politics
পরবর্তীতে ইংরেজিতে আর কোন মন্তব্য প্রকাশ করা হবে না।
-মুক্তমনা মডারেটর
তথ্যে ভরপুর লেখা। যদিও ইসরায়েলের ধান্ধাবাজিও কম না (এ নিয়ে এখানে আলোচনার কোন ইচ্ছে আমার নেই)। এবং নীতিগতভাবে ইসরায়েলের প্রতি আমার অবস্থান পরিবর্তন হচ্ছে না। কিন্তু বলতে দ্বিধা নেই, দেশটা ফার বেটার দ্যান পাকিস্তান।
পাসপোর্টে ALL COUNTRIES OF THE WORLD EXCEPT PAKISTAN থাকাই বেশি যৌক্তিক।
@অভিজিৎ,
কালোকে কালো এবং সাদাকে সাদা বলার ক্ষমতাটাই একজন মুক্তমনার বৈশিষ্ট্য। এই মুক্তমনাতেই প্যালেস্টাইন ইস্যুতে আমরা পরিষ্কারভাবে ইসরাইলের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছি। সেই অবস্থান এখনো পালটায় নি আমাদের। কিন্তু, তার সাথে এই ইস্যুর কোনো সম্পর্ক নেই। ইসরাইলের বিপক্ষে নীতিগতভাবে যতখানি অবস্থান আমাদের, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অবস্থান মনে হয় তার চেয়েও বেশি কঠোর আমাদের।
পাসপোর্টে ALL COUNTRIES OF THE WORLD EXCEPT PAKISTAN থাকাই বেশি যৌক্তিক।
হ, এইতো লাইনে আসছো মিয়া। :))
আমার ল্যাব ভিজিটে একবার একজন ইসরাইলী প্রফেসর এসেছিলেন, আমি ল্যাবের একমাত্র ফরেনার হওয়ায় আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন আমার দেশের নাম। বলতে গিয়ে আমার মন খচখচ করছিল, বাংলাদেশের সাথে তো ইসরাইলের কোন সমস্যা নেই, তবুও কেন এদের সাথে আমাদের কেন কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই! ভাবছিলাম উনার কেমন লাগে এই ব্যাপারটা।
অদ্ভূত আমরা, যাদের সাথে আমাদের সমস্যা তাদের সাথে সম্পর্ক রাখি, আর যাদের সাথে সমস্যা নেই, তাদের সাথে রাখি না। 🙁
@নীল রোদ্দুর,
হ, বড়ই অদ্ভুত আমরা। চৌদ্দশ বছর আগে কোন এক থুত্থুরে বুড়ি মোহাম্মদের পথে কাঁটা বিছায় রাখতো, সেই প্রতিহিংসা মনে পুষে রাখছি আমরা এখনো। 😛
পুরো লেখাটাই প্রানবন্ত লেগেছে। এক টানে পড়ে ফেলেছি।
ব্যাপারটা আসলেই দুঃখজনক ।
সত্যিই অবাক হচ্ছি পাকিস্তানকে দেখে। যতই দেখছি, ততই বাকশক্তি রুদ্ধ হয়ে আসছে। ৭১ এর পাকিস্তান আর ২০১৩ এর পাকিস্তানের কোন অমিল নাই। চতুষ্পদ প্রাণী, চতুষ্পদই আছে। মাথাটা নিঁচু করে ঘাস চিঁবানোর মধ্যেই পড়ে আছে তারা । লজ্জা কি জিনিস, তা এদের অভিধানে নেই। বিশ্ব-বেহায়া এসব চতুষ্পদ প্রাণীদের জন্য কথাটা একদম ঠিক আছে-
@বাউন্ডুলে বাতাস,
ওদের এই জাতীয় প্রাণী ছাগলটার মতই ওদের দশা। 🙂
[img]http://blog.mukto-mona.com/wp-content/uploads/2013/12/markhor.jpg[/img]
ইসরাইলের সাথে বাংলাদেশের সরাসরি কোনো বিরোধ নাই। শুধু ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ও আই সি) সদস্য হিসাবে আমরা ইসরাইল বিরোধীতা করছি। দুঃখজনক আমরা যাহাদের খুশি করার জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধচারণ করছি তাহাদের অনেকের সাথে ইসরাইলের বেশ ভালো ডিপ্লোমেটিক সম্পর্ক আছে। আমাদের ভূমিকা হয়েছে যার বিয়ে তাহার খোজ নাই পাড়া প্রতিবেশীর ঘুম নাই। ইসরাইলের গোড়া ঘর যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ওদের কথা ছাড়া আমরা এক কদম যাই না শুধু ইসরাইলের ব্যাপারেই ইসলাম মাথা নাড়া দিয়ে ওঠে। তাই ইসরায়েল নয় শুধু মাত্র শত্রুরাষ্ট হিসাবে পাকিস্তানের নাম থাকা উচিত। এবং লিখা উচিত “This passport is valid for all countries in the world except Pakistan”.
@অন্তঃসার শূণ্য,
দারুণ বলেছেন। (Y)
ফরিদ সাহেবের কাছে আবদার যদি দু একটি অভিজ্ঞতা সংক্ষেপে বলেন।
এক বাংলাদেশী দোকানে গিয়েছিলাম, কিছু বাংলাদেশী পণ্য কিনবো বলে। বাসমতী চাল চাইতেই পাকিস্তানী চাল এগিয়ে দিলেন দোকানী।
আমি বললাম, পাকিস্তানী কোন পণ্যতো আমি কিনি না। পাকিস্তানী পণ্য ছাড়া অন্য কিছু থাকলে দিন।
তিনি বললেন, বিদেশে থাকলে পাকিস্তানী পণ্য বাদ দিয়ে কি চলতে পারবেন ? আমার মেয়েও ইসরাইল থেকে আসা কোন খাবার খায় না। ওর জন্য আমরাও ইসরাইলের কোন ফল পর্যন্ত কিনতে পারি না।
আমি বললাম, পাকিস্তানের সঙ্গে আমার জাতিগত সমস্যা আছে। ইসরাইলের সঙ্গে কি সমস্যা যে ইসরাইলের কোন কিছু কেনা যাবে না? এমনকি ইসরাইল সেই রাষ্ট্র যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সমর্থন জানিয়েছিল।
তিনি বললেন,সে যাই হোক ভাই। ইসরাইল প্যালেষ্টাইনের মুসলমানদের যেভাবে অত্যাচার করছে, দেশটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে সেটা অমানবিক। আমাদের মুসলমান ভাইদের মারছে, এটা সহ্য করা যায় না।
এই দোকানীকে আমি কিভাবে বোঝাবো, বাংলাদেশ পাকিস্তানের ইতিহাসের সঙ্গে ইসরাইল ও প্যালাষ্টাইনের রাজনৈতিক সমস্যার কোন তুলনা হয় না। এই হচ্ছে বাঙ্গালী, নিজের মাতৃভূমির স্বাধীনতার ইতিহাস এরা মনে রাখেনা, অথচ বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় ভাতৃত্বই এদের কাছে বড়। যে দেশ আমার দেশের ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছে, যে দেশ আমাদের লক্ষ লক্ষ মা-বোনকে ধর্ষণ করেছে এবং আরো অসংখ্য অবর্ণনীয় ক্ষতি করেছে, তার জন্য এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে ক্ষমা চায়নি; সেই পাকিস্তানের পণ্য বিক্রি করে নিজের সংসার চালায় এবং পাকিস্তানের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে। আর ইসরাইল ও প্যালেষ্টাইনের রাজনৈতিক সম্পর্কের ইতিহাস না জেনেই ইসরাইলের পণ্য বর্জন করে ধর্মপ্রেম দেখায়।
( প্রসঙ্গত, ৭১ সালের ২৬ এ মার্চের মাত্র ৩৩ দিনের মাথায় ইসরায়েল সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়, তারিখটি ছিল ২৮ এ এপ্রিল ১৯৭১; নেপালে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যান স্ট্যাভ বলেন, ঐতিহাসিকভাবে ইসরায়েল বাংলাদেশের মুক্তি ও স্বাধীনতার লড়াইকে সমর্থন করেছিলো এবং বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্র যারা বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিলো। ঢাবির লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ডঃ নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ এই বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং বলেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী খোন্দকার মোশতাক আহমেদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল রক্ষণশীল তাই সরকারের পক্ষে তিনি তা গ্রহনযোগ্য নয় বলে ইসরায়েলী কতৃপক্ষকে জানিয়ে দেন। বিভিন্ন দায়ীত্বশীল সুত্র বলেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ইসরায়েলের কাছ থেকে সমরাস্ত্র সুবিধা পাওয়া নিয়েও প্রাথমিক কথা-বার্তা হয়েছিল। ডঃ কলিমউল্লাহ জানান, আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ এ স্বীকৃতির ব্যাপারটি একনলেজ কিংবা রেসিপ্রোকেট করেনি)
{এটা লেখার পর আমাকে রীতিমত গালাগালি করা শুরু করেছিল এক দল। ধন্যবাদ আপনাকে। }
@ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা,
আরে! ড্যান স্টাভের তথ্যটাতো আমি আপনার লেখা থেকেই চুরি করেছি। ছি ছি ছি, একেবারে হাতে নাতে ধরা পড়লাম দেখি। 🙁
গুগল করতে গিয়ে আপনার লেখাটা দেখেছি। সত্য বলার সাহসের জন্য স্যালুট আপনাকে। (F)
@ফরিদ আহমেদ,
না, না আপনি ধরা খান নি। কি আমিও নিজেও আরো ২টি ব্লগ দেখে এই ব্যাপারটি সমন্ধে শিওর হয়েছি। তার মধ্যে একটা ব্লগ আর অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে না। যেটি বেশ তথ্য বহুল ছিল।
https://www.amarblog.com/index.php?q=speechless%2Fposts%2F109264
উপরের এই ব্লগটি থেকেই আমি তথ্যটা কপি করেছিলাম।
কমেন্টাইছেন: মুখপোড়া » ২৬ এপ্রিল, ২০১১, মঙ্গলবার, ০২:৩৮ প্রথমভাগ
মুখপোড়া -এর ছবি
আমি কোন দেশ পছন্দ করি না বা সেই দেশ আমার দেশের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় এটা কোন গ্রাউন্ড না
আমি পেজটিকে রিপোর্ট করার জন্যে এটিকে গ্রাউন্ড হিসেবে নিইনি।
আমি স্পষ্টভাবে বলেছি যে
অন্যায়ভাবে প্রতিষ্ঠিত ইহুদি বসতি ইসঅরায়েল আজ অ্যামেরিকা যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপিয়দের মদদ নিয়ে পৃথিবীর পারমাণবিক পরাশক্তিতে পরিণত হয়েছে। পরাশক্তি হোক আর যাই হোক তা আমাদের দুর্ভাগ্যক্রমে গড়ে উঠা একটা বসতিমাত্র। এই ইসরায়েল বসতি’ই আমাদের স্বাধীণতালাভের পর থেকে বিভিন্ন সময় বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে চেয়েছে আর আমরা তা প্রত্তাখ্যান করে আসছি কেননা এটি কোন রাষ্ট্র নয়।
http://www.nagorikblog.com/node/4656
@ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা,
হ্যাডাম থাকলে আমেরিকার ব্যাপারেও একই সিদ্ধান্ত নেন…. মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং এর পরে ওরা যা করেছে তা পাকিস্তান থেকেও কোন অংশে কম নয়…. নাহলে ব্যাপারটা “সুবিধা অনুযায়ী” কাজ করার ব্যাপার হয়ে যাবে :-s
ভাল লাগলো লেখাটা।
কিন্তু এরা কেন এমন? এরা তো আমার আপনার মতো মানুষই। আমি বিভিন্ন সময় এদের সাথে চেটিং করতে গিয়ে দেখেছি। আমি যত উদার হতে চাই। ততই তারা আত্মঅহং দেখায়।
@সুমিত দেবনাথ,
আমার অভিজ্ঞতা থেকে যেটুকু আমি বুঝেছি। পাকিস্তানের সংস্কৃতি তার নাগরিকদের একটা ভয়ংকর সুপিরিওরিটি কমপ্লেক্স তৈরি করে দেয়। তারাই পৃথিবীর সেরা, এই রকম অদ্ভুত একটা বদ্ধ মানসিকতা নিয়ে বড় হয় বেশিরভাগ লোকই। খারাপ যা কিছু, সেগুলোকে ডিনাই করারও আশ্চর্যরকমের ক্ষমতা আছে তাদের। এগুলো তাদের বিরুদ্ধে ঈর্ষাকাতর মানুষের অপপ্রচার, এটাই আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে তারা।
পাকিস্তানিদের এই বদ্ধ মানসিকতা টের পাবার পরেই আমি তাদের সাথে কখনোই কোনো বিষয়ে আলোচনায় যাই না। আলোচনা করে কোনো পাকিস্তানিকে যুক্তি বা তথ্য বোঝানোর চেয়ে, পাথরের দেয়ালে মাথা ঠোকাটাও অনেকে বেশি কার্যকর। :-Y
@সুমিত দেবনাথ,
দেখেন দাদা এটা হল পাকিস্তানীদের একটা সাধারন অসুখ। যারা চুন খেয়েই অভ্যস্ত তারা দইয়ের স্বাদ বুঝবে কেন?
একটা কবিতার কয়টা লাইন মনে আসছে আর তা হল,
বানরের গলে দিলে মুক্তার হার
ফল বলে দাঁতে কেটে করে চুরমার
চাষায় মানিক পেলে দলে দুই পায়
ভুপতি ভুষন করি ধরেন মাথায়।
পাকিস্তানীদের ভাল জিনিস হজম হবে কেন? আপনি যতই বন্ধু ভাব নিয়ে যান না কেন, ওদের পেটে এটা হজম হবে না বলেই আমার বিশ্বাস। হ্যাঁ কিছু মানুষ হয়ত ব্যতিক্রম আছে, তবে ব্যতিক্রম তো আর নিয়ম হতে পারে না!!
ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে দেরী করেছিল, তার রাজনৈতিক স্বার্থ ছিল, ইত্যাদি প্রশ্নের ঊর্ধ্বের ব্যাপার হচ্ছে, ভারত আমাদেরকে স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগীতা করেছিল আমাদের সাথে সামিল হয়েছিল, আমাদের প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিল; উপকৃত হয়েছিলাম আমরাই।
পাকিস্তানের মত এক আপাদমস্তক শত্রুর সাথে আমাদের এতদিনের কূটনৈতিক সম্পর্ক কেন টিকিয়ে রাখা হয়েছিল সেটিই দুর্বোধ্য। তার সাথে সম্পর্কচ্ছেদের দাবী খুবই যৌক্তিক। তবে রাষ্ট্রীয়ভাবে সাধারণের এই গুরুত্বপূর্ণ যৌক্তিক দাবী কার্যকর করা হবে কিনা সেটা চিন্তার বিষয়।
@তামান্না ঝুমু,
হু, রাষ্ট্র যে কেন সাধারণের মন বোঝে না। 🙁
হুম্ এর আগে বাংলাদেশের অ্যান্টি জিহাদি সাংবাদিক সালাহ চৌধুরী কে গ্রেফতার করেছিল তেল আভিভ এ একটি হিব্রু লেখক সম্মেলনে যোগদানের চেষ্টা করাতে । তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল রাষ্ট্রদ্রোহ , গোয়েন্দাগিরি এবং ব্লাসফেমি(!) । তাকে পুলিশ অনেক নির্যাতন করেছিল আটকে রেখে …… পরে যদিও যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান মার্ক ক্রীক বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাথে কথা বলে তার জামিন এর ব্যাবস্থা করেছিল কিন্তু তারপরেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেয়া হয়নি ।
http://en.wikipedia.org/wiki/Salah_Choudhury
মরাল অব দি ষ্টোরি , পাকিস্তান বাংলাদেশের লগে যাই করুক সেখানে বেড়াতে পারবেন , বোমা বানানো্র ট্রেনিং
নিতে পারবেন মাগার ইসরায়েল এর নাম নিলেও খবর আসে । :guli:
@মইন, অবশ্য যোগ করতে ভুলে গেছি তার বিরুদ্ধে হলুদ সাংবাদিকতার অভিযোগ রয়েছে । মুলত সালাহ চৌধুরীর সাথে এই যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন উইলিয়াম নিকোলাস গোমেজ নামের আরেক কুতুব । এই উইলিয়াম নিকোলাস গোমেজ বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতা করেন এবং আশা করেন বাংলাদেশ এর পরিবর্তে মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার করবে যুদ্ধাপরাধের জন্য ( মাইরালা আমারে মাইরালা :lotpot: :lotpot: ) ।
আর লিঙ্ক এবং মজা :
http://en.wikipedia.org/wiki/William_Nicholas_Gomes
http://www.salem-news.com/articles/september272012/choudhury-khar-wg.php
@মইন,
এইবার মনে হয় আমারও খবর আছে। বিসিআই এর উত্তর আমেরিকায় নিযুক্ত কোনো মাসুদ রানাকে হয়তো পাঠানো হবে আমাকে পেদিয়ে ধরে নিয়ে যাবার জন্য। পাইছি ব্যাটা তোরে, জিওনিস্ট ইন্টেলিজেন্সের এজেন্ট। 🙁
এমনিতেই আমার বউ বলে যে, আমি নাকি এয়ারপোর্টে এরেস্ট হবার ভয়েই দেশে যাই না। এখনতো আর ক্যানাডাতেও থাকা যাবে না দেখছি, ইজরায়েলেই পালাতে হবে।
@ফরিদ আহমেদ,
আমিতো তালিকা থেকে ইসরায়েলকে উইথড্র করার ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে বিপদে পড়ার ব্যবস্থা করেছি বলে মনে হচ্ছে! 🙁
@বেঙ্গলেনসিস,
এহে! মৌচাকে ঢিল মারছেন দেখি আপনি। 🙂
তিনটি দেশে কখনো ভ্রমন করব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। দেশ তিনটি হচ্ছে পাকিস্তান, সৌদি আরব ও ইসরায়েল। তৃতীয়টিকে এই তালিকা থেকে বাদ দিলাম।
@বেঙ্গলেনসিস,
তালিকা থেকে বাদ দিয়েও লাভ নেই ভায়া। আপনার এই সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে ওখানে যাওয়া যাবে না কিছুতেই। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
কোন এক ইসরাইলি যেন একবার ফেসবুকে আমাকে জানিয়েছিলো আমার পাসপোর্ট দিয়ে ইজিপ্ট পর্যন্ত গেলে তিনি ইসরায়েলে নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন। (উইকিপিডিয়ার একটা কনফারেন্সে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে!) 🙂
এমনকি হওয়া স্বাভাবিক না যে ইসরায়েল যেহেতু আমারিকার মিত্র তাই তাদের সাহায্য নিলে রাশিয়া বা ভারতকে আর পাশে পাওয়া যাবে না।উপরন্তু আমেরিকা যেহেতু পাকিস্তানের দিকে সুতরাং আমরা তাদের সাহায্য নিলে রাজনৈতিক ভাবে দুর্বল হয়ে যেতাম।
@প্রদীপ্ত,
বাংলাদেশ সরকারের সেই সময়কার সিদ্ধান্ত নিয়ে আসলে কিছু মন্তব্য করা কষ্টকর। দেশের জন্য যেটা সবচেয়ে ভাল, সেটাই নিশ্চয়ই তারা করার চেষ্টা করেছেন তখন। কিন্তু, আজকের এই যুগে এসে, যে দেশের সাথে আমাদের কোনো সরাসরি স্বার্থগত বিরোধ নেই, নেই কোনো শত্রুতা, তার ক্ষেত্রে এই ধরণের নিষেধাজ্ঞাটা ঠিক যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হয় না।
এক কথায় খুবই সময়োপযোগী এবং চমৎকার। জেনে আরো ভাল লাগলো নিচের বাক্যটা।
😀 😀 :lotpot: :lotpot:
@রঞ্জন বর্মন,
একটু ছোট্ট ব্যাখ্যা দিয়ে নেই এই সুযোগে। পাকিস্তানের সবাই খচ্চর না। এই সাধারণীকরণ আমি করছি না। তবে, খচ্চরের সংখ্যা তাদের মধ্যে অন্য যে কোনো জাতির তুলনায় অনেক অনেক বেশি, এই যা। 🙂
@ফরিদ আহমেদ,
সবাই খচ্চর না, কিন্তু কিছু আছে দারুন মজার। কোথায় লাগে মাহমুদুর রহমান এখানে দেখুন।
তথ্য বহুল লেখা। অনেকের জন্য অনেক নুতন তথ্য আছে নিঃসন্দেহে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রবাসী সরকার ইসরাইলের সাহায্য সম্ভাব্য বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ভয়ে প্রত্যাখ্যান করেছিল। মুক্তিযুদ্ধ যে হারে ইসলাম বিরোধী…মুসলমান জাতি ভাংগার বিধর্মী ষড়যন্ত্র এসব বলে মুসলমান দেশগুলিতে প্রচার পেয়েছিল সে কারনে সেই ভীতি ছিল যথার্থ। তারপরেও আমরা ইসরাইলের সাহায্য পরোক্ষভাবে হলেও পেয়েছি। ভারতকে ইসরাইল সমরাস্ত্র সাহায্য দিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের জন্য। মুশকিল হল আমরা এমনই এক কনফিউজড জাতিস্বত্তার অধিকারী যে জাতির এক উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোকে এি তথ্যে বগল বাজাবে ‘৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ আসলেই ধর্মীয় আলোকের ষড়যন্ত্রের নিশ্চিত প্রমান হিসেবে গন্য করে। ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের উদ্ভট তত্ত্ব আর প্রাচীনপন্থী মূল্যবোধের ভূত থেকে সহজ মুক্তি নেই, সেই সাথে ভোগান্তিরও মুক্তি নেই।
ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখলে বাংলাদেশ অবশ্যই নানান দিক দিয়ে লাভবান হতে পারে। এমনকি পাকিস্তান পর্যন্ত পারভেজ মোশারফের আমলে চিন্তা করছিল ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করার। ইসরাইল প্যালেষ্টাইন বিদ্বেষী হতে পারে, তবে মুসলমান বিদ্বেষী কতটা সে ব্যাপারে প্রশ্ন আছে। তাদের নিজ দেশের ভেতরে জন্ম থেকেই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসলমান আছে, তাদের ধর্মাধিকার বা নাগরিক অধিকারের তেমন সমস্যা ইয়াহুদী ইসরাইলীরা করে তেমন বড় ধরনের স্বাক্ষ্য প্রমান নেই।
তবে পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে বহু কিছু চিন্তা করার আছে। আমরা যেভাবে ভাবছি তার বাইরেও অনেক ফ্যাক্টর আছে। রিজিওনাল পাওয়ার ব্যালেন্স চিন্তার আছে। চীন বাংলাদেশের অন্যতম বড় বন্ধু এখন, তাদের প্রতিক্রিয়া চিন্তা করার আছে, আগ্রাসী ভারত আরো আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে তাও চিন্তা করারা আছে।
@আদিল মাহমুদ,
একটা বিস্তারিত লেখা দেনতো এই বিষয়ে। সম্পর্ক ছিন্ন করলে বর্তমান, নিকট ভবিষ্যত এবং দূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের আর্থিক এবং রাজনৈতিক কী কী ক্ষতি হতে পারে বা সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
@ফরিদ আহমেদ,
বিস্তারিত লেখার মত সময় এবং আরো বড় কথা যথেষ্ট জ্ঞানও এই মুহুর্তে নেই। বেশ কিছু পড়াশুনা করতে হবে। পররাষ্ট্র নীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সম্পর্কে যারা ভাল জানেন তারা ভাল ব্যাখ্যা করতে পারবেন। ব্যাপারটা এই মুর্হুতে খুব গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠেছে, তাই এ বিষয়ে জানা লেখকদের লেখা আমিও আশা করছি।
কয়েকটি সূত্র আপাতত দেইঃ
১। পাকিস্তানের সাথে সরাসরি যে বানিজ্যিক সম্পর্ক আমাদের আছে তাতে প্রভাব (আমদানী রফতানী দুই দিকেই)।
২। চীন পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের মিত্র; চীনের সাথে আমাদের বেশ কিছু স্বার্থ বিজড়িত বিষয় আছে। পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছেদ করার মানে চীনের সাথে সম্পর্কের টানা পোড়েন…এর প্রভাব কতটা যেতে পারে? রোহিংগা পুশ ইন শুরু হবে কিনা?
৩। ভারত কি আঞ্চলিক প্রভূত্ব অর্জনের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে কিনা? তারা আঞ্চলিক প্রভু হলে তেমন সমস্যা নেই, শুধু বাংলাদেশের ব্যাপারে এই সুযোগে আরো আগ্রাসী না হলেই হল।
৫। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি নিঃসন্দেহে এই পদক্ষেপ ভাল চোখে দেখবে না। বাইরে সরাসরি তেমন কিছু না বললেও বেসরকারী কিছু সূত্রে শুনেছি যে যে তারা যুদ্ধপরাধী বিচার ভাল চোখে নেয়নি। যত যাইই বলি তাদের শ্রম বাজার আমাদের অর্থনীতিতে বিরাট অবদান রাখে।
৪। পরাশক্তিগুলি এই ব্যাপারটা কিভাবে মূল্যায়ন করবে? তারা কিন্তু রিজিওনাল ব্যালেন্স অফ পাওয়ার ফাওয়ার এসব বেশ কিছু চিন্তা করবে, স্রেফ বাংলাদেশ পাকিস্তান নিজেরা নিজেরা কি করে আমাদের কি এভাবে দেখবে না। এটা মনে রাখতে হবে যে এই মুহুর্তে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সকলের অবস্থান লীগ সরকার বিরোধী।
আমার যতটা অনুমান, আওয়ামী লীগ মুখে যাইই বলুক, অন্তত এই মুর্হতে পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছেদের মত কিছু করবে বলে মনে হয় না।
আগেই বলেছি, এসব ভাল ব্যাখ্যা করতে পারেন এমন কেউ বিস্তারিত লিখলে ভাল হয়।
@আদিল মাহমুদ,
হুম, ভালোই লিখেছেন। সমস্যা, ক্ষতি এগুলো কিছুতো হবেই।
একটা জিনিসে আমি সবসময়ই বিশ্বাস করি। ডরাইলেই ডর, না ডরাইলে কিছুই না। ফেসবুকে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়ে আমার একটা স্ট্যাটাসে জনৈক ডাইনোসর ঠিক এরকমই একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছিল। আমি তাৎক্ষণিকভাবে তাকে একটা উত্তর দিয়েছিলাম। তার অংশ বিশেষ তুলে দেই এখানে।
@ফরিদ আহমেদ,
“ডরাইলেই ডর, না ডরাইলে কিছুই না।” কিংবা আপনার ফেসবুকে ডাইনোসরীয় বানী কার্যে রূপান্তরিত করা খুব কঠিন হত না যদি পুরো জাতি এ বিষয়ে একমত হতে পারত। সেটা তো বাস্তবে না। ‘৭১ সালের অবস্থা এখন থাকলে আমিও এভাবেই বলতাম।
আরগুলি নাহোক মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার হাই রিস্কে পড়বে এটা মনে হয় অনেকটা নিশ্চিত। তারা এতদিন যে যুদ্ধপরাধী ইস্যুতে সরাসরি আপত্তি শুরু করেনি এইই বেশী। এখন পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছেদ করলে মনে হয় না একেবারে নীরবে বসে থাকবে বলে। সরকারের নিজের পায়ের তলের মাটিই এখন যথেষ্ট নরম।
@আদিল মাহমুদ,
এইডাইতো সমস্যা। আমগো এক পা ধর্মনিরপেক্ষ, আরেক পা মৌলবাদী, এক হাত প্রগতিশীল, আরেক হাত প্রতিক্রিয়াশীল। কাউরে যে দাবড়ানি দিয়া পিটানি দেবো, সে উপায় নাই। 🙁
@আদিল মাহমুদ, এই বিষয়ে বিস্তারিত লেখা আশা করছি ।
@আদিল ভাই, আমার মনে হয় যে আমরা ( দেশের বেশিরভাগ লোক) শুধুমাত্র অন্ধ এবং বিজাতীয় ইহুদী বিদ্বেষ থেকে এবং অতিমাত্রায় সাম্প্রদায়িক অসহনশীলতার কারনেই ইসরায়েল রাষ্ট্রের বাস্তবতাকে স্বীকার করতে ভয় পাই। কিভাবে আর কোন উপায়ে ইসরায়েলের জন্ম সেটা নিয়ে তোলপাড় করার আগে আমাদের উচিত বাস্তবতাকে মেনে নিতে শেখা।
তবে আমরা জাতি হিসাবে খুব বেশি মাত্রায় আবেগপ্রবন হবার কারনেই, আমাদের অনেক অনেক বেশি সময় লেগে যাবে একটা পরিনত মানসিকতার জাতিতে পরিনত হতে।
কথাটি অনেকের কাছে খুবই তিক্ত হতে পারে, কারন কথাটি খুবই সত্য!
আসলে এই উগ্র ধর্মান্ধতার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই কষ্টকর। আমরা অনেকেই উদারপন্থীর ভাব ধরে থাকি, কিন্তু দিনশেষে বলি যে মুসলিম ভাই ভাই। আমরা যেদিন “সবার উপরে মানুষ সত্য” এটা মুখে বলার পাশাপাশি মন থেকে মেনে নিতে শিখব, সেদিনই হয়ত আমাদের মুক্তি আসবে। তবে বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে মনে হয় যে আমাদের মুক্তি সুদুর পরাহত।
@আদিল মাহমুদ,
এটাই (Y)…. আমরা অনেক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে আমাদের আসলেই ভালো লাগত…… কিছুদিন আগে যে কূটনৈতিকরা বিজয়দিবসে স্মৃতিসৌধে গেলনা – তাদের বহিষ্কার করতে পারলে খুবই ভালো লাগত… কিন্তু আমরা পারছিনা 😕
খুবই সময়োপযোগী লেখা ফরিদ ভাই।এক নাগাড়ে পড়ে ফেললাম।
এটা আমি জানতাম, তবে সাথে আরেকটু বেশি ( জানিনা যে এই বেশি টুকু সঠিক কিনা), আর তা হল যে সেসময় নাকি এটা অস্বীকারও করা হয়েছে যে ইসরায়েল যে স্বীকৃতি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে এই জিনিসকেই নাকি অস্বীকার করা হয়েছে? সঠিক জানা নেই, কোথায় যেন পড়েছিলাম।
আচ্ছা ফরিদ ভাই, আপনার কি মনে হয় যে অদি ইসরায়েলের স্বীকৃতি বাংলাদেশ নিত প্রথমবার তবু কি আমেরিকা ৭ম নৌবহর পাঠাত?
খুব চমৎকার কথা ভাই। আসলেই এটা আমাদের ক্ষেত্রে খুবই প্রযোজ্য। আমি মনে করি যে এখনও ইসরায়েল এবং বাংলাদেশের সুযোগ রয়েছে পরস্পর কে স্বীকৃতি দেবার সুযোগ রয়েছে, ( জানি এই কথাটির সুত্র ধরে হয়ত অনেক মুসলিম আমার নিজের মুসলিম পরিচয় নিয়েই কটাক্ষ করবে, কিংবা বলবে যে আমি নামেই মুসলিম আসলে মুরতাদ;আমি নিশ্চিত না শুধু সন্দেহ হচ্ছে এমনটা, কিন্তু আমার যা ভাল মনে হয়েছে তাই বলেছি!) আপনার মুল্যবান মতামত জানতে চাচ্ছি। আপনি কি মনে করেন যে বাংলাদেশ এবং ইসরায়েল কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে? এতে তো কোন বাধা থাকার কথা না তাই না ভাই?
(Y) পুরোপুরি সহমত।
পড়ুন, যদি ইসরায়েলের স্বীকৃতি 🙂
@দারুচিনি দ্বীপ,
বাধা থাকার যুক্তিটা কোথায় বলেন? বাংলাদেশ যদি পাকিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়তে পারে যুদ্ধের মাত্র তিন বছরের মাথায়, ইজরায়েলের সাথে পারবে না কেন? ইজরায়েলের সাথে বাংলাদেশের সমস্যাটা কোথায়? ইজরায়েল কি পাকিস্তানের চেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে বাংলাদেশের? কোন কারণে ইজরায়েল শত্রু রাষ্ট্র আর পাকিস্তান ভাতৃপ্রতীম বন্ধু রাষ্ট্র? :-s
@ফরিদ ভাই,
সেটাই আমিও মনে করি, আসলেই বাধা থাকা উচিত নয়।
অনেক ধন্যবাদ আপনার মতামত পেয়ে। আমি এইসব কথা আমার নিজের কিছু কাছের মানুষের কাছে আলাপ করে কোনপ্রকার ইতিবাচক উত্তর পাই নি, যা কিনা এখানে এসে আপনার কাছ থেকে পেলাম।
আসলে আমাদের দেশের মানুষ যদি সবার উপরে মানবতা আর নিজের দেশকে নিয়ে বেশি ভাবে, তাহলেই মনে হয় এইসব ঝামেলার অবসান সম্ভব।
এজন্য হয়ত দরকার সদিচ্ছা আর সৎ সাহসের; যেটা হয়ত আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠের নেই।