জ্যাকব জুমা। ইনি সাউথ আফ্রিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট। ম্যান্ডেলার উত্তরাসূরী। এক সাথে রুবেন দ্বীপে জেল খেটেছেন এককালে। তবে মোটে ১০ বছর।
ভদ্রলোকের বৈধ স্ত্রীর সংখ্যা ছয়। অসংখ্য প্রেমিকা। শেষ বিয়ে করেছেন গত বছর । সরকার থেকে দেড় মিলিয়ান খরচ হয় তার বৌদের ভরন পোষনে। বৈধ অবৈধ মিলিয়ে ২০ টি সন্তান। আফ্রিকার পুরুষতন্ত্রে এসব “চলে”- এতটাই চলে আফ্রিকার “প্রগ্রেসিভ” কমিনিউস্ট পার্টি, উমেন লিগ এবং শ্রমিক সংগঠন গুলির সমর্থন তার পেছনে।
অবশ্য এখানেই তার গুনের শেষ না। অসংখ্য বার দুর্নীতির সাথে তার নাম জড়িয়েছে। নিজের আপ্ত সহায়ক ২৪ মাস জেলে খেটেও এসেছে। ২০০৫ সালে এ এন সির এক নেত্রীই তার বিরুদ্ধে ধর্ষনের চার্জ এনে ছিল যা তিনি নিজের প্রভাব খাটিয়ে ছাড়িয়েছেন।
ইনি ইভ্যাঞ্জেলিক খ্রীষ্ঠান-মনে করেন, যীশুর আদেশ বলেই তিনি প্রেসিডেন্ট। সমকামিতা? ছি ছি-ওসব তিনি “শয়তানের” হাত বলে মনে করেন। আর বহুবিবাহ? করতেই হবে। নইলে নাকি আফ্রিকানদের নিজস্ব সংস্কৃতি রসাতলে যাবে ।
ইনিই হচ্ছেন ম্যান্ডেলার উত্তরাধিকারি। আপাতত।
নেলসন ম্যান্ডেলা সফল নেতা মানতে কষ্ট হচ্ছে। নেহেরু অন্তত হিন্দুদের বহুবিবাহ আটকে ছিলেন। তবে মুসলিমদের জন্য সে চেষ্টা করেন নি। আর যাইহোক ভারতীয়ত্বের দোহাই দিয়ে নেহেরু বহুবিবাহ চালু রাখেন নি।
যত জানছি, তত মনে হচ্ছে ম্যান্ডেলা বড্ড বেশি কম্প্রোমাইজ করেছেন। যার ফলে আজকে দক্ষিন আফ্রিকা মোটেও বলার মত কোন দেশ না। আফ্রিকান ন্যাশানাল কংগ্রেস-নিপীড়িত মানুষের মুক্তিসূর্য্য মোটেও না । শুধু শাসক শ্রেনীর রং সাদা থেকে কালো হয়েছে। এই পার্টিটাও ভারতের কংগ্রেসের মতন “ক্ষমতার গুড়” খাওয়ার পিঁপড়েতে ভর্তি। এককালে স্বাধীনতার লড়াই লড়েছিল। এখন সব নেতারা আখের গোছাতে লড়েন। তবুও কংগ্রেসে নেহেরুর মতন নেতৃত্ব এসেছে যিনি বহুবিবাহ আটকেছেন। জমিদারি, রাজন্যবর্গদের তুলেছেন। জাতীয় শিল্প এবং শিক্ষা নীতি প্রনয়ন করেছেন।
ম্যান্ডেলা তার দেশকে সেটুকুও দিতে পারেন নি। ১৯৯৪ সালের জমি পুনর্বন্টন আইন খুব সফল হয়নি। নিরক্ষরতা দূরীকরনে চেষ্টা করেছেন। কিন্ত সাফল্য আসেনি-সেটা নিজে স্বীকার ও করেছেন। শিল্প ক্ষেত্রে দক্ষিন আফ্রিকা ব্যর্থ তার আমলে। কারন ব্যর্থ আইন শৃঙ্খলার ভয়ে নতুন কোন বিনিয়োগ হয় নি। গুন্ডামোটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার পার্টিই করেছে এবং তিনি ক্ষমাসুন্দর চোখে বিদেশ ভ্রুমনে ব্যস্ত ছিলেন।
ব্যাক্তি ম্যান্ডেলাকে সেলাম। যাকে বছরে মাত্র একটা চিঠি লেখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, চার বছর কোন নিউজ পেপার পড়তে দেওয়া হয় নি, বই ছুঁতে দেওয়া হয় নি-তার পরেও তার অটুট মনোবল এবং প্রতিশোধ স্পৃহা বর্জিত নেতৃত্ব, ম্যান্ডেলার নামটিকে গত শতকের সব থেকে বন্দিত আধ্যাত্মিক রাজনৈতিক নেতা বানিয়েছে।
কিন্ত রাষ্ট্রনেতা ম্যান্ডেলা? আমার ব্যক্তিগত বিচারে তিনি ব্যর্থ। জ্যাকব জুমা তার জ্বলন্ত প্রমান।
আবেগের জলে ভাসার আগে , মাটির জমি পরীক্ষা করা শ্রেয়। সেই জলে মাটি নরম হয়ে বসে যেতে পারে ।
একজন রাষ্ট্রনায়কের কাছ থেকে যদি আমরা সবকিছুই আশা করে বসে থাকি তাহলে তো মুশকিল। আমাদের দেখা উচিত একজন নেতাকে আমরা কতটা সময় দিয়েছি এবং একই সাথে এটাও ভাবা উচিৎ এক ম্যান্ডেলাই যদি আফ্রিকার জন্য সবকিছু করে দিয়ে যান তাহলে বাকিরা করবে কি? বর্ণবাদের বিষবাষ্পে যখন দক্ষিণ আফ্রিকা সুদীর্ঘকাল ধরে জলে পুরে ছারখার হয়ে যাচ্ছে সেখানে একজন ম্যান্ডেলার জন্য শুধু শ্রেণীসমতা আনয়নই কি অনেক বড় কাজ ছিল না? একের পর এক নেতা তাদের মুক্ত জীবন অতিক্রম করেও যা করতে পারল না তা এক ম্যান্ডেলা জীবনের একটা বড় অংশ কারাগারে থাকার পরেও করে গেছেন আর এখানেই তার মাহাত্ম। নেহেরু-গান্ধী-ম্যান্ডেলা-মুজিব বিতর্কের চাইতে ভাবা উচিত সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে তাদের একেকজনের অর্জন কিন্তু ফেলনা নয়।
কি যে ভাল আর কি যে মন্দ, বোঝা বড় দায়। সময় বলে দেয় ভালো কোনটা। সময়ের সাথে সাথে যেন সব পরিবর্তন হয়ে যায়। সময় , পরিবেশ আর পরিস্থিতি ই বলতে পারবে উত্তম কি!!
সত্যি কি বিচিত্র এই পৃথিবী তার থেকে বিচিত্র মানুষের মন। যেখানে বলা হচ্ছে মেয়েদেরকে পন দিয়ে কেনা-বেঁচা করার প্রচলন আছে সেই সমাজে মেয়েদের অবস্থানটা সহজে অনুমেয়।
কিন্তু মেয়েদের সম্মতি আছে, তারা হাসি-খুশী ভাবে বহু বিবাহ মেনে নিচ্ছে বা সমাজে বহু বিবাহের চল আছে অথবা দেশটিতে বহু বিবাহ সাধারনের মধ্যে গ্রহনযোগ্য অথবা বহুবিবাহের কারনে কোন পক্ষই আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছেনা ইত্যাদি বহুবিধ কারনে বহু বিবাহকে জায়েজ করার কি প্রানান্তকরন প্রচেষ্টা!
@ব্রাইট স্মাইল্,
একই যুক্তিতে অনেকেই হোম-সেক্সুয়ালীটির বিপক্ষে…… অনেকে ফরনিকেশনের বিপক্ষে…… আরও অনেক কিছু বিপক্ষে-পক্ষে…… কিভাবে ভাবেন আপনার নিজ সুবিধা মত পৃথিবীর সকল সমাজের সকল মানুষ একমত হবে!!
@সংবাদিকা,
না ভাই, চোখের সামনে এতো এতো উদাহরন থাকতে আমার মতো করে পৃথিবী ভাববে এটা কি করে চিন্তা করি। তবে হ্যা, চোর-ডাকাত-বদমায়েশ-জোচ্চর এইসবের সজ্ঞা বদল করে পক্ষে-বিপক্ষে নিজ সুবিধামতো যুক্তি দিয়ে পৃথিবীটাকে স্বর্গ-রাজ্যে পরিনত করা যেতে পারে বৈকি।
@ব্রাইট স্মাইল্,
সেটাই…
রাষ্ট্র পতি হিসেবে আপনি ম্যান্ডেলাকে ব্যর্থ বলেছেন আর প্রমাণ হিসেবে দেখিয়েছেন জুমাকে। আমরা যারা সাউথ আফ্রিকায় থাকি আমরা জানি এদের ব্যক্তিগত জীবনে নারীদের চাহিদা অনেক তাই বলে সামগ্রিক উন্নয়নের ব্যপারে এতে কোন সমস্যা তৈরি করেনা । বহু বিবাহ এখানে সংস্কৃতির একটা অংশ হিসাবে দেখা হয়।বাস্তব সত্য হল এদেশে ৮০ভাগ মেয়ের কপালে বিয়ের ভাগ্য হয়না। এখানে বিয়ে করতে হলে প্রচুর অর্থ পণ কনেকে দিতে হয় যা যোগার করা প্রায় বরের পক্ষে সম্ভব হয়না। আফ্রিকানরা যৌনতা বিষয়টিকে অনেক বাস্তব ভঙ্গিতে দেখে।এখানে বিয়ের আগে বাচ্চা নেয়া কোন পাপ বা লজ্জার বিষয় নয়, অবাদ যৌন সম্পর্ক গড়াও কোন সামাজিক অপরাদ ধরা হয়না।সহজ কথায় বলতে গেলে সাউথ আফ্রিকানদের যৌনতার দৃষ্টিতে মানবিক বিচার করলে চলবে না। আপনি আরও বলেছেন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস নিপীড়িত মানুষের মুক্তি সূর্য মোটেও না ্আপনার লেখা পড়ে হাসব না কাঁদবো বুঝতে পারছিনা। বাস্তবতা জানার যদি সত্যি ইচ্ছা থাকে সাউথ আফ্রিকায় আসেন ইতিহাস এবং বর্তমান প্রসারতা নিজেই দেখবেন, সব শেষে বলবো আপনার লেখাটির সাথে আমি একিবারে একমত নই।
@সোহেল,
এটা ঠিক কোন দেশে না থাকলে সেই দেশের পালস বোঝা মুশকিল। আমার লেখা নেহাৎ ই তথ্য নির্ভর। এবং এই তথ্যগুলি হল
১) সাউথ আফ্রিকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের হাল অনেকটাই কম-যদিও প্রাকৃতিক সম্পদের ভরপুর এই দেশের উন্নয়ন হওয়া উচিত আরো দ্রুত গতিতে। এবং এর কারন আইন শৃঙ্খলার খারাপ অবস্থা।
২) জুমার অবস্থানের পক্ষে আপনি যে সাফাই দিচ্ছেন, এ এন সিও সেই সাফাই দিতে গিয়েও, জনমতের চাপে গিলে ফেলে। এমনটা হল কেন বলুন ত?
৩) আপনার বোধ হয় জানা নেই ম্যান্ডেলার নাতি নাতনীরা কি ভাবে আমেরিকা সহ গোটা বিশ্বে দালালি করে। তাদের ঘুঁশ দিয়ে দক্ষিন আফ্রিকাতে বড় ব্যবসা ফেঁদেছে এমন ব্যবসায়ী কিন্ত আমার নিজের নেটওয়ার্কেই আছে!! 😕
হ্যা। তারপরেও নিজের লিমিটেশন স্বীকার করে নিই ওউ দেশে যায় নি বলে। তবে আগামী বছর ব্যবসার খাতিরেই আফ্রিকাতে একটা লম্বা ট্যুরের পরিকল্পনা নিচ্ছি। তাতে দক্ষিন আফ্রিকাও আছে।
@বিপ্লব পাল,
কিন্তু দাদা ব্যবসায়িক ট্যুরে গিয়ে ওই দেশের পালস বুঝবেন কিভাবে? আপনি তো আর ওখানে দিনের পর দিন থাকতে যাচ্ছেন না তাই না? :-s
@বিপ্লব পাল,
লেখাটি বেশ ইনফরমেটিভ , পড়ে খুব ভাল লাগলো ৷
মেণ্ডেলা মহান ব্যক্তি সন্দেহ নেই ৷ কিন্ত্ত ৺চাদেরও কলঙ্ক আছে ৷
ভাল মন্দ মিশিয়েই মানুষের জীবন , এমনকি দেবতাদেরও ৷ গান্ধীর
হাতেখরি সাউথ আফ্রিকাতেই হয়েছিল, মেণ্ডেলা তার উত্তরাসূরী
এবং ঝানু পলেটিশিয়ান ৷ হয়াইটদেরকে বাদ দিয়ে তাদের ইকনমি
কলাপ্ছ করবে সেটা মেণ্ডেলার জানাছিল এবং এখানেই তার কৃতিত্ত ৷
পলিগামীটা একপ্রকার নারীনির্যাতন, মেণ্ডেলা তা রিফর্ম করতে পারতো ৷
ক্ষমতা আরোহনের পূর্ব এবং পরের এচিভমেন্ট তুলনা করলে ম্যান্ডেলা সাহেবের সাথে কিছুটা আমাদের বংগবন্ধুর মিল পাচ্ছি। দু ক্ষেত্রেই ক্ষমতাসীন হবার পর নানান ব্যার্থতার বোঝা নিঃসন্দেহে শুধুমাত্র ব্যাক্তিগত ব্যার্থতা নয়। স্থানীয় বা প্রচলিত কালচারের বিরুদ্ধে একা যুদ্ধ করে উলটো স্রোতে নৌকা চালানো অসম্ভবের মতই।
@আদিল মাহমুদ,
“ক্ষমতা আরোহণের পূর্ব” ঠিক আছে তবে “ক্ষমতা আরোহনের পরে” ঠিক নেই – কেননা বঙ্গবন্ধু ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করতে পারেননি যেটা ম্যান্ডেলা, সান ইয়াত সেন, হো চি মিন কিংবা ওয়াশিংটন পেরেছিলেন। অবশ্য এর জন্য বর্তমানের আওয়ামীলীগের জানে দোস্ত সর্ব হিপোক্রেট বাংলাদেশী কম্যুনিস্টদের অবদানও কম ছিলনা………
সেলুকাস…… ৭০ এর জনসমর্থনহীন পৈতা কম্যুনিস্টগুলা – ৮০ এর স্বৈরাচারীর সাঙ্গপাঙ্গ জাতীয় পার্টি এবং ৭১ এ দেশের জন্মের বিরোধী ধাপ্পাবাজ ধর্মজীবি জামাত আজকে দেশের রাজনীতির ট্রাম্পকার্ড………… ৫০-৬০ হাজার মানুষের কাছে ১০-১২ কোটি মানুষ জিম্মি!!!!!!!
@সংবাদিকা,
মিল পাওয়া মানে পুংখানুপুংখু মিলে যাওয়া নিশ্চয়ই নয়। বংগবন্ধু সরকার স্বাধীনতা পরবর্তি বাংলায় কেন কাংখিত সফলতা পায়নি তার বিস্তারিত আলোচনার স্থান এই ব্লগ নয়, যদিও অনেকে সে লাইনে চলে গেছেন।
মোটা দাগে দুই নেতাই আন্দোলনকারী মহান জাতীয়তাবাদী নেতা হিসেবে যতটা সফল এবং ক্যারিশম্যাটিক, রাষ্ট্রনায়ক প্রশাসক হিসেবে সফলতা সীমিত।
আমরা সংস্কার, বদলে যাওয়া এসব নিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলে রাজনীতিকদের ইচ্ছেমত গালাগাল করলেও কিছু মৌলিক সীমাবদ্ধতার কথা কোনদিন তুলি না। সেটা হল সব দেশের বা সমাজেরই কিছু ইউনিক বৈশিষ্ট্য থাকে, সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে হাই-প্রোফাইল নেতা কেউই সে কালচার থেকে সহজে বের হতে পারেন না। এ রকম ব্যাবস্থায় একজন সত ভালমানূষ নেতারও ভিলেন হয়ে উঠতে তেমন সময় লাগে না। আজ বেগম জিয়া অনেকের কাছেই তীব্রভাবে ঘৃনিত। অথচ ‘৮৬ সালের পর ওনাকেই বলতে গেলে তীব্র আওয়ামী সমর্থক ছাড়া আপামর দেশের লোকে আপোষহীন নেত্রীর আসনে বসিয়েছিল। ক্ষমতা আরোহনের পর ওনারও চক্রের ভেতর ঢুকে যেতে খুব বেশী সময় লাগেনি।
এ জন্যই আমি আজকাল সিরিয়াসলিই ভাবি যে আমাদের গনতন্ত্র গনতন্ত্র বলে এত মায়া কান্না না কেঁদে উচিত একজন অসামাজিক (বংগবন্ধুর পতনের পেছনে এক বড় কারন সামাজিকতা বলেই আমি মনে করি) সত যোগ্য স্বৈরাচার খুঁজে বার করা। নিঃসন্দেহে তেমন বান্দা পাওয়া গেলে তিনি আমাদের গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থা থেকে অনেক বেশী সুফল এনে দিতে পারবেন। খালি মুশকিল হল এটা কোন ব্যাবস্থার মধ্যে পড়ে না।
@আদিল মাহমুদ,
(Y) চমৎকার বলেছেন আদিল ভাই। শতভাগ সহমত।
এটা কোন সমস্যাই না। আমাদের দেশে গণতন্ত্রের নামে যে জিনিস চলছে এটাও কোন ব্যবস্থা নয়, তাই নয় কি? কাজেই যদি আরেক অব্যবস্থা দ্বারা আমরা প্রকৃত গনতন্ত্র নামক শুকপাখীর দেখা পাই কোন দিন, তাহলে মন্দ কি?
@আদিল মাহমুদ,
মৌলিক সীমাবদ্ধতা বোধয় আমরা নিজেই…… জনগণ 😕
@সংবাদিকা,
ম্যান্ডেলা ক্ষমতায় বসেন নি দক্ষিন আফ্রিকার? 😕
@দারুচিনি দ্বীপ,
ক্ষমতায় বসার চেয়ে স্বেচ্ছায় ওটা ছেড়ে দেওয়া আরও বেশি কঠিন…… মনে হচ্ছেনা এই বছর আশে পাশে দেখে 🙂
উল্টোরথ আসলেই চমৎকার লেগেছে।
দুর থেকে সবাই চাদের মতন সুন্দর হয়- এটাই বুঝলাম।
চমৎকার লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার!!!
ডক্টর ইউনুসকে বাংলাদেশের নেলসন ম্যান্ডেলা চায় সেই আম্রিক্কা !! 😉
[img]http://1.bp.blogspot.com/-SX-TJgf9D60/UXm_4saX8JI/AAAAAAAAbwg/EZSa3eNrxsM/s1600/Yunus_April17_2013-774101.JPG[/img]
আর কোনো জন্মদিন পালন করার জন্য আকাশসম এই মানুষটা রইলো না।
httpv://www.youtube.com/watch?v=c8RIlH9FXso
দুয়ের অধিক প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং নারি একে অপরের সাথে সম্মতিক্রমে বহুবিবাহ/বহুগামিতায়(Polygamy/Polyamory) লিপ্ত হলে,সেটা কি ভুল,অনৈতিক, অন্যায় বা অগ্রহনযোগ্য হবে? যদি হয়,তাহলে কেন?
Polygyny(বহুস্ত্রীগ্রহণ)যদি মরন ব্যধি এইডসের মূল কারন হত,তাহলে আরবের লোকজন এইডসের আক্রমনে এতদিনে নির্বংশ হয়ে যেত!
Polyandry(বহুপতিগ্রহণ) কারনেও যদি এইডস হত,তাহলে চীনের Mosuo সম্প্রদায় অনেক আগেই হারিয়ে যেত!
এই এইডস এর ভয় দেখিয়ে,এইডসের দোহাই দিয়ে,সমকামিতাকে অগ্রহনযোগ্য বলা হয়। একই ভয় দেখিয়ে নারী-পুরুষের সম্পর্ককেও নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা! অদ্ভুত!!! এখানে এইডসটা আসলে কি কারনে ছড়াচ্ছে তাও বিবেচনা করা উচিত! যারা এইডস আক্রান্ত,তারা যদি অবাধে,কোন প্রটেকশন ছাড়া, শারিরীক সম্পর্ক করে যায়,তাহলেতো এইডস ছড়াবে। কিন্তু যাদের এইডস নেই,তারা যদি একের অধিক সম্পর্ক করে(মেডিকেল টেস্ট!!),তাহলে কিভাবে তারা এইডসে আক্রান্ত হবে? মেডিকেল টেস্ট এবং প্রটেকশন বলতে কিছু ব্যাপার আছে,তাইনা?
শুধু শুধু এইডসের ভয় দেখিয়ে,সমকামিতা,বহুবিবাহ থেকে অপরকে বিরত রাখার চেষ্টাটা অদ্ভুত! সমকামিতা,বহুবিবাহ এর মাধ্যমে এইডস ছড়াতে পারে,কিন্তু একমাত্র এগুলোর কারনে নিশ্চয়ই এইডস হয়না! এমনকি,একগামিতায়ও একজন আরেকজনকে এইডসে আক্রান্ত করে! তাহলে কি আমরা একগামিতাও বন্ধ করব? নাকি,যে মানুষটার এইডস আছে,তাকে চিহ্নিত করে,আলাদা করে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব?…………ইত্যাদি!
Polygyny(বহুস্ত্রীগ্রহণ),Polyandry(বহুপতিগ্রহণ) কতটা গ্রহনযোগ্য সেটা নিয়ে তর্ক করা যায়। কিন্তু দিন শেষে এসব ব্যাপারগুলো ব্যক্তিবিশেষের,সমাজ,কালচার এগুলোর উপড় ছেড়ে দেয়াই হয়তো শ্রেয়!
আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনেকরি, Polyamory বেশি গ্রহনযোগ্য Polygyny(বহুস্ত্রীগ্রহণ),Polyandry(বহুপতিগ্রহণ) থেকে। তবু সবকিছুই নির্ভর করে,ব্যাক্তি বা সমাজের/কালচারের উপর। আমি এমন কাপলও(husband and wife) দেখেছি,যেখানে স্ত্রীটি উভকামী(bisexual),এবং সে অন্য এক মহিলাকে তাদের সম্পর্কে যোগ করেছে। অর্থাৎ,তারা তিনজন Polygyny সম্পর্কে জড়িত এবং তাতে উভয় নারির সম্মতি আছে। এখন তাদের সম্পর্ক খারাপ নাকি ভাল সেটা বলার আমরা কে,কিংবা রাষ্ট্র কে?
বহুবিবাহ/বহুগামিতার সাথে সহমরনের তুলনা করাটাও অদ্ভুত! প্রথমটাতে(বহুগামিতা)প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং নারি একে অপরের সাথে সম্মতিক্রমে শারিরিক-মানসিক সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে। এটাতো পজিটিভ একটা ব্যাপার। এখানে কেউ কারো ক্ষতি করছেনা,জিবন নিচ্ছেনা! কিন্তু সহমরনের ক্ষেত্রে একজন মানুষ তার জিবন দিতে চাচ্ছে! এটাকে নেগেটিভ অর্থে দেখা যায়! সম্পর্কটা কোথায়? সম্মতিতে? সম্মতি পজেটিভ নাকি নেগেটিভ সেটা নিশ্চয়ই দেখা উচিত!!!! তাছারা,ক্ষেত্রবিশেষে,নিজের জিবন দেয়া বা নেয়টাও পজিটিভ একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। যেমনঃ দেশের জন্য জিবন দেয়া! অথবা,Euthanasia!!!!
@রনি,
সৌদি আরব তথা মুসলিম বিশ্বে মেয়েরা স্বামীর বহুবিবাহে সম্মতি দেয় বলেই শুনেছি।
বঙ্কিম চন্দ্রও এমন সুধা মিশিয়ে জানিয়েছিলেন, একাধিক পত্নীতে আপত্তি থাকত না কোন হিন্দু নারীর ও!
অহ!! উদুপীকে তার ভাই অর্জুনের সাথে বিবাহে নিরুৎসাহিত করছিলেন এই ভাবে, অর্জুন বহুগামী। আজ উদুপী ত কাল উর্বশী।
নাগিনী কন্যা উদুপী জবাব দিলেন, অর্জুনের মতন সুপুরুষ শ্রেষ্ঠ যোদ্ধার জন্য একাধিক সুন্দরী পত্নীই শোভা পায়। তিনি যত বিয়ে করবেন, স্বামীর প্রতিপত্তি বাড়বে, বিধায় পত্নী হিসাবে তার বুক ফুলে উঠবে!!
সত্যিকি মেয়েদের জীবন এত কাব্যিক ছিল বহুগামী জীবনে? না আজও আছে ইসলামিক রাষ্ট্র গুলিতে?
কাব্য দিয়ে পচা মাছের দুর্গন্ধ ঢাকা যায় না।
@রনি,
আচ্ছা এইডস বাদ দিন, আপনার নিজের একটা কথাই ধরেন। আপনি কি বহুগামীতার নিচের ধারাটিকে সমর্থন করবেন ( আপনার কথাই উদ্ধৃতি দিচ্ছি)
এটা কিন্তু আপনি গ্রহন করবেন না, করবেন কি? আর আপনি এটা মেনে নিলেও সমস্যা নেই, তবে যদি আমার ভোট চান তবে মরে গেলেও আমি এর পক্ষে ভোট দেব না। নিজের বউয়ের ভাগ দেয়া? উঁহু জীবন থাকতে আমি এটা চিন্তা করতে পারি না ( আমার বিশ্বাস আপনিও পারবেন না; আর এটা কেইবা পারবে শুধু কিছু সুইঙ্গার ছাড়া?) । সেক্ষেত্রে আমি Polygyny(বহুস্ত্রীগ্রহণ) কেও প্রথার দোহাই দিয়ে বলতে পারব না যে এটা ব্যক্তিগত, বা সেই এলাকার সংস্কৃতি? কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় যে ধর্মে এরই বিধান দেয়া আছে, কোন বাধ্যবাধকতা নেই, কিন্তু বিধান দেয়া আছে, কাজেই যে কেউই দাবী করতে পারে যে ধর্মগুলি পুরুষতান্ত্রিক।
সেক্ষেত্রে ধর্মের প্রভাব থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে বেশিরভাগ মানুষই পারবে না ( নিজের উদাহরন টাই দেই। আমি নিজেও কিছু কাজ পারব না, যেমন মুসলিম হিসাবে যতই উদারপন্থী হলেও, শুওয়ের মাংস খেতে বাধবে অবশ্যই, অভ্যাস নাই সেটা বড় কথা না, আসলেই ধর্মহীনতা সবাই মেনে নিতে পারে না, এবং একেবারে ধর্মের প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারব বলে মনে করি না আমি, এর একটা কারন হয়ত , আমি এর দরকার দেখি না।), কাজেই ধর্মকে যুগোপযোগী করার স্বার্থে, পাকাপাকি ভাবে ধর্ম থেকে স্থুল কিছু জিনিস বাদ দেয়া, মানে ধর্ম সংস্কার জরুরী।
কিছু প্রথা ধর্মের সাথে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত,এরকম একটা হল পুরুষের বহুবিবাহ। এটা এমনই একটা বাজে জিনিস যে, শুধুমাত্র ধর্মে মানা নেই বলেই অনেক পুরুষ পরকিয়া করেও মনে করে যে সে আসলে এটা করছে না, কারন এটাকে আল্লাহ বৈধতা দিয়েছেন, শুধুমাত্র বউকে না জানিয়ে কাজটা করে, হয়ত অন্যকোন অবিবাহিতা মেয়েকে মিথ্যা বলেই বিয়েও করে ফেলে।
এখানে তার মধ্যে কোন অপরাধ বোধ কাজ করে না কারন এটা ধর্মে স্বীকৃত
কাজেই এগুলো অবশ্যই সংস্কার আনতে হবে, যেমন ক্যাথলিক চার্চ কোনভাবেই একের বেশি বিয়ে স্বীকার করে না, যদিও বাইবেলে এর উদাহরন আছে ভুরি ভুরি। আমরা আরেকটু উদার হতে পারলে। এই বহুগামী মনোভাব থেকে, অথবা এটাকে ডিফেন্ড করার প্রবনতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি।
@রনি,
সমস্যাটা এখানেই, যদি এর উলটো হত, মানে কোন না কোন ভাবে ছেলেটি উভকামী হত, আপনার কি মনে হয় যে তাদের সম্পর্কের মধ্যে লোকটি কোন পুরুষ মানুষ কে যোগ করত? না করত বলে মনে হয় না, সেখানে একটা মেয়েকে যোগ করাটা মেনে নেয়া হচ্ছে কেন? আমি মনে করি যে ঐ নতুন মেয়েটির সাথে প্রথম মেয়েটির হাজবান্ড যৌন সংসর্গের সুবিধাটা পেত । বউ নিজেই যদি এই চান্সটা করে দেয়, তবে আপনার কি মনে হয় যে বেশিরভাগ লোক ( উপমহাদেশের) এটা ছেড়ে দেবে? এখানে পতিটি কিন্তু মনে করছে না যে তার বউ যে উভকামী এটা আসলেই কোন ঘটনা, সে হয়ত চিন্তাও করতে পারে না যে এটা কোন যৌন কামনা হতে পারে, হয়ত সে নিজের স্ত্রীকে অসুস্থ ভাবছে, কিন্তু কেন এটাকে সারাবার চেষ্টা করছে না? স্ত্রীর এই অসুস্থতা যদি তাকে আরেক নারীতে গমনের সুযোগ করে দেয়, তবে এইসব লোক চাইবেই যে অসুখটা যেন না সারে।
আমি এটা কেন বললাম জানেন? কারনটা খুবই সোজা। দুইজন পুরুষ যদি একই বিছানায় রাত কাটায় যেকোন দরকারে, আর তারা যদি সমকামীও হয় সেখানে কেউই সন্দেহ করবে না ব্যাপারটা হাতে নাতে ধরাপড়ার আগে। অথচ এই দেশে দুজন নারীপুরুষ যদি এক কাজ করে, তবে কি ভাব হবে সেটা নিশ্চয়ই ব্যাখ্যার দরকার নেই, কি বলেন? কাজেই আমার উপরের অ্যানালাইসিস ভুল হতে পারে ( উভকামী মহিলার স্বামী সম্পর্কে), তবে এটা সঠিক হবার চান্সই বেশি। যেটাকে আপনি যৌনতা বা কোন যৌন আকর্ষন বলে স্বীকৃতি দিতেই নারাজ ( আপনি শুধুই তাকে রোগ ভাবেন, আর সেই রোগের সুযোগে নিজেও আরেক রমনীতে গমনের সুযোগ পান) , সেখানে এটা নিয়ে স্বামীটির মাথা ব্যাথা থাকবে কেন?
বেশ বেশ। আলোচনা জমে উঠেছে। উল্টোরথ সব সময়ই আকর্ষণীয়।
@অভিজিৎদা,
কেন? কেন?
তাহলে রথযাত্রা কম আকর্ষণীয়??
বিপ্লব খুবই ভালো একটা লেখা। ম্যান্ডেলা নিজেই তার সীমাবদ্ধতা জানতেন। জর্জ ওয়াশিংটনের মতো তারও শ্রেষ্ঠত্ব হলো ক্ষমতা থেকে স্বেচ্ছায় খুব দ্রুত সরে যাওয়া। তুমি নিজের কথাতেই ইংগিত রয়েছে যে ২৭ বছর জেল খেটে অনেক শ্রেষ্ঠ মানুষ হওয়া সম্ভব, পৃথিবীকে নৈতিক নেতৃত্ব দেয়া সম্ভব, স্বাধীনতা-রিকনসিলিয়েশনের মতো বড়ো যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব, কিন্তু একজন সফল রাজনীতিবিদ-অর্থনীতি সম্পর্কে প্রাজ্ঞ দীর্ঘমেয়াদী নেতা হওয়া খুবই কঠিন। এইগুলি বাইরে নিয়মিত রাজনীতি, পড়াশোনা, ঘোরাফেরা না করে আয়ত্ব করা খুবই কঠিন। ম্যান্ডেলা এগুলি জানতেন বলেই উপযুক্ত সময়েই নেতৃত্ব থেকে সরে গেছেন। তার পরবর্তী নেতৃত্বের ব্যর্থতা তার উপরে বেশী চাপানো যায় না।
@সফিক ভাই,
সব দেশেই দেখছি একই ব্যাপার। তবে আমরা ভাগ্যবান, কি বলেন? ম্যান্ডেলা নিজে থেকে সরে গেলেও যেখানে প্রাজ্ঞ নেতা আসেনি, সেখানে আমরা কিন্তু অসম্ভব কৌশলী, প্রাজ্ঞ, ঠান্ডা মাথার একজন নেতা পেয়েছিলাম শূণ্যস্থানে। আমাদের এই বাংলাদেশীদের বাংলাদেশে।
অনেক দিন পর আপনার লেখা পেলাম। ব্যক্তি ম্যান্ডেলার আদর্শ, রাষ্ট্র কতটুকু ধারন করতে পারে তা দেখা যাবে আরো কিছু দিন পরে। জীবিত কালিন রাষ্ট্রের উপর তার একটা প্রভাব ছিল। তার প্রতি বিশ্ব আবেগ প্রকাশ পেয়েছে। এখানে যুক্তির প্রাধান্য নেই। তার প্রমান জুমা। সমাজতন্ত্রের ক্ষেত্রে তিনি সফল হন নি। তার পরে ও তিনি প্রমান করতে পেরেছিলেন কালো হয়ে ও শ্রেষ্ঠ মানুষ হওয়া যায়।
ধন্যবাদ।
এই লেখাতে প্রথমেই যেই ভুল হয়েছে – প্রথমত তাকে সেইন্ট হিসেবে দেখে একটি ইউটোপিয়ান অবস্থা আশা করে
প্রথমত ব্যাক্তি এবং কর্ম – এই দুইটি দিক আলাদা ভাবে দেখতে হবে কারও মূল্যয়ন করতে হবে। লেখক এখানে জেকব জুমার ব্যাক্তিগত দোষের ব্যাপার – বিশেষত আলুর দোষের কথা বলতে চাইলেন এবং এ কারণে ব্যাক্তি হিসেবে ম্যান্ডেলাকে বাহবা দিলেন – মনে হয় লেখক হঠাত একটি লেখা প্রসব করতে যেয়ে ঘাটা-ঘাটি করতে ভুলে গিয়েছেন –
টমাস জেফারসন, বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন, জহরলাল নেহেরু, মহাত্মা গান্ধী, মার্টিন লুথার কিং কিংবা বর্তমান প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার মত নেলসন মেন্ডেলারও আলুর দোষ নেহাত কম ছিলনা – আবার তিনি তার ফ্যামিলি পার্টনারের “____” দোষেরও স্বীকার হয়েছিলেন। এখন এটা তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। লেখকের এই প্রেক্ষিতে প্রদানকৃত “সালাম” ফিরিয়ে নিতে পারেন নিশ্চিন্তে। আফ্রিকানরাও তাকে সেইন্ট বলেনা – বলে রাষ্ট্রনায়ক।
এখন আসা যাক রাস্ট্রনায়ক ম্যান্ডেলা কতটুকু সফল – এই সফলতার মাপকাঠি কি???? লেখক কি কোন উদাহরণ দিতে পারবেন ???
প্রথমত, রাস্ট্রনায়ক হিসেবে একটি জায়গায় তিনি এপেক্স লিডার – জিনি “ক্ষমতা” লোভ সংবরণ করতে পেরেছিলেন সে হিসেবে মহত্মা গান্ধী, জর্জ ওয়াশিংটন, হো চি মিন কিংবা সান ইয়াত সেন এর সমকক্ষ তাকে বলা যায়।
“ক্ষমতার লোভ” সংবরণ করতে পারেননি আরও অনেক রাস্ট্রনায়ক। এজন্য আমার তাদের এপেক্স লীডার বলতে বাধে – তারা প্রথম পর্যায়ের রাষ্ট্র নায়ক – যেমন জহরলাল নেহেরু, মাও সে তুং, সিমন বলিভার, জিন্নাহ, সুকোর্ন, শেখ মুজিবুর রহমান, কামাল আতাতুর্ক, কাওয়ামে নক্রুমা, দেং জিয়াও পেং, জোসেফ স্ট্যালিন কিংবা লি কূয়ান কিংবা রবার্ট মুগাবে – এদের অনেকেই “রাষ্ট্রের” উন্নয়ন ঘটিয়েছেন আবার কেউ কেউ “রাষ্ট্রের” সাথে সাথে “নাগরিকদের” উন্নয়নেও অনেক কাজ করেছিলেন আবার অনেকের নেতৃত্বে রাষ্ট্রের অবস্থা পূর্বের চেয়েও খারাপ হয়ে গিয়েছে – কিন্তু তারা “ক্ষমতা” পছন্দ করতেন।
আবার এদের সকলেরই একটি দিকে মিল আছে – কেউই দেশের পরিস্থিতির সবকিছুই হঠাত পরিবর্তন করতে পারেননি। এটা সম্ভব নয়। আমেরিকার সংবিধান প্রনয়নের পরে ৭০ বছরেরও অধিক সময় লেফেছিল নূন্যতম স্বীকৃত আদায়ে এবং ১৫০ বছরেরও অধিক সময় লেগেছিল তাদের স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র এবং সংবিধানের সুন্দর সুন্দর অপ্তবাক্য গুলোকে ডি জুরি থেকে ডি ফ্যাক্টোতে আনতে।
দক্ষিন আফ্রিকার অর্থনীতি আফ্রিকার অনেক দেশ থেকেই ভালো – এখনও ততটা খারাপ হয়নি। তাদের এখনও আরও অনেক পথ পার করতে হবে।
আর আলুর দোষই যদি মূল্যয়নের ব্যাপার হয় তাহলে বলতে হয় – জেফারসন, কেনেডি, ক্লিনটন, রুজভেল্ট কিংবা মার্টিন লুথার কিং রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তলানিতে অবস্থান করেন।
ম্যান্ডেলার সবচাইতে বড় সফলতা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ধারা বজায় রাখার উদাহরণ সৃষ্টি করাতে – এখনও দক্ষিন আফ্রিকা ঐ ধারা থেকে বিচ্যুত হয়নি।
লেখার সবচেয়ে হাস্যকর বাক্য –
পুনশ্চ – লেখক বহুবিবাহের বিপক্ষে তার চুলকানির কথা জানান দিয়ে এবং সমকামিতার বিপক্ষে অবস্থানের জন্য জুমাকে এক হাত নিলেন। যেকোন কিছু বিচার করার আগে একটি মৌলিক বিষয় স্বেচ্ছায় এড়িয়ে কিংবা তাড়াহুড়োর করে লেখার জন্য ভুলে গিয়েছেন – বিষয়টি হল “কালচারাল ডিফারেন্স” বহুবিবাহে যদি জুমার স্ত্রীদের কোন সমস্যা না থাকে তাহলে কার কি এসে যায় যেমন দুটি পুরুষ কিংবা মহিলা পরস্পরে যৌন সম্পর্ক করলে কার কি আসে!!! দুটোই প্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে তাদের অধিকার। আবার সমালোচনা করাও যার যার অধিকার সবার আছে – বিপ্লব পালের যেমন বহুবিবাহে চুলকানি তেমন জ্যাকব জুমার সমকামিতায় খাওজ্জানি।
একটি বিষয় লক্ষ করবেন – দক্ষিন আফ্রিকায় শোক পালনের সাথে সাথে এক রকম আনন্দ উৎসবও চলছে – অনেকে নাচানাচির মাধ্যমে তাদের নেতাকে তারা সম্মান জানাচ্ছেন। এটা দক্ষিন এবং পূর্ব এশিয়াতে অনেক দেশে অকল্পনীয়!!! কিন্তু এটা আফ্রিকার অনেক জাতির সংস্কৃতি। এ ব্যাপারটা আমাদের সবার বোঝা উচিত।
@সংবাদিকা,
বিরুদ্ধ মত আমি অবশ্যই কদর করি।
আমি এই ব্যাপারে লর্ড বেন্টিঙ্কের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। সতীদাহ রোধে রামমোহন যখন লড়ছেন, রাধাকান্ত দেব চাইছিলেন না সতীদাহ বন্ধ হোক। তার ও যুক্তি ছিল আপনার মতন। স্ত্রঈরা যদি রাজী সহ মরনে, কোম্পানী বাহাদুর কেন তাতে বাগড়া দেবে?
দক্ষিন আফ্রিকাতে পুরুষদের বহুগামিতা মারন ব্যধি এইডসের মূল কারন। সে দেশের ১০% লোক এই কারনে এইডস আক্রান্ত। যে দেশের প্রেসিডেন্টের জীবন জাপন, এই ডসের কারন হতে পারে, সেটা সরকারের পক্ষে এবং দেশের সুস্থ মানুষের পক্ষে কতটা বিব্রতর কারন হতে পারে, সেটা তুলে দিলাম উইকি থেকে। যেখানে দেখা যাচ্ছে দক্ষিন আফ্রিকার শিক্ষিত মানুষেরা, এটা নিয়ে হতাশ। জুমার পার্টি তাকে প্রথমে সাপোর্ট করে স্টেটমেন্ট দিলেও, পরে জনগনের চাপে, তা তুলে নিতে বাধ্য হয়।
Government reaction[edit]
The ANC defended Zuma, saying it saw no links between its policies on HIV/AIDS and Mr Zuma’s personal life.[91] Former ANC Youth League leader Julius Malema, said “We are Africans and sitting here all of us, Zuma is our father so we are not qualified to talk about that”. Malema said the ANCYL would emphasise its HIV programme and “one boyfriend, one girlfriend” stance in an awareness campaign across the country.[92] ANC Women’s League deputy president Nosipho Dorothy Ntwanambi said: “it is not right to have an extramarital affair if you have committed to yourself to a marriage. But under the Customary Marriages Act, if the first wife agrees, and if all these issues are discussed with her, we can’t do anything.”[93] On 5 February, the ANC acknowledged the widespread disapproval by saying that the experience had “taught us many valuable lessons”, and they had listened to the people.[94]
COSATU, an ANC alliance partner, passed no judgment but hoped that it will be “a matter on Zuma’s conscience”[94] Vavi reiterated Zuma’s appeal then that he be accorded his “right to privacy” and the child protected from undue publicity.
Opposition reaction[edit]
Helen Zille of the Democratic Alliance said Zuma contradicted his public message of safe sex to South Africans, among the worst sufferers of AIDS.[95] She said it was wrong to say it was purely a private matter, and elected public officials had to embody the principles and values for which they stand.[96]
The African Christian Democratic Party said Zuma was undermining the government’s drive to persuade people to practise safe sex to combat HIV and AIDS.[95]
The Congress of the People (COPE) said Zuma could no longer use African cultural practices to justify his “promiscuity”.[95]
Independent Democrats leader Patricia de Lille, said Zuma was asking people “to do as I say and not as I do”.[97]
আর জুমা হচ্ছে এই গণতান্ত্রিক ধারার উজ্জ্বল রক্ষক যিনি এই কমেন্ট টি করেছিলেন
God expects us to rule this country because we are the only organisation which was blessed by pastors when it was formed. It is even blessed in Heaven. That is why we will rule until Jesus comes back. We should not allow anyone to govern our city when we are ruling the country.[120][121]
এই জন্যই বলছি, আবেগে না ভেসে, তলাটা একটু দেখে নিতে।
তবে এই ব্যপারে বিতর্ক স্বাগতম।
ম্যান্ডেলার জীবনে বহু পরকীয়া ছিল। তাই নিতে তার প্রথম স্ত্রঈর আপত্তি ছিল। এবং তিনি ডিভোর্স ও করেছিলেন। এগুলো কোন ঘটনা নয়। ঘটনা হচ্ছে যখন ২০০৫ সালে জ্যাকব জুমা তার কন্যার বয়সী একজনকে ধর্ষন করে পার পেয়ে যান।
@বিপ্লব পাল,
যেকোন ধরনের বহুগামিতাই বহুগামিতা বিপজ্জনক – তবে এখানে একটি ব্যাপার হল এটা কি নিরাপদ বহুগামিতা নাকি অনিরাপদ বহুগামিতা – বহুগামিতা কি স্থায়ী কয়েকজনের সাথে নাকি সিরিয়ালে অগণিত জনের সাথে। নারী কিংবা পুরুষ দুইজনের বহুগামিতাই বিপজ্জনক।
আর আপনি এইডসের ব্যাপ্তির কারণ যে বললেন – এটা ডাটা কোথায় হতে পেয়েছেন জানিনা। তবে এটা একটা ঐতিহাসিক ফ্যাক্ট যে সমকামিতার মাধ্যমেই উন্নত বিশ্বে এইডস ছড়ায়। তাছাড়া United States Centers for Disease Control and Prevention (CDC) এর মত অনুযায়ী –
HIV Among Gay, Bisexual, and Other Men Who Have Sex With Men
Fast Facts
#Gay, bisexual, and other men who have sex with men (referred to here as MSM) are more severely affected by HIV than any other group in the United States.
#Among all MSM, black/African American MSM bear the greatest disproportionate burden of HIV.
#From 2008 to 2010, HIV infections among young black/African American MSM increased 20%.
Gay, bisexual, and other men who have sex with men (MSM))a represent approximately 2% of the United States population, yet are the population most severely affected by HIV. In 2010, young MSM (aged 13-24 years) accounted for 72% of new HIV infections among all persons aged 13 to 24, and 30% of new infections among all MSM. At the end of 2010, an estimated 489,121 (56%) persons living with an HIV diagnosis in the United States were MSM or MSM-IDU.
The Numbers
New HIV Infections
#In 2010, MSM accounted for 63% of estimated new HIV infections in the United States and 78% of infections among all newly infected men. From 2008 to 2010, new HIV infections increased 22% among young (aged 13-24) MSM and 12% among MSM overall.
#Among all MSM, white MSM accounted for 11,400 (38%) estimated new HIV infections in 2010. The largest number of new infections among white MSM (3,300; 29%) occurred in those aged 25 to 34.
#Among all MSM, black/African American MSM accounted for 10,600 (36%) estimated new HIV infections in 2010. The largest number of new infections among black/African American MSM (4,800; 45%) occurred in those aged 13 to 24. From 2008 to 2010 new infections increased 20% among young black/African American MSM aged 13 to 24.
#Among all MSM, Hispanic/Latino MSM accounted for 6,700 (22%) estimated new HIV infections in 2010. The largest number of new infections among Hispanic/Latino MSM (3,300; 39%) occurred in those aged 25 to 34.
উপরের লিঙ্ক হতে পুরো আর্টিকেলটি পড়তে পারবেন।
তাছাড়া, The New York Times এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী –
Aids: Role of Gay Men in Spreading Virus Is Ignored in Africa, Study Finds
The role of gay sex in the transmission of the virus that causes AIDS in Africa has been long ignored, say the authors of a new study in the medical journal Lancet.
While most transmission of the virus in Africa is heterosexual, 19 recent studies of African men who have sex with men show that they have “considerably higher” infection rates than other adult men in their respective countries, said the authors, who were from Oxford University and research institutions in Ghana and Kenya……………………….
উপরের লিঙ্ক হতে পুরো আর্টিকেলটি পড়তে পারবেন।
অর্থাৎ, উন্নত বিশ্বে সমকামিতা এইডসের জন্য সবচাইতে বড় হুমকি এবং আফ্রিকায় অনিয়ন্ত্রিত বহুগামিতার সাথে সাথে সমকামিতাও সমভাবে হুমকি।
জ্যাকব জুমা যেমনি হোক – এর জন্য আপনি নেলসন ম্যান্ডেলাকে দায়ী করতে পারবেননা – তার প্রভাব তো দূরের ব্যাপার। যেমন পারবেননা জেমস পোল্ক, ওয়ারেন হার্ডিং, উইলিয়াম ম্যাককেনলি কিংবা জর্জ ডব্লিও বুশ এর জন্য জর্জ ওয়াশিংটন, আব্রাহাম লিঙ্কন, উড্রো উইলসন কিংবা ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট কে দায়ী করতে।
আসলে আবেগে খুব কম মানুষই ভাসছে। এখন যা হচ্ছে তা হল, একজন বিখ্যাত ব্যাক্তি যার কর্ম অনেক ব্যাক্তির জীবনে পজেটিভ প্রভাব পড়েছে তার প্রয়ানে সম্মান প্রদর্শন – যা খুবই স্বাভাবিক। বরঞ্চ আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি – এই “দ্রুত” লেখাটিতে “সমালোচনার জন্য” “সমালোচনা” করতে যেয়ে অনেক কিছু এদিক ওদিক হয়ে গিয়েছে। আসলে তাৎক্ষনিক কোন যেকোন এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক।
@সংবাদিকা,
জ্যাকব জুমা মেন্ডেলার স্নেহ ছায়াতে বড় হওয়া এ এন সির নেতা। মেন্ডেলারা প্রিয় শিষয়দের একজন যিনি আজ প্রেসিডেন্ট ম্যান্ডেলার দয়াতে। এসব ইতিহাস ভুলে গেলে কিভাবে চলবে।
আমেরিকান সিস্টেমটাই এমন, এখানে ব্যক্তির চেয়ে সিস্টেম বড়।
সামান্য ব্লো জব নিতে গিয়ে ( যেটা সম্মতিক্রমে সেক্স) ক্লিনটনের রাজ্যপাট যাবে যাবে করছিল। আর জ্যাকব জুমা একটি মেয়েকে ধর্ষন করেও পার পেয়ে যান।। সুতরাং আমেরিকার সাথে তুলনাটা হাস্যরস বলেই ধরে নিচ্ছি।
@বিপ্লব পাল,
প্রি কন্সিভড আমেরিকোফাইল (কিংবা ইউএসোফাইল??) ভাবনা নিয়ে বসে থাকলে আর কিছুই বলার নাই। আপনার কাছে ধর্ষনের সংজ্ঞা যদি ক্ল্যাসিক্যাল হয় – যে ক্ষেতে, পুরোন ভবনে কিংবা বাসে একজন হাত ধরবে আরেকজন পা ধরবে এবং তৃতীয় জন সিঙ্গেল সিলিন্ডার টু-স্ট্রোক ইঞ্জিন চালু করে দেবে – তাহলে আর কিছু বলার নেই। তাহলে বলতে হয় – কর্পোরেট কিংবা সরকারী অফিসে লম্পটের কোনই অস্তিত্ব নেই।
আর যার “”সামান্য ব্লো জবের” উদাহরণ দিলেন ওটা ক্লিনটনের তার সর্বশেষ ফ্লিং ছিল 😀 😀 আগের কথা না বলাই ভাল। আমেরিকার এসব ওদাহরণ গুলো টান দিলে অধুনালুপ্ত ম্যাগাজিন যায় যায় দিনের বিশেষ ভালোবাসা সংখ্যার মত হয়ে যাবে এই থ্রেড।
সবচাইতে বড় কথা – টার্ম লিমিটের জন্য জ্যাকব জুমা আর কয়দিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকতে পারে ওটাই দেখা যাক। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট আশা করা যাচ্ছে থাবো এম্ব্যাকির মতো সোবার হবে।
@বিপ্লব পাল,
এটার ব্যাপারে আমি বলতে চাই – কোন কিছুর জন্য আটকে রাখা কিংবা অপমান করার সাথে হত্যা করা কিংবা অংগচ্ছেদ করার ব্যাপার তুলনা দিলে আমার বলার কিছুই নেই। তবে তুলনাটির কোনই মূল্য থাকেনা – পুরাই ইঙ্কন্সিস্টেন্স ফল্টি কম্প্যারিজন।
@সংবাদিকা,
তাই?
রাজপুত রমণীরা স্বেচ্ছায় সহমরণে যেতেন। মনে করতেন তাতেই তাদের পুন্য। সতীদাহে সবাইকে জোর করে মারা হত তা কিন্ত নয়—-
যেমন মুসলীম রমনীরা মনে করেন, তাদের স্বামীর একাধিক বিবাহ আল্লার বিধান। তাই সেটা মেনে নেওয়াতেই তাদের পূন্যি—-
বা বিধবা বিবাহ। অধিকাংশ হিন্দু মেয়েরা এককালে মনে করত আবার বিয়ে করাটা পাপ। সবই সেচ্ছায়।।।
সেচ্ছা বা ইচ্ছা নির্ধারন করে দেয় সমাজ। সামাজিক আইন। একশো বছর আগে যে কোন হিন্দু পুরুষ তিন চারটে বিয়ে করতে পারত। কেও আটকাত না। বৌরাও মনে করতে, তাতে স্বামীর অধিকার আছে। কারন সেটাই ট্রাডিশন। আজকে নেহেরু সেটা আটকে দেওয়ার পর, কোন হিন্দু মেয়ে সেরকম মনে করে না। কারন তারা পার্থক্যটা বুঝেছে।
@বিপ্লব পাল,
এ সম্পর্কে আমি আগেই বলেছি – তা ছাড়া “বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষিত এবং নারীর ক্ষমতায়ন কিংবা নারীর অধিকার” লেখাতেও এ ব্যাপারে বলা হয়েছে। সবচাইতে বড় কথা – ব্যাতিক্রম উদাহরণ নয়।
@বিপ্লব পাল,
আচ্ছা বিপ্লব দা, সহ মরন ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায়, এটা না হয় বাদ রাখেন, যেহেতু ব্যাপারটা জীবন মৃত্যুকে কেন্দ্র করে, কাজেই এখানে সহজেই ডিফেন্সটা (যুক্তির) আপনার ভাল হবে না বলেই আমার মনে হয়।
তবে বাকিগুলো খুব ভাল উদাহরন, সহজে ফুটো (penetrate) করা যাবে না সেই যুক্তির বর্মকে।
@সংবাদিকা,
যাই বলেন ভাই, আপনার বেশিরভাগ মন্তব্যেই এই শব্দটা দারুন লাগে। :-S
সমকামিতার ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই, কারন এটা আমিও পছন্দ বা সমর্থন করি না। তবে কেউ যদি এটা পছন্দ করে, তবে আমার দারুন অপছন্দ বলে আমি এইসব লোকের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলব, তবে অবশ্যই তাকে অফেন্ড করব না, যদি না সে আমাকে অফেন্ড করে।
বহুবিবাহের সাথে এটাকে তুলনা করাটা যৌক্তিক নয়। কেন এটা বললাম জানেন? কারন সমকামীতা লিঙ্গ নির্বিশেষে করা চলে, তবে একই সাথে একাধিক স্পাউস শুধু মাত্র পুরুষরাই রাখতে পারে, কাজেই এটাকে সমর্থন করার প্রশ্নই আসেনা।
সমকামিতা সমাজের কতটুকু ক্ষতি করে জানি না ( নৈতিকতার প্রশ্ন না তোলাই ভাল, এটা অনেকটা ধর্ম বিশ্বাসের মত; যার টা যত বেশি দুর্বল, তার টাই তত বেশি আহত হয়), তবে বহুবিবাহ যে শুধুমাত্র নারীজাতি কেই নিগ্রহ করার জন্য, এই সিদ্ধান্তে আমি বছর পাঁচ ছয়েক আগেই উপনীত হই। কাজেই বহুবিবাহকেই আমি নৈতিকতার ক্ষেত্রে অনেক বেশি হুমকি বলে মনে করি।
@দারুচিনি দ্বীপ,
:thanks:
এখানে সরাসরি তুলনা করা হয়নি – মানুষের অধিকারের তথা মানবাধিকারের বিষয়টি বলা হয়েছে। এবং কালচারাল ডিফারেন্সের বিষয়ে বলা হয়েছে। আপনার সমকামিতার ব্যাপারে কিছু বলার নেই তেমন অনেকের বহুগামিতার ব্যাপারে কিছু বলার নেই। আবার অনেকের বহুগামিতার ব্যাপারে অনেক বলার থাকলেও “কাগজে কলমে” স্বীকৃত বহুগামিতার ব্যাপারে কিছু বলার থাকেনা। আবার অনেক জায়গায় আপনি সবার সামনে বহুগামিতা করলেও ওটা “কাগজে কলমে” স্বীকৃতি দিতে চাইলে আপনাকে জেলে যেতে হবে।
বললাম আগেই – কালচারাল ডিফারেন্স।
Celibacy, Autophilia, Monogamy, Serial Monogamy, Infidelity, Casual Relationship, Polygamy, Polygyny, Polyadnry, Polyamory, Polyfidelity, Group Marriage, Group Sex, Orgies, Line Families, Open Marriage, Open Relationships, Poly families, Plural Marriage, Relationship Anarchy, Swinging, Pedophelia, Sadomasochism, Incest, Necrophilia, Zoophelia…. এসবের মধ্য কোনগুলোতে আপনার বলার কিছুই নেই আর কোনগুলোতে আপনার বলার অনেক কিছুই আছে ??????? আপনি দেখতে পারেন এখানে কতগুলো সার্বজনীন গ্রহণযোগ্য – কতগুলো সার্বজনীন অগ্রহণযোগ্য – আবার এসবের মধ্য কিছু কিছু অনেকেই প্র্যাকটিস করে ব্যক্তিগত ভাবে। কতগুলো একটি সমাজে ট্যাবু কিন্তু আরেকটিতে নয়। আপনি এসব পৃথিবীর অনেক সমাজেই এসবের অস্তিত্ব পাবেন। কোন কোনটি কারও কাছে প্যারাফিলিয়া আবার কোন কোনটি কারও কাছে নয়। কোন কোনটি উনবিংশ শতাব্দীতেও প্যারাফিলিয়া হিসেবে স্বীকৃত ছিল এবং কোন কোনটি খুবই স্বাভাবিক ছিল যা এখন এই একবিংশ শতাব্দীতে উলটে গিয়েছে।
এসব সবকিছুই কালচারের ব্যপার। ভৌত বিজ্ঞানীরা প্রকৃতিকে অনেক সুন্দরভাবে কম্পার্টমেন্টালাইজ করেছেন কিন্তু সামাজিক বিজ্ঞানীরা এমন এখনও পারেনি।
যেকোন কিছু চিন্তা করা উচিত বিগ পিকচারে – নিজের ইচ্ছে এবং সুবিধা অনুযায়ী নয় – তাহলে বিষয়টি ভালোভাবে অনুভব করতে এবং ধরতে পারা যায়।
@সংবাদিকা,
সেতো অবশ্যই, আমি তো কথাটা বলেছি নিজের দিকে টেনে নিয়ে, যেন এটা ভাবার অবকাশ না থাকে যে আমি ডিক্টেট করছি 🙂
বাপ্রে বাপ, আপনি দেখছি আমার দুটো জিনিস নিয়ে আলোচনা করার প্রেক্ষিতে সারা দুনিয়াকেই টেনে আনলেন 😀 । এখানে এত কড়া জিনিস আনার দরকার কি?যদি কেউ অনেক কিছুই করতে চায়, করুক না, যদি এতে আপনার সমস্যা না হয় ( ব্যক্তিগত)। নিচে দেখেন রনি সাহেব কে বিপ্লব পাল কি উত্তর দিয়েছেন।
আসলেই তাই,কথাটা আমার বেশ মনে ধরেছে। সতিনের ঘর করতে কোনদিনই কোন মেয়ে মনে হয় না কবিতা খুজে পেয়েছে।
এবার বুঝাতে পারলাম কি যে কেন এই দুটোকে এক নিক্তিতে মাপি না আমি, বা মাপার দরকার মনে করি না? মানবতা যদি লিঙ্গ নিরপেক্ষ হয়, তবে কেন প্রথার দোহাই দিয়ে একটা মেয়ের ঘাড়ে সতিন চাপিয়ে দিতে হবে বলতে পারেন?
যদি কোন মেয়ে স্বেচ্ছায় সতিন মেনে নেয়, তবে বুঝতে হবে যে সে হয় নিজেই অন্য লাইনে মানে পরকিয়ার লাইনে আছে না হয় ধর্ম দ্বারা এতটাই আক্রান্ত হয়ে আছে যে এর মধ্যে সে স্বামী সেবা খুজে পেয়েছে শুধুই জান্নার প্রাপ্তির আশায়।
কাজেই আমার তো কোনদিন মনে হয়নি যে মেয়েরা অন্তত স্বেচ্ছায় সতীন মেনে নেবে, যেখানে অসংখ্য মেয়েকে বোরকার মধ্যে আবদ্ধ রাখা হয় স্রেফ মন্ত্রের জোরে, যেন পরপুরুষ তাকে দেখতে পর্যন্ত না পায়, সেখানে মনে হয় না পরনারীকে স্বামী ঘরে তুলতে চাইলে, কোন আত্মমর্যাদা সম্পন্ন কোন মেয়ে সেটা মেনে নেবেন।
সমকাম কেউ করতে চাইলে, সে নিশ্চয়ই বিপরীত লিঙ্গের কাউকে বিয়ে করতে চাইবে না, বা চাইলেও নিশ্চয়ই তার আগের রাস্তা খোলা থাকবে না, থাকবে কি? অবশ্য পুরুষ যদি সত্যি প্রত্যক্ষ ভাবে ( পরোক্ষ ভাবে সে ইতিমধ্যেই এই দাবী করে ফেলছে, আর কাজেও দেখিয়ে দিচ্ছে, যেমন কেউ কেউ একাধিক স্ত্রী রাখাটা কে ব্যক্তিগত ব্যাপার বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন) ঈশ্বর বা খোদার মর্যাদা দাবী করে, সেটা ভিন্ন ব্যাপার। তবে দাবী করলেই কিন্তু সব দাবী ধোপে টিকবে না, বরং হিতে বিপরীতও হতে পারে ( বর্তমানে এই চান্সটাই বেশি, যেহেতু ধর্মীয় সহনশীলতার মাত্রাটা মারাত্মক ভাবে বেড়ে(!?) গেছে )
@দারুচিনি দ্বীপ,
আমিতো ভাই বললাম – কালচারাল ডিফারেন্স নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন…… ওটা ঐ অ্যাস্ট্রোনমি কিংবা ইব্যুলুশন থেকে কম অ্যাডভেঞ্চারাস জ্ঞানের জগত নয় – শুধুই অদ্ভুত লাগবে। মুক্তভাবে ভাবার চিন্তা করেন – প্রিকন্সিভড কিংবা প্রেজুডিসাল ভাবে নয়। আপনি ভাবার চিন্তা করেননা কিংবা নিক্তিতে মাপেন না ওটা আপনার সংকীর্ণ ভাবনা কিংব মত প্রকাশের অধিকার তেমন করে যারা আপনার মত চিন্তা করেননা ওটাও তাদের অধিকার।
নেহেরুর সাথে কি ম্যান্ডেলার সাফল্য-ব্যর্থতার তুলনা চলে ?নেহেরু সরকারপ্রধান ছিলেন ১৭ বছর আর ম্যান্ডেলা মাত্র ৪ বছর ।
@মনিরুল ইসলাম,
এভাবে মনে হয় বিচার করা ঠিক না। আব্রাহাম লিঙ্কন ক্ষমতায় ছিলেন মোট ৪ বছর ( নিহত হবার আগ পর্যন্ত), আর রোনাল্ড রিগ্যান ছিলেন ছিলেন ৮ বছর, দুজনেই রিপাবলিকান। কাকে আপনি সফল বলতে পছন্দ করবেন বেশি? 😉 । খুব অসম তুলনা হয়ে গেল কি? সেক্ষেত্রে আসেন উত্তরসুরিদের দিকে তাকাই।
(বুশদের কথা না হয় টেনে আনব না কারন , পিতা পুত্র দুজনেই যুদ্ধ প্রিয় ছিলেন, তাই এখানে না হয় সফলতার বা ব্যর্থতার কথা আলাপ না করি। )
বিল ক্লিন্টন কিন্তু ৮ বছর ক্ষমতায় ছিলেন,আর জন এফ কেনেডি ছিলেন মাত্র দুই বছর (‘৬১-‘৬৩। দুজনেই ডেমোক্রেটিক, করা যায় না তুলনা দুজনের সাফল্য ব্যর্থতার? কে বেশি সফল ছিলেন? এক কথায় নিশ্চয়ই রায় দিয়ে ফেলাটা কষ্টকর, তাই না? 🙂 ।
এখানেই মুক্তমনা অনন্য। প্রথাবিরোধীতার মাত্রাটি এমন যে ম্যান্ডেলার মৃত্যুতে যেখানে বিশ্ব-মিডিয়ায় গদগদ আবেগে ভাসছে, সেখানে চুলচেরা বিশ্লেষন এখানেই হয়।
অনেকেই ম্যান্ডেলার সাথে বঙ্গবন্ধুর মিল খুঁজে পান মূলত কারাবন্দীত্বের দীর্ঘমেয়াদের কারণে। কিন্তু আপনার এই ক্ষুদে লেখাটি দেখিয়ে দিচ্ছে, মিল আছে ব্যর্থতার দিক থেকেও। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, প্রশাসনিকভাবে অত দক্ষ ছিলেন না বঙ্গবন্ধু, যদিও প্রায় একক হাতে পাকিস্তানের মুঠো থেকে বাংলাদেশকে বের করে এনেছিলেন।
দেড় মিলিয়ন “কি” খরচ হয়, বিপ্লবদা?
ছবিটি দেখে খুব ভাল লাগল। বহু-বউয়েরা যদি ছবির মত থাকে এমনই হাস্যোজ্জ্বল, তাহলে বহুবিবাহ উৎখাত করতেই হবে কেন কু-সংস্কৃতি বিলোপের নামে, বলতে পারেন, বিপ্লবদা?? কেন আমরা বহু-বিবাহের মত একটি মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করব মানুষকে? এর ফলাফল ভাল হবে মনে করেন আপনি?
দেখেন, আমাদের একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট আফ্রিকান কালচার না পেয়ে কত অসুখী জীবন-যাপন করেছেন শেষ পর্যন্ত? কালচারটি থাকলে বা আমদানী করার অধিকার দেয়া হলে, উনিও কি পারতেন না হাস্যোজ্বল স্ত্রীগণকে নিয়ে একখানা ততোধিক হাস্যোজ্বল কেক কাটার ছবি উপহার দিতে??? জাতিকে???
@কাজি মামুন,
😮 😮 এইটা মানবিক অধিকার নাকি ভাই?
হুম এতক্ষনে বুঝলাম যে আপনি মনে হয় রসিকতা করেই বহুবিবাহ কে মানবিক অধিকার বলেছেন। যাই হোক এরশাদের কিন্তু বহু বিবাহ লাগে না, লাগে কি? উনি রোমীও মানুষ, অন্য উপায়েই মনে হয় উপ পত্নী জোগাড় করে নেন। অবশ্য বিষয়টা পরিষ্কার না, চাচামিয়ার সবকিছুই আমার কাছে ধোঁয়াটে বলে মনে হয় :-s
সাব্বাশ!!
কিন্তু বিপ্লব দাদা, জ্যাকব জুমার অন্যায়ের ভাগীদার ম্যান্ডেলা কেন হবে, এইটা যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন তবে সুবিধা হত। মানে একজনের দোষে আরেকজন দোষী হয়ে গেলেন না? আর তাছাড়া বর্তমানে ওভার ফ্রীডমের যুগে ম্যান্ডেলা কতটুকুই বা করতে পারতেন, অথবা চেষ্টা করলেও পারতেন কিনা, সে ব্যাপারে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে!!
@দারুচিনি দ্বীপ,
জ্যাকব জুমার ম্যান্ডেলার আমল থেকেই ব্যপক দুর্নীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। ম্যান্ডেলা দেখেও দেখন নি। জুমাকে এ এন সির প্রেসিডেন্ট করার ব্যাপারে তার সায় ছিল যখন জুমা ধর্ষন এবং দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত। ম্যান্ডেলা বরাবর তাকে পুত্রসম স্নেহে দোষগুলি ক্ষমা করে দিয়েছেন।
@বিপ্লব পাল,
বলেন কি! বিষয়টি জানা ছিল না। আসলে অনেক কিছুই সাধারন মানুষের অজানা থেকে যায়, আর তারপরেও কিছু না জেনেই আমরা কিছু মানুষদের আইডল ভেবে বসি!তথ্যটা জানাবার অনেক জন্য ধন্যবাদ!
@বিপ্লব পাল,
জ্যাকব জুমা ম্যান্ডেলার আমল থাকে কি কি দুর্নীতির সাথে যুক্ত ছিলেন দু এক টি উদারন দিবেন কি?
তার অস্ত্র ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি থাব এম্বেকির আমলে,এর জন্য উপ রাষ্ট্রপতির পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। আর রেপ কেসের বাদী তার গার্ল ফ্রেন্ড ছিল। জ্যাকব জুমার বিরুদ্দে এটি একটি চক্রান্ত ছিল বলে আদালত রায় দেয়। সাউথ আফ্রিকার আদালত নিৎচয় বাংলাদেশের আদালত নয়।
ANC দলের মধ্যে আনেক দুর্নীতিবাজ ছিল এবং আছে। কাউকে উনি পছ্রয় দিতেন কখন শুনিনি?
আমি উল্টোরথের পাল্টা উত্তর দিচ্ছি না, শুধু বলতে চাচ্ছি, সাদাদের ক্ষমতা হস্তান্তর এবং পরে আরও কিছু রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপে ম্যান্ডেলা সার্থক । তবে অনেক স্বাধীন দেশের মতই নেতারা খেই হারিয়ে ফেলতেছেন। আমাদের মুক্তিযোদ্ধা প্রেসিডেন্ট যেমন রাজাকারদের পুনর্বাসন করেছেন । কোথাও ব্যাক্তি জীবন কলুষিত কোথাও রাষ্ট্রীয় জীবনকে কলুষিত করা।
ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। তবে অপেক্ষায় আছি কেউ ম্যান্ডেলাকে নিয়ে আরও বিস্তারিত লিখবেন বলে।
@গীতা দাস,
আমি ব্যক্তি ম্যান্ডেলার ভক্ত। তার চরিত্রের জন্য।
কিন্ত আবেগে ভেসে গেলে, কিছু নিষ্ঠুর সত্য অজানা থাকে। সেই তিক্ত সত্য হচ্ছে আফ্রিকান ন্যাশানাল কংগ্রেসের দুর্নীতি এবং চূড়ান্ত পুরুষতান্ত্রিক চালনা।
আমি চাই ইতিহাসের সুষ্ঠ পর্যালোচনা হৌক। মিডিয়াতে ক্রিটিক্যাল লেখা চোখে পড়ে না। তাদের মার্কেটের দায়। তায় ব্যলান্সড রিভিউ এর দ্বায়িত্বটা আমাদেরই নিতে হবে।
@বিপ্লব পাল,
এ ক ম ত। বিপ্লব দা’কে সাধুবাদ রথের চাকাটি উল্টোদিকে চালানোর জন্য। এই একই রথ সোহরাওয়ার্দী, ভাসানী, শেখ মুজিব, জিয়া প্রমুখ’র ক্ষেত্রে চালানো হলে ভক্তিবাদীরা রে রে করে তেড়ে আসবেন। খানিকটা খেদ নিয়েই বলছি, মুক্তমনাতেও এটি ঘটেছে।
চলুক। (Y)
@বিপ্লব রহমান,
এটা শেখ মুজিবরের বিরুদ্ধেই প্রথমে চালানো উচিত। উনিও অন্ধ ছিলেন পুত্র স্নেহে এবং সেটাও একটা বড় কারন উনার পতনের। এছারা উনি সেভাবে কোনদিনই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়েন নি-বরং সোভিয়েত কমিউনিস্ট ধাঁচে বাংলাদেশ গড়তে গিয়েছিলেন। সেটা ভাল না খারাপ সেই নিয়ে বিতর্ক হতে পারে । কিন্ত শেখ সাহেব গণতান্ত্রিক ছিলেন না।
সমস্যা হচ্ছে শেখ মুজিবরের বিরুদ্ধে কোন যুক্তিপূর্ণ ক্রিটিক্যাল লেখা বাংলাদেশীরা লিখতে ভয় পায়।
জেনারেল জিয়ার বিরুদ্ধে এবং পক্ষে তাও অনেক লেখা পাওয়া যায়।
এই ধরনের ক্রিটিক্যাল লেখা না লিখলে, বাংলাদেশে মুক্তমনা চালিয়ে লাভ কি। শুধু ইসলামের চাকে ঢিল মেরে কি হবে?
বাংলাদেশের অন্ধ রাজনৈতিক চেতনার মুক্তির জন্য মুক্তমনাতে বাংলাদেশের লোকেদের এগিয়ে আসতে হবে।
আজকেই ভাল খবর হল দিল্লীতে আম আদমি পার্টি ২৮ টা, কংগ্রেস ৮ টা সিট পেয়েছে রাজ্য ইলেকশনের। কেজরিওয়াল, আন্না হাজারে যে সচেতনাটা ভারতে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে, বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটিকেও সেটা করতে হবে।
কিন্ত সমস্যা হচ্ছে
(১) বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটি দুই পার্টির রাজনীতির মধ্যে বিভক্ত। নিরেপেক্ষ গলা কম আছে
(২) ধর্মের বিরুদ্ধে যাওয়ার শক্তি কম
(২) সমস্যা ভারতের সিভিল সোসাইটিতেও আছে। তবে ভারতের সিভিল সোসাইটির বড় অংশই কংগ্রেস বা বিজেপির বাইরে। সেই জায়গাটাই বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটিকে যেতে হবে।
শুধু জয় বাংলা শ্লোগানে কি হবে। বাংলাদেশকে উন্নত রাজনীতি উপহার দিতে গেলে, এই সব রাজনৈতিক আইকনে আঘাত করতেই হবে, যারা মোটেও বাংলাদেশকে ভাল কোন রাষ্ট্রনীতি বা রাজনীতি দিতে পারেন নি।
@বিপ্লব পাল,
তাহলে বলতে হবে, আহমেদ ছফা বা হুমায়ুন আজাদরা বাংলাদেশী নয়।
সময় কোথায়, বিপ্লবদা? স্বাধীনতা-স্বাধীকার প্রতিষ্ঠা নিয়েই যখন ব্যাস্ত থাকতে হয়েছিল?
সমূলেই তো বিনাশ করা হল। একেবারে নির্বংশ যাকে বলে। আর কোথায় আঘাত করার বাকী ছিল, বিপ্লবদা?
বাহাত্তরের সংবিধান আসলেই খুব পচা একটা সংবিধান ছিল! সত্যিকারের জাতীয়তাবাদ (জাতিগত ও ধর্মগত)-কে কি তীব্র অবমাননাই না করা হয়েছিল!! তা না হলে, রক্ত দিয়ে সেই রাষ্ট্রনীতির পাপ মোচন করতে হয়!!!
@কাজি মামুন,
না। উনারা ভাল লেখক। কিন্ত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ নন। সেই ভাবে রাজনৈতিক বিশ্লেষন তার হয় নি।
আমি দ্বিমত পোষন করছি। তাজুউদ্দিনের সাথে উনার বিরাট পার্থক্য আছে। তাজুউদ্দিনের প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারে যেটুকু কাঠামো ছিল, শেখ সাহেব স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারে সেটুকুও আনতে পারে নি। উনি কাঠামোতেই, সিস্টেমে বিশ্বাসই করতেন না বা বুঝতেন না। শেখ সাহেব সরকারটা দাঁড় করানোর জন্য যোগ্য লোক ছিলেন না। ছিলেন তাজুউদ্দিন।
তেমনটা হবে তাজুউদ্দিন শেখ সাহেব কেই বলেছিলেন। যখন ভোটের মাধ্যমে জনগন তাকে সরাতে পারবে না, তখন বন্দুকের নলেই তাকে সরাবে।
শুধু একটা সংবিধান দিলেই রাজনীতি তৈরী হয় না। চাই সদিচ্ছা সেই সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রকে তৈরী করা। শেখ মুজিবর রহমান গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন না-এটা সত্য। উনি অনেকটা নেতাজি সুভাস ভক্ত। দেশপ্রেম তাকে অন্ধ করেছিল। দেশপ্রেমে অন্ধ হয়েই তিনি সঠিক রাজনীতির সন্ধান পান নি।
@বিপ্লবদা,
তাহলে কারা ভাল রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ? যারা “জেনারেল জিয়ার বিরুদ্ধে এবং পক্ষে” “অনেক” লিখেছেন? কারা তারা?
যতটা আত্মবিশ্বাসের সাথে বললেন, বিপ্লবদা, মনে হচ্ছে, ধ্রুবতারার মত সত্য!! না হয় কিছু প্রমানপত্র এই ধ্রুবতারার পেছনে?
@কাজি মামুন,
আমি অনেক বাংলাদেশের অনেক মানুষের সাথে মিশেছি, যারা এদের কাছা কাছি থেকে কাজ করেছেন। তাদের অনেকেই সত্যটা প্রকাশ্যে বলতে চান না। কিন্ত সিগন্যালটা এক। শেখ সাহেব দেশপ্রেমিক ছিলেন-কিন্ত রাষ্ট্রনেতৃত্ব তার হাতে যাওয়া উচিৎ হয় নি।
@বিপ্লব পাল,ভারতীয় আর হিন্দু পরিবারে জন্ম বলে বেচে গেছে, না হলে তোমাকে একটা ছাচে (mold}ফেলতে দেরী হতো না। খামকো উল্টা-পাল্টা কথা বলে সরল-সুন্দর ওয়ার্ল্ড ভিউগুলো তছনছ করা মোটেই ভালো কাজ নয়।
@সফিক,
ভারতীয় বাঙালীদের নেতাজি নিয়ে একই অবস্থান। নেতাজি ভুল হতে পারেন না। নেতাজি মহান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
বাস্তব এটাই বলে তিনি দেশপ্রেমে অন্ধ হয়ে নাজিদের সাথে বন্ধুত্ব, স্ততি সব কিছুই করেছেন। চীনের ওপর জাপানের অত্যাচার দেখেও দেখেন নি। ভারতের আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ জাপানের দখলে আসার পরে, সেই দ্বীপের অবস্থা ছিবড়ে করে দেয় জাপানীরা। দ্বীপবাসিনীদের জোর করে পতিতাবৃত্তিতে জাপানী সেনাদের তুষ্ট রাখতে। এর মধ্যেই এই আন্দামানে এসে স্বাধীন ভারতের পতাকা তুলেছিলেন নেতাজি ১৯৪৩ সালে। ইতিহাসের বই সেটাই বলে। ভারতে ইতিহাসের বই এটা বলে না, জাপানীরা সেই সময় স্থানীয় অধিবাসীদের ক্রীতদাসের পর্যায়ে নামিয়ে নিয়ে এসেছিল। ইতিহাস এটাও বলে না নাজিদের কুখ্যাতির সাথে সম্যক পরিচয় সত্ত্বেও কি করে একটা লোক শুধু স্বাধীনতার জন্য তাদের সাহায্য নিতে পারে এবং সেটা কোন রাজনৈতিক পরিনতির পরিচয় কি না।
নেতাজি নিয়ে এসব প্রশ্ন তুললেই আপনি ভারতীয় বাঙালী মহলে ব্রাত্য হবেন। যেমন আমি। আমি সিপিএমের জ্যোতি বসুকেও মেনে নিতে পারি নি ফালতু মধ্যম মেধার একটা অভিজাত বাঙালী বলে। মমতা ব্যানার্জিকেও মেতে নিতে পারি না কারন এ ভদ্রমহিলা শুধুই বুদ্ধিমান অভিনেত্রী। তবে বুদ্ধ বাবু একমাত্র লোক যিনি বি সি রায়ের পর পশ্চিম বঙ্গের জন্য কিছু করাতে হাত দিয়ে ছিলেন। পশ্চিম বঙ্গের পরিসংখ্যান ইতিহাসই সেটা বলে দেবে যে বিগত ১৯৭৭ সালের পর যেটুকু প্রগতির গতি এসেছিল সেটা ২০০০-২০০৮ সালের মধ্যে যখন বুদ্ধ বাবু নিরঙ্কুশ শাসন করেছেন।
বাঙালী মননে শুধু আবেগ খায়-যুক্তির সেখানে প্রবেশ নিশেধ। এসব কারনে সব রাজনৈতিক মহলেই বোধ হয় আমি বর্জনীয়-আমার কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই ।
কিন্ত সত্যটা কাও ত বলতেই হবে। আর তাছারা আমেরিকাতে থাকি বলে হারাবার ও কিছু নেই।
কিছুদিন আগে আমার রাজনৈতিক লেখা গুলো ছাপাবো বলে কোলকাতার দুই প্রকাশকের কাছে গেলুম। দুজনেই বল্লেন, যে এসব ছাপানোর পর, তাদের আর ব্যবসা করতে হবে না পশ্চিম বঙ্গে। দুই পার্টির লোকেরা পিটিয়ে দেবে যখন দেখবে, লেখাটা কোন পক্ষেরই না। দেখলাম, আমাদের জন্য এই ফেসবুক, মুক্তমনাই ভরসা।
কিছুই যখন হারাবার নেই, তখন খালি জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য সুগারকোটিং এর মানে হয় না।
লেনিন ইন্টেলেকচুয়াল ফ্রড-মার্কসিজম কোনকালে বোঝেন নি-এসব নিয়ে লেখালেখি করার জন্য বাম মহলে আমার কোন বন্ধু নেই। কিন্ত এই নিয়ে কেও কোন দিন আমার একটি যুক্তিও খন্ডন করতে পারে নি-কারন সেই পরিমান পড়াশোনা বা দর্শন চর্চাটুকুও এই সব বামেরা করে না। শুধু ওপর ওপর ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে জিওল মাছের মতন তর্পায় বাম বাঙালীরা।
কিন্ত কে শত্রু হবে, কে বন্ধু হবে, সেই ভেবে লিখলে, সেটা লেখা থাকে না। সেটা নিম্নমানের সাংবাদিকতা সুলভ গার্বেজ হবে। ধরে নিতে হবে, এতে সবাই শত্রুই হবে।
কিন্ত তাতে কি? যা সত্য বলে জেনে এসেছি, সেটা লিখে যে আনন্দ, সেই আনন্দ আর কোথাও নেই। তাতে যে যা ভাবে ভাবুক। সময় বলে দেবে কে ঠিক ছিল, কে বেঠিক।
আজকাল ধরেই নি, যত লিখব তত শত্রুই বাড়বে। শেখ সাহেবকে নিয়ে কিছু পড়াশোনা শুরু করেছি। এক দিন না একদিন উনাকে নিয়ে লিখব। তারপরে হয়ত একটি বাংলাদেশী বন্ধুও থাকবে না 😕
@বিপ্লব পাল,
লেখেন দাদা, সমস্যা নেই। বন্ধু কেউ না থাকলে এই অধম আপনার পাশে থাকবে।
আর তাছাড়াও জাতীয়তাবাদী বন্ধুবান্ধবের ভীড় দেখবেন এতই বেড়ে যাবে, যে শেষে ইনাদের সরাতে আপনাকে নিজের বক্তব্য থেকে সরে আসতে হবে, অনিচ্ছা স্বত্বেও।
তখন দেখবেন যে জাতীয়তাবাদী বন্ধুরা কিভাবে আপনাকে ছিঁড়ে খায়।
জাতীয়তাবাদী বন্ধুদের থেকে অনেক সময় শত্রুও ( জামাত) মনে হয় ভাল ।
@বিপ্লব পাল,
আপনি সুভাস বসুর সমালোচনা করতে গিয়ে তৎকালীন আন্তর্জাতিক রাজনীতি পুরো হাওয়ায় উড়িয়ে দিলেন!!!!!!!
গান্ধী, নেহেরু এবং বসু – তিন জনের স্ট্রাটিজি তিন রকম ছিল। ভালো খারাপের কিছুই নেই। যুদ্ধের বাস্তবতায় যুক্তরাষ্ট্র- যুক্তরাজ্য হিটলারের মোকাবেলায় স্ট্যালিনের সাথে হাত মিলিয়েছিল…… বসু সফল হলে তার নাম আজকে বলিভার, ওয়াশিংটন, হোচিমিন কিংবা কামাল পাশার সাথে উচ্চারিত হত… বসুর দূর্ভাঘ্য তিনি হ্যানিবেল এর মত এক ট্র্যাজিক হিরো…
যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধ করার সময় ভিয়েতনাম তাদের ঐতিহাসিক শত্রু চীনের সাহায্য নিয়েছিল – চীনও তাদের নিজ স্বার্থেই ভিয়েতনাম কে সাহায্য করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ের পর অবস্থা আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেল – ইম্পেরিয়াল চীনের মত কম্যুনিস্ট চীনও তাদের ক্ষুদ্র কিন্তু সবচাইতে আত্মমর্যাদাশীল প্রতিবেশী ভিয়েতনাম আক্রমণ করল…… খানিকটা শায়েস্তা করার জন্য ৮০র দশকে… এটাই আন্তর্জাতিক রাজনীতি……
নিজের মত না ভেবে একটু বিগ পিকচারে ভাবলে আসলে সুভাস বসুকে আপনি ঠিক ভাবে মূল্যয়ন করতে পারবেন……
সুভাস বসু হলেন ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বভারতীয় বীরদের মধ্য অন্যতম… ইতিহাসের প্রথম সারিতে থাকবেন… হয়ত আধুনিক “ভারতীয় গণরাজ্যে” আভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে এখনও তার সঠিক ভাবে মূল্যয়ন হয়নি…… হবেই বা কেন!!! প্রায় বেশ বছর ব্রিটিশ রাজ স্বাধীন ভারত উপমাহাদেশের তথা ভারত, পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার রাজা ছিল। ব্রিটিশ রাজের সর্বশেষ স্বীকৃতি কমনওয়েলথ এখনও কেউ ছাড়তে পারেনি!!!! এর অন্যতম কারণ ছিল এই অঞ্চল মূলত পলিটিক্যাল মুভমেন্ট এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির বাস্তবতায় স্বাধীন হয়েছিল…… কোন সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নয়।
বাংলাদেশী হিসেবে একদিক থেকে আমি খুবই গর্বিত – আমাদের সশস্ত্র সংগ্রাম করতে হয়েছিল – সেই সঙ্গে আমরা ভারতকে ট্যাক্টিক্যাল পার্টনার এবং রাশিয়াকে স্ট্র্যাটিজিক পার্টনার হিসেবে পেয়েছিলাম। যেমন ভিয়েতনাম পেয়েছিল চীন এবং রাশিয়াকে – আমেরিকা এবং ফ্রান্সের সাথে যুদ্ধে।
একদিন ভারত রত্ন পদক নিজেই গর্বিত হবে নেতাজী সুভাষ বসুর উপর অর্পিত হয়ে।
@সফিক ভাই,
একদম ঠিক বলেছেন। তবে দেখুন না, নতুন বাংলাদেশের নায়কদের নিয়ে কিছু বললে বিপ্লবদার এই ‘ভারতীয়’ আর ‘হিন্দু’ পরিচয়ই তার জন্য কেমন কাল হত, তাকে আর এমনি করে বাঁচতে হত না তখন!
বেশী অতীতে যেতে হবে না কষ্ট করে, সফিক ভাই, দেখবেন কিভাবে ‘ভারতীয়’ আর ‘হিন্দু’ পরিচয় মৃত্যুদূত হয়ে দেখা দিয়েছে বিপ্লবদার জন্য, অপরাধ জাতীয়তাবাদীমনা বাংলাদেশীদের কোমল মনে কঠোরাঘাত!
@বিপ্লব দাদা,
হয়ত আপনার কথা সঠিক। কারন আমাদের এই বাংলাদেশের ভাল মানুষের যায়গা নেই। যারা ক্ষমতায় গিয়ে জনতাকে পিটিয়ে লাশ করতে পারে, এরাই অন্তত এই অসংস্কৃত জাতির জন্য যোগ্য শাসক।
তবে মুজিবের দোষগুন অনেক থাকতে পারে, কিন্তু আমার কেন জানি মনে হয় যে, মানুষের প্রতি উনার বিশ্বাস ছিল অগাধ। আর সেই জন্যেই তিনি র এর ওয়ার্নিং কে কানে তোলেন নি। যার ফলে ১৫ আগস্ট ঘটেছে।
তা না হলে বাকশাল যদি উনার কোন অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার হাতিয়ার হত ( বাকশাল কে সমর্থন দিচ্ছি না; তবে অর্তমানে মেইড ইন বাংলাদেশ গণতন্ত্র দেখে কেন জানি মনে হয় যে এর চেয়ে বাকশাল ঢের ভাল) , তবে মনে হয় না যে তিনি নিহত হতেন। দুনিয়াতে কোন স্বৈরশাসক এত সহজে নিহত হয়েছেন বলতে পারেন?
শেখ সাহেবের উচিত ছিল আরেকটু সচেতন থাকা । আমার বিশ্বাস উনি বেচে থাকলে আবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতেন। তবে সে সময়টা পেলেন কই? আসলে অসৎ একনায়করা মরে না, শেখ সাহেবের উদ্দেশ্য সৎ ছিল, তাই হয়ত তিনি তেমন কোন নিরাপত্তা জোরদার করেন নি নিজের জন্য, কানে তোলেননি র এর সতর্কবানী। সেখানে তাঁর উদ্দেশ্যকে কতটা দোষ দেয়া যায়?
সফিক সাহেব কেও একটা প্রশ্ন যে কয়েক মাসের বাকশালের মহাপাপে কত ঘা চাবুক মুজিব কে মারলে তাঁর প্রায়শ্চিত্ত সম্ভব?
@কাজি মামুন,
আসলে দেখেন, জেনারেল জিয়াকে নিয়ে ভাবার অবকাশ আছে, তবে মনে হয় না এত গুরত্ব দেবার দরকার আছে। উনি আর দশটা সাধারন সামরিক অফিসার বই আর কিছুই ছিলেন না, যিনি কিনা শেখ সাহেবের মৃত্যু পরবর্তী অস্থিরতার সুযোগে একটা দল জন্ম দিয়েছেন ক্যান্টনমেন্টে।
আর যে দলের জন্ম হয়েছে ক্যন্টনমেন্ট এ, সে দল কে আমার দল বলতেই আপত্তি আছে। যদি বি এন পি দল হয় তবে জা.পা কেন নয়? দুটিই একই জিনিস। জিয়ার দল জনপ্রিয় হয়েছে কারন ব্যক্তি জিয়া হয়ত এরশাদের মত বজ্জাত ছিলেন না।
তাই বঙ্গবন্ধুর সমালচনায় জিয়াকে বা জাতীয়তাবাদকে টেনে আনা যৌক্তিক মনে হয় না আমার কাছে, কারন এতে আমার মনে হয় যে দুজনকে একই লেভেলে নামিয়ে আনা হচ্ছে।
শেখ মুজিবের গুন দোষ সবকিছুর সাথেই যে জিনিস গুলো উনাকে আর সবার থেকে পৃথক করবে তা হল, উনার নেত্রত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ। উনার পাকিস্তানের কারাগারে অত্যাচার ভোগ, আরো কত কিছু আছে তাই না?
কাজেই একজন খুব সাধারন সামরিক নেতা যদি রাজনৈতিক চাল চেলে ( এটা অন্য যে কেউ হতে পারত) একটা বড় দল গড়েই ফেলেন, তাতে কি মুজিব কে ডিফেন্ড করতে গিয়ে তাকে টেনে আনা চলতে পারে? বড় জোর হাসিনা কে ডিফেন্ড করতে আমি জিয়াকে টানব।
মুজিব কে ডিফেন্ড করতে না হয় বড় বড় হাতি ঘোড়া যেমন, ম্যান্ডেলা, লিঙ্কন ( হ্যা সচেতন ভাবেই বলছি), মারটিন লুথার কিং, গান্ধীজী এদেরকেই আমি টেনে আনার পক্ষপাতি, জিয়ার মত খুব সাধারন মানের সুযোগ সন্ধানী সামরিক নেতাকে নয়। 🙂
@বিপ্লব পাল,
ভাই, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর আমাদের শ্রদ্ধেয় জিয়া ভাইয়ের রাজনীতি কি সঠিক পথে ছিল ? শ্রদ্ধেয় জিয়া ভাই কি সঠিক রাজনীতির সন্ধান পেয়েছিলেন ?
ৰ্ধমভিত্তিক রাজনীতি উন্মুক্তকরন, রাজাকারদের পুৰ্নবাসন ও ক্ষমতায় বসানো কি শ্রদ্ধেয় জিয়া ভাই যে সঠিক রাজনীতির সন্ধান পেয়েছিলেন তা নিৰ্দেশ করে ?
আপনার একটা লেখায় পড়েছিলাম, “কোন রাষ্ট্রে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজতান্ত্রিক মানুষ তৈরি প্রয়োজন, নতুবা সমাজতন্ত্রের নামে হিটলার/স্টালিনের মত কিছু দানব তৈরি হবে“।
একইভাবে আমার প্রশ্ন: কোন রাষ্ট্রে প্রকৃতভাবে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কি গনতান্ত্রিক মানুষ তৈরি প্রয়োজন না ?
অফটপিক: কিছু মানুষের কমেন্ট দেখে আউট অফ কিউরিওসিটি আমিও কিছু কোয়েশ্চেন করলাম, প্লিজ ডোন্ট মাইন্ড !! আমার একটা সরল ধারনা অতিরিক্ত আওয়ামী বিদ্বেষ মানুষকে বিএনপি’র মত “ইসলামোফ্যাসিস্ট” দলকেও সাৰ্পোট করতে উৎসাহিত করে। :-O
@তারিক,
আমি বাংলাদেশী নই-বি এন পির রাজনীতি আমি বুঝি না। জিয়াকে নিয়ে আমার পড়াশোনাও কম। তবে লোকটাকে ধূর্ত এক জেনারেল বলেই জানি।
বাকশাল প্রতিষ্ঠা নিয়ে শেখ সাহেবের প্রতি আমার অভিযোগ নেই। আমি উনার গোটা রাজনৈতিক জীবন নিয়ে পড়াশোনা করে সিদ্ধান্তে এসেছি
১) উনি শুধু ভাল বক্তা-সাংগঠনিক ক্ষমতা তার ছিল না
২) রাষ্ট্র নেতা হওয়ার কোন গুন তার মধ্যে ছিল না
৩) সরল চরিত্রের মানুষ ছিলেন-জনগণকে দেশকে ভালবাসতেন। কিন্ত সেটাই তার কাল ছিল। কারন কিভাবে দেশের উন্নতি হবে, সেই শিক্ষাগত যোগ্যতা তার ছিল না। ফলে সোভিয়েত ইউনিয়ানের প্রচারে ভুলে, উনি সোভিয়েত মডেল নিতে গেলেন। তার বাকশাল ছিল স্টালিনের ১৯২৯ সালের প্রচারিত একটি ডিক্রির হুবহু বাংলাদেশী মডেল যা দিয়ে স্টালিন কুলাকদেরকে রাষ্ট্রঈয় খামারে আনার চেষ্টা করেছিল। যার ফল ছিল হলডোমার জেনোসাইড-ইউক্রেনে।
এটাই তার মৃত্যুর কারন হল। কারন তখন ঠান্ডা যুদ্ধের সময়। যেমুহুর্তে আমেরিকান লবি দেখল তিনি সোভিয়েত ঘেঁষা, স্টালিনদের কপিবুক ড্রাইভ খেলা শুরু করেছেন, তার মৃত্যু দিন লেখা হয়ে যায়। আর সেই ঠান্ডা যুদ্ধের যুগে সোভিয়েত এবং আমেরিকা, নিজেদের পজিশন রাখার জন্য, অনেক জনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতাকে মেরেছে।
উনি ভারতের মডেলেও যদি একটা গণতান্ত্রিক কাঠামো নামাতেন-কোয়াপরেটিভ বা স্টালিনের অনুকরণ না করতেন-তাকে মরতে হত না।
এগুলো অনেক লম্বা গল্প। কোন আরেকদিন লিখতে হবে।