অনেকদিনের পরে;
এলেম, আবার প্রিয়ে।
হারিয়ে গিয়ে ছিলাম আমি;
পথ ভুলে ছিলাম ওগো।
অনেকদিনের পরে।
অনেক বরষা পরে;
অনেক জোসনা ঝরে;
অজানা পথ ধরে;
অনেক শীতের পরে;
সবটা পুড়ে এলেম আমি;
অনেক দিনের পরে।
রাতগুলো সব ভেসে
তারার আলোর ভিড়ে;
নীলচে আলোয় তুমি;
হঠাৎ দেখা দিলে;
ভালবাসা, কোথায় তুমি ছিলে।
অনেক দিনের পরে।
চোখ মেলতেই দেখি,
হঠাৎ তুমি এলে।
রঙধনু রথ বেয়ে
অনেক দিনের পরে; ওগো,
অনেক দিনের পরে।
বাপরে বাপ, কাজী রহমান ভাই আর ফরিদ ভাইয়ের কবিতার লড়াই দেখছি থামেই না 😀
একে যেন অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টায় ব্যস্ত আছেন। তবে ফরিদ ভাই কেন যেন শুধু মন্তব্যেই কবিতা লেখেন, একটা সুন্দত্র কবিতা পোষ্ট আকারে দেয়া যায় না? 😉
দুজনকেই ফুলের শুভেচ্ছা (F)
:)) আর কাজী রহমান ভাইয়ের জন্য তাঁর অতি প্রিয় (C) । আর ফরিদ ভাইয়ের কি জিনিস খুব বেশি প্রিয় জানি না, আর তাই দেয়া গেল না, তবে মিউজিক ( এইটা মিউজিক ইমোই তো? দেখে তো তেমনই লাগে) আমার খুব প্রিয় জিনিস, কাজেই এইটা ফরিদ ভাইয়ের জন্য (8)
@দারুচিনি দ্বীপ,
আমার প্রিয় কিন্তু আরো অনেক কিছুই আছে। তবে এটাও চলবে। আমি হলাম গিয়ে আবার ‘নগদ যা পাও; হাত পেতে নাও’ টাইপ মানুষ :))
রাজ্যসুখের আশায় বৃথা কেউ বা কাটায় বরষ মাস,
স্বর্গ সুখের কল্পনাতে পড়ছে কারুর দীর্ঘ শ্বাস।
নগদ যা পাও হাত পেতে নাও বাকির খাতা শুন্য থাক।
দুরের বাদ্য শুনে কি লাভ মাঝ খানে যে বেজায় ফাক।
-Rubaiyat of Omar Khayyam
@কাজী রহমান,
এইটাই ভাল, বাস্তব বাদী লোক আপনি :))
@দারুচিনি দ্বীপ,
ইয়ে, একটা ভুল ভাঙিয়ে দেই। আমি কবি না। কবিতা আমাকে দিয়ে হয় না। বা সহজ ভাষায় বললে, কবিতা আমার মধ্যে আসে না। ওই আবেগটার কমতি আছে আমার ভিতরে। কাজেই ও চেষ্টা আমি কখনোই করি নাই। তরুণ বয়সে তুমুল প্রেম করার সময়েও কবিতা লিখি নাই আমি। আমার এই অন্ত্যমিলের শব্দমালাকে কবিতা ভেবে বিভ্রমে ভোগার কোনো মানে নেই। অন্যদিকে কাজী ভাই অত্যন্ত উঁচু মানের একজন কবি, মুক্তমনার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি তিনি। এই ভদ্রলোক শুধু উঁচু মানের কবিই নন, খুবই উদার মনের রসিক একজন মানুষ। তাঁর এই উদারতার সুযোগ নিয়েই তাঁকে পচানোর একটা অপচেষ্টা আমি সবসময়ই করি। জানি যে, তিনি এতে কিছু মনে করেন না। বরং সস্নেহে উপভোগই করেন আমার এই দুষ্টুমিটা।
@ফরিদ আহমেদ ভাই, সেটা বুঝেছি যে কাজী রহমান ভাই খুব ভাল কবি, আর অবশ্যই খুব ভাল এবং উদার মনের মানুষ, তবে আপনার কবিতা ( যাকে আপনি কবিতা বলতে নারাজ 😉 ) সেগুলোও কিন্তু যথেষ্ট ভাল লাগে আমার কাছে ( আমার বিশ্বাস অনেকের কাছেই) আর রোমান্টিক 😀 সত্যি বলছি ।
😀 আর কাজী ভাইয়ের সাথে আপনার এই পচানোর প্রচেষ্টা মানে, দুষ্টুমি করাটাও কিন্তু খুবই দারুন একটা আকর্ষন, কারন একঘেয়ে এই জীবনে কিছু আনন্দ না থাকলে জীবনটা লবন ছাড়া তরকারী হয়ে যেত 😉 ।
@ফরিদ আহমেদ,
কান লাল করা বেজায় ঝাল এই পচান্তিস প্রচেস্টার প্রতিবাদ কইরাও ভদ্রতা কইরা ধন্যবাদ কইলাম। প্লিজ আর বিব্রত কইরো না, ঘুশ খাও (^)
ঝাল ! আরও ঝাল চাই কাজী সাহেব !
[img]http://cdn.coolweirdo.com/wp-content/uploads/2013/08/hot-peppers.jpg[/img]
@সংশপ্তক, সেরেছে,দেশের এই ঝালের সময় আপনি ভাই কিনা কবি সাহেব কে মরিচ দিলেন? তা এই মরিচ কি বেঁটে নিতে হবে? 😀
@দারুচিনি দ্বীপ,
বেটে নিতে পারেন তবে আমি মরিচ চিবিয়ে খেতেই ভালবাসি । মরিচ ছাড়া জীবনটাই পানসে মনে হয় :))
@সংশপ্তক,
নাহ আমি মরিচ কেটে খাই, মুড়ির সাথে মাখিয়ে। আর খাবারেও ঝাল দরকার খুব বেশি
আর তাই
এক্কেবারে সঠিক কথা বলেছেন। যত মরিচ তত মজা 🙂
@সংশপ্তক,
আরে কি মুশকিল; ঝাল দেখলেন কোথায়? শোনেন:
নেই যে মোটে ঝাল
দেখতে শুধু লাল
চিবিয়ে দেখি কাল
গৃহকোণে বোনে জাল
পাড়ে নাতো ফাল
আহারে; কি আকাল :))
@ফরিদ আহমেদ, বন্দবস্ত যিনি পান তিনি তা চিরস্থায়ীই পান! চিরযুবা হওয়া গর্বের।
কাজীদা, এই অস্থিরতার দিনে, বোমায় আর আগুনে বড় বিক্ষত আমরা। তাই বুঝি আপনার কবিতার ভাজে ভাজে প্রেয়সীর মধ্যে আসলে শান্তি আর সুস্থতারই ছায়া খুজে পাই।
@মুরশেদ,
দয়াল কাজী চিরযুবা? বলেনতো একটা ছবি পোস্ট করতে। দেইখেন কীভাবে পিছলে যায়। ফেসহীনতার ফাউ সুযোগ নিয়ে ফেসবুকে অনেক নব্বই বছরের বুড়ি যেমন ছুঁড়ি সেজে প্রেমাসক্ত তরুণদের ব্যাকুল হৃদয়কে য়াকুল করে তোলে, উনার অবস্থাও তাই। 🙂
সেই যুগ আর নেই। এখন কবি প্রেসিডেন্টদের দ্রুত নিঃশেষিত যুগ। আমাদের মত নবীন কবিযশোপ্রার্থীদের অবিসংবাদিত নেতা অমিত রে দেখুন কী বলে এ সম্পর্কে।
দয়াল কাজী গত পঞ্চাশ বছর ধরে তাঁর পুরোনো প্রেমিকাদের প্রেম বুকে নিয়ে একের পর এক অনেকদিনের পরের মতো প্যানপ্যানানিমূলক প্রেমের কবিতা লিখে চলেছেন। এখন তাঁর সময় এসেছে সরে দাঁড়ানোর। নিজে থেকে মানে মানে সরে না দাঁড়ালে, আমাদেরই উচিত হবে তাঁকে ঠেলা দিয়ে ঠেলে সরানোর। (H)
@মুরশেদ,
এইত্তো, কি দারুন কথা। মধুবালা মধুবালা করলে কি; খাঁটি ব্যপার খাঁটি ই। ও আচ্ছা আপনার মধুবালা গেল কৈ?
@কাজী রহমান, মদন অনেকদিন ঐশীবাণী লাভ করছে না! ভুতেশ্বর মনে হয় বচন রচনা ছেড়ে পেট্রল বোমা সুপ্লাইয়ে ব্যাস্ত আছে! আর মধুমালা পড়ে আছে বার্ণ ইউনিটে! পুড়ে যাচ্ছে মদনের সাধের তেতুল খানি।
@মুরশেদ,
মধুবালার ব্যপারটা একটু ভালো হলে আবার কিন্তু ওকে দেখেতে চাই। একেবারে ঝিম মেরে যাবেন না, ঠিক আছে?
ওরে, ওরে আবারও দেখি প্রেমগীতি বমন হচ্ছে!! পুরুষ মানুষ বয়স হলে দেখছি বুড়া হয় না, এরশাদ হয়। এবার কোন বনহরিণী পল্লবিনী প্রেমিকার পেলব ছোঁয়ায় এই কবিতার জন্ম হলো? হায়রে কলিকাল! কোথায় আমরা চ্যাংড়া পোলাপানেরা প্রেমের কবিতা লিখবো, তা না লিখছে সব এরশাদ দাদুরা! জায়গা ছাড়েন মিয়া। রবি বুড়োর মত চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত পাইছেন নাকি?
যদি দেখো তোমার আকাশে
শ্রাবণ ঝরায় বৃষ্টি অঝোরে,
যদি দেখো তোমার বাতাসে
প্রজাপতি ওড়ে স্বপ্নের ঘোরে
আমি আছি তোমার আবেশে,
আছি বন্ধু তোমায় ভালবেসে।
যদি হারাও সোনালি স্বপনে
নির্ঘুম কোনো রূপালি রাতে
যদি হারাও মায়াবি লগনে
হাত রেখে জোছনার হাতে
আমি আছি তোমার নয়নে
আছি বন্ধু তোমার তনুমনে।
@ফরিদ আহমেদ,
মারা গেছি। এক্কেবারে শেষ। ঘটনা কি; কি ঘটনা? এইসব কি ফরিদ ঠাকুর? দশ মহল্লার কবি কুলের মাথায় বাড়ি দেওয়ার ব্যবস্থা? এতো দারুন কোবতে। কি এমনি এমনি? তাই তো কই ; এত হিংসা ক্যানে? এতক্ষণে অরিন্দম ……………….. হাও রোমান্টিক
……. ………. ………… ফরিদ ঠাকুরের অদ্ভুত সুন্দর এই কবিতাটার জন্য আর ওর কল্কি ধরে টান দিলাম না? সারাজীবন যেন আমার মত চ্যাংড়া থাকো, অনিচ্ছা সত্বেও সেই আশীর্বাদ করছি (D)
@কাজী রহমান,
কোনো কোমল হৃদয়া কুন্তলরাজিসমৃদ্ধ কামিনী এই কথা বললো না, শুনতে হলো কিনা একজন গুঁফো কবির কাছ থেকে। হায়রে আমার কপাল!! :-Y
@ফরিদ আহমেদ,
গুড গুড; তাইলে দাদা স্বীকার গ্যালা পৈচচা গ্যাসো। কেউ পাত্তা পুত্তা দেয় না। ভালো; ব্রেশ ভালো। এত গাপ্লাগুপ্লা কাইত কুইত ছবি দেইখাও কেউ পাত্তা দিলো; হায়, হায় হায়। গোঁফ রাখা শুরু করো আবার; দ্যাহো কপালের যদি কিসু হয় 😉
@কাজী রহমান,
কাইত-কুইত ছবি ছিল কালো মুখোশে ঢাকা লোকজনকে ভয় দেখিয়ে কাইত করার জন্য। তেঁতুলের সুমিষ্ট টক ছিল না ওখানে। আব্রু মেনে চলেছি যে আমি। দেখেন না ছতর কেমন ঢাকা। ঐ সব ছবি দেখে কমনীয় রমণীরা পশ্চাদগমন করবে, এটাইতো স্বাভাবিক। এইবার জন আব্রাহামের মত বে-আব্রু কিছু তেঁতুল মার্কা ছবি দেবো। দেইখেন কী দশা হয়! আমার বাগান হবে তখন সুন্দরী রমণীতে পরিপূর্ণ রমণীয়, অপূর্ব সৌন্দর্যমণ্ডিত, বেহেস্তি সুগন্ধে মউ মৌ। আর আপনার বাগান হবে শুষ্ক মরুভূমি। বুড়ো হয়ে যাওয়া শুকনো তেঁতুল দেখে লালা ঝরাবে কোন ললনা, বলেন? হাজারো মিঠে মিঠে কবিতাতেও আর কোনো কাজ হবে না কাজী সাহেব। 🙂
:lotpot: :lotpot: :p
@ফরিদ আহমেদ,
আয় হায়, দাদা তোমার তেতুল জ্ঞান এই রকম করুন পর্যায়ে? আহ হা রে; বেচারা; তোমার জন্য বড় চিন্তিত হ্য়া গেলাম দাদা। হুনো , কামের কতা কই, কোবতে ফোবতে কিসু না, আসল কতা হৈল, কামে ভালা না হৈলে তোমার কোন দাম নাই। সুতরাং অভিশাপ, বেহেস্তি সুগন্ধি বেকার এই সব হিন্সামি বাদ্দা কামের কতা চিন্তা করো, সুখী হও (নতুন কইরা গোঁফ রাইখাও দেক্তারো, কিসুই বলা যায় না; কখন কি হয়)
জানি; ফরিদ দাদারে বেহেস্তি ইউটোপিয়া জ্ঞান দিয়া লাভ নাই, তাও ওমর খৈয়াম চ্যাষ্ঠা কইরা দেহি:
করছে ওরা প্রচার; পাবি স্বর্গে গিয়ে হুর পরী,
আমার স্বর্গ এই মদিরা হাতের কাছের সুন্দরী,
নগদ যা পাস তাই ধরে থাক,ধারের পন্য করিস নে,
দুরের বাদ্য মধুর শোনায় শুন্য হাওয়ায় সঞ্চরী ।
এই চারটা শব্দ সমস্ত পৃথিবীটাকে নাচাচ্ছে তো নাচাচ্ছে ! কাজীদা, এই পোড়া সময়ে ভালবাসার কবিতা আনন্দ দিয়েছে!!
নীলচে আলোয় তুমি;
হঠাৎ দেখা দিলে;
পেট্রোল বোমা, কোথায় তুমি ছিলে।
সুস্থ থাকবেন!! ভালো থাকবেন!!
@অসীম,
সেই; সারাক্ষণ ক্ষেপে থাকলে ভালো থাকবো কখন?
হা হা হা এইটা ভালো হইসে; পেট্রল বোমা;
অনেক ধন্যবাদ অসীম
লাগে ভাল ভাবতে,
তবে কিনা,
“প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয়
অদ্য ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা,..”
সেই কবেই বলে গিয়েছেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়!
যাহোক, তবু থেমে থাকে না প্রেম বা কাব্য, জীবনের মতই যা বহমান, হে ভাই কাজী রহমান!
@কাজি মামুন,
তাহলে কাজী মামুন
কবিকে বলা উচিত নয় যে থামুন।
আমার কাছে কিন্তু ভাল লেগেছে ——–
অনেক বরষা পরে;
অনেক জোসনা ঝরে;
অজানা পথ ধরে;
অনেক শীতের পরে;
সবটা পুড়ে এলেম আমি;
অনেক দিনের পরে।
@গীতাদি,
ছিঃ ছিঃ কি যে বলেন না, দিদি!
থামানো যায় কি কভু বহমান নদী??
@গীতা দাস,
:)) এই যে নেন (C) এবং (C) ; একটা চিনি দেওয়া আর একটা কালো কফি
….. … আর এই যে বেচারা ভালো ছেলে মামুন; ওকে ধোলাই না দিয়ে আসল ভোম্বলকে মানে স্বঘোষিত চ্যাংড়াকে একটা বাঁশডলা দেওয়ার বুদ্ধি দিলে আপনাকে ৩ কাপ কফি বানিয়ে খাওয়াবো :))
@কাজি মামুন,
হা হা হা হা হা ……. হয়েছে এবার ………হা হা হা