মানুষ হয়ে জন্মানোর অনেক ঝক্কি আছে, ঝামেলাও কম না। এই ঝামেলা তৈরী হয়েছে মানুষের বুদ্ধিমত্তা, যুক্তি, তর্ক, পর্যবেক্ষন, ও রুচি থাকার কারনে। আমরা চাইলেও এইগুলো থাকবে, আবার না চাইলেও থাকবে। এ ব্যপারে আমাদের করার কিছু নেই। আমাদের করার যা আছে তা হলো সার্বজনিন কল্যানে এই বুদ্ধিমত্তাকে অনুসরন করা। প্রশ্ন হলো, স্থান কাল পাত্র ভেদে তা কি আমরা করি? না, করি না। তার একটা জলন্ত উদাহরন জ্বলজ্বল করে জ্বলতে দেখি ঈদুল আযহা এলে। কোরবানীর আভিধানিক অর্থ হলো আত্মত্যাগ, অথচ নিজেকে অক্ষত রেখে হত্যা করি পশুদের। ফুডচেইনের দোহাইটা একেবারে খারাপ না। খাবারের প্রয়োজনে হিংস্র পশুরা একে অপরকে হত্যা করে। ক্ষিদে মিটে গেলেই তাদের হত্যাস্পৃহা বন্ধ হয়ে যায়। উতসব, দান, পূণ্য অথবা মৃগয়ার দোহাই দিয়ে তারা হত্যা করে না। এসব ক্ষেত্রে পশুরা যে অনেকটা মানবিক তা যুক্তিতেই টিকে যায়।
ফুডচেইনের কথায় ফিরে আসি। খাদ্যশৃঙ্খলের কথা মনে হলে জীবন বৃক্ষের কথা স্মরণ হয়, যে বৃক্ষের গোড়া একটাই। এই প্রতিকী বৃক্ষের অর্থ- জীবের আবির্ভাবের শুরুতে আমরা সবাই এক। সেখান থেকে বিবর্তিত হয়ে আমরা বৃক্ষের ভিন্ন ভিন্ন শাখায় বসে আদি স্বজাতিদের ধরে ধরে খাচ্ছি। এ যেন পূত্র খায় প্রপিতামহের দেহ- সবই সেই খাদ্যশৃঙ্খলের নামে। বিবেক, বুদ্ধিমত্তা, প্রযুক্তি কি বলে? সব থেকে বড় শর্বনাশ ঘটিয়েছে প্রানীদেহে স্নায়ুতন্ত্রের জাল। সব প্রানীকে বেঁধে ফেলেছে একই অনুভুতির স্বাদে। স্পর্শ, ব্যাথা, কষ্ট, আনন্দ এইসব কিছুর ত্রিমাতৃক অনুভুতির ধারক আর সংবাহক এই স্নায়ু। নিজের গায়ে শক্ত করে একটা চিমটি কেঁটে দেখুন কেমন কুকড়ে যাওয়া ব্যাথার অনুভুতি এনে দেয় শরীরে। জীবনবৃক্ষের প্রতিটি প্রানীর বেলায়ও তাই। যে যন্ত্রনা নিজের জন্যে চাই না তা অন্য প্রানের উপরে চাপিয়ে দেই কিভাবে? বিবেক, বুদ্ধিমত্তা কিছুইতো সায় দেয় না। আগেই বলেছিলাম বুদ্ধিমত্তা ঝামেলার। সেই ঝামেলাই এক সময় যুক্তি-তর্ক দিয়ে আপনাকে পশুনিধন বিরোধী করে তুলতে পারে। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলেন শরীরে প্রানীজ আমিষের দরকার আছে। বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে সেই চাহিদারও যোগান দেয়া যেতে পারে। দুধ, ডিম এগুলো শতকরা শতভাগ প্রানীজ আমিষ। শুনেছি মরুদেশে রয়েছে দুম্বা জাতীয় প্রানী, যাদের শরীর থেকে বর্ধিত মাংশ কেটে নিলেও প্রানী মরে না। রয়েছে প্রানীজ আমিষের খুব কাছাকাছি উদ্ভিজ আমিষের সরবরাহ। আপন ভাল কে না চায়। কখনও কখনও সেই ভালর পথে বাঁধা হয়ে দাড়াতে পারে প্রানীজ আমিষ। প্রানীজ আমিষ শরীরে আত্মিকরনের জন্যে যকৃত আর বৃক্ককে পরিশ্রম করতে হয় অনেক এবং পরিশেষে এদের বর্জ সঠিকভাবে নিস্কাসন করতে না পারলে দেহ রোগগ্রস্থ হয়। তাহলে কথা উঠতে পারে, উদ্ভিদের তো প্রাণ আছে; তাদের কেন নিধণ করা হচ্ছে। তারা কি ব্যাথা পায় না? এই প্রশ্নেরও উত্তর আছে। আমরা ফল খাই, বীজ খাই না। বীজ রোপণ করে আবার উদ্ভিদের জন্ম দেই। কিছু কিছু উদ্ভিদের বীজও খেয়ে থাকি আমরা- যেমন, শীম জাতীয় উদ্ভিদ। তবে উদ্ভদের স্নায়ুতন্ত্রের গঠন আর প্রানীরটা এক নয়, পার্থক্য আছে বিস্তর। আমদের মতন স্নায়ুতন্ত্রের বিস্তার তাদের নেই। তাদের কোন কেন্দ্রীয় স্নায়ু বা ব্রেইন নেই। শরীরের কোন আকষ্মিক পরিবর্তন, তা যদি পরিবেশের কারনেও ঘটে থাকে তবু তার প্রতিকৃয়া তারা কেমিকেল এনজাইমের মাধ্যমে উদ্ভিদ দেহের সব জায়গায় সঞ্চালিত করতে চেষ্টা করে। ঠিক আমদের মতন ব্যাথাবোধ প্লান্টের দেহে কাজ করে না। এখানে উল্লেখ করতে হয়, পশ্চিমের সাধারন মানুষও খুব বেশী বনের মোষ তাড়ায়। একটু গুগল সার্চ দিলে দেখতে পাবেন অনেক এমেচার গবেষক প্লান্ট নিউরোলজীর উপরে কাজ করছে এবং তারা তাদের পরস্পরের অভিজ্ঞতার আদান প্রদান করে নিজেরা আনন্দ পাচ্ছে আবার পৃথিবীর জ্ঞান ভান্ডারকেও সমৃদ্ধ করছে। এরপরেও প্লান্ট নিউরোলজী সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করুনঃ
(http://en.wikipedia.org/wiki/Plant_perception_%28physiology%29)।
হোমো সেপিয়েন্সদের দাতের বিন্যাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে- তারা ঠিক তৃণভোজীও (Herbivores) না, আবার মাংশাসীও (Carnivores) না। উইজডাম টীথ বা আক্কেল দাতের অবস্থাও তথৈবচ। তৃণ চর্বনে তা ব্যবহৃত না হওয়ায় নষ্ট হয় দ্রুত। একজন দন্তচিকিতসকের কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলতে পারবেন বছরে কতগুলো আক্কেল দাত তিনি তুলে থাকেন। এমন হয়, কারন আমরা তৃণভোজী না, তবে খানিকটা নিরামিষভোজী। অপরপক্ষে মানুষের ক্যানাইন টীথগুলো (কুকুরে দাত বলে অনেকে) বেশ ছোট এবং ভোতা, মাংশাসীদের তুলনায়। তারমানে আমরা মাংশাসীও না। তাহলে কেন এই সৌখিন পশু নিধন। দশাসই কুকুরে দাত নিয়ে পুরা সুন্দরবনের ব্যাঘ্র সমাজ এক বছরে যতগুলো পশু হত্যা করে, আমারা শীমের বিচির মতন ছোট্ট চারটে কুকুরে দাত নিয়ে তার শতগুন বেশী সংখ্যক পশু নিধন করে এটাই প্রমান করি- বাঘ আমাদের থেকে বেশী মানবিক।
মাথা থাকলেই মাথাব্যাথা রোগ হবে। আর এই মাথাব্যাথার একমাত্র মহৌষধ মাথাটাকে খাটানো। কোরবানী আসলে জিনিসটা কি, তা কি আমরা একবারো সেভাবে ভেবেছি? কোরবানী আসলেই একটা মহত কাজ এবং সমাজ সংসারের অনেক বড় উপকার সাধিত হয় তাতে। কিন্তু সেটা করার আগে আমাদের প্রিয়বস্তু নির্বাচন করতে হবে। অধিকাংশ স্বাভাবিক মানুষের প্রিয়বস্তু তাদের স্বামী, স্ত্রী, সন্তান এবং পিতামাতা। কিন্তু কেউ কি আল্লাহ-সোবহানা-তা’আলার উদ্দেশ্যে তাদের হত্যা করে? ঠিক বলেছেন, মানুষ তা করে না। করা উচিতও নয়। আল্লাহ যথার্থ বুদ্ধিমান বলে তিনি এমন আদেশ দেননি। তার বদলে তিনি আদেশ করলেন প্রিয় বস্তু বা প্রিয় সম্পদকে তার নামে উতসর্গ করতে। তাই এটা আবশ্যকীয় কাজ হলো তাদের জন্যে, যারা সক্ষম। এখানে খুব সহজে স্থান-কাল-পাত্রের ব্যপারটা চলে আসে। যখন আব্রাহামকে কোরবানীর আদেশ করা হয়েছিল তখন সে সরাসরি পশু পালন থেকে জীবিকা নির্বাহ করতো এবং এই পেশা দ্বারা কোরবানীর জন্য উদবৃত্ত সম্পদও তার ছিল। তখন থেকে অবস্থাপন্ন পশুপালকেরা তার এই কাজকে অনুসরণ করতে থাকে। তারপরে কালের চাকা বহুদূর গড়ালো। মানুষের জীবিকা আর আটকে রইলো না লাইভস্টোকে। তারপরেও কি মুমিনেরা প্রিয়বস্তু বলতে শুধুই গরু ছাগলকে বুঝবে? জটিল কোন বুদ্ধি না, সাধারন বুদ্ধিতে কি বলে? ধরা যাক বাংলাদেশের কথা। শতকরা কতজন মানুষ সরাসরি লাইভস্টোক থেকে জীবিকা নির্বাহ করে কোরবানীতে সক্ষম হয়ে উঠছে? শুধু পশু কোরবানীতে সক্ষম হলে চলবে না। কারন কোরবানীর একটা বড় উদ্দেশ্য চেরিটি বা দান। পশু কোরবানীর যে ফাইনাল প্রডাক্ট, অর্থাত সেই মাংশের চাহিদা মানুষের আছে কি না তাও দেখতে হবে। কমনসেন্সে বলে চেরিটি করতে হলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মানুষের চাহিদা মেটাতে হয়। আমার জানা মতে বাংলাদেশের বহু মানুষের মূল চাহিদা বাসস্থান, চিকিতসা, শিক্ষা। গরু-ছাগলের মাংশ এইসব মৌলিক চাহিদা কতটা মেটাতে পারে, তা ভাববার বিষয়। আবার বাংলাদেশে যারা এই লাইভস্টোক পেশার বাইরে রয়েছেন, যেমন- কৃষক, প্রবাসী শ্রমিক, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ইত্যাদি, তাদেরও প্রিয় বস্তু কি গরু-ছাগল, না অন্য কিছু? শ্লেষের সুরে বলতে পারেন- তুমি বাপু মানুষকে বছরে একটা দিন আমোদ আহ্লাদ করতে দিতে চাও না। তুমি লোক ভালো না। জনে জনে, প্রকাশ্যে হত্যা-উতসব এই যুগে, এই চিন্তার বল্গাহীনতার যুগে কতটা গ্রহনযোগ্য তাও ভাববার বিষয়। কাল চলমান আর আমরা দাড়িয়ে আছি ঠায়, জিনিসটা কেমন দাঁড়াবে তাহলে?
রহিম সাহেব একজন বিখ্যাত কবি। তিনি ভাবতেই পারেন না এই প্রানীটি তার সবচেয়ে প্রিয়বস্তু। তিনি মনে করেন, তার প্রিয়বস্তু তার খ্যাতি, প্রতিপত্তি।
একটা উদাহরন দিলে বিষয়টা আরো পরিস্কার হবে আশা করি। ধরা যাক জনাব আব্দুর রহিম একজন খুব বড় কবি। তার সমান কবি বাংলাদেশে আর একজনও নেই। তার কাব্য প্রতিভা দেশের সীমান্ত ছেড়ে আরো বহুদূরে চলে গেছে। কবিতা তাঁর পেশা-নেশা, ধ্যান-জ্ঞান। কবিতা তাকে দিয়েছে খ্যাতি ও প্রতিপত্তি। এখন যদি রহিম সাহেবকে জিজ্ঞেস করা হয়- জনাব, বুকে হাত দিয়ে বলুন তো আপনার সবচেয়ে প্রিয় বস্তুটা কি? যথার্থ সত্যবাদী হিসাবে রহিম সাহেব বলবেন, আমার কাব্য প্রতিভা এবং তার মাধ্যমে গড়ে উঠা আমার খ্যাতিই আমার সবচেয়ে প্রিয় বস্তু। রহিম সাহেব এই যুগের যুধিষ্টির। কজন হতে পারে তার সমান? এবার আপনারাই বলুন তার কি বস্তু কোরবানী দেয়া উচিত? নিশ্চয়ই গরু বা ছাগল নয়। রহিম সাহেব তাই ঠিক করেছেন, আগামী কোরবানী ঈদে তিনি দশ জন প্রতিশ্রুতিশীল দরিদ্র কবিকে বৃত্তি প্রদান করবেন, যাতে তারা উজ্জল কাব্য প্রতিভা হিসাবে ভবিষ্যতে আত্মপ্রকাশ করতে পারে। আমার মনে হয়, রহিম সাহেব উতকৃষ্ট একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কবি আব্দুর রহিম একজন আলোকিত মানুষ। তিনি ঠিক ঠিক ধরে ফেলেছেন, এই আত্মত্যগে তার খ্যাতি আর প্রতিপত্তির উপরে জাগতিক আসক্তি কিছুটা হলেও কমবে। তিনি এও জানেন শিল্প-সাধনায় অমন আসক্তি কতটা ক্ষতিকর। কোরবানীর দার্শনিক উদ্দেশ্য হলো, ব্যাক্তির সবথেকে প্রিয় বস্তুর উপরে জাগতিক আসক্তি কমিয়ে ফেলা, যাতে মূল কর্তব্য কাজে ডিভোশনটা দেয়া যায়। আর সেই আসক্তি কমাতে গিয়ে যে সম্পদ তৈরী হয় তার সর্বোতকৃষ্ট ব্যবহার নিশ্চিত করা হলো জাগতিক উদ্দেশ্য। সুতরং ভিন্ন পেশা, চিন্তা ও রুচীর লোকের জন্য কোরবানীর ধরন ভিন্ন হতে বাধ্য।
অপেক্ষা করুন, আর কিছুদিন পরেই বাজারে আসছে সিন্থেটিক মাংশ, যা বানানো হবে কারখানায় যৈব প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে। ইতিমধ্যে বিফ-বার্গারের মাংশের চাকতি বানানো হয়েছে ল্যবেরোটরিতে। প্রানীর জন্ম না দিয়ে, প্রানী হত্যা না করেই প্রানীর মাংশ। এরপরেও যারা প্রানী-হত্যা উতসবে অংশ নিয়ে পূণ্য অর্জন করতে চায় তাদের হেদায়েত করতে পারবে একমাত্র সেই আল্লাহ-সোবহানা-তায়ালা যিনি এই হত্যার হুকুমটি দিয়েছিলেন। তবে শুধু ক্ষুধার প্রয়োজনে, শরীর রক্ষা বা খাদ্যশৃঙ্খলের ন্যুনতম তাগিদে প্রানী হত্যাকে আমি মহাপাপ বলবো না, বলবো স্থুল বা তৃমাত্রীক কাজ, যা একটা সাধারন স্তরের প্রানীই করতে পারে। পাপ মার্সি কিলিং-এ, হত্যা উতসবে। প্রকাশ থাকে যে, হত্যা-উতসব শুধু ইসলামে নয়, সকল ধর্ম বিশ্বাসের জন্য লজ্জার। মানুষের মাথার ভিতরে আছে উতকৃষ্ট মানের বুদ্ধিমত্তা। যে বুদ্ধিমত্তা নিয়ে একটা বাঘ ক্ষুধা নিবৃত্তির জন্যে অন্য প্রানীর রক্তে যে প্রকৃয়ায় হাত রাঙায়, তার থেকে শতগুন উর্বর বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আমরা সেই একই কাজ করবো কিনা সেটা ভেবে দেখার দায়িত্ব আমাদেরই।
ক্ষুধার এক জায়গায় শেষ আছে, কিন্তু পূন্যের কোন শেষ নেই। তাই পূন্যের জন্য হত্যা এক ধ রনের নৈতিক ঙ্খলন। প্রকাশ্যে করা আর গোপনে করা মূল বিষয় নয়। ধন্যবাদ।
ধর্মের ব্যপারটা আমার যতদূর জানা আছে, ইসলামে পশু হত্যার ব্যপারে ঠিক সেই ধরনের কোন নির্দেশনা নেই, যেমনটা আছে সনাতন ধর্মে। তবে প্রিয়বস্তু কোরবানী বা আত্মত্যাগের নির্দেশ রয়েছে ইসলামে। এই প্রিয়বস্তুর ব্যপারে আমার ভিন্নমত ও অবস্থান এই লেখায় আমি প্রকাশ করতে চেয়েছি। নুনতম খাবারের জন্য পশু হত্যা পাপ নয়, তবে যেটাকে বলে মার্সি কিলিং, অর্থাত শিকার বা পূণ্যার্জনের জন্য পশু হত্যা পাপা বা অপরাধ, সাধারন বুদ্ধিতে বলে এটা অপরাধ। ধন্যবাদ।
@শাখা নির্ভানা,
সূরা আল মাইদাহ এর ৩ নম্বর আয়াতে কিন্তু বলা হয়েছে যা আল্লাহর নামে কোরবানী করা হয়নি তা হারাম। এবং অনেক মুসলমানও এটা মেনে থাকেন। অনেকেই আছে যারা বাইরের দেশে গিয়ে অমুসলিম দোকানে মাংস খায় না। কারন আল্লাহর নামে জবাই ছাড়া অন্য পশুর মাংস হারাম।
//নুনতম খাবারের জন্য পশু হত্যা পাপ নয়, তবে যেটাকে বলে মার্সি কিলিং, অর্থাত শিকার বা পূণ্যার্জনের জন্য পশু হত্যা পাপা বা অপরাধ, সাধারন বুদ্ধিতে বলে এটা অপরাধ। ধন্যবাদ।//
আমার মতে শিকারের দ্বারা প্রাপ্ত মাংস ফ্যাক্টরী ফার্মিং এর মাংস হতে অধিক নৈতিক। কারন শিকারের প্রাণিটি তার নিজের পরিবেশে ভালভাবে বেচে থাকার সুযোগ পায় আর ফ্যাক্টরি ফার্মিং এর প্রাণীটি একেবারেই সেই সুযোগটা পায় না বরং তাদের প্রতি অধিকাংশ ফ্যাক্টরিতে এমন আচরন করা হয় যেন এক একটি পশু এক একটি জড়বস্তু।
আর আমার মতে পূন্যার্জনের জন্য পশু হত্যা ও খাবারের জন্য পশু হত্যা একই অর্থই বহন করে। হ্যা. প্রথম ধারনাটিকে আমরা কুসংস্কার বলে ধিক্কার জানাতে পারি। কিন্তু একটু চিন্তা করে দেখেন পশুটিকে কোরবানীর সময় হত্যা না করা হলেও পরবর্তীতে কোন একসময় তো হত্যা করাই হতো। কোরবানীর হত্যা ও খাবারের জন্য পশুহত্যার মধ্যে পার্থক্য হল প্রথমটি প্রকাশ্যে করা হয় আর পরেরটা প্রকাশ্যে করা হয় না। কিন্তু একটু গোপনে করলেই কি হত্যা নৈতিক মানদন্ডের বিচারে উত্তীর্ণ হবে?
হিন্দুধর্মে যেমন যজ্ঞে হত্যাকৃত পশু ছাড়া অন্য পশু খাওয়া নিষিদ্ধ(মনুসংহিতা হতে, তবে হিন্দুদের অধিকাংশই এটা জানে না), তেমনি ইসলামে আল্লাহর নামে জবাইকৃত পশু ছাড়া অন্য পশু হারাম।
হিন্দুধর্মের ঋষিদের কাছে প্রাণীহত্যা দৃষ্টিকটু লেগেছিল, তাই প্রাণীহত্যার পাপ কমাতেই মূলত যজ্ঞের পশু খাওয়ার বিধান ছিল।
ইসলামেও কি অনুরূপ হয়েছিল? দৃষ্টিকটু প্রাণীহত্যাকে ধর্ম দ্বারা জায়েজ করার জন্যই কি শুধুমাত্র জবাইকৃত পশু খাবার বিধান?
আগামিতে মনে হচ্ছে জীব হত্যা মহাপাপ এর বিষয়টা আর থাকতেছে না, মানুষের বুদ্ধিমত্তার জন্য।
সম্ভবত মানুষের প্রিয় বস্তু ‘টাকা’ ।
তাই যে যত পারে টাকা খরচ করে গরু কিনে তা কোরবানি দিতে। 😀
@রঞ্জন বর্মন, জীব হত্যা মহাপাপ ??
তা কে যেন বলেছিল ?? আমাদের তো আবার ঐ কথা বলা হয় নাই। আমরা মুসলমানরা যে মূর্খ…………… তাই ভাবেন নাকি ??
আমাদের জীব হত্যার অনুমতি আছে। কিন্তু কখন, কোন ক্ষেত্রে, কোন কোন প্রানীকে, তারও লিমিটেশন দেয়া আছে।
ধর আর মার নীতিওয়ালা আমরা নই।
ধন্যবাদ।
@সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত, ভালই তো, “কিন্তু কখন, কোন ক্ষেত্রে, কোন কোন প্রানীকে, তারও লিমিটেশন দেয়া আছে।”
তো লিমিটেশন এর দরকার কি?? লিমিটেশনটা কি নিজের মতো কেউ তৈরি করে নিতে পারে না কি?
@সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত,
আরে ভাই, নিজে ধরা খাবার মত মন্তব্য কেন আমরা করি বলেন তো? গরু বা অন্য প্রানী কি আমরা মুসলিমরাই খালি খাই নাকি? যেকোন মাংস খেতে খ্রিষ্টানরা সবচেয়ে পারদর্শী। সর্বভুক এই জাতিটি কি কোন কিছুই বাদ দেয়? আমরা তাও শুকর খাই না, ইহুদীরাও খায় না। একমাত্র খ্রিষ্টান ধর্মেই কোনকিছু খেতে বাধা নেই। কাজেই বিষয় যেখানে প্রানী হত্যা, সেখানে আসেন নিরামিষাশীদের সাথে ক্যাচাল সবাই মিলেই করি।
@রঞ্জন বর্মন,
আবার সেই একই কথার পুনরাবৃত্তি করি- মানবিকতা শুধু মানুষের ভিতরে সীমাবদ্ধ রাখা অমানবিক। ধন্যবাদ।
আমার এক সিনিয়র আপা প্রতি বছর একটা গরীব পরিবারকে একটা গরু কিনে দিয়ে দেন লালন পালন করে জীবিকা নির্বাহের জন্য। কোরবাণীতে যত গরু জবাই হয় তার অর্ধেক সংখ্যকও যদি গরীবদের জীবিকা নির্বাহে দিয়ে দেয়া হত তবে জাতি হিসেবে আমরা আর একটু এগুতে পারতাম।
@গীতা দাস,
চামড়া শিল্প বলে একটা শিল্প আছে তা হয়ত আপানার অজানা নয়। এই শিল্পের উপর এদেশের বহু মানুষ নির্ভরশীল। সখের ব্যাগ আর জুতার বেশিরভাগই চামড়া দিয়ে বানান হয়।
চামড়া ব্যাবসায়ীরা সারা বছর কোরবানী ঈদের সময়টার জন্য অধীর আগ্রহে থাকেন, কারন চামড়ার সিংহভাগই তারা কোরবানী ঈদের সময় সংগ্রহ করে থাকে্ন।তাই কোরবানীর একটা অর্থনৈতিক গুরুত্ব আছে বৈ কি।
এই যুগে একটি পরিবারকে গরু দান করে জীবিকা নির্বাহে কতটুকু সামর্থবান করা সম্ভব তা একটা বিরাট প্রশ্ন বটে।
@রাহেলা,
গ্রামের একটা গরীব পরিবারের জন্য একটা গরুর পূজি অনেক।মাইক্রো ফিনেন্স করে নোবেল পুরস্কার পেয়ে গেল আর আপনি দান হিসেবে একটা গরুকে গরীব পরিবারে কিছুই মনে করছেন না। বাহ!
@গীতা দাস, হে হে হে। যারা গরু বেচতে আসে, তারা সবাই গরীব না। কিন্তু তারা গরু না বেচলে তাদের আন্ডারে যারা গরু পালনে সাহায্য করে বেতন পায় , তাদের কি ঐ গরু ব্যপারী এমনি এমনি খাওয়াবে ? নাকি আপনি খাওয়াবেন ?
আমরা সীসা খেতে ছাড়ি না, আমরা সিঙ্গাপুর হানিমুনে যাই, আমরা উৎসবের (ঈদ বা পূজা না, দেশীয় উৎসব) শপিং করি আমেরিকায়………
আর হজ্জে যেতে দেখলে আমাদেরই চোখে কাঁটা দেয়,
কুরবানী দেখলে ………………
মনে পড়ে যায় নিজের মাংস খেতে অক্ষমতার কথা। তখন আঙ্গুর ফল টক বলে হুঙ্কার ছাড়ি।
@সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত,
হজ্জে সময় সৌদীতে কি মানুষ হানিমুন নাকি স্রেফ শপিং করতে যায়?
সিঙ্গাপুর হানিমুনে যাওয়া কিংবা আমেরিকায় শপিং করতে যাওয়ার আর সৌদীতে বেহেশতের টিকেট কিনতে যাওয়া কি একই জিনিস ??
তাহলে তো বলতে হয় হজ্জ হল অন্যান ভেকেশন ট্রিপের মতই জাস্ট একটা পিউর এন্টারটেইনমেন্ট ট্রিপ !!
সিঙ্গাপুর/আমেরিকা/সৌদী যেখানে খুশি যান, কিন্তু ৰ্ধমের নামে সাধারন মানুষের কাছে এই “ট্রিপ” বিক্রির কারন কি ?
@সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত,
আমি আপনার কথার মর্মার্থ বুঝতে পারিনি। যাক, বুঝতেও হবে না, মানে আমি আর পালটা মন্তব্যে নেই।
@গীতা দাস, সারা বছরেই এত পশু হত্যা করা হচ্ছে দিদি, সেখানে কোরবানী নিয়ে কেন এত অ্যালার্জী বুঝি না। কেউ তো আর জবাফুলের মালা গলায় পরিয়ে ডাকিনী কালীর ( কালি নাকি মেলা ধরনের আছে?) কাছে নরবলি দিচ্ছে না। নাহ আপনাদের কথাবার্তায় সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ পাচ্ছি, খুব কড়া গন্ধ।
যাই হোক ভাবছি যে আগামী কোরবানীতে গরুর ভাগ না দিয়ে আস্ত গরুই কোরবানী দেব ইনশাল্লাহ। :-s
@দারুচিনি দ্বীপ,
আপনার নাক দেখছি খুবই সরস। আমি আর আপনার উত্তর দিব না, কারণ আপনাকে আমি আমার কথার মর্মার্থ বুঝাতে পারিনি।
@গীতা দাস,
আপনার নাকটাও দেখছি খুবই উঁচু 🙂 । কাজেই
ধন্যবাদ।
@দারুচিনি দ্বীপ,
গীতাদি মুক্তমনায় অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় একজন মানুষ। উনার যে কোনো বক্তব্যের বিরোধিতা করুন, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এই ভাষায় উনাকে আক্রমণটা না করাটাই সমীচীন। আমি চাইবো যে, আপনি দুঃখ প্রকাশ করে উনার সাথে বিষয়টা এখনই মিটমাট করে নেবেন। দুঃখ প্রকাশ করলে কেউ কখনো ছোট হয় না, বরং মনের ঔদার্যই প্রকাশিত হয়। আপনি একজন উদার মনের মানুষ, তার প্রমাণ আগে একবার পেয়েছি। আশা করছি, আবারো সেটা পাবো।
@ফরিদ আহমেদ,
আমি কি সত্যি কোন ব্যক্তি আক্রমন করেছি?উনি বলেছেন যে আমাকে আর উত্তর দেবেন না, সেই সুত্র ধরেই আমি বলেছি যে উনি নাক উঁচু মানুষ!যদিও গীতাদাস কিন্তু বলেন নি যে উনি অফেন্ড হয়েছেন। যাই হোক মুক্ত মনাতে কে শ্রদ্ধেয় আর কে নন, সেটা তো সবার জানার কথা না তাই না? তবু যদি কথাবার্তায় এতোটা সেন্সর করে বলতে হয় তবে তো বেশ বেকায়দায় পড়তে হবে আমাকে ভবিষ্যতে, বুঝতে পারছি। সেক্ষেত্রে মনে হয় কী বোর্ড থেকে কিছুদিন বিশ্রাম নেয়াই শ্রেয়তর মনে হতে পারে আমারকাছে তাই না? অন্তব অব্জার্ভ করে দেখি কিছুদিন যে কাদের সাথে খুব হিসাব করে কথা বলতে হবে।
তবে আমার ঠিক বুঝে আসছে না যে নাক উঁচু বলে একজন খুব সম্মানিত সদস্য ( যদিও আমি সবাইকেই সম্মানিত মনে করি) কে খুব বেশি অফেন্ড করে ফেললাম কিনা জানা নেই। তবু যদি আপনি মনে করেন যে এটা অফেন্ড হয়েছে সেক্ষেত্রে দুঃখ প্রকাশ করতে বাধা নেই আমার।
@ গীতা দাস, ফরিদ আহমেদের কথা শুনে বুঝলাম যে আপনি খুব প্রবীণ এবং বিশেষ সম্মানিত সদস্য, কাজেই আমার “নাক উঁচু” এই শব্দটা যদি আপনাকে অফেন্ড করে থাকে, তবে আমি দুঃখিত ( যদিও আপনি সেটা নিজে আমাকে জানান নি)! আর সাথে আপনাদের কে কথা দিচ্ছি, আগে যেমন পাঠক ছিলাম তেমনি পাঠক হিসাবেই থেকে যাব, আলোচনায় অংশগ্রহণ না হয় নাইবা করলাম ( অন্তত সবার মর্যাদার লেভেল বুঝার আগ পর্যন্ত)!
ধন্যবাদ ফরিদ সাহেব আপনাকে, আর আমার এই মন্তব্যে কোন কথায় যদি আপনাকেও অফেন্ড করে থাকি তবে অগ্রীম ক্ষমা চেয়ে রাখছি ভাল থাকবেন।
@দারুচিনি দ্বীপ,
আপনি নাক উঁচু শব্দের মানে বোঝেন? আমাকে কোনো সময়ে নাক উঁচু বলে দেখেন। দেখবেন কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাই। গীতাদি ঝামেলা পছন্দ করেন না, তাই তিনি কিছু বলেন নি। বলেন নি বলেই যে, তিনি অফেন্ডেড হন নি, এমনতর ভাবনা ভাবার অবকাশ নেই।
একেবারে নতুনদের জানার কথা নয়। কিন্তু, আপনার জানার কথা। আপনি যথেষ্ট দিন ধরেই আছেন।
কথাবার্তায় সেন্সর আমরা সবসময়েই করি। আমার উত্তর পড়ে আপনার মনে যা এসেছিল, সেটা নিশ্চয়ই আপনি কিবোর্ডে চেপে লিখতে পারেন নি, তাই না? শোভন করে লিখতে হয়েছে। আমিও আপনার ওই নাক উঁচু শব্দ দেখে অনেক কিছুই ভেবেছি, কিন্তু সেগুলোকে সেন্সর করে, আপনাকে একটা পরামর্শ দিয়েছিলাম বিষয়টাকে সুন্দরভাবে সমাপ্ত করার জন্য। কীবোর্ড থেকে বিশ্রাম নেবারতো কোনো প্রয়োজন দেখছি না। মন্তব্য করার আগে সামান্য একটু সেলফ সেন্সর করে নিলেইতো হয়। ওভার রিয়াক্ট করা কেন?
হিসাব করে কথা বলা কি দোষের কিছু? আপনি আপনার বাবা-মায়ের সাথে কী বন্ধুদের সাথে যেভাবে কথা বলেন, সেভাবে বলেন? বলেন না। তো একজন ব্যক্তি, যিনি আপনার চেয়ে অনেক বেশি বয়েসী, তাঁর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কী করবেন? হিসাব ছাড়া কথা কথা বলবেন?
আমি আপনাকে ভালো ভেবে একটা পরামর্শ দিয়েছিলাম। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে, সেটা আপনার মনঃপুত হয় নি। মুক্তমনায় সবাই স্বাধীন। আপনি আপনার মত লিখতে পারেন, যা খুশি। তবে, ভবিষ্যতে আমারও আর কোনো নৈতিক দায় থাকবে না আপনার প্রতি।
আরেকটা জিনিস। লেখা বোল্ড করে দেওয়াটা খুবই দৃষ্টিকটু। মনে হয় যেন ওগুলো নখ-দাঁত বের করে আমার দিকে তেড়ে আসছে।
অফেন্ডেড হই নি। তবে, অবাক হয়েছি। আমার ছোট্ট একটা অনুরোধের প্রেক্ষিতে এতো কথা বলার কোনো প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় নি আমার কাছে। যদি আপনি মনে করতেন যে, আমি সুপরামর্শ দিয়েছি, গীতাদির কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ফেললেই হতো। আর যদি মনে করতেন যে, আমি ঠিক না, বললেই হতো যে, না আমি দুঃখ প্রকাশ করার মতো কিছু করি নাই, কাজেই করবো না দুঃখ প্রকাশ।
@ফরিদ আহমেদ,
ধন্যবাদ ফরিদ ভাই। দয়া করে আমার এই মন্তব্যটা পুরোটাই পড়বেন,আপনার মুল্যবান সময় নষ্ট করে।
আমি আসলে কী বোর্ড থেকে বিশ্রাম নিতে চাচ্ছিলাম এই কারনে যে, আমি বুঝতে পারছি যে আমার নিজেরই হয়ত কোথাও না কোথাও ভুল হচ্ছে। ভুল্টা অবশ্যই অনিচ্ছাকৃত। আর তাই ভাবছিলাম যে মুক্ত মনাতে সবার মন্তব্য ফলো করব। দেখেন আমি কিন্তু এখানে কারো বয়স জানি না, শুধু নিজেরটা ছাড়া। আমার বয়স ২৯ এর চেয়ে কয়েক মাস বেশি হবে; ১৯৮৪ সালে জন্ম আমার। আর আমি আলোচনা থেকে দূরে থাকতে চাচ্ছিলাম কারন আমার ইচ্ছা ছিল যে সবার মন্তব্যগুলো যাচাই করা, যা আমি করতে পারছি না, সেটা সময়ের অভাবেই হয়ত। ভেবেছিলাম যে মন্তব্য না করে ফলো করলে আমি হয়ত নিজের কিছু প্রকাশ ভঙ্গীর পরিবর্তন আনতে পারব। যেমন দেখেন আপনাকেও হয়ত অফেন্ড করে ফেলেছি, নিজের ব্যর্থতার কারনেই!
আসলে ২০১০ এর শেষ থেকে, বা ২০১১ এর প্রথম থেকেই আমি মাঝে মাঝে মুক্ত মনা পড়তাম। ‘১২ সাল থেকে সেটা বেশ নিয়মিত হয়! আমি খুব কম লেখকের লেখা পড়েছি আর মন্তব্যতো টুকটাক করছি মাত্র মাস পাঁচেক আগ থেকে; আপনি হয়ত লক্ষ করে থাকবেন যে আমি এর মধ্যে ৩ মাসেরও বেশি মুক্ত মনা ওপেনই করিনি! কারণটা আগেই বলেছি।
কাজেই গীতা দাস কেন, অনেকের লেখা বা মন্তব্য পড়ার তেমনটা সময় করে উঠতে পারিনি।দেখেন আমি আগে মাত্র ৩ জনের লেখা আর মন্তব্যই ফলো করতাম বেশি , আর তাঁরা হলেন, আপনি, আদিল মাহমুদ আর
অভিজিৎ। আর আমি আগেও বলেছি যে আপনাদের প্রোফাইল চেক করলে অনেক আগের পিডিএফ ভার্সনে লোড হয়, মন্তব্য ছাড়া। যদি একটু কষ্ট করে আপনি লগ ইন না করে নিজের প্রোফাইলটা চেক করেন, তবে বুঝবেন যে আমি সত্যি বলছি। কাজেই একেবারে নতুন না হলেও আমি বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিতে পারছি না, স্বীকার করি। আর সব মন্তব্য ফলো করি না, এটা আগেই বলেছি।
আমি যতটুকু বুঝি আর সেটা হল, নাক উঁচু মানে উন্নাসিক। আমার ভুল হতে পারে, সেক্ষেত্রে আপনার সহযোগিতা কামনা করছি। আর উন্নাসিক আমি নেগেটিভ অর্থে মিন করিনি, আবার যে খুব পজিটিভ ছিল সেটাও বলছি না।
আমি গীতা দিদির মন্তব্যে সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ পেয়েছি, আর তাই উনাকে সেটা জানিয়েছিলাম। উনি দেখেন সরাসরি আমাকে জবাব দিয়ে দিয়েছেন যে, উনি আমাকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন, আর তাই উনি আর আমাকে উত্তর দেবেন না! এটা কি কোন কথা হল? আপনি বলছেন যে উনি বয়সে বড়। আচ্ছা সেক্ষেত্রে কি উনার উচিত ছিল না যে আমাকে একটু বুঝিয়ে দেয়া, যেখানে আমি কনফিউজড ছিলাম?
অথচ তা না করে উনি আমাকে বলেন যে আমার নাক নাকি খুব সরেস।
এই কথা আমার ভাল লাগেনি, তাই তাঁকে উন্নাসিক মনে হয়েছে, আর সেটাই অকপটে বলে দিয়েছি, কিভাবে বিশ্বাস করাবো আমি জানি না, তবে আমার এটাই উদ্দ্যশ্য ছিল।
সেক্ষেত্রে তিনি আমার কাছে নাক উঁচু কথাটার ব্যাখ্যা দাবী করতে পারতেন। এখানে ঝামেলা কেন হবে বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছি আমি।
আপনাকে আমি নাক উঁচু বলতে যাব কোন দুঃখে? আপনি ত আমার কোন কথাকেইগ্নোর করেননি। বরং সব ক্ষেত্রে জবাব দিয়েছেন। মানুষ তো আলোচনা করেই নিজেকে সংশোধন করে তাই না?
কিন্তু কেন প্রতিক্রিয়া দেখাবেন? আপনি তো প্রতিক্রিয়াশীল নন! আপনার কোন কথা যদি আমার উন্নাসিক বলে আমার মনে হয়, তবে আমি তো সেটা বলতেই পারি, তাই না? সেক্ষেত্রে কোন তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাবার আগে, আপনি অন্তত আমার কাছে ব্যখ্যা চাইবেন যে আমি কেন এই কথা বললাম আপনার সম্পর্কে, এই আশা কি আমি কেন, যে কেউ করতে পারে না? সেক্ষেত্রে একটা গ্রহণযোগ্য ব্যখ্যা আমি যদি আপনাকে দিতে পারি, তবে কি আপনি তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানোটা জরুরী মনে করবেন? আমি শুধু মাত্র আপ্নারমতামত জানতে চাচ্ছি, প্লিজ এটাকে চ্যালেঞ্জ বলে মনে করবেন না, কারন আমি আসলেই বিভ্রান্ত।
সমস্যা এটাই। ঝামেলা কোন ভদ্র লোক বা ভদ্র মহিলা পছন্দ করবেন না, এটাই স্বাভাবিক।তবে তিনি তো একটা ব্যখ্যা চাইতে পারতেন আমার কথার তাই নয় কি? কিন্তু তিনি কিন্তু জবাব দেন নি, তার আগেই আপনি দিয়ে দিলেন, যেখানে উনার কাছ থেকে একটা রেসপন্সও পাই নি আমি। উনি যদি রেসপন্স করতেন, এবং আপনি উনাকে তখন সমর্থন করে, তারপর আমাকে পরামর্শটা দিতেন, তাহলে আমার বুঝতে সুবিধা হত! দেখেন আপনি এই কথাটা বলেছিলেন,
আমি অবশ্যই দুঃখ প্রকাশ করতাম, যদি আগে উনি অন্তত কিছু একটা বলতেন আমাকে।কিন্তু এটা বললেন আপনি। সেক্ষেত্রে আমি বড়জোর আপনার সাথে মিটমাট করতে পারি, কারন উনি যে আমাকে কোন প্রকার চ্যালেঞ্জ কেন, প্রশ্নই করেন নি। উনি অফেন্ড হয়েছেন, এই কথাটা বললে কি খুব বেশি ঝামেলা হত?সেখানে আমার সুযোগ থাকত মিটমাট করে নেবার; আপনার পরামর্শকে খুব ভালভাবে গ্রহণ করে, সেটা আমি করেও ফেলতাম। কিন্তু গীতা দিদি যে কিছুই বলেন নি। আচ্ছা আমি কি বুঝাতে পারছিতো? আমি কিন্তু আমার সাধ্য মত চেষ্টা করছি বুঝাতে। আপনি আমাকে অন্য
এক পোষ্টে আমার প্রকাশ ভঙ্গীর পরিবর্তন আনতে বলেছিলেন, তবে মনে হয় এতে আমারকিছু সময় লাগবে,কারন যেহেতু ব্যাপারটা আমার অভ্যেস হয়ে গেছে। কাজেই আমি একটু সময় চাচ্ছিলাম।
কাজেই
আমি এতগুলো কথা বলেছি শুধু মাত্র যেন আপনাকে অফেন্ড না করে বসি, সেইজন্য, একটু বেশি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলতে গেছিলাম। বুঝতে পারছি হীতে বিপরীত হয়েছে। আমি আসলেই আপনার মত কিছু মানুষের সাথে ঝগড়া করতে চাইনা, মনে হয়না কোনদিন চাইব।
আর তাই কী বোর্ড থেকে বিশ্রাম নিয়ে চিন্তা করতে চেয়েছিলাম যে, কিভাবে আরো বেশি গ্রহনযোগ্য ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করা যায়, এর থেকে বেশি আর কিছু না।
আমি সেটাই মনে করি, তবে আমি চাচ্ছিলাম গীতা দিদির কাছ থেকে একটা রেস্পন্স, কারন এতে আমার কাজটা সহজ হত। দেখেন আমি লক্ষ্য করেছি যে মুক্ত মনাতে কিছু লোক আছে যারা আপনাকে পছন্দ করে না হয়ত, কারন আপনি ন্যয্য কথা বলেন। আর তাই যদি গীতাদি একটা রেস্পন্স করতেন, আর আমি যদি আপনার পরামর্শ সরাসরি মেনে নিতাম, তাহলে হয়ত আপনার কিছু প্রতিপক্ষ আমাকে আপনার চামচা বলার সুযোগ পেত না( আমি আগেও দেখেছি যে কয়কজন লোক আপনার সাথে একমত হবার জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে আপনার চামচা খেতাব পেয়ে গেছেন, আর আমি বিশ্বাস করি যে এটা তাঁদের বা আপনার কারোরই ভাললাগে নি।
সে ক্ষেত্রে আমি যদি গীতাদির রেস্পন্স ছাড়াই শুধু মাত্র আপনার কথায় দুঃখ প্রকাশ করে ফেলতাম, সেক্ষেত্রে কিছু দুর্মুখ, মনেমনে হাসত না এই ভেবে যে ফরিদ যা বলছে, কোন প্রকার প্রতিবাদ না করেই দারুচিনি দ্বীপ সেটা মেনে নিচ্ছে? এটা না বাড়াতো আপনার সম্মান, না বাড়াতো আমার, বরং একদল লোক মনে মনে হয়ত টিপ্পনীকাটতেও পারত, তাই নয় কি?
এইবার তো আমার লিখতেই ভয় হচ্ছে। আমি তো বোল্ড করেছি, কারন আমার মনে হয়েছে যে আমার বোল্ডকরা অংশগুলো আপনার চোখে পড়বে আরো ভাল করে। বোল্ড করা মানে যে লাউড ভয়েস, সেটা আমি জানব কি করে? আন্ডারলাইন অপশনও নেই। থাকলে ওটা ব্যবহার সুবিধা হত হয়ত! যাই হোক আমি কি বুঝাতে পেরেছি নিজেকে? না পারলে আমার মনে হয় সত্যি কিছু সময় দরকার নিজেকে গুছিয়ে নিতে।তাই কী বোর্ড থেকে হাত সরাতে চেয়েছি, যেটাকে আপনি অভার রিয়াক্ট বলেছেন। আসলে আমারই ব্যর্থতা হয়ত।
আমি আসলেই আপনাকে কৈফিয়ত দিচ্ছি, কারন এটার প্রয়োজন মনে করছি, কারন প্রথমত, আমি আপনার সাথে মনোমালিন্য বা ভুলবুঝাবুঝি হোক সেটা চাই না।যদিও কেন জানি হচ্ছে।২য়ত আমি নিজেকে ব্যখ্যা করতে আপনার সাহায্য চাইছি। আমি এইসব ভুলবোঝাবুঝির চির অবসান চাই, কারন আপনাদের মত কিছু মানুষ আছেন বলেই আমি মুক্ত মনাতে আসি।
খুব কষ্ট পেলাম আপনার এই কথায়। আমি যদি আমাকে বুঝাতে সক্ষম হয়ে থাকি, তবে আশা রাখি আপনি আপনার এই কথাটা কে ফিরিয়ে নিয়ে, আমাকে লজ্জার হাত থেকে রক্ষা করবেন। বুঝতে পারছি যে নিজের প্রকাশ ভঙ্গীর ব্যর্থতার কারনেই, আমি আমার একজন খুব প্রিয় ব্লগারের বিরাগভাজন হচ্ছি। সত্যি আমার কিছু সাহায্য দরকার। আর আপনি নিশ্চয়ই আমার চেয়ে অনেক সিনিয়র, কাজেই বড় ভাই হিসাবেই না হয়, নিজগুনে আমাকে ক্ষমা করে, কিছু ব্যাপার পরিষ্কার করতে সাহায্য করবেন। আপনার ই মেইল এড্রেস টা পেলে প্রাইভেট ভাবে যোগাযোগ করতে পারতাম ( সম্ভব হলে দেবেন)। আমারকিছু কথা বলার ছিল। তবে আমি সত্যি খুব হতাশ যে আমি নিজেকে ব্যখ্যা করতে ব্যর্থ হচ্ছি আপনার কাছে প্রথম থেকেই। আমি সত্যি খুব বিব্রত!! আমি যা মনে করে লিখি, সেটাই কেন জানি ভালর বদলে খারাপ হয়ে যায়। 🙁 এভাবে যদি নিজেকে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হই, তবে কি কিছুদিন অবজার্ভ করতে আমার কী বোর্ড থেকে বিশ্রাম নেয়া উচিত বলে মনে করেন না আপনি? মানে আবার কি লিখতে গিয়ে কি লিখে ফেলব, আর নতুন করে ভুলবুঝাবুঝির সৃষ্টি হবে, যা আমার একেবারেই কাম্য নয়। দেখেন আমি যে স্বীকারোক্তি দিচ্ছি, এটা হয়ত আপনি ভালভাবেই নেবেন ( যদি আমি বুঝাতে সক্ষম হই), তবে আমার কেন জানি মনে হয় অনেকেই হাসছে আমাকে নিয়ে। অন্য কারো সাথে ঝামেলা হলে আমি কৈফিয়ত দিতাম না, কিন্তু আবার এখানে দিচ্ছি, কারন আপনাদের মধ্যে ৩/৪ জনের সাথে আমার ভুল বুঝাবুঝি হোক তা আমার কাম্য নয়, তাই এত বিস্তারিত বলা। বুঝতেই পারছেন যে আমি নার্ভাস ফিল করছি আর তাই লম্বামন্তব্য করে প্রাণ পন চেষ্টা করছি আপনাকে বুঝাতে।
যাই হোক আমি যদি নাক উঁচু বলে গীতাদি কে অফেন্ড করে থাকি, তবে আমি সত্যি লজ্জিত। ( প্লিজ আবার ভুল বুঝবেন না, আমি কিন্তু বোল্ড করেছি এক্তাই কারনে, যেন গিতাদির এতা চোখে পড়ে) । তবে গীতাদির করা ওই মন্তব্য আমার ভাল লাগে নি। সরি এভাবে সোজাসাপ্টা বলার জন্য।
@দারুচিনি দ্বীপ,
আপনার উত্তরটা মন দিয়েই পড়লাম। এর পালটা উত্তর দিতে গেলে আমাকেও অনেক বড় কিছু লিখতে হবে। আবার সেই উত্তরের পিছনে আপনার উত্তর আসবে। এর চেয়ে বরং এখানেই শেষ করি আমরা। আমি কিছু কথা বলছি, মন দিয়ে শুনুন।
মুক্তমনায় আমিই বোধহয় সবচেয়ে খারাপ চরিত্র। যত ধরণের উত্তপ্ত বিতর্ক, মনোমালিন্য, ঝগড়া-বিবাদ, মুক্তমনা ত্যাগ, বর্জন, ইত্যাদি গত বছরগুলোতে ঘটেছে, এর প্রায় সবগুলোর সঙ্গেই আমার ঘনিষ্ঠ সংযোগ রয়েছে। আমার কথায় বহু লোকই মনোক্ষুন্ন হয়েছে, কিন্তু তারপরেও সেগুলো নিয়ে আমার কোনো অনুতাপ নেই। এর মূল কারণ হচ্ছে, বিনা কারণে আমি কারো সাথে কখনোই লাগতে যাই নি। যাদের সাথে লেগেছি তাঁদের কোথাও না কোথাও ঘাপলা ছিল, যার কারণে নৈতিক একটা শক্ত অবস্থানে থেকে তাদের কেউ-ই আমার সাথে দীর্ঘ লড়াই করতে পারে নি। আমার এই রুক্ষ্ণ, কঠিন আচরণের বিপরীতে অন্য একটা অংশ আছে, যেটা হয়তো এড়িয়ে গেছে অনেকেরই চোখ। আমি মুক্তমনার খাঁটি লোকগুলোকে কোনোদিনই কোনো পরিস্থিতিতেই এমন কিছু বলি নি যে তাঁরা মনে কষ্ট পান। একরাশ শ্রদ্ধা আর গভীর ভালবাসা আমি জমিয়ে রেখে দিয়েছি তাঁদের জন্য। স্রোতের বিপরীতে সৎ থেকে সাঁতার কাটা সহজ কাজ নয়। এই মানুষগুলো ঠিক সেই কাজটিই করে চলেছেন দীর্ঘদিন ধরে। এঁরা আমার অত্যন্ত আপনজন। কাউকে কাউকে বলেছি আমি সেটা, কাউকে হয়তো বলি নি কখনো। কিন্তু, তাঁদের যে কোনো প্রয়োজনে আমি ঠিকই গিয়ে হাজির হবো।
এই আপনজনদের মধ্যে গীতা দাস একজন। তাই তাঁকে যখন কেউ নাক উঁচু বলে, স্বাভাবিকভাবেই তাঁর গায়ে লাগার আগেই আমার গায়ে এসে সেটা লাগে। এর বাইরে আরেকটা বিষয় আছে। ছোটদের প্রতি আমার এক ধরণের পক্ষপাত আছে। তাঁদের ছোটখাট অনেক ভুলত্রুটিই আমি উপেক্ষা করে যাই। আপনার সাথে আমার এর আগে যে ঝামেলা হয়েছিল, সেটা কিন্তু মিটে গিয়েছিল। এবং তারপরেই আমার সিদ্ধান্ত ছিল যে, আপনাকে আমি কখনোই আক্রমণাত্মক কিছু বলবো না। আমি মূলত বড় ভাইয়ের মতই আপনাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম, অনুরোধ করেছিলাম। আপনাকে আহত করার বিন্দুমাত্রও ইচ্ছা আমার ছিল না। আমার প্রথম মন্তব্যটা আবার পড়লেই টের পাবেন সেটা।
এই মানসিকতাটা ভালো না। কে কী বললো, কে হাসাহাসি করলো, তাতে কিছু যায় আসে না। আমাকে কেউ পরামর্শ দিলে আমি আগে দেখি যে, সেই কথাটা যৌক্তিক কিনা। যৌক্তিক হলে মেনে নিতে সমস্যা কী? মানুষ মাত্রেরই ভুল হয়। আমরা সবাই-ই ভুল করি। ভুল করার পরে, সেটা বুঝতে পেরে দুঃখ প্রকাশে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই, বরং ইগো ধরে থাকলেই সমস্যা। আপনার অবগতির জন্য জানাই, মুক্তমনায় কারা সবচেয়ে বেশিবার দুঃখপ্রকাশ করেছে, এই তালিকা যদি কখনো করা হয়, আমার নাম বোধহয় সবচেয়ে উপরেই থাকবে।
এগুলো কারা বলে জানি না। এখানে চামচা তৈরি করার জন্য আমি আসি নি। সেই মানসিকতাটাই আমার নেই। তার চেয়েও বড় কথা হচ্ছে যে, মুক্তমনার লোকজনের মান এতো উঁচু যে, কেউ-ই কারো চামচামি করার মত অবস্থায় নেই। কারো বক্তব্যের সাথে একমত হওয়া মানেই তার চামচামি করা না। আমিও বহু মানুষের বহু মতের সাথে সহমত পোষণ করেছি বহুবারই। তার মানে এই নয় যে, আমি তাদের চামচা হয়ে গিয়েছি।
আমি আশা করবো যে, এইখানে আমরা বিষয়টার নিষ্পত্তি করতে পারবো। আপনাদের মতো তরুণদের খুব প্রয়োজন আমাদের। খামোখা গোস্যা করে যদি নীরব থাকেন, মতামত প্রদান না করেন বা লেখালেখি বন্ধ করে দেন, তবে, আমাদের সকলেরই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে সেটি।
এখন থেকে আরো বেশি বেশি মন্তব্য করে আর লিখে ফাটায় ফেলে দেন মুক্তমনা।
দারুচিনি দ্বীপকে যেন মুক্তমনার কন্ট্রিবিউটর করে দেওয়া হয়, যাতে করে তিনি মডারেশনবিহীনভাবে সরাসরি মন্তব্য করতে পারেন, সেই দাবি মডারেটরদের কাছে রেখে গেলাম।
@ফরিদ আহমেদ,
অনেক ধন্যবাদ ফরিদ ভাই। আপনার মন্তব্যটা মন দিয়ে পড়লাম, খুব ভাল লাগলো। আমি ভবিষ্যতে অবশ্যই আরো বেশি সাবধান থাকব। এবং তারপরেও ভুল হলে, আপনি প্লিজ বড় ভাইয়ের মতই আমার ভুল সংশোধন করে দিবেন, আমার বিশ্বাস এতে আমি নিজেকে আরো শানিয়ে নিতে পারব।
ভাই, আমি সাধারনত ইমেইল চেক করি না বললেই চলে ( সরাসরি মুক্ত মনা ওপেন করেই মন্তব্য বা লেখা পরে থাকি)।আপনার এই কথাটিতে ইমেইল ওপেন করলাম আজ, আর দেখছি যে লগ ইন ডিটেইলস আছে!!! আমি সত্যি অভিভুত আপনার ফিলিংসের জন্য; সততার সাথেই বলছি। কাজেই ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করব না আপনাকে, কারন আমি এত খুশি হয়েছি এটা পেয়ে, যেটা কিনা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না!! অনেক কৃতজ্ঞতা আর আন্তরিক ভালবাসা রইল ভাই আপনার জন্য । ভাল থাকবেন 🙂 (F)
@গীতা দাস,
কোরবানীতে বলদ থেকে ষাঁড়ের কদর বেশি – আমার জানা মতে জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম হিসেবে বলদই বেশি ব্যবহৃত হয়। কোরবানীর বেশীরভাগ পশুই কোরবানীর উদ্দেশ্যই লালন পালন করা হয় যেমন ব্রয়লার মুরগী লালন পালন করা হয় ।
আরেকটা ব্যাপার – এসবতো অন্তত খাওয়া হয় জীবন ধারনের জন্য। প্রতিবছর যে আমারা বিভিন্ন জায়গায় ফুল দিয়ে কোটি কোটি টাকা নষ্ট করি – ঐ টাকা দিয়ে ঐ সময়ে অনাথ দের জন্য কিছু করা গেলে কি ওটা আরও ভালো হতনা???? রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এবং জনগণের পক্ষ থেকে কেবল প্রেসিডেন্ট এবং প্রাইম মিনিস্টার ফুল দিলেই তো যথেষ্ট। সম্মান জিনিসটা তো হৃদয়ের ব্যাপার……………
@গীতা দাস,
এটা কোন কথা হল? (N) কোরবানীতে তো ছাগলও জবাই হয়। আর এটা কিন্তু মানুষের পেটও ভরায়। কাজেই মানুষের উপকারতো অন্যভাবেও করা যেতে পারে। কোরবানী না দিয়ে সেই পশু দান করার মর্মার্থ বোধগম্য হল না। এমনতো না যে কোরবানীর মাংস আগুনে পুড়িয়ে দেয়া বা পানিতে ফেলে দেয়া হচ্ছে।
@গীতা দাস,
এখানে সবাই দেখছি মাংস খাঅয়া, ধর্ম ইত্যাদি নিয়ে খুব বেশী তর্ক মুখর। আসলে লেখাটার মূল সুর ছিল প্রানীর প্রতি যে সহিংসতা আর মার্সি কিলিং, সেই বিষয়ে। এই দুটো ব্যপার যে অপরাধ, সেইটা আমাদের বিবেক সায় দেয় কি না, এটাই প্রশ্ন। আপনার যে সুন্দর একটা বিষয়ের কথা বলেছেন- প্রতি বছর একটা দরিদ্র পরিবারকে জীবিকা নির্বাহের জন্যে দান হিসাবে গরু দেয়া, এটা খুব ভাল একটা উপায়। এটা একটা মানবিক প্রকল্প। মানবিকতা শুধু মানুষের ভিতরে সীমাবদ্ধ রাখা অমানবিক। ধন্যবাদ।
@শাখা নির্ভানা,
কারণ
যাই হোক পাঁঠা বলিও কিন্তু ধর্মীয় কারনেই দেয়া হয়। সে ক্ষেত্রে সেই আল্লাহ-সোবহানা-তায়ালার পাশা পাশি মা কালীর বলি প্রীতির কথাটাও আসলে, হয়ত অনেকেই মাংস খাওয়া, ধর্ম ইত্যাদি নিয়ে খুব বেশী তর্ক মুখর হয়ে উঠত না।
@দারুচিনি দ্বীপ,
লেখা থেকে উদ্ধৃতি দেই-
আশাকরি আপনার উত্তরটা পেয়েছেন। কোন ভুল সবাই করলেও তা সঠিক হয়ে যায় না। প্রশ্নের জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।
ইন্টার্নেট থেকে জানা গেল শুধুমাত্র আমেরিকায় প্রতিবছর ৩৫ লক্ষ পশু স্লাটার করা হয়।
http://www.hcn.org/issues/43.5/cattlemen-struggle-against-giant-meatpackers-and-economic-squeezes/the-big-four-meatpackers-1
মুসলমানরা পশু কোরবানী করে এতে ধর্মিয় আচরন ও ভক্ষন দুটা উদ্দ্যেশই সাধিত হয়।
কিন্তু ধর্মিয় বিধান না হওয়া সত্তেও আমেরিকানরা যে ৩৫ লক্ষ পশু হত্যা করে– তাদের ব্যাপারে আপনার নসিহত কি হবে।http://1.1.1.4/bmi/mukto-mona.com/bangla_blog/wp-content/plugins/smilies-themer/kopete/confused.gif
আইচ্ছা, সিন্থেটিক শাকসবজির ব্যাপারে বিজ্ঞানী এবং সচেতন পরিবেশ প্রেমীদের কোন চিন্তা চেতনা আছে 😕
নেন ডিজিটাল সবজি :thanks:
@সংবাদিকা,
ধন্যবাদ আপনাকে। শাক সবজিদের অনুভুতি কম, ওদের হত্যা করা যেতে পারে। তবে পরিকল্পিত ভাবে।
@শাখা নির্ভানা,
সেটাই, পশুদের অনুভূতি যেটাই হোক – মানুষের সমান নয়। পশুদের হত্যা করা যেতে পারে প্রয়োজনের জন্য, খাদ্যর জন্য – তবে পরিকল্পিত ভাবে।
যারা মনে করে কেবল এবং কেবল মাত্র প্রান হত্যা নিষিদ্ধের জন্য সকল প্রকার জন্য পশু-পাখি হত্যা নিষেধ করা উচিত, তাদের উদ্ভিদ অনেক দূরের ব্যাপার ফাঞ্জাই, আরকিয়া, প্রোটিস্টা কিংবা ব্যাকটেরিয়াতেও হাত দেওয়া উচিত নয়। খাদ্য হিসেবে তারা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করতে পারে – গতি না পেলে পর্যায় সারণী তে যেতে পারে – কেমিক্যাল ইলেমেনট গুলো খাদ্য হিসেবে বেছে নিতে পারে – কিংবা তাদের সহযোগে তৈরি পাথর কিংবা শিলা খেতে পারে সঙ্গে পানি তো আছেই।
ভাবতে অবাক লাগে, কতিপয় গালগল্পের ওপর আদিম যুগের পশু বলি এখনো চলছে! আর কয়েকশ বছর আগেও এদেশে নরবলী/ শিশুবলীও বহাল ছিলো!
ভাবনটি উস্কে দেওয়ায় শাখা নির্ভানা’কে সাধুবাদ। (Y)
@বিপ্লব রহমান,
না না উস্কে দিব কেন! বিষয়টা নিয়ে এই অধমের ভাবনাটা এমন, সেটাই প্রকাশ করি আর কি। ভাল থাকুন।
@বিপ্লব রহমান, ভালো । ভাবনাটা উস্কে উঠেছে, ভাবতে থাকুন।
আপনারা আর কিছু না, মানুষের ব্যক্তিগত ব্যপার নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন। আমার ইচ্ছা আছে আমি পশু কুরবানী দিব, তাতে কার কি ?? আপনার কথা শুনতে হবে ??
@সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত,
আপনি ঠিক বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ। 😉
ভাল বিষয়, কৃত্রিম মাংসের সম্ভাবনা নিয়ে কিছুদিন আগেই দুটি ভাল লেখা এখানে এসেছিল সফিক আর কাজী মামুনের কাছ থেকে।
গার্মেন্টসে কেন ঘন ঘন আগুন লাগে এবার কিছুটা মনে হয় বুঝলাম। গার্মেন্টস মালিকরা হয়ত এভাবে তাদের প্রিয় জিনিস উতসর্গ করে দেন।
@আদিল মাহমুদ,
আমাদের পোষাক-প তিরা হচ্ছেন কলু, আর শ্রমিকদের বানিয়েছেন কালো কাপড়ে চোখ বাঁধা বলদ। তবে আগামী ঈদুল আযহার সময় তারা যদি তাদের লভ্যাংশের ১’৫% দিয়ে শ্রমিকদের ওয়েলফেয়ারের ব্যবস্থা করেন তবে তাতে বড় গরু বা উট কোরবানীর থেকে বেশী সওয়াব হাসিল হবে ইনশাল্লাহ। ধন্যবাদ আপনাকে।
সাধারণ বাজারে পেতে প্রায় কতদিন অপেক্ষা করতে হবে সে ব্যপারে একটু জানান তো।
এই কৃত্তিম চাকতি বিফ-বার্গার কি মাত্র একটাই তৈরী করা হয়েছিল? বিক্রি হয়েছিল? দাম কত জানেন কি?
@কাজী রহমান,
ধৈর্য ধরুন। সবুরে মেওয়া ফলে। সব পাবেন, স ময়ের ব্যপার মাত্র। প্রস্তুত থাকবেন, রহিম সাহেবের মতন আপনিও ভালো কবি। আপনাকেও তার মতো একটা কোরবানী দিতে হতে পারে আগামী ঈদুল আযহায়। ধন্যবাদ।
@শাখা নির্ভানা,
আমার জানা মতে একটা স্যান্ডউইচের জন্য মাত্র একটাই সিন্থেটিক প্যাটি ল্যাবে তৈরী করা হয়েছিলো এবং তা করতে খরচ হয়েছিলো প্রায় ৩ কোটি টাকার মত। ৩ কোটি টাকার বার্গার প্যাটি! আপনি এই রকম কোন মাংসের কথা বলছেন নাকি? ৩ কোটি টাকার এই রকম জিনিস কবে নাগাদ ৩০ টাকা হবে তা জানতে চেয়েছিলাম এই আর কি। যা হোক, কি আর করা; কাব্য নিয়েই না হয় কথা হবে :-s
@কাজী রহমান,
কাজী সাহেব , কি যে বলেন ! বিজ্ঞানীরা না পারলেও সাংবাদিক কাম ব্লগার কাম সাংবাদিকেরা সবই পারেন। নীচে দেখুন :
[img]http://cdn.cubiclebot.com/wp-content/uploads/2011/09/science-reporting.jpg[/img]
[img]http://careandcost.files.wordpress.com/2011/03/sciencejournalism.jpg[/img]