সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত নৌ বাহিনীর মেরামত ঘাঁটিতে সামরিক বাহিনীর এক সাবেক সদস্য কর্তৃক আভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটে (এখানে), যার ফলে ১২ জন ব্যক্তি প্রাণ হারান। এমন ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে নতুন নয়। যুদ্ধ ফেরত কিংবা অন্যান্য কারণে ছাটাইয়ের স্বীকার সদস্যগন – যারা সহসা বেসামরিক পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে পারেনা কিংবা নিজেদের অন্যায়ের স্বীকার বলে মনে করে- তারা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে এমন সন্ত্রাস ঘটানোর বহু উদাহরণ আছে। অ্যারন আলেক্সিস নামক এই ব্যক্তিটিও সামরিক বিভাগের নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য- যে মনে করেছে তাকে অন্যায় ভাবে ছাঁটাই করা হয়েছে। তবে এবারের ঘটনা একটু ভিন্ন ভাবে সংবাদ মাধ্যমে আসছে এই কারণে যে, অ্যারন অ্যালেক্সিস বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত একজন ব্যক্তি। সাধারণে- বিশেষত পাশ্চাত্য সমাজে একটি সাধারণ ধারনা হল বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত ব্যক্তিগণ সাধারণত চরমপন্থার (অপরের ক্ষতি করে) আশ্রয় নেননা – যদিও প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে অন্য রকম চরমপন্থা তথা অগ্নিসংযোগ করত আত্মাহুতি দিতে প্রায়ই দেখা যায় বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মাঝে।
মানব ইতিহাসের অন্যতম ব্যাপক ধর্মীয় চরমপন্থার ডামাডোলে, সমসাময়িককালে যেখানে খ্রিস্টান, মুসলিম, হিন্দু, ইহুদি কিংবা শিখ ধর্মীয় চরমপন্থিদের কর্মকাণ্ডের স্বীকার কোটি নিরপরাধ মানুষ- সেখানে বৌদ্ধ ধর্ম পালনকারীরা আপাত ভাবে এই অপবাদ থেকে মুক্তই বলা যায়। বৌদ্ধ ধর্মে অহিংসা এবং ভালোবাসা যেন একে অপরের পরিপূরক। সিদ্ধার্থ গৌতমের শিক্ষা, যা সম্রাট অশোক কর্তৃক স্বীকৃত এবং গৃহীত হয় এবং তাঁর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় প্রাচীন কালেই সমস্ত পৃথিবীতে এই স্বীকৃতি লাভ করে। কিন্তু বাস্তব বোধয় এতটা সরল নয়। অন্যান্য যেকোনো ধর্মের মতই বৌদ্ধ ধর্মের গুরু কিংবা কোন কোন অনুসারী ব্যক্তি- রাষ্ট্রের, রাজ্যর কিংবা সমাজের রাজনীতি লালন, কিংবা আরও সঙ্কীর্ণ ধর্ম বিশ্বাস ভিত্তিক উপদলয় ঘৃণা পোষণ হতে মোটেও দূরে থাকতে পারেনি কোন কালেই।
সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার জন্য কেউ কেউ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে যেয়ে যেমন নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন কিংবা প্রতিপক্ষের অত্যধিক ক্ষমতার কারণে কিছু করতে না পেরে আত্মাহুতি দিয়ে প্রতিবাদ করেছেন; তেমন আবার কেউ কেউ মেকিয়াভেইলী কিংবা সানজুর তত্ত্বকেও লজ্জা দিয়ে- জনসাধারণকে ধোঁকা প্রদানের মাধ্যমে তাদের ধর্মীয় আবেগকে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করেছে।
ইসলামিক / খৃস্টান / ইহুদি / হিন্দু গোঁড়া মৌলবাদী, জঙ্গি/টেররিস্ট ইত্যাদির সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। কোন ধর্মই চরমপন্থা কিংবা অসহিষ্ণুতা প্রশ্রয় দেয়না। ধর্ম পালনকারী, বিশেষত নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ তাদের নিজেদের সুবিধার জন্য ধর্মকে নিজেদের মত করে ব্যবহার করে। খুব স্বাভাবিক ভাবে বৌদ্ধ ধর্মও ব্যতিক্রম নয়।
বৌদ্ধ ধর্মের সৃষ্টি দক্ষিণ এশিয়ায় কিন্তু বর্তমানে এর প্রধান কেন্দ্র মধ্য, পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া। বৌদ্ধ ধর্মের নামে চরমপন্থার কিছু সংক্ষিপ্ত উদাহরণ –
প্রাচীন এবং মধ্য যুগ:
১. ভারত: বৌদ্ধ ধর্মের জন্ম অথবা এর চিন্তা ধারা প্রাচীন সনাতন ধর্মের সাম্প্রদায়িক বিরুদ্ধে একটি আন্দোলন। ভারতে ইসলামিক কিংবা হিন্দু ধর্ম পালনকারী কতক জনসাধারণের অসহিষ্ণুতা সর্বজনবিদিত এখানে যেমন মসজিদ ভেঙেছে হিন্দুরা তেমনি মুসলমানদের দ্বারাও মন্দির ভাঙ্গার ইতিহাস আছে। কিন্তু তারও মুসলিম-হিন্দু সংঘর্ষের আগে ভারতে বৌদ্ধ-হিন্দু ক্লেশ ছিল যা প্রায় ১৬০০ বছর ছিল এবং চরম আকার ধারণ করেছিল ৪০০-১০০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্য। এমন অনেকবার হয়েছে যেখানে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের কাছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নিগৃহীত হয়েছে।
২. জাপান: বিংশ শতকের শুরুতে জাপানের সাম্রাজ্যবাদী নীতি সম্পর্কে সবার কম বেশি ধারণা আছে। তখনও জাপানের প্রচুর মানুষ বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিল এবং তৎকালীন সম্রাট হিরোহিতকে বৌদ্ধ , শিন্টো এবং টাও ধর্মের প্রধান মনে করা হতো। এছাড়া জাপানে বৌদ্ধ সশস্ত্র সামুরাই ক্ল্যান ছিল “সোহাই” বলা হত। বৌদ্ধ গুরুদের থেকে মধ্যযুগ হতেই জাপান তার সাম্রাজ্যবাদী নীতি সমর্থন পেয়ে আসছে ।
৩. চীন: বর্তমান এবং মধ্যযুগের মতই প্রাচীনকাল হতেই দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মূল শক্তিকেন্দ্র চীন। অষ্টাদশ শতকের চীনের বড় দুটো বিদ্রোহে এবং বিংশ শতাব্দীতে গৃহযুদ্ধে চীনের বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। এছাড়া প্রাচীন যুগে বৌদ্ধ হানাহানির প্রমাণ পাওয়া যায় এবং মধ্য যুগে তিব্বতের ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে এশিয়ার বিভিন্ন যায়গায় মঙ্গোল আগ্রাসনকে সমর্থন দেবার প্রমাণ আছে।
আধুনিক যুগ:
১. শ্রীলঙ্কা: এখানে বৌদ্ধরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। গৃহযুদ্ধে শ্রীলঙ্কার বৌদ্ধ ভিক্ষু / মঙ্কগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শ্রীলঙ্কায় খ্রিস্টান, হিন্দু এবং মুসলিম জনগোষ্ঠী নিয়মিত বৌদ্ধ চরমপন্থিদের নিগ্রহের স্বীকার। তামিল বিদ্রোহের অন্যতম প্রধান কারণ হিন্দু তামিলদের উপর বৌদ্ধ চরমপন্থিদের নিগ্রহ। শ্রীলঙ্কান মুসলিমরাও কম নিগ্রহের স্বীকার নয়। কিছুদিন আগেই একটি মুসলিম মাজার ধ্বংস করা হয় এক ভিক্ষুর নেতৃত্বে। অথুরল্ল্যা রাথনা থেরো (Athuraliye Rathana Thero) একজন সর্বজন স্বীকৃত অতি উগ্র
জাতীয়তাবাদী জঙ্গি বৌদ্ধ ভিক্ষু, যিনি আবার শ্রীলঙ্কার আইনসভার সদস্য। ঠিরুকেথিস্রাম, আন্নুরাধাপুরা এবং ডাম্বুলাতে মসজিদ এবং মন্দির ভাঙ্গার নেতৃত্বে ভিক্ষুরা ছিল।
২. বার্মা / মিয়ানমার: বার্মার সংখ্যাগুরু বামার/ মিয়ান্মা জাতিগোষ্ঠীর বৌদ্ধ। বার্মার মিয়ান্মা জাতিগোষ্ঠীর কাছে যেমন অন্যান্য কারেন, শান, কাচিন ইত্যাদি জনগোষ্ঠী নিগৃহীত, তেমনি সামগ্রিক ভাবে বৌদ্ধ চরমপন্থিদের কাছে রোহিঙ্গা মুসলিমরা এবং কাচিন খ্রিষ্টানরা নিগৃহীত।
মিয়ানমারে বৌদ্ধ চরমপন্থার নেতৃত্বে আছে আসীন উইরাথো (Ashin Wirathu) নামক এক বৌদ্ধ ভিক্ষু। তিনি সিস্টেম্যাটিক উপায়ে মিয়ানমারকে মুসলিম মুক্ত করতে বদ্ধ পরিকর। কুখ্যাত ব্রিটিশ গোঁড়া বর্ণবাদ ভিত্তিক জাতীয়তাবাদী সংঘটন ইংলিশ ডিফেন্স লিগের কাজের ধারার একনিষ্ঠ প্রশংসাকারী এই ভিক্ষু। তার মতে নিজ ধর্ম এবং জাত রক্ষা করা গণতন্ত্র রক্ষার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। তার কথা এবং পাবলিক বক্তব্যর ধরন এক জন মুসলিম, খ্রিস্টান, হিন্দু কিংবা ইহুদী উগ্রবাদী ধর্মীয় নেতার থেকে কোন অংশেই ভিন্ন নয়।
অক্টোবর ১৪, ২০১২ সালে মিয়ানমারের মাই বাং মঠে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এখানে প্রায় ১০০ বৌদ্ধ অংশ নেন ইউ উয়াইদাজা প্যাগোডার প্রধান ভিক্ষু জো কেপিন তঙ্গ (Zwe Kapin Taung) এর ঘোষণায় সর্বসম্মতিক্রমে কতগুলো সিদ্ধান্ত হয়:
১. মিয়ানমারের কোন বৌদ্ধ মুসলিমদের কাছে কোন জমি, বাড়ি বিক্রি করতে পারবেনা।
২. বৌদ্ধ মেয়েদের সাথে মুসলিম মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যাবেনা।
৩. বৌদ্ধদের কেবল বৌদ্ধ মালিকানাধীন দোকান হতে সামগ্রী ক্রয় করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
৪.বৌদ্ধদের জমি, বাড়ি বিক্রি কিংবা ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে মুসলিমদের সাহায্য কিংবা নিজেদের নাম ব্যবহার করতে কঠোর ভাবে নিষেধ করা হচ্ছে।
এখানে আরও ঘোষণা করা হয় যারা উক্ত আদেশ মানবেন তারা শাস্তি প্রাপ্য।
এটা সমগ্র বার্মার ক্ষুদ্র চিত্র। মিয়ানমারের প্রধান জনগোষ্ঠী বামাররা/মিয়াম্মারা মুসলিমদের নাগরিক অধিকার হতে বঞ্চিত করেছে। মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট প্রস্তাব করেছেন রোহিঙ্গা মুসলিমদের তৃতীয় কোন দেশে শান্তিপূর্ণ ভাবে স্থানান্তরিত করা হউক। এটা অবশ্যই কেবল শাসক গোষ্ঠীর আচরণ নয়, মিয়ানমারের বৃহত্তর বামার জনগোষ্ঠীর “ভক্স পপুলাই” যার ইন্ধনে আছে কতক বৌদ্ধ ভিক্ষুরা।
আফগানিস্তানের তালেবান দের সাথে বার্মার এই বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীর কোন পার্থক্য নেই। আফগানিস্তানে তারআ কট্টর ইসলামিক দেশ গঠন করতে চায় আর মিয়ানমার / বার্মায় এরা স্বপ্নের গোঁড়া বৌদ্ধ রাষ্ট্র গঠন করতে চায়।
৩. থাইল্যান্ড: গত শতাব্দীর মধ্যভাগে থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ ভিক্ষুগণ কম্যুনিস্ট দমনে জড়িয়ে পরে- এর জন্য সামরিক জান্তাদের সাথে আঁতাত করতেও তারা পিছুপা হন না। সামরিক জান্তার মদদে যে আধাসামরিক বাহিনী থামাথা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা (১০০ রো বেশি নিহত এবং শতাধিক আহত) চালিয়েছিল তার নেতৃত্বে ছিল ফ্র্যা কিতিউত্থা (Phra Kittiwuttho) নামক এক বৌদ্ধ ভিক্ষু যার যিনি মনে করতেন কম্যুনিস্টদের হত্যা করা পাপ নয়।
থাইল্যান্ডের দক্ষিনাঞ্চলে সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদ দমন করতে নিয়মিত বাহিনীর সাথে সাথে রাজকীয় কমিশনড সহ সশস্ত্র ভিক্ষু নিয়োগ দিয়েছে। ধর্ম এবং রাষ্ট্র যেখানে একে আপরের পরিপূরক। সশস্ত্র বুদ্ধ ভিক্ষুরা বিভিন্ন মানুষ প্যাগোডায় এনে প্রায়ই জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং অনেক ক্ষেত্রে নির্যাতন করছে এবং হত্যা করছে – যেমনটি সাধারণত কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনরত এলাকায় নিয়মিত সরকারি আধাসামরিক বাহিনীর করতে দেখা যায়।
৪. কম্বোডিয়া: কম্বোডিয়ায় খেমারুজরা বৌদ্ধ ধর্মের নামে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। পলপট, যে যৌবনে বৌদ্ধ ভিক্ষু ছিল নিজেকে দেশের বৌদ্ধদের প্রধান মনে করত। চাম জাতিসত্তার মুসলিমরা গণ হত্যার স্বীকার হয় কম্বোডিয়ায়।
সমাজের নিয়ন্ত্রণ যাদের হাতে তারা প্রতিটি ধর্মকেই উপলক্ষ হিসেবে ব্যবহার করে – যুগে যুগে তাই হয়ে আসছে। এটাকে মানব কল্যাণ এবং শান্তির দূত হিসেবে ব্যবহার করা যায়; আবার ধ্বংসের হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়, যা হয়ত উক্ত ধর্মের মৌলিক ভিত্তির সাথেও সাংঘর্ষিক । আসলে ধর্মকে দোষ দিয়ে লাভ নেই- ধর্মকে যারা এভাবে ব্যবহার করে তাদেরই কাঠগড়ায় দাড় করাতে হবে।
এই পোষ্টের উদ্দেশ্য বৌদ্ধ ধর্ম পালনকারী, বৌদ্ধ ভিক্ষু কিংবা বৌদ্ধ ধর্মের সমালোচনা করা নয় নয়। শুধুই সামান্য আলোচনার চেষ্টা – ইসলাম, খ্রিস্টান, হিন্দু কিংবা ইহুদি ধর্মের অনুসারীদের মধ্য যেমন মানবতা বিরোধী কাজ সম্পাদনকারী ব্যক্তি আছে তেমন বৌদ্ধ ধর্ম পালনকারীদের মধ্যও এমন ব্যক্তি আছে। আদতে ধর্মের কথা বলে সাধারণ মানুষের পরাজাগতিক ধর্মীয় আবেগ কে হীন ভাবে ব্যবহার করে খুবই জাগতিক অনৈতিক কাজ কিংবা হীন-স্বার্থ সম্পাদনের চেষ্টা হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরেই।
বইঃ
১. Buddhist Warfare by Michael Jerryson and Mark Juergensmeyer
২. Buddhist Fury by Michael K. Jerryson
৩.Zen at War by Brian Daizen Victoria
৪. The Buddha and the Terrorist, by Satish Kumar
৫.Books & Research Papers by Mahinda Deegalle, Bath Spa University, Humanities, Faculty Member
ব্লগ এবং অপিনিয়নঃ
১. Sri Lanka’s Continued Attempt to Murder a Minority Culture, by Tim King, salem-news.com
২. The Face of Buddhist Terror, by Hannah Beech, time.com
৩. warrior monks the untold story of buddhist violence by Danios, loonwatch.com
৪. Buddhist Terrorism: No Longer A Myth, By Dr. Habib Siddiqui, eurasiareview.com
৫. Who Holds Real Power in Myanmar? by Aung Aung Oo, Salem-News.com
৬. Of A Sustained Buddhist Extremism in Sri Lanka, by Raashid Riza, the-platform.org.uk
৭. Monks With Guns: Discovering Buddhist Violence, by Michael Jerryson, religiondispatches.org
৮. buddhism-has-extremists-too, by Jen, freethoughtblogs.com
নিয়মিত সংবাদঃ
১. Buddhist monks stage anti-Rohingya rally, france24.com
২. Myanmar Unrest Could Develop into ‘Terrorism’ Govt, salem-news.com
৩. Sri Lanka Muslims decry radical Buddhist mosque attack, bbc.co.uk
৪. Armed monk storms Thai Parliament, held, hindu.com
৫. Buddhist monks recruits Sri Lankan Army for war against Tamils, nowpublic.com
৬. Deeds of mosque in Dambulla and photos of damage: How is this structure illegal?, groundviews.org
৭. Muslim shrine destroyed in Anuradhapura, transcurrents.com
৮. Thailand’s Buddhists Take Up Arms Against Insurgency, thedailybeast.com
৯. Buddhist “soldier monks” in Thailand’s southern Muslim provinces, shambhalasun.com
১০. Thiruketheeswaram, the Holiest Temple of Sri Lanka Tamils. A Giant Buddha Statue planted overnight in front of the sacred Palavi Tank in Thiruketheeswaram by the occupying Sinhala army, lankanewspapers.com
১১. Monks’ Plan to Prohibit Dealings with Muslims in Karen State, m-mediagroup.com
১২. Sri Lanka – State Sponsored Destruction and Desecration of Hindu Temples, lankanewspapers.com
১৩. Sri Lanka, Buddhist destruction of a mosque halted, asianews.it
১৪. Violence in the name of Buddhism, .dw.de
উইকিপিডিয়াঃ
———-X———-
আমি এই ওয়েবসাইটের বেলায় সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ, ২০১৩ সালের লেখাটা ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে সুযোগ পেয়ে পড়ছি, এই লেখা দেখে আমার মনে হল, লেখাটার মান খারাপ নয় , লেখিকা যা লিখেছেন, ভালোই লিখেছেন, আমি বিতর্কটা হাতছাড়া করে ফেলেছি।
যারা এই ওয়েবসাইটে আমার মতো নতুন, তাদেরকে বলে দিই, লেখাটা খুব মনোযোগ দিয়ে যুক্তি সাজিয়ে পড়বেন, নাহলে এখানে সম্ভাবনা আছে অর্থ না বুঝে মুক্তমনাদের নিয়ে ভূল ধারণা নিয়ে যাওয়ার।
বৌদ্ধরা কেমন সেটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, মূল হচ্ছে ধর্ম (দর্শনটা) কেমন । এখানে মূল ধর্ম (দর্শনটা) নিয়ে আলোচনা হয়নি । মানুষগুলো নিয়ে হয়েছে। এতে মূল ধর্ম (দর্শনটা) প্রভাবিত হয়নি। ভেবে পড়তে হবে।
ভূল লিখে থাকলে ক্ষমা……………………………
ইতিহাস সম্পর্কে আপনার অজ্ঞতা স্পষ্ট । প্রাচীন ভারতে বৌদ্ধদের কর্তৃক হিন্দু কখন কীভাবে নিগৃহীত হয়েছে ? একজন লোক বৌদ্ধ ধর্মে আসার সাথে সাথেই অমনি নন-ভাওলেন্ট হয়ে গেল ? তাহলে কালকে একজন সন্ত্রাসী তাঁর উদেশ্য হাসিলের জন্যে ভিক্ষু হয়ে যাক ?
জাপান হচ্ছে আদি শিন্ট ধরমা মতানুসারী, এখনও তাই । চীন জাপান এসব দেশে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার ঘটার পর সেখানে তা কখনো অনাদ্রিত হয়নি,কিন্তু শাসক দল কখনো ধর্ম কে বরন করেনি,সেটা ছিল ব্যক্তি জীবনে। সামুরাই রা মার্শাল আর্ট চর্চা করত,কিন্তু জেন বুদ্ধিস্ম এর প্রতি তাঁদের আকর্ষণ ছিল । মার্শাল আর্ট এ তাঁরা mindfulness প্রয়োগ করতো যা ছিল বুদ্ধিস্ট মেডিটেশন এর উপাদান । শ্রীলঙ্কা মিয়ানমার এর ঘটনা এবং মুদ্রার উভয় পিট না জেনে বুঝে এরকম এক পাক্ষিক লেখা মোটে কাম্য নয়। হ্যাঁ সেখানে উগ্র গোসটি আছে। কিন্তু বরাবরই আমার প্রশ্ন, বুদ্ধের ধর্মের কোথাও কী ধর্ম যুদ্ধ বা উগ্র পন্থা কে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। কোন টেক্সট এ আপনি দেখাতে পারবেন ?? তাহলে সেটা ধর্ম ও ন করলো কেন ? কারো ব্যক্তি বা গোসটি স্বার্থ কি ধর্মের উপর বর্তায় ,যতক্ষন ধর্মের নির্দেশাবলীর মাঝে তা থাকবে না ?? যেমনটা আব্রাহামীক ধর্ম র নিরদেশেই রয়েছে। প্রাচীন ভারতে হিন্দুরা বৌদ্ধদের কে লাঞ্চিত করেছে, তাঁদেরকে ভারত ছাড়া করেছে। মুসলিম আক্রমন কারীরা পুনরায় তা করেছে। সেখানে কোথায় বৌদ্ধরা এমনকি প্রতিরোধ ও করতে পারেনি, আর আপনি বলছেন ইতিহাসের উল্ট ঘটনা ??
কোন আধুনিক রাষ্ট্র বৌদ্ধ প্রধান হলে কী, তাঁকে তাঁর শত্রুর মকাবিলায় অসহায় হয়ে বসে থাকবে। এটা কী রাষ্ট্র বিজ্ঞান বলে ? সেখানে প্রতিপক্ষকে দমন বা প্রতিরধের ক্ষেত্রে ধর্ম কতটুকু কাজ দেবে। আমি গাড়ি চালাই, আমাকে কী আমার প্রতিপক্ষের প্রতি নজর দিয়ে চালাতে হবে না, নাকি আমি ঠিক চালাচ্ছি এবং প্রতিপক্ষ আমার গাড়ীকে আঘাত করবে না, সেটা একেবারে নিশ্চিত হয়ে থাকব ? আমার প্রতিপক্ষের ড্রাইভার যদি আমার উপর এসে পড়ে, সেটাই কী আমি মাথায় রাখব না ?
আপনি সমালোচনা করেন, কিন্তু সেটা ন্যায় সঙ্গত হতে হবে। আব্রাহামীক ধর্ম সম্প্রদায় একদা ক্রুসেড করেছে, কেননা তাঁদের টেক্সট এ তা নির্দেশ আছে। তাই বুদ্ধের টেক্সট এর রেফ দিয়েই তা আপনাকে প্রমান করতে হবে। কোন ব্যক্তির বা গশটির আপন স্বার্থের কাজ তো ধর্ম যুদ্ধ হতে পারে না। তাঁরা তা বলছে ও না । তাই নয় কী ?
আমারও আসলে এসব নিয়ে ধারণাও ছিলনা!! লেখক যেভাবে লিখলেন আর রেফারেন্স গুলো দেখে মনে হল আসলে ধোয়া তুলসী পাতা কেউই নয় – কোন সমাজই এর থেকে সম্পুর্ন মুক্ত নয় !!!!
(Y)
@ইমরান খান,
আপনাকে ধন্যবাদ 🙂
@সংবাদিকা, আপনার লেখাটা পরে যার পর নাই বিস্মিত হয়েছি । আপনি যে উদাহরণ গুলো দিয়েছেন,সেটা কোনটাই যথার্থ নয় । আপনি নিশ্চয় জানেন, যে কোন ব্যক্তির কর্মকে দিয়ে তাঁর ধর্মকে ব্যবহার করা যায় না,যতক্ষন না সে ধর্মের উপাদান কে তার কর্ম এর মাঝে টেনে না আনেন । যারা এই সন্ত্রাস করেছে, তাঁরা কী ধর্মের দোহাই দিয়ে করেছে। আপনার কাছে এই প্রস্নটা রইল। আরও জানতে চাই, বুদ্ধের ধর্মে কে সন্ত্রাসের কোন উপাদান আছে ? এটা তো ব্যক্তিক ধরম। ব্যক্তি ই তা অনুশীলন করবে। সমষ্টির তাতে কোন সম্পর্ক নেই । রাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডে বৌদ্ধ ধর্মের চেয়ে তাঁর উচিত্যই কী প্রধান হবে না, তাঁরা কী ধর্মের দোহাই দিয়ে তা করেছে , অন্য ধর্মে যেমন করা হয় ? কোন ব্যক্তি যা করেছে তা তাঁর নিজস্ব,ধরম কেন তা ওন করবে। তাঁরা কী ধর্মের দোহাই দিয়েছে ? বলুন ? ধরুন আমি একজন বৌদ্ধ, কিন্তু আমি সন্ত্রাস করছি,তাতে ধর্মের দায় কী ? ধর্ম গ্রন্থ কী আমাকে তা করতে বলছে, তা যদি হয়,তাহলে মানলাম ।আর আমি যে কোন নেতিবাচকতার মাঝে নিজেকে সপে দিতে পারি নিজের স্বার্থের কারনে, সেখানে ধর্মের দায় কী। যদি ধর্মের দোহাই দি ,তাহলে ধর্ম এর উপাদান কে বিচার করতেই হবে । বৌদ্ধ ধর্ম তো অস্ত্র দিয়ে প্রচারিত হয়নি, বা তাঁর আদিতে কোন যুদ্ধ বিগ্রহ নি,তাহলে সেখানে সন্ত্রাস আসে কী করে। যা আসবে তা তো একমাত্র ব্যক্তির,ধরমের নয় ।
@সংবাদিকা, জাপানীরা পার্শ্ববর্তী দেশগুল একসময় আক্রমন করেছে, তাদের শিনটো ধর্ম কী তা বলেছে এবং তা কি ধর্মের কারনে বা ধর্মের প্রচারে ? চাইনিজ রা যা করেছে তা কী কনফুসিয় ধর্ম প্রচারে, যেমনটা ইসলাম এ হয়েছে । তাই আপনার বিচার বিশ্লেষণের ক্ষমতার আকাল দেখে আমি শঙ্কিত । বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারেরকারনে কী কোন হানাহানী হয়েছে ? রাষ্ট্র্য ক্ষমতার সাথে কি ইতিহাসে বদ্ধ ধর্মের কোন সম্পর্ক আছে। হতে পারে কোন দেশ বুদ্ধ সখ্যা গরিষ্ট। তবে সুন্দর সব কিছুকে ম্লান করার জন্যে এই অসুন্দরকে টেনে তুলে কিছু আবিস্কার করেছেন বলে স্লাগা পোষণ করেন, তাতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়, কারন এটা আপনার বাক স্বাধীনতা ।
নিরীহ মানুষদের হত্যা করা এটা তো মানবতা মানবিকতা হতে ঠিক নয়। কেন? একজন সাধারণ মানুষকে হত্যা করে লাভ কি? আমার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে নাকি আমার মান মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে? কোনটি? যে ব্যক্তি মানুষ হত্যা করছে সে কি ধর্মের জন্য করছে নাকি নিজের স্বার্থের জন্য। মানুষ হিসেবে আমাদের এমনটি কখনো করা ঠিক নয়। হোক সেটি ইন্ডিয়া, আমেরিক, শ্রীলঙ্কা, জাপান ইত্যাদি সেখানেই হোক কেন করবে নিরীহ মানুষকে হত্যা। তাই যদি হয় তাহলে উচিৎ তাকে আইনের মাধ্যমে ধমন করা কিন্তু সবাইকে সেটি করা যায় না। কোন নিরীহ মানুষকে হত্যার পর উক্ত পরিবারের কোন না কোন সদস্য ন্যয় বিচারের জন্য আদালতে গেলে ন্যায় বিচার পাচ্ছে না। তখন সে কি করছে হয়ত কোন সন্ত্রাসী সংগঠনে নাম লিখছে। কেন? এটিই হল অসুস্থ মানসিকতা। আমাদের এমন করা কোনভাবে উচিত নয়। ধৈর্য ধরতে হবে।
@ অ্যাডমিন,
১.
এখানে হবে – “২. বৌদ্ধ মেয়েদের সাথে মুসলিম ছেলেদের বিয়ে দেওয়া যাবেনা।”
২.
এখানে দুই প্যাড়া হয়েছে। একসাথে এক প্যাড়া হবে “……………অতি উগ্র জাতীয়তাবাদী………”
৩. আরও কিছু punctuation mark এ সমস্যা আছে মনে হচ্ছে।
তবে, ১ এবং ২ নাম্বারটি ঠিক করে দেন – দৃষ্টিকটু ভাবে চোখে লাগছে !!
ধন্যবাদ।
সাংবাদিকা, বৌদ্ধ ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, চরমপন্থা কিংবা সন্ত্রাসবাদ শিরোনামে আপনি অনেক কিছু লিখেছেন যা তথ্য ভিত্তিক হলে ও শিরোনাম ও লেখার কোনো সামঞ্জস্য নেই। আপনাকে একটা প্রশ্ন করি ধর্মাবলম্বী কোনো ব্যক্তি মসুলিম, খ্রিস্টান, হিন্দু, শিক ও ইহুদির দ্বারা কোনো সন্ত্রাসবাদের ঘটনার সাথে জড়িত হলে তাকে এবং তার কৃত কর্মকে নির্দিষ্ট ভাবে সেই ধর্মের অনুশাসন হিসেবে ধরে নেবেন নেওয়ার কোনো নজির বা নিয়ম আছে নাকি ? আমি একজন বৌদ্ধ (দাবী করছি) হিসেবে এই মতবাদ ব্যক্ত করতে চাই এই যে বুদ্ধ ধর্মে কিন্তু এমন কোনো নিয়ম বা সিস্টেম নেই ! অ্যারন আলেক্সিস নামক এক মানবতাহীন প্রাণী, যার প্রসঙ্গ নিয়ে এই অসামঞ্জস্য মন্তব্য ঈর্ষা মননশীলতা ও সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক বক্তব্যে আপনি কায, বাক্য ও মনে কুশল কর্ম করার পরিবর্তে অকুশল কর্ম সংশয় করেছেন। সাংবাদিক আপনাকে এই ও জানিয়ে দিচ্ছি যে, অ্যারন আলেক্সিস বৌদ্ধ ধর্ম বিশ্বাসী হতে পারে সেই ক্ষেত্রে নিজেকে বৌদ্ধ দাবি করাটা কিন্তু অপ্রাসঙ্গিক দোষের কিছুই নই । এখানে মুখ্য বিষয় হচ্ছে দুই ধরনের বৌদ্ধ হওয়া নিয়ে । প্রকৃত বৌদ্ধ ও অপ্রকৃত বৌদ্ধ যারা প্রকৃত বৌদ্ধ তারা বুদ্ধের নিয়ম মেনে চলে, আর যারা অপ্রকৃত বৌদ্ধ তারা বুদ্ধকে শুধুমাত্র বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার কারণে নিজেকে বৌদ্ধ দাবি করে কিন্তু বুদ্ধের নির্দেশিত নিয়ম বা ধর্ম মেনে চলে না । তাহলে এইখানে অ্যারন আলেক্সিস যে নিষ্টুর, নির্মমভাবে গণহত্যা করলো সেই কিভাবে বৌদ্ধ বা বুদ্ধের অনুসারী হতে পারে ? বা তা কিভাবে বুদ্ধ ধর্মের সাথে সম্পৃক্ততা বা রিলেশন থাকে ? প্রকৃত বৌদ্ধরা প্রকৃত পক্ষে মানবতাবাদী কোনদিন এই ধরনের বর্বরতার সদৃশ কর্মকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট নই। বুদ্ধের মতে যে ধর্মের বিশ্বাসী বা অনুসারী হোক বুদ্ধের আবিস্কৃত ধর্ম বা নিয়মকে যে মেনে চলবে, প্রতি পালন করবে সেই ও বৌদ্ধ ।@সাংবাদিকা, আপনার জবাব চাই…………..
@আর্য্য মিত্র চাঙমা,
আমি এখানে কোথাও উল্লেখ করিনি এসব চরমপন্থা – স্ব স্ব ধর্মের অনুশাসন। আমি খুব স্পষ্ট ভাবেই বলেছি –
“”সমাজের নিয়ন্ত্রণ যাদের হাতে তারা প্রতিটি ধর্মকেই উপলক্ষ হিসেবে ব্যবহার করে – যুগে যুগে তাই হয়ে আসছে। এটাকে মানব কল্যাণ এবং শান্তির দূত হিসেবে ব্যবহার করা যায়; আবার ধ্বংসের হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়, যা হয়ত উক্ত ধর্মের মৌলিক ভিত্তির সাথেও সাংঘর্ষিক । আসলে ধর্মকে দোষ দিয়ে লাভ নেই- ধর্মকে যারা এভাবে ব্যবহার করে তাদেরই কাঠগড়ায় দাড় করাতে হবে।
এই পোষ্টের উদ্দেশ্য বৌদ্ধ ধর্ম পালনকারী, বৌদ্ধ ভিক্ষু কিংবা বৌদ্ধ ধর্মের সমালোচনা করা নয় নয়। শুধুই সামান্য আলোচনার চেষ্টা – ইসলাম, খ্রিস্টান, হিন্দু কিংবা ইহুদি ধর্মের অনুসারীদের মধ্য যেমন মানবতা বিরোধী কাজ সম্পাদনকারী ব্যক্তি আছে তেমন বৌদ্ধ ধর্ম পালনকারীদের মধ্যও এমন ব্যক্তি আছে। আদতে ধর্মের কথা বলে সাধারণ মানুষের পরাজাগতিক ধর্মীয় আবেগ কে হীন ভাবে ব্যবহার করে খুবই জাগতিক অনৈতিক কাজ কিংবা হীন-স্বার্থ সম্পাদনের চেষ্টা হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরেই।””
আমি আরেকটি মন্তব্যে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করেছি এবং লেখাতেও ধারণা দিয়েছি –
“”প্রথমত এ লেখার উদ্দেশ্য আসলে মোটেও অ্যারন অ্যালেক্সিস নয়। বরঞ্চ, একটা ঘটনার (নেভী ইয়ার্ডে শ্যুটিং) প্রেক্ষিতে উদ্ভূত “আলোচনা” নিয়ে শুধু বাংলায় একটু আলোচনার চেষ্টা করা – “বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা কি কখনো জঙ্গিবাদের আশ্রয় নেন কি নেন না”, যা অনেকের সাধারণ ধারনায় নেই।””
এখানে আপনি আসলে লেখার স্কোপের বাহিরে মন্তব্য করেছেন। এবং এ ব্যপার এত ব্যপক – ক্ষুদ্র পরিসরে উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়!!! তবুও খন্ডন করার চেষ্টা করছি-
১.আমি লেখায় স্পষ্ট ভাবে বলেছি এখানে বৌদ্ধ ধর্মের নির্বাণ ভিত্তিক অনুশাসনের সাথে এর নামে সন্ত্রাসের কোনই যোগসূত্র নেই।
২.কে কতটুকু ধার্মিক কিংবা ধর্মের অনুশাসনে বিশ্বাসী এটা ঠিক করার দায়িত্ব বোধয় আরেক জনের নয়।
৩. “অ্যারন অ্যালেক্সিস বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী” – এই বিষয়টি তার যায়গায় । “অ্যারন অ্যালেক্সিস নিউ ইয়র্কে ২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় উদ্ধার কাজ চালিয়েছে” – এটাও স্বাধীন ঘটনা। “অ্যারন অ্যালেক্সিস ২০১৩ সালে ওয়াশিংটনের নেভী ইয়ার্ডে ১২ জন ব্যক্তিকে বিনা অপরাধে হত্যা করেছে” – এটাও তার যায়গায়।
এখন তার একটি ঘটনার সাথে আরেকটি মিলেয়ে কারও এমন মন্তব্য করা সমীচীন নয় – “সে কি বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী”. উপরে প্রদত্ত একটি মন্তব্য “Aaron Alexis was no Buddhist-washingtonpost blog” শীর্ষক একটি লিংক দেওয়া হয়েছে। ওখানে এক পাঠক ঠিক আপনার মত করে চিন্তা করতে চেয়েছে। এখন – প্রশ্ন হল মানুষ কি ভুল ত্রুটির উর্ধে??? একজন ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা ব্যক্তি যে ধর্মেরই হোক- সে যদি একটি ভুল কাজ সম্পাদন করে তাহলে তার উক্ত কাজের জন্য তার অন্যান্য কর্মকান্ড অস্বীকার করার চেয়ে সব স্বাধীন ভাবে বিচার করা কি বাঞ্চনীয় নয়।
সর্বশেষ, আবার বলছি, অ্যারন অ্যালেক্সিস এর ঘটনা শুধু একটি উপলক্ষ মাত্র – যার ফলে – আমি “যে বিষয়টি” নিয়ে লেখেছি তা সামনে এসেছে মাত্র। পাশ্চাত্য এই বিষয়টি আসলেই নাড়া দিয়েছে – কেননা সেখানে সিংহ ভাগ মানুষের সাধারণ ধারণা ছিল বৌদ্ধ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তিগণ ট্র্যাডিশনাল চরমপন্থার আশ্রয় নেননা। যেমন কোন কোন অঞ্চলে মুসলমান, হিন্দু, খৃস্টান এবং ইহুদী নিয়ে এক রকম জেনারেলাইজড ধারণা থাকে। আবার ধর্মীয় বিভিন্ন ফ্যাকশনেও থাকে। এমনকি বৌদ্ধ ধর্মেও স্যাক্টেরিয়ান রাইভালরি মোটেও কম নয়। আপনি যেমন উল্লেখ করলেন – অনেকে “অপ্রকৃত বৌদ্ধ “- এমন অনেক বুদ্ধিস্ট ফ্যাকশন আছে, যাদের সামগ্রিক ভাবে অন্যান্য সেকট কিংবা স্কুলের সভ্যগণ প্রকৃত ভাবে বৌদ্ধের শিক্ষায় শিক্ষিত মনে করেননা। যাই হোক এটা আরেকটি আলোচনা – এই লেখার স্কোপের বাহিরে।
আসলে সাধারণ মানুষরা সামগ্রিক ভাবেই কনজারভেটিভ থাকে এবং একটি সামগ্রিক জেনারেলাইজড ধারণা পোষণ করে থাকেন – যতক্ষণ না কোন ঘটনা নাড়া দেয়। এটা পৃথিবীর সব অঞ্চলের ক্ষেত্রেই সত্য।
আপনাকে ধন্যবাদ।
”না, আমার মনে হয় মোটেই এমন হওয়া যুক্তিযুক্ত নয় – অত্যন্ত সঙ্গত কারণেই এমন শিরোনাম হওয়া অযৌক্তিক।”
আপনার পুরা লেখায় এমন কোন ঘটনার বর্ণনা নেই যেখানে বৌদ্ধরা তাদের ধর্মকে প্রধান করে ধর্কোম ভিত্তিক কোন রাষ্ট্র নির্মাণের তরে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ করছে। বরং আপনি এই লেখার মাধ্যমে যেটা তুলে এনেছেন সেটা হল কিছু বৌদ্ধ তাদের নিজ নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগাচ্ছে। এখন প্রশ্ন হল …… একদিকে ধর্মীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সন্ত্রাসবাদ এবং অন্যদিকে স্বতন্ত্র সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে সহজ করার তাগিদে ধর্মকে ব্যাবহার কি একই জিনিস ?
ধন্যবাদ
@লিটন বড়ুয়া,
আপনি নিজেই নিজের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিয়েছেন। এসব বিষয় chaotic এবং আপনি পৃথিবীর সব অঞ্চলের বিশৃঙ্খলার ধারা একই রকম পাবেন না। এমনকি শ্রীলংকা, মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ড এর ব্যাপারগুলো ভিন্ন ভিন্ন।
এখন “নিজ নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগাচ্ছে” – এ ব্যাপারটি কি একই নয়। তারা সাধারণ জনগণের বৌদ্ধ ধর্মের অনুভূতিকে কাজে লাগাচ্ছে তথা বৌদ্ধ ধর্মের নামে তারা তাদের কম্ম সম্পাদনের চেষ্টায় বদ্ধ পরিকর। আমি এমন কয়েকজনের নামও উল্লেখ করেছি। আপনার আগ্রহ থাকলে আপনি তাদের বিষয়ে এবং তাদের কর্মকান্ড সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।
ধন্যবাদ।
হাতী চলে বাজারমে কুত্তা ভোঁকে হাজার
সাধুওঁকা দূর্ভাব নহী জব্ নিন্দে সংসার ।
@অমিত,
জো সো বুধী, সোহি নিবুধী
জো সো চোর, সোহি সাধী।
কারো ধর্মীয় পরিচয় তখনই গুরুত্বপূর্ন হয় যখন তার কোন কৃতকর্ম সে ধর্মের আলোকে হয়েছে বা করেছে বলে দাবী করা হয়।
নেহায়েত জাতি বিদ্বেষী না হলে রহিমউদ্দিন ধর্ষন করেছে বলে কেউ মুসলমানদের ধর্ষন প্রবৃত্তি বিষয়ক আলোচনা করবে না। রহিম উদ্দিন যদি তেমন দাবী করে তবে তারপর প্রশ্ন আসবে আসলেই ধর্মের দায় আছে কি নেই। নইলে ব্যাক্তির দ্বায় ব্যাক্তির। এখন রহিম উদ্দিন যদি দাবী করে সে তার ধর্মগ্রন্থের কিছু অবশ্য পালনীয় নির্দেশনার কারনে সন্ত্রাস বা কোন কুকর্ম করেছিল তবে অবশ্যই ধর্ম আলোচনায় আসবে। এরপর আলোচনা হতে পারে তার দাবী আসলেই কতটা সঠিক। এমন ঘটনা কোন নির্দিষ্ট ধর্মের নামে নিয়মিত বিরতীতে ঘটতে থাকলে অবশ্যই ধর্মীয় পরিচয় বা ধর্ম গুরুত্ব পাবেই।
পৃথিবীতে এখনো বেশীরভাগ লোকে ধর্মীয় পরিচয় বহন করে। তাই অপরাধীর ব্যাক্তিগত ধর্মীয় প্রোফাইল করা তেমন কিছু বোঝায় না।
কথাগুলি এ কারনে বললাম যে আপনার লেখা যেই উদাহরন দিয়ে শুরু সেই নেভি ইয়ার্ড শুটার এলেক্সির বৌদ্ধ ধর্মীয় ব্যাকগ্রাউন্ড আলোচনায় কতটা যুক্তিসংগত সে প্রশ্নের আলোকে।
– আসলে কি তাই? এ বিষয়ক কিছু নিউজ ফিডে আমার মনে হয় হয়নি মিডিয়ায় এ দিকটায় তেমন জোর দেওয়া হয়েছে বলে। সেটা বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি কোন রকম ফেবারিটিজমের কারনে নয়, কারনটা ওপরে উল্লেখ করা। মিডিয়ায় তার এমন আচরনের পেছনের কারন চাকরিচ্যূতি হতাশা, মানসিক রোগ এসবই হাইলাইটেড হয়েছে। আপনার ঠিক কি কারনে মনে হল যে তার বৌদ্ধ ধর্মীয় ব্যাকগ্রাউন্ড গুরুত্বপূর্ন তা জানলে ভাল হত। সে কি নিজে দাবী করেছিল যে বৌদ্ধ ধর্মের কোন শ্লোকের আলোয়, কিংবা বৌদ্ধ জাতীয়তাবোধের কোন তাড়নায় সে খুনাখুনী করেছিল? কিংবা তার খুনাখুনীকে ধর্ম বা ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের দোহাই পেড়ে বৌদ্ধ কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য সাফাই গেয়েছে? যেমনটা অন্য কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়। তাহলেও বোঝা যেত।
বৌদ্ধ ধর্মীয়রা তাদের ধর্মে যাইই লেখা থাক অতি শান্তিপূর্ন নিরীহ এমন দাবী মনে হয় খোদ তারাও করবে না। নইলে তারা তাদের দেশ থেকে বিচার থানা পুলিশ অনেকটাই তুলে দিত। আধুনিক বিশ্বেই এই ধর্মীয় পরিচয়ধারীদের দ্বারা বড় বড় ভয়াবহ মানবতা বিরোধী কাজ কারবার হয়েছে।
পরের উদাহরনগুলি নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই।
ধর্মীয় ভিত্তিতে জাতিগত রেষারেষি/খুনাখুনী মানেই ধর্মের কারনে এমন নাও হতে পারে। অনেক সময় সেটা এথনিক্যাল কারনে হয়, যেমন কালো সাদা, আর্য অনার্য, সার্ব/ক্রোয়েট…..শ্রীলংকার তামিল বনাম সিংহলীদের গৃহযুদ্ধকে ধর্মীয় প্রোফাইলিং করে সহজেই বৌদ্ধ বনাম হিন্দু বানানো যায়। আদতে সেটা সঠিক নয়, তেমন দাবী খোদ তামিলরাই (হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ করে না)। সম্পদের সীমাবদ্ধতা যেসব যায়গায় আছে সেসব যায়গাতেই দেখা যায় সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতিসত্ত্বা সংখ্যালঘুদের শোষন নিপীড়ন করে। সেই জাতিসত্ত্বাগত পার্থক্য ধর্মীয় পরিচয়ের কারনে হয়ত বহু আগ থেকে ছিল, কিংবা অন্য ভাবে বিভাজন হয়েছিল। ধর্মীয় পরিচয় এসব ক্ষেত্রে কারন হয়ে দাঁড়ালেও ধর্ম হতে পারে গৌণ। এ কারনেই আমি যতটা বুঝি ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশের মত দেশে ধর্ম/ধর্মীয় পরিচয়কে অধিক গুরুত্ব দেওয়া অমংগলই বয়ে আনে বেশী।
অন্যদিকে আবার দেখা যায় একই ধর্মীয় সত্ত্বার লোকে নিজেদের ভেতর খুনাখুনী করে, যেমন বর্তমান যুগের শিয়া সুন্নী; হিন্দুদের উচ্চ বর্ন/নিম্ন বর্ন। এর পেছনের কারন সম্ভবত মিশ্র; ধর্মীয়+রাজনৈতিক।
মায়ানমারে বর্তমানে যা ঘটছে তার সঠিক কার্যকারন আমি জানি বলে দাবী করার মত ঘাটাঘাটি করিনি। এটা পরিষ্কার যে সেখানে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতেই মুসলমানদের ওপর অত্যাচার নিপীড়ন করা হচ্ছে। এসবের কারন ইসলাম ধর্মের প্রতি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বিদ্বেষ কিনা সেটা জানি না।
– এসব কালাকানুন নিঃসন্দেহে এক কথায় রেসিজম। আধুনিক মূল্যবোধের কোন মানুষ এসব সমর্থন করতে পারে না। এসব আইন কানুন বৌদ্ধ ধর্মের আলোকে করা হয়েছে বলে মনে হয় না। একই ধরনের কিছু আইন কানুন অন্যান্য কিছু দেশে সেসব দেশের রাষ্ট্র ধর্মের আলোকেই করা হয়েছে। মুসলমানদের জন্য কি বৌদ্ধ বিবাহ সিদ্ধ? আমার জানা মতে সিদ্ধ নয়। আমাদের দেশের বাচ্চাদের সরকারী উদ্যোগে স্কুলে ধর্মের নামে শিক্ষা দেওয়া হয় প্রতিবেশীর হকের প্রশ্নে আগে মুসলমান।বড় বড় আলেমের রেফারেন্স টেনে শিক্ষা দেওয়া হয় বিধর্মীর সাথে বন্ধুত্ব সহি নহে। আমাদের দেশেরও ধর্ম জগতে বসবাস করা লোকজন ফতোয়ার নামে এসব উতসাহিত করে। এ জাতীয় রেসিষ্ট দৃষ্টিভংগীর লোকের কাছে প্রধানমন্ত্রী তনয় জয় এর এক বড় অপরাধ হল সে বিধর্মী বিবাহ করেছে। মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামালের পরিচয় এদের কাছে সুলতানা কামাল চক্রবর্তী।
@আদিল মাহমুদ,
কিছু শাহবাগ-প্রজন্ম চত্বর / কিছু মতিঝিল-শাপলা চত্বর
কিছু জাগরণ মঞ্চ / কিছু হেফাজতে ইসলাম।
httpv://www.youtube.com/watch?v=QrWNuVAwV8E
@আদিল মাহমুদ,
আমার পয়েন্ট দুটো –
আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন আমি লেখায় উল্লেখ করেছি যে কেন সাবেক সামরিক সদস্যরা এমন কর্ম কাণ্ডে জড়িয়ে পরে এবং এমন অনেকবার হয়েছে।
কিন্তু এবার “বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী” পরিচয়টি বিশেষ ভাবে সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।
অ্যারন অ্যালেক্সিস বৌদ্ধ হোন কিংবা না হোন – তিনি অপরাধ সংঘটন করেছেন। আগ বাড়িয়ে অনেক বৌদ্ধ কমিউনিটির সাফাই গাওয়ার কি দরকার যে তিনি “সত্যিকারের বৌদ্ধ ছিলেননা”। দরকার হল – এই সাধারণ বিশ্বাসের ধারণায় যেন চিড় না ধরে যে “বৌদ্ধরা কখনই ভায়োলেন্ট নন”। “তিনি বৌদ্ধ” এটা অনেক সংবাদেই বড় ভাবে এসেছে এবং অনেকেই আশ্চর্জান্তিত হয়েছেন – যদি উনি অন্যান্য প্রধান ধর্মাবলম্বী হতে তাহলে এই দিক নিয়ে কেও এমন আশ্চর্জান্তিত হতনা।
অনেকের জানা নেই যে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী অনেক ব্যক্তিই অনেক জঙ্গী তৎপরতা কিংবা চরমপন্থার আশ্রয় নিয়েছেন। তাছাড়া, এত একাডেমিক চিন্তায় না গিয়ে – শুধু এতটুকু চিন্তা করলে কি হয়না যে থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা কিংবা মিয়ানমারের জেলখানা গুলো কি খালি পরে থাকে!!!! এজন্যই আমার এই আলোচনার চেষ্টা।
আমি এই পোষ্ট দেবার চিন্তা করি নিম্নোক্ত এক নাম্বার আর্টিকেল পড়ার পর। তিন নাম্বাটিতে এক পাঠক স্পষ্টতই তা প্রমান করার চেষ্টা করেছেন, যা অনেক বুদ্ধিস্ট কমিউনিটি বলার চেষ্টা করছেন।
1.Shooter’s interest in Buddhism prompts debate in Buddhist communitywashingtonpost article
2. Aaron Alexis, 34, is dead gunman in Navy Yard shooting, authorities say washingtonpost article
3. washingtonpost blog
4. Distant Violence Shatters a Texas Buddhist Group’s Quiet nytimes article
5. Aaron Alexis: An adept Buddhist chanter and an angry man with a gun latimes article
বেশিরভাগ সাধারণ মানুষের সমস্যা হল কাউকে চির দেবতা বানানো কিংবা চির শয়তান বানানো। কিন্তু কেউই এমন নয়। অনেক খারাপ কাজ করা ব্যক্তিই অনেক ভালো কাজ করার ইতিহাস আছে আবার অনেক ভালো কাজ করা ব্যক্তিরই খারাপ কাজ করার রেকর্ড আছে।
মার্টিন লুথার কিং একজন মহান ব্যক্তি কিন্তু তার আলুর দোষ কিংবদন্তীতুল্য । আবার এই অ্যারন অ্যালেক্সিস ২০০১ সালে নিউইয়র্কে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার পর উদ্ধারকারীদের একজন ছিল। আমাদের দেশেও এমন অনেকবার হয়েছে এবং হচ্ছে – সবাই জানে।
যে যতটুকু মূল্যায়িত হবার যোগ্য তাকে ঠিক ততটুকু মুল্যায়িত করতে হবে – তার দোষ এবং গুন স্বাধীন- একটি দিয়ে আরেকটিকে অফসেট করানো হতে বিরত থাকা উচিত। শুধু ফ্যাক্ট মূল্যায়ন করতে হবে, ইনফারেন্স করতে গেলেই হেজিপেজি হয়ে যাবে।
@সংবাদিকা,
1. Shooter’s interest in Buddhism prompts debate in Buddhist community washingtonpost article
2. Aaron Alexis, 34, is dead gunman in Navy Yard shooting, authorities say washingtonpost article
3. Aaron Alexis was no Buddhist washingtonpost blog
4. Distant Violence Shatters a Texas Buddhist Group’s Quiet nytimes article
5. Aaron Alexis: An adept Buddhist chanter and an angry man with a gun latimes article
@সংবাদিকা,
ধন্যবাদ আপনার সূত্রগুলির জন্য। এবার কিছুটা বুঝলাম। আমি এ জাতীয় খবর আজকাল আর তেমন বেশী ঘাটাঘাটি করি না। ইসলামের নামে সন্ত্রাস, আমেরিকায় এই জাতীয় হতাশাগ্রস্থ লোকে চরম অবস্থায় গোলাগুলি করে গনহত্যা এসব এত সাধারন ব্যাপার হয়ে গেছে যে একই কাহিনী বার বার পড়ার মত সময় ব্যায় করতে ইচ্ছে করে না। আমি এ ঘটনা নিয়ে কোন ব্লগ কাহিনী বা আর্টিকেল এখনো পড়িনি, দেখেছি শুধু মূলধারার কিছু সীমিত সংবাদ, মূলত টিভির, মাঝে মাঝে দুয়েকটি ইয়াহু নিউজ ফিড এমন। তাও খুব বেশী দেখিনি। যতটা দেখেছি তাতে তার বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহনের কথা নেহায়েত তথ্য হিসেবে দেওয়া হয়েছে, ঘটনার সাথে তার ধর্মের কোন রকম যোগ (এমনকি বিয়োগ) জাতীয় আলোচনা আমার চোখে পড়েনি।
আপনার দেওয়া সূত্রগুলি মূলতঃ মনে হচ্ছে আর্টিকেল/কলাম বা ব্লগ জাতীয়, সংবাদ সূত্র মনে হচ্ছে না। ৩৩ কোটি লোকের আমেরিকা বিশাল দেশ, মুক্তচিন্তার দেশের লোকে একই ঘটনার বিভিন্ন দিক বার করে আলোচনা করবে সেটাই স্বাভাবিক। এ দেশ যতই উন্নত জ্ঞান বিজ্ঞানের অগ্রদূত হোক এ দেশের এক উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোকের নিজের দেশের ম্যাপ সম্পর্কেও ধারনা নেই। এদের জন্য কিছু লোকে কলম তুলবেই। সেগুলির গুরুত্ব আদৌ কতটা সে প্রশ্ন অনেক সময়ই গুরুত্বপূর্ন হয় না।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানেই শান্তির দিশারী – এমন ধারনা কয়জনা নিয়ে বসে আছেন আমি জানি না। যদি কেউ নিয়ে বসে থাকেন তবে বলতে হয় যে তারা বাস্তব জগতে বাস করেন না। বাস্তবতার অতি সরল মোটা দাগের পাঠ হল লোকে সত/অসত হয় আস্তিকতা/নাস্তিকতা কিংবা কোন ধর্মে বর্নিত আদেশ নির্দেশের কারনে যতটা, তার চাইতে অনেক বেশী নিয়ন্ত্রিত হয় পরিবেশ পরিস্থিতির কারনে। কিছু আমেরিকানের মনে এমন ধারনা থাকলেও থাকতে পারে, সম্ভবত গৌতম বুদ্ধের আদলে শান্তিময় ধ্যানমগ্ন বুদ্ধ মূর্তিকে তারা বৌদ্ধ ধর্ম পালনকারীদের প্রতীক হিসেবে দেখে থাকতে পারে। তাদের উচিত প্রাচীন কাল থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ইতিহাস সামান্য ঘাটাঘাটি করা। আরেকটা কারন সম্ভবত এই যে আমেরিকায় মূলধারার ধার্মিকদের ভেতর সংখ্যার হিসেবে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বেশ শীর্ন, স্বাভাবিকভাবেই অপরাধ জগতে তাদের সংখ্যাগত বিচরনও কমই হবে।
আপনার লেখার মূল প্রতিপাদ্য সম্ভবত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানেই শান্তির দূত নহে। সে হিসেবে লেখা ঠিকই আছে। এটা এতই নাইভ ষ্টেটমেন্ট যে এ নিয়ে এত খাটাখাটুনি করারও দরকার ছিল না। শুধু শিরোনামই যথেষ্ট ছিল, কেউ সেটা না মানলে বোঝা যেত যে তার ইতিহাস, বাস্তবতা কিছু সম্পর্কেই ধারনা নেই। আপনি যে এই ঘটনার সাথে বৌদ্ধ ধর্মের যোগ আছে এমন দাবী করেননি সেটা অবশ্য প্রথমেই দেখেছি।
আলোচিত এলেক্সির ঘটনার সাথে বৌদ্ধ ধর্মের সংযোগ বিতর্ক অবশ্যই মূলধারার মিডিয়ায় প্রাধান্য পেত (সেটা কিন্তু পায়নি, যা পেয়েছে তা আপনি নিজেই এই কমেন্টের প্রথমে হাইলাইট করেছেন) যদি সে নিজে বৌদ্ধ ধর্মের বশবর্তী হয়ে এমন কাজ করেছে দাবী করত তবে অবশ্যই তা বড় হয়ে মিডিয়ায় আসত। নানান লাইনের বিশিষ্ট গবেষক, তার্কিক, বৌদ্ধ ধর্ম বিশেষজ্ঞ এরা লেগে যেতেন জোর এনালাইসিস, তর্কে। এই জাতীয় চিত্র দেখা যায় ইসলামের নামে সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটলে, কারন খুবই বোধগম্য। সেসব ঘটনার নায়করা ধর্মের কারনেই এসব ঘটায় বলে নিজেরাই দাবী করে, তাদের পক্ষে আবার দুনিয়ার নানান যায়গায় কিছু ধর্মের ধারক বাহকরা সরাসরি কিংবা ঠারে ঠোরে নানান কথা বলে। অনেকে আবার উল্টাও দাবী করে, সোজা থা সেসব ক্ষেত্রে ধর্ম আলোচনা/বিতর্কে স্বাভাবিক ভাবেই চলে আসে। তেমন কিছু এখানে ঘটেছে বলে আমি এখনো দেখিনি। আপনার কাছে তার বৌদ্ধ ধর্মীয় ব্যাকগ্রাউন্ড মিডিয়ায় যতটা গুরুত্ব পেয়েছে মনে হয়েছে আমার তেমন মনে হচ্ছে না। আপনি সিএনএন, বিবিসি, ফক্স……এ জাতীয় কিছু সূত্রের ধর্ম সম্পর্কীয় এনালাইসিস দিলে ভাল বুঝতাম।
@আদিল মাহমুদ,
আপনার সময় সল্পতার জন্য মনে হয় প্রদত্ত লিঙ্ক গুলোতে যান নি। এখানে আমি আর্টিকেল বলতে নিউজ আর্টিকেল তথা সংবাদই বুঝিয়েছি। শুধু একটি লিঙ্ক ব্লগের ছিল। তাছাড়া – নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং লস এঞ্জেলস টাইমস মনে হয় আমেরিকার মূল ধারার সংবাদপত্রের quintessential example।
আমি আগেই বলেছি এটা একটা সাধারণ ভাবনা। সাধারণ ভাবনা মানুষ হঠাত করে চিন্তা করে দেখেনা – একটা প্রচলিত সাধারণ বিশ্বাস। বড় কোন ঘটনা সংঘটনের পর মানুষ চিন্তা করে।
প্রথমত এ লেখার উদ্দেশ্য আসলে মোটেও অ্যারন অ্যালেক্সিস নয়। বরঞ্চ, একটা ঘটনার (নেভী ইয়ার্ডে শ্যুটিং) প্রেক্ষিতে উদ্ভূত “আলোচনা” নিয়ে শুধু বাংলায় একটু আলোচনার চেষ্টা করা – “বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা কি কখনো জঙ্গিবাদের আশ্রয় নেন কি নেন না”, যা অনেকের সাধারণ ধারনায় নেই।
আমি এখানে আসলে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কোন লিঙ্ক দেইনি। কেননা ইতিমধ্য মূল ধারার তিনটি সংবাদপত্রের লিঙ্ক দিয়েছি। আপনি সার্চ দিলেই দেখতে পারবেন – ওখানেও এই বাড়তি একটি ব্যপার নিয়ে বেশ কয়েক মিনিট তারা ব্যয় করেছে।
আপনাকে ধন্যবাদ 🙂
ভারতবর্ষে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ক্লেশের আরেকটি উদাহরণ বাংলা সাহিত্যের প্রথম বই ‘চর্যাপদ’ (চর্যাচর্যবিনিশ্চয়)নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থশালা থেকে আবিষ্কার। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী পাল রাজারা চর্যাপদ রচয়িতাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। সেন হিন্দু রাজাদের তাড়া খেয়ে নেপালে আশ্রয় নেওয়ার সময় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রচয়িতারা বইটিও সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন। এ তথ্যটিও ভারতবর্ষ প্রসঙ্গে সংযোজন করা যেতে পারে ঐতিহাসিক স্বার্থে। যদিও বৌদ্ধ ধর্মের নামে চরমপন্থার কিছু সংক্ষিপ্ত উদাহরণ দেয়াই ছিল লেখাটির উদ্দেশ্য। তবুও …………………
যাহোক, লেখাটি খেটে লেখা হয়েছে।
@গীতা দাস,
অসংখ্য ধন্যবাদ, অবশ্যই এটা খুবই সুন্দর একাট প্রাসঙ্গিক উদাহরণ – বিশেষত বাংলা ভাষার জন্য। চর্যাপদের সঙ্গে প্রথম পরিচয় সপ্তম শ্রেণীতে…. অদ্ভুত……
+ কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল – চঞ্চল চীএ পইঠা কাল
+ আমহে নো জানহু অচিন্ত জাই- জাম মরণ ভব কইসণ হোই
+ জামে কাম কি কামে জাম – সরহ ভণন্তি অচিন্ত সো ধাম
এমন আরও কয়েকটি শ্লোক সর্বদা মুখে থাকে 😕
আমরা ছোটবেলা থেকে একটা কথা প্রায় শুনি যেমন বৌদ্ধরা শুনে এবং বিশ্বাস করে বৌদ্ধ ধর্ম শান্তির ধর্ম। ঠিক তদ্রুপভাবে মুসলিমের কাছে ইসলাম শান্তির ধর্ম , হিন্দুদের কাছে হিন্দু শান্তির ধর্ম। তারা সবাই এই শান্তিকে স্ব স্ব ধর্মের দান মনে করে। কিন্তু আসল কথা হল ধর্মের সাথে শান্তির তেমন সম্পর্ক নেই। কোন ধর্মীয় জাতি কতটুকু শান্তিময় হবে তা নির্ভর করে তাদের স্ব স্ব মানবিক গুনাবলির উপর। আবার কোন ধর্মীয় জাতি কত সহজে অন্য ধর্মের লোকের উপর বিক্ষুব্ধ হবে তা নির্ভর করে ওই জাতির রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতার উপর।
আপনার এই লেখার শিরোনাম বৌদ্ধ ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ…… না হয়ে বৌদ্ধদের জঙ্গিবাদ ……… হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত ছিল।
@লিটন বড়ুয়া,
অসাধারন বলেছেন। (Y)
@লিটন বড়ুয়া,
না, আমার মনে হয় মোটেই এমন হওয়া যুক্তিযুক্ত নয় – অত্যন্ত সঙ্গত কারণেই এমন শিরোনাম হওয়া অযৌক্তিক।
আমি এই মুহুর্তে মায়ান্মার বা বার্মা অবস্থান করছি। এখান থেকে যা শুনতে পাচ্ছি এবং দেখতে পাচ্ছি, তা সাধারণ ধর্মকে পুজি করে, বিদ্বেষ থেকে কিছুটা আলাদা। এখানে জাতিগত ব্যপারটাও মিশে রয়েছে।
আমি আছি রেঙ্গুনে, এখানে ব্যবসায়ীরা মুলত মুসলমান। আর তাদের ব্যবসায় কাজ করা শ্রমজীবীরা প্রায় সবাই বৌদ্ধ। তাই যেসব সহিংসতা বার্মার সীমানা সংলগ্ন প্রদেশে ঘটে, তার আঁচ এখানে খুব একটা পড়ে না। তবে এরপরও এখানে খুব অল্প করে হলেও পরিবর্তন আসছে। আগে মিশ্র বিবাহগুলি খুব সাধারণ ছিল। কিন্তু এখন মুসলমানেরা এখানে একটু সন্ত্রস্থ। সবাই আর এই ধরণের ঝামেলায় জড়াতে চায় না।
এখানে এসে ৯৬৯ বলে একটি গ্রুপের কথা জানলাম যারা ইদানিং অনেকটা উগ্র বার্মা জাতির কথা বলে। রাখাইন এবং বাংলীরা এদের প্রধান টার্গেট। তবে যেহেতু এদের মধ্যে বেশিরভাগ মুসলমান, তাই সাম্প্রদায়িক চেহারাটা বেশ পরিস্কার। এরা দুই সপ্তাহ আগে এক মাদ্রাসায় ঢুকে তার মৌলবীকে খুন করে যায়। কেউ পাল্টা একটা কেস করার কথাও চিন্তা করেনি। কারণ সবাই জানে এদের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা আছে।
http://en.wikipedia.org/wiki/969_Movement
@প্রতিম লালা,
এটা ঠিক শহরে বসে বোঝা যায়না দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আসলেই কি ঘটেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ first hand অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আমাদের অবগত করার জন্য।
আগে বুখারি শরীফের জিহাদ সম্পর্কিত হাদিস এবং কোরানের মাদানী সূরাগুলো পড়েন, তারপর দেখেন আপনার কথা কতটুকু সত্য ?
@হৃদয়াকাশ,
আপনি নিজে পড়ে গবেষণা করেছেন……… নাকি বিভিন্ন ব্লগ কিংবা আর্টিকেলের লেখা দেখে বলছেন 🙂 আশা করি এ সম্পর্কে আপনি একটা লেখা লেখবেন 🙂
@হৃদয়াকাশ,
আপনি যে অংশটা quote করেছেন, লেখকের এই কথাটার সাথে আমারো দ্বিমত আছে 🙂 । তবে আপনার উদাহরনটা আরো বেশি চমৎকার হত যদি আপনি হাদিস এবং কোরানের পাশা পাশি, বাইবেলের উপমাটাও দিতেন!
ওল্ড টেস্টামেন্টকে আমি সন্ত্রসাবাদ গ্রন্থ ছাড়া কিছুই বলব না। হাদিসের কথা বাদ দিয়ে কোরান নিয়ে যদি কথা বলেন তবে কোরানে ( বর্তমান ভার্সনে) কিন্তু পাথর মেরে হত্যার কথা নেই , অথচ ওল্ড টেস্টামেন্টে সেটা আছে।
বাবার পারে শিশু সন্তান কে আল্লাহ বা ঈশ্বর হত্যা করেছেন এমনটা কোরানে কেন, হাদিসেও মনে হয় না পাবেন, যা সুন্দ্র ভাবেই ওল্ড টেস্টামেন্টের ঈশ্বর করে দেখিয়েছেন এবং গর্ব করে বলেছেনও। দাউদের ব্যভিচারে কাহিনী আর তার ফলশ্রুতিতে দাউদের শিশু সন্তানকে ( বাইবেলের ভাষায় জারজ সন্তান) সদাপ্রভু কর্তৃক সংহার, এই কাহিনীটা পড়া আছে তো? না পড়া থাকলে বড়ে নিবেন দয়া করে।রাজাদের কাহিনীতে পাবেন এই মহানুভবতার (!) কাহিনী।
Judges এর বিবাহিত নারী আর শিশু হত্যার ঈশ্বরীয় নির্দেশ আগেই কাকে যেন করা মন্তব্যে পোষ্ট করেছিলাম। এটার পুনরাবৃত্তির দরকার দেখছি না। এই বয়ের ২১ অধ্যায় টা পড়বেন, সব পরিষ্কার ভাবে জানবেন। এখানে কিন্তু কিভাবে অবিবাহিত মেয়েদের জন্য ঝোপের ( বর্তমানে কালের পাটের ক্ষেত? ) আড়ালে ঈশ্বরের ভক্তরা অবস্থান করবেন, আর তাদের তুলে নিয়ে রেপ করতে হবে, সেই সুন্দর পরিকল্পনাটা ঈশ্বর নিজেই করেছিলেন। পড়ে দেখুন, একটুও বাড়িয়ে বলছি না।
:-s
কাজেই যখন কারো সাথে দ্বিমত করতেই হয় তখন যদি আরো সবিস্তারে কিছু তথ্য দেন, তবে সেটা অনেক বেশী নির্মোহ হয় আর সেটা পড়তে সবাই বেশী স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে, আর দ্বিমত কারির সততা আর উদ্যেশ্য সম্পর্কেও কারো কোন প্রশ্ন থাকে না। 🙂 ! ভাল থাকবেন।
@অর্ফিউস,
হৃদয়াকাশ, পড়ুন বাবার পাপে। 🙂
@অর্ফিউস,
আপনি যদি জোকার নায়েককে এই রকম একটা প্রশ্ন করেন যে, ইসলামে তো নারীরা অবহেলিত, পক্ষপাতিত্ব আর নির্যাতনের শিকার; এ ব্যাপারে আপনার মত কী ? তাহলে শুধু জাকির মিয়া না তামাম ইসলাম ডিফেণ্ডার এই বলে শুরু করবে যে, দেখুন, কোরান হাদিস নারীকে যে সম্মান ও অধিকার দিয়েছে অন্য কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ কিন্তু দেয় নি। আপনার যদি জানের মায়া থাকে তাহলে আপনি কিন্তু এই কথার আর সরাসরি প্রতিবাদ করতে পারবেন না। এটা ঠিক কোরান হাদিস ১৪০০ বছর আগে নারীদের যে অধিকার ( শুধু সম্পত্তির অধিকার) দিয়েছে অন্য কোনো ধর্মীয় গ্রন্থ তা দেয় নি। এই না দেওয়ার ফলেই ইসলাম ছাড়া পৃথিবীর প্রায় তামাম জাতি ও ধর্ম কাগজে কলমে নয় বাস্তবে নারীদের প্রায় সকল ক্ষেত্রে সমান অধিকার দিয়ে দিয়েছে এবং নারীরা তা ভোগ করছে। কিন্তু ইসলামি দুনিয়ায় নারীরা এখনও ২য় লিঙ্গ ; এখনও ১ পুরুষ = ২ জন নারী। ইসলামে কাগজে কলমে নারীর মর্যাদা হচ্ছে মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত, কিন্তু বাস্তবে স্বামীর হাতে বউয়ের নিত্য পিটুনি।
এই ভাবে শুরু করার কারণ হচ্ছে, কোন ধর্ম গ্রন্থে কী আছে সেগুলোকে গুরুত্ব না দিয়ে ধর্ম গ্রন্থগুলোর বাণীর বর্তমান application এর দিকে তাকানো। হিন্দু ধর্ম নারীদের পিতার সম্পত্তিতে অধিকার দেয় নি। তাতে কিচ্ছু যায় আসে না। কারণ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বর্তমানে ভারতে পিতার সম্পত্তিতে ছেলে মেয়েদের সমান অধিকার।
ওল্ড টেস্টামেন্ট বা বাইবেলে কী বলা আছে তা নিয়ে আমার বিন্দুমাত্র মাথা ব্যথা নেই, যদি না সেটা নিয়ে তারা বাড়াবাড়ি করে এবং মানব সভ্যতা ক্ষতির মুখে না পড়ে। বর্তমানে জাতি হিসেবে ইহুদি, খ্রিষ্টানরা অনেক সভ্য জাতি। ওল্ড টেস্টামেন্টে আছে বলেই ওরা কাউকে পাথর মেরে হত্যা করে না। তাই যেগুলোর বাস্তবায়ন নেই সেগুলো নিয়ে কথা বলে লাভ কী ? এর চেয়ে বরং আল কায়দা, আল শাবাব, বোকো হারাম – এদের কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলা বেশি জরুরী। কারণ এসব ইসলামি সন্ত্রাসীদের কার্যকলাপে পৃথিবী অশান্ত হয়ে উঠেছে। পাকিস্তানে গির্জায় বোমা হামলায় ৬৮ জন খ্রিস্টান মারা গেছে। নিশ্চয় পাকিস্তানী খ্রিস্টানরা কোনো মসজিদে গিয়ে হামলা করে নি। কেনিয়ায় হযরত মুহম্মদের মায়ের নাম বলতে না পারায় এক ভারতীয়কে আল শাবাব জঙ্গীরা গুলি করে মেরেছে। আপনার কাছে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ ? বাইবেলে কী লেখা আছে সেটা না কোরান হাদিসের আলোকে যা অশান্তি সৃষ্টি করছে, সেটা ?
@হৃদয়াকাশ,
ক্ষেত্র বিশেষে দুটোরই দরকার আছে। এখানে লেখক ধর্মের সাফাই গাইতে গিয়ে কোন বিশেষ ধর্মকে বিশেষায়িত করেন নি কিন্তু আপনি শুধু কোরান হাদিসে কথা তুলে ইসলামকেই সিঙ্গেল আউট করেছেন, যেখান থেকে অনায়াসেই আরেকটা বিতর্কের সুত্রপাত সম্ভব যেমনটা আমি করে দেখালাম।
ইমানদার মুসলিমরা কিন্তু আমার মত আধা মুসলিম, তথা ধর্ম বিষয়ে সম্পুর্ন উদাসীন মানুষের মত করে বিতর্কটা শুরু করতো না। যেহেতু আপনি তার ধর্মকে সিঙ্গেল আউট করেছেন কাজেই ধর্মের প্রতি তার মমতা আরো বেড়ে যেত, কারন সে নিজের অস্তিত্ব কে বিপন্ন ভাবত।
সেটা তাকে তার ধর্মের নেতিবাচক দিক নিয়ে ভাবনার কোন অবকাশই দিত না কারন বিপন্ন বোধকারী মানুষ নিজের নেতিবাচক দিক নিয়ে ভাবার চেয়ে, আত্ম রক্ষায় সচেতন থাকে অনেক বেশি।
সেক্ষেত্রে ফলাফল শুন্য হতে বাধ্য।
চোখটা একটু খুলুন, দেখবেন যে শুধু মুসলিমরাই বউ পেটায় না। ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা ফুটবলার পল গ্যাসকোয়েন (যিনি গাজ্জা নামে পরিচিত) যে বাসর রাত থেকেই নিয়মিত বউ পেটাতেন সেটা তিনি নিজে স্বীকার করেছেন। উনি কিন্তু মুসলিম নন। গাজ্জার মত কাহিনী আরো অনেক থাকতে পারে, সেগুলো আপনার আমার চোখে পড়ে না কারন সাধারন মানুষদের নিয়ে খবর তেমনটা বের হয় না, অথচ তারকাদের নিয়ে এটা প্রতিদিন বের হয়।
আপনি কি হলফ করে বলতে পারবেন যে বেশিরভাগ ইমানদার মুসলিম নিয়মিত বউ পেটায়?
আমি ( এবং আপনি নিজেও হয়ত ) দেখেছি অনেক ইমানদার মুসলিমকে যারা মোটেও বউ পিটায় না এবং তাদের বউরা চাকরিও করে। হয়ত হিজাব পরেই করে, তবে সেটা কোন ঘটনা নয়।
বিকিনি যদি ব্যক্তি স্বাধীনতা হয়, তবে হিজাবও ব্যক্তি স্বাধীনতা ( যতক্ষন না বাধ্য করা হচ্ছে পরতে) !,কিন্তু এ নিয়ে আপাতত বিতর্কে যাচ্ছি না, কারন এটা লেখাটার প্রাসঙ্গিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
বাকি মন্তব্যের জবাবে এই বলব যে জাকির নায়েক নামের জোচ্চোরটাকে নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই। আর সন্ত্রাসীদের কাজ কর্মের সাথে অবধারিত ভাবেই একমাত্র ইসলামকেই সিঙ্গেল আউট করা ঠিক না। কারন উপরে বলেছি। আর আগের মন্তব্যে বাইবেলের উদাহরন দিয়েছি। এখানে প্রশ্নটা হল মানসিকতার আর সমাজ ব্যবস্থার। আর এটাকে পরিবর্তন বা নুন্যতম প্রভাব বিস্তার করতে হলে এমন কোন কিছু করা উচিত না যাতে এই সমাজের মানুষ আপনাকে প্রতিপক্ষ ভেবে বসে, আর নিজেকে রক্ষা করতে গিয়ে নিজের ধর্মের সমালচনা মুলক লেখার দিক থেকে একেবারেই মুখ ফিরিয়ে নেয়। তবে এটা অধিকতর খারাপ হতে বাধ্য।
@অর্ফিউস,
আমার মাথা ব্যথা আমাকে যে খুন করতে আসছে এবং কোন আদর্শের কারণে আসছে তা নিয়ে। কোন গ্রন্থে কী আছে তা নিয়ে নয়।
অন্যরা যে বউ পেটায় সেটা মুসলমানদের মতো ধর্মীয় কারণে নয়, ব্যক্তিগত কারণে। আর যেসব মুসলমান বউ পেটায় না, তারা মানবতাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সেটা করে । আপনি ভুলে যাচ্ছেন কেনো বউ পেটানো নিয়ে কোরানের আয়াতের কথা।
@হৃদয়াকাশ,
পিটুনি তো পিটুনিই নাকি? সেটা যে কারনেই হোক। সমস্ত মুসলিমই যে ধর্মীয় কারনেই বউ পেটায় এতটা নিশ্চিত হলেন কি করে? অন্যরা যে কারনে পেটায় মুসলিমদের অনেকের ক্ষেত্রেও তো একই ঘটনা ঘটতে পারে তাই না?
আর যে কারনেই বউ পেটানো হোক তো এইটা যে চরম অমানবিক আর অসভ্যতা সেটা নিশ্চয়ই অস্বীকার করবেন না?
কাজেই বউ পেটানো বন্ধ করতে কিছু লিখুন, শুধু শুধু ধর্মীয় কারন সুস্পষ্ট করে দেখিয়ে দিলে বউ পেটানর হার বেড়ে যেতে পারে ( যেহেতু ধর্ম মানেই ধ্রুব সত্য!!! )!! কাজেই বিশেষ কোন মতাদর্শকে সিঙ্গেল আউট না করেও এর বিরুদ্ধে লেখা যায়, এবং এতে ফলাফল অধিকতর ভাল হতেও পারে।
খুবই যৌক্তিক কথা বলেছেন এইবার। কাজেই কোন বইকে সিঙ্গেল আউট করা বাদ দিয়ে সমাজ সচেতনতার জন্য কাজ করলেই মনে হয় ফলাফল ভাল হতে পারে, কারন টা আগের মন্তব্যে ব্যাখ্যা করেছি! যদিও আপনি আমার ব্যাখ্যা মেনে নেবেন এমন কোন দাবী নিয়ে ব্যাখ্যাটা করি নি। কারন আপনার বা অন্যদের কাছে আমার চেয়েও অনেক ভাল ব্যাখ্যা থাকতে পারে। ধন্যবাদ।
সহমত। (Y)
সব ৰ্ধমের অনুসারীদের মধ্যেই জঙ্গি মনোভাবসম্পন্ন মানুষ আছে আর কয়েকটি ৰ্ধমের ৰ্ধমগ্রন্থেই জঙ্গীবাদের উপকরন বিদ্যমান ।
ভাই, এই দুইটা লাইন বুঝি নাই, টাইপো হইলে একটু ঠিক করে দিয়েন।
@তারিক,
এখানে টাইপো হয়েছে, পড়তে হবে-
“২. বৌদ্ধ মেয়েদের সাথে মুসলিম ছেলেদের বিয়ে দেওয়া যাবেনা।”
এটা ঠিক আছে – উক্ত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ভাবে segregate করার জন্য।
@সংবাদিকা,
প্রথমত, আপনার লেখাটি ভাল লেগেছে। অনেক কিছু জানতে পারলাম, ধন্যবাদ আপনাকে! বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে আমার জানার পরিধি প্রায় শুন্যের কোঠায়। বৌদ্ধরা অহিংস বলেই জানতাম। তবে যদি এদের মধ্যেও কিছু চরমপন্থীর উদ্ভব হয় এবং অতীতেও চরমপন্থা থেকে থাকে, তবে এটা খুবই দুঃখজনক!
কিন্তু এতে তো বিশেষ ভুল নেই কি বলেন? মুসলিম ছেলেরা হয়ত ধর্মান্তরিত না করেই আহলে কিতাবের মেয়েদের বিয়ে করতে পারে। এতে ইসলামে নিষেধাজ্ঞা নেই বলেই জানি। তবে বৌদ্ধদের বেলায় তো নিয়মটি খাটার কথা না, কারন এরা তো আহলে কিতাবের মধ্যে পড়ে না তাই না?
বি.দ্র. একটা কথা ছিল। বৌদ্ধদের প্রকৃত সংখ্যা কত এই দুনিয়াতে জানেন কি? আগে শুনতাম যে এরা নাকি সংখ্যায় খ্রিষ্টানদের চেয়েও বেশি!!
পরে শুনেছি যে এরা ২য় স্থানে আছে। কিন্তু আজকাল নেটে দেখছি মেলাদিন ধরেই আর তা হল এদের সংখ্যা নাকি ৫০ কোটির বেশি হবে না।ব্যাপার কি বলতে পারেন?
কেউ কেউ আগে বলত ( আমি যখন অনেক ছোট, মোটামুটি ৯০ সালের পর) যে চীনের বৌদ্ধদের বাদ দিয়ে বৌদ্ধদের গননা করলে নাকি বৌদ্ধরা সংখ্যায় গৌণ হয়ে পড়ে!! খুব ধন্ধে আছে ব্যাপারটা নিয়ে। আপনার জানা থাকলে দয়া করে পরিষ্কার করবেন ব্যাপারটা!! অন্য কেউও যদি জানেন তবে দয়া করে বৌদ্ধদের নিয়ে এইসব নানা ভ্রান্তি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবেন আমাকে!!
অফ টপিক হলেও আরেকটা কথা জানতে চাই, চীনে নাকি বেশিরভাগ লোক একই সাথে অনেক ধর্ম পালন করে ( যেমন বৌদ্ধ, কনফুসিয়াস এইসব আর কি!!) আর তাই নাকি খ্রিষ্টান রা তাদেরকে বৌদ্ধ বলতে রাজী না।খুবই কনফিউজড আমি ব্যাপারটা নিয়ে।
@অর্ফিউস,
বৌদ্ধ প্রধান রাষ্ট্র হিসেবে চীন মনে হয় তার স্থান হারিয়েছে অনেক আগেই। চীন যেমন রাষ্ট্রীয় ভাবে নাস্তিক ( রাষ্ট্রীয় ভাবে রাষ্ট্র ধর্ম উল্লেখ করা এবং রাষ্ট্রীয় ভাবে নাস্তিক ঘোষণা করা একই ক্যাটাগরির কাজ বলে আমার মনে হয় :-?)।
সাধারণ ভাবনার বিপরীতে – চীন এবং জাপানে বুদ্ধিজম মতবাদ কখনই “সর্বপ্রধান” স্থান পায়নি – যদিও অনেক সময় “অন্যতম শক্তিশালী” ছিল। চীনে কুনফুসিয়াসইজম এবং টাউইজম এবং জাপানে শিন্টোইজম মূলত প্রধান স্থানে ছিল। কম্যুনিস্ট রা গৃহ যুদ্ধে হেরে গেলে মনে হয় খ্রিশ্চিয়ানিটি একটি বড় জায়গা করে নিত।
আমার যেসব চাইনিজ অ্যাসোসিয়েট আছে তাদের সবাই এথিস্ট।
বিশ্বে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা মনে হয় ইন্টারনেট থেকে সহজেই জানতে পারবেন 🙂
@সংবাদিকা,
ধন্যবাদ আপনার উপরের কথাগুলির জন্য। হ্যা নেট থেকেই তো জানছি বর্তমানে আর সংখ্যাটা মোটেই ৫০ কোটির উপরে যায় না। মানে এইটার স্থান ৫ম। আর ঝামেলাটা এখানেই। 🙂
এতটা নিশ্চিত হলেন কি করে? কিছু যুক্তি-প্রমান দিলে ভাল হত না??
লেখার শুরুতে যে উদাহরণটি দিলেন, তা তাহলে কার জন্য?? অ্যারন বৌদ্ধ ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করেছে?? অ্যারন যখন হত্যা করেছে, তখন সে বলেছে ‘আমি ভগবান বুদ্ধকে খুশী করার জন্য বা তাঁর ডাকে সাড়া দেয়ার জন্যই একাজ করেছি’?????
আপনার টাইটেলটির সাথে উপরে উদ্ধৃত লাইনটির কোন সামঞ্জস্য আছে????
চাইলেই উদ্দেশ্য লুকানো যায় না………. আপনি বৌদ্ধ ধর্মকেও অন্যান্য ধর্মের সমান্তরালে দাঁড় করিয়ে রক্ত ও সন্ত্রাস খোঁজার প্রানান্ত চেষ্টা চালাচ্ছেন……..অনেকের ধর্মকেন্দ্রিক জাতীয়তা যেমন আক্রোশে ফেটে পড়ে……কেন আমার জাতীয়তাকেই আঘাত করা হয় সবসময়??
এর মানে এই নয় যে, বৌদ্ধ ধর্মের হাত রক্তাক্ত নয়……..কিন্তু আপনার উদ্দেশ্যটিও কিন্তু লক্ষ্য করার মত!
@কাজি মামুন,
এই পোস্টের উদ্দেশ্য এ সম্পর্কিত যুক্তি প্রদান নয়- এটা পোস্টের স্কোপের বাহিরে।
লেখার শুরুতে উদাহরণ দেওয়ার অর্থ – এই যে- এই ঘটনার জন্য একটি প্রশ্ন সবার সামনে আসছে- যে বৌদ্ধ ধর্ম পালনকারী ব্যাক্তিদের মধ্য এ ধরনের আচরণ সাধারণ পাশ্চাত্য ধারনা অনুযায়ী অনুপস্থিত- কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। গত কয়েকদিনের ওয়াশিংটন নেভী ইয়ার্ড হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সংবাদ পড়ে থাকলে আমার মনে হয় এই কথাটি আপনি বলতেন না। এই প্রসঙ্গেই বাংলাতে আনা – শুধু যারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন তাদের উদ্দেশ্য।
আপনি আবার ভুল করছেন কিংবা বুঝেছেন – আমি এই লেখায় কোন বৌদ্ধ ধর্ম সম্পর্কে কোনই অনুসিদ্ধান্ত করা হয়নি। শুধু কতগুলো ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। আর কোন কিছুই খুজতে “রক্ত ও সন্ত্রাস খোঁজার প্রানান্ত চেষ্টা” চালানো হয়নি। শুধুই যেসব ঘটনা ঘটেছে তা উল্লেখ করা হয়েছে।
————X————
আমার আর্গুমেন্ট – প্রায় সব ধর্মেই এমন ব্যক্তি আছে, যারা ধর্মের কথা বলে সাধারণ মানুষের পরাজাগতিক ধর্মীয় আবেগ কে হীন ভাবে ব্যবহার করে খুবই জাগতিক অনৈতিক কাজ কিংবা হীন-স্বার্থ সম্পাদনের চেষ্টা করে এবং এমন হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরেই।
@সংবাদিকা,
হাঃ হাঃ, কৌশলে এড়িয়ে গিয়ে তর্কের মজাটাই দিলেন বিনষ্ট করে। যাকগে, লেখাটা ভাল লেগেছে।
বৌদ্ধদের ব্যাপারে জানার সুযোগ আসেনি তবে অনেক বছর আগে ইউনিতে গ্রুপওয়ার্কে ইহুদীদের সমাজের ওপর ছোট্ট রিসার্চ করতে গিয়ে তা সচক্ষে দেখেছি। তাদের সমাজ সম্মন্ধে এর পূর্বে আমার মোটেই ধারণা ছিলনা। ইংল্যান্ডে বসবাস করে তারা এমন আলাদা জীবনপদ্ধতি মেনে চলে, দেখলে অবাক হতে হয়।
@আকাশ মালিক,
আপনাকে ধন্যবাদ 🙂
যারা কঠোর ভাবে নিজ নিজ ধর্মীয় স্কুলের অনুশাসন মেনে চলে তাদের জীবন যাত্রা শুধু আশ্চর্য নয় – মাঝে মাঝে বিব্রতকর অবস্থায়ও ফেলে দেয় অন্যদের!!!
@সংবাদিকা,
ঠিক। ঐ দিন ইহুদী সমাজের অনেকেই আমাদের সাথে কথা বলতেই কেউ রাজী হলোনা। এমন সন্দেহের চোখে তাকায় যেন আমরা কোন ভিন প্লানেটের এলিয়েন জাতীয় কিছু। সিনাগগে গেলাম, কী কঠোর নিয়ম-কানুনরে বাবা! হুজুর তাওরাত থেকে কয়েকটা আয়াত পড়ে শুনাইল। হায় আল্লাহ, এ যে হুবহু কোরান। খুব ছোটবেলা হিন্দুদেরকে বড় যন্ত্রণা দিতাম। আগে থেকেই জানি মুসলমানদের বিপরীতে চলার জন্যে হিন্দুরা কলাপাতা উল্টায়ে ভাত খায়। মুসলমান ঘরে ঢুকলে গোবর জল ছিটায়। চুরি করে সামনের দুয়ার দিয়ে ঢুকে একদম পেছন দুয়ারে দৌড়। নজরুল একদিন এক হিন্দু বিয়েতে নিমন্ত্রিত হয়েছিলেন, সেখানে একটা আশ্চর্য ঘটনা ঘটেছিল। আচ্ছা থাক সে কথা। মুসলমানরা দেখলাম হিন্দুদের বিপরীতে চলার জন্যে কচ্ছপ খায়না কারণ ওটা হিন্দুরা খায়, ধুতি পরে নামাজ পড়েনা কারণ ধুতি হিন্দুর পোশাক। মন্দিরে গেছি, গোরদোয়ারায় গেছি, চার্চেও গেলাম অনেক ধার্মিক পেয়েছি মানুষ তো পেলাম না। একই গন্তব্য একই পথের যাত্রী হিন্দুকে বললাম তুমি মুসলমান হয়ে যাও, হয়না। খৃষ্টানকে বললাম তুমি ইহুদী হয়ে যাও হয়না, মুসলমানকে বললাম তুমি শিখ ধর্ম অনুসরণ করেও বেহেস্তে যেতে পারবে, সে মানলোনা। একই পথের যাত্রী কিন্তু একজনের নৌকায় অন্যজন উঠবেনা। এরা আবার নিজেকে সাম্যবাদী অসাম্প্রদায়ীক বলে দাবী করে, কেমনে কী বুঝলাম না।
@আকাশ মালিক,
ইহুদী ধর্মে কি কনভার্ট হওয়া যায়? বিষয়টা সঠিক জানা নেই।
কি শর্বনাশ আপনি সত্যি এই কথা বলেছিলেন নাকি? নাকি রুপক অর্থে কথাটা বললেন?সত্যি যদি বলে থাকেন, তবে স্বীকার করতেই হবে যে আপনার সাহস আছে!! তা পিঠে বস্তা বেঁধে নিয়েছিলেন তো? মুসলিম কে ধর্ম ত্যাগ করার কথা বললে ধোলাই খাবার সম্ভাবনা মোটামুটি ৯৫ % 🙁 :-Y :-Y
@আকাশ মালিক,
১. সৌদি আরব হতে পরিচিত মেহমান আসলেন ছেলে-নাতি নাতনী সহ – ওখানকার অবস্থা সম্পন্ন বাঙালি ২০-৩০ বছর যাবত ওখানে আছেন- তবে আজব রাষ্ট্র – কোন ধরনের নাগরিকত্ব দিবেনা। ওনার নাতিরা বাঙলাই বলতে পারেননা। তবুও সৌদি আরবের রাজতন্ত্র এবং আরব নাগরিকগণ এই অধিকার দিতে অনিচ্ছুক।
যাই হোক, ওনার ছেলে বৌ এবং মেয়ে (বাঙ্গালী তবে ওখানে জন্ম – বাংলা বলতে পারেননা- যদিও সৌদি আরব সরকার নাগরিকত্ব দিবেনা) গায়ের মহররম ছাড়া কারো সামনে পর্দা খোলা দূরের কথা, কারও সামনেই আসবেন না । আমি এটা অবশ্যই শ্রদ্ধা করি – ওটা তাদের ব্যাক্তিগত অধিকার এবং ইচ্ছা। কোন রুমে – ডাইনিং, লিভিং, ড্রয়িং, গেস্ট, লবি, ভ্যারান্ডা কিংবা লন- বাড়ির যেখানেই থাকিনা কেন উনি ওনারা প্রবেশ করতেননা – এমনকি সঙ্গে অন্য কেউ, পরিবারের অন্যান্য সদস্য এমনকি ওনাদের স্বামী কিংবা থাকলেও আসতেন না- পর্দা করেও আসতেননা!!!! যেহেতু মেহমান – আমাকে আগে চলে যেতে হতো ওখান থেকে, এর পর আসতেন।
এর কিছুদিন পর যখন একটি বিষয় অবলোকন করলাম – এরপর কয়েকটি প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হল-
১. আপনি আপনার সহধর্মীনিকে সম্পুর্ন পর্দার ভেতর থাকতে উৎসাহ দেন – কিন্তু নিজে টি-শার্ট এবং জিন্সের প্যান্ট পড়েন কেন?? কেনই বা আপনার থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট আছে ???
২. আপনার স্ত্রী পর্দার ভেতর থেকে ঠিকই মার্কেটে যেতে পারে – কিন্তু বাসার ভেতর “পর্দার ভেতরে থেকে” কারও সাথে কথা দূরে থাক- উনি রুমে প্রবেশ করলে অন্য সবাইকে রুম হতে বের হয়ে যেতে হয় কেন ???
এটা একজন পুরুষ হিসেবে আত্মসম্মানের ব্যাপার 😕
তবে প্রশ্ন করিনি – শত হোক তারা মেহমান 🙂
তবে একবার আফিস হতে আসার পর আমি ডাইনিং রুমে প্রবেশ করিনি – আগে ওনাদের দুজনকে সরিয়েছি তারপর প্রবেশ করেছি :))
মেহমান এবং ওনার পরিবার- এক সপ্তাহ ছিলেন – ওটা ওনার সন্তান এবং শিশু নাতি-নাতনিদের প্রথম বাংলাদেশ ভ্রমণ এবং সম্ভবত শেষ – যদিও ওনারা বাংলাদেশের নাগরিক 🙂
আমার কাছে মনে হল – তাদের বিভিন্ন আচরণ দেখে –
সবাই আসলে ধর্মকে নিজ সুবিধা মত ব্যবহার করে – কেউই প্রকৃত জিনিসটা একেবারে গ্রহন করেনা।
২. কলিগরা মিলে এক যায়গায় গিয়েছি- একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী – পানি খেতে দেওয়া হল গ্লাসে – গ্লাস মুখে নেলনা। গ্লাসকে মুখের হাফ ইঞ্চি উপ্রে রেখে পরম অভিজ্ঞতায় গ্লাস খালি করলেন। আমার বেশ কয়েকজন সনাতন ধর্মাবলম্বী ভালো বন্ধু আছে। কাওকেও এমন করতে দেখিনি জীবনে। অথছ, সেইদিন হোস্টের কাছে, কলিগের এই আচরণের জন্য সবার বিব্রতকর অবস্থায় পরতে হল!!
এমন আসলে অনেককেই সাক্ষী হতে হয়।
@সংবাদিকা,
ঠিক। কিন্তু-
সমস্যা, সমস্যা। প্রকৃত জিনিসটা কী সেটা না হয় তর্কের বাইরে থাক। এমন ত্যানা প্যাচানী শুরু হবে যে আপনার লেখার উদ্দেশ্যটাই মাঠে মারা যেতে পারে।
যা বলছিলেন মানুষের বিচিত্র অদ্ভুত আচরণ নিয়ে। আমি অনেক সময় বলে থাকি, শিশুদের কাছ থেকে আমাদের শেখার বহু জিনিস আছে। একটি শিশুর বিশ্ববিদ্যালয় শুরু হয় তার মায়ের কোল থেকে। (ইংল্যান্ডে বা মাল্টিকালচারেল সোসাইটির) রিসেপশন বা নার্সারি স্কুলের শিশুদের ক্লাসে গেলে দেখা যায় আশ্চর্য এক জগত। জাতি ধর্ম বর্ণের কোন বালাই নেই, প্রত্যেকটা শিশু একে অপরের সাথে খেলছে হাসছে কোলাকুলি, চুমাচুমি করছে কোন ঘৃণা বিদ্বেষ নেই। ছোটবেলা থেকেই এরা বিশেষ কিছু বন্ধু-বান্ধবী বানিয়ে নেয়, একেবারে জানের জান, পরাণের পরা্ণ মত। এই শিশুটিই কয়েক বছর পরে একই ক্লাসের তার জানের জান বন্ধুর কাছ থেকে আলাদা হয়ে যায়। অবশ্যই তার ইচ্ছেয় নয়। তাকে বাধ্য করা হয়। মাত্র ৫ / ৬ বছরের শিশুকে শেখানো হয়, সাদা ইংরেজদের সাথে মাখামাখি ভাল নয়, এসেম্বলিতে নাটক গান থাকে ওগুলো জায়েজ নয়। এরা যখন সেকেন্ডারী স্কুলে যায় তখন মুখোমূখী হয় সত্যিকারের বর্ণবাদী জাতি বিদ্বেষীর, যে ছিল তারই এক সময়ের পরাণের পরাণ বন্ধু। প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক একদিন জানতে চেয়েছিলেন এর কারণ অনেক বছর আগে। এখন কোন স্কুলই আর এ নিয়ে মাথা ঘামায়না।
@আকাশ মালিক,
শুধু দুটো কথাই বলতে পারি –
১. সব রকম চিন্তার মানুষই সন্তান জন্ম দিতে পারে- তথা বাবা-মা হতে পারে। পৃথিবী আইডিয়াল নয় – যদি ঐ মানসিকতার বাবা-মা দের কথা সন্তান “আদর্শ সন্তানের” মত অক্ষরে অক্ষরে পালন করত 😕
২. প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক – বিশেষত স্বায়ত্তশাসিত কিংবা বেসরকারি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকদের প্রায় অর্ধেক – যারা নিজেদের একাডেমিক জীবনে এবং চিন্তার জগতে তেমন কৃতিত্বের সাক্ষর রাখতে পারেননি আবার কোন বিশেষায়িত ট্রেনিংও থাকেনা – বেশিরভাগই কারও বোন – শ্যালিকা – স্ত্রী কিংবা এ জাতীয় সম্পর্কের বাড়তি আয় কিংবা নিছক সময় কাটানোর জন্য এই কাজ করেন। শুনতে খারাপ লাগলেও এটা সত্যি। প্রাইমারী স্কুলে বাচ্চাদের উপর এই রকম প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকগণ বেশিরভাগ সময় খারাপ প্রভাব ফেলেন।