তৈমুরলেন সারানেভ এবং জওহঢ় সারানেভ। এই দুই ইসলামিক সন্ত্রাসবাদির কার্যকলাপে গত সপ্তাহে কার্যত অচল হয়ে গেল বস্টনের মতন শহর। মিডিয়াতে ঘুরে ফিরে সেই এক প্রশ্ন-ইসলাম এই ব্যাপারে কতটা দায়ি?
কেননা বড় ভাই এবং বস্টনের ম্যারাথন সন্ত্রাসবাদের মূলহোতা তৈমুর, আস্তে আস্তে গভীর ধর্মীয় ভাবাবেগে ভেসে, এই সন্ত্রাসবাদের কাজ করেছে-এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। এটা ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদের অঙ্গ। সেই নিয়েও সন্দেহ নেই। বিতর্ক এই নিয়ে যে এর জন্য ইসলাম নামক ধর্মের দায় কতটা?
হিন্দু, ইসলাম , খ্রীষ্ঠান সব ধর্মেই সন্ত্রাসবাদী আছে। নাস্তিক সন্ত্রাসবাদি ও আছে। কিন্ত বর্তমান পৃথিবীতে সন্ত্রাসবাদের ঘটনায় মুসলিমরা সব থেকে বেশি জড়িত এবং ইসলাম ধর্মশিক্ষা সব থেকে বেশি সন্ত্রাসবাদির জন্ম দিচ্ছে। এখানেই প্রশ্ন তোলা উচিত-এবং যে প্রশ্নের সন্ধান আমরা ৯/১১ থেকে করছি-এর পেছনে ইসলামিক শিক্ষা-কোরান বা প্রফেট মহম্মদের জীবনী কতটা অনুপ্রেরণা দিচ্ছে?
এই নিয়ে মুক্তমনা সহ অনেক ব্লগেই দিস্তার পর দিস্তা খরচ হয়েছে। অনেকেই কোরানকে মূল অভিযুক্ত করেছেন। আমি করছি না। শুধু এই কারনে যে ভগবদ গীতা কোরানের থেকে অনেক বেশি ধর্মযুদ্ধ বা জেহাদে উস্কানি দেয়। শুধু ধর্মগ্রন্থের কারনে, মানুষ সন্ত্রাসবাদি হলে, হিন্দুরা সব থেকে বেশি সন্ত্রাসবাদি হত। কারন ভগবদ গীতা সম্পূর্ন ধর্মযুদ্ধের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। সংখ্যাতত্ত্ব সেটা বলছে না। প্রতি এক কোটি লোকে মুসলিম সন্ত্রাসবাদির সংখ্যা হিন্দুদের থেকে অনেক বেশি। সুতরাং ধর্মগ্রন্থে কি লেখা আছে তা গুরুত্বপূর্ন না।
মহাভারতের যুদ্ধোত্ত্বর পর্বে যুধিষ্ঠিরের প্রতি কৃষ্ণের উপদেশ প্রাণিধানযোগ্য এবং এই ঘটনায় প্রাসঙ্গিক। সেটা হচ্ছে কোন আদর্শবাদ নিজে থেকে ভাল বা খারাপ হয় না। আদর্শবাদের প্রয়োগ এবং ধারকের ওপর নির্ভর করে আদর্শবাদ সমাজের উপকার না ক্ষতি করবে।
বরং আমাদের বিশ্লেষনের অভিমুখ হওয়া উচিৎ সমাজবিজ্ঞানের লেন্সে। আমাদের দেখা উচিৎ, আমেরিকার এই হোম গ্রোন টেররিস্টদের প্যাটার্নটা কি। কেন তারা আমেরিকান সমাজে গ্রহীত হওয়ার পরেও, আমেরিকাতে এত ভাল জীবন পাওয়ার পরেও আমেরিকার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে লিপ্ত হচ্ছে। কেন তারা এত আপাত নিরীহ ভাল চরিত্রের যুবক হওয়া সত্ত্বেও কট্টর মুসলমানে রূপান্তরিত হচ্ছে?
ধর্ম খারাপ না-কিন্ত কট্টঢ় ধার্মিক নিশ্চিত ভাবেই খারাপ। এখন এক্ষেত্রে একটা সস্তার তত্ত্ব হচ্ছে ইসলামে শক্ত “ইমান” এর ওপর জোর দেওয়া হয়। বা ইসলামের ধারনা গুলি টোটালটারিয়ান। বা ইসলাম একটা সম্পূর্ন জীবন ও রাজনৈতিক দর্শনের দিশা দেখায়। এগুলো সব আপাত সত্য। কারন হিন্দু ধর্মও সম্পূর্ন। মহাভারতে যে সম্পূর্ন জীবন এবং রাজনৈতিক দর্শনের শিক্ষা আছে, তা ইসলামের থেকে অনেক বেশি বৃহৎ এবং সম্পূর্ন। এই ধরনের সম্পূর্ন পূর্নাঙ্গ জীবনের দর্শনের সন্ধান সিন্ট, কনফুসিয়াস বা জেন সহ অনেক দর্শনেই পাওয়া যাবে। এবং এই ধর্মগুলিও সন্ত্রাসবাদের জন্ম দিয়েছে ইতিহাসের নানান সময়ে। সুতরাং ধর্মীয় উগ্রতা ইসলামের একার ভূষন না। আবার এটাও সত্য, বর্তমান সময়ে অন্যান্য ধর্মে উগ্রতা ক্রমে আসলেও ইসলামে সেটা ক্রমবর্ধমান।
ভাববাদি বিশ্লেষনে কাজ হবে না। আমাদের বস্তুবাদি চোখেই দেখতে হবে ইসলামের সমস্যা কোথায়। এখানে ইতিহাসের এবং অর্থনীতির ভূমিকা কি?
(১) প্রথমে আমেরিকার প্রসঙ্গে আসা যাক। মেজর নাদাল হোসেন, ফায়জাল ( নিউউয়ার্ক টাইমস্কোয়ার বোম্বিং) বা তৈমুরের মধ্যে একটা সাধারন থ্রেড আছে। এদের প্রত্যেকেই আমেরিকাতে নিসঃঙ্গ ছিলেন। দেখা যাচ্ছে এদের বৈবাহিক জীবন সুখের হয় নি। এটা ডিম না মুরগী আগের সমস্যা। এটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই এদের রক্ষণশীল মনোভাবের সাথে কোন আমেরিকান মেয়েদের মানিয়ে নেওয়া সম্ভব ছিল না। ফলে এরা এদের ব্যার্থ ফ্যামিলি লাইফের জন্য পাশ্চাত্য জীবনকেই দায়ী করেছেন এবং ক্রমশ আরো কট্টর ইসলামিক জগতে ঢুকেছেন।
এই ধরনের ঘটনা রক্ষণশীল হিন্দুদের মধ্যেও দেখেছি। তারাও আমেরিকাতে এই সমস্যার জন্য আরো বেশি রক্ষণশীল হিন্দু ধর্মে ঝুঁকেছে। কিন্ত কোন হিন্দু তারজন্য আমেরিকাকে বম্বিং করার চেষ্টা করে নি। যেটা একমাত্র মুসলিমদের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে।
এর কারন কাষ্মীর, চেচেন ইত্যাদি বিচ্ছিন্নাবাদি আন্দোলনগুলি কট্টরপন্থি ইসলামিক সন্ত্রাসবাদিরা হাইজ্যাক করে নিয়েছে। ফলে কোন কট্টর মুসলমান যুবকের মনে, যে পৃথিবীটাকে দেখেনি বা চেনেই না-তাকে কব্জা করে সন্ত্রাসবাদি বানানোর একটা লজিস্টিক সাপ্লাই লাইন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং চেচেনিয়াতে আছে। ফলে তেল যেখানে আছে-সেখানে দেশলাই ছুঁড়লে আগুন ধরবেই।
(২) মুসলিম পরিবার গুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রে অজ্ঞান এবং অন্ধকারে ডুবে থাকা দেশগুলি থেকে আসছে-যেখানে মুক্তবুদ্ধির চর্চা নেই। প্রতিটা ধর্মেই ভাল এবং খারাপ দিক আছে। যে সমাজ সেই খারাপদিকগুলির দিকদর্শনের সুযোগ দেবে না-সেই সমাজে কট্টরপন্থা স্বাভাবিক। বাংলাদেশে যেসব ব্লগার ইসলামের অন্ধকার দিকগুলি নিয়ে লেখা শুরু করেছিল, তাদের জেলে ভরা হল। ধর্ম বা রাজনৈতিক দর্শনের সমালোচনার পরিবেশ না তৈরী হলে, লিব্যারাল বা উদার সমাজ তৈরী হবে কি করে? আর উদার রাষ্ট্রে না জন্মালে, ধর্মের খারাপ দিকের সাথে পরিচয় না থাকলে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের খারাপদিকটা একজন উঠতি যুবক কি করে বুঝবে?
ইমানের দোহাই দিয়ে যেমন একজন হিন্দুকে গরুর মূত্র সেবন করানো যায়-ঠিক তেমন ই ইমানের চাপে একজন মুসলিমকে ধর্মসন্ত্রাসী বানানো সব থেকে সহজ কাজ। ধর্মের যে বাজে দিক থাকতে পারে সেটাই সে বোঝে না বা বুঝতে ভয় পায়।
(৩) তেলের অর্থনীতি এবং রাজনীতি এর জন্য আরো বেশি দায়ী। মধ্যপ্রাচ্যের তেলের জন্য বা ঠান্ডা যুদ্ধের দিনে অধিকাংশ বিদেশী রাষ্ট্র, সেখানে গণতন্ত্র এবং জাতীয়তাবাদকে আসতে দেয় নি। ফলে সামন্ততান্ত্রিক থেকে ধণতান্ত্রিক সমাজের উত্তোরনের ব্যাপারটা মুসলিমদেশগুলিতে আটকে গেছে। পাকিস্তানের সাথে ভারতের তুলনা করলে এটা আরো ভাল বোঝা যাবে। পাকিস্তানকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানাতে সব থেকে বেশি বড় ভূমিকা ছিল আমেরিকার। এর ফলে পাকিস্তান শাসন করে ডজন খানেক পরিবার। সেখানে যে শ্রেনী সংগ্রাম আছে, তা জিহাদি সংগ্রামের রূপ নিয়েছে।
বাংলাদেশেও দেখা যাবে সেই এক সমস্যা। ঠিক ঠাক ভাবে ধনতান্ত্রিক সমাজের বিকাশ সেখানে হচ্ছে না। উদার গণতন্ত্র এবং ধনতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক। ইসলামিক রাষ্ট্রগুলি ব্যার্থ-এর মূল কারন মুসলিম দেশগুলিতে রাজনৈতিক দলগুলির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আরো ভাল ইসলামিক রাষ্ট্র। অর্থাৎ ভাববাদি গ্যাঁজা সেবন করিয়ে, লোকের পকেট কাটা।
আধুনিক উৎপাদনশীল উদার রাষ্ট্র তারা চাইছে না। বিসমিল্লা ব্যাঙ্ক খুলে যদি লোকের ১২০০ কোটি টাকা মারা যায়, কাঁহাতক কে সৎ পথে ব্যবসা করবে? তার থেকে বিসমিল্লা আর ইসলামের নামে পার্টি চালনা করা ভাল। ইসলামিক দেশগুলি এই অন্ধকার পথেই হাঁটছে এবং মধ্যপ্রাচ্য সহ অনেক বিদেশী শক্তির মদত পাচ্ছে। কারন এই ভাবে দেশগুলি যদি ধর্মের আফিং এ মেতে থাকে, তাতে এদের শাসক শ্রেনীকে কন্ট্রোল করে, লুঠপাট করা সহজ কাজ।
ফলে ইসলামিক দেশগুলিতে খাদ্যদ্রব্যের সংকট তীব্র না হওয়া পর্যন্ত এই ধরনের ভাববাদি রাজনীতি চলতে থাকবে। একমাত্র পেটের আগুন, তাদের বস্তুবাদি রাজনীতির সন্ধান দিতে পারে। যদ্দিন এমন না হচ্ছে তদ্দিন মুসলিমদেশগুলি চালাবে বিসমিল্লার নামে পকেটকাটা চোরেরা। আর তাদের টেকাতে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ এবং শরিয়া হবে অপরিহার্য্য।
বিপ্লব পাল,এভাবে মোবাইল বা অন্যান্য নেটওয়ার্কে নজরদারি সুস্পষ্ট ব্যক্তিস্বাধীনতা লঙ্ঘন নয় কি?তবুও গ্রাহকের কল রেকর্ড বা ইমেইল আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা গুলো নজরদারি করছে বলে অভিযোগ আছে।
@আল তৌফিক,
একদমই না। এগুলি মেশিন দিয়ে করা হয়। পুরোপুরি অটোমেটেড।
একটা নতুন খবর আছে যা এক্সপ্লোসিভ। দেখান যাচ্ছে তৈমুর তার মায়ের সাথে জিহাদ দিয়ে আলোচনা করেছেন।
http://uk.reuters.com/article/2013/04/28/uk-usa-explosion-wiretap-idUKBRE93R00H20130428
মা ছেলেকে উৎসাহিত করেছেন কি না বলা যাচ্ছে না। কিন্ত এইভাবে পরিবার থেকে জিহাদে উস্কে দেয় প্যালেস্টাইনে, বা লেবাননে হামাসের লোকেরা। এগুলি খুব খারাপ এবং আমার মনে হয় এর প্রতষেধক হচ্ছে, ব্যাপক হারে মোবাইল এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে নজরদারি/
@বিপ্লব পাল, আমার মনে হয় আমরা বাকস্বাধিনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না । বরং এসকল কিছুর জড় হচ্ছে দুটো – স্বল্পশিক্ষিত/অশিক্ষিত মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে রাজনীতি এবং মাদ্রাসা শিক্ষা, যা একটি আরেকটির পরিপূরক হিসেবে আপনিও স্বীকার করেন ।
@বিপ্লব পাল,
আপনার এই কথার সাথে ১০০% একমত ।
আসলে ইসলামের চেয়ে বোধহয় রাজনৈতিক নোংরা উদ্দেশ্যই এর চেয়ে বেশি দায়ী।এখানে ইসলাম বা কুরান স্রেফ একটা যন্ত্রবিশেষ যা কার্যসিদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।উদাহরণ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের উদার মুসলিম দেশগুলোর কথা ধরা যায়।এদের কোরান আলাদা নয়।কিন্তু এরা জীবনযাত্রাকেই নিজের সুবিধার্থে পরিবর্তন করেছে।
@বিপ্লব পাল,
মুসলিম মৌলবাদীদের প্রতি এই এপিজমেণ্ট আর কতদিন ? এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মুসলমানরাই । সমস্ত পৃথিবীতে ধর্মান্ধ মানুষদের ভেতর সর্ববৃহত্ হচ্ছে মুসলিমরা । একমাত্র তেলের পয়সায় ধনী কিছু এশীয় রাজপরিবার ও তাঁদের শুভানুধ্যায়ীগণ ছাড়া পৃথিবীর অর্থনীতিতে মুসলিমদের অবস্থান কতটুকু এগিয়েছে ? প্রযুক্তি জ্ঞান ও ব্যবহারে মুসলিম সমাজ পেছানো । পৃথিবীর সর্ববৃহত্ অশিক্ষিত জনগোষ্ঠীও মুসলমানরা । তাছাড়া অন্য জনগোষ্ঠী ও ইসলামের সমালোচকদের প্রতি তাদের অসহিষ্ঞুতা, নারী ও সেক্যুলারিজমের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গী এবং অব্যাহত সন্ত্রাসবাদের কারণে সমস্ত পৃথিবীতেই মুসলিমদের প্রতি একটি চাপা ঘৃণা লক্ষ্য করছি ।
আপনার লেখাটিতে মুসলমানদের প্রতি নমনীয়তা দেখছি । এটি অবশ্য ভারতের জন্য সঠিক । ভারতের মুসলমানদের প্রতি আমারও সহানুভুতি রয়েছে । কিন্তু মুসলিমরা যেখানে সংখ্যাগুরু সেই বাংলাদেশ-পাকিস্তানের জন্য ‘কড়ক` লেখা প্রয়োজন । একটা সময় ছিলো যখন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ঞাঙ্গরা শ্বেতাঙ্গদের স্কুলে ছেলেমেয়েদের পাঠালে শ্বেতাঙ্গদের ‘অনুভূতিতে আঘাত লাগতো`, ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার` দরুণ গোঁড়া খ্রিশ্চ্যান পন্থীরা স্কুলের পাঠ্যসূচিতে বায়োলজিসহ বিজ্ঞানের অনেক বিষয়কে নিষিদ্ধ করতো । কিন্তু সেক্যুলার নাগরিক অধিকার পন্থী ও বিজ্ঞানপন্থীদের চেষ্টায় সে অবস্থান থেকে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র বের হয়ে এসেছে, তা না হলে এই দেশটি আজকের বর্তমান অবস্থায় পৌঁছাতো না । তাই সমালোচনা শুনতে যত খারাপ লাগুক না কেনো মুসলিমদের ভালোর স্বার্থেই আমাদেরকে কঠোর সমালোচনা চালিয়ে যেতে হবে বলে মনে করি ।
@khurshid,
ধর্মীয় অনুভূতি অস্তিত্বহীন। কিন্ত হুঠাট করে হজরত মহম্মদ পিডোফিলিক যেহেতু তিনি ৯ বছরের আয়েশাকে বিয়ে করেছিলেন-এই ধরনের কথাবার্তা বাংলাদেশী সমাজের জন্য সমস্যা হতে পাঁড়ে। আমার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ধর্মকে রাজনীতি থেকে আলাদা করে না দেখা। সেটা করলে সব থেকে বড় ভুল হবে।
আপনার লেখা চমত্কার ও বিশ্লেষণধর্মী । তবে একটি বিষয় সম্ভবত: বাদ পড়ে গেছে – সেটি হচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষা । আপনার নিশ্চই ধারণা আছে যে হাণ্টার সাহেব ‘দি ইণ্ডিয়ান মুসলমানস`-এ কি কি বিষয় উল্লেখ করেছিলেন, বিশেষ করে আধুনিক শিক্ষার বিষয়ে হিন্দু ও মুসলিমদের বিপরীতধর্মী আচরণের প্রসঙ্গে । ধর্মীয় বিষয়ে মুসলিমরা এত স্পর্শকাতর যে ব্রিটিশরা যেখানে হিন্দু ধর্মীয় সংস্কৃতির ক্ষেত্রে একটির পর একটি পরিবর্তন আনতে বাধ্য করেছে সেখানে তাঁরা মুসলিমদের ধর্মীয় বিষয়ে স্পর্শ পর্যন্ত করেনি । ভারতে পারিবারিক আইনের ক্ষেত্রে যেখানে সনাতন সমাজে সিদ্ধ এমন অনেক বিষয় পরিবর্তন কিংবা নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেখানে মুসলিম পারিবারিক আইনে উল্লেখ করার মতো পরিবর্তন আনাই হয়নি । এতে মুসলিম মোল্লারা খুশি কিন্তু মুসলিমদের কোন উন্নতি তো হয়নি বরং এদের আধুনিক শিক্ষার অভাবের কারণে ভারতের নিজেরও যথাযথ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটেনি । হায়দারাবাদ ভারত তথা উপমহাদেশের অন্যতম বৃহত্ নগরী, একই সাথে ভারতের সর্ববৃহত্ মুসলিম জনষংখ্যাসমৃদ্ধ নগরী । এখানে রাজনৈতিকভাবে মুসলমানরা সবচেয়ে প্রভাবশালী । এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম রাজধানী এই নগরীতে বিভিন্ন আইটি সেক্টরে চাকুরিরত মুসলিম ছেলেমেয়েদের সংখ্যা কত ? কিংবা দক্ষিণ এশিয়ার ‘সিলিকন ভ্যালি` ব্যাঙ্গালোরের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি আজিম হাশাম প্রেমজির আইটি প্রতিষ্ঠান ‘উইপ্রো`তে কর্মরত মুসলিম ছেলেমেয়েদের সংখ্যা কত ? আমার জানা মতে (ভুলও হতে পারে) পশ্চিম বঙ্গে অধিকাংশ মুসলিম ছেলেমেয়েদের মাদ্রাসায় পাঠানো হয়, তাও সরকার স্বীকৃত পাঠ্যক্রমের আলিয়া মাদ্রাসায় নয়, খারিজি মাদ্রাসাগুলোতে । এসব মাদ্রাসায় বিজ্ঞান এবং গণিত অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ । এসব মাদ্রাসায় (যেগুলোকে বাংলাদেশে কওমী মাদ্রাসা বলে) ছোটবেলা থেকে যুক্তিবোধ সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলা হয় । পৃথিবীতে মুসলিমরা শিক্ষায় সবচেয়ে অনগ্রসর জনগোষ্ঠী (আফ্রিকা ও পাপুয়ার ক্ষুদ্র কিছু আদিবাসী ব্যতীত) । যে পাঞ্জাবি মুসলমানরা ব্রিটিশ যুগে উপমহাদেশের অন্যতম অগ্রসর জনগোষ্ঠী ছিলো সেখানে পৃথিবীর স্কুলে না যাওয়া শিশুদের এক-পঞ্চমাংশেরই বাস আজকের পাকিস্তানে (পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৪৮ কিংবা ৪৯ ভাগের ১ ভাগ পাকিস্তানি) ।
আপনি গীতা সহ অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের কথা উল্লেখ করেছেন, আপনি ভালো করেআপনার লেখা চমত্কার ও বিশ্লেষণধর্মী । তবে একটি বিষয় সম্ভবত: বাদ পড়ে গেছে – সেটি হচ্ছে মাদ্রাসা শিক্ষা । আপনার নিশ্চই ধারণা আছে যে হাণ্টার সাহেব ‘দি ইণ্ডিয়ান মুসলমানস`-এ কি কি বিষয় উল্লেখ করেছিলেন, বিশেষ করে আধুনিক শিক্ষার বিষয়ে হিন্দু ও মুসলিমদের বিপরীতধর্মী আচরণের প্রসঙ্গে । ধর্মীয় বিষয়ে মুসলিমরা এত স্পর্শকাতর যে ব্রিটিশরা যেখানে হিন্দু ধর্মীয় সংস্কৃতির ক্ষেত্রে একটির পর একটি পরিবর্তন আনতে বাধ্য করেছে সেখানে তাঁরা মুসলিমদের ধর্মীয় বিষয়ে স্পর্শ পর্যন্ত করেনি । ভারতে পারিবারিক আইনের ক্ষেত্রে যেখানে সনাতন সমাজে সিদ্ধ এমন অনেক বিষয় পরিবর্তন কিংবা নিষিদ্ধ করা হয়েছে সেখানে মুসলিম পারিবারিক আইনে উল্লেখ করার মতো পরিবর্তন আনাই হয়নি । এতে মুসলিম মোল্লারা খুশি কিন্তু মুসলিমদের কোন উন্নতি তো হয়নি বরং এদের আধুনিক শিক্ষার অভাবের কারণে ভারতের নিজেরও যথাযথ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটেনি । হায়দারাবাদ ভারত তথা উপমহাদেশের অন্যতম বৃহত্ নগরী, একই সাথে ভারতের সর্ববৃহত্ মুসলিম জনষংখ্যাসমৃদ্ধ নগরী । এখানে রাজনৈতিকভাবে মুসলমানরা সবচেয়ে প্রভাবশালী । এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম রাজধানী এই নগরীতে বিভিন্ন আইটি সেক্টরে চাকুরিরত মুসলিম ছেলেমেয়েদের সংখ্যা কত ? কিংবা দক্ষিণ এশিয়ার ‘সিলিকন ভ্যালি` ব্যাঙ্গালোরের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি আজিম হাশাম প্রেমজি, যিনি একজন মুসলিম, তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান ‘উইপ্রো`তে কর্মরত মুসলিম ছেলেমেয়েদের সংখ্যা কত ? আমার জানা মতে (ভুলও হতে পারে) পশ্চিম বঙ্গে অধিকাংশ মুসলিম ছেলেমেয়েদের মাদ্রাসায় পাঠানো হয়, তাও সরকার স্বীকৃত পাঠ্যক্রমের আলিয়া মাদ্রাসায় নয়, খারিজি মাদ্রাসাগুলোতে । এসব মাদ্রাসায় বিজ্ঞান এবং গণিত অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ । এসব মাদ্রাসায় (যেগুলোকে বাংলাদেশে কওমী মাদ্রাসা বলে) ছোটবেলা থেকে যুক্তিবোধ সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলা হয় । পৃথিবীতে মুসলিমরা শিক্ষায় সবচেয়ে অনগ্রসর জনগোষ্ঠী (আফ্রিকা ও পাপুয়ার ক্ষুদ্র কিছু আদিবাসী ব্যতীত) । যে পাঞ্জাবি মুসলমানরা ব্রিটিশ যুগে উপমহাদেশের অন্যতম অগ্রসর জনগোষ্ঠী ছিলো সেখানে পৃথিবীর স্কুলে না যাওয়া শিশুদের এক-পঞ্চমাংশেরই বাস আজকের পাকিস্তানে (পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৪৮ কিংবা ৪৯ ভাগের ১ ভাগ পাকিস্তানি) ।
আপনি গীতা সহ অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের কথা উল্লেখ করেছেন । আপনি ভালো করেই জানেন যে পৃথিবীতে পশ্চিমে কত দ্রুত ধর্মের অবলুপ্তি ঘটছে । বর্তমান সময়ে ধর্মকে সিরিয়াসলি নেয় এমন জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই (১) মুসলিম এবং (২) হিন্দু । কয়জন হিন্দু ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে জানে ? ইউরোপে পূর্বপুরুষদের ধর্মগ্রন্থ বাইবল চোখে দেখেছে এমন মানুষ কয়জন ? নিজের ধর্মগ্রন্থের শিক্ষা কি তা জানার ক্ষেত্রে ইসলাম নামক মার্শাল কাল্ট চর্চা করা মুসলিম মাদ্রাসা পড়ুয়াদের ধারে কাছেও কেউ নেই । আধুনিক শিক্ষার প্রতি বিরূপ মনোভাব মুসলিমদেরকে ক্রমাগত নিচের দিকে নিয়ে যাচ্ছে । মুসলমানদের শেখানো হয় (বিশেষত: মাদ্রাসায়) সারা পৃথিবীর অধিকাংশ ‘সম্পদ` মুসলমানদের দখলে (অর্থনীতি সম্পর্কে কি ধারণা!) । তাদেরকে পশ্চিমা সেক্যুলার রাষ্ট্রগুলোকে ‘খ্রিশ্চ্যান` বলে ভুল ধারণা পর্যন্ত দেয়া হয় সেক্যুলারিজমকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করার জন্য, যেখানে স্বয়ং খ্রিশ্চ্যান ক্লারিকরা পশ্চিমা সভ্যতাকে নাস্তিক সভ্যতা বলে মনে করে । মধ্যপ্রাচ্যে ও পশ্চিমে ‘হিন্দুনামধারী` ভারতীয় চিকিত্সক, প্রকৌশলী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক কমন একটি বিষয়, কিন্তু ‘মুসলিমনামধারী` কয়জন মেলে ? মধ্যপ্রাচ্যের তেল ফুরোলে মুসলিমদের ভবিষ্যত্ কি ? বর্তমান সময়ে বড় ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর ভেতর মুসলিমদের গড় মাথাপিছু আয় এবং মাথাপিছু গড় ক্রয়ক্ষমতা সম্ভবত: সবচেয়ে কম (যদি হিন্দুরা না হয়ে থাকে), এভাবে চললে মুসলিমরা বিশ্ব অর্থনীতি থেকে দূরে ছিটকে যাবে, যেখানে হিন্দু জনগোষ্ঠী ক্রমাগত ঈর্ষনীয়ভাবে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে । মাদ্রাসা শিক্ষা নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত এবং মুলিমপ্রধান দেশগুলো সেক্যুলারাইজড না হওয়া পর্যন্ত পৃথিবীর একটি বিপুল জনগোষ্ঠী আধুনিক সভ্যতা ও অর্থনীতি থেকে ছিটকে দূরে সরে যাবে, যা আধুনিক বিশ্ব সভ্যতার জন্য ভয়াবহ হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে ।
@khurshid,
মাদ্রাসা শিক্ষাটা ত রাজনীতিই চাপিয়েছে। হত দশকে পশ্চিম বঙ্গে সরকার, নতুন সরকারি স্কুল খুলেছে মোটে ২১০ টি, আর মাদ্রাসা ৪৫০।
এই ত অবস্থা।
সুতরাং ঘুরে ফিরে একই জায়গায় আসছে। কামাল আতার্তুকের মতন ধর্মনিরেপেক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অভাব ইসলামে আছে। এবং এর পেছনে সাম্রাজ্যবাদি ইতিহাসের ও ভূমিকা আছে।
আপনার অনেক লেখাই “জীবে দয়া করে যেইজন…” ধরণের। এই গুণ সাধারণ নয়। বাংলাদেশের প্রয়াত লেখক হুমায়ুন আহমেদের এই গুণটা ছিলঃ শত্রু-মিত্র সবাইকে ভালোবাসা (এতে তার ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যও থাকতে পারে, যা এখানে হিসাবে নিচ্ছি না)। বড় প্রেক্ষাপটে উদ্দেশ্য মহৎ নিঃসন্দেহে; তবে, এক্ষেত্রে লেখককে সেলফ সেন্সরশিপ করতে হয়েছে বলেই আমার ধারণা। ফলাফল হিসাবে কেউই হয়তো বেশি আহত হয় না, তবে তাতে কারো কাজে লাগে কিনা তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
বুঝা যায় আপনার ঝুলিতে অনেক তত্ত্ব আছে কিন্তু আপনি তার প্রয়োগ চান না। মানবপ্রীতি হিসাবে সংখ্যালঘুর প্রতি আপনার আলাদা দরদ আছে, কারণ হয়তো তাদের প্রতি বৈষম্য নিজের চোখে দেখেছেন। আবার সেই একই সংখ্যালঘু গুরু হয়ে গেলে কী হতে পারে তার প্রকৃতি, আপনার সেই ধারণা প্রত্যক্ষ নয় বলেই মনে হয়। সংখ্যালঘুর প্রতি দরদ সবারই থাকা দরকার, তবে তার প্রয়োজনীয়তা অসঠিক তথ্যে প্রমাণ কি গ্রহণযোগ্য হবে?
মাঝে মাঝে আপনি চাল-ডাল মিশিয়ে লেখেন, যে পাঠক খিচুড়ি খেতে ভালবাসে তার সমস্যা নাই, কিন্তু যে পাঠক বাসেনা তাকে চাল,ডাল আলাদা করতে গিয়ে দিন বয়ে যায়।
(আমার এই মন্তব্য আপনার বেশ কিছু লেখার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য)
ভাল থাকবেন।
@তেপান্তর,
আমার বক্তব্যের বিরুদ্ধে স্পেশিফিক কিছু না লিখলে, আমাকেও ভাববাদি উত্তর দিতে হয়। যা সময়ের অপচয়। আমার লেখায় কেও খুশী বলে ত মনে হয় না।
আমি ব্লগার নই। আপনার সাথে তর্ক করার মানসিকতা, সময় কোনটাই আমার নেই। শুধু এটুকু বলি, আমি অনেক দিন ধরেই আপনাকে পর্যবেক্ষণ করে আসছি। বাকি পাঠক বিবেচনা করে দেখবে আমার কথার মাঝে কোনো সত্যতা আছে কিনা। অভিজিৎ রায়ের উচিত ছিল আপনাকে সামলানো, তিনি সেটা করতে মনে হয় আগ্রহী নন। অণেক বড় মাপের মানুষ, তাকে নিয়ে কিছু বলাও আমার শোভা পায় না। আপনারা নিজেদের মতো চলতে থাকুন, আমার আর কিছু বলার নেই। আর কমেন্টও করার ইচ্ছা নেই। ধন্যবাদ।
@অরিত্র,
একই দিনে দুদু জন লোক খালি সময় নাই বলে কলা দেখিয়ে পিছলে গেলো।
মন্তব্য করার ইচ্ছা না থাকার পরেও মন্তব্য করে শুধুশুধু সার্কাস দেখানোর প্রয়োজন কী?
যেদিন সময় করতে পারবেন হোকাস পোকাস পর্যবেক্ষন ক্ষমতা সেদিনই দেখিয়েন। ততদিন পর্যন্ত আপনার পর্যবেক্ষনের জন্য শুভকামনা। একটা পরামর্শ দেই, এরপর থেকে একটা নোটবুক রাখবেন সাথে। কোট করতে সুবিধা হবে। আমার সমস্ত ব্যাক্তি আক্রমন নামার তালিকা দেবেন, “সাইফুলের ব্যাক্তিআক্রমননামা” নামে একটা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে দেব।
@অরিত্র, যাকে অনেক বড় মাপের মানুষ বলছেন তা সত্যি হতেই পারে। মানুষের তো অনেক রকম রুপ হয়। তবে তার একটা দিকের পরিচয় পেয়েছি। ভবঘুরে নামে এক লেখক ছিলেন এখানে, তাকে বের করে দেয়া হয়েছে। মানে তিনি আর এখানে কিছু লিখতেও পারেননা, তার ব্লগেও আর ঢুকতে পারেননা, এমনকি লেখার খসরাও উদ্ধার করতে পারছেননা। কোনরকম কারনও নাকি তাকে এজন্য দেয়া হয়নি। অথচ, বেশ ভাল লিখতেন তিনি। গভীর গবেষনা আর বিশ্লেষণ তুলে ধরতেন একদম সাদা মাটা পরিসকার ভাষায়।
আবার সাইফুল কে জানে কি ভেবে বসবেন, তাই আগেই বলে রাখি, এই তথ্য আমি পড়েছি, নব যুগ ব্লগে।
@কেউ,
আপনি হয়ত নতুন যার জন্য মুক্তমনার কিছু কিছু ব্যাপার আপনার অজানা থেকে গিয়েছে। আপনার অভিযোগগুলো গুরুতর এবং এতে করে মুক্তমনার সাধারন পাঠকরা চরম মাত্রায় বিভ্রান্ত হবে, এই ভেবেই এখানে ব্যাপারগুলো পরিষ্কার করে হচ্ছে।
প্রথম অভিযোগ ভবঘুরেকে বের করা হয়েছে।
তাকে বের করা হয় নি। একজন ব্লগারের একটি পোস্টে অপ্রত্যাশিত এবং অপ্রয়োজনীয়ভাবে একটি বিশেষ জাতিসত্ত্বার জনগোষ্ঠির প্রতি উনার ব্যাক্তিগর ক্ষোভ, আক্রোশ প্রকাশ করেছিলেন, এবং সাথে সাথে আরো আগে থেকেই তার লেখার উপকরনে জাতিবিদ্বেষী উপকরনের অভিযোগ উঠেছিল যা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সত্য। এই অভিযোগে তাকে লেখক থেকে প্রদায়কের মর্যাদা দেয়া হয় যেখান থেকে কোন পোস্ট নীড়পাতায় আসতে মডারেশন প্যানেলের সম্মতির প্রয়োজন হয়। এই ব্যাবস্থা মেনে নিতে না পেরে উনি অহেতুক জল ঘোলা করতে থাকেন, যার ফলশ্রুতিতে উনার চাওয়া মতেই উনাকে গ্রাহকের মর্যাদা দেয়া হয় যেখান থেকে একজন সদস্য শুধুমাত্র মন্তব্য করতে পারেন। তারপরে থেকে উনাকে খুব একটা দেখা যায় না মুক্তমনায়। অভিজিৎ তাকে বুঝিয়ে বলার পরেও আত্নসম্মানের ধুয়ো তুলে উনি আর একটিভ থাকছেন না এখানে। তার এই অগ্নিশপথ সম্মানের সাথে নিয়েছে মুক্তমনা মডারেশন প্যানেল। আশা করছি এই ভবঘুরে ব্যাপারে আর কোন ভুল বোঝাবুঝি থাকবে না।
দ্বিতীয় অভিযোগ তাকে তার লেখা সম্পাদনা করতে দেয়া হচ্ছে না।
এটা আগেই বলা হয়েছে যে গ্রাহক পর্যায়ের সদস্য শুধুমাত্র মন্তব্য করতে পারেন। স্বাভাবিকভাবেই তার লেখা তিনি সম্পাদনা করতে পারবেন না। কিন্তুগত কিছুদিন আগে তিনি আমাদের কাছে মেসেজ পাঠিয়েছেন এই বলে যে কয়েকদিনের জন্য যাতে তাকে লেখকের মর্যাদা দেয়া হয় তাতে করে তিনি তার আগের কিছু কিছু লেখাগুলো এডিট করতে পারেন। কী কারনে সে ব্যাপারে এখানে আলোচনার অপ্রয়োজনীয়। আমরা তাকে সেই মর্যাদা দেই পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং এখনও পর্যন্ত তার সেই অধিকার বহাল আছে।
কিন্তু আপনার কথায় বোঝা যাচ্ছে তাকে যতটা ভাবা হয়েছিল তিনি তার চাইতেও অনেক ঝামেলাপূর্ণ একজন ব্লগার। যেহেতু নবযুগের মতন কিছু আগাছা ব্লগে আমাদের যাওয়া হয় না সেই সুযোগে সেখানে বেশভালো ভাবেই মুক্তমনার বিরুদ্ধে মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে। ভবঘুরে নিশ্চই এই মন্তব্য দেখবে। তার জ্ঞ্যাতার্থে বলছি ভবিষ্যতে যদিও কোন সম্ভাবনা ছিল আপনার পুনরায় লেখকের মর্যাদা ফেরত পাওয়ার এখন সেটাও হারালেন। মুক্তমনার মাধ্যমে নিজের চেহারা এডভার্টাইজ করবেন, নিজের গা বাঁচিয়ে সুযোগমত মুক্তমনার বিরুদ্ধে পেছনে যেয়ে অপপ্রচার করবেন সেটা কোনভাবেই সহ্য করা হবে না।
অপ্রাসঙ্গিকভাবে এই পোস্টে অনাকাঙ্ক্ষিত আলোচনা করতে হল বলে লেখকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আশা করব সবাই পোস্টের দিকে মনযোগ দিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহন করবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
-মুক্তমনা মডারেটর
পঞ্চাশ থেকে ষাটের দশকে বিশ্বব্যাপী মানুষকে মুক্ত করার যে আন্দোলন হয়েছিল তাকে নাখোদা কমিউনিষ্ট আন্দোলন বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছিল। তখম মুসলানেরা আমেরিকার খপ্পরে পড়ে ওই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে। মুসলমানেরা মনে করতো কমিউনিষ্ট আন্দোলন ছিল ইসলামের বিরুদ্ধে। তাই ইসলামী বিশ্ব আমেরিকাকে সমর্থন করেছে। সোভিয়েত রাশিয়া ভেংগে যাওয়ার পর এবং ইউরোপের সমাজবাদী দেশগুলোতে পরিবর্তন আসার পর আমেরিকা এখন তার এক সময়ের মিত্র ইসলামের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নেমেছে। এখন কমিউনিষ্টরা আমেরিকার সাথে হাত মিলিয়েছে ইসলাম আর মুসলমানের বিরুদ্ধে। এখন বিশ্বব্যাপী যেখানেই যা কিছু হচ্ছে তার দায় মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে মুসলমানরা সন্ত্রাসী।
তালেবান আর আলকায়েদা সৃষ্টি করেছে আমেরিকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে। লাদেন ছিল বুশ পরিবারের বন্ধু। রাশিয়া পরাজিত হওয়ার পর লাদেন বোঝা হয়ে গেছে। তাই লাদেনকে বিদায় নিতে হয়েছে। সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের নেতা চে গুয়েবারার সাথেও একই ব্যবহার করা হয়েছে। ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে এখন যুদ্ধ আমেরিকা শুরু করেছে তাতে সায় দিয়েছে ক্যাপিটালিজম+কমিউনিজম+সেক্যুলারিজম+হিন্দুইজম। যুদ্ধের নাম দিয়েছে সন্ত্রাস বিরোধি আন্দোলন। এই আন্দোলনের জন্যে আমেরিকা+বিশ্বব্যান্ক+ ভারত অর্থায়ন করছে। বাংলাদেশ সরকারও সন্ত্রাস দমনের জন্যে বেশ কিছু ফান্ড পেয়েছে।
@এরশাদ মজুমদার,
এটা সব থেকে বড় সত্য, যা আড়াল করলে, আজকে ইসলামিজমের বাড়বড়ন্তর অনেক কিছুই বোঝা যাবে না।
@বিপ্লব পাল, ধন্যবাদ প্রিয় বিপ্লব। আমি সুস্থ বিবেকবান আলোচনায় বিশ্বাস করি।১০০ ভাগ পরমত সহিষ্ণুতায় বিশ্বাস করি। ইদানিং বাংলাদেশের ব্লগ ও ফেসবুকে মন্দ বাক্য আর অশ্লীল শব্দ ছাড়া কিছু দেখতে পাইনা। এটা আপনাকে লক্ষ্য করে বলছিনা। আপনার উত্তরে আমি আনন্দিত হয়েছি। আমি বাংলাদেশে থাকি। জাতীয় প্রেসক্লাব কবিতা পরিষদের সভাপতি। ৫০ বছর সাংবাদিকতা করেছি। এখন কলাম লিখি আর কবিতা চর্চা করি। ৮০ সাল নাগাদ বামচিন্তার মানুষ ছিলাম। এখন ডানচিন্তার চর্চা করছি। সকল ধর্ম নিয়ে পাঠ গ্রহন করি। সকল ধর্মের মুল দর্শন একই। এটা আমার কথা নয়। সম্রাট শাহজাহানের বড় সন্তান বাদশাহজাদা মোহাম্মদ দারা শিকোহর বই ‘মাজমাউল বাহরাইন’( Mingling of Two Oceans) থেকে উল্লেখ করলাম। এই বইটি লেখার জন্যে দারার শাস্তি হয়েছিল।
Islam is a most misunderstood religion by Ktub বইতে বিশদ বর্ণনা রয়েছে। শুধু কার্ল মার্কসই বলেছেন,Islam is a radical religion.মহাত্মা গান্ধীজী ও প্রখ্যাত সমাজবাদী নেতা এম এন রয় ও বলেছেন,ইসলাম মানবতার ধর্ম।
আমাদের দেশের ইংরেজী শিক্ষিতরা ইসলাম জানেনা। আর মাওলানারা অর্ধেক জানে। ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। পশ্চিমারা এখন উঠে পড়ে ইসলামের বিরুদ্ধে লেগেছে। এক সময় কমিউনিজম গেরিলা ওয়ারের কথা বলতো। কিছু মুসলমান ওই কৌশল নিয়ে এগোবার চেষ্টা করছে। এটা ভুল পথ। তবে মনো জগতে আক্রোশের কারণে হয়ত কিছু যুবক এ পথ বেছে নিয়েছে। এ পথ সঠিক নয়। আল কোরআন ও হাদিস বহু মাত্রিক। গভীর জ্ঞান না থাকলে এর ব্যাখ্যায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা ১০০ ভাগ। সাধারন মুসলমান মানে নামাজ পড়ে ,রোজা রাখে। এরা আর কিছু ভাবেনা। যারা অর্ধেক বুঝেছে তাদের কয়েকজন অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে। তাদের শুরুতে ব্যবহার করেছে আমেরিকা। কোরআনের গভীর জ্ঞানীরা আল্লাহর সাথে প্রেমে মগ্ন। ইসলামে যেহেতু রাস্ট্র ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে,তাই একদল রাজনীতি করে। ১৫০ কোটি মুসলমানের ভিতর ১৪৯ কোটি অতি সাধারন মুসলমান। বাকিরা কেউ রাজনীতিবিদ ও শাসক হতে চায়,কেউ সুফীবাদ চর্চা করে। আর কয়েক হাজার আছে যারা বিপ্লবের মাধ্যমে ইসলামী রাস্ট্র কায়েম করতে চায়।
@এরশাদ মজুমদার,
আপনার কথাগুলি আপনার উপলদ্ধি। ইসলাম সুন্দর এবং অসুন্দর দুই হতে পারে, এর ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে। সেটাও আমি এই প্রবন্ধে লিখেছি। ইসলাম বা অন্য ধর্ম ভাল বা খারাপ দুই হতে পারে এর ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে।
তবে আধুনিক সমাজে ধর্মর আর প্রয়োজন নেই। থাকলেও ক্ষতি নেই যতক্ষন না তা রাজনীতিতে না ঢোকে। আমি অসংখ্য নাস্তিক লোকের সাথেই রোজ ওঠা বসা করছি যারা ধার্মিকদের থেকে অনেক বেশী নীতিবান, বুদ্ধিমান এবং দ্বায়িত্বশীল।
আপনার কথাটিই ঠিক-সেটা হচ্ছে একটা সহিষ্ণু সহনশীল সমাজ চাই।
@বিপ্লব পাল, আলোনা,মত বিনিময়ের মাধ্যমে জ্ঞান পিপাসুরা উপকৃত হয়। আপনাকে ধন্যবাদ। ৫০ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে আমার নাস্তিক বন্ধুকে দেখেছি। তারা জ্ঞানী ও বিনীত। তাঁদের সাথে আলোচনা করা যায়। বহু বছর আলোচনা করেছি। কিন্তু কখনই পরিবেশ তপ্ত হয়নি। আমি ধর্মে বিশ্বাস করি। অবিশ্বাসীকেও সম্মান করি। আমরা কখনই সীমা অতিক্রম করিনা। পরস্পরের প্রতি আমাদের সম্মান ও শ্রদ্ধার বোধ রয়েছে। আমি ঈশ্বর প্রেমে ডুবে থাকি। ধর্মের কারণে ধর্মহীনকে আমি অসম্মান বা অবজ্ঞা করিনা। একমাত্র জ্ঞানই মানুষকে সত্যিকারের মানুষে পরিণত করতে পারে। শুধু যুক্তি দিয়ে অন্তরে ভালবাসা বা প্রেম সৃষ্টি করা যায়না। আমি আপনার কল্যাণ কামনা করি। আপনি দীর্ঘজীবী হোন। মানব কল্যাণে নিজেকে নিবেদন করুন।
@বিপ্লব পাল, রাজনীতিতো মানুষকে শাসকে পরিণত করে। রাজনীতিকদের লক্ষ্য রাস্ট্র ক্ষমতা। আধুনিক রাস্ট্র ব্যবস্থা নাগরিকদের অমানুষ মনে করে অত্যাচার করে। প্রত্যেক রাস্ট্রই অত্যচারী। এ কারণেই আইনস্টাইন ইজরায়েলের রাস্ট্রপতি হতে রাজী হননি। ধর্মে রাজনীতির ব্যবহার আর রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার উভয়ই উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ভোটাররা যদি ধার্মিক হয় তাহলে রাজনীতিকরা ধার্মিক হয়ে যায়, এমন কি নাস্তিক রাজনীতিকও। আবার ভোটার যদি নাস্তিক বা ধর্মহীন হয় তাহলে রাজনীতিকও ধর্মহীন হয়ে যান। রাজনীতির খেলা হলো ক্ষমতার। আর জ্ঞান মানুষকে আলোর জগতে নিয়ে যায়।
@এরশাদ মজুমদার,
প্রায় ৪০ বছর আগে আমেরিকা আফগানিস্থান এ পাঠ্যবই সরবারহ দিত বিনামুল্ল্যে যা ছিল হাদিছ কুরআন সমৃদ্ধ আর ধর্মীয় ভাবাবেগকে উস্কে দেয়ার জন্য যথোপযুক্ত। সেক্যুলার আফগানিস্থান ৪০ বছরে তালেবানি রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছে। বর্তমান পৃথিবীতে ইসলাম যদি সত্যি সত্যি সন্ত্রাসবাদের ধর্ম হয়ে থাকে তার জন্য অন্তত চল্লিশ বছর পেছনের ইতিহাস ঘেটে দেখতে হবে। তথাকথিত সকল সন্ত্রাসবাদ কোনো না কোনো রাষ্ট্রযন্ত্র দ্বারা পৃষ্ঠপোষিত। ৯-১১ এর হামলা আমেরিকার “ইনসাইড জব” হিসেবে অনেক বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন এবং তাদের হাতে জোরাল প্রমান ও আছে। আপনি নিজেই বলেছেন তালেবান ছিল আমেরিকার সৃষ্টি। বর্তমানে সিরিয়া’র অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ শুধু সিরিয়া’র অভ্যন্তরীণ সমস্যা নয়, সিরিয়ান রেবেল তথা অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসীরা আমেরিকা, সৌদি আরব, জর্দান, টার্কি প্রভৃতি রাষ্ট্রে’র দ্বারা মদদপুষ্ট।
বিপ্লব পাল ইনিয়ে বিনিয়ে যে সুর গেয়েছেন এবং আপনিও তাতে তাল মিলিয়েছেন, তথাকথিত ইসলামী সন্ত্রাসবাদ মুসলমান যুবকদের মনোজগতের সংকট নাকি কোনো বিশেষ মহল অথবা রাষ্ট্রযন্ত্রের বিশেষ অভিযান তা এই ধরনের প্রবন্ধ লিখার আগে বা মন্তব্য করার আগে ভালো করে ভেবে দেখুন।
@রুদ্রাভ, ধন্যবাদ আপনার প্রতিক্রিয়ার জন্যে। আমি মিস্টার পালকে ইনিয়ে বিনিয়ে সমর্থন করিনি। তবে আমার প্রকাশ ভংগী হয়ত তেমন শক্তিশালী নয়। বিপ্লব পাল বলেছেন আগামীতে পৃথিবীতে ধর্ম থাকবেনা। থাকলেও মানুষ এতা নিয়ে মাথা ঘামাবেনা। এটা তাঁর ব্যক্তিগত মত ও বিশ্বাস। এতে আমি হস্তক্ষেপ করা সমর্থন করিনা। আমি ্চাই আমার বিশ্বাসকে কেউ আঘাত করবেনা। শান্তির জন্যে জগতে পরমত সহিষ্ণুতা বাড়াতে হবে। এখন রাস্ট্র,সমাজ ও ব্যক্তি পর্যায়ে সহিষ্ণুতা নেই। তাই জগতে এত অশান্তি । আমি বুঝতে পেরেছি ,পাল বাবু ইসলামকে একটি জংগী ধর্ম হিসাবে দেখছেন। আমি মনে করি ইসলাম শান্তির ধর্ম। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যেই এ ধর্মের আগমন। ইসলাম মানেই শান্তি। সালাম মানেও শান্তি। আমেরিকা ও তার মিত্ররা ইসলামকে ধ্বংস করার কাজে লিপ্ত হয়েছে। আমার প্রশ্ন হলো আপনারা কি আমেরিকার এ নীতি ও কর্মকে সমর্থন করেন?
@রুদ্রাভ,
না কোন বিশেষজ্ঞ না কিছু ধান্দাবাজ ইসলামিস্টগ এবং আমেরিকা বিরোধি বামেরা এমন দাবী করেছে। ৯-১১ এর কন্সিরেসি থিওরিতে বিশ্বাস করতে পাঁড়ে কিছু গোমূর্খরা। এখানে উকি লিংকটা দিলাম। আমেরিকাতে এই নিয়ে মামলা হয়েছে। জাজেরা প্রটিটা ক্লেইম ভাল করে খুঁটিয়ে দেখে উন্মাদের প্রলাপ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। আমিও সব কিছু পরীক্ষা করার পর এই ধরনের ক্লেইমকে উন্মাদের কাজ বলেই মনে করি।
http://en.wikipedia.org/wiki/9/11_conspiracy_theories
প্রসঙ্গত আমি ৯/১১ এর দিন নিউয়ার্কেই ছিলাম এবং সেন্টারের থেকে দুমাইল দূরে ছিলাম।
সন্ত্রাসের পেছনে ধর্মের অবশ্য ভূমিকা আছে তবে সেটা হচ্ছে ড্রাগ এডিকশনের। পট বা গ্যাঁজা দিকে চিকিৎসাও হয় আবার লোকে আমোদ ও করে। ধর্ম হচ্ছে সেই জিনিস। ধর্মের ফাঁদে পরে লোকে ভাল কাজ ও কড়ে, সন্ত্রাসবাদি ও হয়।
আমি অনেকদিনের পুরনো পাঠক মুক্তমনার। অনেক দিন থেকেই অনেক ঘটনা দেখে আসছি। সাইফুল মনে হয় ফরিদ আহমেদের যোগ্য উত্তরাধিকার। যে ফরিদ আহমেদ স্বনামে লেখার সাহস নেই কেন প্রশ্নে অন্যকে বিধ্বস্ত করতেন। প্রশ্নটা শুধু ফরিদ আহমদের ছিল না,ছিল সদালাপী মোল্লা সহ সকল ব্লগের ইসলামী তৌহিদী জনতার। আজ তাদের সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে, ইসলামী তৌহিদী জনতা জেগে উঠেছে, ছদ্মনামী ব্লগাররা কেউ খুন হয়ে বেচেঁছেন, কেউ জেলে পঁচছেন।
সাইফুলের প্রতি মুক্তমনা অ্যাডমিনের পক্ষপাত অনেক দিন ধরেই লক্ষ্য করছি। এই ছেলেটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার আগেই বিরাট সবজান্তা বনে গেছে। এর বিগত কয়েকবছরের কমেন্ট খেয়াল করলে দেখবেন, ব্যক্তিআক্রমন, নাম বিকৃতকরনে এর জুড়ি মেলা ভার। ফরহাদ মজহারের অনুপ্রেরণা যে সাইফুল ইসলামের ভেতরে ভালভাবেই ঢুকেছে, বোঝা যায়। আর মুক্তমনার অভিভাবক নিরব সমর্থন দিয়ে চলেছেন এই ছেলেটিকে। কিছুই বলার নেই।
(মন্তব্যটি প্রকাশ করার অনুরোধ রইল। জানি মুক্তমনা সমালোচনার ভয় করে না।)
@অরিত্র,
লুঙ্গি ফরহাদের সাথে যেভাবে জ্যামিতিক ভাবে ১৮০ ডিগ্রি কোনে অবস্থানরত ফরিদ ভাইয়ের কথা বললেন আমার গুরু হিসাবে সেকথা আপনি ছাড়া আর কেউই খরিদ করবে না।
দাদা অরিত্র, আমার চরিত্র অন্তর্জালিক চিত্রপটে মিত্রসুলভ আচরনে যেভাবে একে দিলেন তাতে আমি যারপরনাই কৃতজ্ঞ। আমি তো আমার ব্যাক্তিআক্রমনময় গত পোস্টেই বলেছি, আমি মুক্তমনার মডারেটর এডমিনদের নিয়মিত মাসোহারা দেই, তারপরেও নিয়মিত পাঠক হয়ে এরকম হঠকারী অভিযোগ কেন করছেন?
আর আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙ্গিনা এখনও ডিঙ্গাতে পারিনি একথা কেন বলছেন? কীভাবে বলছেন? তথ্যসুত্র কী? এডমিনের আলাদা দরদ পাওয়া অতি বিজ্ঞ আমি এই ব্যাপারে অজ্ঞ। আমাকে জানিয়ে বাধিত করবেন আশা করছি। কত অজানারে!
আর আপনার মন্তব্যটি ছাপিয়ে মুক্তমনা মডু আর এডমিন প্রমান করল আমার দেওয়া মাসোহারায় তারা সন্তুষ্ট নন। আর কত দেব! এদের সন্তুষ্ট করতে এখন আমার হলমার্ক কেলেঙ্কারী করা ছাড়া আর কোন উপায় দেখছি না। ওরে তানভীর কই তুই? 🙁
ধন্যবাদ জনাব।
ভালো থাকবেন।
প্রিয় দাদা অরিত্র,
আপনাদের মত কিছু ঘোর সাম্প্রদায়িক ও ইসলাম এবং মুসলমান বিদ্বেষী হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান আর দিনের বেলা টুপি দাঁড়িওয়ালা পাক্কা মুসলমান কিন্তু গভীর রাতে মুসলিম বিদ্বেষ উগরে দেওয়া লোকজনের মুক্তমনার জীবনকে সুখময় আর আনন্দবিহ্বল করার স্বার্থে আমি মুক্তমনা থেকে সরে গিয়েছি। একসময় এই ওয়েবসাইটটি আমার সন্তানতূল্য ছিল। আক্ষরিক অর্থেই একে সন্তানের মত ভালোবাসতাম আমি। তাই নিজ অস্তিত্ব লুকিয়ে রাখা অন্ধকারে বসবাসকারী কালিমাময় কিছু মানুষের অশুভ পদচারণায় এখানকার পরিবেশ কর্দমাক্ত ও বিষাক্ত হোক স্বাভাবিকভাবেই সেটা চাইতাম না আমি। সে কারণেই সেরকম কিছু দেখলে হারে রে রে করে লাঠি হাতে তেড়ে যেতাম আমি। মাঝেমধ্যে সজোরে দু চার ঘা লাগিয়েও দিতাম কোনো কোনো পাজি পাঁঠার পিঠে। কিন্তু দাদা, এখনতো আমি মুক্তমনার ত্রিসীমানাতেও নেই। আমার সামান্যতম কোনো ভালোবাসাও আর অবশিষ্ট নেই মুক্তমনার জন্য। আপনাদেরতো এখন বাধভাঙা আনন্দের সময় হবার কথা। ইচ্ছামত ইসলামের দিকে ইষ্টক বৃষ্টি ঝরাবেন আর মুসলমানদের মেরেকেটে সাফ করবেন। তা এগুলো বাদ দিয়ে খামোখা আমাকে টেনে হিঁচড়ে মঞ্চে এনে পিটানো কেনো? পিটুনি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি বলে ভেবে নিয়েছেন যে ক্ষীণবাহু হীনবল আমি? বিস্ফোরিত হবার বাসনা বিসর্জিত আমার? বিধ্বস্ত করার ক্ষমতারহিত বুঝি? সে কারণেই কি অসময়ে এই অপ্রয়োজনীয় এবং অনাহুত আক্রমণ?
ছদ্মবেশীদের প্রতি আমার মনোভাব আগের মতই আছে। আগেও যে হীন ধারণা ছিল, এখনও তাই আছে। অন্ধকারের আড়ালে নিজের পরিচয় গোপন রেখে যে অন্যের প্রতি ঢিল ছুড়ে যায়, তাকে কাপুরুষের চেয়ে বেশি মর্যাদা দিতে অক্ষম আমি। তার চেয়েও বড় সমস্যা হচ্ছে যে, আমি ধরে নেই যেই এই লোকের কোথাও না কোথাও একটা ঘাপলা রয়েছে। এই যে দেখুন ভবঘুরে নামের ব্যক্তিটি। এটা তার ছদ্মনাম। এই ছদ্মনামেও তার পোষাচ্ছে না। ছদ্মনামের উপরেও ছদ্মনাম নিয়ে চলেছে সে অবিরত। কিছু দিন আগে দেখলাম বিদ্রোহী নামে মন্তব্য করছে মুক্তমনায় । তারপর সাইফুলের হাতে ধরা খাবার পরে এই কাঠপাদ্রিটা এখন কাঠ মোল্লা নামে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সমানে কা কা করে চলেছে।
কিছু জিনিস মনে হলো বুঝতে পেরেছি আর বাকিসব এন্টেনার উপর দিয়া গেছে।
“ইসলামিক দেশগুলিতে খাদ্যদ্রব্যের সংকট তীব্র না হওয়া পর্যন্ত এই ধরনের ভাববাদি রাজনীতি চলতে থাকবে। একমাত্র পেটের আগুন, তাদের বস্তুবাদি রাজনীতির সন্ধান দিতে পারে। যদ্দিন এমন না হচ্ছে তদ্দিন মুসলিমদেশগুলি চালাবে বিসমিল্লার নামে পকেটকাটা চোরেরা।” যদি নেতৃত্বে গ্যাঞ্জাম থাকে তখন??
তবে আপনার কাছ থেকে পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যত নিয়ে একটা লেখা আশা করি।বিশেষত আপনাদের মতো জ্ঞানী লোক থাকার পরও যখন দেখি বাংলাদেশের জামাতের সমর্থনে সেখানে বিশাল জমায়েত হয়, সেখাঙ্কার অবস্থা কি ???
@অগ্নি,
পশ্চিমবঙ্গ আজ চিটফান্ডের জন্য উত্তাল। এমন হবে এই ভবিষত বানী আমি একবছর আগেই করেছিলাম-পড়ে দেখতে পারেন।
পশ্চিম বঙ্গে ইসলামিক উগ্রতা বাড়ছে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায়। বিশেষত এই তৃণমূল সরকারে জন্য। লাভ বিজেপির। ওদের ভোট বাড়বে।
আরে ভাই ধর্ম হচ্ছে মানুষকে টুপি পড়ানোর সব থেকে উৎকৃষ্ট উপায়। সারদা চিট ফান্ডের মালিক, যে আগে ছিল একজন নারী পাচারকারি-সে “মা সারদা” র নামে লোক ঠকানো ফান্ড খুললো। বাংলাদেশেও বিসমিল্লা ব্যাঙ্ক একই কাজ করেছে।
মানুষের ধর্মীয় আচরনের পেছনে আছে ব্যবসা এবং রাজনীতি। সেখানে টুঁটি না ধরলে কিছু হবে না।
কয়েকদিন ধরে খুব একটা খেয়াল করি নাই ঘটনাটা যার জন্য বলতে পারতেছি না। এদের ধর্ম সন্ত্রাস বলার মত কী কী আলামত দেখা গ্যাছে এখনও? কনফেস করল নাকি এর মধ্যেই?
সবগুলো পয়েন্টের সাথে মোটামুটি একমত হয়েও কিছু কিছু যোগ করার বা দ্বীমতের সুযোগ আছে। এবং মৌলিক দ্বীমতের সুযোগ আছে। কিন্তু এইখানে সেই আলোচনা করার আপাতত প্রয়োজন নাই বলেই ধারনা করি।
লেখা ভালো লাগছে। তবে পোস্টে মৌলবাদী নাস্তিক কাঠমোল্লা, মুসলমান বিদ্বেষীদের পদচারনা চোখে পড়ার মতন। কওমী মাদ্রাসায় পড়া অসহায় ছেলেগুলো সাথে এই মোল্লাদের পার্থক্য হল এরা তথাকথিত শিক্ষিত, এরা নিজেদের মুক্তমনা দাবী করে, এরা সচ্ছল জীবন যাপন করে, সর্বোপরী জগতের সমস্ত সমস্যা ইসলাম আর মুসলমানরাই এবং মুসলমানদের জন্য হচ্ছে এই দাবী করে। এই বিবেচনায় আমি কওমী মাদ্রাসায় পড়া ছেলেদের জন্য সমবেদনাবোধ করলেও এই দাবিকৃত মুক্তমনা মৌলবীদের করুণা করি। এদের বিরক্তি উৎপাদন করার ক্ষমতা খেতে বসে দূর্গন্ধসৃষ্টিকারী একটা পাদের চাইতেও আড়াই হাজারগুন বেশী। এদের চোখে সামনে আয়না ধরলে এরা এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে যে তখন কেউ কেউ ক্ষমা ভিক্ষা চেয়ে মান সম্মান বাঁচায়, কেউ বেয়াহার মতন ঘেউ ঘেউ করেই যায় আবার কেউ কেউ হাসের গায়ের পালকের মতন অপমান মুছে ফেরত আসে। এদের পাল্লায় পড়েছেন, আপনার জন্য সমবেদনা থাকল। ঠ্যালা সামলান!
@সাইফুল ইসলাম,
আপনার এধরনের লেখা পড়লে মনে হয় আপনি নিজেই নিজের মূল্যায়ন করছেন আসলে।
সেই পদচারনা বন্ধ করার জন্য তো আপনার নিজের একটি পোস্টে এমনকি মন্তব্য করার সুযোগ পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আপনার সাথে হেফাজতিদের পার্থক্য কোথায় তাহলে! নিজের মতের বিপরীতে যায় এমন কথা শুনবও না, বলতেও দেবনা, অল্প একটু দেব শুধু মাত্র যাতে বিষদগার করা যায় সেজন্য! এইত আপনার মনোভাব।
আলোচনা করার প্রয়োজন নেই যদি মনে করেন তাহলে দুবার করে মন্তব্য করে কি করতে চাচ্ছেন? আপনার যাদের ওপর খুব রাগ বোঝা গেল তারা কিন্তু তাদের দ্বিমতের কথাই বলছেন, আলোচনা করছেন (শুধু আকাশ মালিক মনে হয় সহমর্মিতা জানাতে এসেছিলেন, ঘটনা যে আপনি কোন দিকে ঘোরাবেন তা মনে হয় টের পেয়েছিলেন।) নাকি সেটাও অপরাধ?
আমার মনে হয় লেখকের আপনার সমবেদনার দরকার নেই। কারন তিনি কিন্তু বার বার আলোচনাই করছেন, তার মত জানাচ্ছেন, অন্নের কথা শুনছেন, শুনে নতুন কিছু জানানর থাকলে জানাচ্ছেন।এই টুকু সহনশীলতা না থাকলে আপনার সাথেই বা (আপনার প্রিয় উদাহরন অনুযায়ী) কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের আপনার পার্থক্য কি?
লেখাটি এতই বিভ্রান্তিকর, তথ্যসূত্রহীন, প্রতিক্রিয়াশীল, অনুমাননির্ভর এবং লেখাটির বক্তব্য এতই চতুর্মুখী যে শেষ পর্যন্ত পড়ে যাওয়া মুক্তমনা’র যেকোনো সুস্থ্য স্বাভাবিক পাঠকের পক্ষে অসম্ভব। সত্যি বলতে, মুক্ত-মনায় এই ধরনের যুক্তি এবং সূত্রহীন লেখা’র প্রকাশ অনেক পাঠককে হতাশ করবে।
নিহত এবং আটককৃত যুবকদ্বয় যদি এই ঘটনা ঘটিয়েও থাকে, তাদের উদ্দেশ্য এখনো জানা যায়নি। অথচ লেখক তার নিজের কথা’র মতই “দিস্তা’র পর দিস্তা” লিখে ফেললেন ইসলামী সন্ত্রাসবাদ নিয়ে।
সন্ত্রাসবাদ আর ধর্মীয় ভাবাবেগ দুটো ভিন্ন বস্তু এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি লেখকের মস্তিষ্কে’র তথ্যভান্ডারে স্থান পায়নি। ধর্মীয় ভাববাদ, বস্তুবাদ, হিন্দুবাদ, গীতবাদ অনেকগুলো বাদ এর “জগাখিচুড়ি” “বিশ্লেষণ” লেখাটিকে অপঠ্য করে তুলেছে।
@রুদ্রাভ,
একদম ই ভিন্ন না। দর্শনের ভিত্তিতে দুটীই অস্তিত্ববাদের সংকট। এটা অস্তিত্ববাদের এপিঠ আর ওপিঠ।
আপনার অবজারভেশন ক্ষমতা অতি উচ্চ মানের। সুদান ও সোমালিয়ায় ক্ষাদ্য সমস্যার কারনে সেখানে মানুয ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ এবং শরিয়া থেকে মুক্ত হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা করা বাকী দেশগুলোর জন্য।
@বোকাছেলে,
সোমালিয়া নিয়ে এই বক্তব্যটা ইতিহাসে অজ্ঞতার সাক্ষ্য বহন করে।
ইসলামিক কোর্ট ইউনিয়ান কিন্ত বর্তমানে হেরে আছে-যুদ্ধ করেই তাদের হারিয়েছে টিসিএফ।
প্রশ্ন উঠবে সিভিল ওয়ার থেকে ইসলামিক কোর্ট ইউনিয়ানের জন্ম হল কিকরে? মিলিটারী শাসক বারে কি ইস্লামিস্ট থেকে ভাল ছিল? বরং উলটোটাই সত্য। তার শাসনে প্রায় ২০,০০০ মহিলা ধর্ষিত এবং ৫০,০০০ পুরুষের মৃত্যু হয় সেনাদের হাতে। এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হিসাবে ইসল্কমিক কোর্ট ইউনিয়ান উঠে এসেছিল। এখন গৃহযুদ্ধের ফলে, তারা আবার ইতিহাসে চলে যাচ্ছে।
এই চোরাগোপ্তা মারের থেকে বাংলাদেশে যদি জামাতের সাথে সরাসরি গৃহযুদ্ধ লাগে, সেটাই ভাল হবে। কারন সেক্ষেত্রে পাকিস্তান জামাতের পক্ষে আর ভারত বাকী বাংলাদেশের হয়ে প্রক্সি যুদ্ধ লড়বে। আমার মনে হয় বাংলাদেশে মৌলবাদিদের উচ্ছেদের সেটাই উৎকৃষ্ট উপায়। সোমালিয়াতে এই কাজটা ইথিওপিয়া করেছে।
কারন দিনের পর দিন ধরে বিভিন্ন ৰ্ধমগুরুরা তাদের শিখায় “জিহাদ” হল তাদের ইমানী দায়িত্ব , সৰ্ম্পূন পৃথিবীতে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠা তাদের একমাত্র্র লক্ষ । বিৰ্ধমীদের প্রতি এত ক্ষোভ , ঘৃনা ইসললাম ছাড়া আর কোন ৰ্ধমে শিখানো হয় কিনা তা নিয়ে আমি যথেষ্ঠ সন্দিহান ।
সহমত। (Y)
@তারিক,
কোরান অনুযায়ী অবিশ্বাসী-বিধর্মী কে?
হিন্দু, খ্রীষ্টানদের কোরান অনুসারে বিধর্মী বলা যায় কি?
কোরানে আমি যদ্দুর দেখেছি বিধর্মী শব্দটা ঐতিহাসিক এবং আধ্যাত্মিক-এই দুই কনটেক্সটেই ব্যাবহার হয়েছে। যারা আল ইসলামের সাথে অস্ত্র হাতে বিরোধিতা করেছে-তাদের সরাসরি ঐতিহাসিক বিধর্মী বলা চলে। আধ্যাত্মিক কনটেক্সটে ধরলে, ব্যাপারটা দাঁড়ায় যারা ইসলামের মূল শিক্ষার বিরোধি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর অভিমূখ ছিল প্যাগান আরব সংস্কৃতির বিরুদ্ধে।
গীতাতে যেমন বিধর্মীর সংজ্ঞা অন্য ধর্ম না। ধর্মপতিত সেখানে কৌরবরা, যারা আবার পান্ডবদের ভাই। অর্থাৎ হিন্দু ধর্মে বিধর্মীর সংজ্ঞা সম্পূর্ন মানুষের কর্ম নির্ভর। কোরানে এই ব্যাপারটা ঐতিহাসিক কারনে খুব পরিস্কার না। তবে আমি যদি কোরানের বক্তব্যকে আধ্যাত্মিক শিক্ষা হিসাবে নিই-তাহলে বিধর্মীর সংজ্ঞা হিন্দু এবং ইসলামে আলাদা না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া যে মুসলমান মিথ্যে কথা বলে, চুরি করে-কোরান অনুযায়ী বিধর্মী ও সেও।
ধর্ম গ্রন্থ থেকে কে কি শিখছে সেটা গুরুত্বপূর্ন। আমি কোরান বা গীতা থেকে যা শিখব, খুব স্বাভাবিক ভাবে, তা আলেমদের থেকে আলাদা হবে।
@বিপ্লব পাল,
ভাই সাধারনত মুসলিমদের ইসলাম ৰ্ধমে অবিশ্বাসীদের বিৰ্ধমী বলতে শুনি সেটা হয়ত তারা আধ্যাত্মিক কনটেক্সটে-ই বলে । কিন্তু কথা হল আমি যতটুকু জানি, হিন্দু/খ্রিস্টান/মুসলিমদের নিজ-নিজ ৰ্ধমগ্রন্থে অন্য ৰ্ধমাবলম্বীদের প্রতি আক্রমনাত্বক উক্তির পরিমান সমান না, মুসলিম ৰ্ধমগ্রন্থে বেশি। এটা কি মুসলিমদের মধ্যে উগ্রতা/জঙ্গিবাদ সৰ্মথনের পরিমান বেশি হওয়ার কারন না ?
ভালো বলছেন । কিন্তু ঐসব ধর্মগ্রন্থ যারা মেনে চলে তারা আপনার মত বিচক্ষন দৃষ্টিতে দেখে না । বাংলাদেশের কিছু তরুন মোল্লাদের (ব্লগার রাজীব হায়দারের ৫ খুনি ও নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ভবন বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনার গ্রেফতার হওয়া নাফিস) অবস্থাতো দেখতেই পাচ্ছেন । এদের আধ্যাতিক নেতা যারা এদের জিহাদে উৎসাহ দিচ্ছে তাদের ধরতে না পারলে এই তরুন মোল্লাদের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। আপনার উল্লেখিত মেজর নাদাল হোসেন, ফায়জাল ( নিউউয়ার্ক টাইমস্কোয়ার বোম্বিং) সহ আরো অনেক জিহাদীদের উৎসাহ দেওয়ার কারনে, জিহাদীদের আধ্যাতিক নেতা আনোয়ার-আল-আওলাকি কে হত্যা করা হয় ।
@তারিক,
কেও কিছু বললেই তা সত্য হয় কি?
মানুষ যতই ধর্মীয় সূত্রের মাঝে যাবতীয় সব কিছুর সমাধান খুজে পাবার দাবী করুক, চুড়ান্তভাবে মানুষকে আশ্রয় নিতে হয় নিজের স্বাধীন বিচার বুদ্ধি বিবেকের কাছেই।
শুধুমাত্র ধর্মগ্রন্থ বা ধর্মীয় মহাপুরুষকে বর্তমান দিনের সন্ত্রাসের জন্য দায়ী করার সাথে আমিও একমত নই। আমি দায়ী করব সে মানসিকতাকে যে মানসিকতা লোকের বিচার বুদ্ধিকে তালাবদ্ধ করে রেখে ধর্মীয় সূত্রের কাছে মানসিকভাবে জিম্মী করে ফেলে সেই মানসিকতাকে। এই মানসিকতার বিকাশ কিভাবে ঘটতে পারে তার কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন।
সন্ত্রাসের উপাদান খোঁজ করলে বহু ধর্মীয় সূত্রেই হয়ত পাওয়া যাবে। তবে কোনটির ফলোয়ারদের ভেতর ধর্মীয় উদ্দীপনায় সন্ত্রাস করার প্রবনতা প্রকাশ হবে সেটা নির্ভর করে বেশ কিছু আর্থ সামাজিক উপাদানের ওপর। ইসলামের নামেও ‘৭০ এর দশকেও বোমাবাজি সন্ত্রাস তেমন ছিল না (শুধুমাত্র প্যালেষ্টাইন কেন্দ্রিক বাদে) এটা মনে রাখতে হবে।
@আদিল মাহমুদ,
এটাই আসল ব্যাপার। প্যালেস্টাইন আন্দোলন ও ধর্ম নিরেপেক্ষেই ছিল। ওটা ছিন্তাই হয়েছে কট্টর পন্থীদের হাতে যবে থেকে ইরানে কাঠমোল্লাতন্ত্র এসেছে।
অন্য ধর্মের অনুসারীদের থেকে মুসলিমদের বড় পার্থক্য হলো মুসলিমরা ধর্মের ব্যাপারে অত্যন্ত গোঁড়া। হিন্দু, খৃষ্টান, ইহুদীরা যা কয়েক শত বছর আগে ছিলো। এছাড়া একথা অস্বীকার করার উপায় নাই যে তুলনামুলকভাবে ইসলামই সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে মদদ দেয়।
ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শেষ মেষ যে আপনি কি বলেন সেটা অবশেষে একমাত্র আপনি ছাড়া কেউ বুঝতে পারে কি না সন্দেহ। মনে হয় আপনি মৌলবাদীদের মন যোগানোর তালে আছেন তাই কায়দা করে একবার ওদের পক্ষে আবার বিপক্ষে কথা বলেন , তাও আবার একই পোষ্টে , যা অবশেষে পোষ্ট টাকে জগাখিচুড়ী ছাড়া আর কিছুতে পরিণত করে না। এতে অবশ্য আশ্চর্য হওয়ার উপায় নেই কারন, যেভাবে মৌলবাদী ব্লগ আপনি সহ আরও কিছু লোককে টার্গেট করে একের পর এক নিবন্ধ ছাপে পরম ধের্য্য সহকারে তাতে তারা কিন্তু তারিফযোগ্য। তবে আপনি ইনিয়ে বিনিয়ে যতই তাদের মন যোগানোর চেষ্টা করুন না কেন , তাতে তাদের মন গলবে বলে মনে হয় না। তাই বৃথা আপনার এ চেষ্টা। ইদানিং দেখা যাচ্ছে তাদের ব্লগে ধারাবাহিক ভাবে নাম ধাম উল্লেখ করে একের পর এক নিবন্ধ ছেপে যাচ্ছে, চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে, মনে হয় তারা ইসলাম প্রচার বাদ দিয়ে অবশেষে মুক্তমনার একটা এসপার ওসপার না করে ছাড়বে না।
@কাঠ মোল্লা,
মুক্তমনা নাম গ্রহণ করে যদি, কাঠমোল্লা বা ইসলামিস্টদের “প্রগ্রেসিভ” কার্বন কপি হতে হয়, তাতে লাভ আছে কি? মুক্তমনা হতে গেলে দায়বদ্ধতা থাকা উচিত সৎ বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষনের ওপর। কোন বিশেষ গোষ্ঠিকে খুশী করার জন্য আমি লিখি না। আমি যেটা বুঝছি নিজের যুক্তি এবং জ্ঞান দিয়ে সেটাই লিখেছি। এতে অনেক হিন্দু বা নাস্তিক যারা কোরানে সব সন্ত্রাসবাদের সন্ধান পান তারা খুশী হবেন না। তাতে আমার কিছু করার নেই। আমি মুসলমান মা এর সাথে হিন্দু মায়েদের পার্থক্য দেখতে পাই না। হয়ত অন্ধ তাই। যেখানে প্রতিটা মুসলমান জীবন ধারনের জন্য আমার মতনই জীবন সংগ্রামে রত- তাদের আশা আকাঙ্খা এবং ত্রুটিগুলি আমার মতনই মানবিক-তখন এটা আমি খুব পরিস্কার ভাবেই দেখতে পাই – ধর্মের এই পার্থক্যটা সমাজ, রাজনীতি এবং স্বার্থান্বেশী শ্রেনী দ্বারা চাপানো। রাজনীতির সেই ভীমরুলের চাকে আঘাত করতে না পারলে, ধর্ম কেন, যেকোন প্রগ্রেসিভ চিন্তাও পচতে পারে। হাতের সামনেই কমিনিউজমের উদাহরন আছে। সুতরাং যেটা দরকার-সেটা হচ্ছে একটা উদার গণতন্ত্র যেখানে মানুষের অধিকার এবং বাকস্বাধীনতা স্বীকৃত। এর বিরুদ্ধে ইসলাম বা কমিনিউজম বা হিন্দুত্ববাদ দাঁড়াতেই পারে-কিন্ত টিকবে না। কিন্ত তার মানে ত এই না ইসলাম বা হিন্দু ধর্ম বা কমিনিউজমের সবটাই বাজে।
@বিপ্লব পাল,
বস্তুনিষ্ঠ তো অবশ্যই তবে সেটাও আপেক্ষিক, আপনার কাছে যেটা বস্তু নিষ্ঠ অন্যের কাছে সেটা মনগড়াও হতে পারে। কোন বিশেষ গোষ্ঠিকে খুশী করে লেখেন সেটা বলিনি, বলেছি সবাইকেই খুশী করার নিদারুন প্রয়াস আপনার লেখায় বিদ্যমান। তবে সেটা কতটা সফল তা প্রশ্ন সাপেক্ষ।
অতি ভুল কথা যদিও আপনার কাছে অতি সত্যি কথা। ধর্মের মধ্যে যতটা না ভাল দিক আছে তার চাইতে নেতিবাচক দিকগুলো বেশী বিদ্যমান। সেকারনে ধর্ম ভিত্তিক কোন সমাজই ভাল কিছু কোন কালে সভ্যতাকে উপহার দিতে পারে নি যেটা আমরা দেখেছি হাজার বছর ব্যাপী ইউরোপের অন্ধকার যুগে। আ্ ব্বাসীয় খিলাফত কালে যতদিন চিন্তাবিদ দার্শনিকদের ওপর ধর্ম ছড়ি ঘুরায় নি ততদিন তাদের অগ্রগতি ঈর্ষনীয় ছিল, যখন মোল্লারা ছড়ি ঘুরানো শুরু করল, সকল চিন্তাবিদরা জীবন নিয়ে পালাতে দৌড়ের ওপর ছিল। এক ইমাম গাজ্জালিই আব্বাসীয় খিলাফতের সব সম্ভাবনাকে নস্যাত করে দেয়। অত:পর মুসলমানদের শুরু হয় অধ:পতন যা বর্তমানে এসে চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছেছে অথচ এখনও তারা ধর্মের আফিম গিলে আত্মঘাতী হামলা সহ নানা রকম সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে গোটা দুনিয়াকে তটস্থ করে তুলেছে। ধর্মের মধ্যে এত বেশী উপাদান বিদ্যমান যে স্বার্থপর রাজনীতি সেগুলোকে খুব সহজেই ব্যবহার করে জনগনকে ঠকাতে পারে,তাতে জনগন এক পর্যায়ে হতে পারে ধর্মান্ধ বা ধর্মোন্মাদ যা পরিশেষে গোটা রাজনৈতিক সিস্টেমকেই গিলে খেতে পারে , যার উৎকৃষ্ট নজির বর্তমানে দেশে দৃশ্যমান। সেটা আমরা ইতিহাসেও তার নজির ভুরি ভুরি- পাকিস্তান, আফগানিস্তান , ইরান, সুদান ইত্যাদি।
পেটে খিদে থাকলেই যদি আপনি মনে করেন ধর্মের , বিশেষ করে ইসলামের প্রকোপ কমে যাবে , সেটা নিদারুন দুর্বল পর্যবেক্ষন। তা না হলে গরিব দেশগুলো যেমন বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান , সুদান, নাইজেরিয়া এসব দেশে এত মৌলবাদী গোষ্ঠি গড়ে উঠত না আর এদের এত বিপুল জনসমর্থন থাকত না। আবার পেট ভরা থাকলেও যে এরা ধর্মকে নিরপেক্ষভাবে গ্রহণ করে সেটা্ও যে ঠিক না তার প্রমান বাংলাদেশের নাফিস, বোস্টনের দুই মুসলিম চেচেনের বোমা হামলা। সুতরাং ধর্ম নিজেই একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ অস্ত্র বিশেষ করে ইসলাম যা মানুষকে স্বতত:ই আঘাত করে কাবু করে ফেলতে সক্ষম যদি সে মানুষের সমাজ বিজ্ঞান সহ বিজ্ঞান সম্পর্কে জ্ঞান না থাকে। এটা এমনই এক ভয়ংকর অস্ত্র যা অনেকসময় জ্ঞানী মানুষকেও পর্যুদস্ত করে ফেলে , আর ইসলাম এক্ষেত্রে সবচাইতে অগ্রগামি। চিন্তা করা দরকার ইসলামে এমন কি আছে যা এতটা বিধ্বংসী মারনাস্ত্র হয়ে উঠল। মনে হয় খালি রাজনীতি , অর্থনীতির ভিত্তিতে কচকচানি বাদ দিয়ে খোদ ইসলামের মধ্যেই এর খোজ করা দরকার। রাজনীতি অর্থনীতি আসবে সেকেন্ডারী হিসাবে , প্রথম হিসাবে না।
@কাঠ মোল্লা,
দুটো প্রশ্নঃ
১. আপনার এলার্জি কি সকল ধর্মেই নাকি শুধু ইসলামে?
২. ক্রিশ্চিয়ানদের ক্রুসেড সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী?
@সাইফুল ইসলাম, আপনার দুটো প্রশ্নের উত্তরই কিন্তু ওপরের মন্তব্যে দেয়া হয়েছে। ভাল করে পড়েননি নাকি বুঝতে পারছেননা? আর যদি এই প্রশ্ন করে কোন কিছুর দিকে ইঙ্গিত করতে চেয়ে থাকেন, তাহলে বলেই ফেলুন কি বলতে চাচ্ছেন।
@সাইফুল ইসলাম,
আমার এলার্জি সকল ধর্মের ব্যপারেই তবে যেহেতু এখন মাঠে শুধুমাত্র ইসলাম , তাই বর্তমানে সব চিন্তা ইসলাম নিয়েই কেন্দ্রিভুত। তো এখন আপনার কি বক্তব্য শুনি ? আপনি কি আমার মতো কোন মোল্লা ? নাকি নাস্তিক ?
ক্রিশ্চিয়ানদের ক্রুসেড শেষ হয়েছে আজ থেকে ৬০০/৭০০ বছর আগে, তাই তা নিয়ে আলাপ করা অপ্রাসঙ্গিক। তারা বর্তমানে ইসলামের মত ক্রশেডে লিপ্ত হলে তো ভালই হতো,- দুটোকেই আক্রমন করা যেত তাদের বর্বরতার জন্য। যাহোক, এই অপ্রাসঙ্গিক ব্যপার এখানে জোর করে টেনে আনার বদ মতলবটা কেন আপনার ? তবে মনে হয় ইসলাম যেভাবে শুরু করেছে এদের ঠেকাতে অতি সত্ত্বর আবার খ্রীস্টিয়ানরা ক্রুসেড শুরু না করে দেয় । এটাই আশংকার কথা। পরিশেষে , প্রতি মন্তব্য করার আগে যার মন্তব্যে সেটা করছেন সেটা ভাল করে পড়ে নিতে অনুরোধ করছি, না হলে ফালতু কথা বলে সময় নস্ট না করার অনুরোধও জানাচ্ছি।এভাবে ফালতু ও অর্থহীন প্রতি মন্তব্য করলে ভবিষ্যতে আর উত্তর করা হবে না।
@কাঠ মোল্লা,
ক্রিশ্চিয়ানদের বাইবেলে ক্রুসেডের সময় যা ছিল, এখনও তাই আছে। প্রাচ্যের স্বর্ণযুগেও ধর্মগ্রন্থগুলোতে যা ছিল তাই আছে। কিন্তু মধ্যযুগ থেকে ক্রিশ্চিয়ানরা স্বর্ণযুগে আসল আর স্বর্ণযূগ থেকে মুসলমানরা মধ্যযুগে ফেরত গেল। দুটো ঘটনাই ঘটেছে ধর্ম অস্তিত্বশীল থাকা অবস্থায়। মানে ধর্ম তাদের এগিয়ে যাওয়া কিংবা ধ্বসে যাওয়ার পেছনে বেসিকালি কোন একক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয় নাই।
আজকের পশ্চিমা দেশগুলোতেও বেশিরভাগ মানুষ ধর্মে বিশ্বাস করে, ধর্মে বিশ্বাস করে সেই সমস্ত মানুষ যাদের আমরা অগ্রসর সমাজের প্রতিনীধি বলে ভাবি। প্রশ্ন হচ্ছে তারা ধার্মিক থেকেও কীভাবে তাদের সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে গ্যালো? সমাজে ধর্ম জাগ্রত থাকা অবস্থায়ও কীভাবে তারা আজকের পৃথিবীকে নেতৃত্ব দিচ্ছে?
আমরা কি শুধুমাত্র ধর্মের দোষ দিয়ে এমন কোন ফ্যাক্টর বাদ দিয়ে যাচ্ছি যেটাই আসলে নির্ধারনী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে? যদি হয়, কী সেটা? আর যদি না হয় তাহলে এই প্যারাডক্সের( মানে ধর্ম থাকতেও উন্নত হচ্ছে) উত্তর কীভাবে দেবেন?
আপনি এত কাজ করেও মুক্তমনায় আমাদের জন্য সময় দিচ্ছেন এজন্য কৃতজ্ঞতা থাকল ভাইয়া আমার পক্ষ থেকে। আফটার অল, কাঠমোল্লাদের মিলাদ, নামাজ পড়ানো, আজান দেওয়া, বিয়ে পড়ানোতে এমন কী ফতওয়া দেওয়াতে অনেক সময় দিতে হয়। আপনার প্রতি শ্রদ্ধা।
@সাইফুল ইসলাম,
সেটা কোন ধর্ম? নিশ্চয়ই ইসলাম নয়।
@সাইফুল ইসলাম, সম্ভবত পশ্চিমা সমাজের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ধারণা নেই । আর খ্রিশ্চ্যানরা অন্ধকার যুগ থেকে স্বর্ণযুগে এসেছে এটা ভুল ধারণা । বর্তমান অবস্থানে আসতে পশ্চিমকে সেক্যুলারাইজড হতে হয়েছে । রেনেসাঁ, গণতন্ত্রায়ন, ফ্রেঞ্চ রেভল্যুশন এসব ক্ষেত্রে সরাসরি ধর্মীয় এস্টাবলিশমেণ্টের বিরুদ্ধে যেতে হয়েছে । বিজ্ঞানশিক্ষার প্রসার ও প্রচারণা, বাক ও ব্যক্তিস্বাধিনতা, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ, লিঙ্গ সমতা অর্জনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা ছিলো ধর্ম । আধুনিক ইউরোপের সেক্যুলারাইজেশন প্রক্রিয়া চলার সময়ে বিপুল পরিমান ধর্মবিশ্বাসী আমেরিকায় পাড়ি জমায় । তাই ইউরোপে যেখানে অধার্মিক ও ধর্মবিহীন জনগোষ্ঠী মেজরিটি সেখানে আমেরিকা মহাদেশ দুটোতে শুধু কানাডা ও উরুগুয়ে (এবং সম্ভবত: ফকল্যাণ্ড আইল্যাণ্ড) ছাড়া অন্য দেশগুলোতে ‘মডারেট আস্তিক`রা সংখ্যাগুরু । এ বিষয়ে রেনেসাঁ-ফ্রেঞ্চ রেভল্যুশন-ইউরোপের সেক্যুলারাইজেশন সম্পর্কিত গ্রন্থসমূহ, ধর্ম সম্পর্কিত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অফিশিয়াল ডকুমেণ্টগুলো এবং ধর্ম-আস্তিকতা-নাস্তিকতা-ধর্মবিহীনতা প্রসঙ্গে ইউরোব্যারোমিটার পোলের জরিপগুলো সংগ্রহ করুন । আজকের পশ্চিমের আইন-রাষ্ট্র-মানবাধিকার, নারী-পুরুষ-শিশু-সমকামী অধিকার, অবাধ বাকস্বাধিনতা, অবাধ ব্যক্তিস্বাধিনতা, পুঁজিবাদ, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ – এগুলোর কোনটিকেই খিশ্চ্যানধর্ম স্বীকৃতি দেয় না । রাশিয়াসহ ইউরোপে Irreligious জনগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ ।
@কাঠ মোল্লা,
বিপ্লবের এ জাতীয় লেখার বিশ্লেষনে এই ধরনের সুর কিন্তু এইই প্রথম নয়, কিংবা বর্তমানে ব্লগারদের ধর পাকড় বা মৌলবাদী ছুরির ভয়ের কারনে সব মহলকে খুশী করার প্রয়াস নয়। বিপ্লবের লেখা আমি বহুদিন ধরে খুব আগ্রহ করে পড়ি, কারন আমার কাছে বিশ্লেষনগুলি বেশ বাস্তবধর্মী বলেই মনে হয়। বলাই বাহুল্য যে লেখাটি অনেক সংক্ষিপ্ত, আরো কিছু গুরুত্বপূর্ন বিষয় মনে হয় সে কারনে এখানে প্রকাশিত হয়নি।
বিপ্লব যে প্রশ্নের খুব গভীরে যায়নি তা হল, সব ধর্মীয় সূত্রেই সমস্যার উপকরন থেকে থাকলে একই জাতীয় সন্ত্রাস জনিত সমস্যা অন্যান্য ধর্মানুসারীদের ভেতর কেন সেভাবে দেখা যায় না? যেমন বিপ্লব বলছে যে আমেরিকাতে রক্ষনশীল হিন্দু আরো রক্ষনশীল হচ্ছে। কথা হল তারপরেও সে কেন বোমা মারছে না?
@আদিল মাহমুদ,
আমার মনের কথাটি বলেছেন। সব ধর্মেই হিংসাত্মক কথাবার্তা আছে শুধু মুসলমানরা কেন সেটার চর্চা করছে? রাজনীতি অর্থনীতি হেন তেন বহু বিষয় থাকতেই পারে , কিন্তু খোদ ধর্মের যে বানীর মধ্যে মানুষকে হিংসা বিদ্বেষ শেখানো হয় সেটাই প্রথম সমস্যা। লেখক কায়দা করে হেন তেন নানা কথার মিশেল দিয়ে যা বললেন তার ফলাফল হলো অশ্ব ডিম্ব। হিন্দুরা যদি আরো বেশী রক্ষনশীল হয় তারা কেন বোমা মারছে না? এটা খুব সোজা বোঝা যে , সেই সমাজে অন্য সমাজ থেকে যারা যায় তারা অনেক সময় ওদের সংস্কৃতির সাথে মিশতে না পেরে একাকীত্ব বোধ করতেই পারে যা থেকে তাদের আত্মপরিচয় খোজার চেষ্টা থেকে ধর্মকে আকড়ে থাকার প্রবনতা বাড়তে পারে, কিন্তু সেই জিনিসটা একটা পর্যায়ে বোমা মারার পর্যায়ে চলে যায় কি ভাবে ? এর কারন কি জনাব বিপ্লব পাল ? ওই দুই চেচেন বা বাংলাদেশের নাসিফ কি এমন অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক বিপদে পড়েছিল? বা বাংলাদেশে রাজিব হত্যার আসামীরা কি এমন সামাজিক অর্থনৈতিক ঝামেলায় ছিল ?আসল কারন বাদ দিয়ে নকল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে আপনি কি বুঝাতে চান ? সবাইকে মনে করেন ভোদাই ? হেন তেন ধানাই পানাই মার্কা কথা বলে যতই পন্ডিতি জাহির করতে চান না কেন , আপনার নিবন্ধের সারবত্তা শূন্য।
@কাঠ মোল্লা,
ইসলামের নামে সন্ত্রাসের সাথে বিশুদ্ধ ধর্মীয় কারন ছাড়া অবধারিতভাবে প্রথম যে কারন চলে আসে সেটা হল মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কালো থাবা। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ যদিও বহুলাংশে দায়ী, তবে শুধু এর ওপর দায় চাপিয়ে বাস্তবধর্মী বিশ্লেষন হয় না। আমাদের দেশে ‘৭১ সালে ধর্মের নামে মানুষ হত্যা ধর্ষন মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না, তখন উলটো সেই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ মৌলবাদীদের স্বপক্ষেই ছিল। বাংলা ভাই শায়খ রহমান গং এর বোমাবাজি করার সাথে মার্কিন সম্পর্ক পেতে বহু মাথা খাটাতে হয়। একই সূত্রে ইসলামপন্থী কিছু রাজনৈতিক দল যেমন সংবিধান ছুড়ে দিয়ে কোরান হাদিস দিয়ে দেশ চালাবে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে এসব কিছুর পেছনে ধর্মীয় কোন ভূমিকা নেই এমন দাবী অবাস্তব। এসব দল কলেবরে আরো বড় হলে বাংলা বাহিনীর পথ ধরা খুবই স্বাভাবিক। তাদের কাছে সরল হিসেব হল সেক্যুলার ধারার লোকে যেহেতু কোরান হাদিসের পন্থা গৌণ বিবেচনা করে পশ্চীমা ধারার গনতন্ত্র ও সংবিধান চালাচ্ছে অতএব এরা ইসলাম কায়েমের পথে শত্রু, যারা ইসলাম কায়েমের পথে বাধা দেবে তাদের ব্যাবস্থা তারা তাদের মত ধর্মীয় ইন্টারপ্রেশন থেকেই করবে, বাংলা বাহিনী ছিল এই ধারার প্রি-ম্যাচিওরড চাইল্ড। এ সব কিছুর পেছনে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ভূমিকা বার করতে হলে বহু ঘুরিয়ে ইরানে ইসলামী বিপ্লবের সফলতা, আফগানিস্তান ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের কারনে নবরুপে ইসলামী জাতীয়তাবাদের আবির্ভাব এভাবে ঘুরিয়ে আসতে হয়। ইরাক প্যালেষ্টাইনে আমেরিকা ইসরাইল মুসলমান হত্যা করেছে বলে বাংলাদেশে বোমা মেরে মানুষ হত্যা কোন ব্যাখ্যা হতে পারে না।
সাইফুল ওপরে একটা ভাল প্রশ্ন করেছে। সেটার জবাবই আসলে সব আলোচনার সারমর্ম বলে মনে করি।
– এই উদাহরন আমিও দেই। পশ্চীমে সব ধর্মের লোকে মোটামুটি শান্তিপূর্ন ভাবে সহাবস্থান করতে পারে, ধর্ম সেখানের উন্নয়নের পথে আর বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না। কাজেই শান্তি কায়েম করতে হলে ধর্ম দূর করে দিতে হবে তেমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। পশ্চীমের এটা সম্ভব হয়েছে ধর্ম ও রাষ্ট্রকে আলাদা করার ফলেই। আমাদের অঞ্চলে সেটা করতে না পারারা কারনেই ধর্ম সম্পর্কীয় যত সমস্যা দেখা যায়। মুসলমান সমাজের ইউনিক বৈশিষ্ট্য হল এখানে আজন্ম তাদের ধর্মীয় সূত্রের সব কিছুই সব যুগের জন্য ১০০% বিশুদ্ধ এবং অবশ্য পালনীয় বলে দর্শনগত শিক্ষা দেওয়া হয়, বাস্তবে সহজবোধ্য কারনেই সেটা কায়েম করা যায় না। এ থেকে জন্ম হয় চরম দ্বন্দ্বের। মুসলমানদের নিজেদের ভেতরেই লেগে যায় ধর্ম গ্রন্থকে কোন পর্যায়ে মানতে হবে সে নিয়ে বিবাদ। সব আয়াত বা হাদিসের ব্যাপারে সর্বসম্মত কোন যৌক্তিক সমাধানে আসা সম্ভব নয়। এ কারনে মুসলমানদেরি এত ধারা, এত মতামত। আরব দেশের সম্মানিত আলেম মৌদূদী বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। আরব বা বাংলাদেশ কেউ না কেউ নিশ্চয়ই ভুল করছে? দুই পক্ষেই একত্রে সঠিক হতে পারে না। কারা সঠিক ইসলাম পালন করছে? এই সরল কথা মানসিকভাবে গ্রহন করার মত দর্শনগত শিক্ষা এখনো প্রবল ভাবে অনুপস্থিত। যে কারনে ইসলাম কায়েম করা হবে শুনলে সকলে খুশী হন, স্বপ্ন দেখেন, মানব রচিত সংবিধান বিতাড়ন করে কোরানের আইন কায়েম করা হবে শুনলে আপত্তি দূরের কথা খুশীই হন। কোরানের বেশ কিছু আইন কানুন যে নিজেরাও আসলে মন থেকে গ্রহন করেন না সেটা সরাসরি স্বীকার করেন না। পাকিস্তানে এই যুগে কিসাসের আইন উপকারের চেয়ে অপকারই করেছে বেশী সেটার রিপোর্ট দেখালে সাফ বলে দেন দোষ আইনের নয়, দোষ মানুষের। এভাবে বাস্তব এবং অবাস্তব দর্শনের মিশেল মুসলমান দেশগুলিতে বিরাজ করে। শুধু ধর্মগ্রন্থ সমস্যা নয়, সেই যে ধর্মগ্রন্থের প্রতিটা নির্দেশ সব যুগে মানতে হবে এই ধারনাটাই সমস্যার।
বংগবন্ধু ‘৭১ সালের ৭ই মার্চ বলেছিলেন, “যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে”। কথাটা বলা হয়েছিল ‘৭১ সালে পাকি প্রতিপক্ষদের উদ্দেশ্য করে যারা ছিল আমাদের প্রতি শত্রু ভাবাপন্ন। এটা হল ইতিহাসের বিষয়। এখন আপনি যদি এই আহবানের ব্যাখ্যা বাংগালীকে বোঝাতে থাকেন যে বংগবন্ধুর এই আহবান সকল যুগের জন্য প্রযোজ্য তবে ফলাফল কি হবে? বংগবন্ধুর ঘোর সমর্থকরা এই যুগেও আমেরিকার মাটিতে পাকিস্তানী পেলেও চাইবে দু’ঘা বসাই। কোরান হাদীসের কিছু আয়াত/ঘটনা আছে ততকালীন আরবের বিধর্মীদের সাথে যুদ্ধ বিগ্রহ সম্পর্কিত, সেগুলি সে সময়কার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিহাস হিসেবে পাঠ করলে সমস্যা নেই। এখন আপনি সেসবে ভর করে সব যুগের নির্দেশনা হিসেবে প্রচার করে গেলে সমস্যা বাধবেই, কিছু জেহাদী তৈরী হবেই যারা বিধর্মীদের প্রতি জাতিগত বিদ্বেষ পোষন করবে। তাদের হিংস্র হয়ে ওঠার জন্য শুধু দরকার মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ জাতীয় কিছু ইন্ধন। আক্রমনাত্মক জেহাদী কন্সেপ্ট ইসলামী জগতেই পরম স্বীকৃত কিছু আলেমের লেখাতে (প্রাচীন যুগ থেকে আধুনিক যুগ পর্যন্ত) আছে সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। মুসলমান সমাজ এদের ব্যাপারে অনেকটা ভুতে বিশ্বাস করি না তবে ভয় পাই নীতি অবলম্বন করে, এটাও হল আরেক ইউনিক বৈশিষ্ট্য। এ ছাড়াও ধর্মীয় জাতীয়তাবোধের ব্যাপারটাও আছে। বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন হলে আমেরিকায় বসবাসরত ভারতীয় হিন্দুর কোন তার মুসলমান আরব প্রতিবেশীর প্রতি বাঁকাভাবে তাকানোর সম্ভাবনা যতটুকু তার চাইতে অনেক বেশী সম্ভাবনা একজন মুসলমান বাংগালীর ইসরায়েলে প্যালেষ্টাইনী নিহত হলে আশেপাশের আমেরিকান ইহুদীদের দিকে বিরূপ ভাবে তাকানোর।
@আদিল মাহমুদ,
কিন্তু যে ধর্মটির নাম “ইসলাম” সেই ধর্ম ও রাষ্ট্রকে আলাদা করা কি সম্ভব?
@ব্রাইট স্মাইল্,
প্রকৃত গণতন্ত্র এলে ধনতন্ত্র আসবে-আর ধনতন্ত্রের উৎপাদন শক্তির কাছে ধর্ম দ্রুত নিশ্চিহ্ন যবে। যেমনটা হয়েছে ইউরোপে বা আমেরিকাতে।
যেসব মুসলিমরা আমেরিকাতে ব্যবসা করে খায়, তাদের ধর্মভীরু হওয়ার সুযোগ নেই-কারন তাকে বাঁচার প্রয়োজনেই আধুনিক হতে হয়। সমস্যা হচ্ছে চাকরি করে খাওয়া মুসলমানদের জন্য। কারন তাদের আধুনিক হওয়ার খুব বেশী প্রয়োজন হয় না/
@বিপ্লব পাল,
ইসলাম নামক ধর্মটির ছত্রছায়ায় চালিত একটি রাষ্ট্রে কি প্রকৃত গণতন্ত্র সম্ভব? ধর্মীয় রাষ্ট্রে গনতন্ত্র->ধনতন্ত্র এই সমীকরনে ধর্ম নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে এটা কতখানি বাস্তবযোগ্য ভেবে দেখতে হবে। এটা এমন যেন ডিম আগে না মুরগী আগে এটার সমাধান।
@ব্রাইট স্মাইল্,
প্রকৃত ধনতন্ত্র মেরিট এবং উদ্যোগে চলে। সেখানে ধর্ম মার্জিনালাইড হবেই। বস্তুবাদি আকাঙ্খা আর ভাববাদ একসাথে চলে না।
@বিপ্লব পাল,
কিন্তু ধর্ম যখন মেরিট, উদ্যোগ, বস্তুবাদি আকাঙ্খা ইত্যাদিকে নিরুৎসাহিত করতে থাকে তখন প্রকৃত গনতন্ত্র, ধনতন্ত্র কোনটাই আর থাকেনা, থাকে শুধু ভাববাদ!
@বিপ্লব পাল,
আর একটা ব্যাপার আছে, বাংলাদেশে ঊৎপাদনের দিকে নজর দিলে ৪ টা শ্রেণী বিশেষতঃ দেখা যাবে।
১) চাকুরীজিবী (কারখানার শ্রমীক সহ; আপনার মন্তব্যে এসেছে)
২) ব্যবসায়ী শ্রেণী
৩) মধ্যসত্ত্ব ভোগী শ্রেণী
৪) উৎপাদনে নিয়োজিত শ্রেণী (প্রধানতঃ কৃষক মজুর)
মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক (অনুমান করছি) সম্ভবতঃ নিয়োজিত আছে প্রথম ৩টি শ্রণীতে। আর বাকী অর্ধেকটা আছে ৪র্থ শ্রেণীতে। প্রথম ৩টি শ্রেণীই আপাদমস্তক কোননা কোন ভাবে দুর্নীতিগ্রস্থ বা দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত। ৪র্থ শ্রেণীটি সম্পূর্ন বিচ্ছিন্ন, আপাত নির্বোধ, নির্বিরোধী, অবহেলিত এবং চূড়ান্ত ভাবে শোষিত। উপড়ের ৩টি শ্রেণীর দ্বারাই কোন না কোন ভাবে এরা ব্যবহৃত। আর উপড়ের ঐ ৩টি শ্রেণীর নিজেদের টিকিয়ে রাখতে ধর্মকে কোন না কোন ভাবে ব্যবহার করতে হয়।তাদের টিকে থাকার জন্যেই এই ধর্ম গুলো দরকার। এই চতুর্থ শ্রেণীটাও ইসলামে বিশ্বাসী কিন্তু টেরোরিষ্ট নয়। অর্থাৎ ইসলাম কায়েমে এরা নাঙ্গা তলোয়ার হাতে কখনোই মাঠে নামবে না। অতি ক্ষুধার্ত না থাকা সত্ত্বেও, এটাই এতদঅঞ্চলের সম্ভবতঃ রীতি। যার জন্যে বাংলায় বর্ষবরণ, সংক্রান্তী মেলা, নৌকাবাইচ, যাত্রাপালার মতো মৌসুমী অনুষ্ঠান দেখা যায়। সুতরাং আপনার অনেক বিশ্লেষনে একমত হলেও কিছু ক্ষেত্রে আমি দ্বিমত পোষন করি।
বাংলাদেশের সমস্যা শিক্ষা আর ক্ষমতার রাজনীতি! ক্ষমতার রাজনীতির হাত ধরে উগ্র সাম্প্রদায়ীকতা সহ ইসলামের নামে দস্যুতার আমদানী হচ্ছে, আর শিক্ষাহীনতা তাকে পুষ্টি দিচ্ছে। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। সে জন্যে উপরের ৪র্থ শ্রেণীটা এসবের শিকার হচ্ছে, আর বাকী গুলো এই ডামাডোলে সুবিধা আদায়ে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধিতে তৎপর হচ্ছে!
@ব্রাইট স্মাইল্,
ইসলামকে পূর্নাংগ জীবন ব্যাবস্থা হিসেবে মানতে গেলে ধর্ম ও রাষ্ট্রকে আলাদা করা সম্ভব নয়। ইসলাম মেনে দেশের আইন ব্যাবস্থা চালু করতে হলে ধর্ম থেকে রাষ্ট্র কিভাবে আলাদা চিন্তা করা যাবে?
মুসলমানদের মধ্যে যাদের মাঝে মৌলবাদী চেতনা কম (মৌলবাদ শব্দটি কোন গালি নয়) তারা ইসলাম পূর্নাংগ জীবন বিধান বিশ্বাস করলেও বাস্তবে এর সীমাবদ্ধতা ভালই বোঝেন, বোঝেন বলেই তারা অনেক ভাবে প্রমান করার চেষ্টা করেন যে রাজনীতিতে ধর্মের ব্যাবহার করার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। মৌলবাদীরা সরাসরি চায় ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করা হবে।
সাধারন জনতা যাকে বলা যায় পুরোপুরি বিভ্রান্ত। বাংলাদেশের কথাই ধরুন, সেখানে অজস্র ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল আছে যাদের গনসমর্থন বলতে গেলে কিছুই নেই। অথচ এসব দলেরই মুসলমান প্রধান বাংলাদেশে বিপুল জনপ্রিয়তা পাবার কথা কারন এরা দেশের সেক্যুলার ধারার সংবিধান ছুড়ে ফেলে কোরান ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন করার আহবান জানায়। অথচ লোকে এদের সমর্থন করে না, সমর্থন করে সেই সেক্যুলার ধারার বিএনপি আওয়ামী লীগকেই। যদিও ধর্মের প্রতি যেহেতু দূর্বলতা ঠিকই আছে, কোরান পূর্নাংগ জীবন ব্যাবস্থা বলে বিশ্বাস ঠিকই করে সেই বিশ্বাসের কারনে আবার ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলি নিষিদ্ধ হয়ে যাক সেটাও তারা চায় না।
তব এর পরিবর্তন হওয়া খুবই সম্ভব। বড় দলগুলি বাংলাদেশে মোটা দাগে ব্যার্থ। জনগন এক সময় বিকল্প খোঁজা শুরু করবেই। তখন আজন্ম লালিত ধর্মীয় দর্শনগত কারনে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের প্রতি আকর্ষন বোধ করবে। মুসলমান প্রধান দেশগুলিতে এই ধারাই দেখা যাচ্ছে। আমার ধারনা জামাতের ‘৭১ সালের কুকীর্তির রেকর্ড না থাকলে এ দল এখন দেশে তৃতীয় শক্তি হিশেবে অনেক ওপরে উঠে যেত।
@কাঠ মোল্লা,
ওই দুই চেচেন বা বাংলাদেশের নাসিফ কি এমন অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক বিপদে পড়েছিল? বা বাংলাদেশে রাজিব হত্যার আসামীরা কি এমন সামাজিক অর্থনৈতিক ঝামেলায় ছিল ? আসল কারন বাদ দিয়ে নকল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে আপনি কি বুঝাতে চান ? সবাইকে মনে করেন ভোদাই ? হেন তেন ধানাই পানাই মার্কা কথা বলে যতই পন্ডিতি জাহির করতে চান না কেন , আপনার নিবন্ধের সারবত্তা শূন্য।
এ রকম প্রশ্নের সম্মুখীন বিপ্লব দা কে হতে হয়েছে অনেক অনেক দিন। তার সাথে অনেক তর্ক করেছি এই ধারায়। তবে ব্লগ জগতের জন্ম থেকে তার সাথে পরিচয়ের সুবাদে বলতে পারি তিনি এক্সট্রিম তর্কে যান না, ভদ্র শালীন ভাষা পরিত্যাগ করে সাধারনত ব্যক্তি আক্রমন করেন না। তার অনেক লেখা উক্তি কথা বা মন্তব্য যে ইসলামিষ্টদের কাছে চরম আপত্তিকর, তিনিও যে একজন ইসলাম ব্যাশার ও মুসলিম বিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত তা তিনি জানেন। তবুও সচেতনে কি অবচেতনে তাদের হাতে নিজেকে এবং আমাদেরকে আক্রমনের অস্ত্র তুলে দেন কেন তা আজও বুঝতে পারলাম না।
@আকাশ মালিক,
অর্থনীতিই আসল চালনা শক্তি। তেলের টাকা ত অর্থনীতির মূল চালিকা। সেটা ইসলাম পচানোর মূল উপকরন ও। এর সাথে সন্ত্রাসবাদি গরীব হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। রাজনীতি পরিচালনা করে অর্থ আর ধর্ম পরিচালনা করে রাজনীতি। সম্পর্কটা এখানেই।
সৎ বস্তুনিষ্ঠ বাস্তব বিশ্লেষন করতেই হবে। তাতে কার কি লাভ হল-সেটা যুদ্ধের অঙ্গ হতে পারে, লেখার না। লেখা যদি যুদ্ধের প্রপাগান্ডা হয়, তাহলে আপনার অভিযোগ ঠিক। কিন্ত এখানে আমরা লেখক-লেখাকে আরো বেশী অভিজ্ঞতা নির্ভর বস্তুনিষ্ঠ এবং ক্রিটিক্যাল করা আমাদের লক্ষ্য। অন্তত আমার লক্ষ্য।
@কাঠ মোল্লা,
আমি কোথাও লিখেছি ধর্ম ভিত্তিক সমাজ ভাল কিছু দিতে পারে? আমার বক্তব্য ছিল, ধর্মটাকে চালনা করছে রাজনীতি এবং অর্থনীতি।
আপনি ছায়ার সাথে যুদ্ধ করছেন।
@কাঠ মোল্লা,
আরেকটু ভাল করে এই দেশগুলির ইতিহাস এবং রাজনীতি জানুন । দেখবেন, এর প্রতিটা দেশে মিলিটারি এবং একনায়কতন্ত্রের কারনে , গরীব মানুষরা এত নির্যাতিত হয়েছে-তাদের অনেকেই ইসলামের তলায় আশ্রয় নিয়েছে, এই দেশগুলিতে কমিনিউস্ট গেরিলারা নেই বলে। তাদের আমেরিকা আগেই উচ্ছেদ করে দিয়েছে। যদি এই দেশগুলিতে শক্তিশালি কমিনিউস্ট মুভমেন্ট থাকত, এরা সেখানে নাম লেখাত। ইসলাম এই শ্রেনী সংগ্রামের সুযোগ নিয়েছে।
@কাঠ মোল্লা,
চেনা চেনা লাগে। কেমন আছেন?
‘ব্লগে ধর্মগ্রন্থের সমালোচনাকারী নাস্তিকরাই জগতের সকল অশান্তির কারণ’ এই কথা বলতে পারলে আপনি নিশ্চিত সুশীল সমাজের ভদ্রলোক। আর যদি চোখ বন্ধ করে গালি দিয়ে সাক্ষী দিতে পারেন যে বাংলাদেশের সকল অনর্থের মূল শালার বেটা মূর্খ শেখ মুজিব, তাইলে আপনি নিঃসন্দেহে বিরাটমানের জ্ঞাণী। মুজিবের কোন অবদান স্বীকার করা মা’নে মূর্খতা, মুজিব-পুজারী, কোন সন্ত্রাসী কর্মের জন্যে মুসলমানকে সন্ত্রাসী বলা মা’নে ইসলাম ব্যাশার মুসলিম বিদ্বেষী।
এই ধরনের লেখা নিজেকে নিরপেক্ষ ও উচ্চপর্যায়ের সুশীল মানবতাবাদী মুক্তমনা প্রমাণের এক প্রকার ফ্যাশন হয়ে গেছে। এতে অনুপ্রাণীত ও লাভবান হয় আপনার উল্লেখিত ইসলামি ব্লগ।
@আকাশ মালিক,
আমার বক্তব্যের সপক্ষে যুক্তি আমি দিয়েছি। আপনার যুক্তিগুলি শুনতে পারলে ভাল লাগত। মুক্তমনা আর যে কেও হোক না কেন, ফোরামে যুক্তি এবং তর্কের ভিত্তিতে বক্তব্য খন্ডন না করলে, আপনার এই মন্তব্যের পরিপেক্ষিতে আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমন করতে হয়। আমার মনে হয় না তা অভিপ্রেত বা বাঞ্ছনীয়। :-s
@বিপ্লব পাল,
আপনার এই লেখার কিছু বিষয় জানার চেষ্টা করেছি বেশ কয়েকবার, আগা-মাথা কিছুই ধরতে পারি নাই।
শিরোণাম দিয়েছেন-
বস্টনে ইসলামিক সন্ত্রাস- ইসলামের দায় কতটা?
প্রথামাংশে ইসলামিক সন্ত্রাস বলছেন কেন?
এরপর বষ্টনের ঘটনায় ইসলামিক দায় কতটা খুঁজছেন কেন? কিছুটা দায় আছে বলে? দায় ওজন করে মাপবেন?
আপনি এদেরকে ইসলামিক সন্ত্রাসবাদি বলছেন কেন?
এই দুই ভাইয়ের ব্যাপারে, এখানে মুক্তমনায়? কোরান ছাড়া ইসলাম হয়? উপরে আপনিই না বললেন ইসলামিক সন্ত্রাসবাদি?
কট্টর ধার্মিক আর কট্টর মুসলমান কী বা কারা?
তো আমেরিকা নিজেকে ইসলামি বোমা থেকে বাঁচাতে হলে মুসলমানদের রক্ষনশীল মনন পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হবে যাতে তারা আমেরিকান মেয়েদের মানিয়ে নিতে পারে, নিসঃঙ্গ মুসলমানকে সঙ্গ দানের ব্যবস্থা করতে হবে, তাদের বৈবাহিক জীবন সুখের হলো কি না খবর রাখতে হবে, মুসলমানদের ব্যর্থ ফ্যামিলি লাইফকে সাক্সেসফুল ফ্যামিলি লাইফে রুপান্তরিত করতে হবে।
খুব ভাল প্রস্তাব দাদা, দেখেন আমেরিকা রাজী হয় কি না।
তো আপনি যে বলেন- পেটে কিল পড়লে ইসলামী সন্ত্রাস বন্ধ হবে, অন্যরা তো বলেন পেটে ভাত পড়লে সন্ত্রাস বন্ধ হবে, কোনটা সঠিক?
আপনাদের অবস্থা এমন হয়েছে দাদা, কারো বউ তালাক হলে কিংবা বাজারে পকেটমার ধরা পড়লেও সেখানে কোরান-হাদিস আর গীতা- রামায়ন নিয়ে আপনারা হাজির। আবুল তার বউকে তালাক দিয়ে পিটিয়ে ভুল করেছে সত্য কিন্তু এর জন্যে কোরান-হাদিস দায়ী নয়। গোপাল চুরি করে অন্যায় করেছে সত্য কিন্তু এর জন্যে গীতা রামায়ণ দায়ী নয়। অকারণে অসময়ে অযাচিতভাবে যত্র-তত্র যখন ওয়াজ শুরু করেন তখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগে- ডাল মে কুচ কালা হ্যায়। কিংবা, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাইনা। এ ভাবে কলা খাইনা, কলা খাইনা বলতে থাকলে একদিন মানুষ সত্যই বুঝে নিবে বেচারা আসলেই কলার বেপারী। আরো একটা ব্যাপার, আপনাদের লেখায় কিছু নির্দিষ্ট শব্দ ব্যবহার করেন যা ইঙ্গীত করে ধর্মগ্রন্থের সমালোচনাকারীদের প্রতি আপনাদের বিদ্বেষী মনোভাব। যেমন- ‘শুধু’, ‘একমাত্র’, ‘মূল’, ‘সব’ ‘সকল’ ইত্যাদি। উদাহরণ- শুধু ইসলামই দায়ী, একমাত্র মুসলমানই সন্ত্রাসী, কোরান সন্ত্রাসের মূল কারণ, সব মুসলমানই খারাপ, সকল সমস্যা শুধু ইসলাম। এ সমস্ত শব্দ আপনারা বাক্যে ব্যবহার করেন নিজের ইচ্ছেয় ধর্মগ্রন্থের সমালোচনাকারীদের ইসলাম ব্যাশার আর মুসলিম বিদ্বেষী প্রমাণের লক্ষ্যে।
@আকাশ মালিক,
“ইসলামিক” সন্ত্রাস শব্দটা আমেরিকান মিডিয়া থেকে ধার করা।
আর যদি বলি আমেরিকান সরকার এটা করতেই পারে? না করলে, আরো বেশী বিস্ফোরন হবে।
অন্তত এই ধরনের মুসলমানদের সরকারি প্রোফাইলিং করলে দোষ নেই। পুরুষ যদি নারী না পায় সে হয় ধর্ষন করবে, না হলে আত্মহত্যা করবে আর না হলে অন্যকে খুন করবে।
আপনি ত এতদিন থেকে এটা করছেন। লাভ কিছু হয়েছে?
এর থেকে মুসললানদের মানুষ হিসাবে ভাবতে শিখুন, ইসলামকে আরো একটা ধর্ম হিসাবে দেখুন-দেখবেন সমীকরণ আরো ভাল মিলবে।
@আকাশ মালিক,
চেনা চেনা তো লাগবেই। কথায় বলে না – রসুনের খোয়ার গোড়া সব এক জায়গাতে। ভাল আছি। আপনি কেমন আছেন?
সুশিল ও মহাজ্ঞানী হওয়ার যে তরিকা আপনি দিলেন তা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে দারুনভাবেই প্রজোয্য। আর বর্তমানে তার প্রতিযোগীতা চলছে দেশে। আলোচ্য লেখক অতি উচ্চ মার্গের একজন সুশিল কাম মহাজ্ঞানী তা বলাই বাহুল্য। আর এটাই তার কারিশমা যে একই সাথে তিনি সুশীল ও মহাজ্ঞানী হতে পেরেছেন। যা অন্যদের পক্ষে অসম্ভব।
দুর্দান্ত ফ্যাশন আসলেই। অনেককেই দেখি এ তরিকাতে অতি উদার মুক্তমনা হওয়ার দুর্বার আকাংখায় ধাবমান। এর ফলেই কথিত ইসলামি ব্লগ গুলো এদের নিয়ে মুখরোচক ব্লগ লেখে যা পরিশেষে বিপুল আনন্দ ও বিনোদনের যোগান দেয়।
@কাঠ মোল্লা,
আমাকে নিয়ে যাখুশি লিখলেই, আমি তাই হয়ে যাব। এই ধরনের চিন্তা নিয়ে কেও লেখক হয় না।
আমি আপনার লেখার বরাবরই ভক্ত। আপনার বিশ্লেষণ আমার কাছে ভাল লাগে। এই লেখাটাও দারুন লেগেছে। আমি একটা বিষয় কিছুতেই বুঝিনা যে মানুষ মহামানবদের উদারতা , মহত্ত্ব ইত্যাদি গুন গান করে ধর্মের প্রতি নিমগ্ন হয়, সেই মানুষ কিভাবে সন্ত্রাসী কাজ করে তাও আবার ধর্মের দোহাই দিয়ে। আজ বিষয় টা clear হল।
আপনার লেখাগুলো এতটাই ভাল থাকে যে শেষ পর্যন্ত আমি খুত ধরতে পারি না। লাইফটাকে পূর্ণঙ্গ মনে করব আপনার মত লিখতে পারলে। লাইফে আপনার কাছ থেকে সাহায্য পেলে নিজেকে অনেক সহজ করতে পারতাম। 🙂 (F) :guru:
“উদার গণতন্ত্র এবং ধনতন্ত্র একে অপরের পরিপূরক।” একটু বুঝিয়ে বলবেন কি?
@আজিজুল কাদরী,
ধনতন্ত্রের জন্যে বাজার এবং আইনের শাসন লাগে। লাগে ক্রেতা এবং বিক্রেতার সুরক্ষা। লাগে মনোপলিস্টিক প্রাকটিস থেকে বাজারকে রক্ষা করে প্রতিযোগিতা। এগুলি উদার গণতন্ত্র ছারা আর কোন রাজনৈতিক সিস্টেমে সম্ভব না। চীন বাজার দিতে পারবে কিন্ত মনোপলিস্টি প্রাক্টিস বা ক্রেতাকে রক্ষা করতে ব্যার্থ দুর্নীতির কারনে।
@বিপ্লব পাল,
বার বার প্রশ্ন করার জন্য ক্ষমা চাইছি।
চীন ছাড়া দুর্নীতি কি ধনতান্ত্রিক দেশগুলোতে হয় না?
আপনার এ ব্লগের সাথে সংগতিপূর্ণ নয়, তাই “উদার গণতন্ত্র” একটি রাজনৈতিক ব্যবস্থা – কিভাবে, কিভাবে তা আইনের শাসন, বাজার, ক্রেতা, বিক্রেতা ইত্যাদির সুরক্ষা এবং একচেটিয়া-র হাত হতে বাজারকে রক্ষা করে, পৃথিবীর কোন কোন ধনতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক ব্যবস্থা হিসেবে এটি বলবৎ আছে এবং তারা সাফল্যজনক ভাবে উপরোক্ত কাজ সমূহ সম্পন্ন করেছে বা এখনও করে যাচ্ছে – এ সম্পর্কে আপনার একটি বিশ্লেষণ ও শিক্ষামূলক লেখা প্রকাশের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
আমার মনে হয় মুসলমানদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে তারা ছোটবেলা থেকেই শিখে আসে তাদের ধর্মটাই পূর্নাঙ্গ ধর্ম এবং একমাত্র সঠিক ধর্ম, বাকীসব ভুল ও ভ্রান্তিতে ভরা। অন্যন্ন ধর্ম গ্রন্থ গুলো এতটা প্রকটভাবে মনে হয় নিজেকে নির্ভুল প্রমানের জন্য নামে না যতটা ইসলাম নির্ভুল ও পরিপূর্ন জীবন বিধান বলে চেচামেচি করে।
দ্বিতীয় সমস্যা মনে হয় আমেরিকাকে নিজে। দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পুষেছে কাল সাপের ভয়ে নিজের ঘর বাচানর জন্য দৌড়াদৌড়ি করছে। আমেরিকার ব্যা্পারটা অনেকটা বাংলাদেশী আওামেলীগের মতন। একসময় জামায়েতকে কোলে নিয়ে নাচার ফল তারা(আঃলীগ) হাতেনাতে পাচ্ছে, ঠিক সেরকম আমেরিকাও ধর্মের কেউটে সাপ নিয়ে অনেক খেলেছে আর এখন সেই সাপের থেকে পালিয়ে বাচতে চাইছে!!!!পাপ সম্ভবতঃ বাপকেও ছাড়েনা, তবুও স্বপ্ন দেখি মানবতার একদিন জয় হবেই।
@ছন্নছাড়া,
আমার ধারনাটা একটু অন্যরকম।আমার ধারনা ভাববাদীটা থেকেই এ ধরনের চিন্তাশক্তির জন্ম।বাংলাদেশ এ এই ব্যাপারটা অন্য গুলো থেকে কম তার কারন বস্তুবাদী মানুষের সংখ্যা বেশি।কিন্তু আজকে যারা সাম্প্রদায়িক তাদের আহার জোগায় কারও দানের টাকা,যাকাত,কোরবানির চামড়া।এরাই যদি খেটে খাওয়া মানুষ হত।এদের ভাববাদীটা থেকে বস্তুবাদিতা বেশি প্রাধান্য পেত।বিপ্লব দার সাথে এখানে আমি একমত।ছোটবেলা থেকে একটা বাচ্চাও সান্তা ক্রুজ এ বিশ্বাস করে আসে।কিন্তু বস্তুবাদিতা পাশ্চাত্যের বিশ্বাস কে একটু আড়াল করে রাখে।আর পাশ্চাত্যের মডারেশন দ্বারা এখন এই দেশগুলো প্রভাবিত।দেখা যায় তারা যা করে তাদের লাভের জন্যই আর এটাই অনেক ভাববাদী সহ্য করতে পারেনা।তারা ব্যবহার হয়,কিন্তু ব্যবহৃত হতে চায় না।
“ইমানের দোহাই দিয়ে যেমন একজন হিন্দুকে গরুর মূত্র সেবন করানো যায়-”
প্রায়ই এই কথাটা শুনি। কিন্তু আজ অবধি কোনো রেফারেন্স পেলাম না। আপ্নি যদি রেফারেন্স দিতে্ন ভাল হত।
তবে গোমুত্র জুলাপ হিসেবে পান করতে দেখেছি। এদেরই একজন বলেছিলেম উনি মধ্যে সধ্যে এটা পান করে অম্ল,বায়ু,উদর শুল ও গুড়ো ক্রিমি থেকে রেহাই পেয়েছেন। একবার ট্রাই করতে পারেন। :))
@সেন্টু টিকাদার,
উপমহাদেশের ধর্মীয় উজবুকেরা লিখিত রেফারেন্স রেখে ধর্মীয় অন্ধবিশ্বাস গুলি পালন করে থাকে এমনতো নয় । কিন্তু পঞ্চগব্য-র নাম আশাকরি শুনেছেন। যদি লোকায়ত হিন্দু আচার গুলি সম্পর্কে ধারনা না থাকে তো বলি শুনুন, কালী পুজোয় ষাঁড়ের মুত্র ব্যবহৃত হয় । সেটা মেশান হয় চরণামৃতর সঙ্গে ।