হরতাল পান্তা ভাত ব্লগার আর গনতন্ত্র
ছোটবেলায় আমাদের পাশের বাড়ির এক বউ তার স্বামীর সাথে ঝগড়া হলে না খেয়ে থাকত। আসলে ঝগড়া হলে না বলে মার খেলে বা তাকে পিটালে বলা প্রযোজ্য।কারণ আমাদের দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠির অবস্থানের মত বউটির ঝগড়া করার ক্ষমতা ছিল না। অধিকার ছিল না। সাহস ছিল না। বউটিকে রাঁধতে হত। সবাইকে খাওয়াতে হত অথচ নিজে খেত না।তবে কীভাবে তার অভিমান ভাঙত তখন তা পর্যবেক্ষন করা হয়নি বা আমার এখন আর মনে নেই।
ঠিক নির্বাচনের আগে আমাদের জনগনের স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেওয়ার মত বউটিও হয়ত অভিমান ভুলে যেত। সে একবার আত্মহত্যার প্রচেষ্টাও চালিয়েছিল। কয়েকদিন পরে আবার দেখি হাসিখুশিভাবে সংসার করছে। তখন আমার মনে হত বেহায়াপনা। আসলে তা ছিল দুর্বলের, অসহায়ের নিরুপায় ব্যক্তি ভাল থাকার প্রচেষ্টা।আমাদের জনগনের মত। বউটির স্বামী, শ্বশুর আর শাশুড়ির মতই জনগনের সাথে সরকার, বিরোধীদল, রাজনৈতিক দলসমূহ আর অরাজনৈতিক বলে দাবী করা ধর্মীয় দলগুলোর ব্যবহার।
আমার অবস্থাও আমার ছোটবেলায় দেখা বউটির মত। আমার দেশের জনগনের মত। হরতাল হলে আমি সকালে পান্তা ভাত খাব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং ২ এপ্রিল ২০১৩/ ১৯চৈত্র ১৪১৯ খাওয়া শুরু করেছি। তবে দেশব্যপী হরতাল হলে। অর্থাৎ আমার জীবন যাত্রা ব্যাহত হলে আমি সকালে পান্তা ভাত খাচ্ছি। সাথে শুধু পেঁয়াজ, শুকনা মরিচ ভাজা ও লবণ দিয়ে।বহুদিন গনতান্তিক আবহে থেকে আমার দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠির সকালে নিরুপায় হয়ে পান্তা খাওয়ার কথা ভুলে গিয়েছিলাম। মানুষের অনেক রকম জেদ থাকে, প্রতিবাদের ভাষা থাকে, প্রতিরোধের কৌশল থাকে, ক্ষোভ থাকে, শখের স্বপ্ন থাকে,স্বপ্নপুরণ না হওয়ার হতাশা থাকে। পান্তা খাওয়া আমার মত অক্ষমের প্রতিবাদের পথ। হতাশার বহিঃপ্রকাশ।বৃহত্তর অসহায় জনগোষ্ঠির সাথে একাত্ম হওয়ার নীরব,ব্যক্তিগত এবং নিরুপায় প্রয়াস।বোবার ভাষা। কিংকর্তব্যবিমূঢ়তার প্রকাশ।
তবে ৫ ও ৬ এপ্রিল ২০১৩ এর হরতালে কিন্তু আমি পান্তা খাইনি। কারণ এতে আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তাছাড়া আমার জীবন যাত্রা এতে ব্যাহত হয়নি। আর সমর্থন শুধু আদর্শিক সমর্থন নয়। জরূরী প্রয়োজনে পথে বের হতে আতংকিত হইনি, কাছের লোকজন হরতালে বাইরে গেছে বলে উৎকন্ঠা ছিল না। তাদের হরতাল তারা করেছে। আমার প্রয়োজনীয় কাজ আমি করেছি। সাপ্তাহিক ছুটিতে যে সব কাজ করব বলে পরিকল্পনা ছিল সে সব কাজ করতে পেরেছি।
পান্তা ভাতের ধারণাটি মগজে কীভাবে এলো তা নিয়ে একটু বলা দরকার। চৈত্র মাস। সামনেই পহেলা বৈশাখ।আশেপাশের লোকজনের ইলিশ কিনে ডিপ ফ্রিজে রাখার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। একদিন বাঙালী ছিলাম রে প্রমানের সুযোগ কাজে লাগানোর তৎপরতা। তাদের মত আমিও পান্তা তো দূরে থাক ৩৬৪ দিন সকালবেলা ভাতই খাই না। বাংলাদেশের গরীব মানুষকে অপমান করতে, নিজের বাঙালিয়ানা জাহির করতে, বাঙালি সংস্কৃতির তথাকথিত বৈশিষ্ট্যকে সমুজ্জ্বল করতে একদিন পান্তা ভাত খাই। আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতাদের শুধুমাত্র ভোটের সময় গনতন্ত্রের চর্চার মত। আমি পান্তা খেতাম বছরে একবার। আর রাজনৈতিক নেতারা গণতান্ত্রিক পন্থা মানেন পাঁচ বছরে একবার। কাজেই পান্তা খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম।
তাছাড়া হরতালের আগেরদিন অফিসে লাঞ্চের সময় এক সহকর্মীর সাথে পহেলা বৈশাখ হরতাল ইত্যাদি প্রসঙ্গে কথা হচ্ছিল। তখনই সিদ্ধান্ত নিতে আরও উদ্ধুদ্ধ হই যে আমি হরতালের দিন সকালে পান্তা ভাত খাব।
ব্লগার শব্দটি কি গালি না বুলি? অথবা গালি বা বুলির উর্ধ্বে অন্য কোন পরিচয়। যারা ‘ আমার কথা আমি বলব এবং আমার মত করেই বলব’ (নারীপক্ষ’র আদর্শিক অবস্থান) আদর্শের চর্চা করে? কিংবা নিজের পেশা ও জীবিকার পাশাপাশি দেশ ও জাতির তথা মানব কল্যাণের জন্য বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা করে? প্রতিষ্ঠিত বুদ্ধিজীবীদের এবং কতিপয় তথাকথিত কলমজীবীদের লেখা প্রিন্ট মিডিয়া সাগ্রহে প্রকাশ করলেও সবারটা সুযোগ পায় না। পত্রিকা মালিক ও সম্পাদকদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের মত প্রকাশের মাধ্যম খুঁজে নেওয়া গোষ্টিই কি ব্লগার? যাদের লেখা প্রকাশের মূহুর্তেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।যাদের লেখার পাঠকপ্রিয়তা সহজেই যাচাইযোগ্যও বটে। বা যখন যেভাবে আছে তখন সেভাবে থেকেই লেখা প্রকাশের এবং প্রগতিশীল ধারা বিকাশেরর চর্চা সহজ সুযোগ কাজে লাগানো গোষ্ঠিই কি ব্লগার? না কি অচলায়তনে আঘাত দেওয়ার মত চেতনা সমৃদ্ধ ও সীমানাবিহীন ভাবেই জোটবদ্ধ এক শক্তিশালী গোষ্ঠির নাম ব্লাগার ? যাদের কলমের ডগার কালি ফুরায় না তারাই কি ব্লগার?
হেফাজত ই ইসলাম সুঁই হয়ে রাস্তায় নেমে এখন তো কলেরা হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে। তথাকথিত ব্লগার নাস্তিক ঢেকাতে ঢুকে ১৩ দফা দাবি।যারা মানে ছদ্মবেশী জামাত শিবিররা প্রকাশ্যে জামাত শিবির হতে একটু আধটু লজ্জা পাচ্ছিল তারা এখন ইসলামে দেখাশুনায় প্রকাশ্য। এসব দেখে পান্তাভাত খাওয়া ছাড়া অক্ষমের প্রতিবাদের আর পথ কোথায়।
নাস্তিকতা আর দেশপ্রম কি সাংঘর্ষিক? কোন নাস্তিকের দেশপ্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্তের চেয়ে কি অলৌকিক শক্তিতে অবিশ্বাস প্রাধান্য পাওয়া উচিত? আমি কোন ধর্মে বিশ্বাস করি বা না করি এটা কি রাষ্ট্রের কাছে মুখ্য, না আমি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জীবন দিতে পারি এটা গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানের বিষয়। তথাকথিত অনেক ধর্মীয় নেতা রাষ্ট্রদ্রোহীর মত অপরাধ করেও ছাড় পেয়ে যাচ্ছে আর একজন তার প্রাত্যহিক জীবনে কোন অলৌকিক শক্তির প্রতি কৃতজ্ঞতা শিকার করল কি না তাদের খুঁজে বিচার করার দাবিতে হরতাল হচ্ছে।
ঈশ্বরপ্রেম না থাকলে তো দেশপ্রম আরও প্রবল হওয়ার কথা। কারণ নাস্তিককে তার চারপাশ, তার পরিবেষ্টনী, তার পরিবেশ, তার প্রতিবেশকে বাসযোগ্য, উপভোগ্য করার প্রচেষ্টা করতে হয়। তার চোখে মৃত্যুর পরের স্বর্গসুখে বিশ্বাস নেই বলে এ পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে রাখার জন্য তার মধ্যে এক সুতীব্র আকাঙ্ক্ষা কাজ করে। অস্ট্রেলিয়াতে একজন ব্যক্তি নিজেকে নাস্তিক হিসেবে রাষ্ট্রের কাছে ঘোষণা দিতে পারে। বলতে পারে আমি কোন অলৌকিক বা অপার্থিব কিছুর পেছনে ছুটছি না।
যে মাটি শরীরে মেখে বড় হওয়া সে মাটির ঋণ, সে মাটির প্রতি ভালবাসা, নিজস্ব সীমানার প্রতি মমত্ববোধের প্রকাশ করলেও নাস্তিক হবার তথাকথিত পাপ থেকে আমার দেশে মুক্তি নেই। আমি তাদের মুক্তি চাই। আমি মশিউর রহমান ওরফে বিপ্লব , রাসেল পারভেজ ,সুব্রত শুভ ও আসিফ মহিউদ্দীনের মুক্তি চাই।
বিয়াতে এক সময় প্রচুর স্বর্ণ ব্যবহৃত হইত। পরবর্তিতে স্বর্ণের দাম বাইড়া যাওয়ায় রুপার গয়না স্বর্ণের পানিতে ভিজাইয়া নেওয়া শুরু হয়। এইবার পয়লা বৈশাখে একই পদ্ধতিতে ইলিশ মাছ খাওয়া যাইতে পারে। সিলভার কাপ মাছ কিন্না সেটা ইলিশ মাছের পানিতে ধুইয়া খাওয়া হৈবেক।
——– এইটা আমার মত একজন হতভাগার (ইলিশ মাছ কিনতে অক্ষম লোকের) ব্যাকআপ প্ল্যান 😉
@নাহিদ,
সুপার ডুপার নাহিদ ভাই :guru:
ধন্যবাদ @সুকান্ত !
প্রশ্নটি যদি হয়, “নাস্তিকতা আর দেশপ্রেম কি সাংঘর্ষিক?” তবে উত্তরেতে উঠে আসে এক প্রতিপ্রশ্ন । ‘কখনো কি দেখেছেন দেশ ?’ প্রশ্ন কখনো কখনো আসলে প্রশ্নের আবডালে অব্যাক্ত উত্তর ; তাই ভয় হয় পাছে যা বলতে চাইনা তাই ভুল প্রশ্নছদ্মবেশে বেরিয়ে আসে । ভনিতা ছেড়ে যা বলতে চাই তাই বরং বলি । মনে করুন না কেন সেই সাতচল্লিশ; দেশের যা কিছু কান্না তার প্রশমনে যা কিছু পেলাম, আপনি, আমি এখানে সেখানে উপহারে নানারঙা মোড়কে সেকি দেশ না রাষ্ট্র? এক্ষনে উঠে আসতে পারে মোক্ষম একটি প্রশ্ন, মুখ বন্ধ করতে । সেকথা বলে রাখি আগেই মুখবন্ধে । প্রশ্ন উঠবে তবে মন্তব্যকারী কি অরাষ্ট্রবাদী? যা কিছু বলার বলে ফেলি এইবেলা । প্রায়োগিক সম্ভাব্যতার প্রশ্নটি উহ্য রাখলে ঞ্জাত ইতিহাসে বরাবরই দেশাবেদনময় বিজ্ঞাপনে বাজারে কি বিক্রি হতে দেখেন নি রাষ্ট্র নামক পণ্যটি? (মাফ করবেন মার্ক্সীয় তত্ত্ববিদ্যাবাদীরা, পণ্য এবং বিক্রি হওয়া এখানে নেহাতই রূপক ।) জাতীয়তাবাদের কামনা-বাসনোৎসবে (যদি ন্যাশনালিশ্ট ওরগির এটি সঠিক বাংলা হয়) আত্মরতিরত দেশবাসীকে দেশপ্রেমের মিষ্টি পোঁচ লাগানো রাষ্ট্র নামক নিমের পাচনটি গেলানোর কাজটি নিতান্ত সহজে যখন সারা হোল তখনো কি বোঝা যায়নি যে শুধু সুযোগের অপেক্ষা মাত্র; অনুকূল পরিস্থিতি পেলে ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানবে । বিদেশি বণিক রাষ্ট্রের পরিবর্তে তৈরি হোল যা কিছু , সেওতো রাষ্ট্র । দূর ভূখন্ডস্থিত পূঁজির স্বার্থ হতে আপাত মুক্ত সে রাষ্ট্রনিচয় কোন সে মহান কর্তব্যনিরত ছিল বিগত বছরগুলিতে ? দেশপ্রেমে বুঁদ জনতার ঘামে রক্তে সদ্যজাত স্থানীয় পূঁজির জয়গাঁথা রচনার উপক্রমনিকা ছিল সাতচল্লিশ । সে স্থানীয় পূঁজিও আদতে দূরস্থ পূঁজির ছোটো শরিক মাত্র । ছোটো শরিকদের আপন ঘরে যা কিছু কোঁদল , তার মীমাংসা হোল দ্বিজাতিতত্ত্বে । কোঁদল তখনো ছিল কিছু অমীমাংসিত । তারও মীমাংসা হোল একাত্তুরে । আত্মোৎসর্গ তো মিথ্যে নয়, কিন্তু পীড়াদায়ক হোল আত্মৎসর্গের পিছে লুকিয়ে থাকা সত্য টি । সে সত্যকে ইতিহাসের যূপকাষ্ঠে বলী না চড়ানো হয় যতক্ষণ, ততক্ষণ কি রাষ্ট্র দেশের জন্যে আসন ছেড়ে দেবে ? কিছুতেই নয় । তাই শ্রমজীবির কাতারে বহুধাবিভক্তিকরনে বার বার উঠে আসবে জাতিতত্ত্ব, ধর্ম, ভাষা, এবং এসমস্ত কিছুর মিশ্রন, যার পোশাকি নাম দেশপ্রেম । ছদ্মবেশে যা আসলে রাষ্ট্রবাদের পাঁচন । পোড়া পেটতো তবু খাবার চায় । শরীর চায় বিশ্রাম । পূঁজি বনাম শ্রমের কোঁদলও কিন্তু চলতেই থাকে । তাই মনে হয় প্রশ্নটি এ নয় যে ‘নাস্তিকতা আর দেশপ্রেম কি সাংঘর্ষিক?’ ; আসলে প্রশ্নটি হোল, ‘যে আর্থসামাজিক পরিস্থিতিতে আস্তিকতা রাষ্ট্রবাদের হাতে গননিয়ন্ত্রনের অস্ত্র, সে পরিস্থিতিতে, নাস্তিকতা কি বাজারচলতি দেশপ্রেমের সাথে একছাদের নীচে রাত কাটাতে পারবে?’ প্রিয় লেখিকা, প্রশ্নটাতো তেমন কঠিন নয় আর উত্তরওতো সবারই জানা ।
@সুকান্ত,
বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আর লেখিকা শব্দটি জেন্ডার অসংবেদনশীল বলে উঠিয়ে নেওয়ার অনুরোধ রইল।
@গীতা দাস,
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর লেখাটির জন্যে । আর মাফ করবেন, লেখিকা শব্দ টি লেখার আগে ব্যাপারটি এভাবে ভাবিনি। দুঃখিত । কিন্তু কি ভাবে ঠিক করব বুঝতে পারছিনা। সেরকম কোনও সুযোগ ( আগের মন্তব্য ঠিক করবার) তো এখানে আছে বলে দেখছি না। সত্যি মুশকিলে পড়েছি । আবার মাফ চাইছি – মনে কিছু করবেননা অনুগ্রহ করে ।
নাস্তিকতা পাপ নয়। নাস্তিকরা ওমর খৈয়াম থেকে আহমদ শরীফ, বার্টার্ন্ড রাসেল থেকে আরজ আলী মাতুব্বর, স্টিফেন হকিং থেকে রিচার্ড ডকিন্সদের মতো মনীষীদের দলভূক্ত হয়ে নিজেদের গৌরাবান্বিত মনে করতে পারে নির্দ্বিধায়।
আপনার সুখপাঠ্য, যদিও অস্বস্তিকর ভাবনা উদ্রেককারী, লেখাটার জন্য ধন্যবাদ।
@ইরতিশাদ আহমদ,
ভুল বুঝাবুঝি হতে পারে ভেবে নাস্তিক হবার পরে পাপ শব্দটির আগে তথাকথিত শব্দটি যোগ করে দিলাম। আর? অস্বস্তির উদ্রেক করেছি বলে দুঃখিত, ইরতিশাদ ভাই।
@গীতা দাস,
অনেক ধন্যবাদ আপনার সংবেদনশীলতার জন্য। আর, অস্বস্তির উদ্রেক আপনি করেন নি। সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে লিখেছেন, এই ঘটনাগুলোই অস্বস্তিকর। আপনার কথাগুলো অপ্রিয় হলেও সত্যি, তাই বলতে চেয়েছিলাম।
এই মুক্তমনার পাতাতেই গ্রেফতার হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে সুব্রত শুভ লিখেছেন। তাঁকে জেলে রেখে আমরা কি করে স্বস্তিতে থাকি? আপনিও যে স্বস্তিতে নেই আপনার লেখায় তারই স্বাক্ষর রেকেছেন। আবারো ধন্যবাদ।
@ইরতিশাদ আহমদ,
আপনার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে লেখাটায় আরও একটু সম্পাদনা করলাম। সংযুক্ত করলাম চার ব্লগারের নাম।
আমি মশিউর রহমান ওরফে বিপ্লব , রাসেল পারভেজ ,সুব্রত শুভ ও আসিফ মহিউদ্দীনের মুক্তি চাই।
ধন্যবাদ সহযোগিতার জন্য।
চমৎকার বলেছেন
@সাব্বির শওকত শাওন,
ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।
এইখানেই পার্থক্য। মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করে, সে কখনো আপনার অধিকার কেড়ে নিতে আসবে না, আপনার-অধিকার স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতেই যে ওদের জন্ম!
আর অন্যদিকে, ওরা ‘৭১ এ আমাদের স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল ধর্মের নামে, এখনো করে যাচ্ছে! আপনার-আমার সবটুকু স্বাধীনতা খর্ব করতেই যেন ধরাধামে ওদের আগমন।
@কাজি মামুন,
ধন্যবাদ মামুন পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য।
মনের গভীর থেকে উঠে আসা কথা। যা বিশ্লেষণ করে বোঝানো যায়না।
অনেকের মনের কথা গুলো বলে দিলেন।
@আফরোজা আলম,
প্রত্যেকের মনের কথা এখন প্রকাশ করার সময়, আপা।
@গীতা দাস,
তাই? একটু খেয়াল কইরা দিদি, কানে অবিরাম উপদেশবাণী আসছে যে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশ, ৯০ পার্সেন্ট মুসলমানের দেশ, কথা প্রকাশের সময় হাওয়া বুঝে ওজন করে কথা কইতে হয়, নতুবা বিপদের সমুহ সম্ভাবনা আছে। একদিন না সুর উঠে- গীতা মরেছে তার অবিবেচক কথা বলার দোষে। এই মরার দেশে মনের কথা, ভালবাসার কথা প্রকাশের অপরাধে মানুষের শাস্তি হয়, খুনী আর ধর্ষককে সসম্মানে বাঁচাতে চাঁদে তোলা হয়। বহু বছর আগে আমাকে এক লেখক (বান্ধবী) বলেছিলেন- তসলিমাকে মই দিয়ে গাছে উঠানোর মানুষ প্রচুর ছিল, একদিন তসলিমা অবাক বিষ্ময়ে দেখলো গাছের তলায় কোন মানুষও নাই মইও নাই।
মনের ভিতর এক সাগর হতাশ ক্ষোভ-দুঃখ, চাপা রেখে নিজের ইচ্ছে, বিশ্বাস, আদর্শের বিপরীতেই অনিচ্ছাকৃতভাবে ভীরু মেরুদন্ডহীন কাপুরুষের ভাষায় কথাগুলো বললাম। একটু সাবধানে থাইকেন, এই দুনিয়ায় গীতাদের বেঁচে থাকার বড়ই প্রয়োজন আছে।
@আকাশ মালিক,
পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ আকাশ ভাই।
হেফাজতি ভাইদের তো সব নাস্তিকের প্রতি রাগ নেই। কেবল মাত্র ইসলাম বিদ্বেষী/নবী রসূলকে গালিগালাজ করা নাস্তিকদের প্রতিই তাদের যত রাগ :))। বিশেষ করে যুদ্ধপরাধীদের বিচার এর বিরোধী ওনারা কোনমতেই নন বলে বার বার দাবী করেন।
তাও কেন যেন মনের ভুলে ওনারা শাহবাগ নামটা ভুলতেই পারেন না।
-প্রিয় নবী (সা.)-এর শানে জঘন্য কুৎসা রটনাকারী……এই অংশটা পরিষ্কার, মানা যায় যে ওনাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার কারনে ক্ষিপ্ত, বিচার চান। কথা হল এবং শব্দটার আগের অংশ কেন ওনাদের দাবী হল? শাহবাগ আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের প্রতি ওনাদের কেন এত রাগ? রাগ তো হবার কথা কেবল মাত্র পরের অংশে বর্নিত ইসলাম বিদ্বেষীদের প্রতি।
@আদিল মাহমুদ,
দ্বিমত নেই, তবে ক্ষেত্র তো পরিবর্তিত হয়ে বাংলাদেশে এখন ব্লগার,শাহবাগ আর নাস্তিক এখন একাকার হয়ে যাচ্ছে, আদিল ভাই।
গীতাদি,
অপূর্ব সুন্দর একটা বিশ্লেষন! মাথায় করে রাখলাম।
@কেশব অধিকারী,
ধন্যবাদ দাদা।
চমৎকার লেখা, অপূর্ব যুক্তি।
@সুধা সুতপা, ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
কিছু বলার ভাষা পাচ্ছিনা। আবেগে এবং শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে যাচ্ছে। শুধু এটুকুই চাওয়া , সরকার যেন এই ক্ষেত্রটুকু রাজনীতির হিসেবের বাইরে মনুষ্যত্ব আর দেশপ্রেমের আওতায় ভাবে।
দেশপ্রেমী দের প্রতি অকুন্ঠ ভালবাসা রইলো।
@সোমনাথ,
মনুষ্যত্ব আর দেশপ্রেমের সংজ্ঞাই যে পাল্টে যাচ্ছে সোমনাথ বাবু।
(Y) ।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
সমস্বরে বলতে হবে ব্লগারদের মুক্তি চাই। ব্লগারদের মুক্তি চাই। ব্লগারদের মুক্তি চাই।
@গীতা দাস, (Y)
ছুটি নিয়েছি।
কিছু বলতে, লিখতে, শুনতে ইচ্ছে হচ্ছে না।
পান্তা বোশেখ বাঙালি ইলিশ কিচ্ছু না।
এখন কি রাত?
আচ্ছা, ছোটরা; নতুনরা,
আমাদের ছুটি দিয়েছে না কি?
বলতে পারেন, এখন কি রাত?
@কাজী রহমান,
হ্যাঁ, এখন রাত।তবে কোথায় যেন পড়েছি” রাত যত গভীর ভোর তত কাছে”।কাজেই সে ভোরের অপেক্ষায়—–