লিখেছেন: নাদিম আহমেদ
একটি উদার, সহনশীল আধুনিক গণতান্ত্রিক সমাজ বলতে আমরা এমন একটি সমাজ বুঝি, যেখানে অনেক মত (pluralism), অনেক পথ থাকবে। অনেক বিশ্বাস ভাবনা থাকবে। নানান মতাদর্শের মানুষেরা পাশাপাশি সম অধিকার নিয়ে বসবাস করবেন এবং একে অন্যের প্রতি সহনশীল মনোভাব প্রকাশ করবেন। তারা সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্র থকে নিজেদের মতাদর্শের চর্চা করবেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার অজুহাতে নিজের মত অন্যের উপর চাপিয়ে দেবেন না। নিজের জীবনাদর্শ অনুযায়ী নিজের জীবন যাপন করবেন, কিন্তু অন্যকে সেটা করতে বাধ্য করতে পারবেন না।
যেহেতু নানা ধর্মের এবং নানা মত দর্শনের মানুষ একটি সমাজে বাস করে, সেহেতু তাদের চিন্তা ধারা, জীবন ধারন পদ্ধতি ও ভিন্ন। এখন অন্যের ধর্ম বা মত সম্পর্কে আমাদের অবস্থান কী হওয়া উচিত? অবশ্যই অন্যের মতকে শ্রদ্ধা করা উচিত এবং তাদের প্রতি সহনশীল হওয়া উচিত। কারন আমরা সবাই শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাজে বাস করতে চাই। সমস্যা হয় তখনই যখন একজন মানুষ নিজের মত কেই নির্ভুল ও সর্বশ্রেষ্ঠ মনে করে এবং অপরের মত সম্পর্কে কিছু না জেনেই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে, অসম্মান করে।
কোন মতাদর্শই নির্ভুল এবং সমালোচনার উর্দ্ধে নয়। এই বিশ্বাস আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে। এর জন্য আমাদেরকে প্রত্যেকের কথা গুরুত্ত দিয়ে শুনতে হবে এবং যুক্তি দিয়ে বিশ্লেষণ করে সমাজে তার গ্রহনযোগ্যতা যাচাই করতে হবে। অনুরূপ ভাবে আমার নিজের বিশ্বাসকে যখন অন্যরা যুক্তির কাঠগড়ায় দাড় করাবে, তখন তাদের যুক্তি গুলো ধৈর্য নিয়ে শুনতে হবে এবং নিজের বিচার বিবেচনা অনুযায়ী বিপরিত যুক্তি দাড় করাতে হবে। আমি যদি আমার বিশ্বাসের পক্ষে উপযুক্ত যুক্তি দিতে না পারি তাহলে আমার মতাদর্শের কী মূল্য থাকল?
গঠনমূলক সমালোচনা এবং কোন মতাদর্শের অবমাননা কখনো এক হতে পারে না। যেকোনো মত বা দর্শন সমালোচনার মাধ্যমেই উৎকর্ষতা এবং মানুষের মাঝে অধিক গ্রহণযোগ্যতা লাভ করতে সমর্থ হয়। যখন আপনি যুক্তি প্রদান সাপেক্ষে কোন মতাদর্শের ত্রুটি বা ক্ষতিকর দিক উপস্থাপন করবেন, তখন তাকে গঠনমূলক সমালোচনা বলা হবে। অপরদিকে কোন প্রকার যুক্তি, ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ এবং গবেষণা ছাড়া যখন আপনি অনাবশ্যক ভাবে ভিন্নমতের বিষদগার করবেন তখন সেটাকে অশ্রদ্ধা বা অবমাননা বলা হবে। অগঠনমূলক ও অযৌক্তিক সমালোচনা সৃষ্টিশীল নয়। কেউ যখন নিজের মতকে শ্রেষ্ঠ প্রমানের জন্য ভিন্নমতকে অনাবশ্যক অশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন তখন তিনি নিজের মতাদর্শের গ্রহণযোগ্যতাকেই বরং প্রশ্নবিদ্ধ করেন।
প্রত্যেকটা মতাদর্শেরই সমালোচনা দরকার রয়েছে। স্বাধীন দেশে স্বাধীন মানুষ যেকোনো মত বা দর্শন সম্পর্কে মত প্রকাশের অধিকার রাখে। সমালোচনা এবং স্বাধীন মত প্রকাশের মাধ্যমে কোন মত বা আদর্শের ত্রুটিযুক্ত বা সমাজের জন্য অনুপযোগী বিষয় সমূহ বের হয়ে আসে। কোন ব্যক্তি বা দর্শন সমালোচনার উর্দ্ধে থাকতে পারে না। যেকোনো মতাদর্শ তার ত্রুটিযুক্ত অংশ (যা সমাজের জন্য ক্ষতিকর) বাদ দিয়ে সমাজ ও সময় উপযোগী করে মানব সমাজের প্রগতি ও বিকাশে ভুমিকা রাখতে পারে।
আর যখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত কোন মতাদর্শের সমালোচনা করা হবে না, তখন সেটা একসময় সমাজের বিষফোড়ায় রূপ নেবে। যেহেতু তার ত্রুটি পূর্ণ অংশ নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না, সেহেতু সুবিধা ভোগী স্বার্থান্বেষী মহল সেটাকে যথেচ্ছা নিজস্ব স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করবে।
যখন কেউ সেই মতাদর্শের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে তখন তাকে অবমাননার অভিযোগ তুলে প্রতিহত করা হবে এবং সব রকম প্রশ্নের দ্বার রুদ্ধ করা হবে। এভাবে ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থে সমাজের উপর প্রশ্নহীন কোন মতবাদ চাপিয়ে দিয়ে সমাজের বিকাশের পথ বন্ধ করে দেবে স্বার্থান্বেষী শোষক গোষ্ঠী। একইসাথে ভিন্ন মতাবলম্বী মানুষদেরকে অবজ্ঞা, অপমান করে সংখ্যালঘু আখ্যা দিয়ে সমাজ বিচ্ছিন্ন করা হবে। আর সমাজ সামনের দিকে না গিয়ে পশ্চাৎ মুখী যাত্রা করবে।
অগনতান্ত্রিক ও অসহনশীল সমাজে গঠনমূলক সমালোচনাকে ও অবমাননা বলে প্রচার করা হয়। এর পেছনে সুস্পষ্ট অসৎ উদ্দেশ্য থাকে। উদ্দেশ্য হল ভিন্ন মতাবলম্বীদের প্রতিহত করা। এর জন্য মানুষের মনে বিশেষ ধরনের বায়বীয় অনুভূতি সৃষ্টি করা হয়। চিন্তাহীন মানুষদেরকে হিপনোটাইজ করে গঠন মূলক সমালোচনাকে ও বিশেষ বায়বীয় অনুভূতিতে আঘাত হিসেবে বোঝানো হয়। আর এই আঘাতের প্রতি উত্তর সরূপ তাদেরকে লেলিয়ে দেওয়া হয় ভিন্ন মতের মানুষদের উপর। সৃষ্টি করা হয় বিভাজন। এসব বিভাজন এর উদ্দেশ্য মানুষ নিজেদের অধিকার সম্পর্কে যেন সচেতন হতে না পারে।
তারা যুগ যুগ ধরে শোষিত নিগৃহীত, বঞ্চিত হয়। কিন্তু প্রকৃত শত্রু সেই শোষকদের কে চিনতে পারে না।
দর্শনগত ভাবে বিভিন্ন মতাদর্শের মধ্যে দ্বন্দ্ব সবসময়ই বিদ্যমান। যেমন হিন্দুদের মূর্তি পূজা মুসলিম দের কাছে হাস্যকর। আবার মুসলিমদের গরু কোরবানি হিন্দুদের নিকট অবমাননাকর। একজন ইসলামবিদ যখন নিজ ধর্ম দর্শন প্রচার করবেন তিনি তার বিশ্বাস অনুযায়ী তার ধর্মকে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন। তার জন্য তাকে তুলে ধরতে হবে অন্য ধর্মের অসাড়তা ও অযৌক্তিকতা গুলো। এক্ষেত্রে তিনি যদি বলেন প্রাণহীন মূর্তির পূজা করা যথেষ্ট অযৌক্তিক ও হাস্যকর। ইহা একটি ভ্রান্ত মতবাদ। তাহলে দর্শনগত দ্বন্দ্ব প্রকাশ পাবে। এটাকে কি সমালোচনা বলা হবে নাকি অবমাননা বলা হবে? তাকে আরও বলতে হবে যে ইসলাম ব্যতীত অন্য সকল ধর্ম মিথ্যা। এটা তাকে তার মত প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই বলতে হবে। এটা কি তাহলে ধর্ম অবমাননা হবে না?
একইভাবে একজন খ্রিস্টান পাদ্রী যদি তার নিজস্ব যুক্তি দিয়ে দেখান যে ইসলামের নবী মিথ্যা এবং খ্রিস্ট ধর্মের নবীই একমাত্র সত্য, তাহলে কি ইসলামের নবীর অবমাননা হবে না? অথচ নিজ ধর্ম প্রচারের স্বার্থে তাকে কথা অবশ্যই বলতে হবে। এর জন্য কি ওই পাদ্রীর শাস্তি হওয়া উচিত?
একজন নাস্তিক যদি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে যুক্তি দিয়ে বলেন যে, ঈশ্বরের অস্তিত্তের কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি, সুতরাং ধর্ম গুলো মানুষের সৃষ্টি। মুসলিমরা যে বিশ্বাস করেন যে আকাশ থেকে নবীর কাছে বার্তা এসেছিল, বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে তা হবার কোন সম্ভাবনাই নেই। সুতরাং ইসলামের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। এর জন্য কি ধর্ম অবমাননার শাস্তি দিতে হবে ? অথচ এই ভিত্তির উপরই নাস্তিক্যবাদ দাড়িয়ে আছে।
এখন আপনি যদি বলেন, যে এসব বলে ইসলাম ধর্ম অবমাননা করা হয়েছে, তার শাস্তি হওয়া উচিত, তাহলে তার সুস্পষ্ট অর্থ দাড়ায়, আপনি চান না আপনার মতাদর্শের কোন ত্রুটি প্রকাশ পাক। আপনি চান না অন্য কোন মত বিকশিত হোক। আপনি ভিন্নমত কে দমিয়ে রাখতে চান। আপনি ভিন্নমত কে ঘৃণা করতে পারেন, অসাড় ও হাস্যকর মনে করতে পারেন। কিন্তু অবমাননার অজুহাতে গায়ের জোরে কারো মুখ চেপে ধরতে পারেন না।
দার্শনিক দ্বন্দ্ব কে দর্শনের ভেতর সীমাবদ্ধ না রেখে ব্যক্তি জীবনে নিয়ে এসে সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করা হয়। বায়বীয় অনুভূতির দোহাই দিয়ে বিভাজন বিশৃঙ্খলা তৈরি করে এর ফায়দা নেয় সুবিধাবাদী, ধর্ম ব্যবসায়ী, নীতিহীন মানুষেরা। প্রত্যেকের নিজস্ব জীবন দর্শন অনুযায়ী চলার স্বাধীনতা রয়েছে, যতক্ষণ তা অন্যের কোন ক্ষতির কারন হয়ে না দাড়ায়।
সুতরাং একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে মতের অবমাননা বা বায়বীয় অনুভূতিতে আঘাত বিষয় গুলোর বাস্তব কোন ভিত্তি নেই। এগুলো সৃষ্টি করা হয়েছে বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থে। অবমাননা যেহেতু ভিত্তিহীন সেহেতু এর জন্য শাস্তির দাবী ও অযৌক্তিক। কেউ আপনার ধর্মমতকে অযৌক্তিক ভাবে অসম্মান করলে আপনি তাকে ঘৃণা করতে পারেন, তার মতকে ও অবমাননা করতে পারেন বড়োজোর। কিন্তু এই লঘু অপরাধে কোন প্রকার রাষ্ট্রীয় শাস্তির দাবী করতে পারেন না।
যারা লেখনীর মাধ্যমে নিজের মত প্রকাশ করেছেন, তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল নিজের মতকে প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করা। কোন প্রকার অশান্তি বা অরাজকতা সৃষ্টি নয়। কিন্তু কিছু লোক হীন স্বার্থে এসব লেখা কে ধর্মীয় অবমাননা হিসেবে প্রচার করেছে। এদের উদ্দেশ্য ছিল অশান্তি সৃষ্টি করা। তাহলে কে অপরাধী? কার শাস্তি হওয়া উচিত?
আমার নিজস্ব বক্তব্য হল “ধর্ম অবমাননার শিক্ষা আস্তিকরা জন্ম সুত্রেই পায় আর সে সারাজীবন নিজ ধর্ম পালনের সাথে সাথে অন্য ধর্ম গুলোকে প্রতিনিয়ত অবমাননা করে যায়। ধর্ম অবমাননা না করে নাস্তিক হওয়া যায় কিন্তু আস্তিক হওয়া যায় না। একটি ধর্মতে বিশ্বাস স্থাপন মানে অন্য সকল ধর্মকে মিথ্যা ও বানোয়াট হিসেবে বিশ্বাস করা। এটাই মূলত ধর্ম অবমাননার বীজ। কিন্তু ধর্মের কু শিক্ষা তাদের অন্ধ করে রাখে। বিবেককে করে রাখে স্তব্ধ। তাই তারা নিজ ধর্ম ছাড়া অন্য ধর্মের অসম্মানকে অসম্মান হিসেবেই গণ্য করেন না”।
নিজ ধর্মকে শ্রেষ্ঠ প্রমান করতে অন্য ধর্মগুলোকে ভুয়া প্রমান করতে হবে এটাই স্বাভাবিক। তাইতো খ্রিস্টানরা বলে মুহাম্মদ ভণ্ড নবী আর কোরআন তার নিজের লেখা, মুসলিমরা বলে বাইবেল বিকৃত হয়ে গিয়েছে। এটা তাদের তার মত প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই বলতে হবে। এটা কি তবে ধর্ম অবমাননা হবে না? এখন তবে প্রশ্ন হল, উপরের কথা দুটো যদি ধর্ম অবমাননা না হয় তবে নাস্তিকরা তাদের মত প্রকাশ করলে অর্থাৎ “ঈশ্বর মানব সৃষ্টি করেননি, ঈশ্বরকে মানুষ সৃষ্টি করেছে এবং তাই সকল ধর্মই মানব সৃষ্ট” ধর্ম অবমাননা হবে কেন ??? সব তালগাছ আস্তিকদের কেন ???
আস্তিক হয়ে অন্য আস্তিকের বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন করলে সেটা ধর্ম অবমাননা হয় না। নাস্তিক হয়ে প্রশ্ন করলেই কেবল ধর্ম অবমাননা ও ধর্মানুভুতিতে আঘাত দেয়া হয়। কেননা নয়তো জাকির নায়েক অন্য ধর্মকে খোঁচানোর দায়ে উপমহাদেশের সবচাইতে বড় ধর্ম অবমাননাকারী সাব্যস্ত হতেন।
অসাধারণ এই লেখাটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
লেখা গুলো পড়া যাচ্ছে না কিন্তু মন্তব্য গুলো পড়া যাচ্ছে। কেন বুঝতে পারছি না?
আসলে ধর্ম ব্যাপারটা মানুষের কাছে এতটাই সেন্সিটিভ যে এর সমালোচনা(যৌক্তিক বা অযৌক্তিক) মানুষ সহজে মেনে নিতে পারে না। নাস্তিক্যবাদ ও একপ্রকার জীবনদর্শন। তাই একজন মুসলিম এর যেমন অধিকার আছে তার ধর্ম প্রচারের, একজন হিন্দুর যেমন অধিকার আছে তার ধর্ম প্রচারের তেমনই একজন নাস্তিকেরও অধিকার আছে নাস্তিক্যবাদ প্রচার করার। কিন্তু মুক্তচিন্তার অধিকারী নাস্তিকরা আজ বিপদ্গ্রস্ত কারণ কিছু অবিবেচক নাস্তিক আছে যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য ধর্মীয় বিভিন্ন “গুরুত্ব”পূর্ণ চরিত্র নিয়ে স্যাটায়ার তৈরী করে। নাস্তিক্যবাদ প্রচার হোক এটা আমিও চাই, কিন্তু সেটা সুস্থ মনমানসিকতা নিয়ে মুক্ত সমালোচনা এবং যৌক্তিক বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে। ধর্ম নিয়ে এভাবে স্যাটায়ার বানালে মানুষ নাস্তিকদের ভুল বুঝবে এবং নিজেদের ধর্মীয় “চেতনা”ই তাদের নাস্তিকদের আক্রমণ করার জন্য প্রলুব্ধ করবে।
@আহনাফ ইনকিয়াদ অর্ক,
বিবেচক নাস্তিক, আপনাদেরই সুদিন পড়েছে, বলুন যা ইচ্ছে তাই। ‘রঙ্গীলা রাসুল’ লেখা হয়েছিল ১৯২৪ সালে পাকিস্তানের লাহোরে। নবি প্রেমিক আলিমুদ্দীন ‘রঙ্গীলা রাসুল’ বইয়ের লেখককে খুন করেছিলেন আজ থেকে প্রায় এক শো বছর আগে। পৃথিবীর ইতিহাসে কবে কোন দেশে কোন কালে ধর্মের সমালোচনাকারী নাস্তিক অথবা আস্তিক বিপদ্গ্রস্ত ছিলেন না তা আমার জানা নেই। শতশতবার, হাজারবার প্রমাণ দেখানো হয়েছে অতীতে কীভাবে লেখক, কবি দার্শনিক বৈজ্ঞানিকরা আস্তিকদের হাতে নির্মমভাবে খুন হয়েছেন। আর আপনি বলছেন আজ নাস্তিকরা বিপদ্গ্রস্ত মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য, ধর্মীয় বিভিন্ন “গুরুত্ব”পূর্ণ চরিত্র নিয়ে স্যাটায়ার লেখার জন্যে। মা’নেটা দাড়ালো, সাতক্ষীরায় যারা হিন্দুদের বাড়িঘর পুড়ালো দোষ তাদের নয়, দোষ নাটক লেখক আবুল মনসুরের।
ধর্মীয় বিভিন্ন “গুরুত্ব”পূর্ণ চরিত্র বলতে কী বুঝাতে চেয়েছেন? এরা সমালোচনার উর্ধে? বুদ্ধ, রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ কাউকেইতো মুক্তমনায় ছাড় দেয়া হয়নি, কই কোথাও এর জন্যে আগুন জ্বলতে তো দেখলাম না। আপনাদের এই একতরফা বক্তব্য, ধর্মের সমালোচনাকারীদের দোষারুপ, ইসলামী সন্ত্রাসবাদীদের অপকর্মের ন্যায্যতা দেয়ারই শামিল। আমি বলি- মৌলবাদীরা আপনাদের নীরব সমর্থন, আপনাদের আস্কারা পেয়ে বাংলাদেশে নরকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে।
বি এন পির বহুল চর্বিত ডায়োলগ। আমরাও যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই কিন্তু-তবে–।
@আকাশ মালিক,
😀 😀 😀
@আকাশ মালিক,
যথাযোগ্য বলেছেন । (Y)
মৌলবাদীদের হাতে নৃশংসভাবে হ্ত্যা হওয়া ব্লগার রাজীবের হ্ত্যাকারিদের অপরাধকে এরা জাস্টিফাই করেছে এই বলেই যে , ব্লগার রাজীব তার ব্লগে ইসলাম ও মুহাম্মদকে নিয়ে সমালোচনা করে তাই তাকে হত্যা করা জায়েজ ।
@আহনাফ ইনকিয়াদ অর্ক,
জানা শোনা না থাকলে মানুষ যেমন আবোল তাবোল বকে আপনার অবস্থাও তাই। কোন মুসলমান দেশে ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্ম প্রচারের কোন সুযোগ নেই।আর নাস্তিকতা প্রচার সে তো কল্লা কাটার মত অপরাধ। বিশ্বাস না হলে সৌদি আরব গিয়ে দেখে আসুন। পাকিস্তান , মিশর বা অনযান্য আরব দেশগুলোরও একই অবস্থা। পক্ষান্তরে , মুসলমানদের দাবী তারা সব যায়গাতেই ইসলাম প্রচার করবে কারন সারা দুনিয়াটাই আল্লাহর।বেকুব ও মূর্খ অমুসলিমরা এতে কিছু মনে করে না। তবে যেদিন মনে করা শুরু করবে সেদিনই যে কিয়ামত শুরু হবে তাতে কোন সন্দেহ নাই।
@বিদ্রোহী, ভাই, অর্ক বলতে চেয়েছে যে ঐ অধিকারগুলো থাকা উচিৎ।
@আকাশ মালিক, আপনারা যে গঠন মূলক সমালোচক নন তার প্রমান দিলেন।আপনারা হচ্ছেন কুতার্কিক।
আল্লাহ কারো খাটের
নিচে গান্জা টানে (নাউযুবিল্লাহ)
আমার প্রশ্ন ছিল
এটাকি গঠন মূলক সমালোচনা?
এটা কি বিজ্ঞান সম্মত সমালোচনা?
প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে কথা ঘোরালেন।উত্তর থাকলেতো দিবেন।
বললেন আল্লাহকে গালি দিলে তার বিচার আল্লাহ করবে
মানলাম
বাংলার স্বাধীনতার স্থপতি দেশের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।তাকে যদি কেউ বলে তিনি কারো খাটের নিচে গান্জা টানেন(HENIOUS ACT)
আর সেটা একজন বাংলাদেশী হয়ে দেশের নাগরিকরা মেনে নিবে?
তখন কি আমরা বলব বঙ্গবন্ধু কবর থেকে এসে নিজের মানহানি মামলা করুক।
আপনাদের মত সুবিধাবাদী দেশ প্রেমিকরা হয়ত কিছু বলবেনা কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অগনিত ভক্তরা ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে শুধু মানহানির মামলা নয় দেশদ্রোহীতার মামলা করবে।সেক্ষেত্রে মহান আল্লাহতালার কোটি ভক্ত বাংলাদেশেই রয়েছে তারা চুপ করে বসে থাকবে?
আমি কাউকে খুন করার পক্ষে কথা বলিনি।আমার প্রশ্ন ছিল ঐ গুলো গঠন মূলক সমালোচনা কিনা?
আর নিজেকে যুক্তিবাদী মনে করলে ডাঃ জাকির নায়েকের লেকচার শুনবেন।কুরআন এবং ইসলামের বিজ্ঞান সম্মত ব্যাখ্যা যৌক্তিক ব্যাখ্যা তার লেকচারে রয়েছে।এগুলো অবশ্য আপনারা শুনবেন না।আপনারা হচ্ছেন তথাকথিত প্রগতিশীল যাদের কাছে নিজের ভুল যুক্তিকেই সঠিক বলে মনে হয়।
আর কুরআন,ইসলাম,নবী(সঃ)কে কুটুক্তি করলে আমার মত ইসলাম প্রিয়দের হার্টে দাগ লাগে।হার্ট ছাড়াতো দেহ অচল।অচল দেহে বেঁচে থাকা যায়না।তাই এসবের বিরুদ্ধে আমরা শহীদ হওয়ার মনোভাব নিয়ে রুখে দাড়ায়।ধর্ম বিশ্বাস কইরেন না কিন্তু কারো ধর্মকে নিয়ে উপহাস করে তাদের হার্টে দাগ দিবেন না।
যৌক্তিক জবাব আশা করি
ধন্যবাদ
@তৌকির,
আপনি শেখ মুজিব কে আল্লাহর সাথে তুলনা করছেন, তাহলে কি আপনি ধর্ম অবমাননা করছেন না? আমি যেটা বলতে চাইছি, সেটা হল অবমাননার কোন নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। আপনি খুজলে যেকোনো জায়গায় ই অবমাননা খুজে পাবেন। আপনি কেন এগুলো খুজতে যাবেন শুধু শুধু? যদি স্রস্টা বিশ্বাস করেই থাকেন তাহলে এটাও বিশ্বাস করা উচিত এত বিশালত্তের অধিকারী স্রস্টা কখনো সামান্য মানুষের ক্ষুদ্র বাক্যের দ্বারা অবমাননা বোধ করতে পারেন না। তাকে অবমাননা করার ক্ষমতা পৃথিবীর ক্ষুদ্র মানুষের থাকতে পারে না।
@নাদিম আহমেদ, আপনি এই অতি সামান্য যুক্তিটি বুঝতে পারেননি অথচ আপনারাই যুক্তিবাদীর লেবাস নিয়ে ঘুরেন।
এখানে আমি বুঝাতে চেয়েছি আল্লাহর সৃষ্ট একজন ক্ষুদ্র মানুষের মূল্য যদি এত বেশী হয় তাহলে তার সৃষ্টির কাছে তার মূল্য কত বেশী হতে পারে।
@তৌকির, খুব সুন্দর করে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন,মোহাম্মদ এর স্ত্রীর ব্যাপার টা।এত জ্ঞ্যান আপনার,কিন্তু আমাদের তা জানার ভাগ্য হল না।ধর্ম নিয়ে মনে আঘাত পেলে মুক্তমনা আপনার আঘাত এর কারন হতে পারে।মতের অমিল হতেই পারে।সহনশীলতার অনুশীলন করুন।এখানে মোহাম্মদ কোন ঐশী কেউ না,শুধুমাত্র একজন ঐতিহাসিক চরিত্র।ভাল থাকবেন।
@সাব্বির শওকত শাওন, ধন্যবাদ আপনার জবাবে অন্তত যুক্তি বিশ্বাসের ধাচ পাওয়া যায়।নবী(সঃ)স্ত্রীদের নিয়ে প্রথম বক্তব্যই শ্রেয়।আর প্রয়োজন মনে করছিনা।কুরআন হাদিস যেখানে দন্ডায়মান সেখানে আমার বক্তব্য অবিশ্বাসে কিছু যায় আসে না।আরো জানতে
http://m.facebook.com/note.php?note_id=366359263414993http://islamerpath.wordpress.com/2012/05/28/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%A7%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%95%E0%A7%87/
@তৌকির,
এইডা আবার কি কইলেন , জোকার নায়েকের যৌক্তিক ব্যাখা দেইখা বিঙ্গান শিখতে … :-Y । শিক্ষানবিস ভাইয়ের লিখা ,লিঙ্কটা নীচে দিতেছি পইরেন কিন্তু :
http://blog.mukto-mona.com/?p=1034
@তারিক, আপনার লিংকটি এতটাই হাস্যকর যে পুরোটা পড়িনি।ডাঃ জাকির নায়েক ইংরেজিতে বক্তব্য দেন।ইংরেজি বলার চেয়ে বুঝা কঠিন।তাই এটি নিঃসন্ধেহে বলা যায় যারা তার বক্তিতা শুনে তারা সবাই উচ্চ শিক্ষিত।আপনার মত অল্প বিদ্যা ভয়ংকর অবস্থা নয়।
@তৌকির,
তা ঠিক, আপনার সেই উচ্চ শিক্ষিত লোকজনও ইংরেজি বুঝে বলে মনে হচ্ছে না, তা নইলে আর যাই হউক জাকির নায়েকের কথায়তো এইসব উচ্চ শিক্ষিত লোকজনের নাচানাচি করার কথা না। যাকগে, মনে হয় জাকির নায়েক ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন এটা জেনেই কিছু লোকজন জাকির নায়েকের ভক্তিতে গদ গদ হয়ে আছে।
@তৌকির,
আপনি মূলকথায় না এসে কথা ঘুরান কেন ??? ইংরেজী বুঝা আর বিঙ্গান বুঝা এক কথা না । জোকার নায়েক ইংরেজীতে বক্তব্য দেয় এবং যারা তার ইংরেজী বক্তিতা শুনে বুঝে তারা সবাই উচ্চ শিক্ষিত মানুষ ??? :-Y আপনার মতে আমেরিকা বা ইংল্যান্ডে কি সবাই উচ্চ শিক্ষিত নাকি ??? :hahahee: আপনার হলেন ঐ প্রজাতির মানুষ যাদের জোকার নায়েকের হাবি-জাবি চাপাবাজী শুনে গৌরবে মুসলমান ৰ্ধমাঙ্গ উদ্ধেলিত হয় আর ঐ প্রজাতির মানুষের বিদ্যার দৌড় কত তা আর বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছি না । :))
আপনার নীচের উক্তির ভুল বুঝতে পেয়েছেন আশাকরি : 😀
@তৌকির,
😀 😀 😀 😀 😀 কমেন্ট অফ দা ইয়ার। হাসতে হাসতে মরে গেলাম।
@তৌকির,
খুব ভাল। মামলা করা ভাল, গলাকাটা, রগকাটা এ সব মোটেই ভাল মানুষের কাজ না।
হার্টে দাগ! বলেন কি? শহীদ হওয়ার দরকার কি, আপনাকে কেউ তো শহিদ করতে চাইছেনা, নিজে নিজেই শহিদ হবেন? পাগল নাকি, মামলা করবেন না?
আরে ভাই হার্ট বন্ধ হবেনা। ছুরি হাতে ঘর থেকে বের না হয়ে একটু চেষ্টা করে দেখুন না। কসম আল্লাহর আপনার কিচ্ছুই হবেনা, হার্ট অচল নয় সচলই থাকবে।
সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম এর দেশে ইসলাম ধর্মের সমালোচনাই অবমাননা, আর অন্য ধর্মের অবমাননা হল সমালোচনা।এত গুলো হিন্দু মন্দির ভাঙ্গা হল,সংখ্যালঘুদের উপর এত অত্যাচার করা হল,রামুতে বৌদ্ধ দের উপর হামলা হল।তখন তো কেউ হেফাজতে বৌদ্ধ বা হিন্দু বানালো না।এখন পর্যন্ত এদেশের বেশিরভাগ মানুষ এটা মানতে নারাজ যে বাংলাদেশ মুসলিমপ্রধান দেশ।মুসলিম দেশ না।ধর্ম যার যার কিন্তু দেশ সবার।সাম্প্রদায়িকতা নিপাত যাক।
আপনারা যারা স্বঘোষিত গঠনমূলক সমালোচক তারা ইসলাম পুরোপুরি না জেনে সমালোচনা করেন।এটা কখনোই গঠনমূলক সমালোচনার পর্যায়ে পড়ে না।
মিথ্যা কথা বলা হইতে বিরত থাক।এই বাক্যটার প্রথম অংশ মিথ্যা কথা বলা।এখন আমরা পুরো বাক্য না জেনে বাক্যের প্রথম অংশের জন্য বাক্যটি গ্রহন করব না এটা যুক্তির কথা না।
আল্লাহ কারো খাটের নিচে গান্জা টানে (নাউযুবিল্লাহ)
এটাকি গঠন মূলক সমালোচনা?
এটা কি বিজ্ঞান সম্মত সমালোচনা?
উত্তর না
মুহাম্মদ(সঃ)১২,১৩টা বিয়ে করেছে বলে একজন মন্তব্যে লিখলেন।অজ্ঞতার আরেক পরিচয়।নবী(সঃ)বিয়ে করেছেন চারটা।চারটার মধ্যে তিনজনই বিধবা।উনার স্ত্রীরা কোন দিন তার উপর অভিযোগ করেনি অথচ আপনাদের এনিয়ে অভিযোগ।কারো সম্পর্কে পুরো জেনে সমালোচনা করুন।অর্ধেক জেনে এখান থেকে ওখান থেকে আয়াত তুলে এনে সমালোচনা করা কখনোই গঠন মূলক সমালোচনার পর্যায়ে পড়ে না।
আমার মন্তব্য আহত হলে দুঃখিত
ধন্যবাদ
@তৌকির,
আর বাকিগুলো? খাদিজা, সালমা, আয়েশা ও হাফসার পরে, আমি কিছু নাম বলি- Joynab (নবীর পুত্রবধু, যায়েদের স্ত্রী)
Maymuna bint al-Harith
Maria al-Qibtiyya
Umm Salama Hind bint Abi Umayya
Safiyya bint Huyayy
Rayhāna bint Zayd ibn ʿAmr
Ramlah binte Abi-Sufyan (উম্মে হাবিবা)
এবার আপনি বলুন এদের সাথে নবীর কী সম্পর্ক ছিল?
না। কিন্তু গালি দিলাম আল্লারে, আল্লাহর গায়ে লাগলোনা আপনার লাগলো কোথায়? আল্লাহ যদি দুঃখ পায় সেই বিচার করুক শাস্তি দিক। আল্লাহর সেই শক্তি নাই? আপনি কি আল্লাহর শক্তিতে বিশ্বাস করেন না? ছুরি চাকু নিয়ে লাফালাফি আপনি করবেন কেন? আপনাকে বা আপনার মা-বাবাকে আমি যদি অপমান করি, আপনি মানহানীর মামলা করতে পারেন। আমার গায়ে হাত দিবেন কেন? আল্লাহ কি মুসলমানকে খুনের লাইসেন্স দিয়ে রেখেছে? ‘আমাকে কেউ গালি দিলে তোমরা কচাকচ গলা কাটবে, তোমাদের কোন দোষ হবেনা’ এমন ওর্ডার কিতাবে দেয়া আছে নাকি?
@তৌকির,
খুবই দুর্বল যুক্তি। এরকম হাস্যকর ভাবে কেউই ইসলামের ময়না তদন্ত করছেনা। বরং উলটোটাই বেশী হচ্ছে। কিছুটা বলে বাক্তুকু লুকন হচ্ছে লজ্জায়।
কেন শুধু গঠন মুলক সমালোচনাই কেন করতে হবে। ব্যাঙ্গও তো করতে হবে। আওয়ামীলীগ, বিএনপি, শিবির, ইত্যাদি যে আমাদের কাছে নিন্দনীয় তা বোঝানোর জন্য কি আমরা ব্যাঙ্গ করিনা? নাকি কি কি বিষয়ে রম্য লেখা, ছবি হতে পারবে তাও কার অনুমতি নিয়ে করতে হবে?
তাতেই বা এত গর্বের কি আছে? মুহাম্মদ শত বছর আগে কটা বিয়ে করেছিলেন, তা নিয়ে কিন্তু মাথা ঘামাচ্ছিনা। এসব প্রসঙ্গ তুলে এটাই বোঝানোর চেষ্টা করা হয় যে একে আদর্শ হিসেবে নেবেন না, এর জাপিত জীবন গ্রহন যোগ্য নয়, প্রসংশিয় তো নয়ই।
তার স্ত্রীরা অভিযোগ করেননি বোঝা গেল। সে সুযোগ নিশ্চয়ই তাদের ছিলনা। মানে এ বেপারে কোন দলিল হয়ত নেই। কিন্তু আপনি কিকরে নিশ্চিত হচ্ছেন যে তাদের হারেমের জীবন সুখের ছিল?
@কেউ, আপনি আমার কাছে নিন্দনীয় তাই আমি আপনাকে ব্যাঙ্গ করে বলব কয়েকজন বাবার সমন্বয়ে আপনার জন্ম।আশা করি রাগ করবেন না।
@তৌকির,
না, মোটেই রাগ করি নাই, মাথা গরম হয় নাই, কাউকে খুন করতে ছুরি চাকুও হাতে তুলি নাই। কয়েকজন বাবার সমন্বয়ে সন্তানের জন্ম হয়, এর প্রমাণ বা কোন বৈজ্ঞানিক ঐতিহাসিক সত্যতা নাই। হয়তো কোন পাগল বা উম্মাদ এ রকম কথা বলতে পারে। পাগলের উপর কি রাগ করা যায়? কিন্তু মুহাম্মদ একরাতে তার এগারো বউয়ের সাথে সেক্স করেছিলেন, ছয় বছরের মেয়েকে সাদী করেছিলেন তার লিখিত সাক্ষী আছে। এবার বলেন, মুহাম্মদকে ব্যঙ্গ করা বা মুহাম্মদের সমালোচনা করার জন্যে আপনারা এ পর্যন্ত যত মানুষ খুন করেছেন, সেই খুনীদের ব্যাপারে কী করা যায়?
@আকাশ মালিক, হায়রে খোদা আমি যখন বৈজ্ঞানিক যুক্তির কথা বললাম তখন বলে সব কিছুতে যুক্তির কি দরকার একে অন্যকেতো ব্যাঙ্গ করেও কিছু বলতে পারে।আবার আমি যখন ব্যাঙ্গ করলাম তখন আপনারা বৈজ্ঞানিক সত্যতা খুঁজতেছেন।
নদী মনে হচ্ছে দিক হারা।
অন্তরঙ্গ সপ্নভঙ্গ ব্যঙ্গ চারদিক
যুক্তির উক্তি শক্তি হারিয়েছে ঠিক
ধন্যবাদ
@তৌকির,
আপনি যেরকম আমার ওষুধ আমাকেই দিতে চেয়েছেন, তেমনি আকাশ মালিকও যে আপনাকে আপনার ওষুধই দিয়েছেন্ আপনি কি সত্যি সেটা বুঝতে পারেননি?
আর আমার উত্তরও একই। না মোটেও রাগ করিনি। প্রথমত, কে গাঁজা খেল, কার কতজন যৌন সঙ্গি সেটা তার তার নিজস্ব ব্যাপার। সেসব প্রসঙ্গ ব্যাঙ্গ করেই তোলা হোক আর যাই হোক, তাতে খারাপ কিছুও দেখিনা আর তাতে আমার কিছু এসেও যায়না।
দ্বিতীয়ত, আমার অত পরিচিতিও নেই যে আমাকে নিয়ে কারো অত সময় এবং সৃজনশীলতা নষ্ট করতে হবে। পাবলিক ফিগার বলে একটা কথা আছে জানেন তো?
এইযে হাসিনা খালেদা, এদের নিয়ে যে কার্টুন আঁকা হচ্ছে প্রায় প্রতিদিনের পত্রিকায়। এখন তারা বা তাদের পরিবার যদি আপনার মত বলা শুরু করে, সেই যে আপনি বলছিলেন না আপনার হার্টে লাগে, তাহলে? এই মাধ্যমটা কি বন্ধ করে দিতে হবে? তখন মনে হবেনা যে কড়াকড়ি স্বৈর শাসন?
@তৌকির,
যে নবির আদর্শ আপনারা পালন করেন, যার কথায় উতাল-পাতাল করে ফেলেন, যাকে দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ট মহামানব মনে করেন, যার নাম শুনলেই দরুদ পড়েন তার সম্পর্কে আপনাদের জ্ঞান এত কম হওয়ার কারণ কি সেটা একটু ব্যাখ্যা করুন। ফেইসবুকে লগ ইন করে আমার নোটটি পড়লে এ ব্যাপারে জানতে পারবেন। নিজে তো জানে আবার আইসা জ্ঞান দেয়, বলে অজ্ঞতার পরিচয়। ঘাসখোরদের স্থান মুক্তমনায় হয় না, এই সব প্রলাপ দূরে গিয়ে বকেন মিয়া।
আরেকটি মন্তব্য পড়লাম
বঙ্গবন্ধুকে সংসদে দাড়িয়েও আশ্লীলভাবে কটুক্তি করা হয়েছে। এগুলোর বিরুদ্ধে সরকার মামলা করে নাই কেন জানেন?
@সৈকত চৌধুরী, ঘাসখোরদের স্থান মুক্তমনায় হয় না, এই সব প্রলাপ দূরে গিয়ে বকেন মিয়া।
ভিন্নমতকে ধ্বংস করে আপনাদের মত প্রগ্গতিশীলরাই আবার বাকস্বাধীনতার কথা বলেন।হাসি পায় আবার দুঃখ লাগে আপনাদের বিপথগামীতা দেখে।
http://quranwithbiggan.wordpress.com/2012/02/28/%e0%a6%95%e0%a7%81%e0%a6%b0%e0%a6%86%e0%a6%a8-%e0%a6%93-%e0%a6%86%e0%a6%a7%e0%a7%81%e0%a6%a8%e0%a6%bf%e0%a6%95-%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%9c%e0%a7%8d%e0%a6%9e%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%aa%e0%a7%8d/
http://quranwithbiggan.wordpress.com/2012/03/29/%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%95%e0%a6%bf-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%ac%e0%a6%a4%e0%a6%be%e0%a6%b0-%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a7%e0%a6%be%e0%a6%a8%e0%a6%aa/
শুনুন জানুন WHAT IS THE GREATNESS OF ISLAM
@তৌকির,
আপনার সমস্যা কি? কোন মাদ্রাসায় পড়ছেন? আগে পরিষ্কার বলেন আপনার দ্বীনের নবি যে ডজন খানেক বিয়ে ও দাসী ভোগ করেছেন সেটা কি মাথায় ঢুকেছে? এক সাথে নয় বিবি থাকার সহিহ হাদিস পড়ছেন?
এটা আগে স্বীকার করেন, তারপর জোকার নায়েকের আবর্জনার জবাব দিচ্ছি। এটা স্বীকার করার আগে এদিক ওদিক দৌড়ে এগুলো শেয়ার করার মানে কী? আপনার কী হয়েছে?
@তৌকির,
(I)
ভাই আসেন একটু উইকিপিডিয়ায় মুহাম্মদের বৈবাহিক জীবনে চোখ বুলাই, http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%95_%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8#.E0.A6.B8.E0.A7.8D.E0.A6.A4.E0.A7.8D.E0.A6.B0.E0.A7.80.E0.A6.A6.E0.A7.87.E0.A6.B0_.E0.A6.A4.E0.A6.BE.E0.A6.B2.E0.A6.BF.E0.A6.95.E0.A6.BE
@তৌকির,ভাই আপনার হযরতের বিবির সংখ্যা নিয়ে যাতে কেউ আর বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে সেই জনে একটা সহি হাদিস পেশ করলাম- ”আনাছ ইবনে মালিক ও কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তারা বলেন, নবি (সাঃ) দিনে বা রাতে পর্যায়ক্রমে (মধ্যবর্তি ফরজ গোসল ছাড়া) ১১ জন বিবির সঙ্গে সঙ্গম করতেন। (৯ জন বিবাহ সুত্রে ও ২ জন শররিয়তী স্বত্বাধিকার সুত্রের)
কাতাদা বলেন, আমি আনাছকে (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলাম, হযরতের কি এতই শক্তি ছিল? তিনি বললেন,আমাদের মধ্যে এই কথা প্রসিদ্ধ ছিল যে, রাছুলাল্লাহর ৩০ জন পুরুষের শক্তি আল্লাহর তরফ থেকে প্রাপ্ত ছিলেন।”
[দ্র: বোখারী, ১ম খণ্ড, আজিজুল হক, হাদিছ নং-১৯০, হামিদিয়া লাইব্রেরী]
ইসলাম ৰ্ধমের ত্রুটিৰ্পূন দিকগুলো নিয়ে সমালোচনা দুরে থাক আলোচনা করলেও কট্টর-মোল্লাদের ৰ্ধমাঙ্গে সুরসুরি লাগে ।
এরা কেউ ঐশ্বরিক ক্ষমতা নিয়া ৰ্ধমপ্রচার করতে আসে নাই শুধু তাদের মতামত সমমনা মানুষদের সাথে ভাগাভাগি করেছে । এই একবিংশ শতাব্দীতে এটা কোন অপরাধ না । অপরাধ হল তাদের যারা মুক্তচিন্তার মানুষগুলোর কথা বিনা অনুমতিতে বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রচার করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর চেষ্ঠা করে ।
কয়েকটা ব্যাপার আমাদের আগে ঠিক করা উচিত যে, আমরা আসলে কী চাই। সমালোচনার উদ্দেশ্য কী?
বাঙলাদেশে সমালোচনা হয় না। এখানে সমালোচনার নামে দুটো জিনিস হয়, এক, কুৎসা আর দুই, নির্লজ্য প্রশংসা। ইসলামের সমালোচনা অবশ্যই হবে, শুধু ইসলামের না জগতের সমস্ত জিনিসেরই সমালোচনা হবে। তবে মনে রাখতে হবে আপনি কাদের উদ্দেশ্যে সমালোচনা করছেন।
আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে পর্যন্ত যার সাহিত্যের দৌড় তার কাছে মার্কেজের লেখার সমালোচনা হাস্যকর এবং অর্থহীন মনে হলে দোষ দেয়া যায় না। বাঙলাদেশের আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতির সম্পর্কে কোন প্রকার ধারনা না রেখে ইসলামের সমালোচনা করা অনেকটা একটা বাচ্চা না বুঝেই আগুনে ঘি ঢালছে সেই রকম ঘটনা। বাচ্চা নির্দোষভাবে আগুনের চরিত্র না বুঝে ঘি ঢেলে চলেছে।
মধ্যবিত্ত বাঙালি সাংস্কৃতিকভাবে প্রচন্ডরকম অপরিনত। এখানে এখনও মুক্তচিন্তার যে পরিবেশ সেটা গড়ে ওঠেনি। আমরা এখনও ধর্ম-নিরপেক্ষতা বলতে ধর্মহীনতা বুঝি। কিন্তু তাহলে কি ধর্মের সমালোচনা বন্ধ করে দেব? মোটেই না।
বনে হাটার সময় ভাল্লুকের সামনে পড়লে কি বনে আমার হাঁটার অধিকার আছে এই কথা বললে ভাল্লুক ছেড়ে দেবে? আবার সেই ভাল্লুককেই কিন্তু বশ করে সার্কাসে দর্শকদের বিনোদন দেয়া হচ্ছে। তাহলে ভাল্লুকটাকে কি আমরা আমদের অধিকারের কথা বলে বশে আনলাম নাকি কৌশলে?
মোহাম্মদের বিয়ে প্রসঙ্গেঃ
১.মোহাম্মদ বারো-পনেরোটা বিয়ে করেছিল এটা খুবই হাস্যকর, মোহাম্মদের চরিত্র খারাপ ছিলো। এবং
২.মোহাম্মদের সময়ের সামাজিক প্রেক্ষাপটে এতগুলো বিয়ে করাটা খুবই স্বাভাবিক ছিল।
দুইভাবে একই কথা বলা যায়। এখানে দ্বিতীয় পথে হাঁটাই কি যৌক্তিক আর কৌশলগতভাবে নিরাপদ নয়?
বাঙলাদেশ যেহেতু মুসলমান অধ্যুষিত এলাকা সুতরাং বাঙলাদেশে ধর্মের সমালোচনা মানে ইসলাম ধর্মের সমালোচনা। ইসলাম ধর্ম কি আকাশ থেকে পড়েছে? এর কি কোন বাস্তব গ্রহনযোগ্যতা নেই? এমনি এমনি বিশ্বের প্রায় দুই বিলিয়ন মানুষ ইসলাম ধর্মকে সত্য বলে মানছে? সমালোচনার সময় এগুলো না মানলে সমস্যা এবং সেই সমস্যার কিছুটা খেসারত আমরা বর্তমানে দিচ্ছি(এখানে রাজনৈতিক ফ্যাক্টর অতি অবশ্যই মাথায় থাকতে হবে)।
সেন্সিটিভ ইস্যু নিয়ে কথা বলতে হয় কৌশলে, মগজে এই বেসিক ধারনা যাদের নেই তাদের ধর্মের সমালোচনা করা মানায় না। কারন সে এখনও পরিণত মস্তিষ্কের অধিকারী হয় নাই।
লেখা ভালো লেগেছে। আরো লিখবেন আশা করি।
@সাইফুল ইসলাম,
কিন্তু বশ করার আগে তাকে বন্দি করা হয়েছে। বন্দি না করে বশ করা যেতনা। চিড়িয়াখানা, সার্কাস ইত্যাদি খুবই নিন্দনীয়। এই রূপক কোন অর্থেই মন থেকে মেনে নিতে পারছিনা। কিন্তু তারপরও তর্কের খাতিরে তার থেকেই বলি, আপনার উদাহরন অনুযায়ী তো তাহলে এইযে চার জন ব্লগার বন্দি হয়েছেন, সেত তাদেরকে বশ করার খুবই ভাল কউশল তাহলে।
প্রথমত আপনি যখন লিখছেন তখন কি করে জানবেন সে লেখা কে পরবে ? এমনিতে একটা গড় ধারনা করে নেয়া যায় যে অমুক পত্রিকা বা অমুক ব্লগ, তমুক ধরনের মানুশেরা পড়ে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ত তা সেখানেই থেমে থাকেনা। নাহলে মুক্তমনার লেখকেরা কিকরে আমার দেশ থেকে উধৃতি দেন, আর মরু ঝড় এখানে এসে মিথ্যে জ্ঞান দেয়ার চেষ্টা করেন ! যার দৌড় রবীন্দ্রনাথের একটি কবিতা পর্যন্ত তাকেত কেউ গিয়ে মারকেজের কথা বলছেনা। সে যদি নিজে থেকেই তা জানতে আসে তাহলে আপনি তাকে ছোটই বা করবেন কেন, benefir of doubt ই বা দেবেন্না কেন ! সত্যি, শুধু তর্ক করার জন্য বলছিনা। আসলেই আমার মনে হয়, সহজে পাওয়া যায় এরকম বিভিন্ন উপাদান আমাদের চারিদিকে ছরিয়ে ছিটিয়ে থাকা উচিত, যাতে কেউ খুঁজলে আকড়ে ধরার মতো খরকুটো পান। অন্তত, এই অভ্যাস আর ধৈর্য টুকু যেন গড়ে ওঠে সচরাচরের বাইরের কিছু শোনার, পড়ার। না হয় নাই বুঝল। তারপর বোঝানোর কথাও কিন্তু এই লেখক তার লেখায় বলছেন না। বরং এটা বলছেন, আমার বলার ইচ্ছে হলে, আমি যেন বলতে পারি।
হুম তাইত দাবি করা হয়। আকাশ থেকে পড়েছে। বাস্তবগ্রহনযোগ্যতা নেই বলেই মনে করি, তার মানে এই নয় যে দাবি করছি আপ্নারা এই ধর্ম ত্যাগ করুন, কারন, ধর্মের মত বানোয়াট জিনিস মানুষ বাতিল করে দিয়েছে, সে স্বপ্ন আর দেখিনা। কিন্তু শুধু আমার ওপর ওটা চাপিয়ে দেবেন না এবং আশা করবেন না আমি আপনার সাথে মন খুলে কথা বলবনা, বা আপনার রুচি অনুযায়ী সম্পাদনা করব, বা মিথ্যে কউশল করব। আপনি বলছিলেন না সমালোচনার নামে দুটো জিনিস হয়, এক, কুৎসা আর দুই, নির্লজ্য প্রশংসা।এর সাথেও এও যোগ করতে চাইনা তিন. সবার মন রক্ষা করে চলা। দুই বিলিওন কেন তার বেশী মানুশ যদি এই ধর্মকে সত্য বলে মানে এবং আরও কত মানুষ যে আরও কত রকম কত কিছুকে সত্য মনে করে সেটাকে সমালচনার খাতিরে সত্য বলে মানতে হবে কেন ? শুধু আমি যে তা সত্য বলে মানিনা তা বলতে কেন পারবনা। আর সংখ্যা দিয়ে কিন্তু কখনই কোন কিছুর গ্রহনযোগ্যতা বারান যায়না।তাও আবার শুধুমাত্র প্রজননের হার বেশী হওয়াই কিনা যার কারন। সেসব উদাহরনে আর যাচ্ছিনা, বলতে বলতে ক্লিশে হয়ে গেছে।
মধ্যবিত্ত বাঙালি সাংস্কৃতিকভাবে প্রচন্ডরকম অপরিনত। এখানে এখনও মুক্তচিন্তার যে পরিবেশ সেটা গড়ে ওঠেনি।
শুধু বাঙালি কেন, প্রত্যেকটা দেশের আপামর জনতার ক্ষেত্রেই তা বলা যায়। অপরিনত হওয়া ছারাও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এত বেশী গোঁরা, মৌলবাদি লোককজন চারিদিকে ভরা ! তবু একটা তফাৎ আছে। দুটো উদাহরন দেই।
কিছুদিন আগে ইউরোপে অর্থনৈতিক এবং শিক্ষা দুদিক থেকেই সমৃদ্ধ এক শহরে, রাত বারটার দিকে জগিং করতে বেড়িয়েছিলেন এক তরুনি। ধর্ষণের শিকার হলেন। অনেককেই বলতে শুনলাম এত রাতে একা এরকম গেলেত হবেই, তারওপর ওরকম বেশে !
নতুন পোপের নির্বাচনের সময়, একটী নামকরা (সেই একই ইউরোপীয় দেশের) দৈনিকে বাঙ্গাতক ছবি ছাপা হল, বিশপেরা সব দল বেধে মিলিত হছেন। নিজের বাড়িতে বশে লোকে কি বলেছে জানার সুযোগ হয়নি কিন্তু বাইরে কিছুই হলনা। মিছিল, বিবৃতি কিছুইনা, ডানপন্থি দলও নিশ্ছুপ। কিন্তু সেই একই পত্রিকায় যখন মোহাম্মদ কে নিয়েও ছবি ছাপা হল, তাও অনেক শান্ত শিষ্ট ছবি, সেই পত্রিকার সম্পাদকে হত্যার চেষ্টা করা হল, পত্রিকা অফিসে আগুন দেয়া হল, এমনকি ধর্ম নিরপেক্ষ বলে দাবি করা দেশের রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত বলে বসলেন আরও বিচক্ষণতার পরিচয় দেয়া উচিত ছিল এই পত্রিকার !
এখানে বোঝাতে চাচ্ছি
১. মনে মনে অনেকেই অনেক কিছু ভাবতে পারেন, কিন্তু কিছু স্বাধীনতা সমাজ গঠনের অংশ হিসেবে দার করাতে পারলে তাই বা কম কি ? যারা এই ধর্ষণের সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেছেন তারা কিন্তু ভুলেও সেই তরুণীকে একঘরে করার চেষ্টা করবেনা বা অন্যভাবেও হেনস্তা করবেনা। বা নিজের মা, বোন, স্ত্রির ওপর সেই অর্থে ছড়িও ঘোরাবেনা।
২. যদি মনে করি বিশপদের ছবিটি নিয়ে দাঙ্গা লেগে যায়নি ওই একই স্বাধীনতা সমাজ গঠনের অংশ হওয়ার ফলে, তাহলে সেই একই সমাজে বেরে ওঠা মুসলিমরা কেন অতদুর পর্যন্ত যায় বা গেল ?
@কেউ,
হয় আপনি আমার কথা বোঝেন নি নয়ত আমি আপনার কথা বুঝতে পারছি না। যাই হউক, আমি আমার কথা আবার পরিষ্কার করি। নাস্তিকতা কপচায় তো সাধারনত মধ্যবিত্ত/উচ্চবিত্ত শ্রেণীর দাদা-দিদিরা যারা আসলে বাঙলাদেশের বেশিরভাগ জনগনের প্রতিনিধিত্ব করে না। কিন্তু ধর্ম নিয়ে লেখালেখির টার্গেট গ্রুপ কারা? এই মধ্যবিত্ত জনগনেরই একটা বিরাট অংশ যারা খোলা মানসিকতার দিক থেকে নিতান্তই অপরিনত।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আপনি কী চান? আপনি কি চান সবাই নাস্তিক কিংবা নিধার্মিক হয়ে যাক? নাকি এমন একটা স্থিতিশীল পরিস্থিতি চান যেখানে আস্তিকতা নাস্তিকতার মতন সামাজিক ট্যাবু(আমি ট্যাবুই বলছি)গুলোকে নিয়ে স্বাস্থকর আলোচনা করার মতন পরিবেশ সৃষ্টি হয় সেটা চান? একটা কথা আছে এমনঃ “আপনি যখন রোমে যাবেন, তখন রোমান হয়ে যান”। মানে হল পরিস্থিতি যা ডিমান্ড করে সেই অনুযায়ী কাজ করুন নইলে উদ্দেশ্য সফল হবে না। গ্রামের বাড়িতে যেয়ে ডি-জ্যুস প্রজন্মের ভাষায় কথা বললে আর যাই হোক আপনি আপন হতে পারবেন না সেখানকার মানুষের। শহুরে মানুষ হিসাবে দূরেই রয়ে যাবেন।
আপনার টার্গেটেড জনগন মোহাম্মদকে “মহাউন্মাদ” শোনার জন্য এখনও প্রস্তুত নন। আপনার বলার অধিকার অবশ্যই আছে কিন্তু আপনার চিন্তা করে দেখতে হবে আপনি আসলে কী চান। অধিকারের দোহাই দিয়ে একটা চরম অসুবিধাজনক অবস্থানে চলে যাওয়া? নাকি মোহাম্মদের চরিত্রের বিষয়ে একটা সুস্থ আলোচনা করে যাওয়া যাতে বিরোধীপক্ষ আপনাকে আর যাই হউক পিটাতে না আসতে পারে সেই পথে হাঁটা?
এই প্রেক্ষাপটেই আমি ভাল্লুকের কথাটা এনেছিলাম। একজন কওমি মাদ্রাসার ছাত্রের কাছে আপনি সরাসরি ইসলামবিরোধী কথা বললে চরম প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবেন। আর একজন সাধারন বিশ্ববিদ্যলয়ে পড়া শিক্ষার্থীর সাথে ঐ একই কথা বললে আলাদা প্রতিক্রিয়া পাবেন। দু জনই মুসলমান, কিন্তু প্রতিক্রিয়া আলাদা। কেন? কারন দুজন দুনিয়া সম্পর্কে দু ধরনের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছে।
বোঝাতে পারলাম?
বুঝতে পারছি আপনি ধর্মবিরোধী পাতি বিপ্লবী। নিজের কথা বলেই খালাস। নিজে যেটাকে সত্য বলে মনে করেন সেটা আর কেউ মানুক সেই ইচ্ছা মুখে যতই বলেন মনে সেটা মানেন না। একটা বিদ্রোহী বিদ্রোহী আমেজ আছে। চিল্লাতে ইচ্ছা করলে চিল্লাবেন তাতে কোন সমস্যা নাই। কিন্তু আপনার মনে রাখতে হবে এইরকম চিল্লানোতে জগতের এন্ট্রোপি বৃদ্ধি ছাড়া আর কোন লাভ হবে না। বুঝা যায়, আপনার উদ্দেশ্য “চিল্লানোর জন্য চিল্লানো”। চালিয়ে যান।
মাফ করবেন, আপনার কথাগুলো খুবই অগোছালো লাগল। পরে কোন সময় একটু সময় নিয়ে গুছিয়ে আবার বলেন। আমি উত্তর দেব।
@সাইফুল ইসলাম,
গুছিয়েই বলেছি। আপনি মনে হয়ে চোখে আঙুল দিয়ে কিছু না দেখিয়ে দিলে দেখতে পাননা। ডিডাকসন আর ইনডাকসনের তফাৎ বোঝেন তো! নাকি এতই মাথা গরম হয়ে গেছে যে, কোন কিছু আর ঢুকছেনা। কে খামখা চীৎকার করছে নিজের লেখাতেই আরেকবার চোখ বোলান উত্তর পেয়ে যাবেন। আর আমি কিন্তু আপনাকে কোন প্রশ্ন করিনি যে তার উত্তরের জন্য অপেক্ষা করব।
তাইত! আমি কখন বললাম আমার সত্যকে আর কার ওপর চাপিয়ে দিতে চাই? শুধু নিজের কথা বলতে চাওয়ার মধ্যে খারাপ কি আছে? কার যদি পছন্দ হয়, করবে। কার যদি মতের সাথে মিলে যায়, মিলবে। না হলেই বা অসুবিধে কি?আমার সম্পর্কে আপনার এই ভুল ধারনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে আপনার নিজের কি ধারনা।
তাই নাকি? রাজীব হায়দারের খুনি সন্দেহে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে করা মা্মলা এখনি তুলে নেয়ার জন্য কলম ধরেছেন ত? এরাত এই কাজ করতে পারেনা! নাকি আবার বলবেন, কি যেন বলছিলেন ডি জুস না কি যেন, যে এরা সেই দলে পরে, এদের কথা আলাদা!
মোট কথা হচ্ছে শুধু আপনার কথা মানলামনা বলে যদি আঁতে ঘা পান তাহলে কিন্তু আপনার মন্তব্বই করতে আসা উচিত না। একটা লেখা পড়ে অনেকের অনেক কিছু মনে হতে পারে এবং পাঠক পাঠিকারা মন্তব্য করে তাই তুলে ধরেন। যেমন আপনি করেছেন। আবার সেসব মন্তব্য পড়েও অনেকের অন্য অনেক কিছু মনে হতে পারে। যেমন আমি করেছি। তার মানে এই নয় যে তার বিপরীতে আপনার যদি নতুন কিছু বলার নাও থাকে তবু আপনি একই কথা আবার বলবেন, বেক্তিকে আক্রমন করবেন, নানারকম লেবেল সেঁটে দেবেন, না বোঝার ভান করবেন যতক্ষণ না আমি চুপ করে যাচ্ছি বা আপনার কথা মেনে নিচ্ছি।
বেক্তিগত ভাবে আমিও কিছুটা আক্রমন করলাম। আপনার উদ্দেশ্য হয়ত তাই ছিল, কে জানে! তাইত দেখছি চারিদিকে। আসল কথা না বলে শুধু কথার মোড় ঘোড়নর চেষ্টা। আমি ভেবেছিলাম মত বিনিময় করব কিন্তু দেখা যাচ্ছে সবাই তার জন্য প্রস্তুত নন। আরেকটা পোস্টেও আপনি আর আরেকজন পাঠক সফিক এরকম আচরন করে আমাকে লিখেছেন, সেখানেও আর আপনাদের কিছু বলতে যাচ্ছিনা। তাতে যদি মনে শান্তি পান, মন্দ কি?
@সাইফুল ইসলাম,
আপনার কি ধারনা মুক্তমনা সহ প্রগতিশীল বাংলা ব্লগ গুলোতে ধর্মের ব্যপারে শুধু কুৎসা আর নির্লজ্জ প্রশংসা করা হয়? এগুলা ও বাংলাদেশেরই অংশ।
বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর খুব ক্ষুদ্র একটা অংশ ইন্টারনেট এ প্রগতিশীল চিন্তার চর্চা করে। ব্লগে যারা লেখালেখি করেন তাদের বেশীরভাগ ই সমাজ সচেতন এবং সহনশীল। আপনি যখন এখানে লিখবেন আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না যে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারন আপনার লেখা পড়বে। অর্থাৎ সমালোচনা সঠিক জায়গায় ই করা হচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হল একটি জঙ্গি দল নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। যেকোনো অস্র ই তারা ব্যবহার করতে চাইবে। আর এই অস্র টা আমাদের দেশে খুব কার্যকর। এই অস্র না থাকলে তারা অন্য কোন একটা ইস্যু বের করত টিকে থাকার স্বার্থে।
এখানেও সমস্যা আছে। কৌশলে বললে হয়ত অনেক কথাই বলতে পারবেন না যা বলতে চাইছেন কিংবা টার্গেট গ্রুপের কাছে পৌছবে না। এখানে আমার একটা কথা হল সবাই মুক্তমনা হবে না, বা চিন্তাশীল হবে না। তাই সে চেষ্টা করাও পণ্ডশ্রম। ধর্মান্ধ পশু যাতে না হয়ে যায় সে চেষ্টা করাই এখন উত্তম হবে। এক্ষেত্রে আমাদের বাঙালি সংস্কৃতি কে ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সেটা অনেকাংশে করা সম্ভব বলে মনে করি।
@নাদিম আহমেদ,
হুমায়ুন আজাদ, আহমদ শরীফ, আরজ আলী মাতুব্বররাও বাঙলাদেশের অংশ। কিন্তু বাঙলাদেশ বলতে এদের বোঝায় না। এদের বলতেও বাঙলাদেশ বোঝায় না। ব্যাতিক্রম উদাহরন নয়। তারপরেও মুক্তমনায় কয়েকটা বলদ আছে যারা সমালোচনার নামে জাতি-বিদ্বেষী কথাবার্তা ছড়ায়। কিন্তু তারমানেই কি মুক্তমনা এদের প্রতিনিধিত্ব করে? আবার এরা মুক্তমনার প্রতিনিধিত্ব করে? না তো!
সমালোচনা যদি ঠিক জায়গাতেই হয় আর ব্লগের বেশিরভাগ লেখকরা যদি সচেতন আর সহনশীল হয় তাহলে আস্তিক নাস্তিক ইস্যুতে গালাগালি কেন হয়? ছাগু গ্রুপগুলোর উৎস কী? ব্লগে লেখালেখি করা কতজন নিধার্মিক? তারপরেও যদি আপনার মনে হয় আপনার কথা ঠিক তাহলে আপনার আমার অভিজ্ঞতায় পার্থক্য আছে। এইক্ষেত্রে কিছু বলাটা মনে করি বাহুল্য।
কৌশলে যদি আপনি আপনার কাজ করতে না পারেন তাহলে সমস্যা দুই জায়গায়।
১. যে কাজটা করতে চাচ্ছেন সেটায় ঘাপলা আছে।
২. আপনি ঐ কাজের যোগ্য লোক নন।
এখন আপনি বুঝে নিন আপনার সমস্যা কোথায়।
সবাই যে মুক্তমনা(ধরে নিচ্ছি আপনি নিধার্মিক বোঝাতে চাচ্ছেন) হবে না এটা মেনে নিচ্ছেন এই জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর ধর্মান্ধ পশু যাতে না হয়ে যায় তারমানে কি এই না আপনি একটা দায়িত্ববোধ থেকে এই কাজ করছেন এবং এই দায়িত্ব আপনার কাধে কেউ অর্পন করে নি? মানে আপনি নিজের থেকেই কাজটা করতে চাচ্ছেন? তাহলে এটা নিশ্চই বুঝবেন দায়িত্ব নিয়ে কাজ কখনও কৌশল আর প্রজ্ঞা ছাড়া হয় না। বিশেষ করে যখন আপনি মানুষের অন্যতম আবেগের একটা জায়গা নিয়ে নাড়াচাড়া করছেন?
আমি ঠিক এটাই বলতে চাচ্ছি। কাজটা যেহেতু নিজ দায়িত্বে করা হচ্ছে, এটা যাতে পন্ড না হয় সেই চেষ্টাই করা উচিত। না বুঝে অধিকার ফলাতে গেলেই সমস্যা।
আর যে বাঙালি সংস্কৃতির কথা বলছেন সেটা কী? রমনায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন? ফাল্গুন উদযাপন? তাহলে ভাই তফাতে যান। আমি আপনার সাথে নাই।
@সাইফুল ইসলাম,
জামাত শিবির ও কিন্তু কৌশলে কাজ করছে তাদের নেতাদের বাঁচানোর জন্য। সরাসরি নেতাদের মুক্তির দাবী করতে পারছে না বলে এখানে অপ্রাসঙ্গিকভাবে ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে এসেছে। এভাবে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার কৌশল খুব বেশিদিন কাজ করবে না। আরেকটা উদাহরণ দেই, জামাত শিবির যখন বলল গণজাগরণ মঞ্চ নাস্তিকদের তৈরি, তখন গণজাগরণ মঞ্চ থেকে একে গুরুত্ত দিয়ে এর উত্তর দেওয়া শুরু হল। তারা বলতে লাগল সেখানে কোন নাস্তিক নেই। তারা দিন রাত গণমাধ্যমে নিজেদের আস্তিক প্রমানে ব্যস্ত হয়ে গেল। তাতে তারা কি কোন ভাবে লাভবান হয়েছে? তারা কৌশলগত কারনে সরাসরি বলতে পারলেন না যে এখানে নাস্তিক আস্তিক কোন বিষয় না, রাজাকারএর বিচার ই আসল ব্যাপার। তারা স্বীকার করলেন না যে এখানে নাস্তিকদের ও অবদান আছে এবং নাস্তিকতা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ না। এই কথা গুলো সততার সাথে বললে মানুষ বাস্তবতা বুঝতে পারত। এখানে প্রশ্নটা হচ্ছে সততার। কৌশলের কথা বলে যদি সততা বিসর্জন দেন তাহলে মূল উদ্দেশ্য কখনো পূরণ হবে না।
না মোটেও তা না। সংস্কৃতি মানে শুধু পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন না। আমি বলতে চাই বুকের মধ্যে বাঙ্গালিত্ত কে ধারন করা, বাঙালি পরিচয়ে গর্ব বোধ করা। সব বঙ্গালির মনের মধ্যেই সুপ্ত অবস্থায় এটা আছে, শুধু প্রয়োজন জাগিয়ে তোলা।
অবমাননা যেহেতু ভিত্তিহীন সেহেতু এর জন্য শাস্তির দাবী ও অযৌক্তিক।
(Y) (Y)
ভাল লাগলো