(১)
প্রথমেই বলে রাখি নৈরাজ্যবাদ শব্দটা খবরের কাগজের বদৌলতে এবং রাজনীতির দশচক্রে নেতিবাচক শব্দ হলেও, প্রকৃত অর্থে এটি একটি উন্নত রাজনৈতিক চেতনা। যা এই বস্তাপচা “রাষ্ট্র”, তার রক্ষক রাজনৈতিক পার্টি ওরফে রাজনৈতিক বেশ্যাবৃত্তির চেয়ে অনেক উন্নততর আধুনিক ধারনা। কেন সে ব্যাপারে পরে আসছি।
নৈরাজ্যবাদের ( এনার্কিজম) অর্থ রাষ্ট্রের ( রাজ্যের) প্রতি অনাস্থা। বাংলাদেশের শাহবাগে বা দুবছর আগে ভারতের রামলীলা ময়দানে আন্না হাজারের দুর্নীতিবিরোধি আন্দোলনের মূল কারন সেটাই। রাষ্ট্র নামক এই সিস্টেম- যার মধ্যে আছে বিচার, আমলা আর সীমাহীন বস্তাবচা দূর্নীতি, তার প্রতি জনগণের বিশেষত তরুণ সমাজের সম্পূর্ণ অনাস্থা।
রাষ্ট্রের প্রতি অনাস্থা-আর সাধারন মানুষের প্রতি ভরসা- প্রচলিত আইন তুলে দিয়ে পার্লামেন্ট , পার্টি পলিটিক্স বর্জন করে স্বতস্ফূর্ত ভাবে জনগণ তৈরী করছে নতুন আইন। এমন স্বতস্ফূর্ত গঠন, যেখানে রাষ্ট্রের দরকার নেই-সেই আমরা সবাই রাজা আমাদের এই নতুন রাজত্বের প্রথম স্বপ্ন দেখেন একজন চৈনিক দার্শনিক।
জুয়াংগি ঝাও। গৌতম বুদ্ধ আর কনফুসিয়াসের সমসামিক। এই সময়টা দর্শনের ইতিহাসের স্বর্ণযুগ। চীনে তখন দুই দার্শনিক মতের লড়াই। একদিকে কনফুসিয়াস। যিনি শক্তিশালী রাষ্ট্রের এবং শক্তিশালী রাষ্ট্রনীতির পক্ষে। তার ১৮০ ডিগ্রি বিপরীতে জুয়াংগি ঝাও বললেন, ওরে বাপু সর্ষের মধ্যেই ত ভূত। রাষ্ট্র মানেই জনবিরোধি আইন হবে, জনগনের স্বাধীনতা যাবে এবং কিছু শোষক শ্রেনী লুঠে পুটে খাবে। যত শক্তিশালী রাষ্ট্র, ততই ভয়ংকর হবে তার আইন । যদি জনগণের সত্যিকারের মুক্তি চাও-রাষ্ট্র তুলে দিতে হবে। ঝাও এর বিখ্যাত বাক্য আজ ভারত বাংলাদেশ সর্বত্র প্রযোজ্য- চোর হলে জেলে যাবে, আর ডাকাতি করতে পারলে, হবে দেশের রাজা। আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে জুয়াংগি যা বলেগিয়েছিলেন, তা আজও সর্বসত্য।
তাহলে আইন? কে কার কথা শুনবে? মৎসন্যায় কে আটকাবে? ঝাও বললেন, জনগণ নিজের স্বার্থে, নিজেরা ঠিক করে যে আইন বানাবে, সেই আইন রাষ্ট্রের চাপানো আইনের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। স্বতস্ফূর্ত আইনই শ্রেষ্ঠ আইন। রাজা আইন বানাবে নিজের স্বার্থে। প্রজারা বানালে তবেই সে আইন হবে জনগণের। আমেরিকা থেকে ভারত, ভারত থেকে বাংলাদেশ-গণতন্ত্র আসলেই ত হাইজ্যাকড। ব্যাবসায়ী এবং কিছু রাজনৈতিক থাগদের কাছে। বাংলাদেশের এ ব্যাপার অভিজ্ঞতা আরো করুন। একের পর এক আইন পরিবর্তন করে, স্বাধীনতাবিরোধি শক্তিই ক্রমশ রাজশক্তিতে রূপান্তরিত। ফলে রাষ্ট্র যন্ত্রের ওপর ভরসা মানুষ তদ্দিনই রেখেছে, যদ্দিন বিচার চলছিল। বিচারের হাস্যকর রায় দেখে ( আমার ধারনা ভেতরে বিরাট টাকার খেলা ছিল বা রাজনৈতিক খেলা আছে। এটা খুবই সম্ভব বর্তমানের আওয়ামী লিগ সরকারের সাথে সৌদি আরব তথা মুসলিমদেশগুলির একটা বোঝাপড়া হয়েছে যাতে সাপও মরে, লাঠিও না ভাঙে টাইপের রায় যায়। ) তরুণ সমাজ রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতি আস্থা হারায়।
ঢাকার শাহবাগ বা দিল্লীর রামলীলা ময়দানে আজকের এই নৈরাজ্যবাদি আন্দোলনে আমরা সেটাই দেখছি। নতুন নেতৃত্ব, নতুন আইন-কোন রাষ্ট্রের চাপানো না। স্বতস্ফূর্ত ভাবে তৈরী হচ্ছে, নেতা, নেতৃত্ব এবং নতুন আইন। আড়াই হাজার বছর আগে ঝাও এর দর্শনকেই ঘষামাজা করে তরী হয়েছে নতুন এনার্কিস্ট দর্শন। যার মূল কিন্ত সেই স্বতস্ফূর্ত জনগণ।
(২)
কেন তরুণ প্রজন্ম ক্ষোভে ফেটে পরে? কেন তারাই বিদ্রোহের বারুদে আগুন জ্বালায় ইতিহাসের সব আন্দোলনে?
আসুন আমরা গত দুবছরের তিন সর্ববৃহৎ আন্দোলন বিশ্লেষন করি যার মূলে ছিল ছাত্র যুবকেরা।
তাহরীর স্কোয়ার- ফেব্রুয়ারী, ২০১১
রামলীলা ময়দান- আগস্ট, ২০১১
শাহবাগ-ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
এই তিন আন্দোলনের মধ্যে একটা স্ট্রাকচার বা সূত্র পাওয়া সম্ভব
1. প্রথমত আন্দোলনের পুরোহিত এবং পুরধা-তরুণ শিক্ষিত ব্লগার। স্যোশাল মিডিয়ার মাধ্যমেই দানা বেঁধেছে আন্দোলন
2. তাহরীর স্কোয়ার সিস্টেম বদলাতে সক্ষম হয়েছিল। অরভিন্ড কেজরিওয়াল এবং আন্না হাজারে ভারতবাসীর সীমাহীন ক্ষোভ উতরে দিলেও সিস্টেম বদলাতে ব্যার্থ। বাংলাদেশে শাহবাগ আন্দোলনের ভবিষ্যত অনিশ্চিত। এর একটা বড় কারন বোধ হয় ভারত এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্রের উপস্থিতি যা মিশরে ছিল না। তবুও অদ্ভুত মিল এই তিন আন্দোলনের মধ্যে। আন্দোলন দানা বেঁধেছে বছরের পর বছর জমা হওয়া পুঞ্জিভূত ক্ষোভ থেকে।
3. সব আন্দোলনের পেছনেই অর্থনীতির বিরাট ভূমিকা থাকে। দুর্দশার ভূমিকা থাকে। প্যারী কমীউন বা ১৯০৫ সালে জারের বিরুদ্ধে রাশিয়ার নৈরাজ্যবাদিদের উত্থানের পেছনে ছিল না খেতে পাওয়া শ্রমিক কৃষকরা। এই তিনটি আন্দোলনের পেছনে ছিল শিক্ষিত তরুনরা যারা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বঞ্চিত এমন বলা যাবে না। ভারতের সীমাহীন অর্তনৈতিক বৈষম্যর বিরুদ্ধে আন্নার সৈনিকদের সোচ্চার হতে দেখি নি। শাগবাগেও দেখলাম না, গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে কাজ করা জ্যান্ত জতুরগৃহের শ্রমিকদের বঞ্ছনা নিয়ে কারোর কোন মাথা ব্যাথা আছে। এই ব্যাপারটাতেও আন্দোলন গুলির অদ্ভুত মিল। এবং এটা খুব পরিস্কার করে দিয়েছে এই সব দেশের বামআন্দোলন কতটা জন বিচ্ছিন্ন ফালতু রাজনৈতিক গলাবাজিতে পরিণত। লেনিন স্টালিনের বিষ্ঠা পরিস্কার করা বাস্তব বিবর্জিত এই দিশাহারা বামেদের এই দশা যদি সময়ের লিখন হয়, তথোধিক দুর্ভাগ্য এই যে সামাজিক অসাম্য, শোষণ এবং পরিবেশের দুর্দশা যা ভারত, বাংলাদেশ মিশর সহ সব দেশের মূল সমস্যা, সেগুলির ভিত্তিতে আন্দোলন না হওয়া পর্যন্ত এই বিদ্রোহ তার মুল শিকড় খুঁজে পাবে না।
4. আন্না হাজারে বা কেজরিওয়ালের ব্যার্থতা শাহবাগেও আসবে। আমি খুব আনন্দের সাথে এই ভবিষ্যতবানী করছি না। করছি খুব দুঃখের সাথেই। ইতিহাসকে বিশ্লেষণ করেই । আন্না বা কেজরিওয়ালের দুর্নীতি বিরোধি আন্দোলন জনগণের হৃদয়ে প্রহ্লাদসম পাশানকে হাল্কা করতে পারে, শাহবাগের উত্থান বাংলাদেশের অগণিত স্বাধীনতাপ্রেমী, ধর্ম নিরেপেক্ষ মানুষের ক্ষতের প্রলেপ -কিন্ত সিস্টেম চেঞ্জ? সে হবে কি করে? সরকারটা ত কিছু ব্যাবসায়ী, আমলা আর রাজনীতিবিদদের লুটেপুটে খাওয়ার জায়গা। সবটাই নষ্টের দখলে। কিন্ত ভারত এবং বাংলাদেশের মূল সমস্যা যার শিকরে বসে আছে অশিক্ষার অন্ধকার আর উঁইপোকার মতন নষ্ট করা ধণের অসাম্য, শাহবাগ বা রামলীলা ময়দান যদ্দিননা এই সূত্র খুঁজে পাবে, এই আন্দোলন জ্বলবে আর নিভবে।
5. ঠিক এমনটাই কি আমরা দেখছি না তাহরীর স্কোয়ারে? গত দুবছরে বেশ কয়েকবার জমায়েত হয়েছে সেখানে। আজকে তাহরীর স্কোয়ারকে ভয় পায় মিশরের শাসক শ্রেনী। শাহবাগ বা রামলীলা ময়দানকে ভয় পাবে, বাংলাদেশ বা ভারতের শাসককূল, তবেই প্রকৃত গণতন্ত্রের দিকে একটু একটু করে এগোবে দেশ।
6. ইতিহাসের কি অদ্ভুত পরিহাস। পৃথিবীর প্রথম গণতন্ত্র ছিল গ্রীসের এথেন্সে। গণতন্ন্ত্রের অদ্ভুত রক্ষাকবচ বানিয়েছিল এথেন্সের জনগণ। তারা ইচ্ছা করলে, নির্বাসিত করতে পারত তাদের যেকোন রাজনৈতিক নেতা কে। কালো আর সাদা নুড়ি দিয়ে ভোট হত। এই ভাবেই এথেন্স একদিন তাড়িয়েছিল পারস্যের বিরুদ্ধে সালামিসের যুদ্ধে জিতে আসা জনপ্রিয় গ্রীস সেনাপতি থমিস্টক্লেসকে। কারন তার জনপ্রিয়তা যে এথেন্সের গণতন্ত্রের কাল হবে, তা বুঝতে পেরেছিল এথেন্সের নগরবাসী। তাহরির স্কোয়ার তাড়িয়েছিল মুবারক ফ্যামিলিকে।
শাহবাগের আন্দোলন রাজাকার তাড়ানো বা নির্মূল করা থেকে শুরু হলেও-যেদিন শাহবাগের এই আগুন, বাংলাদেশ থেকে তাড়াতে সক্ষম হবে শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়ার পরিবারকে, সেদিনই সম্পূর্নতা পাবে শাহবাগ। তার আগে সবটাই প্রস্তুতি পর্ব।
এটাই ছিল পৃথিবীর প্রাচীনতম গণতন্ত্রের শিক্ষা। গণতন্ত্রকে রক্ষা করার কবচ । যে শিক্ষা ভুলে আমরা দেখেছি গণনায়কদের গণদানবে অবনমন । শাহবাগ থেকে তাহরির স্কোয়ার গণতন্ত্রের সেই রক্ষাকবচ হয়ে উঠুক-এখন এটাই কাম্য।
স্বপ্ন কখনোত সত্যি হয়। আর যদি তা না হয়, তাহলে কিসের জন্যেই বা বেঁচে থাকা? তাহরির স্কোয়ার আর শাহবাগের মধ্যে স্বপ্ন দেখুক আগামীদিনের তরুন প্রজন্ম।
বর্ষা আসে, দুকুল ভাসিয়ে। ভাঙে গড়ে নদীর গতিপথ। ধর্মীয় রাজনীতির খরা কাটিয়ে, আজ চেতনার বর্ষা বাংলাদেশে। শাগবাগ স্বপ্নের সেই নদী। তার ভাঙাগড়া দিয়েই গড়ে উঠুক নতুন বাংলাদেশ।
আপনার লেখাটা হঠাৎ করে চোখে পড়ল। আমি বাঙালি হলেও নাগরিকত্বে ভারতীয়। শাহবাগ আন্দোলন আমাকে প্রথম থেকে ভীষণ ভাবে নাড়া দিয়ে গিয়েছে। বাঙালি হিসেবে। এক আন্তর্জাতিক আন্দোলন হিসেবেই এটাকে আমি মনে করি। গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি, যখন পর্যন্ত এপার বাংলার কাগজ গুলোয় খবরটা খুব গুরুত্ব দিয়ে ছাপা হয়নি। আমি খুব মন থেকে একটা ব্লগ হঠাৎ লিখে ফেলি। আজ এপার বাংলার প্রত্যেকটা খবরের কাগজে এই আন্দোলন গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হচ্ছে। তবু কোথায় যেন একটা ইতিহাস বোধ থেকে এই আন্দোলন নিয়ে আমি শঙ্কিত আছি। আমি জানি না এই আন্দোলন সফল হবে কিনা। আমার লেখাটা আপনাকে পড়ে দেখতে অনুরোধ করব।
নমস্কার নেবেন
ঢাকার শাহবাগ বা দিল্লীর রামলীলা ময়দানে আজকের এই নৈরাজ্যবাদি আন্দোলনে…আপনার এই মন্তব্য টি র সাথে ভিন্যমত পোষণ করছি… আমাদের এই আন্দোলনকে কোনভাবেই নৈরাজ্যবাদী বলা যায় না…
শাহাবাগ আন্দলনের উপর এই ব্লাগে প্রকাশিত সকল লেখার মধ্যে এটি শ্রেষ্ট্য লেখা, যার মধ্যে আবেগের তারল্য নেই। একজন লেখককে ভারতীয় বলে উল্লেখ করেছে। এই বিষয়ে কথা হল- অন্য দেশী বলেই হয়ত সকল ভয়, প্রসংশা, লোভের উর্ধে থেকে সত্য কথাগুলো বলতে পেরেছে। আমার প্রশ্ন হলো একজন বাংলাদেশী কেন এই কথা গুলো বলতে পারলো না? এই গুলো সব জাতীয়তাবাদী ধাক্কা। লেখাটি গবেষণা ধর্মী হলেও কোন কোন জায়গায় আরও ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে। বেশী শক্তিশালী রাষ্ট্রও কি জনকল্যান মূলক রাষ্ট্র হতে পারে না? বাংলা দেশের মুক্তি যুদ্ধের চেতনার ব্যার্থতার উপর গবেষনা ধর্মী লেখা চাই। শ্রমসাপেক্ষ লেখা টির জন্য ধন্যবাদ।
আপনার প্রবন্ধটির মূলসুর ধরতে পেরেছি। এবং এর প্রায় সবকটি বক্তব্যের সাথে আমি একমত। একটা আন্দলনের হাজারটা দাবী থাকতে পারে, কিন্তু সেইসব দাবীর একটা একক রুপ বা শেকড় থাকে, আর শাহবাগ আন্দলনের ক্ষেত্রে তা হলো সিস্টেম চেঞ্জের দাবী, যা এখনো অ নুচ্চারিত- সেটা এসেছে লেখায়। এটা এদেশের সব মানুষের প্রানের দাবী। আন্দোলনের পরিণতি সম্পর্কে প্রেডিসনটা মনে হয় ঠিক। তবে সবথেকে বাস্তব লেগেছে লেখার এই অংশ টি-
@শাখা নির্ভানা,
আপনার মন্তব্যে আস্বস্ত হলাম, আমার সবটাই বৃথা পরিশ্রম নয় তাহলে। আজকাল লিখতে ইচ্ছা হয় প্রচুর-কিন্ত হাতে কোন সময় নেই। তাই লেখাও হয়ে উঠছে না। কিন্ত শাহবাগ নিয়ে লেখার জন্যে পেট ফুলে উঠছিল। আমি শুধু এই প্রশ্নটাই করি সবাইকে-‘৭১ এর অর্জন কি করে বর্জিত হল, সেটা নিয়ে বাংলাদেশে অনেক চর্চা হয়েছে। গভীর বিশ্লেষন হয় নি। সেটা করলেই আমার মনে হ য় আস্তে আস্তে শাহবাগ আন্দোলন নতুন উচ্চতায় উঠত।
It is interesting to note that Rabindranath also discovered the pessimism in the idea of State. Sometimes, I think the formation of state and its oppressive nature, engulfing attitude, can be explained using some concepts of elementary physics.
More structured the State is, more energy it requires to stabilize and retain its state. And this energy can not come from vacuum. The power of state must come from sacrificing people’s power.
I think we must realise that citizens’ power is manipulated and a pseudo-reality. Realising our weakness would be a strength to liberate ourselves from the oppression of State machinery.
The author rightly pointed out the role of market economy in the recent people’s movement. However, the failure of such movement lies in improper understanding about the State and role of citizens. For me, to make any movement successful the participants must have a broader goal in their mind. There must be deliberations on philosophical and social positions among the members. Ill-informed activism is a dangerous phenomenon in recent Indian situation.
পরবর্তীতে ইংরেজি মন্তব্য প্রকাশ করা হবে না।
-মুক্তমনা মডারেটর
বিশ্লেষণ এবং আশাবাদটি চমৎকার।
তথ্য-সাংবাদিকতার পেশাগত কারণে প্রথম থেকেই আন্দোলনটি খুব কাছ থেকে দেখছি। পর্যবেক্ষণ বলছে, প্রজন্ম চত্বরের গণজারণটি এখন সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবি থেকে উত্তীর্ণ হয়ে ক্রমেই ধর্মভিত্তিক রাজনীতি, তথা যুদ্ধাপরাধী দল জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ঘনিভূত হচ্ছে। সহব্লগার রাজীব খুন হওয়ার পর এই শেষোক্ত দাবিটি আরো জোরদার হচ্ছে।
মনে হচ্ছে, এটিই হয়তো চলমান আন্দোলনের যৌক্তিক পরিনতি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। (Y)
পুনশ্চ: ওপরের মন্তব্যটি প্রকাশ করতে না করতেই বদলে গেছে মুক্তমনার ব্যানার:
জয়তু মুক্তমনা! (Y)
১.নৈরাজ্যবাদ, সাম্যবাদের ন্যায় একটি ইউটোপিয়ান দর্শন ব্যতীত আর কিছুই নয় যা মানব কূলের স্বভাবের জন্য উপযুক্ত নয়।
২.মানুষ নিম্নের পাঁচটি ব্যাপার নিয়ে সমাজে বসবাস করে যা রাষ্ট্র গঠনে প্রতিফলিত হওয়া অস্বাভাবিক নয়
I.নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য
II.ধর্ম
III.ভাষা
IV.সামাজিক সংস্কৃতি
V.রাজনৈতিক জাতীয়তা
৩.পৃথিবীর প্রায় সব রাষ্ট্রেই ধর্ম প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে ব্যবহৃত হয়। হতে পারে সংবিধানে উল্লেখ করে কিংবা ধর্মীয় উৎসবে সরকারী ছুটির মাধ্যমে কিংবা ধর্মীয় পদবী গ্রহণ করে। বাংলাদেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম কিন্তু রাষ্ট্রপ্রধান কোন ধর্মীয় পদ গ্রহণ করেননা। অপরপক্ষে ব্রিটেনের রাণী সে দেশের চার্চের প্রধান, কিছুকাল আগ পর্যন্ত প্রোটেস্ট্যান্ট খৃষ্টান ব্যতীত কারও রাজ্যাভিষেকও হতে পারতোনা। ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতিও পরোক্ষ ভাবে কিছু ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করেন। যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ভারতে সাংবিধানিক কিংবা আইনি-ভাবে ধর্মীয় কোন কিছু থেকে দূরে থাকলেও নির্দিষ্ট কিছু ধর্মীয় উৎসবে জাতীয় ছুটি পালন করে এবং রাষ্ট্র-সরকার প্রধানগণ রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠান এ অংশ নেন। তুরস্ক তো পুরাই জগাখিচুড়ী, কি করবে নিজেরাই বুঝতে পারেনা, ওখানে হাস্যকর ভাবে অনেক কিছু স্ববিরোধী।
উল্লেখযোগ্য রাষ্ট্রের মধ্য সত্যিকার অর্থে যারা ধর্ম এবং রাষ্ট্র আলাদা করেছে চীন। চীনের বেশিরভাগ মানুষ নাস্তিক এজন্য সেখানে এটা সফল হয়েছে।
সুতরাং, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যদি ধর্ম পালন করে তা কোন না কোন ভাবে রাষ্ট্রে প্রতিফলিত হতে বাধ্য।
৪. রাষ্ট্রে কাগজে-কলমে রাষ্ট্রধর্ম থাকে তাহলে অন্যান্য ধর্মের ব্যক্তিগণের মধ্য দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকতাবোধ জন্ম হতে পারে এবং অপমানিত বোধ করাও অস্বাভাবিক নয়। তাহলে রাষ্ট্রে যদি কাগজে-কলমে রাষ্ট্রভাষা থাকে তাহলে কেন অপর ভাষাভাষী মানুষ অপমানিত বোধ কবেননা ?????? উভয় ক্ষেত্রেই তারা নিজেদের দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ ভাবতে পারেন। এখানে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া রাষ্ট্র ভাষার কথা হচ্ছে, ব্যবহারিক কাজে সরকারী ভাষার নয়।
যুক্তরাষ্ট্রে এজন্য ইংরেজি এখনো রাষ্ট্রভাষা হয়নি। ভারত ভাষার প্রশ্নে গত শতাব্দীর ৬০ এর দশকে অনাকাঙ্খিত বিব্রতর অবস্থায় পড়েছিল এবং দক্ষিণ ভারত বিশেষত তামিল দাবীর মুখে ভাষার ব্যাপারে পূর্ব পরিকল্পনার অনেক পরিবর্তন করতে হয়েছিল।
৫. শাহবাগ আন্দোলন মূলত জামাত-শিবির এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা গণহত্যায় সরাসরি অংশগ্রহণ, নেতৃত্ব কিংবা সাহায্য করেছিল তাদের বিরুদ্ধে; তদের যেন সঠিক ভাবে ন্যায়বিচারের অধীনে আনা যায় এজন্য এই আন্দোলন। সেই অপরাধীরা ১৯৭১ সালে জামাতের ছায়াতলে এই সব অপকর্ম করেছিল। এজন্য এখানে জামাতের কথা দল হিসেবে আসছে এবং শিবিরের কথা আসছে জামাতের অঙ্গ হিসেবে।
৬. মূল দাবীর পাশাপাশি অনেকেই তাদের নিজ নিজ ইচ্ছা মত বিভিন্ন দাবী পেশ করেছেন তবে তা মূল দাবী নয়।
৭. মিশরের তাহরির এবং বাংলাদেশের শাহবাগ আন্দোলনের সাথে ভারতের রামলীলা অন্দোলন কতগুলো মৌলিক পার্থক্য আছে। রামলীলা আন্দোলনটি ছিল একজন মূল ব্যক্তি আন্না হাজারেকে কেন্দ্র করে; তাহরির কিংবা শাহবাগের আন্দোলনে কোন একক প্রধান ব্যক্তি ছিলেননা কিংবা নেই।
তাছাড়া, আন্না হাজারের আন্দোলন ছিল গোটা সিস্টেম পরিবর্তনের যা শান্তিপূর্ণ উপায়ে এক-দুই জেনারেশনে করা সম্ভব নয় আবার ভাইয়োলেন্ট বিপ্লব হলে অনেক নিরপরাধ মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। এর ফলাফল সল্প সময়ে, এই মূহুর্তে খুঁজতে চেষ্টা করে লাভ নেই।
তাহরির স্কয়ারের আন্দোলনটির উদ্দেশ্য ছিল অগণতান্ত্রিক শীর্ষ নেতৃত্ব পরিবর্তন যা সময় সাপেক্ষ নয় এবং অল্প সময়ই তাঁর ফলাফল পর্যবেক্ষণ করা গিয়েছে। শাহবাগের আন্দোলনটির মূল দাবি ন্যায়বিচারের সঠিক প্রয়োগ এবং আশা করা যাচ্ছে তা পাওয়া যাবে।
সব কিছুর মত এসব আন্দোলনের ভেতর সমালোচনাযোগ্য অনেক কিছুই আছে। আন্না হাজারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, উগ্র হিন্দুত্ব বাদীর সাথে আঁতাত এবং জাত-পাত মানসিকতার। তাহরির স্কয়ারের অনেক গ্রুপ ইসলামিক চরমপন্থার সমর্থনের অভিযোগ আছে। তেমনি শাহবাগ এর অনেক আন্দোলনকারী কিংবা আন্দোলনকারী দলের বিভিন্ন দাবী স্ববিরোধী এবং অগণতান্ত্রিক তবে এসব ব্যক্তিগত কিংবা ক্ষুদ্র দলগত দাবী একান্তই তাদের নিজস্ব দাবী যা বৃহত্তর স্রোতের মূল দাবীর জন্য বাধা হয়ে দাড়াবেনা।
@সংবাদিকা,
ইন্টারনেটের যুগে , পার্লামেন্ট, এম পি,নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনসভা সব কিছুই বাতিল হবে। প্রতিষ্ঠিত হবে জনগণের ডিরেক্ট ডেমোক্রাসি। এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। আমি আমার একটা সায়েন্স ফিকশনে ভবিষত্এর প্রযুক্তি নির্ভর নৈরাজ্যবাদি গণতন্ত্রের এই ভাবে বিবরণ দিয়েছিলাম
http://blog.mukto-mona.com/?p=4032
@বিপ্লব পাল,
শুধু ভোটের ব্যাপারটা হলেও মনে হয় বর্তমান কাঠামো ঠিকই থাকবে, এনার্কি বলা যাবেনা। তবে “এনার্কির” তরে এর চেয়ে বেশি হলে হলে ওটা আর এনার্কি থাকবেনা, সুযোগ মত কোন ব্যক্তির টোটালিটারিয়ানিজমে রূপান্তরিত হবে :-s :-s
@সংবাদিকা,
কেন? এ কি অদ্ভুত কথা? নৈরাজ্যবাদ মানে রাষ্ট্রকে অস্বীকার- গণতন্ত্রকে অস্বীকার, ভোট থাকবে না এ অদ্ভুত মনগড়া তথ্য কোথা থেকে পেলেন?
গনতন্ত্র দুভাবে হয়- ডিরেক্ট বা ইনডিরেক্ট। ভারত, বাংলাদেশ সবাই ইনডিরেক্ট গনতন্ত্র বা পার্লামেন্টেডরী গণতন্ত্রে। আমেরিকাতে মিশ্র। অনেক সিদ্ধান্ত সরাসরি ভোটে, অনেক সিদ্ধান্ত কংগ্রেস নেয়। এখন দাবী উঠেছে সব সিদ্ধান্তই সরাসরি ভোটে করা হোক।
@বিপ্লব পাল,
প্রথম শর্ত “ব্যক্তিতাবাদ” ওটা সত্যিকার গণতন্ত্রে নিয়ন্ত্রিত।
এনার্কির দ্বিতীয় শর্ত “সরকার কাঠামো অস্বীকার”; সরকার হীন রাষ্ট্র কেমন এটা ইতিহাসে কয়েকবার দেখা গিয়েছে। আপনি যতই বলতে চান তবে এমন হবেনা। হয় বর্তমান কাঠামোতেই থাকবে নাহলে একেবারে অন্যরকম হয়ে মেগা চিফডমে রূপান্তর হবে। বর্তমান পলিটিক্যাল ফিলসফি অনুযায়ী এনার্কির যে সংজ্ঞা তা হবেনা। তা করতে গেলে আগে এনার্কির সংজ্ঞা কিঞ্চিৎ বদলাতে হবে।
আমেরিকাতে জাতীয় পর্যায়ে খুব কমই ডিরেক্ট গণতন্ত্রের ব্যবহার হয়। স্টেট পর্যায়ে যা হয় তা নগণ্য এবং বিশেষ বিশেষ সিদ্ধান্তে। এমন আমাদের বাংলাদেশেও রেফারেন্ডাম হয়েছিল। ডিরেক্ট ডেমক্রেসির এবং মিশ্রর সবচাইতে ভালো উদাহরণ সুইজারল্যান্ড।
@সংবাদিকা,
সম্পূর্ন ভুল। ব্যাক্তিস্বতন্ত্রবাদ আর নৈরাজ্যবাদ এক না। নৈরাজ্যবাদের একটাই শর্ত-রাষ্ট্র নামক ক্যান্সারটির মৃত্য।
এটি দ্বিতীয় না। এটি প্রথম শর্ত এবং প্রাথমিক শর্ত।
ডিরেক্ট ডেমোক্রাসি মানেই সরকারহীন রাষ্ট্র হতে পারে।
আইন সভার আর জনপ্রতিনিধিদের অস্তিত্ব না থাকলেই, তা অনেকাংশে নৈরাজ্যবাদের কাছাকাছি হবে।
@বিপ্লব পাল,
এটা আপনার মতবাদ; তারপরেও “কাছাকাছি” শব্দটি ব্যবহার করতে হয়েছে। আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার শুধু একটি অঙ্গ না থাকলেই একাডেমিক সংজ্ঞায় এনার্কি হবেনা, তবে পপুলার সংজ্ঞায় রাষ্ট্রে এনার্কি কায়েম হয়ে যেতে পারে একটি অঙ্গের অনুপুস্থিতিতে।
এমন বলতে সুবিধাজনক হলে বলতে পারেন। দ্বিতীয় এবং প্রথম আগে পরে করে।
সরকারের প্রশ্নে শুধু প্রিমিয়ার, প্রাইম মিনিস্টার, চ্যান্সেলর কিংবা রাষ্ট্রপতি শব্দ গুলো ব্যবহার না করে যা ওটাও এক প্রকার সরকার।
আমার মনে হয় একেবারে বিপরীতও নয়।
“Absence of government and absolute freedom of the individual, regarded as a political ideal.”
গনতন্ত্র মানেই মেজরিটির করা আইনের শাসন নয়। মেজরিটি চাইলেই যা ইচ্ছে তাই করতে পারে না। গ্রীসে গনতন্ত্র অতি দ্রুত বিলুপ্ত হয়েছিলো কারন সেটা পর্যবাসিত হয়েছিলো মব রুলে। সেই তুলনায় রোমান রিপাবলিক ছিলো অনেক বেশী গনতান্ত্রিকভাবে সুসংহত। সেখানে পরিষ্কার ভাবে ক্ষমতার সেপারেশন ছিলো, কনসাল, সেনেট। শাসকদের নির্দিষ্ট মেয়াদ ছিলো। রোমান নাগরিকদের নির্দিষ্ট কিছু অধিকার ছিলো অলংঘনীয়। মোট কথা রোমান রিপাবলিক ছিলো কিছু ট্র্যাডিশনাল প্রতিষ্ঠান এর উপরে ভিত্তি করে, যে প্রতিষ্ঠানগুলোকে গনতান্ত্রিক ব্রুট মেজরিটি ইচ্ছে করলেই বিলুপ্ত করতে পারতো না। গনতান্ত্রিক শাষনের মূল ভিত্তি ইনস্টিটিউশন। ইনস্টিটিউশন ছাড়া শুধুমা্ত্র জনগনের ইচ্ছের উপর ভিত্তি করে কোনো গনতান্ত্রিক সমাজ হতে পারে না।
আপনি শাহবাগ আন্দোলনের স্কোপ আর ব্যাপকতা নিয়ে ভুল ধারনা করছেন। এই আন্দোলনের সফলতার মূল কারনইহলো এর লিমিটেড ফোকাস। এই আন্দোলনে দলমত নির্বিশেষে দেশে বিদেশে বাংলাদেশীরা একত্র হয়েছে কারন এই আন্দোলনের লক্ষ্য ১৯৭১ এ বিশ্বাসঘাতক, যুদ্ধাপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি। Bangladesh has unfinished business with Jamat e Islami. ১৯৭১ এই লোকেরা বাইরের ঘৃন্য শত্রুর সাথে হাত মিলিয়ে নিজ জাতির উপরে বীভৎস হত্যাকান্ড করেছে এবং তার চেয়েও বড়ো কথা ৪০ বছর ধরে অনুতাপবিহীন ভাবে দেশে বিদেশে সদর্পে ঘুরে বেড়িয়েছে। এই যুদ্ধাপরাধীদের সদম্ভ আস্ফালন আমাদের দেশের আত্মমর্যাদার সবচেয়ে বড়ো কলংক। বিশেষ করে নতুন জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা, যাদের মধ্যে নেই পাকিস্তান নিয়ে কোনো হ্যাংওভার, যারা দেশে বিদেশে সবখানে নিজের পরিচয় দেয় বাংলাদেশী বলে, যারা নিজ জাতির অর্জনে গৌরব বোধ করে একত্রে সবাই আনন্দ করতে কোনো দ্বিধা করে না, এই নতুন জেনারেশনের কাছে জামাত ও যুদ্ধাপরাধীদের সাথে দেশের unfinished business জাতির consciousness এর উপরে সবসময়ে জ্বলতে থাকাএকটা দগদগে ঘা। বাচ্চু রাজাকার, কাদের মোল্লা, নিজামী, সাকা চৌধুরী, গোলাম আজম, এই লোকগুলি উপযুক্ত শাস্তি পেয়ে এই ঘা এর উপশম ঘটবে এই আশাতেই সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলো।
কিন্তু কাদের মোল্লার অনাকাংখিত রায় এবং তার সদম্ভ V দেখানোতে আবার আশংকা দেখা দিলো এই ঘা তো মিশবেই না বরং আগামীতে আবার নতুন করে আবার ফিরে আসবে তীব্র দহন সহ। এই গ্লানিকর ভবিষৎ এড়ানোর জন্যেই সবরকমের মানুষের সাড়া পড়েছে এই আন্দোলনে।
শাহবাগের আন্দোলন একান্তভাবেই বাংলাদেশের নাগরিকদের একটি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন। পরিষ্কার বহি:শত্রুর বিরুদ্ধে সংগ্রামের একমাত্র উপযুক্ত আদর্শ হলো জাতীয়তাবাদ। জামাত ও যুদ্ধাপরাধীরা দেশের ভিতরে থাকলেও তারা আসলে একাত্তুরের বহি:শত্রুর রেখে যাওয়া অবশিষ্টাংশ যা শিকড় বাকড় গজিয়ে অনেকটা বেড়ে উঠেছে চার দশকে। ২০১৩ এর শাহবাগ হলো ‘৭১ এর unfinished business সমাপ্ত করার জাতীয় প্রচেষ্টা।
শাহবাগ থেকে হয়তো অন্য কোনো আন্দোলন এর জন্ম নেবে। দেশে গনতন্ত্র, সুশাসন এসব নিয়েও আন্দোলন হতে পারে। কিন্তু যতক্ষন না ‘৭১ এর কলংক মোচনের মূল লক্ষ্যটি অর্জিত হচ্ছে ততক্ষন অন্য লক্ষ্যকে মূল আন্দোলনের সাথে যোগ করলে এই আন্দোলনও ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে পৃথিবীর আরো অনেক গন আন্দোলনের মতো।
@সফিক, দারুণ বলেছেন।কিন্তু যেহেতু বিপ্লব পাল ভারতীয়, তাই তিনি বাংলাদেশীদের মানসিক অবস্থা বুঝবেন না।আর বাংলাদেশী অনেকেই তো বুঝেন না, যেমন মহা গুরু আদনান আদনান।
@অর্ফিউস,
পড়ুন
কিন্তু যেহেতু বিপ্লব পাল ভারতীয়, তাই তিনি বাংলাদেশীদের মানসিক অবস্থা পুরোপুরি বুঝবেন না।
@অর্ফিউস,
ঠিক তাই। আর সেই জন্যেই, আমার পক্ষে একটি আবেগমুক্ত ঐতিহাসিক বিশ্লেষন করা সম্ভব। আমার বিশ্লেষন আবেগের ভারে “পক্ষপাতিত্ব” করবে না।
@অর্ফিউস,
এই মেরেছে!
এ আবার কি নামে ডাকতে শুরু করলেন?
@অর্ফিউস, আদনান ঠিক লাইনেই আছে, আপনারাই খামোখা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তার যুক্তির ধরন, ‘ভাই অমুক’, ‘ভাই তমুক’ ডাকাডাকি দেখে বুঝতে পারছেন না বান্দা খাঁটি মগবাজারী প্রডাকশন?
@ফারহানা আহমেদ,
নাহ,পুরোপুরি না জেনে মনে হয় না এইটা বলা ঠিক :)) ।আপনি বোধহয় আদনানের উপর অবিচারই করলেন 😉 ।তবে উনার মানবতাবাদ একটু বেশিই হয়ে গেছে( মানে চোখে লাগার মত বেশি), আর এটাই দুঃখজনক আর ভীতিকর ব্যাপার। :-Y
@সফিক,
একদম সত্য কথা।
কিন্ত দুর্ভাগ্য হচ্ছে, প্রতিটা সমাজ, দর্শন এবং আন্দোলন এর ব্যার্থতা তার সাফল্যের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে।
আমি এবার যে কথাগুলো লিখব, তা অনেক বাংলাদেশীর পছন্দ হবে না। কিন্ত সত্যের খাতিরে লিখতেই হবে।
আমি গত দুই দশক ধরে ধর্ম নিরেপেক্ষ, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের বাংলাদেশীদের অভিযোগ শুনে আসছি- ‘৭১ এর অর্জন সব রাজাকাররা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। আর সব দোষ মিলিটারী শাসকদের?
বৃষবৃক্ষ কি আকাশে জন্মায়? তার কোন বীজ লাগে না?
শুনতে খারাপ লাগলেও, আমার নিজের বিশ্লেষনে ‘৭১ এর সাফল্যর মধ্যেই ছিল এর ব্যার্থতার বীজ।
‘৭১ এর অর্জন ছিল বাঙালী জাতিয়তাবাদের অর্জন। দরকার ছিল এই অর্জন থেকে শিক্ষা নিয়ে একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা , সফল অর্থনৈতিক বুনিয়াদ গড়ে তোলা। শক্তিশালী মিডল ক্লাস গড়ে তোলার দরকার ছিল। “জয় বাংলা” শ্লোগানে এটা হত না। উল্লেখ্য নেহেরু উনার প্রথম বছর গুলিতে রাষ্ট্রঈয় কারখানা এবং প্রযুক্তি গড়ার দিকে নজর দিয়েছিলেন বেশী। ভারতকে একটা অর্থনৈতিক দিশা দিয়েছেন। শেখ সাহেব এসব কিছুর দিকেই মন দেন নি-সেই ব্যাপারটাই তার মধ্যে ছিল না-যিনি এটা করতে পারতেন সেই তাজুউদ্দিনকে তাড়ালেন। উনি ভেবেছিলেন বাঙালী জাতিয়তাবাদ এত শক্ত, এর ওপর বসেই চলে যাবে। চলে নি।
ফলে মিউজিক্যাল চেয়ারের মতন শাসক বদল হয়েছে বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালে কিন্ত গণবিদ্রোহ দেখা দেয় নি। কেন?
কারন বাংলাদেশের অধি কাংশ দরিদ্র শোষিত জনগন সেই বাঙালী জাতিয়তাবাদই বলুন আর জামাতি পিসলেমিই বলুন-তাদের থেকে দূরেই ছিল। যদি তারা দেখত এক স্বাধীন বাংলাদেশ তাদের আশা আকাঙ্খা বা উদরপূর্তির সার্থক ব্যবস্থা করতে পেরেছে, রাজাকার বাহিনী এত সহজে ফিরত না। শুধু মিলিটারির ঘারে দোষ চাপানো খুব সহজ।
সেই জন্যেই আমি লিখছি- এই আন্দোলনের ন্যারো ফোকাস যেমন এর সুবিধা-আবার দীর্ঘ মেয়াদি ভাবে, সেটাই এই আন্দোলনের সব থেকে সমস্যা।
@বিপ্লব পাল,
এই সবই ছিল শেখ মুজিবের বড় ভুল।বাকশাল হল বৃহত্তম ভুল।এটা মুজিব পুজারীরা স্বীকার করবে না।কিন্তু বাস্তবতা হল যে, এই ভুলের মাশুল শেখ সাহেব দিয়ে গেছেন সপরিবারে নিহত হবার মধ্য দিয়ে।কিন্তু আমি দেখি যে বেশিরভাগ সময়েই আপনি বেশ আয়েশ করেই এই জিনিসটি নিয়ে লেখেন, এবং সব দোষ শেখ সাহেবের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে বিমলানন্দ লাভ করেন।উনি তো আর একা সব কিছুর জন্য দায়ী না।এইভাবে ঢালাও ভাবে একজনের উপর দোষারোপ করা ঠিক না। (N)
@অর্ফিউস,
একদম ঠিক কথা। আমি এর জন্যে কিন্তু “বাঙালী জাতিয়তাবাদ” কে দায়ী করেছি। কারন
ওইসময় সরকার ছিল বাঙালী জাতিয়তাবাদ থেকে অর্থনৈতিক জাতিয়তাবাদে উত্তোরন-সেটা ত হয় নি- না হওয়ার পেছনে “জয় বাংলার” ভূমিকা ছিল। ওই যে লেখক বললেন ন্যারো ফোকাস।
@বিপ্লব পাল,
(N) (N) (N)
@অর্ফিউস,
পৃথিবীর প্রতিটা ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র, আন্দোলন, দর্শন-এদের কেওই এই মহান “টাও” এর বাইরে না। এটা সবার জন্যে, সব সিস্টেমের জন্যে সত্য যে একটা সিস্টেমের ব্যার্থতা, তার সাফল্যের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে।
শেখ সাহেবের কথায় ভাবুন। গোটা জাতিকে তাতাতে পারতেন, আবেগে ভাসাতে পারতেন। সেটাই ছিল তার সাফল্য। আর সেটাই তার ব্যার্থতার কারন হয়ে দাঁড়াল। কারন ‘৭১ র পরে উনি ভাবছিলেন, এই ভাবেই চলে যাবে-আবেগ থেকে তার ফোকাসটা যুক্তি আর প্লানিং এর নেমে এল না।
। ইতিহাসের গভীরে যারা গেছে, তারাই অনুধাবন করতে পারে, এর অর্থ।
ভাই অর্ফিউস,
বিপ্লব ভাই মন গড়া কথা বলেন নি। তিনি যা বলেছেন তা একটা পলি্টিক্যাল থিওরির থেকেই বলেছেন। রাজনীতি বলেন আর একটি সভ্যতার কথাই বলেন, এই পলি্টিক্যাল থিওরিটা একটা চিরসত্য।
ধন্যবাদ।
বলতে ভয় লাগে। আজকাল বলতে গেলেই রাজাকার বলে ডাকে ওরা। আমার মতন নাস্তিককে কেউ কেউ আবার সন্দেহও করে! নাম দিয়ে দেয় পাকিস্তানের বন্ধু বা স্বাধীনতার বিরুদ্ধের শক্তি। বড় অন্ধকার সময় এক এসেছে আজ …
সাধারণ মানুষ শাহবাগে অনেক আছে। সত্য। কিন্তু পুরো ব্যপারটাই হাসিনা ও তার দলের সাজানো। আমার শুধু ভয় হচ্ছে যে এবার সাধারণ মানুষের তেলে হাসিনা ও তার দল কি কি ভেজে নেয়! মুজিবের এই দলটিকে নিয়ে বিশ্বাস নেই। ১৯৭১-এ মুজিব ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তুলতে বলে নিজে বসে থাকলেন পাকিস্তানের জেলে। আর এবার তার কন্যা আমার ভাই-বোনদেরকে শাহবাগে রেখে কি করে সেটা নিয়ে আমি বড়ই দুশ্চিন্তাই আছি। গাছে তুলে দিয়ে হাসিনা মই নিয়ে পালাবে তাতে আমার কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু যারা শাহবাগে আছে তাদের কি হবে আমি তা ভাবতে গেলে ঘেমে উঠছি। জামাত তো অবশ্যই একটা হিট-লিষ্ট বানাচ্ছে, আর তারা কাঁচা কাজ করেনা। আমি নিজের চোখে তাদের হিংস্রতা দেখেছি। আমি দেখেছি তারা কিভাবে মানুষের হাত-পা কাটে, আর পেট ফেঁড়ে ঘাসের উপর ভূড়ি ফেলে দেয়। আমরা যারা ভাবছি যে হাসিনা ও তার দল এবার অনেক কিছু করে ফেলবে তারা ভুল করছি, নিজেদের মৃত্যু ডেকে আনছি। আমরা যদি দেশকে ভালোবাসি তো আমাদেরকে বেঁচে থাকতে হবে, জামাত হারামিদের হাতে এতো তাড়াতাড়ি মরলে চলবেনা। ঐ শুয়োরেরবাচ্চাদেরকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে হবে। আমরা মরলে তা করবে কে? হাসিন-খালেদা? তারা ২৫টা বছর ধরে যা করেনি, তা তারা আর করবেও না।
জামাতিদের সাথে খুনো-খুনি করে আমরা পারবোনা। তারা জানোয়ার টাইপের মানুষ। তাদেরকে হাতে না মেরে ভাতে মারতে হবে। কিন্তু হাসিনা তা চাবে না। সে চাবে মারামারি-খুনোখুনি। এজন্যই শুরুর থেকেই আমি বলে আসছি ফাঁসি না লাইফ-টাইম-ইম্প্রিজনমেন্ট-ই যথেষ্ট রাজাকারদের জন্য। কেন? তার কারন হাসিনা ও তার দল আমাদেরকে ফেলে দৌঁড় দিলো বলে, আর তার পরে শুরু হবে জামাতি কচু-কাটা। তখন হাসিনা ও তার দলকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা। আর এটা ভাব্লে ভুল হবে যে বাইরের হাত এতে নেই? আমাদের দেশ বাইরের সাহায্য ছাড়া টিকে থাকতে পারবেনা। কাজেই খুনোখুনি করে বাইরের যাহায্য মিলবেনা। রাষ্ট্রেরও কিন্তু সম্পর্কের বদল হয়! এতা ভেবে দেখবেন আপনারা। রাগের মাথায় কিছু হবেনা। আমাদেরও থাকেতে হবে ঐ ঘৃণ্য জামাতিদের মতো ঠাণ্ডা মাথা। আমি তাদের ঠাণ্ডা মাথার একজন ভক্ত। আমরা যারা দেশের ভালো চাই তাদের দরকার জামাতিদের মতো ঠাণ্ডা মাথার।
ধর্মকে শেষ করা যাবেনা। কোন উদহারণ কেউ দেখাতে পারবেনা। কাজেই আমাদেরকে টিকে থাকতে হবে সকল মত একসাথে নিয়ে। আর ধর্মকে সুন্দর পলিসি করে শুধুমাত্র ঘরের ভিতরে ও উপাসনালয়ে রাখতে হবে।
থাবা-বাবা নামে একজন খুন হয়েছেন। প্রতিটি আন্দোলনের কিছু শহীদের দরকার হয়। এটা কি তেমন কোন কাজ? যেহেতু আমার দেশের কোন দলকেই আমি বিশ্বাস করিনা, তাই আমি বিশ্বাস করিনা যে এই খুনটিকে কে/কারা/কেনো করেছে খুব সহজে বোঝা যাবে।
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
রাজনীতিবিদদের নিয়ে আপনার মূল্যায়ন ঠিক আছে, কিন্তু ভয় পেয়ে গর্তে সেঁধোলে চলবে? একাত্তরে সবাই গর্তে সেঁধোলে দেশ স্বাধীন হত? এসপার কি ওসপার এবারই দেখে নিতে হবে।
@আদনান আদনান,
কি বলতে এবং কেন বলতে ভয় লাগে খোলাসা করবেন কি?
কারা আপনাকে রাজাকার ডাকল জানতে ইচ্ছে করছে, জানিয়ে বাধিত করবেন আশা করি।
আপনার মত নাস্তিক যদি যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসীর বিরুদ্ধে থাকেন এবং এ নিয়ে বিশাল মানবতা বাদী প্রবন্ধ ফেঁদে বসেন আর তার বিরুদ্ধে বেশিরভাগ চ্যালেঞ্জ গুলো কে এড়িয়ে যান তবে সন্দেহ করবেই লোকজন।নাস্তিক আস্তিক বুঝি না,যারা গনহত্যা আর গনধর্ষন কারীদের সর্বোচ্চ সাজা দেয়া যাবেনা, দিলে এটা খুনের সামিল, এইসব মন্তব্য করেন, সেইরকম একজন কে নাস্তিক, আস্তিক সবাই সন্দেহ করবে।
আর তাছাড়া নাস্তিক হয়ে আপনি কি বিশাল মহাভারত লিখে ফেলেছেন যে সন্দেহ জনক কথাবার্তা বল্লেও আপনাকে সন্দেহ করা যাবে না?
খুবই স্বাভাবিক।নাস্তিক হলেই যে পাকিস্তানের বন্ধু হতে পারবে না সেটা আপনাকে কে বলল?নাস্তিক বলেই যে দেশদ্রোহী হতে পারবে না, তাকে অবধারিত ভাবে দুধে ধোয়া তুলসি পাতা হতেই হবে এর কি মানে আছে? ধর্মের একজন বড়সড় বিরোধী হয়েও আমি নিজে অনেক ধার্মিক সৎ মানুষ দেখেছি, আর কিছু সুবিধাবাদী অধার্মিক মানুষ দেখেছি, যারা ধর্মবিরুদ্ধতাকে মেয়েদের সাথে সেক্স করার হাতিয়ার হিসাবে বেছে নেয়, যাকে বলে সুবিধা বাদী, আর ভুয়া মানবতা বাদী।কাজেই নাস্তিক হলেই সাতখুন মাফ এমনটা ভাবার কোন কারন নেই।
জি কারন সবাই যখন রাজাকারদের ফাঁসী চাচ্ছে, আপনি চাচ্ছেন তাদের বাচিয়ে জেলখানাতে আজিবন জামাই আদর দিয়ে রাখতে।আপনার এই ছদ্ম মানবতার মুখে (নাকি ছদ্মবেশ?) …. করি আমি।
জানলেন কি করে যে সবটাই হাসিনা ও তার দলের সাজানো?এই কথার জন্য আপনাকে অন্য যে কোন ব্লগ ( নন জামাতী) ব্যান করে দিত, মুক্ত মনা বলেই বেঁচে গেলেন বলে আমার বিশ্বাস।
মানুষের সেন্টিমেন্ট কে, জাগরন কে আওয়ামী নাটক বলতে আপনার লজ্জা করল না?
অবশ্য লজ্জা থাকলে তবে না লজ্জার প্রশ্ন আসে।
আহা একেই বলে যে শকুন কাঁদে গরুর শোকে। মাসীর এত দরদ কেন জানতে পারি?মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশি হলে সে আসলে মাসী না, মাসীর ছদ্মবেশে রাক্ষসী জানেন তো কথাটা?হাসিনার দলের কর্মীদের যে সাধারণ মানুষ লাঞ্ছিত করল, বোতল ছুড়ে মারল, এইগুলা কিছুই না? সব হাসিনার সাজানো বলতে চান আপনি?এই জন্যেই আপনাকে আমি সুরক্ষিত দুর্গের আড়ালে ছদ্মমানবতাবাদের বুলি কপচানো ভোগী পুরুষ বলে মনে করি।
এই একটি কথা সাথে আমিও একমত। বর্তমান আওয়ামী লীগ কে কোন ভাবেই বিশ্বাস করা যায় ন।আসলে কাউকেই বিশ্বাস করা যায় না।
মুজিব জেলে গিয়ে বসে থাকেন নি, উনাকে ধরে নিয়ে গেছিলো আপনার প্রিয় পাকওয়াতানের বীর(?) সেনানী রা।
ওই যে আবার বলতে হয় মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশি।তাদের নিজের ভাই বোনেরা হয়ত চিন্তা করছেন না, বাবা মা গর্বের সাথে পাঠাচ্ছেন, আর আপনি এখানে কুম্ভীরাশ্রু বর্ষন করছেন, আর হাসিনার দলের চক্রান্ত বলে মনে করছেন এইগুলোকে, যদিও প্রমাণ কিছুই দিতে পারছেন না।
এই কাজটি হাসিনা, খালেদারা ভাল পারে, কিন্তু আবার বলছি যে আপনি আগে প্রমান করুন আপনার কথা।
হাহাহা এয়ার কন্ডিশন রুমে ঘামছেন নিশ্চয়?অথবা এয়ার কন্ডিশন গাড়ি তে?আমি কিন্তু সাধারন ফ্যানের বাতাসে বসেই ঘামি না। মোটরসাইকেল ছাড়া কোন বাহনও নেই আমার, তবু ঘামি না।ঐযে বললাম মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশি।কেউ যখন ঘামছে না, আপনার ঘামার কারন কি এক্টাই যে রাজাকার দের ফাসি হলেও হতে পারে?আর আপনার মানবতা আহত হয়?
কয়জন কে মারবে তারা?১৫ কোটি মানুষ কে?
এটা আপনি একা না, আরো অনেকেই দেখেছে।কেউ আপনার মত ঘামছে না। তাহলে কি করতে বলেন আপনি?ভয়ে দেশটাকে তালেবানদের হাতে তুলে দিতে হবে?যাতে সাধারন মানুষ মরবে আর আপনারা দুর্গে বসে আবার মানবতার মুক্তির জয়গান গাইতে পারবেন যে তালেবানী বাংলাদেশের অবসান চাই?
আমরা এটা কেউ ভাবছি না,হ্যাঁ কিছু যায়গাতে প্রতিবাদে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের কর্মীদের কেই দেখা গেছে, তবে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে তা নয়।
একদা নন্দলাল করিল ভীষণ পণ………………………..। যাই হোক জামাতী হারামী না জামাই বাবাজী?
এটা কি মনের কথা নাকি শুধুই মুখের?যাহোক ফাঁসী না দিয়ে খালি নিষিদ্ধ করলেই কি জামাতের কর্মকান্ড থেমে যাবে?না তারা আন্ডার গ্রাউন্ডে গিয়ে আরো ভয়াবহ হয়ে উঠবে।
ঠিক, একদা নন্দলাল করিল ভীষণ পণ :hahahee:
অতএব আসেন তাদের পা ধরে কান্নাকাটি করতে থাকি, অথবা নারায় তাকবির বলে জামাতে যোগ দেই।দুনিয়ার পাশাপাশি জান্নাতেও হুরের ব্যবস্থা করে ফেলি।
কিভাবে ভাতে মারবেন, বুঝিয়ে বললে অধমের বুঝতে সুবিধা হত।
সেইটা আমিও জানি, কিন্তু জনতা চাইলে হাসিনা না চাওয়ার কে?
সস্তা মানবতার জন্য।আবার এটার মুখে…….করি।
তাই নাকি? মানে আপনি বলতে চান যে হাসিনার দলই হল আমাদের রক্ষাকর্তা? ওরা দৌড় দিলেই আমরা কচুকাটা হব? এত বড় সাহস আপনার?জামাত কচুকাটা শুরু করবে আর পাবলিক বসে বসে স্বমেহন করে শীৎকার তুলবে?৭১ এ কি সব বাঙ্গালীকে মারতে পেরেছিল ওই জারজগুলো?আপনার মত তথাকথিত মানবতা বাদী; নেকড়ের ছদ্মবেশে ভেড়াদের জন্যেই মানুষের এই দুর্গতি হবে।আপ্নারাই হলেন সেই সব সুবিধাভোগী লোকজন যারা জনতার মগজ ধোলাই করেন আর উপরে মুক্ত মনা সেজে থাকেন ।
তাতে কোন সমস্যা নেই।এইটা হাসিনা বা তার দলের আয়োজন না, এটা গনজাগরন।
অতএব আসেন ভিক্ষা করি।আমার মনে হয় বিদেশী সাহায্য ছাড়া রাষ্ট্র টিকবে না এটা যত সঠিক, তার চেয়েও সঠিক হল, বিদেশী সাহায্য ছাড়া ধনিক শ্রেনী আরো ধণী হতে পারবে না, এটা আরো বেশি সঠিক।
আপনি নাকি এয়ার কন্ডিশন গাড়িতে বসে জনতার উপর জামাতে হামলার ভয় ঘামছেন?তা এই ঘামাঘামীর ভিতর মাথা ঠান্ডা কিভাবে থাকে ভাই? আপনি যাদুকর নাকি?
আমার মনে হয় যে আপনি তাদেরই একজন ভক্ত।নাস্তিক তাতে কি হইসে? ইহুদী হেনরি কিসিঞ্জারো পাকিস্তানের প্রেমিক ছিলেন।
আবার একমত। এটাকে নির্বিষ করা লাগেব।
খুনী আর ধর্ষন কারীর এক্টাই পরিচয় যে তারা খুনী আর ধর্ষক।তাই এদের সাথে থাকার দরকার আপনার থাকতে পারে বৈষয়িক স্বার্থে, অন্যদের নেই বলেই আমার ধারনা।
এই ভদ্রলোক শহীদ হয়েছেন, আর আপনি এই গনজাগরণ কে হাসিনা আর তার দলের কারসাজী বলে ওই ভদ্রলোককে অপমান করলেন, যেমন রাজাকার দের ফাঁসীর বিরুদ্ধে কথা বলে ৭১ এর ৩০ লাখ শহীদ কে অপমান আর ৪ লক্ষাধিক নির্যাতিতা মা বোনদের অপমান করে থাকেন।
(N) :-Y
@অর্ফিউস ভাই, আপনি নিজের নাম রাখলেন আর কি! এতো লম্বা গান? আপনার লেখার ধৈর্য আছে!
যাহোক নিচে আকাশ ভাইকে যা বলেছি দেখেন। যাই করবেন শান্তিপূর্ণভাবে করবেন। কারন? আমাদের মনে রাখতে হবে আমাদের আন্তর্জাতিক সম্পর্কগুলোর কথা। আমাদের মনে রাখতে হবে আমাদের দেশের ভবিষ্যতের কথা। আর অনেক দিন পরে আমরা একদল অসাধারণ মানুষ (আপনার মতো নতুনদের) পেয়েছি, যারা দেশ নিয়ে ভাবছে। কাজেই তাদেরকে খুনোখুনির মধ্যে ঠেলে দিয়ে লাভ নেই।
জানি আপনার মতো আরো (আমার ও!) অনেকেরই রক্ত টগবগ করে ফুটছে রাজাকারদের ফাঁসির জন্য। কিন্তু মেজাজ ঠান্ডা রাখতে হবে ভাই আমার, মেজাজ ঠান্ডা রাখতে হবে। ধরে নিচ্ছি আপনার বয়স ২০/২২ মতো। আপনার মতো বয়সে আমিও আপনার মতোই চিন্তা করতাম। বেশ আগে, রাজাকারদের কি করার দরকার ছিলো তা নিয়ে আমি একটি গল্প লিখেছিলাম, যেখানে আমার গল্পের একজন রাজাকারদের একজনের জ্যান্ত চামড়া ছিলেছিলো। এখনও মনে করি তা-ই দরকার। কিন্তু তাতে দেশের লাভ হবে না। ভাই, আপনি-আমি আজ আছি কাল নেই। কিন্তু দেশটাকে তো টিকে থাকতে হবে। যাহোক আমার সেই গল্পটা নিচে দিয়ে দিলাম। ইংরেজিতে লেখা, তাও আবার প্রায় এক দশক আগের। অনেক ভুল-ভাল আছে আর কি!বাঙলা করে দিতে পারলে ভালো হতো। দেখি পরে এক সময় করে দেবো।
ধন্যবাদ।
The Skinning of a Razakar
1.
A few days after the liberation of Bangladesh, freedom fighters caught “Rajakar (traitor) Hasan”. Hasan came home to see his newborn son. It was late, and the baby and the mother went to sleep early in the evening. His wife, Sabina, knew he will be coming home to see them, but didn’t know how late in the night. She had a kerosene lamp out on the verandah like every other day, since she was always afraid of the water snakes getting in the hut. At 19, she looked 30 at least, a round face, with dark circles around here eyes, and those eyes, those eyes were still, not moving much, almost as if she was seeing a life different from this one, far from anywhere near. When Hasan entered the room, she woke up immediately. “Why do you look so pale? It is just about a month…” she asked. “I am fine, it is just that I had to see everywhere with 10 different eyes before I could take each step,” he said. She said, “You are so thin,” touching his face, “your face is so tall and thin, and your eyes are so inside. Are you not eating anything?” By that time Hasan already started to un-wrap the clothes of the baby boy, Jamal, to see him in full light of the lamp. He said, “He has your thick lips, and tiny nose, maybe the forehead is like mine. He is so small!” She laughed and said, “Only two weeks old. But he is getting bigger fast.” He looked into her eyes and said, “How are you? How are you handling all this?” She started to cry and said, “Jamal cannot live here, people will never accept him.” He said, “I know. As soon as I get the money, I will take you both away from here.” While they talked the baby woke up and started to cry, almost screaming. Sabina looked at Hasan and said, “Turn off the lamp, quickly, turn it off.” In the dark, they tried to stop the baby from crying, but nothing worked. Jamal screamed even louder.
One of their neighbors, Kabir, woke up hearing the baby crying, and the first thought that came in his mind was that Hasan was home. He said to his wife next to him, “Hasan is home.” She asked, “Why are you breathing so hard?” He was surprised and said, “Do you not think? We can catch this shit now. I am going to get everybody.” She begged him, “You don’t need to get involved, if Allah wants he will get his punishment in due time.” He whispered, “Don’t light any lamp, don’t wake the children, I am going, even Allah needs to hear from people so he knows what to do.” And then he left like a cat, careful not even to touch a leaf. In silence he melted into the dark of the night. He didn’t even bother to verify whether his assumption was right, he went straight to report to Azad. By this time, Azad was a hero, but was a quiet man, staying mostly in his house, seldom seen elsewhere in the village. At that time, Azad went out once in more than three weeks, and that was to tell everyone that he will not be involved in any local politics, and he didn’t think that he was a hero, he did what the war required of him, and nothing more.
While knocking on Azad’s door, Kabir said, “Azad, you home? Azad, ay Azad, you home?”
Azad just went to sleep from his late night readings, and he was startled by the knock on the door and threw his right hand up, which hit the head of the bed hard, so in scream he said, “Who is it? What do you want?”
“This is Kabir, come out, I need to tell you something, something very serious and urgent.”
Azad took his time, and as he opened the door, he asked him to come in.
“What do you want to talk about?”
Kabir was still breathing hard, even more than before, and said, “Hasan is home.”
“Hasan! You sure?”
“Yes.”
“Did you see him?”
“No, but he is home.”
“How do you know?”
“His boy never cries at night, today he is crying like he is dying.”
“So?”
“He is home. Listen, I didn’t have time to go and see him. But if you want to catch him this is your chance. I didn’t want to go myself with no weapons and all that; fearing he might see me and then go away or shoot me.”
“Go home; I don’t want your name to be out there. No one should know you reported him.”
Azad took off immediately, barely put on his pant and a thin towel around his neck. It didn’t take him long to get his boys. Who could be against catching a Rajakar, a Rajakar like Hasan? Hasan was at the top of the food-chain, eating the freedom fighters one after another during the war. Within half an hour, they surrounded Hasan’s house. Two people even climbed the palm tree with guns, in case Hasan tried to run away. Hasan had no chance, against 15 people with guns.
Azad called out, “Hasan, we know you are there. Please come out, otherwise we will be forced to shoot?”
He didn’t get any response, so he said again, “If we are forced to shoot, then others might get hurt. We have nothing against the others.”
Hasan knew he could not get away. He said, standing next to the door, trying to hear and see things through the tiny crack, intermittently looking at his wife in the dark, “I will come out only if you allow me to go with you.”
“I promise, look at my hands, I have no guns, and you should also know I will hand you over to the Police. We will not do what you have done to your fellow country people. Look at my hands, no guns, but I will be forced to pick up a gun, if you don’t cooperate.”
His wife hugged him and cried, in whisper he was begging her to keep quiet, and screamed to Azad, “Why should I believe you?”
“You cannot. And I will also not keep arguing with you. That’s not what I will do. If you know the kind of man I am, you will come out in less than one minute, or you will be taken by force. Your choice Hasan, you choice!”
Pushing his wife away, Hasan came out of his room, hands up, and said, “Look, I have no guns either; you cannot shoot an unarmed man. And do not harm my family.” Without looking back, he said to wife, “Take care of Jamal, never let him know who I was and what I did, if I don’t come back.” Sabina screamed from the house, “It is not only him, why don’t you get the big fish Azad, why not your brother, he helped the Pakistanis too.”
Azad said to Hasan, “You can trust me.”
Hasan said, “Yes, I made a mistake; I was forced by the Pakistani army, those bastards.”
“You will not be killed, as I said, I will take you to the police station.”
Hasan came right in front of Azad and said, “I know your hands are clean, but your thugs’ are not.”
Azad tied Hasan’s hands behind his back around his waist, and then asked one of his boys to take him to his house. He said, “We will take him to the station in the morning, and make sure no one knows about it until them, otherwise there will be a big crowed.” To Hasan he said, “You should say things very carefully now Hasan, very carefully, and only the truth.”
Then Kashem stepped in front of Azad and said, “You have done enough. It is time for you to sit back and relax, and let us do what we want to do with him.”
Azad put his hand on Kashem’s broad soldier and said, “I gave him my words; you cannot do what you want. That’s not the way.”
Kashem bursting in anger calmed his voice said, “This animal should not live.”
“What he is or is not is not for you to decide, and we are not in a war now, he surrendered peacefully. He will face the justice.”
“Only the sufferers could deliver the true justice. What could all those courts and judges do, they have no idea how it feels like to lose a friend or a brother.”
“I lost my family too in the war Kashem.”
“I don’t know how you do it? I don’t understand. How can you not kill him right now?”
“It is an opportunity for this country to show that we are the men of laws.”
“It is an opportunity for Nakkhatrapolli (NP) to kill this beast. It is a NP matter; the nation has nothing to do with it. Nation doesn’t know what happen here.”
Azad approached Kashem, and tried to take Hasan away, but then Bablu, a merely 15 years old boy, hit his head from behind, and he fell on the ground. Azad said, “What are you doing Bablu?” The skinny Bablu didn’t say anything, but looked at Kashem. Azad tried to stand two more times, but two more hits knocked him out, his groaning stopped.
Hasan cried out, “Brothers don’t kill me. I have a wife and a baby.” By this time his wife also came out of the hut, and was screaming, “Oh you cannot kill him. He did everything for food. He had no job, and the army gave him a lot of food. None of you know the hunger the way we know it. You don’t know how it feels not to have anything. Let him go, go kill the Pakistanis if you can.”
Kashem kicked the wife in the stomach, and said, “Bitch go to your home. If you care for your baby, take it and go away from NP. First we will kill all rajakars, then their followers, and then their children.” Sabina was holding her stomach with her one hand, and with another Kashem’s feet, and said, “Let him go. We are innocent.” Kashem squinted his eyes, even in the dark, and said, “Innocent? Then who is the criminal? Did all this just happen without a criminal?” Then he kicked her six more times and said, “Seven is a good number. Remember what I just said. The baby is next.” Sabina couldn’t talk anymore, except moving her hands like a starving person, so weak to breathe even.
Kashem said to Akkas, “Take Azad home, he will be ok in a few hours. And stay there untill he wakes up. Make sure he doesn’t get out of the house when he wakes up.”
Then he said to Badol, Manik and Bodor, “Go tell everyone in the village that we caught Hasan, the beast.”
He said to Pollob, “You go get a strong piece of rope and that big piece of rock that your father has. Meet us in the schoolyard.”
Then he told to everyone, “Listen, this man is not a man, he is an animal, a beast. We have to kill him. But if we kill him, then the fucking law will be on our ass soon, so we must do it together. It is easy for the law to punish one, but when it is many, the many becomes the law. Do you understand? We go up or down together. None of us would ever go against this cause; we have to kill every Rajakar. Are you all with me?”
They all agreed, but Belal asked, “Who is going to shoot him?”
Kashem said, “We are not shooting and wasting bullet on this pig. We are going to skin him alive.”
2.
It was not even a month that the war had ended, horror was not lost from memory, and people’s appetite for blood and savagery was still there. Otherwise why would so many people show up to see the skinning? Was it a time to take blood, after giving it for so long? Even the foggy morning of January couldn’t hold them back in their houses. All they heard was this: “Hasan was caught, and he will be skinned in the schoolyard.” That was more than enough for them to gather around the school house since the dawn. It was a grim and depressing morning, but there was enough excitement (or was it fear?) in their hearts, they were all running toward that one destination with smile and restlessness on their faces. The gravity of the situation probably still didn’t set in. But the mass-hysteria was rising!
Hasan was locked in one of the classrooms, where Azad was kept a few months back, when he was taken by the Pakistani army. While Kashem was getting ready to skin Hasan, Azad woke up from his sleep. The first thing he said was, “Did I get shot?”
Akkas, standing away from his bed, said, “No, but you are ok. You have to stay here for a while.” While he said that he was afraid, he thought Azad will snap the rope and twist his neck. He was so afraid that he was looking at Azad not through his glasses, but over it with huge eyes, his face seemed small, and he was swallowing air frequently.
While Azad was sleeping, Akkas tied his hands and legs with the bed. Azad could barely move. Now that he was wake, Akkas put a towel in his mouth to keep him quite, and said, “Please, I beg you, don’t hold anything against me. Kashem is my brother, I have to listen to him; otherwise he will kill me too. You know him. I know you understand!”
Azad said, “This has brought an opportunity for everyone to become their worst.” Akkas didn’t understand any of it.
Kashem brought Hasan out under the mango tree around 8 am. Hasan was a tiny man. During the war he gained a reputation to be a giant through his ruthless savagery, but now everyone could see how messed up and scared and tiny he was. How could a normal-looking man do such things? That was the question most people who didn’t know him before the war asked. Kashem said to everyone, “We will skin him alive, if anyone stays here and sees this, they are with me. And only stay here if your stomach is strong; otherwise leave now, later I will make you see this all the way to the end. This is something you have never seen, and I have never done, but I will do it. Keep the kids here, they need to see this. They need to know what happens when you betray your country. Maybe Allah will send me to hell, but it is not Allah who is living here on earth, it is us, we have to make sure, no one ever dares here to betray their country and people ever again.” With or without him saying, a few fathers wanted their sons to see this; but most people sent their kids away. With no direction at all, people stood there in a circle, as if that is what you do in a skinning event, a circle approximately thirty feet away.
In the meantime, the Mullah from the mosque came by. He had been living in NP for the past several years, originally from Rasulpur. He was no taller than five feet and three inches tall. He had a face of seventeen years old boy, but his eldest son was almost twenty. People in NP area listened to him; he did gain certain authority because of his soft spoken and practical advices over the years. He was afraid to approach Kashem for he was sure that whatever he could say will not be heard. Youth will make the mistake, in every age, in every country, he said to himself. But it is his duty to try. He said to Kashem, “Can I talk to you for a few minutes?”
Kashem, without moving his head, rolled his eyes toward him, and said, “What are you doing here old man? You were a member of the Shanti Committee just a few days ago. You could be next! I know you helped us, but don’t forget your origin, whatever you say, you must say it carefully.”
Mullah said, “Son, you cannot do that. Just shoot him. You cannot become worst than him.”
“I am here not to take lecture from you, but to skin him and make my shoe out of it.”
“You still believe in Allah, don’t you?”
“No, I do not.”
“Then I have nothing to say. You are living in a lawless universe. I cannot stop you from making this mistake. But we still have human laws. We have sympathies. We have love. We have fear.”
Kashem turned around and over Mullah’s head looked at the crowed behind him and said, “It is not a mistake; this is what we should have done to all Pakistani soldiers. We failed, but this is my chance. Allah is much more savage than I am. He knew I will skin him, why did he still give birth to Hasan’s child. Can you imagine the kind of life that boy going to have? Do you understand that? Does your Allah understand that? I do not. ”
The mullah left the schoolyard, and didn’t look back. A few people from the crowed followed him as well; they could take anything, but not blasphemy. But most people still stayed behind to see their expectations realized.
Kashem didn’t cover Hasan’s eyes or block his moth, he wanted him to see and scream, as needed. He wanted everyone to look at his eyes, and hear him screaming. Hasan kept saying, “I am not the only one, don’t kill me, don’t kill me, I am not the only one. Killing me will not bring anything back.” His voice wasn’t loud or even strong, it was more like the voice of a man dying and saying his few last words in a voice that doesn’t belong to him. Then he said, “Just shoot me. Chop my head off. Hang me. But don’t skin me. Kill me, but don’t skin me alive.”
Then he looked straight into Kashem’s eyes and said, “Kashem, remember when we played marbles as kids? You don’t have to forgive this Hasan, but remember that Hasan, your friend. Forgive that Hasan. Don’t skin me, kill me.”
Kashem said nothing.
Again Hasan said, “You cannot do that. You cannot do that. I didn’t skin anyone. I did because of hunger. What are you doing this for? I was never as rich as you. You will never know what it feels like to be poor, very poor.”
Kashem placed the rock under a tree branch, in a shallow hole that he made, and said, “What do you want to eat motherfucker before the skinning begins?”
Hasan Said, gasping, “Don’t kill me. Don’t skin me. Kill me. Don’t kill me.”
“Shit, yes, shit you will eat.” Kashem asked Bulu to bring a bowl of shit. Bulu looked at the crowed behind him, and then went to get it.
Then he asked, “What do you want to drink?”
Hasan said, “Just think what you are doing? You were never like this.”
“Piss, piss it is.” Kashem unzipped and kicked Hasan to fall on the ground, and pissed on his face, and said, “I am holding it since the moment we caught you. Is it warm enough, salty enough, smelly enough for you?” The crowed kept on talking among themselves, but at that moment, an old lady said, “Kashem have you no shame, what gotten into you, have you gone mad. Can anyone not stop him?” Kashem didn’t pay attention to any of that, and the crowed behaved the way it always does, no one knew what to do, thoughts lost in the cacophony.
Bulu brought a bowl of fresh shit, probably his own, it must be, it was fresh, it still steamed. Kashem, picked up a dry branch, and using it put the shit in Hasan’s mouth. “Eat, fucker eat, your last meal. Don’t complain to me, this is what your Allah and your Pakistan wants you to eat. It is written. Eat dog, eat.”
Then Hasan said again, this time looking at the ground, weeping, “Just kill me. Use a bullet, or use that cutter to cut my head off.”
Kashem didn’t pay attention to it, and said, “I want to see every inch of your body. I want to see under your skin. I want to know what you are made off. You fucking beast.”
Then Hasan said, “I am a dog, a beast, an animal, a pig, I am all that and more, whatever you want me to be. Give a simple death, an easy death, don’t skin me. Allah will forgive you.”
Kashem said, “You are a prophet now? Do you think I need your Allah’s forgiveness? Today it is that motherfucker’s time too to see what men could do.”
3.
Then Kashem hanged Hasan from a mango tree branch by tying a rope around his wrist, and his legs were tied to the rock below. He could move a bit, but he couldn’t wobble too far. It is a secure and safe position for skinning, just like the goats during the Bakri Eid slaughtering. Kashem never skinned a goat or a cow, but he had seen it many times during the Bakri Eid, and for some reason he always liked it. He remembered how his mother used to call for him, when the slaughtering and skinning time came during the festival. Suddenly he remembered his mother’s face after all this years, and tears rolled down his chicks, he felt a deep love for his mother, and thought to himself, “How did she know that I will have to prepare to skin the beast of all beasts? How did she know this all those years ago? I will not fail her; I will skin this monster and then chop him into pieces, which I will throw to the dogs.”
“Kill me and then skin me, I beg you. Why don’t you people stop him? What are you waiting for? You cannot let that happen. Can someone else kill me? Just get a machete and chop my head off.”
“No one will touch you. They are here to see the color of your blood. Is it red, or pitch dark?”
“It is red. I beg you Kashem, my brother. You know it is red.”
“I am not your brother. Have you no shame! Have you no self-worth at all!”
“Where is Azad? People listen to me, believe me, he killed Azad and put him in his house.”
“Even now you are lying motherfucker? Even now? What are you bustard? What are you?”
An old man from the crowed said, “Kashem, don’t skin him, let me slit his throat. I am telling you to do the right thing. You will remember it when you are old. Now you are too young with all the power in the world. You have the power so you can help the powerless. You have the power so you can act responsibly. You have the power so you can learn to see the truth. There is no pride in killing him. No pride at all. It is a matter of justice. We cannot say that killing is bad, and then kill someone lawfully, I don’t understand it. I think every killing is bad. I don’t want you to kill him. It is a sin, not in the eyes of God, but in the eyes of humanity. Like you I too don’t believe in Allah, but I know if we fail to act like human, then what could happen, you’ve seen it, just a few days ago. I will kill him. Let me take the sin on my soldier. You are the new generation, you will lead this nation to its greatness, and you are my future, our future, future of this nation. You must not kill him. You are the light for which we fought. We have not fought for this! Mothers, sisters and daughters have been raped all over this country. You must remember that. Not for this. Have courage to look at your sanity and your good judgment. You went to the war, that was a good judgment, but this is not the right thing to do. I am old, but I beg you.” Abbas, the old man, was on his knee, holding Kashem’s hand and begging; but Kashem simply said, “I have to kill this animal. This is the judgment. His killing will show everyone what not do in the future.”
“You are wrong. In Saudi Arabia, they cut people’s hands for stealing. Are people not stealing there anymore? Did it fix the problem once and for all? No, it did not. They cut people’s heads off for killing. Are there no more killing in the world? There is still killing going on. They lock their women in a black dress. Are those women happy? All of them happy? Do you believe that? Punishment doesn’t solve any problem. Education does. Forgiveness does. This is not self-defense anymore, this is murder.”
“This is education, real education, as you say.”
“You are mistaken. The criminal is not learning anything, and the bystanders will not learn anything either. If this new nation does this, then the future of this nation dies here, with your act of today. You are the new Yahya Khan. You are the founder of a new Pakistan. You may not believe it, but that is where this nation will head to with your act here, right now.”
Kashem directed Ayub with his eyes, and Ayub took the old man away. Abbas kept on pushing, but then others joined the mission, and he was taken away.
Kashem fired a bullet in the air, and asked everyone “Is there anyone else, who objects to what I am about to do?”
No one spoke. A lot of people started to leave, mostly people with kids. But Kashem ordered them, raising his voice and hands, to stay, “No one leaves this place. We are all in it together. Everyone needs to watch, old and young and children. They didn’t even let children to live when it was their time to kill us. Have you forgotten it already? The grave of your loved ones are not dry yet. And you have forgotten it already!”
Kashem then went into one of the classrooms, where Atel and Batel, two brothers, who owned a slaughterhouse, were waiting. He asked, “I will do it, you will just have to let me know if I am doing it wrong.”
Batel, the younger brother said, “Are you really going to do it?”
“Yes. You think I am joking?”
“It will be a lot of blood, and he will scream.”
“That is the idea.”
Atel said, looking at the crowed outside, “You better be strong. Remember this; if you start it, then you will have to finish it. You cannot leave it half way.”
Kashem went quite for a few seconds, and then said, “Don’t worry. I will go all the way. I am thinking about a shocking finale to this shocking act.”
Atel asked, “What are you thinking?”
“I don’t have anything yet. But I have to have something.”
“Pull his eyes out?”
“I want him to see his own skinning.”
“Cut his tongue?”
“I am thinking about that, but then he will not be able to speak, he would just make a lot of noise like a mute.”
Then Batel said, “Take his guts out. And let it hang from the inside of his body.”
“Now, that is an idea. That is good! But people have seen cow and goat guts before. Do you think it will have much shock?”
“I think it will, since no one ever seen a human gut like this. Not even Pakistanis did this. They cut heads off, but didn’t spill the guts out while the person was alive. At least not in our area! So I think it will work.”
Atel asked, “Do you have any idea?”
“Yes, I have one.”
“What is it?”
“I cannot tell you now.”
“Why not?”
“Then you will not be shocked anymore.”
Batel asked, “When will you tell us?”
“I will show you.”
Then Kashem came out of the room, and asked Atel and Batel to sit below Hasan’s body, and sharpen their skinning equipments. The brothers didn’t look good. They looked as dead as Hasan. They didn’t look anywhere but to their sharpening act. Kashem said, “Don’t make it too sharp, then he wouldn’t feel anything. Just make it sharp enough for the job.”
Hasan screamed, “Yah Allah, why don’t you kill me? Just kill me, you are all powerful, you can do anything, just take my life. You gave this life without my permission, but I am asking you to take it away now. Don’t be as cruel as men? You cannot be like us? You are good and pure. I believe in you. I am a believer. I beg for your forgiveness. You cannot let an atheist do what he wants. People listen to me, Kashem is an atheist, but he calls me a criminal. I did it for hunger; he is doing it because he hates Allah.”
Kashem hit the side of Hasan’s mouth with the butt of his gun. Hasan’s lips split and started to bleed. Kashem said, “Don’t bleed too much, then you will have nothing left for me.”
4.
Kashem took a small knife, and held it up against the sun, looked at it from many different angels, moved it like he was trying to buy something mysterious. “See this knife, people of NP, this will skin him alive, this came from a slaughterhouse of NP. NP will not forgive her son, who went mad during the war, killed his own brothers. Now it is time to pay back. Other Rajakars that are out there, leave NP immediately and never come back. If you do stay here, you will be skinned as well.”
Using the knife, he made a small cut on Hasan’s butt. He was hanging naked from the branch. He screamed like a man who stepped on a hot burning nail. “You still have time to kill me. Kill me, and then skin me. Cut me into pieces after. Believe me you will have the pleasure even in that. Put my body to fire. Feed it to the dogs. Throw it into the shit, but do not skin me alive. I cannot take it. Give me a quick death, I beg you.”
Kashem said, “Slow you will get, quick never. You fucked all those young girls, remember? You didn’t do it so quick. You took your time, now it is mine. I will do to your body what a patient painter does to a canvas. Remember those freedom fighters that your people caught at the border? Did you give them a quick death? Did you? No, you did not; you made them kill each other, and then put hot coals in the ass of the last one living. Remember that?”
“Not me. It was the army.”
“It is the same, it was you. Your job was to help your people. And you failed”
“But it was the same country at that time. Why them and us? We were all the same. I was fighting for a country that gave me a job. It was a civil war. I happen to be on the other side.”
“We are Bengalis. They were Vindeshi, aliens from somewhere else. Pakistanis had no to rule us just because we share the same religion.”
“I was hungry. You were never hungry like me.”
“I am trying to do something that will never make you hungry again. Isn’t that great?”
Then he took the knife, and slowly cut Hasan’s skin from where the neck touches the shoulder. He made an inch long cut, and blood poured out. A line of blood went down his spine and then down to his feet, and dripped on the mud. Hasan kept screaming at the top of his lungs, and the bystanders moved away a little bit, but they didn’t leave. Then while Hasan cried and begged, Kashem cut his skin very slowly, he exposed his back like the fresh cow meat in the market. Blood was all over Kashem’s face, hand, and body. It was unbearable to hear Hasan’s scream. One young girl collapsed, and a few people run away, not afraid of Kashems threat any longer. The crowed was thinning fast, but still many stayed.
There was one man who collected a bamboo stick from the schoolyard, and came up to Hasan’s body, and hit his head hard, and said, “You motherfucker, why do you scream now, why do you beg for mercy?” Kashem stopped him, and said, “What are you doing? You think I don’t know. Do not give him a clean death, do not. We cannot do that. So many had died. It is just one. One day, they will deny all this, if we do not stick together. Hitler killed so many people, but there are people in the world who denies it today. These people should never be forgiven. We are here to create examples, so the history cannot deny it.”
“Let me kill him. Then we will skin him together,” the man said. Kashem disagreed, pushed the man away. By this time, Hasan was making loud noises, more from the other side of life than this. Kashem kept skinning him, much faster now. Still it took him another hour. The whole body was exposed. Blood still dripping, but Hasan was still breathing a little. Kashem took a stick and poked his eyes, and said, “Wake up rat, wake up. You cannot die, death cannot be that easy. And it should be extra hard for a shit like you. Wake up. Still pretending? You can escape a many things, but not me.”
Hasan’s whole body skin was now hanging from his penis-base; only this part is remaining to be skinned. There were people in the audience crying. Many more fainted, and taken away by the others. The same old lady from the crowed said, “Kashem, baba, forgive him. Let him die. Just shoot him. We cannot see it anymore.” Kashem said to her, “Why did you stay to see it then?”
The old lady said, “You have become a monster.”
Someone else said, “He only helped to kill during the war, but you are a killer in the peacetime.”
Another young girl said, “This cannot be the law.”
Kashem asked, “Why not? Koran says take life for life.”
A young man said, “Who cares about Koran, we are talking about what you are doing here. Stop it.”
Another young man said, “You will be arrested for this.”
Someone else said, “You should go into hiding.”
In a roar, Kashem said, “This is my country. I made it free.”
The same man said, “Yes, you did, but you are raping her now.”
Kashem turned around and said, “Now I will show you what you have never expected. I cannot end it just like that. You want to see what else I can do? A play such as this must end with bang. Don’t you agree?”
He took a stick and shoved it into Hasan’s ass, and then twisted it hard. “How does it feel animal, how does it feel?” By now Hasan is gone, he didn’t make any noise.
Then Kashem cut off the skin and threw it in the ground. It looked like a red tattered clothe of a beggar. Then cut his penis with the testicles still attached to it, and shoved it in Hasan’s mouth, and said, “That is for the raping of women you and your brothers carried out.”
Then he said to the crowed, “You see this people, you see this? This is the penis of Hasan the Rajakar in his own mouth. The man we feared the most during the war, the rat. This is the end of him. And I did this, while you all scolded me. Let Pakistan know, that we will do this to them, if they ever try to take us back. There will be no mercy the next time. This is the skinning of Pakistan. This is the penis of Pakistan.”
He said again, “Go call the police, and take the pictures. Let it be published it all newspapers in the country. Let the people of Bangladesh see it. This is what we should have done to all Pakistanis when we had the time. They went away too easy. It is a shame that we let them go like that. The president of Pakistan, I want your skin. I want you to hang like this, and cut every inch of your body a thousand times. I want to skin you a thousand times. Let what I said to be published in the newspapers. We must not forget this. We must never allow The History to deny what Pakistan did to us.”
Hasan’s body hanged there for a week after that. No one dared, not even the police, to cut it off and bury.
@আদনান আদনান,
মন্তব্যের ঘরে আপনার ইংরেজি গল্পটা পড়লাম। পুরোপুরি বুঝলাম কি না জানি না। যতটুকু বুঝেছি তাতে মনে হয়েছে, আপনি একজন কোমলমতি মাসুম, নির্দোষ নিস্পাপ রাজাকারের প্রতি পাঠকের সহানুভুতি কামনা করেছেন এবং মারাত্বকভাবে মুক্তিযুদ্ধাদের অমানুষ, পশুবৃত্তির, পাশবিক, নৃসংশ, নাস্তিক, খোদাদ্রোহী প্রমাণে সচেষ্ট হয়েছেন। আমি যদি ভুল বুঝে থাকি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। দয়া করে গল্পটি বাংলায় অনুবাদ করে আলাদা পোষ্ট দিয়ে দিন, যদিও আপনার বাংলাও পুরো বুঝিনা।
@আদনান আদনান,
আরে না জেলে নয়, রাষ্ট্রীয় নিমন্তন্নে রাজকীয় অথিতিশালায় ৯ মাসের হলিডেতে গিয়েছিলেন।
এর পরেই-
এই সাহস নিয়ে হাসিনার সমালোচনা করেন?
আকাশ ভাই,
২০১১-তে আমি দেশে গিয়েছিলাম। তা শাহবাগ মোড়ে আমি প্রায় প্রতি রাতেই থাকতাম। বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিমার আর কি! যা হোক, একদিন আমরা দেখি খড়মড় করে একটা রিকশা ভেঙ্গে পড়ে গেলো। রিকশা চালক আর যে ভদ্রলোক রিকশায় ছিলেন তারা দু’জনেই রাস্তায়। ভদ্রলোক আবার এক রিকশায় উঠলেন, আবারও একই অবস্থা। ভদ্রলোক আবার এক রিকশায় উঠলেন, আবারও একই অবস্থা। এবার রাস্তার ওপাশ থেকে একেবারে আমাদের সামনে এসেই। এক রাস্তা পার হতে তিনটা দুর্ঘটনা! কারন? তিনবার তার রিকশাকে ধাক্কা দিয়েছিলো কোনো না কোনো একটা গাড়িতে। আর বলতে পারেন যে ভদ্রলোকের কপাল খারাপ ছিলো কিছুটা!
যে শাহবাগ মোড়ের এই অবস্থা, আজ সেখানে সরকারি দলের উসকানি ছাড়াই এতো কিছু এতো সুন্দরভাবে হচ্ছে? আপনার তা বিশ্বাস হয়? আর যারা হাসিনার ভক্ত তারাও দিচ্ছে কিছু কিছু। এই তো গতকাল আমার মামা ৫ লক্ষ টাকা পাঠায়ে দিলো দেশে তার প্রিয় দলের ছেলেদের খাওয়ানোর জন্য।
আসল কথা হলো জামাতিদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে হবে। এই সব বুড়ো রাজাকারদের জেলে রাখলেই হবে কিছুদিন। তারা প্রাই শেষ! তাদেরকে মেরে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নষ্ট করে লাভ নেই। আর একবার খুনোখুনি শুরু হলে বাজি রেখে বলতে পারি আমাদের পক্ষে জামাতিদের সাথে পারা সম্ভব না। তারা বড়ই হিংস্র একদল মানুষ। আমি যেহেতু দেশে নেই। আর আমি যেহেতু ধর্মীয় রাজনীতি বাতিল করার পক্ষে লোক, সেহেতু আমি নিজের থেকে মনে করছি যে ব্লগে এটা-ওটা বলে আমার ভাই-বোনদেরকে খুনোখুনিতে মেতে উঠতে। দেশের বাইরে থেকেও অনেকে বলছে তারা নাকি জীবন হাতে নিয়ে নেমেছে। এর চেয়ে হাস্যকর আর কি হতে পারে? আমি নিরাপদ আছি বলে দেশের লোকেদেরকে একটা খুনোখুনির মধ্যে ঠেলে দিতে আমি পারিনা। আকাশ ভাই, শুধু এটা-ওটার দাবি করলেই কি হবে? একটু চিন্তা করে আন্তর্জাতিক সাপোর্ট নিয়েই কাজে নামতে হবে। বাঙলাদেশ তো আর একা একা টিকে থাকতে পারবেনা। শুধু কি ভাই লাফ মারলেই কি হবে? জামাতের শিকড় অনেক গভীরে। তারা চাইলে ১০/১৫ গুন বেশি লোক শাহবাগে আনতে পারে। আর আনলেই খুনোখুনি। তার চেয়ে তাদেরকে হাতে না মেরে সুন্দর সুন্দর পলিসি করে ভাতে মারাই কি ভালো নয়? আমি মনে করি হাসিনার ও তার দলের সেই ক্ষমতা এখন রয়েছে। আপনি কি মনে করেন?
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
আমি যতদুর জানি যে শাহবাগে কমপক্ষে ২/৩ লাখ মত লোক জড় হয়েছেন। আরো নাকি বাড়ছে।এইবার ১৫ দিয়ে একে গুন দ্যানতো আপনি।আপনার কি ধারনা যে বাংলাদেশে অত লোক জামাতের সমর্থক আছে?নাকি সারাদেশের সব সমর্থক কে জামাত হাজির করবে?আচ্ছা মিনিমামেই আসেন।২লাখx১০=২০ লাখ।এত লোক যদি জামাত নিয়ে আসতে পারে, তবে তো দেশের পুরা সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এক করেও অদের ঠেকানো যাবে না।তার মানে তো বাংলাদেশকে ইরানে পরিনত করতে পারে ওরা ইসলামিক বিপ্লব করে। খাইসে।পিঠা খান পিঠার ফোঁড় গোনেন না?একটু সাবধানে কথা বলাই ভাল আমার মনে হয়।ভাল থাইকেন।
ভাই অর্ফিউস,
সারা দেশে, সব ধর্মীয় দল মিলে, ১.5-2 কোটির কম হবেনা। আর এখানেই আমি বুঝতে পারছি আপনার মত নতুনেরা কত কম জানেন এদের সম্পর্কে। আপনার কি মনে হয় আমি ফালতু কারনে শুরুর থেকেই খুনোখুনি এড়ানোর কথা বলে আসছি?
ভাতে না মেরে, হাতে মারতে গেলেই আমাদের পরাজয় হবেই। একটা কথা বলি, আপনি যদি বিপদে পড়েন তবে আপনাকে লুকিয়ে রাখবে হয়তো ভারত; কিন্তু তারা বিপদে পড়লে অনেক দেশ আছে তাদেরকে রাখার। তাদের হাত অনেক শক্ত! কে শোনে কার কথার বয়স আপনাদের, চালিয়ে যান; কিন্তু শেষ-মেষ এই আদনান ভাইকেই বলতে হবে, ভাই আপনি যা বলেছিলেন তা-ই হলো।
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
জামাতের সাংগঠনিক কাঠামো অনেকটাই মিলিটারী সাংগঠনিক কাঠামোর মতন। মিলিটারীতে যেমন ব্যাটেলিয়ন পর্যায় এবং এর নিচে শুধুমাত্র যুদ্ধের ট্যাকটিক্যাল এবং অপারেশনাল বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। স্ট্রাটেজিক বিষয়গুলো জেনারেল স্টাফদের ( কর্নেল এবং এর উপরের পর্যায়ে) মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে । সাধারণ সৈনিক থেকে শুরু করে মেজর পদমর্যাদার অফিসাররা জানতে পারেন না তাদেরকে কোথায় এবং কেন মোতায়েন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় রসদ, গোলাবারুদ ইত্যাদি ফুরিয়ে গেলেও তাদেরকে জানতে দেয়া হয় না মনোবল চাঙ্গা রাখতে । যুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত হলে সবচেয়ে শেষে যে জানতে পারে সে কে? যুদ্ধক্ষেত্রে সবার সামনে যে সাধারণ সৈনিক অবস্থান করে । এটা হাজার হাজার পুরোনো সামরিক রীতি যা এখনও অটুট আছে। এবার দেখা যাক আপনি বলছেন :
পরিস্থিতি গুরুতর সন্দেহ নেই। ধরে নিলাম নিশ্চিত হয়েই বলছেন , উপরে আপনার দেয়া বক্তব্যের সমর্থনে যাচাই করা যাবে এমন কোন তথ্য প্রমাণ দেয়া যাবে ? এগুলি আপনি কারও কাছে স্রেফ শুনেছেন না নিজে জেনেছেন ? জামাতের কন্টিন্জেন্সি প্লান নিয়ে আমার আগ্রহ দীর্ঘদিনের। এমনও তো হতে পারে যে , জামাত কর্মীদের মনোবল চাঙা রাখতে এগুলো ছড়িয়ে দেয়া হয় !
@সংশপ্তক,
আচ্ছা ভাই, একটা কথা বলেনতো দয়া করে।আদনান সাহেব যা বললেন সেটা যদি সত্য হয় আর জামাত সত্যি যদি কমপক্ষে ২০ লাখ সশস্ত্র লোক জড় করে( ধরেন তাদের হাতে আছে মিনিমাম একটা পিস্তল থেকে শুরু করে অ্যাসল্ট রাইফেল পর্যন্ত), তাহলে কি বাংলাদেশের সেনা বাহিনী, র্যাব পুলিশ, সবাই মিলে তাদের ঠেকাতে পারবে?ভয় পাচ্ছি না আদনান সাহেবের কথায়, শুধু আপনার কাছে জানতে চাচ্ছি, ( যেহেতু আপনার লেখা পড়লেই বুঝা যায় যে আপনি বাংলাদেশ সরকারের কোন গুরুত্বপুর্ন পদে আছেন( সশস্ত্র বা পুলিশ, র্যাব কিছু একটা হবেন হয়ত 🙂 )। )তাই আপনার কাছ থেকেই এটা সম্পর্কে সঠিক জিনিস জানতে পারব।এমনি তে সিনেমা আর ভিডিও গেম ছাড়া যুদ্ধ কৌশল সম্পর্কে বিন্দু মাত্র ধারনা নেই আমার, কাজেই খুব জানতে ইচ্ছে করছে যে এমনটা করতে পারলে কি সত্যি জামাত কে ঠেকানো যাবে?বাংলাদেশে ২ লাখ সেনা সদস্য আছেন বলে শুনেছি।পুলিশ, র্যাব কত আছে সঠিক জানা নেই!
@অর্ফিউস,
কোন থিয়েটারে সৈন্য সমাবেশের ঘনত্ব যত বেশী হয় , সেই থিয়েটারে শত্রুর উপর ততো সহজে আক্রমন পরিচালনা করা যায় । অর্থ্যাৎ অল্প পরিসরে বিশাল সৈন্য সমাবেশ একটা মারাত্মক রণকৌশলগত দুর্বলতা হিসেবে বিবেচিত। এজন্য বসতিপূর্ণ এলাকার জনসংখ্যা , ভূ – প্রকৃতি অনুপাতে সৈন্য সমাবেশ করা হয় – এজন্য আলাদা ডক্ট্রিন আছে। উদাহরণ স্বরূপ , গড়পড়তা হিসেবে সমতল ভূমিতে বসতিপূর্ণ এলাকায় প্রতি ১০০০ জনের জন্য ২৫ জন সৈন্য যথেষ্ট হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব , ভৌগলিক প্রকৃতি এবং আরো কিছু সূচকের প্রেক্ষিতে হিসাব করে দেখা গেছে যে , এখানে পুরো দেশে সর্বোচ্চ আড়াই লাখ সৈন্য একই সঙ্গে মোতায়েন করা যায়। এর বেশী হলে তা কৌশলগতভাবে ক্ষতিকর হবে।
ঢাকার নিরাপত্তা বিধানের জন্য বেশ কিছু নিয়ম মানা হয়। সমাবেশে লোক সমাগমের ব্যপারে পুলিশ এবং সশস্ত্র বাহিনীর জন্য নির্দিষ্ট থ্রেশ হোল্ড আছে । লোক সমাগমকে কখনই নির্দিষ্ট থ্রেশ হোল্ড অতিক্রম করতে দেয়া হয় না। এজন্য এক বিশ্ব এজতেমার সমান কোন সমাবেশ বাংলাদেশের কোথাও আর দেখবেন না এবং সেখানেও লোক চলাচলের উপরে অদৃশ্য থ্রেশ হোল্ড আছে। বাইরের জেলা থেকে কত সংখ্যক মানুষ এক সাথে ঢাকায় প্রবেশ করছে তা সব সময় মনিটর করা হয়। এজন্য একই সাথে যে কোন কারণেই হোক না কেন ২০ লাখ দূরের কথা ২০০ জন মানুষের ঢাকায় একত্র হয়ে ৩০ মিনিটের বেশী টিকে থাকা সম্ভব নয়। পূর্বানুমতি ছাড়া মাত্র ২০০ জন মানুষ ঢাকার যে কোন জায়গায় সমবেত হলেই তাদের চ্যালেঞ্জ করা হবে – এটা নিশ্চিত ।
@সংশপ্তক, অনেক ধন্যবাদ ভাই, ব্যাপারটা খোলাসা করার জন্য!অনেক কিছু জানলাম।
চমৎকার (Y) । তাহলে আদনান সাহেবের চিন্তা ভাবনা আসলে একটু বেশি অ্যাডভান্স ছিল, অথবা আমার মত হয়ত তিনিও ব্যাপারটা ধরতে পারেন নাই।
@আদনান আদনান,
হাসতে হাসতে শেষ হয়ে গেলাম, ভাই। যা বলার ক্লিয়ার করে প্রথমে বলে ফেললেই তো হয়, এত ত্যানা প্যাচানোর কী দরকার ছিলো? কী দরকার ছিলো এত আজগুবী গল্প ফাঁদার? ভাই, শাহবাগকে মগবাজারের সাথে গুলিয়ে ফেলেন না, প্লীজ।
এজন্যই বিপ্লব-দার লেখার দারুণ ভক্ত। কঠিন সত্যকে এভাবেই তুলে ধরেন। এই হতাশার জায়গাটি চোখে আঙ্গুল দেখিয়ে দিলেও স্বপ্নের কথাও বলেছেন। আসলেই, শাহবাগ আর কিছু না পারুক, স্বপ্ন তো দেখাচ্ছে। আর এই দুনিয়ায় স্বপ্নের চেয়ে দামী আর কি আছে? স্বপ্নই কি টিকিয়ে রাখে না এই জগত-সংসার? প্রগতির পথে পা বাড়াতে পারে লাখো তরুণ, সে তো স্বপ্নেরই দৌলতে!
@কাজি মামুন,
না। স্বপ্নের চেয়ে দামী অর্জন কিছু নেই- না আছে ব্যক্তিগত জীবনে, না আছে রাষ্ট্র এবং সমাজের জীবনে।
চাণক্য চন্দ্রগুপ্তকে বালককালে নির্বাচিত করেন মগধের ভাবী সম্রাট হিসাবে। তাকে নিয়ে যান তক্ষশীলায় রাজনীতি এবং যুদ্ধনীতি শিক্ষা দিতে। শিক্ষা শেষে, আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমনের পরবর্তী কালে চন্দ্রগুপ্তকে যখন রাজনীতিতে ঢোকাতে বিষ্ণুগুপ্ত দ্বিধায় ভুগছেন ( চানক্যের আসল নাম বিষ্ণুগুপ্ত) , চন্দ্রগুপ্ত গুরুর কাছে জানতে চাইলেন তবে কেন, তাকেই নির্বাচিত করেছিলেন গুরুদেব?
চানক্য বলেছিলেন, জ্ঞান বা শিক্ষা বা শক্তি- কোনটাই মানুষ বা সমাজকে নতুন পথের সন্ধান দেয় না। চন্দ্রগুপ্ত ই একমাত্র শিষয়, যিনি রাষ্ট্রএর ভ্রষ্ঠাচারের বিরুদ্দে সরবই শুধু হোন নি-পরিবর্তনের জন্যে অস্ত্র ধরে সেনাবাহিনী তৈরীতে উদ্যত ছিলেন। চন্দ্রগুপ্তের এই উন্নততর রাষ্ট্রএর স্বপ্নই চানক্যকে কাছে টেনে ছিল।
স্বপ্নেই সেতুর বন্ধন হয়।
চুপ, এ কথা বল্লে অসুবিধা আছে। তা হলে হাসিনা আর এ আন্দোলনের পক্ষে নাও থাকতে পারে। হাসিনাকে দিয়ে আন্দোলনের অনেক দাবী কার্যকরী করানো সম্ভব আছে। তাকে দিয়ে জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করানো যেতে পারে। তাকে দিয়ে রাজনৈতিক-ধর্মীয় ব্যবসা নিষিদ্ধ করানো যেতে পারে।
অন্য কোন সরকারের দ্বারাই এটা করানো সম্ভব নয়। বরং তারা এ ধরনের আন্দোলন অস্ত্রদিয়ে থামিয়ে দিবে।
ধর্মকে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে, শুধুমাত্র গৃহে, ও উপাসনলয়ে। রাজপথে বা রাজনীতিতে এর কোনই স্থান থাকতে পারেনা বা থাকা উচিৎ নয়।
সমস্ত গন্ডগোলের মূল ধর্মকে রাজনীতির সংগে মিশিয়ে অজ্ঞ জন সাধারণকে ধোকা দিয়ে রমরমা ধর্মীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করা।
এটা ঠিক নয়।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আমার বক্তব্যটা রূপক। ‘৭১ এর অর্জন ধরে রাখা যেত যদি সেই নবীন গণতন্ত্র, শেখ সাহেবকে গণতান্ত্রিক উপায়ে কন্ট্রওল করতে পারত। সেই ব্যার্থতা শেখ সাহেবের মৃত্যু এবং ‘৭১ এ সব কিছু অর্জনের মৃত্যুর কারন হয়ে ওঠে ক্রমশ।
আজ সকাল ৭:৩০ এর বিবিসি বাংলার খবরে শুনতে পেলাম (খবরটা আন্তর্জালে save করে নাই) শাহবাগের একজন আয়োজক/বক্তা বিবিসি প্রতিনিধিকে বল্লেন-জামাত-শিবিরের পক্ষ হতে ,যে ইমাম শোভনের জানাজা পড়িয়েছেন এবং শাহবাগের আয়োজক/বক্তাদের ১৭ জনের একটি তালিকা দিয়ে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে- যে অতি শীঘ্র তাদেরও একের পর এক থাবা বাবা ওরফে ইঞ্জিনীয়ার রাজিব হায়দারের ন্যায় পরিণতি হইবে।
কী মারাত্মক কথা!!!
তবে শাহবাগের প্রতিনিধি এক প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন “আমরা এই হুমকিতে মোটেই ভীত নই বরং আন্দোলন আরো বেশী জোরে অগ্রসর হইবে।
যুদ্ধের এক পক্ষের হাতে সভ্য অস্ত্র কলম, আর অন্য পক্ষ্যের হাতে বর্বর ও বন্য অস্ত্র চাপাতি।
আমাদের যাত্রা সভ্য হওয়ার দিকে হবে নাকি বর্বর ও বন্য হওয়ার দিকে?
কলমের ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে প্রতিউত্তর তো হওয়া উচিৎ কলমের দ্বারা ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দ্বারা।
সেখানে চাপাতি -আক্রমণতো চরম বর্বোরোচিত ও জঘন্য কাজ।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এক্ষেত্রে হুন সম্রাট এটিলা রোমান সেনাপতিকে যে উত্তর দিয়েছিলেন তা প্রাণিধান যোগ্য- বর্বরতার উত্তর সভ্যতার কাছে নেই। বর্বরতা, থামাতে গেলে, বর্বরদের ” লেভেলেই” নামতে হবে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার, ওরা কি জানেনা আমরাও এই বাংলার প্রানি,আমরাও শত্রুদের বিরুদ্দে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি ।কাঁটা হেরি ক্লান্ত কেন কমল তুলিতে,দুঃখ বিনা সুখ লাভ হবে কোন মুহিতে ।বন্দুরা কমল হাতে এদেরকে প্রতিহত করতে না পারলে আমাদের হাত কঠিন করতেই হবে ।
একটা ব্যাপার খেয়াল রাখা ভালো, শাহবাগের আন্দোলন কিন্তু ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করার জন্য নয়, জামাতকে নিষিদ্ধ করার জন্য। কঠোর বাস্তবতা এটাই, যে এখন যদি এখানে ধর্মের বিপক্ষে কিছু বলা হয়, বেশীরভাগ মানুষই আন্দোলন বর্জন করবেন।
@অযান্ত্রিক,
ধর্ম আর ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি এক না। আর ধর্ম ভিত্তি রাজনীতিকে বন্ধ না করে শুধু যদি কিছু কাদেরদের ফাঁসিতে ঝোলানো হয়, রাবনের দশমুখের মতন জামাতের শক্তি বাড়বে, কমবে না।
@বিপ্লব পাল, আমিও আপনার সাথে একমত আগা কেটে দিয়ে গুঢ়া রাখার কোন মাইনে হয়না ।এরা যতোই শক্তিশালী হোক না কেন জাগরিত বাংলার আলোকিত মানুষ তাদের প্রতিহত করবেই করবে ।
@অযান্ত্রিক,
আমি ঠিক একমত হতে পারলাম না। কারণ, আমি ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতি বর্জনের ডাক সম্বলিত ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখেছি সেখানে! এটি আজকের তরুণ সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী, বিষয়টি আড়াল করা বা এড়িয়ে যাবার কোন সুযোগ নেই মনে হয়।
@কেশব অধিকারী, (Y)
@অযান্ত্রিক,
ধর্ম ভিত্তি রাজনীতি বন্ধের দাবী মানেই ধর্ম বিরোধীতা এটায় কি আপনি নিশ্চিত?
আমার জানামতে এই আন্দোলনে নুতন প্রজন্মের এক বড় অংশই চায় ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হোক (শুধু জামাত শিবির নিষিদ্ধ হওয়া নয়, তেমনই তাদের দাবীনামায় দেখেছি, এটা গোপন কিছু নয়)। অন্যদিকে এই দলের বেশীরভাগই ব্যাক্তিগত বিশ্বাসে ধার্মিক।
স্পীকারকে দেওয়া আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের একটি দাবীঃ
৫। জামায়াত-শিবিরসহ ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
তার মানে কি আন্দোলনকারী এই ধার্মিকরা আসলে ধর্মবিরোধী?
কিংবা, যারা আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে দাবী দাওয়া পেশ করেছে তারা ধর্মবিরোধী; অন্য কথায় এ আন্দোলন ধর্মবিরোধীদের – জামাতিদের এই অভিযোগ আসলে সত্য? মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে ভাই; তাহলে জেনেশুনে হাজার হাজার ধার্মিক ভাই কেন এই ধর্মবিরোধীদের কথায় আন্দোলন করে যাচ্ছে বলতে পারেন? নাকি আন্দোলনকারী সকলে আসলে নাস্তিক, ধর্মবিরোধী?
@বিপ্লব পাল,
খুবই খাঁটি কথা বলেছেন।আসলে প্রথমত পরিবারতন্ত্রটা গণতন্ত্রের নামে ধোঁকা বাজী।তবে শুধু এইসব শেষ করলে চলবে কেন?
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা খুব জরুরি, পাশাপাশি এই ধর্মীয় দলগুলোর অর্থনৈতিক উৎসগুলো কেও বন্ধ করে দেয়া দরকার। শুনেছি বাংলাদেশের ইসলামিক ব্যাঙ্কগুলো সহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠান।কিন্তু এখানেও একটা সমস্যা আছে।ইসলামিক ব্যাংকগুলোতে সব ধর্মের অসংখ্য মানুষ তাদের আমানত জমা রেখেছে।কাজেই এইগুলোকে নিষিদ্ধ করলে বা সরকারী আওতায় নিয়ে নিলে আমানতকারীদের অর্থ ঝুঁকির মুখে পড়বে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।
সমস্যা না হলে এদের মালিকানা সরকারের হাতে চলে গেলে হয়ত সাধারন আমানতকারীরাও তাদের অর্থ হারিয়ে ফেলবে না, আর মৌলবাদীদেরও টাকার জোগান বন্ধ হবে অন্তত একটা সোর্স থেকে।
বাকিগুলো নিষিদ্ধ করাই উচিত।না হলে টাকার জোরে এরা আণ্ডার গ্রাঊণ্ড থেকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করবে।
বিপ্লবদা,
চমৎকার আনুপূর্বিক বিশ্লেষন এবং লড়াইয়ের পরিনতি সম্পর্কে একটা সাজুয্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত! তবে চূড়ান্ত পরিনতি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বোধ হয় এরকম হবে না। যে লড়াইয়ের কথা আপনি বলছেন, সে লড়াইয়ে বাংলাদেশ এখনো প্রস্তুত নয় বলেই আমি মনে করি। আপাততঃ অনুমানটা এরকম মনে হলেও সম্ভবতঃ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আন্দোলনের গতিপথ আর চূড়ান্ত অর্জনটা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সহসা আসে। সরলরৈখিক পথেও না আবার ছককাটা কোন পরিকল্পিত পথেও না। একটা পর্যায়ে হঠাৎ। তারপরে আবার লড়াই হয়। এই যে জাগরণ এর ধারনা গত ৫ই ফেব্রুয়ারীর আগেও ছিলো না। তবে তার জন্যে আক্ষেপ আর প্রত্যাশাটা ছিলো। আজকের তরুণ প্রজন্মই যে এই স্ফূলিঙ্গটি জ্বালবে সেই ধারনাও বস্তুতঃপক্ষে ছিলোনা। সে জন্যেই আমরা এখনো কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে রয়েছি অনেকেই! জাতীয় ভাবে তো বটেই এমনকি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও! যে বিজয় আমরা চাই, সে বিজয়ে পৌঁছুতে আমাদের আরোও অনেক ত্যগের পথ ধরে যেতে হবে সন্দেহ নেই। কিন্তু আজকের যে চেতনার উন্মেষ সেই চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখাটাই হবে চ্যলেঞ্জ এই প্রজন্মের কাছে। বাংলাদেশে আজ চলছে চেতনার লড়াই। যেদিন এই চেতনার প্রতিষ্ঠা হবে সেদিন থেকে দানা বাঁধতে থাকবে নতুন বাংলাদেশ গড়ার চূড়ান্ত লড়াইয়ের আয়োজন। যে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি অবসানের ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রতিষ্ঠিত মূল্যবোধের উপড় দাঁড়ালে, এক ফুৎকারেই তা উবে যাবে বলে আমার বিশ্বাস। আমারতো মনে হয় তাহরীর স্কয়ারের কিংবা ভারতে আন্না হাজারের ডাকা গনজাগরণেও সেই চেতনার বৈকল্যতা ছিলো। যার জন্যে এতোবড় গনজাগরণেও সেই আয়োজনের ফসল সফল নয়। মিশরে এসেছে নতুন করে ধর্মীয় লেবাসের সরকার আর ভারতে নড়েচড়ে বসার শব্দ! তবে বাংলাদেশে তারুণ্যের এই প্রজ্জ্বলিত শিখা আমাদের নতুন দিগন্তের সন্ধান দিক, এইটেই প্রত্যাশা।
@কেশব অধিকারী,
চেতনার সেই বৈকল্য এখানেও চোখে পড়েছে, বলেই লেখা। এই ব্লগাররা রাজাকারদের বিরুদ্ধে যতটা সরব, গার্মেন্ট শিল্পের মালিকদের শোষনের বিরুদ্ধে ১% ও না। আন্না বা কেজরিওয়ালও এই দিকে অন্ধ। আর সেই জন্যেই আমি মনে করি, এখনো অনেক অনেক পথ হাঁটা বাকী।
@বিপ্লব পাল,
আপনি যা ইঙ্গিত করছেন আমাদের লক্ষ্যও তা। কিন্তু আজ যে লড়াইয়ে আমরা সামিল তা চেতনার পরিস্ফূটনই বলুন আর আমাদের চিরায়ত বাঙ্গালী চেতনার নব জাগরণই বলুন সেখানে আগে ফিরতে চাই। অর্থাৎ শেকড়ের সন্ধানে। জনাব রুপম উপরে যে মোরাল কোডের উল্লেখ করেছেন সেইটেই আজ আমাদের নিরঙ্কুষ ভাবে অর্জন করতে হবে। কারণ আজ যারা চলমান রাজনীতিতে সম্পৃক্ত; আমরা, তরুণ সমাজ তথা জনগন তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি আনেক আগেই, সেই মোরাল কোডটা গুলিয়ে গেছে বলে। যে চেতনায় আমরা পাকিস্তান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলাম ১৯৭১-এ, সেই চেতনাই ৭৫ পরবর্তী সরকার গুলো গুলিয়ে খাইয়েছে আমাদের আফিমের পুরিয়ার মধ্যে ভরে ভরে। সেই জন্যে আজ তরুণেরা ডাক দিয়েছে আফিম আর আফিমের আমদানিকারকের বর্জনের। গোটা দেশ সারা দিয়েছে সেই ডাকে। সেই জন্যে আমার মনে হয়েছে পুর্ণাঙ্গ না হোক একটা পর্যায়ের জন্যে হলেও আজকের এই আন্দোলন সফল হওয়া উচিৎ। আর এই আন্দোলনের সফল ধারাবাহিকতাই বলে দেবে আমাদের পরবর্তী গন্তব্য। সেই জন্যে আপনার উদাহরণে চেতনার বৈকল্যতার কথা আমি উল্লেখ করেছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশে চলমান আন্দোলনে সেই সীমিত চাওয়াটুকুর মধ্যে আমার মনে হয়েছে চেতনার পরিস্ফূটনের প্রত্যয় বিদ্যমান। তাই এই আন্দোলনের ব্যপারে আমি হতাশ নই বরং হতাশা ঝেড়ে ফেলে সামীল হবারই তাড়া পাচ্ছি ভেতর থেকে।
@বিপ্লব পাল,
আমার তো মনে হয় এই আন্দোলন একটি সুনির্দিস্ট দাবীতে ঘনীভূত হয়েছে এবং সেই দাবীকে কেন্দ্র করেই এগুচ্ছে। অন্যান্য সমস্যাগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই তা যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন আপাতত চাপা থাকাই ভাল। জামাত-শিবির আর তাদের সমব্যাথীদের জনবিচ্ছিন্ন করে তাদের বিষদাঁত ভেঙ্গে দিতে হলে আন্দোলনটিকে পূর্ণশক্তিতে সেই একটি লক্ষ্যেই চালিত করতে হবে; মনোযোগ বিভাজনের সময় এটি নয়।
এই আন্দোলনের সবচেয়ে বড় পাওয়া ন্যায়ের পক্ষে সম্মিলিত জনগোষ্ঠির সচেতনতার সরব প্রদর্শন। আর এই আন্দোলন ভবিষ্যতে যে আরো বড় কোন পরিবর্তনের নিয়ামক হয়ে উঠবে না তাই বা কে বলতে পারে?
@মনজুর মুরশেদ,
আমি কিন্ত সেটাই লিখতে চেয়েছি- এ হয়ে উঠুক বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি পর্ব।
@বিপ্লব পাল, (Y) ধন্যবাদ বরাবরের মত আমাদের পাশে থাকার জন্য!
@বিপ্লব পাল
– এই ধরনের কথা বলে যারা এই আন্দোলনের মূল ইস্যুকে কায়দা করে এড়াতে চায় তারা, যেমন দেশে আরো অনেক বড় বড় সমস্যা আছে…বেকারত্ব, অশিক্ষা…সরকারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাস তো ভয়াবহ…এসব বাদ দিয়ে ৪০ বছর আগের কিসব টানাটানি…আপনাকে চিনি বলেই জানি যে তেমন কূটিল উদ্দেশ্যে এ কথা বলেননি।
আমিও আপনার মতই মনেপ্রানে বিশ্বাস করি যে এই আন্দোলন যদি শুধুমাত্র কিছু নরপশুকে ফাঁসিতে ঝোলানোর মধ্যে দিয়ে শেষ হয়ে যায় তবে এর অর্জন হবে চুড়ান্ত মেয়াদে টেন্ডস টু জিরো। নুতন ধরনের চেতনার জন্ম দিতে হবে যে চেতনা আর চোখের সামনে কোন অন্যায় সহ্য করবে না সে অন্যায় যে দলই করুক।
কিন্তু বর্ৎমানের আন্দোলন জমেছে একটি সুনির্দিষ্ট ইস্যু নিয়ে যেখানে ব্যাকলগ জমে আছে ৪০ বছরের, কাজেই শুরুটা হতে হবে সেখান থেকেই, এর সাথে আপাতত অন্য হাজারো সমস্যা মেলানোর চেষ্টা মানে সেই মূল ইস্যুর গুরুত্ব হারানো। এভাবেই ঘাতকের দল অতীতে গনতান্ত্রিক আন্দোলনগুলির ডামাডোলে মিশে যেতে পেরেছে অন্য সব দলের কাতারে (যেমন এরশাদ হটানো ছিল এক সময় বড় ইস্যু, কে রাজাকার সে প্রশ্ন হয়ে গেছিল গৌণ)।
কাজেই শুরুটা অন্তত হতে দিন, এরপর নুতন প্রজন্ম ঠিক করবে তারা কোন পথে যাবে। এবার আর ভুলের সুযোগ নেই, এমন সুযোগ আর আসবে না। নুতন প্রজন্মকেই রাতারাতি হতে হবে অনেক পরিপক্ক, কারন পরিপক্ক নেতাদের ওপর ভরসা করার কোন উপায় নেই। কয় রাজাকারকে শুধু ঝুলিয়েই দায়িত্ব শেষ বলে বিজয়ীর হাসি হাসার অবকাশ থাকবে না।
@আদিল মাহমুদ, অতিতের ইতিহাস সাক্ষী, বাঙ্গালি জাতি এক সময়ে একটা আন্দোলন করে তার অর্জিত ফলাফলেই সন্তুষ্ট হয়ে যায় ।সেই আন্দোলন আর সামনে আগিয়ে নেয়না ।তা না হলে স্বৈরাচার এরশাদ কিভাবে আবার দেশের শাসক হওয়ার স্বপ্ন দেখত? রাজাকার ফাঁসিই এই আন্দোলনের এক মাত্র উদ্দেশ্য এটা মাথা থেকে সরিয়ে আন্দোলনের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করতে হবে ।তা না হলে বরাবরের মতো অর্জিত ফলাফল সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হবে ।
@নিগ্রো,
আমিও সেটা জানি, অতীতে বারে বারেই এমন হয়েছে। গণজাগরন বহুবার হয়েছে, চুড়ান্ত ফলাফল কি হয়েছে সেটাই মোটামুটি জানা। এবার দেখার বিষয় সেই ধারা কতটা বদলাতে পারে।
নৈরাজ্যবাদ নিয়ে পড়াশোনা করছি অনেকদিন হলো।
নৈরাজ্য মানেই ভাঙচুর নয়।
[img]https://fbcdn-sphotos-g-a.akamaihd.net/hphotos-ak-ash3/559500_10151138280283492_592762282_n.jpg[/img]
তবে নৈরাজ্যবাদেরও কিন্তু রকমফের আছে। ইউরোপে, যেমন ইতালিতে একরকম নৈরাজ্যবাদী দেখা যায়, যে সত্যিই জ্বালাও পোড়াওই করে। আল্লাচালাইনা জানিয়েছিলেন, ওরা এক নিউক্লিয়ার সাইন্টিস্টকে গুলি করেছিলো। ফলে সকল নৈরাজ্যবাদ যেমন জ্বালাও পোড়াওবাদী নয়। তেমন সকল নৈরাজ্যবাদ আবার শান্তিপ্রিয়ও নয়। উভয় রকম আছে।
ফলে নৈরাজ্যবাদে রকমফের আছে।
Anarcho-communism
Anarcho-syndicalism
Anarcho-capitalism
এদের মধ্যে তফাৎ বহুত। যেমন Anarcho-communism রাষ্ট্রে বিশ্বাস না করলেও ব্যক্তির শরীর ও সম্পদে আক্রমণে বিশ্বাস করে, সেটা তাদের মোরাল কোডের অংশ, আবার Anarcho-capitalism-এর মোরাল কোডের অংশ হলো কোনো মানুষ বা তার গোষ্ঠি অন্য মানুষের শরীর বা সম্পদে আঘাত বা আক্রমণ করতে পারে না।
রাষ্ট্র বিদায় হয়ে গিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমতা চলে যাওয়াই কিন্তু ইনাফ না। সমাজের মোরাল কোডটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন ধরেন, কোনো রাষ্ট্র নাই, ল অব অর্ডার নাই, সমাজের মোরাল কোড হলো মেজোরিটি চায় তো তাদের অপছন্দের কথা বলাদের কতল করে দেয়া হবে। ওটাও স্বতস্ফূর্ত আইন। নৈরাজ্য। বাট নো বেটার দ্যান রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ হলো সে মানুষের শরীর ও সম্পদের মূল ভায়োলেটর। এখন রাষ্ট্র চলে গেলেও যদি অন্য ফর্মে মানুষের শরীর ও সম্পদের উপর বৃহত্তর উপায়ে ভায়োলেশন জারি থাকে, তাহলে তো লাভ হবে না। ফলে রাষ্ট্রের বদলে মব রুল বেটার না।
@রূপম (ধ্রুব),
রাজনৈতিক দর্শনের দৃষ্টিতে ভুল যুক্তি। লিবার্টি মানেই পজিটিভ এবং নেগেটিভ লিবার্টির অস্তিত্ব থাকতেই হবে। সে মব রুলেই হোক আর রাজ রুলেই হোক। স্যোশাল কনট্রাক্ট কি রাষ্ট্রএর উৎপত্তির আগে ছিল না? অবশ্যই ছিল। মেইন ইস্যু পুলিশিং কে করবে, কি করে করবে। সেটা সাবজেক্টিভ হলে সব গন্ডোগল। এটা যদি এ আই বা এলগোতে ফেলে করা যায়, নৈরাজ্যবাদই শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক মতবাদ।
@বিপ্লব পাল,
এখন প্রশ্ন হচ্ছে সেই শ্রেষ্ঠ মতবাদটা নৈরাজ্যবাদের কোন ফ্লেভারটা? Anarcho-communism নাকি Anarcho-capitalism? দুটোই কিন্তু নৈরাজ্যবাদ। দুটোর মধ্যে আবার আকাশ পাতাল তফাৎ। এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু এখানে মিলছে না। কেবল রাষ্ট্রটা গায়েব হওয়া পর্যন্তই এগুনো যাচ্ছে। সেটা অপর্যাপ্ত।
মেশিন লার্নিং গোল অপ্টিমাইজ করে। গিভেন গোলটা কিন্তু সে নির্ধারণ করে না। সেটা তাকে প্রদান করতে হয়। এখানে গিভেন গোলটা কী? কোন গোলের সমাধান নৈরাজ্যবাদ? সেটার জন্যেই মোরাল কোডের প্রশ্ন গুরুত্বপূর্ণ। কোনো কোনো মোরাল কোডের সাপেক্ষে মব রুলকে (যেমন স্ট্রিট জাস্টিসকে, গণপিটুনিকে) রাষ্ট্রের চেয়ে ক্ষতিকর দেখানো সম্ভব নয় কি?
নাকি যেকোনো মোরাল কোডের জন্যেই বেস্ট অর্ডার হচ্ছে নৈরাজ্যবাদ, তা সে যেই ফ্লেভারেরই হোক, তেমনটা বলতে চাচ্ছেন? এ প্রসঙ্গে একটা জোক মনে পড়ে গেলো –
[img]http://realbikers.com/images/GovernmentStupidQuestion.jpg[/img]
যাহোক, আপনার পাবলিক স্কুল সংক্রান্ত ভিউ বা গান কনট্রোল সংক্রান্ত ভিউয়ের সাথে রাষ্ট্রহীনতার ভিউটাকে কীভাবে মেলাবেন? রাষ্ট্র থাকবে না, কিন্তু পাবলিক স্কুল চালানোর ট্যাক্স ঠিকই থাকবে? বা গান কনট্রোলের পুলিসিং করবে কে? জনগণ? :-s
@রূপম (ধ্রুব),
এটা খাঁটি কথা-কিন্ত এই “সাধারন উদ্দেশ্যের” প্রশ্নটা ত রাষ্ট্র যন্ত্রেও থাকে। এবং অনেক বিচ্ছিন্ন ভাবেই থাকে। উলিটেরিয়ান দর্শন, যা বৃটিশ আইনের ভিত্তি, তার মূল কথাই হচ্ছে, সেই আইন যাতে সর্বাধিক লোকের হিত নিহিত। এখন “হিতাহিতের” ব্যাপারটা নিশ্চয় গোলমেলে। কিছু লোক পরকীয়াকে হিত, আর কিছু লোক অহিত ভাবে। এটা হিত না অহিত সেটা যেকোন জনগোষ্ঠি, গণতন্ত্রের মাধ্যমেই নির্ধারন করবে।
প্রশ্ন হলো রাস্ট্র বড় না মানুষ বড়? মানুষ রাস্ট্র বানায় না রাস্ট্র মানুষ বানায়? পাকিস্তানের অধীনে আমরা ২৩ বছর ছিলাম। অভিযোগ ছিল অর্থনৈতিক শোষন, চাকুরীতে বৈষম্য, ভাষার বৈষম্য। তাই আমরা ভেবেছি স্বাধীন হলে এবং নিজেদের একটা রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা করলে আর শোষন থাকবেনা। লক্ষ্য অর্জনের জন্যেই ৭১ সংগঠিত হলো। আমরা স্বাধীন হলাম, একটি রাস্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলো। ভাষাও প্রতিষ্ঠিত হলো। যদিও বাংলা ভাষা এখনও অবহেলিত। বাংলাদেশ রাস্ট্রের বয়স এখন ৪২ বছর। ২২ অবাংগালী ধনী পরিবারের জায়গায় এখন ২২ হাজার ধনী পরিবার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দারিদ্র নিরক্ষরতা অশিক্ষা চিকিত্সাহীনতা আগের মতোই রয়ে গেছে।
রাস্ট্রের ব্যবহার দেখে মনে প্রশ্ন জেগেছে নাগরিক বড় না রাস্ট্র বড়। সবাই বলছে ব্যক্তির চেয়ে দেশ(রাস্ট্র) বড়। মানে হলো যেদিন আমি পাকিস্তান অধীনতা অস্বীকার করে বাংলাদেশ রাস্ট্র বানালাম সেদিনই আমি নাগরিক হিসাবে বাংলাদেশ রাস্ট্রের অধীনে গেলাম। এখন রাস্ট্র আমাকে ভুখা রাখতে পারবে, শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করতে পারবে, বিনা চিকিত্সায় মারতে পারবে, পুলিশ কথায় কথা পাছায় লাথি দিতে পারবে, অনেকেই গুম করতে পারবে। নিয়মিত বাধ্যতামুলক রাজস্ব দিবেন,বিনিময়ে কিছু পাবেননা।
এমন একটি রাস্ট্র কি আমরা চেয়েছি? বাপদাদা চাচারাতো এখন কিছু বলতে পারবেনা। তারা ব্যর্থ হয়েছে। তারা স্বার্থপর হয়ে গেছে। ঘুষখোর লুটেরা হয়ে গেছে। তাই এ বিষয়ে তরুন প্রজন্মের এগিয়ে আসা দরকার। ফাঁসী যে কারণেই হোক, বাদশাহরা দিয়েছে, বৃটিশরা দিয়েছে, পাকিস্তান দিয়েছে, বাংলাদেশো দিচ্ছে দিবে। রাস্ট্র থাকলে জেলখানা থাকবে, পুলিশ থাকবে,রেব থাকবে, গোয়েন্দা থাকবে, সৈনিক থাকবে, গণতন্ত্রের নামে সংসদ থাকবে , প্রধানমন্ত্রী থাকবে। জেল জুলুম ও ফাঁসী থাকবে। মিছিল করলে গুলি থাকবে, লিখলে কাগজ বন্ধ হবে।
কিন্তু সেদিন কবে আসবে, যখন সব মানুষের খাবার থাকবে, বস্ত্র থাকবে, চিকিত্সা থাকবে, শিক্ষা থাকবে, থাকার জায়গা থাকবে, গরীব ও নারীরা নিরাপদে থাকবে।
আমেরিকার কিছুদিন আগে আন্দোলনটাও উদাহরণে আসতে পারতো।
@ডাইনোসর,
ওকুপাই ওয়ালস্ট্রীট? না উদাহরনে নেই । কারন মিশর, বাংলাদেশ বা ভারতের সমস্যা আমেরিকার সাথে এক করে দেখা উচিত না। তাছারা ওকুপাই ওয়াল স্ট্রীটের চেয়ে শাহবাগ আন্দোলন অনেক বেশী গ্রহণযোগ্য ইস্যুত।
দাদা, আমার মনে হয়, আপনি শাহবাগের অর্জনকে একটু ছোট করে দেখছেন। শাহবাগের ইতিমধ্যেই কতগুলি অর্জন আছে। এই আন্দোলনের সাংস্কৃতিক অর্জন প্রত্যক্ষ। জয় বাংলা আবার বলতে পারা, বাঙ্গালী কে আবার তার পরিচয় ফিরিয়ে দেয়া তার মধ্যে অন্যতম। তাছাড়া আইন সংশোধন, জামাত তথা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ দাবী এবং দেশকে এই প্রতিক্রিয়াশীলদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর শক্তি সবই এর অর্জন। প্রথাগত রাজনীতির উপর পরিবর্তনের চাপ সৃষ্টি করার কথাও কেউ এর আগে ভাবেনি। এগুলোকে ছোট হিসাবে দেখার কোন অবকাশ নেই, অন্তত এই দেশের প্রেক্ষাপটে।
যদি ভুল না করি, রামলীলা কিংবা তাহরীর স্কোয়ারের এতগুলি অর্জন ছিল না। অন্তত আমরা ট্যঙ্কের কামানের মাথায় মালা পড়াচ্ছি না।
@প্রতিম লালা,
আমি কোন অর্জনকেই ছোট করছি না। কেজরিওয়ালদের ও না। চেতনার অর্জনই সব থেকে বড় অর্জন। কিন্ত এটাও সত্য তাহরির স্কোয়ার এখন ইসলামিক ব্রাদারহুডের দখলে। আন্নার আন্দোলন স্থিমিত, বিভেজিত। ৫২ আর ৭১ এর অর্জন কি যথেষ্ঠ ছিল না, ধর্ম নিরেপেক্ষ বাংলাদেশের জন্যে? তার পরেও কি ধর্ম নিরেপেক্ষ বাংলাদেশ এসেছে?
প্যারি কমিউনের অর্জন ও ছোট ছিল না। কিন্ত তারপরেও কি শ্রমিক শ্রেনীর অধিকার স্বীকৃত হয়েছিল? সে অর্জন ও ছিল চেতনার উত্তোরনের। হয়ত আস্তে আস্তে আসবে।
@বিপ্লব পাল,
দাদা, আমরা শাহবাগে একটা কথা বলি, যে আমরা অংক পরীক্ষার দিন অংক পরীক্ষাই দেব, বাংলা নয়। এই চেতনার জায়গাটা বোধহয় আপনারা দূর থেকে বুঝতে পারছেন না। এতকিছু চিন্তা করে এখানে এই আন্দোলন গড়ে উঠেনি। আমাদের চেতনার জায়গায় সাংস্কৃতিক পরিচিতির গুরুত্ব অনেক বেশী। যে আন্দোলন ৫২ তে হয়েছিল, যে যুদ্ধ আমরা ৭১ এ করেছিলাম তার অর্জন ছিনতাই হয়েছে, এই ২০১৩ এর আন্দোলন শুধু তাকে ফিরিয়ে দেয়ার। নিজেকে আরেকবার চিনে নেয়ার।
এখানে তাই শ্রেনী পরিচয়ে নয়, জাতীয়তার দাবীতে মানুষ একত্রিত। এই জাগরণ আবেগে শুরু হলেও এখন রাজনীতির ছকে বাঁধা। এর থেকে ফোকাস নষ্ট হলে, সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে। প্রতিপক্ষ আমাদের বারবার আপনার মত কথা বলেই নিরন্তর বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। তাই বলছিলাম শ্রমিক শ্রেনীর অধিকার এই আন্দোলনের উপজীব্য নয়। এর কথা এখন বলা, শুধু এর জোরই কমিয়ে দেবে।
তবে আপনার কথা উপেক্ষার নয়, এরপর হয়তো আমরা বাংলা পরীক্ষা দেব, তখন শ্রমিক শ্রেণীর অধিকার নিশ্চিত হবে। আর এটা আমরা জিতলে তবেই হবে।
@প্রতিম লালা,
এটা আপনার ভাবনা। ইতিহাস সে কথা নাও বলতে পারে। আমি মনে করি ৭১ এর অর্জন ধরে না রাখতে পারার পেছনে মূল কারন, ৭১ গণতান্ত্রিক অর্জনটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে নি এবং যার জন্যে শেখ সাহেব নিজে দায়ী। আমি গ্রীসের ইতিহাস ওই জন্যে উল্লেখ করলাম।
অর্জন করা সহজ-তাকে ধরে রাখা সহস্রগুন কঠিন। এটাই ইতিহাসের শিক্ষা।
@বিপ্লব পাল, আপনার মায়ের ক্যান্সার ধরা পড়েছে এবং আপনার টাকা চুরি গেছে, এই দুটির মধ্যে কোনটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ? নিশ্চয়ই মায়ের ক্যান্সার এর চিকিৎসা ই করার চিন্তা করবেন আগে। ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি বাংলাদেশের ক্যান্সার, যাকে ৪২ বছর ধরে লালন করা হচ্ছে। আপানার সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা নাই আপনি বিকাশের কথা ভেবে হতাশ হচ্ছেন। তসলিমা নাসরিনের একটা লেখায় দেখলাম উনিও এই আন্দোলন নিয়ে খুব আশাবাদি হতে পারছেন না, কারন তরুণরা রাজাকারের ফাঁসি চাইছে কিন্তু ইসলাম থেকে মুক্তি চাইছে না। আমরা আশা করি আমাদের দেশ ধর্ম মুক্ত শোষণ মুক্ত দেশ হবে। কিন্তু হুট করে কিছুই হবে না, ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে হবে। সেই প্রক্রিয়া গুলো কে বেগবান করতে হবে আমাদের। শাহাবাগের আন্দোলন কে সেই পরিবর্তনের একটা পদক্ষেপ ভাবতে সমস্যা কোথায়?