ব্লগার থাবা বাবা https://www.facebook.com/thaba.babaওরফে রাজীব হায়দার আর আমাদের মাঝে নেই। তাঁকে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। কী করবো, কী বলবো কিছুই ভেবে পাচ্ছি না। শরীর কাঁপছে। দু’দিন আগেই যাঁর সাথে আমার কথা হলো, তিনি আজ জবাই হয়ে পড়ে আছেন নিথর! সোনার বাংলাদেশ ব্লগে তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে শাহবাগ আন্দোলনের বিশেষ উদ্যোক্তা ও ধর্মকারীর ঘৃণ্য ধর্মবিরোধী লেখক হিসেবে। ধর্মবিরোধিতা ও রাজাকার বিরোধিতা যে অতি উচ্চ মননশীলতার পরিচয় বহনকারী একটা ব্যাপার তা কি তারা বুঝতে পারে না? কিছুদিন আগেই আসিফ মহিউদ্দীনের উপর হামলা করেছিল ওরা। কুপিয়ে টুকরো টুকরো করতে চেয়েছিল তাঁকে। তাদের সেই উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছিল। ফেসবুকে দেখলাম মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেও তিনি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। আর এখন তিনি নিস্তব্ধ চিরতরে! সকল ব্লগার ও ফেসবুক বন্ধুদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি, প্রতিবাদ হোক এই বর্বরতার। যে যেখানে আছেন, দেশে কিংবা বিদেশে; অনলাইনে এবং রাজপথে সামিল হোন এই মানবিক আন্দোলনে। প্রতিবাদ করুন রক্তপলাশে, প্রতিবাদ করুন রক্তজবায়।
*সোনার বাংলাদেশ ব্লগ থেকে থাবাকে নিয়ে লেখাটিকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এতেই কি থাবাকে হত্যায় তাদের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয় না?
ভীষন দুঃখ পেয়েছি ব্লগার থাবা বাবা ওরফে রাজীব হায়দারে মৃত্যু সংবাদ পেয়ে।
:candle:
প্রতিবাদ করা ঠিক আছে কিন্ত প্রত্যাঘাত করাও জরুরী এবং আঘাত করতে হবে সেখানে যেখানে বেদনা সবচেয়ে বেশী। একেকটি রাজীবের মৃত্যুর উত্তর দিতে হবে এক একটি জামাতি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে , জ্বালিয়ে দিয়ে পুরিয়ে। এরাই জামাত শিবিরের প্রান ভোমরা। যেসব সুশীল আঁতেল এতে বাধ সাধবে তাদেরও এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে জ্বালিয়ে দাও। সামনে যে বাধা দিতে আসবে তাকেই কচুকাটা কর এমনকি স্বয়ং ঈশ্বরকেও ।
@সংশপ্তক,
খালি প্রত্যাঘাত জরুরি বললে হবে? বাস্তবায়নের রূপরেখা দিন, সাফল্যের সম্ভাবনা, ফলস্রুতির মূল্যায়ন দিন। ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখান আধুনিক ইতিহাসে কোন কোন রাষ্ট্রে যুদ্ধাপরাধী গণহত্যাকারী খুনি ধর্ষকদের বা দেশের শত্রুদের আইনের আওতায় না এনে বা আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়ে লোকে তাদের কার্যালয় আর বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে জ্বালিয়ে দিয়েছে। যেসব সুশীল আঁতেল এতে বাধ সেধেছে, তাদেরকেও জ্বালিয়ে দিয়েছে। তারপর এর ফল কী দাঁড়িয়েছে, সাফল্য কী এসেছে সেটাও জানান।
@রূপম (ধ্রুব),
Djakarta is coming – হিন্ট দিলাম। বুদ্ধি খাঁটিয়ে বুঝে নিন!
@সংশপ্তক,
হুমম। গোছানো পরিকল্পনা ছিলো। শর্টটার্মে সাফল্যও ছিলো অঢেল। কিন্তু সময়ের সাথে সেই সাফল্য কোথায় গিয়ে ঠেকলো? এটা এখন শিকাগো স্কুলের কলঙ্ক হিসেবেই সুপরিচিত। ভুলেও তারা এর নাম নেয় না। দক্ষিণ আমেরিকায় এটা এখন “নিওলিবারেল গণহত্যা” নামে খ্যাত। এই কলঙ্কময় উদাহরণের কারণে দক্ষিণ আমেরিকায় বাম উত্থান এখন বরং আরো সুগম। ক্ষণিকের সাফল্য থাকতে পারে, কিন্তু এখানে ঐতিহাসিক ব্যর্থতাই বেশি। নিওলিবারেলিজমের নৈতিক পরাজয়কে বরং সুসংহত করেছে এই ক্ষণিকের “সাফল্যময়” পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ।
শাহবাগের বড় শক্তিটা কিন্তু কেবল বিরোধিতার জায়গায় না, তার চেয়ে বেশি নৈতিকতার জায়গায় বলে মনে করি। এইরকম আরেকটা গণজাগরণের কথা মনে করতে পারি না যেখানে ভাঙচুর জ্বালাও পোড়াও হয় নি। ল অ্যান্ড অর্ডারে ব্যতিক্রম তৈরি করলে ক্ষতি আমাদেরই। শাহবাগকে উত্তপ্ত করার যথেষ্ট চেষ্টাই তারা চালাচ্ছে। অতএব, সাধু সাবধান!
@রূপম (ধ্রুব),
‘জাকার্তা মডেলটার’ উৎস কিন্তু ইন্দোনেশীয়া – জেনারেল সুহার্তো এবং সি আই এ – র যৌথ প্রযোজনা। দক্ষিন আমেরিকায় এই মডেলটার কিছুটা অনুকরণ করা হয়েছে মাত্র । ইন্দোনেশীয়ায় এই মডেল ব্যবহার করে বিশ্বের ৩য় বৃহত্তম কমিউনিস্ট পার্টিকে চির দিনের জন্য নিশ্চিন্হ করে দেয়া হয়। এই মডেলটা সম্পর্কে আর একটু বেশী জানার চেষ্টা করুন। দেখুন কিভাবে এক ঢিলে অনেকগুলো পাখি মারা হয় বৃহত্তর স্কেলে। সনাতন পুথিনির্ভর অধ্যাপক ও ছাত্রদের কাছে এটার গুরুত্ব না থাকলেও বিশ্বের বড় বড় গোয়েন্দা সংস্হার পাঠ্যসুচীতে ‘জাকার্তা মডেল’ একটি অবশ্যপাঠ্য এখন পর্যন্ত।
শুধু বিক্ষোভ প্রতিবাদ করে কি কোনো লাভ আছে? শামসুর রহমান, হুমায়ুন আজাদ, তসলিমা নাসরিন এরকম আরো অনেক নামের সাথে রাজীব যোগ হলো। প্রতিবাদ তো অনেক হয়েছে। এতে করে মুক্তচিন্তার উপর আঘাত করা কি কমেছে? সরকারের পদক্ষেপের দিকে চেয়ে থাকলে কতটা পরিবর্তন হবে এটা প্রশ্নসাপেক্ষ। জামতের কার্যালয়কে গুড়িয়ে দিয়ে ধর্মজীবিদের জানানোর দরকার আসে নি কি যে সাধারন মানুষও শারীরিক আঘাত হানতে জানে?
@সফিক,
এমনটা যে ঘটবে না সেটা কি হলফ করে বলা যায় ? :-s
@সফিক,
আজকের খবর পড়ার পর মনে হচ্ছে যে এইটা না করলে আর চলবে না।শান্তিপুর্ন আন্দোলনের জবাব যেভাবে ধর্মীয় দল গুলো দিল তান্ডবের মাধ্যমে।এখানে গান্ধীবাদ অচল হয়ে পড়েছে।
কীটপতঙ্গ মৃত্যুবরণ করার আগে যেমন হ্যাজাক লাইটের কাছে এসে উড়া উড়ি করে জামাত-শিবির ঠিক সেভাবেই নিজেদের বিলুপ্তির আগে লাইম-লাইটে আসার চেষ্টায় উড়া উড়ি করছে… তারা যত কৌশলগত সিদ্ধান্তই গ্রহণ করুক কিছুই কাজে আসবেনা। সাধারণ মানুষ অনেক বেশি সচেতন এখন। জামাত-শিবিরের পাতিনেতা-সাধারণ সমর্থকদের যদি ন্যুনতম সুবিচার থাকে তাহলে এখনই দলত্যাগ করা উচিত।
যুদ্ধ অপরাধী এবং তাদের পোণা, শিবির ক্যাডারদের দিন ক্রমেই সঙ্কুচিত হয়ে আসছে… বাংলাদেশের মাটিতে এসব অপরাধীর যায়গা নেই…
সকল প্রকার চরমপন্থা নিপাত যাক।
সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের প্রত্যাশায়।
আমি কাল রাত থেকে পুরোপুরি অনলাইন আর টিভি থেকে দূরে থাকায় এই একটু আগে শুনলাম।পুরোপুরি ভাষাহীন।
তামান্না ঝুমু,
রক্তপলাশে রক্তজবায় রক্তাক্ত রাজপথ ।রাজীবের মৃত্যু শাহবাগের আন্দলনকে বেগবান করেছে, কিন্তু আর কারও প্রাণ যেন না যায় এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
@গীতাদী,
আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন, শাহবাগের প্রজন্ম স্কয়ারের তরুণেরা জবাই করার শ্লোগান দিলেও কখনো মানুষ খুন করতে পারবে না, তারা কখনো ‘খুনের বদলা খুন’- এই মধ্যযুগীয় জংলি নীতি বাস্তবায়ন করে দেখাবে না। যারা জবাই করতে সি্দ্ধহস্ত, যারা এখনো অন্ধ, বর্বর যুগের নীতি ধরে রেখেছে, তারাই এ কাজ করেছে। আর যুদ্ধটা তো তাদেরই বিরুদ্ধে। সুতরাং, দিদি, আপনার ভয় পাবার কিছু নেই। প্রজন্ম স্কয়ারের তরুনেরা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনই করে যাবে এবং নিয়মতান্ত্রিক বিচারই দাবী করে যাবে।
@কাজি মামুন,
আমি কিন্তু তরুন প্রজন্মের প্রাণ নিয়ে শংকিত।
নিজের অবস্থান থেকে তীব্র ধিক্কার জানাই এই কাপুরুষোচিত হামলা ও হত্যাকাণ্ডের। এই ঘটানাটিকে যদি ১৪ই ডিসেম্বরের সাথে তুলুনা করি তাহলে বিজয় আমাদের আসন্ন। তবে এই আন্দোলনের সাথে সংস্লিষ্ট সকলকেই অনুরোধ করবো কিছুটা বাড়তি সাধধানতা অবলম্বন করার কারন এই মুহুর্তে ওরা শেষ ছোবল মারবেই।
দুর থেকে জানাজার নামাজ পড়া যায় কিনা জানিনা; তবে আজ আসর বাদ আমার আত্মা থাকবে শাহাবাগে তোমার জানাজার কাতারে। বিদায় বন্ধু বিদায় কমরেড
বলার কিছু নেই। ‘৭১ থেকে এই ধারাবাহিকতা চলছে। শুনছি পিশাদের দল এখন রাজীবের ধর্ম বিষয়ক নানান কমেন্ট জড়ো করে ধর্মের দোহাই পেড়ে হত্যাকান্ডের পক্ষে জনসমর্থনের চেষ্টা চালাচ্ছে। মূল উদ্দেশ্য এই আন্দোলন ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের এটা প্রমান করা। একে ইসলাম অবমাননার কারনে হত্যা করা হয়নি সেটা পরিষ্কার, সেটা কারন হলে আরো আগেই করা হত।
হিট লিষ্টে নিঃসন্দেহে আরো অনেকে আছে, আসিফ মহিউদ্দিন ছিল সম্ভবত টেষ্ট কেস। টেষ্ট কেস দারুন ভাবে সফল হয়েছিল। সেসময় কিছু সুশীল ধর্মওয়ালা ব্লগার লোক দেখানো একটু নিন্দা করলেও হামলার দায় যে আসলে আসিফেরই সেটা জোর গলার ব্যাক্ত করেছিলেন, চড় থাপ্পড় দিয়ে ছেড়ে দিলেই হত এমন মত দিয়েছেন একমাত্র শান্তির পথের কিছু দিশারী। এমনকি ধর্মনিরপেক্ষ অনেককেও উল্লাস করতে দেখেছি সেসময়, কারন আসিফের সাথে তাদের নানান খুনসুটি।
ফলাফল যেমন হবার হচ্ছে। কারো নামে গালিগালাজ করা নিন্দনীয় হতে পারে অবশ্যই, তবে কেবলমাত্র মৃত কোন মানুষকে অসম্মান গালিগালাজ বা ধর্ম বিদ্বেষী কথাবার্তা যে মানব জীবনের মত মূল্যবান বস্তু কেড়ে নেবার উপযুক্ত কারন এমন বিশ্বাস ওয়ালা লোক আশেপাশেই আছে ভাবলেও ভয় লাগে।
সত্য বলতে জামাত শিবিরের নৃশংসতার আসল চেহারা বর্তমান নুতন প্রজন্ম তেমন কিছু দেখেনি, আমরা কিছুটা দেখেছি। কোন রগ কাটা গেলে চিরজীবনের মত পংগু করা যায় এমন শিক্ষা এদের কোচিং আকারে দেওয়া হত। নারায়ে তকবির বলে জ্যান্ত মানুষের কব্জি কেটে সে কাটা কব্জি নিয়ে তারা আনন্দ মিছিল করেছে…
গত ক’মাসেই বোঝা যাচ্ছে এরা চায় উষ্কানী দিয়ে দেসে বড় ধরনের গোলযোগ বাধাতে, অকারনে হঠাত বেরিয়ে ভাংচুর, পুলিশের ওপর হামলা সবই ঊষ্কানি, যাতে তাদের ওপর পালটা হামলা হয় যেটা পুজি করে আরো বড় অনর্থ বাধাতে পারে।
এদের রাজনৈতিক ভবিষ্যত শেষ, তবে তাতে খুব খুশী হবার কিছু নেই। এরপর এরা ডুব দেবে আন্ডারগ্রাউন্ডে এবং ঝাড়বে প্রতিহিংসার আগুন। এ কাজে তাদের সমকক্ষ কেউ নেই। কিছুদিনের মধ্যেই দেশের শহীদ মিনার, স্বাধীনতার ভাষ্কর্য এসবের ওপর শুরু হবে আঘাত
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/untitled_zps49a7031d.jpg[/img]
আমাদের মাঝে কেউ কি নাই, এই কুত্তার বাচ্চা স্পর্শের বাইরে নামের পেছনের ইবলিসটাকে খুঁজে বের করতে?
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/rajibhaider_zpsbb48b313.jpg[/img]
মুক্তির মন্দির সোপান তলে
কত প্রাণ হলো বলিদান,
লেখা আছে অশ্রুজলে৷
কত বিপ্লবি বন্ধুর রক্তে রাঙা, বন্দীশালার ওই শিকল ভাঙা
তাঁরা কি ফিরবে না আর?
তাঁরা কি ফিরবে এই সুপ্রভাতে-
যত তরুণ অরুণ গেছে অস্তাচলে৷
মুক্তির মন্দির সোপান তলে…লেখা আছে অশ্রুজলে ৷
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/untitled_zps275558cd.jpg[/img]
হে মুক্তি সেনা, তোমাকে হাজারবার সালাম।
আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। কোন ভাষাই পাচ্ছি না। কোন স্টাটাস ই দিতে ইচ্ছে করে নাই।
আমরা অতিশয় ভদ্র। তাই আমরাই খুন হই।
রাজীব, তোমায় সংগ্রামী অভিবাদন।
শুধুমাত্র নিজমত প্রকাশের অপরাধে হত্যা হতে হবে? জবাই হতে হবে?
রাজীব হায়দারকে নৃশংস ভাবে আজ খুন করে ওরা আবার নতুন করে শুরু করলো ৭১’এ আলবদর কায়দার হত্যাযজ্ঞ। তালিকা ধরে। ৭১ এর রাজাকারের যুগ নয় এটা। কল্লা পেতে দেবেন না।
কুত্তা ছেঁড়া বোনের কথা ভুলিস নারে ভুলিস না
রাজাকারের শাস্তি ছাড়া ঘরে তোরা ফিরিস না।
চাইনা কোন দলের নেতা চাইনা কোন বাচাল রে
ধর্ষিতা মা কান্দে আমার ভাত চায় না শাস্তি দে।
খুলির ভিতর গভীর শিকড় স্বাধীনতার চেতনার
শোধ তুলব এবার সবাই অপমানের বেদ্নার।
সরিয়ে ফেলে লাভ নেই। লোকজন স্ক্রিনশট নিয়ে রেখেছে ঠিকই। এখানে (ব্যাক আপ পিডিএফ)।
একই কায়দায় কিছুদিন আগে আসিফ মহিউদ্দীনের উপরেও হামলা হয়েছিল। যদি আশে পাশে লোকজন না জমে যেত, হয়তো তাকেও এমন অবস্থা করা হত।
এই সোনা ব্লগের স্পর্শের বাইরে টা কে, এটা এখন জানা জরুরী।
***
যারা ভাবেন বিনা রক্তে বিজয় অর্জিত হয়ে যাবে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। ধর্মান্ধতা, মৌলবাদের মত জিনিস নিয়ে যখন থেকে আমরা লেখা শুরু করেছি, জেনেছি জীবন হাতে নিয়েই লেখালিখি করছি। জামাত শিবির, রাজাকারেরা নির্বিষ ঢোরা সাপ না, তা একাত্তরেই আমরা জনেছিলাম। আশি নব্বইয়ের দশকে শিবিরের রগ কাটার বিবরণ আমি কম পড়িনি। আমার কাছের বন্ধুবান্ধবেরাই কম আহত হয় নাই।
থাবা বাবার মর্মান্তিক খবরে আমি ক্ষুব্ধ, ক্রুদ্ধ, উন্মত্ত, কিন্তু বিশ্বাস করুন, এক ফোঁটা বিচলিত নই। জামাত শিবির আর সাইদী মাইদী কদু বদু যদু মোল্লাদের সময় যে শেষ এ থেকে খুব ভাল করেই আমি বুঝতে পারছি। এরা সব সময়ই মরার আগে শেষ কামড় দিতে চেষ্টা করে। ৭১ এ বিজয় দিবসের দুই দিন আগে কারা আর কেন বুদ্ধিজীবী হত্যায় মেতে উঠেছিল শকুনের দল, মনে আছে? মনে আছে স্বৈরাচারের পতনের ঠিক আগে কি ভাবে প্রাণ দিতে হয়েছিল ডাক্তার মিলনকে? এগুলো আলামত। তাদের অন্তিম সময় সমাগত। পিপিলিকার পাখা ওঠে মরিবার তরে!
বিজয় আমাদের অবশ্যাম্ভাবী।
@অভিজিৎদা,
আপনার এই স্পিরিটের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি।
ওরা ভয় পেয়েছে, নইলে রাজীবতো আগে থেকেই লিখত, তার লেখাই যদি হত্যার মূল কারণ হবে, তাহলে সে আগেই আক্রান্ত হতে পারত। ওরা মনে করেছে পর্যায়ক্রমে আ’লীগ-বিএনপিকে হাত করে আখের গুছিয়ে নিতে পারবে আর ফুলে ফেপে নিজেদের সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে পারবে।
কিন্তু প্রজন্ম স্কয়ারের আন্দোলন ওদের দ্রুত বর্ধনশীল সাম্রাজ্য তাসের দেশের মত ধসিয়ে দিচ্ছে। ওরা বুঝতে পেরেছে দেশের বস্তাপচা রাজনীতিবিদদের নানা সমীকরন দেখিয়ে ভুলিয়ে রাখতে পারলেও তাদের চেয়েও দ্রুত বিকশিত হওয়া ব্লগার সমাজকে তারা ভুলিয়ে রাখতে পারবে না, তাই ভয় পেয়ে দিশেহারা হয়ে এখন ঝাঁপিয়ে পড়েছে। শেষ কামড় দিতে।
নতুন প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদের জন্য :candle:
এটাই স্বাভাবিক যে চূড়ান্ত পতনের আগে জামাত শিবির চক্র তার শেষ ছোবল মারবে। একাত্তুরেও একই ঘটনা ঘটেছিল। বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে আমারা হারিয়েছিলাম জাতির সূর্য সন্তানদের।
জামাত এখন খুব ঠাণ্ডা মাথায় খুন করবে। খুন করাই ওদের ধর্ম।
নতুন মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ রাজীব, তোমাকে স্যালুট কমরেড!
সারাক্ষণই তাকে ফেসবুকে দেখতাম। আমি একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনি সারাক্ষণ কিভাবে ফেবুতে থাকেন? সে বলেছিল, কম্পিউটারে অথবা সেলফোনে সব সময় অন থাকি। এখন সে নিষ্প্রাণ। তবুও ফেসবুকে তার নামটি দেখতে পাই, ‘থাবা বাবা।’ আমাকে দেখলেই নক করত, কখনও আমি করতাম তাকে। টুক টাক কথাবার্তা হতো প্রায়শই। আর কভু হবে না।
@তামান্না ঝুমু, ব্যথিত…ভাষা নেই কিছু বলার
দিনে বহু জমিয়াছে দেনা-
শুধিতে হইবে ঋণ।
ব্লগার থাবা বাবার জন্যে-
:candle:
এখানে
দেখুন
মুছল্লীদের জামাত ধোলাই
দৈনিক কালের কন্ঠ।১৬/২/০১২ প্রথম পৃষ্ঠা।
এখানে দেখুন
তছলিমার ভিন্নমত
দৈনিক মানব জীবন। ১৫/২/২০১৩ শেষের পাতা
প্রথম আলোয় খবরটা পড়ে খুব বিমর্ষ হয়ে পড়ি। ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর সাথে পরিচয় না থাকলেও ব্লগে তাঁর স্ট্যাটাস গুলো চোখে পড়ত প্রায়। আসিফের উপর হামলা, রাজিবকে নৃশংস ভাবে হত্যা কিংবা হুমায়ুন আজাদকে হত্যা প্রচেষ্টা সব একসূত্রে গাঁথা, সব গুলোর ধরন এক। অন্ধকারে কাপুরুষের মত দা ছুরি নিয়ে পিছন থেকে হামলা। সাত পাঁচ না ভেবেই বলা যায় এই সব হত্যাকান্ডের পিছনে দেশ বিরোধী, মৌলবাদী, সুসংগঠিত কোন কুচক্রি মহল জড়িত। প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় এরা পার পেয়ে যাচ্ছে প্রতিবার, অর্জন করেছে শক্তি। ৭১রে যে লক্ষ্য নিয়ে তারা কাজ শুরু করেছিল এখনো সে লক্ষ্যে অর্জনে সমস্ত রকম কূটকৌশল তারা প্রয়োগ করে যাচ্ছে অবলীলায়। এদের বিরুদ্ধে প্রতিটি সরকারের ছিল নীরব সমর্থনের শীতল ছায়া। অনেক দেরী হয়ে গেছে আর নয় এখন উপযুক্ত সময় এসেছে পারষ্পরিক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রগতিবাদী শক্তিগুলোর মধ্যে নিরেট ঐক্য গড়ে এদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ার।
রাজীব হায়দার ২০১৩ মুক্তিযুদ্ধ এর প্রথম শহীদ। ১৯৭১ এর শহীদের রক্ত বৃথা যায় নি। রাজিবেরটাও যাবে না। রাজীব তুমি অনেক দিয়েছ। আজীবন সংগ্রাম করে গেছো কালসাপের বিষাক্ত ফণা টেনে ছিঁড়তে। ফণা তুমি ছিঁড়েছ শুধু কালসাপটাকে মারতে পারনি। এই কালসাপকে সবংশে নিধনের দায় এখন আমাদের। শপথ নিয়েছি বন্ধু, প্রয়োজনে মরবো, তবু ব্যর্থ হবো না। কালসাপের সাধ্য কি বাংলা মাকে ছোবল মারে।ঘুমাও বন্ধু। ভেবো না। আমরাতো আছি। অতন্দ্র প্রহরী হয়ে। :candle:
রাজীব হায়দারের তথা “থাবা বাবা”র মৃত্যুতে প্রথমেই শোক প্রকাশ করছি।
“মানবতার” যে স্বপ্ন উনি দেখেছিলেন আমরা যেন সেই পথ থেকে বিচ্যুত না হই। একতা বদ্ধ হয়ে আমরা যেন যুদ্ধ অপরাধীদের সমর্থকের বিরুদ্ধে বুকে সাহস রেখে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি। এই দুর্গম পথ আমাদের পারি দিতেই হবে। শোককে শক্তিতে পরিণত করে আসুন জামাত শিবিরকে প্রত্যাখ্যান করি। এদের রাজনীতি বন্ধের দাবি জানিয়ে শাহবাগের মিছিলে একত্বতা ঘোষণা করি। একজন থাবা বাবার মারা গিয়েছে তো হাজারো থাবা বাবা বাংলা মাটিতে জন্মাবে ইনশাল্লাহ্।
যুদ্ধ অপরাধীদের ফাসি চাই,
নইলে আওয়ামীলীগ সরকারের রেহাই নাই।
লাখ শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না।
জামাত ইসলামির বিনাশ হোক,
বাংলাদেশ রাজাকার মুক্ত হোক।
জয় বাংলা। বাংলাদেশের জয় হোক।
মূলমন্ত্র একটাইঃ একটা একটা শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর।
সোনাব্লগের শুয়োরগুলার পিছন দিয়া সাইদীর মেশিন চালাইলেই সমস্ত খবর বাইর হইয়া যাইব। সবার কাছে আবেদন, যারাই ঢাকায় আছেন কালকে শাহবাগে আসেন। বোঝা যাইব কার জিনিস কত বড়। প্রতিশোধ নিতে হইব। শক্ত প্রতিশোধ। ভার্চুয়াল প্রতিবাদের কোন দাম নাই এই ক্ষেত্রে। রাস্তায় নামেন। কারন কালকে আপনার উপরেই এমন কিছু হইতে পারে। তখন কেউ জিগাইব না আপনারে।
@সাইফুল ইসলাম,
(Y) (Y) ঠিক এইদেশে লেখা লেখি করে কিছুই হবে না, যতদিন রাস্তায় নামা না যায়।শাহবাগের ঘটনাই তার জলন্ত প্রমান।
@অর্ফিউস,
এই কাজটা আগে থেকেই করা দরকার ছিল। এই সরকার এখনও জামাতকে নিষিদ্ধ করতেসে না কেন? মনে হয় ভয় পাইতেসে।
@সাইফুল ইসলাম,
যাক রাসুলের মন্ত্রে দিক্ষিত হয়ে এখন আমরা খুনের বদলা খুন করব। এ হল মুক্তমনা্র পরিচয় । জবাই কর শিবির, দেশে আগুন লাগা। আমরা শালা পাবলিক তোদের চিপায় পইড়া আচার হই। ৪০ বছর আন্দোলন কইরা অনেক বাল ছিড়ছস। গরীব দেশ গুলা ধনী হয়ে গেছে আর তোরা শালা ৭১ পইড়া আসস। কোনোদিন কর্ম সংস্থান করতে পারসস? আমি করছি। কারো রুটি রুজির ব্যবস্থা করতে পারছ না,খালি বড় বড় কথা ব্লগে । আমারে তোরা জামাত শিবির কইলে তর জন্ম নিয়া আমার সন্দেহ আছে । আমারা সাধারন পাবলিক তোদের জামাত- শিবির,বিএনপি, আর আওয়ামী লীগ চাইনা। আমাদের মুক্তি দে। আমরা খেপলে তোদের (জামাত- শিবির,বিএনপি,আওয়ামী লীগ) খবর আছে।
@পলাশ,
বাজান, এত খেপছো ক্যা? অবদমিত যৌনবাসনা? সাইদীর মেশিন মিস করতেছো? কিন্তু বাবা ঐ মেশিন তো আর পাবা না! ফাঁস তো সাইদীর গলায় পড়ব না। পড়ব মেশিনে। এইটা জানো না? এক কাজ করতে পারো। আমগোর এলাকায় সাইদীর মতন একটা উত্তেজিত মেশিনওয়ালা পাবলিক আছে। ওর সাথে তোমার পরিচয় করাইয়া দিতে পারি। ও পোঁদবালকের সন্ধানে আছে। কী মিয়া যাইবা নাকি?
@সাইফুল ইসলাম,
নোংরা মন্তব্য নোংরা মনের পরিচয় ।
@পলাশ,
বাহ ভাই , অপূর্ব মন্তব্য করছেন , তা আপনার প্রথম মন্তব্য যে কেমন শালিন ছিল তা তো দেখবারই পাইতাছি ।
কিছু ছিঁড়তে পারিনি আপনার মতো কিছু মহৎপ্রাণ মানুষের জন্যই ।
আপনে নিশ্চয় আজকে জন্মাননি , জন্মেছেন অতীতেই । তাহলে অতীতে কে কবে আপনাকে জন্ম দিয়েছে তা নিয়ে বেহুদা চিন্তা করে লাভ আছে ? অনেকেই আশে পাশে বড়লোক হচ্ছে , সুতরাং অতীতের চিন্তা বাদ দিয়ে বাপ-মায়েরে গলাধাক্কা মারেন , বড়লোক হবার ধান্ধায় নামেন ।
এটা সবচাইতে অমর ডাইলগ দিছেন । তা আপনে এই ব্লগের কয়জন ব্লগাররে চেনেন ? তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বা কর্মজীবন সম্পর্কে কতটুকু জানেন ? আগে জানুন তারপর মন্তব্য কইরেন ।
@পলাশ,
ছাগুরা কমেন্ট করার সময় গান্ধীবাদী হয় কেনু কেনু কেনু?