ফেসবুকে লোকজন খুব ব্যস্ত। অল্প বয়সী একটা মেয়ের সাথে দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর ফোন সেক্সের স্ক্যান্ডেল বেড়িয়েছে। জানিনা সেটা সত্য কিনা। অনেকেই মজা করে তার সেই সব যৌনালাপ নিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। দিন, আমার কোন সমস্যা নেই। তবে হাতে যদি সময় থাকে, তবে নিচের কাজগুলো একটু করে দেখুন প্লিজ।
১. গুগোলের সার্চ বক্সে লিখুন Delwar Hossain Sayeedi
২. এবার সার্চ দিন। অনেকগুলো সার্চ রেজাল্ট দেখতে পাবেন। নিচের ছবিটা দেখুন।
সার্চ রেজাল্টের ডান পাশে সাঈদী সম্পর্কে সংক্ষেপে কয়েকটা লাইন লেখা আছে। যা লেখা আছে, তা হল-
“Delwar Hossain Sayeedi
Delwar Hossain Sayeedi, is a Bangladeshi Islamic orator and politician. He was a former Member of Parliament in the National Assembly of Bangladesh from 1996 to 2008, and is one of the most prominent leaders of the Bangladesh Jamaat-e-Islami party.
বঙ্গানুবাদ
দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর
দেলওয়ার হোসেন সাঈদী হলেন একজন বাংলাদেশী ইসলামী লেখক এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত একজন সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা।
সে যে একজন যুদ্ধাপরাধী, তা কি এই লেখা দেখে বোঝা যাচ্ছে? একজন বিদেশী যদি পত্রপত্রিকায় বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে জানতে গুগোলে Delwar Hossain Sayeedi লিখে সার্চ দেয়, তবে এই কথাগুলোই প্রথমে দেখতে পাবে। আর কিছু বলার কি প্রয়োজন আছে? সেই বিদেশী এখন ধরেই নেবে বাংলাদেশ সরকার সাঈদীর মত নিষ্পাপ মানুষটাকে অযথা নির্যাতন করছে!
আপনার মনে হতে পারে গুগোল এই সব অসম্পূর্ণ তথ্য কোথায় পেলো?
গুগোল এসব তথ্য যোগাড় করেছে মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া থেকে। আপনি এখন এই লিংকে গেলে হুবহূ একই লেখা দেখতে পাবেন। আপনি আবার প্রশ্ন করতে পারেন উইকিপিডিয়াতে এই সব তথ্য কে লিখল? আসুন, উইকিপিডিয়া বিষয়ে আরএকটু জানি।
উইকিপিডিয়ার মজার বিষয় হল এখানে সব কিছুই উন্মুক্ত। এখানে যে কেউ ইচ্ছে হলে লিখতে পারে। কিন্তু শর্ত মেনে তা করতে হয়। প্রথম শর্ত হল- নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে লিখতে হবে, দ্বিতীয় শর্ত হল, আপনি যা লিখলেন, তার কোন উৎস থেকে নিয়েছেন, তা জানাতে হবে (মানে আপনি কোন পত্রিকা, বই, ওয়েব সাইট থেকে তথ্যগুলো নিয়েছেন, তা জানিয়ে দিতে হবে)।
এই সুযোগে জামায়তে ইসলামের কিছু প্রশিক্ষিত লোকজন পয়সার বিনিময়ে সাঈদিকে ভালো মানুষ বানিয়ে এই তথ্যগুলো দিয়ে রেখেছে। সেসব যে নিরপেক্ষ তথ্য নয়, তা যাচাই করার মত কেউ ছিলো না। তাই তাদের মিথ্যা কথাই সেখানে থেকে গিয়েছে। গুগোলও তার ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে সেটা তাদের সার্চ রেজাল্টে দেখাচ্ছে।
বিশ্বাস করুন আপনি আমি বাংলায় ব্লগ আর ফেসবুকে লিখে ভরিয়ে ফেললে জগৎবাসীর কিছুই যাবে আসবে না। সূত্রহীন ফোনসেক্স স্ক্যান্ডালও তারা খাবে না। তারা যুদ্ধাপরাধীদের কুকর্ম বিষয়ে কিছুই জানবে না। তারা দেখতে পাবে পেইড ছাগুদের বানানো উইকির তথ্যগুলো। উইকির তথ্য বিশ্বজোড়া মানুষ নির্ভরযোগ্য সূত্র হিসেবে বিবেচনা করে (আসলেই কি নির্ভরযোগ্য?)। ফলাফলে যা হবে তা হল, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার থামানোর জন্য বিশ্বজোড়া মাতবরদের হুমকি ধামকি আর অসন্তোস এর কথা শুনতে হবে। সেটাই এখন আমাদের শুনতে হচ্ছে। আপনি আমি কি অযাচিত ভাবে কাউকে নির্যাতন করছি? তবে কেন নিজের স্বজন হত্যার বিচারের ন্যায্য দাবির জন্য আমাদের দূর্নাম হবে? আসুন না এই সব পিশাচদের পরিচয় করিয়ে দিই বিশ্ববাসীর কাছে। দিনে ১৫টা মিনিট ব্যায় করি উইকিপিডিয়াতে। এই দেশের স্বাধীনতার জন্য আমাদের পূর্বপুরুষরা বুকের রক্ত দিয়েছেন, আর আমরা ১৫ টা মিনিট ব্যায় করতে পারবো না?
জামাতি ছাগুদের হাতে ধর্ষিত আরো কিছু উইকি আর্টিকেল
International Crimes Tribunal (Bangladesh)
(এই লেখা পড়ে দয়া করে জিহাদী জোশে এই আর্টিকেলগুলো এডিট করতে যাবেন না। নিয়ম না জানার কারনে আপনার দেয়া গাদাগাদা তথ্য মডারেটরেরা মুছে দিবে। সেটা হিতে বিপরীত হবে। নিয়মকানুন জেনে তারপর এডিট করুন। সাহায্যের প্রয়োজন হলে মন্তব্যে জানাতে পারেন। যতটুকু পারি সাহায্যের চেষ্টা করবো। )
অত্যান্ত সময়োপযোগী লেখা। আমার মনে পড়ে বছর দুয়েক আগে আমি একটা অনুজীব বিজ্ঞান সম্পর্কিত আর্টিকেল এডিট করেছিলাম উইকিপিডিয়ায়। আসলে পড়ালেখা ও বিভিন্ন ব্যাপারে জানতে আমরা প্রায়ই উইকিপিডিয়ার সাহায্য নিই তাই আমাদের সবার উচিত উইকিপিডিয়ার এই বিশেষ স্পর্শকাতর দিকগুলো সংশোধন করা এবং উইকি কে আরো আস্থাশীল করে তোলা পাশাপাশি বাংলা উইকিপিডিয়া কে সমৃদ্ধ করা। মাঝে মাঝে ইচ্ছা হয় বাংলায় কিছু লিখি কিন্তু সময় হয়ে উঠেনা, তাছাড়া বাংলায় লেখা অনেক শ্রমসাধ্য। তবুও এবার বিষয়টা একটু সিরিয়সলি নিতে হবে দেখছি।
যাহোক লেখা অনেক ভাল হয়েছে, পড়ে অনেক ভালো লাগল। লেখক কে প্রানঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এরকম লেখা আরও লিখুন।
একটু অপ্রাসঙ্গিক হলেও একটা কথা যোগ করতে চাই। গুগল ট্রান্সলেটরে son of a bitch লিখলে বাংলায় গোলাম-আজম আসে, অবশ্যই কেও একজন এই অর্থটা যোগ করে দিয়েছে ট্রান্সলেটরে। আরো বেশ কিছু শব্দের উল্টাপাল্টা অর্থ যোগ করা হয়েছে। জিনিসটা দেখতে মজা লাগলেও একদমই ঠিক হচ্ছেনা ট্রান্সলেটর নিয়ে এ ধরণের মজা করা। বাংলা অনুবাদ এখনো আলফা পর্যায়ে আছে, ট্রান্সলেটর কাজ করে এক ধরণের লার্নিং অ্যালগোরিদমের সাহায্য, ব্যবহারকারি উল্টাপাল্টা অর্থ যোগ করলে সে সেটাই শিখবে, এটা নিয়ে এধরণের ফান করা চলতে থাকলে আজীবন আলফা পর্যায়েই থেকে যাবে এটা।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
শুধু ঠিক হচ্ছেনা না, আমি মনে করি এটা খুবই অন্যায় কাজ।
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/untitled.jpg[/img]
@রামগড়ুড়ের ছানা, সত্যই আপনার মন্তব্যের পর আমিও চেষ্টা করলাম। বাংলাতে গোলাম আজম লিখে ইংরেজী করতে গেলেও আসে Son of a bitch. ভাল যন্ত্রনা। এসব যে কে করে, আর করে কি লাভ কে জানে।
প্রথমত উইকিপিডিয়ার এই তথ্যগুলো ভুল নয়। সাঈদি যুদ্ধাপরাধী এটাও সঠিক, কিন্তু এখনো বিচারের রায় ঘোষনা হয়নি। সেই কারণেই হয়তো এই বিষয়টি এখনো যোগ করা হয়নি উইকিপিডিয়ার নিবন্ধে। উইকিপিডিয়াতে আপনি লিখতেই পারেন যে সে একজন যুদ্ধাপরাধী কিন্তু এই কথার সাথে একাটা নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে রেফারেন্স উল্লখ করতে হবে। সেটা এখনো পাওয়া যাচ্ছে না।
আর উইকিপিডিয়ায় অবদান রাখার জন্য বরাবরই অনুরোধ করা হয়। এই বিষয় নিয়ে অনেকেই ব্লগে লিখেছেন, কিন্তু প্রায় কেউই সাড়া দেননি। বিষয়টা দুঃখজনক, কারণ যারা ব্লগ লিখছেন তাদের ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে, তারা বাংলায় লিখতে পারেন এবং লিখছেনও নিয়মিত। কিন্তু উইকিপিডিয়ায় লিখের জন্য যথেষ্ঠ সময় পাচ্ছেন না। তবুও যদি কারও আগ্রহ হয় তবে এই ঠিকানায় উইকিপিডিয়া নিয়ে লেখা টিউটোরিয়ালগুলো দেখতে পারেন http://nasir8891.blogspot.com/
@নাসির খান,
শাবাশ! (Y)
@নাসির খান,
হ্যা, এক কথায় ভূল বলাটা ঠিক হয়নি। বরং “অসম্পূর্ণ” কথাটা বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে, পাল্টে দিচ্ছি।
মন্তব্য এবং লিংকের জন্য ধন্যবাদ।
সকলেই অনেক ব্যস্ত। কারো পক্ষে সম্ভব হবে না দিনে ১৫ মিনিট সময় দেয়া।
তবে তাই হোক, ছাগুদের হাতে উইকিতে ধর্ষিত হতে থাকুক দেশের ইতিহাস।
ভালো থাকবেন সবাই।
@সাদাচোখ,
অবাক লাগে ফেসবুক আর ব্লগে এত কথা লেখা মানুষজন উইকিতে সামান্য কিছু সময় কেনো দেয়না? দিনে ১৫ মিনিট না পারুক, ৩দিনে ১৫ মিনিট দিলেওতো কিছু কাজ হয়। আমি চেষ্টা করি নিজের পড়ালেখা বিষয়ক আর্টিকেলগুলো বা প্রিয় ব্যক্তিত্ব নিয়ে আর্টিকেল গুলো সময় পেলেই কিছুটা এডিট করতে।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
জানি, আপনার কাছে খুবই জলবৎ এই টেকনিক্যাল কাজগুলো। যাই হোক, একটা ব্লগ লিখবেন, ভাইয়া, এই উইকি এডিটিংয়ের খুঁটিনাটি নিয়ে? আমার মনে, হয় অনেকেই উৎসাহী হবে। জানি না বলেই হয়ত, খুব কঠিন লাগছে আর এড়িয়ে যাওয়ার প্রবনতা তৈরি হয়েছে অনেকের মধ্যে। এক সময় অভ্র-তে লেখা দুনিয়ার জটিলতম কাজ বলে মনে হত। কিন্তু এখন, সময় পেলেই অভ্ররাজ্যে ঢুকে পড়তে মন চায়!
২০১৩ সনের অনিঃশেষ শুভেচ্ছা আপনাকেসহ মুক্তমনার সকল ভাইকে যারা অক্লান্ত স্বেচ্ছাশ্রম ঢেলে দিচ্ছেন মুক্তমনের দুনিয়া গড়ার লক্ষ্যে। ভাল থাকুন।
@কাজি মামুন ভাই,
এখানে একটা লিংক দিলাম। উইকি সম্পর্কে জানতে এবং প্রয়োজনীয় কাজটুকু করতে কাজে আসতে পারে।
@রণদীপম বসু,
ধন্যবাদ। বেশ কাজের লিঙ্ক এটা।
রণদীপম বসু, এটা কি এখানকার মন্তব্য ঘরে পেষ্ট করে দিতে কোন অসুবিধা আছে? না থাকলে একটু সংক্ষিপ্ত করে হলেও পেষ্ট করে দিন না হয়, কি বলেন?
সাদাচোখকে ধন্যবাদ।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
নিশ্চয়ই সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে উইকি আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। অনেক শুভ কামনা। (Y)
আসলেই মানুষ উইকিকে খাঁটি সূত্র হিসেবে ব্যবহার করবে। আমিও করি। কিন্তু এখন মনে হয় সাবধানী হতে হবে। তথ্যবিকৃতিকারীদের অতিরিক্ত এ্যাকশান্ এবং মুক্তবুদ্ধির মানুষের অতিরিক্ত ইনএ্যাক্শন উইকিকে যে কতটা অনির্ভরযোগ্য করতে পারে, তা তো আপনার লেখাতেই স্পষ্ট। যাহোক, আপনার প্রচেষ্টাকে ও আহবানকে সাধুবাদ জানাই।
২০১৩ সনের শুভেচ্ছা আপনাকে! সঙ্গে মুক্তমনা পরিবারকেও!
@কাজি মামুন,
শুভ নববর্ষ ভাই।
উইকিবিষয়ে যদি আগ্রহ এবং ইচ্ছে থাকে, তবে রণদীপমদা এবং নাসির খান ভাইয়ের দেয়া লিংকগুলো চেক করতে পারেন। আরো কিছু জানতে চাইলে আমাকে জানান। সধ্যমত সাহায্যের চেষ্টা করবো।
এভাবে চিল্লা চিল্লি করে গালি পারলে কিছুই হবেনা। ঠান্ডা মাথায় আয়াকশন নিতে হবে। উকিপিডিয়াতে উপযুক্ত তথ্য সহকারে এডিট করার ব্যবস্থা নিতে হবে। এখন একটি ব্যাপার মনে পরছে, বেশ কয়েক বছর আগে, বিবিসির “হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী” জরিপে কিছু যুদ্ধাপরাধী, মানব হত্যাকারী এবং রাজাকার সদস্য তাদের অনুসারীদের “ফ্ল্যাডিং” ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিবিসি কর্তৃপক্ষ ব্যপার বুঝতে পেরে পরে তা বাতিল করে।
@সংবাদিকা,
সহমত। (Y)
সবগুলো নিবন্ধকে ওয়াচলিস্টে রাখলাম। নজর থাকবে ইনশাল্লাহ। সময়-সুযোগমতো কাজ হবে। ছাগুদের ভাগু করা কঠিন কিছু নয়। এবিষয়ে নজর দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। রাগিব ভাই আর্টিক্যালটা লাইক করেছেন, ওনারও দৃষ্টি চাচ্ছি এবং তাঁর নজরতালিকায়ও এগুলো চাচ্ছি, যাতে আমাদের রিকোয়েস্টগুলো এবং আলোচনাগুলোতে তৃতীয়পক্ষীয় হস্তক্ষেপ পাওয়া যায়। মুক্তমনাকে ধন্যবাদ।
মুক্তধারা ডট কম থেকে-
Delwar Hossain Saidi (Delu Dalal)
Delwar Hossain Sayeedee as his name is now officially spelled and is being represented with a red diplomatic passport from the ruling BNP government as an Islamic scholar and preacher was originally a boorish mountebank and a pimp of the local brothel at Pirojpur, a small town in Barisal district. The locals still call him Delu (a name that negates all the spirituality that an Arabic name such as Sayeedee inspires) which is the short form of his name Delwar. During the liberation war Saidi was called delu razakar due to his collaboration with the Paki occupation army.
There is no record that Saidi had ever attended any school whether Islamic or public. Like many fake Islamic ‘divines’ Saidi was accorded a title ‘Sayeedee’ overnight and promoted as such by the then Pakistani civil affairs dept, an organization run by the Paki military intelligence (ISI). Saidi’s personal idol must be Hitlar, for both of them assented to power by virtue of their oratory skills. Both of them whet their rhetoric in their first career as a street hawker. Hitler being a German sold fake paintings on the streets, Saidi a rustic quack sold potions for venereal diseases and sexual impotence. As a street hawker saidi had a second job as a pimp for the local brothel. Traditionally most quacks work as pimps in Bangladeshi villages. It is a very lucrative business: they earn commission from the hookers, blackmail the clients and when the clients contract venereal diseases become their permanent patients.
Later Saidi realized that it is more rewarding to sell spiritual potions than cheap potions for gonorrhea and syphilis. He also realized, in course of his career as a quack, that the spiritual sickness is a more prolific opportunity to pry in business than selling potions for sexual impotence. So Saidi assumed his new role: a preacher of (Jamat-e-) Islam. But Saidi does not preach the austere aspects of Islam. He fans the vulgar side of it to draw the perverts to his flock. He uses his obscene rhetoric (used to sell his potions as a quack to cure sexual impotence) to emphasis male chauvinism implicit in the patriarchal religion-Islam. In both cases his technique is same: to pamper male ego and feed male libido. This technique turned him into the most popular preacher of Islam among the Bangladeshi Muslims both home and abroad. Thousands of his audio cassettes are sold in Bangladesh and exported to overseas: middle East, Europe, USA Australia. Bangladeshi males listen to his obscene preaching’s to feed their repressed libidinous urges and secure their authority over their less fortunate women folks. The worst thing is: Saidi’s doctrines constitute the moral fiber of a large number of unenlightened Bangladeshis both home and abroad.
Saidi is the extension of Nizami’s ideological warfare. Nizami sets traps for the unenlightened but literate Muslims, Saidi for illiterate and unrefined Muslims. But Saidi is also very effective for the technically skilled but philosophically unenlightened Bangladeshi Muslims. Every year Saidi earns thousands of dollars and pounds from overseas. Those Bangladeshi immigrants are all skilled migrants. They are skilled but unenlightened, otherwise how do they attend Saidi’s preaching’s when it is impossible for a decently sensible person to stand such vulgar eloquence?
Like his peer Nizami, Saidi was also involved in killing, looting, arson, extortion and confiscation during the liberation war. In both cases their victims were the Hindu Bengalis and people involved in or connected to the liberation war. In 1971 Saidi and his gang formed an espionage network in the Pirojpur area against the freedom fighters. He and his gang once captured a freedom fighter Mr. Abdul Aziz (an ex member of EPR, now BDR) on his secret visit home to see his first born in the dead of the night. Saidi handed Mr Aziz to the Pakistani army who tortured him to death. Saidi’s dossier abounds in this type of murder, torture, extortions and confiscations. Under his appearance of an Islamic preacher, Saidi is nothing but an irremediable imposter, a traitor and a vile monster. Listed below are some of Saidi’s crimes in 1971:
1. In 1971 Saidi was not associated with any political party, but conducted his activities in his individual capacity as a self proclaimed Islamic crusader. There are allegations that he actively helped the Pakistani forces in their campaign of killings, lootings, rape arson etc., by forming local paramilitary forces. During the war, he along with four associates, formed an organization called “Fund of the Five”. The principal aim of the organization was to loot and take over property of freedom fighters and Bengali Hindus. He used to sell those looted property and conduct a profitable business from the sales proceedings.
2. During the liberation war, Saidi ravaged the shop of a Hindu Bengali named Madan and took all his properties away. Saidi opened a shop at Parer Hat steamer station with the merchandise looted from the nearby grocery shops owned by the Hindus. -Mizan, a former freedom fighter from Parer Hat Union Command.
3. In 1971, Saidi forcibly took over the home of Bipin Saha, a local Hindu, and continued to live there during the whole period; carried out anti social activities; drawn up lists of suspected freedom fighters and their relatives and passed it to the Pakistani army camped nearby; supplied young girls, abducted from nearby villages, to Pakistani camps; to help the occupation army Saidi burnt down the ferry port of Parer Hat; he forced the local youths to join Al-Badr forces, any refusals usually led to the killing of the objector. -Advocate Abdur Razzaq Khan, Pirojpur
3. Saidi was behind the murder of one Himangsu Babu and his relatives. He also killed Ganapati Halder, an extraordinarily brilliant student of Pirojpur. Saidi was instrumental to the murder of many intellectuals and mid ranking government officers suspected of sympathizing with the cause of Bangladesh : a. Faijur Rahman, sub divisional police officer (SDPO) and father of writer and professor of Chemistry, Humayun Ahmed b. Abdur Razzaq, acting SDO d. Mizanur Rahman, former leader of the Students’ League, e. Abdul Gaffar Miyan, head teacher f. Samshul Huq Faraji, social worker g. Atul Karmaker.
4. At Saidi’s instruction his gang torn one Bhagirathi into pieces, accused of supplying information to freedom fighters by Saidi, by tying him to the back of a motorbike and dragging him for five miles. Advocate Ali Hyder, Central Leader of Ganatantri Party, Pirojpur.
5. According to Beni Madhab Saha, a resident of Pirojpur, Saidi and his men kidnapped and killed :Krishna Kanta Saha, Bani Kanta Sikdar, Tarani Kanta Sikdar. Saidi and his cohorts carried out repression on the daughters of Hari Sadhu and Bipin Saha, she said. Saidi, after looting the home of the Talukdars, a Hindu landowning family, kidnapped 25 women and sent them to the Pakistan army camp.
Verifiable list of people killed by so-called Maulana Saidi:
Faijur Rahman, Abdur Razzaq, Mizanur Rahman, Al Gaffar Miyan, Samshul H Faraji, Bani Kanta Sikdar, Krishna K Saha, Tarani K Sikdar, Bipin Saha, Hari Sadhu, Atul Karmaker.
(Y)
তথ্যগুলো মিথ্যা না হলেও অসম্পূর্ন। সাঈদী যে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত সেই তথ্য এখানে অনুপস্থিত।
দেশের মৌলবাদী রাজনীতিতে সাঈদীর দ্রুত উত্থান বিস্ময়কর। প্রথম দিকে পত্র-পত্রিকায় তার ওয়াজ মাহফিলের কথা পড়তাম। তারপর দেখা গেল সহসা তিনি জামায়াতে ইসলামীতে উচ্চপদে আসীন হয়েছেন। ধারনা করা হয় আরবী ভাষায় দক্ষতার কারনে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে তার বিশেষ প্রভাব রয়েছে আর সে কারনেই হয়তো জামায়াতের রাজনীতিতে তার দ্রুত উত্থান।
সাঈদী আর তার আইনজীবিরা ট্রাইবুনালে বলেছেন তিনি আর রাজাকার দেলু শিকদার এক ব্যক্তি নন। আইনজীবিদের দেয়া তথ্যমতে রাজাকার দেলু শিকদারকে মুক্তিযোদ্ধারা হত্যা করেছে। যদি ধরেও নেই দেলু অন্য লোক, তাহলেও প্রশ্ন থাকে এলাকার এতগুলো মানুষ নিরাপরাধ সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবে কেন? লেখক সাঈদী ও তার মুক্তিযুদ্ধকালীন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিশদ জানলে তা প্রকাশের অনুরোধ করছি।
@মনজুর মুরশেদ,
তথ্য-প্রযুক্তির যুগে মৌলবাদী চক্র যে জনপ্রিয় বিকল্প গণমাধ্যম ব্লগ, ফেসবুক, টুইটারের পাশাপাশি উইকিও দখল করার চেষ্টা করবে, এটি খুব অবাক করার মতো তথ্য নয়। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, চেতনার অনলাইন সংগ্রামে আমরা নিজেরা কে, কি এবং কতোটুকু করছি?
বাংলা উইকিতে সাঈদীর যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কে বলা হয়েছে,
[লিংক]
এ প্রসঙ্গে মনজুর মুরশেদের সঙ্গে একমত। ইংরেজী ইউকিতে দেওয়া সাঈদী সম্পর্কিত তথ্য অসম্পূর্ণ। তবে পুরোপুরি অসত্য নয়।
উন্মুক্ত বিশ্বকোষের সব কিছুই সকলের জন্য উন্মুক্ত হবে, এটিই তো স্বাভাবিক। শুধু শর্ত মেনেই যে কেউ এখানে লিখতে পারবেন, তা-ও পুরোপুরি সত্যি নয়। উইকি সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি, কেউ যদি কোন ভুল বা মনগড়া তথ্য বা কপিরাইট লঙ্ঘন করে, বিষয়টি ধরা পড়লে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধ/ছবি সরিয়ে ফেলা হয়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়। উইকি’র কাজের ধরন সম্পর্কে হয়তো সহব্লগার রাগিব হাসান ভালো বলতে পারবেন।
[লিংক]
উইকির সমস্ত কাজই হয় স্বেচ্ছাশ্রমে, যা পুরোপুরি অলাভজনক। সেদিক থেকে বিচার করলে, সেখানে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতেই পারে। তবে তাই বলে এর দায়ভার শুধু উইকিপিডিয়ানদের ওপর এক তরফাভাবে চাপিয়ে দেওয়াই যথেষ্ট নয়। উইকি’ই পুরো পৃথিবীতে বিশ্বকোষ সম্পর্কে ধারণা পাল্টে দিয়ে একে বিনামূল্যে এনে দিয়েছে সাধারণের নাগালে, চলতি নোটে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির অনুল্লেখ বিস্ময়কর।
মুক্তমনায় এমন একপেশে লেখা প্রত্যাশিত নয়।
@বিপ্লব রহমান,
আশ্চর্য! আশ্চর্য! এই লেখা একপেশে? এই লেখায় উইকিকে ‘দোষ’ বা ‘একতরফা দোষ’ দেয়া হয়েছে?? আশ্চর্য! আশ্চর্য!
@কাজি মামুন,
চলতি লেখাটি অনেকটাই একপেশে; উইকির বিশ্বজোড়া সাফল্য, নেপথ্য অগাধ স্বেচ্ছাশ্রম — এসব কিছুই এতে ব্যাখ্যা করা হয়নি। গুটি কয়েক ছাগুকর্মই এতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। নিজস্ব দায়ও এতে বিবৃত করা হয়নি। ওপরের মন্তব্যে সেটাই বিস্তারিত বলা হয়েছে। তাই আশ্চর্য চতুষ্টয়ের অবকাশ নেই। তবে যে কেউ এই মতের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করতেই পারেন। আপনাকে ধন্যবাদ।
@বিপ্লব রহমান,
নতুন বছরের প্রথম দিনে বাদানুবাদে যেতে মন চাইছে না। তবু একটা প্রশ্ন না করে পারছি না। ‘সাদা চোখ’ ভাইয়ের এই লেখাটির মূল বিষয়বস্তু কি বলে মনে হয় আপনার? এই লেখাটি কি উইকির উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে কোন নাতিদীর্ঘ রচনা? এই লেখাটির বিষয়বস্তু কি ‘সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে উইকির অপব্যবহার এবং তৎপ্রেক্ষিতে অসাম্প্রদায়িক মুক্তমনা মানুষদের করনীয়’ – এইটুকুতে সীমাবদ্ধ রাখা যায় না? নাকি যেতে পারে না? ধরুন, কেউ একজন বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান দুর্নীতি নিয়ে একটা প্রবন্ধ লিখল। ওখানে দুর্নীতির কারণ বা প্রভাব নিয়ে সবিস্তারে বলা হল। আমার ঘোর সন্দেহ হয়, আপনি সেক্ষেত্রে প্রবল আপত্তি তুলে বলবেন, সেই লেখাটি একপেশে, কারণ তাতে বাংলাদেশের পজিটিভ দিকগুলো তুলে ধরা হয়নি।
সবচেয়ে বড় কথা, সাদা চোখ ভাইয়ের এই লেখাটি একটা কল, কোন জটিল জ্ঞানবর্ধক প্রবন্ধ উনি ফেঁদে বসেননি বলেই মনে হয়।
বিনয়ী প্রতিমন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর ২০১৩ সনের শুভেচ্ছা।
@কাজি মামুন,
অনেক সময় একটি সামগ্রীক মতামত থেকে বিচ্ছিন্নভাবে দু/একটি বাক্য উদ্ধৃত করলে সামগ্রিক বক্তব্য কিছুতেই প্রকাশ পায় না; বরং উদ্ধৃতকারীর খণ্ডিত দৃষ্টিভঙ্গিই প্রকাশিত হয় [খুব খেয়াল করে]।
এ নিয়ে বাদানুবাদের প্রসঙ্গটি অবান্তর। আগেও বলা হয়েছে, পুনরাবৃত্তি করে আবারো বলা যাক, তবে যে কেউ একটি মতের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করতেই পারেন [ নোট এবং তদ সংলগ্ন মতামতের বিষয়ে তো বটেই]। সবাইকে একই চশমায় দেখতে হবে এমন তো কোন নিদান কেউ দেয়নি, তাই না? 🙂
হেপ্পি নিউ ইয়ার!
কাল সারা দিন কোন মন্তব্য করা সম্ভব হবে না। রাতে এসে উত্তর দেব। আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।