বিশেষ দ্রষ্টব্য ঃ- একটি কৈফিয়ত ঃ- ধর্ম এবং বিজ্ঞান নিয়ে বাস্তবতার আলোকে অনেক অনেক প্রশ্ন আসে। যাহার উত্তর কথিত ধর্মবাদীদের নিকট হতে পাওয়া সম্ভব নহে। যাদের বাস্তব জ্ঞানের অভাব, তাদের নিকট বিজ্ঞান সম্মত জ্ঞান পাওয়া সম্ভব নহে। তাহারা কিভাবে বিজ্ঞানের যুক্তিভিত্তিক ব্যাখ্যা দিতে পারে? যে কোন বিষয়ে যুক্তি ভিত্তিক ব্যাখ্যা বা উত্তর দিতে গেলে প্রচুর পঠন পাঠন দরকার বা জ্ঞানের দরকার। এ বিষয়ে শুধুমাত্র সার্টিফিকেট থাকিলে নয় কারন সার্টিফিকেট জাতির মেরুদন্ড না, সার্টিফিকেট সহ অপরিমিত জ্ঞান দরকার।

কথিত ধর্মবাদীরা কোন যুক্তিক প্রশ্নের উত্তর দিতে অপারক তখন তারা নানা রকম বিধি নিষেধ আরোপ করে প্রশ্নকারীকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে এবং অনেক ক্ষেত্রে সফল হয়। এ ক্ষেত্রে সত্যের সন্ধানী র্নিভীক মানুষেরা ব্যতিক্রম। সত্য সন্ধানী ব্যক্তিরা নির্ভীক মানুষেরা কখনও অসত্যের নিকট মাথা নত করেন নি, জীবন দিয়েও না। এক্ষেত্রে পৃথিবীতে অনেক তথ্য প্রমাণ আছে। কথিত ধর্মবাদীরা অন্ধ বিশ্বাসী তথা কুসংস্কারের বিশ্বাসী। কুসংস্কার হতেই তাদের গোড়ামী শুরু। স্বল্প জ্ঞানের অধিকারীগন গোড়ামীর স্বীকার। গোড়া ধর্মান্ধ সমাজের মধ্যে আমরা বসবাস করি। এখানে ভাববাদের (ধর্মের) বিরুদ্ধে পিনপতন শব্দ করাও দুুরহ ব্যাপার ভাববাদীরা তাদের নিজ নিজ অবস্থানে অনড়-অবিচল। ঈশ্বর বা স্রষ্টা প্রশ্নে তারা একাট্রা। সব শেয়ালের একরাঁ। স্রষ্টা নিয়ে কোন প্রশ্ন তুললে তাদের একসাথে জেহাত শুরু হয়। ঈশ্বর প্রশ্নে সকল সম্প্রদায় আপোষহীন। আর ভাববাদী সমাজের সাথে আমার প্রধান বিরোধ। ধর্মান্ধদের বিভিন্ন হুমকি ধুমকি এবং ফতোয়া বাজীতে যখন থেমে যাইনি, তখন তারা কৌশলে আমার অনুপস্থিতিতে বাড়ীতে গিয়ে সংগৃহিত সকল বই পুস্তক এবং লেখা সমুহ পুড়ে ফেলে। ইহাতে আমার (ইন্টারনেটে) অপ্রকাশিত দশম, একাদশ, দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ অধ্যায়ের লেখা সমুহ পুড়ে ফেলা হয়। অবস্থা দৃষ্টে আমি কিছুটা হলেও মানসিক ভাবে বিপযস্থ্য হই। পুনরায় লেখালেখির ক্ষেত্রে মনযোগী হতে বিলম্ব ঘটে। আর এই লেখালেখির ক্ষেত্রেও পরিবারের নিকট হইতে কিছুটা বাধা গ্রস্থ হচ্ছি। এত কিছু সর্ত্বেও মুক্ত মনা পাঠক সমাজের কথা বিবেচনা করে বাস্তবতাকে জানার আগ্রহ নিয়ে নতুন উদ্ধম সহকারে মহা প্রতারনা ১০ম অধ্যায় শুরু করছি। কিন্তু তারপরও একটি সমস্যা হলো আমার লেখা স্থানীয় ভাবে কেহই কম্পিউটার টাইপ করছে না। সব কম্পিউটারের দোকানে এ বিষয়ে সতর্কতা জারী করা হয়েছে। আমার নিজস্ব কম্পিউটার না থাকায় আমি সমস্যার মধ্যে পড়েছি। এমতাবস্থায় অন্য এলাকায় গিয়ে বেশী টাকা খরচ করে আমার লেখাগুলি কম্পিউটারে কম্পোজ করার চেষ্টা করিতেছি। শত বাধা সত্বেও পুনরায় মহা প্রতারনা ১০ম অধ্যায় শুরু করলাম।

বিজ্ঞান মতে বিগ বাং হতে মহা বিশ্বের উৎপত্তি। কোটি কোটি গ্রহ নক্ষত্রের মধ্যে আজকের এই পৃথিবী নামক গ্রহটিতে প্রান উৎপত্তির পরিবেশ ঘটে। সেটিও লক্ষ লক্ষ বছরের ঘটনা। প্রানীদের মধ্যে মানব জীবনের নাটক শুরু হয় ভীষন প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে। জীবনকে টিকে রাখতে প্রকৃতির সাথে তাদের লড়াই চলে এবং এখনো চলছে। গাছে বাস করা পবর্ততের গুহায় বাস করা মানুষ চলে আসে সমতলে। পাথরে পাথরে ঘেষে ঘেষে আগুন জ্বালানো কৌশল আর আগুনকে ধরে রাখার কৌশল যখন শিখেছে, তখন থেকে মুলতঃ সভ্যতার গোড়াপত্তন। মানুষ দীর্ঘ দিন বনে জঙ্গলে বাস করে যে সমস্ত ফলমুল খেয়ে জীবন ধারন করত, সমতলে এসে চাষাবাদের চেষ্টা করে কৃষি কাজের সুত্রপাত ঘটায়।

মানুষ দিন দিন অধিকর সুখের জীবন যাপনের জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যান আর ফল পান অতিধীরে । অমানষিক পরিশ্রম ও সাধনার দ্বারা আস্তে আস্তে সভ্যতা গড়ে উঠে। এই সভ্যতার মধ্যে এক শ্রেনীর ধুরন্ধর মানুষ সমাজে তাদের স্থান করে নিতে শুরু করে আজকের এই ধর্ম নামক ব্যবসা দিয়ে। এই ব্যবসার শুরুতে প্রথমত তাদের ঈশ্বর চিন্তা ছিল না, ছিল দেব দেবী দৈত্য দানবের চিন্তা আর এই দেব দেবীর সন্তুষ্টি লাভের জন্য শুরু করে ভক্তি নিবেদন। যাহা পূর্বেই অন্য অধ্যায়ের আলোচনা করা হয়েছে। ধুরন্ধর ব্যক্তিরা কল্পিত দেব-দেবীকে ভক্তি নিবেদন করে বিশেষ আয়োজন মাধ্যমে। প্রানের উৎপত্তির সাথে আসে মৃত্যু। জীবনের সাথে মৃত্যু জড়িত। মৃত্যু প্রকৃতির নিয়ম। একটা নিদৃষ্ট সময় পেরিয়ে সকল প্রানের অবসান হবে।

প্রানীর বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে আয়ুষ্কাল, প্রকৃতির নিয়মে ঘটে। ইহা কেহ নিয়ন্ত্রন করে না, কিন্তু ভাববাদীরা ইহাকে ঐশ্বরিক হিসাবে জড়ালো দাবী করেন।

জীবনের আয়ুষ্কাল দিন, মাস, বছর হতে কয়েক দশক এবং কয়েক শতক পর্যন্ত দেখা যায়। বিজ্ঞানে প্রমানিত আয়ুষ্কাল প্রকৃতির নিয়মে ঘটে।

ভাববাদী প্রধান প্রধান গ্রন্থগুলিকে অনুসারিগন পরম শ্রদ্ধার সাথে ঐশ্বরিক বানী হিসাবে মনে করেন। গ্রন্থ গুলোর অশ্রদ্ধা কোন অনুসারীই মেনে ন্যায় না। এক্ষেত্রে জীবন দিতে জীবন নিতে কুন্ঠিত হন না। দেশ ভিত্তিক সংখ্যা গরিষ্ঠের ভাববাদী গ্রন্থের সমলোচনা হইলেই রক্ষা নেই। অনুসারীগন উগ্র আকার ধারন সহ খুন খারাবিতে পিছপা হয় না। কারন হল এ রুপ কাজে পুরুষ্কার স্বরুপ স্বর্গের লোভ দেখানো আছে। এখানে উল্লেখ্য যে, পৃথিবীতে প্রধান প্রধান ভাববাদী গ্রন্থগুলি হচ্ছে বেদ,পুরান, বাইবেল, কোরান, তাওরাত, জব্বুর ইত্যাদি। ওগুলোর নির্দ্দেশনা শতভাগ পালন না হলেও অবমাননা শত ভাগ মানুষ সহ্য করে না। গ্রন্থগুলোর অবমাননা ঈশ্বরকে অবমাননা হিসাবে দেখা হয়।

আদী সমাজের ভাববাদী গুরুরা যাহাই বলেছেন তৎকালীন সমাজের অজ্ঞ মানুষেরা তাহাই মেনে নিয়ে পালন করেছেন এবং এখনো তাহাই চলছে। ইহাতে তাদের বরনীয় ছাড়া করনীয় ছিল না। আদিকাল থেকে দিন দিন মানুষের প্রকৃতিগত জ্ঞান লাভ হতে থাকে ও জ্ঞানের পরিধি বাড়তে থাকে, দেখে দেখে শিক্ষা লাভে। এভাবে শিক্ষা লাভে, হামাগুড়ি থেকে শুন্যে উড়ে মানুষ। দূর্বীক্ষন যন্ত্র আর্বিষ্কারের ফলে বিজ্ঞানীরা মহাশুন্যে বিরাজমান গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান ও বাস্তব চিত্র তুলে ধরছেন। কিন্তু ভাববাদী গুরুরা পৃথিবীতে বসে বসে মহাশুন্যে বিরাজমান গ্রহ নক্ষত্ররাজীকে আলোক পিন্ড হিসাবে দেখেছেন আর গল্প বানিয়ে তৎকালীন মানুষকে শুনিয়েছেন। বানানো গল্পগুলো ঐশ্বরিতবানী হিসাবে দাবী করে ভক্ত কুলের মাঝে প্রচার করে গেছেন, শ্রদ্ধা লাভের আশায়। তাতে গুরুরা ক্ষমতা ও বিত্ত লাভ করেছেন।

ভাববাদী গ্রন্থের মহাবিশ্ব সম্পর্কে যে সমস্ত তথ্য পাওয়া যায় বিজ্ঞানীদের গবেষণায় তা উপাখ্যান হিসাবে প্রমাণিত। মহাবিশ্ব সম্পর্কে ঐ সকল গ্রন্থ সমুহের তথ্যগুলিই স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস স্থাপনের প্রধান অন্তরায়। কারন হলো বাণী গুলোতে মহাবিশ্ব সম্পর্কে বাস্তবতার অভাব আর বাণীগুলোর বাস্তবতা না থাকলে স্রষ্টার বাস্তবতা কোথায়? ওগুলো আজগুবী গল্প মাত্র, অবান্তর কাহিনীতে ভরপুর।
মহাবিশ্ব সম্পর্কে ভাববাদী গ্রন্থ সমূহ হতে প্রাপ্ত তথ্য গুলো নিম্মরুপ ঃ-

বৈদিক মতে ১। শত পথ ব্রাহ্মন (৬/১/১) পুরুষ প্রজাতির প্রথমে জলের সৃষ্টি করেন। জলমধ্যে আপনি অন্ডরুপে প্রবিষ্ট হন। সেই হতে জন্ম গ্রহন করার জন্য তিনি তাহাতে প্রবেশ করেন। পরিশেষে তিনি তাহা হতে ব্রহ্মান্ড সৃষ্টিকারী ব্রহ্মরুপে আর্বিভূত হন।
অর্থব সংহিতা (১১/৪) প্রাণ-স্বরুপ পরমেশ্বর হতে বিশ্বের উৎপত্তি হয়। পরমেশ্বর স্বয়ং ১ম সৃষ্টিরুপে আর্বিভুত হন।

শত পথ ব্রাহ্মন (৬/১/১) ও অর্থব সংহিতা (১১/৪) মতে দেখা যাচ্ছে স্রষ্টা প্রথমে স্বয়ং সৃষ্টি হন।
বিষয়টি তালগোল পাকানো। ঈশ্বর যদি সৃষ্টি হয়ে থাকেন তবে তাকে কে সৃষ্টি করেছেন? সৃষ্টির পূর্বেই বা কি ছিল ?
(৩) তৈত্তরীয় উপ-নিষদ (২/৬) ব্রহ্ম ইচ্ছা করেন। আমি বহু হব। অতঃপর তিনি তপস্যায় প্রবৃত্ত হন। সে তপস্যার ফলে পরিদৃশ্যমান বিশ্বের সৃষ্টি হয়। বিশ্বসৃষ্টি করে তিনি স্বয়ং উহার মধ্যে প্রবেশ করেন।
তৈত্তরীয় উপ-নিষদে দেখা যাচ্ছে ঈশ্বরকে তাপস-রুপে। তিনি তপস্যা করে বিশ্ব সৃষ্টি করেন। তবে ঈশ্বর কার তপস্যা করেন। ঈশ্বরের ঈশ্বর আছে না কি?

৪। ঐতরের উপ-নিষেদ (১/১-২, ১/৩/১১) সৃষ্টির আদিতে একমাত্র আতœাই বিদ্যমান ছিল। তিনি ভিন্ন আর কিছুই অস্তিত্ব ছিল না। তিনি জগৎ সৃষ্টির কল্পনা করে ভূলোক ও দুলোক সমুদ্র আকাশ, জল, মৃত্তিকা ইত্যাদি সৃষ্টি করেন। এখানে স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন করা যায় যে, সৃষ্টির পূর্বে তিনি অনাদি অনন্তকাল নিচ্ছুব ছিলেন কেন?
৫) মনুঃ সংহিতা (১:৮) পরমাতœা প্রকৃতির রুপে পরিনত আপন শরীর হতে নানা প্রকার প্রজাপতি সৃষ্টির অভিলাসে প্রথমত জল হউক বলিয়া জলের সৃষ্টি করেন, তাহাতে আপন শক্তিরুপে বীজ অর্পন করেন। তিনি যদি সর্বপ্রথম জল সৃষ্টি করে থাকেন, তবে জল কোথায় রাখছিলেন? জল রাখার জন্য তো একটা পাত্রের দরকার, নয় কি? সর্বপ্রথম জলের সৃষ্টি বাস্তবতা এখানে প্রমাণ হয় না?
বৌদ্ধ মতে ঃ- পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা কেহ নাই। ইহা অনন্তকাল বিদ্যমান আছে এবং থাকবে।
ইসলামী মতে ঃ- নিদৃষ্টকালে আল্লাহ কর্তৃক সব কিছু সৃষ্টি আর নিদৃষ্ট সময়ে উহা ধংস প্রাপ্ত হবে।
এখানে প্রশ্ন হয় যে, সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ কি করেছিলেন, সৃষ্টির পূর্বে তিনি অনাদি অনন্ত কাল নিচ্ছুব ছিলেন কেন? সৃষ্টির পূর্বে কি অনাদি অনন্ত কালের সীমা আছে ?

আল-কোরানের বর্ননা হলো ঃ-
১। সুরা সেজদা (১:৪) তিনি আল্লাহ। যিনি নবমন্ডল ও ভূ-মন্ডল এবং ইহার মধ্যে যাহা আছে, তাহা ০৬ দিনের মধ্যে সৃষ্টি করেন।

আয়াতটি আল্লাহর নিজের কথা নয়, যাহা বর্ণনায় পাওয়া যায়। সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী সৃষ্টিতে ০৬ দিন সময় লাগবে কেন? আল্লাহর কোরানের ভাষ্য মতে জানা যায় যে, আল্লাহতালা “হও” বললে সব কিছু হয়ে যায়। তবে সময় লাগবে কেন? তার সৃষ্টি পরিকল্পনা কি এক সাথে আসে নি? এখানে পরিকল্পনার অভাব দেখা যায়।

প্রধান প্রধান ভাববাদী গল্পের এই হলো সৃষ্টি তথ্য। তবে বর্ণনায় যাহা বিজ্ঞানে অবান্তর বলে প্রতিপন্ন হয়। আর সৃষ্টি তত্ত্বে বিজ্ঞানের তত্ত্ব সুবিশাল কিন্তু ভাববাদী গ্রন্থে কয়েক লাইনের মধ্যে সৃষ্টি তত্ত্বের বর্ণনা শেষ। মোট কথা ঈশ্বর বা স্রষ্টা এগুলো সৃষ্টি করেছেন এতেই অনুসারীরা তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন।

বিজ্ঞানের কোন তথ্যই আজগুবি নহে। ইহাতে ভাওতাবাজী নেই। তথ্য সমুহ বাস্তবতার বহি প্রকাশ।
ভাববাদী সমাজ অবাস্তব কল্প কাহিনীতে বিশ্বাসী, তার একটা ছোট উদাহরণ যাহা আমার নিজের কল্পনায় লেখা সম্মানীত পাঠক, সমাজের সমীপে পেশ করে দশম অধ্যায় শেষ করবো। বিষয়টি আমার একান্ত নিজস্ব মোতামত। যদি ভুল বলে থাকি তবে, সম্মানিত পাঠক সমাজের নিকট আগাম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
বিষয়টি এই রুপ যে ভাববাদী সমাজ মনে করেন। ঈশ্বর ইচ্ছা করলে সুচের ছিদ্র দিয়ে হাতীকে বের করতে পারে। এতে ভাববাদী সমাজ বিশ্বাসী। আমি মনে করি এখানে বাস্তবতার অভাব। যেমন ধরুন হাতীকে সুচের ছিদ্র দিয়ে বের করলে সুচের ছিদ্রটিকে হাতীর চেয়েও বড় করতে হবে। সুচের ছিদ্রকে হাতীর চেয়ে বড় করলে তখন সুচ আর সুচ থাকে না। সুুচের মৌলিক পরিবর্তন হবে। আর যদি হাতীকে সুচের ছিদ্রের চেয়ে ছোট করা হয় তবে হাতী আর হাতী থাকে না। বাস্তবতার আলোকে বিষয়টি তুলে ধরা হলো। ভাববাদী সমাজ বাস্তবতা স্বীকার করে না। তাদের শুভ বুদ্ধি উদয় হউক……… (চলবে)।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার ঃ- বাংলার প্রখ্যাত দার্শনিক আরোজ আলী মাতুব্বর সাহেবের নিকট আমি কৃতজ্ঞ।