বিশেষ দ্রষ্টব্য ঃ- একটি কৈফিয়ত ঃ- ধর্ম এবং বিজ্ঞান নিয়ে বাস্তবতার আলোকে অনেক অনেক প্রশ্ন আসে। যাহার উত্তর কথিত ধর্মবাদীদের নিকট হতে পাওয়া সম্ভব নহে। যাদের বাস্তব জ্ঞানের অভাব, তাদের নিকট বিজ্ঞান সম্মত জ্ঞান পাওয়া সম্ভব নহে। তাহারা কিভাবে বিজ্ঞানের যুক্তিভিত্তিক ব্যাখ্যা দিতে পারে? যে কোন বিষয়ে যুক্তি ভিত্তিক ব্যাখ্যা বা উত্তর দিতে গেলে প্রচুর পঠন পাঠন দরকার বা জ্ঞানের দরকার। এ বিষয়ে শুধুমাত্র সার্টিফিকেট থাকিলে নয় কারন সার্টিফিকেট জাতির মেরুদন্ড না, সার্টিফিকেট সহ অপরিমিত জ্ঞান দরকার।
কথিত ধর্মবাদীরা কোন যুক্তিক প্রশ্নের উত্তর দিতে অপারক তখন তারা নানা রকম বিধি নিষেধ আরোপ করে প্রশ্নকারীকে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে এবং অনেক ক্ষেত্রে সফল হয়। এ ক্ষেত্রে সত্যের সন্ধানী র্নিভীক মানুষেরা ব্যতিক্রম। সত্য সন্ধানী ব্যক্তিরা নির্ভীক মানুষেরা কখনও অসত্যের নিকট মাথা নত করেন নি, জীবন দিয়েও না। এক্ষেত্রে পৃথিবীতে অনেক তথ্য প্রমাণ আছে। কথিত ধর্মবাদীরা অন্ধ বিশ্বাসী তথা কুসংস্কারের বিশ্বাসী। কুসংস্কার হতেই তাদের গোড়ামী শুরু। স্বল্প জ্ঞানের অধিকারীগন গোড়ামীর স্বীকার। গোড়া ধর্মান্ধ সমাজের মধ্যে আমরা বসবাস করি। এখানে ভাববাদের (ধর্মের) বিরুদ্ধে পিনপতন শব্দ করাও দুুরহ ব্যাপার ভাববাদীরা তাদের নিজ নিজ অবস্থানে অনড়-অবিচল। ঈশ্বর বা স্রষ্টা প্রশ্নে তারা একাট্রা। সব শেয়ালের একরাঁ। স্রষ্টা নিয়ে কোন প্রশ্ন তুললে তাদের একসাথে জেহাত শুরু হয়। ঈশ্বর প্রশ্নে সকল সম্প্রদায় আপোষহীন। আর ভাববাদী সমাজের সাথে আমার প্রধান বিরোধ। ধর্মান্ধদের বিভিন্ন হুমকি ধুমকি এবং ফতোয়া বাজীতে যখন থেমে যাইনি, তখন তারা কৌশলে আমার অনুপস্থিতিতে বাড়ীতে গিয়ে সংগৃহিত সকল বই পুস্তক এবং লেখা সমুহ পুড়ে ফেলে। ইহাতে আমার (ইন্টারনেটে) অপ্রকাশিত দশম, একাদশ, দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ অধ্যায়ের লেখা সমুহ পুড়ে ফেলা হয়। অবস্থা দৃষ্টে আমি কিছুটা হলেও মানসিক ভাবে বিপযস্থ্য হই। পুনরায় লেখালেখির ক্ষেত্রে মনযোগী হতে বিলম্ব ঘটে। আর এই লেখালেখির ক্ষেত্রেও পরিবারের নিকট হইতে কিছুটা বাধা গ্রস্থ হচ্ছি। এত কিছু সর্ত্বেও মুক্ত মনা পাঠক সমাজের কথা বিবেচনা করে বাস্তবতাকে জানার আগ্রহ নিয়ে নতুন উদ্ধম সহকারে মহা প্রতারনা ১০ম অধ্যায় শুরু করছি। কিন্তু তারপরও একটি সমস্যা হলো আমার লেখা স্থানীয় ভাবে কেহই কম্পিউটার টাইপ করছে না। সব কম্পিউটারের দোকানে এ বিষয়ে সতর্কতা জারী করা হয়েছে। আমার নিজস্ব কম্পিউটার না থাকায় আমি সমস্যার মধ্যে পড়েছি। এমতাবস্থায় অন্য এলাকায় গিয়ে বেশী টাকা খরচ করে আমার লেখাগুলি কম্পিউটারে কম্পোজ করার চেষ্টা করিতেছি। শত বাধা সত্বেও পুনরায় মহা প্রতারনা ১০ম অধ্যায় শুরু করলাম।
বিজ্ঞান মতে বিগ বাং হতে মহা বিশ্বের উৎপত্তি। কোটি কোটি গ্রহ নক্ষত্রের মধ্যে আজকের এই পৃথিবী নামক গ্রহটিতে প্রান উৎপত্তির পরিবেশ ঘটে। সেটিও লক্ষ লক্ষ বছরের ঘটনা। প্রানীদের মধ্যে মানব জীবনের নাটক শুরু হয় ভীষন প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে। জীবনকে টিকে রাখতে প্রকৃতির সাথে তাদের লড়াই চলে এবং এখনো চলছে। গাছে বাস করা পবর্ততের গুহায় বাস করা মানুষ চলে আসে সমতলে। পাথরে পাথরে ঘেষে ঘেষে আগুন জ্বালানো কৌশল আর আগুনকে ধরে রাখার কৌশল যখন শিখেছে, তখন থেকে মুলতঃ সভ্যতার গোড়াপত্তন। মানুষ দীর্ঘ দিন বনে জঙ্গলে বাস করে যে সমস্ত ফলমুল খেয়ে জীবন ধারন করত, সমতলে এসে চাষাবাদের চেষ্টা করে কৃষি কাজের সুত্রপাত ঘটায়।
মানুষ দিন দিন অধিকর সুখের জীবন যাপনের জন্য নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যান আর ফল পান অতিধীরে । অমানষিক পরিশ্রম ও সাধনার দ্বারা আস্তে আস্তে সভ্যতা গড়ে উঠে। এই সভ্যতার মধ্যে এক শ্রেনীর ধুরন্ধর মানুষ সমাজে তাদের স্থান করে নিতে শুরু করে আজকের এই ধর্ম নামক ব্যবসা দিয়ে। এই ব্যবসার শুরুতে প্রথমত তাদের ঈশ্বর চিন্তা ছিল না, ছিল দেব দেবী দৈত্য দানবের চিন্তা আর এই দেব দেবীর সন্তুষ্টি লাভের জন্য শুরু করে ভক্তি নিবেদন। যাহা পূর্বেই অন্য অধ্যায়ের আলোচনা করা হয়েছে। ধুরন্ধর ব্যক্তিরা কল্পিত দেব-দেবীকে ভক্তি নিবেদন করে বিশেষ আয়োজন মাধ্যমে। প্রানের উৎপত্তির সাথে আসে মৃত্যু। জীবনের সাথে মৃত্যু জড়িত। মৃত্যু প্রকৃতির নিয়ম। একটা নিদৃষ্ট সময় পেরিয়ে সকল প্রানের অবসান হবে।
প্রানীর বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে আয়ুষ্কাল, প্রকৃতির নিয়মে ঘটে। ইহা কেহ নিয়ন্ত্রন করে না, কিন্তু ভাববাদীরা ইহাকে ঐশ্বরিক হিসাবে জড়ালো দাবী করেন।
জীবনের আয়ুষ্কাল দিন, মাস, বছর হতে কয়েক দশক এবং কয়েক শতক পর্যন্ত দেখা যায়। বিজ্ঞানে প্রমানিত আয়ুষ্কাল প্রকৃতির নিয়মে ঘটে।
ভাববাদী প্রধান প্রধান গ্রন্থগুলিকে অনুসারিগন পরম শ্রদ্ধার সাথে ঐশ্বরিক বানী হিসাবে মনে করেন। গ্রন্থ গুলোর অশ্রদ্ধা কোন অনুসারীই মেনে ন্যায় না। এক্ষেত্রে জীবন দিতে জীবন নিতে কুন্ঠিত হন না। দেশ ভিত্তিক সংখ্যা গরিষ্ঠের ভাববাদী গ্রন্থের সমলোচনা হইলেই রক্ষা নেই। অনুসারীগন উগ্র আকার ধারন সহ খুন খারাবিতে পিছপা হয় না। কারন হল এ রুপ কাজে পুরুষ্কার স্বরুপ স্বর্গের লোভ দেখানো আছে। এখানে উল্লেখ্য যে, পৃথিবীতে প্রধান প্রধান ভাববাদী গ্রন্থগুলি হচ্ছে বেদ,পুরান, বাইবেল, কোরান, তাওরাত, জব্বুর ইত্যাদি। ওগুলোর নির্দ্দেশনা শতভাগ পালন না হলেও অবমাননা শত ভাগ মানুষ সহ্য করে না। গ্রন্থগুলোর অবমাননা ঈশ্বরকে অবমাননা হিসাবে দেখা হয়।
আদী সমাজের ভাববাদী গুরুরা যাহাই বলেছেন তৎকালীন সমাজের অজ্ঞ মানুষেরা তাহাই মেনে নিয়ে পালন করেছেন এবং এখনো তাহাই চলছে। ইহাতে তাদের বরনীয় ছাড়া করনীয় ছিল না। আদিকাল থেকে দিন দিন মানুষের প্রকৃতিগত জ্ঞান লাভ হতে থাকে ও জ্ঞানের পরিধি বাড়তে থাকে, দেখে দেখে শিক্ষা লাভে। এভাবে শিক্ষা লাভে, হামাগুড়ি থেকে শুন্যে উড়ে মানুষ। দূর্বীক্ষন যন্ত্র আর্বিষ্কারের ফলে বিজ্ঞানীরা মহাশুন্যে বিরাজমান গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান ও বাস্তব চিত্র তুলে ধরছেন। কিন্তু ভাববাদী গুরুরা পৃথিবীতে বসে বসে মহাশুন্যে বিরাজমান গ্রহ নক্ষত্ররাজীকে আলোক পিন্ড হিসাবে দেখেছেন আর গল্প বানিয়ে তৎকালীন মানুষকে শুনিয়েছেন। বানানো গল্পগুলো ঐশ্বরিতবানী হিসাবে দাবী করে ভক্ত কুলের মাঝে প্রচার করে গেছেন, শ্রদ্ধা লাভের আশায়। তাতে গুরুরা ক্ষমতা ও বিত্ত লাভ করেছেন।
ভাববাদী গ্রন্থের মহাবিশ্ব সম্পর্কে যে সমস্ত তথ্য পাওয়া যায় বিজ্ঞানীদের গবেষণায় তা উপাখ্যান হিসাবে প্রমাণিত। মহাবিশ্ব সম্পর্কে ঐ সকল গ্রন্থ সমুহের তথ্যগুলিই স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস স্থাপনের প্রধান অন্তরায়। কারন হলো বাণী গুলোতে মহাবিশ্ব সম্পর্কে বাস্তবতার অভাব আর বাণীগুলোর বাস্তবতা না থাকলে স্রষ্টার বাস্তবতা কোথায়? ওগুলো আজগুবী গল্প মাত্র, অবান্তর কাহিনীতে ভরপুর।
মহাবিশ্ব সম্পর্কে ভাববাদী গ্রন্থ সমূহ হতে প্রাপ্ত তথ্য গুলো নিম্মরুপ ঃ-
বৈদিক মতে ১। শত পথ ব্রাহ্মন (৬/১/১) পুরুষ প্রজাতির প্রথমে জলের সৃষ্টি করেন। জলমধ্যে আপনি অন্ডরুপে প্রবিষ্ট হন। সেই হতে জন্ম গ্রহন করার জন্য তিনি তাহাতে প্রবেশ করেন। পরিশেষে তিনি তাহা হতে ব্রহ্মান্ড সৃষ্টিকারী ব্রহ্মরুপে আর্বিভূত হন।
অর্থব সংহিতা (১১/৪) প্রাণ-স্বরুপ পরমেশ্বর হতে বিশ্বের উৎপত্তি হয়। পরমেশ্বর স্বয়ং ১ম সৃষ্টিরুপে আর্বিভুত হন।
শত পথ ব্রাহ্মন (৬/১/১) ও অর্থব সংহিতা (১১/৪) মতে দেখা যাচ্ছে স্রষ্টা প্রথমে স্বয়ং সৃষ্টি হন।
বিষয়টি তালগোল পাকানো। ঈশ্বর যদি সৃষ্টি হয়ে থাকেন তবে তাকে কে সৃষ্টি করেছেন? সৃষ্টির পূর্বেই বা কি ছিল ?
(৩) তৈত্তরীয় উপ-নিষদ (২/৬) ব্রহ্ম ইচ্ছা করেন। আমি বহু হব। অতঃপর তিনি তপস্যায় প্রবৃত্ত হন। সে তপস্যার ফলে পরিদৃশ্যমান বিশ্বের সৃষ্টি হয়। বিশ্বসৃষ্টি করে তিনি স্বয়ং উহার মধ্যে প্রবেশ করেন।
তৈত্তরীয় উপ-নিষদে দেখা যাচ্ছে ঈশ্বরকে তাপস-রুপে। তিনি তপস্যা করে বিশ্ব সৃষ্টি করেন। তবে ঈশ্বর কার তপস্যা করেন। ঈশ্বরের ঈশ্বর আছে না কি?
৪। ঐতরের উপ-নিষেদ (১/১-২, ১/৩/১১) সৃষ্টির আদিতে একমাত্র আতœাই বিদ্যমান ছিল। তিনি ভিন্ন আর কিছুই অস্তিত্ব ছিল না। তিনি জগৎ সৃষ্টির কল্পনা করে ভূলোক ও দুলোক সমুদ্র আকাশ, জল, মৃত্তিকা ইত্যাদি সৃষ্টি করেন। এখানে স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন করা যায় যে, সৃষ্টির পূর্বে তিনি অনাদি অনন্তকাল নিচ্ছুব ছিলেন কেন?
৫) মনুঃ সংহিতা (১:৮) পরমাতœা প্রকৃতির রুপে পরিনত আপন শরীর হতে নানা প্রকার প্রজাপতি সৃষ্টির অভিলাসে প্রথমত জল হউক বলিয়া জলের সৃষ্টি করেন, তাহাতে আপন শক্তিরুপে বীজ অর্পন করেন। তিনি যদি সর্বপ্রথম জল সৃষ্টি করে থাকেন, তবে জল কোথায় রাখছিলেন? জল রাখার জন্য তো একটা পাত্রের দরকার, নয় কি? সর্বপ্রথম জলের সৃষ্টি বাস্তবতা এখানে প্রমাণ হয় না?
বৌদ্ধ মতে ঃ- পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা কেহ নাই। ইহা অনন্তকাল বিদ্যমান আছে এবং থাকবে।
ইসলামী মতে ঃ- নিদৃষ্টকালে আল্লাহ কর্তৃক সব কিছু সৃষ্টি আর নিদৃষ্ট সময়ে উহা ধংস প্রাপ্ত হবে।
এখানে প্রশ্ন হয় যে, সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ কি করেছিলেন, সৃষ্টির পূর্বে তিনি অনাদি অনন্ত কাল নিচ্ছুব ছিলেন কেন? সৃষ্টির পূর্বে কি অনাদি অনন্ত কালের সীমা আছে ?
আল-কোরানের বর্ননা হলো ঃ-
১। সুরা সেজদা (১:৪) তিনি আল্লাহ। যিনি নবমন্ডল ও ভূ-মন্ডল এবং ইহার মধ্যে যাহা আছে, তাহা ০৬ দিনের মধ্যে সৃষ্টি করেন।
আয়াতটি আল্লাহর নিজের কথা নয়, যাহা বর্ণনায় পাওয়া যায়। সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী সৃষ্টিতে ০৬ দিন সময় লাগবে কেন? আল্লাহর কোরানের ভাষ্য মতে জানা যায় যে, আল্লাহতালা “হও” বললে সব কিছু হয়ে যায়। তবে সময় লাগবে কেন? তার সৃষ্টি পরিকল্পনা কি এক সাথে আসে নি? এখানে পরিকল্পনার অভাব দেখা যায়।
প্রধান প্রধান ভাববাদী গল্পের এই হলো সৃষ্টি তথ্য। তবে বর্ণনায় যাহা বিজ্ঞানে অবান্তর বলে প্রতিপন্ন হয়। আর সৃষ্টি তত্ত্বে বিজ্ঞানের তত্ত্ব সুবিশাল কিন্তু ভাববাদী গ্রন্থে কয়েক লাইনের মধ্যে সৃষ্টি তত্ত্বের বর্ণনা শেষ। মোট কথা ঈশ্বর বা স্রষ্টা এগুলো সৃষ্টি করেছেন এতেই অনুসারীরা তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন।
বিজ্ঞানের কোন তথ্যই আজগুবি নহে। ইহাতে ভাওতাবাজী নেই। তথ্য সমুহ বাস্তবতার বহি প্রকাশ।
ভাববাদী সমাজ অবাস্তব কল্প কাহিনীতে বিশ্বাসী, তার একটা ছোট উদাহরণ যাহা আমার নিজের কল্পনায় লেখা সম্মানীত পাঠক, সমাজের সমীপে পেশ করে দশম অধ্যায় শেষ করবো। বিষয়টি আমার একান্ত নিজস্ব মোতামত। যদি ভুল বলে থাকি তবে, সম্মানিত পাঠক সমাজের নিকট আগাম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
বিষয়টি এই রুপ যে ভাববাদী সমাজ মনে করেন। ঈশ্বর ইচ্ছা করলে সুচের ছিদ্র দিয়ে হাতীকে বের করতে পারে। এতে ভাববাদী সমাজ বিশ্বাসী। আমি মনে করি এখানে বাস্তবতার অভাব। যেমন ধরুন হাতীকে সুচের ছিদ্র দিয়ে বের করলে সুচের ছিদ্রটিকে হাতীর চেয়েও বড় করতে হবে। সুচের ছিদ্রকে হাতীর চেয়ে বড় করলে তখন সুচ আর সুচ থাকে না। সুুচের মৌলিক পরিবর্তন হবে। আর যদি হাতীকে সুচের ছিদ্রের চেয়ে ছোট করা হয় তবে হাতী আর হাতী থাকে না। বাস্তবতার আলোকে বিষয়টি তুলে ধরা হলো। ভাববাদী সমাজ বাস্তবতা স্বীকার করে না। তাদের শুভ বুদ্ধি উদয় হউক……… (চলবে)।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার ঃ- বাংলার প্রখ্যাত দার্শনিক আরোজ আলী মাতুব্বর সাহেবের নিকট আমি কৃতজ্ঞ।
আপনি বিশ্বাস করবেন না এটাই হোল আপনার ধান্ধা। কেন আল্লাহ ৬ দিনে সৃষ্টি করেছে কেন ১ সেকেন্ডে নয়? লে হালুয়া ,১ সেকেন্ডে করলে হয়ত বলতেন এত বড় বিশ্ব মাত্র ১ সেকেন্ডে-বুজরুকি।হও বললেই যখন হয় সেই তিনি কেন ৬ দিন নিলেন তা তিনিই ভালো জানেন। ছেলে মানুষি বাদ দিন।
@মরুঝড়,
ছেলেমানুষী তো করে থাকেন আপনারা। কোরানকে নিয়ে আপনাদের লাফালাফি, এটাকে নির্ভুল আর নিখুঁত প্রমাণের এত চেষ্টা, আর যখন খুঁতগুলো বের করা হয় তখন বলেন যে আল্লাহ ভাল জানেন।কি যন্ত্রণা।
স্বীকার করতে দোষ কি যে কোরানে ভুল আছে, আর শেগুলো সংশোধন করে, ইসলামকে ঘষামাজা করা দরকার?তাহলেই তো সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়ে যায় তাই না? তা না করে যাই লেখা হোক না কেন কোরানকে নিয়ে, আপনাদের এই গাত্রদাহ কিন্তু খুবই হাস্যকর, আর অযৌক্তিক।বিচার শালিশ সব মানি কিন্তু তালগাছটা আমার, কি বলেন? :-s শুনেন ১ সেকেন্ডে এই দুনিয়ে সৃষ্টি হয়েছে এটা বুজুরকি মনে হলে, ৬ দিনেই সৃষ্টি হয়েছে এটা কেন বুজুরকি মনে হবে না, বুঝিয়ে বলবেন?একটু সুবিধে হত তবে আপনার ভাষ্য বুঝতে। 🙂
@অর্ফিউস, কোরানে আল্লাহ তো দুটোই বলেছেন নাকি? তাহলে আপনার সমস্যা কোথায়? আর ভালো কথা ইসলামের সংশোধনের দরকার নেই। ইসলাম যা আছে তাই মানব জাতির জন্য যথেষ্ঠ।উদাহরন দিই-আজই আপনি বাংলাদেশে ইসলামি শাসন ব্যাবস্থা চালু করেন,যার অর্থনীতি ,প্রশাসন,বিচার সবকিছু হবে ইসলামিক নিয়ম অনুসারে দেখবেন সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। আপনাকে একটা কথা বলি-ক্ষুদ্র অর্থে ইসলাম হল ধর্ম আর বৃহত অর্থে ইসলাম সমাজ ব্যাবস্থা। আপনি তো আল্লাহ বা ইসলাম নিয়ে এটা সেটা বললেন কিন্তু একটা বিকল্প বিধান দিতে পারবেন না।আপনাদের কাজ ই হল কেন আল্লাহ এই বলেছে কেন সেই বলেনি, কেন ওটা বলেছে কেন সেটা বলেনি। হুদাই প্যান প্যান। মুরোদ থাকলে একটা বিধান দিন। নাকি শ্যাল শ্যালা আজকালের গণতন্র,উজবুক মানবাধিকার গুলোই আপনাদের বিধান!!!
@মরুঝড়,
ওই খানেইতো আমার আপত্তি ভাইজান।ঠিক ৬ দিন নাকি ৮ দিন কোনটা ঠিক বলেনতো?একই সাথে ২টা ঠিক হয় কি করে?আসলে আল্লাহ ৬ দিনে না ৮ দিনে দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন, সেটা বললেইতো ঝামেলা মিটে যায়।
জি আমি একমত।বিশেষ করে সুরা তওবার তুলনা করা যায় না।জনসংখ্যা কমাতে এর জুড়ি নেই।
তা গুরু কিভাবে হবে বিশদ ব্যখ্যা না দিলে নাদান বুঝবে কিভাবে? :-s
কি যন্ত্রণা, আমি কি নিজেকে নবী বলে দাবী করসি নাকি রে ভাই?আমার বিধান দিয়া কাম কি? আমি আমার বিধানে চলি। সত্য কথা বলার চেষ্টা করি,কারো ক্ষতি করি না,সৎ জীবন যাপন করার যথাসাধ্য চেষ্টা করি।আপ্নিও সেটা করেন, সমস্যা কি?এইগুলা করতে কিন্তু ইসলাম মানা লাগে না।
আসলে আল্লাহ আছে কি নাই, সেইটা নিয়া আমার কোনই মাথা ব্যথা নাই।নিজের পেটের ভাত নিজেকেই জোগাড় করা লাগে যেহেতু, কাজেই আল্লাহ থাকলেও আমার ২ পয়সা লাভ নাই( কোনদিন আসমান থেকে কিছুই তো দিলেন না তিনি!), আবার তিনি না থাকলেও আমার কোনই সমস্যা নাই, কারন জ্বিন , ভুত প্রেতে আমি ভয় করি না( বিশ্বাস করি না আর কি 😛 ) যে দোয়া দরুদ পড়ে ওইগুলা তাড়াতে আমার আল্লাহকে লাগবে! আমি আস্তিক নাস্তিক কোনটাই না। কাজেই বিধান ফিধান আমার দরকার নেই।
জি এইগুলানই আমি মান্য করা চলার চেষ্টা করি। তা মিয়া ভাইয়ের মানবাধিকার আর গনতন্ত্রের উপর এত রাগ কেন সেইটাইতো বুঝলাম না আমি! :-O
@অর্ফিউস, ৬ দিন না ৮দিন তার উত্তর দিয়েছি বোধ করি পড়েন নি । ইস্লামিক নিয়ম অনুসারেই সুন্দর ভাবে জনসংখ্যা কমানো যায় তা যে কোন্ দিন পড়েন নি, বোঝা যাচ্ছে। আল্লাহর চিন্তা করেন না ভালো কথা,আমি আবার পেটের চিন্তা করিনা তবে আমি যে না খেয়ে থাকি তা কিন্তু নয়। আর তার পরে যা সব লিখেছেন তাতে আপনার জন্য আমার শুধু আফসোস হচ্ছে। গণতন্ত্র পুজিবাদ আর মানবাধিকার কি জিনিষ না জেনেই তার সমর্থক হলেন? আপনি মাইকেল প্যারেন্টির দু একটি বই পড়ে দেখেন অথবা অথবা বিসিএস পরীক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী বইটি কিনে একবার পড়ুন। দুধ কা দুধ অর পানি কা পানি হয়ে যাবে। কিছু মনে না করলে একটা কথা বলি -ইসলামের সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে আপনার জ্ঞান কম,তাই গবেষণা করুন,আপনিই বুঝতে পারবেন। বুঝতে পারবেন কেন বিশ্বজিত মারা গেল,বুঝতে পারবেন কেন শুধু কিছু মানুষ নির্মম ভাবে ক্ষমতা আকড়ে বসে থাকে, রাজনৈতিক কোন্দল, খুনোখুনি কিসের জন্য,কেন গরীব মানুষ বিচার পায়না,কোন সমাজ ব্যাবস্থার কারণে বিকাশের মত সন্ত্রাসীরা ছাড়া পান,আর বিপ্লবের মত খুনী রাষ্টপতির ক্ষমা পান…যদি ঢাকায় থাকেন তাহলে বলব গনতন্ত্রের সমর্থক হবার আগে একবার সুপ্রিম কোর্ট এলাকা ঘুরে আসুন,বুঝতে পারবেন আমেরিকা কেন সারা বিশ্বে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এত পাগল,তার কি লাভ???
@মরুঝড়,
ইসলামিক সমাজ ব্যবস্থার একটু নমুনা—
দেখা যাক পৃথির পবিত্রভূমির অবস্থা সৌদিআরবঃ,
পরিসংখ্যানে বলা হচ্ছে, ২৩% শিশু সৌদি সমাজে ধর্ষিত হয়। আর ৬২% কখনোই কোন নালিশ করে না। কেননা ধর্ষকরা হয় আত্মীয়, অধিকাংক্ষেত্রে চাচাতো ভাই, শিক্ষিক এবং ১%পিতা।
hitt://en.m.wikipedia.org/wiki/Rape_Statitics
@(নির্জলা নির্লজ্জ), ড্রাইভার দেখে গাড়ির বিচার আর কত করবেন? আইন তো বাংলাদেশেও আছে ভাই প্রয়োগ কি আর হয়।? তারপরও বিশ্বে কোন দেশ বেশি নিরাপদ মনে আপনার কাছে? আমেরিকার কথা নিশ্চয় বলবেন না-নীচের লেখাটি পড়ূন- How Safe is Saudi Arabia?
Posted on April 12, 2010 by American Bedu
4 Votes
A common question I am asked by Americans, and especially those who have never been to Saudi Arabia is, “How safe is Saudi Arabia?” Speaking candidly, I actually felt safer and more secure in Saudi Arabia than many other places where I have lived to include America. I’m not denying that there are zero threats in Saudi Arabia, but when you look at the big picture and greater likelihoods of threat to an individual’s safety, there remains less crime, sale and/or use of drugs, gangs, theft or home invasions in Saudi Arabia than USA.
According to the Crime in America web site, there are 774,000 gang members and 27,900 gangs active in the United States. Crime in America has reported that 25 million individuals have used an illicit drug. Violence continues to increase each year in America’s schools. The composition in America continues to change with the influx of different ethnic groups, especially Hispanic and latino. The Homeless of America continue to increase and may still increase if economic reforms and creation of new jobs does not take effect soon.
In Saudi Arabia fewer homes are less likely to have a security alarm system than the number of homes in America. Risks of home invasion and/or burglary increase in Saudi Arabia if a residence is in a remote and secluded area. The esterahah, which is like a simple small farm, is typically located on the outskirts of city areas and where residents go on weekends to relax. To minimize the risk of a home invasion or burglary, individuals who live in more remote and private areas will be more likely to have an alarm system as compared to the many residents who live within cities and in compounds or private villas.
Another factor which has an impact towards lower crime in Saudi Arabia than America is also the penalties for committing certain crimes in the Kingdom. The sale or use of drugs holds a stiff penalty – death. Thievery and home invasion have steep penalties too. Saudi schools do not have the police presence or metal detectors to ensure that students are not being allowed into the school with dangerous weapons such as at some schools now in America.
In regards to terrorism, such as being targeted by Al Qaida, Al Qaida is less likely to go after a single individual. Saudi Arabia takes the protection of its citizens, both Saudi nationals and expatriate workers, very seriously. All compounds have security. Many compounds have multiple layers of security. Most compounds are protected by soldiers from the Saudi Arabian National Guard.
In conclusion, threats are everywhere and the range of threats is great. And I do not think one should be fearful of pursuing an opportunity in Saudi Arabia.
@মরুঝড়,
ভাই ড্রাইভার বাদ দিয়ে নতুন ড্রাইভার নিলেই পারেন। আর গাড়ির যদি একটু বর্ণনা দিতেন, তাহলে আমরা উপকৃত হব।
ভাই আমি তো ইংলিশ খুব একটা ভাল বুঝি না, যদি একটু বাংলায় রূপান্তর করতেন তাহলে অনেক উপকৃত হতাম।
@মরুঝড়, ভাইজান যখন সবই ধরে ফেলেছেন তাহলে তো আর কথাই থাকল না। এইবার আমি লেজ তুলে পালাই আর আপনি বিজয় কেতন উড়ান। খুশি তো? :rotfl:
@অর্ফিউস, আপনি লেজ নিয়ে বনে ফিরে যান, আর পারলে গনতন্র আর মানবাধিকারের হুকোয় দুটো টান দিয়েই যান।
@মরুঝড়, জী জনাব। :guru:
@মরুঝড়, :lotpot: :-Y :rotfl:
@মরুঝড়,
জনাব মরুঝড় সাহেব,
আপনি কি কোরান এবং হাদিছ এর অর্থ নিজে বুঝে পড়ে থাকেন? যদি পড়েন তা হলে দেখতে পাবেন এর মধ্যে একটা বা দুইটা নয়, অসংখ্য পরিমান পরশ্পর বিরোধী বাক্য,বিজ্ঞান বিরোধি বক্তব্য,আজগুবী বক্তব্য তে পরিপূর্ণ।
যে গ্রন্থখানির নির্দেশ অনুসারে প্রতিদিন আমাদের সোনার টুকরার উজ্জল ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাময়ী তরুনেরা শহীদ হওয়ার ধোকাবাজীর খপ্পরে পড়ে নিজেদেরকে বোমার বিস্ফোরনে উড়িয়ে দিয়ে নিররপরাধ অসংখ্য আল্লাহর বান্দাদেরকে হত্যা করতেছে এবং এটা এই গ্রন্থেরই নির্দেশ অনুসারে কেয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে–সেই গ্রন্থখানি কে একটু ভাল করে বুঝে পড়ে দেখতে অসুবিধাটা কোথায়?
আসুন এখন আমরা কোরান হাদিছকে ভাল করে বুঝে পড়ি।
আলোচনায় থাকুন। চলে যান না যেন।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
@আঃ হাকিম চাকলাদার, আপনার ৬ দিন না ৮ দিন নিয়ে যে প্রশ্ন তার উত্তর দিয়েছি সেটা পড়ে দেখেন তার পর মন্তব্য করেন।
ভাই নুরুল হক কিছু তিক্ত কথা বলব, আশা করি ক্ষমা করবেন। আমি এই ব্লগের একজন নবীন পাঠক। এই স্বল্প সময়ে বুঝেছি যে এই ব্লগে যে সকল আর্টিকেল লেখা হয় তা যথেষ্ট মান সম্পন্ন। কিন্তু গুরু চণ্ডালী দোষে দুষ্ট এবং বানান বিভ্রাটে ভরা আপনার এ পোস্টটি যথেষ্ট মান সম্পন্ন হয়েছে বলে আমি মনে করিনা।ধন্যবাদ।
@বিষন্নতা,
আপনি যেঁ সমস্যার জন্য অভিযোগ করলেন, তা অত্যন্ত হাস্যকর। আর উনি তো বললই উনার ব্যক্তিগত কোন কম্পিউটার নেই, তাই উনি ঠিক মত চেক করতে পারে নাই।
লেখাটা আপনার কেমন লেগেছে আমি জানি না তবে আমার খুব ভাল লেগেছে এবং যুক্তি গুলো ছিল চমৎকার আর সাবলীল লেখা।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন ।
@(নির্জলা নির্লজ্জ),
কিন্তু গুরু চণ্ডালী দোষে দুষ্ট এবং বানান বিভ্রাটে ভরা আপনার এ পোস্টটি যথেষ্ট মান সম্পন্ন হয়েছে বলে আমি মনে করিনা
কি জানি ভাই আপনার কাছে এ অভিযোগ অত্যন্ত হস্যকর মনে হল কেন জানিনা! আমি এর আগে এই ব্রগে এ ধরণের বিভ্রাট সম্পন্ন পোষ্ট পাইনি, তাই আমার মনে হচ্ছিল মুক্তমনা ব্লগে লিখতে হলে লেখা শুধু কুসংস্কার মুক্ত হলেই হয়না বরং বিভ্রাট বিহীন লেখারও প্রয়োজন হয়, হয়তো আমার ধারণা ভুল ছিল।
আর উনার লেখা সম্পর্কে বলতে হয় যে বেশ কষ্ট সাধ্য একটি পোষ্ট।বেদ, কোরআন, উপিনষদ আনেক কিছু পাঠ করে উনি লেখাটি তৈরী করেছেন।ভাববাদীদের সম্পর্কে লেখক যে কথা গুলো বলেছেন তার বেশির ভাগই সত্য।তবে তিনি এখানে বিভিন্ন রেফারেন্স টেনে যে প্রশ্ন গুলো উপস্থাপন করেছেন সে গুলোর কিছু প্রশ্ন ভাববাদীদের বিরুদ্ধে শত সহস্রবার উচ্চারিত হয়েছে এবং এর সঠিক জবাব তারা দিতে পারেনি-
যেমন: ঈশ্বর যদি সৃষ্টি হয়ে থাকেন তবে তাকে কে সৃষ্টি করেছেন? সৃষ্টির পূর্বেই বা কি ছিল ?
লেখকের কিছু প্রশ্ন হাস্যকর-
যেমন- সৃষ্টির পূর্বে তিনি অনাদি অনন্ত কাল নিচ্ছুব ছিলেন কেন?
আর তার নিম্নোক্ত প্রশ্নটি সাধারণ লজিকে যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত, তবে এ কাজটি অসম্ভব নয়।কেন এর জবাব নিচে দিলাম-
বিষয়টি এই রুপ যে ভাববাদী সমাজ মনে করেন। ঈশ্বর ইচ্ছা করলে সুচের ছিদ্র দিয়ে হাতীকে বের করতে পারে। এতে ভাববাদী সমাজ বিশ্বাসী। আমি মনে করি এখানে বাস্তবতার অভাব। যেমন ধরুন হাতীকে সুচের ছিদ্র দিয়ে বের করলে সুচের ছিদ্রটিকে হাতীর চেয়েও বড় করতে হবে। সুচের ছিদ্রকে হাতীর চেয়ে বড় করলে তখন সুচ আর সুচ থাকে না। সুুচের মৌলিক পরিবর্তন হবে। আর যদি হাতীকে সুচের ছিদ্রের চেয়ে ছোট করা হয় তবে হাতী আর হাতী থাকে না। বাস্তবতার আলোকে বিষয়টি তুলে ধরা হলো। ভাববাদী সমাজ বাস্তবতা স্বীকার করে না। তাদের শুভ বুদ্ধি উদয় হউক……
ভাববাদীরা এ কথাটি বলেন সম্পূর্ণ অন্ধ বিশ্বাসে। তাদের কাছে সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান অতএব একজন সর্বশক্তিমান সব করতে পারেন ।
আর লজিকাল সমাধান হচ্ছে, একটি হাতিকে প্রতিটি কোষে বিভক্ত করে সূঁচের ছিদ্র দিয়ে নিয়ে গিয়ে ওপাশে পুনগর্ঠিত করা।
আমি জানি এ কথা শুনে অনেক যুক্তিবাদী হাসবেন। তাদের জন্য সামান্য একটি উদাহরণ হলো টেলিভিশন। একটি ছবিকে অসংখ্য খণ্ডে বিভক্ত করে তারপর তাকে ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফোর্সে রুপান্তর করে কোন একটি জাগায় নিয়ে ছবিটিকে পুণগঠিত করা হয়।এখনও হয়তো যু্ক্তিবাদীরা হাসবেন।তাদের উদ্দেশ্য বলবো এক হাজার বছর আগে যদি আমি টেলিভিশনের কথা বলতাম তবে হয়তো তখনকার যুক্তিবাদীরা আপনাদের মতই হাসতেন। ধন্যবাদ।
আপনার ব্যক্তিগত কম্পিউটার নেই, এ জন্য সমস্যায় আছেন, এটা শুনে খুবই মর্মাহত হলাম। আমি ঢাকায় থাকি। আমি মুক্তমনার একজন অতিথি লেখক। আপনার অবস্থান কোখায় এটা জানতে পারলে হয়তো আপনাকে সাহায্য করতে পারতাম।
@হৃদয়াকাশ, নূরুল হক সম্পর্কে একটু লিখেছি উপরে।তার বাড়ী নীলফামারীর প্রত্যত্ত অঞ্চলের একটা গ্রামে।
@হৃদয়াকাশ,
নুরুল হক এর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার এই 01920646535 এই নাম্বারে যোগাগোগ করতে পারেন।তার সম্মতিক্রমেই নাম্বার টা দিলাম।
আপনার লিখা পরে অনুপ্রানিত হই। আপনার অসুবিধার কথা শুনে নিজের সাথে অনেক মিল খুজে পাই। ধর্মান্ধ পরিবার এর ছেলে আমি। খুব বেশি খারাপ লাগে যখন আপন মানুষদের ধর্মের কারনে হিংস্র হয়ে যেতে দেখি।আপনার কোন কাজে আসতে পারলে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করব।আপনার যদি কোন সমস্যা না থাকে আপনার লিখা স্ক্যান করে অথবা ছবি তুলে আমাকে মেইল করতে পারেন। আমি আবার সেগুলো টাইপ করে আপনাকে মেইল করতে পারি। আপনি সেখান থেকে কপি করেই মুক্তমনায় প্রকাশ করতে পারবেন।
[email protected]
ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ
@সাব্বির শওকত শাওন,
লেখক নূরুল হক কে ব্যক্তিগতভাবে আমি চিনি।তার বয়স এখন ৬০+ । তার শিক্ষাগত যোগ্যতাও খুব বেশী নয়।এইচ এসসি পর্যন্ত।তিনি শিক্ষা অফিসের একজন কেরানি হিসেবে চাকরী করার পর অবসর গ্রহণ করেন।আর্থিক অবস্থাও তার খুব ভাল নয়,চলার মত।তার সংগে যখন প্রথম পরিচয় হয়,তখন তাকে মুক্তমনা বলে আমার ধারণা হয়েছিল।তাই তখন তাকে কিছু বই (আরজ আলী মাতুব্বরের রচনাবলী,আকাশ মালিকের বোকার স্বর্গ,ও মুক্তমনা থেকে কপি করা বিভিন্ন লেখকের লেখা প্রবন্ধ ইত্যাদি) আমি সরবরাহ করেছিলাম।এই বই গুলো পেয়ে তার পড়ার নেশা আরও বেড়ে যায়।মাঝে মধ্যেই আমার কাছে এসে তিনি নেটে পড়তেন।প্রয়োজনে কপি করে নিতেন।কিন্তু সমস্যা হল তার নিজের কম্পিউটার নেই এবং তিনি কম্পিউটার চালাতেও জানেন না।লক্ষ্য করুন যে,এত জনের এত কমেন্ট,কিন্তু তিনি কোনটির জবাব পর্যন্ত দিতে পারেন নি শুধু কম্পিউটার না থাকা এবং না জানার জন্য।যতদিন তার কাছাকাছি ছিলাম,তার কাজগুলো আমি এডিট করে মুক্তমনায় প্রকাশের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম।তার লিখিত কমেন্ট আমি কিছু পোষ্ট করে দিতাম।এখন তার কাছ থেকে আমি অনেক দূরে।এর পরেও কিছু লেখা ইমেল করে আমার কাছে পাঠাতেন,আমি তা যথা সম্ভব এডিট করে মুক্তমনায় প্রকাশের ব্যবস্থা করেছি।কিন্তু এখন আমার নিজেরই সময়ের বড় অভাব।তাই তাকে বলেছিলাম,মান সম্মত লেখার চেষ্টা করতে যা এডিট করার প্রয়োজন হবে না।আর মুক্তমনায় প্রকাশের নিয়মাবলী তাকে শিখিয়ে দিয়েছিলাম যা থেকে তিনি নিজেই যেন পোষ্ট করতে পারেন।পরপর কয়েকটি লেখা তিনি সেভাবেই প্রকাশ করেছেন।কিন্তু তার বাড়ী গ্রাম এলাকায় হওয়ায় এবং তার লেখা এলাকার মানুষের নজরে আসায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন।যার ফলে সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। তবে তাকে যতদূর চিনেছি তাতে দমবার মত পাত্র তিনি নন।তবে বয়সটাই তার সমস্যার প্রধান অন্তরায়।
@বোকা বলাকা, সত্যি, নুরুল সাহেব সম্পর্কে জেনে খুব ভাল লাগল, এবং দারুন বিস্মিত আমি। এত প্রতিকুল অবস্থার মধ্যেও তিনি দমে যাননি, বরং সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন, তা আমাকে দারুন অনুপ্রাণিত করেছে। আমার বিশ্বাস আরও অনেককেই করবে।আর কিছু বলার ভাষা আমি খুজে পাচ্ছি না।তাঁকে আমার শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।তাঁকে দেখে অনেকের অনেক কিছু শেখার আছে বলে মনে করি আমি।তাঁকে দয়া করে আমার শ্রদ্ধা পৌঁছে দেবেন!
@ মুক্তমনা এডমিন.
Preview বাটনে ক্লিক করলে Preview আসতেছেনা। একটু ঠিক করে দিতে পারেন?
এখানে আল্লাহ পাক বিশ্ব সৃষ্টির কথা ৬ দিন বল্লেও আল্লাহ পাক আবার অন্য যায়গায় ২দিন+৪দিন+২দিন = ৮দিনের কথা উল্লেখ করেছেন।
যিনি সৃষ্টি করলেন তারই মুখে একই বিষয়ের উপর দুই রকম বক্তব্য কি করে হতে পারে?
লক্ষ করুন নীচে তিনটি আয়াতে সৃষ্টির সংখার যোগফল ২দিন+৪দিন+২দিন = ৮দিন হয়।
41:9
বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
41:10
তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
41:12
অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
😉
@আঃ হাকিম চাকলাদার, আপনি একটু নীচের লেখা টি পড়ুন-Six or Eight Days of Creation?
Published on: Friday 14 Oct, 2005
By: administrator
Introduction by Mohd Elfie Nieshaem Juferi
The gist of the missionary claim is as follows:
Two days for the creation of the earth, then four days to fill the earth with mountains, blessings and nourishment for all its inhabitants, and in the end two more days to create the seven heavens and create the stars in them. This adds up to 2+4+2 = 8 days in contradiction to the 6 days mentioned in the other verses.
Response
The problem of the missionaries with their so-called findings of “contradictions” in the Noble Qur’an is that they fail to note the methodology of how tafsir is performed. In response to this alleged “contradiction” in the aforementioned verses, we would like to cite Harun Yahya’s “How Do The Unwise Interpret The Qur’an?” for a refutation.
The Subject of Creation in Six Days
It is stated in various parts of the Qur’an that the universe was created in six days. Particular attention is often drawn to one section however, where the number of days in the separate verses mentioning the different stages of creation adds up to 8. Those who are unable to grasp the evident logic behind these verses assume them to conflict with all the other Qur’anic verses, which state the creation to have occurred in six days. These verses are as follows:
Say: ‘Do you reject Him Who created the earth in two days, and make others equal to Him? That is the Lord of all the worlds.’ He placed firmly embedded mountains on it, towering over it, and blessed it and measured out its nourishment in it, laid out for those who seek it — all in four days. Then He turned to heaven when it was smoke and said to it and to the earth, ‘Come willingly or unwillingly.’ They both said, ‘We come willingly.’ In two days He determined them as seven heavens and revealed, in every heaven, its own mandate. We adorned the lowest heaven with lamps and guarded it. That is the decree of the Almighty, the All-Knowing. (Surah Fussilat: 9-12)
If the days mentioned in the above verses are calculated, they add up to 8. Whereas it is stated in verse 3 of Surah Yunus and others that the Earth, the skies and everything in between were created in 6 days. This situation could appear incomprehensible to a superficial reader who refuses to use his mind and logic or to pay close attention. Those who approach the Qur’an to try to discover faults and contradictions frequently cite the above verse.
Yet, if a person concentrates and uses wisdom he can readily see that there is absolutely no paradox at all. If we pay attention to the periods of time stated in the verses we can reach the following calculations:
– It took four days from the time the universe was started until the sustenance had been made ready, or rather the necessary environment for living things was suitable, along with the creation of plants and animals.
– The beginning of this period, namely the shaping of the Earth along with the universe, or in short the creation of the world, took the initial two of these four days. So, these two days are not a separate time frame from those first four days. They are, to be more precise, the first two days of the four days mentioned in the next verse.
– In the 11th and 12th verses state that the sky was formed in 2 days. In conclusion, they add up to 6 days.
In short, the verses explain the separate time frames for each of the events that take place within the six days of creation.
It is imperative to clarify the point that the term “day” mentioned in these verses is not used to refer to a 24 hour-day but instead to indicate the different periods and phases.
We have used the traditional method of Qur’anic exegesis, i.e., al-Qur’an yufassiru ba’duhu ba’dan (different parts of the Qur’an explain each other). What is given in a general way in one place is discussed in detail in some other place in the Qur’an. What is dealt with briefly at one place is expanded in some other place.
And only God knows best!