[ অনেক সময় শুধু জান নিলেই চলেনা , হত্যা পরিকল্পনায় জান নেয়ার সাথে সাথে মান সম্মান নেয়ার বিষয়টাও অন্তর্ভূক্ত রাখতে হয় যাতে করে আহাজারির পরিমান সর্ব নিম্ন পর্যায়ে সীমিত রাখা যায় । মান না নিয়ে জান নেয়ার একটা সমস্যা আছে – এতে এক নতুন শহীদের জন্ম হয় ]
জনপ্রিয় ব্লগার ইস্রাফীল হিসুর সাথে আমার প্রথম পরিচয় হয় এই সময়ের সুপারহিট আদিরসাত্মক ‘ইশারা’ ব্লগের একটি ঘটনা নিয়ে । বাংলাদেশের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের প্রামাণ্যচিত্র সেই ব্লগে সচিত্র আকারে প্রকাশ হওয়ার পর আমাকে ডিজি সাহেব এক রকম জোর করেই তিন দিনের নোটিশে বার্লিন থেকে দেশে ফিরিয়ে আনেন। ভোর পাঁচটায় ঢাকায় ফিরেই ডিজি সাহেবকে ফোন করতেই অপর প্রান্ত থেকে বলে উঠলেন , “এক্ষণি বাসায় আয়, তোর সাথে জরুরী কথা আছে।” আমি আর কথা না বাড়িয়ে ফোন রেখে দিলাম। গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসা মেজর আসাদকে বললাম ‘ সরাসরি বাসায় যেতে বলেছে ।’ মেজর আসাদ সাথে সাথে মুহুর্তের মধ্যে গাড়িটাকে যেভাবে উল্টোদিকে ঘুরালেন সেটাকে দৃষ্টিনন্দন বললে অত্যুক্তি হবে না। আমি বিজ্ঞের মত জিজ্ঞাসা করলাম , ব্যাংককের কোর্সে শেখা ? আসাদ সাহেব মুচকি হেসে বললেন , না স্যার ! আমি অবাক হয়ে বললাম , তাহলে কোথায় ? আবার মুচকি হেসে বললেন, তেল আবিব, স্যার ।
ডিজি সাহেবের কাছ থেকে যা জানার জেনে বাইরে এসেই আসাদ সাহেব কে বললাম , আমার একজন নারী অফিসার দরকার।
অরুণা এবং আমি বসে আছি ঢাকার রূপসী বাংলা হোটেলের একটি কক্ষে। আমার পাশে ক্যাপ্টেন অরুনা প্রায় তিন ঘন্টা ধরে তার আই প্যাড নিয়ে ব্যস্ত। এর মধ্যে তার সাথে কোন কথা হয় নি তো বটেই দৃষ্টি বিনিময় হয়েছে এমনটাও বলা যাবে না। একটু পর পর তিনি কফির মগে চুমুক দিয়েই চলেছেন। আমাকে কফি পানে কেউ হারাতে পারলে এই অরুণাই পারবে ! এবার অরুনা একজনকে ফোন করে বললেন , “আসা চাই কিন্তু !” এটা বলেই আই প্যাডের কভার বন্ধ করে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, ই টি এ ২০২০ , স্যার । আমি ঠান্ডা কন্ঠে বললাম, রজার দ্যাট !
রাত পৌনে নয়টা বাজে। রুমের ভেতর ঘুট ঘুটে অন্ধকার কারণ সব বাতি নেভানো হয়েছে। দরজায় তিন বার পরপর নক করার শব্দ হওয়ার পর কয়েক সেকেন্ড পর দুবার নক হল। অরুনা দরজার কাছে গিয়ে বললেন , ইশারা ! অমনি অপর প্রান্ত থেকে একটা শিস দেয়ার আওয়াজ পেলাম । অরুণা দরজা খুলে দিতেই একজন ভেতরে প্রবেশ করে বললো , এত অন্ধকার কেন ? লাইট অন কর ! লাইট জলতেই প্রবেশকারী দেখলো যে, কক্ষে একজন নারী ও সাতজন পুরুষ এবং সবার হাতেই একটি করে হ্যাকলার এন্ড কক এমপি ৫ সাব মেশিন গান।
গুলশানের একটা সেইফ হাউজে ঘরের ভেতর তিন জন বসে আছি । আমি, মেজর আসাদ এবং আমাদের ‘অতিথি’। মেজর প্রশ্ন শুরু করলেন আমাদের অতিথিকে।
কয়টা ব্লগে ব্লগিং করেন ?
চারটা ব্লগে ।
সবই একনামে না মাল্টি নিকও আছে ?
এক নামে না, মাল্টি নিকও আছে ।
মাল্টি নিকে ধরা পড়েছেন কখনও?
না পড়িনি স্যার। ঠাঁস করে একটা চড়ের শব্দ হল । আমাদের অতিথি জোরে ও মা করে চিৎকার করে উঠলেন।
গুপ্তমনা ব্লগের নাম শুনেছেন কখনও ?
জ্বী স্যার , শুনেছি। ওখানে গুপ্তবাবুর চটির মত করে চটি লেখা হয়।
ওখানে ব্লগিং করেছেন কখনও ?
না , স্যার । ঠাঁস করে আবার একটা চড়ের শব্দ।
বেশ । এবার ওখানে আপনাকে ব্লগিং করতে হবে ।
চটি লিখতে হবে আমাকে স্যার ? আবার একটা চড়ের শব্দ কানে আসলো । ও বাবা বলে চিৎকার করে উঠলেন আমাদের অতিথি।
কার ভিডিও আপলোড করব স্যার ? কাঁদো কাঁদো কন্ঠে অতিথি বললেন।
সেটা সময়মত আপনার কাছে পৌছে যাবে। গুপ্তমনায় এবার কি নামে ব্লগিং করবেন ?
ইস্রাফীল হিসু। ঠিক আছে না স্যার ? আমাদের অতিথির দুটো রক্তলাল চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে।
দৈনিক কামকালের সম্পাদককে একটা ফোন করেই ডিজি সাহেবকে জানিয়ে দিলাম যে , সব কিছুই পরিকল্পনা মাফিক এগুচ্ছে।
একমাস পরে দৈনিক কামকালের প্রথম পাতায় একটি নারী কেলেঙ্কারী এবং শোক সংবাদ বেড়িয়েছে । জনপ্রিয় আদিরসাত্মক গুপ্তমনা ব্লগে প্রবীণ রাজনীতিবিদ এবং সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী জামিল চৌধুরীর পরকীয়া প্রেমের ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর মন্ত্রী মহোদয় নিজের লাইসেন্সকৃত পিস্তলের গুলীতে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার একমাত্র সাক্ষী জামিল চৌধুরীর ব্যক্তিগত ড্রাইভারের ভাষ্যানুযায়ী মন্ত্রী সাহেব হটাৎ নিজের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলী করেন। পুলিশ অবশ্য এরকম অশ্লীল ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ইস্রাফীল হিসু নামের এক ব্লগারকে খুঁজে বেড়াচ্ছে ।
আজ সকালে বার্লিনে স্টার বাকসে কফির অর্ডার দেবার সময় মুখ খুলতেই পেছন থেকে একটা নারী কন্ঠ বলে উঠল , দুটো ক্যারামেল মকা , ভেনটি ! আমি পেছনে তাকিয়ে দেখি এক চেনা মুখ । মুচকী হেসে বললাম , ইনসমনিয়া এখনও হয়নি ? বেড়ালের মত গর গর শব্দ করে উত্তর এল ” কামড় দেব কিন্তু !”
এই থ্রেডটি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতি উন্নয়নের সাথে সাথে এটা উন্মুক্ত করা হবে। সবাইকে অন্য লেখায় মনোনিবেশ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
উপরে ভবঘুরের মন্তব্য দ্রষ্টব্যঃ
সত্যি নাকি? এইসব কি ধরনের কথা? অদ্ভূত এবং হাস্যকর, তাই না? এই ব্যপারে মডারেশন টিম মৌন কেন?
@কাজী রহমান,
অভিযোগ অদ্ভূত এবং হাস্যকর বলেই সম্ভবতঃ এই মৌনতা।
প্রতি অভিজিৎ ও অন্যান্য এডমিন
আপনাদেরকে ধন্যবাদে দিয়েছিলাম এই বলে যে আমার লেখা প্রকাশের অধিকার আমাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে । আসলে ওটা ছিল আমার ভুল ধারনা। আমি ব্লগ লিখুন অপশনে ক্লিক করার পর সেটা ওপেন হওয়াতে এরকম ভেবেছিলাম। পরে একটা ব্লগ প্রকাশ করতে গিয়ে দেখলাম যে সেটা আপনাদের রিভিউ এর অপেক্ষায় রয়েছে ও প্রকাশ হচ্ছে না।অর্থাৎ আমার অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হয় নি। আমি অতি বিনয়ের সাথে অনুরোধ জানাচ্ছি- যদি লেখক অধিকার ফিরিয়ে না দিয়ে থাকেন , তাহলে রিভিউয়ের আওতায় আমার লেখা প্রকাশের দরকার নেই। দয়া করে সেটা মুছে ফেলার অনুরোধ করছি। অন্য কোন কারনে নয়, এটা আমার আত্মসম্মানের ব্যপার বলেই অনুরোধ করছি। আপনারা সবাই ভাল থাকবেন।
@ভবঘুরে,
এত ঝামেলার পরেও আপনার যে বোধদয় হয়নি তা বোঝা যাচ্ছে। আপনি মেটাব্লগ লেখা শুরু করেছেন, ‘তথাকথিত মুক্তমনারা’ শিরোনামে। মনে হচ্ছে আপনি ঝামেলা জিইয়েই রাখতে চান।
মুক্তমনার নীতিমালায় স্পষ্টই বলা আছে –
আপনি লেখা প্রকাশের চেষ্টার আগে দয়াকরে নীতিমালাগুলো পড়ে নিতে পারেন।
আপনার কাছে অনুরোধ থাকবে কলহমূলক লেখায় মনোনিবেশ না করে ভাল বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা লিখুন।
সবাই যার যার মতামত ব্যক্ত করেছেন এবং ব্লগার ভবঘুরেকে উনার নিবন্ধ প্রকাশের অধিকার আবার ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে । এখন সবাইকে এ বিষয়ে আর কোন মন্তব্য এই পোস্টে না করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। কারও এর অতিরিক্ত কিছু বলার থাকলে আলাদা পোস্ট খুলে করতে পারেন কিন্তু এই বিষয়ের উপর এখানে ১৪৪ ধারা জারী করা হলো। আপনাদের সকলের সহযোগীতা একান্ত কাম্য।
@সংশপ্তক,
তথাস্তু 🙂 । আমি এটা মেনে নিলাম। কিন্তু আমার কেন জানি মনে হচ্ছে যে আপনার ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে আরো কিছু মন্তব্য আসবে, ভবঘুরের গত মন্তব্যের প্রতিবাদে। 🙁 আপনি ভাল করে উনার মন্তব্যের শেষাংশ পড়ে দেখুন ভাই।
@সংশপ্তক, :guru:
@সংশপ্তক,
আপনার প্রিমাইস যেহেতু এখন ফলসিফাইড হয়ে গেলো, ১৪৪ ধারাও তৎক্ষণাৎ খারিজ ধরা যায়। তবে আপনার ক্ষতিপূরণ চাওয়ার পথ নিশ্চয়ই এখনো খোলা। 🙂
@সংশপ্তক,
সরি আপনার ১৪৪ ধারাটা আগে দেখিনি, দেখলে এতগুলো মন্তব্য করতাম না। :))
প্রিয় মডারেটর,
টেকনিক্যাল কারনে ভুল বশত: একই মন্তব্য দুইবার প্রকাশিত হয়ে গেছে। দু:খিত।
বিগত কিছুদিন কিছু পাঠক আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে প্রশ্ন করেছেন আমি কেন এখানে লিখি না। আমি তাদেরকে জ্ঞাতার্থে এখানে তার কারন ব্যখ্যা করলাম। বেশ কিছুদিন আগে এ সাইটের সবচাইতে প্রভাবশালী দুজন পরিচালকের সাথে ( ফরিদ ও সাইফুল) এর সাথে আমার কিছু মন্তব্য ও পাল্টা মন্তব্য হয় আর যার সূত্রপাত করেন মূলত: উক্ত ব্যক্তি দ্বয় যা অত্র সাইটের পাঠকরা লক্ষ্য করেছেন। অথচ সব দোষ আমার ওপর চাপিয়ে আমাকে দোষী সাব্যাস্ত করে অত্র ব্লগের তরফ থেকে একটা ই বার্তা পাঠানো হয় যা নিম্নরূপ:
বার্তা
মুক্তমনা এডমিন
আগস্ট ৩০, ২০১১ – ৪:০১ পূর্বাহ্ণ
পাঠিয়েছেন:মুক্তমনা মডারেটর
মুক্তমনালা নীতিমালা ২.৬ অনুযায়ীঃ
২.৬। মানবতাবিরোধী, বর্ণবাদী, লিঙ্গবৈষম্যবাদী, প্রোপাগান্ডামূলক, স্বাধীনতাবিরোধী কিংবা মৌলবাদী কোন লেখা মুক্তমনায় প্রকাশিত হবে না। প্রকাশের পর এসবের প্রমাণ পাওয়া গেলে তখনই লেখাটি মুছে দেয়া হবে। এ ব্যাপারটি মন্তব্যের জন্যও প্রযোজ্য। বর্ণবাদী, লিঙ্গবৈষম্যবাদী কিংবা জাতিবিদ্বেষী মন্তব্য মুক্তমনা নীতিমালার লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ধরণের মন্তব্যকারীকে মডারেটরের পক্ষ থেকে সতর্ক করা কিংবা ব্লগ থেকে বহিষ্কারের উদ্যোগ নেয়া হতে পারে।
অতীতে আপনার বিভিন্ন লেখা এবং গত কয়েকদিনে আপনার করা বিভিন্ন মন্তব্য থেকে এটা প্রতিয়মান যে আপনি উপরোক্ত নীতিমালা ভঙ্গ করেছেন। যার ফলশ্রুতিতে মডারেশন প্যানেলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপনাকে পূর্নাঙ্গ লেখক থেকে প্রদায়কে (প্রদায়ক: ব্লগে লেখা পোস্ট করতে পারবেন কিন্তু তা ব্লগের পাতায় প্রকাশের জন্য মডারেটরের অনুমোদন লাগবে। প্রদায়কের মন্তব্য লগ ইন অবস্থায় করা হলে সরাসরি ব্লগে প্রকাশিত হয়।) নামিয়া আনা হয়েছে। মডারেশন প্যানেল আশা করে ভবিষ্যতে আপনি মুক্তমনা নীতিমালা অনুসরন করে লেখা এবং মন্তব্য করবেন।
সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোন ওজর আপত্তি তোলা সঠিক হবে না বলেই মডারেশন প্যানেল মনে করে। সেই ক্ষেত্রে পরবর্তি পদক্ষেপ হয়ত আরো কঠোর হতে পারে।
ধন্যবাদ।
মুক্তমনা মডারেটর
উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে(আমার) চাপিয়ে দিয়ে আমাকে লেখা প্রকাশ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। তাতে আমি দু:খিত নই। শুধুমাত্র আমার সুহৃদ ও প্রিয় পাঠক বর্গের জ্ঞাতার্থে উক্ত বিষয়টি প্রকাশ করলাম। পরিশেষে, এ ব্লগের শুভ কামনা করে এ ব্লগ থেকে বিদায় নিলাম।
@ভবঘুরে,
আপনি, ফরিদ আহমদ কিংবা সাইফুল সবাই ব্লগের প্রভাবশালী সদস্য। কেউই আলাদা কিছু নয়। ব্লগের মানোন্নয়নের জন্য মডারেটরের চিঠিকে ‘উদোর পিন্ডি বুধোর ঘারে’ মনে করা ঠিক নয়। উধো বুধো সবাইকেই চিঠি দেয়া হয় যদি পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে চলে যায়।
‘অধিকাংশ মুসলমানই মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন আর যে কারনে তারা তাদের ধর্ম নিয়ে নিরপেক্ষ আলোচনাকে সব সময়ই এড়িয়ে যায়’।
কিংবা ‘যেহেতু উক্ত ১১২ জন মানুষ যারা লঞ্চ ডুবি হওয়াতে পানিতে ডুবে মারা গেছে তাদের জন্য শোক প্রকাশ না করে বরং উল্লাস প্রকাশ করা উচিত’
এগুলো মন্তব্য আসলেই মানবতাবিরোধী, বর্ণবাদী, লিঙ্গবৈষম্যবাদী, প্রোপাগান্ডামূলক বলে অনেকে ভাবতে পারে, বিশেষতঃ সংবেদনশীল সময়গুলোতে এগুলো আগুনে ঘৃত নিক্ষেপ করে বই কি। আপনি ইসলামের বিরোধিতা করুন যত ইচ্ছা, কিন্তু মুসলিমদের মেরে ফেলা কেটে ফেলা, কিংবা তাদের মৃত্যুতে উল্লাস প্রকাশ করার ছেলেমিগুলো বাদ দিতে পারেন অবলীলায়।
আপনাকে যেমন চিঠি দেয়া হয়েছে, আপনার প্রতিপক্ষকেও বলা হয়েছে পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য। এ ব্যাপারটা পজিটিভলি নিয়ে আবারো লেখা শুরু করুন। দেখবেন যারা আপনার সমালোচনা করছেন তারাই প্রশংসা করবেন আবারো।
আপনার জন্যেও শুভকামনা রইলো।
@অভিজিৎ,
অভিজিৎ’দা, আপনার একটা মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ধন্যবাদ, আপনার মন্তব্য থেকে বেশ কিছু জিনিস ক্লিয়ার হলো। কিন্তু, কিছু জিনিসে আরেকটু ব্যাখ্যা থাকলে ভালো হতো।
উনাকে শুধু চিঠি দেয়া হয়নি, সাথে সাথে উনার কিছু অধিকারও কেড়ে নেয়া হয়েছে। আর প্রতিপক্ষকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য; সেটার মানে কি তাদের ক্ষেত্রেও একই ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে?
কি ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটার ব্যাপারে অবশ্যই মডারেটররা সিদ্ধান্ত নিবেন। বার্তাটি পড়ে বুঝা যাচ্ছে মডারেশান প্যানেল যৌথভাবে সিদ্ধান্তটা নিয়েছে। অতএব, একটা প্যানেলের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ব্যাক্তিগতভাবে আমার শ্রদ্ধা আছে। কিন্তু, এটার মানে কি-
এটা কি মুক্তমনা কনসেপ্ট এর সাথে আদৌ সামঞ্জস্যপূর্ণ? বরং, সিদ্ধান্তের ব্যাপারে উনাকে আত্মপক্ষ সমর্থন করে, প্যানেলের কাছে একটা ব্যাখ্যা দেবার অনুরোধ করাই কি যৌক্তিক ছিল না? উনাকে মডারেটরের পক্ষ থেকে আপত্তি না জানানোর জন্য যে স্টাইলে বলা হলো, সেটাতেই আমি আপত্তি জানিয়ে গেলাম।
@মইনুল রাজু,
সহমত (Y)
@মইনুল রাজু,
মডারেটরদের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আমার বলার কিছু নাই। এডমিন যারা আছেন আমাকে ভবঘুরের মতন এইখানে ব্লগে মেসেজ দেন নাই, কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে বলছেন গালাগালি না করতে যেইটাই স্বাভাবিক।
ভবঘুরের মতন আবর্জনাদের এই ব্লগে না থাকাই মুক্তমনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ(অবশ্যই আমার মতে)। দেখেন গালাগালির প্রসংগ শুধুশুধু আসে না। উপরে অভিদা ভবঘুরের মাত্র দুই একটা মন্তব্যের কথা বলছেন যেইটা ভবঘুরের পশু মানসিকতার খুবই অল্প কিন্তু পরিষ্কার উদাহরন। আমি ওর কোন লেখাই পড়ি না, পড়ার রূচি হয় না, কিন্তু আমার ব্লগে কেউ কোন মন্তব্য করলে(পশুর মতন করলে) তাতে ছাড়তেও রাজি না। যেই ব্লগের মন্তব্যের কারনে ভবঘুরের এইখানে নাকি কান্না করতে আসছে ঐটা যে কেউ পড়লেই বুঝতে পারবে আমার গালাগালির কারন(অবশ্যই যদি পশু না হয়)। আমি পরিষ্কারভাবেই ভবঘুরে নামের এই পশুটারে আবারও একইভাবে এমনকি আরো অপরিষ্কারভাবে গালাগালি করব যদি আমার কোন ব্লগে যেয়ে একই রকমভাবে ইসলামের গান শুনাইতে আসে যেইখানে হাজার হাজার মানুষের জীবন নিয়ে সঙ্কা আছে। এইটার জন্য আমার দ্বিতীয়বার ভাবতে হইব না। কারন চুল পাকনা ভাম পাবলিকরে বুঝানোর কিছু নাই। প্যাদানিতেই ভালো কাজ দেয়। তার জন্য মডারেশন প্যানেল থেকে আমার জন্যও যদি কড়া সিদ্ধান্ত আসে তাতেও আমার কোন আপত্তি নাই কারন মডারেটেরদের কাজই ঐটা, ব্লগে খবরদারি করা যার সাথে আমার কোন বিরোধ নাই।
আর প্রভাবশালী কথাটার থিকে হাস্যকর অভিযোগ আর কী হইতে পারে? আমার প্রভাব খাটানো সম্ভব হলে মুক্তমনার সদস্য এখন অর্ধেকেরও কমে নেমে আসত।
ভবঘুরের (খোদা কতবার এই নোংরা নামটা নিতে হইল এই মন্তব্যটা করতে!) এই ব্লগ ছাড়ার কারনে ব্যাপক আনন্দ পাইলাম, কারো কারো মতন আবার ফেরত আইসা মামদোবাজি না করলেই খুশি হব।
@সাইফুল ইসলাম, ভাই আপনার কথা গুলো খুবই যৌক্তিক আমি স্বীকার করি, তবে বিশেষণ প্রয়োগগুলি ভাল দেখায় না।সুতরাং ব্যক্তিগত ভাবেই, আপনার একজন শুভাকাঙ্ক্ষী হিসাবে,আপনাকে অনুরোধ করব এই বিশেষণ প্রয়োগ করা থেকে দূরে থাকতে।এই অনুরোধটা বিবেচনা করবেন আশা রাখি, যদিও বিবেচনা করা না করা সম্পুর্ন আপনার নিজস্ব ব্যাপার।
বিশেষণ প্রয়োগের ব্যাপারটা ছাড়া আমি আপনার মন্তব্যটির প্রত্যেকটা কথার সাথেই পুরোপুরি একমত পোষণ করছি।কারণ গালাগালই বলেন আর বিশেষণ প্রয়োগই বলেন ( সেটা যে কেউ প্রয়োগ করলেই সেটা নিন্দনীয়)সেটা কোনভাবেই ভালকিছু বয়ে আনতে পারেনা বলেই আমার বিশ্বাস। ভাল থাকবেন ধন্যবাদ।
@মইনুল রাজু,
ঠিক।
আত্মপক্ষ সমর্থনেরর সুযোগ সুবিধা সবাই পেয়েছেন। একটা সময় আত্মপক্ষ সমর্থনের ব্যাপারটা যখন কেবল কাদা ছোঁড়াছুড়িতে রূপ নেয়, তখন আর সেটা সুযোগের পর্যায়ে থাকে না। কাউকে না কাউকে তো সিদ্ধান্ত নিতেই হবে, তাই না?
শোনেন রাজু, আমার কথা খুব স্পষ্ট। মেরে কেটে উল্লাস করার নানা বক্তব্য তারা দিতেই পারেন, এবং যারা এগুলো বলেন তারা কেউওই নিজের নামে ব্লগে কিছু করেন না। তাদের মন্তব্যের দায়ভার নিতে হয় আমাকেই, যে নিজের নামে মুক্তমনা নামে এই প্ল্যাটফর্মটা তৈরি এবং চালালনোর সাথে জড়িত। যেহেতু এসব মন্তব্যের জবাবদিহি আমাকেই করতে হয়, মানবতাবিরোধী, বর্ণবাদী, লিঙ্গবৈষম্যবাদী, জাতিবিদ্বেষী মন্তব্যের ব্যাপারে আমার অবস্থান স্পষ্ট। মুক্তমনা এগুলোর জায়গা নয়। বহু খামার ব্লগ আছে যেখানে এগুলো প্রশ্রয় দেয়া হয়, এখানে নয়। মুক্তমনায় কাউকে লিখতে হলে এগুলো বর্জন করেই লিখতে হবে।
ধন্যবাদ।
@অভিজিৎ,
এই ইদানিংকার অনুপস্থিতিগুলো নীড়পাতার একটা লক্ষণীয় নতুনত্ব বা সংযোজন বলা চলে। ব্যক্তিগতভাবে আমার পাঠআগ্রহের কাছে আগের নীড়পাতার চেয়ে এখনেরটাই বেশি স্বস্তিকর। তবে এটা কিঞ্চিৎ অচেনা মুক্তমনাও বটে। হয়তো এই কাইজার অবশেষে অবসান ঘটতে যাচ্ছে। মাঝখানে সংশপ্তকের অসাধারণ লেখাটার মতো কিছু লেখা হয়তো বলি যাবে আরো কিছুকাল। 🙂
@রূপম (ধ্রুব),
আপনার ক্ষুরধার লেখাগুলো দিয়ে মুক্তমনাকে আরও চেনা ও আকর্ষনীয় করে তুলতে পারেন কিন্তু! আপনার লেখা মুক্তমনায় কমই পাচ্ছে পাঠকেরা। অবশ্য সব জায়গাতেই আপনি কম লেখেন। তবে আরও বেশী লিখলে পাঠকের অপেক্ষার প্রহর কাটে। অবশ্য ‘নির্যাসের (মানের) সাথে আপোষ করে’ বেশি লেখা কখনই কাম্য নয়। আপনি তেমনটা করবেন না বলেও আমাদের বিশ্বাস। শুধু আপনার আরও বেশী উপস্থিতি- এটুকুই চাওয়া আমাদের। পাঠকদের।
@অভিজিৎ দা ,
ধন্যবাদ আপনার অসাধারণ জবাব দেবার জন্য।আপনার বিবেচনাবোধ আর নিরপেক্ষতার জন্যেই মুক্ত মনার বেশিরভাগ পাঠক( আমি সহ) আপনাকে স্বাভাবিক ভাবেই একটু আলাদা ভাবে বিশেষ শ্রদ্ধার চোখে দেখে ।
আসলেই উপরের মন্তব্যটি নিদারুন অমানবিকই নয় বরং খানিকটা অপ্রকৃতস্থের মত মনে হয়।এইসব মন্তব্য যেসব লোক করতে পারেন,তাঁরা অবলীলায় কিছুদিন আগের গার্মেন্টসে আগুন লেগে শত শত মানুষের প্রাণহানীর উল্লাস করা উচিত বলেই, অবলীলায় কোন লেখা লিখতে পারেন।
কাজেই তারা যতই শক্তিশালী ব্লগারই হোননা কেন, মুক্ত মনা যদি তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয় তবে আমি সর্বান্তকরনেই সেটাকে স্বাগত জানাই;কারন সেটাই স্বাভাবিক।
এখানেই মানবতা আর মুক্ত চিন্তার বিজয়, আর সঙ্কীর্ন মনের পরাজয়। (Y)
বি.দ্র. আমি জানি না লগ ইন করে এখনও মন্তব্য করতে পারব কিনা!লগ ইন হবার পরেও আবার রিজেক্ট হচ্ছে, সব নিয়ম মানার পরেও।কারণ মন্তব্যের প্রিভিউ এরর দেখাচ্ছে।
আমার আশঙ্কাই সঠিক, লগ ইন করে মন্তব্য করতে পারছি না। মানে আবার সেই সমস্যাটা ফেস করছি।
@অর্ফিউস,
যে কোন মন্তব্য করার আগে বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে জেনে বা বুঝে নেয়া জরুরী মনে করি আমি। তাই আপনাকে অনুরোধ করব আমার যে সব বক্তব্য নিয়ে এত কথা হচ্ছে সে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধ পড়ে নিতে। সেটা এখানে দেয়া আছে-
মেঘনায় লঞ্চডুবি ও শহিদী মর্যাদা
দয়া করে এটা একটু পড়ুন তারপর দেখুন কে সঠিক কে বেঠিক। মানুষের মৃত্যু নিয়ে মোটেই মস্করা করা আমার স্বভাব নয়, সেটা আমি করিও না কখনও।প্রতিটি অপঘাত মৃত্যু আমাকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। আর সব চেয়ে মজার বিষয় হলো উক্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয় মার্চ/২০১২ মাসে, তখন কিন্তু এর জন্য আমার লেখক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়নি। তখন কেড়ে নেয়া হলে আমি কিছুই মনে করতাম না। কেড়ে নেয়া হয়েছে যখন তখন আমি সম্পূর্ণ নিরাপরাধ। আশা করি , আপনার উপলব্ধির জন্যে এটুকুই যথেষ্ট।
@ভবঘুরে,
আমি এইখানে এই ব্যাপারে আমার সর্বশেষ মতামত দিচ্ছি ( অবশ্যই সংশপ্তকের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে), আর তা হল, একটি লেখাতে আপনার এই মন্তব্যটি আমি নিজে কপি আর পেস্ট করে দিয়েছিলাম, আপনার আর চাকলাদার সাহেব কে চ্যালেঞ্জ করতে গিয়ে। এর আগেও হয়ত অনেকেই এই ব্যাপারে কোন অভিযোগ করে থাকতে পারেন, সেটা আমার ঠিক নজরে আসেনি।তবে আমি এটা আমার এক মন্তব্যে সামনে আনার সময় আপনার পুরো লেখাটা পড়ে তার পরেই এনেছি।কাজেই আপনার নিচের এই কথাটার সাথে আমি কিছুতেই একমত হতে পারছিনা।
কারন যতই আগের লেখা হোক না কেন আপনার ওই মন্তব্য আসলে কোন ধারার মনে হয়েছে আমার দৃষ্টিতে তা আমি আগেই জানিয়েছি, আর এ নিয়ে নতুন করে কোন বিতর্ক সৃষ্টি করতে ইচ্ছুক নই আমি।
আর আপনাকে অথবা অন্য কাউকে সাজা দেয়া আর সেটা প্রত্যাহার করে নেয়াটা, মোডারেটরদের সিদ্ধান্ত।সেই সিদ্ধান্তকে যে কেউ স্বাগত জানাতে পারেন, আবার এর বিরোধিতাও করতে পারেন।কখন কাকে সাজা দেয়া হয়েছে, বা সাজা মাফ করা হয়েছে, সেটা মনে হয় কারো জানার কথা না, বিশেষ করে যেখানে আপনি নিজে থেকেই না বললে আমিও ব্যাপারটা জানতে পারতাম না।
সবশেষে আপনাকে একটাই অনুরোধ করব, আসেন এই বিষয় নিয়ে আর কথা না বাড়িয়ে,এই লেখাটির মুল বিষয়ের দিকে মনোযোগ দেই।
আপনাকে শুভেচ্ছা যে আপনি ফিরে এসেছেন (F) । আপনার কাছে চমৎকার গঠনমুলক সমালোচনা সমৃদ্ধ কিছু লেখার অপেক্ষায় রইলাম। ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।
@অভিজিৎ,
উক্ত বক্তব্য গুলো করা হয়েছিল অনেক আগের নিবন্ধে, তখন আমাকে কোনরকম নোটিশ প্রদান করা হয় নি। অথবা আমার নিবন্ধ প্রকাশের ক্ষমতা বন্দ করা হয় নি। তখন বন্দ করা হলে আমার বলার কিছু ছিল না বা আমি তাতে কিছুই মনে করতাম না। যখন আমার নিবন্ধ প্রকাশের ক্ষমতা বন্দ করা হলো তখন কিন্তু আমি সম্পূর্ণ নিরাপদ কারও বিরুদ্ধে কোন উস্কানিমূলক কোন মন্তব্য করিনি। পূর্বোক্ত দুই মহা পন্ডিত বা প্রতিভাধর ব্যক্তিদ্বয় উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য প্রকাশ করে ও বলা বাহুল্য, পায় পাড়া দিয়ে গোলমাল পাকাবার তালে থাকে , যে কেউ তখনকার মন্তব্য গুলো পড়লে তা বুঝতে পারার কথা। তারপরেও আমি তাদের বিরুদ্ধে কোন মানহানিকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকি। অথচ এসময়েই আমার অধিকার কেড়ে নেয়া হলো। এটা আমার কাছে খুব অদ্ভুত ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রনোদিত মনে হয়েছে। আমার মনে হয়েছে মুক্তমনা যতই নিরপেক্ষতা ও বাক স্বাধিনতার কথা বলুক না কেন, কেউ যেন পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে আর মানুষের স্বাধীনতা হরণের অপ প্রয়াসে লিপ্ত আছে। এভাবে চলতে থাকলে তাতে মুক্তমনা তার গৌরব হারাবে আর তার উ্দ্দেশ্য অপূর্ণ রয়ে যাবে বলে আশংকা হচ্ছে। আর বলা বাহুল্য, এটা আমার কাছে খুবই একটা গভীর ষড়যন্ত্রের মত মনে হয়েছে। মনে হয়েছে, খুব সুকৌশলে কেউ বা কারা মুক্তমনার জয়যাত্রাকে ব্যহত করতে চায়। পাঠকবর্গ যদি তখনকার মন্তব্য প্রতি মন্তব্য গুলো অনুসরণ করেন যে কোন সাধারন কান্ডজ্ঞান সম্পন্ন মানুষেরই তা বোঝা কথা।
পরিশেষে লক্ষ্য করলাম আমার নিবন্ধ প্রকাশের অধিকার আবার ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে, এ জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বি:দ্র: এখানে মন্তব্য কলামে এমন কিছু মন্তব্য দেখা যাচ্ছে যা একান্ত নীচ সম্প্রদায়ের লোকজন ছাড়া কেউ করে না, অথচ মুক্তমনাতে তা অবাধে প্রকাশিত হচ্ছে, বিষয়টি খুবই রহস্যময়।
@ভবঘুরে,
ব্যাপারটা এরকমভাবেও কেউ বলতে পারেন – এ ধরণের মন্তব্য করতে শুরু করেছিলেন বলেই এ ধরণের নোটিশের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। শুধু সে সময়ই নয় পরবর্তীতেও বিভিন্ন মন্তব্য আপনি প্রকাশ করেছেন মানুষের মৃত্যুতে উল্লসিত হয়ে, তাদের মৃত্যু কামনা করে – বিশেষ করে আপনার প্রতিপক্ষ যদি মুসলিম ধর্মের অনুসারী হন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে মুক্তমনার মডারেশন এ ব্যাপারে অবিচল। মানবতাবিরোধী, বর্ণবাদী, লিঙ্গবৈষম্যবাদী লেখা বা মন্তব্য মুক্তমনার জন্য উপযুক্ত নয়। এই প্ল্যাটফর্মে লিখতে হলে এ ব্যাপারটি মাথায় রেখে লিখতে হবে।
@ভবঘুরে,
কথিত গোলযোগ হয় নভেম্বর মাসে কিন্তু ই বার্তা পাঠানো হয় আগস্ট ৩০, ২০১১ যা কথিত গোলযোগের বেশ কয়েক মাস আগের । কি ব্যাপার ?
@সংশপ্তক,
এটার কাহিনীটা হলো ভবঘুরে যেটা কপি করেছেন সেটা বার্তার তারিখ না, ইবার্তার কোড বসিয়ে পেজটা তৈরি করার তারিখ। বার্তা পাঠানোর তারিখ থাকে বার্তাবাক্স পেজের টেবিলে। মূল বার্তার সাথেও তারিখ দেখানো উচিত ছিলো কিন্তু সেটা আমার মাথায় ছিলোনা যখন কোড করি, পরে কখনো ঠিক করে দিবো।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য ধন্যবাদ।
@ভবঘুরে,
আপনাকে আমি আগের বার বেশ পরিষ্কার করে বলে দিয়েছিলাম যে, মুক্তমনার মডারেশন প্যানেলে আমি আর নেই এবং এর সাথে কোনো ধরণের সংশ্লিষ্টতাও আমার নেই। আরো অনেকের মত আমি একজন সাধারণ সদস্যমাত্র। তার পরেও দেখা যাচ্ছে যে সুচতুরভাবে আপনি আমাকে সবচেয়ে প্রভাবশালী পরিচালক বানিয়ে ছাড়ছেন। আপনাদের সমস্যাটা যে ঠিক কোন যায়গায়, আমি ধরতে পারি না।
আপনাদের রসুনের কোয়ার মত এক দল বিদ্বেষী, সাম্প্রদায়িক, অসৎ, মিথ্যাবাদী, কপট, ধান্ধাবাজ, অন্ধকারে লুকোনো মুখোশধারী প্রতিক্রিয়াশীল কাপুরুষ ব্যক্তিদের সাথে দীর্ঘদিন লড়াই করতে করতে আমি ক্লান্ত। গিভ মি এ ব্রেক প্লিজ।
@ফরিদ ভাই,
চমৎকার বলেছেন।আমার হাত তালি দিতে ইচ্ছে করছে। :clap :clap (Y) (Y)
@অর্ফিউস, কিন্তু ফরিদ ভাই ক্লান্ত হলে চলবে না। আপনি মোডারেটর থাকুন আর না থাকুন, একজন অভিজ্ঞ যোদ্ধা হিসাবে প্রকৃত মুক্ত মনের মানুষেরা আপনার সহায়তা কামনা করে বলেই আমার বিশ্বাস। (F)
@ফরিদ আহমেদ,
হতাশ হবেন না প্লীজ! আপনি সহ অন্য অনেক লেখকই যেভাবে বৈচিত্রময় লেখা দিয়ে মুক্তমনাকে ভরিয়ে তুলছেন, আমাদের আলোকিত করছেন সেটাই ঠিক পথ। কিছু একপেশে, বিদ্বেষমূলক মানসিকতার লোক আশেপাশে থাকবেই, কিন্তু তারা তো মুক্তমনার মূল সুরকে ধারন করেন না। এদের যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভাল। নতুন লেখার অপেক্ষায়। (F)
@ভবঘুরে,
আপনার প্রতিও শুভ কামনা রইল (F) । আশা করি অচিরেই ফিরে আসবেন এখানে।আর আমার কেন জানি মনে হয় যে,এখান থেকে বিদায় নিয়ে ফাঁকা মাঠ খুঁজতে যাবেন না আপনি গোল করার জন্য, কারণ ওতে কোনই কৃতিত্ব নেই। 🙂 ভাল থাকবেন।
পরকীয়ার কারণে মন্ত্রীর আত্মহত্যা! :-X
মরার আগে বেটা নিশ্চই শোনেনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টনের মুখ মেহন, ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বালুসকোনি স্বল্প বয়সী নারী প্রীতির গল্প কিংবা নিদেন পক্ষে আমাদের দেশের জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট হু.মু.এর কথা। জানলে নিশ্চই আত্মহত্যার বদলে গর্ভে ফুলে যেত তার বুকটা :))
@রাজেশ তালুকদার,
এই লাইনটাই পড়েন নি !
আসল ঘটনা বলি। আমার নির্দেশে মেজর আসাদ মন্ত্রীর মাথায় ঐ মন্ত্রীরই নিজের লাইসেন্সকৃত পিস্তল দিয়ে গুলি করেন। এর পর তার লাশ গাড়িতে রাখা হয়। গাড়ির ড্রাইভার আর কেউ নয় হাবিলদার মফিজ মিয়া যিনি ৫ পুরুষ ধরে সামরিক বাহিনীর কর্মচারী। দৈনিক কামকালের সম্পাদককে ডেকে বলে দিয়েছি কি ছাপাতে হবে।
শুরুর এই লাইনটার গুরুত্ব বুঝতে পারেন নি :
বার্লিন থেকে ডিজির ( ডাইরেক্টর জেনারেল অব ইন্টেলিজেন্স) তিন দিনের নোটিসে আমাকে এমন এমনি দেশে আনা হয় নি! ঘটনা প্রথম পুরুষে যিনি বর্ননা করছেন তিনি একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং বার্লিনের দুতাবাসের সামরিক এ্যাটাশে।
হায় কোথায় সেই আদিরস, এ তো দেখি রিমান্ডের গল্প :)) খালি ভয় দেখান ভায়া।
ইশারাতে প্রকাশ হোল তখন কিচ্ছু হোল না কিন্তু গুপ্তমনায় প্রকাশ হবার পর মন্ত্রী ভ্যাটাশ! এইটা কেমন হোল?
ইটিএ ২০২০ কিন্তু দেরী হবার জন্য কেউ কাউকে কিচ্ছু বললো না যে। ওহ বুঝেছি, ইটিএ তো। হুমম
ও ও ওহ, এই অবস্থা। তারুন্যের এই তো মজা, সারারাত ওভারটাইম করলেও কড়া কফিতে সব আবার নতুন করে শুরু। আচ্ছা এই কামড়া কামড়ির হূমকিটা কি প্রি একশন নাকি পোস্ট? :))
@কাজী রহমান,
Reading comprehension test – এ আপনার স্কোর ২/১০ । 🙁
@সংশপ্তক,
সব ষড়যন্ত্র। পরীক্ষার খাতা ভুয়া টিচার দেখেছে।
কামড়াকামড়ি ছাড়া তীব্র আদিরস কি গায়েব করে দেবার ষড়যন্ত্রে থাকবে? তাই প্রশ্ন ছিল এইসব কামড়াকামড়ি কেন্দ্রিক।
সব ষড়যন্ত্র (H)
ইস্রাফীল হিসুকে গ্রেফতার করে অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার জন্য দেশের সুশীল সমাজ জোর দাবি জানিয়েছেন। ঘটনার নেপথ্যে কোন বিদেশি শক্তির হাত আছে কি-না তাও খতিয়ে দেখার আহ্বাণ জানানো হয়েছে ঐ বিবৃতিতে।
আর মুক্তমনায় এ ঘটনা ফাঁস করে দে’বার জন্য সংশপ্তককে খুঁজে বেরাচ্ছে পুলিশ। দু’এক দিনের মধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়বে বলে আশা করছে, আর রহস্যের ঝাল তখনই উন্মোচিত হয়ে যাবে, বলে আশা করছে প্রশাসন।
সকল প্রকার বিভ্রান্তি ও গুজব থেকে জনগণকে সজাগ থাকার জাতীয় নির্দেশ জারী করা হলো।
খবর মুক্তমনা ডট কম।
@স্বপন মাঝি,
সাধু ! সাধু ! সাধু !