প্রধানমন্ত্রী আপনার কুত্তাদের সামলান।
আকাশ মালিক
প্রথমে একটি পত্রিকার সংবাদ-
১৮ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে আজ (রবিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১২) সকাল নয়টার দিকে ঢাকার জজকোর্ট এলাকা থেকে বিএনপি ও জামায়াত-সমর্থিত আইনজীবীরা একটি মিছিল বের করেন। মিছিলটি ভিক্টোরিয়া পার্কের কাছে গেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আইনজীবীদের ধাওয়া দেন। এ সময় ভিক্টোরিয়া পার্ক-সংলগ্ন একটি তেলের পাম্পের কাছে তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তখন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পাম্পের দিকে ধাওয়া দিয়ে যেতে থাকলে আতঙ্কে পথচারী বিশ্বজিৎ দৌড়ে সেখানকার একটি ডেন্টাল ক্লিনিকের দ্বিতীয় তলায় আশ্রয় নেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে গিয়ে তাঁকে জাপটে ধরে এলোপাতাড়ি রড দিয়ে আঘাত করতে থাকেন। একপর্যায়ে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। গুরুতর আহত হয়ে পালাতে দৌড় দেন বিশ্বজিৎ। দৌড়ে শাঁখারীবাজারের একটি গলিতে গিয়ে ঢলে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় এক রিকশাচালক বিশ্বজিৎকে পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কিছুক্ষণ পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার আবু তানভীর সিদ্দিক বলেন, আঘাত ও প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে বিশ্বজিতের মৃত্যু হয়েছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে বিশ্বজিৎ সবার ছোট। বড় ভাই উত্তম কুমার দাসের পরিবারের সঙ্গেই পুরান ঢাকার ঋষিকেশ দাস লেনের এক বাসায় থাকতেন তিনি। পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজারে তাঁর একটি দর্জির দোকান আছে। তাঁর গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার মসুরা গ্রামে। হাসপাতালের মর্গে বড় ভাই উত্তম জানান, প্রতিদিন হেঁটেই দোকানে যান বিশ্বজিৎ। আজ সকাল নয়টার দিকে দোকানের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। ১০ মিনিট পর দুর্ঘটনার খবর পান তিনি। তিনি বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন, ছাত্রদলের কর্মী ভেবে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁর ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। অথচ শুধু বিশ্বজিৎ নয়, তাঁর পরিবারের কেউই কোনো রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।’
এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের একটি বক্তব্য-
আওয়ামী লীগ ও মহাজোটভুক্ত দলের অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের বিএনপির হরতাল প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেছেন, বিরোধী দল যেন বাস পোড়ানো, খুন-খারাপি কর্মকাণ্ড না করতে পারে তাই বঙ্গবন্ধুর সৈনিকের মতো অতন্দ্র প্রহরী হয়ে রাজপথে থাকতে হবে। সরকার কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে বিরোধী দলের এসব কর্মকাণ্ড প্রতিহত করা সম্ভব নয়। তাই তাদের প্রতিহত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সরকার দলীয় লোকদেরও হরতালে মাঠে থাকতে হবে।
(সুত্রঃ বাংলানিউজটুয়েন্টিফোরডটকম, ২৮ এপ্রিল ২০১২)
মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আদেশ পালন করতেই বঙ্গবন্ধুর সৈনিকের মতো অতন্দ্র প্রহরী হয়ে রাজপথে থেকে সরকার দলীয় যুবলীগ ছাত্রলীগ পথচারী নিরপরাধ বিশ্বজিৎ দাসকে দিনের আলোয় প্রকাশ্যে হাজারো মানুষের চোখের সামনে কুপিয়ে খুন করেছে, আর আপনার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা নীরব তামাশা দেখেছে। হরতাল অবরোধ প্রতিহত করতে যুবলীগ ছাত্রলীগ যদি ছুরি, চাকু, রামদা, পিস্তল নিয়ে রাজপথে নামবে, তাহলে সমস্ত পুলিশ বাহিনীকে ডেকে খোয়াড়ে নিয়ে দুবরা ঘাস খাওয়ান। বিশ্বজিৎ দাশ হত্যাকারীদের সারা দুনিয়া নিজ চোখে দেখলো, সাংবাদিকেরা ক্যামেরায় দেখালো, পত্রিকায় ছবি আসলো, ভিডিও ফুটেজ তাদের খুনের সাক্ষী হলো, আর সেখানে হত্যা মামলা হলো অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে। প্রথম আলো বলছে-‘
১০-১৫ গজ দূরে থেকে এ দৃশ্য দেখছিলেন লালবাগ অঞ্চলের উপকমিশনার (ডিসি) হারুনুর রশিদসহ অন্তত ৩০ পুলিশ সদস্য। হামলাকারীদের প্রতিহত করতে এবং বিশ্বজিৎকে রক্ষায় এগিয়ে আসেননি কেউ’।
এ কোন বর্বরতা, এ কোন অসভ্যতা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী? তদন্ত করে খুনীদের শাস্তি দিবেন কি, কয়টা কুত্তা ধরেছেন আগে সেই কথা বলেন। এতো তাড়াতাড়ি অতীত ভুলে গেলে চলবে? আমি আপনাকে কিছু অতীত স্বরণ করিয়ে দেই।
দীর্ঘ একুশ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল ১৯৯৬ সালে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে শুরু হয় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী তৎপরতা, আপনাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ভিত্তিতে, আপনাদেরই নির্দেশে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের সিট দখল, হল দখল, পাল্টা দখল, বন্দুকযুদ্ধ বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ব্যর্থ হয়েছিলেন কারণ তিনি জানতেন আপনারাই এ সন্ত্রাসের প্রশ্রয়দানকারী। যদিও সেদিন আপনি বলেছিলেন সন্ত্রাসীদের অন্য কোন পরিচয় নেই এবং ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধের চেষ্টা করছেন। আপনি আরো বলেছিলেন যে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
২৯ ডিসেম্বরের সফল সাধারণ নির্বাচনের পরের দিন থেকে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে কমপক্ষে দুই শ জন আহত হয়েছিল। তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আধিপত্য বিস্তার, হল দখল, কক্ষ ভাঙচুর, তালা ঝুলিয়ে দেওয়া এবং লাঠি ও ইট-পাটকেল ছুড়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ৮ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে বন্দুকযুদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ হয় তিনজন। সেই “রক্তাক্ত যুদ্ধ” হয়েছিল ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের মধ্যে। সেদিন শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের বহু অঞ্চলে ছাত্রলীগ, যুবলীগ দোর্দন্ড প্রতাপে বাধাহীনভাবে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়েছিল। সেদিন রাষ্ট্র ছাত্রলীগ, যুবলীগকে সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছিল আর, এই ব্যর্থতার ফল আপনারা হাতেনাতে পেয়েছিলেন ২০০১ সালের নির্বাচনে।
আমরা ২০০১ সালে ছাত্রদলের সন্তাসী কর্মকান্ডের কথাও ভুলি নাই। মনে আছে, ২০০১ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ ও জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের দখলমুক্ত করতে ছাত্রদলের ক্যাডাররা লাঠিসোটা দিয়ে ভাঙচুরের পাশাপাশি গোলাগুলি করেছিল। পিস্তল ও কাটা রাইফেল নিয়ে ছাত্রদলের ক্যাডারদের হল দখলের বেশ কিছু ছবি সে সময় ঢাকার বিভিন্ন দৈনিকে ছাপাও হয়েছিল। জগন্নাথ হল দখল শেষে তৎকালীন ছাত্রদলের সভাপতি ও সাংসদ নাসির উদ্দীন আহম্মেদ পিন্টু সেখানে হাজির হয়েছিলেন। তিনি ছাত্রদলের ক্যাডারদের সাফল্যে তাদের ধন্যবাদ জানান, উৎসাহ জোগান। তারপর তাঁর ক্যাডার বাহিনী পিস্তল আর বন্দুক নিয়ে জহুরুল হক হলের দখল নিয়েছিল। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পাঁচ বছর ধরেই তাদের অব্যাহত সন্ত্রাস, বন্দুকযুদ্ধ, অপহরণ, হত্যা, চাঁদাবাজি, জবরদখল চলছিল। এর পরিণতি কী হয়েছিল, তাও আমরা জানি। ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট মাত্র ৩১টি আসন পেয়ে লজ্জাজনকভাবে পরাজিত হয়েছিল।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টন ময়দানের কথাও আমরা মোটেই ভুলি নাই। ভুলি নাই শিবির নেতার সেই চিৎকার করে বলা ‘বন্ধুরা তোমরা বৃষ্টির মত গুলি বর্ষণ কর, তোমরা মরলে শহিদ বাঁচলে গাজী “। জামাত সেদিন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম দখল করে সেখান থেকে নিরীহ মানুষদের গুলি করেছিল। কিন্তু এসব কিছুকে ছাপিয়ে আজ বিশ্বজিৎ দাসের মৃত্যু ১৫কোটি মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়েছে, কারণ বিশ্বজিৎ কোন কুকুর দলের সন্ত্রাসী সদস্য ছিলেন না। তিনি ছিলেন সাধারণ কর্মজীবী মানুষ। আপনি আজ ক্ষমতাসীন, রাষ্ট্রের দায়ীত্বভার আপনার হাতে, এ হত্যার দায় আপনি, আপনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আপনার প্রশাসন কোন ভাবেই এড়াতে পারেন না।
আমরা সাধারণ পাবলিক ১৯৯৬ দেখেছি, ২০০১, ২০০৮ দেখেছি এখন ২০১২ দেখলাম। আজ যে আপনার চারপাশে অপদার্থ পা-চাটা কুকুর মস্তিস্কবিহীন পুলিশদের দেখছেন, তারা কাল আপনাকেও কামড়াবে সে কথা ২০০১, ২০০৮ আর ১৫ আগষ্টের একজন প্রত্যক্ষদর্শীর না বুঝার কথা নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এই কুত্তা বিলাইর কামড়া কামড়ি খেলা আর কতদিন? এক মাঘে শীত তো আর যাবেনা, কুরবাণীর চাঁদ আগামীতেও উঠবে। মখা আলমগীর আর সায়েরা খাতুনকে তাড়াতাড়ি খোয়াড়ে ঢুকান। আপনাদের পোষা কুকুর দিয়ে মানুষ হত্যার জন্যে আমরা আপনাদেরকে ভোট দেই নাই। এই পাবলিক ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিতে যেমন জানে, জুতোর মালা পরিয়ে বর্জন করতেও জানে। তাই বলছিলাম, আপনার কুত্তাদের সামলান, আর অতি সত্তর সকল অপরাধীকে বন্দী করে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করুন।
আমি মনে করি সরকারের আর ক্ষমতার থাকার অধিকার হারিয়েছে ।
তাই সময় থাকতে পদত্যাগ করা দরকার ।
@মিন্টু বগুড়া,
ঘর পোড়া গরু সিদুঁর দেখলেই ভয় পায়। ৪০টা বছর পেরিয়ে গেল আমরা কোথায় চলেছি? এর পর কী হবে সেটাও তো অনিশ্চিত।
When the people fear the government, there is tyranny. When the government fears the people, there is liberty.
@রৌরব,
সরকারের প্রতি পাবলিকের যে অধুনা প্রচলিত ভালোবাসার সম্পর্ক, সেটাতে কী হয় জানতে ইচ্ছে করে। সরকার এখন কারও স্বামী, কারো পিতা, কারো বিধাতা। (L)
নপুংসক সমাজ
দেখার কোন ভুল ছিল না
ছিল না ফাগুয়ার দিন;
ধাবমান চকচকে চাপাতি পেছনে ফেলে
মৃত্যূকে ঠেকাতে
রুধিরে মাখা শুভ্র জামা
ভুল পথে ছুটতে ছুটতে অসীম আতঙ্কে
কোটরগত চোখ দিয়ে কাতর বিলাপ করে,
আতঙ্ক, অনুনয় আর আর্তনাদ মিশে গেছে পীচঢালা পথে
কোরাসের সুরে ক্রমাগত উপচে পড়ে ইস্পাতের শাটার
দ্রুত খসে পড়ে জীবনের নখ, ক্লান্ত চোখ, বেশুমার শ্বাস
কেটে পড়ে পদক্লিষ্ট সরণির বেওয়ারিশ কুকুরের দল
কাকেদের সাথে উধাও রঙ্গিলা কোলাপসিবল গেট
হঠাৎ সব নামরদ পালিয়ে গেছে শ্রোণির আড়ালে
উষ্ণ রক্ত মাখা নিথর শরীরে আলোর স্রোতধারা
নপুংসক সমাজ এ মৃতদেহকে মমিতে অভিষিক্ত করো।
@আলী রেজা,
চমৎকার হয়েছে কবিতাটি। ধন্যবাদ
বিশ্বজিৎ হত্যার দায় আওয়ামীলীগ নিবে না। কথাটা বলেছেন আওয়ামীলীগের কোন এক নেতা। এখান থেকেই ছাত্রলীগের প্রশ্রয়ের উৎস বঝা যায়। সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক না সে শাস্তির আওতা মুক্ত নয় এই তত্ত্ব ফিকে হয়ে গেছে অনেক আগে। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড জামাত-শিবিরকে কথা বলার সুযোগ করে দিল। এভাবে মৃত্যুর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করাটা নির্মম। এটা নিষ্ঠুর।
@মুনসুর সজীব,
দীর্ঘ ২১ বছরের সামরিক দুঃশাসনের পর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ আমাদেরকে কিছুটা আশার সপ্ন দেখিয়েছিল। বিদ্যুত, গ্যাস, চালের দাম কমাতে সক্ষম হয়েছিল। সন্ত্রাসীরা প্রচুর অবৈধ অস্ত্র সারেন্ডার করেছিল। আমরা বড় আশায় বুক বেঁধেছিলাম-
AL’s second term in office had mixed achievements. Apart from sustaining economic stability during the Asian economic crisis, the government successfully settled Bangladesh’s long standing dispute with India over sharing the water of the river Ganges (also known as Padma) in late 1996, and signed a peace treaty with tribal rebels in 1997. In 1998, Bangladesh faced one of the worst floods ever, and the government handled the crisis satisfactorily. It also had significant achievements in containing inflation, and peacefully neutralising a long-running leftist insurgency in south-western districts dating back to the first AL government’s time. (সুত্রঃ উইকি)
কিন্তু ক্ষণিকের সেই সপ্ন ভাঙ্গতে খুব বেশী দেরী হয়নি। অন্যান্য কারণের সাথে ছাত্র লীগের সন্ত্রাসী অপকর্ম ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের জন্যে পরাজয় ডেকে এনেছিল। এবারে ২০০৮ সালেও প্রায় একই অবস্থা হয়েছে। বাংলাদেশ ওয়াচডগে জাফর সোবহানের একটি লেখা থেকে- THE AWAMI League-led government in Bangladesh, which completed 100 days in office, has received public approval, as expressed in opinion polls, for its management of the economy and for how it tackled the Bangladesh Rifles mutiny. The one explicit concern of citizens is that the AL cadre, including the student wing of the party, have begun to be involved in criminal acts, exactly as they did during the 1996-2001 government of the party. Overall, despite tensions that continue to simmer beneath the surface and in the face of economic problems, the elected government of Sheikh Hasina seems to be in a stable position.
সারা দুনিয়ার ইকোনমি যখন ভেঙ্গে পড়েছে তখনও আমরা মুটামুটি ভাল ছিলাম। রিপোর্ট ডেইলি স্টার পত্রিকা থেকে- The Daily Star conducted a country-wide poll on the first 100 days, carried out by the polling firm, A C Neilsen, and the results can only be read as highly encouraging for Sheikh Hasina and her government. Fully 70% of the poll’s respondents thought that the country was heading in the right direction following the December 2008 elections, and 80% indicated that they were either satisfied or highly satisfied with the incumbent government’s performance so far. Similarly, almost 60% of respondents indicated that they approved of the fledgling government’s handling of the economy, and over 70% approved of the government’s measures to address inflation and bring down the prices of essentials, which had been the public’s number one concern prior to the election.
তারপর অন্যান্য সমস্যা ও ব্যর্থতার সাথে- part of the problem is that a not inconsiderable proportion of crime is, in fact, committed by cadres associated with the party in power. It was extortion, looting, rape, and the like committed by AL party activists or their criminal affiliates (often the line between the two is blurry) that had been the biggest black mark against the last AL government (1996-2001) and that had been a major contributory factor to its ignominious defeat in the 2001 election, and the early signs are that the party has still to learn its lesson and rein in its hoodlum element.
When asked to identify the government’s principal weakness in its first 100 days, 24% of The Daily Star poll respondents cited law and order and a further 16% the negative role of the Chhatra League, the AL’s student wing, which has lost little time since the election in establishing itself at the expense of opposition party student wings and politically unaffiliated common criminal gangs, and has also been engaged in vicious intra-factional fighting over the division of the spoils
এবারে যে সময়টায় (বিজয়ের মাসে) বিরোধী দল হরতাল অবরোধ ডেকেছে, আওয়ামী লীগ এর সদব্যবহার না করে বা সুযোগ না নিয়ে, ছাত্র লীগকে অস্ত্র হাতে ধরিয়ে রাস্তায় নামিয়ে উল্টো নিজের পায়ে কুড়াল মারলো।
@আকাশ ভাই, আপনার বক্তব্য এবং তথ্য-উপাত্তের সাথে দ্বিমত করার কোন সুযোগ নাই। এখানে আমার অবস্থানটা পরিস্কার করে নেই। সেটা হল আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগের অস্র তুলে পথে নামিয়ে রাজনৈতিক ভাবে ভুল করেছে। বিরাট ভুল। এই শেষ মুহূর্তে বিশ্বজিৎ হত্যা ইস্যু অনেক দিক থেকে আওয়ামীলীগের উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। জামাত এবং বিএনপি এটাকে ভালো ইস্যু হিসেবে পাচ্ছে। কেউ কেউ কিন্তু বিশ্বজিতকে নিজেদের কর্মী বলে ইতোমধ্যে দাবী করে বসেছে। এটা দুঃখজনক। যাকে বলে লাশ নিয়ে রাজনীতি।
এছাড়াও হত্যা মামলার আসামীদের ধরা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পুলিশের সাংঘর্ষিক বক্তব্য জনমনে অবিশ্বাসের জন্ম দিচ্ছে। এটার ফল আওয়ামীলীগের জন্য কখনই সুখকর হবে না।
ধন্যবাদ 🙂
বিচার আগে প্রধানমন্ত্রীর হওয়া উচিত। লজ্জা থাকলে তিনি এতক্ষণে পদত্যাগ করতেন।
@তামান্না ঝুমু,
আপনার জন্য আমার খুব দুঃখ হয়। অনেক সাহস আর মেধা নিয়ে একটা নষ্ট দেশে আপনার জন্ম হয়েছে। কে জানে, হতে পারে আপনিই হয়তো একদিন কাঁপিয়ে দেবেন সবকিছু আমাদের বাঙলাদেশে!
ধন্যবাদ।
এই ঘটনার প্রসঙ্গে অন্য জাতির তুলনামূলক ব্যপারগুলো এসে যায়। আমার যতদূর মনে পড়ে, আরব বসন্তের শুরুটা হয়েছিল সরকারের এমন একটা আপাত দৃষ্টিতে ছোট একটা জুলুমের ভিতর দিয়ে। সাইবার ক্যফেতে বসে থাকা এক নিরাপরাধ যুবককে ধরে নিয়ে পুলিশ নির্যাতন করে মেরে ফেলে। পরের দিন থেকে ফেসবুকে আন্দোলন শুরু হয়ে যায়- আমরা সবাই জাকারিয়া বা এই জাতীয় কিছু, সেখান থেকে রাজপথে। এখানে ঘটনার বর্ননায় ভুল থাকতে পারে, থাকলে শুধরে দিবেন দয়া করে। যাই হোক, বলার কথা হচ্ছে- এটাইতো মানুষের লক্ষন, সংবেদনশীলতা না থাকলে মানুষ কিসের? আরবের লোকদের আমরা যতই গালি দেই, তারা তো এখনো মানুষ আছে। কিন্তু আমরা এ কি করছি? আমাদের উজ্জল তরুনরা কোথায়? আমরা কি পারি না ‘আমরা সবাই বিশ্বজিত’ নামে কোন মানবিক শ্রোত তৈরী করতে, যার তোড়ে সব আবর্জনা ভেসে যাবে? অবশ্যই পারি। তারা পারলে আমরা পারবো না কেন? আসুন না এখানে আমরা যারা আছি তারা সবাই একটা অভিন্ন প্লাটফর্মে দাড়াই। সেখান থেকে আওয়াজ তুলি, মানুষের আওয়াজ। তা না হলে আমরাতো মানুষ বা পশু কোনটাই হতে পারবো না, ভিন্ন একটা কিংডমের ভিন্ন এক প্রজাতি হয়ে ট্যক্সোনমিতে নাম লেখাতে হবে। কিন্ত এই কাজটা, এই দায়িত্বটা কাউকে না কাউকে তো শুরু করতে হবে। আন্দোলন কোন স্বপ্নবিলাস নয়, আন্দোলন সময়ের দাবি, মানবিকতার দাবী।
@শাখা নির্ভানা,
স্বপ্ন মরে গেলে, সব মরে যায়।
কাকে আপনি কুত্তা সামলানোর অনুরোধ করছেন? অত্যন্ত দূঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, আপনার মাথা ঠিক আছে তো?
জাতির জন্য একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। আশেপাশের এতগুলো মানুষ চেয়ে চেয়ে দেখল…… সাংবাদিকেরা তাদের “প্রফেশনাল” দায়িত্ব পালন করে শুধু ছবি তুলল…… পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে না জানার – না দেখার ভান করল!!!!! এমন হলে জাতি কখনও বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারবেনা।
বিশ্বজিতের আত্মা যেন শান্তিতে থাকে। এর বিচার না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সবাই দায়ী থাকবে। আর বিচারের সাথে সাথে এটাও নিশ্চিত করতে হবে যেন ঠুঠো জগ্ননাথ রাষ্ট্রপতি যেন অপরাধীদের “রাষ্ট্রপতির ক্ষমা” করার সুযোগ না পায়।
সঠিক সময়ে সঠিক টাইটেলর সঠিক নিবন্ধ হয়েছে। ঘটনাটির বিস্তারিত এখানে দেখতে পেলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে
@আকাশ মালিক, @আঃ হাকিম চাকলাদার,
এবং
আমার কাছে মোটেই তা মনে হয়নি। কুত্তার প্রকৃত শব্দ কুকুর, এক প্রভুভক্ত বিশ্বস্তবন্ধুর নামের প্রাণী বা জীব বলে সুবিবেচিত একে জন্তুদের, অসুর প্রকৃতির নিকৃষ্ট ঘৃন দানব-অমানুষের সনে তুলনা করাটা ওদের প্রতি অবিচার করার শামিল; ওরাতো মানুষহত্যাকারী না!!! তবে কেন ইতর শ্রেণীর পাষণ্ড, বর্বর, নরপশু, নরঘাতকদের সাথে ওদেরকে তুলনা করেন? অবশ্য কিছু মস্তিষ্কবিকৃতি অস্বাভাবিকপ্রকৃতির পাগলাকুকুর দেখা যায় যারা অকারণে নিরীহ পথচারীর উপর আক্রমণ করে কখনসখন। ঐ অবুঝ পাগলাকুকুর পথিকের পায়ে কামড়ালে, পথিক কি কুকুরের পায়ে কামুর দিবে? নিশ্চয় না, তারজন্য ‘যেমন কুকুর তেমন মুগুরে’র ব্যবস্থা থাকতে হবে এবং কুকুর কামড়ালে যে জলাত্মক রোগ হয় তার প্রতিষেধক প্রতিকার আছে।
ঐ অসভ্য-উন্মাদ-নিষ্ঠুর হায়েনাদের হাত হতে বাঁচার জন্য আশু-সুপ্রতিকার ব্যবস্থা না-নিলে তো ‘বিশ্বজিতে’র মত আরও যে কত মানুষ লাশ পরতেই থাকবে………!!!
@শামিম মিঠু,
সুপ্রতিকার ব্যবস্থাটা যে কী হতে পারে সেই কল্পনা, ভাবনা, চিন্তা করার শক্তিটুকুও আজ আমাদের হারিয়ে গেছে। শ্বাস নেয়ার মুক্ত বাতাস কমে যাচ্ছে। বাড়ছে আতঙ্ক আর হতাশা। আমরা বোবা হয়ে যাচ্ছি। এ যন্ত্রণা এ শোক বুকের উপর চেপে বসেছে জগদ্দল পাথরের মত। কিন্তু এ দেশটা এমন হওয়ার তো কথা ছিলনা।
কাশেম ভাই, আপনাকে আমি মানুষ বলবো। শুধু মানুষেরই পরিবর্তন হয়। আপনি বুঝতে শুরু করেছেন।
আমাদের আসল শত্রুর নাম মুজিব। ঐ শালাই আমাদের বাঁশ দিয়ে গেছে।
মানুষের মৃত্যু হয়, আর বাঙলাদেশে মানুষের মৃত্যু হয় শিয়াল কুকুরের মতো
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
??????
@আদনান আদনান,
আওয়ামী লীগের যত খুশী সমালোচনা করুন, বংগবন্ধুরও সমালোচনা করতে পারেন। কিন্তু গালি গালাজ বাদ দিলে হয় না?
বংগবন্ধুর পূর্ন মূল্যায়নের কোন দরকার এখানে দেখি না, শুধু অনুরোধ করি এখানে ‘শালা’ গোছের গালিগালাজ কঠোরভাবে নিরুতসাহিত করা হয়।
@আদনান আদনান,
আপনি চিন্তাশীল ব্যক্তি; নিশ্চই চিন্তাভাবনা করেই মন্তব্যটি করেছেন। অপ্রয়োজনীয় গালিগালাজ না করে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে বলুন কি করে আমরা তাঁর কাছ থেকে বাঁশ পেলাম।
@মনজুর মুরশেদ,
বাকশাল, আর রক্ষীবাহিনী।
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান, আপ্নি কোন দেশে থাকেন ভাই? বাকশাল এবং রক্ষীবাহিনীর জুজুর বাঁশ এখনও বের করতে পারেননি। এরপর মেজর সাহেবের দেয়া আইক্কাওয়ালা বাঁশ বের করতে তো আগামী একশ বছর লেগে যাবে মনে হচ্ছে। বাই দ্য ওয়ে, বাকশাল নামক শাসন ব্যবস্হা কবে শুরু হয়েছিল আর কবে শেষ হয়েছিল, জানা আছে নাকি আপনার? দিন-তারিখ জানা থাকলে একটু কষ্ট করে জানিয়ে যাবেন।
@হোরাস,
হুমায়ুন আজাদের “আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম?” পড়ে দেখতে পারেন। জ্ঞান বাড়বে। আর সবচেয়ে ভালো হয় নিজের পরিবারের বয়স্কদের কাছে মুজিবের নষ্টামির গল্প শুনলে। বাঙলাদেশে খুব কম পরিবার আছে যারা মুজিবের বাকশাল আর রক্ষীবাহিনীর দ্বারা অত্যাচারিত হয়নি।
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,আমি আপনাকে বাকশাল বাংলাদেশে কবে থেকে কবে কায়েম ছিল সেই প্রশ্ন করলাম আর আপনি আমাকে ইতং বিতং গল্প শোনাচ্ছেন। সেই গল্পও না হয় শোনা যাবে, আগে বলেন বাকশালী শাসনের অধীনে বাংলাদেশের মানুষ ঠিক কতদিন ছিল? বাস্তবে অস্তিত্বহীন সেই বাঁশের গল্প এখনও ভুলতে পারছেন না, বড়ই আজিব না ব্যাপারটা?
আমাকে বই পড়ার নসিহত না দিয়ে আপনিই বলে দিন না, ল্যাঠা চুকে যাক। শালা শেখ মুজিবের গল্প শোনালেন আর দুলাভাই মেজর সাহেবের বাঁশের কথা একবারও বলছেন না, ব্যাপারটা ঠিক নিরপেক্ষ দেখাচ্ছে না।
@হোরাস,
আহাঃ বিপদ তো আপনাকে নিয়ে! দুলাভাই মেজর সাহেবের মতো বাচ্চা লোকেদের নিয়ে কথা বলে কি লাভ? তারপরও আগে অনেকবার বলেছি মুক্তমনাতে, খুঁজে দেখেতে পারেন। দুলাভাইয়ের কাছে তো আমাদের কিছু চাওয়ার ছিলোনা। ১৯৭১ এর আগে, আমাদের অনেকের কাছে সবকিছু ছিলো মুজিব, কিন্তু সে এমন এক একনায়ক হয়ে ওঠে যে তার সামনে দুলাভাইকে খুব সামান্য একনায়ক বলেই মনে হয়। বাঙলাদেশের আদিমতম নষ্টটির নাম মুজিব। তার পাশে অন্য সব শয়তানই তুচ্ছ।
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান, মর জ্বালা, আবারও পিছলানী । আপনি বাকশালের বাঁশের কথা ভুলতে পারছেন না তাই আপনাকে আমি খুবই স্পেসিফিক একটা প্রশ্ন করেছি।
When was BAKSAL implemented in Bangladesh?
উত্তর না থাকলে চুপ থাই শ্রেয়। এই সব পিছলানীর কি মানে? এখন তো পিছলানী না বলে ভন্ডামী বলা উচিত বলে মনে হচ্ছে।
Next time you answer to this comment … the only thing you are going to say the dates when BAKSAL was implemented in Bangladesh. Nothing else should be coming out of you mouth. Is that clear?
@হোরাস,
বাদ দেন হোরাস ভাই, কোন লাভ হবেনা। আদনান সাহেব ইসলামিষ্টদের মতো নিজে কিছু না বলে, কোন তথ্য-উপাত্ত হাজির না করে এই লিংক সেই লিংক দিবেন, ডানে বামে খোঁচাখুঁচি করবেন তাতে তর্কের আগা মাথা কিছুই বুঝা যাবেনা। বদরুদ্দিন ওমরেরা তাদের পেটের অসুখ ডায়রিয়ার জন্যেও যে শেখ মুজিবকে দোষারূপ করবেন তাতে অবাক হওয়ার কী আছে?
@হোরাস,
নতুন করে বলার কিছু নেই। হুমায়ুন আজাদের “আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম?”-এ মুজিবকে নিয়ে শেষ কথা বলা হয়ে গেছে। আপনার চোখ খুলে যাবে, যদি “আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম?” কে সুযোগ দেন।
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান, Tell me the when was BAKSAL implemented in Bangladesh? Leave Humayun Azad out of it. Use your own brain if you have it.
@হোরাস,
ভাই হোরাস, আপনি যে কি একটা ফালতু প্রশ্ন গতকাল থেকে করে আসছেন তা বুঝে উঠতে পারছেন না। মুজিব প্রেমিদের অবশ্য গভীর জিনিস না বোঝারই কথা। এক সহস্র জন্মেও বুঝে উঠবেন না। হায়রে! আপনার সব সাধনাই তো পানিতে গেলো হোরাস ভাই। মুজিবের মতো একজন একনায়কের প্রেমে পড়ে তো নিজের মানবতা খোয়ালেন! ইতিহাস হয়তো আপনাকে ছাড়বে না। তবে মন্ত্রী হতে পারবেন…
ধন্যবাদ।
@ আদনান, ফালতু প্রশ্ন হলে উত্তর দিতে পারছেন না কেন? মুরোদ থাক্লে উত্তরটা দিয়ে দিতেন। আই হ্যাভ নেভার সীন এ মোরন লাইক ইউ বিফোর। উত্তর না জানলে অফ যান। আমার নস্ট করবেন না।
@আদনান আদনান,
হুমায়ুন আজাদের “আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম?”- বইটা কি অনলাইনে পড়া যায় বা কেনা যায়?
@মনজুর মুরশেদ,
সম্ভবত নিচের এই অংশটুকু আদনান সাহেবের খুব পছন্দনীয়, আপনার জন্যে তাই এখানে তুলে দিলাম-
মুজিবের পতনকে এগিয়ে দিয়েছিলো তাঁরই দুটি বাহিনিঃ লালবাহিনী ও রক্ষীবাহিনী। ১৯৭৩ এ মুজিব একবার একটি ভয়ঙ্কর রূপক ব্যবহার করেছিলেন, বলেছিলেন ‘লালঘোড়া দাবড়ানো’র কথা। মানুষ এই অস্পষ্ট রূপকের অর্থ স্পষ্ট করে বুঝতে পারে নি, তাই তারা ভয়ই পায় বেশি। এর পর যখন আব্দুল মান্নান নামের এক দুর্বৃত্তের নেতৃত্বে একটি বাহিনী গঠন করে নাম রাখা হয় ‘লালবাহিনী’, তখন জনগণ মনে করে এটিই মুজিবের রূপকের বাস্তব রূপ। হিংস্রতায় এটি ছিলো গেস্টাপো বাহিনী, যার হিংস্রতা এখনও কিংবদন্তী হয়ে আছে।
আরো একটি বাহিনী গঠিত হয় ‘রক্ষীবাহিনী’ নামে। এটিও ছিলো অশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন এবং হিংস্রতায় সুদক্ষ। ওটি ছিলো এক ধরণের ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’, তবে আরো ব্যাপক, আরো ভয়ঙ্কর। বাঙলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী এটিকে ভালো চোখে দেখেনি; তারা মনে করেছিলো এটি দিয়ে তাদের নিস্ক্রিয় করা হবে, তাদের অনেকটা অক্রিয় করে ফেলা হয়েছিলো আগেই। তাই এ বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছিলো দ্বিমুখিঃ সামরিক ও অসামরিক, এবং সব ক্ষোভ ধাবিত হচ্ছিলো মুজিবের দিকে।
মুজিবের সময় অজস্র ভালো কাজ হয়েছে; আন্তোনি যেমন বলেছিলো, ‘মানুষ যেসব অন্যায় করে সেগুলো তাঁর মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকে; শুধু ভালো কাজগুলো চাপা পড়ে যায় তাদের অস্থির সঙ্গে’, মুজিবের বেলাও তাই ঘটেছে, জনগণ তাঁর ভালো কাজগুলোর কথা ভুলে গেছে; জনগণ বুঝতেই পারে নি যে ওগুলো ভালো কাজ। ভালো কাজগুলো মানুষকে মুহূর্তের মধ্যে ভালো কিছু এনে দেয় না, দেয় দেরিতে; কিন্তু খারাপ কাজগুলো মুহূর্তে মানুষকে আক্রান্ত করে।
মুজিবের কথা মনে হলে আমার জুলিয়াস সিজারের কথাই মনে পড়ে।
মুজিব ক্রমশ হয়ে উঠতে থাকেন একনায়ক, গণতান্ত্রিক জুলিয়াস সিজার হয়ে উঠতে থাকেন একনায়ক সম্রাট জুলিয়াস সিজার, কিন্তু মুজিবের দুর্ভাগ্য তাঁর কোনো আন্তোনি ছিলো না।
মুজিব পরিবৃত ছিলেন দুষ্ট রাজনীতিক, বিশ্বাসঘাতক, ও স্তাবকদের দ্বারা, স্বার্থপরতা আর কৃতঘ্নতা ছাড়া যাদের আর কোনো প্রতিভা ছিলো না। তাঁরা অনেক আগে থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করতে থাকে, তিনি তা বুঝতে পারেন নি। চক্রান্ত করার থেকে যা ভয়াবহ তা হচ্ছে তারা তাঁকে দূষিত করতে থাকে; জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে থাকে।
মুজিবও ভুলে যাচ্ছিলেন নিজেকে ও জনগণকে।
মুজিবকে রাজমুকুট দেয়া হয় নি, দেয়া হয়েছিলো সংবিধানের ‘চতুর্থ সংশোধনী’। সেটি তিনি হাতে ঠেলে সরিয়ে দেন নি, গ্রহণ করেছেন; সেটি ছিলো রাজমুকুটের চেয়েও শক্তিশালী।
এমন ঘটনার জন্য আমরা বাঙলাদেশ চাই নি।
মুজিবকে ‘চতুর্থ সংশোধনী’র মাধ্যমে অর্পণ করা হয় মহারাজমুকুট, ক্ষমতা দেয়া হয় স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি। একনায়ক হওয়ার দিকে কেনো তিনি ঝুঁকেছিলেন? গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করলে তো তিনি সেদিকে ঝুঁকতে পারেন না। তাঁর কি মনে হয়েছিলো, তাঁর পুজোরীরা কি তাঁকে বুঝিয়েছিলো, যে তাঁকে বিধাতা হতে হবে?
তিনি কি চেয়েছিলেন আমরণ বাঙলাদেশের অধীশ্বর থাকতে? তিনি কি একটি রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করে রেখে যেতে চেয়েছিলেন যুবরাজদের, যারা তাঁর পরে হবে বাঙলাদেশের নিরঙ্কুশ অধীশ্বর?
‘চতুর্থ সংশোধনী’টি পড়ার সময় রক্ত ঠাণ্ডা হয়ে যায়; করুণা জাগে, এবং দেশ ও তার মহাননেতার ভবিষ্যৎ ভেবে হাহাকার করতে ইচ্ছা করে।
মুজিবই ছিলেন বাঙলাদেশে প্রকৃত একনায়ক-মহাএকনায়ক; তাঁর পরে যে সামরিক স্বৈরাচারীরা এসেছে, তারা তাঁর পাশে তুচ্ছ, আমের আঁটির ভেঁপু বাজানো বালকমাত্র।
একটি রাষ্ট্র সৃষ্টিতে তিনি যেমন মহাকায়, একনায়ক হওয়ার সময়ও ছিলেন মহাকায়-শুধু তখন তাঁর আকৃতিটি বদলে গিয়েছিলো।
চতুর্থ সংশোধনী তাঁকে করে তুলেছিলো মহাএকনায়ক; কিন্তু ওটি ছিলো তাঁর জন্য আত্মহত্যা; তারপর তিনি বেশিদিন জীবিত ছিলেন না, নৃশংসভাবে ঘাতকদের হাতে নিহত হয়েছিলেন; নিহত যদি নাও হতেন, চতুর্থ সংশোধনীর পর তাঁর জীবন হতো ধারাবাহিকভাবে আত্মহত্যা, মহানেতার শোচনীয় মর্মস্পর্শী পরিণতি।
১৯৭২ এ মুজিবের নেতৃত্বে প্রণীত হয় একটি অসাধারণ সংবিধান; কিন্তু ১৯৭৫ এর ২৫ জানুয়ারিতে তাঁরই হাতে নিহত হয় তাঁরই অসামান্য সংবিধানঃ বাঙলাদেশ গণতন্ত্র থেকে পা দেয় চরম একনায়কতন্ত্রে।
আমি তখন দেশে ছিলাম না, কিন্তু সারাক্ষন উদগ্রীব ছিলাম দেশের সংবাদের জন্য, দেশ সারাক্ষন আমাকে অস্থির করে রাখতো। প্রতিভোরে ছাত্রাবাসের পাঁচতলা থেকে ছুটে নিচে নামতাম দুটি জিনিশের জন্যঃ চিঠি ও গার্ডিয়ান পত্রিকার দ্বিতীয় পাতা দেখার জন্যে। চিঠিতে রাজনীতি ও দেশের অবস্থার কথা বিশেষ থাকতো না, অনেক কষ্টের কথা থাকতো, মাঝেমাঝে থাকতো সমালোচনা; কিন্তু গার্ডিয়ান বেশ প্রগ্রতিশীল পত্রিকা, প্রতিদিনই ছাপতো বাঙলাদেশ সম্পর্কে ছোটখাটো সংবাদ, যেগুলো সুসমাচার ছিলো না। প্রতিটি ভর ছিলো বেদনার, যন্ত্রনার, হতাশার। ১৯৭৪ এর বন্যার সময় গার্ডিয়ান একটি দীর্ঘ প্রতিবেদন ছেপেছিলো বাঙলাদেশ সম্পর্কে, লিখেছিলো বাঙলাদেশে শেখ মুজিবের সময় শেষ হয়ে আসছে, তিনি একনায়ক হয়ে উঠছেন, লোকজন প্রকাশ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানের কথা বলছে, তিনি মাস ছয়েকের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না, কিন্তু শেখ মুজিব হেলিকপ্টারে উড়ে বন্যা দেখে এখনো ‘স্পিকিং ইন পজেসিভ টার্মস লাইক ‘মাই পিপল’, ‘মাই আর্মি’। ওই প্রতিবেদন পড়ে বেদনায় বুক ভরে গিয়েছিলো, দেশের জন্যে ও তার নেতার জন্যে।
চমৎকার, বিশদ, অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন ও ভীতিকর ছিলো প্রতিবেদনটি। মুদ্রিত ইংরেজী পড়েই আমি মুজিবের ভগ্ন বজ্রকন্ঠ শুনতে পাচ্ছিলাম, ‘আমার জনগণ, আমার সেনাবাহিনী’। একাত্তরের ৭ই মার্চের কণ্ঠস্বর আর তাঁর ছিলো না, আমার তাই মনে হতো।
মুজিবের সামন্ততান্ত্রিক বঙ্গীয় দাম্ভিকতা সম্পর্কে আমার কিছু ধারণা ছিলো, ‘আমি’ ও ‘আমার’ ছিলো তাঁর প্রিয় শব্দ এবং ‘তুই’, তিনি তাঁর প্রিয় বা নিম্নদের ‘তুই’ বলতেই পছন্দ করতেন বলে শুনেছি; এখানেই তাঁর ও আমাদের একনায়কদের সঙ্গে, ইউরোপীয় একনায়কদের পার্থক্য। দ্য গল শেষ দিকে খুব অপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন, ফরাসি ছাত্ররাই শেষে তাঁর পতন ঘটিয়েছিল; তিনি কখন ‘আমি’, ‘আমার’ মতো অধিকারমূলক দাম্ভিক শব্দ ব্যবহার করতেন না। ‘আমি’, ‘আমার’ জায়গায় তিনি ব্যবহার করতেন ‘ফ্রান্স’; বলতেন, ‘ফ্রান্স এটা কখনো সহ্য করবে না’, ‘ফ্রান্স এটা মানবে না’, কিন্তু মুজিব ‘বাঙলাদেশ’-এর জায়গায় ব্যবহার করতেন ‘আমি’:যেখানে তাঁর বলার কথা ছিলো ‘বাঙলাদেশের জনগণ’, ‘বাঙলাদেশের সেনাবাহিনী’, সেখানে তিনি বলতেন, ‘আমার জনগণ, আমার সেনাবাহিনী’। দ্য গল নিজেকে করে তুলেছিলেন ফ্রান্স, মুজিব বাঙলাদেশকে করে তুলেছিলেন ‘আমি’- পশ্চিম আর পুবের মধ্যে এটা একটা লক্ষণীয় পার্থক্য।
মুজিবের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অভ্যুত্থানের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে আমি এক সহকর্মী অধ্যাপককে চিঠি লিখেছিলাম। তিনি ব্যাপারটিকে হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলাম ‘শাদাদের বাজেকথা’ বলে; কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে শাদাদের বাজেকথা যখন সত্য প্রমাণিত হয়,তখন আবার আমি বুঝতে পারি শাদারা আমাদের থেকে কতো বেশি অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্ন। কিছুই গভীরভাবে দেখা অভ্যাস আমাদের নেই, শাদাদের আছে।
এক বিয়ের অনুষ্ঠানে এক মেজরের স্ত্রীকে নিয়ে মেজরের সঙ্গে মুজিবের এক পুত্রের যে বচসা হয়, তাও গার্ডিয়ান এ বেরিয়েছিলো; এটা থেকে অশুভ কিছু ঘটতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিলো এক প্রতিবেদনে। গার্ডিয়ান বাঙলাদেশ বিরোধী ছিলো না, ছিলো পক্ষেই। মুজিবপুত্রের বিয়েতে রাজমুকুটের সংবাদ গিয়েও পৌঁছাত এবং গিয়ে পৌঁছাতো পথে পথে পড়ে থাকা লাশের সংবাদ। যুবরাজের বিয়েতে মুকুট পরানো হচ্ছে, পথে পথে লাশ পড়ে থাকছে, লাশ বিক্রি হচ্ছে, হিংস রক্ষীবাহিনী ত্রাস সৃষ্টি করে চলছে-এসব সংবাদ পেয়ে রক্ত কাঁপতো, বাঙলাদেশের মানচিত্রকে সোনার জুতাপরা পায়ে দলিত রুগ্ন জীর্ন অনাহারে মৃত ভিখিরির লাশ মনে হতো।
প্রকৃতি বেশি আতিশয্য সহ্য করে না, ইতিহাসও করে না।
@হোরাস,
বাক্সাল কি খুব প্রশংসনীয় বা মহৎ ব্যাপার ছিল? না হলে সেটা কতদিন স্থায়ী ছিল সেটা প্রাসঙ্গিক কেন হবে? খারাপ কি অল্পদিনের জন্য টিকে থাকলে সেটা ভাল হয়ে যায়? বাকপ্সাল ছয়মাস টিকে ছিল। ১৯৭৫ এ গায়ের জোরে না শেষ করলে তা চিরস্থায়ী হত। বাকসাল কি একটা মহৌষধ ছিল যার সুপ্রভাব আসতে সময় লাগত যদেটা আওয়ামীদের লাইন? সেটা তো ইসলামী শাসন অকালে শেষ হলে ইসলামিস্টরাও বলতে পারে যে আমাদের এ সময় দিলেন না, তাহলে ইসলামী শাসনের সুফল দেখাতে পারতাম। বাকসালের মত একটা চরম অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তো নৈতিকভাবেই অগ্রহণযোগ্য ছিল। স্বাধীনতা সংগ্রামের অপমান, মুক্তিযুদ্ধে নিহত লাখো শহীদের রক্তের সাথে বেইমানী। খারাপ খারপই, সেটা কতক্ষনের জন্য সেটা অবান্তর। কেউ যদি ধর্ষনের চিন্তা করে সে ধর্ষকই হয়ে যায়। করতে পারলেও,না পারলেও। বাকসাল যে ছয়মাস টিকে ছিলে তার তিক্ত স্বাদ তো সবাই টের পেয়েছিল। এটা তো সিঙ্গাপুরের লী কোয়ানের মত বেনেভোলেন্ট ডিক্টেরশিপ ছিল না। বাক্সাল হয়েছিলে মুজিব ও আওয়ামী লীগারদের ক্ষমতা চিরস্থায়ীকরণের জন্য, যাতে আর কোন দল বাংলাদেশে উঠতে না পারে। যাতে আওয়ামী দলের লোকেরা, যুবলীগের সদস্যরা বিনা বাধায় দেশ লুটে পুটে খেতে পারে। আওয়ামী লীগ =বাকসাল = বাংলাদেশ এই সহজ সমীকরণই তাদের এক কথা ছিল। উদ্দেশ্য ক্ষমতার মাধ্যমে লুটে খাওয়া। দেশের মঙ্গল উদ্দেশ্য থাকলে ৭২ থেকেই তার আলামত দেখা যেত, ১৯৭৫ এসে এই চরম অগণতান্ত্রিক পন্থা নিতে হত না। মুজিব সবসময়েই আওয়মী লীগকে দেশের চেয়ে বড় করে দেখতেন। এটাই তার পতনের কারণ ছিল।
আদনান কুরুচিপূর্ণভাবে মুজিবের উল্লেখ করেছেন। সেটা নিন্দনীয়। কিন্তু তাই বলে বাকসালের পক্ষে সাফাই গাওয়ার বা বাকসালের কুকর্মকে লঘু করার প্রচেষ্টা অনেক বেশী নিন্দনীয়।
@কালযাত্রী, বাকশাল ওয়াজ এ কনসেপ্ট যেটা বাস্তবতার মুখ দেখেনি। যে জিনিষ বাস্তবতায় রুপ পায়নি সেটা কনসেপ্ট হিসাবে যাইহোক তার প্রভাব আপনি কিভাবে ভোগ করলেন সেটা জানতে হবে না?
একটা থিউরী শুনতে যতই কারাপ লাগুক সেটাকে প্রয়োগ না করা হলেও আপনি তার দ্বারা কিভাবে ক্ষতিগ্রস্হ হলেন সেটা আমাকে ব্যাখ্যা করে বলেন।
@হোরাস,
বদরুদ্দীন উমর কিন্তু বেশ লিখছেন আমার দেশে। তিনি মুজিব আমলের ভয়াবহতার কথা কিন্তু বারবারই বলছেন।
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2012/12/13/177689
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান, খিকজ .. বদরউদ্দীন উমর। ওকে আপনাকে আমার ফেসবুক স্ট্যাটাসটা এখানে তুলে দিলাম ..
এখন বলেন বিশ্বজিত হত্যার সাথে বাকশাল আর বদরুরে টানার প্রয়োজনীয়তা কোথায়। প্রাসঙ্গিক কথা বলেন। অপ্রাঙ্গিক ক্থা বলবেন না।
@হোরাস,
‘ছাত্রলীগের মধ্যে ছাত্রশিবির-ছাত্রদল ঢুকে পড়েছে’– এটি একটি গা বাঁচানো কথা। প্রশ্ন হচ্ছে তারা ঢুকতে পারছে কেন? তাদের পরিচয় জানা গেলে বের করে দেয়া হচ্ছে না কেন? তারা অপরাধ করলে শাস্তি পাচ্ছে না কেন? যেহেতু ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় অপরাধ সঙ্ঘটিত হচ্ছে তাই ছাত্রলীগকেই এর দায় নিতে হবে।
পত্রিকায় দেখলাম প্রধানমন্ত্রীর সচিব সাহেব খুনীদের চৌদ্দগুষ্ঠির কে কবে শিবির/ছাত্রদল করতেন তার বয়ান দিচ্ছেন। ওনার যুক্তিতে তো প্রধানমন্ত্রীর সাথে রাজাকারদের সংযোগ আছে একথাও প্রমান করা সম্ভব। এসব বালখিল্য মন্তব্য না করে খুনীদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করুন, তাতে আখেরে লাভ হবে।
@মনজুর মুরশেদ,
আরে এতো ভেঙে কথা বলার কি আছে? হোরাস কি ন্যাঙটা বাচ্চা নাকি?
তবে হোরাস ভাইয়ের সাথে আমাদের সাবধানে কথা বলা ভালো। সে মুজিবের প্রেমে পড়ে গোল্লায় গেছে। টিভিতে আগামীকাল সকালে যদি দেখি সে কাউকে জবাই করছে, তাতে আমি অবাক হবো না।
ও আর তার আখের তো মন্ত্রীত্ব! সে তা পাবে। কিছু জবাই-টবাই করার পরেই পাবে।
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
মন্তব্যের শেষের অংশটা আসলে প্রধানমন্ত্রীর সচিবের উদ্দেশ্যে!
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
ইউ আর এ রিটার্ড। মানসিক প্রতিবন্ধী।
@আদনান আদনান,
এ সমস্ত কী আদনান সাহেব? আমরা বিশ্বজিত খুনের জন্যে দায়ী করছি সরকারকে, আওয়ামী লীগকে, ছাত্র লীগকে আর আপনি নিয়ে এলেন শেখ মুজিব। তাও অশ্লীল ভাষায়। ভাবখানা তো এমন দাঁড়িয়েছে, একদিন আপনারা পথের ধারে মরা কুকুর দেখলে বলবেন- শালা মুজিব তোর জন্যে আজ একটা কুত্তা মারা গেল। এ ভাবে হলে তো কোন বিষয়েই ব্লগে সুষ্ট আলোচনা সম্ভব হবেনা।
@মনজুর মুরশেদ,
আমিওত একিই প্রশ্ন করলাম এরা ঢুকতে পারছে কিভাবে। আপনি আমার কমেন্টটা কি ঠিকমত পড়েননি? আর আসলেই ঢুকেছে কিনা সেটা আপনার কাছে বিশ্বাসযোগ্য না হলেও আসলে অসম্ভব কিছু না। আর এটাও বলেছি সেটা হলেও ছাত্রলীগ কিংবা আওয়ামী লীগের দায় এড়ানোর কোন সুযোগ নেই। আমার কমেন্টটা আরেকবার পড়ার অনুরোধ করলাম।
@হোরাস,
আমার মন্তব্যটা আপনার মন্তব্যের সমর্থনেই করা আর শেষের বাক্যটা সচিব সাহেবের উদ্দেশ্যে। বোঝাই যাচ্ছে, আমার লেখার ‘ইন্টেলিজিবিলিটি’ এখনো কাঙ্খিত মানে পৌঁছায় নি 🙂
@আদনান আদনান,
– আমার পরিবার মনে হয় তেমনই এক বিরল পরিবার।
বাকশাল আওয়ামী লীগের এক রাজনৈতিক ভুল ছিল এটা আমি বিশ্বাস করি। রক্ষীবাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনেও সংশ্য প্রকাশের কোন কারন দেখি না। নৈতিক দায় বংগবন্ধুও এড়াতে পারেন না। এতে দ্বি-মত নেই।
কথা হল রক্ষী বাহিনীর অত্যাচারের মাত্রা আপনার দাবী অনুসারে অতটা হয়ে থাকলে মুজিব শাসনের পতনের পরবর্তী কালে অত্যাচারিতরা কয়জনা আইনী পথে মামলা মোকদ্দমা এসব করেছেন? আওয়ামী বহু নেতা ৭৫ এর পর বছরের পর বছর জেল খেটেছে। রক্ষী বাহিনী ঘটিত মামলায় কয়জন পড়েছে, কয়জনারই বা শাস্তি হয়েছে? ৭৫ থেকে ৯৬ দেশে ছিল আওয়ামী বিরোধী ধারার সরকার। এর ব্যাখ্যা আপনার কাছে কি মনে হয়?
@আদিল মাহমুদ,
রক্ষী বাহিনীর অনেকেই বাঙালী ছিলোনা। শুনে আশ্চর্য হচ্ছেন, না? তা হবারই কথা!
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
অনুগ্রহ করে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যায় কি? হলে খুব ভাল হয়। ইতিহাসটা অনেক ক্ষেত্রেই প্রচারে আর বিজ্ঞাপনে ঢাকা পড়ে যায়।
আমরা ক’জনেই বা জানি কে ছিলেন তাজউদ্দীন আহমেদ, কেন শেখ মুজিব তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিলেন। কে ছিল খন্দকার মুশতাক, সে কেন শেখ মুজিবের ছায়ার আশ্র্য় থেকে বঞ্চিত হয়নি। শেখ মুজিবই বা কেন তাজউদ্দীন আহমেদের কাছ থেকে যুদ্ধ পর্ব্ব শুনতে চায়নি।
জিয়া-ই বা কেন হাজী মহসিন এ নৌ স্কাউটদের ‘এহলান শেহলান- মারহাবা মারহাবা’ বলতে উদ্বুদ্ধ করে।
বর্তমান কালখন্ডকে বিচার করতে হলে অতীত খুঁড়তে হবে। এসব খোঁড়াখুঁড়ি আরামপ্রিয়দের পছন্দ না হতে পারে কিন্ত ছাড় দিলে ভবিষৎ খুনোখুনির কুরুক্ষেত্র হয়ে উঠবে।
@স্বপন মাঝি,
রক্ষী বাহিনীর কমাণ্ডাররা অধিকাংশ ছিলো কিছুটা নেপালি টাইপের দেখতে। তারা বাঙলা ভাষায় কথা বলতে পারতো না। ধারণা করা হয় যে তার ভারতের কোন এক এলাকার লোক ছিলো। এক এক এলাকায় ৪/৫ জন করে তারা থাকতো, আর তাদের সাথে থাকতো এলাকার ১/২ জন, আর ২৫/৩০ জন বাঙলাদেশের অন্য এলাকার লোক। কোনো এলাকায়-ই সেই এলাকার ১/২ জনের বেশি লোক থাকতো না।
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
রক্ষী বাহিনীর অনেকেই বাংগালী ছিল না এ চমকপ্রদ তথ্য অবশ্যই আমার কাছে নুতন, আপনি এ নিয়ে বিস্তারিত পোষ্টাকারে দিলে সেটা খুব আগ্রহ নিয়েই পড়ব। নুতন কোন দৃঢ় তথ্য ভিত্তিক ধারনা পেলে আপনাকে খোলা মনে ধন্যবাদ দেব।
আমার প্রশ্ন ছিল আপনার কাছে সরাসরি। তার জবাবেই কি এই তথ্য দিলেন? মানে বাংগালী ছিল না বলেই তাদের বিরুদ্ধে ‘৭৫ এর পর যখন আওয়ামী লীগ দৌড়ের ওপর ছিল তখন মামলা মোকদ্দমা করা যায়নি? আপনার নিজের বাবা ভাই রক্ষী বাহিনীর হাতে নিগৃত হয়ে থাকলে ‘৭৫ এর পর আপনি কোন আইনী ব্যাবস্থা নিতেন না? বিশেষ করে রাজনৈতিক পরিবেশ যে সময় পুরোপুরি আওয়ামী বিদ্বেষী? আপনি ছেড়ে দিতেন কি?
যেসব পুলিশ বা তেমন আইনী সংস্থার লোক নিরীহ লোক পেটায়, হত্যা করে তারাও হয়ত অবাংগালী কে জানে।
আমার জানা মতে রক্ষী বাহিনীর বেশ বড় অংশকে ‘৭৫ এর পর সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। হতে পারে অবাংগালীদের বেছে বেছে বাদ দেওয়া হয়েছিল, আপনি ভাল বলতে পারবেন। এন্টি-মুজিব ধারার লোকের নয়নের মনি জিয়াউর রহমান সাহেবের শাহাদাত বরনের রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে তার জীবন রক্ষায় প্রান দেওয়া একজন অফিসার ক্যাপ্টেন হাফিজ ছিলেন রক্ষী বাহিনী থেকে সেনাবাহিনীতে রিক্রুট।
@আদিল মাহমুদ,
আর সেই জিয়াউর রহমান সাহেব ছিলেন বাকশালের একজন প্রথম সারির সদস্য।
@আকাশ মালিক,
ধুস! জিয়ার মতো ফালতু লোককে নিয়ে কথা বলা আর সময় নষ্ট করা একই কথা। আরে আরো একটু সময় নষ্ট হয়ে গেলো যে আমার!
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
আপনার এই মন্তব্যের সাথে বিশ্বজিৎ হত্যার সম্পর্কটা কী বুঝতে পারি নাই। আপনি বরং মুজিবের অপকর্ম নিয়ে আলাদা একটা লেখা দিয়ে দিন।
@আকাশ মালিক,
সব নষ্টের শুরু থাকে। মুজিব আমাদের নষ্টের শুরু। তার নষ্টামির সংশোধন হচ্ছেনা দেখেই বিশ্বজিৎরা খুন হচ্ছে।
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
আপনি প্রথমে “শালা” বললেন, আপনাকে খুব ভদ্র ভাবে এখানে কয়েকজন বলার চেষ্টা করল, কথাটা দৃষ্টিকটু। আপনি মুজিবের শাসন আমলের সমালোচনা করুন, আমি আগ্রহ নিয়ে পড়ব। কিন্তু আপনি আপনার মন্ত্যবের ভাষা তো পরিবর্তন করলেনই না, উলটো “মুজিবের নষ্টামো” ধরনের vague মন্তব্য করে গেলেন। আমি জানি না, আপনি কেন মনে করছেন এখানের পাঠকরা বাকশাল বা রক্ষীবাহিনী সম্পর্কে জানে না! কিন্তু এভাবে আপনার স্বল্প কথায় আক্রমনাত্মক হবার কোন কারণ দেখছি না। আমি এমন বয়স্ক পরিবার সদস্য দেখেছি, যারা সরাসরি রাজনৈতিক ভাবে আওয়ামী লীগের সমর্থণ করে না, কিন্তু কোন দিনও তাদের আপনার মত ভাষা ব্যবহার করতে দেখি নাই! আবার আপনার উদাহরণের মত বয়স্ক মানুষও দেখেছি যারা এরকম ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ঐ সকল আক্রমণাত্মক ব্যক্তিদের কাহিনী যতই আগ্রহদায়ক হক না কেন, খুব বেশি শোনার রুচী হই নি। কিন্তু এমন না যে তারা কোন শ্রোতাই পান না, এটা আপনার মন্তব্য থেকে বুঝতে পারছি। যাই হোক, আপনি আশা করি এরকম ঋণাত্মক মন্তব্য করা থেকে বিরত হবেন।
@সুম সায়েদ,
মুজিব তার সারা জীবনে বাঙলাদেশের জন্য কোন ভালো কাজটা করেছে? তার একটা ভালো কাজের সন্ধান কি দিতে পারবেন?
ধন্যবাদ।
@সুম সায়েদ,
http://www.amardeshonline.com/pages/details/2012/12/13/177689
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান, আপনি যে লিংকটি ধরিয়ে দিয়েছেন তাতে ‘মুজিব’ শব্দটিও নেই।
জ্বি ভাই, চরম প্রশ্ন করেছেন বিজয়ের মাসে। মুজিব কোন ভালো কাজ করে নাই “বাঙলাদেশের” জন্য। তবে মুজিব না থাকলে “বাংলাদেশ” হতো না, প্রশাসক হিসাবে সে যাই হোক না কেন। অবশ্য যে দেশ আপনার মত সুসন্তানদের জন্ম দেয়, সেই দেশের ভিত রচনা করে মুজিব ভালো কিছু করে নাই এইটা এখন বুঝতেছি।
এই নিন,
httpv://www.youtube.com/watch?v=Ep74MqbXEWU
আপনার দ্রুত আরোগ্যলাভ কামনা করছি।
@আকাশ মালিক,
মুজিবের ভূত নামে একটি উপন্যাসের উপর কাজ করছি। ২০১৫/১৬ তে পাবেন। আমাকে আগে ২০১৪ তে হুমায়ুন আজাদকে নিয়ে লেখা উপন্যাসটি ছাড়তে হবে।
মুজিব কে নিয়ে আপনার যতো প্রশ্ন আছে আপনি তার উত্তর হুমায়ুন আজাদের “আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম?”-তে পাবেন। নতুন করে তিন পাতা লিখে আমার আতেল সাজার কোনো ইচ্ছে নেই।
ধন্যবাদ।
@আদনান আদনান,
আমরা কেউ কেউ শত্রুকে গালাগাল করে বিদ্বেষী মনের খায়েশ মিটাই; এরমধ্যে কি নির্মলানন্দ কে জানে? আমার ধারণা, ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ না-তোলে ব্যক্তির নীতি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ করারটা-ই বেশ শোভনীয়। নইলে ‘ব্যক্তি-বিদ্বেষী’ বলে বিবেচিত হতে হয়, অনেকটা পাপীকে নয় পাপকে ঘৃণা করার মতন। কাজেই ব্যক্তি-মুজিবকে গালাগাল দিলে কি মুজিবাদর্শিক যে দুর্বলতা বা ত্রুটি-বিচুত্যিগুলি তা-কি সংশোধন হবে? এবং তাঁর অবদানকে কি অস্বীকার করা সম্ভব?
(বিঃদ্রঃ- দুঃখিত, আপনাকে নীতিজ্ঞান দেওয়ার উদ্দেশ্য ও ধৃষ্টতা কোনটা আমার নেই)
আপনার উল্লেখিত ‘কাশেম-ভাই’টি কি ‘আকাশ মালিক’ ভাই?
ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
বিচ্ছিন্ন ঘটনা লাইভ দেখা যেতে পারেঃ
httpv://www.youtube.com/watch?v=NqYBV8NBzgc
@আদিল মাহমুদ,
আপনার লিংকটা আসেনি। বাংলাদেশের মাথা মোটাওয়ালারা দেন না তাই আমদের মডুরাও সরাসরি ইউ টিউব ছবি দেখতে দেন না। খবরের লিংকটা এখানে আবার দিলাম, তবে সতর্ক করে দেয়া ভাল, এ দৃশ্য দেখা অনেকের সাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর হতে পারে।
@আকাশ মালিক,
কিছু দৃশ্য যতই অপ্রীতিকর হোক দেখা দরকার, নইলে বিবেক সেভাবে সাড়া দেবে না।
এই ঘটনা সচিত্র না দেখলে অনেকেই গুরুত্ব বুঝতেন না।
হায় বিশ্বজিৎ এদেশে জন্মই আমাদের আজন্ম পাপ!
১. বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ অর্থ বদনীতিবিদ! আমি কি ঠিক বলছি? নাকি মাথা নষ্ট বুঝি না! কেউ বলবেন কি?
২. বদনীতিবিদদের আমি খুব ঘৃণা করি, কারণটা বুঝি না কেন? নাকি আমি ঘৃণিত বলে ওদের ঘৃণা করি? কোনটা ঠিক?
৩. নেতা-নেত্রীরা সব ফেরেশতা যা বলে তা স্বর্গীয় বাণী! আমি কি পাগল হয়ে গেছি?
৪. বদনীতিবিদদের কেউ প্রশংসা করলে আমার গায়ে ফোঁসকা ওঠে কেন? আমি কি হিংসুটে? কি করে বলবো, নিজের দোষ তো আর কেউ যেচে বলে না।
এদেশে কখনো রাঘোব বোয়ালদের বিচার হয়েছে বলে শুনিনি, যারা ঘটনার তদন্ত করে তারা তো রাজনৈতকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত এবং ঘুষখোর তাই কোন অভিযোগই প্রমাণ করা যাবে না। বিশ্বজিতেরটাও হবে না এটা নিশ্চিত। এরূপ আরো হবে, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, লেখক, আইনবিদ, মিডিয়াগুলোর… আয় বাড়বে, ফলে ওরা একযোগে এর বিরুদ্ধে মামলা বা আন্দোলন করবে না কারণ ওরাতো আওয়ামী-বিএনপি ঘরনার, আর সাধারণ পাবলিক নামবে না, কারণ কুত্তার বাচ্চারা এতোটা বেপরোয়া যে আমাদের সবাইকেই বিশ্বজিত হতে হবে। একটি মাত্র নাম না জানা পত্রিকার সম্পাদক বিশ্বজিতের মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করে রিট করেছে অথচ নামকরা পত্রিকাগুলোর সম্পাদকরা সম্পাদকিয় লিখেই চুপ রয়েছে তাতেই বোঝা যায় হয় ওরা আওয়ামী বা বিএনপির দালাল নয় তো ওদের ভয় পায়।
হিংস্রতা দিয়ে হিংস্রতা দমন করা যায় না সেটা না বোঝে ক্ষমতাসীন দল না বোঝে বিরোদীদল, সাধারণ বাঙালি যাবি কোথায়? খা শালা কোপ খা, মর শালা পথে-ঘাটে এই তো জীবন!
এদেশে কেউ রাজনীতি করে না, করে বদনীতি! তাও ওদের স্বার্থের জন্য আমাদের জনসাধারণের স্বার্থে রাজনীতি অর্থাৎ আমার মতে বদনীতি কেউ করে এমনটি শুনিনি, দেখিও নি, আর বাকি যারা ক্ষমতাবান তারা সব ওইসব বদনীতিবিদদের ধামাধরা! আমরা হলাম, গাধা-গরু। তারা হঠাৎ করে হরতাল ডাকবে, যখন খুশি তা করবে, খুন করবে সবাই দেখবে কিছু বলতে পারবে না এটা কেমন গণতন্ত্রের দেশ? এটা কেমন দেশ যেখানে আওয়ামী সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, আইনজীবি, বিচারপতি…, বিএনপি সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, আইনজীবি, বিচারপতি…! এক খবর একেক পত্রিকায় বিভিন্নরকমভাবে কেন লেখা হয়, ঘটনা তো একটাই… বিতর্ক তৈরিতে এদেশের বদনীতিবিদদের জুড়ি নেই; সাথে সুর মেলায় দলীয় পাচাটারা। অর্থ লোভে কি এদেশের সব অন্ধ হয়ে গেছে? সাধারণ মানুষ যাবে কেথায়? প্রথম আলোতে বলা হয়েছে বিশ্বজিত ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিলো। আমি বলে এদেশের প্রতিটি ইঞ্চিই সাধারণদের জন্য ভুল জায়গা এবং প্রতিটি সেকেন্ডই তো আমাদের ভুলে ভরা! একবিন্দু নিরাপত্তা এদেশে আছে কি? আছে আপনাদের সন-ানদের যারা এদেশে থাকে না, এদেশের খায় না। এদেশে বিদেশ থেকে অর্থ আনে শ্রমিকরা, গার্মেন্টেসের মেয়েরা আর আপনারা বদনীতিবিদ আর বড় বড় ব্যবসায়ীরা ওই অর্থ বিদেশের ব্যাংকে রাখেন, সন-ানদের লেখাপড়ার জন্য তা আবার বিদেশে পাঠান, কেউ কেউ বাড়ি গাড়ি করেন। তারেক জিয়া যা কামাই করে নিয়েছে আজীবন বিদেশে বসেই খেতে পারবে কিন’ আমরা আজ মরে গেলে পুরো পরিবার উপোস থাকবে। তাই তো আমাদের মতো জীবনের মূল্য কি? অতএব এদেশ থেকে আওয়ামী এবং বিএনপিকে আগে তাড়াতে হবে তারপর যা হবার হবে! ওদের প্রয়োজন আমাদের কাছে শূন্য। হতে পারে ওদের তাড়ালে আরো খারাপ অবস’ায় পড়তে হবে জাতিকে, যেমন পড়েছে মিসর, তথাপিও ওদের দুটি দলকে তো অনেক দেখা হলো তাই আসুন এসব বদনীতিবিদদের সমস-কিছু বর্জন করি, ভোট দেবার সময় যেন মিষ্টি মধুর কথায় ভুলে না যাই ওদের কুকর্মের কথা। ওদের পা-চাটা কুত্তাগুলাকেও বর্জন করুন।
অবশেষে আকাশ মালিকের হাত থেকেও এমন জিনিস বের হল। মালিক ভাইকে সাধারনত দেখা যেত যতটা সম্ভব আওয়ামী সরকারের পৃষ্ঠ রক্ষার লড়াই এ শরিক হতে। আর মনে হয় পারা গেল না?
লীগ,শিবির রাজনীতি, কে দায়ী এসব বাদ দ্যান। বাইরের দেশের কোন লোকে এই হত্যাযজ্ঞ দেখলে প্রথমেই তার মনে কি প্রশ্ন আসবে চিন্তা করতে পারেন? সে হিসেব করতে যাবে লীগ, শিবির, নাকি হরতাল অবরোধ এইসব?
গার্মেন্টস হত্যাযজ্ঞের লেখায় একটা কথা বলেছিলাম যে এই জাতীয় ঘটনার কোন অভাব এই দেশে কোনদিন হবে না। একটার জের কাটার আগেই আরেক গা শিউরানো ঘটনা ঘটে যাবে, পুরনোটা পেছনে গিয়ে নুতনটা চলে আসবে আলোচনায়। হলও তাই। বেশী সময় লাগেনি।
– এক সময় মনে করতাম যে রাজনীতিবিদরা অন্তত এই হুমকি দিলে ভয় পায়। আজকাল বুঝি যে এরা আসলে এই হুমকিও গায়ে মাখে না। ৩১ আসন পাওয়া হারু পার্টির রাজপূত্রদ্বয়, গডমাদার, অসংখ্য গড ফাদার কয়জনার আদালতে শাস্তি হয়েছে? রাজপুত্ররা তো রাজার হালেই বিদেশের বালাখানায় আছে। গত সরকারেরো অনেকের এই জাতীয় প্রকাশ্যে গুন্ডামীর বহু তথ্য চিত্র এসেছিল, তাদেরই বা ক’জনার শাস্তি নিশ্চিত করা গেছে? এরা নির্বাচনে হারলেও আসলে তেমন কোন সমস্যায় পড়বে না নিজেরাও জানে, বড়জোর লুটের মালের কিছু ভাগ খসবে এই যা। এই সরকারও সেটা ভালই জানে। তাই এই ভয় দেখিয়ে আসলে কোন কাজ হয় না। মান যাবারও কিছু নেই, সবই দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র…উচশিক্ষিত বুদ্ধিজীবি, ব্লগার সকলেই জুটে যাবে ইন্ধন দিতে।
@আদিল মাহমুদ,
সত্যিই না। যেন শুন্যে ভাসছি, দাঁড়ানোর মতো পায়ের তলার মাটিটুকু দিনে দিনে সরে যাচ্ছে। কেন যে এই দেশটার দুঃখে বেদনায় মনটা কেঁদে উঠে বুঝিনা। কাল ক্রীকেটের জয়োল্লাসে সাত সাগরের ওপারে বসেও আনন্দাশ্রুতে ভেসেছি আর আজ হতাশ ও বেদনাবিভুর মনে প্রচুর কেঁদেছি। কেন সেটা হয় আমি নিজেই জানিনা।
@আকাশ মালিক,
এসবের দায়ভার যারা এতদিন সরকারকে সব ধরনের অপকর্ম থেকে দায়মুক্তি দেওয়ার দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছিলেন তাদেরও ভাগ করা উচিত। দলের সমর্থক হন ভাল কথা, দলের ভাল চাইলে উচিত ছিল সময় থাকতে সতর্ক করা। সমর্থন আর দালালি এক নয়, বিশেষ করে যে দালালি চুড়ান্তভাবে দলকেই ডোবাবে।
দূঃখজনকভাবে এক্ষেত্রে শুধু দল ডুববে না, দেশও ডুববে। আবারো দেশ পড়বে সেই সাম্প্রদায়িক হিংস্র হায়েনা জোটের কবলে। সাধারন ভোটাররা ৪০ বছর আগের নিজামী মুজাহিদের কিছু উক্তিকে বিশ্বজিতের রক্তাক্ত দেহ থেকে বেশী গুরুত্ব দেবে আমাকে বিশ্বাস করতে বলেন?
আমরা এ-কার কাছে যুদ্ধপরাধীদের বিচার চাচ্ছি ??? সেটা করার অধিকার তাদের আর আছে কি? আমাদের আশ্রয়ের শেষ যায়গাটাও এখন এভাবে নষ্ট হয়ে গেল। বড়ই হতাশ লাগছে।
@মোজাফফর হোসেন,
একদিন সবকিছু চলে যাবে নষ্টের হাতে। তারপর ধংসস্তুপ থেকে নতুন ইতিহাস, নতুন জীবনের শুরু হবে।
@আকাশ মালিক, দাদা পৃথিবী সব সময় ই নষ্টদের হাতে ছিল, আছে, থাকবে…তাই আমি আপনার মত আশাবাদি নয়, মানুষ নামের এই কীট যতদিন পৃথিবীতে আছে ,ততদিন পৃথিবীর শান্তি নেই।
ছবিগুলো অসহনীয়। এতগুলো ছবি তোলা গেল অথচ বিশ্বজিৎকে রক্ষা করা গেল না!!!!!
@গীতা দাস,
আমি-যে দেখেছি প্রতিকারহীন শক্তের অপরাধে
বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে ।
আমি-যে দেখিনু তরুণ বালক উন্মাদ হয়ে ছুটে
কী যন্ত্রণায় মরেছে পাথরে নিষ্ফল মাথা কুটে ।
কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে , বাঁশি সংগীতহারা ,
অমাবস্যার কারা
সত্যিই বাকরুদ্ধ দিদি, যাবার মতো জায়গা, আশ্রয়ের ভরসাস্থল দিন দিন যে সংকুচিত হয়ে আসছে।