ফোটানিকা ডিব্বার জোয়াল
মহিলারা ভ্যানিটি ব্যাগ ব্যবহার করে। সত্তরের দশকে আমার মা ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে সিনেমায় বা বেড়াতে যাবার সময় আমার সোনা কাকা ও চিনিকাকা আমার মাকে ক্ষেপাতেন ফোটানিকা ডিব্বা নিয়েছেন বলে।ভ্যানিটি ব্যাগের বাংলা ফোটানিকা ডিব্বা। ডিব্বা মানে কৌটা। ভ্যানিটি ব্যাগের অনুবাদ ফোটানিকা ডিব্বা কোত্থেকে পেয়েছেন জানি না।ফোটানি থেকে নিশ্চয়ই ফোটানিকা। ফোটানি মানে অহংকার।অহংকারের কৌটা।
কলকাতা থেকে প্রকাশিত সংসদ ইংরাজী–বাঙ্গালা অভিধানে এবং বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত ইংলিশ থেকে বাংলা অভিধানে vanity মানে অসার বস্তু।আর vanity – bag এর বাংলা প্রতিশব্দ (প্রধানতঃ স্ত্রীলোকগণ কর্তৃক ব্যবহৃত)আয়না ও প্রসাধন দ্রব্যাদি রাখার ক্ষুদ্র আধার, প্রসাধনপেটিকা।
আমার শৈশব কৈশোর কালে দেখা নারী মাত্রই কাঁধে ডিব্বা নিয়ে ফোটানি করার মত যোগ্যতা রাখত না। শ্রেণী ছিল।বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা ছাড়া অন্য কোন পেশায় চাকরিজীবী নারী খুব একটা দেখিইনি। এক শ্রেণীর নারীরা চাকরি না করলেও ভাবে বা স্বভাবে যেভাবেই পারুক নিজেকে জাহির করার একটা নির্দেশক ছিল এ ফোটানিকা ডিব্বা।
এখন ফোটানিকা ডিব্বা নিয়ে ঘর থেকে বের হওয়া ছাড়া নারীর উপায় নেই। এ ডিব্বা পকেটের কাজ দেয়।
এ ডিব্বা, প্রসাধনপেটিকা নিয়েই নারীরা ঘুরে। পুরুষদের এ বালাই নেই। তাদের পকেট আছে। নারীদের তা নেই। কাজেই পথের সম্বল রিকসা ভাড়া,বাস ভাড়া, চিরুণী, রুমাল, ইদানিংকালে মোবাইল এর ভেতরে রাখে।পুরুষেরা টাকা পয়সা ছোট্ট মানিব্যাগে ঢুকিয়ে তা পকেটে পুরে।সাথে একটা ছোট্ট চিরুণীও।যদিও নারীরাই চুল আঁচরিয়ে অনেক সময় নষ্ট করে বলে অনুযোগ, অভিযোগ ও দুর্নাম রয়েছে। অথচ রাস্তাঘাটে, বাসে, ট্রেনে, যত্রতত্র পুরুষরাও মাথা আঁচড়ায়।
নারীমাত্রই এখন হয় কাঁধে নয় হাতে একটা ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে বের হয়। পুরুষদের যেমন শার্ট ও প্যান্টের পকেট তার পোষাকের অবিচ্ছদ্য অংশ, তেমনি ভ্যানিটি ব্যাগ নারীদের জন্য আরোপিত ডাল বা শাখা। এমনই আঠা লাগানো আরোপিত ডাল যে হোটেল রেস্তোরায় খেতে গেলে ভ্যানিটি ব্যাগটি কাঁধেই লাগানো থাকে। আমি অন্তত একশত দিন তা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি। রেস্তোরায় টেবিলে কাপ, কাঁধে ব্যাগ।হোটেলে বসে ভাত খাচ্ছে তো কাঁধে ব্যাগ। বিয়ে বাড়িতে বর বা কনেকে নিয়ে মেয়েলি আচার অনুষ্ঠান করছে, কাঁধে ব্যাগ। বনভোজনে হুলস্থূল করছে, কাঁধে ব্যাগ।যে কোন লম্বা ভ্রমণের সময় সিটে বসে আছে, কাঁধের সাথী ব্যাগ।ওয়াসরুমে গেছে, কাঁধে ব্যাগ।সারাদিনব্যাপী সভা বা কর্মশালা? কাঁধে ব্যাগ। কর্মশালায় দলীয় কাজের সময়ও, প্ল্যানারিতেও কাঁধে ব্যাগ। কর্মশালায় থেতে বসেছে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে।একি অভ্যাসবশতঃ? না কি ভুলে কোথাও রয়ে যাবে সে আশংকায়? চুরি হয়ে যাবার ভয়ে? রাখার নিরাপদ জায়গার অভাব? নাকি রাখার কোন জায়গাই নেই? কেন এ বাড়তি ডাল নিয়ে চলাফেরা? কেন এ ফোটানিকা ডিব্বা নামক একটি বোঝা বয়ে বেড়ানোর ঐতিহাসিক জোয়াল।
তা না বয়ে উপায় কি? তা না হলে তার চলার পথের প্রয়োজনীয়, ব্যবহার্য সামগ্রী কোথায় রাখবেন? অন্য অনেক কিছুর মত এরও উত্তর আমার জানা নেই। তবে সবার মত আমিও জোয়াল বয়ে বেড়াই। বলা বাহুল্য, অস্বস্তি নিয়েই বয়ে বেড়াই।
ছেলেদের ব্যাগ ব্যবহারে তাহলে ফুটানি নেই… মেয়েদের ব্যাগ থাকলেই তা ফুটানি মার্কা, আর ছেলেদের বেলায় তা কাজের মার্কা?
বেশ অনেকদিন পর গীতাদিকে ঝকমকে দেখে ভালো লাগলো। এই মেজাজটাই ফ্রেমে বাঁধাই হয়ে থাক (মাঝে মাঝে উল্টেপাল্টেও যাক) :))
@কাজী রহমান,
কবি তো দেখছি মন্ত্যবেও ছন্দ ব্যবহার করছে। ‘ভুতের ভবিষ্যত’ সিনেমার মত।
@গীতা দাস,
ভালো কারিগরি দেখালেন তো :))
দারুন লেখা গীতা দি….ভ্যানিটি ব্যাগের একটা বাংলা জানতাম অহংকারের থলে কিন্তু ফুটানিকা ডিব্বা সব দিক থেকে দারুণ। আপনার লেখাটাও দারুণ হয়েছে।
ভ্যানিটি ব্যাগ মেয়েদের এক অসাধারণ অনুসঙ্গ, সেটা শার্ট প্যান্ট আর শাড়ি যাই পড়ুক না কেন সবকিছুর সাথেই চমৎকার মানিয়ে যায়।
@অর্ক রায় চৌধুরী,
প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
“ফুটানি কা বটুয়া” কথাটির প্রবক্তা মুজতবা আলি। লেখা বিশেষ সুবিধার লাগলো না, সবখানে নারীশোষণের ভূত দেখতে পেলে তো সমস্যা। বিদেশে মেয়েরা ওটা কাঁধে সেঁটে রাখে না, রেস্তোঁরায় গেলে চেয়ারে ঝুলিয়ে রাখে। ছিনতাই হবার ভয় নেই বলেই। দেশে নিরাপত্তার অভাবে হাতছাড়া করতে সাহস পায় না বোধ হয়। খামোখা তাকে নারীর জোয়ালটোয়াল না বললেও চলতো।
@অতিথি,
তথ্যটির জন্য ধন্যবাদ।
লেখাটা সুবিধার লাগলো না বলে দুঃখিত। সব লেখা সবার ভাল লাগে না।
স্লোগানটি শোনেননি— ‘নারীর চোখে বিশ্ব দেখুন।’ আমার মত অনেকেই নারীর চোখে বিশ্ব দেখে বলে সবখানে নারীশোষণের ভূত দেখে।
আর নিরাপত্তার অভাবে তো তা নারীর স্বভাবে পরিণত হয়ে গেছে। জোয়াল কাঁধেই রাখে।
@কেশব অধিকারী,
“পুনশ্চঃ পাশথেকে আমার বন্ধুটি বলছে, ভাগ্যিস ঈশ্বর আগে থেকে ব্যপারটার গুরুত্ত্ব বুঝতে পারেননি, নইলে ক্যঙ্গারুর মতো একটা ব্যবস্থা ………………. অপস্ ভাবাই যায় না! ”
:)) :hahahee: :hahahee: চরম বিনোদন পেলাম।
@ভক্ত,
ঈশ্বরকে এখন ব্যাপারটার গুরুত্ত্ব বুঝানোর চেষ্টা করছি। বুঝিয়ে আমাদের দাবি আদায়ের চেষ্টা চলছে।
‘ফুটানিকা ডিব্বা’ শব্দটির সাথে আমার মত আপনারও পরিচয় ছিল জেনে ভাল লাগল।
@গীতা দাস,
মনটা বেশী ভাল হলে ঝগড়া করার সাধ জাগে, দিদির বুঝি তাই হয়েছে আজ। মাথায় টাক পড়া কয়টা মেয়ে দুনিয়ায় আছে দেখান তো। অনেক পুরুষের চুলই নাই চিরুণী দিয়ে কী করবে? আচ্ছা মেয়েরা চুল বাঁধুক, খোঁপা বাঁধুক যা মনে চায় করুক, কিন্তু ট্রাফিক লাইটে গাড়ি আটকিয়ে কেন করবে দিদি? বাপরে বাপ, ঠোঁটে লিপষ্টিক দেয়া শুরু করে দেয় গ্রীন লাইট কবে জ্বলছে খোঁজ নাই। মানুষ পেছন থেকে হর্ণ দিচ্ছে, বেচারী মিররে গাড়ি না দেখে নিজের চেহারা দেখেন, এটা একটা কথা হলো? পুরুষের সময়ের মূল্য আছে বলে দিলাম, হ্যাঁ।
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/imagesCA4DT9FS.jpg[/img]
তয় লেখাটা ভাল পাইছি, সাথে ভ্যানিটি ব্যাগের দীর্ঘায়ূ কামনা করি।
কাজি মামুনকে ফুল দিতে চেয়েছিলেন, এই নিন বাগানের সুগন্ধি তাজা ফুল-
(F) (F) (F) (F) (F) (F) (F) (F)
[img]http://i1088.photobucket.com/albums/i332/malik1956/Dolls.jpg[/img]
@আকাশ মালিক, @কাজি মামুন,
আমার হয়ে মামুনকে ফুল দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ঘরের কথা পরে জানল কেমনে? এমনিতেই জানিয়ে দিলেন আকাশ ভাই যে আপনার মনটাও আজ বেশি ভাল।তা না হলে কি আর প্রমাণ হিসেবে এতো ছবির সমারোহ করে ঝগড়া করার ক্ষেত্র তৈরি করা!!
তাতো অবশ্যই, এজন্যই তো এতো মূল্যবান সময় যথাযথভাবে (!!)কাজে লাগিয়েছেন ইন্টারনেট ঘেঁটে নারী আর পুতুলের ছবি সংগ্রহ করে।
যাহোক,লেখাটি যে পড়েছেন এতেই আমি কৃতজ্ঞ।
@গীতাদি,
অন্য সময় হলে হয়ত ফুল নিয়েই গদগদ থাকতাম, কিন্তু সর্বনাশ করলে আকাশ মালিক ভাইয়ের সঙ্গের ও ছবিদুখানা!…….চুপি চুপি বলি, ফুটানিকা ডিব্বাওয়ালা তন্বী তারুণ্য দেখতে মন্দ নয় একেবারেই, যদিও নারীবাদী পয়েন্ট অব ভিউ হতে ভারি বিশ্রী! 🙂 (মাপ করবেন, দিদি!)
আর মালিক ভাইকে এরপর হতে মালেকিনসমা পুষ্প উপহার দেয়ার অনুরোধ রইল দিদিকে!
যেসব মেয়েরা প্যান্ট সার্ট পরিধান করেন তারাও ভ্যানিটি ব্যাগ ব্যবহার করেন। যতদিন মেয়েদের নিজকে সজ্জিত করার জন্য প্রসাধন সামগ্রীর দরকার হবে ততদিন ভ্যানিটি ব্যাগের ব্যবহার অনিবার্য্য। আর তা ছাড়া মেয়েদের এইসব প্রসাধন সামগ্রী আর ভ্যানিটি ভ্যাগের সাথে জড়িয়ে আছে গোটা পৃথিবীর বিরাট ব্যবসা,সেগুলো বন্ধ করা অত সোজা কাজ নয়। অবশ্য পুরুষদের মেয়েদের মতো এতো প্রসাধন সামগ্রীর দরকার হয়না কেন জানা নাই অথবা জানা থাকলেও সেটা আলোচনার পরিসর ভিন্ন।
তবে ‘ফুটানিকা ডিব্বা’ শব্দটির সাথে পরিচয় ছিলো, অনেকদিন পরে সেটাকে মনে করিয়ে দিবার জন্য ভালো লাগলো। (F)
গীতাদি,
বাংলা একাডেমির উচিৎ আপনার দুই কাকা-কে এই সুন্দর একটা প্রতিশব্দ প্রতিষ্ঠার জন্যে পুরষ্কৃত করা! আসলেই যথার্থ একটা নাম বটে! এর কারণ আছে। আমি আমার সঙ্গীনিকে নিয়ে যতো মার্কেটে গিয়েছি, আর অন্যদের কাছে তাদের যতো ব্যায় সাপেক্ষ আর শ্রমসাধ্য কাজের কথা শুনেছি, আপনার এই “ফোটানিকা ডিব্বা” হলো একটা; যা সংগ্রহ করতে পকেট আর পা দুটোই যথেষ্ট সামর্থ্যবান না হলে সংসারটাই ভেস্তে যাবার দশা হয়! ডিব্বাটি দুষ্প্রাপ্য না হলেও সংগ্রহ করাটা দুঃসাধ্যই বটে! আপনার কি মত দিদি? সুতরাং ওটা ঐতিহাসিক জোয়াল হতে যাবে কেনো, আপনাদের বোধকরি অপরিহার্য এবং অবিচ্ছেদ্য অঙ্গই বটে!
পুনশ্চঃ পাশথেকে আমার বন্ধুটি বলছে, ভাগ্যিস ঈশ্বর আগে থেকে ব্যপারটার গুরুত্ত্ব বুঝতে পারেননি, নইলে ক্যঙ্গারুর মতো একটা ব্যবস্থা ………………. অপস্ ভাবাই যায় না! :))
@কেশব অধিকারী,
দাদা,মরণোত্তর পুরস্কার দিতে হবে।
হুম, মনের মত ডিব্বা খুঁজতে অনেকেই তো দুঃসাধ্য সাধন করে। তবে আমার একটা হলেই হয়। শাড়ির সাথে ম্যাচিং বা এক্সট্রা কিছু লাগে না।
আর অপরিহার্য এবং অবিচ্ছেদ্য অঙ্গটি ছেঁটে ফেলার পথ খুঁজছি।
এইগুলা তো রাখেই, তাছাড়া লিবিস্টিক, মেকাপ, আয়না, হাতের লোসন, পায়ের লোসন আরো কত কি। শুধু কি রিকশা ভাড়া, বাস ভাড়া র জন্য ডিব্বাতে টাকা রাখে, বর্তমানে বিউটি পার্লারে যেয়ে সাজার টাকাও এই ডিব্বাতেই রাখা হয়। তবে যাই বলি না কেন ফোটানিকা ডিব্বা আসলেই প্রয়োজনীয় একটা জিনিস।
আপনার দুই কাকা মিলে vanity – bag এর সুন্দর একটা নাম দিয়েছে। 😀
আপনাকে ধন্যবাদ।
@(নির্জলা নির্লজ্জ),
রাখে। তবে এর হার নগণ্য।
হুম। কিন্তু এর বিকল্পের সন্ধানও যে প্রয়োজন।
যাহোক, পড়ে মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অনেক দিন পর আপনাকে স্ব-লেখ দেখতে পেয়ে ভীষন ভাল লাগছে, দিদি। (F)
নারীদের পকেট নেই কে বলল? ওয়েস্টার্ন কান্ট্রিতে নারীরা তো হরদম শার্ট পড়ে, সেই শার্টে পকেটেও থাকে মনে হয়।
তবে আমাদের দেশের শাড়ি পরিহিতা মেয়েদের সত্যি কোন পকেট থাকেনা। সেক্ষেত্রে তাদের ফোটানিকা ডিব্বার জোয়াল কাঁধে চাপাতেই হয়।
‘ঐতিহাসিক জোয়াল’ শব্দটা ব্যাখ্যা করলে লেখাটা আরও সমৃদ্ধ হতো, গীতাদি। তবে ভ্যানিটি ব্যাগকে যদি জোয়াল বলতে হয়, শাড়ি কি দোষ করল? পুরুষের পোশাকে পকেট থাকলেও , নারীর থাকে না, তার কারন হয়ত, অতীতকালে নারীর পকেটের প্রয়োজন হত না, কারন না তাদের হাতে দেয়া হত টাকা-পয়সার অধিকার, না তাদের থাকত বাড়ির বাইরে যাওয়ার অধিকার।
তো আজ যেহেতু, নারীরা বাইরে বেরুচ্ছে, কি দরকার ঐতিহাসিক জোয়াল ধরে রাখার? শাড়িকে বদলানোর সময় হয়েছে কি? ঐতিহ্য হিসেবে একে শুধু উৎসবের দিনগুলোর জন্য রেখে দিলে হয় না?
পুনশ্চঃ দিদি, পকেটসমেত শাড়ির ব্যবস্থা করলে কেমন হয়? 🙂
@কাজি মামুন,
আমার পৃথিবী ছোট তো, আমি আমাদের দেশের বৃহত্তর গোষ্ঠির কথা বলেছি।
ভবিষ্যতে চেষ্টা করব। তবে আমি ঐতিহাসিক বলতে অতীত সম্পর্কে লোকমুখে শোনা পর্যন্তই অর্থ করেছি।
ধন্যবাদ “ঐতিহাসিক” ব্যাখ্যার জন্য।
সবার জন্য তো হয়নি। আবার যারা সালোয়ার কামিজ পরে তারাও তো পকেট দিয়ে কামিজ পরে না।
শাড়িতে পকেটের ধারণাটি সৃজনশীল। সৃজনশীল ধারণা ও পড়ে চমৎকার মন্তব্যের জন্য ফুলেল ধন্যবাদ।( কিন্তু ফুল তো দেখাচ্ছে না!!!)