যে যাই বলুক না কেন, জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ অথবা সন্দেহ থাকলে সাধারণত প্রথমেই কাউকে ‘গ্রেফতার’ করা হয় না। এ ধরনের সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে ‘আটক’ করা হয়। এ অবস্থায় আটককৃত ব্যক্তির পরিজনের কাছে তিনি ‘নিখোঁজ’ থাকবেন এবং কোন সরকারী সংস্হা তাকে আটক করার কথা স্বীকার করবে না। আটককৃত ব্যক্তির কাছ থেকে সন্তোষজনক তথ্য উদ্ধার করার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তাকে নিয়ে কি করা হবে। তাকে কোন ব্যবস্হা না নিয়ে ছেড়ে দেয়া হতে পারে আবার গ্রেফতার দেখিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাজির করানো হতে পারে। গ্রেফতার দেখানোর আবার নানা রকম উপায় আছে। সেটা নির্ভর করবে কি রকম মামলা নিয়ে এক্ষেত্রে কাজ করা হবে। তবে, সাধারণত এক্ষেত্রে ‘হাতে নাতে’ বিস্ফোরক অথবা অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয় । বলাই বাহুল্য, এসব বিস্ফোরক অথবা অবৈধ অস্ত্র সরকারী মজুদ থেকেই সরবরাহ করা হয় যদি ঐ মুহূর্তে কিছু উদ্ধার করা সম্ভবপর না হয়। সত্যি সত্যি উদ্ধার করা সম্ভব হলে, উদ্ধারকৃত মালামাল যে কোন সময় পরে মামলায় ঢুকানো যায়। ‘স্টিং অপারেশনের’ ফাইল আগে থেকে তৈরী থাকলে , যাবতীয় সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা করে পত্রিকা ওয়ালাদের খবর দেয়া হয় । তৃতীয় একটা সম্ভাবনার অস্তিত্ব অবশ্য বাতিল করে দেয়া যায় না যা সাধারণত কেউ প্রকাশ্যে স্বীকার করবেন না যেহেতু সাধারণ অবস্থায় যে কোন আইনেই এ ধরনের চর্চা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত। সেটা কি ? সেটা হচ্ছে আটককৃত ব্যক্তির চিরস্থায়ী নিখোঁজ হয়ে যাওয়া। কেউ কোনদিক জানতে পারবে না , তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছিল। এক্ষেত্রে সরকারী সংস্থা চালাক হলে আটক অভিযান সাদা পোষাকে পরিচালিত হয় যাতে তাদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করা যায় । অদক্ষ কিংবা দাম্ভিক সংস্থাগুলো (জনমতের থোরাই কেয়ার ! ) সাধারণত ইউনিফর্ম পড়েই এ ধরনের অভিযান চালায়। একজন ব্যক্তিকে সরকারীভাবে ( ইউনিফর্ম পরে) আটক করার পরে সেই ব্যক্তির নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার মত কেলেঙ্কারীর ঘটনা অনেক আছে। থানা খেকে বলা হয় যে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে কিন্তু আসলে তাকে অন্য সংস্হার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পৃথিবীর প্রতিটি দেশেই এ ধরনের চর্চা অব্যহত আছে। বেসামরিক এবং গনতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পরে যথাশীঘ্র (রাষ্ট্র ভেদে সময়সীমা কমবেশী হতে পারে) বিচারকের কাছে হাজির করার আইনগত বাধ্যবাধকতা আছে। বিচারালয়ে হাজির করার পর বিচারক সিদ্ধান্ত নেন যে আটককৃত ব্যক্তিকে মুক্তি, জামিন কিংবা হাজতে প্রেরণ করা হবে। বিচারক চাইলে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য হস্তান্তর করতে পারেন যা বাংলাদেশে এবং ইংরেজ সাধারণ আইনে ‘রিমান্ড’ নামে পরিচিত। কিন্তু কোন ব্যক্তিকে গ্রেফতার না দেখিয়ে আটক করার পর জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য গোয়েন্দা ইন্টারোগেশন সেলে অথবা সেফ হাউজে আটক রাখা হলে তাকে ‘রিমান্ড’ বলা যাবে না , বোঝার সুবিধার্থে এটাকে ডিটেনশন বলা যায় যদিও যে নামেই ডাকা হোক, জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টা এখানে ঠিকই থাকছে।

শারীরিক নির্যাতন নিয়ে কিছু কথা

প্রথমেই যে বিষয়টা আমি পরিষ্কার করতে চাই তা হলো , শারীরিক নির্যাতন তদন্তের স্বার্থের সাথে সাংঘর্ষিক। একজন বেদনায় কাতর রোগী যেমন তার চিকিৎসকের কাছে সঠিক অবস্হা তুলে ধরতে পারে না, তেমনি শারীরিক ব্যাথায় কাতর একজন বন্দীর কাছ থেকে বস্তুনিষ্ঠ তথ্য আশা করা যায় না। এ ধরনের বন্দী নির্যাতন থেকে বাঁচার আশায় মিথ্যাকে সত্য এবং সত্যকে মিথ্যা বলে চালাতে কুণ্ঠিত হয় না।

“The barbarous custom of having men beaten who are suspected of having important secrets to reveal must be abolished. It has always been recognized that this way of interrogating men, by putting them to torture, produces nothing worthwhile.”
– Napoleon Bonaparte

বাংলাদেশে জনমনে রিমান্ডের সাথে শারীরিক নির্যাতনের একটা অবশ্যাম্ভী সম্পর্ক রয়েছে। খবরের কাগজে এ বিষয়ে প্রতিদিন কোন না কোন প্রতিবেদন চোখে পড়ে । সেসব প্রতিবেদনে বর্ননা করা হয় কিভাবে রিমান্ডের সময় আটককৃত ব্যক্তির উপর নানাবিধ বিচিত্র উপায়ে নির্যাতন চালানো হয়। এ রকম একটি প্রতিবেদনের অংশবিশেষ নিচে তুলে দিলাম ।

অনুসন্ধান করে জানা যায়, রিমান্ডে নেয়া আসামিদের ১৪ ধরনের নির্যাতন করা হয়। সেগুলোর মধ্যে গিটা নির্যাতন, বাদুড় ধোলাই নির্যাতন, ওয়াটার থেরাপি নির্যাতন, উলঙ্গ করে নির্যাতন, সারা দিন না খাইয়ে নির্যাতন, বোতল থেরাপি নির্যাতন, ডিম থেরাপি নির্যাতন, ডিস্কো ড্যান্স নির্যাতন, সিলাই নির্যাতন, ঝালমুড়ি নির্যাতন, টানা নির্যাতন, বাতাস নির্যাতন অন্যতম।
আসামিদের হাত-পায়ের প্রতিটি জয়েন্টে লাঠিপেটা করার নামই হল গিটা নির্যাতন। এ নির্যাতনের ফলে হাড়-মাংস থেতলে যায়। কিন্তু বাইরে থেকে কিছুই বোঝা যায় না। চিৎ করে ফ্লোরে ফেলে দুই হাত, দুই পা বেঁধে মুখে গামছা বা কাপড় ঢুকিয়ে পানি ঢেলে মারধর করাকে বলা হয় ওয়াটার থেরাপি। নাকে-মুখে পানি দিতে থাকলে নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। পরে আসামিরা সত্যকে মিথ্যা ও মিথ্যাকে সত্য বলে তথ্য দিতে থাকে। দুটি উঁচু টেবিলের মাঝখানে দুই হাত বেঁধে ঝুলিয়ে পেটানোকে বলা হয় বাদুড় ধোলাই। এ রকমের নির্যাতন করলে যে কোন আসামি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। গরম বা প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ডিম আসামিদের মলদ্বারে ঢুকিয়ে নির্যাতন করাকে বলা হয় ডিম থেরাপি। এ নির্যাতনের ফলে আসামির মলদ্বার ফুলে যায় এবং অনবরত রক্ত পড়তে থাকে। যতক্ষণ আসামিরা স্বীকারোক্তি না দেয় ততক্ষণ মলদ্বারে ডিম ঢুকাতে থাকে। পরে বাধ্য হয়ে স্বীকারোক্তি দিয়ে দেয়। হাত-পায়ে অবিরাম ইলেকট্রিক শক দেয়াকে বলা হয় ডিস্কো ড্যান্স থেরাপি। ইলেকট্রিক শক দিলে আসামি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। পরে তাদের তথ্য প্রদান করা ছাড়া কোন উপায় থাকে না। হাত-পায়ের নখে মোটা সুঁই ঢুকানোকে বলা হয় সিলাই নির্যাতন। সুঁই ঢোকানোর পর হাত-পায়ের নখগুলো ফুলে যায়। চোখ-মুখ ও নাকে শুকনো মরিচ লাগানোকে বলা হয় ঝালমুড়ি নির্যাতন। নির্যাতনের ফলে আসামির চোখ নষ্ট হয়ে যায়। পায়ের পাতায় বেধড়ক পেটানোকে বলা হয় টানা নির্যাতন। সিলিং ফ্যানে ঝুলিয়ে নির্যাতন করাকে বলা হয় বাতাস পদ্ধতি।

সূত্র: দৈনিক যুগান্তর
http://jugantor.us/enews/issue/2011/12/13/news0739.htm । পড়তে অসুবিধা হলে পাঠক ইউনিকোড কনভার্টার ব্যবহার করতে পারেন এখানে http://thpbd.org/bangla/v1.0/index.html

মধ্যযুগে বন্দীদের উপর শারীরিক নির্যাতন চালানোর পেছনের মূল উদ্দেশ্য তথ্য উদ্ধার ছিল না। নির্যাতনের পেছনে যে দর্শন কাজ করত তা ছিল নেহায়েৎ রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী , ধর্মদ্রোহী, ফৌজদারী অপরাধী এ ধরনের ব্যক্তিদের শায়েস্তা করা , প্রতিশোধ গ্রহন , ক্ষমতা প্রদর্শন এবং অবশ্যই বিকৃত আনন্দলাভ। আজকের মত সে সময়েও নির্যাতন চালিয়ে মর্জিমাফিক স্বীকারোক্তি আদায় করা হত। প্রমাণ না থাকলে প্রমাণ তৈরী করা হত – ঠিক এখনকার মতই। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ‘শারীরিক’ নির্যাতন চালানোর পেছনে মূলত দুইটি কারণ চিহ্নিত করা যায়। প্রথমত , তথ্য অনুসন্ধান নয় বরং নির্যাতন চালানোই এখানে মূল উদ্দেশ্য। দ্বিতীয়ত , জিজ্ঞাসাবাদ পরিচালনাকারী সংস্হার অদক্ষতা এবং অব্যবস্হা। মূলকথা হলো নির্যাতন চালিয়ে তদন্ত সহায়ক তথ্য আদায় করা যায় না। অনেক ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে হাজার হাজার মানুষের জীবন মরণের প্রশ্ন জড়িত থাকে যায় উত্তর কেবলমাত্র সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমেই খুঁজে পাওয়া সম্ভব। তবে ভুলে গেলে চলবে না , জিজ্ঞাসাবাদ একটা নোংরা কাজ । সেখানে তথ্য সন্ধানে মানুষকে(বন্দী) অধঃপতিত , নিজের কাছে খাটো এবং সর্বোপরি মানসিকভাবে অবনমিত করা হয়। একই ঘটনা জিজ্ঞাসাবাদকারীর ক্ষেত্রেও ঘটে ! এটা এমন এক ধরনের নোংরা কাজ যা শুধুমাত্র স্বচ্ছ মানসিকতার মানুষের দ্বারাই পরিচালিত হওয়া কাম্য। যারা বিকৃত মানসিকতার অধিকারী তাদের এ পেশায় আসাটা ঠিক নয়।

বাস্তব প্রেক্ষাপট এবং একটি অনুকল্প

Intelligence analysts sythesize. They do not describe , they interpret. They render the complex into simple. Conclusion > Data ; 1+1 = 3 !

মানবাধিকার আমার এ লেখার বিষয়বস্তু নয়। আমার এই লেখায় আমি মুলত পেশাদার গোয়েন্দা দৃষ্টিকোন থেকে আটক এবং জিজ্ঞাসাবাদ পর্যায়ে সীমাবদ্ধ থাকব। ধরা যাক , ঢাকার একটি রাজনৈতিক দলের কিছু সংখ্যক সদস্য শতাধিক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গ্রেনেড সম্প্রতি সংগ্রহ করেছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। গ্রেনেডের নাম ও ধরণ এবং কি উদ্দেশ্যে , ঠিক কারা ,কোথা থেকে, ঠিক কতগুলি গ্রেনেড সংগ্রহ করেছে সেটা এখনও জানা যায় নি। পরিস্থিতির গুরত্ব অনুধাবন করে এই অবস্থায় কাউন্টার টেররিজম উইংকে দায়িত্ব দেয়া হয় বিষয়টা যথাশীঘ্র খতিয়ে দেখতে। একই সময় পুলিশের একটা দল সিলেটে একটা গুদামের ভেতর থেকে মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত একটি গ্রেনেড রাখার বাক্স উদ্ধার করে। গুদামের মালিককে পাওয়া যায় নি। বিষয়টা সাথে সাথে ঢাকায় কাউন্টার টেররিজম উইংকে জানানো হয়। এমতাবস্থায় ওই গুদামের মালিককে আটক করা অপরিহার্য কেননা তাকে আটক করলেই জানা যাবে যে মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত একটি গ্রেনেড রাখার বাক্স তার কাছে কি করে এল এবং ঢাকার একটি রাজনৈতিক দলের কিছু সংখ্যক সদস্য শতাধিক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গ্রেনেড সম্প্রতি সংগ্রহ করেছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে যে খবর পাওয়া গেছে, তার সাথে এই বাক্সের কোন যোগসূত্র আছে কি না। পুরো একদিন সার্ভেইলেন্স এবং রিকনেসন্স অপারেশন চালানোর পরে সেই ব্যক্তির অবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হল এবং সেটা চট্রগ্রামে। সিদ্ধান্ত নেয়া হল যে , তাকে ( মফিজ মিয়া বলা যায়) আটক করে ঢাকায় ইন্টেরোগেশন সেলে নিয়ে আসা হবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। জিজ্ঞাসাবাদ পরিচালনা করবে কাবুল থেকে উড়িয়ে আনা মার্কিন গোয়েন্দা সংস্হার একটি দল কিন্ত তাকে আটক করতে যাবে দেশীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্হার সদস্যরা – যদিও পুরো অভিযানের তত্বাবধান করবে মার্কিনীরা। এখন আমি আলোকপাত করার চেষ্টা করব যে এক্ষেত্রে আটক এবং জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে কি ধরনের নীতিমালা এবং প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া সাধারনত শুরু হয় গ্রেফতার দিয়ে। এর পর পদ্ধতিগত পর্যায়ে আছে আটকাদেশ , নির্জনতা বলবৎ পূর্বক সংজ্ঞাবহ উদ্দীপনা ( sensory stimuli) থেকে বঞ্চিত করা , কারাবাস অথবা সমধর্মী পদ্ধতি, ভয় ভীতি প্রদর্শন , দৌর্বল্য সৃষ্টি , বেদনা, চেতনানাশক পদার্থ এবং প্রণোদিত নির্ভরণ বা Induced regresion ।

আটক অভিযান

আটক অভিযানের ধরন এবং সময় জিজ্ঞাসাবাদকারী দলের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য অর্জনের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নজর দেয়া হয় যাতে করে অভিযানের ধরণ এমন হতে হবে যাতে করে তা বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত উপস্থিত হয়ে সর্বোচ্চ মানসিক অস্বস্থি সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। যে মুহূর্তটায় গ্রেফতারের আশংকা সবচেয়ে কম থাকে এবং যখন মানসিক ও শারীরিক প্রতিরোধ ক্ষমতা সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকে – এরকম সময় আটক অভিযানের জন্য নির্বাচন করা হয়। সবচেয়ে আদর্শ সময় ভোরবেলায় কেননা এ সময় যে শুধু একজনকে হতভম্ব করে দেয়া সহজ , তা নয় , এ সময়টায় মানুষের শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা সর্বনিম্ন পর্যায়ে বিরাজ করে। ভোরবেলায় কোন কারণে অভিযান চালানো সম্ভবপর না হলে পরবর্তী আদর্শ সময় সন্ধ্যা বেলা। চলবে।

আগের পর্ব :

মাসুদ রানার রানালজী এবং বাস্তবের গোয়েন্দাবৃত্তি

মাসুদ রানার মামদোবাজী এবং বাস্তবের গোয়েন্দাবৃত্তি

তথ্যসূত্র :

১। Gannon, James – Stealing Secrets, Telling Lies: How Spies and Codebreakers Helped Shape the Twentieth Century. Washington, DC: Brassey’s, 2001
২। Herman, Michael – Intelligence Power in Peace and War. Cambridge, UK: Cambridge University Press, 1996
৩। Knightly, Phillip – The Second Oldest Profession: Spies and Spying in the Twentieth Century. New York: Penguin, 1988.
৪। O’Toole, G. T. A. The Encyclopedia of American Intelligence and Espionage. 1988
৫। ইন্টেলিজেন্স এবং কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের ওপর নেটো সশস্ত্র বাহিনীর বিবিধ এবং প্রাসঙ্গিক ফিল্ড ম্যানুয়ালস ও হ্যান্ডবুকস ।