সবচেয়ে অসাধারণ জিনিশটা যদি সবচেয়ে সহজ হতো, তাহলে আর মজা থাকতো না। আর আমরা তো বাঁচি মজার এককে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, মজার জিনিশ বেশিরভাগ সময়ই আরামদায়ক নয়। কষ্ট করার মানসিকতা আর সাহস না থাকলে মজা মেলে না। তা সে হিমালয়ে চড়া, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং করা বা আকর্ষণীয় সঙ্গী জোগাড় করা, যাই হোক না কেন। এছাড়া আছে ব্যক্তির প্রকৃতিগত ঝোক বা অ্যাপটিচিউড। যে হিমালয়ে চড়তে পারে, সে হয়তো প্রিয় মানুষটিকে মুখ ফুটে বলতে পারে না ভালো লাগার কথাটা। এই যেমন আইজ্যাক নিউটনের কথাই ধরা যাক। প্লেগ-এর মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি কেমব্রিজ ছেড়ে চলে গেলেন দূরে কোনো নির্জন গ্রামে। ঐ একই সময়ে হয়তো অনেকেই জীবন বাজী রেখে আক্রান্ত মানুষের সেবা করে গেছেন। কেউ গবেষণা করেছে কেন এই রোগ ছড়াচ্ছে, কিভাবে এটা আটকানো যায়। আর নিউটন একের পর এক ক্যালকুলাস, অপটিক্স, আর মধ্যাকর্ষণের রহস্য ভেদ করে চলেছেন। সেই নির্জনতায় বসে লিখে ফেলছেন পুরো মানব সভ্যততার ভবিষ্যত। আসলে, যে যেটাতে মজা পায় আরকি। আমরা ভাগ্যবান যে মানুষের মজা পাওয়ার স্বাদে প্রচুর ভিন্নতা আছে। ফলে, আর্ত পীড়িতের সাহায্য করা থেকে প্রকৃতির রহস্যভেদ, কোনো কাজই পড়ে থাকছে না। কিন্তু আসলেই কি তাই?

ছবিঃ উইলিয়াম ব্লেকের তুলিতে নিউটন

ছবি: উইলিয়াম ব্লেকের তুলিতে নিউটন [উইকিপিডিয়া]

আপনি যদি তৃতীয় বিশ্বের নাগরিক হন, তাহলে দেখবেন অনেক কাজই আসলে পড়ে থাকছে আশে-পাশে। কত শত কোটি মানুষ চারিদিকে কিন্তু কাজ এগোচ্ছে না। এ যেন কী এক জটিল ধাঁধা! এত জনসংখ্যা, হাজার স্বাদের হাজার প্রকৃতির মানুষ থাকার কথা চারিপাশে। নিজের ভালো লাগার ব্যাপারটাতে জান লড়িয়ে খাটাখাটনি করার মত মানুষও তো অনেক থাকার কথা। হোক সে বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য, বানিজ্য বা রাজনীতি। কিন্তু কই? তৃতীয় বিশ্বের এতগুলো জাতি, তার শতকোটি মানুষ মিলিয়ে কি এতটাই অনুর্বর হয়ে পড়েছে? এত সম্ভাবনার জমিনে শুধুই কি আগাছা? (স্বীকার করছি কিছু ব্যতিক্রম আছে)।

এই পর্যন্ত লিখে বসে আছি অনেক্ষণ। আলোচনা জটিল মোড় নিয়ে ফেলেছে। ইন ফ্যাক্ট এই লেখাটা লিখতে বসেছিলাম কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে। এখন শিরোনামটা দেখে রীতিমত হাসি পাচ্ছে। অতয়েব অন্যভাবে চেষ্টা করি আসুন।

ধরুন আপনি বেশ বোরড হয়ে গেছেন। কোনো বন্ধু বললো, ঐ মুভিটা দেখেছিস, বা ঐ বইটা পড়েছিস? হয়তো সেটা এগিয়েও দিলো সে, বা দেখলেন আপনার সংগ্রহেই ছিলো সেসব। আপনি দেখতে-পড়তে শুরু করলেন। অমনি সেই বোরডোম ভেঙ্গে সময়টা বেশ ভালো কাটতে লাগলো। এবং এর ধারাবাহিকতায় বই পড়ার বা মুভি দেখার একটা অভ্যাসই গড়ে উঠলো আপনার। এসব কাজে হয়তো অনেকেই মজা পাবে না। কিন্তু আপনার মধ্যে প্রকৃতিগত ভাবেই ঐ দিকে ঝোক ছিলো। কিন্তু শুরুতে জড়তায় আটকে ছিলেন, বন্ধুটি স্রেফ একটু ধাক্কা দিয়েছে ওদিকে।

মানুষের মজা হলো, এ ধরনের জড়তায় সে শুধু একক ভাবেই আটকায় না, পুরো জাতি গোষ্ঠি মিলে আটকে থাকে অনেক সময়। সে কারণেই তো সাম্যের কথা বলে বিলিয়ন জনসংখ্যার পুরো একটা জাতিকে শ্রমদাস বানিয়ে ফেলা সম্ভব। অলিক লোভ আর ভীতির মিশ্রন দেখিয়ে বানিয়ে ফেলা সম্ভব উগ্রপন্থী। এ অবস্থায় যেসব মানুষ থাকে তাদের পুরো জীবন কেটে যায়, নিদারুণ অসহায়ত্বে। হাতের কাছেই হয়তো ছিলো মুক্তি, কিন্তু ছোট্টো করে সেদিকে ধাক্কা দেওয়ার কেউ ছিলো না। হয়তো প্রশ্ন আসবে, পুরো একটা জাতিকে কি কোনো একক ব্যক্তি ধাক্কা দিতে পারে? আসলে পারে। হয়তো সরাসরি না। কিন্তু একটা “বাটারফ্লাই ইফেক্ট” একক ভাবেই সূচনা করা সম্ভব। (মানে একজন অল্প কয়েকজনকে দিলো ধাক্কা, তারা আরো তেমন অনেককে, এভাবে জ্যামিতিক হারে) ইতিহাসে তার অনেক নজির আছে। মানুষ এমনকি কোনো একক মানুষও বিশাল সব পরিবর্তনের সম্ভাবনা ধারণ করে।

এখানে আরেকটা প্রশ্ন আসবে, “কেন?” কেন আমি আর পাঁচজনের জীবনকে আমার নিজস্ব ধারনা মোতাবেক পালটাতে সচেষ্ট হবো? এর সোজা সাপ্টা উত্তর হলো মজা পাবো তাই। যখন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিনিয়ত আসেপাশের মানুষ মারা যায়, যখন কোনো মুর্খের উস্কানিতে আপাত সাধারণ মানুষরাই নিজেদের মনুষত্ব বিসর্জন দিয়ে চোখের সামনে হয়ে ওঠে দাতাল হায়েনা, যখন অভাব অনটনে আর সুস্থ পরিবেশের অভাবে মানুষ হয়ে ওঠে অসৎ, শিশুরা মারা যায় বিনা চিকিৎসায়, দেশের প্রধানতম মানুষেরা আক্রান্ত হয় উগ্রপন্থির হাতে, চুরি যেতে থাকে রক্তের দামে পাওয়া হাজার হাজার কোটিটাকা, স্রেফ একটু বুদ্ধি খাটালেই যে সমস্যা গুলো সমাধান করা সম্ভব, সেগুলো নিয়ে মাথা খাটানো, এমন কি জানা সমাধান প্রোয়োগকরার সদিচ্ছাও থাকেনা প্রয়োগকারী সস্থার। তখন ভালো লাগে না। তীব্র হতাশা আর ক্রোধ ভর করে। আশেপাশের হাজারো মানুষের চোখে যখন সেই সুতীব্র হতাশারই ছবি দেখি তখন বড্ডো অসহায় মনে হয় নিজেকে। পরাজিত, আর মৃত মনে হয়। এমনকি ভাগ্যক্রমে অন্ন্য-বস্ত্রের আপাত নিশ্চয়তা থাকার পরেও। আমরা মানুষরা এমনভাবে বিবর্তিত হয়েছি, যে গুটিকয় কুলাঙ্গার বাদে বাকি সবাই, আর সবাইকে নিয়ে হাসি আনন্দে উৎসবে, এমনকি দুঃখ-বেদনায় একাকার হয়ে বাঁচতে চাই। আমরা তো একাকী দ্বীপ নই। সবাইকে মিলেই আমরা। মানুষের মন আর তার চিন্তা-চেতনা যে গভীরতম আনন্দের উৎস হতে পারে, তার খোঁজ অন্যকে দেবার চেষ্টা করবো না!

এখন “নিজস্ব ধারনা” মোতাবেক কথাটা নিয়েও প্রশ্ন আসতে পারে। আসলে মানুষের কোনো ধারণাই একেবারে নিজস্ব নয়। আবার মানুষ কোনোকিছু হুবহু কপি করতে গঠনগত ভাবেই অক্ষম, ফলে অন্যের ধারনাও সে নিজের মত করে একটু আধটু বদলে নেয়। ওটাই তার সৃষ্টিশীলতা। আর একটা মানুষের প্রচেষ্টা তো তার নিজস্ব, বা যে ধারণাটাকে সে আপন করে নিয়েছে, যে ধারণা শুনে মনে হয়েছে, “আরেহ! এটাই তো খুঁজছি”, তেমন ধারনার আলোকেই হবে। মূল কথা হলো, কেউ তার নিজস্ব ধারণা অন্যের উপর জোর করে চাপিয়ে না দিলেই হলো। সুন্দরতম ধারনাগুলোর মধ্যে এক ধরনের আলো থাকে, মুক্তি দেবার ক্ষমতা থাকে। ওর সন্ধান কেউ পেলে তাকে আর জোর করতে হয় না। একটা প্রায় অপ্রাসঙ্গিক উদাহরণ দেই। আমার অফিসের কফি মেশিনটাতে কম করেও ১০ রকম কফি বানানো যায়। কিন্তু আমি জানতাম না। গত প্রায় দেড় বছর যাবত, একটা বোতাম চেপে কিছু এস্প্রেসো নিয়ে চলে আসতাম নিজের টেবিলে। ভাবতাম ওটা এসপ্রেসো মেশিন। এই মাত্র সেদিন একজন দেখিয়েএ দিলো, কিভাবে কাপাচিনো থেকে শুরু করে আরো নয় রকম কফি বানানো সম্ভব! যে লোকটা একটা নিরানন্দ একঘেয়ে কাজ করতে করতে বিতৃষ্ণ হয়ে উঠছে, যে ছাত্রটা পড়ালেখাই করছে, ঐ রকম একটা “জানা একঘেয়েমির” জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে করতে, এমন ভাবার কারণ নেই যে সে ওতেই সুখী (হয়তো কেউ কেউ) । কিন্তু তাদেরকে দেখিয়ে দেওয়া দরকার যে পৃথিবীতে আরো অনেক রকম কফি আছে। একটু চাইলেই সে মুক্তি পেতে পারে একঘেয়েমি থেকে। পার্থক্য হলো, “দেয়ার ইজ নো কফি মেশিন!” এখানে আমাদের কফি মেশিন আমরাই। তাই এই “দেখিয়ে দেওয়ার” কাজটা মোটেই সহজ নয়। কিন্তু আমি নিশ্চিত এই কঠিন আর কষ্টসাধ্য কাজটা করেও অনেকে অপার আনন্দ পাবে।

আমার পরিচিতজনদের মধ্যেই দেখা যাক। শাফায়েত অ্যালগরিদম নিয়ে একটা ব্লগ লিখছে। কোনো অ্যালগরিদম সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করে বোঝানো কি যে কষ্টসাধ্য কাজ সেটা যে কখনো ৫ মিনিট চেষ্টা করেছে সে-ই জানে। তারপরেও ওকে দেখছি নিয়মিত বিরতিতে এটা করে যেতে। রায়হান অভিজিৎদার সাথে মিলে কী কঠিন শ্রমসাধ্য একটা বই লিখলো, “অবিশ্বাসের দর্শন”। আর তার দুবছর পরেই এই গতকাল ওর থেকে জানলাম, নতুন বইটাও লেখা শেষ। সুবিনভাই বাচ্চাদের জন্য পোগ্রামিং এর উপর একটা বই লিখেছিলেন। সেই বইয়ের সহায়ক ওয়েবসাইটে অলরেডি লক্ষাধিক হিট হয়ে গেছে। হাজার হাজার কপি মানুষ পড়ছে। এত যত্ন নিয়ে করা চমক হাসানের গণিত ভিডিওগুলো কে না দেখেছে। ফাহিমের পাইথন ব্লগ, রাগিব ভাইয়ের করা শিক্ষক ডট কমের এতজন শিক্ষক, মেহদী আর তার অভ্রদল, ফারসীম ভাই, মুনির হাসান…. আমার পরিচিত আর অপরিচিত মিলিয়ে এই তালিকা অনেক বড়। ৭১এ যে চিন্তক আর সৃষ্টিশীল মানুষগুলোকে আমাদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে হায়েনারা। আমি দেখছি, সেই শূন্যস্থান পূরণ হতে চলেছে। যে আনন্দের খোঁজ এই পরিশ্রমী আর হৃদয়বান মানুষগুলো পেয়েছে, সে আনন্দের খোঁজ শিঘ্রই আরো অনেকেই পেয়ে যাবে। আরো অনেকে বাড়িয়ে দেবে তাদের হাত।

আর হবেই বা না কেন! যে তার চিন্তার মুক্তি ঘটাতে পারলো, সে তার আশেপাশের দশজনের থেকে এগিয়ে থাকবে অনায়াসে। নিজের ভালোলাগা নিয়ে মেতে উঠতে পারবে নির্দিধায়। নিজের অজান্তেই আশেপাশে আর দশজনের জন্য একটা উৎসাহের উৎস হয়ে উঠবে সে।

আমাদের দেশে জ্ঞান জিনিশটা প্রচন্ড অজনপ্রিয়। এখানে একটু বেশি জানতে চাওয়াটাই যেন পাপ। কৌতুহলী ছেলেটা ক্লাসে সবচেয়ে বড় হাসির পাত্র। জ্ঞানের এখানে বুঝি কোনো প্রয়োগ নেই। তাই সভ্যতার যে সুফলগুলো উচ্চ্তর জ্ঞান নির্ভর, তার সবই আমরা আমদানি করি। এভাবে আমদানি করতে করতে আমরা দেউলিয়া। আমরা তৃতীয় বিশ্ব! সব রকম সম্ভাবনা থাকা সত্তেও আমরা প্রচন্ড একঘেয়ে। কোটিকোটি মানুষ আমাদের। কিন্তু কেউ ভাবছি না। ভাবনার সংস্কৃতি-ই নেই কোনো। আমাদের তরুণরা মালটিলেভেলে মার্কেটিংএর ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব, বয়স্করা শেয়ার বাজারের। এসব টাকা নাকি সরকার নিয়ে নেবে। কিন্তু নিয়ে সেই বারো ভূতেই ভাগ করে খাবে। সরকার তার গঠনকারী মানুষগুলোর চেয়ে বেশি “ভালো” হতে পারে না। কিন্তু তার সংজ্ঞানুযায়ী, সরকার হয়ে ওঠে তার গঠনকারী মানুষগুলোর চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাধর। আমরা একটা লেসার ইভলের থেকে পড়ি গ্রেটার ইভলের ক্ষপ্পরে।

মানুষ ভাবতে শিখলে এমনটা থাকবে না। “ভাবতে শেখা” শব্দটা অদ্ভুত শোনাতে পারে। কিন্তু মানুষের আর দশটা স্কিলের কথা ভাবুন। মানুষ কথা বলতে পারে সহজাত ভাবেই, কিন্তু “বক্তা” হয়ে উঠতে তাকে বাড়তি চেষ্টা করতে হয়। গুনগুন করে গাইতে পারে না এমন কেউ নেই, কিন্তু গায়ক হয়ে ওঠা দীর্ঘ সাধনার ব্যাপার। তেমনি সহজাত ভাবে ভাবতে পারি আমরা সবাই। কিন্তু চিন্তাশীল হয়ে ওঠা, চিন্তক হয়েওঠা অন্য ব্যাপার। হাতের সমস্যাটিকে নিজের চিন্তাশক্তি ব্যবহার করে সমাধান করার ক্ষমতা বা আত্মবিশ্বাস বেশিরভাগ মানুষেরই সহজাত নয়। তাকে শিখতে হয়, দীর্ঘ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই। আর জনগণ ভাবতে শিখলে, সেই জনগণের গঠিত সরকারও ভাবতে শেখে। আরো বেশি মানবীয় হয়ে ওঠে তখন। নইলে, কেন রাগিব ভাইকে শিক্ষক ডট কম বানাতে হবে? কত টাকাই আর লাগে এই কাজে? সরকার কি চাইলে পারে না দেশের সেরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দিয়ে নানান বিষয়ে কিছু শিক্ষা ভিডিও বানিয়ে ফেলতে। কত হাজার কোটিটাকা এদিক ওদিক করে ফেলে ওরা। আর এটুকু করতে পারবে না? আসলে পারবে। চাইবে না। ওদের কাছে দেনদরবার করার তাই অর্থ নেই। জনগণ চিন্তাশীল হয়ে উঠেছে, এটা ওদের সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্ন।

যাই হোক, বসেছিলাম কোয়ান্টাম তত্ত্ব নিয়ে লিখতে। আগুণ বা কৃষি আবিষ্কারের পরে মানব সভ্যতার যেমন অভাবনীয় অগ্রগতি এসে গেছিলো। কোয়ান্টাম মেকানিক্স আবিষ্কারের পরেও তেমন একটা পরিবর্তন এসে গেছে আমাদের সভ্যতায়। জেনে বা না জেনে, তার সুফল ভোগ করে চলেছি আমরা সবাই। সে আমরা তৃতীয় বিশ্বের বা যে বিশ্বের নাগরিকই হই না কেন। কোয়ান্টাম তত্ত্ব শুধু আমাদের ক্ষমতায়নই করেনি। ধারনার জগতেও এনেছে অভাবনীয় পরিবর্তন। এই প্রচন্ড কৌতূহলোদ্দীপক ঘটনাটা নিয়েই নিয়েই লিখতে বসেছিলাম আজ। কিন্তু মনে হলো, আগে “কেন লিখব?” সেই কারণটাই লিখি। এত সব ব্লগর ব্লগর করার জন্য তাই বিরক্ত পাঠকের কাছে ক্ষমা চেয়ে এখনকার মত শেষ করছি।