সবচেয়ে অসাধারণ জিনিশটা যদি সবচেয়ে সহজ হতো, তাহলে আর মজা থাকতো না। আর আমরা তো বাঁচি মজার এককে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, মজার জিনিশ বেশিরভাগ সময়ই আরামদায়ক নয়। কষ্ট করার মানসিকতা আর সাহস না থাকলে মজা মেলে না। তা সে হিমালয়ে চড়া, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং করা বা আকর্ষণীয় সঙ্গী জোগাড় করা, যাই হোক না কেন। এছাড়া আছে ব্যক্তির প্রকৃতিগত ঝোক বা অ্যাপটিচিউড। যে হিমালয়ে চড়তে পারে, সে হয়তো প্রিয় মানুষটিকে মুখ ফুটে বলতে পারে না ভালো লাগার কথাটা। এই যেমন আইজ্যাক নিউটনের কথাই ধরা যাক। প্লেগ-এর মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি কেমব্রিজ ছেড়ে চলে গেলেন দূরে কোনো নির্জন গ্রামে। ঐ একই সময়ে হয়তো অনেকেই জীবন বাজী রেখে আক্রান্ত মানুষের সেবা করে গেছেন। কেউ গবেষণা করেছে কেন এই রোগ ছড়াচ্ছে, কিভাবে এটা আটকানো যায়। আর নিউটন একের পর এক ক্যালকুলাস, অপটিক্স, আর মধ্যাকর্ষণের রহস্য ভেদ করে চলেছেন। সেই নির্জনতায় বসে লিখে ফেলছেন পুরো মানব সভ্যততার ভবিষ্যত। আসলে, যে যেটাতে মজা পায় আরকি। আমরা ভাগ্যবান যে মানুষের মজা পাওয়ার স্বাদে প্রচুর ভিন্নতা আছে। ফলে, আর্ত পীড়িতের সাহায্য করা থেকে প্রকৃতির রহস্যভেদ, কোনো কাজই পড়ে থাকছে না। কিন্তু আসলেই কি তাই?
ছবি: উইলিয়াম ব্লেকের তুলিতে নিউটন [উইকিপিডিয়া]
আপনি যদি তৃতীয় বিশ্বের নাগরিক হন, তাহলে দেখবেন অনেক কাজই আসলে পড়ে থাকছে আশে-পাশে। কত শত কোটি মানুষ চারিদিকে কিন্তু কাজ এগোচ্ছে না। এ যেন কী এক জটিল ধাঁধা! এত জনসংখ্যা, হাজার স্বাদের হাজার প্রকৃতির মানুষ থাকার কথা চারিপাশে। নিজের ভালো লাগার ব্যাপারটাতে জান লড়িয়ে খাটাখাটনি করার মত মানুষও তো অনেক থাকার কথা। হোক সে বিজ্ঞান, শিল্প-সাহিত্য, বানিজ্য বা রাজনীতি। কিন্তু কই? তৃতীয় বিশ্বের এতগুলো জাতি, তার শতকোটি মানুষ মিলিয়ে কি এতটাই অনুর্বর হয়ে পড়েছে? এত সম্ভাবনার জমিনে শুধুই কি আগাছা? (স্বীকার করছি কিছু ব্যতিক্রম আছে)।
এই পর্যন্ত লিখে বসে আছি অনেক্ষণ। আলোচনা জটিল মোড় নিয়ে ফেলেছে। ইন ফ্যাক্ট এই লেখাটা লিখতে বসেছিলাম কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে। এখন শিরোনামটা দেখে রীতিমত হাসি পাচ্ছে। অতয়েব অন্যভাবে চেষ্টা করি আসুন।
ধরুন আপনি বেশ বোরড হয়ে গেছেন। কোনো বন্ধু বললো, ঐ মুভিটা দেখেছিস, বা ঐ বইটা পড়েছিস? হয়তো সেটা এগিয়েও দিলো সে, বা দেখলেন আপনার সংগ্রহেই ছিলো সেসব। আপনি দেখতে-পড়তে শুরু করলেন। অমনি সেই বোরডোম ভেঙ্গে সময়টা বেশ ভালো কাটতে লাগলো। এবং এর ধারাবাহিকতায় বই পড়ার বা মুভি দেখার একটা অভ্যাসই গড়ে উঠলো আপনার। এসব কাজে হয়তো অনেকেই মজা পাবে না। কিন্তু আপনার মধ্যে প্রকৃতিগত ভাবেই ঐ দিকে ঝোক ছিলো। কিন্তু শুরুতে জড়তায় আটকে ছিলেন, বন্ধুটি স্রেফ একটু ধাক্কা দিয়েছে ওদিকে।
মানুষের মজা হলো, এ ধরনের জড়তায় সে শুধু একক ভাবেই আটকায় না, পুরো জাতি গোষ্ঠি মিলে আটকে থাকে অনেক সময়। সে কারণেই তো সাম্যের কথা বলে বিলিয়ন জনসংখ্যার পুরো একটা জাতিকে শ্রমদাস বানিয়ে ফেলা সম্ভব। অলিক লোভ আর ভীতির মিশ্রন দেখিয়ে বানিয়ে ফেলা সম্ভব উগ্রপন্থী। এ অবস্থায় যেসব মানুষ থাকে তাদের পুরো জীবন কেটে যায়, নিদারুণ অসহায়ত্বে। হাতের কাছেই হয়তো ছিলো মুক্তি, কিন্তু ছোট্টো করে সেদিকে ধাক্কা দেওয়ার কেউ ছিলো না। হয়তো প্রশ্ন আসবে, পুরো একটা জাতিকে কি কোনো একক ব্যক্তি ধাক্কা দিতে পারে? আসলে পারে। হয়তো সরাসরি না। কিন্তু একটা “বাটারফ্লাই ইফেক্ট” একক ভাবেই সূচনা করা সম্ভব। (মানে একজন অল্প কয়েকজনকে দিলো ধাক্কা, তারা আরো তেমন অনেককে, এভাবে জ্যামিতিক হারে) ইতিহাসে তার অনেক নজির আছে। মানুষ এমনকি কোনো একক মানুষও বিশাল সব পরিবর্তনের সম্ভাবনা ধারণ করে।
এখানে আরেকটা প্রশ্ন আসবে, “কেন?” কেন আমি আর পাঁচজনের জীবনকে আমার নিজস্ব ধারনা মোতাবেক পালটাতে সচেষ্ট হবো? এর সোজা সাপ্টা উত্তর হলো মজা পাবো তাই। যখন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিনিয়ত আসেপাশের মানুষ মারা যায়, যখন কোনো মুর্খের উস্কানিতে আপাত সাধারণ মানুষরাই নিজেদের মনুষত্ব বিসর্জন দিয়ে চোখের সামনে হয়ে ওঠে দাতাল হায়েনা, যখন অভাব অনটনে আর সুস্থ পরিবেশের অভাবে মানুষ হয়ে ওঠে অসৎ, শিশুরা মারা যায় বিনা চিকিৎসায়, দেশের প্রধানতম মানুষেরা আক্রান্ত হয় উগ্রপন্থির হাতে, চুরি যেতে থাকে রক্তের দামে পাওয়া হাজার হাজার কোটিটাকা, স্রেফ একটু বুদ্ধি খাটালেই যে সমস্যা গুলো সমাধান করা সম্ভব, সেগুলো নিয়ে মাথা খাটানো, এমন কি জানা সমাধান প্রোয়োগকরার সদিচ্ছাও থাকেনা প্রয়োগকারী সস্থার। তখন ভালো লাগে না। তীব্র হতাশা আর ক্রোধ ভর করে। আশেপাশের হাজারো মানুষের চোখে যখন সেই সুতীব্র হতাশারই ছবি দেখি তখন বড্ডো অসহায় মনে হয় নিজেকে। পরাজিত, আর মৃত মনে হয়। এমনকি ভাগ্যক্রমে অন্ন্য-বস্ত্রের আপাত নিশ্চয়তা থাকার পরেও। আমরা মানুষরা এমনভাবে বিবর্তিত হয়েছি, যে গুটিকয় কুলাঙ্গার বাদে বাকি সবাই, আর সবাইকে নিয়ে হাসি আনন্দে উৎসবে, এমনকি দুঃখ-বেদনায় একাকার হয়ে বাঁচতে চাই। আমরা তো একাকী দ্বীপ নই। সবাইকে মিলেই আমরা। মানুষের মন আর তার চিন্তা-চেতনা যে গভীরতম আনন্দের উৎস হতে পারে, তার খোঁজ অন্যকে দেবার চেষ্টা করবো না!
এখন “নিজস্ব ধারনা” মোতাবেক কথাটা নিয়েও প্রশ্ন আসতে পারে। আসলে মানুষের কোনো ধারণাই একেবারে নিজস্ব নয়। আবার মানুষ কোনোকিছু হুবহু কপি করতে গঠনগত ভাবেই অক্ষম, ফলে অন্যের ধারনাও সে নিজের মত করে একটু আধটু বদলে নেয়। ওটাই তার সৃষ্টিশীলতা। আর একটা মানুষের প্রচেষ্টা তো তার নিজস্ব, বা যে ধারণাটাকে সে আপন করে নিয়েছে, যে ধারণা শুনে মনে হয়েছে, “আরেহ! এটাই তো খুঁজছি”, তেমন ধারনার আলোকেই হবে। মূল কথা হলো, কেউ তার নিজস্ব ধারণা অন্যের উপর জোর করে চাপিয়ে না দিলেই হলো। সুন্দরতম ধারনাগুলোর মধ্যে এক ধরনের আলো থাকে, মুক্তি দেবার ক্ষমতা থাকে। ওর সন্ধান কেউ পেলে তাকে আর জোর করতে হয় না। একটা প্রায় অপ্রাসঙ্গিক উদাহরণ দেই। আমার অফিসের কফি মেশিনটাতে কম করেও ১০ রকম কফি বানানো যায়। কিন্তু আমি জানতাম না। গত প্রায় দেড় বছর যাবত, একটা বোতাম চেপে কিছু এস্প্রেসো নিয়ে চলে আসতাম নিজের টেবিলে। ভাবতাম ওটা এসপ্রেসো মেশিন। এই মাত্র সেদিন একজন দেখিয়েএ দিলো, কিভাবে কাপাচিনো থেকে শুরু করে আরো নয় রকম কফি বানানো সম্ভব! যে লোকটা একটা নিরানন্দ একঘেয়ে কাজ করতে করতে বিতৃষ্ণ হয়ে উঠছে, যে ছাত্রটা পড়ালেখাই করছে, ঐ রকম একটা “জানা একঘেয়েমির” জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে করতে, এমন ভাবার কারণ নেই যে সে ওতেই সুখী (হয়তো কেউ কেউ) । কিন্তু তাদেরকে দেখিয়ে দেওয়া দরকার যে পৃথিবীতে আরো অনেক রকম কফি আছে। একটু চাইলেই সে মুক্তি পেতে পারে একঘেয়েমি থেকে। পার্থক্য হলো, “দেয়ার ইজ নো কফি মেশিন!” এখানে আমাদের কফি মেশিন আমরাই। তাই এই “দেখিয়ে দেওয়ার” কাজটা মোটেই সহজ নয়। কিন্তু আমি নিশ্চিত এই কঠিন আর কষ্টসাধ্য কাজটা করেও অনেকে অপার আনন্দ পাবে।
আমার পরিচিতজনদের মধ্যেই দেখা যাক। শাফায়েত অ্যালগরিদম নিয়ে একটা ব্লগ লিখছে। কোনো অ্যালগরিদম সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করে বোঝানো কি যে কষ্টসাধ্য কাজ সেটা যে কখনো ৫ মিনিট চেষ্টা করেছে সে-ই জানে। তারপরেও ওকে দেখছি নিয়মিত বিরতিতে এটা করে যেতে। রায়হান অভিজিৎদার সাথে মিলে কী কঠিন শ্রমসাধ্য একটা বই লিখলো, “অবিশ্বাসের দর্শন”। আর তার দুবছর পরেই এই গতকাল ওর থেকে জানলাম, নতুন বইটাও লেখা শেষ। সুবিনভাই বাচ্চাদের জন্য পোগ্রামিং এর উপর একটা বই লিখেছিলেন। সেই বইয়ের সহায়ক ওয়েবসাইটে অলরেডি লক্ষাধিক হিট হয়ে গেছে। হাজার হাজার কপি মানুষ পড়ছে। এত যত্ন নিয়ে করা চমক হাসানের গণিত ভিডিওগুলো কে না দেখেছে। ফাহিমের পাইথন ব্লগ, রাগিব ভাইয়ের করা শিক্ষক ডট কমের এতজন শিক্ষক, মেহদী আর তার অভ্রদল, ফারসীম ভাই, মুনির হাসান…. আমার পরিচিত আর অপরিচিত মিলিয়ে এই তালিকা অনেক বড়। ৭১এ যে চিন্তক আর সৃষ্টিশীল মানুষগুলোকে আমাদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে হায়েনারা। আমি দেখছি, সেই শূন্যস্থান পূরণ হতে চলেছে। যে আনন্দের খোঁজ এই পরিশ্রমী আর হৃদয়বান মানুষগুলো পেয়েছে, সে আনন্দের খোঁজ শিঘ্রই আরো অনেকেই পেয়ে যাবে। আরো অনেকে বাড়িয়ে দেবে তাদের হাত।
আর হবেই বা না কেন! যে তার চিন্তার মুক্তি ঘটাতে পারলো, সে তার আশেপাশের দশজনের থেকে এগিয়ে থাকবে অনায়াসে। নিজের ভালোলাগা নিয়ে মেতে উঠতে পারবে নির্দিধায়। নিজের অজান্তেই আশেপাশে আর দশজনের জন্য একটা উৎসাহের উৎস হয়ে উঠবে সে।
আমাদের দেশে জ্ঞান জিনিশটা প্রচন্ড অজনপ্রিয়। এখানে একটু বেশি জানতে চাওয়াটাই যেন পাপ। কৌতুহলী ছেলেটা ক্লাসে সবচেয়ে বড় হাসির পাত্র। জ্ঞানের এখানে বুঝি কোনো প্রয়োগ নেই। তাই সভ্যতার যে সুফলগুলো উচ্চ্তর জ্ঞান নির্ভর, তার সবই আমরা আমদানি করি। এভাবে আমদানি করতে করতে আমরা দেউলিয়া। আমরা তৃতীয় বিশ্ব! সব রকম সম্ভাবনা থাকা সত্তেও আমরা প্রচন্ড একঘেয়ে। কোটিকোটি মানুষ আমাদের। কিন্তু কেউ ভাবছি না। ভাবনার সংস্কৃতি-ই নেই কোনো। আমাদের তরুণরা মালটিলেভেলে মার্কেটিংএর ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব, বয়স্করা শেয়ার বাজারের। এসব টাকা নাকি সরকার নিয়ে নেবে। কিন্তু নিয়ে সেই বারো ভূতেই ভাগ করে খাবে। সরকার তার গঠনকারী মানুষগুলোর চেয়ে বেশি “ভালো” হতে পারে না। কিন্তু তার সংজ্ঞানুযায়ী, সরকার হয়ে ওঠে তার গঠনকারী মানুষগুলোর চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাধর। আমরা একটা লেসার ইভলের থেকে পড়ি গ্রেটার ইভলের ক্ষপ্পরে।
মানুষ ভাবতে শিখলে এমনটা থাকবে না। “ভাবতে শেখা” শব্দটা অদ্ভুত শোনাতে পারে। কিন্তু মানুষের আর দশটা স্কিলের কথা ভাবুন। মানুষ কথা বলতে পারে সহজাত ভাবেই, কিন্তু “বক্তা” হয়ে উঠতে তাকে বাড়তি চেষ্টা করতে হয়। গুনগুন করে গাইতে পারে না এমন কেউ নেই, কিন্তু গায়ক হয়ে ওঠা দীর্ঘ সাধনার ব্যাপার। তেমনি সহজাত ভাবে ভাবতে পারি আমরা সবাই। কিন্তু চিন্তাশীল হয়ে ওঠা, চিন্তক হয়েওঠা অন্য ব্যাপার। হাতের সমস্যাটিকে নিজের চিন্তাশক্তি ব্যবহার করে সমাধান করার ক্ষমতা বা আত্মবিশ্বাস বেশিরভাগ মানুষেরই সহজাত নয়। তাকে শিখতে হয়, দীর্ঘ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই। আর জনগণ ভাবতে শিখলে, সেই জনগণের গঠিত সরকারও ভাবতে শেখে। আরো বেশি মানবীয় হয়ে ওঠে তখন। নইলে, কেন রাগিব ভাইকে শিক্ষক ডট কম বানাতে হবে? কত টাকাই আর লাগে এই কাজে? সরকার কি চাইলে পারে না দেশের সেরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দিয়ে নানান বিষয়ে কিছু শিক্ষা ভিডিও বানিয়ে ফেলতে। কত হাজার কোটিটাকা এদিক ওদিক করে ফেলে ওরা। আর এটুকু করতে পারবে না? আসলে পারবে। চাইবে না। ওদের কাছে দেনদরবার করার তাই অর্থ নেই। জনগণ চিন্তাশীল হয়ে উঠেছে, এটা ওদের সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্ন।
যাই হোক, বসেছিলাম কোয়ান্টাম তত্ত্ব নিয়ে লিখতে। আগুণ বা কৃষি আবিষ্কারের পরে মানব সভ্যতার যেমন অভাবনীয় অগ্রগতি এসে গেছিলো। কোয়ান্টাম মেকানিক্স আবিষ্কারের পরেও তেমন একটা পরিবর্তন এসে গেছে আমাদের সভ্যতায়। জেনে বা না জেনে, তার সুফল ভোগ করে চলেছি আমরা সবাই। সে আমরা তৃতীয় বিশ্বের বা যে বিশ্বের নাগরিকই হই না কেন। কোয়ান্টাম তত্ত্ব শুধু আমাদের ক্ষমতায়নই করেনি। ধারনার জগতেও এনেছে অভাবনীয় পরিবর্তন। এই প্রচন্ড কৌতূহলোদ্দীপক ঘটনাটা নিয়েই নিয়েই লিখতে বসেছিলাম আজ। কিন্তু মনে হলো, আগে “কেন লিখব?” সেই কারণটাই লিখি। এত সব ব্লগর ব্লগর করার জন্য তাই বিরক্ত পাঠকের কাছে ক্ষমা চেয়ে এখনকার মত শেষ করছি।
আপনার এর ব্লগর ব্লগর ই যে চিন্তার দুনিয়াটাকে কত নাড়া দেয় হয়ত আপনি বুঝতে পারেন না।সবাই পরিবর্তন চাই,এবং চাই অন্য কেউ আমাদের জন্য পরিবর্তন টা নিয়ে আসুক। সবাই চায় সার্বিক পরিবর্তন কিন্তু সার্বিক পরিবর্তন এর জন্য যে আত্তিক পরিবর্তন টা বড্ড বেশি জরুরী।নিজেকে পাল্টাতে চাই না অথচ সমাজ কে পাল্টাতে চাই।আমরা আসলেই ঘুমিয়ে পরেছি আর অজান্তেই আমাদের পূর্বপুরুষ এর দেখানো পথে চলছি। এক বার ও ভাবছি না , নতুন কোন রাস্তা আছে কিনা?অনেক অসহায় বোধ করি এখন, সমাজ টাকে পুরোনো মেশিন এর মত মনে হয় যার সমস্যাগুল কখন ও মেরামত করার প্রয়োজন মনে করি না।
আপনাকে সাধুবাদ জানাই। অনেক ধন্যবাদ এরকম একটি লিখার জন্য।
আপনার আশার কথা শুনে ভালো লাগলো .. কিন্তু বাঙালির কাজ দেখুন এইখানে (http://www.ovidhan.org/) .. আমি যা দেখি আপনি তা দেখলে পরে কিছু করুন, ওই বিদগ্ধ ব্যক্তির কোনো যোগাযোগের ঠিকানা পর্দায় দেখছিনা ..
বদলে যাউ, বদলে দাউ 😀
সাইড নোট, সরকার নিয়ে হা হুতাশের কিছু কিন্তু আসলে নেই। আমরা যেটা কামনা করতে পারি, তা হলো এ ধরনের ব্যক্তি উদ্যোগকে সরকার বাধাগ্রস্ত করবে না (যা অলরেডি করছে ইউটিউব বন্ধ করে।) সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও সরকারি উদ্যোগ কিন্তু হিতে বিপরীত হবে।
যেমন, বর্তমানে রাগিব ভাইয়ের উদ্যোগটি চোখে পড়লেও আমরা কিন্তু চাবো এমন মাত্র একটা নয়, আরো আরো উদ্যোগ তৈরি হোক। অনলাইনে শেখানোর তরিকা কেবল একটা নয়। অন্য কেউ আরো বেটার উপায়ে বেটার কারিকুলাম নিয়ে আসতে পারে। প্রতিযোগিতা এখানে কাম্য। যেভাবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে। সে জায়গায় সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সুবিধা হবে যে একরাশ কাঁচা টাকা বা ক্যাপিটাল পাওয়া যাবে মুফতে। সত্য। কিন্তু অন্য দিকে এটা মুক্ত প্রতিযোগিতার ভাসসাম্য নষ্ট করবে। “সরকারি” লেবেলিং পাবে যে উদ্যোগটি, সেটা বিনা কারণেই একটা অ্যাডভান্টেজ পাবে, যেখানে অ্যাডভান্টেজ ফ্যাক্টরটা আসা উচিত প্রতি মুহূর্তে ভালো সার্ভিস দিয়ে টিকে থাকা থেকে। আবার যাদেরকে সরকার পৃষ্ঠপোষকতা দিবে, তাদেরকে এক প্রকার ধ্বংসও করবে। কারণ সেখানে তখন সরকারি ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত চাপানোর একটা “লিগ্যাল” সুযোগ চলে আসবে। এতে অনেকে ভাবতে পারে যে মহা মঙ্গল হবে। আমি মনে করি এতে হিতে বিপরীত হবার সুযোগই বেশি। রাগিব ভাইয়ের প্রতিষ্ঠানটি সরকারি আওতায় আসলে সেটাতে সরকার যখন সিদ্ধান্ত চাপাতে চাইবে, রাগিব ভাই তাতে খুশি হবেন বলে মনে হয় না।
লেখাটারে ভাল পাইলাম :))
@লীনা রহমান,
🙂
লেখাটা খুব ভাল লাগল , অনেক ধন্যবাদ জানবেন।
@সাজ্জাদ হোসেন,
ধন্যবাদ আপনাকেও।
রামগড়ুড়ের ছানা, ফাহিম, চয়ন, মেহেদী, রাগিব ভাই আর আপনার মত মানুষদের প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নাই। আপনারা হয়ত জানেনও না যে আপনাদের এই পরিশ্রম কত নতুন প্রজন্মের তরুনদের কঠোর পরিশ্রম ও অদম্য ইচ্ছার জ্বালানি হিসেবে কাজ করছে।
@শোয়েব আমিন,
ধন্যবাদ, ফেসবুক আর ব্লগ খুললেই সবাইকে এত হতাশ হয়ে যেতে দেখি দিন দিন! ব্যাপারটা দুঃস্বপ্নের মত মনে হয়। একদিন দেখবেন এই দুঃস্বপ্ন ভেঙ্গে যাবে।
শুভেচ্ছা 🙂
@শোয়েব আমিন,
উপরে অভিজৎদা চয়ন লিখসে,আপনিও দেখি চয়ন লিখসেন, এটা মনে হয় চমক হবে, চমক হাসান 🙂 । আর এই লিস্টে প্রথমে নিজের নাম দেখে ভয়াবহ লজ্জা পাচ্ছি , বাকি যে ৪জনের নাম লিখসেন তাদের নখেরও যোগ্যনা এখনও আমি(সিরিয়াসলি)।
অনেক ভাবনা-জাগানিয়া প্রয়োজনীয় লেখা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থার কোথাও কি এই ধাক্কা দেয়ার ব্যাপারটা আছে?
@প্রদীপ দেব,
শিক্ষা ব্যবস্থায় অল্প অল্প করে দারুণ কিছু পরিবর্তন আসছে (যেমন সৃজনশীল পদ্ধতি, ইত্যাদি)। কিন্তু গবেষণামুখী শিক্ষা এখনো সরাকারী পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে না। পাটগবেষণা নিয়ে সাফল্যের পরে এভাবে যদি আরো নানাবিধ গবেষণার সুযোগ সরকার করে দিতে পারতো, তাহলে শিক্ষার্থীরা অন্তত জানতো যে শিক্ষিত হয়ে উঠলে সে কত অসাধাণ সব কাজ করতে পারবে! এমন উদাহরণ প্রতিটি নবীন শিক্ষার্থীর সামনে থাকা জরুরি।
পড়ার জন্য ধন্যাব্দ।
দারুণ লেখা।আপনার কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে লেখাটার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি 🙂
@সাদিয়া,
ধন্যবাদ।
আমিও অনেকদিন ধরেই লেখাটা তৈরি করার চেষ্টা করছি। দেখা যাক… 🙂
অসাধারণ লাগলো, ভাইয়া। লেখালেখি বা চিন্তা করার একটা ইউনিক আনন্দ আছে, সবার মাঝে নিজের চিন্তা-ভাবনা গুলো ছড়িয়ে দেয়ার একটা দুর্নিবার আকর্ষণ অবশ্যই আছে। চিন্তা করার মত অনেক কিছুই পেলাম আপনার লেখা থেকে। 🙂
@রিজওয়ান,
ধন্যবাদ আপনাকে। লেখাটা আপনাকে কিছুটা হলেও ভাবিয়েছে জেনে ভালো লাগলো খুব। 🙂
শিক্ষক.কম এর পেছনে কত টাকা খরচ হয়েছে, তা বললে লোকে হাসবে। টাকার অংকটা বলছিনা, তবে ধরুন ওটা দিয়ে ৫টা বার্গার বড়জোর কেনা সম্ভব 🙂 । দেশের হিসাবেও ওটা কিছুই না।
তবে অমূল্য যে জিনিষটা আছে শিক্ষক.কম এ, সেটা হলো অনেক মানুষের প্রায় কোটি টাকার সময়। আমি নিজে যন্ত্রগ্ণক.কম এর ভিডিওগুলো বানাবার সময়ে দেখেছি, এডিটিং সহ একটা ভিডিও বানাতে ৪/৫ ঘণ্টা লাগে। সেই হিসাবে শিক্ষক.কম এর ভিডিওগুলো বানাতে প্রায় হাজার ঘণ্টার পরিশ্রম আছে।
এখানে আসলে আসল টাকার ইন্ভেস্টমেন্টটা বড় কথা না, তার ছিড়া কিছু মানুষ থাকাটাই আসল কথা। আমার বিশ্বাস সেরকম এক গাদা মানুষ আছে। তাই তারাই এগিয়ে আসছে ও আসবে।
@রাগিব হাসান, (Y)
@রাগিব হাসান,
প্রথমে যন্ত্রগণক ডটকমে আপানার নেওয়া কোর্সটাই সবার মনে সাহস সঞ্চার করেছে। নইলে অনেকদিন থেকেই অনেককেই দেখেছি এমন কিছু ভিডিও করবে- করবে করছিলেন। আপনি একৈ সঙ্গে পথটা নিজে হেটে দেখিয়ে দিয়েছেন এবং অন্যদের জন্য দারুণ একটা ফ্রেমওয়ার্কও তৈরি করে দিয়েছেন। এই প্রোজেক্টের সুফল কয়েকবছরের মধ্যেই আমরা পুরো দমে পেতে শুরু করবো বলে আমার বিশ্বাস! 🙂
দেশ নিয়ে মাঝে মাঝে প্রচণ্ড হতাশায় ডুবে যাই। কিন্তু এমন লেখা আর অনেক চমকদের ঝলকানি যখন দেখি তখনই নিজের ভুল বুঝতে পারি। আমি আশাবাদী শুধু নই, আমি নিশ্চিত, আমাদের নতুনরা মাথা উঁচু করে পথ দেখাবে। চমকের পর চমক দিয়ে যাবে দেশ আর বিশ্বকে।
ভাবুক নামের এই লেখাটা দেবার লোভ সামলাতে পারলাম নাঃ
The Thinker
অনেককাল আগে।
যখন কিছুই শেখেনি মানুষ; ভাবনা ছাড়া,
দিনরাত ধরে,
পশুর মতই গিলেছে বনবাদাড়ের ঐ যাচ্ছেতাই।
মরতে মরতে;
একসাথে হওয়া কাকে বলে জানলো; বাঁচতে।
বেঁচে দেখলো,
সেই দাঁতাল শুয়োর; মত্ত পশুরাই প্রতিপক্ষ,
এবং মুলতঃ;
খাবারের তরে দাগ কেটেছে পেশল জন্তু।
তখনও মানুষ
বেঁচেছে, মুক্ত মেধাবী অস্তিত্বে ভর করে।
অথচ আজকে,
হিংস্র ক্ষমতাপেশল পূজারী জন্তুমানব, উলঙ্গ উল্লাসে,
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে,
ঈশ্বরভীত কম্পমান নোয়া মানুষগুলোকে ছিঁড়ে খায়,
অবিরাম বারবার,
জাতিকেটে দাগ টানে, লোভী, মৌলোভী মানুষ,
শুষে খেতে;
ভয় দেখিয়ে শূন্যে বানায় স্বরচিত স্বর্গনরক;
লুটেরা স্বার্থমানব।
অযত্ন অবহেলায়
গাছ পোড়ে মাঠ পোড়ে, পোড়ে বরফ
কালের অপেক্ষায়।
অনিয়মের নিয়মে,
তবুও কোথাও; অল্প কিছু ঘাড়ত্যাড়া মানুষ।
নিজের মনেই
অঁগাস্তে রোদিনের ভাস্কর্যের মত ভাবতে বসে,
সাগর আকাশ
একাকার করে উত্তর খোঁজে, আলোর তরে,
বাইরে ছুঁড়ে
বাঁধাই খাতা, ভালোবাসে জিজ্ঞাসা; নিবিড় কৌতূহলে,
একান্তে, মুক্তমনে।
@কাজী রহমান,
ভাবুক কবিতাটা ভালো লাগলো। ভাবনার শক্তি মানুষ একসময় বুঝতে শিখবে নিশ্চয়ই। 🙂
চমৎকার লাগলো লেখাটি। 🙂
অজনপ্রিয়র থেকে বোধহয় ‘জন-অপ্রিয়’ শুদ্ধ বেশি। জানি না, সেইদিন এক বইয়ে দেখতে পেলাম। 🙂
@শফিউল জয়,
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
হ্যাঁ ভেঙ্গে দেখলে জন-অপ্রিয়ই বেশি শুদ্ধ মনে হচ্ছে। তবু আপাতত ইনফরমালি যেটা ব্যবহার করি, সেটাই রেখে দিলাম।
(Y) খুব ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন। (F)
@অসীম,
উৎসাহ দেবার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
(Y)
@রৌরব,
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। 🙂
@তানভীরুল ইসলাম,
এই কথাটা সেরকম হয়েছে!
দারুন লেখা।
নিজের কাছে অনেকবার করা অনেক প্রশ্নের উত্তর দেখলাম আপনার লেখায়।
অনেকেই জিগ্ঞেস করেন, কেন লিখি? তাদের না হয়, আপনার এই ব্লগটাই দেখিয়ে দিব।
@সবুজ পাহাড়ের রাজা,
ধন্যবাদ। 🙂
একটা সময় পর্যন্ত, বন্ধুদের মধ্যে নানান বিষয়ে যারা জানে, তাদের কনভিন্স করতে চেষ্টা করতাম লেখালিখি শুরু করতে। কিন্তু মানুষের এক ধরনের সহজাত প্রবণতা থাকে। কাউকে কিছু বলে বা দেখিয়ে স্রেফ ঐ সম্ভাবনাটা আনলক করে দেওয়া যায়। যার যে ঝোক নেই তাকে সেসব করতে বলা সময়ের অপচয়। তাই নিজে কেন লিখি, বা বন্ধু-পরিচিত দের মধ্যে যারা লেখে তারা কেন লেখে বলে মনে করি। সেটাই লিখলাম। কেউ আগ্রহী হলে নিজেও শুরু করবে লিখতে। কাউকে আর ধরে ধরে বোঝানোর চেষ্টা করবো না।
তানভীরুল,
লেখাটার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
রামগড়ুড়ের ছানা, ফাহিম, চয়ন, মেহদি কিংবা রাগিবের মত মানুষদের দেখে ভরসা পাই। এরা আছে বলেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎটা একেবারে অন্ধকার নয়।
আপনি বিনয়ী বলেই হয়তো আপনার অবদানটা এড়িয়ে গেছেন। আপনার বিজ্ঞানের লেখাগুলো অমূল্য সম্পদ। বিশেষতঃ গ্র্যান্ড ডিজাইনের অনুবাদটা যখন করেছিলেন তখন বাংলায় এর কোন অনুবাদই ছিল না। আপনিই ছিলেন এর অগ্রপথিক। এটা ছাপার হরফে প্রকাশিত হতে দেখলে খুব খুশি হতাম। আর সেটা না হলেও ইবুক হিসেবে সাইটে আমরা রাখতে পারি। আপনার কোন আপত্তি না থাকলে আমাকে ওয়ার্ড ডকুমেন্টটা মেইল করতে পারেন।
@অভিজিৎ,
(Y) (Y) । আমাকেও তানভীর ভাই বিভিন্ন সময় অনেক সাহায্য করেছেন লেখালেখির ব্যাপারে,আমি সেজন্য কৃতজ্ঞ।
@অভিজিৎ,
ইবুক হিসাবে রাখতে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু, গ্র্যান্ড ডিজাইন বইটার অনুবাদ আসলে আমার কাছে নেই! শুধুমাত্র আছে মুক্তমনার সার্ভারে ব্লগপোস্ট আকারে। কোনোভাবে সার্ভারথেকে হাওয়া হয়ে গেলে পৃথিবী থেকেই হারিয়ে যাবে! টুটুল ভাইয়ের কাছে এককপি থাকার কথা। প্রুফরিড এবং অঙ্গসজ্জা সবই করিয়েছিলেন তিনি। দেখি সেটা যোগাড় করা যায় কি না।
@তানভীরুল ইসলাম,
হ্যা যোগাড় কইরা পাঠায় দেন। আপনেই প্রথম গ্র্যান্ড ডিজাইনের অনুবাদে হাত দিয়েছিলেন। বই আকারে ছাপা খানা থেকে না বেরুলেও, অন্ততঃ ইবুক করে হলেও সেটার অবদান স্বীকৃত থাকুক।
আরেকটা ব্যাপার, আপনি তো লেখার পাশাপাশি খুব ভাল ছবিও আঁকেন। বাচ্চাদের জন্য পদার্থবিজ্ঞানের বেসিক ধারনাগুলো নিয়ে একটা বই প্রকাশ করতে পারেন কিন্তু, অনেকটা কার্টুনের মত করে। ইংরেজীতে অনেক বই আছে। এখন আমি যেটা পড়ছি সেটা John Gribbin এর Get a Grip on Physics। বইয়ের কাঠামোটা দেখতে পারেন। আর এ নিয়ে কাজ করতে চাইলে আওয়াজ দিয়েন।
@অভিজিৎ,
কয়েকটা বড় আকারের লেখার প্রোজেক্ট হাতে নিয়ে বসে আছি অনেকদিন থেকে। বড়দের জন্য। বাচ্চাদের জন্য আসলেই কিছু করা যায়। আমার মনে আছে, আমি প্রথম বিজ্ঞানে আগ্রহী হয়ে উঠ আবদুল্লাহ আল মুতির ছোটদের জন্য লেখা বই পড়েই। এমন বইগুলো কি যে কাজে লাগে ঐ বয়সে!
ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরিতে সার্চ দিয়ে দেখলাম, এই লেখকের আরো অনেকগুলো বই আছে, শুধু এটাই নেই। দেখি কিনুকুনাইয়াতে খোঁজ নিতে হবে।
@তানভীরুল ইসলাম,
প্লিজ এমন একটা কিছু করুন তানভীরুল ভাই। বাংলায় এমন কিছু বই খুব মিস করি। আমার জানা মনে চমক হাসান ‘গল্পে গল্পে জেনেটিক্স’ নামে একটা বই লিখেছেন এই বইমেলায়।
বিস্তারিত এখানে। সেখানে কার্টুন দিয়ে জেনেটিক্স বোঝানো হয়েছে।
আশাকরি আপনার কাছেও এমন কিছু পাব। 🙂
@অভিজিৎ দা,
তানভীরুল ভাইয়ের ‘গ্র্যান্ড ডিজাইন’ এর অনুবাদটা ওয়ার্ড ডকুমেন্টে দিলাম। চেক করেন। কয়েকটা ছবি এর জায়গায় ব্যাঙ এর ছবি এসেছে। সেগুলোর মূল ছবি সার্ভার থেকে মুছে গিয়েছে।
ডকুমেন্ট লিংক:- https://www.dropbox.com/s/t6xibsfxpoosy57/Grand%20Design%20%28Bangla%29.doc
@সাদাচোখ,
অনেক ধন্যবাদ! (Y)
খুবই ভালো লাগলো লেখাটি। সরকার বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যদি রাগিব ভাই বা ফাহিম ভাইয়ের সাইটের মত সাইটগুলোতে স্পন্সরশীপ করতো তাহলে বেশ ভালো হত। আমি বা আরো অনেকে নিজের টাকায় হোস্টিং কিনছি(সুরিদ নামের এক বড় ভাই কম খরচে দিয়েছেন,তার প্রতি কৃতজ্ঞ) ,কিন্তু অনেকের পক্ষেই সেটা কঠিন হতে পারে। মেহেদি ভাই আর অভ্রদলকে সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয়ভাবে সম্মাননা দেয়া খুবই দরকার, তারা বাংলার জন্য যে কাজটি করেছে সেটা যুগযুগ ধরে মানুষ মনে রাখবে।
অনেক ধন্যবাদ আমার ব্লগের কথা উল্লেখ করার জন্য। যখন দেশের দূরপ্রান্ত থেকে কেও ইমেইল করে বলে যে আমার ব্লগ পড়ে গ্রাফ থিওরি শিখছে বা প্রোগ্রামিং কনটেস্ট করা অনুপ্রেরণা পাচ্ছে, তখন যে অনুভূতিটা হয় সেটা ভাষায় প্রকাশের মত না।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
অভ্র প্রসংগে বলি। কোনো অদ্ভুত কারণে আমি কাগজে-কলমে কিছু লিখতে পারি না। বড়জোর দুয়েক লাইন। তো অভ্র খুঁজে পাবার আগে অনেক কিছু লেখার কথা মাথায় এসেছে। কিন্তু কোনোভাবেই সেটা প্রকাশ করতেপারছিলাম না লিখে। বিজয় ব্যবহার করা শেখার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করে গেছি। হয়নি। এমনকি এক সময় এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে লেখার চেষ্টাও করেছি। আমি মুখে বলতাম আর সে খাতায় লিখতো! কিন্তু ওভাবে আর কত?
এখনো মনে আছে প্রথম অভ্র হাতে পেয়ে কি আনন্দ হয়েছিলো। হুমায়ুন আহমেদের করা সেই ছোট্ট অ্যাডটার মত, “মা আমি লিখতে পারছি, মা আমি লিখতে পারছি!” টাইপ আনন্দ।
অভ্রদলের প্রতি চিরকৃতজ্ঞতা থাকবে।
@তানভীরুল ইসলাম,
আপনি পোস্টে “চিন্তা করা” প্রসঙ্গে লিখেছেন, এ নিয়ে একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। শাহরিয়ার মঞ্জুর স্যারকেতো অবশ্যই চিনেন, উনাকে চিন্তা করতে দেখাটা ছিল আমার কাছে খুবই দারুণ একটা অভিজ্ঞতা। গত বছর ICPC তে কনটেস্টের পর উনি আর জানে আলম ভাই ক্যাফেতে সবার সাথে গল্প করছিলেন,জান ভাই অনেক কথা বলছিল আর শাহরিয়ার মঞ্জুর স্যারকে দেখলাম বসে বসে উদাস মনে কি যেন ভাবছেন, ২ঘন্টা মত সবাই আড্ডা দিল উনি নিজে থেকে কোনো কথা বললেন না,খালি ভেবে গেলেন,এমনকি পুরস্কার বিতরণীর অনুষ্ঠানেও স্টেজে বসে ভাবছেন,তার চেহারা দেখেই মনে হচ্ছিলো তিনি এ জগতে নেই। নম্বর থিওরীর উপর উনার দখল অসামান্য, শুনেছি সবসময় তিনি বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভাবতে থাকেন,আশেপাশে কি হচ্ছে সেটা নিয়ে মাথাব্যাথা নেই,আর কথা খুব কম বলেন। আসলেই অসাধারণ একটা মানুষ তিনি, বাংলাদেশের গর্ব।
(যারা শাহরিয়ার মঞ্জুর চিনেননা তাদের বলছি,তিনি পৃথিবীর সবথেকে বড় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগীতা ACM ICPC World Finals এর একজন জাজ। প্রতিযোগীতাটা খুব বেশি পুরোনো নয় এবং এখন পর্যন্ত পুরো পৃথিবী থেকে হাতে গোণা কিছু মানুষ এটার জাজিং এর দায়িত্ব পালন করেছেন,তাদের একজন বাংলাদেশের শাহরিয়ার মঞ্জুর। আর জানে আলম হলেন একজন World finalist এবং বর্তমানে এলিট প্যানেলের প্রবলেমসেটার ও একটি বিশ্বমানের অনলাইন জাজের স্রষ্টা।)