গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর নাকি ছিল বিশ্ব হিজাব দিবস ছিল। জানা ছিল না অনেক পজিটিভ ডে এর সঙ্গে যে নেগেটিভ ডে গুলিও আজকাল পালিত হয়। মনে মনে ভাবলাম পুরুষতান্ত্রিক চিন্তাভাবনার জয় হোক। হুম! হিজাব মানে হলো নারীকে বস্তা বন্ধী করার সু-কৌশল। পিতৃ-তান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা যখন থেকে শুরু হলো তখন থেকেই পৃথিবীর সু-কৌশলী পুরুষরা নারীকে কিভাবে চার দেওয়ালে আটকে রাখা যায় তার সু-কৌশল চর্চা শুরু করলো। কৃষিভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় যেমন সম্পদদের মালিকানা প্রয়োজন হলো তেমনি নারীরও মালিকানার প্রয়োজন হলো। স্বামী কথাটার অর্থ হলো মালিক। এখন কথা হলো হল নারীর মালিকানার কেন দরকার হলো? হুম সেই কৃষির মাধ্যমে বা যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের উত্তরাধিকার রেখে যাওয়া প্রয়োজন তাই পিতৃ-তন্ত্রের মূল লক্ষই হল নিজের পিতৃত্বকে সুনিশ্চিত করা। কারণ সন্তান সৃষ্টি প্রক্রিয়া যেহেতু নারীর অভ্যন্তরে চলে তাই পুরুষ তার পিতৃত্ব নিয়ে নিশ্চিত হতে পারে না। নারীর প্রতি সন্দেহের একটা দৃষ্টি থেকে যায় তাই একমাত্র পথ হলো তাকে বন্দি করো আর নিজের সন্তান সুনিশ্চিত করো। সত্য মিথ্যা বলতে পারবো একবার আমার এক কার্লচারাল সাইকোলজিস্ট বন্ধুর কাছ থেকে শুনেছিলাম বিভিন্ন প্রাচীন গুহাতে নাকি এমন নারী কঙ্কাল পাওয়া গেছে যারা বাধা ছিল। তা থেকে প্রমাণ হয় পুরুষালী জেলাসিই এখানে কাজ করেছে। এমন কি আজকাল যে নারীর হাতে চুড়ি দেখা যায় তা সেই আদিম শৃঙ্খলের বিবর্তনীয় রূপ। যাক এই ঘটনা সত্যি হোক আর মিথ্যা হোক এটা সত্য যে পুরুষের এই জেলাসি নর-নারীর স্বাভাবিক ভালবাসার সম্পর্ককে নিয়ে আসল মালিক-দাসীর সম্পর্কে। নারীরাও অভিযোজন করতে গিয়ে এই পরিস্থিতির সাথে খাপ খায়ে নিলেন তাই আজও অধিকাংশ নারীর মনোজগতে থাকে একজন সম্পদশালী পুরুষ সঙ্গী হিসাবে ধরা আর সন্তানের জন্ম দেওয়াই তাদের জীবনের মূল লক্ষ্য। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পাঠ করলে বোঝা যায় মানুষকে বোকা বানিয়ে ভ্রান্ত-ধারণা দিয়ে কিভাবে মানুষকে শোষণ করার রাস্তা করেছিল কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ (পুরুষ বলাই বঞ্চনীয়)। তেমনি নারীকেও শৃঙ্খলিত করতে পরম ঈশ্বরের বড়ি খাইয়ে ভক্তিতে গদগদ করে শোষণ করার রাস্তা তৈরি করে এক শ্রেণীর স্বার্থান্বেষী পুরুষ। স্বামীই পরম গুরু, স্বামীর সেবা করো তো স্বর্গ বাস করা যাবে এমনই অনেক বাণী ধর্মগ্রন্থে ঈশ্বর, আল্লা, গডের বানী বলে চালানো হয়েছে আরও পরিষ্কার করে বলি লক্ষ্য করুন এইগুলি কি পরম করুণাময় ঈশ্বরের বানী নাকি পুরুষের স্বার্থে তৈরি করা তাদের নিজস্ব বানী? আপনারাই পরিষ্কার বোঝতে পারবেন।
*পুত্র-কন্যার সামনে স্বামী উপপত্নী আনা বা বেশ্যাগমন করতে পারবে। কিন্তু স্ত্রীর সামান্য পদস্খলনে সমাজ কঠোর শাস্তি দিবে। (তৈত্তরীয় সংহিতা ৬/৫/৮/২)
বাহ! বুঝুন ঈশ্বর বলে-দিয়েছেন স্বামী যা খুশি করতে পারবে কিন্তু স্ত্রী সামান্য অন্যায়ও সমাজ মানতে পারবে না। নারীর পায়ে তো বেড়ি পরানো হল কিন্তু তাতে পুরুষ যদি ফেঁসে যায় তার জন্য রাস্তা পরিষ্কার রাখা হয়েছে।
*সে নারী উত্তম যে পুত্রসন্তানের জন্ম দেয় এবং স্বামীর কথার উপর কথা বলে না। (ঐত্তরীয় ব্রাক্ষণ ৩/২৪/২৭)
হ্যাঁ যেহেতু সমাজে পুত্র সন্তানকে বংশ রক্ষক হিসাবে ধরা হয় তাই স্ত্রীর পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়া বাধ্যতামূলক তাও আবার আপস্তম্ভ ধর্মসূত্রতে বলা হয়েছে ১২ বৎসরের মধ্যে পুত্র সন্তান না জন্মালে সেই স্ত্রীকে ত্যাগ করা যাবে। দেখুন এই সব নাকি ঈশ্বরের বাণী তাহলে তিনি কন্যা সন্তানের জন্ম কেন দেন? যদি সে এতই নিকৃষ্ট হয়। আর হ্যাঁ স্বামীর উপর কথা বলা যাবে না। সেই স্বামী যতই অপদার্থ হোক। সব কিছুই বিনা দ্বিধায় মেনে নিতে হবে। হায়রে নৈতিকতা!
*লাঠি দিয়ে মেরে স্ত্রীকে দুর্বল করা উচিত যেন তার শরীরের উপর কোন অধিকার না থাকে (শতপথ ব্রাক্ষণ ৪/৪/২/১৩)
স্ত্রীর শরীরটাও তো তার নিজের নয়। আসলে নারীরা কি কোন প্রাণী? এরা তো একটা বস্তু তাই বস্তুকে তো যা খুশি তাই করা যায় তাই না?
এমন উদাহরণ প্রচুর দেওয়া যাবে হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ থেকে উদাহরণ তুলে আর আমার লেখাকে মহাভারত করতে চাই না।
এবার দেখি কোরান কি বলছে –
* “ নারী যদি পুরুষের অবাধ্য হয়, যদি নারী বিদ্রোহ করে, তাদেরকে প্রথমে বুঝাও, তাতে যদি কাজ না হয় তাহলে তোমার বিছানায় আসতে নিষেধ করো, তাতেও যদি বশ না মানে, তাদেরকে প্রহার করো। (সুরা ৪, নিসা, আয়াত ৩৪)
কিন্তু মহান আল্লাহতালা স্ত্রীকে প্রহার করার কথা বললেও অপদার্থ স্বামী , অবাধ্য স্বামীকে প্রহার করার কথা কেন বলেননি?
* “পুরুষ নারীর কর্তা ও রক্ষক। আল্লাহ একে অপরের ওপর কর্তৃত্ব দান করেছেন। যেহেতু পুরুষ তার উপার্জনের কিছু অংশ নারীর জন্য খরচ করে তাই নারীকে পুরুষের বাধ্য থাকা উচিৎ। আর তারাই উত্তম নারী যারা তাদের সতীত্ব হেফাজত করে চলে।” (সুরা ৪, নিসা, আয়াত ৩৪)
হুম বলিহারি যুক্তি পুরুষের গায়ের জোর যেহেতু নারীর চেয়ে বেশী তাই পুরুষ নারীর উপর কর্তৃত্ব করবে। তবে তো মানুষের থেকে গায়ে জোর বেশী অনেক প্রাণী আছে যেমন, বাঘ, ভাল্লুক, হাতী, সিংহ এরা মানুষের উপর কর্তৃত্ব করেছে না কেন? আর নারীরা কি উপার্জন করতে পারেন না?
*নারীরা তোমাদের শস্যক্ষেত্র। তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যখন যেমন খুশি গমন করো।
আশ্চর্য লাগে এতো সাম্যবাদী দয়ালু ঈশ্বর আল্লা পুরুষকে নারীর প্রতি যৌন-যন্ত্র আর সন্তান তৈরির উৎস ভাবতে বলছেন।
দেখা যাক বাইবেলে কিভাবে বলা হয়েছে-

কিন্তু আমি তোমাকে জানাচ্ছি যে, প্রত্যেক পুরুষের নেতা হচ্ছে খ্রিস্ট, এবং প্রত্যেক নারীর নেতা হচ্ছে পুরুষ, এবং খ্রিস্টের নেতা হচ্ছে ঈশ্বর।
(I Corinthians 11:3)

পুরুষকে যদি ঈশ্বর এইভাবে তৈরি করেন যে নারীর নেতা হবে পুরুষ তাহলে মাতৃ-তান্ত্রিক সমাজে নারী পুরুষের নেতা কি করে হচ্ছে?
পুরুষের জন্যই নারী সৃষ্টি করা হয়েছে।
(I Corinthians 11:8-9)

হায়রে! তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে। পুরুষ-বাদী ঈশ্বর নারীর জন্য আর পুরুষের কেন সৃষ্টি করবেন?

উপরের উদাহরণ থেকে বুঝলেন তো ধর্মগ্রন্থগুলি ঈশ্বরের বাণী নাকি পুরুষের তৈরি বাণী।
এবার আসি পর্দা প্রথা বা হিজাবের কথায় – আমি আগেই বলেছি হিজাব পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার ফসল। পুরুষের জেলাসী থেকেই পর্দা প্রথার সৃষ্টি। ধর্মগ্রন্থ যদি ঘাঁটানো হয় তবে দেখা যায় বাইবেলে পর্দা প্রথার কথা বলা আছে। আবার সেই বাইবেল থেকে মুসলিমদের কোরানে। কিন্তু হিন্দু কোন ধর্মগ্রন্থে এমন বলা নেই তবে ধরা হয় চতুর্দশ শতাব্দী থেকে হিন্দুদের মধ্যেও এই প্রথা চলে আসে যা পরবর্তীতে আলোচনা করবো। তার আগে দেখি বাইবেল পর্দা প্রথা সম্পর্কে কি বলছে?

খ্রীষ্টান রমণীর হিজাব

কোন মহিলা খালি মাথায় ইবাদত বন্দেগী করলে তার মাথাকে অপদস্থ করা হবে। মাথাকে অপদস্থ করা মানে মাথার চুল কামিয়ে দেয়া। অতএব,কোন মহিলা মাথা ঢেকে না রাখলে তার মাথার চুল কামিয়ে দিতে হবে। যদি কোন মহিলার জন্য তার মাথার চুল কামিয়ে ফেলা অপমানজনক মনে হয়;তাহলে সে যেন তার মাথা ঢেকে রাখে। আর পুরুষের মাথা স্রষ্টার প্রতিচ্ছবি হওয়ার কারণে মাথা ঢেকে রাখা উচিত নয়। মহিলারা স্বামীর সন্মানের প্রতিচ্ছবি। কারণ,পুরুষ মহিলা থেকে নয় বরং মহিলা পুরুষ থেকে। পুরুষ মহিলার জন্য সৃজিত হয় নাই বরং মহিলা পুরুষের জন্য সৃজিত হয়েছে। তাই, ফেরেশতার খাতিরেই তার মাথার উপরে তার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।(I Corinthians 11:3-10)
এখান থেকে পরিষ্কার বোঝা যায় এক সময় নারীকে প্রায় জোর করে হিজাব পরতে বাধ্য করা হয়েছিল। যা পরবর্তীতে সংস্কৃতির একটা অঙ্গ হয়ে দাড়ায়। একটা কথা অতি মূল্যবান যে সমাজের একটা অংশ থেকে যদি পচন শুরু হয় তা সমস্ত বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।

কোরানে তেমন পরিষ্কার ভাবে পর্দার কথা না থাকলেও বিভিন্ন হাদিসে নারীদের সম্পূর্ণ পর্দার কথা পাওয়া যায়। কোরানে এই আয়াতে যা একটু পাওয়া যায় –

বিশ্বাসী নারীদিগকে তাহাদের দৃষ্টি অবনত করিতে ও লজ্জা-স্থান সংরক্ষণ করিতে বলুন; এবং তাহারা যেন তাহাদের রূপ ও সজ্জার যাহা প্রকাশ্য তাহাই প্রকাশ রাখে, এবং তাহাদের বক্ষদেশের উপর চাদর টানিয়া দেয়, এবং তাহাদের রূপ ও আভরণ, তাহাদের নিজ স্বামী অথবা পিতা অথবা স্বামীর পিতা, অথবা তাহাদের পুত্র অথবা স্বামীর পুত্র অথবা তাহাদের ভ্রাতা বা ভ্রাতার পুত্র অথবা ভগ্নীর পুত্র অথবা তাহাদের আপন নারী বা দাসী বা কামনাহীন পুরুষ অথবা যে সমস্ত শিশু নারীর নগ্নতা সম্বন্ধে অজ্ঞ তাহাদের ব্যতীত অন্য কাহারও সমক্ষে প্রকাশ না করে। এবং তাহারা যেন তাহাদের গুপ্ত আভরণ প্রকাশ করিবার জন্য মাটিতে পা দাপিয়া না চলে। এবং হে বিশ্বাসীগণ! সমবেত ভাবে আল্লাহর প্রতি নিবদ্ধ হও, যাহাতে তোমরা সফলকাম হও। (২৪:৩১)
সহীহ বুখারী হযরত আয়েশা এর বর্ণনা ঃ তিনি ইফ্কের ঘটনা বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন:
সাফওয়ান ইবনে মুয়াত্তাল (রাযি.) পর্দা ফরজ হওয়ার পূর্বে আমাকে দেখেছেন, তাই আমাকে চিনতে পেরে ”ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন”পড়েছেন। তা শুনে আমি জেগে উঠি, অতঃপর আমার চাদর দ্বারা আমার চেহারা ঢেকে নিই। (Sahih Bukhari 5:59:462)
সাফিয়া বিনত সাইবা দ্বারা বর্ণিত :- আয়েশা বলতেন, যখন আয়াত “নারীদের উচিৎ হবে তাদের বুক এবং গলা পর্দা দ্বারা আবৃত রাখা” নাজিল হয়, নারীরা তাদের কোমরের অতিরিক্ত কাপড়ের টুকরো কেটে মুখও ঢেকে রাখতো। (Sahih Bukhari 6:60:282)
উপরিউক্ত হাদিস থেকে পরিষ্কার যে একটি নারীকে আপাদমস্তক ঢেকে রাখতে হবে।
অনেকেই বলেন এর কারণ হলো পুরুষের কুদৃষ্টি থেকে নারীকে বাচাতে এই পর্দা প্রথা। কিন্তু পুরুষের কুদৃষ্টি থেকে বাচাতে নাকি পুরুষের জেলসী থেকে আপাদমস্তক ঢাকার বিধান বিরাট প্রশ্ন থেকে যায়।
আর এটা কি পুরুষের জন্য লজ্জাজনক নয়? পুরুষরা কি নারীকে শুধু কুদৃষ্টির চোখে দেখে?
আর যদি পুরুষরা কুদৃষ্টির চোখে দেখেই তবে নারী কেন বস্তায় বন্ধি হবে? এটা তো পুরুষের দোষ তাই না? ধরুন আমাদের পাড়াতে একটা পাগলা কুকুর আসল তো সেই কুকুরটাকে আমরা আটকাতে যাবো নাকি নিজেরাই খাচাতে ঢুকে যাবো নিরাপত্তার জন্য?
যাক প্রশ্নগুলি পাঠকদের কাছে থাকলো।

মুসলিম নারীদের বোরকা

এবার দেখি হিন্দুদের মধ্যে কিভাবে পর্দা প্রথা ঢুকলো কারণ আমার জানা মতে কোন হিন্দু ধর্মে পর্দার বিধান নেই।
হিন্দু নারীদের মধ্যে যে পর্দা প্রচলিত তাকে বাংলায় বলে ঘোমটা আর হিন্দিতে ঘোঁঘট। এটা শাড়ীকে টেনে মাথা এবং মুখমণ্ডল ঢেকে রাখা হয়। তবে বাঙ্গালী অঞ্চলগুলিতে সাধারণত মাথা ঢেকে রাখা হয়।

হিন্দু নারীদের ঘোমটা

এবার প্রশ্ন হলো কি করে হিন্দু ধর্মে পর্দা ঢুকলো? কথিত আছে – চতুর্দশ শতাব্দীতে আলাউদ্দিন খলজি চিতোরে গড়ের রাজা রাণা রতন-সেনের রাজ্য পরিদর্শনে আসেন। খলজিকে যে প্রাসাদের থাকার জন্য দেওয়া হয় তার বিপরীতে ছিল মেয়েদের থাকার প্রসাদ মধ্যখানে একটা সরোবর দুই প্রাসাদকে বিভক্ত রেখেছিল। একদিন সুন্দরী রাণী পদ্মিনীর পর্দা-হীন মুখ সরোবরে জলে আলাউদিন খলজি দেখলেন এবং তার রাণীকে পছন্দ হয়ে গেল। তিনি চিতোর জয় করা এবং রাণীকে বিয়ে করার স্বপ্ন নিয়ে চিতোর গড় থেকে ফিরে গেলেন এবং আবার চিতোর গড় আক্রমণ করলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি রাণীকে পেলেন ঠিকই কিন্তু তা ছিল তার মৃত পোড়া ছাই। রাণী বিধর্মী পুরুষের কাছে আত্মসমর্পণ না করে মৃত্যুকে বেছে নিলেন। তারপর থেকেই এই অঞ্চলের মেয়েদের মধ্যে পর্দা প্রথা প্রচলন মুসলিম পরিদর্শকদের হাত থেকে বাচতে এবং ধীরে ধীরে এই পর্দা প্রথা প্রায় সারা ভারতের পরম্পরা হয়ে যায়।
এত গেল ধর্মগ্রন্থও ইতিহাসে কথা। বর্তমানেও নারী পর্দা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক চলছে। অনেক মুসলিম প্রধান দেশ সহ অনেক দেশই নারীদের পর্দা প্রথা আইন করে বন্ধ করছে। উপসংহারে আমিও বলি পর্দা প্রথা কোন সমস্যার সমাধান নয়। সমাধান মানসিকতা পরিবর্তনে। আসুন আমরা পাগলা কুকুরের ভয়ে নিজেরা খাঁচাতে না ঢুকে পাগলা কুকুরকে বন্ধী করি। তবে আমরা শোভন-শালী কাপড় নিশ্চয়ই পরবো তবে যা আমাদের জন্য স্বস্তিকর।
হিজাব দিবস উপলক্ষ্যে আমার এই ছোট প্রয়াস। ভাল লাগা মন্দ লাগা পাঠকদের কাছে।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সেই ফেসবুক বন্ধুদের প্রতি যারা এই লেখায় আমাকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন।