মানুষ তার মেধা আর প্রজ্ঞাকে কোন উচ্চতায় নিয়ে গেছে তার দূরন্ত রূপ, সাথে সাথে স্থাপত্যকলার বিস্ময় আর গর্ব, প্রযুক্তির শীর্ষতম বাস্তবায়ন ক্যালিফোর্নিয়ান শহর স্যান ফ্র্যান্সিসকোর গোল্ডেন গেইট ব্রিজ। নির্মাণকালীন সময়ে এটি ছিলো বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু আর দীর্ঘ সাসপেনশান(ঝুলন্ত) ব্রিজ। সে-সময়কার প্রযুক্তি আর ব্রিজ এলাকার চারপাশের পরিবেশ-পরিস্থিতে প্রায় অকল্পনীয় ঠেকলেও, মানুষ কিন্তু ঠিকই তৈরী করে ফেলেছিলো সেই ব্রিজ। তবে, ব্রিজ মানুষ তৈরী করলেও ‘গেইট’ কিন্তু তৈরী করেছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্থপতি, সবচেয়ে বড় শিল্পী-প্রকৃতি। প্রকৃতির চেয়ে আর বড় কোনো শিল্পী নেই। দুইপাশের দুই স্থলভূমির মাঝখানে ভেদ করে প্রশান্ত মহাসাগরের জলরাশি প্রবেশ করেছে এখানকার স্যান ফ্র্যান্সিসকো বে (bay) এরিয়াতে। প্রকৃতির দেয়া সেই অপূর্ব প্রবেশ পথেরই মানুষের দেয়া নাম গোল্ডন গেইট। মানুষ সেই প্রবেশপথের নামকরণের সাথে তার উপর তৈরী করেছে বিস্ময়কর এক সেতু।

            ছবিঃ বামে ক্যালিফোর্নিয়ার মানচিত্রে গোল্ডেন গেইটের অবস্থান, ডানে বড় করে দেখানো

অনন্য গোল্ডেন গেইটের উপর যদি ব্রিজ বানাতে হয়, তাহলে সেই ব্রিজকেও হতে হবে অনন্য। কিন্তু, প্রকৃতি যেমন করে নিজের খুশি মত বিনা খরচে জটিল সব স্থাপনা সৃষ্টি করে ফেলে, তেমন করে সৃষ্টি করতে পারে না মানুষ। প্রকৃতির প্রয়োজন হয় শত-সহস্র বছর সময়ের; মানুষের প্রয়োজন হয় বুদ্ধির, বিচার-বিবেচনার; প্রয়োজন হয় কঠোর পরিশ্রমের আর সর্বোপরি প্রয়োজন হয় অর্থের। ১৯৩০ সালের দিকে যখন এই ব্রিজ তৈরী কথা হচ্ছিল, তখনকার অর্থনৈতিক মন্দা অবস্থার মধ্যে আমেরিকার কেন্দ্রীয় কিংবা রাজ্য সরকারের পক্ষে প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এই ব্রিজ নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় ৩৫ মিলিয়ন ডলার দেবার সামর্থ ছিল না। সেই সময়ের হিসেবে সেটা অনেক টাকা। কিন্তু, যাদের বর্তমানে স্বপ্ন আর ভবিষ্যতের গর্বের উপলক্ষ হবে এই ব্রিজ, সেখানকার মানুষজনই-বা কিছু না করে বসে থাকবে কেন! স্থানীয় অধিবাসীরা তাদের বাড়ী-ঘর-সম্পত্তি, খামার-ব্যবসা-ভূমি, যার যা কিছু আছে সব ব্যাংকের কাছে বন্ধক রেখে জোগাড় করে ফেললো প্রয়োজনীয় অর্থ।

শেষ পর্যন্ত টাকা হলো, নকশা হলো, প্রস্তাবনা হলো, বাকী সব কিছুও প্রস্তুত হলো। কিন্তু, কাউকে না কাউকেতো বেঁকে বসতে হবে। এত বড় একটা কর্মে কেউ বেঁকে বসবে না সেটা যে শুনতেও খারাপ শোনায়। অতএব, বেঁকে বসার ঐতিহ্যবাহী ধারা অনুসরণ করে বেঁকে বসলো আমেরিকান ডিফেন্স ডিপার্টমেন্টগুলো। আর্মি, নেভী, এয়ার ফোর্স। তারা আবার একসাথে বেঁকে বসে না। আলাদা আলাদা করে বেঁকে বসে। সবাই যখন খেলা শুরুর জন্য মাঠে নেমে গেছে, তখন মিলিটারি বলে আমরা খেলবো না। তাদের যুক্তি- বোম মেরে যদি এই ব্রিজ গুঁড়িয়ে দেয়া হয়, তাহলে সব জাহাজগুলো বে-এরিয়ার ভিতরে আটকা পড়ে থাকবে, বের হবার উপায় থাকবে না, অতএব এই ব্রিজ করা ঠিক হবে না। ভাগ্যিস সে-সময়কার আমেরিকাতেও পলিটিশিয়ান নামক মানুষগুলো ছিলো। তারা যখন গাল ফুলিয়ে থাকা কিশোরীর মত, কাছে ডেকে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে বললো চকলেট কিনে দিবো, তখন মিলিটারি বললো, ঠিক আছে আমরা খেলবো, তবে, ব্রিজে উজ্জ্বল রঙের ডোরা কাটা দাগ করে দিতে হবে। রেফারী পলিটিশিয়ানরা বললো, ঠিক আছে, এমন উজ্জ্বল রঙ করে দেব, মঙ্গল গ্রহ থেকেও দেখা যাবে।

মিলিটারি যখন এদিকে রঙ নিয়ে কিছু একটা বলাবলি করছে, ওদিকে নেভি’রতো প্রায় জাত যায় যায় অবস্থা। এবার যে ওদের অভিমান করার পালা। ওরা বলে, এত কিছু বুঝিনা, ব্রিজে ডোরা কাটা রঙ হবে হোক। কিন্তু, সে রঙ হতে হবে কালো আর হলুদ, এ আমাদের সাফ সাফ কথা। কিন্তু, কালো আর হলুদ রঙ কেন? তার জন্যতো একটা যুক্তি থাকতে হবে। রামগরুড়ের ছানা আর ঘোড়ার ডিম অধ্যুষিত দুনিয়ায় যুক্তির কি আর অভাব আছে। ওরা বলে, যেহেতু এই এলাকাটা ব্যাপক কুয়াশাচ্ছন্ন থাকে, একমাত্র কালো আর হলুদ রঙ করলেই আমাদের নেভি ক্রু’রা সেটা দেখতে পাবে। সমাধান যেভাবে হবার কথা ছিলো সেভাবেই হোলো। পলিটিশিয়ানরা খানিকটা চকলেট বেশি করে কিনে নিলো। যা বাবা চকলেট খা, তারপরও শান্ত থাক।

এইতো গেলো মিলিটারি আর নেভি। রইলো বাকী এক। এয়ার ফোর্স। নেভি যেহেতু বললো কালো, তাদেরকে বলতে হবে সাদা; নেভি যেহেতু বললো হলুদ, তাদেরকে বলতে হবে লাল। অতএব, তারা এসে বায়না ধরলো গোল্ডেন গেইট ব্রিজের রঙ হবে লাল আর সাদা। একমাত্র এই কালার কম্বিনেশান হলেই বৈমানিকরা সেটা আকাশ থেকে পরিষ্কার দেখতে পাবে। কিন্তু, অভিমানী কিশোরী আর বিদ্রোহীদের বালকের মন বুঝতে পারা রাজনীতিবিদরা সে-সময় শুধু মুচকিই হেসে গেছেন।

          ছবিঃ উপরে দুটি ছবি উইকিপিডিয়া এবং নীচের ছবিটি হিস্‌ট্রি ডট কম এর সৌজন্যে

তবে, ডিফেন্স ডিপার্টমেন্টগুলোর কথা যে একদম ফেলনা ছিলো তা কিন্তু নয়। সেই সময় গোটা বিশ্বই অস্থির সময় পার করছিলো। বিশেষ করে সময়টা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপট তৈরী হবার সময়। প্রতিরক্ষা বিভাগগুলোকে বুঝে-শুনে কদম ফেলতে হচ্ছিলো। অন্যদিকে, প্রতিনিয়তই গোল্ডেন গেইট এরিয়া ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায়, ব্রিজ হলে সেটা যে নৌ-চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে তাতেও কোনো সন্দেহ নেই। তবে, সেটার অন্য সমাধান ছিলো। মাথা ব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলাতো আর সমাধান হতে পারে না। অবশেষে, অত্যন্ত যৌক্তিক-মহাযৌক্তিক লাল, সাদা, কালো, হলুদ ডোরা কাটা, বিভিন্ন রং-বেরঙের প্রস্তাবের পর, ডোরা আর কাটা কুয়াশার মত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়ে গোল্ডেন গেইট ব্রিজের একমাত্র রঙ হলো ‘ইন্টারন্যাশনাল অরেঞ্জ’।

          ছবিঃ মাত্র পাঁচ মাইল দূরেও রৌদ্রজ্জ্বল শহর, কিন্তু গোল্ডেন গেইট যেন মেঘ-কুয়াশার বাড়ী

সব সমস্যা সমাধান। এবার ব্রিজ নির্মাণের পালা। মূল ডিজাইনার কবি এবং প্রকৌশলী জোসেফ স্ট্রস। এ-পর্যায়ে আসার অনেক আগে, সেই সময়কার স্যান ফ্র্যান্সিসকোর শহর প্রকৌশোলীরা গোল্ডেন গেইট ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলারের বাজেট পেশ করে। সে টাকা জোগাড় করা সে সময়ে ছিলো অসম্ভব। তার উপর সমস্যা হলো গোল্ডেন গেইট এর ভিতর দিয়ে প্রবাহিত প্রশান্ত মহাসাগর থেকে ধেয়ে আসা প্রচণ্ড জলস্রোত। উপরে প্রতিকূল কুয়াশাচ্ছন্ন, মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশতো আছেই। সব মিলিয়ে সেখানে ব্রিজ হবার কোনো সম্ভাবনাই তারা দেখেননি। কিন্তু, সব কিছু সত্ত্বেও স্ট্রস এগিয়ে এসেছিলে ব্রিজ করার জন্য। তাও আবার ৩৫ মিলিয়ন ডলারে। একজন কবির পক্ষে অবাস্তব কল্পনা করা মানায়, কিন্তু, স্ট্রস যে শুধু কবি নন, প্রকোশলীও বটে। তাই, স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবার জন্য এর চেয়ে খাঁটি মানুষ আর কে হতে পারতো!

কবির মন মানবিক। সে সত্য সমুন্নত রেখে, অন্য আর সবকিছুর সাথে সাথে স্ট্রস গুরুত্ব দিলেন নির্মাণ শ্রমিকদের নিরাপত্তা জোরদার করার ব্যাপারে। ১৯৩০ এর দশকে একটা অলিখিত নিয়ম ছিলো, প্রতি এক মিলিয়ন ডলার প্রজেক্টে এক জন মাত্র শ্রমিকের দূর্ঘটনাজনিত মৃত্যু গ্রহণযোগ্য হতে পারে। অতএব, ৩৫ মিলিয়ন ডলারের গোল্ডেন গেইট প্রজেক্টে সর্বোচ্চ ৩৫ জনের মৃত্যু গ্রহণযোগ্য হবে। কিন্তু, স্ট্রস ততটুকু মানতেও নারাজ। তিনি একশ তিরিশ হাজার ডলার খরচ করে কনস্ট্রাকশান এরিয়ার নীচে নেট ঝুলানোর ব্যবস্থা করলেন। পরবর্তীতে সেটি ১৯ জন শ্রমিকের জীবনও রক্ষা করেছিলো। যারা নিজেদেরকে “Halfway to Hell Club” এর সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। কিন্তু, তারপরও গোটা ব্রিজ নির্মাণ প্রক্রিয়ায় ১১ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এর মাঝে, ৫টন ওজনের স্তম্ভ সেতু থেকে ভেঙ্গে পড়ে নেট ছিঁড়ে গেলে, একই দিন মৃত্যু ঘটে ১০জন শ্রমিকের। সেই সময়কার অন্য আর সব নির্মাণ ব্যবস্থার সাথে তুলনা করলে এটি ছিলো রেকর্ডধারী নিরাপদ প্রজেক্ট। চার বছরেরও বেশি সময় ধরে নির্মিত, ১৯৩৭ সালের ২৭ শে মে উন্মুক্ত করে দেয়া, ছয় লেন বিশিষ্ট এই গোল্ডেন গেইট ব্রিজের উপর দিয়ে বর্তমানে প্রতিদিনে এক লক্ষেরও বেশি যান চলাচল করে থাকে। গোল্ডেন গেইট ব্রিজ নির্মাণের সময় যারা কাজ করেছিলেন বর্তমানে তাদের মধ্যে কেউই বেঁচে নেই। সর্বশেষ, ২০১২ সালের এপ্রিলে একমাত্র বেঁচে থাকা ব্যক্তি জ্যাক বেলেস্ট্রেরির মৃত্যু হয়।

                      ছবিঃ গোল্ডেন গেইট ব্রিজের মূল ডিজাইনার জোসেফ স্ট্রস

এত গেলো দূর্ঘটনা কিংবা স্বাভাবিক মৃত্যুর কথা। অপরদিকের, অত্যন্ত অনাকাঙ্খিত এক সত্য হলো, গোল্ডেন গেইট ব্রিজ আত্মহত্যা করার জন্য বিশ্বের অন্যতম কুখ্যাত এক স্থান। ১৯৩৭ সালে ব্রিজ চালু হবার মাত্র তিন মাসের মাথায় ‘উবার’ নামক এক ব্যক্তি সর্বপ্রথম লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে এখনো পর্যন্ত প্রায় ১৫০০ এর বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে। এখনো প্রতি দুই সপ্তাহে গড়ে একজন করে আত্মহত্যা করে এখানে। ২৪৫ ফুট উঁচু ডেক থেকে লাফ দেয়ার ফলে ঘণ্টায় প্রায় ১২০ কিলোমিটার বেগে পানিতে আঘাত লেগে থাকে। তবে, বেশিরভাগই মৃত্যুবরণ করে ভয় এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মত ঠাণ্ডা তাপমাত্রায়। এখনো পর্যন্ত আত্মহত্যার চেষ্টাকারীদের মধ্যে শতকরা মাত্র ২ ভাগ কোনো ভাবে বেঁচে গেছেন, কিন্তু তাতে করে পরবর্তীতে তারা আর সুস্থভাবে হাঁটাচলা করতে সমর্থ হননি। সারা রাটলেজ নামক একজন প্রথমবার আত্মহত্যা করতে গিয়ে বেঁচে যান এবং হাঁটতেও সমর্থ হন। তাতে করে তিনি হেঁটে গিয়ে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় আত্মহত্যা করেন। বর্তমানে, পরামর্শ সেবা প্রদানের জন্য ব্রিজে রাখা আছে ১১টির মত টেলিফোন, আত্মহত্যাকারী যদি শেষ মূহুর্তে টেলিফোনে কিছু বলার চেষ্টা করেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পরামর্শপ্রদানকারীরা আত্মহত্যাকারীদের নিবৃত্ত করার সমস্ত চেষ্টা করে থাকেন।

                      ছবিঃ রোদেলা দিনের পড়ন্ত এক বিকেল গোল্ডেন গেইট ব্রিজ

ছয় লেন বিশিষ্ট গোল্ডেন গেইটের ঠিক মাঝখানে রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে থেকে আমি শুনছিলাম পেছনের দিকে দ্রুতগতিতে চলে যাওয়া গাড়ির শব্দ। ব্রিজের একদিকে ছোট্ট অ্যালক্যাটরাজ আইল্যান্ড। তার চারপাশে সাদা পাল তোলা নৌকাগুলো রূপার মত চকচক করছে। অন্যদিকে, সুবিশাল প্রশান্ত মহাসাগর। বামে পাহাড়, ডানে রূপসী শহর স্যান ফ্র্যান্সিসকো। যেখান থেকে লাফিয়ে পড়ে মানুষ আত্মহত্যা করে, সেরকমই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে অনেক নিচে তাকিয়ে মনে মনে ভাবতে চেষ্টা করলাম, আত্মহত্যার জন্যই কি এই ব্রিজ। মনে হলো, নাহ্‌! এই পৃথিবী অতিরিক্ত রকমের সুন্দর একটা জায়গা!! আত্মহত্যা’তো দূরে থাক, বরং একটা সেকেন্ডও বেশি বেঁচে থাকার সুযোগ পেতে ৩৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করতে রাজী আছি!!! স্বাভাবিকভাবেই বেঁচে থাকুক সুন্দর পৃথিবীর সুন্দর মানুষগুলো। কারো জীবনে এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নেবার উপলক্ষ্য না আসুক। যে মানুষের কীর্তি আর মহিমা ঘোষণা করতে সটান দাঁড়িয়ে আছে গোল্ডেন গেইট ব্রিজ, আত্মহত্যার মত এমন এক আমানবিক কাজ সে মানুষকে যে মানায় না। আর কিছু না হোক, এক অর্থে শুধুমাত্র বুক ভরে নিঃশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকতে পারাটাই কম গৌরবের ব্যাপার নয়, কম সাফল্যের ব্যাপার নয়; তার মানেই ‘জীবন’! তার নামই ‘জীবন’!! অমূল্য সে জীবন!!!

মইনুল রাজু (ওয়েবসাইট)
[email protected]

স্টেইটস্‌ অব আর্ট সিরিজের অন্যান্য পর্বগুলিঃ
:: নিউইয়র্ক (প্রথমার্ধ) :: নিউইয়র্ক (দ্বিতীয়ার্ধ) :: পোর্টল্যান্ড (ওরিগন) :: সিলিকন ভ্যালি (ক্যালিফোর্নিয়া) :: ওয়াশিংটন ডিসি :: ডেট্রয়েট (মিশিগান) :: রিচ্‌মন্ড (ভার্জিনিয়া) :: লস এঞ্জেলেস (ক্যালিফোর্নিয়া) :: কলাম্বাস (ওহাইও) ::