আমি কোনো কথা বলার আগে, আসুন হে পাঠক, এই হিসাবটায় চোখ বুলিয়ে একবার বেদের অপৌরুষেয়তায় চমৎকৃত হয়ে যান:
আলোকের গতিবেগ সম্বন্ধে বৈদিক ঋষিরা বলেছিলেন :-
“যোজনম্ সহস্ত্রে দোয়ে, দোয়ে শতে, দোয়ে চঃ যোজনে।
একিনম্ নিমির্ষাদ্ধেন কর্মেনঃ নমস্তুতে।।”অর্থাৎ 2202 যোজন পথ নিমিষের অর্ধেক সময়ে (যিনি অতিক্রম) কর্ম্ম করেন তাঁকেনমষ্কার।
এখানে দূরত্বের একক যোজন এবং সময়ের একক নিমিষকে যদি আধুনিক মিটার ও সেকেন্ডে নেওয়া যায়, তাহলে কি হয় দেখা যাক।
1 যোজন = 4 ক্রোশ্
1 ক্রোশ্ = 8000 গজ্
1 গজ্ = 0.9144 মিটার
অর্থাৎ 1 যোজন = 4 x 8000 x 0.9144 = 29260.80 মিটার15 নিমিষ = 1 ক্ষত
15 ক্ষত = 1 লঘু
30 লঘু = 1 মুহূর্ত
30 মুহূর্ত = 1 দিবারাত্র
1 নিমিষ = (24 x 60 x 60) / (30 x 30 x 15 x 15) = 0.4267সেকেন্ডতাহলে 1/2 নিমিষে অতিক্রম করে 2202 যোজন মানে
1/2 x 0.4267 সেকেন্ডে অতিক্রম করে 2202 x 29260.80 মিটার
বা 1 সেকেন্ডে অতিক্রম করে (2202 x 29260.80 x 2) / 0.4267 = 302002726.04 মিটার
বা 3.02 x 10^8 মিটার যা বর্ত্তমানে নির্ধারিত আলোকের গতিবেগের প্রায় সমান।
!!!!!!
এই সংক্রান্ত আরেকটা, বিস্তারিত ব্যাখ্যা বলছে (অনূদিত):
ঋগবেদের প্রথম মণ্ডলের ৫০ সূক্তের চতুর্থ মন্ত্রটি বলে,
“তরণির্বিশ্বদর্শতো জ্যোতিষ্ক্রদসি সূর্য।
বিশ্বমা ভাসিরোচনম।”যার অর্থ, হে দ্রুতগামী সূর্য, আলোকের স্রষ্টা, তুমি সারা বিশ্বকে আলোকিত কর।
তাঁর ঋগবেদের টীকায়, চতুর্দশ শতকে বিজয়নগর রাজ্যের (কর্ণাটক) রাজা বুক্কের সভার পণ্ডিত সায়নাচার্য লিখছেন,
“তথা চ স্মর্য়তে যোজনম।
সহস্রে দ্বে দ্বে শতে দ্বে চ যোজনে
একেন নিমিষার্ধেন ক্রমমান।”
যার অর্থ, ‘এখানে স্মরণ করা হচ্ছে যে সূর্য (আলো) অতিক্রম করে ২২০২ যোজন অর্ধেক নিমিষে।’মহাভারতের শান্তিপর্বের মোক্ষধর্ম পর্বে নিমিষ সম্পর্কে বলা হয়েছে,
১৫ নিমিষ = ১ ক্ষত
৩০ ক্ষত = ১ কাল
৩০.৩ কাল = ১ মুহূর্ত
৩০ মুহূর্ত = ১ দিবারাত্রতার মানে ২৪ ঘন্টা বা ৮৬,৪০০ সেকেন্ডে ৩০ x ৩০.৩ x ৩০ x ১৫ = ৪০৯,০৫০ নিমিষ।
১ নিমিষ = ০.২১১২ সেকেন্ড।প্রাচীন বৈদিক গ্রন্থ বিষ্ণুপুরাণের প্রথম মণ্ডলের ষষ্ঠ অধ্যায়ে যোজন সম্পর্কে বলা আছে,
১০ যবোদর = ১ যব
১০ যব = ১ আঙ্গুল (৩/৪ ইঞ্চি)
৬ আঙ্গুল = ১ পদ
২ পদ = ১ বিতস্তি
২ বিতস্তি = ১ হস্ত
৪ হস্ত = ১ ধনু, দণ্ড বা পৌরুষ (কোনো পুরুষের উচ্চতা, ৬ ফুট)
২০০০ ধনু = ১ গব্যুতি (যতদূর অবধি কোনো গরুর হাম্বারব পৌঁছয়, ১২০০০ ফুট)
৪ গব্যুতি = ১ যোজন (৯.০৯ মাইল)তাহলে ২২০২ যোজন যায় অর্ধেক নিমিষে,
২২০২ x ৯.০৯ = ২০,০১৬.১৮ মাইল যায় ০.১০৫৬ সেকেন্ডে,
১৮৯,৫৪৭ মাইল প্রতি সেকেন্ডে।আর আধুনিক বিজ্ঞান অনুসারে আলোর গতিবেগ সেকেন্ডে ১৮৬,০০০ মাইল!
নেটচারণা করতে করতে প্রথম লেখাটা খুঁজে পেয়েছিলাম ‘VEDA, The infallible word of GOD’ নামের এক বাংলা ফেসবুক পেজে। সেখানে বাকি লেখাগুলো বেদ ইত্যাদির এইওই সূত্র টেনে এনে সেটাকে ঘুরিয়েপেঁচিয়ে আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রমাণ করার চেষ্টা, কথার মারপ্যাঁচ, সেগুলো নিয়ে বেশি বলার কিছু নেই। কিন্তু এটা যে একেবারে সংখ্যাভিত্তিক অকাট্য প্রমাণ! এর উপরে তো কথা চলে না। আধুনিক যবন-ম্লেচ্ছ বিজ্ঞানীদের এক্সপেরিমেন্টের বহু আগেই সনাতন ধর্মের ঋষিরা এ সবই আবিষ্কার করে ‘ব্যাদে আছে’ করে রেখে গেছেন, এতেও যদি আমাদের পাপিষ্ঠ চিত্তে এ প্রতীতি না হয় তবে কবে হবে?
এখন আসুন, একে একে এগুলোকে ব্যবচ্ছেদ করা যাক।
১) মূল লেখাটার শুরুটাই তাহলে একটা মিথ্যে কথা দিয়ে। এই সংক্রান্ত কোনো সংখ্যাই বেদে দেওয়া হয় নি, সংখ্যার প্রসঙ্গটা আসছে ১৪ শতকের সায়নাচার্য্যের টীকা থেকে।
২) বেদের মন্ত্রটা সূর্যকে বন্দনা করা সংক্রান্ত। সায়নাচার্য্যের বক্তব্যটাও সূর্যের বেগ সম্পর্কে। এবং ঋগবেদ ইত্যাদি প্রাচীন বইগুলোয় এটা স্পষ্ট, যে সূর্যই তাঁর সপ্তাশ্ববাহিত রথ নিয়ে সারা বিশ্ব চক্কর দিতে বেরোতেন। স্বভাবতই, সে যুগে সূর্যই বিশ্ব মানে পৃথিবীর চারিদিকে পাক খেত, পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে পাক খায় এই আধুনিক তথ্যটা তাদের জানা ছিল না। আর S S De and P V Vartak নামে ওই দুই ব্যক্তি যাঁরা এই জোকার্নায়েক’পনা করেছেন তাঁরা ব্যাপার অন্যদিকে ঘোরাবার জন্য সূর্যর পাশে ব্র্যাকেটে আলো ঢুকিয়ে দিতে দেখাতে চেয়েছেন যেন বক্তব্যটা আলোর বেগ সম্পর্কেই। (এঁদের নিয়ে আরো দেখব পরে।)
৩) তাও নাহয় আপাতত আলোর বেগের দাবিকৃত হিসাবটাই দেখা যাক।
প্রথম আর দ্বিতীয় লেখাটায় হিসাবনিকাশের বিস্তর ফারাক। দ্বিতীয়টা আমার মতে বেশি অথেন্টিক, কারণ ওই দুজনের উল্লেখ সহ অনেক বেশি ডিটেলস দেওয়া আছে, এবং নেটে একাধিক ভার্শনে আমি ওই কথাগুলোই খুঁজে পাচ্ছি।
আগে দেখি সময়ের একক, নিমিষ। নিমিষ মানে নিমেষ, চোখের পলক ফেলতে যতটা সময় লাগে তট্টুকু। প্রথমটা মানে বাংলাটা বলে ১ নিমিষ = ০.৪২৬৭ সেকেন্ড। দ্বিতীয়টা বলে ০.২১১২ সেকেন্ডে।
এখন অন্য এক জায়গায় পাচ্ছি,
১০ নিমিষ = ১ ক্ষত,
১৫ ক্ষত = ১ লঘু,
২ লঘু = ১ কাল মানে ৩০ ক্ষত = ১ কাল,
১৫ লঘু = ১ দণ্ড,
২ দণ্ড = ১ মুহূর্ত মানে ৩০ লঘু = ১ মুহূর্ত,
৩০ মুহূর্ত = ১ দিবারাত্র।
এই হিসেব থেকে দাঁড়ায় ১ মুহূর্ত = ১৫ কাল।
অর্থাৎ কোনোটাই পুরোপুরি ঠিক নয় – প্রথমটায় নিমিষ-ক্ষত’র হিসেবে তাহলে ভুল আছে, দ্বিতীয়টায় সেটা এবং উপরি হল কাল- মুহূর্ত’র হিসেবে ভুল। শুধু তাই নয়, সেটায় আবার পূর্ণসংখ্যার বদলে ৩০.৩ টাইপের একটা বিটকেল সংখ্যা নিয়ে এসেছে।
আচ্ছা, দুটোতেই ১৫ নিমিষ = ১ ক্ষত বলছে, তাহলে কি যেটার সঙ্গে মেলাচ্ছি সেটাতেই ভুল? প্রথমটা, বলাই বাহুল্য, কোনো রেফারেন্সের মা-বাপ রাখে নি, সায়নকে টাইম মেশিনে করে নিয়ে গিয়ে বেদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়। দ্বিতীয়টায় মহাভারতের রেফারেন্স দেয়। স্যাডলি, নাকি বলব গ্ল্যাডলি, শান্তিপর্বের মধ্যে মোক্ষধর্ম পর্ব বলে কোনো বস্তুই নেই।
উইকি দেখি। উইকি আবার দিচ্ছে বিষ্ণুপুরাণের রেফারেন্স। তাতে ১০ নিমিষকেই সমর্থন করছে। কিন্তু অন্য দুটো হিসেব আবার ঘেঁটে দিচ্ছে: ৩৫ ক্ষত = ১ কাল, ২০ কাল = ১ মুহূর্ত।
তার নিচে আবার বেদের উল্লেখ করে বলা আছে, সেখানে ১৫ নিমেষেই ১ ক্ষত হচ্ছে, ১৫ ক্ষত = ১ লঘু, ৩০ লঘু = ১ মুহূর্ত।
এটা থেকে এট্টুক বুঝে নেওয়া জরুরি – ওই ব্যাটারা যতই ‘প্রাচীন বৈদিক গ্রন্থ’ বলে দাবি করুক, বিষ্ণুপুরাণ বেদের অনেক পরে রচিত (ঋগবেদ মোটাদাগে ১৫০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ, বিষ্ণুপুরাণ ৩০০ খ্রীষ্টাব্দের পরে), তাও আবার অনেক পুরাণেরই আদি গ্রন্থ লুপ্ত, পরবর্তী কোনো রচয়িতার ভার্শনই প্রচলিত – অতএব বিষ্ণুপুরাণ ও বেদে এককের সংজ্ঞায় ভালরকম হেরফের হওয়ারই বরং সম্ভাবনা, আর তাই-ই হচ্ছে।
৪) এবারে দৈর্ঘ্যের এককটা নিয়ে দেখি।
প্রথম লেখাটায় ভারতীয় একক ক্রোশের সঙ্গে বিলিতি একক গজ’এর (গজ শুনতে ভারতীয় মনে হয়, হাতির নাম কিনা, কিন্তু সেটা আসলে yard) জুড়ে দেওয়া হয়েছে কোনো রেফারেন্স ছাড়াই। কেস ক্লোজড।
দ্বিতীয়টায় দেওয়া হল বিষ্ণুপুরাণের রেফারেন্স। যোজন এই ভারতীয় এককটাকে বিলিতি এককে আনার জন্য। সেটায় শুরু করেছে ১ আঙুল = ৩/৪ ইঞ্চি দিয়ে। কোত্থেকে এল? পতা নেহি।
আবার উইকি দেখি। উইকি বলছে সূর্যসিদ্ধান্ত (উইকি মত পঞ্চম শতক, এদের মত ১০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ!) বা আর্যভট্টের (৪৯৯ সাল) লেখাতে ১ যোজন হচ্ছে ৫ মাইল, এবং যোজনের আদিমতম সংজ্ঞা হচ্ছে, সারাদিনে গোরুর গাড়িতে করে যতটা পথ যাওয়া যেত ততটা! সেটা আশ্চর্যও নয়, কারণ ‘যোজন’ শব্দটার অর্থই হচ্ছে (গরু) জোতা। পরে, চতুর্দশ শতকে পরমেশ্বর’এর সময়ে সেটা বেড়ে ৮ মাইলের কাছে আসে। কানিংহাম ইত্যাদি অনেকে পরে আট মাইলই নিয়েছেন।
একাদশ শতকের লীলাবতী’তে বলছে,
৮ যবোদর = ১ আঙ্গুল,
২৪ আঙ্গুল = ১ হস্ত,
৪ হস্ত = ১ দণ্ড,
২০০০ দণ্ড = ১ ক্রোশ,
৪ ক্রোশ = ১ যোজন।
উইকি আবার বলে (রেফারেন্স ছাড়াই),
১২ আঙ্গুল = ১ বিতস্তি,
২ বিতস্তি = ১ আরত্নি, হস্ত
৪ আরত্নি/হস্ত = ১ দণ্ড…
এটা মূলত দ্বিতীয় লেখাটার তালিকার সঙ্গে মিলছে, যদিও এককের নামগুলো মাঝেমাঝে আলাদা।
সারমর্ম: আবারো যা দাঁড়ালো, মাপের একক নিয়ে বিশাল ঘোটালা। বিষ্ণুপুরাণ ধরে হিসাব কষলে যে বেদের সময়কার সংজ্ঞা পাওয়া না-ই যেতে পারে সেটাও আগেই দেখেছি। S S De and P V Vartak টুপির তলা থেকে আঙ্গুলের সংজ্ঞা হাজির করে যোজনকে ৯ মাইল বানিয়ে দিয়েছেন, যেটা কোথাওই পাওয়া যায় না। প্রথম লেখক আরো চৌকশ, দাবি করেছেন ১ ক্রোশ = ৮০০০ গজ মানে ৪.৫৪ মাইল, তাহলে ১ যোজন দাঁড়ায় ১৮.১৮ মাইল। উরেঃ কি প্রতিভা!
৫) যা দেখতে পাচ্ছি, একেক বেল্লিক আপন মনের মাধুরী মিশায়ে একেক রকম সংজ্ঞা এনে হাজির করেছে যাতে বেলাশেষে ভাগফলের হিসেবটা জানা সংখ্যাটার সাথে মেলানো যায়। অবস্থা দেখে এই কার্টুনটার কথা মনে পড়ে যায়:
৬) সায়নাচার্য্য ওই ২২০২ যোজন সংখ্যাটা কীভাবে পেলেন? সেটা কোথাও বলা নেই। মুনিঋষিরা যদি কোনো গবেষণাপদ্ধতি অনুসরণ করে ওই পরিমাপটা পেয়ে থাকতেন, তাহলে সেটা কোনো গ্রন্থের কোনো শ্লোকে বলে দেওয়া থাকত না কি? বা বরাহমিহির ধরনের কোনো পণ্ডিতের বইতে?
৭) দিনান্তে যে বলদগুলো ওই দে-ভর্তকের লেখাটা শেয়ার দেয়, তারা এটুকুও খেয়াল রাখে না যে ওই সময় সূর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরত, অতএব ওই জিনিসটা আসলে সূর্যের চলার গতি, সূর্যের উৎপাদিত আলোর গতি নয়। ওদিকে তেনারা অবশ্য লিখেছিলেন,
‘অবিশ্বাসীরা দাবি করতে পারে, এটা আলোর নয়, সূর্যের গতি; কিন্তু বলব, এটা সূর্যের গতি হতে পারে না, কারণ তাহলে সূর্যের কক্ষপথের দূরত্ব দাঁড়ায় ২৫৫০ মিলিয়ন মাইল, কিন্তু আসল সংখ্যাটা মাত্র ৯৩ মিলিয়ন মাইল, অতএব এইটা ঠিক হিসাব হচ্ছেনা।
আর এটা আলোর গতি না-ই হলে অত নিখুঁত সংখ্যাটা কী করে এল?
এমনও কেউ সন্দেহ করতে পারেন, এটা ফ্রড, ম্যাক্সমুলারকে কেউ ঠকিয়েছে, কিন্তু সায়নের পাণ্ডুলিপিতেই এই কথাটা পাওয়া যায়।’
আহা, মধু, মধু, বেন্ডিং ওভার ব্যাকওয়ার্ডস-এর কি চমৎকার উদাহরণ! এই ব্যাখ্যাটা দিয়ে ঠিক হিসাব আসছে না, অতএব এইটা না, ওইটাই।
৮) এই একটা সংখ্যাকে ভেঙেচুরে ঘুরিয়েপেঁচিয়ে বাস্তবের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা মহা হইচই করছে। অথচ এই যে বলা হয়, সত্যযুগে মানুষের আয়ু ছিল ১ লক্ষ বছর, ত্রেতাযুগে দশ হাজার, দ্বাপরে ১ হাজার বছর, সেগুলো নিয়ে কাউকে টুঁ করতে শুনবেন না এইসব ক্ষেত্রে। শ্রীমদ্ভাগবত বলছে এক রাজা ছত্রিশ হাজার বছর শাসন করেছিলেন, সেসব তথ্য গুপ্তই থাকবে। অবশ্য চেপে ধরলে তারা বলবে, “বিজ্ঞান কি প্রমাণ করতে পেরেছে যে আদিকালে কোনো মানুষ দশ হাজার বছর বাঁচত না?” ন্যান ঠেলা!
অসাধারণ একটা কাজ হয়েছে। অভিনন্দন। 🙂
:thanks:
খুব ভালো লাগলো পড়ে ।
@ড্যামরাইট, ধন্যবাদ 🙂
ভালই লিখলেন দাদা, গত কয়েকদিন কিছু হিন্দুত্ববাদী বন্ধুর সাথে ৫ঃ১ , ৪ঃ১ অনুপাতে তর্ক করতে করতে আমি ক্লান্ত । তাদের জিজ্ঞেস করলাম বানর কিভাবে কথা বলে , অজগর কিভাবে কথা বলে ? তারা আমাকে পাল্টা যুক্তি দেয় ময়না , তোতা কিভাবে বলে? তাদের এটা বুঝাতে পারলাম না যে টিয়া মানুষের কথার স্বর নকল করে, communicate করতে পারেনা । তারা বিবর্তনে বিশ্বাসী না , আরেকবন্ধু তো এককাঠি সরেস হয়ে বলে যে স্টীফেন হকিং নাকি ভুয়া , সে আমাকে বলে বিজ্ঞানে স্টীফেন হকিং এর কোন অবদান নাই । অথচ তাকে যখন জিজ্ঞেস করলাম ‘ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম’ ‘দ্য গ্র্যান্ড ডিজাইন’ বই গুলা পরেছে কিনা । সে বলে পরে নাই !!
@ইলুমিনেটি,
আপনার কথার ওই অংশটা পরিস্থিতিটাকে ঠিক স্পষ্ট করছে না। টিয়ারা তাদের নিজস্ব পাখিভাষায় (যদিও শব্দসংখ্যা অতি সীমিত, আর বাক্য বলে কিছু আছে তা মনে হয় না) কথা বলে দিব্যি। বানরসহ অনেকের ভাষায় বাক্য এমনকি গ্রামারের ইঙ্গিতও পাওয়া যায় নাকি। আর টিয়া, ডলফিন ইত্যাদিরা মানুষের ভাষার শব্দ শেখালে পরে অর্থসহই ব্যবহার করতে পারে বলে দেখা গেছে। তবে অবশ্যই, মানুষের মত সম্পূর্ণ ব্যকরণ সহকারে পূর্ণ বাক্য দ্বারা ভাব প্রকাশের ক্ষমতা, তাও মানুষেরই উচ্চারণে, তাদের অবশ্যই নেই।
দারুণ একটি বিশ্লেষণ আর সেই সাথে লেখার উপস্থাপনাও। বলি এইসব কাজ একটু আগে ভাগে করবেন না- ছেলেপুলে ফিজোর পরীক্ষা নিয়া গলদঘর্ম হইতেছে।
শুভ কামনা লেখকের জন্যে।
অনেক ধন্যবাদ!
৩৫৪৭ মাইলের পার্থক্য হচ্ছে কেন? ও আচ্ছা !এর মাঝেও তো স্রষ্টার মহিমার আর একটি প্রকাশ ঘটেছে, এর মাঝে দেখি পাই এর মান লুকিয়ে আছে। ৩৫৪৭ কে 8.857041595×10^-4 দিয়ে গুণ দিন, পাবেন ৩.১৪১৫৯২৬৫৪, পাই এর মান পাইলাম। আপনার উপর স্রষ্টার করুণা না থাকলে নিশ্চই কূট প্রশ্ন করবেন, 8.857041595×10^-4 কোত্থেকে এল? যেখান থেকে এল ১ আঙুল = ৩/৪ ইঞ্চি।
আশা করি, ঈশ্বরের অস্তিত্বের সপক্ষে এহেন অকাট্য প্রমাণ দেয়ার পরে, আপনি সঠিক রাস্তায় ফিরে আসবেন এবং বাকি জীবন ধর্ম প্রচার করে কাটাবেন।
@আকাশ চৌধুরী, অসাধারণ! আপনার উপর নিশ্চয়ই সত্য সাই-এর আত্মা ভর করেছে!
বেদে কোরানে আলোর গতিবেগ বল্টজমান ধ্রুবকের মান যারা খুঁজে পায় নিশ্চিতভাবেই তারা এটা জানে যে সত্যিকারের আলোর গতিবেগ কিংবা বল্টজমান ধ্রুবকের মান এবং বাস্তবতাকে বোঝার ক্ষেত্রে এদের তাতপর্য নির্ধারণে একফোঁটাও ভুমিকা ছিলো না বেদ কিংবা কোরানের, ভুমিকা ছিলো বরং গবেষকদের অথেন্টিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগ এবং তাদের হাড়ভাঙ্গা খাটুনীর। বেদে কোরানে আলোর গতিবেগ খুঁজে পাওয়া যায় কেবলমাত্রই সত্যিকারভাবে আলোর গতিবেগ নির্ধারিত হবার পর- পুর্বে নয় কখনও, আই মিন ব্যাপারটা কুকওয়ার্ক হবার সম্ভাবনাই কি বেশী নয়? ব্যাপারটাকে বলে নিউমারোলজি যেটার গ্রহনযোগ্যতা এস্ট্রোলজি এবং হোমিওপ্যাথির সমানই। একটি রচনার উপর সাংকেতিক সংখ্যার ছায়া চাপিয়ে দিয়ে দাবী করা হয় যে নিশ্চয়ই রচনাটির কোন অলৌকিক সিগ্নিফিকেন্স থেকে থাকবে। অথচ সেক্সপিয়ারের কিং লিয়ার এর উপরও চাপিয়ে দেওয়া যায় একইপ্রকার সংখার ভুত এবং নিশ্চিতভাবেই মানুষ এটা জানে যে কিং লিয়ার মোটেও কোন অলৌকিক রচনা নয়।
নিজের গ্রহনযোগ্যতাকে প্রকাশের জন্য কেনো ঈশ্বরের মতো এক ক্ষমতাশীল স্বত্বা বেদে বাইবেলে সংখ্যা-সংকেতে কথাবার্তা চালাবে? মহিমা কি আরও অনেক সহজে এরচেয়ে সহজবোধ্য কোন সংকেতের মাধ্যমে প্রকাশ করা যেতো না? ঈশ্বর কি তার প্রস্তরযুগীয় গ্রন্থে বলতে পারতো না, যে- কোন মানুষের বিশেষত বাচ্চার পাতলা পায়খানা হলে এক লিটার পানিতে এক চিমটি লবন আর চিনি গুলিয়ে তাকে অনবরত খাওয়াতে থাকাটা ফরজে আইন যতক্ষণ পর্যন্ত না সে ভালো হচ্ছে? কিংবা বৃষ্টিবহুল নিরক্ষীয় এবং মৌসুমী অঞ্চলে বসবাসরতদের জন্য রাতে মশারি খাটিয়ে ঘুমানোটা? আমার এই মামুলী তথ্যটি বাঁচাতে সক্ষম হতো মিলিয়ন মিলিয়ন প্রস্তরযুগীয় মানুষের জীবন অবধারিতভাবেই মৃত্যু যাদের হয়েছিলো কলেরায়, ডাইরিয়ায় এবং ম্যালেরিয়ায়। এবং মানুষ চর্মচক্ষেই দেখতো পেতো এই দুটো রিভেলেশনের ইম্প্যাক্ট। বিংশ শতকে যখন অবিষ্কৃত হতো ওরাল রিহাইড্রেশন থেরাপীর আনবিক মেকানিজম কিংবা ম্যালেরিয়ার ভেক্টর প্রজাতি, তার পবিত্রগ্রন্থের গ্রহনযোগ্যতাকে সেটা বিবর্ধিত করতো সহস্রগুণ! আমি ঈশ্বর হলে নিশ্চিতভাবে অবান্তর সংখ্যা-সংকেতের বদলে জীবনরক্ষাকারী তথ্যকে পবিত্র টেক্সটে রিভিল করতাম।
@আল্লাচালাইনা, আপনার মন্তব্য মানেই অতি উপাদেয়!
@আল্লাচালাইনা,
খুবই সুন্দর একটি মন্তব্য!
বিনোদন দেখি কোনো ধর্মেই কম নেই! মিসাইল,অ্যাটম বোম এইসবও বেদ থেকে আসছে এমন কথাও পড়সিলাম কই যেন।
অবশ্যই! মহাভারতের ‘অগ্নিবাণ’ তো ওই জিনিসই। http://www.ufoevidence.org/documents/doc1937.htm
বেদে আর যাই থাক, মুহাম্মদের আসার কথা লেখা আসে । :lotpot:
উনিই কি কল্কি অবতার? :-s
Koustov, ekta link dilam, parle vul proman koren-
http://www.speedlight.info/miracles_of_quran/speed_of_light.htm
প্রথমবার বলে আপনার এবারের মন্তব্যটি প্রকাশ করা হল। পরবর্তীতে ইংরেজিতে বাঙলা বা বাঙলিস ভাষায় করা মন্তব্য প্রকাশ করা হবে না।
মুক্তমনা মডারেটর
sottopoth, কী লিঙ্ক দিলেন, এ তো খোলেই না, কেবল কিছু জার্মান ভাষায় ধমক দেয়…
@sottopoth,
miracles of quran “Not found” বলতেসে ভাই।
@রৌরব,
http://webcache.googleusercontent.com/search?q=cache:pmlnroMtuXAJ:www.speed-light.info/miracles_of_quran/speed_of_light.htm+&cd=1&hl=en&ct=clnk
কৌস্তুভ, আজকে সকালে উঠে প্রায় অর্ধ্ব-টাল অবস্থায় স্টারবাক্সের খোঁজে বেড়িয়েই একটা ম্যামথ সাইজ ট্রাফিক টিকেট খেলাম। ঠোলা ব্যাটা দেশী নায়কের স্টাইলে একটা ভাব নিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো, তোমাকে থামালাম কেন জানো? চোখ নামিয়ে বললাম, আজ্ঞে না। তখন সে বললো, অত বড় স্টপ সাইনটা মাড়িয়ে তুমি যে দিব্যি তড়তড় করে চলে গেলে সেটা কী জানো? এবার চোখটা বড়বড় করে খুব অবাক হয়ে তাকিয়ে বললাম, সিরিয়াসলি? কতটা ‘কন্ডাসেন্ডিং’ভাবে কথাটা বলেছিলাম জানি না, তবে ঠোলাব্যাটা খুব রেগে গিয়ে টিকেটটা ধরিয়ে দিল। আর কিছু হোক বা না হোক এই পুরো ব্যাপারটায় গায়েবি যে একটা ‘ম্যাসেজ’ ছিল তা আমি বুঝে গেছি, একটু পরপরই কেমন যেন ‘রিভিলেশন’ হচ্ছে। দ্যাটস ইট ফর মি, তোমাদের সাথে আর না। আজ থেকে আমি ধম্মকম্মে মন দেব বলে ঠিক করেছি। সকালে উঠে স্টারবাক্স হিজরত না করে ফজরের কাজা নামাজটা পড়তে বসলে বা আমার বাইবেল বেল্টের মুমীন ভাইদের সাথে চার্চে গিয়ে মেরির ভার্জিনিটি নিয়ে গান ধরলেই তো আর এসব অঘটন ঘটে না…
তোমার গবেষণা কী বলে? সবগুলো ধর্মের মধ্যে সবচেয়ে বেশী বৈজ্ঞানিক কোনটা? সব ধর্মে জ্ঞান বিজ্ঞানের এত ছড়াছড়ি যে কোনটায় দীক্ষা নেওয়া উচিত বুঝতে পারছি না। ভেবে দেখলাম, জীবনে প্রথমবার বুঝে শুনে ধর্ম যখন মানবোই তখন সবচেয়ে ‘কাটিং এজ বৈজ্ঞানিক’ ধর্মটাই মানবো। আমও থাকলো ছালাও থাকলো, এটা বুঝতে কেন যে এতকাল সময় লেগে গেল কে জানে……
নামেই প্রমাণ রয়েছে কারা সবচেয়ে সায়েন্টিফিক – Church of Christ, Scientist – এরা আবার আমাগো বস্টনের লোক মানে নেহাতই আপনজন ছিল এদ্দিন 😉
কার্টুন দুটো দেখে :lotpot:
কোরানের মধ্যে যদি বিজ্ঞানের খনি পাওয়া যায় বেদে কেন ছিটে ফোটা পাওয়া যাবে না ? বোঝাই যাচ্ছে ধর্মকে টিকে থাকতে গিয়ে এখন প্রানপনে বিজ্ঞানের সাহায্য নিতে হচ্ছে। বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে আবার সুযোগ পেলে বিজ্ঞানকেই গালি মানে ধর্মের ষাড়েরা . এটাই সমস্য।
হ্যাঁ, এক জায়গায় দেখলাম এক হেঁদুমুমিন বিবর্তনকে একেবারে তুশ্চু করে দিয়েছে…
কোন ধর্মপ্রাণ big জ্ঞানী ভাই আছেন, উদ্ধার করেন এই বিপদ থেকে !!!! :guru:
খিক খিক… ওই গবেষক বার্তাকু মহাশয়ের একখানা ওয়েবসাইট আছে, সেখানে দেখেন কিছু অন্ধিসন্ধি পান কিনা…
মিচেলসন-মর্লি অযথা খাটুনি করেছে !! ‘সায়েন্টিফিক আমেরিকান’ পত্রিকায় বেদের এই বদান্যতা ছাপানো দরকার। হা হা ম গে 😀
তথ্যবহুল লেখা; ভালো লাগল।
আমিও এটা লিখতে লিখতে ওই বেচারাদের কথাই ভাবছিলাম :))
অনেক ভাল লাগল, কৌস্তভদা! আপনার লেখা সবসময়ই চিন্তার খোরাক যোগায়! ভাল থাকুন।
@কাজি মামুন, আপনিও!
ধন্যবাদ কৌস্তুভ। লেখাটি খুবই কাজে লাগবে।
থ্যাঙ্কু 😀
জোকার্নায়েকের পাশাপাশি ‘সবই ব্যাদে আছে‘ মার্কা বকচ্ছপ হিন্দুত্ববাদীরাও যে কম না, এটা তার প্রমাণ। ধন্যবাদ কৌস্তুভকে এত কষ্ট মষ্ট করে গোবর ঘুঁটা খুঁজে আসল সত্যটা বের করে নিয়ে আসার জন্য। কাউকে না কাউকে এই ডার্টিওয়ার্ক করতেই হবে তো!
এ ধরণের লেখা আরো বেশি আসা উচিৎ নাইলে জোকার্নায়েকের চ্যালারা আবার বলবেন, ‘কোরান ছাড়া আর কোন ধর্মগ্রন্থেই বিজ্ঞান কেহই পায় নাই’ , যেমন খাজাবাবা হয়রান সাহেব (খুব খিয়াল কইরা আমগো রায়হানাবীর না কিন্তু) একবার দাবী এইরম একখান করেছিলেন । পড়ালেখা কম থাকলে যা হয় আরকি!
ধন্যবাদ লেখাটার জন্য।
হ্যাঁ, জঞ্জাল সাফাই… মনে হয় এটার একটা ইংরাজি ভার্শন হলেও ভাল হত, কারণ সবাই ওই বেদ-ভর্তকের লেখাটা ইংরিজিতেই শেয়ার দেয়, আর টুকটাক আলোচনার বাইরে কোনো গোছানো রিফিউটেশন পেলাম না…
গতকাল রাত ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত দুই কট্টর পন্থী হিন্দু বন্ধুকে আপনার দেখানো যুক্তি গুলো দিয়ে প্লাজমা বানিয়ে দিয়েছি আর আজ আপনার পোষ্টটা পেয়ে কিযে খুশি লাগছে বলে বোঝাতে পারব না. রাতে ঐ দুই জনকে আবার ও আপনার পোষ্টটা দেখিয়ে একদম তরল বানিয়ে দিব. ধন্যবাদ আপনাকে.
আমার লেখাটা আপনার বিতর্কে কাজে লাগবে শুনে যারপরনাই খুশি হলাম!
আপনার বলা যুক্তিগুলোর মধ্যে কি কোনোটা আমি মিস করেছি? তাহলে বলবেন প্লিজ।
@কৌস্তুভ, আপনার বলা যুক্তিগুলোতো ছিলো অন্য যুক্তিগুলো আপনার এই আলোর বেগ সম্পর্কিত না. এগুলো হল – পৃথিবী থালার মত, পৃথিবীকে নিয়ে রেখেছে ৪টা হাতি, তাদের নিয়ে রেখেছে একটা কাছিম, সূর্যের রথে চরে পৃথিবীকে প্রদক্ষিন, চন্দ্রদেবের প্রতি অভিশাপ এর ফলে আমবশ্যার আবির্ভাব, নিজের প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ খুন করা (মনসা দেবী), মনুসংহিতায় নারীত্বকে অবমূল্যায়ন, হাতির মাথা নিয়ে বেচে খাকা গনেশ. দশমাথাযুক্ত রাবন, রামায়ন এ সীতাকে বারবার সত্বীত্ব পরীক্ষা করার মত জঘন্য কাজকারবার সহ আর ও অনেক. ছোটবেলায় ধর্মগ্রন্থ অনেক পরেছি. একসময় কাহিনী গুলো খুব ভাল লাগত. যত বড় হতে লাগলাম তত বুঝতে লাগলাম ঠাকুরমার ঝুলির লেখকের চেয়ে অনেক বড় প্রতিভান লেখক ছিলেন এই ধর্মগ্রন্থ লেখকরা. সাইন্স এ ছাত্র হিসাবে এই সব তথ্যগুলোকে সাইন্স এর সাথে মিলাতে গিয়ে প্রতি ধাপে হোচট খেয়েছি. আপনার এই লেখাটি সাইন্স এর সাথে ধর্মের পার্থক্যের আর এক আকাট্য দলিল. আপনার থেকে আর ও এমন লেখা আশা করছি.
ওহ আচ্ছা, বুঝলাম। হিন্দু ধর্মের এইসব দিকের সমালোচনা করে প্রবন্ধ তুলনায় নেটে কমই, এমনকি ইংরিজিতেও। রণদা কিছু কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বটে।
এত নিখুঁত :-O :-O :-O
দেখেন, হিসাবের কড়ি বাঘে খাইয়ে কতগুলো সংখ্যা বানাতে পারা নিয়ে কথা, যাতে ভাগফলটা আসল সংখ্যার কাছাকাছি আসে; যদি ভুজুংভাজুং দেওয়ার দক্ষতা আপনার থাকে তবে এটুক তো কিছুই না। আর্যভট্ট ৪০০ ডেসিমাল প্লেস পর্যন্ত পাই এর মান আবিষ্কার করেছিলেন বলেও প্রমাণ করে দিতে পারবেন।
বিনোদনের জন্য বিভিন্ন ইসলামী পেজে ঢুকতাম সেদিন এক হিন্দুবাদী পেজে ঢুকে তো চক্ষু চড়ক গাছ। এখানেও অফুরন্ত বিনোদন । আলোর গতিবেগ থেকে সুরু করে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রায় সব কিছুই যে হিন্দু পুরাণে বহু আগেই বলা আছে তা আগে জানতাম না। নাসার ৩৬% বিজ্ঞানী হিন্দু এই তথ্য দেখে হাসব না কাদব ।
আরো জানলাম, ইউরোপ-আমেরিকা-পাশ্চাত্যের শত শত বিজ্ঞানী, দার্শনিক, ডাক্টার, ইঞ্জিনিয়ার হুড়হুড় করে হিন্দু ধর্ম গ্রহন করছে। সেইসাথে শুধু হিন্দু হবার কারনে কিংবা হিন্দু ধর্ম গ্রহনের কারণে অন্যান্য দেশে কি অমানুষীক নির্যাতনের শিকার হতে হয়ে হয়েছে তার রসালো বর্ণনা।
সব থেকে মজার ব্যাপার, হিন্দু ধর্মের ইশ্বরও মুসলমানদের ইশ্বরের সাথে পাল্লা দিয়ে পাহাডের চুড়ায়, গরুর পাছায়, ঘোড়ার লেজে, কুত্তার বিষ্টায় নিজের নাম অঙ্কনে ব্যস্ত। :lotpot: :lotpot: এবং তার ভুদাই উপাসকরা সেই ছবিতে শত-শত লাইক আর শেয়ার মেরে অশেষ পূন্য কামাইয়ে ব্যস্ত।
প্রতিটি ধর্মেই রয়েছে অফুরন্ত সম্ভাবনা 😛
তেমন কিছু বিনোদনী বস্তু পেলে সবাইকে দেখাবেন কিন্তু! একা একা খাওয়া ঠিক না।