আমি কোনো কথা বলার আগে, আসুন হে পাঠক, এই হিসাবটায় চোখ বুলিয়ে একবার বেদের অপৌরুষেয়তায় চমৎকৃত হয়ে যান:

আলোকের গতিবেগ সম্বন্ধে বৈদিক ঋষিরা বলেছিলেন :-

“যোজনম্‌ সহস্ত্রে দোয়ে, দোয়ে শতে, দোয়ে চঃ যোজনে।
একিনম্‌ নিমির্ষাদ্ধেন কর্মেনঃ নমস্তুতে।।”

অর্থাৎ 2202 যোজন পথ নিমিষের অর্ধেক সময়ে (যিনি অতিক্রম) কর্ম্ম করেন তাঁকেনমষ্কার।
এখানে দূরত্বের একক যোজন এবং সময়ের একক নিমিষকে যদি আধুনিক মিটার ও সেকেন্ডে নেওয়া যায়, তাহলে কি হয় দেখা যাক।
1 যোজন = 4 ক্রোশ্‌
1 ক্রোশ্‌ = 8000 গজ্‌
1 গজ্‌ = 0.9144 মিটার
অর্থাৎ 1 যোজন = 4 x 8000 x 0.9144 = 29260.80 মিটার

15 নিমিষ = 1 ক্ষত
15 ক্ষত = 1 লঘু
30 লঘু = 1 মুহূর্ত
30 মুহূর্ত = 1 দিবারাত্র
1 নিমিষ = (24 x 60 x 60) / (30 x 30 x 15 x 15) = 0.4267সেকেন্ড

তাহলে 1/2 নিমিষে অতিক্রম করে 2202 যোজন মানে
1/2 x 0.4267 সেকেন্ডে অতিক্রম করে 2202 x 29260.80 মিটার
বা 1 সেকেন্ডে অতিক্রম করে (2202 x 29260.80 x 2) / 0.4267 = 302002726.04 মিটার
বা 3.02 x 10^8 মিটার যা বর্ত্তমানে নির্ধারিত আলোকের গতিবেগের প্রায় সমান।
!!!!!!

এই সংক্রান্ত আরেকটা, বিস্তারিত ব্যাখ্যা বলছে (অনূদিত):

ঋগবেদের প্রথম মণ্ডলের ৫০ সূক্তের চতুর্থ মন্ত্রটি বলে,
“তরণির্বিশ্বদর্শতো জ্যোতিষ্ক্রদসি সূর্য।
বিশ্বমা ভাসিরোচনম।”

যার অর্থ, হে দ্রুতগামী সূর্য, আলোকের স্রষ্টা, তুমি সারা বিশ্বকে আলোকিত কর।

তাঁর ঋগবেদের টীকায়, চতুর্দশ শতকে বিজয়নগর রাজ্যের (কর্ণাটক) রাজা বুক্কের সভার পণ্ডিত সায়নাচার্য লিখছেন,
“তথা চ স্মর্য়তে যোজনম।
সহস্রে দ্বে দ্বে শতে দ্বে চ যোজনে
একেন নিমিষার্ধেন ক্রমমান।”
যার অর্থ, ‘এখানে স্মরণ করা হচ্ছে যে সূর্য (আলো) অতিক্রম করে ২২০২ যোজন অর্ধেক নিমিষে।’

মহাভারতের শান্তিপর্বের মোক্ষধর্ম পর্বে নিমিষ সম্পর্কে বলা হয়েছে,
১৫ নিমিষ = ১ ক্ষত
৩০ ক্ষত = ১ কাল
৩০.৩ কাল = ১ মুহূর্ত
৩০ মুহূর্ত = ১ দিবারাত্র

তার মানে ২৪ ঘন্টা বা ৮৬,৪০০ সেকেন্ডে ৩০ x ৩০.৩ x ৩০ x ১৫ = ৪০৯,০৫০ নিমিষ।
১ নিমিষ = ০.২১১২ সেকেন্ড।

প্রাচীন বৈদিক গ্রন্থ বিষ্ণুপুরাণের প্রথম মণ্ডলের ষষ্ঠ অধ্যায়ে যোজন সম্পর্কে বলা আছে,
১০ যবোদর = ১ যব
১০ যব = ১ আঙ্গুল (৩/৪ ইঞ্চি)
৬ আঙ্গুল = ১ পদ
২ পদ = ১ বিতস্তি
২ বিতস্তি = ১ হস্ত
৪ হস্ত = ১ ধনু, দণ্ড বা পৌরুষ (কোনো পুরুষের উচ্চতা, ৬ ফুট)
২০০০ ধনু = ১ গব্যুতি (যতদূর অবধি কোনো গরুর হাম্বারব পৌঁছয়, ১২০০০ ফুট)
৪ গব্যুতি = ১ যোজন (৯.০৯ মাইল)

তাহলে ২২০২ যোজন যায় অর্ধেক নিমিষে,
২২০২ x ৯.০৯ = ২০,০১৬.১৮ মাইল যায় ০.১০৫৬ সেকেন্ডে,
১৮৯,৫৪৭ মাইল প্রতি সেকেন্ডে।

আর আধুনিক বিজ্ঞান অনুসারে আলোর গতিবেগ সেকেন্ডে ১৮৬,০০০ মাইল!

নেটচারণা করতে করতে প্রথম লেখাটা খুঁজে পেয়েছিলাম ‘VEDA, The infallible word of GOD’ নামের এক বাংলা ফেসবুক পেজে। সেখানে বাকি লেখাগুলো বেদ ইত্যাদির এইওই সূত্র টেনে এনে সেটাকে ঘুরিয়েপেঁচিয়ে আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রমাণ করার চেষ্টা, কথার মারপ্যাঁচ, সেগুলো নিয়ে বেশি বলার কিছু নেই। কিন্তু এটা যে একেবারে সংখ্যাভিত্তিক অকাট্য প্রমাণ! এর উপরে তো কথা চলে না। আধুনিক যবন-ম্লেচ্ছ বিজ্ঞানীদের এক্সপেরিমেন্টের বহু আগেই সনাতন ধর্মের ঋষিরা এ সবই আবিষ্কার করে ‘ব্যাদে আছে’ করে রেখে গেছেন, এতেও যদি আমাদের পাপিষ্ঠ চিত্তে এ প্রতীতি না হয় তবে কবে হবে?

এখন আসুন, একে একে এগুলোকে ব্যবচ্ছেদ করা যাক।

১) মূল লেখাটার শুরুটাই তাহলে একটা মিথ্যে কথা দিয়ে। এই সংক্রান্ত কোনো সংখ্যাই বেদে দেওয়া হয় নি, সংখ্যার প্রসঙ্গটা আসছে ১৪ শতকের সায়নাচার্য্যের টীকা থেকে।

২) বেদের মন্ত্রটা সূর্যকে বন্দনা করা সংক্রান্ত। সায়নাচার্য্যের বক্তব্যটাও সূর্যের বেগ সম্পর্কে। এবং ঋগবেদ ইত্যাদি প্রাচীন বইগুলোয় এটা স্পষ্ট, যে সূর্যই তাঁর সপ্তাশ্ববাহিত রথ নিয়ে সারা বিশ্ব চক্কর দিতে বেরোতেন। স্বভাবতই, সে যুগে সূর্যই বিশ্ব মানে পৃথিবীর চারিদিকে পাক খেত, পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে পাক খায় এই আধুনিক তথ্যটা তাদের জানা ছিল না। আর S S De and P V Vartak নামে ওই দুই ব্যক্তি যাঁরা এই জোকার্নায়েক’পনা করেছেন তাঁরা ব্যাপার অন্যদিকে ঘোরাবার জন্য সূর্যর পাশে ব্র্যাকেটে আলো ঢুকিয়ে দিতে দেখাতে চেয়েছেন যেন বক্তব্যটা আলোর বেগ সম্পর্কেই। (এঁদের নিয়ে আরো দেখব পরে।)

৩) তাও নাহয় আপাতত আলোর বেগের দাবিকৃত হিসাবটাই দেখা যাক।

প্রথম আর দ্বিতীয় লেখাটায় হিসাবনিকাশের বিস্তর ফারাক। দ্বিতীয়টা আমার মতে বেশি অথেন্টিক, কারণ ওই দুজনের উল্লেখ সহ অনেক বেশি ডিটেলস দেওয়া আছে, এবং নেটে একাধিক ভার্শনে আমি ওই কথাগুলোই খুঁজে পাচ্ছি।

আগে দেখি সময়ের একক, নিমিষ। নিমিষ মানে নিমেষ, চোখের পলক ফেলতে যতটা সময় লাগে তট্টুকু। প্রথমটা মানে বাংলাটা বলে ১ নিমিষ = ০.৪২৬৭ সেকেন্ড। দ্বিতীয়টা বলে ০.২১১২ সেকেন্ডে।

এখন অন্য এক জায়গায় পাচ্ছি,
১০ নিমিষ = ১ ক্ষত,
১৫ ক্ষত = ১ লঘু,
২ লঘু = ১ কাল মানে ৩০ ক্ষত = ১ কাল,
১৫ লঘু = ১ দণ্ড,
২ দণ্ড = ১ মুহূর্ত মানে ৩০ লঘু = ১ মুহূর্ত,
৩০ মুহূর্ত = ১ দিবারাত্র।
এই হিসেব থেকে দাঁড়ায় ১ মুহূর্ত = ১৫ কাল।

অর্থাৎ কোনোটাই পুরোপুরি ঠিক নয় – প্রথমটায় নিমিষ-ক্ষত’র হিসেবে তাহলে ভুল আছে, দ্বিতীয়টায় সেটা এবং উপরি হল কাল- মুহূর্ত’র হিসেবে ভুল। শুধু তাই নয়, সেটায় আবার পূর্ণসংখ্যার বদলে ৩০.৩ টাইপের একটা বিটকেল সংখ্যা নিয়ে এসেছে।

আচ্ছা, দুটোতেই ১৫ নিমিষ = ১ ক্ষত বলছে, তাহলে কি যেটার সঙ্গে মেলাচ্ছি সেটাতেই ভুল? প্রথমটা, বলাই বাহুল্য, কোনো রেফারেন্সের মা-বাপ রাখে নি, সায়নকে টাইম মেশিনে করে নিয়ে গিয়ে বেদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়। দ্বিতীয়টায় মহাভারতের রেফারেন্স দেয়। স্যাডলি, নাকি বলব গ্ল্যাডলি, শান্তিপর্বের মধ্যে মোক্ষধর্ম পর্ব বলে কোনো বস্তুই নেই

উইকি দেখি। উইকি আবার দিচ্ছে বিষ্ণুপুরাণের রেফারেন্স। তাতে ১০ নিমিষকেই সমর্থন করছে। কিন্তু অন্য দুটো হিসেব আবার ঘেঁটে দিচ্ছে: ৩৫ ক্ষত = ১ কাল, ২০ কাল = ১ মুহূর্ত।
তার নিচে আবার বেদের উল্লেখ করে বলা আছে, সেখানে ১৫ নিমেষেই ১ ক্ষত হচ্ছে, ১৫ ক্ষত = ১ লঘু, ৩০ লঘু = ১ মুহূর্ত।

এটা থেকে এট্টুক বুঝে নেওয়া জরুরি – ওই ব্যাটারা যতই ‘প্রাচীন বৈদিক গ্রন্থ’ বলে দাবি করুক, বিষ্ণুপুরাণ বেদের অনেক পরে রচিত (ঋগবেদ মোটাদাগে ১৫০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ, বিষ্ণুপুরাণ ৩০০ খ্রীষ্টাব্দের পরে), তাও আবার অনেক পুরাণেরই আদি গ্রন্থ লুপ্ত, পরবর্তী কোনো রচয়িতার ভার্শনই প্রচলিত – অতএব বিষ্ণুপুরাণ ও বেদে এককের সংজ্ঞায় ভালরকম হেরফের হওয়ারই বরং সম্ভাবনা, আর তাই-ই হচ্ছে।

৪) এবারে দৈর্ঘ্যের এককটা নিয়ে দেখি।
প্রথম লেখাটায় ভারতীয় একক ক্রোশের সঙ্গে বিলিতি একক গজ’এর (গজ শুনতে ভারতীয় মনে হয়, হাতির নাম কিনা, কিন্তু সেটা আসলে yard) জুড়ে দেওয়া হয়েছে কোনো রেফারেন্স ছাড়াই। কেস ক্লোজড।

দ্বিতীয়টায় দেওয়া হল বিষ্ণুপুরাণের রেফারেন্স। যোজন এই ভারতীয় এককটাকে বিলিতি এককে আনার জন্য। সেটায় শুরু করেছে ১ আঙুল = ৩/৪ ইঞ্চি দিয়ে। কোত্থেকে এল? পতা নেহি।

আবার উইকি দেখি। উইকি বলছে সূর্যসিদ্ধান্ত (উইকি মত পঞ্চম শতক, এদের মত ১০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ!) বা আর্যভট্টের (৪৯৯ সাল) লেখাতে ১ যোজন হচ্ছে ৫ মাইল, এবং যোজনের আদিমতম সংজ্ঞা হচ্ছে, সারাদিনে গোরুর গাড়িতে করে যতটা পথ যাওয়া যেত ততটা! সেটা আশ্চর্যও নয়, কারণ ‘যোজন’ শব্দটার অর্থই হচ্ছে (গরু) জোতা। পরে, চতুর্দশ শতকে পরমেশ্বর’এর সময়ে সেটা বেড়ে ৮ মাইলের কাছে আসে। কানিংহাম ইত্যাদি অনেকে পরে আট মাইলই নিয়েছেন।

একাদশ শতকের লীলাবতী’তে বলছে,
৮ যবোদর = ১ আঙ্গুল,
২৪ আঙ্গুল = ১ হস্ত,
৪ হস্ত = ১ দণ্ড,
২০০০ দণ্ড = ১ ক্রোশ,
৪ ক্রোশ = ১ যোজন।

উইকি আবার বলে (রেফারেন্স ছাড়াই),
১২ আঙ্গুল = ১ বিতস্তি,
২ বিতস্তি = ১ আরত্নি, হস্ত
৪ আরত্নি/হস্ত = ১ দণ্ড…
এটা মূলত দ্বিতীয় লেখাটার তালিকার সঙ্গে মিলছে, যদিও এককের নামগুলো মাঝেমাঝে আলাদা।

সারমর্ম: আবারো যা দাঁড়ালো, মাপের একক নিয়ে বিশাল ঘোটালা। বিষ্ণুপুরাণ ধরে হিসাব কষলে যে বেদের সময়কার সংজ্ঞা পাওয়া না-ই যেতে পারে সেটাও আগেই দেখেছি। S S De and P V Vartak টুপির তলা থেকে আঙ্গুলের সংজ্ঞা হাজির করে যোজনকে ৯ মাইল বানিয়ে দিয়েছেন, যেটা কোথাওই পাওয়া যায় না। প্রথম লেখক আরো চৌকশ, দাবি করেছেন ১ ক্রোশ = ৮০০০ গজ মানে ৪.৫৪ মাইল, তাহলে ১ যোজন দাঁড়ায় ১৮.১৮ মাইল। উরেঃ কি প্রতিভা!

৫) যা দেখতে পাচ্ছি, একেক বেল্লিক আপন মনের মাধুরী মিশায়ে একেক রকম সংজ্ঞা এনে হাজির করেছে যাতে বেলাশেষে ভাগফলের হিসেবটা জানা সংখ্যাটার সাথে মেলানো যায়। অবস্থা দেখে এই কার্টুনটার কথা মনে পড়ে যায়:

৬) সায়নাচার্য্য ওই ২২০২ যোজন সংখ্যাটা কীভাবে পেলেন? সেটা কোথাও বলা নেই। মুনিঋষিরা যদি কোনো গবেষণাপদ্ধতি অনুসরণ করে ওই পরিমাপটা পেয়ে থাকতেন, তাহলে সেটা কোনো গ্রন্থের কোনো শ্লোকে বলে দেওয়া থাকত না কি? বা বরাহমিহির ধরনের কোনো পণ্ডিতের বইতে?

৭) দিনান্তে যে বলদগুলো ওই দে-ভর্তকের লেখাটা শেয়ার দেয়, তারা এটুকুও খেয়াল রাখে না যে ওই সময় সূর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরত, অতএব ওই জিনিসটা আসলে সূর্যের চলার গতি, সূর্যের উৎপাদিত আলোর গতি নয়। ওদিকে তেনারা অবশ্য লিখেছিলেন,

‘অবিশ্বাসীরা দাবি করতে পারে, এটা আলোর নয়, সূর্যের গতি; কিন্তু বলব, এটা সূর্যের গতি হতে পারে না, কারণ তাহলে সূর্যের কক্ষপথের দূরত্ব দাঁড়ায় ২৫৫০ মিলিয়ন মাইল, কিন্তু আসল সংখ্যাটা মাত্র ৯৩ মিলিয়ন মাইল, অতএব এইটা ঠিক হিসাব হচ্ছেনা।
আর এটা আলোর গতি না-ই হলে অত নিখুঁত সংখ্যাটা কী করে এল?
এমনও কেউ সন্দেহ করতে পারেন, এটা ফ্রড, ম্যাক্সমুলারকে কেউ ঠকিয়েছে, কিন্তু সায়নের পাণ্ডুলিপিতেই এই কথাটা পাওয়া যায়।’

আহা, মধু, মধু, বেন্ডিং ওভার ব্যাকওয়ার্ডস-এর কি চমৎকার উদাহরণ! এই ব্যাখ্যাটা দিয়ে ঠিক হিসাব আসছে না, অতএব এইটা না, ওইটাই।

৮) এই একটা সংখ্যাকে ভেঙেচুরে ঘুরিয়েপেঁচিয়ে বাস্তবের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা মহা হইচই করছে। অথচ এই যে বলা হয়, সত্যযুগে মানুষের আয়ু ছিল ১ লক্ষ বছর, ত্রেতাযুগে দশ হাজার, দ্বাপরে ১ হাজার বছর, সেগুলো নিয়ে কাউকে টুঁ করতে শুনবেন না এইসব ক্ষেত্রে। শ্রীমদ্ভাগবত বলছে এক রাজা ছত্রিশ হাজার বছর শাসন করেছিলেন, সেসব তথ্য গুপ্তই থাকবে। অবশ্য চেপে ধরলে তারা বলবে, “বিজ্ঞান কি প্রমাণ করতে পেরেছে যে আদিকালে কোনো মানুষ দশ হাজার বছর বাঁচত না?” ন্যান ঠেলা!