কাল্পনিক সংস্থা ‘বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের’ মেজর মাসুদ রানা ওরফে এমআর-৯ কে নিশ্চয় মনে আছে ? সেই মাসুদ রানা যে গোপন মিশন নিয়ে দেশে বিদেশে ঘুরে বেড়ায় , টানে ‘সবাইকে’ কিন্তু বাঁধনে জড়ায় না ? কাজী আনোয়ার হোসেনের এই মাসুদ রানা সিরিজের বই অনেকের মত আমিও কিশোর বয়েসে ইস্কুলের পাঠ্য বইয়ের মাঝে লুকিয়ে পড়তাম। পড়ে পড়ে শিহরিত হতাম। ভাবতাম , ‘আহারে ! আমি যদি ‘মাসুদ রানা’ হতে পারতাম ! সোনায় সোহাগা আগুন ঝড়া সুন্দরী সোহানার মত সহকর্মী সাথে নিয়ে রোমাঞ্চকর জীবনের কথা ভাবতে ভাবতে আমার কচি কিশোর শরীর রাজস্থানের থর মরুভুমির (পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ স্থান) মত উত্তপ্ত হয়ে উঠত ।
“A man who wants to make a profession of goodness in everything is bound to come to ruin among so many who are not good. Hence a prince who wants to keep his authority must learn how not to be good, and use that knowledge, or refrain from using it, as necessity requires.”
নিক্কোলো মাকিয়াভেল্লী , দ্য প্রিন্স ( IL PRINCIPE) , ১৫৩২ খ্রীঃ ।
পাঠকদের অনেকেরই এমন অনুভুতি হয়েছে চোখ বুজে বলে দেয়া যায়। অন্যদিকে , সে সময় পরিচিত জনের মধ্যে অনেকেই কাজ করতেন দেশের প্রধান সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স উইংয়ে। সেই অফিসারদের সাথে মাসুদ রানার হুলিয়ার কোন মিলই সে সময় আমি খুঁজে পাইনি এবং এখনও পাইনা , ছয় ফিট উচ্চতা ছাড়া। তারা সবাই ছিলেন সাধারণ বিবাহিত সাংসারিক পুরুষ। তাদের ‘চাচা বলে সম্বোধন করে এটা ওট প্রশ্ন করে বিরক্ত করতাম। তারা প্রশ্নের জবাব না দিয়ে লেজ গুটিয়ে পালাতেন – বড় হলে সব জানতে পারবে ! বড় হওয়া বলতে আসলে কি বোঝায় তা বয়স চল্লিশ ছোঁয়ার পরও বুঝতে পারিনি । এখনও বুঝি না। তবে, সময় প্রবাহে অনেক প্রশ্নের উত্তর আমি খুঁজে পেয়েছি । সেসব উত্তর খুঁজে পাওয়ার পরে মনে জেগেছে অনেক প্রশ্নও। সেসব প্রশ্নের উত্তর যদিও মাসুদ রানার পাতায় পাতায় কখনও লেখা হয় নি । কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স কি ? ইন্টেলিজেন্সই বা কি ? কেন? কিভাবে ? কোথায় ? কারা ? মাসুদ রানার সাংকেতিক নাম ‘মাইক রোমিও নাইনার’ না লিখে কাজী সাহেব এমআর -৯ কেন লিখলেন- এখন জানি। কাজী আনোয়ার হোসেন সাহেব নিজে পেশাদার গোয়েন্দাগিরি কখনও করেন নি এবং গোয়েন্দাগিরি নিয়ে পড়ালেখা বলতে উনার দৌড় তারই সমগোত্রীয় বিদেশী লেখকদের পেপারব্যাক বই পর্যন্ত যেগুলোর ‘ছায়া’ অবলম্বন (অনুবাদ!) করে তিনি মাসুদ রানা লিখেছেন। সেসব বইয়ে এমআর নাইন তিনি কোথায় পাবেন ? রোমান হরফে M A S U D R A N A লিখলে নয়টি অক্ষর পাওয়া যায় এবং তার সাথে M A S U D – এর M এবং R A N A -র R নিয়ে তৈরী করলেন MR9 ! কি সহজ এবং সেই সাথে বিপজ্জনক ! মাসুদ রানার মত একজন হাই প্রোফাইল গোয়েন্দার আসল নামের আদ্যাক্ষর দিয়ে বানানো কোডনেম ভাঙার জন্য প্রতিপক্ষ গোয়েন্দা অফিসারের স্কুল পড়য়া সন্তানই যথেষ্ট ! সেটা ছাড়াও কাজী সাহেব না জানলেও ‘বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের’ মেজর জেনারেল রাহাত খানের মত একজন সিনিয়র অফিসার নিশ্চয় জানবেন যে , সামরিক বাহিনীতে অক্ষর এবং নম্বর ফোনেটিক নিয়মে বলা হয়। অর্থাৎ ,আলফা (A) , ব্রাভো -B , চার্লি- C ……… এবং নাডাজেরো (0) , উনাউন (1), বিসসোটু(2) ……. ।
মাসুদ রানা নিয়ে অনেক বুলি কপ্চালাম , এবার বাস্তবের গোয়েন্দাবৃত্তি নিয়ে কিছু কথা বলা যাক। গোয়েন্দাবৃত্তি শব্দটা ছোট হলেও এর ব্যাপকতা এত বড় যে তা লিখতে হলে হাজার হাজার বইও যথেষ্ট নয় , ব্লগের এই ক্ষুদ্র পরিসর তো দূরের কথা। ভুলে গেলে চলবে না, গোয়েন্দাবৃত্তি পৃথিবীর প্রাচীনতম পেশাগুলোর একটি। রাষ্ট্র , সমাজ , ব্যক্তি , ব্যবসা-বানিজ্য এমনকি বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার মত বিষয়ে গোয়েন্দা নিয়োগ করা হয়ে থাকে। আমি এখানে প্রতিটি গোয়েন্দাবৃত্তি বা এসপিওনাজ নিয়ে আলোচনা না করে , বিশেষত আধুনিক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের ‘ইন্টেলিজেন্স’ নিয়ে আলোচনা করব এবং এর মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলো গোয়েন্দাবৃত্তির অন্যান্য ক্ষেত্রের জন্যেও কমবেশী প্রযোজ্য।
ইন্টেলিজেন্স কি ?
আই এস আই এর স্টেশন চীফ গতকাল ঢাকায় কোথায় ছিলেন – এটা জানা যেমন গুরুত্বপূর্ণ , তার চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হচ্ছে তিনি আজ কোথায় আছেন এবং আগামীকাল তিনি কোথায় থাকবেন , কার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ? তথ্য এবং ইন্টেলিজেন্সের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আমরা আমাদের ইন্দ্রিয় সমূহ দিয়ে হাজারো তথ্য সংগ্রহ করছি প্রতি মূহুর্তে। আমাদের মস্তিষ্ক সেই তথ্যগুলো এমনভাবে প্রক্রিয়াজাত করছে যাতে সেগুলো আমাদের কাছে অর্থপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক মনে হয়। একটি ইন্টেলিজেন্স সংস্হা প্রতিদিন বিপুল পরিমান তথ্য সংগ্রহ করে। সেই তথ্যসমূহকে প্রথমে যাচাই বাছাই করা হয়। তার পর বিশ্লেষকেরা ( ইন্টেলিজেন্ন্স এনালিস্ট) সেই তথ্য সমূহের ‘শানে নজুল’ বোঝার চেষ্টা করেন। এরপর তারা সেই তথ্য সমূহকে অর্থপূর্ণতা এবং প্রাসঙ্গিকতা দিয়ে এমনভাবে সাজান যাতে করে উপর মহল সেগুলো বুঝতে পারেন এবং যথাপযোগী পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারেন। যে প্রক্রিয়ায় মাঠ পর্যায়ের তথ্যকে অর্থপূর্ণ ‘ইন্টেলিজেন্সে’ পরিনত করা হয় , সে প্রক্রিয়াকে বলা ইন্টেলিজেন্স সাইকল (intelligence cycle) বা গোয়েন্দা চক্র।
সোজা বাংলায় ইন্টেলিজেন্স বলতে এমন সব প্রক্রিয়াজাত তথ্য বোঝায় যা দিয়ে পূর্বাভাস দেয়া সম্ভব । সে পূর্বাভাস যে কোন বিষয়েই হতে পারে যা রাষ্ট্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট। প্রতিপক্ষ কিংবা বন্ধু রাষ্ট্রের ভবিষ্যতের পরিকল্পনা এবং পদক্ষেপ সম্পর্কে যত সঠিক পূর্বাভাস দেয়া যাবে , নিজেদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া তত সহজ হবে যাতে করে কোন ঘটনা ঘটলে সেটাকে বিনা মেঘে বজ্রপাত বলে মনে না হয়। ইন্টেলিজেন্সের প্রধান উদ্দেশ্য তাই সিদ্ধান্তগ্রহণ প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করা। একাটি অপারেশনের পরিকল্পনার আগে , অপরেশনের সময় এবং পরবর্তী পর্যায়ে সার্বক্ষণিক একজন কমান্ডারের ( যিনি রাষ্ট্র নায়কও হতে পারেন) কাছে ইন্টেলিজেন্স সময়মত পৌছাতে হবে , তাকে সেই ইন্টেলিজেন্স বুঝতে হবে ( যেহেতু তার চাহিদা অনুসারে ইন্টেলিজেন্স প্রস্তুত করা হয়) , বিশ্বাস করতে হবে এবং এর উপর ভিত্তি করে পদক্ষেপ নিতে হবে। যে কোন অপারেশনের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি ইন্টেলিজেন্স যার সূত্রপাত ঘটে মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে। ইন্টেলিজেন্সের পর্যালোচনা এবং মুল্যায়ন একটি চলমান ও সার্বক্ষণিক প্রক্রিয়া এবং সেখানে কোন কিছুকেই বেদবাক্য বলে গন্য করা হয় না।
রকমফের
সব পেশার মত ইন্টেলিজেন্স পেশারও পরিভাষা আছে । পৃথিবীর যে কোন দেশেই ইন্টেলিজেন্সকে বেশ কয়েকটি বিভাগে ভাগ করা যায় এবং প্রতিটি বিভাগে বিশেষজ্ঞেরা কাজ করে থাকেন । বিভাগগুলো হচ্ছে, হিউম্যান ইন্টেলিজেন্স (HUMINT) ,ইমেজারি ইন্টেলিজেন্স (IMINT), সিগন্যালস ইন্টেলিজেন্স (SIGINT), মেজারমেন্ট এন্ড সিগন্যাচার ইন্টেলিজেন্স (MASINT), টেকনিকা ইন্টেলিজেন্স (TECHINT) এবং কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স (CI) । আরও একটি ইন্টেলিজেন্স বিভাগের ইদানিং বেশ উন্মেষ ঘটেছে যাকে বলা হয় ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স (OSINT) । এই পরিভাষাগুলো পৃথিবীর সব দেশে এক।
হিউম্যান ইন্টেলিজেন্স (HUMINT) বা হিউমিন্ট বলতে নিয়োগকৃত ‘এজেন্টদের’ মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া বোঝায়। IMINT বা ইমিন্ট এক ধরনের ইন্টেলিজন্স যেখানে বিভিন্ন রকমের প্রযুক্তি ব্যবহার করে তোলা চিত্রের সাহায্য নেয়া হয়। এই চিত্রায়নে , সাধারণ ক্যামেরা , লেজার অথবা ইন্ফ্রা- রেড রস্মি , মাল্টি স্পেকট্রাল সেন্সর , রেডার এবং বিমান ব্যবহার করা হয়।
SIGINT বা সিগিন্ট কে আবার কয়েকটি বিভাগে ভাগ করা যায়, communications intelligence (COMINT), electronic intelligence (ELINT) এবং foreign instrumentation signals intelligence (FISINT) । যে কোন রকমের পরিবাহিত সিগন্যালকে সিগিন্ট এর আওতাভুক্ত করা যায়। আপনার লেখা ই-মেইল , ব্লগ, চ্যাট , ফেবু ইত্যাদি সব কিছই সিগিন্ট – এর আওতাভুক্ত এবং এই মূহর্তে ‘কেউ না কেউ’ সেগুলো পড়ছে ! এসব কাজে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা( এন এস এ) , বৃটেনের জি সি এইচ কিউ এবং ভারতের টি আই এ সিদ্ধহস্ত। ঘরবাড়ী , অফিস আদালত থেকে প্রতিদিন যে আবর্জনা ফেলে দেয়া হয় সেই আবর্জনা থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হয় যার নাম গার্বেজ ইন্টেলিজেন্স (GARBINT) । এখন থেকে গুরুত্বপূর্ন কাগজপত্র সম্পূর্ণ ধ্বংস না করে ফেলে দেবেন না কারণ ছেঁড়া কাগজ জোড়া লাগানো খুবই মামুলী বিষয়। IMINT এবং SIGINT থেকে যেসব উপাত্ত সংগ্রহ করা হয় , সেসব উপাত্তের অনেক সময় অধিকতর বিশ্লেষনের প্রয়োজন হয়। এই পর্যায়ের গোয়েন্দা তথ্যকে বলা হয় মেজারমেন্ট এন্ড সিগন্যাচার ইন্টেলিজেন্স (MASINT) বা মাসিন্ট। রেডার , স্পেক্ট্রো রেডিওমেট্রিক, ইলেক্ট্রো অপটিক্যাল , একোস্টিক, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি , তেজষ্ক্রিয় বিকীরণ এবং ভূ-কম্পন সংক্রান্ত উপাত্ত ছাড়াও রাসায়নিক , জৈব এবং তেজস্ক্রিয় পদার্থ সমূহ মাসিন্টের আওতায় পড়ে।
টেকনিকা ইন্টেলিজেন্স (TECHINT) বা টেকিন্ট বিদেশী রাষ্ট্রের অস্ত্র এবং সামরিক যন্ত্রাদি প্রকৌশলগত বিষয়াদি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ করে থাকে যাতে করে ঐসব অস্ত্র এবং সামরিক যন্ত্রাদি থেকে উদ্ভুত হুমকি সময়মত সামলানো যায়। সম্প্রতি ইরানের পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনায় যেসব অন্তর্ঘাতমূলক হামলার কথা শোনা যায় , সে সব খুব সম্ভবত কোন শত্রু রাষ্ট্রের টেকিন্ট ইউনিটের কাজ।
আমাদের মেজর মাসুদ রানা যেহেতু একটা কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স সংস্থায় কর্মরত , স্বভাবতই পাঠক কৌতূহলী হবেন যে , কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স (CI) বলতে কি বোঝায়। শত্রু , প্রতিপক্ষ অথবা বন্ধু রাষ্ট্র কিংবা বাইরের যে কেন শক্তির সার্বিক গোয়েন্দা কার্যক্রমের উপর নজর রাখা এবং প্রয়োজনে তাতে বাঁধা প্রদান করাই কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের কাজ। এছাড়াও বিদেশী গোয়েন্দা এবং তাদের নিয়োগকৃত ‘এজেন্টদের’ সনাক্ত এবং প্রতিহত করা এই বিভাগের কাজ। রাষ্ট্রের গোপনীয়তা রক্ষা করার পাশাপাশি প্রতিপক্ষকে কৌশলে ভুল তথ্য প্রদান করা কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের নিয়মিত কাজের অংশ। প্রয়োজনে ট্যাকটিক্যাল অপারেশন পরিচালনার জন্য বিশেষ বাহিনী বা স্পেশাল অপারেশন ফোর্সেস ( কমান্ডো !) কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স বিভাগের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়।
যেভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হয়
যদিও আমাদের মেজর মাসুদ রানাকে এখানে সেখানে তথ্যের জন্য দৌড় ঝাপ দিতে দেখা যায় , একজন ইন্টেলিজেন্স অফিসার সাধারনত নিজে সরাসরি শত্রপক্ষের তথ্য সংগ্রহের সাথে জড়িত থাকেন না বললেই চলে। এ কাজের জন্য ‘এজেন্ট’ নিয়োগ করা হয়, যাদের পক্ষে তথ্য সংগ্রহ করে সরবরাহ করা তাদের ‘অবস্থানগত’ কারনে সম্ভবপর। একটি সংবাদপত্র আগামীকাল কি ধরনের লেখা ছাপাবে এটা জানার জন্য সেই সংবাদপত্রের ভেতরের কাউকে ‘রিক্রুট’ করা হয় । আর সেই সংবাদপত্রের মালিক কিংবা সম্পাদককে যদি রিক্রুট করা যায় , তাহলে তো সোনায় সোহাগা ! যে সব অফিসার এজেন্টদের রিক্রুটমেন্ট এবং ‘হ্যান্ডলিংয়ের’ কাজে নিয়েজিত , তাদের বলা হয় ‘কেইস অফিসার’ । হাজার হাজার মানুষের মধ্য থেকে একেকজন কেইস অফিসার একেক উপায়ে ‘এজেন্ট’ রিক্রুট করে থাকলেও সে সবের মধ্যে কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট সবসময়ই বিদ্যমান। তারা সাধারণত মাইস (MICE) মডেল অনুসরণ করে সম্ভাব্য রিক্রটদের এজেন্ট হতে প্ররোচিত করেন । MICE বলতে বোঝায় , Money (অর্থ), Ideology (ভাবাদর্শ), Coercion( বলপ্রয়োগ) এবং Ego (অহং) । ইসরাইলী মোসাদ , ভারতীয় ‘র’ কিংবা পাকিস্তানী আই ,এস, আই অথবা সি আই এ থেকে শুরু করে হালের সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্ক পর্যন্ত সবাই এই মাইস মডেল অনুসরণ করে এজেন্ট রিক্রুট করে থাকে। ‘কেইস অফিসারদের’ মধ্যে আবার যাদেরকে বিদেশে অবস্থান করতে হয় , তারা সাধারণত বিদেশে অবস্হিত কূটনৈতিক মিশনসমূহের নানারকম পদে নিয়োগ পেয়ে থাকেন এবং তারা ‘কূটনৈতিক অনাক্রমত্য’ বা ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি ভোগ করে থাকেন। অর্থাৎ , ধরা পড়লেও তাদের বিচার করা যাবে না এবং বড়জোর তাদের সেই দেশ থেকে অবাঞ্ছিত ব্যক্তি হিসেবে বহিস্কার করা হতে পারে। বিদেশে অবস্থানরত ইন্টেলিজেন্স অফিসারদের কাউকে কাউকে অন্য যেকোন পেশাগত পরিচয়ে ( শিক্ষক, গবেষক,এনজিও কর্মী ইত্যদি) ডিপ্লোম্যাটিক ইমিউনিটি ছাড়াই কাজ করতে হয় এবং তারা যদি ধরা পড়েন , সমূহ বিপদ ! যাহোক, কেইস অফিসার সংগ্রহকৃত তথ্য তার স্টেশন প্রধানের মাধ্যমে সদর দফতরে পাঠিয়ে দেন বিশ্লেষণের জন্য এবং এবং ইন্টেলিজেন্স এনালিস্টদের কাজ ঠিক তখনই শুরু হয়।
বিশ্লেষক
যারা সংগ্রহকৃত তথ্যসমূহ যাচাই বাছাই করার পর বিশ্লেষণ করেন তাদের বলা হয় ইন্টেলিজেন্স এনালিস্ট এবং এরা ইন্টেলিজেন্স সাইকল বা গোয়েন্দা চক্রের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। একজন এনালিস্টের হাতেই বাহ্যত অর্থহীন তথ্য অর্থপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এক লক্ষ ই-মেইল কিংবা ৩০০ ঘন্টার টেলিফোন সংলাপ পাশাপাশি রেখে তাদের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে বের করা খুবই দূঃসাধ্য কাজ । আরও দুঃসাধ্য কাজ এসবে মাঝ থেকে অন্তর্নিহিত অর্থ খুজে বের করে পূর্বাভাস দেয়া। একজন এনালিস্টকে এসব কিছুই করতে হয় নিয়মিত। এজন্য যারা এনালিস্ট হন , তাদের ভু-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট , ভাষা , সংস্কৃতি এবং প্রাসঙ্গিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত দিক সমূহ সম্পর্কে গভীর জ্ঞান রাখতে হয়। এনালিস্টদের হাত ঘুরে অবশেষে তৈরী ইন্টেলিজেন্স উপর মহলে পৌছায় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়।
আপদ এবং বিপদ
আন্তর্জাতিক য়ুদ্ধ সংক্রান্ত আইনসমূহে যুদ্ধকালীন সময়ে তথ্যসংগ্রহের গুরুত্ব অনুধাবন করে গোয়েন্দা বৃত্তিকে একটি বৈধ সামরিক কৌশল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। যেমন, যুদ্ধকালীন সময়ে একটা মেডিক্যাল এম্বুলেন্সে করে অস্ত্র বহন করা কিংবা রেডক্রসের পোষাকে ছদ্মবেশ ধারণ করা আন্তর্জাতিক যুদ্ধ আইন সমূহে অবৈধ হিসেবে বিবেচিত। কাউকে গোয়েন্দবৃত্তির অভিযোগে সাজা দিতে হলে সেই ব্যক্তিকে গোয়েন্দাবৃত্তির সময় হাতে নাতে ধরতে হবে । সন্দেহের বশে সাজা দেয়া যাবে না। অন্য দেশে গোয়েন্দাবৃত্তি করতে গিয়ে যদি কাউকে পালাতে হয় , তাহলে স্বদেশে ফেরার পরে তাকে আর গোয়েন্দা বলা হয় না। তবে, অন্যান্য ফৌজদারী অপরাধীরা যেসব গ্রেফতারকালীন এবং গ্রেফতারপরবর্তী আইনগত সুবিধা পেয়ে থাকেন তার সবগুলো একজন গ্রেফতারকৃত গোয়েন্দার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। চতুর্থ জেনিভা কনভেনশন (১৯৪৯) এ বিষয়ে বিধিমালা দিয়েছে। শান্তিকালীন সময়ে অন্য দেশের ওপর গোয়েন্দাবৃত্তি নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে । অনেক আন্তর্জাতিক আইন বিশারদ শান্তিকালীন গোয়েন্দা বৃত্তিকে একটা রাষ্ট্রের রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের উপর হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করেন। এসব কারনে প্রায়ই কূটনৈতিক ঝামেলা এবং বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য বিদেশী সন্দেহভাজন গোয়েন্দাদের গ্রেফতার না করে অপহরণ করা হয় কিংবা ‘আনঅফিসিয়াল’ ব্যবস্থা নেয়া হয়। আপনারা হয়তো খবরের কাগজে পড়বেন যে , একজন ‘নিরীহ’ এনজিও কর্মকর্তাকে ‘কে বা কারা’ অপহরণ করেছে , অথবা ‘ছিনতাইকারীর’ গুলিতে দূতাবাস কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আমাদের মেজর মাসুদ রানা এতই সুপরিচিত যে তাকে হয়ত অপহরণ করার ঝুঁকিও কেউ নেবে না। নির্দেশ দেয়া হবে , শুট এ্যাট সাইট বা দেখামাত্র গুলি !
শেষ কথা
বাস্তবিক গোয়েন্দাবৃত্তি এমনই একটি খেলা যা দুজনে খেলে ! একজন গোয়েন্দাগিরি করে এবং আরেকজন গোয়েন্দা ধরে। গোয়েন্দা উপন্যাস , চলচ্চিত্র এবং বিগত শীতল যুদ্ধের প্রপাগান্ডা গোয়েন্দাবৃত্তিকে এক ধরনের জনপ্রিয় রঙীন ইমেজ দিয়েছে যার সাথে বাস্তবের মিল খুঁজে পাওয়া দূস্কর। বাস্তবের গোয়েন্দা এবং গোয়েন্দা পাকড়াওকারীরা নানা রকম পঠভুমি থেকে উঠে আসলেও তাদের মধ্যে ‘একজন মাসুদ রানা’ খুঁজে পাওয়া সহজ হবে না। আমি পাইনি । আপনি যদি তারপরও এমন কাউকে খুঁজে পান , এখানে শেয়ার করতে ভুলবেন না ! সময় নিয়ে পাঠের জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের ভাল লাগলে পরবর্তীতে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত লেখার ইচ্ছে আছে।
কয়েকটি দেশের শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা সংস্হা
বাংলাদেশ
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্হা ( এন এস আই)
ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স ( ডি জি এফ আই)
ডাইরেক্টরেট মিলিটারী ইন্টেলিজেন্স (ডি এম আই)
ভারত
রিসার্চ এন্ড এনালিসিস উইং (র)
টেকনিক্যাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি ( টি আই এ)
পাকিস্তান
ডাইরেক্টরেট অব ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স ( আই এস আই)
চীন
ইন্টারন্যাশনাল লিয়েজো ডিপার্টমেন্ট
জার্মানী
বুনডেস-নাখরিখটেন-ডিন্সট( বি এন ডি)
রুশ প্রজাতন্ত্র
ফেডারেল নিরাপত্তা সংস্থা ( এফ এস বি)
বৃটেন
এম আই -৫
এম আই – ৬
জেনারেল কমিউনিকেশন হেডকোয়ার্টার ( জি সি এইচ কিউ)
ফ্রান্স
দিরেক্তর জেনেরাল দ্য সের্ভিস এক্সতেরিয়র ( ডি জি এস ই)
ইসরাইল
শিন বেথ
মোসাদ
যুক্তরাষ্ট্র
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ( সি আই এ)
প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ( ডি আই এ)
জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা ( এন এস এ)
তথ্যসূত্র:
১। Gannon, James – Stealing Secrets, Telling Lies: How Spies and Codebreakers Helped Shape the Twentieth Century. Washington, DC: Brassey’s, 2001
২। Herman, Michael – Intelligence Power in Peace and Wa r. Cambridge, UK: Cambridge University Press, 1996
৩। Knightly, Phillip – The Second Oldest Profession: Spies and Spying in the Twentieth Century. New York: Penguin, 1988.
৪। O’Toole, G. T. A. The Encyclopedia of American Intelligence and Espionage. New York: Facts on File, 1988
৫। ইন্টেলিজেন্স এবং কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের ওপর নেইটো (NATO) সশস্ত্র বাহিনীর বিবিধ এবং প্রাসঙ্গিক ফিল্ড ম্যানুয়ালস ও হ্যান্ডবুকস ।
লেখাটি পরে আরও জানতে চাচ্ছি।
হলিউড এর সিনেমায় FBI নামক কিছু মহামানব এর লাফালাফি দেখি। এদের সম্পরকে জানালে খুশি হতাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
@নোবেল,
FBI ফরেনসিক অনুসন্ধানের পাশাপাশি কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সেরও কাজ করে থাকে। আমেরিকার ইতিহাসের বড় বড় ‘বিদেশী চর’ যারা আমেরিকান হয়েও বিদেশী শক্তির জন্য কাজ করত- তাদের ধরার কৃতিত্ব এফ বি আই কেই দিতে হবে। হলিউড এবং এফ বি আই – পার্থক্য নিয়ে আগামীতে মুক্তমনায় লিখবো। ধন্যবাদ।
সর্বনাশ। এক সময় তো মাসুদ রানা পাগলের মতো পড়তাম। এখন দেখি ঘটনা অন্য।
@বিভা,
ঘটনা অন্য কারণ , বাস্তবের মাসুদ রানারা অনেক সময় ‘প্রত্যক্ষদর্শীকে’ এক টানে এমন এক জায়গায় নিয়ে যায় যেখানে কল্পনার রানা কখনও পৌছুতে পারে না ! (খুব খেয়াল করলে ) আসলে কল্পনা নয় , বাস্তবতাই সীমাহীন।
দারুণ একটি লেখা। খুবই ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ লেখককে।
@মোমতাজ,
সময় নিয়ে পাঠের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
বাস্তবে আমাদের কাজী আনোয়ার হোসেনের “মাসুদ রানা” নেই ঠিকই, তবে সামরিক-বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থায় বিদ্যুত মিত্রের “গিলটি মিয়া”র প্রচুর ছড়াছড়ি রয়েছে। (খুউপ খিয়াল কৈরা) :lotpot:
@বিপ্লব রহমান,
আপনি তো জানবেনই , আপনি না জানলে কে জানবে ? ‘মিয়া বাড়ী” নিয়ে কিছু লিখুন না এখানে ? পাহার পর্বত তো সাথে থাকছেই ? (Y)
@সংশপ্তক,
কস্কী মমিন? 😛
সাসরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে, টিকটিকি শব্দটার সাথে পরিচয় ঘটে। খুব একটা ভাল চোখে দেখা হতো না। কে কখন ধরা পড়ে, এই ছিল ভয়। ছাত্র নেতারা তো পালিয়ে বেড়াতো।
আমাদের অভিজ্ঞতার পরম্পরা হয়তো এরকমই। এক সময় বিনয়, বাদল, অরবিন্দ, বাঘা যতিন ও সূর্যসেনরা মনে করতো টিকটিকি মানেই ঘাতক।
কেয়া রোজারিও যেমন বলেছেনঃ
দেশ রক্ষার চেয়ে, দেশের সূর্য-সন্তানদের ধরিয়ে দে’য়ার যে ইতিহাস, সে ঘা এখনো শুকোয়নি বলেই হয়তো ‘মাসুদ রানা’ নানা রকম ভেল্কি-বাজি দেখিয়েও ‘টিকটিকি আর গোয়েন্দগিরি’ নামক ঋণাত্বক অভিধা থেকে মুক্ত করতে পারেনি।
লেখককে ধন্যবাদ একটুখানি নাড়া দে’য়ার জন্য। এ ধরণের লেখায় আমরা আশা করবো, খুব গঠনমূলক আলোচনা।
অজানাকে জানতে কার না ভাল লাগে?
অপেক্ষায় –
আত্মানং বিদ্ধি।
@স্বপন মাঝি,
ভবান সংস্কৃতাম ভাষতে বা ? :-O
@সংশপ্তক,
‘আত্মানং বিদ্ধি’ মন্তব্য নয়, মন্তব্যের অংশ বিশেষও নয়। মূল মন্তব্য এড়িয়ে গিয়ে শুধু এটুকু পড়ে, আপনি যদি ধরে নেন আমি সংস্কৃত ভাষায় পারদর্শী, আর সংস্কৃত বয়ানে জানান দেন –
তা’হলে পাঠক হিসাবে আপনার উচ্চ-মার্গীয় ধারণার বহু-দূরে অবস্থানই নিরাপদ। আশ আর পাশ তার আপন ঘরে না পৌঁছে ‘চারদিক’ এ বন্দী হয়ে আছে, আমরাও না হয় আপাত হার মেনে, চলে যাই আপন অর্থ থেকে অনেক অনেক দূরে। যেখানে অর্থ ( কুবের নয়) হারাবার ভয় নেই, সেখানে।
@স্বপন মাঝি,
ভাবনার খোরাক জোগানো ব্যতিক্রমধর্মী মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
😀 😀 😀 এই প্রবন্ধে এস্পিয়োনাজ সম্পর্কিত প্রচলিত মেটান্যারেটিভকে তুখোড়ভাবে ডিকন্সট্রাক্ট করণ পুর্বক ইউরোপ, এনলাইটেনমেন্ট এবং জগতের সকল শ্বেতাঙ্গ পুরুষের মুখমন্ডলে ঝামা ঘষে দিয়েছেন।
@আল্লাচালাইনা,
ঝামা ইট তো আবার পানি তে ভাসে । কি রমম ঝামা ? একটু ঝেড়ে কাশুন তো ! 😛
@সংশপ্তক,
😀 দুশ্চিন্তার কিছু নাই সেক্সুয়ালি সাজেস্টিভ কিছু বলিনাই!
আচ্ছা আপনি ফ্রেঞ্চ জানেন না? একটা ছোট লেখা আমাকে অনুবাদ করে দিন প্লিজ। এই হচ্ছে লিঙ্ক http://www.jacquesderrida.com.ar/frances/sokal_bricmont.htm
@আল্লাচালাইনা,
বাংলায় না ইংরেজীতে ? চাপানোর জন্য না শুধু বোঝার জন্য ? কোথাও ছাপানোর জন্য হলে সময় লাগবে। শুধু বোঝার জন্য হলে পরে বার্তা বাক্সতে মেইল করব।
@সংশপ্তক, না শুধু নিজে জানার জন্য। আর বার্তাবাক্সে কেনো, একটা লেখা লিখে ছাপিয়েই দেন না, লোকজনে পড়ুক- বিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী কি বলতে চায় এটা সম্পর্কে সকলের জানার হক রয়েছে বৈকি! আফটার অল ছোট লেখাতো।
@আল্লাচালাইনা,
এই বিখ্যাত ‘দার্শনিক’ তো দেখা যায় আলাঁ সোকালের বইয়ে বাঁশ খাওয়ার পরে আবোল তাবোল উত্তরাধুনিক কথা বলে নিজেকে ডিফেন্ড করছে ফরাসী দৈনিক ল’ মন্দ -এর কাছে। এই ফালতু উত্তরাধুনিকতা নিয়ে কি পোস্ট দেয়া যায় ?
@সংশপ্তক, ermm…দিতে পারেন, এরা বেশ দ্রুত বর্ধনশীল। বাংলাদেশে যদিও এই আচানক উত্তরাধুনিকতার ধারা এখনও পর্যাপ্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি। তথাপিও আমার মনে হয় স্যাটেলাইট ইন্টার্নেটের কল্যানে এরা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। এরা ছড়িয়ে পড়ে বিশেষভাবে নিজেদের প্রগতিশীল বলে পরিচয় দেওয়া বামপন্থি মানুষজনদের মধ্যেই। সমাজবিজ্ঞানগিরি করতে কোন স্কীল লাগে না বিধায় এইটার সমঝদার হয়ে মানুষ মনে করছে- বাহঃ আমিওতো বেশ একজন একাডেমিক হয়ে উঠলাম দেখছি। সো আমাদের কনসার্নড হবার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বৈকি! আমি অবাক হই, খুব হতাশ হই যখন কিনা দেখি একজন বিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানীর মুখনিসৃত এই বাণী যে- ‘আইনস্টাইনের ধ্রুবক কোন ধ্রুবক নয়’ এই বাণীটি শুনে মানুষজন বলছে ‘আইনস্টাইনের ধ্রুবক কোন ধ্রবক নয়’ অথচ একজনও বলছে না যে ‘জ্যাক দেরিদা নামক অনেক বড়ো এক বিরিঞ্চিবাবার সাথে পরিচিত হলাম আজ’ 🙁
আপনি কি পল গ্রস নর্মান লেভিটের হায়ার সুপারস্টিশন পড়েছেন? সোকল ব্রিকমন্টের চেয়ে অনেক বেশী পলিটিকালি ইনকারেক্ট এবং ঠোঁটকাটা এরা। পড়ে দেখতে পারেন, মজা পাবেন দেখে যে- সমাজবিজ্ঞানের হাতুড়ি কাস্তে খঁচিত লালঘোড়া কিভাবে দিগবিদিক দৌড়ায়! আসলেই একটি মজাদার রম্যরচনা।।
@আল্লাচালাইনা,
বাংলাদেশের কথা যখন বললেনই , সেখানে বেশী চলে এনজিওখোর ‘মানবতাবাদ’ -র মোড়কে উত্তরাধুনিকতা কাম ‘মানব সুপ্রিমিজম’। এখন আমি যদি ‘মানব সুপ্রিমিস্ট’ দের ‘মানবতার’ বিপরীতে ‘কুকরতা’ বিড়ালতা’ ‘বানরতা , ‘মৎসতা’ এমন কি ‘ব্যক্টেরিওতা’ নিয়ে লিখি , তারা বলবে যে আমি মানবতা বিরোধী। যে কোন অকেজো যুক্তি এখন বাংলাদেশে মানবতার নামে ‘যৌক্তিক’ বানানো যায়।
পল গ্রস এবং নর্মান লেভিটের হাইয়ার সুপারস্টিশন আমি পড়েছি । বিজ্ঞানকে আক্রমন করাটা আসলে এক ধরনের অসহায়ত্ব এবং বুদ্ধিবৃত্তিক দেওলিয়াপনাই নির্দেশ করে।
@সংশপ্তক, আমি পড়ি এদের কথাবার্তা কীর্তিকান্ড এবং প্রচন্ড প্রচন্ড বিনোদিত হই। সায়েন্সকে আক্রমন করার সময় এরা কি একবারের জন্যও অনুধাবন করার চেষ্টা করে আক্রমনটা তারা করছে ঠিক কোন জাগায়? আর এরা কিন্তু সাধারণ কোন নগন্য সমাজবৈজ্ঞানিকও নয় এরা সমাজবিজ্ঞানের একেকজন ইয়া বড় ইয়া বড় তালেবর। এই কি অবস্থা রে বাবা- বামপন্থাকে চিরকাল দেখলাম বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও প্রগতিশীলতার হাত ধরে হাঁটতে আর এখন তারা হাঁটছে আরব-ই্স্লামিস্ট আর পরিবেশবাদীদের হাত ধরে? আপনি আম্রিকার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে যদি বলেন- ‘বো যো, যু মা পেল সংসপ্তক’ তারা আপনাকে তাদের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত করে দিবে হোয়াট দ্যা……… :O লে মন্ড হচ্ছে একটা জার্ক পত্রিকা, ফ্যাশনেবল ননসেন্সের বৃটিশ সংস্করণের প্রচ্ছদে একটা আইফেল টাওয়ারের ছবি ছিলো বলে এইটাকে অভিহিত করেছিলো- ফ্রাঙ্কোফোবিয়া হিসেবে 😀 😀 😀 ‘ফ্রাঙ্কোফোবিয়া’ I am not sure whether I heard this word ever before nor whether will I ever again…কোন সন্দেহ আছে কি এইধরণের জার্কগুলাই (মিশেল ফুকো) অথরেটারিয়ান ই্লামিস্ট ইরানের নষ্টামীকে প্রলেটারিয়েটের বিপ্লব আখ্যা দিবে? যত্তসব!
@আল্লাচালাইনা,
এই নিন তর্জমা করে দিলাম। হাহ হাহ!
Sokal and Bricmont are not serious
Jacques Derrida
Le Monde , 20 November 1997, page 17.
The World wonder what I’m doing the commentary book by Alan Sokal and Jean Bricmont, Intellectual Impostures , while considering that I am much less taken part in other French thinkers. My answer is: everything is the sad, do not you think? Sokal for poor, first. His name is linked to a fraud (” the Sokal hoax’s “,” Sokal’s hoax , “as they say in the U.S.) and not in scientific work. Also sad because the chance of a serious reflection seems wasted, at least in a public space that deserves far better.
It would be interesting to study carefully such scientific metaphors, their role, their status, their effects in the speeches criticized. Not only among ” the French “! And not only among those French! This would have required that read seriously in their arrangement and their strategy in both theoretical discourse difficult. This has not been done.
As for my modest “case” is even more comical, if not extravagant. At the beginning of the deception, the U.S., after sending the Sokal hoax in Social Text , I was at first one of the favorite targets, especially in the newspapers (I would have much to say here) . Because we had to do everything, at all costs, on-site to discredit the “credit”, considered exorbitant and bulky, a foreign professor. But all the operation was then in a few words of improvised response, at a symposium, more than thirty years (in 1966) and during which I regained the terms of a question from Jean Hyppolite. Nothing, absolutely nothing! Furthermore my answer was not readily assailable.
Many scientists have pointed to the joker in publications available in the U.S., as Sokal and Bricmont seem to recognize it today, with what contortions, in their book bound French. This short note she had been questionable – this I would have easily agreed to consider – would he still needed to demonstrate and discuss the consequences in my speech. This has not been done.
I’m always thrifty and prudent in the use of scientific reference, and I more than once addressed this problem. Explicitly. The many places where I speak indeed, and specifically, the undecidable, for example, if the Gödel theorem, were neither located nor visited by the censors. Everything suggests that they have not read what should have been read to take stock of these difficulties. They probably did not have. Anyway, they did not.
One of the falsifications that shocked me the most is to say today that they have never had anything against me ( Liberation of October 19: ” Fleury and Limet blame us an unjust attack against Derrida. But such attack is nonexistent . ” ) They fall precipitously me, now, the list of authors spared ( ” Some famous thinkers such as Althusser, Barthes, Derrida and Foucault are largely absent from our book ” ). But this article of Liberation translated an article from the Times Literary Supplement in which my name was appropriately excluded, alone, in the same list. This is actually the only difference between the two versions. Sokal and Bricmont have added my name and in France at the last moment, to the list of philosophers honorable, to meet objections embarrassing context and tactical force! Even opportunism! That people are not serious.
As for the “relativism” which, they say, the worry, well, where the word has a strict philosophical sense, there is no trace in my house. Nor a critique of Reason and Enlightenment. Quite the contrary. I take more seriously, however, is the broadest context – and American politics – that I can not discuss here, within these limits, and they are also theoretical problems that have been so badly treated.
These debates have a complex history: libraries epistemological works! Prior to contrast the ” scholars ” and the other, they divide the scientific field itself. And that of philosophical thought. While amusing myself sometimes, I also take seriously the symptoms of a campaign, a hunting even where untrained riders sometimes struggle to identify the beast. And first field.
What is the interest of those who launched this operation, in some academic and often quite close to him, in publishing or in the press? A weekly has published two pictures of me (photo and caricature) to illustrate an entire “folder” where my name was not once! Are you serious? Is it honest? Who was interested in rushing a farce rather than participate in the work which it has sadly taken the place? Longstanding commitment, this work will continue elsewhere and otherwise, I hope, with dignity: the stakes.
@আকাশ মালিক,
হা হা হা । গুগুল অনুবাদক দেখা যায় পত্রিকার নাম ‘Le Monde’ পর্যন্ত বে-তর্জমা করে দিয়ে ‘The World’ বানিয়ে ছেড়েছে। যাহোক , লেখাটা আসলে দেরিরার ‘পেপার মেসিন’ এ প্রকাশিত হয়েছিল , এখানে অনেক সুস্হ ইংরেজি তরজমা পাবেন ।
@আকাশ মালিক, হা হা হা গুগলের তর্জমা ক্ষমতার জোর তো আমি জানি বলেই তর্জমাকর্মে রক্ত মাংসের মানুষের সাহায্য চাচ্ছি!
তবে এই বাক্যগুলা জ্যাক দেরিদার মুখনিসৃত বাণীগুলোর চেয়ে বেশী সেন্স মেইক করে।।
(*) লেখাটা খুব ভালো লেগেছে। (Y)
(*) লাইন দুটো কেমন কন্ট্রাডিক্টরি লাগছে। 😕 :-s
@সৈকত,
প্রথমটা করলে যুদ্ধপরাধ হবে না কিন্তু রেডক্রসের পোষাকে ছদ্মবেশ ধারণ করলে যুদ্ধপরাধ হবে যাকে আমরা বলি জেনিভা কনভেনশনের লঙ্ঘন। অভিযোগী পক্ষের রেডক্রসের কাজ বন্ধ করে দেয়ার অধিকার থাকবে সেরকম অবস্হায়।
চমৎকার লাগলো লেখাটি। নস্টালজিক হয়ে পড়ছিলাম- কৈশোরের একটি বড় অংশই তো গেলো মাসুদ রানা আর তার বাঁধনে আটকা পড়া সুন্দরী তরুণীদের কীর্তিকাহিনী পড়ে।
শুধু আপনার না ভাই, এ অভিজ্ঞতা অনেক কিশোরেরই। মাসুদ রানা সমেত বামাল ধরা পড়ায় মারও খেয়েছে (একাধিকবার) এই নাদান।
আরেকটি বিষয় লক্ষ্যনীয়, সেই পূর্ব-পাকিস্তান থেকে আজকের বাংলাদেশ পর্যন্ত মাসুদ রানার বইগুলো ক্রমান্বয়ে পড়ে যেতে থাকলে মনে হয়, এগুলোর মাঝে আমাদের জাতীয় মানসের বিবর্তন কিছুটা হলেও ধরা পড়ে। ৭১ পূর্ববর্তী বইগুলোতে ভারত-বিদ্বেষী মনোভাব ছিল চরম, পরবর্তীতে কিছুটা পাকিস্তান-বিরোধী মনোভাব থেকে সাম্প্রতিক কালে দেখা যাচ্ছে আমেরিকা কিংবা ইসরাইলই সব গণ্ডগোলের মূলে। এরকম কোন বই পড়েছি বলে মনে হয় না, যেখানে আমাদের এমআরনাইন মোকাবেলা করেছে আলকায়েদার জঙ্গীদের। অবশ্য থাকতেও পারে, মাসুদ রানা সিরিজের বই তো আর কম বেরুলো না!
@আকাশ চৌধুরী,
মাসুদ রানার ধর্মীয় মতাদর্শটা এখন পর্যন্ত রহস্যে ঘেরাই থেকে গেল। সে কি আস্তিক না নাস্তিক সেটা মাসুদ রানা পড়ে বোঝার কোন উপায় নেই। তবে, আল – কায়েদার জঙ্গীদের মোকাবেলা করাটা বাংলাদেশে কতটা জনপ্রিয় হবে সেটাও একটা প্রশন বটে ! কই বাংলাদেশি কোন চলচ্চিত্রে তো এত ভিলেনের ভীরে একটা ভিলেনকেও আল – কায়দা রোল প্লে করার কথা শুনিনি। সেখানে চোর গুন্ডা বদমাস ধর্ষক দূর্নীতিবাজ সবই পাবেন , কিন্তু আল কায়দা পাবেন না। আরও ভয়ঙ্কর ব্যপার এই যে, এখনও আমাদের দেশে অনেকে আল- কায়দাকে কাল্পনিক চরিত্র এবং ইহুদী নাসারাদের বানানো সাজিশ মনে করে !
@সংশপ্তক,
রানা পড়ি না বহুদিন, মানে নুতন দিককারগুলি।
তবে এই সমস্যা (যথাযথ ভিলেন বানানো) রানার জনক দীর্ঘদিন ধরেই অনুভব করছেন। এ নিয়ে ওনার সাথে কথা হয়েছিল। পাকিস্তান আমলে রানার বিপরীতে ভারতকে দেখাতে হত ভিলেন রূপে, বাংলাদেশ হবার পর এ নিয়ে পড়ে গেলেন বিরাট বিপাকে। বন্ধু প্রতীম ভারতের বিরুদ্ধে রচিত সেসব বই এর বিরুদ্ধে সরকারেরও অগ্নিদৃষ্টি পড়ল, ফলে কাজীদা বাধ্য হয়েছিলেন একই কাহিনীগুলি আবারো ভারতের যায়গায় পাকিস্তানকে ভিলেন বানিয়ে রচনা শুরু করতে। যেমন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জার (ভিলেন ভারত) পালটি লেখা হল বিপদজনক (পাকিস্তান ভিলেন)। তবে ততকালীনসরকার সৌভাগ্যক্রমে উপলব্ধি করে যে গল্প গল্পই, কাজীদা গংও রেহাই পান এ ঝামেলা থেকে।
উনি চেষ্টা করতেন আমেরিকা/রাশিয়াকে মোটামুটি ব্যালেন্স করে কাহিনী ফাঁদতে। এক বইতে কেজিবি ভিলেন সিআইএ ভাল তো আরেক বইতে উলটা। সাথে ইসরাইল হল জনপ্রিয় এবং সবেয়ে কম ঝামেলার ভিলেন যার ব্যাপারে কেউই আপত্তি বা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ দেবে না। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাংগার পর পড়ে গেলেন বিষম বিপদে, এক ইসরাইলকে কত আর ভিলেন বানানো যায়।
আল কায়দাকে ভিলেন বানানোর প্র্যাকটিক্যাল সমস্যা তো বললেনই, এ দেশের এক বড় সংখ্যক লোকেই (তারা যে সরাসরি স্বীকার করবে তা না) বেজায় খেপে যাবে। তবে সেবার একটি বই (রানা নয়) আছে যেখানে এক সাংবাদিক দম্পতি আফগানিস্তানে গিয়ে তালেবানি খপ্পরে পড়েছিল, এই মুহুর্তে নামটি মনে নেই, ‘৯৯ সালের দিকের হবে।
@আদিল মাহমুদ,
পাশ্চাত্যের মিডিয়াই এখন আল- কায়দা ফর্মূলায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। ওদের নিয়ে নতুন কোন ছবি বের হতে আর দেখিনা। হলিউডও এখন তাই উপায়ন্তর না দেখে ভিন গ্রহের এলিয়েনদের ভিলেন বানাচ্ছে। অন্য কেউ নয় রাজনীতিকরাই পারবেন বরাবরের মত কমিউনিস্ট , আল – কায়দার পর একটা নতুন স্বাদের ব্লক বাস্টার ভিলেন উপহার দিতে !
@সংশপ্তক,
হলিউড ওয়ালাদের ছাগু চেনায় দেওয়া দরকার।
@আদিল মাহমুদ, ভাই মাসুদ রানা সিরিজ এর “খেপা নর্তক” ও “শয়তানের দূত” এই দুইটা বই এর রিপ্রিন্ট ভার্সন পরলাম। যাতে প্রথম প্রকাশের তারিখ দেওয়া আছে, জুলাই ১৯৭১ ও নভেম্বর ১৯৭১। ব্যাপারটা বেশ খটকা লাগল। কাজীদা কি ১৯৭১ এ যুদ্ধের মধ্যেও বই লিখে গেছেন?
@শাহ আরাফাত,
যতটা জানি, হ্যাঁ।
‘৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ মানেই সারাক্ষন গোলাগুলি বোমাবাজি মানে যুদ্ধের সিনেমায় যেমন দেখা যায় তেমন তো ছিল না। স্বাভাবিক জীবনের অনেক কিছুই সে সময়েও চলেছে। যার যে পেশা অধিকাংশ লোকেই তা চালিয়ে গেছিল। কাজীদাও বই লিখে গেছেন একই নিয়মে। কে জান অস্বাভাবিক অবস্থায় লেখা বলেই হয়ত এই বই দুটো তেমন সুবিধের হয়নি :)) ।
@সংশপ্তক,
বলেন কি? সত্যি নাকি কথাটা? তাহলে তো খুব ভয়াবহ ব্যাপার।ধন্যবাদ যে আপনার কাছে একটি নতুন জিনিস জানলাম। আর লেখাটা ভাল লেগেছে, সে জন্যেও শুভেচ্ছা।
@অচেনা,
আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমিও আনন্দিত। ধন্যবাদ।
@অচেনা, জ্বি ভাই, সত্যি। এটাই স্বাভাবিক, বুয়েটের মত জায়গায় অনেকে বিবর্তনকে মনে করে ইহুদী নাসারাদের বানানো সাজিশ, ফেসবুকে এক বিতর্কে বছরখানেক আগে এ নিয়ে প্রায় রক্তারক্তির (প্রতীকি অর্থে !) উপক্রম হয়েছিল। মোমিন ভাইদের কাছে তাদের মতের সপক্ষে রেফারেন্স চাওয়া হল, তারা সোনা ব্লগ আর সামু ব্লগ থেকে লিঙ্ক দেয়া শুরু করলেন। ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর যুক্ত সায়েন্টিফিক জার্নালের রেফারেন্স চাওয়া হলে, তারা বললেন এগুলোতেও নাকি গভীর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আছে। মজার ব্যাপার, Conspiracy Theoristদের কয়েকজনের গড় সিজিপিএ ছিল ৩.৯ এর উপরে, যারা নিজেরা কনফারেন্স পেপারের সংখ্যা আরো একটি বাড়ানোর জন্য শাহাদাত বরণ করতেও রাজি এবং জানেন বাংলাদেশের ICECE জাতীয় কনফারেন্সেও পেপার গৃহীত হবার জন্য বেশ কয়েক দফার যাচাই-বাছাইএর মধ্য দিয়ে যেতে হয়। শেষে অনুমিতভাবেই বিতর্কের সমাপ্তি ঘটলো , ‘দুর্ভাগাদের মহান স্রষ্টা অন্ধ করে রেখেছেন যাতে তারা সঠিক পথকে চিনতে না পারে’ মোমিন ভাইদের এরূপ উদ্ধৃতির মাধ্যমে।
কেমন জানি ‘ফিশি ফিশি’ লাগে… :-s
@বন্যা আহমেদ,
তা লাগবে না ! (@)
খুব মজার ভিন্ন স্বাদের একটা লেখা উপহার দিলেন। অনেক অজানা তথ্য জানা গেল।
আবার জিগায়! লিখে ফেলুন তাড়াতাড়ি।
@রাজেশ তালুকদার,
আপনার ভাল লেগেছে জেনে সুখী হলাম।
কোটি রানা প্রেমীদের এমন বেমক্কা ধাক্কা, এক্কেবারে মামদোবাজী! আপনার খবর আছে।
কল্পনার হিরো মাসুদ রানা, আপোষহীন সংস্থা বিসিআইকে আদর্শ মনে করে আর সেবার রানা পড়ে যে অনেক তরুণ তরুণী দেশের জন্য বিশেষ ভাবে উদ্বুদ্ধ হয়নি এমনটা কিন্তু মোটেও বলা যাবে না। বাস্তবের সাথে কল্পনার দূরত্ব তো জানা কথা। বাস্তবতা তুলে এনে যথারীতি এই সাইটের অনন্য চরিত্র বজায় রাখলেন দারুন এই লেখাটা লিখে (Y)
এখন বলুন তো কল্পনা না থাকলে সেই সব তরুণ তরুণী স্বপ্ন দেখবে কেমন করে? আর স্বপ্ন না দেখলে সে স্বপ্ন ছোঁবার জন্য ছুটবেই কেমন করে?
আচ্ছা বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্হা ( এন এস আই), ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স ( ডি জি এফ আই) আর ডাইরেক্টরেট মিলিটারী ইন্টেলিজেন্স (ডি এম আই) এদের কাজের মান নিয়ে লিখবেন নাকি?
ভালো থাকুন।
@কাজী রহমান,
ডিফেন্স কমিউনিটিতে একটা কথা প্রচলিত আছে , “Amateurs talk about tactics, but professionals study logistics.” মানের প্রশ্ন আসে অনেক পড়ে। আমাদের প্রথমই লজিস্টকস নিশ্চিত করতে হবে যার শুরই হয় ফান্ডিং দিয়ে। বাংলাদেশে যে বাজেট দেয়া হয় তার প্রায় পুরোটাই চলে যায় বেতনসহ বিভিন্ন ভাতায়। নুন আনতে পান্তা ফুরার মত অবস্হা এবং তারপরও তো দেশ গেল দেশ গেল এমনটা শুনতে হয়। অন্তত সোমালিয়ার মত অবস্হা হলে তো দেশই থাকবেনা চিৎকার করার জন্য।
@সংশপ্তক,
সর্বনাশ, বলেন কি? তাহলে ওদের সাথে বাংলাদেশের সাধারণ টেবিল চেয়ারে কলম পেষা বেতনভূক কেরানী বেচারাদের আর পার্থক্য থাকলো কি? মাঠে কাজ হবে কি করে? জাতীয় নিরাপত্তা দেবার এই সব সংগঠনের দোষ দিয়ে তাহলে লাভ কি? অবকাঠামো (ইনফ্রাস্ট্রাকচার) খাতেই যদি পর্যাপ্ত পয়সা না দেয় তা হলে ওগুলো দাঁড়িয়ে আছে কিসের ওপর? মাঠের কাজ তো বহুদূর। এ তো হাড়গোড় বিহীন মানুষকে সূতো দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার মত ব্যাপার। সূতো যাদের হাতে, নাচন তাদেরই হাতে? :-s
আমি বাংলাদেশের “অপরাধ বিদ্যা ও পুলিশ বিজ্ঞানের”- Criminology and Police Science এর প্রথম ব্যাচের একজন ছাত্র। আপনার লেখাটি খুবই ভাল লাগল, এবং মনে হচ্ছে আমার বিষয়ে Criminology and Police Science যারা পড়ছেন তাদের আপনার লেখাটা পড়া উডচৎ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার “ডিটেকটিব’’ গল্পে আপনার মতই আপসোস করেছিলেন। বাস্তবের গয়েন্দা আর কল্পনার গয়েন্দায় বিশাল পার্থক্য বিদ্যমান।
@মাসুদ করিম,
পাঠের জন্য ধন্যবাদ । ট্যাকটিক্যাল ইন্টেল মিশনে যে METL ( mission-essential task list) আছে , সেখানে Police Intelligence Operations (PIO) অন্যতম। এটা যদিও একটা মিলিটারী পুলিশ ফাংশন , একজন ইন্টেল অফিসারকে পুলিশের রুলস অব এঙ্গেজমেন্ট জানতে হয় , বৈকি ।
@মাসুদ করিম,
বাংলাদেশে প্রথম ব্যাচ কোন সালে শুরু হয়েছিলো বা হয়েছে? Criminology and Police Science কি বাংলাদেশে নতুন শুরু হয়েছে? কোথায় পড়ানো হয়?
@কাজী রহমান,
মাওলানা ভাসানী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। ২০০৩-২০০৪ শিক্ষাবর্ষ প্রখম এ বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তী করে। গত বছর ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানে একটি কুইজ ছিল এ বিষয়ে।
But, Recently DU have started the Masters Program -Criminology and Criminal Justice…
গোয়েন্দাগিরির অনেক কিছু জানতে পারলাম। লেখককে ধন্যবাদ জানাই।
@Shamim Ahmed Laskar,
পাঠের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
আচ্ছা, একটা বিষয় আমাকে বোঝান তো, এই পেশাটার ব্যাপারে একটা কেমন নেগিটিভিটি কাজ করে অন্তঃত আমাদের দেশগুলোতে, এর কারণ কি? ধরুন, আপনিও বলছেন “গোয়েন্দাগিরি” যেমন দাদাগিরি, বাবুগিরি কিন্তু শ্রমজীবি, আইনজীবিী ধরণের শব্দ ব্যাবহার করা হয় না। আমি বলছি না এতে কাজের মাহাত্য কমছে বা বাড়ছে। কিন্তু কেন এই মনোভাব তার কারন কি জানা আছে? অনেক সময় “টিকটিকি ” ও বলা হয় অনেক গল্পে সাহিত্যে । আপনি ওপরে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ দিয়েছেন তাই জানবার ইচ্ছে হোল এর কোন সামাজিক আঙ্গিক আছে কিনা।
@কেয়া রোজারিও,
আমাদের মত দেশগুলোতে গোয়েন্দা মানেই মানুষ ‘সেইফ হাউজ’ কিংবা ‘ব্লাক হোলে’ রিমান্ড এবং টর্চার বোঝে, এক ধরনের টাবু মনে করে যা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলা যায় না। এর মধ্যে কিছু সত্যতা অবশ্যই আছে। আমেরিকায় স্বদেশী গোয়েন্দাদের যেভাবে মিডিয়ায় গুনকীর্তন করা হয় , আমাদের দেশে সেটা হয় না। এটাকে ভীতি এবং ঈর্ষার এক ধরনের সংমিশ্রন বলতে পারেন। ক্ষমতাশালীকে মানুষ সামনা সামনি তোয়াজ করে চললেও পেছন থেকে গালি দেয়। আবার দূর্বলকে সামনি সামনিই ধাক্কা মারতে কুন্ঠাবোধ করে না। মানুষ শক্তের ভক্ত এবং নরমের যম – এ কথার মধ্যে কি কিছু সত্যতা নেই ?
@সংশপ্তক,
আছে তো। তবে এও সত্য যে সংগ্রহকৃত তথ্য কি কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে এর ওপরেও খানিকটা এই পেশার ভাবমুর্তি নির্ভর করে। সাধারনত ধারনা করা হয় এই তথ্য বিদেশ এবং বিদেশী সংস্থার স্বার্থের জন্যেই গৃহিত।
এই পেশায় ব্যাবহার্য গেজেট গুলো নিয়ে আগামীতে লিখুন। আশা করছি।
মাসুদ রানার মামদোবাজী বলার জন্য আপনারে বিরাট মাইনাস। এরে যে কী পরিমান পছন্দ করতাম। আহা, পুরান দিনের স্মৃতি মনে পইড়া যায়। সেবার কাছে আমার ঋনের শ্যাষ নাই।
তবে অভিদার সাথে একমত। লেখা হেবি হইছে। এই নিয়া পারলে আরো কিছু লেইখ্যেন সামনে। 🙂
@সাইফুল ইসলাম,
সেবা প্রকাশনীর কথা মনে পড়লে এখনও চোখে পানি আসে। আমার কিন্তু কবীর চৌধুরীকেও বেশ ভাল লাগত । তাকেও মিস করি ।
একদম মন থেকে বলি,অনেক ভাল লাগল লেখাটা পড়ে।মাসুদ রানা পড়ে পড়ে অনেক ইচ্ছা হয়েছিল গোয়েন্দাগিরিতে যোগ দেয়ার।কিন্তু আপনি যে সমস্ত শাস্তির কথা বললেন তাতে তো আর মন টানিতেছে না!
@অনিরুদ্ধ,
ভয় পেলে তো চলবে না , মশায় ! বিপদ আছে বলেই তো মানুষ বেজী ফেলে সিংহ শিকারে যায় । গোলাপের তো কাঁটা থাকবেই !
দিলেন সব মাটি করে। আমি এবারের অলিম্পিকের (ই)উসেন বোল্টের দৌড় দেখে অভিভূত হয়ে ‘সেই উসেন‘ শিরোনামে একটা লেখা লিখব ভাবছিলাম, আর এসে দেখি আপনার এই লেখা।
লেখাটা ভাল হইসে কিন্তু। অনেক কিছু জানলাম।
নামের বলিহারি! এইখানে ইন্টেলিজেন্সের ছড়াছড়ি দেখি। তা বাস্তবের লোকগুলা কেমন? অন্ততঃ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে হোদল কুৎকুৎ অকর্মন্য টাইপের কিছু নাতো? খোদ ওবামার সিক্রেট সার্ভিস যেভাবে কয়েকদিন আগে প্রস্টিটিউট স্ক্যান্ডালে জড়ালো, তাতে মনে খয় কাম কাজ করতে না পারুক জেমস বণ্ড ওরফে মাসুদ রানার নারী আসক্তি হেরা ঠিকি রপ্ত করতে পারছে! আর তালিকায় এত ইন্টেলিজেন্স দেখে ভাবতেসি কবে না আবার আমাদের ‘ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন‘ও তালিকায় ঢুকে যায়। অবশ্য ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন যেমন ‘কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন’-এর মতন শোনায়, উপরেরগুলাও সেইরকমের কীনা কে জানে!
হাঃ হাঃ আমি মনে হয় চল্লিশোর্ধ একজনরে চিনি। বড় বড় চুলে জেল দিয়া দেশ বিদেশ ঘুইরা বেড়ায়, ‘টানে ‘সবাইকে’ কিন্তু বাঁধনে জড়ায় না’। :))
@অভিজিৎ,
ঠিক । পদাতিক বাহিনীর কাউকে জিজ্ঞেস করলেই শুনবেন যে ,” মিলিটারী ইন্টেলিজেন্স শব্দযুগল আসলে অক্সিমোরন। 😛 ” তবে, এটাও ঠিক যে , ওদের ব্যর্থতার কথা যেভাবে প্রকাশ করা হয় , সফলতাগুলো সঙ্গত কারনে গোপনই থেকে যায়। খুব বেশী হয়ত নয় , কিছু ‘ইন্টেল’ এখনও অবশিষ্ট আছে বলেই বেশীরভাগ মানুষ এখনও নিরাপদে বসবাস করতে পারছে।
হায় হায় , বলেন কি ! রানা সাবধান ! পালাবে কেথায় !চারিদিকে শত্রু ! :-O
মাসুদ রানা পুরোই ফিকশনাল চরিত্র, তার কাজকারবারও সেই রকমই। মাসুদ রানা সিরিজ পড়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স শিক্ষা লাভের আশা করা আর সুপারহিট হিন্দী সিনেমা দেখে প্রেম করা শেখা একই রকমেরই মনে হবে। তবে এক সময় মাসুদ রানার প্রভাব ছিল তরুন সমাজে প্রবল, কাজীদার কাছে নিয়মিত চিঠি আসত কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স এজেন্ট হবার উপায় কি তা বাতলে দিতে, অনেকে আবার শিক্ষাগত যোগ্যতার সাথে সাথে শারীরিক বর্ননাও চিঠিতে দিয়ে দিত।
– কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স উইংটা ঠিক কি? ডিজিএফআই এর কোন শাখা? আমি এর কথা মনে হয় দুয়েক যায়গায় শুনেছি তবে কোন দালিলিক অস্তিত্বের সূত্র পাইনি।
আমাদের দেশের বাস্তবতা হল সাধারন ক্রাইম ইনভেষ্টিগেশনের মানই এখনো ২০০ বছর পিছিয়ে আছে। ফরেনসিক বলতে আংগুলের ছা্প ছাড়া তেমন উন্নত উল্লেখযোগ্য কিছু নেই, তাও সেই টেকনোলজিও বহু পুরোন দিনের, বহু ক্ষেত্রেই অষ্পষ্ট বলে কোন কাজে আসে না। এমনকি সিআইডির গালভরা ফরেনসিক ইউনিট বলে যা আছে তারাও নাকি অনেকটা লোক দেখানো ছাড়ান তেমন কিছুই কাজের নয়। পুলিশের লোকজন আধুক ডিএনএ বা সেই প্রকারের ফরেন্সিক কোন পর্যায়ে এখন গেছে তা জানা দূরে থাক শুনলে কয়জনে টেকনিক বুঝতে পারবে তাতেও আমার সন্দেহ আছে। চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত ব্যাবসায়ী জামালউদ্দিন অপরাধ/হত্যা মামলায় ক’বছর আগে প্রথম ডিএনএ ব্যাবহার হয়, এরপর আর হয়েছিল কিনা জানা নেই। অপরাধ তদন্তের মূল কায়দা এখনো সেই আদি এবং অকৃত্রিম, বেদম পিটুনী দেওয়া। এসব নিয়ে কিছুদিন আগে প্রথম আলোয় সিরিজ বেরিয়েছিল। আল্লাহর রহমত হিসেবে মনে হয় আমাদের দেশ ঘনবসতিপূর্ন হওয়াতে লুকিয়ে কিছু করা বা গোপন রাখা খুব কঠিন ব্যাপার, থানা পুলিশ ইনফর্মারের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে জেনে যায়, এরপর চলে ধরে এনে পিটিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় পর্ব। সব গোয়েন্দা সংস্থাই মোটামুটি চরম ভাবে ইনফর্মার নির্ভর।
এমন ধরনের দেশে মাসুদ রানার কায়দার গোয়েন্দা সংস্থার আশা করা হাসিরই উদ্রেক করে।
ডিজিএফআই, এনএসআই, এরা কেউই মনে হয় না দেশের বাইরে কোন অপারেশন চালায় কিংবা এমনকি বিদেশে কোন নিয়মিত এজেন্টও আছে বলে। এদের কাজ কারবারও পুরোপুরি দেশ নির্ভর, র বা আইএসআই এর মত নয়। দুটোকেই, বিশেষ করে ডিজিএফআই এর রাজনৈতিক দমন পীড়নের কাজে ব্যাবহারের কড়া অভিযোগ আছে। পুলিশের এসবিও কিছুটা এই ধরনের কাজ করে, সাধারন অপরাধ তদন্ত নয়, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির ওপর গোয়েন্দাগিরি, সংবাদপত্র মনিটরিং এসব করে।
@আদিল মাহমুদ,
ডি জি এফ আই – এর সরকারী ওয়েবসাইটে তাদের অরগানোগ্রাম পাবেন। সেখানে দেখবেন CIB বা counter Intelligence bureau.
@সংশপ্তক,
ধন্যবাদ, এটা জানা ছিল না।
আসলে ডিজিএফআই এর মূল ভূমিকা মাসুদ রানার মত নয়, মূল কাজ প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত গোয়েন্দাগিরি। তবে শুরু থেকেই রাজনৈতিক দমন পীড়নেই এই সংস্থ কুখ্যাতি কুড়িয়েছে। এর প্রথম ডিজি আমিনুল ইসলাম ছিলেন কর্নেল তাহের বিচার নামের প্রহসন নাটকের মূল পরিচালক।
@আদিল মাহমুদ,
ডি জি এফ আই -র জন্ম হয়েছিল একজন সাবেক আই এস আই অফিসার টার্ন রাষ্ট্রপতির হাত ধরে। এটাকে সেসময়কার পাকিস্তানী আই এস আই -এর বি-টিম বললেও বেশী বলা হবে না। তাদের শুরু দিকের কুখ্যাতিকেও অস্বীকার করার উপায় নেই। এটাও ঠিক যে সামরিক শাসনে একটা সামরিক গোয়েন্দা সংস্হা থেকে অন্য কিছু আশা করা যায় না। ২০০৮ সালে সেখানে পূনর্গঠন এবং সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু হয় এটাকে একটি আধুনিক পেশাদার সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার আদলে গড়ে তোলার নিরিখে, যা বর্তমানেও চলছে।
@আদিল মাহমুদ,
“চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত ব্যাবসায়ী জামালউদ্দিন অপরাধ/হত্যা মামলায় ক’বছর আগে প্রথম ডিএনএ ব্যাবহার হয়, এরপর আর হয়েছিল কিনা জানা নেই’
বি ডি আর বিদ্রোহে মৃত অফিসারদের পরিচয় নির্ণয় করতেও ডি এন এ প্রোফাইলিং টেকনোলজি ব্যাবহার করা হয়েছে। এছাড়াও প্যাটার্নিটি ডিসপিউট, রেপ, মার্ডার ইত্যাদি কেসেও এই টেকনোলজির ব্যাবহার বেশ বেড়েছে। জানেন বোধয় বাংলাদেশেই এখন পূর্ণাঙ্গ ডি এন এ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি আছে নারী ও শিশু মন্ত্রনালয়ের অধীনে(NFDPL)।