বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সংগঠন এর পক্ষ থেকে এক পীরের মুখোশ উন্মোচন করা হয় গত ২৭ শে জুলাই, ২০১২ রোজ শুক্রবার।
সংগঠনের কর্মকান্ড যাদের বিরুদ্ধেঃ
এই সংগঠনের যুদ্ধ অলৌকিকতার নামে যারা মানুষের দূর্বলতাকে, অজ্ঞ্যনতাকে, কুসংস্কারকে ভাঙিয়ে খ্যাতি ও প্রতিপত্তি লাভ করে চলেছে তাদের বিরুদ্ধে। যারা কুসংস্কারকে সাফ করার নাম করলে মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হয় বলে সোচ্চার হয় তাদের বিরুদ্ধে। যারা জনগনের চেতনাকে বেশিদূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে ভয় পায় তাদের বিরুদ্ধে। যারা জাতের নামে বজ্জাতি করে চলেছে তাদের বিরুদ্ধে। যারা ধর্মের নামে মানুষের মানবিকতার চূড়ান্ত বিকাশ গতিকে রুদ্ধ রাখতে চায় তাদের বিরুদ্ধে। একটি তলোয়ারের ধর্ম যেমন তীক্ষ্ণতা, আগুনের ধর্ম যেমন দহন, তেমনি মানুষের ধর্ম মনুষ্যত্বের বিকাশ। সেই বিচারে আমরাই ধার্মিক কারন আমরা শোষিত মানুষের মনুষ্যত্ববোধকে বিকশিত করতে চাইছি। মানুষের চিন্তায়, মানুষের চেতনায় বপন করতে চাইছি সাংস্কৃতিক বিপ্লবের বীজ। যারা কুসংস্কার দূরীকরনের কথা উঠলেই বলে আগে চাই শিক্ষার বিস্তার, শিক্ষাই কুসংস্কার দূর করবে, তাদের স্মরণ করিয়ে দেয়া প্রয়োজন শিক্ষা বিস্তারের অর্থ শুধু বইয়ের পড়া মুখস্ত করা নয়। কুসংস্কার দূর করাও শিক্ষা প্রসারের অঙ্গ। অশিক্ষা বিতাড়নের চেয়ে বড় শিক্ষা আর কী হতে পারে? জনশিক্ষা ও যথার্থ বিজ্ঞান চেতনা আজও এ দেশে দুর্লভ। আমরা সেই দুর্লভ কাজ-ই করতে চাই। আমরা ঘটাতে চাই চিন্তার বিপ্লব, সাংস্কৃতিক বিপ্লব।
শুরুটা যেভাবেঃ
গত ১৮ই জুলাই এই সংগঠনের অন্যতম সদস্য এন সি নীল ও তাহসিব হাসান যেভাবে পীরের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং এন সি নীল এর বক্তব নিম্নরুপঃ
“একটু আগে কথা বললাম একটা তববির সেন্টার এর সাথে। এই সেন্টার সকল ধরণের সমস্যার অলৌকিক সমাধান প্রদান করে। আমি কথা বললাম আমার এক বন্ধু তাহসিব এর ব্যাপারে। তার ছোট ভাই হারিয়ে গেছে, আব্বু তাকে সিগারেট টানার জন্য মাইর দিয়েছে বলে সে অভিমান করে বাসা থেকে ৩ দিন আগে চলে গেছে।
(বিঃ দ্রঃ তার কোন ছোট ভাই নেই, তার বাবা মারা গেছে ১৯৯৮ সালে।)
কথা বলার পর পীর জানালো, সেই পীর আমার বন্ধুর ছোট ভাইকে খুজে দিতে পারবে। প্রথম সাক্ষাতে তাকে হাদিয়া দিতে হবে ৩১৩ টাকা। তারপর সে আমাদের সাথে চুক্তিতে যাবে। সর্বনিম্ন চুক্তি হলো ৩০০০ টাকা। আমরা বলেছি এই শুক্রবার বাদ-জুম্মা আমরা তার কাছে যাবো। জায়গাটা হলো মোহাম্মদপুর। (বিস্তারিত আর কিছু লিখলাম না) আপনারা কে কে যেতে চান?? আমরা কীভাবে এই কাজটা সম্পাদন করতে পারি?
(উক্ত বক্তব্যটি ফেসবুকে প্রচার করা হয় সংগঠনের সদস্যদের কাছ থেকে মতামত ও সম্মতির জন্য)
একশন পরিকল্পনার জন্য বিশেষ সভাঃ
(বিঃদ্রঃ এর আগে আরো কয়েকটা সভা হয় এই সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে যা মতামত বিনিময় এবং সাপোর্ট হিসাবে কোন মিডিয়াকে এবং প্রশাসনকে নেওয়া যায় কি না- এ বিষয়ে) ২৩ শে জুলাই এর সভার বার্তাটি ছিল নিম্নরুপঃ
“জরুরী বার্তাঃ
আগামীকাল ২৪ জুলাই রোজ মঙ্গলবার বিকাল ৫ ঘটিকায়, কার্যনির্বাহী কমিটি সিন্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সংগঠন এর বৈঠক হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এস সি ভবনের ভিতরে। পীর বাবা নিয়ে কিছু খুবই জরুরী সিন্ধান্তের জন্য। আগামিকালের বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের হাতে সময় খুবই অপ্রতুল। আগামীকালের সিন্ধান্তেই কিছু কাজ আগামীকাল-ই করা হবে। তাই আমাদের এই বৈঠক বিকাল ৫টা মানে ঠিক ৫ টাই অনুষ্ঠিত হবে। ৫.৩০ বা ৬ টা নয়। তাই সকল সদস্যদের বিকাল ৫ টার আগেই উপস্থিতি একান্ত কাম্য। যেহেতু বৈঠকের পর আমাদের কিছু কাজ রয়েছে।
মিশন এর জন্য প্রচারণা এবং পরিকল্পনাঃ
(নিম্ন প্রচারণাতে অনেকের দ্বি-মত থাকলেও মোটামুটি সংগঠনের প্রায় সকল সদস্যই এই প্রচারণা চালায় বিভিন্ন ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে ও তাদের ব্যক্তিগত ওয়ালে)
প্রবীর ঘোষ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সংগঠনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে একজন পীরের ভন্ডামী উন্মোচন করেছি। তার ভন্ডামির সমস্ত প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আগামী ২৭ জুলাই শুক্রবার আমরা মিডিয়াকে নিয়ে ও প্রশাসনকে জানিয়ে পীর কে চ্যালেঞ্জ করতে যাবো। আমরা ২টি ভাগে ভাগ হয়ে যাবো। ৫-১০ জননের একটি দল মিডিয়া নিয়ে যাবে, আর অন্য একটি দল ৫০-১০০ জনের ওখানের স্থানীয় গ্রামবাসীর সাথে মিশে যাবে। প্রথম দলটি পীরের ভন্ডামি মিডিয়ার সামনে উন্মোচন করবে এবং তাকে অলৌকিকতা প্রমানের চ্যালেঞ্জ দিবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় দল আশেপাশের মানুষের সাথে কথা বলবে পীর সম্পর্কে। যদি পীর ঝামেলা পাকায় তা হলে দ্বিতীয় দল গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে ব্যাপারটা মোকাবেলা করবে। যদি তারা চরম পর্যায়ে যায় তাহলে আমরাও চরম পর্যায়ে যাবো। জায়গাটা হল মোহাম্মদপুর, আগামী শুক্রবার সকাল ১০ টা। কে কে যাবেন আমাদের সাথে? বিস্তারিতঃ ০১৬৭১-৯৭০৬৫৭, ০১৬১১৮২৪৭৪২ ।
এবার পীর এর কাছে পৌছানোর পর এবং ইতোমধ্যে পীরকে চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছেঃ
ঘটনা স্থলের প্রতিক্রিয়াঃ
একজন মহিলার বক্তব্য- পীর তো কাউকে তাঁর কাছে আসতে বলে না। মানুষ কেন আসে, এতে পীরের দোষ কই? মহিলার উক্তি যে তার নাতনীর নাকি ছোট ছোট রোগবালাই সেড়েছে পীরের ঝার ফুঁকে। পীর কোন মহিলার সাথে কথা বলে না। পীরের একজন মুরিদ আছে সে মহিলাদের সাথে কথা বলে।
এই মহিলা পীরকে ধরার ফলে মনে খুব কষ্ট পেয়েছে- তা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।
ঘটনাস্থলে একজন নির্মাণ শ্রমিকের মতামত- এইখানে অনেক সুন্দরী মহিলা আসে যাদের চেহারা অনেক ভাল, তারা উচ্চবিত্ত পরিবারের। তবে ঘরের ভিতরে নিয়া কী করে তা তো আমরা জানি না।
এবার যারা যুবক, তাদের মতামত- এই পীর আসলেই ভন্ড, এরে ধরুন এবং মাইরা হাড্ডিগুড্ডি ভাইঙ্গা ফালান।
মুলতঃ উপস্থিত এলাকার যুবকরাই পীরকে ধরার সাপোর্ট-এ এর ছিল ফলে সহজেই কাজটা হাসিল হয়েছে বলা যায়।
যেভাবে পীরকে ভন্ড প্রমাণ করা হলঃ
এই সংগঠনের দুই জন সদস্য (এন সি নীল ও দেবজ্যোতি রুদ্র) তাহসিব হাসানের সাথে (তাহসিব হাসান যার ভাই হারিয়ে গেছে বলা হয়েছিল) গিয়েছিল পীরের কাছে। পীর সব কিছু শুনে বললো যে সে তাঁর ভাইকে খুঁজে দিতে পারবে। এই জন্য সে ৩১৩ টাকা হাদিয়া নেয়। পরের দিন পীর তাকে ফোন করে বলে সে তাঁর ভাইকে দেখতে পেয়েছে। ফোন রেকর্ডিং এখানে। তাঁর ভাইকে তাঁর বাবা বকেছে তাই সে রাগ করে চলে গেছে। তাঁর ভাইকে খুঁজে পেতে হলে কিছু জিনিস করতে হবে যা তাকে ফোনে বলা হয়।
কিন্তু সত্য এই যে, সেই লোকের (তাহসিব হাসান) কোন ভাই নেই এবং তাঁর বাবা ১৯৯৮ সালেই মারা গেছেন।
২৭ জুলাই যখন আবার যাওয়া হয় পীরের কাছে এবং পীরে তাহসিব হাসানকে ৪ টা তাবিস দেয় যাতে আছে কোরাণের বিভিন্ন আয়াত সম্বলিত। একটা তাবিজ পানিতে যা আগে পদ্মা নদীর পানি চুবিয়ে, একটা শুণ্যে (কবুত বা বেলুন এর মাধ্যমে), একটা ভুমিতে পুঁতে রাখতে হবে, অন্যটি আগুনে পুড়তে হবে।
এই সময় এন সি নীল বলে উঠে এগুলো করতে বলছেন, আর ভন্ডামী করার জায়গা পান না। বলার পর পরই তার হাতের কাছে মোবাইলেটা আগে সিজ করা হয় এবং পীরের পিছনে যে মুরিদ ছিল সে রুম থেকে দৌড়ে বেড় হয় এবং ফাইনালি পীর এর সাথে বাক-বিতন্ডা করে অন্য একজন সদস্য নাম দেবজ্যোতি রুদ্র। এমতাবস্থায় পীর ঘর থেকে পালাতে চাইলে সংগঠনের একটা দল পীরের কাছে চলে আসে এবং পীরকে আবার ঘরে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর এলাকার এক বড় ভাই টাইপ এর কেউ এসে উল্টো পীরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ কেন তা জানতে চাইলে উক্ত অডিও লিংকটি তাদের শোনানো হয় এবং তারা বুঝতে পারে যে পীর আসলেই ভন্ড। তবে উনি ফাইনালি একটা ব্যবস্থা নিতে বললেন। এর পর তাহসিব, নীল ও দেবজ্যোতি রুদ্র পীরের কাছে নিম্ন স্ব-হস্তে লিখিত স্টেটমেন্টটি নেয়।
এলাকার একজন কাঠ ব্যবসায়ীর মতামতঃ
এই ভদ্রলোক এর মতামত এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ন। ঐ দিকে এন সি নীল, তাসিব হাসান ও দেবজ্যোতি রুদ্র যখন পীর কে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছিল এবং আমাদের গ্রুপের সদস্যগণ ধীরে ধীরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত। তখন আমি ও মেরাজ নামে আমাদের একজন সদস্য ঘটনাস্থলে প্রবেশ এর রাস্তার মাথায় দেখছিলাম এলাকাবাসী কীভাবে এগুচ্ছে এবং কোন অঘটন ঘটছে কি না। সেই সময় এই ব্যবসায়ীর চেম্বারের কাছে আমরা দাঁড়াই। কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পর বৃষ্টি পড়তে শুরু করে। এই ব্যবসায়ী ভদ্রলোক আমাদের তার চেম্বারে বসার জন্য অনুরোধ করে এবং এক পর্যায়ে গিয়ে বসি। এদিকে দৌড়ে দৌড়ে একজন দুইজন করে উৎসাহ নিয়ে পীরের কাছে যাচ্ছে এই বলে যে এখানে নাকি পীরের ভন্ডামী ধরা পড়েছে । যাই হোক আমরা বসার পড় পীর নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা হয় এবং একসময় এই পীরের কিছু কথা বলে যে, রিকসা চালক, বস্তির মানুষগুলো মোটামুটিভাবে এই পীরের মুরিদ এবং এখানে দিন রাত মহিলা পুরুষ আসে। এবং অসাবধানতা বসত বলেই ফেলে যে এই পীরের এই এলাকায় একজন গডফাদার আছে, তা বলে সে আমাদের বলে এটা বলা যদিও উচিত নয়। ঐ এলাকার গড ফাদার যাকে উনি ইন্ডিকেট করেছিলেন। উনিও কিছুক্ষনের মধ্যে উপস্থিত হয়। ইতোমধ্যে আমাদের একজন সদস্য আদাবর থানায় ফোন দেয় পুলিশ আনার জন্য।
যাই হোক সেই গড ফাদারের কাজ হলো একজন বানানো পীর গেলে আরেকজন কে ঠিকই নিয়ে আসবে হয়তো এই এলাকায় নয়, অন্য এলাকায়। কারন সেটা তার ব্যবসা যা আমরা আলোচনার মধ্যে জানতে পারলাম। (বিঃদ্রঃ এই ব্যবসায়ী ভদ্রলোক বুঝতে পারেনি যে আমরা পীরের কাছে এসেছি তার ভন্ডামী বন্ধ করতে)। ফাইনালি পুলিশের জন্য ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করার পরও যখন পুলিশ আসলো না। এবং আমাদেরও প্রায় সকল কাজ শেষ তখন সেই গডফাদার এসে একটা মিচ্যুয়াল করে দেয় যে এখানে তাকে আর এই ভন্ডামী করতে দেওয়া হবে না এবং এতে আমরা একটা স্বীকারোক্তি চাই। সেই স্বীকারোক্তি সে আমাদের দেয়। এভাবেই আমাদের বিদায় নিতে হয়।
আমাদের মতামতঃ
আমরা যা বুঝেছি যে, আমরা যেহেতু মিডিয়া ও প্রসাশনকে নিতে ব্যর্থ হই, ফলে আমাদের এই মিশন গুলো কিছু মানুষের কাছে পজেটিভ আকারে গেলেও ব্যপক আকারে যেতে পারছে না এবং অপরাধীদের কোন কিছুই হচ্ছে না। এতে তারা এই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় নাম পরিবর্তন করে আবারো সেই ভন্ডামী শুরু করতে পারে। মিডিয়া এবং প্রশাসন থাকলে হয়তো আমাদের এই মিশন গুলো কাজে লাগাতে পারি।
এন সি নীল কি নিলয় নীল???
হ্যাঁ।
উপরে ভাই আকাশ মালিকের মন্তব্য টা অত্যন্ত মূল্যবান।তবে আমি বুঝাতে চাচ্ছিলাম যে, এটা যদি ফটো সহ প্রতিটা পত্রিকার প্রথম পাতায় তুলে দেওয়া যেত-তা হলে একেবারে শেষ।
তবে এটাও অত্যন্ত দুখের বিষয় যে আমাদের দেশের পত্রিকা গুলী যে কোন কারনেই হউক এগুলী প্রকাশ করতে চায়না। এটা অত্যন্ত দুখ জনক ব্যাপার।
আপনাদের উদ্যোগ অতিশয় মহৎ ও প্রশংসিত। বাধা বিঘ্নের ভিতর দিয়ে হলেও কাজ চালিয়ে যান। সমাজে একদিন এসব ভন্ডামীর অবসান নিশচয়ই হবে।
ধন্যবাদ
আমাদের পেইজ http://www.facebook.com/a.k.m.bangladesh.g
লেখাটা ছোট আকারে পেইজে—
http://www.facebook.com/a.k.m.bangladesh.g/posts/312677145495342
ভুল গুলি আমরা স্বীকার করছি বলে আপনারা জানতে পারছেন, যদি স্বিকার না করতাম, তাহলে বলাল কিছু ছিল না। স্বীকার করার সাহসিকতা আমাদের আছে। আমাদের কাজ থেমে থাকবে না চলেতে থাকবে। আগামীতে আশা রাখি রাখি কাজ অনেক গুছানো হবে এবং আপনারা সাথে থাকবেন।
😕 😕 😕 😕 😕
গডফাদাররা আসলে তেলে জলে মিশে যায়?? বাহ!
আকাশ মালিক এর মন্তব্যটি খুব ভালো লাগলো। সংগঠনটি আরও দ্রুত বেগে অগ্রগামী হোক এই প্রত্যাশা করছি।(F)
ভুলেও কেউ যাইয়েন না , গেলে সাইজ দিয়া দিব। :hahahee: :lotpot: 😀 :)) 😛
:clap
লেখার জন্য রঞ্জনকে ধন্যবাদ। এবং সাহসী কাজের জন্য সংগঠনকে অভিনন্দন।
উপরে আকাশ মালিক এর মন্তব্য ভাল লাগল। তাঁর মন্তব্য গুরুত্বের সাথে গ্রহণ করলে অনেক কাজে লাগতে পারে।
(F) (Y)
দাদা আশা করি একটু দেখবেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঠিক করার
আমাদের মিডিয়া এখন মানুষের কথা বলে না. তারা কথা বলে ক্ষমতার. মিডিয়া এখন বেশ্যা হয়ে গেছে. খারাপ ভাষা ব্যাবহার করার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী. কিন্তু কি করব আর কোন বিশেষন যে খুজে পাচ্ছি না.
আপনাদের এই মহান উদ্দেশ্যকে স্বাগতম. (Y) (F) (D)
এটা দুঃখজনক, যে আপনারা প্রশাসন ও সংবাদমাধ্যমকে সাথে আনতে পারেন নি, যে জন্য এ অভিযানের কার্যকরী ফল অনেকটাই কম হবে। ভবিষ্যতে এ দিকগুলো শুরুতেই ব্যবস্থা করে নেবেন আশা করি।
@কৌস্তুভ,
সংঘটনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু যেহেতু নতুন তাই হয়ত আনতে পারে নাই , আশা করি আগামী কার্যক্রমে আনতে পারবে যদি সবাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন
সাহসী পদক্ষেপের জন্য অভিনন্দন। (Y)
বুঝলাম। খুব জনকল্যাণ হলো।
যেকোনো উপায়ে পীরের ভণ্ডামি ধরাই জায়েজ? নাকি সেই উপায়তেও গলতি থাকতে পারে?
যেমন, অ-আইনি লোকজন অন্যের বাসায় ঢুকে তার অননুমতিতে তার গায়ে হাত তোলা ঠিক আছে যদি সে ভণ্ড হয়? নাকি আইনের চোখে ভণ্ড অভণ্ড নির্বিশেষে কারো সাথে এমন করার এখতিয়ার আপনাদের নেই?
তার চেয়ে বড় কথা, পীর স্বীকারোক্তি দিয়েছেন –
ইসলাম বিরোধী?? এই স্বীকারোক্তি কে লিখে দিয়েছে? যিনি লিখেছেন, তিনি দেখি ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ নিয়ে বড় দুশ্চিন্তিত। আর যদি পীর নিজে লিখে থাকেন, তাহলে তিনি নিজে হেরে হলেও ইসলামকে জিতিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন। এই স্বীকারোক্তি দেখে মনে হচ্ছে ওনার সমস্যার অর্ধেকটাই হলো ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ। ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপে সমস্যা কী?
ভণ্ডামির জন্যে পীর বাবার গায়ে হাত তোলা গেলে ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপ করতে পারার জন্যে তার গায়ে ফুলচন্দন ছিটানোও চলে। ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপের জয় হোক!
@রূপম (ধ্রুব),
কয়েক বছর আগে বাংলাদেশেই এক লোক নিজেকে ইমাম মাহদি টাইপ কিছু দাবি করছিলেন। ভণ্ডউন্মোচনী প্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে কোন এক চ্যানেলের সাংবাদিক তার ভণ্ডামি উন্মোচনে তার বাসায় গিয়ে ধমকাধমকি শুরু করে। মাজেজা দেখতে চায়। সাথে আবার “এগুলা কি ইসলাম ধর্মে আছে? কোরানের কোন আয়াতে আছে?” এইসব বলা শুরু করে। ওই লোক নাকানিচুবানি খায়। সেবারও খেলা শেষে ইসলাম অবিরোধী কার্যকলাপ নিরঙ্কুশভাবে জয়যুক্ত হয়।
@রূপম (ধ্রুব),
আমি লেখাটা পড়া শুরু করেই ভাবছিলাম, নিচে আপনার এরকম একটা মন্তব্য থাকবে 😉
ভারতে ভন্ড/হাতুড়ে বিরোধী আইন আছে। অতএব কেউ যদি এই স্টিং অপারেশনগুলো করে তাকে তথ্যপ্রমাণসহ পুলিশের হাতে তুলে দেয়, তাহলে ব্যাপারটা লিগালই হয়। এখানে এঁরা তো পীরের সঙ্গে আগে কথা বলেই তার বাসায় এসেছেন, বিনা অনুমতিতে তো নয়। আর পীরের গায়ে হাত তোলাটা এনাদের মুখ্য উদ্দেশ্য তো ছিল না, তবে পরিস্থিতি হাতাহাতির দিকে গড়ালে নিজেদের রক্ষা করার জন্য reasonable force প্রয়োগ করার আইনি অধিকার তো আছে। যদি এনারা একজন ভণ্ড পীরকে পেটাবার জন্যই জোর করে তার বাসায় ঢুকে তাকে মারধোর করতেন, তাহলে সেটা বেআইনি হত।
আপনার ইসলামবিরোধী পয়েন্টটায় পূর্ণ সহমত।
@কৌস্তুভ,
এই পয়েন্ট নিয়ে তাহলে চলুন আলোচনা আগাই।
এখানে বেটার কী করা যেতো? হয়তো ভাবা যেতে পারে এখানে “ইসলাম বিরোধী” কথাটা বাদ দেয়া যেতো। কিন্তু আমার মতে তাতেও সমাধান হতো না। এই ধরনের অভিযানে একটা ইনহেরেন্ট কনট্রাডিকশন রয়ে গেছে। এই অভিযানের নায়করা স্রেফ সেই কন্ট্রাডিকশনটা অজান্তে প্রকাশ করেছেন এই স্বীকারোক্তিটার মাধ্যমে।
আর কন্ট্রাডিকশনটা হলো, বিজ্ঞানের নামে, যুক্তিবাদের নামে ওনাদের এই অভিযান প্রকারান্তে ইসলামেরই একটা শক্তিশালী ও দন্তনখরযুক্ত গোষ্ঠির পক্ষে কাজ করেছে। আর সেই গোষ্ঠি হলো পীরবিরোধি ইসলামী গোষ্ঠি।
ইসলামের সবচেয়ে চাঁছাছোলা ভার্শনটা কিন্তু পীরবিরোধী। যদি ধর্মের ক্ষতিকর দিক নিয়ে কাজ করতে হয়, তাহলে পীরবাদ আসে অনেক পরে। এক অর্থে এই পীরপন্থীরা রাজনৈতিক বা আদর্শিকভাবে অনেকটাই নির্বিষ। লোকজনকে ধোঁকা দিচ্ছে বটে। কিন্তু প্রায়োরিটি সর্ট করলে এরা আসে অনেক পরে।
ফলে অভিযানের নায়করা বরং খুব সোজা একটা টাস্ক হাতে নিয়েছেন। ইসলামেরই একটা বড় গ্রুপ এদের বিরোধী। ফলে সেই গ্রুপেরই মানসিক শক্তির ছায়ায় এনাদেরকে অপারেট করতে হয়েছে। যার কারণে এই “ইসলাম বিরোধী” ফ্রেইজের অবতারণা। অর্থাৎ এই স্টান্ট করতে গিয়ে যে রিস্্ক ওনারা নিচ্ছেন, সেটা মিনিমাইজ করার জন্যে ইসলামের ছালাই গায়ে দিচ্ছেন। আল্টিমেটলি এই ঘটনা উইটনেস করা মানুষরা সম্ভবত এই মেসেজই পেলেন যে পীরবাদ নয়, ওয়াহাবি কিংবা জামায়াতের ইসলামই সঠিক ইসলাম। এমন কি কেউ যদি দাবি করে যে এটা সম্পূর্ণই পীরবিরোধী জামায়াতে ইসলামীদের কাজ, তেমন উপায় দেখছি না অন্যথা প্রমাণ করার।
এই ঘটনার সামহয়্যারইন পোস্টের একটা কমেন্ট দেখুন, একজন বলছেন –
অর্থাৎ এই স্টান্ট থেকে কতোটা বিজ্ঞানমনস্কতার ঝাণ্ডা খাঁড়া হয়েছে, আর কতোটা পীরবিরোধী তথা ইসলাম অবিরোধী গোষ্ঠির ঝাণ্ডা উঁচু হয়েছে সেটাই প্রশ্নসঙ্কুল।
শুরুতেই বলি, এইটায় সম্পূর্ণ সহমত যে ‘আমার কাজটা ইসলামবিরোধী’ টাইপের ডিক্লারেশনটা ওখানে উচিত হয়নি। তবে ওনারা মনে হয় না লেখাটার বয়ান বলে দিয়েছেন, ওটা ওই পীরেরই নিজের যোগ করা। এনারা নতুন কাজ শুরু করেছেন, ভবিষ্যতে খেয়াল রাখা উচিত হবে যাতে এ ধরনের কিছু লেখা না হয়। এটাও মানছি যে স্রেফ এই কাগজটা দেখলে ওই কাজটা এনাদের করানো না কোনো কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর সেটা বলা মুশকিল।
তবে ওনারা প্রকারান্তরে ‘ইসলামেরই একটা শক্তিশালী ও দন্তনখরযুক্ত গোষ্ঠির পক্ষে’ কাজ করেছেন এটা নিয়ে আপনার কথায় নিশ্চিত হতে পারছি না।
যখন এটা প্রমাণিত হল যে প্রতিটা মানুষ জিনগত ভাবে ১০০% সমান নয়, এবং মানুষের মনও ব্ল্যাঙ্ক স্লেট নয় অর্থাৎ তার মধ্যে জন্মগত ভাবেই কিছু মানসিক ঝোঁক থাকে, সেটা ইউজেনিক্স-বাদীদের পক্ষে আনন্দের কারণ হয়, এই যেমন ধরুন ভারতীয়রা দাবী করে যে এগুলো প্রকারান্তরে ব্রাহ্মণদের জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বেরই প্রমাণ। এখন একটা বৈজ্ঞানিক তত্ত্বকে বা একটা ভালো কাজকে যদি কেউ নিজের সুবিধার্থে দেখিয়ে নিজের কোলে ঝোল টানে, সেটা তো ওই তত্ত্ব বা কাজের অপরাধ নয়। সামুব্লগের ওই কমেন্ট সম্পর্কে এটাই মত।
এই ঘটনাটা যদি মিডিয়ায় প্রচার পেত, তবে সেটা থেকে কট্টরপন্থী গোষ্ঠী কতটা মাইলেজ পেত তা আমি জানি না, বাংলাদেশের এইবিষয়ক পরিস্থিতি সম্পর্কে আমার ধারণা কম, তাই “ফলে সেই গ্রুপেরই মানসিক শক্তির ছায়ায় এনাদেরকে অপারেট করতে হয়েছে” এই ধরনের কথাগুলো নিয়ে নিশ্চিত নই, তবে ভারতে যে পায় না সেটা জানি। আর আপনার একটা অভ্যাস দেখেছি অনেককিছুকেই তাদের সুবিধার কারেন্সিতে নিয়ে চলে আসেন, নাস্তিকরা যেমন ‘মডারেট ধার্মিক’দের তাদের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন করতে বা ধর্মের মধ্যে কন্ট্রাডিকশন নজর করতে উৎসাহিত করলেও আপনি মনে করেন এর ফলে তারা আসলে কট্টর ধার্মিকতার দিকেই ঝুঁকে পড়বে। এই জন্য সামগ্রিকভাবে আপনার এই দাবিটা নিয়েও আমি সন্দিহান।
“আল্টিমেটলি এই ঘটনা উইটনেস করা মানুষরা সম্ভবত এই মেসেজই পেলেন যে পীরবাদ নয়, ওয়াহাবি কিংবা জামায়াতের ইসলামই সঠিক ইসলাম।” সেটা হতেও পারে হয়ত, যা বললাম, নিশ্চিত নই। আশা করব পরবর্তীতে যুক্তিবাদ ব্যাপারটাকে হাইলাইট করতে পারবেন এনারা। তবে মিডিয়ার সাহায্য ছাড়া হবে না।
@কৌস্তুভ,
তা অবশ্যই নয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এখানে ওটা “একটা ভালো কাজ” এমন অ্যাসাম্পশনকে প্রিমাইস হিসাবেই গ্রহণ করে ফেলা হয়েছে। আমি কাজের ভালো মন্দ বিচার করছি না। ঘটনাকে নানা দিক দিয়ে বোঝার চেষ্টা করছি। সেটা করাটা কিন্তু খুবই ভ্যালিড কাজ। যেমন ধরুন, যদি ধরেও নেই যে পীর খেদানো একটা ভালো কাজ, তাহলে আজকে ওয়াহাবিরা বা জামায়াতিরা যদি বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদীদের ঠিক এই একই পন্থা নিয়ে সারা বাংলাদেশে পীর, মাজার, মানত খেদানো শুরু করে (যেটা ওনারা চান এবং যেটায় ওনাদের লেশমাত্র ক্ষতি নেই, সৌদিতে এটা ঘটছেই), তখন কিন্তু আপনি সেটাকে একটা ভালো কাজ বলে পিঠ চাপড়াতে যাবেন না। বরং ঘটনাকে, ব্যাপারটার ফলস্রুতিকে নানাভাবে বোঝার চেষ্টা করবেন। এটা এখন ভালো কাজ না খারাপ কাজ? এর উত্তর কিন্তু খুব সহজ নয়। উল্টো, নানাভাবে ভাবা যেতে পারে যে জামায়াতীরা তাদের প্রতিপক্ষকে এভাবে বিনাশ করলে লাভের চেয়ে আমাদের ক্ষতিই বেশি করবে। ফলে এটা বরং আমাদের এটা “একটা ভালো কাজ” এই প্রিমাইসটাকেই প্রশ্নসঙ্কুল করছে। ভালো কাজ আর শর্তহীনভাবে ভালো কাজ থাকছে না, বরং শর্তাধীন হয়ে যাচ্ছে।
ফলে
আমার এই অভ্যাস বা সমালোচনার প্যাটার্নটাও খুব ইনভ্যালিড কিছু না। আমি (অনেকের দ্বারা) শর্তহীনভাবে দেখে আসা ভালো কাজগুলোকে প্রশ্নের মুখে ঠেলছি। আপনি আমার প্রশ্নগুলো ভ্যালিড কিনা চিন্তা করতে পারেন। কিংবা একটা প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে বলে প্রশ্নের ভ্যালিডিটিকে ইগনোর করতে পারেন। যারা বিচক্ষণ, যুক্তির প্রতি নিষ্ঠ, সমালোচনার প্রতি উদার, তারা এর ভ্যালিডিটি যাচাই করবে। ভ্যালিড সমালোচনা হলে সেগুলোকে অ্যাড্রেস করার চেষ্টা করবে। আমি যেকোনো ভালো নিয়তে গৃহীত পন্থার পুরোটাকেই প্যাকেজ হিসাবে অনুমোদন দিতে নারাজ। এর ব্যাপারে আপত্তিগুলো তাই আমার তোলারই কথা। কেউ যদি দেখায় যে অমুক অমুক কারণে আমার সমালোচনাটা গ্রহণযোগ্য নয়, সেটা হবে আমার জন্যে অর্জন, কারণ আমি নিজে আমার নিজের সমালোচনাগুলোকে খারিজ করার চেষ্টা করে অসফল হয়েছি। তবে, এই ধরনের সমালোচনা করাটা আমার একটা অভ্যাস, এই রকম গ্রাউন্ডে কেউ যদি আমার সমালোচনাকে সামগ্রিকভাবে ইগনোর করা যায় মনে করে, তাতে আমার সমালোচনাটার কিঞ্চিৎই অ্যাড্রেস করা হয়।
বরং আপনি যে আমার উত্থাপিত প্রশ্নগুলো নিয়ে নিশ্চিত নন, এটা একটা বড় প্রাপ্তি। এটা ফার বেটার দ্যান এমন দাবি করা যে এই কর্মকাণ্ডে লাভই লাভ, ক্ষতির কিছুই নেই।
আপনাদেরকে প্রথমে একটি দুঃসাহসী ও মহৎ কাজের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন। ইতিমধ্যে অনেকে আপনাদের অভিযানের টুকটাক ভুল ত্রুটির কথা উল্লেখ করেছেন। আমার মতামত হল, কাজ করলেই ভুলত্রুটি হবেই, আর কিছু না কর বসে থাকলে, ভুলত্রুটি ও কাজ কনটাই হবেনা, হবে নন্দলালের লবডঙ্কা। এভাবে কাজের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, অতীতের ভুল গুলো শূদ্রে নতুন কর্ম পদ্ধতি নির্ধারণ করতে হবে, হয়ত আপনারা এক দিন হয়ে উঠবেন প্রবীর-ঘোষ এর যোগ্য উত্তরসূরি। কেউ যদি আপনাদেরকে কোন রকম সহযোগিতা করতে চায়, কি ভাবে করা যাবে, অনুগ্রহ করে জানাবেন।
আপনারা সবাই ভাল থাকুন। (Y) (F) (B)
@ওমর ফারুক,
এতক্ষণে একটা কথার মত কথা বলেছেন ভাই। আমাদের অভিযানের কিছু ব্যাপারে যে সত্যিই দুর্বলতা ছিল তা স্বীকার করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই কিন্তু কাজ শুরু করলে তবে না শিখব!একজন ভণ্ডের মুখোশও যদি উন্মোচন করা যায় তাই বা কম কিসে?
সবথেকে প্রথম সাহায্য হবে যদি আমাদের পাশে থাকেন,উৎসাহ দেন,ভুল ত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেন। আর ফেসবুকে আমাদের গ্রুপ তো আছেই। সংগঠনের সদস্য হতে পারেন বা তা ছাড়াও পাশে থেকে আমাদের কার্যক্রমগুলিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন। খুব খুশি হব যদি আপনাদের পাশে পাই আমাদের ভবিষ্যৎ অভিযানগুলিতে। ভালো থাকুন আপনিও। (F) (F)
আমার পরিচিত অনেক শিক্ষিত ব্যক্তিও পীরভক্ত আছে। সেই পীরগুলো আবার বংশানুক্রমিকভাবে পীর। পীরামী ব্যবসায় তাদের প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা আয়। এদের ভণ্ডামী যদি উন্মোচিত হতো!এ রকম একটি মহৎ প্রকল্প বাংলাদেশে শুরু করার জন্য অসংখ্য সাধুবাদ। সকল ভণ্ডের মখোশ খুলে যাক।
@তামান্না ঝুমু,
সেই চেষ্টাই এই সংঘটন করবে , তবে সহযোগিতা প্রয়োজন সকলের সব দিক দিয়ে
১।পত্রিকা গুলীতে আপনারা ছবি সহ প্রকাশ করার ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
২।পীর সাহেবকে প্রসাসনের হাতে দেওয়ার ও ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
৩। বাংলা দেশের জনগনের সম্মুখেও পীর সাহেবকে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন।
কাজেই আপনাদের কাজের ফলাফল শুন্য।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
সহমত।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
কারন প্রেস বা ইলেক্ট্রকিন মিডিয়া কেউ সহযোগিতা করে নাই শুধু মাত্র অপরাধ বিচিত্রা ছাড়া।
এলাকার মহিলারা এবং পাতিনেতা পীরের পক্ষ অবলম্বন করেছিল
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ফলাফল শুন্য হলো কী ভাবে? প্রথম অভিযানটা তো আমি মনে করি তারা বেশ দক্ষতার সাথেই সম্পন্ন করতে পেরেছেন। আপনার উল্লেখিত তিনটা পরামর্শের কোনটার সাথেই একমত হতে পারলাম না। এই তিনটার কোন একটা করলেই বরং অনাকাংখিত অপ্রত্যাশিত অশুভ কিছু ঘটে যেতে পারতো। বিষয়টা অত্যন্ত বিপদজনক। সংখ্যা গরিষ্ট মানুষ যেখানে অন্ধবিশ্বাসী বিজ্ঞানবিমূখী, সরকারের মাথা থেকে প্রশাসনের পা পর্যন্ত যেখানে কুসংস্কার আর দূর্নীতিতে নিমজ্জিত, সেখানে এমন একটা কাজ কেমন রিস্ক নিয়ে করতে হয় তা কি অনুমান করা যায় না? পুলিশ বা প্রশাসন নিজে পীর ব্যবসার শেয়ার পায়না বা এর সাথে জড়িত নয় এমন কোন নিশ্চয়তা কি আছে?
এই পেটভুখা গরীব পীর নিজেও যে পরিবেশ পরিস্থিতি সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থাপনার ভিকটিম। তাকে পুলিশের হাতে দিলে সে পীর থেকে চোর হবে, আর কিছুদিন জেলে থাকার পর চোর থেকে ডাকাত হয়ে বেরুবে। আমি আইন নিজের হাতে তোলে নেয়ার কথা বলছিনা, বলছি আগে পীরের শাস্তির বিধান নির্ধারণ করা হউক। উল্লেখ্য, শর্ষীণার পীরও ভন্ড পীর যার কাছে সরকারের বড়বড় মাথা নিয়মত আপ-ডাউন করে। আসুন আমরা প্রমাণ করে দিই, জগতে অলৌকিক বলতে কিছু নেই, পীর ব্যবসা এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।
চুরির অপরাধে একজন চোরের হাত কেটে জীবনের তরে পঙ্গু করে দেয়ার আগে, তাকে উপার্জনের পথটা দেখিয়ে দেয়া উত্তম নয় কি? একজন চোর, একজন ভন্ড পীরের হাতের দিকে হয়তো চেয়ে আছে আরো কয়েকটা উপার্জনক্ষম অবুঝ শিশু অথবা নারী। আসুন আমরা পাপীকে নয়, পাপকে ঘৃণা করি।
@আকাশ মালিক,
পীর মানেই ভন্ড এমনটি নয়।তবে, পীরদের মধ্যে অনেক ভন্ড রয়েছে,তাই বলে সবাই নয়।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
ভাই, আপনাদের প্রচেষ্টাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে আপনারা প্রচুর প্রতিকূলতার সম্মুখীন হবেন, আশা করি দৃঢ়তার সাথে তা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
প্রথমেই এমন একটা মহৎ ও সাহসী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। লেখাটায় প্রচুর বানান ভুল রয়ে গেছে, হয়তো তাড়াহুড়ো করে লিখেছেন বলে। এবার দুটো জিনিস না করার পরামর্শ দেবার লোভ সামলাতে পারছিনা, যদিও তা কোন প্রফেশন্যাল বা অভিজ্ঞতালব্ধ টিপস নয়। (১) আপনাদের আসল নাম মিডিয়াতে প্রকাশ করা। (২) পুলিশ বা পাবলিকের কাছে মূল পরিকল্পনা বা গোপন প্লান ডিসক্লোজ করা।
অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শাস্তি না দিতে পারা ইম্পোর্টেন্ট মনে করিনা। আমি মনে করি কুসংস্কারের বিরোদ্ধে গনসচেতনতা গড়ে তুলতে পারলেই আপনাদের মিশন সাক্সেসফু্ল। ঘটনাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। (Y) (F) (D)
প্রশাসন না নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাদের জরিমানা হওয়া উচিৎ।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
প্রবীর ঘোষ অনেক আগে ভারতে এটা শুরু করেছিলো, বাংলাদেশে যে আপনারা শুরু করেছেন সে জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের গ্রুপের ফেসবুক আইডিটা দিলে খুব সহজে আপনাদের সংগে আমার মতো অনেক আগ্রহীই যোগাযোগ করতে পারতো। যদিও ফোন নম্বর দিয়েছেন, সেইটাই আপাতত লিখে রাখলাম। ভবিষ্যতে কাজে লাগাবো।