“ম্যায় ইস হারামজাদী কওম কি নাসল বদল দুঙ্গা ( আমি এই জারজ জাতির বংশগতি বদলে দেব )…………….। ”
– লেঃ জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী ( পরিচয় নিষ্প্রয়োজন), ১৯৭১
বিদেশে ফর্সা চেহারার বাংলাদেশী দেখলে কিছু ঠোঁটকাটা পাকিস্তানী প্রায়ই জিজ্ঞাসা করে , ” কি ব্যপার ? তোকে (আপনাকে !) তো বাংলাদেশী মনে হয় না ? ” । আমি ১৯৯০-২০০০ সালের দিকে যখন জার্মানীতে থাকতাম , তখন এই প্রশ্নটা নিয়ে তেমন মাথা ঘামাইনি। পাকিস্তানে এক পাঠান জাত ছাড়া বেলুচিস্তান, পান্জাবে এবং সিন্ধে শ্যামলা রঙ্গের (পড়ুন কালো) লোকের সংখ্যা অগনিত। তাদের গাত্রবর্ণ বাংলাদেশ এবং ভারতের আর দশজন মানুষের থেকে আলাদা করা কঠিন।
১৯৯৫ সালে জার্মানীর ড্রেজডেনে পাকিস্তানের ফয়সালাবাদ থেকে আসা দুই পাকিস্তানী সহোদরের সাথে আমার পরিচয় হয় যারা তাদের স্ত্রী সন্তানসহ একই ভবনে আমার পাশের ফ্লাটে থাকতেন। ছোটটার নাম জাহাঙ্গীর এবং বড়টার নাম তানভীর যে আবার ইউরোপের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রয়াত মোহাম্মাদ রফির গান গাইতেন। সিড়ি দিয়ে উঠা নামা করার সূত্রে তারা জানতেন যে, আমি বাংলাদেশী এবং তিন তলার অন্য ফ্লাটটায় থাকি। তারা প্রায় বিশ বছর যাবৎ জার্মানীতে থাকলেও জার্মান বলতে পারতেন না। জাহাঙ্গীর পাকিস্তানে এফ, এ পাস করেছে এবং তার বড় ভাইয়ের দৌড় অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত। তবে তাদের স্ত্রীদের কখনও সামনা সামনি দেখি নি। এক শনিবার সকালে কলিং বেল শুনে দরজা খুলতেই দেখি বেনজীর ভুট্টোর মত দেখতে সালোয়ার কামিস পড়া সুদর্শনা এক ভদ্রমহিলা সামনে দাড়িয়ে , উচ্চতায় প্রায় পাঁচ ফিট আটের মত হবেন। আমি মুখ খুলে কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই ভদ্রমহিলা পান্জাবী উচ্চারণে সালাম দিয়ে উর্দুতে জানালেন যে, তার স্বামী জাহাঙ্গীর পুলিশ হেফাজতে আছেন এবং বড়ভাই তানভীর স্ত্রীসহ লন্ডনে গেছেন কনসার্টে। আমি কি করতে পারি এটা জিজ্ঞাসা করার আগেই বললেন যে , তার সোশ্যাল ওয়েলফেয়ারের কিছু ফর্ম পূরণ করে দিতে হবে যা না করলে আগামী মাসের সোশ্যালের টাকা পাওয়া যাবে না এবং তিনি নিজে পড়তে লিখতে পারেন না। এটা বলেই তিনি আমাকে তার সঙ্গে তার ফ্লাটে যেতে বললেন। ফর্ম পূরন করার সময় বলে দিলেন যে, বৈবাহিক অবস্থা যেন ‘তালাকপ্রাপ্তা’ লিখি। আমি অবাক হয়ে এর কারণ জিজ্ঞাসা করতে গিয়েও করলাম না কারণ আমি জানতাম যে , জার্মানীতে প্রচুর পাকিস্তানী কাগজে কলমে নিজেদের তালাকপ্রাপ্ত দেখায় দ্বিগুন সোশ্যাল ওয়েলফেয়ারের টাকা পাওয়ার আশায়। যাহোক ফর্ম পূরণ করে দিয়েই দেখি ভদ্রমহিলা খাবার টেবিলে খাবারের জন্য ডাকছেন । বড় বড় তিনটা চাপাতি রুটি ভুনা মাংস দিয়ে খেয়ে বিদায় নেয়ার সময় ভদ্রমহিলা অনেক ধন্যবাদ জানালেন এবং মুচকি হেসে বললেন, ” আপকো দেখনেমে বাঙাল কা নেহি লাগতি !” এর বেশ কিছুদিন পর জাহাঙ্গীর প্রায়ই প্রায় জোর করে তার ফ্লাটে আমাকে নিয়ে যেতেন খাওয়ানোর জন্য। নিজে ভোজন রসিক হওয়ায় আমিও আপত্তি করতাম না। একদিন তার বড়ভাই কথা প্রসঙ্গে জানালেন যে, ১৯৭১ এ পাকিস্তানী সেনারা বাংলাদেশে ভালই আমোদ ফূর্তি করেছে এবং সেটা যে কি রকম তা হাতের অশ্লীল ইঙ্গিতপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি দিয়ে দেখালেন। এটা শোনামাত্র আমি রাগে দুঃখে অপমানে সেই যে , তাদের সামনে থেকে বিদায় নিলাম , আর কোনদিন তাদের সামনে আসিনি। পরের সপ্তাহে এমনিতেই আমাকে চলে যেতে হয়েছিল অন্য জার্মান শহরে ।
২০০০ সালে চাকুরী সূত্রে আমার প্রথমবারের মত পাকিস্তানে যাওয়ার সূযোগ হয়। সেখানে গিয়ে লাহোরে এক উচ্চপদস্থ পাঞ্জাবী কর্মকর্তার বাসায় গিয়ে দেখি আরেক কান্ড ! চা নিয়ে তার কাজের লোক বৈঠক খানায় প্রবেশ করতেই কর্মকর্তা আমাকে দেখিয়ে তার গৃহভৃত্যকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন, ” ইয়ে ভাইসাব তেরা বাঙালকা হ্যায়, আপনা জবানমে ইনকো সালাম দুয়া কার….।” আমি জানলাম যে তার গৃহভৃত্য একজন বাঙালী অবৈধ অধিবাসী, দেশের বাড়ী নোয়াখালী । পাকিস্তানে এরকম অবৈধ বাঙালীর সংখ্যা কয়েক লক্ষ হবে। পাকিস্তানে বাঙালীদের সম্পর্কে যে প্রচলিত ধারণা অত্যন্ত নিচু সেটা এসময় জানতে পারি। ভারতীয়দের সম্পর্কে তারা শত্রুভাবাপন্ন হলেও এতটা নিচু ধারনা পোষন করে না।
প্রয়াত জেনারেল খাদিম হুসাইন রাজার লেখা একটা স্মৃতিচারণমূলক বই সম্প্রতি মরনোত্তর প্রকাশ করেছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। বইটির নাম A stranger in my own country EAST PAKISTAN, 1969–1971 । মেজর জেনারেল খাদিম হুসাইন রাজা ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থিত ১৪শ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ছিলেন এবং অপারেশন সার্চলাইট সরাসরি তত্ত্বাবধান করেছেন। তিনি এই বইয়ে এক জায়গায় লিখেছেন :
We come to the climax: “[Enter] Commander East Pakistan General Niazi, wearing a pistol holster on his web belt. Niazi became abusive and started raving. Breaking into Urdu, he said: Main iss haramzadi qaum ki nasal badal doon ga. Yeh mujhe kiya samajhtey hain. He threatened that he would let his soldiers loose on their womenfolk. There was pin drop silence at these remarks. The next morning, we were given the sad news. A Bengali officer Major Mushtaq went into a bathroom at the Command Headquarters and shot himself in the head” (p.98).
অর্থাৎ , জেনারেল নিয়াজী প্রচুর পরিমান পাকিস্তানী Y ক্রোমোজোম জনপুঞ্জে প্রবেশ করিয়ে বাঙালী জাতির বংশগতি বদলে দেবেন এবং এটা করা হবে তার সেনাদের দিয়ে বাঙালী নারীদের উপর ‘অপারেশন গণধর্ষণ’ চালিয়ে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, সেটা করার মত যথেষ্ট সময় তিনি পান নি, তবে করার যথাসাধ্য চেষ্টা তিনি করেছেন। আমি জানি না , কোনদিন পাকিস্তানী ধর্ষকামী যুদ্ধপরাধীদের নুর্নবার্গের মত সামরিক বিচারালয়ে বিচারের সম্মুখীন করা যাবে কি না। সে সময় পর্যন্ত বিচারের বানী নিভৃতেই কাঁদবে।
আলোকচিত্র : কিশোর পারেখ
পাকিস্তানি তালিবান সংগঠন ভারত সরকার কে হুমকি দিয়েছে যে তারা আবার নতুন করে ভারতের নতুন কোন জনবহুল জায়গায় হামলা চালাবে……
হুমকির কারন কি?? নাহ্,কাসভ কে ফাসি দেওয়ার জন্য… যে কাসভ ও তার সঙ্গী মুম্বই এর শিবাজি টর্মিনাস এ হামলা চালিয়ে ৮৬ জন নীরীহ মানুষ কে হত্যা করেছিল…।।
পাকিস্তান সরকার মদত নাহ দিলে এমন একটা জঙ্গী সংগঠন এর সাহস হ্য কি করে অন্য একটা দেশ কে খোলাখুলি ভাবে এতোবড় হুমকি দিতে??? আপনার কি মতামত @ সংশপ্তক :guli:
@ভারতীয় বঙ্গসন্তান,
নিশ্চয়ই জানেন যে , কাসাভকে যখন মুম্বাই হামলার পরে গুরুতর আহতাবস্হায় আটক করা হয় , পাকিস্তান বেমালুম অস্বীকার করে বসে যে সে আদৌ পাকিস্তানী নাগরিকই নয় ! এরপর যখন পাকিস্তানেরই দৈনিক ডন পত্রিকায় কাসাবের পাকিস্তানে বসবাসরত চৌদ্দগুষ্টী নিয়ে প্রতিবেদন বের হল, তখন পাকিস্তান হাই কমিশন কাসাভের জন্য কনস্যুলার একসেস চায়।
রিমান্ডে থাকার সময় কাসাব এমন সব সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়েছে যার সত্যতা যাচাই করতে কোন কষ্টই হয়নি এবং all roads led to Rawalpindi GHQ !
তালিবান সে আফগানী হোক আর পাকিস্তানী , এদের কমান্ড কনট্রোল অর্থায়ণ পরিচালনা সব নিয়ন্ত্রন করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী , সুনির্দিষ্ট করে বললে , আন্ত- বাহিনী গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর বা আই এস আই। তালিবানদের দিয়ে সবকিছু করা যায় আবার সংশ্লিষ্টতাও অস্বীকার করা যায়। সাপ হয়ে দংশন করে এরপর ওঝা হয়ে বিষ তাড়ানোর যাত্রাপালা মন্দ কিছু নয় , যেখানে আমেরিকার পয়সা বাণের মত আসছে। সোভিয়েতরা চলে যাওয়ার পরে আমেরিকা পয়সা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। ২০০১ সালে ৯/১১ -এর মধ্য দিয়ে পাকিস্তানী জেনারেলরা এমন ব্যবস্হা করেছে যে আমেরিকা না পারে গিলতে , না পারে উগলে দিতে। খালিদ শেখ মোহাম্মদ কোন দেশী আরো কোথায় তাকে পাওয়া গেল ? উত্তর : পাকিস্তান (8)
এদের আর কিছুই বলার নয় ৬৭ বছর হয়ে গেল কাজ বলতে একটাই সন্ত্রাস ছড়াও…৬০ বছর ধরে জম্মু-কাশ্মির এর পিছনে পরে আছে………তারপর ২৬/১১…এত কিছুর পরে একটা কথাই বলা জেতে পারে ‘পাকিস্তান সন্ত্রাস আর হিংসার আতুরঘর ছাড়া র কিছুই নাহ…’… :ban:
@ভারতীয় বঙ্গসন্তান,
পাকিস্তানীদের সামরিক বেশ্যাবৃত্তি নিয়ে গুগুল আর আমাজনের বেস্ট সেলার বইয়ে যা আসে তা মহাসাগরে একটি জলবিন্দু বৈ কিছু নয় । প্রকৃত পরিস্হিতি অনেক গুন বেশী ভয়াবহ যা আপনি গুগুল আর আমাজনের বেস্ট সেলার বইয়ের পাতায় পাবেন না। আশা করছি আগামীতে এসব বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরব। দেড়ীতে হলেও পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
অনেক আগে, প্রায় আটাশ বছর, এক বন্ধুস্থানীয় ব্যাক্তি আমাকে সন্দেহের সুরে জিগগেস করেছিলেন যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জ নে ৩০ লক্ষ বাংগালী শহিদ হয়েছে – বঙ্গবন্ধুর এই কথা আমি বিশ্বাস করি কি-না। উত্তরে তঁাকে বলেছিলাম, দেখুন, বঙ্গবন্ধুর এই হিসেবের বাইরে কোন হিসেব দিতে হলে আপনাকে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে তঁার এই উক্তি মিথ্যা। আর এমন কি যদি ৩০ লক্ষের স্থলে ৩০ হাজার বাঙ্গালীও মারা যেয়ে থাকে, তাতে কিন্তু পাকিদের পাপের কোন লাঘব হবে না।
আজো আমি এমনটিই বিশ্বাস করি।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ত্রিশ লক্ষ মানুষ হত্যা সহ দুই লক্ষ মা বোনের ইজ্জত লুন্ঠন করেছিল পাকিস্তানী জারজের বাচ্চারা। এতকিছু সত্ত্বেও এই স্বাধীন বাংলাদেশের নব প্রজন্মের বহু মানুষ পাকিস্তানের নামে পাগল, যা দেখা যায় বিশেষ করে ক্রিকেট খেলার সময়। বিষয়টাকে অনেকে হালকা করে দেখার চেষ্টা করে , বলতে চায় খেলার সাথে রাজনীতি না ঢোকাতে। যারা এসব উপদেশ দেয় তারাও ঐ পাকিস্তানীদের জারজ বংশধর নিশ্চিতভাবে। কারন, এদেশের মানুষকে এত গণহারে হত্যা ও গণধর্ষণ করার পরেও পাকিস্তানী জারজরা আজও আমাদের কাছে মাফ চায় নি। শুধু তাই নয়, তাদের দোসরদের দ্বারা তারা প্রতি নিয়ত এদেশে একটা রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে গেছে গত ৪০ বছর, যার ফলে আমরা পিছিয়ে পড়েছি অনেক , না হলে আমাদের অবস্থা আরও উন্নত হতে পারত। বাংলাদেশের এক দল মানুষ ভুলে গেছে যে ঐ জারজের বাচ্চারা আমাদেরকে কুকুরের মত হত্যা করেছিল , মা বোনদেরকে গণিমতের মাল হিসাবে ব্যবহার করে নির্বিচারে ধর্ষণ করেছিল।
এই চল্লিশ বছর পর পাকিস্তানীরা কি নিয়ে গর্ব করতে পারে ? এমন কিছুই নেই তাদের, পরন্তু গোটা বিশ্বে পাকিস্তানীরা পরিচিত হয়েছে বর্বর, অসভ্য ও সন্ত্রাসী জাতি হিসাবে। পৃথিবীর যে কোন দেশে পাকিস্তানী বংশদ্ভুত মানুষ দেখলে মানুষ আতংকিত হয়। সে দেশে কখনই গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় নি। মানুষ গণতন্ত্র কি তা জানেও না। সেখানে ক্রমশ: তালেবানি ভাবধারা বিকাশমান, মনে হয় এখন সিংহভাগ মানুষই তালেবানি শাসন চায়। আমেরিকা যদি হস্তক্ষেপ না করত অনেক আগেই সেখানে তালেবানি শাসন কায়েম হয়ে স্থায়ী ভাবে দেশটি ১৪০০ বছর পেছনে চলে যেত। আমেরিকা কৌশলগত কারনে ব্যপকভাবে আর্থিক সাহায্য করে বলেই দেশটিতে এখনও দুর্ভিক্ষ বা মহামারি হয় না। নইলে অনেক আগেই সে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে দুর্ভিক্ষ বা মহামারি লাগত।
পক্ষান্তরে বাংলাদেশে দুর্বল ভাবে হলেও গণতন্ত্র একটা ভিত্তি পেয়ে গেছে। দুনিয়াতে বাংলাদেশের মানুষকে বর্বর ও অসভ্য বলে জানে না, বরং পাকিস্তানের কারনে বাংলাদেশীদের অনেক যায়গাতে সমস্যা হচ্ছে কারন তারা বাংলাদেশীদেরকে পাকিস্তানী মনে করে বা তাদের সমর্থক মনে করে। বাংলাদেশে কখনই তালেবানি প্রভাব ছিল না, যা কিছু এখন দেখা যায় তা পাকিস্তান ও তার দোসর সৌদি আরবের অর্থে গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশ বিদেশ থেকে তেমন কোন উল্লেখযোগ্য সাহায্য পায় না, তার পরেও দেশের প্রবৃদ্ধির উর্ধ্বগতি লক্ষ্যনীয়। সুতরাং পাকিস্তানই এখন আমাদের কাছ থেকে কিছু শিক্ষা নিতে পারে , তাদের কাছ থেকে আমাদের শিক্ষনীয় কিছুই নেই।
এমতাবস্থায় যারা পাকিস্তানের জন্য উন্মাদ হয়ে যায় তাদের এদেশে বসবাস করার কোনই অধিকার নেই।
@ভবঘুরে,
চমৎকার দৃষ্টিভঙ্গী তুলে ধরেছেন। পাকিস্তান যে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র সে ব্যপারে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু আমাদের মূল বিষয়টি ভুলে চলবে না। সেটা হচ্ছে যে , ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী গনহত্যা , গনধর্ষণহ নানাবিধ যুদ্ধপরাধের দোষে দোষী। এই বিষয়টা আমরা সবাই জানলেও এই যুদ্ধপরাধের কোন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই – যেমন নাৎসী বর্বরতা, পলপটের কাম্পুচিয়া , সার্বিয়া এবং ১ম মহাযুদ্ধের সময় তুরস্কের জাতিগত আরমেনিয়ানদের গনহত্যাকে স্বীকার করা হয়েছে এবং সেই বাস্তবতাকে অস্বীকার করাটাকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে বিভিন্ন দেশ আইন পাশ করেছে।
একজন মানুষ খুন হলে , ধর্ষণ হলে সেটার বিচার হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্ত লক্ষ খুন-ধর্ষনের জন্য ক্ষমা করার সংস্কৃতি এবং নজীর স্হাপন করা মানব সভ্যতার জন্য হুমকী স্বরূপ। পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অপরাধী সাব্যস্ত করার জন্য আসুন আমরা প্রবাসীরা সবাই আমাদের নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী লবী করার চেষ্টা করি। ছোট এবং দরিদ্র দেশ আরমেনিয়ার প্রবাসীরা এরকম করে দেখিয়েছেন যার ফলে সামরিক জোট নেইটোর সদস্যদেশ তুরস্ককে গনহত্যার দায় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র , ফ্রান্স সহ অনেক দেশে আইন পাশ করা হয়েছে। পাকিস্তান তো সেখানে কোন ছাড়পোকা !
@ভবঘুরে,
সেটাই সমস্যা ভাই। আপনি নিশ্চয়ই দেখে থাকবেন সে এইসব উপদেশ বেশিরভাগ বাংলাদেশী দিয়ে থাকে। 🙁 এই জন্যেই আমার মন্তব্যে বলেছিলাম যে নিয়াজি আসলেই বাঙ্গাল কে ঠিক চিনেছিল ।
@ভবঘুরে,
পাকিস্তানের প্রতি নীচুভাবে তাকানোটা অযৌক্তিক নয়। তাদের সেনা ও শাসকেরা আমাদের মানুষের প্রতি জঘন্য এক অপরাধ করেছিল ১৯৭১ এ। কিন্তু আমরাও পাকিস্তান থেকে খুব একটা বেশী ভালও নেই। তারা অধম বলিয়া আমরা অটোময়াটিকালি উত্তম হয়ে যাই না। দুর্নীতিতে আমরা তাদের থেকে নীচুতেই ছিলাম অনেকদিন, কেবল গত দুই তিন বছরে তাদের থেকে উপরে গেছি। পরপর দুবছর বিশ্বের সবচেয়ে দুর্নীতিপরায়ন দেশ হবার গৌরব আমরা অর্জন করেছিলাম (১৯৯৮-৯৯ নাকি ১৯৯৭-৯৮?)। জাতিসঙ্ঘের HDI (Human Development Index) এ এখনও আমরা তাদের এক ধাপ নীচে।
ভিত্তিটা আসল কবে?। ১৯৭৪ এ একদলীয় শাসন কায়েম হয়েছিল। সব দলকে অবলুপত করে মুজিবের বাক্সালকে একমাত্র বৈধ দল বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। সব খবরের কাগজ নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিলে সরকারের পদলেহী চারটি ছাড়া। শেখ মুজিবকে আমরণ রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়েছিল। এগুলোই কি গণতন্ত্রের ভিত ছিল?
আপনিও হয়ত ভুলে গেছেন যে, যে জারজের বাচ্চারা আমাদেরকে কুকুরের মত হত্যা করেছিল , মা বোনদেরকে গণিমতের মাল হিসাবে ব্যবহার করে নির্বিচারে ধর্ষণ করেছিল তাদেরকেই শেখ মুজিব ১৯৭৪ সালে লাল গালিচা দিয়ে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ করেছিলেন, আর ঐ জারজের বাচ্চাদের নিকৃষ্টতম ১৯৫ কে ক্ষমা করে দিয়ে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
আমেরিকার হস্তক্ষেপ? হাহ্। আমেরিকাই তালেবান সৃষ্টি করেছিল। Operation Cyclone নাম দিয়ে আমেরিকার অর্থায়নেই তালেবান ও মুজাহেদিণ সৃষ্টি করা হয় ১৯৭৯ যা পাকা পোক্ত হয় গেনেরাল জিয়াউলহকের উৎসাহে ও সমর্থনে ও পাপা বুশের উৎসাহে। বুশ-জিয়াই তালেবানদের বাপ। জঙ্গী তালেবান (মাদ্রাসা ছাত্র) দের মদদ দেয় খোদ আমেরিকার সিআইএ যাতে তারা সোভিটের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
আরেকটা কথা। আফগানিস্তান পাকিস্তানের প্রতিবেশি। তাই তালেবান ঠেকান পাকিস্তানের পক্ষে কঠিন কাজ, বিশেষ করে খোদ আমেরিকায় তাদের পক্ষে ছিল। ভুট্টো (জুলফিকার) বেচে থাকলে এটা ঘটতে পারতনা। ১৯৮৮ তে বেনজীর ভুট্টো প্রধান মন্ত্রী হবার পর বুশকে বলেছিলেন আপনি এক ফ্রাঙ্কেন্সটাইন তৈরী করছেন। বুশ তাতে কর্নপাত করেননি। কি ঠিকই না ছিলেন বেনজীর। তালেবানদের হাতেই তাঁকে জীবন দিতে হল।
আফগানিস্তান যদি বাংলাদেশের প্রতিবেশী হত, তাহলে পাকিস্তানের চেয়েও বেশী তালেবানাইয্ড হলেও অবাক হবার কিছু হত না। আমরা সবাই হব তালেবান তো বাংলাদেশীদের মুখেই শোনা গিয়েছিল।
আর পাকিস্তানী সৈন্যরা যে ইসলামী জোশ নিয়ে বাঙ্গালী মেয়েদের ধর্ষণ করেছিল, বাঙ্গালী মুসলমান সৈন্যরাও তাদের চেয়ে কম করেনি চাকমাদের প্রতি। শেখ মুজিবের “তোরা বাঙ্গালী হয়ে যা” বাণীতে অণুপ্রাণিত হয়ে অগুনতি পাহাড়ী মেয়েদের ধর্ষণ করেছে বাংগালী মুসলমানেরা। সাতক্ষীরাতে বাঙ্গালী মুসলমানেরা যে অসভ্য অত্যাচার চালিয়েছে, সেটাও পাকিস্তানীদের চেয়ে কম কিছু নয়। তার জন্যও তো কোন ক্ষমা চায়নি অত্যাচারীরা। অসভ্য সবলেরা দুর্বলের উপর অত্যাচার করে। ১৯৭১ সবল পশ্চিম পাকিস্তান দুর্বল পূর্ব পাকিস্তানে অত্যাচার চালিয়েছিল। বাংলাদেশিরাও দুর্বলদের উপর একই অত্যাচার চালায়। এটা শুধু সাধ্যাসাধ্যের ব্যাপার। নৈতিকতার নয়। বাংলাদেশে ধর্ষণ অনেক দেশের থেকেই বেশি। ডেইলী স্টার অনেক আগেই এক সম্পাদকীয়তে বাংলাদেশকে Country of Rapists বলেছিল।
এতটা হীনমন্যতা ছিল বলেই কতগুলো জানোয়ার নিজেদের জাতিকে ছেড়ে পাকিস্তানিদের সাথে যোগ দিতে পেরেছিল।
আর আমাদের মাঝে তার থেকেও বেশি আত্মগৌরব ছিল বলেই আমরা স্বাধীন হতে পেরেছিলাম।
লেখাটা খুব আগ্রহ নিয়ে পড়েছি। লেখাটা পুরাপুরি বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লেয়া। এরকম অভিজ্ঞতা আমারো আছে, তবে তা এই পরিসরে বয়ান করা কঠিন। জাতিতে জাতিতে বিদ্বেষ কিভাবে দানা বেধে তা আস্তে আস্তে প্রকান্ড পাহাড়ে রূপ নেয় তা বোঝা যায় এসব কিছু প্রত্যক্ষ করলে। ধন্যবাদ লেখাটার জন্যে।
@শাখা নির্ভানা,
হ্যা, আমাদের অনেক অভিজ্ঞতাই হয়তো আমরা কখনই বয়ান করে যেতে পারবো না। সেসব স্মৃতি মনের কোন এক গোপন কুঠিরে আজীবন সিন্দুকবন্দী হয়েই থাকবে।
নিজেদের ওয়াই ক্রমোজম যথেষ্ট পরিমানে আমাদের জিনপুঞ্জে সেঁধিয়ে দেওয়ার ফন্দী এঁটেছিলো বুঝি পাইক্যারা? বলাই বাহুল্য অনেক বড়ো বাঁচা বেঁচে গেছি আমরা পৃথিবীর সর্বাধিক ঘৃণীত এবং ততোধিক শুণ্যগর্ভ একটি জাতির ওয়াই ক্রমোজমের পরিবাহক না হয়ে।।
@আল্লাচালাইনা,
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অফিসার্স কোর এবং জেনারেল স্টাফ কাঠামো যখন ৫০ এর দশকে পুনর্গঠন করা হয় , তখন প্রুশিয়ান ( খাঁটি জার্মান) মডেলে করা হয়েছিল। আইউব খান চেয়েছিলেন প্রুশিয়ান দক্ষতার (?) সাথে ইংরেজ জেন্টেলমেনশীপের মিলন ঘটাতে। এই কারণে পি,এম,এ থেকে আমরা বহু বিশ্বমানের দক্ষ বাঙালী অফিসার পেয়েছিলাম যারা মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। কিন্তু পাকিস্তানীরা এসব না শিখে ‘নাৎসী মডেল’ গ্রহন করে যার প্রমান আমরা ১৯৭১ থেকে এখন পর্যন্ত পাচ্ছি। কয়লা ধুলে কি আর ময়লা যায় ?
হাহ, জার্মানে পাকিস্তানিদের আচরণ আপনাকে তাদের ব্যপারে কিছুই শিখায়নি, আপনাকে পাকিস্তানে গিয়ে বাংলাদেশী ভৃত্যের প্রতি তাদের আচরণ দেখে বুঝতে হল
এক কথায় অসাধারণ লিখলেন। 🙂
শয়তান কখনো দেখিনি কিন্তু পাকিস্তানের সেনাদের দেখেছি। নরম আছে কিনা আমার জানা নেই তবে পাকিস্তান নামে একটা দেশ আছে। আজীবন ঘৃণাই করে যাব এই দেশটাকে। :guli:
অসাধারন একটি লেখা পড়লাম…..
এই লেখাটা সামহোয়ারইনব্লগে পড়ছিলাম । এখন মনে হয় আসলেই কি এমনটা হওয়া বিচিত্র কিছু ছিলো না।
http://www.somewhereinblog.net/blog/ahsan_ahsan/29494500
আমেরিকায় পড়তে আসা পাকিস্তানীদের প্রায়ই বলতে শোনা যায় যে ১৯৭১ এ যুদ্ধের সময় বা বাংলাদেশীদের সাথে তাদের সৈন্যরা খারাপ কিছুই করেনি, ইন্ডিয়ার ষড়যন্ত্র রোধ করতেই তারা যুদ্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল। কেউ কী জানেন ওদের পাঠ্যপুস্তকে ১৯৭১ নিয়ে কী লেখা আছে?
@বন্যা আহমেদ,
http://www.sacw.net/article1767.html
Social studies textbooks teach that India attacked us in 1948 and 1965 (class five); and Kargil (class three, Meri Kitab). Bengali separatism was a result of Hindu teachers and traders; and “after 1965 war India conspired with the Hindus of Bengal and succeeded in spreading hate among the Bengalis about West Pakistan and finally attacked on East Pakistan in December 71, thus causing the breakup of East and West Pakistan.” In fact, some textbooks say that we had almost won the 1971 war!
http://tribune.com.pk/story/163868/what-are-we-teaching-our-children/
@আদিল মাহমুদ,
ঘৃণা না, করুনা হচ্ছে ওদের জন্য! ওদের কোমলমতি বাচ্চাদের কি গার্বেজই না শেখাচ্ছে ওরা! আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে বলে বলছি না শুধু, যেকোন বিচারেই এ ধরনের পাঠ্যপুস্তক অসম্ভব নোংরা একটা জাতি তৈরি করতে পারে! অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, লাদেনকে এই দেশেই দীর্ঘদিন রাখা হয়েছিল! ভাবুন তো, যেই বাচ্চাগুলো অল্প বয়সেই এমন শিক্ষা পাচ্ছে, তারা বড় হয়ে কি হতে পারে?
বুঝলাম না!
দুঃখ হচ্ছে, ঠিক এই মাত্রায় না হলেও, এই ট্রাডিশনটা বজায় থাকে বাংলাদেশের টেক্সবইগুলোতেও, যখন স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ক্ষমতায় থাকে!
@কাজি মামুন,
পাকিস্তান সম্পর্কে আমারো তেমনই অনুভূতি হয়, ঘৃনা করারও যোগ্য মনে হয় না, করুনাই জাগে মনে। মুক্তিযুদ্ধে তাদের নৃশংসতা, জংগীবাদের এপিসেন্টার হিসেবে কুখ্যাতি পাওয়া এসব কিছুই বিচ্ছিন্ন নয়, সবই তাদের সংস্কৃতির অংশ বলা মোটেও ভুল হবে না। যাদের স্কুলে মাদ্রাসায় কোমল মতি শিশুদের মনে বিষ বৃক্ষের বীজ রোপন করা হয় তারা জাতিগত ভাবে পংগু হবে সেটাই স্বাভাবিক।
alif for Allah, bay for Bondook!
Social studies and Urdu text books target Hindus, Christians and spread misinformation, report cites.
ISLAMABAD: Text books in Pakistani schools foster prejudice and intolerance of Hindus and other religious minorities, while most teachers view non-Muslims as ”enemies of Islam,”
এই দেশ থেকে টিক্কা, রাও ফরমান, কিংবা হাল আমলের জেহাদী বের হবে নাতো মাদার টেরেসারা বার হবে বুঝতে কষ্ট হবার কথা নয়।
আপনার কথা ঠিক, বাংলাদেশেও এক শ্রেনীর লোকে এই ধরনের শিক্ষা ব্যাবস্থা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন (দূঃখজনকভাবে এরা সকলে যে স্বাধীনতা বিরোধী এমন ভাবা ঠিক না)। তাদের স্বপ্ন খুব অবাস্তব বলা যায় না, শুধু দরকার গতবারের মত ৪ দলীয় জোট সরকারের পরপর ২ টার্ম ক্ষমতায় থাকা।
@কাজি মামুন,
বলতে মনে নেই, পাকিস্তানে বর্তমানে আমেরিকা-ইসরাইল এর ঘাড়ে ‘৭১ এ তাদের দূর্দশার দায় চাপানোর নুতন চেষ্টা শুরু হয়েছে। মনে হয় যেহেতু আমেরিকা ইসরাইল মুসলমান জাতির শত্রু হিসেবে চিহ্নিত তাই এই চেষ্টা। আমেরিকার জন্য করুনাই হয়। নিক্সন সাহেবের ভুত মনে হয় খবর পেলে আঁতকে উঠবে, ‘৭১ এ যাদের গডফাদার ছিলেন তারাই আজ বেচারাদের গাল দিচ্ছে।
@বন্যা আহমেদ,
১৯৭১ নিয়ে পাকিস্তানে দু রকমের ভার্সন চালু আছে – মডারেট এবং চরমপন্হী।
চরমপন্হী ভার্সন :
httpv://www.youtube.com/watch?v=MJUVigND7W4
এবার দেখুন মডারেট ভার্সন :
httpv://www.youtube.com/watch?v=dl1iES07UhA&feature=related
আমার ক্ষমতা থাকলে যারা পাইক্কাদের ঘরে গিয়ে বেনজির লাইক চেহারার নারীর হাতে রুটি গোস্ত খায় তাদের বিচার আগে করতাম।
শুধুমাত্র আপনার মুখের উপরে পাইক্কা অশ্লীলতার বমি উগ্রে দেয়াতেই আপনাকে পাইক্কাদের বিরুদ্ধে ঝান্ডা তুলতে দেখা গেল, নইলে হয়ত আপনি পরবর্তীতে পাইক্কা বিরানী আপনার ভোজন রসিক পেটে কেমন হজম হয়েছে সেটার রসে গদগদ বর্ননা দিতে পারতেন।
আপনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি এই পাইক্কা শুয়োরটা হয়ত আপনার বাঙলি জাতীয়তাবোধে উজ্জিবীত দেশপ্রেম বুঝতে পারে নি। শুভকামনা রাখছি পরবর্তীতে আপনার জীবনে অনেক ভালো ভালো কিছু জারজ পাইক্কা বন্ধু হবে। যাদের ঘরে শুধু রুটি গোশত না, আরো অনেক রসালো খাবার থাকবে।
@সাইফুল ইসলাম,
বন্ধুকে কাছে রাখতে হয় এং শত্রুকে রাখতে হয় আরো নিকটতর। যাকে কিনা আপনার ভাষায় বলা যায় ‘দূরবর্তী নৈকট্য’। :))
@সাইফুল ইসলাম,
আপনার মন্তব্য পড়ে আমি নিজেও লজ্জিত বোধ করলাম আমার আগের লিখা মন্তব্যের জন্য। যেহেতু আপনি ‘ভোজন রসিক‘, ‘বিরানীর‘ কথা উল্লেখ করেছেন, তাই মনে হল যে, হয়ত আপনি আমারা মন্তব্যেরও জবাব এখানেই দিয়েছেন। ভুল বুঝলে ক্ষমা করবেন। যদি সত্যই আমার মন্তব্যের জবাবও একই সাথে এখানে দিয়ে থাকেন, তাহলে একটু ক্লীয়ার করি। আমি মন্তব্যতে আসলে নিজের জীবনের ব্যক্তিগত বৃত্তান্ত বলে দীর্ঘায়িত করা ঠিক মনে করি নি। তবে এখানে একটু ব্যাখ্যা করছি, নইলে, আপনার মন্তব্যটি সত্যই আমাকে লজ্জাবোধে তাড়িত করছে।
এর আগে টরন্টোতে বা অন্য সিটিতে যখন ছিলাম, তথন বন্ধুরা একসাথে কোথাও খেতে গেলেই পাকিস্তানী রেস্টুরেন্টে যেতে হত, এবং যার কারণে আমি বিরক্ত ছিলাম, সেটা প্রকাশ করেছি এবং আমি নিজে থেকে পাকিস্তানী কোন দোকানে বা রেস্টুরেন্টে সেরকম যেতাম না। আমি ক্যানাডা আছি অনেক বছর ধরে, আমার পাকিস্তানী কোন বন্ধু ত নেইই, বরং, আমার বন্ধুদের পাকিস্তানী বন্ধু ছিল, ইউনিভার্সিটিতে থাকাকালীন যখন বন্ধুরা এক বাসায় থাকতাম, তখন সেসব পাকস্তানীরাও আমার বন্ধুদের বন্ধু হবার সুবাদে বাসায় আসত, এবং তাদের সাথে আমার মনোমালিন্যই হত এজন্য যে, তারা জোড় করে উর্দু কথা বলতে চাইত। সেজন্য আমার বন্ধুদের সাথেও আমার এ বিষয়ে বাকবিতন্ডা ছিল। যেখানে প্রতিবাদ করা সম্ভব হয়েছিল, সেখানে প্রতিবাদ করেছি। সে যাই হোক,….
আমি বলেছি যে, আমি এখন একটি ছোট্ট শহরে আছি (সাময়িক প্রয়োজনে) যেখানে বিরানী জাতীয় খাবারের রেস্টুরেন্ট একটাই এবং সেটা পাকিস্তানী। এখানে খাবারের জন্য একরকম উপায় নে পেয়েই পাকিস্তানী রেস্টুরেন্টে যাওয়া এবং সেখানে পাকিস্তানীর ঐ রকম চিন্তাধারা / মনোভাব দেখেই চিন্তা করেছি বয়কট করার কথা।
আশা করি, আমি ক্লীয়ার করতে পেরেছি। যাই হোক, ব্লগটি মূলত একটু গুরুত্বপূর্ণ টপিকে, এখানে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে দীর্ঘ ব্যাখ্যা করার জন্যও সকল পাঠকদের কাছে দু:খিত।
— প্রবচনগুচ্ছ, ২৪, হুমায়ুন আজাদ।
—
সংশপ্তকে সাধুবাদ বহুবছরের ছাইচাপা আগুন উস্কে দেওয়ার জন্য।
লেখায় ব্যবহৃত নির্যাতীত নারীর ছবিটি ভারতীয় ফটোসাংবাদিক কিশোর পারেখের তোলা। ১৯৭১ এ ত্রিপুরার শরণার্থী শিবির পরিদর্শনকালে তিনি এইসব কলজয়ী ছবি তোলেন। ছবিটির নীচে আলোকচিত্রীর নাম/কপিরাইট উল্লেখ করার বিনীত অনুরোধ রইলো। (Y)
http://drik.net/calendars/calendar2004/apr.htm
@বিপ্লব রহমান,
লোক দেখানো যুদ্ধপরাধী বিচার করলে তো হবে না। সমস্ত দায়ী পাকিস্তানী সামরিক দুর্বত্তদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিশ্ব জনমত তৈরী করতে হবে।
করে দিলাম। 🙂
@সংশপ্তক,
এ ক ম ত। প্রাসঙ্গিকতা বিচার মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অমি রহমান পিয়ালের সদ্য ফেবু স্ট্যাটাসটি নীচে শেয়ার করলাম। আবারো আপনাকে ধন্যবাদ।
অরপি:
@বিপ্লব রহমান,
ঠিক। জেনারেল খাদিম রাজার অধীনস্ত ১৪শ পদাতিক ডিভিশন অপারেশন সার্চলাইট এবং গনহত্যায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। তিনি নিজে ঢাকায় হারেম বানিয়ে আমোদ ফূর্তি করেছেন এসময়।
লেখাটা পড়ে কান গরম হয়ে গেসে আমার। নেক্সট টাইমে যেই জারজরে দেখমু পাকিস্তানের ফ্লাগ নিয়ে মিরপুর স্টেডিয়ামের সামনে, আমি ভুইলা যামু যে দেশে কোন আইন আছে। কইয়া রাখলাম !!
ভাই দেশের মাটিকে ভালবাসলেও মানুষ কে বাসিনা।কারন এদেশের বেশিরভাগ মানুষ খুব কুৎসিত।ভেড়ার ছদ্মবেশে নেকড়ে।
সংশপ্তক,
আপনার লেখা শুধু জ্বালাই বাড়ালো। একটা বিনীত জিজ্ঞাস্য ছিলো। আপনি কি বইটা হাতে পেয়েছেন? ওটা পাওয়ার জন্যে দেশে অনেকেই উদগ্রীব। দেশে বা ভারতে ওটা এখনো আসে নি। শোনা যাচ্ছে ওটা নিষিদ্ধ হতে পারে। যদি বইটার হার্ডকপি পান, দয়া করে সেটা স্ক্যান করে বা ছবি তুলে আপলোড করার সময় বা সুযোগ আপনার হবে কি? অনেকেই কৃতজ্ঞ থাকতেন আপনার কাছে।
ধন্যবাদ।
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
পাকিস্তানে বইটা নিষিদ্ধ করার কথা চলছে। বই আমদানীকারকদের ইতিমধ্যেই GHQ থেকে শাসানো হয়েছে না আমদানী করার জন্য। যখন বলছেন বইটার ব্যবস্থা করে দেব, তবে এতগুলো পাতা স্ক্যান করার ধৈর্য আমার নেই। ওটা আপনি করবেন।
@সংশপ্তক,
অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু আমি দেশে আছি। বইটা কিভাবে পাবো জানতে পারলে ভালো লাগবে।
@ব্লাডি সিভিলিয়ান,
বার্তা বাক্স দেখুন। 🙂
লেখক কে ধন্যবাদ লেখাটার জন্য। তবে একটা আবার বলতে চাই যে ৭১ এ মুসলিম না সিংহভাগ হিন্দু মরেছে, কাজেই বাঙালি মুসলিমের কি যায় আসে? না হলে দেখেন না, মীর জাফর শব্দটি আজকাল মোটামুটি বেইমান হিসাবে ব্যবহার হয়,অথচ পাকিস্তানী পতাকা নিয়ে নর্তন কুর্দন হয় এই দেশে।গোলাম আজম অনেকের কাছেই ভাল মানুষ। মীরজাফরের দোষ ছিল কাফের ইংরেজ দের পক্ষ নেয়া আর গোলাম আজমের গুন হল কাফের ভারতের বিরুদ্ধে ইসলামিক পাকিস্তান কে রক্ষা করা।এতে যদি নিজের দেশের কিছু শালা মালাউন মরে আর ইন্ডিয়া ভেগে যায় সমস্যা কি? সাথে না হয় কিছু মুসলিম ও মারা হল আই ওয়াশ হিসাবে।সঠিক জরিপ কি কেউ সত্যই জানে যে ৭১ এ হিন্দু আর মুসলিমের মৃত্যুর অনুপাত কত? গুগল করে একবার পেলাম ১:৩, অন্য একবার আরেক লিংকে ১:৪। জানিনা কোনটি সঠিক। উইকি তে দেখেন মোটামুটি ৭০% এর বেশি মানুষ যে হিন্দু ছিল সেটাই সমর্থন করে।যদিও উইকি মাঝে মাঝে এডিট করা হয়। আমার তো মনে হয় কোনটাই ঠিক না। হিন্দুই মনে হয় ৯৫% মারা গেছে বা তারও বেশি। কথাটা আবেগ থেকে আর কল্পনা করে বললাম। কিন্তু আমার কেমন জানি মনে হয় যে ১ লাখ মুসলিমও মরে নাই, আর তাই ত কেউ কেউ শহিদের সংখ্যা আজ ৩০ লাখ থেকে এমনকি ৩০ হাজারে নামিয়ে আনতেও লজ্জা পায় না। তাই মাঝে মাঝে মনে হয় যে যারা বলে ৩০০০০ লোক মারা গেছে, তারাই একদিক দিয়ে সঠিক কারন হতে পারে যে ৩০০০০ মুসলিম মারা গেছে আর ৩০ লাখের বাকি সবাই হিন্দু!ব্যাস হিন্দুরা মানুষ নাকি আবার?বাংলাদেশে আজ হিন্দু ১০% এর কম। দেখা যাক হিন্দু উজাড় হয়ে বাংলাদেশ একেবারে পবিত্র ভুমি কবে হয়ে যায়। পাক সার জমিন সাদ বাদ আবার না দেখা যায়!!!
ভাই দেশের মাটিকে ভালবাসলেও মানুষ কে বাসিনা।কারন এদেশের বেশিরভাগ মানুষ খুব কুৎসিত।ভেড়ার ছদ্মবেশে নেকড়ে।
@অচেনা,
আমাদের দুর্ভাগ্য যে মুক্তিযুদ্ধের পরের সরকারগুলো ঠিকভাবে যুদ্ধের চেতনাকে লালন করেনি, বরং ইতিহাস বিকৃতির আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া মনে রাখতে হবে দেশের জনগোষ্ঠির একটা অংশ মুক্তিযুদ্ধ সমর্থন করে নি; তারা এখনও সুকৌশলে ধর্মীয় উগ্রতা ছড়িয়ে দিচ্ছে। ক্রিকেট মাঠে পাকিস্তানি পতাকা হাতে কিছু বাংলাদেশীর উম্মাদনা হয়তো এসবেরই ফলাফল। এই কিছু বাংলাদেশীর পাকিস্তান প্রীতির জন্য কেন আমরা সবাই নিজেদের ‘হারামজাদী কওম’ ভাববো তা বুঝতে পারছি না।
একাত্তরে ঠিক কতজন শহীদ হয়েছেন তার সঠিক পরিসংখান আমরা জানি না। একই কারনে তাঁদের বেশীরভাগ হিন্দু কি মুসলিম তা এখনও বিতর্কের বিষয়। তবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের ধর্ম পরিচয় যে খুবই গুরুত্বপুর্ন একটা বিষয় এবং তা শহীদদের সংখ্যার তারতম্য নিয়ে বিতর্কের কারন হতে পারে তা আপনার মন্তব্য পড়েই প্রথম জানলাম।
আবেগ নিয়ে করা মন্তব্যটি ভাল লাগেনি; একেবারেই একমত নই।
ধন্যবাদ… স্পর্শকাতর অথচ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য। বাঙালি কি তাড়াতারি ইতিহাস ভুল যায় তাই অবাক হয়ে ভাবি। ‘ম্যায় ইস হারামজাদী কওম কি নাসল বদল দুঙ্গা’ যারা বলেছিল, মাত্র ত্রিশ চল্লিশ বছরের ব্যবধানে দেখি তাদের প্রতিই প্ল্যার্ড উঁচিয়ে ধরে বঙ্গ-ললনারা – ‘আফ্রিদি, ম্যারি মি!’
সত্যিই কী বিচিত্র এ দেশ!
@অভিজিৎ দাদা,
কিছু মনে করবেন না, শুধুমাত্র এই জন্যই মনে হয় যে নিয়াজী ঠিকই বলেছিলেন। সত্যি আমরা
হারামজাদী কওম।
না হলে কিভাবে মাত্র ত্রিশ চল্লিশ বছরের ব্যবধানে দেখি তাদের প্রতিই প্ল্যার্ড উঁচিয়ে ধরে বঙ্গ-ললনারা – ‘আফ্রিদি, ম্যারি মি!’ ? বলতে পারেন?
@অভিজিৎ,
বাঙালী ইতিহাস কেন ভুলে যাবে না ? রেসকোর্সের ময়দানটা এখন কোথায় ? একটা শিশু যদি জিজ্ঞাসা করে, আমরা কি তাকে দেখাতে পারবো কোথায় পাকিস্তানীরা আত্মসমর্পন করেছিলো ? পাকিস্তানীদের বিচার করতে হবে এবং সেটা না করা গেলে কোনদিনই শাপমোচন হবে না। কিছু স্বদেশীকে ফাঁসিতে ঝুলালেও নয়।
আমাদের শাসকগোষ্ঠিগুলো কি খুব যত্ন করে ‘৭১ কে লুকিয়ে রেখেছিল? লুকিয়ে রেখেছিল তার আগের ও পরের ঘটনাগুলো? খুব যত্ন করে ভুট্টোকে দেশে এনে, জানান দে’য়া হয়েছিল; কিছু হয়নি। পাকিস্তানি কুস্তিগীর থেকে গায়ক আসার ঢেউ; সাংস্কৃতিক বিনিময় না হয়ে, হলো – ধর্ষিতা আর খুন হয়ে যাওয়া মানুষদের কথা ভুলিয়ে রাখার মন্ত্রণা।
স্বাধীন দেশে আমাদের গর্বিত মহানয়করা আমাদেরকে ‘এহেলান শেহেলান – মারহাবা মারহাবা’ বলার জন্য তালিম দিতে লাগলো।
আমরা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল, তাই আমাদের ভাষা মার খাচ্ছে সব ভাষার কাছে। আমাদের অনৈক্য, শক্তির যোগান দিচ্ছে অশুভশক্তিসমূহকে।
আমরাও পারি, যেমন পেরেছিলাম ‘৫২ আর ‘৭১ রচনা করতে। কিন্তু উপসংহারটুকু নির্মাণ করতে পারিনি। তাই সে-ই ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
মানুষ ও মানুষের মধ্যকার স্বাভাবিক সম্পর্ক ও ঐক্য সংহত করণের মধ্য দিয়ে আমরা অন্তত স্বপ্ন দেখতে পারি, আজ না হোক; কাল।
@স্বপন মাঝি,
মুক্তিযুদ্ধে এ দেশের মানুষের আত্মত্যাগ নিয়ে প্রথম থেকেই বানিজ্য হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। সত্যিকারের দেশপ্রেমিক মানুষ যেদিন এদেশে সরকার চালাবে সেদিনই সুবিচারের কথা বলা যাবে। অনেক ধন্যবাদ।
নতুন প্রজন্মকে ঐ পশুগুলোর নৃশংস আচরণ বারবার মনে করিয়ে দিতে হবে, জানলেই ওরা আর পাকি পতাকা আঁকবে না। এই জানাবার দায়িত্ব বড়দের, প্রতক্ষ্যদর্শী যারা তাদের। আপনি দায়িত্ব পালন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। কৃতজ্ঞতা।
মেথরপট্টির গুখেকো শুয়োরের মত একটা নিয়াজীকে আমি কখনো উনি তিনি করে বলতে পারতাম না।
@কাজী রহমান, ভাইয়া আমি আপনার সাথে একমত। কিন্তু দেখেন নিয়াজী কিন্তু বাঙ্গাল জাতটাকে ভালই চিনেছিল।
অভিজিৎ দার মন্তব্য থেকে তুলে ধরলে এটাই প্রমান হয়।
দেখেন নিয়াজী বাঙ্গাল কে ঠিক চিনেছিল তাই না? এইসব কথা শুনতে শুনতে কান পচে গেছে। তাহলে এইসব মেয়েদের তো জন্মই হয়নি ৭১ এ। আর ছেলেরা যারা পাকিস্তানের পতাকা গালে একে শরাব পান করে উদ্দাম হয়,এরাও একই রকম। কিন্তু এদের এই পাকিস্তান প্রেম আসে কোথা থেকে বলেন? বাবা মা রা না শিখালে কি এমনি এমনি আসে? তাদের বাবা মা রা তো নিশ্চয় ৭১ দেখেছে, তবু ছেলে মেয়েকে এমন করে তৈরি করল কেন? একটা মাত্র কারন আর তা হল নিয়াজী যে সত্যই বাঙ্গাল জাত কে চিনেছে।
আমার কথা গুলোর মধ্য হয়ত আবেগটাই বেশি, কিন্তু ভাইয়া এর বাস্তবতা কি একটুও নেই? ইহুদী কি হিটলার জিন্দাবাদ বলবে কোনদিন? না। কারণ ইহুদী বাবা মা সেটা কোনদিন শিখাবে না তাদের বাচ্চাদের, যেমনটা বাংলাদেশি বাবা মা রা শিখিয়েছে। আমি একজন মুক্তি যোদ্ধা কে চিনি, যিনি সত্যই মুক্তি যোদ্ধা। তিনি বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তানের খেলাতে পাকিস্তানের সমর্থন করেন। কারণ খেলা নাকি রাজনীতির উর্ধে। মানে কি দাঁড়ালো? যারা এইসব বলে তারা বিএনপি আর আওয়ামী লীগ যেমন বর্তমানে কাদা ছোড়াছুড়ি আর চরিত্র হননের রাজনীতি করে থাকে ঠিক সেই জিনিস আর মহান মুক্তি যুদ্ধ কে এক মনে করে।যাহোক উনি কিন্তু আসলেই মুক্তি যোদ্ধা।
তাহলে ভাইয়া এতে কি প্রমান হয় না যে নিয়াজি ঠিক ছিল? আমরা আসলেই জারজ কওম?
এইসব নিয়ে আগে অনেক ভাবতাম আর কষ্ট পেতাম মনে মনে। তাই ভাবা ছেড়ে দিয়েছি। আজ লেখাটা পরে আবার কষ্ট লাগলো যে আমি এমন এক দেশের বাসিন্দা যে দেশের মানুষ গুলো খুনি আর ধর্ষক দের পারলে পুজা করে।কথাগুলি অনেক কষ্ট থেকে বলা, তবু হয়ত এটাই সত্যি আর আমিও সেই জারজ কওমের একজন। কাজেই বাংলাদেশে জন্মে গর্ব করব ( জানি না গর্ব করার কি আছে যেখানে বাংলাদেশি দের এই হাল), নাকি জারজ কওম হিসাবে পস্তাব? বুঝতে পারছি না।
@কাজী রহমান,
নুর্নবার্গ মডেলে সামরিক আদালতে পাকিস্তানী যুদ্ধপরাধীদের বিচার না হলে কোন প্রজন্মই এই ঘৃন্য অপরাধের কথা বেশীদিন মনে রাখতে পারবে না। কথা নয় কাজকে মানুষ বেশীদিন মনে রাখে। অনেক ধন্যবাদ।
@সংশপ্তক, ঠিক বলেছেন ভাই। কিন্তু সমস্যাটা হল বিচার হচ্ছে কোথায় যেখানে আমরা নিজেরাই ওই পাকি কুত্তাদের নিয়ে নাচি? আমাদের ললনারা আফ্রিদি আমাকে বিয়ে কর বলে পারলে কাপড় খুলে ফেলে আফ্রিদির ওপর….. .আমি একবার ক্রীড়ালোক নামের এক পাক্ষিকে পড়েছিলাম যে আফ্রিফি নাকি কাঁধে দাঁতের দাগ দেখিয়ে মন মরা হয়ে ছিল। আর সেটা নাকি এক বঙ্গ ললনার দেয়া; সেই সব ললনার একজন যারা আফ্রিদি সহ পাকি প্লেয়ারদের কল্পিত নাগর ভেবে থাকে। এইটাই হল বাঙ্গাল।
রেখেছ বাঙালি করে মানুষ কর নি……..
দুনিয়ায় পাকিস্তানীরাই মনে হয় এখনো গায়ের চামড়ার রং নিয়ে প্রকাশ্যে ঔদ্ধতপূর্ন অহংকার ওঁ অপরকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য প্রকাশ করে। পাকিস্তানী ফোরামে ‘৭১ নিয়ে আলোচনায় তারা কালা বাংগালীর প্রতিনিধি মুজিবের কাছে ক্ষমতা না দেওয়ায় কোন্ সমস্যা দেখে না এমন কথা বলতে শুনেছি। এতে অনাক হবার তেমন কিছু নেই। কারন এটা তাদের সংস্কৃতির অংশ, বিস্ময়কর হলেও সত্য যে তাদের এমনকি প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও ধর্মের নামে চরম সাম্প্রদায়িকতার শিক্ষা বিদ্যালয়ে ছোটবেলা থেকেও দেওয়া হয়। ফলাফল অনিবার্য।
‘৭১ এ পাক সেনাদের ভয়াবহ নৃশংসতার পেছনে পিওরিটি কমপ্লেক্স ছিল খুব বড় ভূমিকায়, এতে শীর্ষ পাক জেনারেল থেকে সাধারন সৈনিক কেউই বাদ ছিল না। তাদের মূল মন্ত্রই ছিল হিন্দু ঘেঁষা বাংগালীকে তারা সাচ্চা মুসলমান বানিয়েই ছাড়বে। তারই অংশ ছিল গনধর্ষন করে পরবর্তি পাক পবিত্র সাচ্চা মুসলমান উতপাদন। ধর্মের নামে অশিক্ষা কুশিক্ষা কোন পুরো জাতিকে কতটা বিবেকহীন বানাতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরন এই পাকিস্তান, যার সৃষ্টিই হয়েছিল ঘৃণাকে ভিত্তি করে। আমার আগের এক লেখা থেকে সম্পর্কিত কিছু অংশ দিচ্ছিঃ
@আদিল মাহমুদ,
পাকিস্তানী বড় বড় সামরিক দূর্বৃত্তের ওপর আপনার লেখা আমি নিয়মিত পড়ি। পাকিস্তানী সেনারা এখনও তাদের নারীদের রিমান্ডের নামে ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করছে। বোঝা যায় যে, ধর্ষকামীতা তাদের সংস্কৃতি গভীরভাবে প্রথীত। অনেক ধন্যবাদ আপনার বিশ্লেষণমূলক মন্তব্যের জন্য।
@সংশপ্তক,
ধন্যবাদ।
পাকিস্তানীরা আসলে তৃতীয় শ্রেনীর দস্যুদলের থেক্যা যে উন্নত কিছু ছিল না তার আরেক প্রমান যুদ্ধ পরবর্তিকালে গোহারা হারের জন্য তাদের শীর্ষ জেনারেল ওঁ নেতাদের নিজেরা সাধু সেজে একে অপরের কাঁধে স্কুলের বাচ্চার মত যাবতীয় দায় এড়ানোর হাস্যকর চেষ্টা। প্রকৃত যোদ্ধা বা নেতা হার হলে নিজের কাঁধেই নৈতিক দায় তুলে নেয়, কৃতিত্বের ভাগ কেবল নিজের আর পরাজয়ের দায় অপরের কাঁধে চাপায় না।
‘৭১ নিয়ে নিয়াজী, রাও ফরমান, ইয়াহিয়া, ভুট্টো সকলের বক্তব্যই মোটামুটি এক, তারা নিজেরা সাধু, বাকি সকলের দোষেই যা কিছু হয়েছে। খাদিম হোসেন রাজাও একই দলের, সে নিজে বইতে সাধু সাজলেও দুবৃত্ত পরায়নতায় সেও কম কিছু ছিল না। শীর্ষ পাক অফিসারদের মধ্যে ‘৭১ এর গনহত্যার প্ল্যানের বিরোধীতা করেছিলেন ততকালীন ঢাকা বিমান ঘাটির প্রধান এয়ার কমোডর মিট্টি মাসুদ। তাকে তাতক্ষনিক ভাবে সরিয়ে পাকিস্তান পাঠানো হয়েছিল।
@আদিল মাহমুদ,
যারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বেশীরভাগ মুসলমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোদ্ধে অস্ত্রধারণ করার পেছনে ধর্মের মোটিভেশন নাই, তারা বোকার স্বর্গে বাস করেন। বিশ্বাসীরা কীভাবে অস্বিকার করবে এর উৎস এর প্রেরণা কোথায়? সেক্স সেক্স আর সেক্স, একদল যৌনোম্মাদ, সেক্স ম্যানিয়াক সাহাবীদের গড়া এই ইসলাম। এরা নাকি জগতের শ্রেষ্ট মানুষ, তাদের কাছ থেকে শিখবে মানুষ মানবতা? হাজার হাজার প্রমাণের সামান্য কিছু উদাহরণ নিচে-
Sahih Muslim, Book 008, Number 3371:
Abu Sirma said to Abu Sa’id al Khadri : 0 Abu Sa’id, did you hear Allah’s Messenger mentioning al-‘azl? He said: Yes, and added: We went out with Allah’s Messenger on the to the Bi’l-Mustaliq and took captive some excellent Arab women; and we desired them, for we were suffering from the absence of our wives, (but at the same time) we also desired ransom for them. So we decided to have sexual intercourse with them but by observing ‘azl (Withdrawing the male sexual organ before emission of semen to avoid-conception). But we said: We are doing an act whereas Allah’s Messenger is amongst us; why not ask him? So we asked Allah’s Messenger, and he said: It does not matter if you do not do it, for every soul that is to be born up to the Day of Resurrection will be born. [3]
Book 29, Number 29.32.99:
Yahya related to me from Malik from Damra ibn Said al-Mazini from al-Hajjaj ibn Amr ibn Ghaziya that he was sitting with Zayd ibn Thabit when Ibn Fahd came to him. He was from the Yemen. He said, “Abu Said! I have slave-girls. None of the wives in my keep are more pleasing to me than them, and not all of them please me so much that I want a child by them, shall I then practise coitus interruptus?” Zayd ibn Thabit said, “Give an opinion, Hajjaj!” “I said, ‘May Allah forgive you! We sit with you in order to learn from you!’ He said, ‘Give an opinion! ‘I said, ‘She is your field, if you wish, water it, and if you wish, leave it thirsty. I heard that from Zayd.’ Zayd said, ‘He has spoken the truth.’ ”
Sahih Muslim, Book 8, Number 3371.
We went out with Allah’s Messenger on the expedition to the Bi’l-Mustaliq and took captive some excellent Arab women; and we desired them, for we were suffering from the absence of our wives, (but at the same time) we also desired ransom for them. So we decided to have sexual intercourse with them but by observing ‘azl (Withdrawing the male sexual organ before emission of semen to avoid-conception).” But we said: We are doing an act whereas Allah’s Messenger is amongst us; why not ask him? So we asked Allah’s Messenger and he said: It does not matter if you do not do it, for every soul that is to be born up to the Day of Resurrection will be born.
@আকাশ মালিক,
‘বেশীরভাগ মুসলমান’ তত্ত্বের সাথে ইসলামে কি বলে তার সম্পর্ক যে অবধারিতভাবে থাকবেই এমন কথা শুধু অতি সরলীকরনই নয়, হাস্যকরও হতে পারে। সে যুক্তিতে বলা যায় যে যেহেতু বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই নারীদের কঠোর পর্দা প্রথা মানে না তাই ইসলামের সাথে পর্দা প্রথার কোন সম্পর্ক নাই, বাংলাদেশ সহ আরো বহু সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান রাষ্ট্র যেহেতু চুরির শাস্তি হাত কাটা আর পালন করে না অতএব হাত কাটা জাতীয় কোন শাস্তির সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নাই, এভাবে সুদ প্রথার সাথেও ইসলামের সম্পর্ক নাই……বহু বিবাহ/বাল্য বিবাহ প্রথাও নাই……তালিকা কেবলই বাড়বে। মডারেট মুসলম’ন সুরে সিদ্ধান্ত নিতে হয় যে আসলে এসব প্রথা ইসলামের নামে জামাতে ইসলামী গোছের জাতের ধর্ম ব্যাবসায়ীদের ধর্মের অপব্যাবহার। আমার বাবা ধর্ম পরায়ন ছিলেন, নিয়মিত নামা রোজা করতেন কিন্তু তিনি রাজাকার ছিলেন না অতএব ইসলামের সাথে রাজাকারির কোন সম্পর্ক নাই এই জাতীয় বিশ্লেষনের বিরুদ্ধে কিছু বলার থাকে না।
আরো মজার ব্যাপার হল বেশীর ভাগ মুসলমান তত্ত্বেও অন্তত ‘৭১ সালে (আজকের দিনেও এই ফ’লাফ’ল হতে পারে) মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরাই নিঃসন্দেহে দলে ভারী ছিল। বাংলাদেশ বাদ দিলে পাকিস্তান, ভারতের মুসলমানরা, আরব অঞ্চল, ইন্দোনেশীয়া, মালয়েশিয়া, উত্তর আফ্রিকার কিছু দেশের জনসংখ্যা যোগ দিলে ফলাফল কি দাঁড়াতো? বাংলাদেশের মানুষ ছিল সরাসরি আক্রান্ত, তাই তাদের ইসলামী চেতনা সেক্ষেত্রে নিহত হয়েছিল। আজ অন্য কোন মুসলমান দেশে ৭১ এর মত অবস্থা হলে বাং’লাদেশের বেশীরভাগ লোকে তেমন ভাবেই ব্যাপারটা কাফের শক্তির সহায়তায় মুসলমান রাষ্ট্র ভাং’গা হিসেবেই দেখবে, বাস্তব’তা যাইই বলুক।
ধর্ম যতটা না ক্ষতিকর তার চাইতে অনেক বেশী ক্ষতিকর ধর্মীয় চেতনার বাজে দিকগুলি সম্পর্কে ইচ্ছেকৃত ভাবে অন্ধ সেজে আত্মপ্রতারনা করে যাওয়া। আপনার বলা হাদীসগুলি নিঃসন্দেহে ‘৭১ সালের পাক সেনাদের মধ্যে মনে হয় না তেমন কেউ জানত বলে। তবে তারা এটা ভালই জানত যে বাংগালীরা হল কাফের যাদের গণধর্ষন হত্যা কিছুতেই নৈতিক কোন সমস্যা নেই। যেসব গ্রন্থে এই জাতীয় ব্যাপার স্যাপার আছে সেগুলিকে সংশয়বাদী চোখে না দেখে পরম পবিত্র ও সর্ব যুগে পালনীয় আদর্শ হিসেবে দাবী করতে থাকা যতদিন না যাবে ততদিন ধর্মীয় উন্মাদনা, রাজাকারি চেতনা এসবের মৃত্যু নেই।
ক্যানাডা তে একটা ব্যপার খুব ফেস করতে হয় সেটা হচ্ছে, পাকিস্তানী কেউ আমাদের (বাঙালীদের) দেখলেই উর্দুতে কথা বলা শুরু করে দেয়। আমি পাকিস্তানী লোকগুলোকে যতই বুঝাতে চাইতাম যে, প্লীজ ইংলিশে বলেন, তারা গো ধরত যে, “কেন, তোমাদের দেশের সবাই ই ত উর্দু জানে, তুমি জান না কেন… ? “… মেজাজ টা যে চরমে উঠত, আমি বিনয়ের সাথেই বলতাম যে, “sorry, i did not learn Urdu”। সেইসব অভদ্রলোক গুলো (পাকিস্তানী)র কিন্তু কোন দোষ দিতে পারি না, কারণ, অবাক হয়ে লক্ষ্য করতাম, আমার আশে পাশে যারা বাঙালী ছিল, বেশির ভাগ ই (সবার কথা বলছি না) পাকিস্তানী বন্ধুদের সাথে উর্দু তেই কথা বলত। শুধু বন্ধু নয়, ধরুন, কোন গাড়ীর ম্যাকানিক পাকিস্তানী, সেই গ্যারেজেই বেশির ভাগ বাঙালীরা যেত এবং অবলীলায় উর্দুতে কথা বলত। (হালাল গ্যারেজ কি না),
উত্তর আমেরিকায় হালাল খাবারের রেস্টুরেন্ট হিসেবে পাকিস্তানীদের বেশ কদর। বন্ধুদের সাথে একসাথে কোথাও খেতে গেলে পাকিস্তানী রেস্টুরেন্ট এ না যাওয়া ছাড়া উপায় নাই। সেখানে গিয়েও সেই একই চিত্র। কাউন্টারে ওর্ডার দিতে গেলেই উর্দুতে প্রশ্ন, যখনই বলব যে, উর্দু জানি না, সেই একই উত্তর, “কেন জান না, তোমার দেশের সবাই ত জানে… ” চরম অসহ্য লাগে। আমি সত্যই উর্দু জানি না, কিন্ত যদি জানতামও, আমি কেন তার সাথে উর্দুতে কথা বলব ? সেত আমার সাথে বাংলায় কথা বলবে না!
ত, আমি সেসব উর্দুভাষী বন্ধুদের যখন বলতাম, উর্দুতে কেন কথা বলা ? তারা বলত আমাদের উচিৎ অসাম্প্রদায়িক হওয়া। আবার অনেকে বন্ধুই বলত যে, নতুন জেনারেশনের পাকিস্তানী বন্ধুরা ত আর ১৯৫২ বা ১৯৭১ এ বাঙালী মারে নাই, তবে কেন তাদের সাথে হিংসা করতে হবে ?
আমি বলছি না যে “পাকিস্তানী কাউকে দেখিবা মাত্রই তাহাকে ঘৃণা করিতে হইবেক”… কিন্তু, উর্দু বলার অর্থই ত আমার কাছে মনে হয়, “তাদের প্রতি আমার একটা ঠেকা আছে এমন একটা মেসেজ” — এবং সেটার প্রতিই আমার ঘোর আপত্তি। আমার মতে কেউ যখন অন্য কারও ভাষায় কথা বলে, সেটা এক ধরনের সেই ভাষাভাষীদের প্রতি submission. যেমন, আমরা ইংরেজী তে কথা বলি, কারণ ইংরেজী ভাষার কাছে আমরা ঠেকে আছি, এখন কারও যদি ইংরেজদের কাছে যাওয়ার বা ইংরেজদের জ্ঞান বিজ্ঞান ব্যবহার করার ঠেকা নাই পরে , তার ইংরেজী না জানলেও চলে, যেমন চীন জাপানীজ রা নিজেদের ভাষায়ই independent। কিন্তু, আমি বুঝে পাই না, পাকিস্তানীদের কাছে এসব উর্দুভাষী বাঙালীদের কীসের ঠেকা টা পড়ল ?!! আমাদের যদি ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নাও থাকত, ১৯৫২ তে যদি ভাষা আন্দোলনে শহীদরা ভাষার জন্য প্রাণ নাও দিতেন, তবুও কি এভাবে অন্য একটা দেশের লোকদের প্রতি কোন কারণ ছাড়া submitted হওয়া আত্মসম্মান বিসর্জন দেয়ার শামিল নয় ? অনেক ইন্ডিয়ান ও আজকাল এই রকম ডোমিনেশন করাতে কম যায় না। জোর করে হিন্দি বলাতে চায়, অবশ্য তাদের সংখ্যা পাকিস্তানীদের তুলনায় কম।
এখন ছোট্ট একটি শহরে আছি। আমি আবার একটু ভোজনরসিক, খাসী বিরানী না খেয়ে থাকতে পারি না। ত এই শহরে বিরানী পাওয়া যায় এমন একটাই দোকান আছে, এবং সেটা পাকিস্তানী। ত প্রায়ই দোকানের মালিক উর্দুতে প্রশ্ন করত “কি খাব… ইত্যাদি..” আর ততবারই আমি ইংলিশে উত্তর দিতাম। লাস্টবার যখন গেলাম, তখন দোকানের মালিক প্রশ্ন করল, আমি কেন উর্দু পারি না, “আমি ভদ্রতা করেই বললাম, শিখি নাই, তাই পারি না। তখন সে যেই কথাটা বলল, শুনে আক্কেল গুড়ুম হয়ে গেল, বলল যে, “বাংলাদেশে ত নাকি স্কুলেই উর্দু শেখানো হয়, ত আমি স্কুলে কি শিখি নাই ? ” — মেজাজ টা চড়মে উঠল, এই ব্যাটা কোথায় শুনল যে, বাংলাদেশে স্কুলে উর্দু পড়ানো হয়… তখন আমি উত্তেজিত হয়ে বললাম যে, “never, and noway, 1952 তেই আমরা urdu সংগ্রাম করে বয়কট করেছি, আর যে ভাষাই শেখানো হক না কেন, আমাদের দেশে উর্দু শেখানো হয় না। ” এরপর দোকানের মালিক বলল যে, উর্দু বা হিন্দি চ্যানেল গুলো দেইখ, তাহলেই খুব তাড়াতাড়ি উর্দু শিখে ফেলতে পারব, কোন ব্যপারই না। — আমি সত্যই হতবুদ্ধ হয়ে গেলাম, কত বড় সাহস… বলে কি… এই সাহস ওদের কে দেয়,… কে দেয় সেটা জানার জন্য খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হল না, একটু পরেই কোন এক বাঙালী ভদ্রলোক রেস্টুরেন্টে ঢুকে, হাসি মুখে উর্দুতে “বাত” করা শুরু করে দিল… আসলেই উর্দু বুঝি না, তাই শুনলাম “কী সব ..কিসি লিয়ে.. উনকো.. কসুর…. ইত্যাদি দুবোর্ধ্য শব্দ বলে হাসি ঠাট্টা চলছে…..
এখন চেষ্টা করছি, এই রেস্টুরেন্ট টাকে বয়কট করার।
এরপর বলি গ্রোসারীর কথা। অনেক পাকিস্তানি দোকানে যেসব বাঙালীরা কাজ করে তারা মালিকের সাথে উর্দুতে কথা বলে। ঠিকআছে মেনে নিলাম যে, বেচারা মালিক কে খুশী না করলে চাকরী হারাতে পারে। কিন্তু, এই শহরে যে বাঙালী গ্রোসারী আছে সেখানে গেলাম। মাছ মাংস ইত্যাদির জন্য সবচেয়ে বড় গ্রোসারি এই শহরে বাঙালী মালিকানাধীন। সেদিন দেখলাম ঐ গ্রোসারীতে মাছ মাংস কাটার জন্য এক পাকিস্তানী নতুন কর্মচারী আসছে, আর দোকানের মালিক তার সাথে উর্দুতে কথা বলছে। আমি যারপর নাই তাজ্জব। কোথায় ঐ পাকিস্তানী কর্মচারী মালিক কে খুশী করার জন্য বাংলায় কথা বলবে, তা না, ঠিকাছে, অন্তত দুইজনই ইংরেজী ত বলবে, তাও না, এখানেও বাঙালী মালিক নিজেই যেন পাকিস্তানী কর্মচারীর সাথে উর্দুতে কথা বলতে পেরে তৃপ্ত। চরম রাগ আর ঘৃণার সাথেই ঘটনাটা observe করলাম। [ by the way, আমি কর্মচারী শব্দ টা ব্যবহার করে কাউকে ছোট / অবহেলা করতে চাইছি না, শুধু উদাহরনের সুবিধার জন্য বললাম)
…. এসব বাঙালী যারা ইন্ডিয়ান এবং পাকিস্তানীদের সাথে উর্দুতে কথা বলেন তাদের কাছে আমার প্রশ্ন …. কী ঠেকা তাদের কাছে ? কেন হিন্দি বা উর্দুতে কথা বলতেই হবে ? উর্দুতে কথা বললে কি তাদের কাছে সম্মান বাড়ে ? তারা ত বন্ধুত্বের খাতিরে আপনাদের সাথে বাংলায় কথা বলে না! আমার ত মনে হয়, তারা ত মনে মনে দাত কেলিয়ে ভেবে নিচ্ছে যে, “দেখ, you are submitted to us”!
@এমরান এইচ, (Y) সুন্দর বলেছেন ভাই।
তাইত মনে হয় বার বার যে নিয়াজী কি আসলেই ঠিক বলেছিল? এখানে যেমন পাকিস্তানীদের দোষ নেই, তেমনি পাকিস্তানের পতাকা হাতে উলঙ্গ নৃত্যকারী বাংলাদেশীদের দেখে মনে হয় যে নিয়াজীর দোষ নেই, কারন সে বাংলাদেশীদের ( অধিকাংশ) ভাল চিনেছিল। একই কথা আমি আর কয়েকজন এর মন্তব্যের জবাবে করেছে।
বাঙ্গালী জাতি কবে মানুষ হবে জানি না।কোনদিন হবে কি?
🙁 (U) :guli: :-Y
@এমরান এইচ,
সমস্যাটা ভাষার চেয়েও বেশী আইনগত এবং নীতিগত। অপরাধ করলে তার বিচার হতে হবে এবং পাকিস্তানীদের এখনও বিচারের আওতায় আনা হয়নি। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
@এমরান এইচ,
(Y) (Y)
এত লাথি, গুতা, ধর্ষন, হত্যার পরেও পাকিস্তানীদের প্রতি মোহ বাঙালি জাতির এখনো কেটেছে বলে মনে হয় না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় দিন দিন তা আরো শানিত হচ্ছে। নয়টা মাস যে পশুগুলো আমাদের নির্মম অত্যাচারে নিমজ্জিত রেখেছে, বুলেটে বুলেটে ঝাঁজরা করেছে মুক্তি পিপাসু বাঙালিদের দেহ, রক্ত বন্যায় ভাসিয়েছে গ্রাম, নগর, শহর সর্বত্র, মা বোনদের বানিয়েছে গণিমতের মাল, কুকুর শেয়ালো বাদ যায়নি যাদের অব্যর্থ নিশানা থেকে। তাদের প্রতি সামান্যতম ঘৃণা প্রকাশ করা তো দূরে থাক বরং অসীম ভালোবাসা প্রকাশে কপালে, গালে, হাতে পাকিস্তানি পতাকা এঁকে খেমটা নাচন করতে দেখা যায় জোয়ান বুড়া সবাইকে। স্বদেশীদের দ্বারা প্রদর্শিত এত র্নিলজ্জ বেহায়পনার করুণ চিত্র পৃথিবীর ২য় কোন জাতির সহ্য করতে হয় কিনা অন্তত আমার জানা নেই।
অপ্রিয় সত্যগুলো আবারো আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
@রাজেশ তালুকদার,
সঙ্গে থাকার জন্য অনেক অেনেক ধন্যবাদ।
“ম্যায় ইস হারামজাদী কওম কি নাসল বদল দুঙ্গা ( আমি এই জারজ জাতির বংশগতি বদলে দেব)…………….। ”
– লেঃ জেনারেল আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী ( পরিচয় নিষ্প্রয়োজন)
এর দ্বারা তিনি যে শুধু মানুষ হিসাবে নীচই নন শাসক হিসাবে খুব খারাপ এবং অপটু তা প্রমানিত হয়।
পড়লাম! কেন জানি ‘পাকি’ শব্দটাতে আসলেই মুখে থু থু চলে আসে…… আর কিছুই বলতে পারিনা। এদের ঘৃণা করাটাকেও যেন এখন পোষাচ্ছেনা আর…
১৯৪৭ এর ১৪ আগস্ট থেকে ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর অবধি নয় – এদের বিকৃতির দরজা অনেক দূর প্রসুত।
শালারা থাকে এমন একটা দেশে যেখানে মুড়ি ভাজার মতো বোম ফাটে, জন্ম নেওয়ার আগেই জিহাদ শিখে নেয়, মানুষ মারা এদের পেশা ও নেশা, নিজের দেশকেই সামলাতে পারেনা — অথচ অন্যের সম্পর্কে দেখায় উন্নাসিক্তা।
আমাদের বাঙালিরাও কম যায়না, পাকি দোসর আর পাকি-মনারা এখন লুঙ্গি তুলে উন্মুক্ত বাহুতে হ্যাজা নৃত্য চালায়। ‘ক্রিকেটকে শুধু একটা গেইম হিসেবে দেখুন, রাজনীতি মিশাবেন না’ কিংবা ‘ওরা মুসলমান ভাই’ …… সুতরাং ভাই হোগা মেরে যাচ্ছে তাতে কি… ??
পাকিস্তান একটা সন্ত্রাস এর নাম — এর বাইরে আমার কাছে ওদের আর কোন পরিচিতি নেই। ওরা খুনি, ব্যাস!
আর সত্যি বলছি ঐ পাকি জেনারেলের লেখা বই নিয়েও আমার বিন্দুমাত্রও আগ্রহ নেই। শুয়োরের চর্বি আমার পছন্দ নয়…
@তাপস শর্মা,
ঘৃণাই যথেষ্ট নয়, পাকিস্তান সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সমাজের কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এখন এসেছে। পাঠের জন্য ধন্যবাদ।
তবুও এদেশের অনেক নারী আছেন যারা কি না পাকিস্তানের জন্য কাঁদেন। আফ্রিদি আঊট হলে খেলাই আর দেখেন না।নিয়াজীর মিশন মনে হয় সম্পূর্ণ না হলেও আংশিক সফল !!!!