ঈদে-মোবাহিলা (ফার্সিতে) বা ঈদুল মোবাহালা (আরবিতে) ইসলামের ইতিহাসে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও আনন্দের দিন। মুসলমানদের সুন্নী সম্প্রদায় বৎসরে তিনটি ঈদ যথাঃ ঈদুল আজহা, ঈদুল ফিতর ও ঈদে মিলাদুন্নবি নিয়মিতভাবেই পালন করেন কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে তারা ঈদুল মোবাহালা পালন করেন না। সুন্নীগণ নবির গুরুত্বপূর্ণ আরো কিছু সুন্নত পালন করা থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে এসেছেন, যেমন বাল্য বিবাহ, মুতা বিবাহ, চার বিবাহ, পুত্রবধু বিবাহ, হিলা বিবাহ, ও আপন চাচাতো ভাইয়ের সাথে নিজের মেয়ের বিবাহ অথবা আপন চাচাতো বোনকে নিজের পুত্রবধু বানানো। পক্ষান্তরে শিয়া সম্প্রদায় নবির সকল সুন্নত ও সবগুলো ইসলামি উৎসব যথাযত মর্যাদার সাথে পালন করেন।
মুবাহালা বা মুবাহিলার সোজা অর্থ হলো- কোন বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে, সত্য-মিথ্যা নির্ণয় করার জন্যে একে অন্যের প্রতি অভিশাপ দিয়ে আল্লাহর গজব বা শাস্তি কামনা করা। অর্থাৎ যার বা যাদের উপর আল্লাহর গজব পড়বে সে বা তারা মিথ্যাবাদী। Cursing and invoking the wrath of God on each other to find the truth. নবম হিজরির জিলহাজ মাসের ২৪ তারিখ ছিল ঈদুল মোবাহালার প্রথম দিন। ঐ দিন আল্লাহর নির্দেশে মুহাম্মদ ও তার পরিবার খোলা ময়দানে ইয়ামন দেশের খৃষ্টানদের সাথে মোবাহিলা করেছিলেন। মোবাহিলায় খৃষ্টানগন মিথ্যাবাদী প্রমাণিত হন। অত্যাশ্চার্য এই ঘটনার সাক্ষী কোরানের দুটো আয়াত দেখা যাক-
Indeed, the example of Jesus to Allah is like that of Adam. He created Him from dust; then He said to him, “Be,” and he was. (Sura al-Imran 3, verse 59)
নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট ঈসার দৃষ্টান্ত হচ্ছে আদমেরই মতো। তাকে মাটি দিয়ে তৈরী করেছিলেন এবং তারপর তাকে বলেছিলেন হয়ে যাও, সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেলেন। (সুরা আল-ইমরান ৩, আয়াত ৫৯)
Then whoever argues with you about it after [this] knowledge has come to you – say, “Come, let us call our sons and your sons, our women and your women, ourselves and yourselves, then supplicate earnestly and invoke the curse of Allah upon the liars ” (Sura al-Imran 3, verse 61)
অতঃপর তোমার নিকট সত্য সংবাদ এসে যাওয়ার পর যদি এই কাহিনি সম্পর্কে তোমার সাথে কেউ বিবাদ করে, তাহলে বল-এসো, আমরা ডেকে নেই আমাদের পুত্রদের এবং তোমাদের পুত্রদের এবং আমাদের স্ত্রীদের ও তোমাদের স্ত্রীদের এবং আমাদের নিজেদের ও তোমাদের নিজেদের আর তারপর চল আমরা প্রার্থনা করি এবং তাদের প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত করি যারা মিথ্যাবাদী। (সুরা আল-ইমরান ৩, আয়াত ৬১)
আল্লাহ তার নবিকে পরামর্শ দিচ্ছেন কিছু মানুষকে অভিশাপ বা অভিসম্পাত করার জন্যে। কেন প্রার্থনা করে এই অভিসম্পাত করা, কেন মানুষের উপর সাক্ষাৎ গজব ডেকে আনা? আয়াত দুটো পড়ে অনুমান করা যায়, কাহিনি হলো নবি ঈসার জন্ম নিয়ে। খৃষ্টানরা বলেন যীশু আল্লাহর পুত্র আর মুহাম্মদকে আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন যে, যীশু তার পুত্র নয়। কিন্তু খৃষ্টানরা তা মানতে রাজী নয় সুতরাং আল্লাহ খৃষ্টানদেরকে মোবাহিলায় আহবান করার জন্যে মুহাম্মদকে পরামর্শ দিলেন। ঘটনার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে- নবম হিজরির (মতান্তরে দশম হিজরির) জিলহাজ মাসে মুহাম্মদের নবিত্ব ও ঈসার জন্ম নিয়ে তার কথার সত্যতা পরীক্ষা করার জন্যে ইয়ামন দেশের নাজরান শহর থেকে আব্দুল মাসিহ আক্কিব, সায়্যিদ ও আব্দুল হারিস নামের এই তিন ব্যক্তিকে প্রধান করে ষাটজন বিখ্যাত খৃষ্টান বিশেষজ্ঞ মুহাম্মদের সাথে দেখা করতে মদিনা আসেন। তারা যখন মসজিদে নবির সাথে সাক্ষাত কামনা করলেন, নবি তাদের সাথে দেখা করতে রাজী হলেন না। নবি হজরত আলীকে জানিয়ে দিলেন যে, তিনি শয়তানদের সাথে দেখা করতে পারেন না। তারা যদি নবির সাথে দেখা করতে চায়, তাহলে তাদের ঝাক-জমকপূর্ণ পোষাক ত্যাগ করে সাধারণ কাপড় পরে আসতে হবে। পরের দিন খৃষ্টানগণ নবির কথা মত সাধারণ কাপড় পরে আসলেন। দলপ্রধান আব্দুল মাসিহ, মুহাম্মদের সাথে হজরত ঈসা নবির মর্যাদা ও জন্ম বৃত্তান্ত নিয়ে আলোচনায় বসলেন। মুহাম্মদ আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী (সুরা আল-ইমরান, আয়াত ৫৯) যা বললেন খৃষ্টান নেতা তাতে সন্তুষ্ট হলেন না। এর পরপরই আল্লাহ তার নবিকে খৃষ্টান দলকে মোবাহিলার জন্যে (সুরা আল-ইমরান, আয়াত ৬১) চ্যালেঞ্জ করার পরামর্শ দেন। খৃষ্টানগণ মুহাম্মদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন। সিদ্ধান্ত হলো পরের দিন মদিনা শহরের বাইরে খোলা ময়দানে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় সর্বকালের শ্রেষ্ট ঐতিহাসিক ঘটনা মোবাহিলা অনুষ্ঠিত হবে। নবি মুহাম্মদ, সালমান ফার্সিকে খুব ভোরে ঐ জায়গায় (খৃষ্টান দলের তাবুর বিপরীতে) গিয়ে তার পরিবারের জন্যে তাবুর ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিলেন। জিলহাজ মাসের ২৪ তারিখ সকালে নবির বাড়ি লোকে লোকারণ্য হয়ে গেল। সকল মুসলমান নবির সাথে মোবাহিলায় অংশ নিতে চাইলেন, নবি তাদের আবদার প্রত্যাখ্যান করলেন। ঠিক সময়ে খৃষ্টানগণ লক্ষ্য করলেন, নবি তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নির্ধারিত স্থানাভিমুখে রওয়ানা হয়ে গেছেন। তার কোলে হজরত হোসেন, হাতের আঙ্গুলে ধরা হজরত হাসান, একপাশে হজরত ফাতিমা আর পেছনে হজরত আলী। গন্তব্যস্থানে উপস্থিত হয়ে নবি দু-হাত উপরে তোলে বললেন- ‘হে আল্লাহ, এই আমার ঘর এই আমার পরিবার’। নবি তার পরিবারের সদস্যদের বললেন যে, তিনি যখন মিথ্যাবাদীদের উপর অভিশাপ কামনা করে দোয়া করবেন তারা যেন তার সাথে আমীন বলে। এই দৃশ্য দেখে খৃষ্টান দলের নেতা ভয় পেয়ে গেলেন, তার অন্তরাত্মা কেঁপে উঠলো। খৃষ্টানগণ নবির কাছে অনুরোধ জানালেন- মোবাহিলা অনুষ্ঠান বাতিল ঘোষণা করার জন্যে। খৃষ্টান দলনেতা, মোবাহিলা দেখতে আসা মদিনার বিশাল জনতার সামনে তার দলের লোকজনকে উদ্দ্যেশ্য করে বললেন- ‘আল্লাহর কসম, আমি এমন সব মানুষের চেহারা দেখতে পাচ্ছি, তারা যদি পাহাড়কে তার জায়গা থেকে সরে যাওয়ার জন্যে প্রার্থনা করেন, পাহাড় ততক্ষণাৎ স্থানচ্যুত হয়ে যাবে। হে ঈসার অনুসারীগণ, আমি নিশ্চিত তোমাদেরকে বলে দিতে পারি, মুহাম্মদের সঙ্গীরা যদি তোমাদেরকে অভিশাপ দেন, তোমরা কেউ এখান থেকে প্রাণ নিয়ে দেশে ফিরে যেতে পারবেনা। এর পূর্বে জগতের কোন নবি পয়গাম্বর এমন দৃঢ় মনোবল ও আত্মভরসা নিয়ে আল্লাহর গজব কামনা করার সাহস করেন নি। মুহাম্মদ যা চাইবেন তা দিয়ে তার সাথে শান্তি চুক্তি করো অন্যতায় তোমরা ও তোমাদের ধর্ম দুনিয়া থেকে চিরতরে বিলীন হয়ে যাবে’’।
মোবাহিলার আর প্রয়োজন হলোনা, খৃষ্টানগণ পরাজয় বরণ করে নিলেন, আর ঐ দিন প্রমাণ হয়ে গেল যে, ইসলাম সত্যধর্ম, মুহাম্মদ আল্লাহর নবি ও খৃষ্টানগণ মিথ্যাবাদী ছিলেন। উল্লেখ্য, নবি এখানে আল্লাহর আদেশ ও কোরান অমান্য করেছেন। কোরানের আয়াত অনুযায়ী মুহাম্মদ তার পুত্রদের ও স্ত্রীদের মোবাহিলায় নিয়ে যাওয়ার কথা, নবি এর কোনটাই করেন নি।
ব্যস মোবাহিলার কেচ্ছা এখানেই শেষ। এবার ঘটনার পেছনের ঘটনা বা মোবাহিলা নাটকের ব্যাক ষ্টেইজের দৃশ্য দেখা যাক। প্রথমেই মোবাহিলার ঠিক পূর্বে ইয়ামনের নাজরান শহরের প্রধান বিশপ আব্দুল হারিস ইবনে আল-কামাকে দেয়া মুহাম্মদের লেখা একটি চিঠি। মুহাম্মদ সেই চিঠিতে লিখেছিলেন-‘ সকল প্রশংসা ইব্রাহিম, ইসহাক ও ইয়াকুবের আল্লাহর। আমি মুহাম্মদ, আপনাদিগকে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উপাসনা ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি। আমার এই আহবানে সাড়া দিতে আপনারা অপারগ হলে আপনাদেরকে অবশ্যই আমার সরকারকে আপনাদের জান ও মালের নিরাপত্তার জন্যে খাজনা বা কর দিতে হবে। আর এই মর্মে আপনাদেরকে সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে যে, কর দিতে ব্যর্থ হলে এর পরিণতি মারাত্বক ও ভয়াবহ হতে পারে’। ইয়ামনি খৃষ্টানদল যে মুহাম্মদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণের আহবানে সাড়া দেন নি তার প্রমাণ- তারা মুবাহিলা অনুষ্ঠানে মুহাম্মদকে আল্লাহর নবি, ইসলাম সত্যধর্ম ও নিজেদেরকে মিথ্যাবাদী স্বীকার করে নিয়েছিলেন, কিন্তু সে দিন একজন খৃষ্টানও তাদের ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেন নি। তবে তারা চিঠির দ্বিতীয় শর্ত অবশ্যই পুরণ করেছিলেন।
ইসলাম জন্ম নেয়ার এতো দিন পরে, নবম হিজরিতে এসে হঠাৎ ঘটা করে মোবাহিলার পরামর্শ কেন? আল্লাহর যে ছেলে সন্তান নেই, আর যীশু যে তার পুত্র নয়, এ কথা আল্লাহ শুধু এই সুরায় নয় এর আগে (মুহাম্মদ মক্কায় থাকা কালে) আরো বহু জায়গায় বলেছেন। যেমন মক্কায় রচিত সুরা মরিয়মে- এই মারইয়ামের পুত্র ঈসা। সত্যকথা, যে সম্পর্কে লোকেরা বিতর্ক করে। (সুরা মরিয়ম, আয়াত ৩৪)
আল্লাহ এমন নন যে, সন্তান গ্রহণ করবেন, তিনি পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, তিনি যখন কোন কাজ করা সিদ্ধান্ত করেন, তখন একথাই বলেনঃ হও এবং তা হয়ে যায়। (সুরা মরিয়ম, আয়াত ৩৫)
কোনদিন মোবাহিলার ডাক তো দেন নি। সুরা লাহাবে, আবু লাহাবের হাত-পা ধ্বংস, তার বউয়ের গলায় শক্ত খেজুর পাতার দড়ি কামনা করে বললেন-“ধ্বংস হোক আবু লাহাবের হাত দুটো। আর সেও ধ্বংস হোক’’। আবু লাহাবের উপর কোন গজব তো পড়লোনা, তিনি ধ্বংসও হলেন না। গালাগালি, অভিশাপ, অভিসম্পাত মক্কায় থাকতে অনেক হয়েছে, কাজের কাজ তো কিছুই হলোনা। দশটি বছর মানুষ মুহাম্মদের কাছে দাবী জানালো আকাশ থেকে একবার গজব এনে প্রমাণ করুন আপনি নবি। তিনি বললেন যে, নবির উপস্থিতিতে আল্লাহর গজব আসেনা। প্রাসঙ্গীক হিসেবে এখানে কোরানের ৮ নং সুরা আনফাল থেকে কিছু আয়াত নিয়ে আলোচনা করা যাক- “আর স্মরণ করো তারা বলেছিল—হে আল্লাহ এই যদি তোমার সত্য ধর্ম হয়, যদি কোরান সত্য হয় তাহলে আমাদের ওপর আকাশ থেকে পাথর বর্ষণ করো অথবা আমাদেরকে কঠিন শাস্তি দাও।” (সুরা আনফাল, আয়াত ৩২)। সে দিন তাদের এই কথার জবাবে আল্লাহ মোবাহিলার ডাক দিলেন না কেন? তিনি বললেন-“আল্লাহ কখনো তাদেরকে শাস্তি দিবেন না যতক্ষণ আপনি (মুহাম্মদ) তাদের মাঝে আছেন, আর তারা যদি ক্ষমা প্রার্থনা করে।” (সুরা আনফাল, আয়াত ৩৩)। মদিনায় রচিত এই আয়াত দুটো, মক্কার ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। মুহাম্মদ মদিনায় আসার পর সম্পূর্ণ বিপরীতমূখী আদেশ নির্দেশ কোরানে আসতে থাকে। আজ মোবাহিলা চলাকালে মুহাম্মদ যেখানে উপস্থিত সেখানে গজব বা শাস্তি আসবে কী ভাবে? মক্কায় থাকতে বললেন- লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়াদ্বীন To you be your religion, and to me my religion এখানে মদিনায় এসে চিঠি লিখেন, ইসলাম গ্রহন করো আর না হয় খাজনা দাও কর দাও অন্যতায় পরিণতি মারাত্বক ভয়াবহ হবে। মুহাম্মদের চিঠির জবাবে যে, হয় দেশ, না হয় ধর্ম, না হয় মাথা, অথবা নিদেন পক্ষে দু-একটা সুন্দরী যুবতি দাসী-বাঁদী দিতে হয়, দশম হিজরিতে এসে সে কথা আরব দুনিয়ার কি কারো অজানা আছে?
সুরা ইমরানে মোবাহিলা সম্পর্কিত রচিত আয়াত (৫৯-৬১) দুটোর সাথে সুরা তাওবাহর নিচের দুটো আয়াতের মিলটা লক্ষ্য করুন-
“তোমরা যুদ্ধ করো আহলে-কেতাবের (তৌরাত, জবুর ও ইঞ্জিল কেতাব অনুসারী) ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস করে না, আর নিষেধ করে না যা আল্লাহ ও আল্লাহর রসুল নিষেধ করেছেন এবং সত্য ধর্ম গ্রহণ করে না, যতক্ষণ না করজোড়ে জিজিয়া (কর) প্রদান করেছে ও আনুগত্য মেনে নেয়।” (সুরা তাওবাহ, আয়াত ২৯)
“ইহুদিরা বলে উজায়র আল্লাহর পুত্র আর খ্রিস্টানরা বলে ঈসা আল্লাহর পুত্র। এ হচ্ছে তাদের মুখের কথা। এরা পূর্ববর্তী কাফেরদের মতো কথা বলে। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন, তারা কেমন সত্য থেকে বিমুখ হয়।” (সুরা তাওবাহ, আয়াত ৩০)।
বদর যুদ্ধের পর সমগ্র আরবের অবস্থা কেমন হয়েছিল তার সাক্ষী হয়ে আছে দ্বিতীয় হিজরি্তে লেখা কোরানের সুরা আনফাল ও নবম হিজরিতে লেখা সুরা তাওবাহ। বদর থেকে তাবুক, আনফাল থেকে তাওবাহ আরবের এক সুদীর্ঘ রক্তাক্ত ইতিহাস। নিরীহ ইয়ামনবাসী খৃষ্টানদের, সেই ইতিহাস অজানা থাকার কথা নয়। ইবনে কাথির, সুরা তাওবাহ এর ২৯ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন-
The Order to fight People of the Scriptures until They give the Jizyah
(Fight against those who believe not in Allah, nor in the Last Day, nor forbid that which has been forbidden by Allah and His Messenger, and those who acknowledge not the religion of truth among the People of the Scripture,) This honorable Ayah was revealed with the order to fight the People of the Book, after the pagans were defeated, the people entered Allah’s religion in large numbers, and the Arabian Peninsula was secured under the Muslims’ control. Allah commanded His Messenger to fight the People of the Scriptures, Jews and Christians, on the ninth year of Hijrah, and he prepared his army to fight the Romans and called the people to Jihad announcing his intent and destination. The Messenger sent his intent to various Arab areas around Al-Madinah to gather forces, and he collected an army of thirty thousand. Some people from Al-Madinah and some hypocrites, in and around it, lagged behind, for that year was a year of drought and intense heat. The Messenger of Allah marched, heading towards Ash-Sham to fight the Romans until he reached Tabuk, where he set camp for about twenty days next to its water resources.
তাবুক যুদ্ধের পর মুহাম্মদের পথ রুখে দাঁড়াবার মতো, তার বিরোদ্ধাচারণ করার মতো কোন শক্তি আদতেই আর আরব বিশ্বের কারো ছিলনা। মানুষ বুঝতে পেরেছিল মুহাম্মদের অধীনতা মেনে নেয়া ছাড়া স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার আর কোন উপায় নেই। আদিল সালাহি নামের একজন ইসলামি গবেষক ও লেখক লিখেন- After returning from the expedition of Tabuk, the Prophet sent his closest companion, Abu Bakr, to lead the pilgrimage and his cousin, ‘Ali, to claim total and religious authority over Makkah so that no unbeliever was able to offer pilgrimage according to the old practices of ignorance.
The time had come for all Arabian tribes to realize that there was no longer any power in Arabia to challenge the authority of the Islamic state in Madinah with them now followers of the Prophet. Hence, it was only to be expected that the Arabian tribes should start to review their position.
Delegations followed one another to Madinah, either to enquire about the essential elements of the faith of Islam or to pledge their loyalty to the Prophet and declare their belief in God’s oneness and the message of Muhammad. Many delegations of major Arab tribes are now reaching Madinah, some asking for power others for friendship with whole tribes declaring acceptance of Islam. One with a special significance was from Najran. At the time of the Prophet, Najran and its surrounding area, in the south of Arabia, was a Christian valley. It had a Bishop called Abu Harithah ibn ‘Alqamah who was considered an authority on the Christian faith. He was in touch with Byzantine emperors who respected him, sent him financial aid and helped build a number of churches in the area.
In response to a letter sent by the Prophet inviting them to Islam they sent a delegation of 60 people to Madinah in order to get first-hand information about the Prophet.
সুরা আনফাল থেকে তাওবাহ, বদর থেকে তাবুক, দ্বিতীয় হিজরি থেকে নবম হিজরি-
• 1st Badr
• Kudr
• Sawiq
• Qaynuqa
• Ghatafan
• Bahran
• Uhud
• Al-Asad
• Nadir
• Invasion of Nejd
• 2nd Badr
• 1st Jandal
• Trench
• Qurayza
• 2nd Lahyan
• Mustaliq
• Hudaybiyyah
• Khaybar
• Conquest of Fidak
• 3rd Qura
• Dhat al-Riqa
• Baqra
• Conquest Mecca
• Hunayn
• Autas
• Ta’if
• Tabouk
আমরা এখানে ইবনে হিশামের ‘সিরাত’ ৫৭৩/১ থেকে ঘটনাটি আরেকটু জেনে নিবো- ‘After lengthy discussions no agreement was reached on the position and standing of Jesus. The Christians of Najran believed in the divinity of Jesus and considered him as the son of God. This is while, based on the explicit wording of the Holy Qur’an (3:59), the Messenger (s) of Allah considered him as a prophet and the servant of God. At the end of the discussions, the Prophet (s) suggested that the two sides engage in “mubahalah”, in other words, to invoke divine malediction for the lying side. The following verse was descended in this regard:
“But whoever disputes with you in this matter after what has come to you of knowledge, then say: come let us call our sons and your sons and our women and your women and our near people and your near people, then let us be earnest in prayer, and pray for the curse of Allah on the liars.” (3:61)
The 10th (and some say the 24th) of Dhul-Hijjah was chosen for “mubahalah”. The Messenger (s) of Allah ordered that in a field outside Medina a thin black “aba” (men’s loose sleeveless cloak open in front) be used as a shade between two trees. The Christian chiefs and dignitaries of Najran stood in orderly ranks on one side of the field, on the other side, the Prophet, together with `Ali, Fatimah, Hasan and Husayn came from the direction of Medina to the shade. Along this path, the Prophet (s), holding the hand of `Ali (`a), Hasan and Husayn walked in front with Fatimah behind them (c.f. “Majm`a al-Bayan”. Interpretation of the Mubahalah Verse). With such simplicity and grandeur, they reached the shade and stood below the “aba”. The Holy Prophet (s) recited the “tathir verse” and addressed the “ahl-al-bayt” by saying: “I will invoke malediction for them and you say `amin’.” Seeing such glory and grandeur, the Najran chiefs lost their self-confidence and felt that they were very puny and could not stand against Prophet Muhammad (s) and his Household. They, therefore, accepted to pay “jaziyyah” and offered to give in to peace. On behalf of the Holy Prophet (s), the commander of the Faithful, `Ali , signed a peace treaty with the Christians.
The Christians were to annually offer twelve thousand exquisite clothes, a thousand Mithqal of gold (4225 grams of 24ct Gold.), and some other items to remain Christians under the umbrella of Islam. খৃষ্টানদল মোবাহিলা করতে মদিনায় আসেন নি, এসেছিলেন নিজ দেশকে ও দেশের মানুষকে একটি অবশ্যাম্ভাবী যুদ্ধ থেকে রক্ষা করার জন্যে। আর নিজের ধর্ম নিয়ে বাঁচতে হলে বাৎসরিক খাজনা-পাতি, কতোগ্রাম কতো ক্যারেন্টের সোনা-দানা, কতো দামী কাপড়-চোপড় মুহাম্মদকে দিতে হবে সেই দাম-দর করার জন্যে। মোবাহিলার আয়াত মুহাম্মদ কোরানে ঢুকিয়েছিলেন খৃষ্টানদল তার কাছে আসার পরে। চিঠির দ্বিতীয় শর্ত পুরণে অপারগতা দেখালে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে মুহাম্মদের সৈনিকদল তৈ্রী হয়েই ছিলেন।
ইবনে কাথির, সুরা ইমরানে মোবাহিলা সম্পর্কিত উল্লেখিত আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন-
Imam Ahmad recorded that Ibn `Abbas said, “Abu Jahl said, `If I see Muhammad praying next to the Ka`bah, I will step on his neck.’ The Prophet later said, Had he tried to do it, the angels would have taken him publicly. Had the Jews wished for death, they would have perished and would have seen their seats in the Fire. Had those who sought Mubahalah with the Messenger of Allah, went ahead with it, they would not have found estates or families when they returned home.” Al-Bukhari, At-Tirmidhi and An-Nasa’i also recorded this Hadith, which At-Tirmidhi graded Hasan Sahih.
এটাই আসল সত্য যে, ইয়ামন থেকে আসা খৃষ্টানদল মুহাম্মদের সাথে যদি মোবাহিলা চালিয়ে যেতেন, তারা দেশে ফিরে যেতে পারতেন না, আর কোন রকম পালিয়ে গেলেও দেশ ফিরে পেতেন না। জগত বিখ্যাত শক্তিশালী রোমান যার পদানত, সারা আরব দুনিয়া যার দখলে, মোবাহিলা নামক নাটক মঞ্চস্ত করা তার মতো একজন আরবি রঙ্গীলা রাসুলের পক্ষেই শুধু সম্ভব।
তবে স্বীকার করতেই হবে মোহাম্মদ ছিল অতীব ধুরন্ধর, কৌশলী ও দুর দৃষ্টি সম্পন্ন। না হলে আরবের ঐসব বর্বর জাতি গোষ্ঠিগুলোকে কখনই বাগ মানাতে পারত না। মোহাম্মদের ইসলাম আসলে কোন ধর্মীয় বিধান নয় এটা হলো একটা স্বৈরতান্ত্রিক রাজনৈতিক আদর্শ, সমস্যা হলো বর্তমানে অধিকাংশ মুসলমানরা এটাকে ধর্মীয় বিধান হিসাবে বিশ্বাস করে ও সেটা প্রমান করার চেষ্টা করে আর তখনই শুরু হয় নানা রকম দ্বন্দ্ব ও স্ববিরোধীতা। এসব দ্বন্দ্ব ও স্ববিরোধীতাকে ঢাকা দিতে গিয়ে তারা শুরু করে নিজস্ব ধারনার ইসলাম প্রচার যার সাথে মোহাম্মদের ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। উল্লেখযোগ্য কিছু নিদর্শন নিম্নরূপ:
– ইসলাম শান্তির ধর্ম অথচ শান্তির ছিটে ফোটাও ইসলামে নেই।
–ইসলাম দাস প্রথা রদ করে গেছে, অথচ ইসলাম বরং দাস প্রথাকে কিভাবে ও কত প্রকারে লাভজনকভাবে ব্যবহার করতে হয় গোটা ইসলামী শাসন সেটাই প্রমান করেছে সফলভাবে।
–ব্যভিচার নাকি ইসলামে গুরুতর অপরাধ, অথচ দাসী ও বন্দী নারীর সাথে সেক্স বা তাদেরকে ধর্ষন করা হলো আল্লাহর হুকুম।
–শিরক হলো সবচাইতে মারাত্মক অপরাধ, অথচ কোরানে মোহাম্মদকে আল্লাহর সাথে সম পর্যায়ে উন্নীত করেছে, পৌত্তলিকদের হজ্জ, কাবা ঘর প্রদক্ষিন, কাল পাথরকে চুমু, পশু হত্যা(কোরবানি) এসব ধার করে মোহাম্মদ তার ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ও আচ্ছা এই ব্যাপার, ফেইসবুকে আমাকে অহরহই বেশ কিছু মুসল্মান মোবাহিলার মধ্যে ফেলে দেয়। অভিসম্পাত টভিসপ্তাত করে- মাঝে মাঝে পড়ি, হ্যাব্বি মজা পাই! লেখা ভালো লাগলো।।
@আল্লাচালাইনা,
এখানে দেখেন আরেকজনের অবস্থা-
subject Invitatation to mubahila, date Tue, Apr 22, 2008
This is an invitation to Ali Sina to a mubahila in order for God to decide who is wrong and who is right. I have read all the rubbish you have written on your website. I do not even see it right to argue with someone like you so i have a diffrent way to solve this.I am extending to you an invitation to a mubahila, I will pray to my God with my beliefs and you pray to whomever you believe and and the first one to die in 90 days was wrong. If you think you are right and are willing to accept my offer contact me with an acceptance। We will wait for 90 days after your acceptance and see who was wrong. If you do not accept this then i advice you remove ur website. I am forwarding this website to as many people as i can with refrence to your website so that there are witnesses. I advice you to do the same.
Waiting for your reply.
Shabir Bhatti
———————————————–
And how do we know who won at the end of 90 days?
Regards
Ali Sina
———————————————
The person who is wrong will not live to see the 91st day. If i am wrong i will die before the end of the third month and if you are wrong you will.
Do you accept?
Shabir Bhatti
——————————————–
I accept that you pray so I die within 90 days. I will however not pray for your death but rather your enlightenment and awakening. I harbor no ill faith towards anyone. I consider Muslims as primary victims of a lie and my goal is to help them see the truth, leave their cult, prosper and live happily ever after. Praying for people’s death is against my values. I do not consider that as an ethical thing to do. Actually I think it is stupid. Mind you, there are many people that I wish die soon and go to hell, such as Osama Bin Laden, the despots in Iran, etc. However, I do not sit there prying for their death. That would be waste of my time.
Nonetheless, you seem to think that by invoking evil on me, I will die. Now, the fact is that anyone can die at anytime and no one can be certain to live the next day. So there is always a chance that either one of us die in these coming 90 days. This should be attributed to chance and not to the effect of cursing. Therefore, assuming I die within 90 days, it is no proof that I died because you cursed me. However, what if I do not die? It proves that your cursing has had no effect and that your Allah is helpless. What will you do if you see me still kicking after the lapse of 90 days? Will you then accept the fact that Islam is a lie? Allegedly Allah in the Qur’an establishes mubahila as a legitimate method of finding the truth.
(Quran 3.61:) If any one disputes in this matter with thee, now after (full) knowledge Hath come to thee, say: “Come! let us gather together,- our sons and your sons, our women and your women, ourselves and yourselves: Then let us earnestly pray, and invoke the curse of Allah on those who lie!”
Since I do not believe in this nonsense and I do not wish you harm, I am not going to pray for your demise, but I welcome your curses . You are also authorized to call upon all the Muslims you can find, and those who read this (I am going to publish this exchange) to join you in cursing me and invoking evil on me so I may die within 90 days. I suggest you write to all the Islamic sites and ask them to advertise this unilateral mubahila. Go to Muslims’ comments page in faithfreedom.org site and write to all the Muslims who wished me dead to join you in this mighty enterprise. If millions of Muslims join, your cursing may have more strength.
However, if after this time I am still alive, will you start questioning the truth of the Quran and the claim of Muhammad? Will this be enough for you to see that Muhammad was a liar?
Regards
Ali Sina
——————————————————-
If you die within this period of time 90% of your followers will stray away believe you were a liar. Trust me, when it happens, it will happen in such a way that all will see and all shall believe. Inshallah.
Please Add this to your site without editing, if you have the balls to which i believe you do.
Shabir Bhatti
—————————————————–
চার বৎসর পরেও শাবির ভাট্টির কাছ থেকে আলী সিনা আর কোন উত্তর পান নি।
২০০২ সালে বাংলাদেশে এক বিরাট সুপরিচিত স্বনামধন্য, সুখ্যাত আলেম, মউলুভির সাথে মোবাহিলা করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন আমার পাসপোর্ট হারাবে, আমি ইংল্যান্ড ফিরে যেতে পারবোনা, আমার সন্তানগণ অসুস্থ হবে, বউ মারা যাবে। এখন পর্যন্ত আল্লাহর মর্জি সব ঠিকঠাক আছে, দোয়া করবেন, জানিনা ভবিষ্যতে কী হবে?
@আকাশ মালিক,
অনেক ধন্যবাদ। বরাবরের মতই অসাধারণ। (F) (F)
একটি ছোট্ট সংশোধন: এ দুটি সুরা তওবার আয়াত, ৯:২৯-৩০।
@গোলাপ,
ধন্যবাদ গোলাপ, ঠিক করে দিয়েছি।
এই বেপারে আরেকটু বেকখা করবেন? মুহামমদ কে কে কি কি গিফট দিল জানতে মনচায়।
মুহাবিলা সমবনধে হাই সকুলে ইসলামি বইএ পড়েছিলাম। ইসলামি বই এ ওনেক কিছুই ছিল কিনতু পরিমারজিত ভাবে।
এটা কী আল ইমরান এর আয়াত?
“ইহুদিরা বলে উজায়র আল্লাহর পুত্র” এ ব্যাপারে তাফসীর চাই।
@জিয়া,
না, সুরা তাওবাহর। এখানে আছে ইবনে কাথিরের তাফসির-
পোষ্টেই তো কিছু উল্লেখ আছে। যেমন- The Christians were to annually offer twelve thousand exquisite clothes, a thousand Mithqal of gold (4225 grams of 24ct Gold.), and some other items to remain Christians under the umbrella of Islam.
আকাশ মালিক ভাই আপনি আর কতদিন ইতিহাস আর কল্পনা মিশিয়ে এই রকম সুন্দর সুন্দর কাহিনী উপহার দিবেন আমাদেরকে ? 😀 😀
আমরা মনে হইতাছে বাইজেনটাইন দের ক্ষমতা চিনতাম না যে তাদের কে অশিক্ষিত আরব দেরকে ভয় করা লাগবে। তবুক যুদ্ধ কি অফেন্সে হয়েছিল নাকি মুতাহ এর অভিযান এর আফটার ম্যাথ কে সামাল দিতে আর নাযরান আর সিরিয়া এর ট্রাইব গুলোকে আরব দের একক রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য হয়েছিল ?
তবুক যুদ্ধের ক্ষেত্রে তো নবীজি(সা) দুই সপ্তাহ তবুকে থেকে ফিরে এসেছিলেন মদিনায় যখন তিনি এটা জানতে পারেন যে আরব এর বর্ডার সুরক্ষিত।
আর মুবাহিলা অনুষ্ঠান এর ব্যাপারটাকে আপনি এখানে একেবারেই গুরুত্বহীন বানিয়ে দিয়েছেন
এটা নাযারেথ এর বিজয়ের ক্ষেত্রে মুসলিমদের অন্যতম একটা শান্তিপূর্ণ জয় ছিল সেটাকেও ছাড়লেন না। আপনি তো দেখি কয়েক দিন পরে রবার্ট স্পেন্সার এর জায়গা দখল করবেন সেরা লুন হিসেবে। 😀 :)) :))
মুবাহিলা এর যে অনুষ্ঠান টা ছিল সেটা সম্পর্কে বললেন
অথচ ইতিহাস তো বলে ভিন্ন কথা। তবুক এর জয়ের পরেই তাদের মাঝে জিজিয়া এর বিষয়টা নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। তো আবার ফের মুবাহিলা এর বিষয়টাকে কেন আনতে হবে ?
এই বিষয়ে বলতে গেলে বলতে হয় এই অংশটুকুর কথা
এটা নেওয়া হয়েছে এখান থেকেhttp://alislaah3.tripod.com/alislaah/id18.html
আর এর পরে আপমি বললেন
অথচ সেই সময়ে রসূলের সম্মিলিত সেনাবাহিনী ছিল হাজার তিরিশেক।
আর এক মুতাহ এর যুদ্ধের সময়ই ঘাসানিদ আর রোমান রা প্রায় লাখ দুয়েক এর সেনা হাজির করেছিল!
এটা একটা অদ্ভুত কথা অবশ্যই যে হাজার তিরিশেক এর সেনাবাহিনী দেখে রোমান আর সিরিয়া উভয়েই ভীত হয়ে গেল আর মেনে নিল সবকিছু। আচ্ছা এখানে আপনি একটা জিনিস এর বর্ণনা দেন নি
আর সেটা হচ্ছে সেই সময়ের রোমান সেনাবাহিনীর অ্যাট্রিশান ড্যামেজ এর বিষয়টা
তবুক এর মিশন টা একটা লটারির মত ছিল সেটা ছিল জাস্ট একটা চান্স। কেননা অ্যাট্রিশান ড্যামেজ যদি রোমান দের কম হয়ে থাকত তাহলে তারা এই সেনাবাহিনীকে খুব সহজেই হারাতে পারত।
এটা সম্ভব হয়েছিল কেননা আরবদের এই অভিযান এর কিছুদিন পূর্বেই পারস্য এর সম্রাট এর সাথে রোমান
Ceaser এর প্রচণ্ড রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ হয়েছিল। আর এর ফলে সেই সময়ে রোমান সৈন্যরা পারস্য এর রাজধানী
Ctesiphon এর কাছাকাছি জায়গায় ছিল আর সিরিয়া তে ছিল শুধুমাত্র ৪০০০ সৈন্য রোমান দের সীমান্ত টহলের জন্য।
মুতাহ এর যুদ্ধের সময়ে সামান্য ৩০০০ এর সৈন্য দের মোরাল দেখে রোমান সৈন্যরা এটা ঠিক ভাবেই বুঝতে পেরেছিল যে এই সৈন্য বাহিনী এর সাথে তারা জিততে পারবে না। কেননা তাদের মুল বাহিনী তখন এইখানে ছিল না।
শুধু এইজন্যই মুসলিমেরা এই তবুকের যুদ্ধ এর ক্ষেত্রে সাময়িক ভাবে সফল হয়। এটা একেবারেই ঠিক না যে সেই সময়ে বিশ্বের তথা আরব বিশ্বের আর কোন শক্তি ছিলনা যারা মুসলিম দের কে পরাজিত করতে সক্ষম ছিল না। মুসলিমেরা জিতেছিল তাদের হাই মরাল আর ডিসিপ্লিন এর কারণে।
তারা অস্ত্র-শস্ত্র আর সংখ্যার বলে বা শক্তির বলে জয় লাভ করেনি।
আর এই মুবাহিলা এর অনুষ্ঠান কে আপনি শুধু শুধুই ভীত শান্তিপূর্ণ খ্রিস্টান দের আত্নসমর্পণ হিসেবে দেখাতে পারেন না। কেননা তাদের পিছনে শক্তিশালি ঘাসানিদ আর রোমান রা ছিল ।
এটা তো তাদের জানার কথা যে পারস্য সম্রাট হারের পথে রোমান দের দ্বারা। তাহলে তারা সেই সময়ের একটা ক্ষুদ্র শক্তির কাছে এভাবে মাথানত করলেন যেটা আপনি বলতে চাইছেন একেবারেই খাপ খায় না।
:-s :-s :-s :-s :-s :-s
@ইমরান হাসান,
যতোদিন পর্যন্ত আপনি মোবাহিলায় বসিয়া আমার উপর আল্লাহর গজব না নিয়ে আসিবেন। আমি মুসলমান হইতে রাজী কিন্তু ভাই ট্যাক্স বা নগদ সোনা-দানা, টাকা পয়সা চাহিয়া লজ্জা দিবেন না।
@আকাশ মালিক, আজব কথা ভাই ট্যাক্স তো আয়কর হিসাবে চাওয়া হইত। ইসলামি দেশে তো মুসলিমদের জন্য যাকাত আর অমুসলিমদের জন্য জিযিয়া ছাড়া ব্যাক্তিগত আর কোন কর রাখার নিয়ম নাই। 🙁 আমি কি রাষ্ট্রপ্রধান নি যে আপনের থন আয়কর লমু। 😕 😕 এইডা কি কইলেন। আর এমনিত ট্যাক্স দিবার পারলে এই ট্যাক্সখান দিতে আপত্তি কি থন? যাকাত দিলে তো কারো ক্ষেতি নাই বাহে।
@ইমরান হাসান,
বুঝতে পারছি আপনি বুঝে বা না বুঝে জিযিয়া ও যাকাতকে ‘ইসলামী ট্যাক্স’ এর মোড়কে একই লাইনে সামিল করতেছেন! যিযিয়ার উদাহরণ শুধুমাত্র নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে সন্ত্রাসীর “চাঁদা” আদায়ের সাথেই তুলনীয়। অন্য কারও সাথে নয়। কেন? দেখুন, এখানে।
@ইমরান হাসান, thank you
ভাই আকাশ মালিক,
“তাফছীরে জালালাইন” এর লিংকটা একটু দিতে পারেন?
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ইবনে কাথির, ইবনে হিশাম দেখেছেন এবার জালালাইন দেখুন। আরবি টেক্সট, উচ্চারণ সহ অনুবাদ আছে, মনে রাখবেন আমাদের প্রবন্ধের সংশ্লিষ্ট আয়াত নং ৫৯ ও ৬১। এখানেও লেখা আছে- According to Ibn ‘Abbās [the Prophet] said, ‘Had they set out and performed the mutual cursing, they would have gone home and found neither possessions nor family’. It is also reported that had they set out with this intention, they would have been consumed by fire.
খৃষ্টানরা বুদ্ধিমানের কাজ করেছিল, সেদিন যেন তারা ক্ষুধার্ত বাঘের মুখ থেকে নিজেদের স্ত্রী সন্তানদের বাঁচিয়ে নিয়ে এসেছিল।
প্রসঙ্গক্রমে যে ইংরেজিগুলো প্রবন্ধে দিতেই হয় সেগুলোর নিচে যদি নিদেনপক্ষে তার সংক্ষিপ্ত বাংলা অনুবাদ দেয়া হয় তাহলে সাধারণ পাঠকও তার মর্মার্থ বুঝতে পারে। মুক্তমনার সব পাঠককে কি ইংলিশের জাহাজ ভাবা উচিত ?
আশা করছি লেখক পরবর্তীতে কোনো আর্টিকেল লেখার সময় এই বিষয়টি মাথায় রাখবেন। এতে লেখার পাঠক বাড়বে তাতে কোনো সন্দেহ নাই।
লোকজন মুক্তমনায় আসে সত্য জানতে। সেই সত্যটাকে কি লেখকদের আরও সহজ করে বাংলায় দেয়া উচিত নয় ?
নতুন একটা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম । অনেক ধন্যবাদ ভাই ।
একটা ই বার্তা পাঠিয়েছি। একটু দেখতে পারেন।
@রাজেশ তালুকদার,
থ্যাংক ইউ স্যার।
“মুবাহিলা” শব্দটি ও এর সংগে সম্পৃক্ত এতবড় গুরূত্বপূর্ণ ঘটনাটি এই সর্বপ্রথম আপনার মুখ দিয়ে শুনলাম । কোন মওলানা সাহেবদের ও এ পর্য্নত বলতে শুনি নাই। এমন একটি সম্পূর্ণ নূতন বিষয় জানানোর জন্য অশেষ ধন্যবাদ। এরুপ আরো আমাদেরকে উপহার দিবেন।
আমার মনে হয়, মুবাহিলা অনুষ্ঠিত হইলে, তারপর নবীর ইঙ্গীতে তাদের কে হয়তোবা হত্যা করা হত।
তাতে উভয়কূল রক্ষা হত-১। তারা কারো দ্বারা নিহত হওয়া,এটার অর্থও আল্লার নির্দেশেই তাহারা ধংস হইয়াছেন।
২। অন্যদিকে ইসলাম প্রচারের স্বার্থে বিধর্মিদের হত্যা করা তো সর্বোত্তম পূন্যের কাজ।
হয়তো অবস্থা দেখে তারা এটা উপলদ্ধি করতে পেরেছিলেন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
মউলানা সাহেবরা ইসলামের প্রকৃত ইতিহাস আর মুহাম্মদের ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক জীবনের আরো অনেক কিছুই গোপন রাখেন, প্রকাশ করেন না। বাংলাদেশে বাহাস নাম দিয়ে নিজেদের মধ্য এক প্রকার “মুবাহিলা” আগে প্রায়ই হতো। আমি তখন ছোট, মাদ্রাসায় পড়ি। পাশের গ্রামে বাহাসের আয়োজন হলো। বিষয়বস্তু ছিল- মিলাদ বসে হবে, না দাঁড়িয়ে হবে, আর সুরা ফাতিহার শেষ শব্দ ‘জোয়াল্লিন’ হবে, না ‘দোয়াল্লিন’ হবে। মোবাহিলায় আল্লাহর গজব আসলো সত্য তবে তা পড়লো উভয় দলের উপর। এক দলের একজন মানুষ খুন হলেন আর অপর দলের সম্পূর্ণ মাদ্রাসা কোরান-হাদিস সহ আগুনে পুড়ে ছাই।
মুহাম্মদের ইসলাম অমুসলিমদের রক্ত পান করে বড় হয়েছিল, মুহাম্মদের মৃত্যুর পর থেকেই নিজেদের রক্ত মাংশ খেয়ে আজ পর্যন্ত বেঁচে আছে।
পাইকারী হত্যার বৈধতা দান!
ঈদে-মোবাহিলা (ফার্সিতে) বা ঈদুল মোবাহালা (আরবিতে) ইসলামের ইতিহাসে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও আনন্দের দিন। মুসলমানদের সুন্নী সম্প্রদায় বৎসরে তিনটি ঈদ যথাঃ ঈদুল আজহা, ঈদুল ফিতর ও ঈদে মিলাদুন্নবি নিয়মিতভাবেই পালন করেন কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে তারা ঈদুল মোবাহালা পালন করেন না। সুন্নীগণ নবির গুরুত্বপূর্ণ আরো কিছু সুন্নত পালন করা থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে এসেছেন, যেমন বাল্য বিবাহ, মুতা বিবাহ, চার বিবাহ, পুত্রবধু বিবাহ, হিলা বিবাহ, ও আপন চাচাতো ভাইয়ের সাথে নিজের মেয়ের বিবাহ অথবা আপন চাচাতো বোনকে নিজের পুত্রবধু বানানো। পক্ষান্তরে শিয়া সম্প্রদায় নবির সকল সুন্নত ও সবগুলো ইসলামি উৎসব যথাযত মর্যাদার সাথে পালন করেন।
পাকিস্তানীরাও নবীজির বিবাহ সংক্রান্ত সুন্নতগুলো অনেকাংশে পালন করে থাকে। আমি কয়েকটি পাকি পারিবারকে চিনি, যাদের বিবাহ হয়েছে চাচা, মামা, ভাগনে, ভাগনী, ভাতিজি ইত্যাদির সাথে। এমেরিকাতেও অনেক পাকির একাধিক বৌ রয়েছে।বিবাহ-সুন্নত অংশিক হলেও পালন করতে পেরে নারী-পুরুষ উভয় শ্রেণীর পাকিই অত্যন্ত খুশি।
আকাশ মালিক, হোরাস এদের ওপর ধমেশ্বরের অভিশাপ লাগে।
এদের দুই ঠ্যাং ধ্বংসপ্রাপ্ত হোক…গলায় জুতোর মালা পরিয়ে দেওয়া হবে
(আমাদের ধমাধম ধর্মের এই পবিত্র ভার্স পাঠ করলে অসীম সওয়াব অর্জিত হবে, তবে হ্যা, পাঠ করার আগে অজু করে নিতে হবে ও নিয়ত খাস হতে হবে)।
@আদিল মাহমুদ,
আজকাল কোথাও যে দেখা যায়না বিষয়টা কী?
@আকাশ মালিক,
নিত্য নুতন মোবাহিলা অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যাস্ত থাকি। পরিবার পরিজন নিয়ে দৌড়াদৌড়ি, আবার লা ফাটিয়ে অভিশাপ দেওয়া দেওয়ি…সময় কই।
@আদিল মাহমুদ, মুবাহিলার শর্ত পূরণ হয়নি। পরিবার-পরিজন, বাল-বাচ্চা নিয়ে মুবাহিলা করতে হবে। আপনার ক্ষেত্রে আপনার কুকুরই সই। তবে সবাই মিলে একসাথে করতে হবে। আরেকবার ট্রাই দিতারেন। :))
@হোরাস,
আমার পরিবারের তৃতীয় সদস্য মোবাহিলা খুব ভাল পারে, বিশ্বাস না হলে যে কোন দিন আমাদের বাসার দরজায় নক করে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন, মাশাল্লাহ পুরা পাড়া অভিশাপের ঠ্যালায় কেঁপে উঠবে।
আপনি ভালয় ভালয় অভিশাপের ঠ্যালায় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে গেলে হয়। আপনার বাসা আমাদের খুব পছন্দ হয়েছিল, ঐটা গনিমতের মাল হিসাবে……
এই নামগুলি তাহলে খ্রিস্টান নাম! যারা ধর্মীয় নাম নিয়ে খুব স্পর্শকাতর, তারা নিশ্চয়ই খুব হতাশ হবেন!
ব্যাপারটি বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না! এত সহজে তারা ভয় পেয়ে যাবেন কেন, তা বোধগম্য নয়!
তাছাড়া যে ঐতিহাসিক কাহিনিগুলো তুলে ধরা হচ্ছে, তা কতটুকু প্রামান্য? এইসব ইতিহাস রচয়িতারা যে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ইতিহাস রচনা করেননি, তার কি প্রমান আছে?
@কাজি মামুন,
আর মুহাম্মদের জন্মের আগের তার বাবা আব্দুল্লাহর নামের সাথে যে আল্লাহ শব্দটা আছে, সেটা কার? মুহাম্মদের স্ত্রী খাদিজা নামটা কার দেয়া? হজরে আসওয়াদ বা কালো পাথরে চুমো কার শেখানো? কোরানে মুহাম্মদের আল্লাহ যে পাহাড়-পর্বত, নক্ষত্র-তারা, দিন রাত্রির কসম খান ওগুলো কার? মুহাম্মদ আমাদের যুগে জন্ম নিলে বড়জোর এক শায়েখ আব্দুর রহমান বা বিন লাদেন হতে পারতেন, নবি হতে পারতেন না।
হাসিনা আর খালেদারে ধইরা পল্টন ময়দানে ঈদে-মোবাহিলায় বসায় দেয়ার কাম ।
@অনিক আহসান,
জামাতের নেতাদের মোবাহিলায় বসায়ে দিতে চাইলেন না কেনো?
সত্য সহায়।গুরুজী।।
যা ভেবেছিলাম। যীশূর জন্ম্ রহস্য নিয়ে মুবাহিলা করতে এসে পরাজয় মেনে নিয়ে শান্তি চুক্তি কেন করতে হল সেটা কোথাও খুজে পাইনি। এখন ব্যাপারটা পরিস্কার হল।
বোঝাই যায় সাইকোলজিক্যালি কিভাবে প্রতিক্ষকে দূর্বল করা যায় বা প্রভাবিত করা যায় সে সম্পর্কে উনি মোটামুটি এক্সপার্ট ছিলেন।
পরিশেষে,বাংলাদেশে ঈদে-মুবাহিলা চালু করার অনুরোধ জানাই। এতে করে যদি কিছু মামলা-মোকদ্দমা, শারীরিক ভীতি দেখানো, কিংবা সন্ত্রাসী-জঙ্গী হামলা কমে তাতেও লাভ। আল্লাহর উপর ভরসা রেখে শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিপক্ষের উপর গজব নাজিল করার জন্য এর চেয়ে ভাল সমাধান আর পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। 🙂
ধন্যবাদ।
@হোরাস,
সময় করে আলী সিনার সাথে একজন পাকিস্তানি মুসলমানের ভেরি ইন্টারেষ্টিং মোবাহিলা এখানে পড়ুন।
আকাশ ভাই
সম্পুর্ন ভিন্নধর্মী একটি লেখা, এ সম্বন্ধে বিন্দুমাত্র ধারনা ছিলনা।কিছু প্রশ্ন ছিল আপনার কাছে
১। শান্তির ধর্ম ইসলাম ছাড়া আর কোন ধর্মে অভিশাপ প্রদানের ব্যাপারে সরাসরি স্রষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন কি?
২। পরাক্রমশালী রোমান সম্রাজ্য কিভাবে এত সহজে মোসলমানদের পদানত হল? আমার জানামতে যুদ্ধবিদ্যা ও আধুনিকতায় তারা অনেক অগ্রসর ছিল।
একটা ব্যাপার পরিস্কার বুঝলাম নিজের নবীত্ব প্রমানের জন্য মুহম্মাদ প্রায় সব সহজ ব্যাপারকে ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে করতেন।খীষ্টান লোকগুলো ভালো জামাকাপড় পরে তার সাথে দেখা করলে কি এমন ক্ষতি হত?তাদের কাপড় পরিবর্তন করতে বাধ্য করা হল।নবীত্বের নামে অন্য ধর্মের সাথে কি নিদারুন পরিহাস।
ধর্মের দাওয়াত দেওয়ার কি অদ্ভুত পদ্ধতি আমার ধর্ম মানো অথবা আমাকে কর দাও। তখন আর কারো মাথায় ছিলনা “লাকুম দীনিকুম অল ইয়াদীন”।খ্রিষ্টানদের যীশুকে নিজের করে নিয়ে তাদের অপর ই বসানো হচ্ছে কর!!!!!!!!!!!!!
একটা ব্যাপার বোঝা গেলো মীশরীয় বাদশার বুদ্ধি ছিলো অনেক বেশী তাই তিনি মুহম্মদের মনের ভাষা বুঝে ধর্মের দাওয়াত গ্রহনের পরীবর্তে একটা সুন্দরী দাসী(মারিয়া) পাঠিয়ে সমস্যার সহজ সমাধান করে ফেললেন।
@ছন্নছাড়া,
পরাক্রমশালী রোমানদের সাথে যুদ্ধের পরিণতি আঁচ করতে পেরেই মুহাম্মদ অন্যান্য যুদ্ধের চেয়ে ভিন্ন রকমের বিশেষভাবে Preparations বা প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। একই যুদ্ধে মুহাম্মদ বিভিন্ন প্রকারের Tactics ব্যবহার করতেন। তম্মধ্যে ছিল যেমন, উপস্থিত বুদ্ধি দ্বারা শত্রুপক্ষকে সুক্ষ্ম প্রতারণা করা, যুদ্ধের ক্ষেত্র বা ভৌগুলিক অবস্থান সম্মন্ধে ভাল জ্ঞান রাখা, গোয়েন্দা মারফত (মাঝে মাঝে ছোট ছোট কিশোর পাঠায়ে) শত্রুদের অবস্থান ও গতিবিধি জানা, নিজের সৈ্নিকদের কাছে টার্গেট গোপন রাখা, কোরানের বাণী দিয়ে নারী ও সম্পদের লোভ দেখানো, যে দেশ আক্রমন করবেন সেই দেশের রাষ্ট্র প্রধানের কাছে প্রতারণামূলক চিঠি দেয়া ইত্যাদি। তবে এসব কিছু বাদ দিলেও মানতেই হবে মুহাম্মদ সেই সময়ের জন্যে একজন শ্রেষ্ট যোদ্ধা ও সেনাপতি ছিলেন। তার সুনিপুণ War Strategy আর Tactics ই বিজয়ের কারণ ছিল।
@আকাশ মালিক, ভাইয়া তবু আমার সন্দেহ আছে। সত্যি কি ৩০০০ সৈন্য নিয়ে ১ লাখ কে হারানো সম্ভব সেটা যতই ধোঁকা দিক?সত্যি কি মুসলিমদের ৩০০০ আর খ্রিষ্টানদের ১ লাখ ছিল মুতার যুদ্ধে? নাকি এটা মুসলিম ঐতিহাসিকদের অতিরঞ্জন?
যাহোক পুরা লেখাটাই পড়েছি। অনেকদিন পর আপনার কাছ থেকে এমন লেখা পেলাম। অসাধারণ লাগছে। আশা করি নিয়মিত ইসলাম নিয়ে আপনার লেখা গুলো পাব।
শুভেচ্ছা রইল। (F)
@ছন্নছাড়া,
এমন বেয়াদবির নজির কেউ আগে দেখায়েছে বলে আমি জানিনা। অবশ্য মুহাম্মদের আগে কোন নবিও দুনিয়ায় ছিলেন না। জামাকাপড় পরিবর্তন করতে বাধ্য করানোর পর, সামনে কী আছে তা কারো বুঝতে অসুবিধে হয়? ঐ আয়াতের শানে নুজুলে বলা হয়েছে, মুহাম্মদের সাথে আলোচনা চলাকালে খৃষ্টান নেতার কথার বিপরীতে আল্লাহর বাণী নাজিল হয়। হায়রে আল্লাহ, তোমার কোরানের এই দশা? দুনিয়ার মানুষ, আজও মুহাম্মদকে চিনতে পারলোনা।
@আকাশ মালিক, মনে রাখবেন এই পৃথিবী এবং মরার পরে ও কখনো আপনি মানসিক শান্তি পাবেন না। কারন শান্তি একমাত্র আল্লাহ তাআলার হাতে।