আমার প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। আমি এই ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম, শিক্ষক ছিলাম। বুয়েটে আমার জীবনের নয়টি সোনালি বছর আমি কাটিয়েছি।
দেশের শ্রেণিবিভক্ত সমাজে বুয়েট কোন্ শ্রেণির কাজে লাগছে তার আর্থসামাজিক বিশ্লেষণ এবং রাজনৈতিক বিতর্কে আজ আর না হয় নাই গেলাম। সে বিতর্কে না গিয়েও বলতে পারি, দেশের প্রকৌশল ও কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধিতে বুয়েটের যে একটা গৌরবজনক ভূমিকা আছে তা অস্বীকার করার জো নেই।
এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির আজ করুণ অবস্থা। ব্যাথাভরা মন নিয়ে আমি তাই দেখে এলাম।
এই সেদিন (২৭শে জুন, ২০১২) আমি বুয়েটে গিয়েছিলাম – পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র-শিক্ষকদের সাথে দেখা করার জন্য। বুয়েট আমার কাছে যেন এক তীর্থস্থান, দেশে গেলে বুয়েটে যাওয়াটা আমার জন্য ফরজ একটা কাজ।
পুরকৌশল বিভাগের প্রধান ডঃ মুজিবর রহমান বিরাজমান অশান্ত, অনিশ্চিত এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সত্বেও মাথাভর্তি শত ঝামেলা নিয়ে আমাকে ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য আয়োজিত একটা সেমিনারে বক্তব্য দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
(এই সুযোগে কৃতজ্ঞতা জানাই মুজিব ভাই ছাড়াও, বিভাগের শিক্ষক ডঃ রাকিব আহসান, ডঃ সেকান্দর আলী আর ডঃ মুক্তাদিরের কাছে। সেকান্দর আর মুক্তাদির বুয়েটে আমার সহপাঠী ছিলেন। বিভাগে সদ্য যোগদানকারী তরুন লেকচারার বাশার আমার দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন, ধন্যবাদ জানাই তাকেও।)
মুজিব ভাই অত্যন্ত গৌরবের সাথে সেমিনারে উপস্থিত ছাত্র-শিক্ষকদের কাছে আমার পরিচিতি দিচ্ছিলেন – আমি বিব্রত বোধ করছিলাম। বিব্রতভাব কাটানোর জন্য কিছুটা, আর কিছুটা আবেগের বশে বলেই ফেললাম আমার বক্তব্যের শুরুতে, ‘মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক, আমি তোমাদেরই লোক’। আমার পরিচিত শিক্ষকদের কয়েকজন, অনেক আগে আমার ছাত্র ছিলেন – বর্তমানে শিক্ষক – তাঁদের দুয়েকজন, এবং শেষ বর্ষের বেশ কিছু ছাত্র সিভিল বিল্ডিং-এর দোতালায় আমার বহুদিনের স্মৃতিবিজড়িত সেই সেমিনার কক্ষে উপস্থিত ছিলেন, আমার কথা শোনার জন্য। সাধারণতঃ নিরাবেগ মানুষ আমি -সেদিন আমিও কিছুটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম, অস্বীকার করবো না।
হ্যাঁ, আমার এখনো ভাবতে ভাল লাগে, আমি বুয়েটের লোক। তবে আজকের লেখাটা আমার বুয়েট-জীবনের স্মৃতিতর্পণ নয় – আমার প্রিয় প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক পরিস্থিতি মুক্তমনার পাঠকদের কাছে তুলে ধরার একটা অসম্পূর্ণ প্রচেষ্টা।
খবরে (জুলাই ১১, ২০১২) জানলাম – শিক্ষকরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান ধর্মঘট করছেন। যোগ দিয়েছেন শিক্ষার্থীরাও। তার আগে উপাচার্য এক নোটিশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছেন। শেষ খবরে জানতে পারছি, একযোগে পদত্যাগ করেছেন ডিন এবং বিভগীয় প্রধানেরা।
কেন এই পরিস্থিতি? এককথায় এর কারণ সরকারী দলের আস্কারায় বুয়েট কর্তৃপক্ষের নির্লজ্জ দলবাজী আর স্বেচ্ছাচারিতা।
বর্তমান উপাচার্য ড. নজরুল ইসলাম ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি। ভিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েই শুরু করেছেন দলীয়করণ। যেদিন দায়িত্ব নেন সেদিনই নিয়োগ দিয়েছেন কামাল আহমেদ নামে আরেক বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতিকে রেজিষ্ট্রার হিসেবে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে।
এই উপাচার্য খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়েও ভিসি ছিলেন। ব্যর্থতার দায়ভাগ নিয়ে সেখান থেকেও পদত্যাগ করেছিলেন, শুনেছি।
আর উপ-উপাচার্যের কথা কি বলবো। নিজেই নাকি নিজের জন্য এই পদটা সৃষ্টি করে নিয়েছেন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে। বুয়েটের রীতিনীতি ভঙ্গ করে আটান্ন জন সিনিয়র শিক্ষককে ডিঙ্গিয়ে তিনি সিলেকশন গ্রেড বাগিয়ে নেন। বুয়েটে বঙ্গবন্ধুর নামে একটা সংগঠনের তিনি উদ্যোক্তা। সজীব ওয়াজেদ জয়ের সাথে তোলা ছবি নাকি যত্রতত্র দেখিয়ে বেড়ান।
আরো দলীয়করণের নমুনা শুনতে চান? বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের এক সহ-সভাপতিকে উপাচার্য একাডেমিক কাউন্সিলকে পাশ কাটিয়ে কারচুপি করে একটা কোর্স ড্রপ করার সুযোগ করে দেন। পরে ধরা পড়ে একটা তদন্ত কমিটি করেন। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে তিনি যে অনিয়ম করেছেন এবং এখতিয়ার বহির্ভূত কাজ করেছেন তার প্রমাণ পাওয়া যায়।
এমন ‘করিৎকর্মা’ ভিসি আর প্রোভিসির পদত্যাগ দাবী করে বুয়েটের ছাত্র-শিক্ষকেরা আন্দোলন করছেন বেশ কয়েকমাস ধরে।
আন্দোলনরত সাধারণ ছাত্র আর শিক্ষকদের ভাবমূর্তিতে কালিমা লেপনের মহান দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন সরকারের মদদপুষ্ট মিডিয়া। তারা প্রচার করছে বুয়েটে জামাত আর হিজবুত তাহরিরের এজেন্টরা সক্রিয়। সরকারের গোয়েন্দারা নাকি বিশেষ সূত্রে জানতে পেরেছে।
শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ড. মাকসুদ হেলালীকে তারা হিজবুত তাহরিরের নেতা বানিয়ে ছেড়েছে। অথচ বুয়েটের নিবেদিতপ্রাণ এই শিক্ষক কিশোর বয়সে স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রত্যক্ষ অংশ নেন। ড. হেলালীর জীবনবৃত্তান্ত পড়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায় আমার মাথা অবনত হয়েছে।
বামপন্থী দলের সাথে যুক্ত থাকার কারণে আওয়ামি লিগের নিপীড়ণের শিকার হয়ে জেল খাটেন কয়েক বছর। মুক্তিযুদ্ধের আগের বছর এসএসসি পাশ করলেও তাঁর আর এইচএসসি দেয়া হয় নি। অবশেষে আটাত্তরে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে বোর্ডে প্রথম স্থান অধিকার করেন। বুয়েটেও ভাল ফল করেন এবং শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান।
শুধু ড. হেলালী নন, বুয়েটের আরো অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার শুরু হয়েছে সরকার-সমর্থিত পত্রপত্রিকায়। নমুনা দেখুন এখানে –
আজকের (জুলাই ১২, ২০১২) জনকণ্ঠের পুরো প্রতিবেদনটা পাবেন এখানে
রিপোর্টের এই অংশটা উল্লেখযোগ্য –
“এর আগে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও বুয়েটের প্রগতিশীল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সরকারকে কয়েক দফা সতর্ক করেছিল বুয়েটের সরকারবিরোধী মৌলবাদী চক্রের বিরুদ্ধে। কেবল গণমাধ্যমের সংবাদ নয় সরকারের একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে বেরিয়ে পরে বুয়েটের চলমান শিক্ষক আন্দোলনের মূল রহস্যও। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রগতিশীল উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের নিয়োগের ফলে জামায়াত ও হিযবুত তাহ্রীর প্রভাবিত শিক্ষক সমিতির একচ্ছত্র আধিপত্য খর্ব হওয়াই বুয়েট আন্দোলন ও অস্থিরতার মূল কারণ। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোন অনিয়ম নয় বরং মহাজোট সরকারবিরোধী মৌলবাদী আদর্শের অনুসারীরা আধিপত্য বিস্তার করতেই মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বুয়েটকে অশান্ত করছেন। প্রতিষ্ঠানটির মাত্র ২২ ভাগ শিক্ষক বর্তমান সরকার ও প্রগতিশীল মতাদর্শের অনুসারী। ৭০ ভাগ শিক্ষকই বিএনপি-জামায়াত ও হিযবুত তাহ্রীরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। বাকি ৮ ভাগ শিক্ষক মোটামুুটি নিরপেক্ষ। কেবল তাই নয়, ১৩ সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষক সমিতির অধিকাংশই সরকারের ঘোরতরবিরোধী এবং তারাই হিযবুত তাহ্রীরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছাত্রদের মদদ দিচ্ছেন”।
সন্ত্রাস সৃষ্টি করে ছাত্রদের আন্দোলন থেকে নিবৃত্ত রাখার প্রয়াস দেখুন সরকারী ছাত্রলীগের কর্মকান্ডে।
আজকের প্রথম আলোয় (জুলাই ১২, ২০১২) –
“ছাত্রলীগের প্রচারপত্র: শিক্ষকদের সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে বুয়েটের ছাত্রাবাসগুলোতে প্রচারপত্র বিলি করেছে ছাত্রলীগ। গত মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে বুয়েট শাখার ছাত্রলীগের প্যাডে প্রচারপত্র বিলি করা হয়। সেখানে লেখা রয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত হিযবুত তাহ্রীর ও যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবির বুয়েট ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা প্রণয়ন করেছে। এই অবস্থায় যদি কোনো ছাত্রের বিরুদ্ধে সচেতনভাবে সরকারবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে ছাত্রলীগ কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করবে”।
জানি, বুয়েট কোন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। সারা দেশে যে অনাচার, স্বেচ্ছাচার চলছে তার তুলনায় বুয়েটে যা হচ্ছে তা হয়তো এমন কিছু নয়। তবুও বলবো, যেখানে অনাচার সেখানেই প্রতিরোধের প্রয়োজন রয়েছে। বুয়েটের ছাত্র-শিক্ষকদের এই আন্দোলন সফল হোক।
দুই দশকে বুয়েট ভিতরে ভিতরে কী পাল্টে গেছে সেটা বলতে পারবো না হয়তো একশত ভাগ ঠিকঠাক। কিন্তু এটা বাহ্যত বলা যায়,(১) শিক্ষকদের মুখে দাড়ি গজিয়েছে জ্যামিতিক হারে ( বর্তমান ভিসি ডঃ নজরুল ইসলামসহ),(২) কুরআনে বিজ্ঞানের সূত্রের উল্লেখ আছে এই বিশ্বাস বেড়েছে ছাত্র-শিক্ষক অনেকের মধ্যেই,(৩) শুক্রবারসহ নানাদিনগুলোতে হুজুর শিক্ষকদের আনাগোনা বেড়ে গেছে ছাত্রহলগুলোতে,(৪) পরীক্ষার আগে শিক্ষক চল্লিশদিনের চিল্লায় চলে গেছেন অধীনস্ত ছাত্রদের ফেলে রেখে এবং নিজের সুন্দরী স্ত্রী আর সন্তানদের বাইরে থেকে তালাবন্ধ করে ( যেমনটি আমার শিক্ষক করেছিলেন),(৫) ডঃ শাজাহানের মতো ক্ষমতাসীনদলের অনুগত দালাল শিক্ষকেরাই ভিসি পদে বসছেন এখনো,(৬) আমার শিক্ষক নিপাট ভদ্রলোক ডঃ হাবিবুর রহমানের (বর্তমান প্রো-ভিসি) মতো নিরীহ মানুষেরাও রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন,(৭) এখনো শিক্ষক নিয়োগের সময় দেবাশীষ সাহা-রা নানা ছুঁতোয় বাদ পড়ে যাচ্ছেন,(৮) বুয়েটের শিক্ষকদের মধ্যে ধর্ম সামাজিকতার এমন একটি অত্যাবশকীয় উপাদান হয়ে আছে যে,নারায়ন দেবনাথের মতো মেরুদন্ডহীন শিক্ষক নাম পাল্টে দাড়ি টুপী নিয়ে মসজিদে দৌঁড় শুরু করছেন,(৯) ডঃ আহমদ শরীফের মতো আরো অনেকেই এখনো বুয়েটকে “মহামাদ্রাসা” না্মেই আখ্যা দিচ্ছেন,(১০) এখনো হয়তো কোন শিক্ষক পাশ্চাত্য দেশে পিএইচডি করতে এসে নাউজুবিল্লাহ বলে নবীজির দেশ থেকে হজ্জ্ব মোবারক সমাপনান্তে দেশে ফিরে যাচ্ছেন( যেমনটি আমাদের সময় হয়েছিলো এক শিক্ষকের ক্ষেত্রে),(১১) কোন ছাত্রী বিয়ের আগের রাতে বাপ মায়ের ঠিক করা মোল্লা মার্কা বুয়েট শিক্ষককের হাত থেকে বাঁচার আশায় সহপাঠীকে নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে,(১২) বুয়েটের হাজারো ছাত্র ( কিছু ব্যতিক্রম বাদ) আমেরিকা কানাডায় হালাল মাংশের খোঁজে নাভিশ্বাস ফেলছে ধর্ম রক্ষার্থে, এবং (১৩) সর্বোপরি, বুয়েট থেকে পাশ করা বাংলাদেশের উজ্জ্বল মুখগুলো বুয়েট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে!!!
@ভজন সরকার,
(Y)
প্রতিটা পয়েন্টের সাথে কম-বেশি একমত, কেবল ৬ নম্বরে ড: হাবিবুর রহমানকে নিপাট ভদ্রলোক আর নিরীহ কেন বললেন, তা বোধগম্য হলো না। কেবলই চেহারা-সুরতের কারণে?
প্রাসঙ্গিক: আহসানউল্লা হল (উঃ)-এ প্রতি বৃহস্পতিবার (সম্ভবতঃ) “বৈদিক সংঘ”-এর সমাবেশও হয় কিন্তু, যেখানে ইসকনের লোকজনের আনাগোনা দেখা যায় প্রতিনিয়ত।
সাপ্তাহিক-এর প্রতিবেদন, ‘কাঁদছে শিক্ষামন্ত্রী ডুবছে শিক্ষাব্যবস্থা’
অনেক অনেক ধন্যবাদ, সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা-কে।
চুম্বক অংশগুলো
“অচলাবস্থা চলতে থাকলে এর থেকে কী সরকারের বা প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক কিছু পাওয়ার আছে? এই ভিসিকে রেখে যে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, সেটা কেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পারছেন না? নাকি বুঝতে চাইছেন না?”
“কিন্তু যারা আন্দোলন করছেন তারা সবাই জামায়াত শিবির, হিযবুত তাহরীর- এই প্রচারণার কী সামান্যতম সত্যতা আছে? এটা কী বুদ্ধিদীপ্ত প্রচারণা, না নির্বোধের প্রলাপ? বুয়েটের প্রায় সব শিক্ষক জামায়াত করে? ২৫ জন ডিন যারা পদত্যাগ করলেন এরা জামায়াতের সদস্য? এরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান না? বুয়েটের সব ছাত্রছাত্রী শিবির করে, হিযবুত ও তাহরীরের সদস্য? এতটা নির্বুদ্ধিতার পরিচয় কেন দিচ্ছে সরকার?”
“এত ভালো কাজ করার পরও তিনি (শিক্ষামন্ত্রী) সমালোচিত হচ্ছেন। কারণ, কিছু কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই তার ইমেজের সঙ্গে মিলছে না। তার ইমেজের বিপরীত কাজগুলো কেন সামনে আসছে? এটা কী ক্ষমতার প্রভাব? বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।”
“বুয়েটের এই অযোগ্য ভিসি, প্রো-ভিসি, রেজাল্ট পরিবর্তন- এসব কলঙ্কজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে যদি আন্দোলন না হতো, যদি শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে না যেতেন, যদি ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলনে যোগ না দিতেন, যদি প্রতিবাদ- প্রতিরোধ না হত- তবে ধ্বংস হয়ে যেত বুয়েট। ঐতিহ্য হারাত বুয়েট। যেহেতু তা হয়নি, অন্যায়ের, অনিয়মের, অনৈতিকতার প্রতিবাদ হয়েছে, প্রতিরোধ হচ্ছে- সেহেতু বুয়েট ধ্বংস হবে না। বুয়েট তার শক্তি-সামর্থ্য-যোগ্যতা নিয়েই টিকে থাকবে।
“আসলে বিচ্ছিন্নভাবে নয়, আমাদের পুরো ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ জরুরি হয়ে পড়েছে। যারা শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা করছেন, শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে রসিকতা করছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে পুরো জাতিকে। তা না হলে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার অরাজকতা দূর হবে না।”
এই মন্তব্যের মাধ্যমে আমি বাংলাদেশের বাইরে অবস্থানরত বুয়েটের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-শিক্ষক সবার কাছে আবেদন জানাচ্ছি বুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মুজিবর রহমানের কাছে তাঁদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইমেইল ম্যাসেজ পাঠাতে। ড. মুজিবর রহমানের ইমেইল ঠিকানা – [email protected]
ধন্যবাদ, আকাশ চৌধুরী।
শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে আমি হতাশ। মনে হচ্ছে ওনার ওপরে আরো বেশি ক্ষমতাধারী কারো কর্তৃত্ব কাজ করছে। সংকট নিরসনে ব্যর্থতার দায়ভার চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন শিক্ষকদের ওপরে।
অবাক হলাম দেখে যে, শিক্ষামন্ত্রী ভিসিকে কিছুই বলছেন না। ভিসির বুয়েটকে বিক্রি করে দেবার এখতিয়ার আছে, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি আর বিদেশ থেকে শিক্ষক নিয়ে এসে বিশ্ববিদ্যালয় চালাবেন, এই দম্ভোক্তিগুলোকে শিক্ষামন্ত্রীর মোটেও উস্কানিমূলক কথা মনে হলো না!
অথচ শিক্ষকদের সব আন্দোলন সরকারের একটা মাত্র সিদ্ধান্তের ওপরে নির্ভর করছে, আর তা হচ্ছে ভিসি আর প্রোভিসির অপসারণ।
স্যারকে অসংখ্য ধন্যবাদ, বুয়েটের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরার জন্য। চোখের সামনে প্রাণপ্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, একজন প্রাক্তন ছাত্রের কাছে এর চাইতে বেদনাদায়ক অার কিছু নেই। অাগামী রবিবার স্যারেরা গণপদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, অথচ বুয়েটের সংকট নিরসনে এখনো সরকারের কোন ইতিবাচক পদক্ষেপই দেখতে পাচ্ছি না। শিক্ষামন্ত্রীতো উল্টো জনকণ্ঠের স্টাইলে অান্দোলনকারীদেরকে একহাত নিলেন।
আমার মেয়ে এ ভিসির বিভাগের ছাত্রী। তার কাছ থেকে শোনা, সত্য মিথ্যা জানি না বা এটা বাজারে কেউ ছেড়ে দিয়েছে যে এ ভিসি শেখ হাসিনার প্রাইভেট টিউটর ছিলেন। কাজেই প্রধানমন্ত্রীর প্রাইভেট শিক্ষক বলে কথা!
আর জাহাঙ্গীরনগরের পর বুয়েট। আহমেদ ছফার গাভী বৃত্তান্ত বইয়ের ভিসির কথাই মনে করিয়ে দেয়।
বুয়েটের শিক্ষক দের কাছে বিনীত নিবেদনঃ নিজেদের স্বার্থে একে এভাবে ধর্ষিত হতে দিবেন না………।।
আজ বেশ কয়েকদিন হয়ে গেলো বুয়েটে ভিসির পদত্যাগ নিয়ে ছাত্র-শিক্ষক আন্দোলন চলছে । নানা মুখি উদ্যোগেও কোনো কাজ হয়নি। উভয় পক্ষ তাঁদের অবস্থানে অনড় । সরকার অনেকটা নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় লোক দেখানো কিছু আলাপ-আলোচনা করছে। এরকম পরিস্থিতিতে যেকোনো সন্মানি মানুষের পক্ষে একটা রাস্তায় খুলা থাকে আর তা হলো আন্দোলন বহুমুখি গতি পাওয়ার পূর্বেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে নিজের সন্মান কে অক্ষুন্ন রাখা। বুয়েটের ভিসি সন্মানি মানুষ হয়েও নিজের জেদ এর জন্য নিজের সন্মান রাখতে পারলেন না। এটা অত্যন্ত দুঃখের । তিনি নিজের সন্মানের সাথে বুয়েটের ঐতিহ্য , সন্মান কে ভুলন্ঠিত করলেন। বুয়েটের এত দিনের অর্জিত সন্মান, স্বকীয়তা , অনন্যতা কে ধর্ষিত হতে দিলেন।
বুয়েটের ভিসির বিরুদ্ধে যতগুলো অভিযোগ এসেছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো বুয়েটের এক ছাত্রের একটা কোর্স উইথড্র্ব নিয়ে । যা অনেক মহল প্রচার করছেন রেসাল্ট পরিবর্তন হিসেবে। এই প্রচারণার পিছনে ইন্ধন দিচ্ছেন বুয়েটের ই কিছু শিক্ষক, তাঁদের আন্দোলনের গ্রেভিটি বুজাতে। তাঁরা একবারও ভাবছেন না তাদের এই ক্ষুদ্র অতি ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য তিল তিল করে অর্জিত এক অনন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিভাবে বিতর্কিত হয়ে যাচ্ছে !!!
যারা বুয়েটের সিস্টেম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না তাদের জন্য বলছি :
বুয়েটে কোনো ছাত্র যদি ১ টার্মে (ধরি লেভেল-২, টার্ম -১) ৯ টা কোর্স নিবন্ধন করে (৫ টা থিওরি, ৪ টা সেসনাল), আর টার্ম ফাইনাল পরিক্ষায় যদি কোনো কারণে ২ টা বা ৩ টা থিওরি পরীক্ষা দিতে না পারে তাহলেও সে লেভেল-২, টার্ম -২ তে প্রোমোটেড হবে। কিন্তু তার গ্রেড শিটে ঐ কোর্স গুলো F গ্রেড আসবে। তাকে ঐ ২ টা বা ৩ টা কোর্স পরবর্তী সুবিধাজনক সময়ে পুনরায় ক্লাস করে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে হবে। এখন ঐ ছাত্রের যদি পরীক্ষায় অনুপস্থিতির যুক্তিযুক্ত কারন থাকে (যেমন-শারিরিক অসুস্থতা, তবে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট থাকতে হবে বুয়েট হাসপাতাল ডাক্তার এর) তাহলে সে তার নিবন্ধন থেকে ঐ কোর্স গুলো উইথড্র্ব করার আবেদন করতে পারে। এক্ষেত্রে গ্রেড শিটে ঐ কোর্স গুলো F গ্রেড দেখাবেনা। যা সে পরবর্তী সময়ে ফ্রেশ কোর্স হিসেবে নিবন্ধন করতে পারবে।
এই ধরণের একটা আবেদনে ভিসি সরাসরি সাইন করেছেন, যা বুয়েট অধ্যাদেশ এর ক্ষমতা বলে ভিসি পারেন। কিন্তু নিয়ম হল আবেদন টা ঐ ছাত্রের এডভাইজার হেড বরাবর ফরওয়ার্ড করবেন আর হেড ভিসি বরাবর ফরওয়ার্ড করবেন। এখানে যা হয়েছে তা প্রশাসনিক চেইন ভঙ্গ। এই লঘু পাপের শাস্তি এতো গুরুতর হতে পারেনা যে ১৯৬২ সাল থেকে দক্ষিন এশিয়ার সব থেকে নাম করা, এই দেশের সব থেকে মেধাবী ছত্র দের জায়গা কে কিছু মানুষ বিতর্কিত করে দিবে।
শ্রদ্ধেয় স্যার, আপনাদের সব দাবির সাথে আমি একমত, কিন্তু দয়া করে নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য এমন একটা নিয়ম ও মেধার পবিত্র স্থান কে এতো নীচে নামাবেন না প্লিজ ।
ভিসি স্যার, আপনার সরাসরি একজন ছাত্র হিসেবে আপনার কাছে বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি, সন্মান নিয়ে চলে যান , এই মেধার মিলন মেলার সন্মানি জায়গা টাকে আর ধর্ষিত হতে দিয়েন না দয়া করে!!
@স্বপ্ন,
মানবীয় ভিসি সাহেবের বিরুদ্ধে কি সবেধন নীলমনি এই একটাই ‘লঘু’ অভিযোগ পাওয়া গেছে?
লীগের পেটোয়া বাহিনী কর্তৃক ‘০৬ ব্যাচের ছেলেকে পেটানো ঘটনায় ওনার এবং প্রো-ভিসির ভূমিকা কি কিছু ছিল? এ সম্পর্কে কি বলেন?
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কামাল আহম্মেদ কে ভূতাপেক্ষ নিয়োগ দিয়ে রেজিস্টারের চলতি পদে বসানো বিষয়ে কি বলেন?
নাকি এসব সুপ্রীম কোর্টে প্রমানিত ঘটনা নয়, কিংবা অন্য সরকারের আমলেও দেশের নানান বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটেছে, বুয়েটেও হয়েছে কাজেই এক্ষেত্রে এসব নিয়ে এখন প্রতিবাদী হওয়া মানে জামাত শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়নে শরিক হওয়া?
ভিসি তাঁর নির্লজ্জতার প্রমান দিয়েছেন , বুয়েটের পরিবেশ নষ্ট করেছেন, দুর্নীতি করেছেন , এরকম অনেক কথাই আপনারা বলেছেন। ভিসির মতো শক্ত সন্মানি একটা পোষ্ট কে এভাবে ঢালাও অভিযোগ করার মতো বেশিনা ২ টা প্রমান আপনাদের কাছে আমি চাচ্ছি। দয়া করে বলবেন কি???
@স্বপ্ন,
তার আগে বলবেন কি সম্মানী পোষ্ট কি জিনিস? ভিসির পদ সম্মানের, কিন্তু সেই পদের চেয়ারে বসলেই কি তাকে জ্বী হুজুর বলে সেলাম ঠুকতে হবে? সম্মান, শ্রদ্ধা ব্যাপারটা অর্জনের কোন পদের চেয়ারে বসে যেটা পাওয়া যায় সেটা আনুষ্ঠানিকতা, আর কিছু নয়।
আমাদের দৃষ্টিতে যেকোন ভিসি একজন প্রফেসর, প্রফেসর থেকে ডিপার্টমেন্টার হেড, ডীন হওয়ার মত করে একটা সময় কিছু কিছু প্রফেসর ভিসিও হন। দ্যাটস অল। নজরুল ইসলাম স্যার ভিসি বলে বিশেষ সম্মানী হয়ে গেলেন আর অন্য প্রফেসররা ভিসি নন বলে তারা চামচিকা হয়ে গেলেন (আপনার ভাষ্য মতে) এমনটা ভাবার মত নিরেট আমাদের মানসিকতা বা মস্তিষ্ক কোনটাই নয়। নজরুল ইসলাম স্যারের একজন ভিসি হিসেবে যে সম্মানটা পাওয়ার কথা ছিল সেটা তিনি অর্জন করতে পারেনি।
এই ভিসির ঠিক আগে শফিউল্লাহ স্যার ভিসি ছিলেন। কোথায় কোনদিন শফিউল্লাহ স্যারকে নিয়ে তো ছাত্ররা কটু কথা বলেনি। তাকে ত কেও তার পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য আন্দোলন করেনি, কেউ তাকে কোনদিন অসম্মান করেনি। শফিউল্লাহ স্যারকে আমি আমার বুয়েট লাইফে যতটা দেখেছি প্রত্যেকটা ছাত্র তাকে সম্মান করত। শ্রদ্ধা করত। তিনি মানুষ হিসেবে, প্রফেসর হিসেবে, এবং ভিসি হিসেবে সবভাবেই সম্মান অর্জন করতে পেরেছিলেন।
অভিযোগ চেয়েছেন?
১) ভিসি হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহণের দিনেই বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কামাল আহম্মেদ কে ভূতাপেক্ষ নিয়োগ দিয়ে রেজিস্টারের চলতি পদে বসানো, যা দলবাজীর প্রমাণ, এসব তিনি এবং তার প্রোভিসি অহরহই করেন।
২) ভিসি এবং প্রো-ভিসির প্রত্যক্ষ মদতেই বুয়েটে ছাত্রলীগ সন্ত্রাস করতে শুরু করেছে, ভিসি হয়ে আসার কিছুদিনে মধ্যে ছাত্রফ্রন্টের গৌতমকে পিটিয়েছিল, কিছুদিন আগে বুয়েট ০৬ ব্যাচের ছাত্র ঈশানকে পিটিয়ে তার দুই পা ভেঙ্গে দিয়েছিল, যে রাজনীতিও করত না। ছাত্রলীগের এইসব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভিসি প্রোভিসি তো কিছু বলছেই না, বরং তাতে মদত দিচ্ছে, ০৬ ব্যাচের ১২ জন ছাত্রের ট্রান্সক্রিপ আটকে রেখেছে, তারা ঈশানের পা ভাঙ্গার প্রতিবাদ আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল বলে, যেই সব নাম সরবারহ করেছে ছাত্রলীগ। ভিসি প্রোভিসি কতটা নির্লজ্জ পাচাটা লোক হলে সবুয়েটের প্রফেসর হয়ে কিছু ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীকে এইভাবে মদত দিতে পারে?
৩) ছাত্রলীগের দুই ছাত্রের গ্রেড শীট থেকে অবৈধ ভাবে দুইটি রেজিস্টার্ড সাবজেক্ট ছরিয়ে রেজাল্ট দূর্নীতি করেছে।
৪) তার দূর্নিতী এমন পর্যায়ের যে ভিসি তার ছেলেকে অবৈধভাবে বুয়েটের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করতে চেয়েছিল, বাবার দূর্নীতিতে সায় দিতে না পেরে ভিসির ছেলেই ইন্টারভিউতে হাজির হয় নি, ভিসি প্রো-ভিসি মিলে যেসব কুকর্ম করছে, তাতে তার নিজের ছেলের পর্যন্ত নৈতিক সমর্থন নেই। 😀
যত যাই কিছু হোক, বাবা অসৎ হলেও ছেলের নৈতিকতা বোধটুকু, আত্মসম্মান বোধটুকু
আছে। 🙂
এইরকম দূর্নীতি ভিসি প্রোভিসি এমনিতেই করেন। আপনার চোখে এইগুলো কোন অন্যায় মনে হয় না? তাই না? আপনিও কি ছাত্রলীগ করতেন? নাকি করেন? বলবেন নাকি ঈশানের পা ভাঙ্গা কোন দোষ হল নাকি? ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি কোন দোষ হল নাকি? প্রতিবাদী ছাত্রদের রেজাল্ট আটকে রাখা কোন অন্যায় হল নাকি? এইগুলো ভিসির এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। বলবেন নাকি এইগুলো?
দূর্নীতিবাজ নির্লজ্জ দলবাজিকারী ভিসি প্রোভিসির অপসারণ চায় বুয়েটের সাধারণ ছাত্র, শিক্ষক, অ্যালামনাই সবাই। এতো আন্দোলনের মুখে কিভাবে একজন আত্মসম্মান বিশিষ্ট মানুষ গদি ধরে বসে থাকে?
২)
@স্বপ্ন,
httpv://www.youtube.com/watch?v=TwrRq8ysR3g
দয়া করে এই ভিডিওটা দেখে নিজ কানে শুনে নেন, ভিসি বলছেন তার নাকি বুয়েট বিক্রি করারও এখতিয়ার আছে। বুয়েট কি ভিসি নজরুল ইসলামের পৈত্রিক সম্পত্তি নাকি তার কেনা সম্পত্তি যে তিনি বলেন বুয়েট বিক্রি করার এখতিয়ার আছে?
@নীল রোদ্দুর,
আপনার মন্তব্যসমূহে অনেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন, ধন্যবাদ। আসলে সমস্যাটা ওখানেই। এই ভিসি বুয়েটকে তার পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করতে শুরু করেছিলেন।
@নীল রোদ্দুর,
কিছুদিন আগে মনে হয় এক ভিডিও দেখেছিলাম সেখানে এক নদী জবর দখলকারি এক সরকারী এমপি প্রকাশ্যে টিভি চ্যানেলে বলছেন যে নদী তার বাপের সম্পত্তি, তিনি যা খুশী করতে পারেন। গুন্ডা বদমাশের পর্যায়ের রাজনীতিকদের পর্যায়ে যেখানে সমাজের সবচেয়ে উচ্চ শিক্ষিত জনে নামতে পারেন সেখানে পচনের বাকি আর থাকে কি।
দলীয় চশমা লাগিয়ে কেবল আগের সরকারের আমলের আরো মারাত্মক মারাত্মক নজির টেনে টেনে আত্মপ্রতারনা করে যাওয়াও আমাদের সংস্কৃতিরই অংশ হয়ে গেছে। অনেকে এখন আন্দোলনকারী ছাত্রদের উত্তেজিত কথাবার্তা কাজে লাগিয়ে আন্দোলন যে অযৌক্তিক প্রমান করে ফেলছেন। তারা নিশ্চয়ই বুয়েট বিক্রি করার ভিসির এখতিয়ারেও সায় দিয়ে যাবেন। কিংবা বুয়েট বিক্রি হয়ে মালিকানা বদল হলে তাতে ছাত্রছাত্রীদের কোন সম্পর্ক নেই এমন যুক্তি টেনেও প্রচুর বাহবা পাবেন।
@আদিল মাহমুদ,
ভাইয়া, ব্লগে অনেকে দেখি ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজন আছে বলে বুলি ছাড়েন, ছাত্র সমাজের রাজনৈতিক সচেতনতার দরকার আছে, অথচ তারাই আবার ছাত্র আন্দোলনের যৌক্তিকতা খুঁজে পান না, এতে নাকি ছাত্রদের কোন লাভ নেই। জানিনা, কি চায় আসলে এরা। সনি হত্যর পর বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ ছিল, দীর্ঘদিন। আবার শুরু হয়েছে, মারাত্মক ক্যান্সারের মত করে। বুয়েট আসলে এই ভিসি আসার পর চালাচ্ছে ছাত্রলীগ, তারা চাঁদাবাজি করছে, একে মারছে, ওকে হুমকি দিচ্ছে, আর ভিসি প্রোভিসি এইসব সন্ত্রাসের শেল্টার দিচ্ছে। একটা প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ছিল, তাও হয়ত আর থাকবে না। ব্লগীয় বুদ্ধিজীবিদের দ্বীচারিতা দেখে দেখে বিরক্ত লাগে। একদিকে ছাত্ররাজনীতির প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা করবে, আরেকদিকে ছাত্র আন্দোলনের কুফল অযৌক্তিকতা নিয়ে ব্লগ আর ফেসবুক কপচাবে।
@নীল রোদ্দুর,
🙂 .
ভিসি শাজাহান হঠাও আন্দোলনে আমরা শরিক হয়েছিলাম। আসলে শাজাহানের কী অপরাধ ছিল সত্যি সত্যিই তেমন পুংখানুপুংখু ভাবে জানতাম না। শুধু জানতাম যে তিনি নগ্ন ভাবে সরকারী দলের দালালি করে যাচ্ছিলেন, সেটাই যথেষ্ট মনে করেছি। কোন আমলে আরো কি মারাত্মক হয়েছিল, কি হলে কি না হতে পারত, ওনার যায়গায় অন্য কেউ আসলে ভাল হত তাও বলা যায় না এই জাতের যুক্তি তোলার মত মেধা আমাদের কারোই ছিল না। তখন আমার রাজনৈতিক বিশ্বাস ছিল আমাদের জেনারেশনের ট্রেন্ড অনুযায়ী বিএনপি কেন্দ্রিক, অধিকাংশ ছেলে পিলেরই তেমনই ছিল। অথচ সে আন্দোলনে কেউ কার কি দল, কোন দলে রাজনৈতিক সুবিধে পাবে কার অসুবিধে হবে এসব চিন্তা করিনি। এমনকি ছাত্রদল পর্যন্ত প্রথম দিকে বিরোধী করলেও পরের দিকে ব্যাপক জনমত ভিসির বিরুদ্ধে বুঝতে পেরে নীরব দর্শকের ভূমিকা নেয়। যতদুর মনে পড়ে শিক্ষক, কর্মচারী, ছাত্র সবার ধর্মঘটে তারাও যোগ দেয়। আমার ধারনা ছিল যে দেশের মানুষের মনে হয় ধীরে ধীরে হলেও অন্ধ দল প্রীতি, ব্যাক্তি পূজো এসবের রোগ দূর হচ্ছে। ক্রমেই মনে হচ্ছে আমার বোঝায় বিরাট ভুল ছিল, শাজাহান স্যার আজ বেঁচে থাকলে ওনার কাছে মনে হয় ক্ষমা চাওয়াই উচিত ছিল। বেচারাকে কত গালি দিয়েছি তখন, অথচ নজরুল/হাবিব স্যারের তূলনায় ওনার যে কি অপরাধ ছিল তাই মনে করতে পারি না। আমাদের যেহেতু মন্দদের থেকেই ভাল বাছাই নিয়তি এবং তা বদলের কোন চেষ্টা করা যাবে না কাজেই শাজাহান স্যারের কাছে ক্ষমা চাওয়াই উচিত।
এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ‘৯৭ সালে ৭ নম্বরে থাকা মেকানিক্যালের তাহের আলী স্যারকে দলীয় বিবেচনায় ভিসি বানানোর পায়তারা রোধে মূখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন এই লেখায় নাম আসা সেকান্দার আলী স্যার যিনি আজীবন ঘোরতোর লীগ সমর্থক। উনি নিজে আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীর অতি বিশ্বস্ত উপদেষ্টা এস এ মালেক, তোফায়েল আহমেদকে দিয়ে লবি করে অন্যায় নিয়োগ ঠেকানোর কথা বলেছিলেন। জিয়ার মন্ত্রী ইকবাল মাহমুদ স্যারকে লীগ আমলেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, সে নিয়ে কেউ কোন কথা বলার দরকার মনে করেনি। সে সব দিন মনে হয় বুয়েটের শেষ। সে সময়কার সরকারের মনে হয় সৌভাগ্য ছিল যে অন্ধ চাটুকাররা আশে পাশে কম ছিল।
দেশের মানুষের মনে হয় সেই সিইসি এম এ আজিজের কাছে ক্ষমা চাওয়া দরকার। বেচারা বিএনপির দালাল বলে তার অধীনে নির্বাচন করা যাবে না বলে বিরোধী দলের আন্দোলনে বেকুবের মত শরিক হয়ে আপামর জনতা কি অন্যায়ই না করেছিল। আরে নির্বাচন কমিশনের কে প্রধান সে দিয়ে সাধারন মানুষের স্বার্থের কি কিছু যায় আসে নাকি! ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ঘটিয়ে নির্বাচনে কারচুপিও দেশে নুতন কিছু না, অথচ একে কেন্দ্র করে কিছু লোকে রাজনৈতিক স্বার্থে আন্দোলন ফান্দোলনের নামে জ্বালাও পোড়াও করে দেশের কত ক্ষতি করেছিল। মনে হয় আজিজের নীল নকশার আগে অতীতে দেশে যাবতীয় নির্বাচন ফেয়ার হয়েছিল। কারচুপি যেন আর অতীতে হয়নি, তখন আন্দোলনকারীদের বিবেক নীতিবোধ কোথায় ছিল! দেশে এত সমস্যা ফেলে কার অধীনে কি নির্বাচন হচ্ছে এই নিয়ে ফালাফালি। ‘৭৩ সালের নির্বাচনের কিছু বর্ননা হুমায়ুন আজাদের ‘আমরা কি এই বাংলাদেশে চেয়েছিলাম’ বইতে আছে, জিয়া সাহেব, এরশাদ চাচার নির্বাচন তো মাত্র এইদিনের ঘটনা। দেশের খেটে খাওয়া মানুষের কাছে কে সিইসি, আর কে কেয়ার টেকার প্রধান আর প্রধানমন্ত্রী এসবে কিছু যায় আসে নাকি। গরীব দেশে আন্দোলনের নামে এইভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি করায় কার কি স্বার্থে বুঝতে কিছু বাকি থাকে।
ছাত্র রাজনীতির দরকার অবশ্যই আছে। এই তো রাজশাহীতে হিজবুত তাহরীর ষড়যন্ত্রে সরকারী ছাত্র সংগঠনের একজন শহীদ হলেন। নিঃসন্দেহে একে পুজি করে কিছু আঁতেল সুশীল সরকারকে তূলোধূনো করার অপচেষ্টা করবে, ছাত্র রাজনীতিকেও বেহুদা গালাগালি করবে। সত্যিই দূঃখজনক।
খুবই অবাক হলাম আপনার তথ্য বিবর্জিত, হাস্যকর একটা লেখা পড়ে । বুয়েটের ছাত্র আমিও ছিলাম। একজন ভিসি তার পদাধিকার বলে প্রো- ভিসি নিয়োগ দিতে পারেন । আর একজন ছাত্রের কোর্স ড্রপ দেওয়ার যে বিষয় আপনি তুলেছেন তা খুবই হাস্যকর । ভিসি -র ক্ষমতা, এখতিয়ার এবং বুয়েট অধ্যাদেশ সম্পর্কে আপনার বিন্দুমাত্র কোনো ধারণা আছে বলে আমার মনে হয়না। কথায় আছে হাতি যখন গাতায় (গর্ত) পড়ে চামচিকাও লাত্থি মারে। বুয়েটের অবস্থা হয়েছে এরকম। সরকারের শেষ সময়ে এসে বিএনপি জামাত জোটের কিছু শিক্ষক বাকিদের উত্তেজিত করে এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। এখানে সিভিল এর সিনিয়র শিক্ষক দের কিছু লাভ আছে, কারন তারাই তো বুয়েট এর ভিসি হন (বর্তমান টা বাদে)। আর বাকিরা হল ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা !!
@স্বপ্ন,
আমিও খুব অবাক হলাম আপনার রাজনৈতিক মদদ পুষ্ট এবং ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ভিসি এবং প্রো-ভিসির পক্ষে সাফাই গাওয়া দেখে। আপনার আদৌ বুয়েটের পরিবেশ সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই, সেটা বোঝা যাচ্ছে আপনার মন্তব্য থেকেই। বর্তমান ভিসি আমার শিক্ষক ছিলেন এবং বর্তমান প্রো-ভিসির সাথে বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ করতে হয়েছে। বর্তমান প্রো-ভিসি কতটা অযোগ্য মানুষ তা বোঝার সাধ্য যেকোন বুয়েট ছাত্রের আছে, আর বর্তমান ভিসি ভিসি হওয়ার আগেই আমরা জানতাম তিনি ভিসি হতে যাচ্ছেন এবং ভিসি হওয়ার আগে কেবল মেক্যানিক্যালের ছেলেমেয়েরা তার পরিচয় পেয়েছে, ভিসি হলে পুরো বুয়েট তার পরিচয় পাবে, এবং আসলেই পাচ্ছে।
ভিসির ক্ষমতা এখতিয়ার নিয়ে যেসব কথা বললেন,। সেগুলো আছে কি নেই সেটা কোন ব্যাপার ব্যাপার না, ব্যাপার হল, ভিসি এবং প্রোভিসি মিলে যা করছেন, সেটা অনৈতিক, বুয়েটের পরিবেশ এর বিপক্ষে। শুধু তাই নই, ভিসি, প্রোভিসি যে চরম নির্লজ্জ, তার প্রমাণ তারা দিয়ে চলেছেন। হাতি তো দূরের কথা, ভিসি প্রোভিসি হল নির্লজ্জ দূর্নিতীবাজ, যারা বুয়েটের ছাত্র থেকে প্রসাশনিক প্রধান হলেও বুয়েটের অযোগ্য, বুয়েটের নৈতিকতার শিক্ষা, বুয়েটের পরিবেশ সমুন্নত রাখার বোধ বুদ্ধি তাদের নেই।
আপনি যে কেবল মাত্র রাজনৈতিক কারণে ইরতিশাদ ভাইয়ের যৌক্তিক সময়োপযোগী পোষ্টকে হাস্যকর বলে নিজেও একটু নির্লজ্জ ভাবে ভিসি পক্ষে গান গেয়ে গেলেন, খুব স্পষ্ট করেই সেটা বোঝা গেলো। বুয়েটের পরিস্থিতি সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে হলে বুয়েটের ঐতিহ্য, পরিবেশ, সংস্কৃতি সম্পর্কে কিঞ্চিত ধারণা নিয়ে মন্তব্য করতে এসেন। নইল আপনার নির্লজ্জ রাজনৈতিক পক্ষপাত দুষ্টতাই নগ্নভাবে প্রকাশ পেয়ে যাবে।
@স্বপ্ন,
ভাই আপনার ধারনা বুয়েটের অধিকাংশ শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী রামছাগল; এরা বিএনপি জামাতের যেই চাল অনেকে হাজার হাজার মাইল বসে বুঝে ফেলছেন তারা তা বুঝতে অক্ষম? অবশ্য সরকার সমর্থক কিছু পত্রিকায় দেখেছি যে বুয়েটের ৭০% শিক্ষকই নাকি জামাতি/হিজবুতি।
আপনি প্রাক্তন বুয়েটের ছাত্র হিসেবে কিভাবে আশা করেন যে সম্পূর্ন রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রো-ভিসির মত পদে ৫০ জন সিনিয়রকে টপকে কারো নিয়োগ বিনা প্রতিবাদে মেনে নেওয়া যায়? শুধু নিজের পছন্দের দল সরকারে বলে? এর সুদুর প্রসারী ফল কি হতে পারে তা অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির দিকে তাকালে বুঝতে তেমন বাকি থাকে? সহসাই দেখতে পাবেন সরকার বদলের সাথে সাথে রাতের আঁধারে ভিসির চেয়ার দখল করে কেউ গর্বিত ভংগীমায় ভি চিহ্ন দেখাচ্ছেন। সেই প্রোভিসি সাহেবের যোগ্যতা কেমন তা বাদই থাকল।
@স্বপ্ন,
তো কি হইছে? আমিও বুয়েটেরই ছাত্র ছিলাম। আর যিনি এই পোস্টটা লিখেছেন তিনি শুধু ছাত্র নন, বুয়েটের শিক্ষক হিসেবেও ছিলেন, কাজেই আপনার বলা ‘আপনার বিন্দুমাত্র কোনো ধারণা আছে বলে আমার মনে হয়না’ উক্তিটাই হাস্যকর। উপরে নীল রোদ্দুরের মন্তব্য দেখেন, উনিও বুয়েটেরই ছাত্রী ছিলেন। আমাদের কারো কাছেই লেখাটাকে অযৌক্তিক মনে হচ্ছে না, সরি। বরং আমারই সন্দেহ হচ্ছে আপনার অনর্থক ঝোপঝাড় পিটানো দেখে।
– মাঝে মাঝে দেখি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হুমকি বিবেচনা করে এমনকি ফেসবুক ষ্ট্যাটাসের ভিত্তিতে কারো কারো নামে মামলা মোকদ্দমা হচ্ছে। জাহাংগীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রবাসী শিক্ষক মনে হয় তার ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুকামনা করে ক’লাইনের ষ্ট্যাটাস দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনী/একাডেমিক নানান ব্যাবস্থা নেওয়া হয়। আইনী চোখে অপরাধ হলে ব্যাবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
কথা হল ওপরের কথাগুলিও কি ষ্পষ্ট পেশী শক্তি ব্যাবহার করে হুমকি প্রদর্শন নয়? ফেসবুকের ব্যাক্তিগত ষ্ট্যাটাসও নয়, একটি শিক্ষাংগনে তারা প্রকাশ্যে লিখিত হুমকি প্রচার করেছে। এদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যাবস্থা কেন গ্রহন করা হবে না? আইনের এক চোখা প্রয়োগ আইন আদালতের প্রতি কোনদিন শ্রদ্ধা আনে না, আইনকে তামাশায় পরিনত করে।
ইরতিশাদ ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
বুয়েট সম্পর্কে গত ক’মাস যা শুনছি তাতে পরিষ্কার মনে হচ্ছে যে আসল ঘটনা যাইই হোক না কেন সেই নোংরা দলীয় রাজনীতিমুক্ত (পরম অর্থে না না হলেও আপেক্ষিক অর্থে অন্য যে কোন সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় মুক্ত ছিল বলা মোটেই অত্যুক্তি হবে না) বুয়েটের ফুনেরাল চলছে। বুয়েটে এর আগেও ভিসি হটাও আন্দোলন হয়েছে (আমাদের সময়ে শাজাহান স্যারকে হঠাতে ক’মাস বন্ধ ছিল), তবে সে সময়কার ইস্যু ছিল অনেকটা ব্যাক্তি কেন্দ্রিক। এখন মনে হচ্ছে ব্যাক্তি কেন্দ্রিক নয়, একটি নোংরা সংস্কৃতি কেন্দ্রিক। বুয়েটের শিক্ষকদের মাঝে শিক্ষাংগনে দলীয় রাজনীতির বিশ্রী চর্চা পরিহার করার মোটামুটি রেকর্ড ছিল তা মনে হয় এখন অতীত।
নানান জনের কথাবার্তা, সরকার সমর্থক পত্রিকার রিপোর্ট পড়ে মজাও লাগে। বুয়েটের ৭০ ভাগ শিক্ষক নাকি জামাতি/হিজবুতি, তাই এই আন্দোলন…যুদ্ধপরাধীদের বিচার ঠেকানোর আরেক ষড়যন্ত্র।। আমাদের সিভিলে মনে হয় ধর্মপ্রান শিক্ষক ছিলেন সবচেয়ে বেশী, কিন্তু সাথে সাথে তারাই লীগ সমর্থক দলে ভারী ছিলেন সেটাও সত্য। এখনকার কথা অবশ্য জানি না। তবে ধর্মপ্রান হলে এবং সরকারের বিরুদ্ধাচরন করলেই রাজাকারের সীল মারা দিনে দিনে দূরারোগ্য ব্যাধির মতই হচ্ছে।
শিক্ষক সমিতির নেতা মুজিব স্যারকে ভালভাবেই চিনি, ক্লাস নেওয়া ছাড়াও ওনার অধীনে ’৯৮ সালের বন্যার ওপর একটি প্রজেক্টে কিছু কাজ করেছিলাম। ওনার মত ভদ্রলোক সারা দেশের শিক্ষক সমাজেই মনে হয় খুব কমই আছে। উনি আজ জামাত শিবিরে যোগ দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছেন শুনে খাবি খাচ্ছি। আলোচিত সমালোচিত প্রো-ভিসি হাবিবুর রহমান স্যারকেও ভাল চিনি, ওনাকে নিরীহ প্রকৃতির লোক বলেই জানতাম। ওনার অধীনে দেশে থাকা অবস্থায় মাষ্টার্স থিসিস শুরু করেছিলাম। সেই বন্যা প্রজেক্টে উনিও জড়িত ছিলেন। উনি যে আওয়ামী সমর্থক তাও ছাত্রাবস্থায় কোনদিন শুনিনি। সময়ে কত কি পাল্টায়। পত্রিকার রিপোর্ট পড়ে হাসিও লাগে, আগের শিক্ষক সমিতির নেতা জয়নুল আবেদিন স্যারকেও ষড়যন্ত্রে নামিয়ে দিয়েছে, অথচ এই হাসিখুশী অমায়িক ভদ্রলোক লীগ সমর্থক বলেই জেনে এসেছি। কাল তো মনে হয় দেখলাম জামিল স্যারও ষড়যন্ত্রকারীদের সমাবেশে যোগ দিয়ে বক্তব্য দিয়ে এসেছেনঃ)। ওনার কিছু বক্তব্য আবার দেখি পদ্মা সেতুতে কোন দূর্নীতি হয়নি বা বিশ্বব্যাংকই আসল চোর এটা প্রমানে ব্যাবহৃত হয়।
আম জনতার প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয় না আমাদের তেমন চিন্তিত হবার কিছু আছে, এবার না হলেও সময়ের সাথে সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয়ও অন্যগুলির মতই হবে মনে হচ্ছে। বুয়েট ভিসিকে দেখা যাবে নাসিরুদ্দিন পিন্টু জাতের এমপির গলায় মালা পরাচ্ছে, তারেক জিয়া বা হাজি সেলিমের চারিত্রিক সার্টিফিকেট দিচ্ছে, শিক্ষকের রুমে সন্ধ্যাবেলা রুদ্ধদার পড়াশুনার পর কেউ কেউ শিক্ষক বনে যাচ্ছে। বলতে সংকোচ হলেও মনে হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের সুযোগ বঞ্চিত হবার কারনে সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিশেষ ব্যাক্তিগত খেদ আছে। এর সাথে যোগ হয়েছে যুদ্ধপরাধীদের বিচারকারি সরকারের প্রতি অন্ধ সমর্থন আর সদা সর্বত্র রাজাকার বদর সনাক্তকরনের মারাত্মক মরন নেশা। তারা মনে মনে এই প্রতিষ্ঠানও অন্য গুলির মতই নামুক এটাই চান। অদ্ভূত সব যুক্তি…বিএনপি আমলে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীদের গুলিতে সনি মারা গেছিল, তখন কোথায় ছিল আন্দোলন…অমূক আমলেও অমূকে নিয়োগ পেয়েছে তখন কই ছিল নীতিবোধ…সব আমলেই আসলেই কিছু কিছু অনিয়মের উদাহরন বার করাই যায়। তাই বলে বুয়েটকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিনত করা হবে আর অতীতে কোন চিপায় কে কি করেছে সেসব জপ করে নীরব থাকতে হবে? বুয়েটের কৃতিত্ব কি তা অনেকে জোর গলায় জিজ্ঞাসা করছেন, বুয়েটিয়ান দেশের পয়সায় পড়ে বিদেশে পালিয়ে যায়…দেশে যারা থাকে তারা দূর্নীতিবাজ এসবও প্রমান করে ফেলছেন। তাদের নিজেরা বা তাদের সন্তানরা বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেলে নিঃসন্দেহে তারা কঠোর নীতি বোধের পরিচয় দিয়ে বুয়েটে পড়াবেন না ধরে নেওয়া যায়। কাজেই এই প্রতিষ্ঠান গোল্লায় গেলে যাক না, আমাদের কি করার আছে?
অনেকে আবার আরো সরেস, তারা আন্দোনের কালচারই মানেন না, যদিও অপছন্দের সরকার ক্ষমতায় থাকলে মনে হয় না আন্দোলনে তেমন সমস্যা দেখবেন।
বলতে খারাপ লাগলেও মনে হয় সব কিছুর মাঝে রাজাকার বদর বার করা যে দেশকে ভবিষ্যতে কোথায় নেবে তা ভাবার সময় এসেছে। তবে কাকে কে কি বোঝাবে। সরকারী দলের ও তাদের অন্ধ সমর্থকদের যত্রতত্র রাজাকার বদর নাম করনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে যুদ্ধপরাধীদের বিচার আসলেই আওয়ামী লীগ রাজনীতির স্বার্থেই করছে বিরোধী দলের এই প্রচারনাই দিনে দিনে প্রতিষ্ঠা করবে। রাজাকার শব্দটাই ধীরে ধীরে তামাশায় পরিনত হবে।
@আদিল মাহমুদ,
হতে আর বাকী নাই। ধন্যবাদ, সংবেদনশীল পাঠ-প্রতিক্রিয়ার জন্য।
আপডেট –
বুয়েটে ধিক্কার ব্যানারে প্রতিবাদ
দুই ছাত্রের বিষয়ে অনিয়ম পেয়েছে কমিটি
পুরো রিপোর্টের ফটোকপি পাওয়া যাবে এখানে –
@ইরতিশাদ,
আরো আছে – ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বুয়েট কর্তৃপক্ষ হুট করে কোন ক্লাবের সাথে আলোচনা না করেই সকল ক্লাবের মডারেটর চেঞ্জ করে আওয়ামী ঘরানার শিক্ষকদের বসিয়ে দেন। (এর কোন রেফারেন্স দিতে পারবো না, সত্যতা পাওয়া যাবে বুয়েটের ডকুমেন্টেই) হয়তো অনেকেই এর মাঝে আপত্তির তেমন বড় কোন কারণ খুঁজে পাবেন না, তবে দুর্নীতি আর দখলদারিত্বের যে বিষবাষ্প সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে, তার জের ক্লাবগুলোকে বহন করতে হচ্ছে, আর কতদিন তা করতে হবে জানিনা।
স্যার, আপনার সাথে কাটানো সময়টুকু অনেক বড় পাওয়া বলেই মনে করি; it is an honour for me, i believe.
আর আপনার সময়োপযোগী বক্তব্যের জন্য আপনাকে যথেষ্ট ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করা যাবে না। আশা করি অনেকের ভ্রান্ত ধারনার অবসান ঘটাবে আপনার লেখা। এত ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে এই আর্টিকেলটি লেখার জন্য আমরা আপনার নিকট কৃতজ্ঞ।
ধন্যবাদ।।
@বাশার ইমন,
তোমাকে এখানে দেখে খুব ভালো লাগছে। তোমাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
ভালো লাগলো
আমার মনে হয় ভি সি নিজেই হিজবুত তাহরিরের সদস্য । তার চাক্ষুস প্রমান তার দাড়ি । আমার জানা মতে নিতান্ত জামাত শিবির বা জঙ্গি ভক্ত নাহলে কোন বাক্তি দাড়ি রাখতে পারেনা। কারন হাদিসে এসেছে যে বাক্তি দাড়িতে ক্ষুর লাগাল সে যেন নবীর গলায় ছুরি লাগাল। কি সাঙ্ঘাতিক কথা !!তাই বুয়েটের মহামান্য ভি সি এই হাদিসটিকে মাথায় রেখেই দাড়ি রেখেছেন। তিনি যেহেতু নবী মুহাম্মাদের ভক্ত অর্থাৎ ফান তিনি দাড়ি রেখেছেন। আর যেহেতু নবী মুহাম্মাদ রক্ত দিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠা তথা জঙ্গিবাদ সমর্থন করেছেন অতএব ভি সি ও জঙ্গিবাদ সমর্থন করেন। শুধু তাই নয় তিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতির ছদ্মবেশে হিজবুত তাহরিরের এজেন্ট হিসেবে দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কাজে লিপ্ত আছেন। আমার কথা যদি অমুলক ভ্রান্ত হয় তাহলে কালই তিনি তার দাড়ি ক্লিন সেভ করে দেখান যে সত্যিই তিনি জঙ্গিবাদের সমর্থন করেন না। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কে এই সমস্ত দাড়িওয়ালাদের কাছ থেকে সাবধান থাকতে হবে। অন্যথায় আগামী নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি আসন্ন ।
@মাসুদ রানা,
ব্লগে আসার পর নতুন এক খেলার নাম শুনলাম- রিভার্স খেলা। আপনি কি এখানে রিভার্স খেললেন? দাড়ি রাখা যদি জঙ্গীবাদ হয় তাহলে ডারউইন, কার্ল মার্ক্স, রবীন্দ্রনাথ কী ছিলেন? আপনি যে ধর্মের পক্ষের আর আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী মানুষ নন তার কিছুটা প্রমাণ আশা করি দিয়ে যাবেন।
@আকাশ মালিক,
(Y)
@আকাশ মালিক, দেখুন কার্ল মার্ক্স, রবি ঠাকু্র ডারউইন এদের দাড়ির সাথে ইসলামিস্টদের দাড়ির অনেক পার্থক্য আছে। কারন নবী বলেছেন তোমরা দাড়ি রাখ বড় এবং গোঁফ রাখ ছোটো। বুয়েট ভি সি ঠিক একই ভাবে সুন্নতি কায়দায় দাড়ি রেখেছেন। যার সাথে কার্ল মার্ক্স , রবি ঠাকুর, কিংবা ডারউইনের সাথে কোন মিল নেই । মিল রয়েছে জামাত শিবির ও জঙ্গিদের সাথে। আপনি আমাকে একজন জামাত শিবির বা জঙ্গিবাদী অথবা ইসলামিস্ট দেখাতে পারেন যাদের দাড়ি আছে অথচ গোঁফ বড় বড়? আর একথা স্পষ্ট যে আমি একজন আওয়ামী বিদ্বেষী, বি এন পি জামাত শিবির বিদ্বেষী মানুষ। আমি মনে করি যার কিঞ্চিত পরিমাণও বিবেক বোধ ও মানবতা বোধ আছে তারা কখনও এই দল গুলোকে সমর্থন দেবে না । আর আমি যে ধর্মের পক্ষের মানুষ নই তার প্রমান হচ্ছে এই মহাবিশ্বের যে কোন সৃষ্টিকর্তা নেই তা জানার পর থেকে আমি খুব দুঃখিত ব্যথিত, কারন কেউ একজন থাকলে এই পৃথিবীতে এত অনাচার, ও বৈষম্য থাকতো না। ধার্মিকেরা এত দুঃসাহসী হতে পারতনা । আমি এই পৃথিবীর শান্তি সুখ প্রতিষ্ঠায় একজন ঈশ্বরের প্রয়োজনীয়তা প্রচণ্ড অনুভব করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে কোরান, বাইবেল, মহাভারত সহ কোন ধর্মগ্রন্থ ঈশ্বরের অস্তিত্ব তো দুরের কথা ঈশ্বর যে নাই তাই পাকাপোক্ত ভাবে প্রমান করছে। আর বিজ্ঞান তো কাগজ কলমে, সুত্র, থিউরি দিয়ে যথেষ্ট চাক্ষুস প্রমান দিয়ে ঈশ্বরের অনস্তিত্তের ব্যাখ্যা দিয়েছে। আমি ঈশ্বরের প্রয়োজনীয়তা এজন্যই অনুভব করি যে মানুষ হিসেবে আমি সীমাবদ্ধতার বাইরে নই। আমার সকল সমস্যার সমাধান আমি একাই করতে পারিনা।কিছু কিছু সমস্যা আজীবন অসম্পূর্ণ ও অসমাধানযোগ্য হয়ে থাকবে। এ জন্যই আমার একজন সাহায্যকারীর দরকার ছিল। কিন্তু হায় !! মহাবিশ্বে কোন স্রস্টা নাই !!
বুয়েট ইস্যুতে একটা লেখা আসবে মুক্তমনাতে, এমনটাই আশা করে ছিলাম! কিন্তু লেখা শুধু এলোই না, ইরতিশাদ ভাইয়ের মত একজন সাবেক বুয়েট শিক্ষকের হাত ধরেই এল! সুতরাং, বিশ্বাস নিয়ে কোন দ্বন্দই তৈরি হয়নি আর!
অথচ ইনি আজ মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক সরকারের কোপানলে পুড়ছেন! এ সরকারের আমলে এই কাজগুলো অনেক বেশী হচ্ছে! তাদের দুর্নীতি/অপশাসন নিয়ে কেউ সরব হলেই আর রক্ষা নেই, তাকে পারলে রাজাকার/মৌলবাদী বানিয়ে দেয়! সরকারের তরফে এমন কর্তৃত্বপরায়নতা (কারো মতে, ফ্যাসিজম) দেশের শনি এনে ডাকতে যথেষ্ট!
ছাত্রলীগ তাহলে পুলিশের স্পেশাল ফোর্সে পরিণত হয়েছে? খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন একবার বলেছিলেন, বিরোধী দলকে শায়েস্তা করতে তার ছাত্রদলই যথেষ্ট! আচ্ছা, এভাবেই কি ফ্যাসিবাদের জন্ম হয়?
@কাজি মামুন,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। সরকারবিরোধী কার্যকলাপ মানেই বেআইনী কার্যকলাপ নয়, যদি তাই হয় সংবিধানে স্বীকৃত ‘বিরোধী’দল থাকতে পারে না। ছাত্রলীগ যা করছে তা স্রেফ গুন্ডামি – আর যেহেতু এটা করা হচ্ছে সরকারী দলের ছত্রছায়ায়, একে ফ্যাসিবাদ ছাড়া আর কিছু বলার সুযোগ নাই।
এরপর আন্দোলনকারী ছাত্র-শিক্ষকের ওপর পুলিশলীগ ঝাঁপিয়ে পড়লে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। জগন্নাথ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনে তেমনটিই ঘটেছিলো। এর আগে বিএনপি সরকারের সময় যেমন ঢাবিতে ছাত্রদলের পাশাপাশি অ্যাকশনে নেমেছিলো জাতীয়তাবাদী পুলিশ দল! 😛
@বিপ্লব রহমান, ধন্যবাদ সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।
আমি তো নিয়মিত দৈনিক জনকন্ঠ পড়ি, পড়ে যা ভেবেছিলাম; আপনার লেখা পড়ে ভাবনাটা হোচট খেল। সবগুলো পত্রিকা পড়ার সময় হয়ে ওঠেনা। মাঝে মধ্যে চোখ বুলাবার সুযোগ হলেও, কতটুকু জানার সুযোগ হয়; তা আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম। জানি, আমরা পড়ে বুঝতে পারলেও কারো কিছু যায় আসে না। বিশেষ করে কর্তৃপক্ষের। তারা পথে-ঘাটে-মাঠে-ময়দানের হট্টগোলকে কিছুটা হলেও সমীহ করে।
আর এ প্রতিরোধের ঢেউ তুলতে গিয়ে যুগে যুগে ছাত্ররা কিভাবে রাজপথ প্রকম্পিত করে তুলে, হেমাঙ্গ বিশ্বাসের কন্ঠে-
httpv://www.youtube.com/watch?v=Emq0YCmqn64&feature=related
@স্বপন মাঝি, জনকণ্ঠ পত্রিকা ডাস্টবিন এ ফেলে দেন। ভিসি টাকা দিয়ে এক সাংবাদিক রাখসে শুধু এসব মিথ্যাচার ছড়ানোর জন্য।
@স্বপন মাঝি,
গানটার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
বুয়েটকে নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
@রাব্বানী, মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
ইরতিশাদ ভাই, আজকেই পেপারে পড়ছিলাম কীভাবে ভিসি আর প্রোভিসি মিলে বুয়েটের তেরোটা বাজিয়ে ছাড়ছেন। আর এই গুরুত্বপূর্ণ সময়েই আপনার চমৎকার লেখাটা এলো।
ধন্যবাদ আপনাকে এই ইস্যুটা নিয়ে লেখার জন্য।
@অভিজিৎ,
ধন্যবাদ। মনটা আসলেই খুব বিষন্ন ছিল বুয়েটের পরিস্থিতির জন্য।