কোরান হাদিস নিয়ে যখন কোন বিতর্ক করা হয় প্রায়ই ইসলামিষ্টরা কতকগুলো প্রশ্ন উত্থাপন করে যে গুলো নিম্নরূপ:
(১) কোরানের আয়াত বিচ্ছিন্ন ভাবে পড়লে আয়াতের সঠিক অর্থ বোঝা যাবে না।
(২) আয়াতের অর্থ বুঝতে গেলে আগে পিছের আয়াতগুলো পড়তে হবে।
(৩) আয়াতের পটভূমিকা বা শানে নুযুল জানতে হবে। অর্থাৎ কোন ঘটনার প্রেক্ষিতে কোন আয়াত নাজিল হয়েছিল তা জানতে হবে। না হলে আয়াতের সঠিক অর্থ বোঝা যাবে না।
(৪) পুরোপুরি সঠিক অর্থ জানতে আরবী বুঝে কোরান পড়তে হবে।
ভাল কথা। আসলেই কোরানের কোন আয়াতের অর্থ বুঝতে সে আয়াতকে বিচ্ছিন্ন ভাবে বিবেচনা করা ঠিক না। উক্ত আয়াতের আগ পিছের আয়াতগুলো জানা দরকার। এছাড়া শানে নুযুল বা পটভূমিকা অর্থাৎ কোন প্রেক্ষিতে উক্ত আয়াত নাজিল হয়েছে তা জানতে হবে। এতকিছু করার পরেও যদি দেখা যায় যে কোন সূরার কোন আয়াতের অর্থকে কোনভাবেই পজিটিভ করা যাচ্ছে না তখন শেষ অস্ত্র যা প্রয়োগ করে ইসলামিস্টরা তা হলো কোরানকে বুঝতে হলে আরবী জানতে হবে। অথচ তারা বুঝতে পারে না যে তাদের শেষ অস্ত্রটি তাদের ইসলামকে সংকুচিত করে শুধুমাত্র আরবী ভাষী মানুষের জন্যই কার্যকর ধর্ম হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে। বস্তুত: বিষয়টি কিন্তু তাই। মোহাম্মদ মূলত: মক্কা মদিনার আশপাশের জনগোষ্ঠীকে কেন্দ্র করে তার ধর্ম প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেন। উদ্দেশ্য- এদেরকে এক পতাকাতলে এনে একটা আরবী রাজ্যের পত্তন ঘটানো। মদিনাতে মোহাম্মদ যখন তার আরবী রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হলেন তখন তার তার উচ্চাকাংখা বেড়ে গেল, তার নজর পড়ল আশে পাশের সাম্রাজ্য যেমন পারস্য বা রোম। এছাড়া অবশ্য কোন উপায়ও ছিল না। সেই মক্কা মদিনাতে আজকের মত তখন তেলের খনি ছিল না যা বিক্রি করে বিলাস বহুল জীবন যাপন করা যেত। সম্পদের অপ্রতুলতার কারনে মক্কা মদিনার মানুষের জীবন ছিল অনেকটা সেই প্রাগতৈহাসিক আমলের মানুষের মত। মানুষের জীবিকা মূলত নির্ভর করত পশুপালন, খেজুর উৎপাদন এসব। যা একটা আদিম সমাজের চিত্র। তাই মোহাম্মদের ইসলামকে প্রথম থেকেই অন্যের ধন সম্পদ লুঠ-পাটের ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। মদিনায় হিজরত করার পর , সর্বপ্রথম মোহাম্মদ মদিনায় গমনকারী মক্কাবাসীদেরকে নিয়ে একটা লাঠিয়াল বা দস্যুদল ( এ ছাড়া অন্য কোন নাম দেয়া যায় না) গঠন করেন, যাদের কাজ ছিল মদিনার পাশ দিয়ে চলে যাওয়া মক্কার বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করে তাদেরকে খুন করে তাদের মালামাল লুঠ-পাট করা ও গণিমতের মাল হিসাবে ভাগ বন্টন করে নেয়া। মদিনায় গমনকারী মোহাম্মদের দলবলের বেঁচে থাকার জন্য একটা পেশা দরকার। গরীব মদিনাবাসীদের সামর্থ্য ছিল না সে দলকে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ানো। তারপরেও মক্কার বানিজ্য কাফেলার ওপর আক্রমনকে মদিনাবাসীরা কিন্তু ভাল চোখে দেখে নি প্রথমে। কারন এ ধরনের চোরা গোপ্তা আক্রমন, খুন, ডাকাতি তাদের আদর্শের পরিপন্থি ছিল। তখন মোহাম্মদ এর স্বপক্ষে যুক্তি দেখাতে গিয়ে বলেন-মক্কাবাসীরা তাদেরকে মক্কা থেকে বিতাড়িত করেছে আর তারা তাদের ধন সম্পদ কিছুই সাথে আনতে পারে নি যা মক্কাবাসীরা দখল করেছে। আর তাই তাদের অধিকার আছে মক্কার বানিজ্য কাফেলা আক্রমন করে তাদের ধন সম্পদ লুঠ-পাট করা। অথচ বাস্তব তথ্য হলো-মক্কা থেকে কেউ তাদেরকে বিতাড়িত করে নি। তারা নিজেরাই মক্কার সমাজে টিকতে না পেরে মদিনা বা অন্যত্র হিজরত করে চলে গেছে। মোহাম্মদের ইসলাম ধর্ম গ্রহনকারী মানুষের সাথে কোরাইশরা মেলা মেশা বন্দ করে দেয়, আর এ ধরনের অধিকার তাদের আছে কারন যারা তাদের ধর্ম ত্যাগ করবে তাদের অধিকার আছে ধর্ম ত্যাগকারীদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার। এর ফলে ধর্ম ত্যাগীরা যদি সে সমাজে টিকতে না পারে , এটা সম্পর্ক ছিন্নকারীর দোষ হতে পারে না।
সেকারনেই দেখা যায় ইসলাম একটা ভিত্তির ওপর দাড়িয়ে যাওয়ার পর পর এর মূল উৎপাদন ব্যবস্থা হয়ে দাড়ায় গণিমতের মাল তথা অন্যের ধন-সম্পদ লুট-পাট ও দখল এবং বিলি বন্টনের ওপর। অর্থাৎ ইসলামী অর্থনীতির মূল ভিত্তি হলো- অন্যের সম্পদ লুঠ-পাট ও ভাগ বন্টন করা।
মোহাম্মদের সময়ে পারস্য ও পতনশীল রোম সাম্রাজ্যের জৌলুসের খবর চারিদিকে রূপকথার গল্পের মত প্রচারিত ছিল। মোহাম্মদ সেসব খবর ভালমতোই জানতেন ও তার কিছু কিছু নিদর্শন তিনি কৈশোরেই দেখেছিলেন বানিজ্য উপলক্ষ্যে সিরিয়াতে গমন করে। সিরিয়া সে সময়ে রোম সাম্রাজ্যের অধীন ছিল আর গোটা আরব উপদ্বীপের লোকজন তাদের দরকারী জিনিস পত্র ক্রয় করার জন্য সেখানে গমন করত। সুতরাং একেবারে শৈশবেই মোহাম্মদের মনে আরব বাসীদের নিয়ে এ ধরনের একটা জৌলুস পূর্ণ রাজ্য গঠনের স্বপ্ন গড়ে ওঠে। এসব নিয়ে তিনি চিন্তাভাবনা করতে থাকেন। দীর্ঘ সময় নেন সিদ্ধান্ত নিতে। অবশেষে ৪০ বছর বয়েসে তিনি তার রাজনৈতিক দর্শন- ইসলামকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হন। কিন্তু তাঁর নিজ গোত্রীয় লোকজন তথা কুরাইশরা মোহাম্মদের মত চাল চুলোহীন হত দরিদ্র, স্ত্রীর ওপর নির্ভরশীল মর্যাদাহীন একটা এতিম মানুষের নেতৃত্ব মানতে অস্বীকার করে। আবু জেহেল, আবু লাহাব, আবু সুফিয়ান এরা ছিল সেই কুরাইশ গোষ্ঠীর সে সময়ের সবচেয়ে মর্যাদাশালী সম্ভ্রান্ত নেতা। এরা একেবারে শুরু থেকেই উপলব্ধি করতে পারে মোহাম্মদের মনের গোপন কথা। তারা বুঝতে পারে ইসলাম আসলে মোহাম্মদের রাজনৈতিক উচ্চাকাংখার একটা ধান্ধা ছাড়া আর কিছুই নয় ও এর মাধ্যমে মোহাম্মদ মক্কার শীর্ষ নেতা হতে চান। তাই তারা কখনই মোহাম্মদকে পাত্তা দেয় নি। একই সাথে এদের মর্যাদা, আভিজাত্য ও উগ্র জাতীয়তাবোধের কারনে মোহাম্মদের মত চাল চুলোহীন একজন রাস্তার মানুষকে তারা প্রতিপক্ষ হিসাবে কখনই স্বীকার করেনি। যে কারনে কোরানেই দেখা যায় যে মোহাম্মদকে তারা উন্মাদ, পাগল, বিকারগ্রস্থ এসব বলে উপহাস করছে। ঐ সব উগ্র আরব কোরাইশ নেতারা মোহাম্মদের উগ্র জাতিয়তাবাদী ফর্মূলা গ্রহন করতে রাজী ছিল কিন্তু তাকে নেতা মানতে রাজী ছিল না। আবার তারা দুর্বল প্রতিপক্ষকে কাপুরুষের মত হত্যা বা নিশ্চিহ্ন করতেও রাজী ছিল না। এটা ছিল তাদের একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এছাড়া মোহাম্মদ ছিল তাদের নিজেদেরই গোষ্ঠীর সদস্য ও বিশিষ্ট সম্ভ্রান্ত গোষ্ঠী নেতা মুত্তালিবের নাতি এবং আবু তালিবের ভাতিজা। আবু তালিব দীর্ঘ দিন ধরে মোহাম্মদকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে। তার কারনেই মূলত: কুরাইশ নেতারা মোহাম্মদকে তেমন কিছু বলত না , শুধুমাত্র তাকে পাগল, উন্মাদ, বিকারগ্রস্থ এসব নানাভাবে উপহাস করে ক্ষান্ত থাকত।
মোহাম্মদকে নানা রকম অত্যাচার নির্যাতন করত এমন কি বহুবার তাকে হত্যা করে ফেলার জন্য কুরাইশরা চেষ্টা করেছে বলে যে বহুল প্রচলিত কাহিনী গুলো আমরা শুনে থাকি, তার বস্তুত কোন নির্ভরযোগ্য সূত্র নেই। অন্তত: কোরান হাদিসে এ ধরনের কোন কাহিনী দেখা যায় না। বলা হয় তাকে নির্যাতন করত, কিন্তু কি ধরনের নির্যাতন করত এটা কোথাও পরিস্কার করে বলা নেই। গোটা হাদিস গুলো তন্ন তন্ন করে খুজেও মোহাম্মদকে নির্যাতনের কোন কাহিনী পাওয়া যায় না, পাওয়া যায় না কোরানেও। শুধুমাত্র হাদিসে একটা মাত্র কাহিনী আছে যাতে বলা হয়েছে- একবার মোহাম্মদ কাবা ঘরে বসে সিজদা করছিলেন তখন তার ঘাড়ের ওপর এক লোক উটের নাড়ি ভুড়ি ফেলেছিল। মোহাম্মদকে অত্যাচার নির্যাতনের যে প্রামানিক তথ্য আছে তা এ পর্যন্তই।
গত ১৪০০ বছর ধরে যে কথাগুলো স্বাড়ম্বরে প্রচার করে আসা হচ্ছে তা হলো নিম্নরূপ:
(১) কোরান গোটা মানবজাতির জন্য সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য। অর্থাৎ কোরানের আদর্শ বা বিধি বিধান সর্ব কালের জন্য প্রযোজ্য।
(২) কোরান একটা সম্পূর্ন কিতাব। এতে কোন অসম্পূর্নতা নেই।
(৩) কোরান গত ১৪০০ বছর ধরে বিশুদ্ধ ও অবিকৃত অবস্থায় আছে।
কোরান গোটা মানবজাতির জন্য সর্বকালের জন্য যদি প্রযোজ্য হয় তাহলে এর বিধি বিধান গুলোকে মোটেও শুধুমাত্র মোহাম্মদের আমলের ঘটনা দ্বারা ব্যখ্যা করাটা যথাযথ নয়। তবে যদি নিতান্তই সেই সময়ের প্রেক্ষিতে কোন কোন আয়াত নাজিল হয়ে থাকে , তাহলে কোরান সর্বকালের জন্য আদর্শ হলে উক্ত আয়াতের বিধান সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য হবে। যদি দেখা যায় উক্ত বিধান সর্বকালের জন্য আদর্শ নয় বা প্রযোজ্য নয় তাহলে কোরান সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য হয় কেমনে? একটা উদাহরন দেয়া যায়- কোরান বলছে দাসীদের/যুদ্ধের পর বন্দী নারীদের সাথে বিবাহ বহির্ভুত সেক্স করা যাবে, তার মানে এখনও উক্ত প্রথা সমানভাবে কার্যকরী ও প্রযোজ্য কিন্তু বর্তমানে এটাকে অমানবিক বলে গণ্য করা হয়। ইসলামিষ্টরা বলছে এখন যেহেতু দাসপ্রথা নেই , তাই এটা এখন আর প্রযোজ্য নয়। কিন্তু খেয়াল করতে হবে দাসপ্রথা উচ্ছেদের কোন বিধান মোহাম্মদ বা তার আল্লাহ করে যায় নি। মোহাম্মদের বা তার পরবর্তী খলিফাদের বা মুসলিম বাদশাদের সময়ে মুসলমানরা অমুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করে কোন অঞ্চল দখল করলে সেখানকার মানুষগুলোকে বন্দী করে দাস দাসি বানাত। যেহেতু এ ধরনের বিধান পরবর্তী কোন আয়াত দ্বারা রহিত হয় নি, তাই বর্তমানেও ইচ্ছা করলে মুসলমানরা শক্তিশালী হয়ে অমুসলিমদের আক্রমন ও পরাজিত করে তাদেরকে দাস দাসী বানাতে পারবে, আর পারবে দাসীদের সাথে বিবাহ বহির্ভুত সেক্স করতে। কোরান বলছে একজন পুরুষ একসাথে ৪টা বিয়ে করতে পারবে যা বর্তমান কালে একটা আদিম ও চরম অমর্যাদাকর বিধান হিসাবে গণ্য। অথচ কোরানের এ বিধানকেই আবার আধুনিক কালে নানা কসরত করে প্রমানের চেষ্টা করছে কিছু ইসলামি পন্ডিতরা যে আসলে আল্লাহ নাকি বলেছে একটামাত্র বিয়ে করতে। কোরান বলছে- ইহুদি খৃষ্টানদের সাথে সর্বদাই যুদ্ধ করে যেতে হবে যতক্ষন পর্যন্ত না তারা ইসলাম গ্রহন করে বা জিজিয়া কর প্রদান না করে। যা বলা বাহুল্য বর্তমানে মানব সমাজে চুড়ান্ত রকম ভাবে অশান্তি সৃষ্টি কারী বিধান। অথচ এখন প্রচারের চেষ্টা করছে যে এটা নাকি সেই তৎকালের সাময়িক বিধান, অথচ এ বিধান রহিত করনের কোন আয়াত কিন্তু কোরানে নাই। বিষয়টা দাড়াচ্ছে যে , ইসলাম দাবি করছে তার বিধি বিধান সব ঐশ্বরিক ও সকল সময়ের জন্য আদর্শ যার কোন পরিবর্তন নেই। তাহলে প্রশ্ন দাড়ায়-সেই বিধি বিধানকে কেন কাফির মুশরিক কর্তৃক তৈরী করা বিধি বিধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন করতে হবে ? ইসলামী পন্ডিতরা কেন এত কসরত করছে ঐশ্বরিক বিধানকে কাফিরদের বিধানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে ? এটা করে কি তারা তাদের আল্লাহ , কোরান ও মোহাম্মদকে খাট করছে না ?
কোরান যদি সম্পূর্ন কিতাব হয় তাহলে কোরান পড়ে বুঝতে অন্য কোন কিতাব দরকার নেই। যেমন কোরান বলছে-
তবে কি আমি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন বিচারক অনুসন্ধান করব, অথচ তিনিই তোমাদের প্রতি বিস্তারিত গ্রন্থ অবতীর্ন করেছেন? সূরা আল আন আম-৬:১১৪
আমি আপনার প্রতি গ্রন্থ নাযিল করেছি যেটি এমন যে তা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত এবং মুসলমানদের জন্যে সুসংবাদ। সূরা নাহল, ১৬:৮৯
অথচ যারা এটা দাবী করে তারাই বলে প্রতিটি আয়াত নাজিল হয়েছিল কোন না কোন প্রেক্ষিতে। আর প্রেক্ষিত ছাড়া আয়াতের অর্থ বোঝা যায় না। তো সেই প্রেক্ষিতটা যে কি তা কিন্তু কোরানে বিস্তারিত নাই, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা বোঝাও যায় না। তাহলে কোরানের অর্থ বাস্তবিক অর্থেই বোঝা যাবে কিভাবে ? এ যদি হয় কোরানের বাস্তব পরিস্থিতি তাহলে কোরান একটা সম্পূর্ন কিতাব হয় কেমনে?কোরান কে পরিপূর্নভাবে বুঝতে গেলে দরকার পড়ে হাদিস , সেই সময়কার ইতিহাস ও মোহাম্মদের জীবনী। এগুলো ছাড়া যদি কোন আয়াত বা আয়াত সমূহ ব্যখ্যা করার চেষ্টা করা হয় তখন ইসলামি পন্ডিতরাই বলে থাকে যে কোন আয়াত বা আয়াত সমূহের অর্থ জানতে তার প্রেক্ষাপট বিবেচনা করতে হবে, কিন্তু প্রেক্ষাপট তো কোরানে নেই, তাহলে তার অর্থ বোঝা কিভাবে সম্ভব? এ যদি হয় কোরানের অবস্থা তাহলে তা সম্পূর্ণ কিতাব হয় কিভাবে ? উক্ত দুটি আয়াতেও বলছে কোরান একটা বিস্তারিত গ্রন্থ যার মধ্যে আছে সব কিছু সুস্পষ্ট বর্ণনা। কিন্তু বাস্তবে তো তার দেখা মেলে না। তবে ব্যতিক্রম হলো – মোহাম্মদ কাকে বিয়ে করবে, পূত্রবধুকে বিয়ে করবে কি না, কার সাথে সেক্স করবে এসব বিষয়ে বলাবাহুল্য সুস্পষ্ট ও বিস্তারিত বর্ণনা আছে। যেমন-
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ। সুরা নিসা, ৪:২৪
এখানে বলা হচ্ছে অন্য সকল সধবা নারীর সাথে সেক্স করা অবৈধ তবে যে সব নারীদেরকে যুদ্ধের সময় বন্দী করা হবে তাদের সাথে সেক্স করা যাবে তাই বলছে- তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম । শুধু তাই নয় সাময়িক বিয়ে বা মুতা বিয়েও যে করা যাবে তার প্রমানও আছে উক্ত আয়াতে। যেমন বলছে- এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। – এখানে বলছে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করতে ও যাদেরকে ভোগ করা হবে তাদেরকে তাদের হক দিয়ে দিতে হবে। আবার আদিখ্যেতা করে বলছে এটা ব্যভিচারের জন্য নয়। আজব কথা- অর্থের বিনিময়ে দুই একদিনের জন্য বিয়ে করা কি কোন বিয়ে ? এটা তো হলো বেশ্যা বৃত্তি। কোরান কিন্তু বেশ্যাবৃত্তিকেই বৈধ করেছে। অথচ প্রচার করা হয়- ইসলামে নাকি বেশ্যাবৃত্তি অবৈধ। উক্ত আয়াত মোতাবেক সে সময়ে মুসলমানরা এরকম সাময়িক বিয়ে করত যা বর্তমানে ইরানে এখনও চালু আছে। যেমন নিচের হাদিস-
সালামা ইবনে আল আকবা ও জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ বর্ণিত: আল্লাহর নবী আমাদের কাছে আসলেন ও সাময়িক বিয়ের অনুমতি প্রদান করলেন। সহি মুসলিম, বই-৮ , হাদিস-৩২৪৭
ইবনে উরাইজ বর্ণিত: আতি বর্ণিত যে জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ উমরা পালনের জন্য আসল এবং আমরা কিছু লোক তার কাছে গেলাম ও বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তখন তিনি বললেন- আমরা নবীর আমলে সাময়িক বিয়ে করে আনন্দ করতাম ও এটা আবু বকর ও ওমরের আমল পর্যন্ত চালু ছিল। সহি মুসলিম, বই -৮, হাদিস- ৩২৪৮
তার মানে দেখা যাচ্ছে, খোদ মোহাম্মদ এ বিয়ে নামের বেশ্যাবৃত্তি চালু করে যান আল্লাহর নির্দেশে ৪:২৪ আয়াত মোতাবেক। আর পরবর্তীতে এ বিধান রহিত করনের কোন আয়াতও নাজিল হয় নি। তবে ওমরের আমলে ওমর এটা বন্দ করে দেয়। যা দেখা যায় নিচের হাদিসে-
জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ বর্ণিত: সামান্য কিছু খাদ্য বা অন্য কিছুর বিনিময়ে আমরা নবীর আমলে সাময়িক বিয়ে করতাম, এটা আবু বকরের আমলেও আমরা এটা করতাম তবে ওমর এটা নিষেধ করে দেন। সহি মুসলিম, বই ৮,হাদিস-৩২৪৯
উক্ত হাদিসে দেখা যায়, ওমরের আমলে ওমর এটা বন্দ করে দেয়। এটা কিভাবে সম্ভব ? আল্লাহর বিধান যা নাকি তার রসুল নিজে বাস্তবায়ন করে গেলেন সেটা ওমর বাতিল করার কে ? ওমর কি আল্লাহ ও তার রসুলের চেয়ে বেশী ক্ষমতাধর? সুতরাং ওমর এটা বন্দ করে দিলেও এটা বাতিল হয়ে যায় নি। মুসলমানরা ইচ্ছা করলে এখনও মহা সমারোহে এটা পালন করতে পারে, পালন করতে পারে কেয়ামত অবধি। তবে প্রেক্ষিত বিচার করলে বোঝা যায় ওমর এটা বন্দ করে দিয়েছিল কারন তার আমলে অনেক অঞ্চল মুসলমানদের করায়ত্বে আসে হাজার হাজার নারী বন্দী হয় যাদেরকে বিনা পয়সাতেই ধর্ষণ করা যেত, ফলে টাকা পয়সা বা অন্য কিছু দিয়ে সাময়িক বিয়ে করার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়। তাই এটা মনে করার কোন কারন নেই যে ওমর অতিশয় নীতিবান হয়ে এটা বন্দ করেছিল। সুতরাং যারা বেশ্যাবৃত্তি ইসলাম বন্দ করেছে বলেছে চিৎকার করে তাদের এ দাবীর কোন ভিত্তি নেই।
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেন। আর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। কোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালাল। এটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়। আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশে। মুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু। কোরান, আল আহ যাব-৩৩:৫০
উক্ত আয়াতেও দেখা যায় নবী যেমন ইচ্ছা খুশী বিয়ে করতে পারবে তার সবিস্তার বর্ণনা। সুতরাং গোটা কোরান পড়লে দেখা যায় শুধুমাত্র মোহাম্মদের ব্যক্তিগত খায়েশ চরিতার্থ করার ব্যপারে কোরান সব সময় সুনির্দিষ্ট ও বিস্তারিত বর্ণিত। এ থেকে যে কেউ মনে করতে পারে যে কোরান শুধুমাত্র মোহাম্মদের খায়েশ ও ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণের জন্যই নাজিল হয়েছিল আর বলা বাহুল্য সেটা নাজিল করেছিল মোহাম্মদ নিজেই, কোন তথাকথিত আল্লাহ নয়। আর তার প্রমান আছে খোদ কোরানেই, যেমন –
নিশ্চয়ই এই কোরআন একজন সম্মানিত রসূলের বানী। সূরা হাক্কা, ৬৯:৪০
إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ ৬৯:৪০
নিশ্চয় কোরআন সম্মানিত রসূলের বাণী। সূরা তাকবির, ৮১:১৯
إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ ৮১:১৯
এবার আসা যাক কোরানের অবিকৃততা বিষয়ে। যারা এ বিষয়টিকে কোরানের অভ্রান্ততার উজ্জ্বল নমূনা হিসাবে তুলে ধরে তারা এমনভাবে বিষয়টিকে উপস্থাপন করে যেন আল্লাহ একটা সুন্দর বাধাই করা কোরান জিব্রাইলের মাধ্যমে মোহাম্মদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিল আর তারই হুবহু কপি আমরা বর্তমানে পাই। তারা কোনভাবেই বিবৃত করতে চায় না আসলে কোরান কিভাবে সংকলন করা হয়েছিল। তারা ভুলেও উল্লেখ করে না যে -এর কাছ থেকে ওর কাছ থেকে শুনে, খেজুর পাতা, কাঠ, হাড় এসবের ওপর লিখিত বিচ্ছন্ন আয়াতগুলোকে সংগ্রহ করে জোড়াতালি দিয়ে প্রথমে কোরানকে সংকলন করা হয়েছিল যাতে বহু আয়াত সংকলন থেকে বাদ পড়ে গেছিল, অনেকগুলোকে নিজেদের মত করে লেখা হয়েছিল। কোরান কিভাবে সংকলন করা হয়েছিল তার বিস্তারিত বিবরন পাওয়া যাবে – মোহাম্মদ ইসলাম- পর্ব- ৫ ও পর্ব-৬ এ পাওয়া যাবে। অথচ তোতা পাখির মত সেই একটাই বুলি আউড়ে যায়- কোরান গত ১৪০০ বছর ধরে অবিকৃত। এ প্রসঙ্গে সূরা আহযাবের ইবনে কাথিরের তাফসিরে দেখা যাক-
মুসনাদে আহমাদে বর্ণিত আছে যে- হযরত উবাই ইবনে কাব হযরত যির কে জিজ্ঞেস করেন, সূরা আহযাবে কতটি আয়াত গননা করা হয় ? উত্তরে তিনি বলেন- তেহাত্তরটি। তখন হযরত উবাই ইবনে কাব বলেন- না, না, আমি তো দেখেছি যে এ সূরার আকার প্রায় সূরা বাকারার সমান ছিল। এই সূরার মধ্যে এ আয়াতটিও ছিল: বুড়ো ও বুড়ি যদি ব্যভিচারে লিপ্ত হয়ে পড়ে তবে অবশ্যই তাদেরকে প্রস্তরাঘাতে হত্যা করে ফেল। এটা হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে শাস্তি এবং আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী ও বিজ্ঞানময়। (Musnad Ahmad, Hadith 21245) এর দ্বারা বুঝা যায় আল্লাহর নির্দেশে কতকগুলো আয়াত রহিত হয়ে গেছে। এসব ব্যপারে আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞানী। (১৫শ খন্ড, পৃষ্ঠা -৭৩৩, নীচে ইবনে কাথিরের বাংলা তাফসিরের লিংক আছে)
তাহলে দেখা গেল সূরা আহযাবের বহু আয়াত কোরানে সংকলন করা হয় নি। সূরা বাকারার মোট আয়াত সংখ্যা-২৮৬, তার অর্থ সূরা আহযাবের আয়াত সংখ্যাও প্রায় ২৮৬ বা তার আশ পাশে ছিল। কিন্তু বাস্তবে আছে মাত্র ৭৩ টি, যার সহজ অর্থ ২০০ এর বেশী আয়াত কোরানে সংকলন করা হয় নি। কিন্তু দু:খজনক বিষয় হলো কিছু কিছু লোক বর্তমানে আবার হাদিস বিশ্বাস করে না। তারা হাদিস বিশ্বাস করে না , ইবনে কাথিরের তাফসির বিশ্বাস করে না। তারা প্রচার করছে- বুখারী, মুসলিম, ইবনে মাজা, আবু দাউদ এরা নাকি সবাই ইসলামের দুশমন আর এরা হাদিস সংকলন করে গেছে ইসলামের সর্বনাশ করার জন্য( এ বিষয়ে বিস্তারিত লেখা ভবিষ্যতে আশা করছি)। কারন সহজেই বোধগম্য। হাদিসে এমন কিছু বিষয় আছে যা কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক ও নবীর চরিত্রকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে। কিন্তু কথা হলো হাদিস ছাড়া কোরানকে কিভাবে ব্যখ্যা করা যাবে, কিভাবে কোরান বোঝাই বা যাবে ?
আয়াত বাতিল করে তা কোরানে না ঢোকানোর বিষয়টি অন্যন্য হাদিস দ্বারাও সমর্থিত। যেমন- ব্যভিচারের শাস্তি যে পাথর ছুড়ে মারা এটা মুসলিম হাদিসেও পাওয়া যায়,
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস বলেছেন যে ওমর ইবনে খাত্তাব বললেন- আল্লাহ সত্য সহকারে নবীর কাছে কোরান প্রেরন করেছিলেন যার মধ্যে পাথর ছুড়ে মারার শাস্তির কথা লেখা ছিল। আমরা সে কোরান তেলাওয়াত করতাম। আল্লাহর নবী নিজেই ব্যভিচারের শাস্তি স্বরূপ পাথর ছুড়ে মারার শাস্তি কার্যকর করেছিলেন আর তার মৃত্যুর পর আমরাও সেটা কার্যকর করেছি। আমার আশংকা হয় সময়ের সাথে সাথে লোকজন বলা বলি করবে- আমরা তো কোরানে ব্যভিচারের জন্য পাথর ছুড়ে মারার শাস্তির আয়াত দেখছি না। সহি মুসলিম, বই-১৭, হাদিস- ৪১৯৪
বর্তমান কোরানে ব্যভিচারের শাস্তি পাথর ছুড়ে মারার পরিবর্তে আশি দোররা মারার বিধান আছে। তার অর্থ আবু বকর হতে ওসমান পর্যন্ত যে কোরান সংকলন হয় তা থেকে উক্ত আয়াত বাদ দেয়া হয়েছে।
এভাবে আরও আয়াত বাদ দেয়ার ঘটনা আছে। যেমন-
আনাস বিন মালিক বর্নিত- ত্রিশ দিন ধরে আল্লাহর নবী তাদেরকে অভিশাপ দিলেন যারা বির মাউনায় সত্তর জন মুসলমানকে হত্যা করেছিল। এ জন্য তিনি হত্যকারী গোত্র রাল, ধাকবান ও উসাইয়া যারা আল্লাহ ও তার রসুলকে মানতে অস্বীকার করেছিল তাদের ধ্বংস কামনা করেছিলেন। আর যারা নিহত হয়েছিল তাদের উদ্দেশ্যে একটা আয়াত নাজিল হয়েছিল যা পরে বাতিল করা হয় তা ছিল এরকম- “ আমাদের লোকদেরকে খবর পৌছে দাও যে আমরা আমাদের প্রভূর সাথে মিলিত হয়েছি, তিনি আমাদেরকে নিয়ে প্রীত আর আমরা তার সাথে প্রীত”। সহি বুখারী, ভলুম-৪, বই-৫২, হাদিস-৬৯
হুবহু একই হাদিস বর্ণিত আছে সহি বুখারী, ভলুম-৪, হাদিস নং-২৯৯ তেও।
বলা বাহু্ল্য উক্ত আয়াত কিন্তু বর্তমান কোরানে নেই।
এ বিষয়ে খুবই কৌতুহলোদ্দীপক একটা হাদিস আছে , যেমন-
ইবনে আব্বাস বর্নিত- ওমর বললেন, “ আমাদের সর্বশ্রেষ্ট কোরান তেলাওয়াতকারী হলেন উবাই ও সর্ব শ্রেষ্ট বিচারক হলেন আলী এবং এ সত্ত্বেও আমরা উবাই এর কিছু বক্তব্য বাদ দিয়েছি তার কারন উবাই বলেন, “ আল্লাহর নবীর কাছ থেকে আমি যা শ্রবন করেছি তার কোন অংশই আমি বাদ দেব না যদিও আল্লাহ বলেছেন: যেসব আয়াত আমরা রহিত করি বা যেসব আয়াত সমূহ ভুলিয়ে দেই কিন্তু তার পরিবর্তে আমরা তাদের চাইতে শ্রেয়তর বা সমতূল্য আয়াত নাজিল করি ( কোরান, বাকারা-২:১০৬)” সহি বুখারী, ভলুম-৬,বই-৬০, হাদিস-৮
উক্ত হাদিস সমূহ থেকে বোঝা যায়-খোদ মোহাম্মদ নিজেই বহু আয়াত তার জীবদ্দশায় বাতিল করে দিয়ে তা মুখস্ত করতে নিষেধ করেছেন। যদি নিষেধ না করে থাকেন তাহলে মোহাম্মদের মৃত্যূর পর তার সাগরেদরা যে কোরান সংকলন করেছে তা থেকে তাদের ইচ্ছামত আয়াত বাদ দিয়ে সংকলন করেছে। আর উক্ত বুখারী, বই -৬০, হাদিস-৮ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে উবাই নিজে নিজে একটা কোরান সংকলন করেছিল বা নিদেনপক্ষে বহু সূরা ও হাদিস ব্যক্তিগত ভাবে লিখে রেখেছিল যার মধ্যে বর্তমান কোরানে নেই এমন বহু আয়াত ছিল আর সেসব অবশ্যই মোহাম্মদ নাজিল করেছিলেন। এখন প্রশ্ন হলো- এভাবে বহু আয়াত যে কোরানে লিপিবদ্ধ করা হয় নি, এটার জন্য দায়ী কে , মোহাম্মদ নাকি তার সাগরেদরা ? বলা বাহুল্য উক্ত হাদিসটি বলছে – এ কাজটা করেছে মোহাম্মদের সাগরেদরা। কারন উক্ত হাদিস কিন্তু মোহাম্মদের কথিত হাদিস নয়, এটা ওমরের বক্তব্য কেন্দ্রিক হাদিস। অর্থাৎ মোহাম্মদ মারা যাওয়ার পর, যখন আবু বকর বা ওসমান কোরানকে সংকলন করতে উদ্যত হলো তখন ওমর বা মোহাম্মদের অন্যান্য প্রভাবশালী সাহাবীরা তাদের প্রভাব খাটিয়ে বা একত্রে জোট বেধে কোন কোন আয়াত কোরানে রাখা যাবে আর কোন কোন আয়াত বাদ দিতে হবে তা নিজেরাই ঠিক করে অত:পর তা কোরানের মধ্যে লিপিবদ্ধ করে। তার চেয়ে মজার বিষয় হলো- কোরানের মধ্যেই এমন অনেক আয়াত আছে যেগুলোর কার্যকারীতা পরবর্তীতে নাজিল হওয়া আয়াত দ্বারা বাতিল হয়ে গেছে।এখন বাতিলকারী আয়াত(নাসিক) ও তাদের দ্বারা বাতিল হয়ে যাওয়া আয়াত (মানসুক) একই সাথে যদি কোরানে থাকতে পারে, তাহলে অন্য বাতিল আয়াত গুলো কেন কোরানে থাকল না বা সংকলিত হলো না ? একটু গভীরভাবে চিন্তা করলে এর উত্তর বের করা যায়।
উক্ত বাতিল হয়ে যাওয়া আয়াতের পরিবর্তে নতুন কোন উন্নততর আয়াত নাজিল হয় নি। শুধু বাতিল হয়ে গেছে অপ্রয়োজনীয়, অযৌক্তিক বা অপ্রাসঙ্গিক বিধায়। যেহেতু শুধু বাতিল হয়ে গেছে, পরিবর্তে কোন উন্নতর আয়াত নাজিল হয় নি তাই সেগুলোকে কোরান থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। একাজটা দক্ষতা ও সূক্ষ্মভাবে করার জন্যই আবু বকর বা ওসমান তারা কেউই মোহাম্মদ কর্তৃক সত্যায়িত কোন কোরান বিশেষজ্ঞকে কোরান সংকলনের দায়িত্ব দেয় নি। মোহাম্মদ কর্তৃক সত্যায়িত কোরান বিশেষজ্ঞদের নাম পাওয়া যায় নিচের হাদিসে-
মাসরুক বর্ণিত- আমরা আব্দুল্লাহ বিন আমর এর নিকট গমন করতাম ও কথা বার্তা বলতাম। একদা ইবনে নুমাইর তার নিকট আব্দুল্লাহ বিন মাসুদের নাম উল্লেখ করল। তখন তিনি(আমর)বললেন-তোমরা এমন একজন ব্যাক্তির নাম বললে যাকে আমি অন্য যে কোন মানুষের চেয়ে বেশী ভালবাসি। আমি আল্লাহর রসুলকে বলতে শুনেছি- চারজন ব্যাক্তির কাছ থেকে কোরান শিক্ষা কর, অত:পর তিনি ইবনে উম আবদ্( আব্দুল্লাহ মাসুদ) এর নাম থেকে শুরু করে মুয়াদ বিন জাবাল, উবাই বিন কাব ও শেষে আবু হুদায়ফিয়ার নাম উল্লেখ করলেন। সহি মুসলিম, বই-৩১, হাদিস-৬০২৪
কোরান সংকলনের জন্য আবু বকর বা ওসমান দায়িত্ব দেয় সাবিত ইবনে তাবিতকে। উক্ত চারজনের একজনকেও এ দায়িত্বটা দেয়া হয় নি যদিও উক্ত চারজন আবু বকরের আমলে বেঁচে ছিল, এমন কি ওসমানের আমলেও উক্ত চার জনের দুজন বেঁচে ছিল, কিন্তু কেন ? কারন ওমর কথিত উক্ত বুখারী, বই -৬০, হাদিস-৮ হাদিস থেকে পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে যে , ওমর বা তাদের মত প্রভাবশালী লোকদের সাথে উক্ত চার জনের মতের মিল ছিল না। এখানে দেখা যাচ্ছে যে কোরান সংকলনের ক্ষেত্রে ওমরের ভূমিকা সর্বাধিক কারন এই ওমরই সর্ব প্রথম আবু বকরকে কোরান সংকলনের জন্য চাপ দেয়। বলা বাহুল্য, আবু বকর বা ওসমান কেউই কিন্তু কোরান সংকলন করতে রাজি ছিল না কারন তারা বিশ্বাস করত , খোদ মোহাম্মদ তার জীবদ্দশায় কোরান সংকলন করেন নি কারন কোরানেই বলা হয়েছে –
আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক। সূরা-আল হিজর, ১৫:০৯ মক্কায় অবতীর্ণ।
আবু বকর ও ওসমান দুজনই আল্লাহর আদেশ লংঘন করতে ভীত ছিল। তারা মনে করত যেখানে আল্লাহ নিজেই কোরান সংরক্ষন করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে সেখানে সেই কাজটা তারা করলে তা হবে মহাপাপ। অথচ ওমর মোটেই তা মনে করত না। আর সে কারনেই ওমরই বার বার চাপ প্রয়োগ করে কোরান সংকলন করতে বাধ্য করে। আবার সেই একই ওমর বুখারী, বই -৬০, হাদিস-৮ এ বলছে- আমরা উবাই এর অনেক বক্তব্য (কোরানের বানী) বাদ দিয়েছি ।
খেয়াল করতে হবে, কোরান সংকলনের দায়িত্ব নিচ্ছে আবু বকর ও ওসমান অথচ কোরানে কি সংকলন করা হবে না হবে , তা নির্ধারন করছে ওমর। আর আবু বকর বা ওসমানের অমন বুকের পাটা নেই যে তারা ওমরের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে। আর বলাই বাহুল্য মোহাম্মদ কর্তৃক সত্যায়িত চারজন যে কোরান সংকলনের দায়িত্ব পায় নি তারও কারন এই ওমর। ওমরই চায় নি তারা কোরান সংকলন করুক, কেননা তা হলে উক্ত চারজনের সাথে মতের অমিল হবে আর এ হলে নিজেদের মনের মত করে কোরান সংকলন করা সম্ভব হবে না।
এখন প্রশ্ন হলো- যে আয়াত গুলো বাতিল হয়ে গেছে সেগুলোকে কেন কোরান থেকে বাদ দেয়া হলো ? তাছাড়া এত তাড়াতাড়ি আল্লাহর বানী বাতিল হয় কিভাবে ? আল্লাহর বানী হবে শাশ্বত, চিরন্তন যা সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য হবে। অথচ দেখা যাচ্ছে কোরানের আল্লাহ আজকে একটা বানী দিচ্ছে, দুদিন পর সেটা বাতিল করে দিচ্ছে। অর্থাৎ আল্লাহর বানীর প্রকৃতি সম্পূর্নই মানুষের বানীর মত, যেমন অস্থিরমতি মানুষ আজ একটা বলে তো কালকে অন্যটা বলে। কোরানের আল্লাহর এহেন অস্থিরমতি স্বভাব দৃষ্টে এরকম সিদ্ধান্তে আসা যেতেই পারে যে কোরান আসলে কোন সবজান্তা আল্লাহর কাছ থেকে আসে নি, এসেছে কোন মানুষ থেকে।
এবারে কোরান থেকে কেন কিছু আয়াত সম্পূর্ন বাদ দেয়া হলো সংকলনের সময় তা ব্যখ্যা করা যাক। আমাদের হাতে তেমন কোন দলিল নেই আসলে কোন কোন আয়াত সম্পূর্ন বাতিল করে কোরান থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র কিছু নিদর্শন আছে হাদিসে। সহি মুসলিম, হাদিস নং-৪১৯৪ থেকে দেখা যায় ব্যভিচারের শাস্তি পাথর ছুড়ে হত্যা যা মোহাম্মদ নিজ জীবনে বাস্তবায়নও করেছেন।খেয়াল করতে হবে এ একই শাস্তি আছে তৌরাত কিতাবেও মুসার বিধানে। যেমন-
কোন পুরুষ লোক যদি পরস্ত্রীর সাথে মিলিত অবস্থায় ধরা পড়ে তবে পরস্ত্রীর সাথে যে ধরা পড়বে তাকে ও সেই স্ত্রীকে দুজনকেই প্রানদন্ডে দন্ডিত হতে হবে। এভাবে তুমি ইস্রায়েলের মধ্য থেকে অপকর্ম উচ্ছেদ করবে। যদি কেউ কোন পুরুষের বাগদত্তা কোন কুমারীকে শহরের মধ্যে পেয়ে তার সঙ্গে মিলিত হয় তবে তোমরা সেই দুজনকে বের করে নগরদ্বারে এনে পাথর ছুড়ে মেরে ফেলবে। কেননা শহরের মধ্যে থাকলেও সে সাহায্যের জন্য চিৎকার করেনি। দ্বিতীয় বিবরণ, অধ্যায়-২২, বাক্য-২২-২৪
এখন প্রশ্ন হলো হুবহু একই শাস্তির বিধান মোহাম্মদ কেন চালু করেছিলেন? উত্তর সোজা। মোহাম্মদ তো দাবী করছেন তিনি ইব্রাহীম , মূসা, ইসা নবীর পরবর্তী শেষ নবী। সুতরাং শুধুমাত্র ইহুদিদেরকে নিজ দলে আনার জন্যেই মোহাম্মদ মূসা নবীর বিধানকে অনুসরণ করা শুরু করেন। ইহুদিদেরকে নিজের দলে টানতে পারলে খৃষ্টানদেরকেও দলে টানা সহজ হবে কারন খৃস্টান ধর্মের ভিত ইহুদি ধর্মে তথা তৌরাত কিতাবে নিহিত। যে কারনে দেখা যায়, কোরানের বিধি বিধানের একটা বড় অংশই তৌরাত কিতাব থেকে ধার করা।
আহলে কিতাবের মানুষজন তথা ইহুদি খৃষ্টানদের মধ্যে ইহুদিরা ছিল কট্টর মোহাম্মদ বিরোধী এবং তারাই মূলত: মোহাম্মদকে নবী হিসাবে কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনি। তার বড় কারন হলো তাদের তৌরাত কিতাবে ভবিষ্যতে যে একজন মহাপুরুষের আগমনের কথা বলা ছিল তা আসবে ইব্রাহীম পূত্র ইসহাকের পূত্র ইয়াকুব তথা ইসরাইলের বংশধর থেকে যাদেরকে ইসরাইলি বলা হতো। অথচ মোহাম্মদ সে বংশধারা থেকে আসেনি পরন্তু মোহাম্মদ দাবী করছেন তিনি আসছেন ইব্রাহীম পূত্র ইসমাইলের বংশধারা থেকে। কিন্তু মক্কাতে যে সত্যি সত্যি ইব্রাহীম তার স্ত্রী হাজেরা সহ ইসমাইলকে নির্বাসন দিয়ে গিয়েছিল তার কোন ঐতিহাসিক বা তৌরাতীয় প্রমান নেই। এটা ছিল সম্পূর্নতই মোহাম্মদের একটা নতুন মনগড়া বানান কল্পকাহিনী। ইহুদীরাও সেটা খুব ভালমতো ধরতে পেরেছিল। একই সাথে মোহাম্মদের দরকার ছিল নিজেকে নবী হিসাবে প্রমান ও প্রতিষ্ঠিত করতে তৌরাত কিতাবের ভবিষ্যদ্বানী কৃত মহাপুরুষ যে তিনি তা প্রমান করা। তা কোনভাবেই প্রমান করতে না পেরেই মোহাম্মদ মূলত মূসা নবীর বিধান গুলোকে অনুসরণ ও বাস্তবায়ন করার কৌশল অবলম্বন করেন যাতে করে ইহুদীদেরকে নিজের দলে ভেড়ানো যায়। তৌরাত কিতাবে সেই কথিত ভবিষ্যদ্বানীটি একটু দেখা যাক-
তোমার পরমেশ্বর প্রভু তোমার জন্য তোমার ভাইদের মধ্য থেকে আমারই মত একজন নবীর উদ্ভব ঘটাবেন, তারই কথায় তোমরা কান দেবে। ———তখন প্রভু আমাকে বললেন, ওরা ঠিক কথাই বলেছে। আমি ওদের জন্য তোমার ভাইদের মধ্য থেকে তোমার মত একজন নবীর উদ্ভব ঘটাব, ও তার মুখে আমার বানী রেখে দেব, আমি তাকে যা কিছু আজ্ঞা করব তা সে বলবে। দ্বিতীয় বিবরনী: অধ্যায়- ১৮, বাক্য- ১৫-১৮
ইসলামী পন্ডিতরা কিন্তু তারস্বরে প্রচার করে চলেছে তৌরাতের উক্ত ভবিষ্যদ্বানী করা হয়েছিল মোহাম্মদ সম্পর্কে। বিষয়টি কি সত্যি তাই ? মোটেও না। একটু গভীর ভাবে চিন্তা করলেই তা বোঝা যাবে। উক্ত বানীতে বলছে- প্রভু বলছে,তোমার ভাইদের মধ্য থেকে তোমার মত একজন নবীর উদ্ভব ঘটাব। এই ভাই গুলো কারা ? ইসলামী মতে সেই ভাই হলো ইসমাইল কারন ইসমাইল হলো ইব্রাহীমের দাসী হাজেরার পূত্র। ইসলামী পন্ডিতরা দাবী করে ইব্রাহীমের পূত্র ইসমাইল থেকেই নবী মোহাম্মদ আগমন করেছে। কিন্তু আসল বিষয় হলো ইসমাইলের বংশধারাকে ইসরাইলী বলা হয় না। এছাড়া বাইবেলের কোথাও বলা নাই ইব্রাহীম তার দাসী হাজেরাকে তার সন্তান ইসমাইল সহ মক্কাতেই নির্বাসন দিয়েছিল। সেই প্যালেস্টাইন থেকে সোজা পথেও মক্কার দুরত্ব ছিল মরুভূমির ভিতর দিয়ে কম পক্ষে ১২০০-১৩০০ কি.মি.। একটা দুধের বাচ্চাকে নিয়ে হাজেরা এতদুর পথ মরুভূমির ওপর দিয়ে পাড়ি দিবে এটা আষাড়ে গল্পের চেয়েও আজগুবি। ইব্রাহীম ও ইসমাইল নিয়ে নানা অসঙ্গতির বিবরন পাওয়া যাবে এখানে- কে কোরবানী হয়েছিল , ইসমাইল নাকি ইসহাক? । ভৌগলিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে হাজেরা সহ ইসমাইলকে মক্কাতে নির্বাসন দেয়া এক কাল্পনিক কাহিনী ছাড়া আর কিছু নয়। অথচ মোহাম্মদ তার নবুয়ত্ব প্রমান করার জন্য এক আজগুবি কিচ্ছা আমদানী করেন যার সাথে তৌরাতের কোন মিল নেই এবং এ ধরনের কাহিনীর কোন সূত্র বা ইঙ্গিত তৌরাত বা গসপেলে নেই। যাহোক, মূলত: উক্ত ভাইরা ছিল ইব্রাহীমের পূত্র ইসহাক , তার পূত্র জ্যাকব যার অন্য নাম ইসরাইল তার বংশধরেরা। এ বংশধরদের নাম ইসরাইলি হয় মূলত তাদের আদি পিতা ইসরাইলের নাম করনে। জ্যকব বা ইসরাইলের ছিল ১২ টা পূত্র যাদের নাম তৌরাতে পাওয়া যায় আর তারা হলো- রুবেন, সিমিওন, লেভি, জুডা, গাদ, আশের, ড্যান, নপ্তালি, জোসেফ ,বেঞ্জামিন, মন:শি ও ইফ্রাইম(http://catholic-resources.org/Bible/History-Abraham.htm) বার পূত্র থেকে যে বংশধারা তৈরী হয় তাদেরকেই বলা হয় ইসরাইলি বা ইহুদি। এদের বংশধারাকেই মূসা মিশর থেকে বের করে নিয়ে প্যলেস্টাইনে নিয়ে আসে। ইসমাইলের বংশধারাকে নয়। মূসা নবী আগমনও করেছিল এ ইসরাইলি বংশধারাতেই। মুসা নবীর কাছে তার সদাপ্রভু ঈশ্বর এ বংশধারাতেই একজন তার মত মহামানবের আগমন করাবেন বলেই ভবিষ্যদ্বানী করেছিলেন। মক্কায় অবস্থিত কোন গোত্রে নয়। এখন মোহাম্মদ নিজেকে নবী দাবী করছেন তৌরাতের সেই ভবিষ্যদ্বানী অনুযায়ী, তাই মোহাম্মদকে উক্ত বংশ ধারার হতে হবে। কোন ভাবেই সেটাকে ঐতিহাসিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে না পেরে , গল্প ফাঁদেন যে ইসমাইল সহ তার মা হাজেরাকে যে ইব্রাহীম নির্বাসন দিয়েছিল তা দিয়েছিল মক্কাতে তা সে কাহিনী শুনতে যতই আজগুবি মনে হোক না কেন। এখানে মোহাম্মদ যে স্ববিরোধীতাটা করছেন তা হলো তিনি তৌরাতের উক্ত ভবিষ্যদ্বানীটা গ্রহন করছেন কিন্তু তৌরাতের অন্য ঘটনা অর্থাৎ হাজেরা ও ইসমাইলকে যে মক্কায় নয় প্যলেস্টাইনের আশে পাশে নির্বাশন দিয়েছিল সেটা গ্রহন করছেন না। তিনি এটাও গ্রহন করছেন না যে তৌরাতে ইব্রাহীম ইসমাইলকে নয় ইসহাককে আল্লাহর নামে কোরবানী দিতে নিয়ে গেছিলেন। যদি যুক্তির খাতিরে ধরেও নেই যে হাজেরা ও ইসমাইলকে মক্কাতেই নির্বাসন দেয়া হয়েছিল তাহলেও কিন্তু তৌরাত বর্ণিত ভবিষ্যদ্বানী অনুযায়ী মোহাম্মদ যে সেই নবী তা প্রমানিত হয় না। কারন তৌরাতের সদাপ্রভু ঈশ্বর ইব্রাহীমকে নয় মূসাকে বলছেন যে তার ভাইদের মধ্য থেকে অর্থাৎ ইসরাইলীদের মধ্য হতে একজন নবীর আগমন ঘটবে। সেই ইব্রাহীমের পর থেকে হাজার বছর চলে গেছে, এ দীর্ঘ সমযের মধ্যে ইসমাইলের বংশধররা বহুদুরে সরে গেছে।তাছাড়া ইব্রাহীমের বংশধারার সবাই ইসরাইলী নয়। শুধুমাত্র তার দৌহিত্র জ্যকবের থেকে উৎপন্ন বংশধারাকেই ইসরাইলি বলা হয় যার বর্ণনা পূর্বেই দেয়া হয়েছে। ইব্রাহীমের পূত্র ইসহাকের দুই ছেলে জ্যকব ( ইসরাইল) ও ইসাউ, কিন্তু ইসাউ এর থেকে উৎপন্ন বংশধারাও ইসরাইলি বংশধারার মধ্যে পড়ে না, তাদেরকে বলা হয় এডোমাইট। সুতরাং কোন ভাবেই কিন্তু মোহাম্মদ কে সেই ভবিষ্যদ্বানীর নবী প্রমান করা যায় না। প্রাথমিক দিকে মোহাম্মদ এতটা বুঝতে পারে নি। ইহুদীরা বার বার যখন তাকে উক্ত বংশধারা অনুযায়ী চ্যলেঞ্জ করতে থাকে, তখন তার টনক নড়ে আর তখন থেকেই তিনি প্রচার শুরু করেন যে তৌরাত ও ইঞ্জিল কিতাব ইহুদি ও খৃষ্টানরা বিকৃত করে ফেলেছে।
মোহাম্মদ আরও একটা সমস্যা করে ফেলেছেন। তা হলো – যীশু খৃষ্টকে নবী হিসাবে স্বীকার করা। খৃষ্টানরা বিশ্বাস করে তৌরাতের উক্ত দ্বিতীয় বিবরনী: অধ্যায়- ১৮, বাক্য- ১৫-১৮ অনুযায়ী যে মহাপুরুষের আগমন করার কথা তা হলো যীশু খৃষ্ট যাকে খৃষ্টানরা আবার ঈশ্বর বলেও বিশ্বাস করে। এখন মুসলমানরা যদি যীশু খৃষ্টকে শুধুমাত্র একজন নবী হিসাবেও স্বীকার করে , তাহলে অবশ্যই সে ব্যক্তি হবে এই যীশু খৃষ্ট কারন এ ব্যক্তি উক্ত ইসরাইলি বংশধারা থেকে আগমন করেছেন যা তৌরাত সমর্থন করে, আর তৌরাতের এ ভবিষ্যদ্বানীকে কোরান তথা ইসলামও সমর্থন করে। তাহলে একই সাথে তারা মোহাম্মদকে কিভাবে উক্ত ভবিষ্যদ্বানীকৃত নবী দাবি করে ? উক্ত ভবিষ্যদ্বানীতে তো মাত্র একজন নবীর কথা বলা হয়েছে , দুই জন নয়। তাহলে ? সুতরাং যীশু খৃষ্টকে একজন নবী হিসাবে স্বীকার করাটা ইসলামের জন্য বুমেরাং হয়েছে যা মোহাম্মদ নিজে বুঝতে পারেন নি। আর তাই এখন মোহাম্মদকে নবী প্রমান করতে গিয়েই মূলত: তৌরাত ও ইঞ্জিল কিতাব বিকৃত হয়ে গেছে এটা দাবী করা ছাড়া তাদের আর করণীয় কিছুই নেই।
মোহাম্মদকে নবী বানাতে গিয়ে মুসলিমরা কি পরিমান গন্ডগোল ও গোজামিল সৃষ্টি করেছে তার বর্ণনা পাওয়া যাবে গসপেলের নিচের বর্ণনায়-
তথাপি আমি সত্যই বলিতেছি আমার যাওয়া তোমাদের পক্ষে ভাল কারন আমি না গেলে সেই সহায় তোমাদের নিকট আসিবে না, কিন্তু আমি যদি যাই তাহলে আমি তোমাদের নিকট তাহাকে পাঠাইয়া দিব। যোহন, অধ্যায়-১৬, বাক্য-৭
তিনি, সত্যের আত্মা, যখন আসিবেন, তখন পথ দেখাইয়া তোমাদেরকে সমস্ত সত্যে লইয়া যাইবেন, কারন তিনি আপনা হইতে কিছু বলিবেন না, কিন্তু যাহা শুনেন তাহাই বলিবেন এবং আগামি ঘটনাও তোমাদিগকে জানাইবেন। তিনি আমাকে মহিমাহ্ণিত করিবেন, কেননা যাহা আমার তাহাই লইয়া তোমাদিগকে জানাইবেন। পিতার যাহা যাহা আছে সকলই আমার; এই জন্য বলিলাম, যাহা আমার তিনি তাহাই লইয়া থাকেন ও তোমাদিগকে জানাইবেন। যোহন, অধ্যায়-১৬, বাক্য-১৩-১৫
উপরোক্ত যোহন ১৬:৭ বাক্যে বলছে যীশু চলে যাওয়ার পর তিনি একজন কে পাঠাইয়া দিবেন। সুতরাং মনে হতে পারে সেই লোক হলো মোহাম্মদ। কিন্তু এখানে প্রশ্ন হলো- যীশু এমন কি ক্ষমতাধর যে তিনি একজন নবী পাঠানোর ক্ষমতা রাখেন? একজন নবী পাঠানোর ক্ষমতা রাখেন শুধুমাত্র একজন স্রষ্টা বা ঈশ্বর বা আল্লাহ, কোন নবী নয়। অথচ এখানে যীশু পরিস্কার বলছেন তিনি একজন কে পাঠিয়ে দেবেন। তার মানে এখানে যীশু নিজেকে ঈশ্বর বলেই পরোক্ষে প্রকাশ করছেন। ১৬: ১৪ বাক্যে বলছে পিতার যাহা যাহা আছে সকলই আমার। তার মানে পিতার যে ক্ষমতা যীশুরও সেই ক্ষমতা। এখন ঈশ্বর যেহেতু দুইজন হতে পারে না , তাহলে সেই পিতা ও যীশু একই ব্যক্তিত্ব, অর্থাৎ যীশুই স্বয়ং ঈশ্বর। খেয়াল করতে হবে গসপেলে যীশুকে কিভাবে চিত্রিত করা হয়েছে। ইসলামি মতেও, কোরানে যীশু একজন অসাধারণ নবী, কারন আল্লাহ তাকে জীবিত অবস্থায় বেহেস্তে তুলে নিয়ে গেছেন যা অন্য কোন নবীর ক্ষেত্রে ঘটে নি, মৃত্যুকে জয় করার এ ঘটনাই যীশুকে অন্য সব নবীর চেয়ে ভিন্ন মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছে যদিও অত:পর কোরান যীশুকে খুব হালকাভাবে উপস্থাপন করেছে। বিষয়টা খোদ মোহাম্মদের মৃত্যুর চাইতে কত বেশী মর্যাদাকর সেটা বুঝতে গেলে জানতে হবে মোহাম্মদ কিভাবে মারা গেলেন, সেটা জানতে হবে। গোজামিলটা আসলে এখানে নয়। গোজামিলটা হলো তৌরাতের কিতাবের সেই নবী বা মহাপুরুষ যদি যীশু খৃষ্ট হয় তাহলে একই সাথে তৌরাত ও গসপেল কিতাবের ভবিষ্যদ্বানীকৃত নবী মোহাম্মদ হয় কিভাবে ? তৌরাত ও গসপেল পড়লে পরিস্কার বোঝা যায় দুটো কিতাবের ভবিষ্যদ্বানী দুজনের সম্পর্কে বলা হচ্ছে, একজন নয়। ইসলামি মতে তৌরাত কিতাবের ভবিষ্যদ্বানীকৃত নবী যদি যীশু না হয় তাহলে যীশুও তো একজন মহান মর্যাদাশীল নবী, তার সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বানী কোথায় ? গসপেলে যেখানে যীশুকে ঈশ্বরের সাথে তুলনা করা হচ্ছে, সে বিষয়টাকে ইসলাম গ্রহন করছে না, সেটাকে বলছে বিকৃত মনগড়া, অথচ একই কিতাবে একটা বানোয়াট ভবিষ্যদ্বানী করা হয়েছে সেটাকে ধরা হচ্ছে মোহাম্মদের সম্পর্কে, কি অদ্ভুদ স্ববিরোধী যুক্তি! বিকৃত ও আজগুবি কিতাব থেকে নেয়া যে কোন তথ্যই তো আজগু্বি ও বানান হবে , তাই নয় কি ? ইসলামকে সত্য ও মোহাম্মদকে নবী বানাতে গিয়ে ইসলামি পন্ডিতরা সত্যি সত্যি এখন উন্মাদের মত আচরন করছে আর ভাবছে তাদের এর পাগলামী কেউ বুঝতে পারছে না। পাগল মনে করে সে ছাড়া বাকি সবাই পাগল।
গসপেলে যীশু খৃষ্ট বলছে- আমি চলে যা্ওয়ার পর আর একজন নবী পাঠাব- এ বিষয়টাকে ইসলাম গ্রহণ করছে কিন্তু যীশু খৃষ্ট কিভাবে একজন নবীকে পাঠাবার ক্ষমতা রাখে সে বিষয়ে মানুষকে অন্ধকারে রাখে, বুঝতে দেয় না ও মিথ্যাচার করে। এছাড়াও গসপেলে সর্বদা তাকে যীশু খৃষ্ট বলা হচ্ছে, অথচ কোরানে বলা হচ্ছে ইসা নবী। এটা যেন মামাবাড়ির আবদার। যেমন আপনার নাম হলো আবুল , কোন একজন এসে বলল না আপনার নাম হলো কাবুল, অমনি আপনি কাবুল হয়ে যাবেন ? খৃষ্টান ধর্মের যীশু খৃষ্টকে এভাবে নিজেদের মনগড়া নাম দিয়ে মোহাম্মদ যে কান্ডটি করেছেন, তা হলো-
১. খৃষ্টান ধর্মে অযাচিত হস্তক্ষেপ করে এ ধর্মটাকে অসম্মান করেছেন
২. যীশু খৃষ্টকে ঈশা নবী নাম দিয়ে একজন মহান নবীর নাম বিকৃত করে মর্যাদাহানি করেছেন।
অন্য ধর্মকে এভাবে যথেচ্ছ অপমান ও অমর্যাদা করে নিজে কোন খারাপ কাজ করেছেন এ বোধটা মোহাম্মদের মধ্যে জন্ম তো নেয়নি , বরং নিজের ইসলাম ধর্মকে কেউ বিশ্বাস না করলে বা অপমান করলে তাকে হত্যা করার বিধান জারি করে চরম স্ববিরোধীতার জন্ম দিয়েছেন, যেমন ০৯:০৫ ও ০৯:২৯ আয়াতদ্বয়।
এভাবে যীশুর নাম পাল্টে দিয়ে মোহাম্মদ ইসলামেরও ভিত নড়িয়ে দিয়ে গেছেন প্রকারান্তরে। কারন এখন খৃষ্টানরা যদি অস্বীকার করে যে তাদের ঈশা বলে কেউ কোন দিন ছিল না. তাহলে মুসলমানদের প্রমান করার কোন উপায় নেই যে ঈশাই হলো যীশু খৃষ্ট। সে ক্ষেত্রে ঈশা নবীর গল্প কাহিনী স্রেফ রূপ কথার গল্পে পরিনত হতে বাধ্য যা কোরানকে ধূলায় ধুসরিত করে দেয়। মুসলিম পন্ডিতদের মাথা এতটাই মোটা যে এ সামান্য লজিক বোঝার ক্ষমতা তাদের নেই।
যাহোক , যেখানে তাদের কথিত ঈশা নবীর মহান বিদায় ( জীবন্ত বেহেস্তে গমন) ঘটেছিল পৃথিবী থেকে ইসলামি মতে,. সেখানে কিরকম অপমানকর ও যন্ত্রনাদায়ক মৃত্যু মোহাম্মদ বরণ করেছিলেন তা জানা যায় কিছু হাদিসে। যেমন-
আনাস বিন মালিক বর্ণিত- এক ইহুদি নারী রান্না করা ভেড়ার মাংস বিষ মাখিয়ে মোহাম্মদকে দিল যা থেকে মোহাম্মদ কিছুটা খেলেন। পরে নারীটিকে মোহাম্মদের নিকট আনা হলো, তার সাহাবীরা জিজ্ঞেস করল- তাকে কি হত্যা করব? তিনি বললেন- না। অত:পর আমি নবীর মুখে বিষক্রিয়া লক্ষ্য করতে থাকলাম। সহি বুখারী, বই -৪৭, হাদিস-৭৮৬
আয়শা বর্ণিত- যখন নবী কঠিন পীড়ায় আক্রান্ত হলেন, তার অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠল তখন তিনি অন্য স্ত্রীদের কাছ থেকে আমার কাছে থাকার অনুমতি প্রার্থনা করলেন যাতে আমি তাকে সেবা করতে পারি ও সবাই তাকে অনুমতি দিল। তিনি দুইজন লোকের সাহায্যে ঘর থেকে বের হলেন তখন তার পা দুটো মাটিতে ছেচড়াচ্ছিল। তিনি আল আব্বাস ও অন্য একজন মানুষের ঘাড়ে ভর রেখে চলছিলেন। উবাইদ উল্লাহ বলল আমি আব্বাসকে জিজ্ঞেস করলাম যার কথা আয়শা বলেছিলেন – তুমি কি জান অন্য জন কে ছিল ? আব্বাস বলল- সে ছিল আলি ইবনে তালিব। সহি বুখারী, বই- ১১, হাদিস-৬৩৪
উক্ত হাদিস থেকে জানা যাচ্ছে যে মোহাম্মদ বিষ মাখা মাংস খেয়ে ক্রমশ: অসুস্থ হয়ে পড়ছিল, যার ফলে তার অবস্থা এতই খারাপ হয়ে যায় যে তাকে টেনে হিচড়ে নিয়ে আয়শার ঘরে তুলতে হয়। অবশেষে কঠিন যন্ত্রনা ভোগ করে মোহাম্মদকে মৃত্যূ বরন করতে হয়। এটাই ছিল দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ট মানুষ আল্লাহর তথাকথিত রসুল মোহাম্মদের জীবনাবসানের করুন পরিনতি। যা নিচের হাদিস থেকেও জানা যাবে –
Narrated Ibn Abbas: ‘Umar bin Al-Khattab used to let Ibn Abbas sit beside him, so ‘AbdurRahman bin ‘Auf said to ‘Umar, “We have sons similar to him.” ‘Umar replied, “(I respect him) because of his status that you know.” ‘Umar then asked Ibn ‘Abbas about the meaning of this Holy Verse:– “When comes the help of Allah and the conquest of Mecca . . .” (110.1)
Ibn ‘Abbas replied, “That indicated the death of Allah’s Apostle which Allah informed him of.” ‘Umar said, “I do not understand of it except what you understand.”
Narrated ‘Aisha: The Prophet in his ailment in which he died, used to say, “O ‘Aisha! I still feel the pain caused by the food I ate at Khaibar, and at this time, I feel as if my aorta is being cut from that poison.”
Sahih Bukhari 5:59:713
Narrated Urwa: ‘Aisha said, “Allah’s Apostle in his fatal illness, used to ask, ‘Where will I be tomorrow? Where will I be tomorrow?”, seeking ‘Aisha’s turn. His wives allowed him to stay wherever he wished. So he stayed at ‘Aisha’s house till he expired while he was with her.” ‘Aisha added, “The Prophet expired on the day of my turn in my house and he was taken unto Allah while his head was against my chest and his saliva mixed with my saliva.” ‘Aisha added, “Abdur-Rahman bin Abu Bakr came in, carrying a Siwak he was cleaning his teeth with. Allah’s Apostle looked at it and I said to him, ‘O ‘AbdurRahman! Give me this Siwak.’ So he gave it to me and I cut it, chewed it (it’s end) and gave it to Allah’s Apostle who cleaned his teeth with it while he was resting against my chest.”
Sahih Bukhari 5:59:731
Narrated ‘Aisha: The Prophet expired in my house and on the day of my turn, leaning against my chest. One of us (i.e. the Prophet’s wives ) used to recite a prayer asking Allah to protect him from all evils when he became sick. So I started asking Allah to protect him from all evils (by reciting a prayer ). He raised his head towards the sky and said, “With the highest companions, with the highest companions.” ‘Abdur-Rahman bin Abu Bakr passed carrying a fresh leaf-stalk of a date-palm and the Prophet looked at it and I thought that the Prophet was in need of it (for cleaning his teeth ). So I took it (from ‘Abdur Rahman) and chewed its head and shook it and gave it to the Prophet who cleaned his teeth with it, in the best way he had ever cleaned his teeth, and then he gave it to me, and suddenly his hand dropped down or it fell from his hand (i.e. he expired). So Allah made my saliva mix with his saliva on his last day on earth and his first day in the Hereafter.
Sahih Bukhari 5:59:732
Anas reported that a Jewess came to Allah’s Messenger (may peace be upon him) with poisoned mutton and he took of that what had been brought to him (Allah’s Messenger). (When the effect of this poison were felt by him) he called for her and asked her about that, whereupon she said: I had determined to kill you. Thereupon he said: Allah will never give you the power to do it. He (the narrator) said that they (the Companion’s of the Holy Prophet) said: Should we not kill her? Thereupon he said: No. He (Anas) said: I felt (the affects of this poison) on the uvula of Allah’s Messenger.
Sahih Muslim 26:5430
Narrated AbuSalamah: Muhammad ibn Amr said on the authority of AbuSalamah, and he did not mention the name of AbuHurayrah: The Apostle of Allah (peace be upon him) used to accept presents but not alms (sadaqah).
This version adds: So a Jewess presented him at Khaybar with a roasted sheep which she had poisoned. The Apostle of Allah (peace be upon him) ate of it and the people also ate.
He then said: Take away your hands (from the food), for it has informed me that it is poisoned. Bishr ibn al-Bara’ ibn Ma’rur al-Ansari died.
So he (the Prophet) sent for the Jewess (and said to her): What motivated you to do the work you have done?
She said: If you were a prophet, it would not harm you; but if you were a king, I should rid the people of you. The Apostle of Allah (peace be upon him) then ordered regarding her and she was killed. He then said about the pain of which he died: I continued to feel pain from the morsel which I had eaten at Khaybar. This is the time when it has cut off my aorta.
Abu Dawud 39:4498
উপরিউক্ত হাদিসগুলো প্রমান করে কি অসম্মানজনকভাবে কঠিন যন্ত্রনা ভোগ করে মোহাম্মদকে মারা যেতে হয়। বড় অপমানকর মৃত্যূ ছিল এটা দুনিয়ার শ্রেষ্ট নবী মোহাম্মদের যা অধিকাংশ বান্দারাই জানেন না। শুধু এই একটি বিষয় প্রমান করে যে বস্তুত: যীশু খৃষ্ট ছিলেন মোহাম্মদের চেয়ে অনেক অনেক বেশী সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী- খোদ কোরানের মতেই যা বোঝার ক্ষমতা আল্লাহ আবার মুসলমানদেরকে দেয় নি। আফশোস!!!
যারা প্রচার করে তৌরাত ও ইঞ্জিল কিতাব বিকৃত হয়ে গেছে তাদের মধ্যে একজনও সম্ভবত: উক্ত কিতাব সমূহ জীবনে একবার স্পর্শ করেও দেখে নাই। না দেখে না পড়ে , তোতা পাখির মত মোহাম্মদের আমল থেকে একই কথা বলে আসছে বিগত ১৪০০ বছর। বলা বাহুল্য এটা একটা বিশাল মিথ্যা, আর এভাবেই এক মহা মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে ইসলাম নামক এক ভয়াবহ দানব যে দানব ১.৫ বিলিয়নের এক বিশাল জনসংখ্যাকে গ্রাস করতে উদ্যত।
বাংলা কোরান
বাংলা কোরান
বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ ও মালিক মুয়াত্তার হাদিস
শুধুমাত্র বুখারী শরিফ
ইবনে কাথিরের বাংলা তাফসীর
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১5
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৪
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১৩
মোহাম্মদ ও ইসলাম , পর্ব-১২
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-১১
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-10
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-9
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-8
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-7
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-6
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-5
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-4
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-3
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-2
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-1
@সিরাজুল ইসলাম ওরফে হাজী সাহেব,
আপনি রসুলের ৪২ তম বংশধর বলে দাবী করেছেন। বেশ, এক পুরুষ গড়পরতা ২৫ বছর ধরা হয়। ২৫x৪২ দাঁড়ায় ১০৫০ বছর। আপনার হিসেবের ফাঁকটা কোথায় নিশ্চয় বুঝতে পারছেন না।
আপনার পূর্বপুরুষ কোথা থেকে বাংলায় এসেছিলেন? বংশধারা একটু জানিয়ে দেবেন। ইতিহাসের খাতিরে এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলাম।
শ্রদ্ধেয় সৈয়দ মুজতবা আলির লেখা কোনদিন পড়েছেন? উনি কিন্তু সব গুমর ফাঁস করে দিয়েছিলেন।
আমার প্রশ্নের উত্তরে আপনার ঈঙ্গিতপূর্ণ বহুল প্রচারিত গল্পটি পড়লাম। এখানে কেউ নির্বোধ নন। অন্তত আপনার থেকে হাজার গুণ বুদ্ধিমান। তাদের কাছে আপনি আষাড়ে গাঁজাখুরী গুলগল্প চালাতে পারবেন না। শ্রদ্ধেয় সদস্যগণ সাঁকো নাড়িয়ে আপনার ঘুঁটে ভর্তি বুদ্ধির দৌড় পরখ করছেন।
যদি আপনার আত্মসম্মান বোধ কিছুমাত্র অবশিষ্ট থাকে তবে ইশ্বর কণার আবিস্কারক হিসেবে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আপনার সেই সাংকেতিক ভাষার কোডটা দিয়ে দেবেন। তার আগে ধর্ম সম্বন্ধে কোন “জ্ঞান দেওয়া” প্রলাপ এবং বাতুলতা। জানি এটাও আপনি বুঝবেন না।
আর একটি কথা- ভবঘুরে সাহেবের এই নিবন্ধটি কোন বিষয়ের ওপর সেটা নিশ্চয় বুঝতে পারেন নি। পারলে (আমি নিশ্চিত আপনি জীবনে কোনদিন পারবেন না) ভবঘুরে সাহেবের যুক্তি খণ্ডন করুন, আলফাল কথা লিখে কি-বোর্ডের আবর্জনা সৃষ্টি করবেন না।
@বস্তাপচা,
না! আপনার ঐ হিসাবে বংশ তালিকার গড় পড়তা বয়স হিসাব করা হয় নি।এর হিসাব হলো।রাসুল কাকে জ্ঞান দিলেন ,সে কাকে জ্ঞান দিলো।এভাবে হিসাব হয়েছে।সে হিসাবেই আমি ৪২ তম।
আপনারা জ্ঞানী নন তা কিন্তু আমি বলি নাই।তবে বলেছি কোরানের আদর্শিক বিষয়ে আপনারা শিশুও না।শিশু যেমন আগুন পানি মল এক চোখে দেখে এবং ব্যাবহার করতে চাই, আপনারাও তেমনি সাধারন জ্ঞান দিয়ে পার্থিব ও অপার্থীবকে এক জ্ঞানেই দেখছেন।আশা করি বোধদয় হবে।
আমি কোড দিলেই আপনি বুঝে যাবেন?এটাও একটা বোকার মত কথা বললেন।প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টেরই নিজস্ব সাংকেতিক ভাষা আছে।যতক্ষণ কেউ সেই ডিপার্টমেন্টের তালিকা ভুক্ত সদস্য না হয়, ততক্ষণ তাকে সেই ডিপার্টমেন্টের সাংকেতিক ভাষা জানানো হয় না।তারা সাংকেতিক শব্দ আপনাকে লিখে দিবে বা বলবে, কিন্তু আপনি তা বুঝতে সক্ষম হবেন না,যতক্ষণ না ডিপার্টমেন্ট আপনাকে সাংকেতিক শব্দের অর্থ না বলে দেয়। ঠিক তদ্রুপ কোরান পূরাটাই সাংকেতিক ভাষায় লেখা হয়েছে।যতক্ষণ না আমাদের মত তালিমধারী, কাউকে বুঝিয়ে দেবে। ততক্ষণ কোরানের কিছুই বূঝা সম্ভব হবে না।
তাই বলি,এই সাধারণ জ্ঞান নিয়ে কোরানের মত একটা অসাধারণ গ্রন্থের মন্তব্য করা পাগলামীই নয়, অনেক বড় অদবহীণতা।না জানলে জানার চেষ্টা করুন।
সতদ্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
ইশ্বর কণার আবিস্কারক হিসেবে আমি আপনার কাছে তার গাণিতিক মডেল চেয়েছি। সেটাও কি বোঝেন নি?
@বস্তাপচা,
ভাইজান, ওইটাই যদি আমাদের হাজি সাহেব বুঝতেন তবে কি আর এইসব আজাইরা তর্ক করতেন? ;-)। উনি আছেন উনার ভাব জগতে ।
@সিরাজুল ইসলাম,
তো আপনার ঐশী জ্ঞান জানাচ্ছেন না কেন? খালি মুখে বললেই হবে না, ওটাকে হাজির করা লাগবে। মনে নেই যে মুসা লাঠিকে সাপ বানিয়েও বেশিরভাগ লোককে আল্লাহর রাস্তায় আনতে পারেনি? তো আপনি খালি কি বোর্ড টিপেই মানুষকে হেদায়েত করতে চান? :-s
@অচেনা,
ভাই অচেনা, এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার শো টি মন্তব্য করলেন একটা পোষ্ট দিলেন না। এই মুহুর্তে মন্তব্য কলামে শুধুই আপনি আছেন, এই সবগুলো একত্র করে একটা পোষ্ট দিতে পারতেন। এটাকে ফ্লাডিং হয়তো বলা যাবেনা তবু অন্যের সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলো যে বেশীক্ষণ প্রথম পৃষ্ঠায় থাকতে পারছেনা সেটা ও তো একটা ব্যাপার। আশা করি বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন- (Y) অর্থাৎ লেখা দিবেন।
@আকাশ মালিক, দুঃখিত ভাইয়া আসলে ব্যাপারটা মাথায় আসেনি।ধরিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ। এখন থেকে ঐ বিখ্যাত হাজী সাহেবের সব মন্তব্য গুলিকে এক টা মাত্র পোষ্টের মাধয়মেই জবাব দেবার চেষ্টা করব। আর লেখার ব্যাপারটা সম্ভবত আমার সাধ্যের বাইরে, তবু একবার না হয় ব্যার্থ চেষ্টা করে দেখব কোনকিছু লিখতে পারি কিনা।ভাল থাকবেন ভাইয়া।
আপনার পোস্ট গুলো কি আমার ফেসবুক পেজ এ শেয়ার করতে পারি ?
@সমীর চন্দ্র বর্মা ।,
আবার জিগায়। সচ্ছন্দে শেয়ার করতে পারেন, এর জন্য আবার অনুমতি দরকার হয় নাকি ?
@সিরাজুল ইসলাম,
মাননীয় ভবঘুরের নিবন্ধে আপনি নিজে ইশ্বর কণার আবিস্কারক বলে জাহির করলেন!! যদিও এটা এখানে একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক তবু আপনাকে বলছি গাণিতিক মডেলটা একটু দেবেন? অন্য কোথাও থেকে কপি পেস্ট মারলে কিন্তু ধরব। কি ভাবে ম্যানিপুলেট করলেন সেটাও আমি দেখতে চাই। সাহা ইন্সটিউটে আমার কয়েকজন জুনিয়ার সহপাঠী আছে। যেখানটা আমার আওতার বাইরে হয়ে যাবে, যেখানটায় আমি ওদের সাহায্য নেব। এ ছাড়াও আমার আরও নিজস্ব সোর্স আছে। ফাজলামি বা পাগলামী করলে আমি দায়িত্ব নিয়ে আপনার গাঁজাখুরি গালগল্প ফাঁস করবই করব।
সংশোধনঃ যেখানটায় = সেখানটায়
@বস্তাপচা,
উপরে দিয়েছি,দয়া করে পড়ে নিন।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
আপনাকে আমি গাণিতিক মডেল চেয়েছি, কোন আষাড়ে গাঁজাখুরী বইয়ের গুলগল্প চাই নি। সেটা কি আদৌ বুঝতে পেরেছেন?
ভবঘুরে ভাইয়ের কপাল বটে, প্রত্যেক পর্বের পরে এক একজন অখ্যাত আলেমের উদ্ভব হয় যাদের উদ্দ্যেশ্য থাকে মূল আলোচন পাশ কাটিয়ে যাওয়া। প্রত্যেকের বক্তব্যই প্রায় এক যেমন এই প্রবন্ধের লেখকের ইসলাম সম্মন্ধে বিন্দুমাত্র ধারনা নাই, তিনি কোরান বুঝে পড়েন না, হাদিস সংগ্রহ কারীরা খুব খারাপ উদ্দেশ্যে হাদিস সংগ্রহ করেছেন সুতরাং সেগুলো বিশ্বাস করা যাবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। ভাই জানদের প্রশ্ন করতে মন চায় হাদিস তো মানেন না ভালোকথা, কিন্তু ইসলাম ধর্মের প্রধান ইবাদত ৫ ওয়াক্ত নামজের কথা কোরানের কন আয়াতে বলা আছে?কোন ওয়াক্তের নামাজ কত রাকাত তা কোরানের কত নাম্বার আয়াতে আছে?
ধর্মকে বাচাতে যেয়ে হাদিসকে অস্বীকার সরাসরি স্ববিরোধিতা হয়ে গেলোনা?
@ সিরাজুল
“/আর রাসুল যে হাদিস জীবদ্দশায় লিখে গেছেন তাহা সাংকেতিক ভাষায়।আপনাকে রাসুলের হাদিস বুঝতে হলে আগে রাসুলের সাংকেতিক ভাষা বুঝতে হবে।আর যতক্ষণ আপনি রাসুলের সাংকেতিক ভাষা বুঝবেন না,ততক্ষণ আপনি ইসলা ধর্মের কিছুই বুঝবেন না/।”
রাসুল কোন হাদিস গুলো সাংকেতিক ভাষায় লিখে রেখেচিলেন?সে বই খানির নাম কি? এক কপি পাওয়া যাবে নাকি আপনার কাছে?অথচ কোরানের অলৌকিকত্ব দাবীকারীদের কাছ থেকে ছোট্টবেলা থেকেই শুনে আসছি তিনি ছিলেন উমি অর্থাৎ অক্ষর জ্ঞানহীন তো তিনি কিভাবে হাদিস গুলো লিখে রাখলেন?
আপনার বক্তব্যের আরেকটি অংশ পড়ে অনেক্ষন হাসতে হল
“আপনি কি ব্যাভিচার বুঝেন?কোরানের দৃষ্টিতে আপনি আপনার বিবাহিত স্ত্রীর সাথে ব্যাভিচারী করছেন। আবার অনেকে বিয়ে না করেও কারো সাথে যৌণ সম্পর্ক করে ও শুভাচারী আছে।না জনলে জানার চেষ্টা করুন।”
আরতো এ লোকের সাথে কথা বাড়ানো যায় না…………
কাউকে জ্ঞানহীন বলে গালী দেওয়ার আগে নিজের জ্ঞানের লেভেল্টা যাচাই করুন।আমারতো মনে হয় ভবঘুরে যা জেনে এধরনের প্রবন্ধ লিখেছেন তার তুলুনায় আপনার তথাকথিত ধর্মজ্ঞান সাগরের তীরে নুড়ির মতই সামান্য।
@ছন্নছাড়া,
মূল সত্য হলো,যার মান নাই সে সকল কে মান দিতে জানে না ।আর যার জ্ঞান নাই সে সকলকেই নির্বোধ ভাবে।
আমার লেখাতেই আছে যে,আমরা যাহাকে কোরান বলে জানি তাহাই রাসুলের হাদিস।আর তাহা রাসুল জীবদ্দশাতেই তাহা লেখক এর মাধ্যমে লিখে আলির কাছে রেখে যান,এবং ওসমান তাহা পুস্তক আকারে প্রকাশ করেন।আর এই হাদিসেই লেখা আছে আমরা কিভাবে আল্লাহ হতে নাযিলকৃত কোরান চিনবো ও মানবো।
নির্বোধ যে কত প্রকার, তা এই ব্লগে না আসলে বুঝতাম না।আমি বলেছি-কোরানের দৃষ্টিতে আপনি আপনার বিবাহিত স্ত্রীর সাথে ব্যাভিচারী করছেন। আবার অনেকে বিয়ে না করেও কারো সাথে যৌণ সম্পর্ক করে ও শুভাচারী আছে।না জনলে জানার চেষ্টা করুন।”
অতএব আপনি জ্ঞানী হলে মন্তব্য না করে ,আমাকেই জিজ্ঞাসা করতেন।বিষয়টি কিভাবে।তা না করে আপনি নিজের বুঝকেই প্রধান্য, দিয়ে নির্বোধের মত বক্তব্যকে তাচ্ছিল্য করলেন।এমনও তো হতে পারে এর থেকে নতুন কোন ধারণা আসতে পারে।
তাই-
প্রথম কথা হইলো,আপনাদের বক্তব্য এই কোরান মিথ্যা এবং তাতে অনেক অ-সামঞ্জস্য আছে। ঠিক আছে।এখন আপনারা কোরানের যে কোন একটি অ-সামঞ্জস্য বিষয় তুলে ধরুন।সেটায় যদি প্রমান হয় অসামঞ্জস্য তাহলে আর আলোচনার প্রয়োজন নাই।আসলেই কোরান পুরোটাই অ সামঞ্জসে ভরা মেনে নিয়ে আমি বিদায় হবো।আর যদি প্রমান হয় আপনার নির্ধারিত বিষয়টিতে কোন অ-সামঞ্জস্য নাই ,তাহলে আপনারা আরেক টি বিষয়ে ঢুঁকবেন ।এভাবেই আমরা কোরানের সকল বিষয় আলোচনা করবো।
এখন আপনারা নির্ধারণ করুন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চান।
সত্য সহায়।গুরুজী।
@সিরাজুল ইসলাম,
দেখেন ওপরে আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করেছি। কিন্তু নিশ্চিত থাকেন ভাইজান আমি একেবারেই জ্ঞানী মানুষ না। :-Y
আরেকটা কথা ভাই, আপনি কি সত্যই হজ করেছেন?
@অচেনা,
কি যে বলেন! উনি কি হজ্জ করবেন , পাব্লিক ওনার কাছেই হজ্জ করতে আসে।
@ভবঘুরে,
:hahahee: সে ভাল বলেছেন ভাই। যাইহোক উনি রসুলের ৪২ তম বংশধর বলে কথা।
@অচেনা, ভাই
একে তো পেট গুড়গুড় করছে, তার ওপর আপনি তো দোজখে না পাঠিয়ে ছাড়বেন না। :lotpot:
সব ধর্মেরই ব্যবসায়ীরা “আধ্যাত্মিক” কথাটি বলে। বস্তুটি কি বলুন তো? ;-( ওটা খায় না মাথায় দেয়? :-Y
@বস্তাপচা,
ওটা খায়।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
কি দিয়ে খায় ভাইজান? খালি খায় নাকি লবন আর মরিচ মাখিয়ে খায় ? 😀 :))
@অচেনা,
এটা এলমে তাসাউফের ৮ম শ্রেণীর কথা।জানতে হলে কম পক্ষে ৯৬ টি বিষয় জানতে হবে।উহা কিন্তু আপনাকে খেয়ে সাবাড় করে চলেছে।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@বস্তাপচা, ভাইজান, ওটা সিরাজ সাহেব ভাল বলতে পারবেন 🙂
@ভবঘুরে, 😀
@সিরাজুল ইসলাম,
/”মূল সত্য হলো,যার মান নাই সে সকল কে মান দিতে জানে না ।আর যার জ্ঞান নাই সে সকলকেই নির্বোধ ভাবে।/
ভাইসাব এইবার একখান চরম জ্ঞানীকথা কইলেন।এই জন্যই বোধ হয় আপনি একেবারে আলোচনার শুরু থেকেই ভবঘুরে সমেত সকল নাস্তিক ব্লগারদের ঢালাও ভাবে জ্ঞানহীন বলে চালিয়ে দিচ্ছেন।
ভাই আপনি একজন মস্ত জ্ঞানী
আপনি দিচ্ছেন তাই মজার মজার বানী
এতে হবেনা আপনার মর্যাদার কোন হানী
রেফারেন্স ছড়া ধর্ম লইয়া করবেন্না টানাটানি
কবিতা লিখতে গিয়ে পেরেশান হইয়া খাইলাম দুই গ্লাস পানি……………।
“
@ছন্নছাড়া,
হেহেহে ভাই আপনি দেখি সুরা ফিল লিখে ফেললেন 😀 ।
হাজি সাহেব বুঝলে হয় এখন যে কোরানের সুরার ছন্দ কি জিনিস আসলে।
@সিরাজুল ইসলাম,
তাহলে আসল কোরান কোথায়? কার কাছে? আর আসল কোরান ছাড়া কিভাবেই বা দুনিয়ার মুসলমানরা ইসলাম পালন করছে?
@ভবঘুরে,
আগে আপনি সিদ্ধান্ত নেন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।কোরান ,হাদিস, নবি, রাসুল না মহাম্মদ নিয়ে।যে বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে না।
আপনার সিদ্ধান্তর পরেই আমি আলোচনা শুরু করবো।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,এত ত্যানা না পেচিয়ে ভবঘুরে ভাই ইস্লামের অনেক ভুল দেখিয়েছেন।তার মধ্য থেকে একটা বেছে নিয়ে শুরু করুন,আমরাও দেখি আপনার সাংকেতিক ভাষার বই থেকে কী বেরোয়?
@সাগর,
হাজী সাহেব ভার্সন-২(সিরাজুল ইসলাম) এর উত্তরটা আমি নিজেই দেওয়ার চেষ্টা করলাম……
“ত্যানা প্যাচানোর কথা বলছেন? আগে জানতে হবে ত্যনা কত প্রকার কি কি, কোথা থেকে আসলো আজকের এই ত্যানা নামকরন।ত্যানা ইসলামী শরীয়তের জীবনে একটি অপরিহার্য অংশ।ত্যানার ব্যাপারটা না বুঝলে আপনি ইসলামকে পুরোপুরী বুঝতে পারবেননা।
আমার লেখাতে আমি বলেছি, বর্তমান কোরান হচ্ছে হাদীস এবন হাদীসগূলো কোরান হিসাবে আলী রাঃ এর নিকট সংরক্ষিত ছিলো যা উস্মান পুস্তক আকারে প্রকাশ করেন। তাই হাদীস কোরান নিয়া ত্যানা প্যাচপ্যেচি করা যাবে না। আর এ বিষয় বুঝতে হলে আপনার ইসলাম সম্মন্ধে অনেক জ্ঞান রাখতে হবে যা আপনাদের নাই।এখন বলেন আপনি কোন বিষয় লইয়া আমার সাথে আলোচনা করিতে চান ?
সত্য সহায় গুরুজী”
ভাই সাগর আমার উত্তর প্রদানের ফরম্যাট যদি হাজী সাহেবের মত হয় তাইলে এককাপ ই-চা খাওয়াবেন কেমন?
@ছন্নছাড়া, (Y) (Y) (Y) (Y)
@ছন্নছাড়া, (C) ভাই কমেন্ট করতেছি মাগার হাসি থামাইতে পারতেছিনা।নেন ভাই আরেক কাপ (C)
@সাগর,
ভাইজান একটু মেহেরবানী করে বলবেন কি আমি কেন ইমো ব্যবহার করতে পারছি না, যদিও আগে পারতাম। তাছাড়া কারো বক্তব্য কোট করবো কিংবা স্ট্রং করব অথবা বোল্ড করব কিভাবে ভুলে গেছি। সাহায্য করবেন কি?
ভালো কথা চায়ে চিনি একদম ঠিক হইছে।
@ছন্নছাড়া, ওরে বাবা আপ্নিও দেখি আমার সমস্যা ফেস করতেছেন। আমার মনে হয় এডমিন সাহায্য করতে পারে।আমার ও শেখা দরকার।দেখি এডমিন কে বলে।@মুক্তমনা এডমিন-আমাদের বাচান।
@ছন্নছাড়া, (Y) (Y) :rotfl: :hahahee: ভাইরে মেরে ফেলবেন নাকি? হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে গেল।
@সাগর,
রাসুলের হাদিস বা প্রচলিত কোরান একটা অনেক বড় গ্রন্থ।যাহা এলো পাথাড়ি আলোচনার মাধ্যমে বুঝা ও বুঝানো সম্ভব নয়।তাই ধারা বাহিক ভাবে আলোচনা করতে হবে।এ কারণেই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আপনি কোন বিষয়ে আলোচনা করতে চান।
কিন্তু আপনি, কোন বিষয় বেছে না নিয়ে, নিজেই ত্যানা প্যাচাইতেছেন। তাকি অনুধাবণ করেতে পারছেন?ত্যানা না পেঁচিয়ে প্রচলিত কোরান থেকে, যে কোন একটা বিষয় বেছে নিন। আলোচনার জন্য।তাহলেই আমরা এক যায়গায় দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট না করে।সামনে এগোতে পারবো।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম, ইয়া ব্রাদার আপ কন চিজ সে বানি হো? যে কাজ আপনি খুব সহজেই করতে পারতেন তা না করে ত্যানার সাহায্য নিচ্ছেন।আমিও ত্যানা প্যাচাইলাম-এক্ টি বিষয় বেছে নিন তারপর আমরা তার সাংকেতিক অর্থ উদ্ঘাটন করব । কেমন প্যাচালাম বলবেন কিন্তু।আপনাকে কপি করে- ত্যানা সহায়,আবুলের মা(আমার কোন গুরু তাই)
@সাগর, ধুর বাবা খালি ভুল হয়(আমার কোন গুরু নাই) পড়ুন
@সাগর,
ঠিক কথাটাই বলেছেন।
@ছন্নছাড়া, (Y) (Y) (Y) (Y)
@ ভাই অচেনা,
২৩ নম্বর মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যে সিরাজুল ইসলাম দাবী করেছে সে নাকি ১৯৮২ সালে হিগস বোসন কণা কোরান পড়ে আবিষ্কার করে। আরো সব উদ্ভট কথা লিখেছে। আপনার কাছে অনুরোধ আপনি মন্তব্যগুলো পড়ে এর দাঁত ভাংগা জবাব দেন।
@হৃদয়াকাশ, ভাইরে হাজি সাহেব কে দাত ভাঙ্গা বা দাত তোলা যে জবাবই দেন না কেন উনার কিচ্ছু যায় আসবে না।দেখেন না আগের পর্বে উনি অনেকগুলো স্রষ্টার আমদানী করেছিলেন?কোরান তো বটেই উনি নিজেই যখন বিজ্ঞানী দের আগেই সব আবিষ্কার করে ফেলেছেন, সেখানে আমরা তো উনার মত আধ্যাত্মিক মানুষের কাছে গরু ছাগল। যদিও উনি কল্পনা ছাড়া কোন কথা লিখতে পারেন না। :lotpot:
@ছন্নছাড়া,
আপনি কি বিজ্ঞানী হতে চান ? তাহলে ঠিকমতো কোরান পড়েন। কোরান পড়ে বুঝতে না পারলে সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করেন। উনি আপনাকে ঠিকমতো কোরান বুঝাইয়া দিয়া আপনাকে বিজ্ঞানী হতে সাহায্য করবে। কারন এই পোস্টের ২৩ মম্বর মন্তব্যের প্রতি মন্তব্যে সে দাবী করেছে কোরান পড়েই সে ১৯৮২ সালে হিগস বোসন কনা আবিষ্কার করে। এছাড়াও কোরান পড়েই যে বিজ্ঞানীরা সবকিছু আবিষ্কার করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে এমন ননসেন্স দাবীও সে করেছে। আপনাকে এর জবাব দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
@সিরাজুল ইসলাম,
হুজুরে পাক, আপনার মুখনিঃসৃত ভাষণ পড়িয়া অতিশয় আনন্দিত হইলাম।
আপনার পাক ভাষণ পড়িয়া আপনাকে বিশ্বাস করিতে বাধ্য হইলাম অন্যথায় ‘শিরক’ অভিহিত করিতাম।
আপনাকে বিশেষ অনুরোধ আল্লাহ পাকের পাকহস্ত লিখিত আদি কোরান এবং সাংকেতিক ভাষার কোডটি দয়া করিয়া পোষ্ট করিয়া দিবেন। আদি কোরান পাইলেই সমস্ত সমস্যার সমাধান হইবে। নচেৎ, বুঝিতেই পারিতেছেন..
@বস্তাপচা,
প্রথম কথা হইলো,আপনাদের বক্তব্য এই কোরান মিথ্যা এবং তাতে অনেক অ-সামঞ্জস্য আছে। ঠিক আছে।এখন আপনারা কোরানের যে কোন একটি অ-সামঞ্জস্য বিষয় তুলে ধরুন।সেটায় যদি প্রমান হয় অসামঞ্জস্য তাহলে আর আলোচনার প্রয়োজন নাই।আসলেই কোরান পুরোটাই অ সামঞ্জসে ভরা মেনে নিয়ে আমি বিদায় হবো।আর যদি প্রমান হয় আপনার নির্ধারিত বিষয়টিতে কোন অ-সামঞ্জস্য নাই ,তাহলে আপনারা আরেক টি বিষয়ে ঢুঁকবেন ।এভাবেই আমরা কোরানের সকল বিষয় আলোচনা করবো।
এখন আপনারা নির্ধারণ করুন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চান।
সত্য সহায়।গুরুজী।
@সিরাজুল ইসলাম,
জনাব, আপনাকে বিশেষ অনুরোধ করেছিলাম আল্লাহ পাকের পাকহস্ত লিখিত আদি কোরান এবং সাংকেতিক ভাষার কোডটি দয়া করে পোষ্ট করে দেবেন।
যদি আদি কোরান কোন কারণে না পারেন তবে কোডটা তো দেবেন। কোডটা পেলেই আমরা আদি কোরান ডিকোড করে ফেলব।
জনাব, আপনি যদি ভবঘুরে সাহেবের নিবন্ধগুলো একটু কষ্ট করে পড়ে নিতেন, তবে সেগুলো আর এখানে কপি পেষ্ট করতে হয় না।
আর একটা নিদারুণ সত্য জানিয়ে রাখি। এখানে অনেকেই সিংহের মত কেশর ফুলিয়ে প্রমাণ করতে এসেছিলেন, শেষে হালে পানি না পেয়ে লেজ গুটিয়ে বীরত্বপূর্ণ পশ্চাৎ অপসারণ করেছেন। যুক্তিতর্ক যাই করুন রেফারেন্স দেবেন। আমরা কোন বিশ্বাসে বিশ্বাস রাখি না।
@বস্তাপচা,
আপনারা ইতি পূর্বে বিজয় লাভ করেছেন এবং আগামিতেও করবেন তাতে আমি নিশ্চিৎ।কারণ ছোট বেলায় একটা গল্প পড়েছিলাম।তা আজ আবার মনে পড়ে গেলো।গল্পটা এরুপ।
ইসলাম পুর ও মহেশ পুর নামে পাশাপাশি দুটি অশিক্ষিত জন বসতি গ্রামের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই চলছিলো দীর্ঘদিন থেকে। এমন সময় ইসলাম পুরের অশিক্ষিত মাদবার থানা শহর থেকে, এক আই এ পাশ শিক্ষক নিয়ে এসে, তার খানকা ঘর ছেড়ে দিলেন বিদ্যালয়ের জন্য।এবং গ্রামের ছেলেরা সেখানে লেখাপড়া করতে লাগলো।
মহেশ পুরের মাদবার এই কথা শুনার পরে দেখলো তার তো ইজ্জত যায়।কেনো না ইসলাম পুর আগে মাষ্টার এনে বিদ্যালয় করে ফেললো, কিন্তু তারা আগে বিদ্যালয় করতে পারলো না।এতে তারা পরাজয় বোধ করলো।তাই সে ইসলাম পুর থেকে জিতে থাকার জন্য,থানা শহর নয়, জেলা শহর থেকে এক মাষ্টার আনলেন।যদিও মাষ্টার বলেছে সে বিয়ে পাশ কিন্তু ইসলাম পুরের মাষ্টার জানে সে আই এ পাশ করে নাই।
উভয় গ্রামের লোক জন মাঠে কাজ করতে এসে কার মাষ্টার বেশি জ্ঞান রাখে নিয়ে আলোচনার এক পর্যায়ে ইসলাম পুরের লোক জন মহেশ পুরের লোককে বলেছে আমাদের মাষ্টার বললো তোমাদের মাষ্টার তো আই এ পাশ করে নাই।এই নিয়ে তুমুল ঝগগড়া আবার লড়াই বাধার উপক্রম। ।এক পর্যায়ে দুই গ্রাম সিদ্ধান্ত নেই, দুই মাষ্টারের মধ্যে বাহাস হবে, সেখানেই জানা যাবে কার মাষ্টার বেশি জানে।তারিখ মত দুই গ্রামের লোক জন ঢোল কাশি বাশি নিয়ে হাজির হলো বাহাসের যায়গায়।বিজয় লাভ করলে যেন আনন্দ করতে করতে বাড়ি যেতে পারে।
মহেশ পুরের মাষ্টার ইসলাম পুরের মাষ্টারকে বললো তুমি আগে প্রশ্ন করো।ইসলাম পুরের মাষ্টার মহেশ পুরের মাষ্টার কে।বাংলা অংক ও ইংরাজি বই থেকে একটি একটি করে তিনটি প্রশ্ন করলো।মহেশ পুরের মাষ্টার তার জবাব দিয়ে দিলো।
এবার মহেশ পুরের মাষ্টারের প্রশ্ন করার পালা।তখন মহেশ পুরের মাষ্টার বললো।তুমি আমাকে তিনটা প্রশ্ন করেছো,আমি তোমাকে তিনটা নয়,একটা প্রশ্ন করবো।যদি তার জবাব দিতে পারো তাহলে আমি হার স্বীকার করে চলে যাবো।মহেশ পুরের অশিক্ষিত লোক জন মাষ্টারের কথা শুনে তো গর্বে বুক ফুলাতে লাগলো।তিন প্রশ্নের কাছে এক প্রশ্ন করবে।অনেক শিক্ষিত ও জাননেওয়ালা ভাবতে লাগলো।
যায় হোক শেষে মহেশ পুরের মাষ্টার,ইসলাম পুরের মাষ্টারকে বললো,আমার প্রশ্নের জবাব টা একটু জোরে দিয়ো, যেন সবাই শুনতে পায়।তুমি বলো-
আই ডোন্ট নো মানে কি?
ইসলাম পুরের মাষ্টার বললো, আমি জানি না।সঙ্গে সঙ্গে মহেশ পুরের লোক জন ঢোলে বাড়ি দিয়ে বিজয় মিছিল বের করে দিলো।ইসলাম পুরের মাষ্টার আমাদের মাষ্টারের প্রশ্নের উত্তর জানে না।ইসলাম পুরের লোকজন পরাজিত হয়ে লজ্জায় মাথা নত করে ফেললো।
অনেকক্ষণ চুপ থাকার পরে ইসলাম পুরের মাদবার মাষ্টার কে বললো ,বাপু পঁচিশ বছর তারা কোন বিষয়ে আমাদের কাছে জিততে পারে নাই।কিন্তু তোমার জন্য আজ আমরা হেরে গেলাম।তুমি তার প্রশ্নের জবাব দিতে পারবে না তো বাহাসে গেলে কেনো?মাষ্টার শত চেষ্টা করেও আসল সত্য দুই গ্রামের কাহাকে ও বুঝাতে সক্ষম হলো না।এবং লজ্জায় রাতের অন্ধকারে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেলেন।আপনারাও বার বার একই রকম বিজয় লাভ করেছেন।এবং আমার বিশ্বাস আগামিতেও করবেন।
সত্য সহায়।গুরুজী।
@সিরাজুল ইসলাম, ভাইজান পিছলে না যেয়ে আসল কোরানের লিঙ্ক এখানে দিয়ে দিচ্ছেন না কেন? আপনার তথা কথিত প্রচলিত কোরাণ আর আসল আদি কোরানের পার্থক্য আমরাই বের করে ফেলব। সেটা আমাদের উপর ছেড়ে দিন।
@বস্তাপচা,
অসাধারণ বলেছেন ভাই (Y)
স্বাগতম স্বাগতম ভাইজান; এই মাঠে অনেকদিন ঝুম বৃষ্টি হয়নি; স্বাগতম, (C) অন দি হাউস :))
@কাজী রহমান,
গ্রহন করলাম।
বাংলা িলখেত সমস্যা হেচ্ছ েকেনা একটু জানােবন?
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
জনাব সিরাজুল ইসলাম সাহেব,
নীচের বোখারীর হাদিছটি বলতেছে সূর্য প্রতিদিন চলে চলে উদয় ও অস্ত হয়। এ ব্যপারে আপনি কি হাদিছটির সংগে একমত? নাকি আপনি বলিবেন ” সূর্য চলে চলে নয়,বরং পৃথিবী ঘুর্ননের ফলে দিবা রাত্র হয়।”
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
প্রথম কথা হইলো,আপনাদের বক্তব্য এই কোরান মিথ্যা এবং তাতে অনেক অ-সামঞ্জস্য আছে। ঠিক আছে।এখন আপনারা কোরানের যে কোন একটি অ-সামঞ্জস্য বিষয় তুলে ধরুন।সেটায় যদি প্রমান হয় অসামঞ্জস্য তাহলে আর আলোচনার প্রয়োজন নাই।আসলেই কোরান পুরোটাই অ সামঞ্জসে ভরা মেনে নিয়ে আমি বিদায় হবো।আর যদি প্রমান হয় আপনার নির্ধারিত বিষয়টিতে কোন অ-সামঞ্জস্য নাই ,তাহলে আপনারা আরেক টি বিষয়ে ঢুঁকবেন ।এভাবেই আমরা কোরানের সকল বিষয় আলোচনা করবো।
এখন আপনারা নির্ধারণ করুন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চান।
সত্য সহায়।গুরুজী।
@সিরাজুল ইসলাম,
নীচের দুইটি আয়াতের ১ম টায় বলা হচ্ছে আগে যমীন ও পরে আছমান সৃষ্টি করা হয়েছে,অথচ দ্বিতীয় আয়াৎটায় বলা হচ্ছে
আগে আছমান সৃষ্টি করা হয়েছে পরে যমীন।
এটাকে কি আপনি একটি অসামঞ্জস্য মনে করবেন?
তাহলে নীচে দেখুন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
জনাব,
আপনি আসমান ও যমিন নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।আপনাকে ধন্যবাদ।তবে শর্ত হলো আপনি আসমান ও যমিন আলোচনার সিদ্ধান্তে আসার পূর্বে প্রসঙ্গিক বিষয় ব্যাতীত অন্য কোন বিষয়ের আলোচনা করা যাবে না।
সমগ্র কোরানে মোট আসমান নিয়ে আয়াত এসেছে-১৭৫ টি এবং যমিন নিয়ে কথা এসেছে ৪২২ টি আয়াতে।আমরা একে একে সকল আয়াত আলোচনায় আনবো ।তার পূর্বে আপনাকে বলে রাখি যে,কোরানের সমস্ত আয়াতেই আধ্মাত্মিক আলোচনা করেছে।যা সাধারণের বুঝার কোনই সাধ্য নাই।যতক্ষণ না তরিকায় দাখিল হয়ে তালিম নেন।
প্রকাশ থাকে যে
আধ্মাত্মিক বিষয়ে জানতে হলে ,আপনাকে তরিকা গ্রহন করে।নিজেকে বিশ্বস্ত প্রমান করার পরেই কেবল আপনার সাথে আলোচনা করা হবে।
এখন আসা যাক আপনার আয়াতের আলোচনায়।
২য় সূরার ২৯ আয়াত
এই আয়াতের আরবি=
হু ওয়াল্লাযী খালাকা লাকুম মা ফিল আরদি যামিয়ান।সুম্মাস্তাওয়া ইলাস সামায়ি ফা সাওয়া হুন্না সাবয়া সামাওয়াতিন। ওয়া হুওয়া বি কুল্লি শাইয়িন আলিম।
অর্থ=
তিনিই, যিনি সৃষ্টি করিয়াছেন যমিনের মধ্যস্থিত জিনিস একত্রীতে।অতঃপর একাগ্র হলেন আসমানের উপরে ,অতঃপর তাহারা (স্ত্রী-লিঙ্গ)সমান করিলেন সাত আসমান।আর তিনি সমস্তের প্রতি জ্ঞানে ইচ্ছাধীন।
৭৯ তম সূরা=আয়াতঃ২৭-৩০
২৭ আয়াতের আরবি=
আ-আনতুম আশাদ্দু খালকান আমিস সামাউ ,বানা হা।
অর্থ=
তোমরা সৃষ্টিতে শক্তিশালী না আসমান?নির্মাণীয়।
২৮ আয়াতের আরবি=
রাফায়া সমকা হা ফা সাওয়া হা।
অর্থ=
উত্তোলনে মাছীয় অতঃপর সমানীয়।
২৯ আয়াতের আরবি=
ওয়া আগতাশা লাইলা হা ওয়া আখরাযা দুহা হা।
অর্থ=
আর অন্তরিক্ষে রাত্রীয় আর বাহির আলোকীয়।
এখন বলুন এই আয়াতের কোথায় কোথায় কোথায় আপনার সমস্যা।এর সবই আধ্মাত্মিক।
বলে রাখি ,আপনার মত সাধারণ জ্ঞান দিয়ে কোরান বুঝা সম্ভব নয়।তাই কোরান বুঝতে হলে অ-সাধারণ জ্ঞান আহরণের চেষ্টা করুন।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
ঠিকই বলেছেন, কোরান সাধারন লোকদের জন্য নয়। ওটা শুধু আধ্যাত্বিক লোকদের জন্যই।এবং সাধারন লোকদের এটা বুঝার অধিকার ও নাইও বুঝার চেষ্টা করাও উচিৎ নয়।
এজন্যই আধ্যাত্বিক দাবীদাররা কোরানের দোহাই দিয়া জনসাধারনদেরকে যাই করতে বলতেছে,জনগন তা পালনের জন্য শুধু তাদের মুখের কথার উপর পাকা ঈমান এনে বুকে আত্মঘাতি বোম্ব বেধেও ঝাপিয়ে পড়তেছে।
কিন্ত ইদানিং জনগন অত্যন্ত সচেতন হয়ে গিয়েছে। তারা এখন শুধু আধ্যাত্মিক গুরুজীর কথার উপর আর আস্থা রাখতে পারতেছেনা। তারা এখন কোরানের কোথায় কী আছে, কোথা থেকে এই কোরানের উৎপত্তি, এগুলী তন্য তন্য করে অনুসন্ধান করে দেখতে চায়।
সমস্যাটা এখানেই বেধে গিয়েছে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনাকে জানতে না করা হয়নি।আপনি আলোচনা করুন,আসমান ও যমিন নিয়ে কোরানে কি কি অ-সামঞ্জস্য আছে তুলে ধরুন ।আর আমি দেখাতে চেষ্টা করি যে কোরানে কোথাও কোন অসামঞ্জস্য নাই।জানুন এবং জানানোর চেষ্টা করুন।
আমরা যে কেউ জন্মগতভাবে কোন এক ধর্মের কিংবা বিজ্ঞানকে অপরিবর্তণীয় সত্য জানি। তাই অন্য ধর্মগুলোকে মিথ্যা কাহিনী মনে হওয়াটাই সবার জন্য স্বাভাবিক। তাই বলে এটাকে যদি অস্ত্র হিসেবে ইউজ করি -এবং তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করি, সেটা আমার নীচতা, লোভী, সুযোগ সন্ধানী, গীবতকারী মনেরই পরিচয় দিবে। তাহা কখনোই জ্ঞানির পরিচয় বহণ করবে না।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজান , আপনার তো খুশী হওয়ার কথা যে অবশেষে একজন আধ্যাত্মিক মানুষ পাইলাম। আসুন আমরা সবাই তার কাছ থেকে সহি কোরান ও সহি হাদিসের জ্ঞান আহরন করে ধণ্য হই।
@ভবঘুরে, ভাই, তার থেকেও ভাল হয় আসেন আমরা হাজী সাহেবের মুরিদ হয় যাই।তরিকা গ্রহন না করলে নাকি গুপ্ত জ্ঞান জানা যায় না।তবে তরিকা গ্রহন করার পরও যদি গুপ্ত জ্ঞান না যান্তে পারি আমরা, তবে হাজি সাহেব কি জবাব দিবেন আপনার কি কোন আন্দাজ আছে? 🙂 ।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আমি হাদিস নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক নই।
তবে ,পৃথিবী যেমন সূর্য্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে সূর্যও এরুপ কাউকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।আবার পৃথিবী যেমন নিজ অক্ষের উপর ঘুরছে,সূর্য্য ও তেমনি নিজ অক্ষের উপর ঘুরছে।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
এটা দিয়ে কি বুঝালেন ভাইজান ?
কেন ইচ্ছুক নন ? বলা যাবে ?
@ভবঘুরে,
উপরে @আঃ হাকিম চাকলাদার, এর এক প্রশ্নের জবাবে আমি ও কথা বলেছি।
কেন না ,বোখা গং রা যে হাদিস লিখেছে তাহা রাসুলের মূল হাদিস না মানার জন্য।তা্ই আমি রাসুলের হাদিস বা প্রচলিত কোরানের বাইরে আর কিছুই মানি না।কেন না,রাসুলের হাদিস বা প্রচলিত কোরান এর বাইরে আর কোন গ্রন্থকে মানতে রাসুল তার হাদিসে পরিস্কার ভাবে না করেছে।
তাই আমি বোখারি গং রচিত হাদিস মানতে ইচ্ছু নই।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
ভাই সাহেব শোনেন, যা বললেন এখানেই বলেন। এই কথা আপনার স্বজাতি মুসলিমদের বলবেন না দয়া করে। গনধোলাই খাবার জোর সম্ভাবনা আছে তাহলে আপনার।মুসলিম রা কোরানের পরেই বোখারী হাদিস কে শুদ্ধতম গ্রন্থ হিসাবে মেনে চলে। :-Y
@অচেনা,
না! যারা হাদিস মানে তারা শুধু হাদিসই মানে,তারা কোরান মানে না।কিন্তু তারা তা বুঝেনা।আর যারা কোরান মানে তারা হদিস মানে না।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
আপনি অভ্র ব্যবহার করে লেখেন না? ওটা ব্যবহার করলে সমস্যা হবার কথা না।
একটা কথা মনে রাখবেন,
একজন আস্তিক সবসময় সবার ভালবাসার পাত্র
একজন নাস্তিক সবসময় অধিকাংশ লোকের কাছে ঘৃনার পাত্র, এমনকি তার পরিবারের কাছেও
কিছু কি পেয়েছেন নাস্তিকতা থেকে?
আমি পেয়েছি হাজার লোকের ভালবাসা, এমনকি নাস্তিকদেরও। কারন আমি একজন বিশ্বাসী।
যুগ যুগ ধরে বিশ্বাসীরা মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হবে, আর নাস্তিকরা স্মৃত হবে ঘৃনায়।
কিছু আসে যায় না আপনি আস্তিক না নাস্তিক,
কিন্তু যদি মরার পরে কোন জীবন থাকে তবে আমি জিতে গেলাম, এখনো এবং তখনো।
আর আপনি হেরে গেলেন, হারিয়ে গেলেন, ঘৃনীত হলেন সবখানে।
আপনি আপনার লেখাতে যাহাকে কোরান বলে অভিহিত করলেন উহা কিন্ত কোরান নয়।উহা হলো রাসুলের হাদিস ।আর তাহা হতে অনেক মূল্যবান মূল্যবান তথ্য বাদ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কোন মিথ্যা বা রাসুলের কথা ব্যাতীত অন্য কারও কথা সংযোজন করতে পারে নাই।কেন না,এই হাদিস আলির কাছে গচ্ছিত ছিলো এবং ওসমানের সময় তা গ্রন্থ আকারে প্রকাশ হয়ে যায়।তাই রাসুলের মূল হাদিসে নতুন সংযোজন না করতে পেরে রাসূল মারা যাওয়ার পরে,তারা নিজেরাই হাদিস লিখে ৬ টা হাদিসকে রাসুলের সহি হাদিস বলে প্রচার করে ।যাহাতে রয়েছে রাসুল বিরোধীদের নিজস্ব সংস্কৃতি।তাহা কোন ধর্মীয় গ্রন্থ নয়।
আর আল্লাহ হযরত মহাম্মদের কাছে যে বাণী বিশ্ববাসীকে ধর্ম হিসাবে পালনের জন্য পাঠিয়েছেন, তাহা আল্লাহ লিখিত ভাবেই পাঠিয়েছেন এবং তা নক্ষণা বেক্ষণের দায়িত্বও আল্লাহর।
আর রাসুল যে হাদিস জীবদ্দশায় লিখে গেছেন তাহা সাংকেতিক ভাষায়।আপনাকে রাসুলের হাদিস বুঝতে হলে আগে রাসুলের সাংকেতিক ভাষা বুঝতে হবে।আর যতক্ষণ আপনি রাসুলের সাংকেতিক ভাষা বুঝবেন না,ততক্ষণ আপনি ইসলা ধর্মের কিছুই বুঝবেন না।
রাসুল এই সাংকেতিক ভাষা আলিকে জানিয়ে নিজেই ঘোষনা দিয়েছিলেন। আনা মাদিনা তু এলম ওয়া আলিউন বাবুহা।যার অর্থ -আমি জ্ঞানের শহর আলি তার প্রবেশ দ্বার।অর্থাৎ রাসুলের জ্ঞান ভান্ডে প্রবেশ করতে হলে আলির মাধ্যম দিয়ে আসতে হবে, নচেৎ কিছুই জানা যাবে না।
আলি রাসুলের সাংকেতিক ভাষা শিখিয়েছেন হাসান কে ,হাসান হোসনকে,হোসেন হাসান বসরি কে এভাবে ৪২ তম বংশধর হিসাবে বর্তমানে আমি তা প্রাপ্ত হয়েছি।তাই আন্দাজে কথা না বলে কোরানের কথা কোরানের ভাষায় বলা শিখুন।নচেৎ কোরান নিয়ে আলোচনা কইরেন না।আর না জনলে জানার চেষ্টা করুন।
এবার আসুন আপনি বলেছেন
আসলে সমস্যা হলো আপনি নবি এবং রাসুল সম্বন্ধে কোনই জ্ঞান রাখেন না।ব্যাক্তি মহাম্মদ একজন গবেষক।আর তিনিই ধর্ম নিয়ে পূর্ব থেকে চলে আসা গবেষণাকে আরও সমৃদ্ধ করেছেন মাত্র।ব্যাক্তি ইসা মুসা দাউদ ইব্রাহিম এরা কেহই নবি নয়।এরা সকলেই ধর্ম গবেষক।বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার নিতিমালা প্রণয়ন কারী।আল্লাহ শয়তান ফেরেস্তা এটা তাদেরই আবিস্কার মাত্র।
আপনার ঐ মাথা দিয়ে ধর্মীয় গ্রন্থ বূঝা সম্ভব নয়।কারণ আপনার মেমোরি কার্ড ফালতু মুর্খের স্বর্গ বাস দিয়ে ভরে ফেলেছেন ।আপনাকে ধর্ম বিষয় বা কোরানের জ্ঞান জানতে হলে আগে আপনার মেমোরি কার্ড থেকে ঐ ফালতু বিষয় গুলি ডিলেট করে নতুন করে ,ইসালামী জ্ঞান বা ধর্ম গন্থের জ্ঞান লোড দিতে হবে।ইহা ব্যাতীত সম্ভব নয়।
এ সকল কথার তথ্য সুত্র কি।আপনি যেখান থেকে একথা পেয়েছেন তাহা কত সালের ছাপানো গ্রন্থ।দয়া করে জানাবেন।
সে কথা তো রাসুল তার হাদিসেই বলে গেছে।কিন্তু আসল সত্য হলো কোরাইশ বংশ সহ সকল বংশই কিন্তু তার পাগলামীর পক্ষে এসেছেন।এবং তার পাগলামী কথাকে সামনে রেখেই নিজে বড় হতে চেয়েছেন।কিন্তু কোথাও কোরাইশরা রাসুল কে লুটেরা বলে নাই।বলেছে পাগল।অথচ আপনি আবিস্কার করলেন মহাম্মদকে লুটেরা হিসাবে।অবশ্যয় আপনি এর তথ্য সুত্র দিবেন।
না! কোরান চার বিয়ের কথা বলে নি। কোরান বলেছে দুই দুই,তিন তিন,চার চার বিয়ে করতে।আপনি কি এর তত্ব জানেন?জানেন না।
এবং কোরান বলেছে যার বিবাহের সার্মরথ নাই নাই সে যেন নিজেকে পূত পবিত্রতার সহিত সংযত রাখে।
সূরা নূর ৩৩ নম্বর আয়াত।
আর যাহারা বিবাহ করিতে অসমর্থ তাহাদের উচিৎ তাহারা যেনো সংযমি থাকে।
বানোয়াট মনগড়া কথা।দয়া করে তথ্য সুত্র দিবেন।
আপনি কি ব্যাভিচার বুঝেন?কোরানের দৃষ্টিতে আপনি আপনার বিবাহিত স্ত্রীর সাথে ব্যাভিচারী করছেন। আবার অনেকে বিয়ে না করেও কারো সাথে যৌণ সম্পর্ক করে ও শুভাচারী আছে।না জনলে জানার চেষ্টা করুন।
কোরান চিনতে ও জানতে হলে অবশ্যয় হাদিস প্রয়োজন।তা হলো,আল্লাহ যে কোরান নিজে লিখে পাঠিয়েছেন তাহা চিনতে ও জানতে রাসূলের হাদিস বা বর্তমান প্রচলিত কোরান জানা প্রয়োজন।কিন্তু বোখারি গং রচিত ঐ হাদিস নয়।
এখনেই তো পরিস্কার যে তার বাণীর তিনিই সংরক্ষক।এহা ছাড়া আরও অনেক যায়গাই একথা বলেছে।তার মানে আপনি যাহাকে কোরান বলছেন তাহা কোরান নয়।তাহলে অবশ্যয় মহাম্মদ কে জানতে ও বুঝতে হলে আগে তার আল্লাহ হতে প্রাপ্ত কোরান জানা আবশ্যক।যাহা সকল সৃষ্টির জন্য হেদায়েৎ।
আপনি কি যিশুর এই কথা বিশ্বাস করেন?করলে কেনো করেন?
মহাম্মদ ব্যাক্তি যিশুকে নিয়ে কোন কথা বলেন নি ।তিনি কথা বলেছেন বস্তু ইসাকে নিয়ে।আপনার কি এ বিষয়ে জ্ঞান আছে।থাকলে বলুন তো ।বস্তু ইসা বলতে আপনি কি বুঝেন?
ব্যাক্তি মহাম্মদ যেমন বিষ পানে মারা গেছে,ঠিক তার থেকেও ব্যাক্তি ইসা আরও নির্মম ভাবে ক্রুশ বিদ্ধে মারা গেছে।যাহাকে অনেক অপমান কর কথা শুনিয়ে এবং অনেক অত্যাচার করে মেরে ফেলা হয়েছে।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
কি করে বানোয়াট কথা হল নীচের আয়াৎটা দেখুন তো?
9:29
قَاتِلُواْ الَّذِينَ لاَ يُؤْمِنُونَ بِاللّهِ وَلاَ بِالْيَوْمِ الآخِرِ وَلاَ يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ اللّهُ وَرَسُولُهُ وَلاَ يَدِينُونَ دِينَ الْحَقِّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُواْ الْكِتَابَ حَتَّى يُعْطُواْ الْجِزْيَةَ عَن يَدٍ وَهُمْ صَاغِرُونَ
29
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।
@সিরাজুল ইসলাম,
ভাইজান দেখি “ভাবের জগতে” বসবাস করছেন! আপনার এ দীর্ঘ মন্তব্যের “রেফারেন্স” কি পাঠকদের জানাবেন?
@গোলাপ,
অবশ্যয় দেবো তবে লেখা এমন হচ্ছে কেন?তাই বলুন।
@গোলাপ,
অবশ্যয় দিবো,তবে অাসুন অামরা কোরানের যে কোন একটি বিষয় নিয়ে অালোচনা শুরু করি।একটা বিষয় শেষ হলে অন্য অার একটি তে প্রবেশ করা যাকে।কারণ হাদিস বা প্রচলিত কোরান অনেক বড় গ্রন্থ।এবং তাহাতে অনেক বিষয় নিয়ে অালোচনা করা হয়েছে।তাই একসাথে অনেক বিষয় অালোচনা সম্ভব নয়।তাই অাসু ,যে কোন একটি বিষয় নিয়ে অালোচনা করি।
এখন অাপনি নিধর্ারণ করুন কোন বিষয় নিয়ে অালোচনা করবেন।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
আপাতত: আপনি যা লিখেছেন তারই “রেফারেন্স” দেন। ওখান থেকেই আলোচনা শুরু হবে! ধর্ম নিয়ে আলোচনার সময় রেফারেন্স অত্যন্ত আবশ্যক। যেমন ‘এখানে’।
@গোলাপ,
সিরাজুল এই পোস্টের ২৩ নম্বর মন্তেব্যরে প্রতিমন্তব্যে লিখেছে কোরান পড়ে ১৯৮২ সালে হিগস বোসন কনা আবিষ্কার করে। আমাদের মধ্যে যে একজন বিজ্ঞানী আছে সেটা কি আপনি টের পেয়েছেন। দয়া করে তার মন্তব্যগুলো পড়ে তাকে একটু সাইজ করেন।
@হৃদয়াকাশ,
আরে ভাই আমি তো অনেক আগেই বলেছি, উনি “ভাব জগতের” লোক। বাস্তব দুনিয়ার সাথে সম্পর্কহীন মতি-বিভ্রম (Delusion) জগতে উনি বিচরণ করেন। দুই চারটা মন্তব্য পড়লেই মন্তব্য কারীর জ্ঞানের গভীরতার একটা আন্দাজ পাওয়া যায়। সব মন্তব্যেরই কি জবাব দেয়া উচিত?
@গোলাপ,
(Y) (Y) অসাধারন বলেছেন ভাই 😀 ।
@গোলাপ,
হে হে হে , সেকথা আর বলতে ? উনি ভাব জগতের তুঙ্গে অবস্থান করছেন। মাঝে মাঝে আমারও ইচ্ছা জাগে ভাব জগতের তুঙ্গে উঠতে। কিন্ত পারি না ।
@সিরাজুল ইসলাম,
একজনকে পাওয়া গেল… .. আপনার কাছে অনুরোধ থাকবে যে ভবঘুরে সাহেবের উওর পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। আর আরেকটা ছোট অনুরোধ আগের পর্বগুলো পরলে আপনার কিছু উত্তর পাবেন বলে আশা করি ।
আমি কিছু চেষ্টা করব ?
কোরান বলছে- ইহুদি খৃষ্টানদের সাথে সর্বদাই যুদ্ধ করে যেতে হবে যতক্ষন পর্যন্ত না তারা ইসলাম গ্রহন করে বা জিজিয়া কর প্রদান না করে।
অতঃপর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে মুশরিকদের হত্যা কর যেখানে তাদের পাও, তাদের বন্দী কর এবং অবরোধ কর। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের সন্ধানে ওঁৎ পেতে বসে থাক। কিন্তু যদি তারা তওবা করে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে, তবে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। সূরা- আত তাওবাহ, ০৯:০৫
আমি এতটুকু মনে রাখতে পারছি তাই লিখলাম । বাকীটা ভবঘুরে সাহেব দিবন বলে আমা রাখি।
@সিরাজুল ইসলাম,
ভাইজান কি কোন কমিক সিরিজের রচয়িতা নাকি ? আপনার লেখাটা দারুন এক কমিক হয়েছে। আপনার কমিক চালিয়ে যান, আমরা আপনার সাথে আছি, অনেকদিন কোন কমিক পড়ি নাই।
@ভবঘুরে,
পিছলাইয়েন না ।আলোচনায় আসুন অথবা কোরান ও মহাম্মদ নিয়ে বাজে কথা বলা ছাড়ুন।কোরানের যে কোন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করার জন্য অনুরোধ করছি।
@সিরাজুল ইসলাম,
এই আমি টা কে ? আপনি নিজে নাকি ? তাই যদি হয় তার মানে আপনি বর্তমান কালের সবচাইতে বড় কোরান ব্যখ্যাকার ? অথবা অন্য কথায় আপনি সবচেয়ে বেশী কোরান বোঝেন ? বিষয়টা খোলাসা করবেন ?
@ভবঘুরে,
জ্বি! আমি মানে ব্যাক্তি সিরাজুল ইসলাম।না আমার মত আরও অনেকেই ৪২ তম কোরান জানা বংশধর আছে।তবে আমি কোরানের মূল দর্শণ নিয়েই আলোচনা করতে চাই।
সত্য সহায়। গুরুজী।
@সিরাজুল ইসলাম,
প্রথম কথা হইলো,আপনাদের বক্তব্য এই কোরান মিথ্যা এবং তাতে অনেক অ-সামঞ্জস্য আছে। ঠিক আছে।এখন আপনারা কোরানের যে কোন একটি অ-সামঞ্জস্য বিষয় তুলে ধরুন।সেটায় যদি প্রমান হয় অসামঞ্জস্য তাহলে আর আলোচনার প্রয়োজন নাই।আসলেই কোরান পুরোটাই অ সামঞ্জসে ভরা মেনে নিয়ে আমি বিদায় হবো।আর যদি প্রমান হয় আপনার নির্ধারিত বিষয়টিতে কোন অ-সামঞ্জস্য নাই ,তাহলে আপনারা আরেক টি বিষয়ে ঢুঁকবেন ।এভাবেই আমরা কোরানের সকল বিষয় আলোচনা করবো।
এখন আপনারা নির্ধারণ করুন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চান।
সত্য সহায়।গুরুজী।
@সিরাজুল ইসলাম,
.
দেখুন তো নীচের বাক্যের বক্তা তো জিব্রাইল নিজেই।
তাহলে কোরান আল্লাহর বাক্য হল কী করে ? কোন কোন আয়াত গুলী তাহলে আল্লাহর বাক্য?
19:64
وَمَا نَتَنَزَّلُ إِلَّا بِأَمْرِ رَبِّكَ لَهُ مَا بَيْنَ أَيْدِينَا وَمَا خَلْفَنَا وَمَا بَيْنَ ذَلِكَ وَمَا كَانَ رَبُّكَ نَسِيًّا (64
(জিব্রাইল বললঃ) আমি আপনার পালনকর্তার আদেশ ব্যতীত অবতরণ করি না, যা আমাদের সামনে আছে, যা আমাদের পশ্চাতে আছে এবং যা এ দুই-এর মধ্যস্থলে আছে, সবই তাঁর এবং আপনার পালনকর্তা বিস্মৃত হওয়ার নন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনি কি এই আয়াতে বিষয় বস্তু নিয়েই আলোচনা করতে চান সিদ্ধান্ত নিলেন?
@সিরাজুল ইসলাম,
আপনি মুসলিম তো নাকি অন্য কিছু? মানে বাহাই ধর্মের কেউ? যদিও ধর্মটা সম্পর্কে আমি ভাল জানিনা তবু মুসলিম রা সম্ভবত এদের অমুসলিম বলে থাকে।
তাহলে আপনি কি স্বীকার করেন যে আল্লাহ ফেরেশতা শয়তান এইসবের অস্তিত্ব নাই?
@অচেনা,
আশাকরি আপনি সব ধর্ম সম্বন্ধে ভালো ধারণা রাখবেন।আলোচনায় আসুন, তখনই দিনের আলোর মতই পরিস্কার হয়ে যাবে, আপনি কোন ধর্ম সম্বন্ধে ভালো জানেন। আর কোন ধর্ম সম্বন্ধে ভালেঅ জানেন না।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
ভাইজান আগেও এই জিনিস বলেছিলেন। আপনার দোহাই লাগে ব্যাপারটা খুলে বলেন দেখি। সমস্যাটা কি আপনার?
@অচেনা,
জনাব,
আপনি ব্যাভিচার নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন।আপনাকে ধন্যবাদ।তবে শর্ত হলো আপনি ব্যাভিচার আলোচনায় সিদ্ধান্তে পৌছার পূর্বে প্রাসঙ্গিক কারণ ব্যাতীত অন্য কোন বিষয়ের আলোচনা করতে পারবেন না।
এবার আসুন ব্যাভিচার নিয়ে আলোচনায় আসা যাক।
ব্যাভিচার বাংলা শব্দ যার আরবি শব্দ জ্বীনা।
জ্বীনা বা ব্যাভিচার কি?
প্রকৃতির নিয়মে শুক্র ক্ষয় ব্যাতিত ইচ্ছাকৃত শুক্র ক্ষয়ই ব্যাভিচারের আওতায় পড়ে।
প্রকৃতির নিয়মে শুক্র ক্ষয় কি?
জন্ম সুত্রে প্রতিটি মানুষ শুক্র তৈরী মহাসত্বা দুটি আলাদা একাউন্টে পেয়েছে।তার একটি একাউন্টের শুক্র মহাসত্বা প্রকৃতির নিয়মে প্রতি তিন দিনে একবার করে নিজে নিজেই তৈরী হচ্ছে এবং নিজে নিজেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।সেই একাউন্টে মোট শুক্র তৈরী মহাসত্বা আছে ৯৩৩৩ বার ইচ্ছাকৃত ক্ষয় করতে যে পরিমাণ শুক্র মহাসত্বা প্রয়োজন ঠিক ততটুকু।
ইচ্ছাকৃত শুক্র ক্ষয় কি?
আরেকটি একাউন্টের শুক্র তৈরী মহাসত্বা আপনি ইচ্ছা করলেই ক্ষয় করতে পারেন।সেই একাউন্টে মোট শুক্র তৈরী মহাসত্বা আছে ৪০০০ বার ইচ্ছা হলেই ক্ষয় করতে পারে পরিমাণ শুক্র তৈরী মহাসত্বা।
ব্যাভিচার কি?
কোরান দৃষ্টিতে ব্যাভিচার হলো,যে কোন অবস্থাতেই হউক না কেনো।জীবের দেহ থেকে শুক্র তৈরী মহাসত্বা ক্ষয় হওয়াকে বুঝায়।
শুভাচার কি?
জীবের দেহ থেকে যে পরিমাণ শুক্র তৈরী মহাসত্বা ক্ষয় হলো, তাহা পূরণ করাকেই শুভাচার বুঝায়।
বিবাহিত স্ত্রীর সাথে জ্বীনা হয় কিভাবে?
সমাজ আপনাকে আপনার স্ত্রীর সাথে জ্বীনা বা ব্যাভিচারী করার লাইসেন্স দিয়েছে।তাই তার সাথে জ্বীনা করাতে কোন সমস্যা নাই ।সমাজ অন্যের সাথে এ লাইসেন্স দেই নি, তাই অন্যের সাথে জ্বীনা করতে গেলে অপরাধের আওতায় পড়ে।
আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে সহবাসে যে তৃপ্তি পান ও যাহা ক্ষয় হয়, বিবাহ ছাড়া অন্য যে কারও সাথে তাহাই হয় ।না অন্য কিছু হয়।সমস্যা শুধু সমাজ স্বীকৃতির।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
কোরানের আয়াত দিয়ে প্রমান করেন।
মন্তব্যের বাকি অংশ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই আপনার এই আজগুবি যুক্তি সত্যই আমাকে ক্লান্ত করে ফেলেছে ।
@অচেনা,
প্রচলিত কোরান জ্বীনা নিয়ে আলোচনা করেছে।কিন্তু জ্বীনা কি, তা আলোচনা করে নাই।এই জ্বীনা বিষয়ে রাসুল আলিকে জানিয়েছেন।আলি হাসানকে এভাবেই আমা পর্যন্ত এসেছে।
এখন এই জ্বীনার যে ব্যাখ্যা আমি করলাম।তাহার সত্যতা জানতে হলে আপনাকে প্রথম জানতে হবে।
আল্লাহ কি-
দ্বীন বা ধর্ম কি-
ধর্মের প্রয়োজনিয়তা কি-
ধর্মে ক্রীয়া কি-
কোরান কি-
কিতাব কি-ও
ইমান কি-
এই সাতটি বিষয় কোরানের দৃষ্টিতে বুঝতে পারলেই,জ্বীনার বিষয় বুঝতে সক্ষম হবেন।নচেৎ নয়।
আর তাতে ধৈর্য্য না থাকলে ,আপনি বলুন-
জ্বীনা শব্দের অর্থ কি?
কোরানের দৃষ্টিতে জ্বীনার ব্যাখ্যা কি?
আমার কাছে যেমন তথ্য সুত্র চাইলেন।দয়া করে আপনিই ,তথ্য সুত্র সহ আলোচনা করুন।
পরিশেষে-
বিজ্ঞান এতদিন যাহা আবিস্কার করেছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত যাহা আবিস্কার করবে।তার সকল সুত্র রাসুল তার হাদিসে (প্রচলিত কোরানে) ১৪০০ বছর পূর্বে দিয়ে গেছেন।বিশ্বাস না হলে,আমার সাথে আলোচনায় আসতে পারেন।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
সুবহানাল্লাহ। আচ্ছা আপনি কি ইমাম মেহেদি নাকি দাজ্জাল?যতদূর জানি যে ইমাম মাহদি নাকি নিজেকে লুকিয়ে রাখবেন। আর দাজ্জাল নিজেকে আল্লাহ বলে প্রচার করবে।তো আপনি যখন রসুলের সাংকেতিক ভাষা পেয়েছেন তাহলে তো কথাই নেই। আহা শুনে ভাল লাগলো যে আপনি রসুলের বংশধর। দিনের নবি পুন্যের ছবি ,বেহেশতের ফুল আল্লাহর রসুল :)) ।
আজ থেকে কালেমা তৈয়ব নতুন করে পাঠ করব, লা ইলাহা ইল্লালাহু সিরাজুল ইসলাম রসুলুল্লাহ ( উত্তরাধিকার সুত্রে রসুল)
@অচেনা,
যার মান নাই সে সকলকে মান দিতে জানে না।যার জ্ঞান নাই সে সবাইকেই নির্বোধ ভাবে।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম, ভাইজান মান সবারই কম বেশি আছে। আপনার মত নবীজির বংশধর হবার মান টা অবশ্য আমার নেই।
আর জ্ঞানের কথা বলছেন? এটাও স্বীকার করে নিলাম। সত্যি আপনার মত ঐশী জ্ঞান আমার নেই। 🙂
@সিরাজুল ইসলাম,
ভাইজান, ব্যক্তি যীশু আর বস্তু ঈসার মধ্যে পার্থক্য টা বুঝিয়ে বললে কৃতজ্ঞ থাকব। 🙁 (U)
@অচেনা,
আপনি যাহা জানতে চাচ্ছেন তাহা এলমে তাসাউফের ৮ম শ্রেণীর কথা।আপনিই বলুন,যে এখন ও এলমে তাসাউফের অক্ষরই চিনে নি,তাকে কি অষ্টম শ্রেণীর বিষয় জানানো সম্ভব?
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম, ভাইজান শুনেন কথা এড়িয়ে গেলে চলবে কেন? আমি ইসাকে ব্যক্তি বলেই জানি।ইসা যে কোন বস্তুর নাম সেটা আজ প্রথম জানলাম। এটা আপনি নিজেই বলেছেন কাজেই এটা ব্যখ্যা করার দায়ভারটা আপনার নিজের।অবশ্য সত্যি যদি আপনার ব্যখ্যা করার ক্ষমতা থাকে আর কি।
@অচেনা,
যেমন ,বোস ও হিগস আবিস্কার করলেন যেই কণা,সেই কণার নাম দিলেন বোসন হিগস কণিকা।এখানে বোস ও হিগস দু-জনই ব্যাক্তি।আর তারা যাহা আবিস্কার করেছে,তাহা বস্তু।এখন যদি আম বোসন হিগস বা হিগস বোসন কণিকা মানে ব্যাক্তি হিগস ও বোসনকে বুঝি তাহলে যেমন হবে।ঠিক তদ্রুপ ইসা বলতে যদি আমরা ব্যাক্তিকে বুঝি,তাহলে একই রকম হবে।এটাই ব্যাক্তি ও বস্তুর ব্যাখ্যা।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
ওফফফফ ! ! ! অবশেষে শেষ করলাম । সেই ১০ টায় শুরু করেছি । এখন ও গোসল করিনি , খাইনি , দাত ও ব্রাস করিনি । আপনি কি সব লিখছেন ভাই । যে পরা শেষ না করা পর্যন্ত উঠতে মন চায় না ।
অসাধারন , চালিএ জান …। আমরা আপনার সাথে আছি ।
ইস, কেনো যে আল্লা মুহম্মদকে বললো না,হে নবী!———- বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছে। এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার কন্যাকে, যাকে আপনি জন্ম দিয়েছেন।
তাহলে তো নবীকে আর নিজের চাচাতো ভাই আলীর সাথে ফাতেমার বিয়ে দিয়ে হতো না। নিজেই ফাতেমাকে বিয়ে করতে পারতো। এতে পরবর্তী মুসলমানরা একটা প্রব্লেম থেকে রেহাই পেতো, তাদের সম্পত্তির মতো তাদের মেয়েরাও নিজেদের আয়ত্বের বাইরে যেতো না। এখনো তো অনেক মুসলমান শুধু তাদের সম্পত্তি অন্যের হাতে চলে যাবে এই জন্য নিজের মেয়েদের তাদের কাজিনদের বিয়ে করতে বাধ্য করে। আর এই জন্য কাজিনরাও বাল্যকাল থেকেই তাদের চাচাতো, মামাতো, খালাতো, ফুফাতো বোনদের সংগে সেক্স করার স্বপ্নে বিভোর থাকে।
ভাই বোনের একটা পবিত্র সম্পর্কে কিভাবে দূষিত করেছে মুহম্মদ নামের এই লম্পট, শুধু ব্যক্তিগত কাম চরিতার্থ করার জন্য। এইটা নাকি আবার পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ ! মুসলমানদের বর্তমান দূরবস্থা কি এমনি এমনি ?
@হৃদয়াকাশ,
দেখুন, আপনি কিন্তু কথা বলছেন একজন ১০০ কোটির উপরে মানুষের নেতার বিষয়ে।এবং বিশ্বে অন্যান্য ধর্ম অপেক্ষা তাঁর ধর্মের অনুসারীরা বেশি সভ্য, তাঁর নিতি মালা গ্রহন করে।অতএব তার বিষয়ে কথা বলতে হলে, সর্ব প্রথম আপনাকে সভ্যতা শিখতে হবে।আপনি মহাম্মদ অপেক্ষা অনেক উত্তম,কিন্তু আপনার কথা মত সর্ব মোট কত জন মানুষ উঠবস করে।মহাম্মদ একজন খারাপ মানুষ, কিন্তু তার কথা মত কতজন লোক উঠবস করে।তাকি কল্পনা করে দেখেছেন?
তাই বলবো ,মার্যিত ভাবে আলোচনা বা সমালোচনায় কোন দোষ নাই।কিন্তু মনগড়া চিন্তা নিয়ে শুধু মাত্র বিরোধীতার জন্য বিরোধীতা হেতু, যা মন তাই বলবেন ,এটা কিন্তু মুক্ত মনার আওতায় পড়ে না।এটা একটি বদ্ধ মনার মধ্যেই পড়ে।তাই বলবো ,আসুন,আমরা মুক্ত মন নিয়ে আলোচনা করি।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
হিটলারের কথাতেও একসময় অর্ধেক ইউরোপবাসী উঠবস করত। তাতে প্রমাণ হয় না যে সে মহান মানুষ।
@অচেনা,
কত বছর আগে।এবং কত বছর স্থায়ী ছিলো?ভালো বেসে না ভয় করে?তার পরে তুলনা কইরেন।
@সিরাজুল ইসলাম, শুনেন ভাই হিটলার নিজেকে নবী বলে দাবি করেনি ।
@অচেনা,
এই মহিলাদের মত ঝগড়া আমি পছন্দ করি না।তাহলে হিটলারের উদহরণ আনলেন কেনো?
সত্য হলো।আপনি দশপ্রকারের ধানের বীজ আনবেন,যেটা অল্প সময়ে বেশি ফলনশীল সেটা টিকে যাবে বাকিটা বিলুপ্ত হয়ে যাবে।তাই মহাম্মদের ধর্মটা টিকে আছে এবং উত্তর উত্তর বৃদ্ধি প্রাপ্ত হচ্ছে।আর হিটলারের মতরা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
পৃথিবীতে ম্যাক্সিমাম লোক আগেও স্টুপিড ছিলো এখনো আছে। সুতরাং অনুসারী দ্বারা কে ভালো লোক আর কে খারাপ লোক তা নির্ণয় করাও স্টুপিডিটি। ভালো্ খারাপ নির্ণয়ের মাপকাঠি হলো তার ব্যক্তিগত জীবন ও কর্ম। মুক্তমনারা এভাবেই কাউকে মূল্যায়ন করে থাকে ।আপনার মতো বেহেশতের হুর পরী পাবার লোভে আমরা কারো কাছে আমাদের মস্তিষ্ক বন্ধক রাখি নি।
পৃথিবীতে একমাত্র মুসলমানদের কাউকে কাউকেই ইসলামী জঙ্গী বলা হয়। এর দ্বারাই প্রমাণিত হয় কারা বেশি সভ্য। অবশ্য আপনার কাছে সভ্যতার মাপকাঠি যদি হয় লম্পট আর কামুক মুহম্মদ তাহলে কোনো কথা নেই।
এটা বলেছেন একদম খাটিঁ কথা। আমি মুহম্মদ অপেক্ষা অবশ্যই ১০০ গুন ভালো মানুষ। কারণ মুহম্মদ ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য যে হত্যা, লুন্ঠন, সাহাবীদের দ্বারা নারীদের বন্দী-ধর্ষণ করিয়ছেন আর নিজে ডজনখানেক বিয়ে করে ফুর্তি লুটেছেন, এসব আমি কখনোই করতে পারবো না।
আমি নাস্তিক হলেও আমারো কিছু অনুসারী আছে। তবে মুহম্মদের মতো অনুসারী নাই এবং ভবিষ্যতে হবারও সম্ভাবনা নাই, কারণ তার মতো প্রতারক আমি নই।
এটা মুক্তমনার আওতায় পড়ে কি না ইতোমধ্যেই আপনার মন্তব্যে অন্যদের জবাব দেখে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন ?
আর শোনেন ইসলাম সম্পর্কিত প্রতি পোস্টেই আপনার মতো দু একজন হুর লোভী বান্দা আমারা পাই। এতে অবশ্য আমাদের সুবিধাই হয়। দু একজন বেহেশতি বাস্দা না পাইলে আমাদের আবার আলোচনা বা তর্ক বিতর্ক ঠিক মতো জমে না। এসেছেন সেজন্য ধন্যবাদ। আপনার মতো আরও দুচারজনকে সাথে নিয়ে আসবেন।
@হৃদয়াকাশ,
প্রথমত মুক্ত মনের আলোচনা উপস্থাপন জানতে হবে।কারও কোন বিষয় পড়ে বা শুনে যে কোন ধারনা আপনি করতেই পারেন।এবং তার বিষয়ে আপনার অভিযোগ ও থাকতে পারে।এবং সে অভিযোগ আপনি উপস্থাপণ ও করতে পারেন।তবে তার সবই হবে আপনার নিজস্ব ধারণা।এবং যতক্ষণ আপনি আপনার ধারণা উপস্থাপন করবেন।ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি অভিযোগ কৃত ব্যাক্তিকে সম্মান দিয়েই কথা বলতে হবে।এটাই সভ্যতা বা মুক্ত মনের মানুষের আচরণ।কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত বিচারের পরে অভিযোগ সত্য প্রমান না হবে ততক্ষন তাকে দোষি সাব্যস্ত করতে পারেন না।আর মান হানিকর কথাতো বলতেই পারেন না।
একজন পুরুষ ডাক্তার চিকিৎসার প্রয়োজনে যে কোন নারীর যে কোন স্থান দেখতে ও স্পর্শ করতে পারে,এমন কি যৌণাঙ্গেও হাত দিতে পারে।তাই বলে কি আপনি তাকে লম্পট বলবেন?
মহাম্মদের বিষয় তার থেকেও গুরুত্ত পূর্ণ।
আপনারা বলেন মহাম্মদ এত বিয়ে করেছে কেনো।তিনি সৃষ্টি এবং জন্ম নিয়ে গবেষণা করেছেন।তাই তার একাধিক নারীর প্রয়োজন হয়েছে। এবং সে বিয়ে করে এবং বিয়ে ছাড়াও নারীদের গবেষণার কাজে ব্যাবহার করেছেন।এবং তিনি চিকিৎসাও করেছেন।তার মানে তিনি একজন কিকিৎসক ও ছিলেন।
অতএব মহাম্ম একাধিক বিয়ে করে এবং বিবাহ বহিভূত নারীদের ব্যাবহার করে কোনই অন্যায় করেনি।
তিনি সৃষ্টি ও জন্ম বিষয়ে জীবের কল্যাণে যত সুত্র দিয়ে গেছেন।বর্তমানে ধিরে ধিরে তা প্রকাশ পাচ্ছে এবং আগামিতে আরও প্রকাশ হবে।তাই ধারণার বশবর্তি হয়ে মানহানিকর বক্তব্য না দিয়ে গঠন মুলক আলোচনা শিখুন।
পরিশেষে-
আমরা সকলেই জন্মগতভাবে কোন না কোন ধর্মের কিংবা বিজ্ঞানকে অপরিবর্তণীয় সত্য জানি। তাই অন্য ধর্মগুলোকে মিথ্যা কাহিনী মনে হওয়াটাই সবার জন্য স্বাভাবিক। তাই বলে এটাকে যদি অস্ত্র হিসেবে ইউজ করি -এবং তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করি, সেটা আমার নীচতা, লোভী, সুযোগ সন্ধানী, গীবতকারী মনেরই পরিচয় দিবে। তাহা কখনোই জ্ঞানির পরিচয় বহণ করবে না।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
আমি কিন্তু এই সাইটে অনেক দিন থেকেই আছি। কেউ কোনোদিন আমাকে এ ধরণের উপদেশ দেয় নি। তারপরও উপদেশ দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। কিন্তু কথা হচ্ছে যে মুক্তমনের কথা আপনি বলছেন, সেই মুক্তমন কি আপনার আছে ? যদি থাকে তাহলে কিভাবে মধ্যযুগীয় একটা মূর্খ লোকের বিধিবিধানকে বিনা প্রশ্নে মেনে নেন ? যে লোক নিজে মূর্খ, তার কল্পিত আল্লাও মূর্খ । একটা উদাহরণ দিই, আল্লা বলছে, সূর্য নাকি ডোবে কাদাপানির মধ্যে। আর এই কথা তো আল্লা কয় নাই, কইছে মুহম্মদ নিজেই। এখন আপনার পেয়ারের নবীর জ্ঞান বুদ্ধি বিচার করেন।
নিশ্চয় না। ততক্ষণ, যতক্ষণ না ঐ ডাক্তার ভোগের উদ্দেশ্যে ঐ মহিলার গায়ে হাত না দেয়। কিন্তু আপনার নবী কী করেছে ? সে যতগুলো মেয়ে বিয়ে করেছে তার আল্টিমেট উদ্দেশ্যই ছিলো তাদের ভোগ করা। নইলে মিশরীয় বাদশার উপহার দেয়া দাসী মারিয়ার সংগে হাফসার ঘরে সেক্স করতে গেলো কেনো ? এই কাহিনি কি আপনার জানা আছে ? না জানলে আগে জানেন, তারপর মুহম্মদের পক্ষে সাফাই গাইতে আসেন। নাকি আপনার ডাক্তারনবী তার উম্মতদের জানাতে চেয়েছিলো, যে কোন বয়সী মেয়েদের যোনি পথের দৈর্ঘ কত, আর সেখানে লিংগ প্রবেশ করাতে কী কী করতে হয় ? আপনার নবীর ঘরে তো সব বয়সী মেয়েই ছিলো, ৬ থেকে ৬০। এজন্যেই একথা বললাম।
মারহাবা, মারহাবা। বাংলাদেশে তো কোনো অরবী বিশ্ববিদ্যালয় নেই, তাই আপনি গিয়ে মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ভর্তি হন। এই থিয়োরি আবিষ্কারের জন্য তারা নিশ্চয় আপনাকে ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়ে দেবে।
ইসলাম নিয়ে বহুত বোগাস কথা শুনেছি। কিন্তু এই রকম শুনি নাই। আপনিই নবীর খাস উম্মত। উম্মত মানে বোঝেন তো। উন্মাদ, পাগল। আপনার জন্য বেহেশতের ৭২ জন হুর নিচ্চিত। আপনার আর পৃথিবীতে থাকার দরকার নাই। শিগগির আত্মঘাতী বোমা ফাটাইয়া দু চার জন কাফের মাইরা আল্লা কাছে গিয়া হাজির হন। নবীর সুপারিশে আল্লা আপনারে অ্যাডভান্স বেহেশত দিবো। নবীর যে গুনের কথা আল্লাও কয় নাই, আপনি সেটা কইছেন।
প্রকাশ তো হবেই, তবে বিজ্ঞান সেগুলো আবিষ্কার করার পর। এটা গ্যারান্টি যে, তার আগে আপনারা কোরানের মধ্যে কিছুই খুজেঁ পাবেন না। যখনই বিজ্ঞান কেনো থিয়োরি আবিষ্কার করবে, অমনি বলে বসবেন, আরে এটা তো কোরানেই আছে ! তাই না। ?
আর জীবের কল্যান তো আপনার নবী করেছেনই। ধর্মের নামে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ প্রাণী হত্যা। এমনটা আর কে কবে করতে পেরেছে ?
@হৃদয়াকাশ,
কোথায় বলেছে?তথ্য সুত্র দিন।
কোনটা চিকিৎসার গুণ?
ভোগ করাতে সমস্যা কি?দয়া করে ব্যাখ্যা দিন।লিঙ্গ তৈরীই হয়েছে পেশাব প্রজনন ও ভোগের জন্য।নাকি তার আর কোন কাজ আছে?এখন একের অধিক এবং বিবাহ ব্যাতীত ভোগ করা যাবে না।এমন কোন দলিল উপস্থাপণ করেন।
না!যে হিগস কণিকা বা ইশ্বর কণিকা আবিস্কারের কথা শুনছেন তাহা ১৪০০ বৎসর পূর্বে মহাম্মদ প্রচলিত কোরানে বলে গেছে।আর আমি ইশ্বর বা স্রষ্টা কণিকা আবিস্কার করি ৮২ সালে।এবং তা আমার ডাইরিতে লিখি এবং তা ধারাবাহিক আমার ব্লগেতা লিখে আসছি ৯ মাস ব্যাপী।এখন ৪ জুলাই বিজ্ঞানিরা ঘোষনা দিলেন তা আবিস্কারের।
পরিশেষে-
এ পর্যন্ত বিজ্ঞান জীব বিষয়ক যাহা কিছু আবিস্কার করেছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত যাহা যাহা আবিস্কার করবে।তার সমস্ত কিছুই প্রচলিত কোরানের রাসুল লিপিবদ্ধ করে গিয়েছেন।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
জনাব সিরাজুল ইসলাম সাহেব, কোরানের সেই আয়াৎটা কি একটু আমাদের দেখাবেন?
ধন্যবাদ।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
সূরা ফাতিহা=আয়াতঃ১
আল আমদু লিল্লাহি রাব্বুল আলামিন।
শব্দার্থ-
আল=সমস্ত, হামদ=প্রশংসা, লি=জন্য, আল্লাহ=স্রষ্টা, রব=প্রতি পালক, আলামিন=বিশ্ব সমুহের।
মূল অর্থ=সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব সমুহের প্রতিপালক স্রষ্টার জন্য।
আল্লাহ শব্দের অর্থ স্রষ্টা,অর্থাৎ যাহা দ্বারা সৃষ্টি হচ্ছে বা সৃষ্টির অণু প্রাণ।যাহাকে আজ আপনারা নাম পরিবর্তন করে বলছেন হিগস কণিকা।আর এটা ১৪০০ বছর পূর্বে মহাম্মদ আল্লাহ নামে প্রকাশ করেছেন।মূলতঃ আল্লাহ বা অণুপ্রাণ সম্বন্ধে প্রথম ধারণা পান আদম।তবে এই অণুপ্রাণ কিভাবে সৃষ্টির উপকারে ব্যাবহার করা যাবে।তাহা আদম আবিস্কার করতে পারে নি।ইসা অণুপ্রাণ জীব কল্যাণে ব্যাবহারের আংশিক ধারনা পেয়ে ইঞ্জিলের ২৭ খন্ডে তা প্রকাশ করেন।আর মহাম্মদ তা বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করে যান প্রচলিত কোরানে।
কোরানে মহাম্মদ বলেছন।
আর এই স্রষ্টা বা অণু প্রাণ।এই এক অণুপ্রাণ ১২ টি ক্ষমতা সম্পন্ন।তাই কোরান বলেছে।
“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”
যাহাতে ১২ টি অক্ষর বর্তমান।আর অক্ষর শব্দের অর্থ অবিনাশ্য ক্ষর অর্থ বিনাশ্য।অর্থাৎ যাহার কোন বিনাশ নাই তাহাই স্রষ্টা বা অণুপ্রাণ আর যাহার বিনাশ আছে তাহাই সৃষ্টি প্রাণঅণু।আর এই ১২ টি ক্ষমতাই জোড়াই জোড়াই আছে।তাই কোরান বলেছে।
“ মহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” এই মহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহতে ও ।১২ টি অক্ষর বর্তমান।
তবে প্রকাশ থাকে যে,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ যেখানে ১০০ ক্ষমতা সম্পন্ন ,সেখানে মহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ ৫০ ক্ষমতা সম্পন্ন।অর্থাৎ লাইলাহা ইল্লাল্লাহ এর অর্ধেক মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পুরুষ মহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ নারী।তাই খোদ স্বত্বা প্রাপ্ত কালে নারী, পুরুষ অপেক্ষা অর্ধেক প্রাপ্ত হয়েছে।তাই কোরানে বলা হয়েছে সম্পত্তি নারী পুরুষের অর্ধেক পাবে। এবং সাক্ষীর বেলায় ও এক পুরুষ পরিবর্তে দুই নারী।এর পুরা বিষয়টিই সৃষ্টি হওয়া কালিন সময়ের কথা।এবং জীব দেহ গঠন সময়ের কথা।দেহের বাইরের কথা নয়।কিন্তু আজ আমরা তা বাইরে ব্যাবহার করে কোরান কে বিতর্কিত করছি।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
ভাইজান কি আজকে গঞ্জিকা সেবন করেছেন? :hahahee:
@অচেনা,
না! যখন আল্লাহ তখন সে লিঙ্গহীন ও সর্বভূত লিঙ্গ।আর যখন খন্ড হয় তখন আল্লাহ পুরুষ,মহাম্মদ নারী।এটা নামে নয় বস্তুতে।
যেমন বোস ও হিগস যে কণা আবিস্কার করছেন সে কণার নাম তাদের নামের সাথে যোগ করে দিয়েছেন।তাই যদি হিগস কণিকা মানে আমরা ব্যাক্তি হিগসকে ধরে চিন্তা করি, তাহলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যেমন ভুল হবে।ইসা মুসা মহাম্মদ তারাও তাদের আবিস্কৃত বস্তুর নাম তাদের নিজ নামের সাথেই প্রচার করেছেন।তাই আমরা ইসা মুসা মহাম্মদ বলতে যদি ব্যাক্তিকে বুঝি তাহলে তাদের আবিস্কৃত জিনিসটি আর আমরা পাবো না ।আর যদি ব্যাক্তি বাদ দিয়ে বস্তু নিয়ে চিন্তা করি তাহলে সকল সমস্যার, সহজেই সমাধান হবে আশা রাখি।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@অচেনা,
ন! সঠিক তথ্য পেতে হলে,তথ্য উদ্ধার কল্পে আলোচনা করুন।মিথ্যা প্রমানের উদ্দেশ্যে নয়।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@অচেনা,
ভাইজান বিনামূল্যে একটা পরামর্শ দেই। হাজী সাহেবের কল্যানে আপনাদের এই বাহাস চলিতেই থাকিবে বলে আমার মনে হয়। হাজী সাহেবের কথা শুনতে হবে অপরীসিম ধৈর্য্য নিয়ে যা আমাদের কারোরই নাই।তাই বলি কি ভবঘুরে সাহেব আবার ১৭ নম্বর দরজা খুলেছেন আমরা চলেন অইদিকে যাই।অখানে মনেহয় আরো মজার মজার তথ্য পাবো।ভূলে যাবেননা এই পর্বে আমরা যেসব মহামূল্যবান তথ্য পেয়ে ধন্য হলাম তা হল
১। এখানে পাওয়া গেলো আওলাদে রাসুলুল্লাহ ৪২ তম।
২।একমাত্র তাঁর কাছেই আছে সাংকেতিক অইশ্বরিক কোরানখানি।
৩।প্রচলিত কোরান আসলে হাদীস।
৪।বোখারী গঙেরা ইসলামকে বিকৃত করতে হাদিসগুলো সংগ্রহ করেছিলেন।
৫।২০১২ সালে নয় ৮২ সালেই প্রথম আবিষ্কৃত হয় হিগস কনা।
৬।ইহা পাওয়া যায় কোরান শরীফের সূরা ফাতিহার প্রথম আয়াতে।
৭। আমরা জানিলাম প্রতিটা বিজ্ঞানী ই মুসলমান।
৮এমনকি প্রতিটা মানুষ ই মুসলমান হইয়া জন্মগ্রহন করে।
সর্বশেষে যে চরম তথ্যটি আবিষ্কার করলাম তা হোল
তবে মনে রাখতে হবে বই পড়ে জানা যাবেনা, জানতে হবে হাজী সাহেবের কাছ থেকে।আমি আশা করি তাঁর আধ্যাত্মিকতার থলি থেকে ১৭ পর্বে আরো রসাত্মক কিছু জানিতে পারিব । তাই আসুন এখানে রনে ভংগদিয়ে পরের পর্বে যাই।
@ছন্নছাড়া, ধন্যবাদ ভাই। আসলেই ঠিক বলেছেন।হাজিসাহেবের সাথে আর রসিকতা করেও তাল মেলাতে ইচ্ছা করছে না।উনি অফুরন্ত আনন্দ বিনোদনের উৎস হলেও একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে সেগুলো আর ভাল লাগে না। আমি নিজেও একঘেয়েমিতে ভুগছি। হাজি সাহেব অনেকদূর চলে গেছেন তাঁর মারফতি জ্ঞান সাধনায়।
সত্যই মহান বানী বটে হাজি সাহেবের।যদিও কোন প্রমান তিনি দিতে রাজি হচ্ছেন না।
(Y)
অসাধারণ, তবে একটাই সমস্যা আর তা হল হাজী সাহেব এর জানার পরিধি এতই বেশি যে আমাদের মত স্বল্প বুদ্ধির লোকজন ( উনার ভাষায় অবশ্যই) এগুলো বুঝতে পারবে না। তাহলে উনার কাছ থেকে জেনেই বা কি লাভ যদি বুঝতেই না পারি আমরা :rotfl:
জি ভাই ইতিমধ্যেই চলে গেছি।দেখি হাজি সাহেব আর কতদূর যেতে পারেন। তবে কেন জানি মেজাজ গরম হয়ে আছে উনার উপর।সব কিছুরই একটা সীমা থাকা উচিত, আর আমাদের মহান হাজীসাহেব এটা ভুলে গেছেন 🙁 ।
@ছন্নছাড়া,
আমি উপরিউক্ত কথা বলিনি।আমি বলেছি-
আপনাকে কে বলেছে ,প্রতিটা বিজ্ঞানিই কাফের?প্রতিটি বিজ্ঞানিই মুসলমান এবং সৃষ্টির প্রতিটি প্রানই মুসলমান
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
/”যে হিগস কণিকা বা ইশ্বর কণিকা আবিস্কারের কথা শুনছেন তাহা ১৪০০ বৎসর পূর্বে মহাম্মদ প্রচলিত কোরানে বলে গেছে।আর আমি ইশ্বর বা স্রষ্টা কণিকা আবিস্কার করি ৮২ সালে।এবং তা আমার ডাইরিতে লিখি এবং তা ধারাবাহিক আমার ব্লগেতা লিখে আসছি ৯ মাস ব্যাপী”/
চরম দূর্ভাগ্য ইমো ব্যবহার করতে পারছিনা। হাসতে হাসতে জান গেলো।
৮২ সালেই আওলাদে রাসুলুল্লাহ (৪২ তম), কোরানের বিশিষ্ট গবেষক।, ইসলামী বিজ্ঞানী হিগস কনা আবিষ্কার করিয়া ফেলেছেন ।খালী নাফারমান ইহুদী খ্রিষ্টানদের কাছে এই তত্ব থিসিস আকারে পাঠানো অনৈস্লামীক হবে বিধায় পাঠাননি। ইহাতে জাতি বঞ্চিত হইয়াছে এক চরম সম্মান লাভের হাত থেকে।সরাকার ব্যাটারও মাথায় সমস্যা আছে নইলে এই মুফাসসিরে একরাম সিরাজুল সাহেব ওরফে হাজীসাহেব মাদানীপুরীকে অন্তত একটা জাতীয় বিজ্ঞানীর পুরুষ্কার তো দিতে পারতো।দুর্ভাগ্য হাজী সাহেব এমন উলুবনে(মুক্তমনায়)মুক্ত(তাঁর আবিষ্কৃত তত্ব) ছড়াচ্ছেন। এই উলুবনের একটা উলুও তার এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের মর্ম বুঝিতে পারিলামনা(এখানে দেয়ালে মাথা ঠোকার ইমো দিতে পারলে ভালো হত)। কিছু কিছু অত্তুৎসাহী উলু আবিষ্কারের আয়াত নম্বর জানিতে চাইয়া বিজ্ঞানীকে বেকায়দায় ফেলিতে চাইছেন।কিন্তু উলুগন(আমিসহ) ভুলিয়া গিছে যে প্রচলিত কোরান আসলে হাদিস, তাই যে কোডিং সমৃদ্ধ কোরানখানী বিজ্ঞানী মহাদয়ের হস্তগত হইয়াছে তাহা বুঝবার শক্তি আমাদের কাহারো নাই।উহা বুঝিতে গেলে অবশ্যই সত্য গুরুজীর সহায় হওয়া খুবি প্রয়োজন। আমরা যেহেতু কোন গুরু মানিনা সেহেতু এই মহাপুরুষের সহিত কোন বাহাসে না যাওয়াটাই শ্রেয় হইবে।
মহাশয়ের নিকট আকূল আবেদন এইযে তিনি যেন উক্ত ইসলামিক আবিষ্কার সম্মন্ধে লিখিত প্রবন্ধটি মুক্তমনায় প্রকাশ করে আমাদের বাধিত করেন।যদিয় আগেই বলে রাখা ভালো যেহেতু আমরা উক্ত তাৎপর্যমন্ডিত বিষয় সম্মন্ধে জ্ঞান রাখিনা সেহেতু যদি নাদানের মত প্রবন্ধের বিষয়ে দুএকটি বেতাল প্রশ্ন করিয়া বসি তাহা হইলে আমাদের কম জ্ঞানী বলিয়া গালী দিবেননা……।
@ছন্নছাড়া,
আমি বিজ্ঞানীদের আবিস্কৃত ”আল্লাহ বা অণুপ্রাণ“ যাহাকে তারা হিগস কণিকা বলছে, তাহার বিষয় পড়ে যাহা বুঝলাম। তারা এখনও আল্লাহ বা অণুপ্রাণের কাছে পৌছাতে পারে নি।ওরা যাহা আবিস্কার করেছে তাহা হতে আরও তিনটি স্তর পাড়ি দেওয়ার পরে আল্লাহ বা অণুপ্রাণ আবিস্কার করতে পারবে।অল্প দিন পরেই আপনারা তাহা জানতে পারবেন, এই বিজ্ঞানীদের মূখ থেকেই।।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
ভাই, আপনার জায়গা খোলা পৃথিবী নয়, আপনার একমাত্র স্থান পাবনার পাগলা গারদ। দয়া করে সেখানে চলে যান। আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে আপনার সাথে তর্ক করার মতো রুচি আমাদের নেই।
আপনার অনেক প্রশ্নের জবাবে এখন আমার একটি উত্তরই দেবার বাকি আছে, তা হলো, কোরানই যদি সকল বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের মূল হয়ে থাকে তাহলে সব বিজ্ঞানী কাফের কেনো ? একটাও মুসলিম বিজ্ঞানী নেই কেনো ? কোরান পড়ে আপনারা মুসলমানরা কি নিচের চুল তোলেন ?
@হৃদয়াকাশ,
আপনাকে কে বলেছে ,প্রতিটা বিজ্ঞানিই কাফের?প্রতিটি বিজ্ঞানিই মুসলমান এবং সৃষ্টির প্রতিটি প্রানই মুসলমান।আপনি তো মুসলমান মানে কি তাই জানেন না।শুনে নিন।ইসলাম মানে শান্তি।আর যে শান্তি প্রত্যাশী,সেই মুসলিম।
না জানলে জানার চেষ্টা করুন।
সত্য সহা/য।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
ইসলাম মানে শান্তি না আত্মসমর্পন, সেটা আপনি আগে ভালো করে জানেন ? প্রতিটা প্রাণই মুসলমান, তাই না ? তাহলে মুসলিম পুরুষদের খতনা করিয়ে মুসলমান হতে হয় কেনো ? আপনার ইসলামের বয়স কতো আর পৃথিবীর এবং তাতে সৃষ্ট মানব সভ্যতার বয়স কতো ? দেড় হাজার বছর আগে আপনার মুহম্মদের আল্লা কোথায় ছিলো ?
ভেবেছিলাম আপনার মতো নির্বোধের সাথে আর তর্ক করবো না। কিন্তু তাতে আপনি লাই পেয়ে যাচ্ছেন। এখন দেখবো আপনার ঘটে কত মাল আছে ? মুক্তমনার পরবর্তী ইসলাম সম্পর্কিত পোস্টে মন্তব্য করেন। দেখবো আপনার দৌড় কতদূর ?
@সিরাজুল ইসলাম,
ভোগ করাতে কোনো সমস্যা নাই। এখনই যদি চাচাতো, ফুফাতো, মামাতো, খালাতো যত বোন আছে এমনকি নিজের বোনসহ সবাইকে বিয়ে করে ভোগ করা শুরু করেন। লম্পট কোথাকার।
এই ধরণের মন্তব্যের জন্য মুক্তমনার মডারেটরদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। এ্যাকচুয়ালি এই লোকাটার সাথে সুস্থভাষায় তর্ক করার মতো কেনো অবস্থা নাই।
@হৃদয়াকাশ,
ভুল বললেন ,সৃষ্টি সুত্রে আপনি এর থেকে ভালো ভাষা গ্রহন করে আসেন নাই।সৃষ্টি সুত্রে যে যাহা খেয়ে এসেছে,এখানে সে তাহাই উগরাইবে।
ভোগে কোন সমস্যা নাই।সমস্যা সন্তান জন্ম দেওয়াই।বিস্তারিত জানতে ধৈর্যে্যর সাথে জানার মানসিকতা নিয়ে আলোচনা করুন।মিথ্যা প্রমানের মানসিকতাই নয়।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
প্রতিটা মন্তব্যেই এতগুলা লোক যে আপনাকে আচাঁছা বাঁশ দিচ্ছে তাতেও আপনার লজ্জা নাই ? স্টুপিডের মতো শুধু অযথা কুযুক্তি দিয়ে যাচ্ছেন!
আপনার কুযুক্তির উত্তর যে অনেকেই দিতে চান না, সেটা বোঝার মতো কোনো ঘিলু কি আপনার মাথায় আছে ? বহুত নির্বোধ দেখেছি, কিন্তু এরকম দেখি নাই।
@সিরাজুল ইসলাম,
জি আমিও একমত। আসেন এখন থেকে অসুখ হলে অন্য হারাম ওষুধ যাতে কাফির রা শরাব টরাব মিশিয়ে থাকতে পারে, সব বাদ দিয়ে মহাম্মদী চিকিৎসা তরিকায় উটের মুত্র পান করে রোগের চিকিৎসা করি।বলুন সুবহানাল্লাহ।
@অচেনা,
অনুমান মন্তব্য করে,আবার ভুল করলেন।আমি এখনও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে আলোচনা করিনি। বিস্তারিত জানতে জানার মানসিকতা নিয়ে আলোচনা করুন।মিথ্যা প্রমানের মানসিকতা নিয়ে নয়।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
অনেক সুন্দর এবং গোছানো প্রবন্ধ। আমার অনেক ভাল লাগে আপনাদের কথা এবং যুক্তি । কিন্তু আমার খুব খারাপ লাগে যখন খুব ধার্মিক ব্যাক্তি যুক্তিতে না পেরে গালাগালি করে । আমি মুক্তমনার কিছু পোষ্ট ফেসবুকে শেয়ার করেছিলাম কিন্তু উনারা এখানে না এসে, আমারে গালি দেয়।
যাই হোক পড়ে অনেক কিছুই জানলাম . . ধন্যবাদ আপনাকে । এভাবেই পোষ্ট করে যাবেন 🙂 🙂 🙂
একদম সত্যি কথা। মুক্তমনাতে এ নিয়ে আগেও অনেক আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন মন্তব্যে।
সত্যতার প্রত্যক্ষ প্রমান পাওয়া যায় উমাইয়া খলিফা আবদ-আল মালিককে(৬৮৫-৭০৫) লিখা উরওয়া বিন যুবাইয়েরের (আয়েশার বড় বোন আসমার ছেলে) লিখা এই চিঠিতে:
@ভবঘুরে,
বরাবরের মতই অসাধারণ। আপনার লিখা্য পাঠকরা অনেক অজানা তথ্য জানতে পারছে। লিখতে থাকুন। ধর্মকারীতে একটি সিরিজ চালু করেছি, ‘কুরানে বিগ্যান’।
ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। (F) (F)
মুমিন বান্দারা যখন “অন্যের বিশ্বাস এবং আচারকে শ্রদ্ধা জানানো”র ব্যাপারে জ্ঞান দেয়, তখন হাসি আর চেপে রাখা যায় না। ষ্টিম রোলার চালিয়ে ০১। বর্ণ ০২। ধর্ম ০৩। ভাষা ০৪। সংস্কৃতি ০৫। আচার ০৬। সমাজ ০৭। রাষ্ট্র গুঁড়িয়ে দেওয়া ইসলামের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
কেউ যদি তাদের এই ষ্টিম রোলারের ব্যাপারটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেন, তখন আর তারা কোন যুক্তিতেই পেরে ওঠেনা। “বাতেলা” দেওয়া ছাড়া কি বা আর করার থাকে?
ভবঘুরে সাহেবের যুক্তি বা প্রমাণ কোন ভাবেই খণ্ডন করতে আজ পর্যন্ত কেউ পারলেন না। যুক্তি বা প্রমাণে পেরে না উঠে ফালতু “জ্ঞান দান” করাটাই কি হালের রণকৌশল হয়ে দাঁড়াবে?
মুমিন বান্দারা পাশ্চাত্য দেশে ঢুকে তাদের মধ্যযুগীয় বর্বরতা পাশ্চাত্যবাসীদের ওপরে চাপিয়ে দেবে, সেটা কিন্তু ইসলামের চোখে অন্যায় নয়। কেঊ তার বিরুদ্ধে কোন কথা বললেই “দাঁত নখ” বেরিয়ে আসে। রাজ্যের ফালতু এবং অসার যুক্তি তাদের একমাত্র সম্বল।
জার্মানির আঞ্চলিক আদালতের একটা রুল সম্ভবত ইসলামী বিশ্বাসে আবারো কালো মেঘের পূর্বাভাস দিচ্ছে। প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদটি কপি পেষ্ট করে হুবহু তুলে ধরা হল।
খতনা বিষয়ে জার্মান আদালতের দেওয়া রুলের নিন্দা
খতনা বিষয়ে জার্মানির আঞ্চলিক একটি আদালতের দেওয়া রুলের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউরোপের মুসলিম ও ইহুদিদের কয়েকটি সংগঠন। গতকাল বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়।
জার্মানির একটি আদালত সম্প্রতি রুল জারি করেন যে খতনা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এর পরিপ্রেক্ষিতে জার্মানির চিকিৎসকদের সংগঠন জার্মানিস মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন চিকিৎসকদের খতনা না করানোর নির্দেশ দিয়েছে। জার্মানিতে প্রতি বছর হাজারো মুসলিম ও ইহুদি বালকের খতনা করানো হয়।
মুসলিম ও ইহুদি কয়েকটি সংগঠনের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা আদালতের দেওয়া এই রুলকে আমাদের ধর্মীয় মূল ভিত্তি ও মানবাধিকারের প্রতি অবমাননা বলে মনে করি। খতনা আমাদের প্রাচীন ধর্মীয় আচার, আমাদের মৌলিক বিশ্বাস। আমরা এর বিরুদ্ধে দেওয়া আদালতের রুলের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’ বিবৃতিতে মুসলিম ও ইহুদিদের অধিকার রক্ষায় জার্মান পার্লামেন্ট ও রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। বিবিসি।
মূল লিংক পাবেন এখানে
এই খতনা বিষয়ে কোরানে কি কোন নির্দেশ দেয়া আছে? থাকলে কেউ কি জানাবেন?
@রাজেশ তালুকদার,
মুসলমানী সম্পর্কে বিস্তারিত পাইবেন, চ্যাপ্টার>নারীর মুসলমানী, পৃষ্ঠা>৬৮ মুক্ত মনা E BOOK.ইসলাম ও শারিয়া BY হাসান মাহমুদ (ফতে মোল্লা)।
http://mukto-mona.net/Articles/fatemolla/book/ISLAM_O_SHARIA.pdf
পড়ে দেখতে পারেন। ইসলামে শুধু পুরুষদেরই নয়, নারীদের ও মুসলমানী দেওয়া হয়,এবং এখনো অনেক দেশে এটা ধর্মীয় ভাবে বাধ্যতা মূলক।
@রাজেশ তালুকদার,
ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে_______
প্রীয় পাঠকবর্গ,
নীচে ৩টি আয়াৎ দেওয়া হল। এর প্রথম আয়াতে বলা হচ্ছে “কোরান আল্লাহ ব্যতিরেকে অন্য কাহারো পক্ষ হইতে হইলে এতে অবশ্যই বৈপরিত্য থাকতো।”
এবার নীচের দুইটি আয়াত লক্ষ করুন।
এখানে একটায় বলা হচ্ছে “কোরান সম্মানিত রসুলের বানী”
আর একটায় বলা হচ্ছে “কোরান আল্লাহ অবতরন করেছেন,তার অর্থ আল্লাহর বানী”
তার মানে কোরানে বৈপরীত্য পাওয়া গেল। কোরানে বৈপরীত্য পাওয়া গেলে কোরানের আল্লাহর বানী হওয়ার আর যোগ্যতা কী থাকে?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এ আয়াতে কিন্ত কোরান শব্দটি নাই।এ আয়াত টির আরবি-
ইন্নাহু লা কাউলু রাসুলিন কারিম।
যার বাংলা অর্থ- নিশ্চয় এই বাণী সমুহ সম্মানিত রাসুলের।
এখানে কিন্তু বলা হয়নি এই কোরান সম্মানিত রাসুলের বাণী।কোরান আল্লাহর নাযিলকৃত বস্তু ।
অতএব-নিজে বিভ্রান্ত হয়েন না এবং অন্যকেও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা কইরেন না।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
“এই বাণী সমুহ ” এখানে কোন আরবী শব্দটা হতে নিজের ইচ্ছামত বের করে আনলেন?
পারলে দেখানতো সে আরবী শব্দটা? কোরানকে নিজের ইচ্ছামত অর্থ করা কিন্তু মহাপাপ।
আর আমি কোথা হতে “কোরান শব্দটা পেয়েছি তাহলে দেখুন।
আশাকরি আপনি তাদের চেয়ে অধিক জ্ঞানী ব্যক্তি এখনো হয়ে পারেন নাই।
দেখুন-
TAFSIRE JALALAIN
{ إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ }
truly this, Qur’ān, is the word of a messenger [who is] noble, in the sight of God, exalted be He — this being [the messenger] Gabriel (it [qawl, ‘word’] has been annexed to him, because he descends with it),
SAHIH INTERNATIONAL
{ إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ }
truly this, Qur’ān, is the word of a messenger [who is] noble, in the sight of God, exalted be He — this being [the messenger] Gabriel (it [qawl, ‘word’] has been annexed to him, because he descends with it),
দেখুনতো এরা “কোরান” শব্দটি এনেছে কিনা।
সাবধান! কোরানের অর্থ মনগড়া করা মহা অপরাধ।
ভূলেননা যেন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ইন্নাহু লা কাউলু রাসুলিন কারিম।
ইন্নাহু=নিশ্চয়, লা=অবশ্যয়, কাউলু=বাণী সমুহ, রাসুলিন=রাসুলের, কারিম=সম্মানিত
নিশ্চয় অবশ্যয় এ বাণী সমুহ স্মানিত রাসুলের।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
জনাব সিরাজুল ইসলাম সাহেব-দুখের সংগে বলতে হচ্ছে আপনি কোরানের মারাত্বক ভূল অনুবাদ করেছেন। শরীয়ত বলেন,তরীকত বলেন,হাকীকত বলেন,মারফত বলেন-কোন দলের লোকেরাই এই মারাত্বক ভূল অনুবাদ মানিবেন না।
আর তা ছাড়া কোরানের ভূল অনুবাদ করাও কিন্তু মহাপাপ। কোন মরফতি বিদ্যায় ও এ পাপ খন্ডন করিতে পারিবেনা।
তাহলে এবার আপনার ভূলটা দেখে নিন-
আপনি দেখিয়েছেন-
ইন্নাহু=নিশ্চয়
আপনার এখানেই মারাত্বক ভূল বুঝার কারনে অনুবাদে মারাত্মক ভূল অর্থ এনে ফেলেছেন।
কী আপনার ভূল?
(إِنَّهُ ) ইন্নাহু শব্দ আর ( ان ) ইন্না শব্দ এক নয়। শুধুমাত্র ( ان ) ইন্না শব্দের অর্থ হল “নিশ্চয়”
এখানে আছে ইন্না+হু = ইন্নাহু।
আপনি এই “হু” শব্দটিকে আপনার নিজের মনগড়া অনুবাদে একেবারে উধাও করে দিয়েছেন।
এটা কী ঠিক কাজ করলেন?
তাহলে এবার দেখুন এই “হু” টা কী ধরনের শব্দ, এর অর্থ কী, বাক্যের কোন স্তরে আছে।
“হু” একটি pronoun । এর অর্থ “ইহা” । এটা বাক্যের subject বা উদ্দেশ্য এর স্থান দখল করেছে।আরবীতে একে বলে مبتدا “মুবতাদা”।
এই “হু” বা “ইহা” pronoun টি বসেছ “কোরান” শব্দটীর পরিবর্তে এবং এটা এখানে উদ্দ্যেশ্য এর অবস্থানে আছে।
এই “হু” বা “ইহা” pronoun টি “কোরান” বিশেষ্যের পরিবর্তে বসেছে।
এবং বাক্যের পরবর্তী অংশটুকু অর্থাৎ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ “লা কাউলু রাসুলিন কারিম”
এখানে বিধেয়।
কোন বাক্যের উদ্দেশ্যকে বাদ দিলে বাক্যটির অর্থ অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
অতএব ঐ বাক্যের অর্থ হইবে এইরুপ-
“নিশ্চয় ইহা (কোরান) অবশ্যই সম্মানীত রসুলের বানী।”
আর যদি “হু” কে বাদ দিয়ে অর্থ করেন তাহলে দেখুন অর্থ কী দাড়ায়-
“নিশ্চয় অবশ্যই সম্মানীত রসুলের বানী” এটা একটা ব্যকরন অশুদ্ধ বাক্য হইবে কারন এখানে উদ্যেশ্য বিধেয় নাই।
এখানে এই “হু” শব্দটাই কোরানকে টেনে লয়ে এসেছে।
আশা করি ব্যাপারটি ধরতে পেরেছেন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
না! আমি হু শব্দটিকে বাদ দিই নাই।পুরা বাক্যটির অর্থ দেখুন,তাহলেই সব মিমাংসা পেয়ে যাবেন।যাদিও আমি আলাদা ভাবে হু শব্দটির অর্থ করি নাই।তবে মূল অর্থে, এ বাণী সমুহ, এই এ শব্দটিই হু এর বাংলা অর্থ যা আমি ব্যাবহার করেছি।
পূর্বে মন্তব্যে আপনি বলেছিলেন এই বাণী সমুহ শব্দ ত্রয় আমি নিজ ইচ্ছায় করেছি।তার বিপরীতে আমি দেখালাম ঐ শব্দ ত্রয় আমি কোথায় পেয়েছি।এখন বলছেন আমি হু এর অর্থ করি নাই।যদিও মূল বাক্যে আমি এ শব্দের মাধ্যমে হু কে ব্যাবহার করেছি।
এখন বলুন আর কি সমস্যা আছে?
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
ধরে নিলাম “হু” শব্দটির অর্থ আপনি “বানী সমূহের” পূর্বে ধরে নিয়েছেন যদিও ঐ ভাবে ধরা নিয়ম নাই-কারন এতে বাক্যের উদ্দেশ্য-বিধেয় ঠিক থাকেনা।
তাহলে এবার আপনারই অনুবাদ অনুসারে “এই বাণী সমুহ” বলতে কোন বানী সমূহকে বুঝতেছেন? কোরান? বা হাদিছ?
এবার তাহলে এইটার উত্তর দিন?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
“এ বাণী সমুহ” বলতে ,প্রচলিত কোরানকে বুঝানো হয়েছে।অর্থাৎ,যাহাকে আমরা কোরান বলে জানি,তাহা আল্লাহর নাযিলকৃত কোরান নয়।উহা রাসুলের হাদিস।আর এই হাদিস আপনাকে কোরান চিনতে ও মানতে সাহায্য করবে।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
@আঃ হাকিম চাকলাদার, সাহেব-এ আয়াতের সঠিক অর্থ আপনি উপস্থাপন করতে পারেন নাই।
এই আয়াতের আরবি-
ইন্না নাহনু নাযযালনায জিকরা ওয়া ইন্না লা হু লা হাফিযুনা।
শব্দার্থ-
ইন্ন-নিশ্চয়, নাহনু-আমরা, নাযযলালনা-অবতরণ করেছি, জিকরা-স্মরণ, ওয়া-আর, ইন্না-নিশ্চয়, হু-ইহা, লা-অবশ্বয়, হাফিযুনা-সংরক্ষণ করি।
আয়াতের অর্থ-
নিশ্চয় আমরা অবতরণ করেছি স্মরণ আর নিশ্চয় ইহা অবশ্যয় সংরক্ষণ করি।
এ আয়াতে আপনি গ্রন্থ পাইলেন কোথায়?এখানে গ্রন্থ শব্দ থাকলেই তো সব এলোমেলো হয়ে যাবে।সঠিক তথ্য সংগ্রহ করুন।ও তাহা স্বচ্ছতার সাথে উপস্থাপন করুন।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
হা,হা,হা. খুব আনন্দিত!
ভাইজান
ভাগ্যিস, আপনার এই বিনা পয়সার ইসলামী শিক্ষার কোচিংএ যোগদান করে একটু সঠিক ইসলামী জ্ঞান চর্চা করতেছিলাম বলে, নইলে আজ ধড়ীবাজ ইসলামিস্ট গন আমাকে দিয়ে বেহেশতের মধ্যের একটার পর একটা ঘর ক্রয় করিয়ে করিয়ে আমাকে ফতুর করে ছেড়ে দিত, যেটা আমার পরিচিত লোকদের বেলায় চোখের সামনে ঘটতেছে।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
সিরাজুল ইসলাম একজন বিজ্ঞানী। আপনি কি সেটা জানেন ? এই পোস্টের ২৩ নম্বর মন্তব্য প্রতিমন্তব্যগুলো পড়েন, তাহলে বুঝতে পারবেন হিগস বোসন কনা কে আবিষ্কার করেছে ?
@হৃদয়াকাশ,
এখানে মন্তব্যে কোন নম্বার দেখা যাচ্ছেনা। আমি খুজে ২৩ নং ও পেলামনা।পারলে ওখানকার সবটুকুই কপি করে দিয়েন তো?
জনাব সিরাজুল ইসলাম সাহেবের কাছ থেকে কিছু কোরানিক-বিজ্ঞান শিক্ষাই আমার লক্ষ্য।
মানুষ জন্ম সূত্রেই নিচের সাতটি ব্যাপারে উত্তরাধিকারত্ব লাভ করেঃ
বর্ণ
ধর্ম
ভাষা
সংস্কৃতি
আচার
সমাজ
রাষ্ট্র
অনেকের কাছে বর্ণ কিছু না, অনেকের কাছে ধর্ম কিছুনা, অনেকের কাছে নিজ ভাষা কিছুনা, অনেকের কাছে নিজ সংস্কৃতি কিছুনা, অনেকের কাছে নিজ আচার কিছুনা, অনেকের কাছে নিজ সমাজ কিছুনা, অনেকের কাছে নিজ রাষ্ট্র কিছুনা……. বৈশ্বিক লাভ কিংবা নব বিশ্বাসের জন্য অনেকই তাদের জন্ম সুত্রে প্রাপ্ত এই সাতটির যে কোন একটি কিংবা সবগুলোর বিরোধিতা করে…
অনেকের কাছে আবার অনেক কিছু এমনকি অনেকে নিজের জীবন দিতেও প্রস্তুত……
সমাজে আমাদের উচিত অন্যর বিশ্বাস এবং আচার কে শ্রদ্ধা জানানো…… বিশেষ ভাবে যা অন্যর ক্ষতির কারণ হয়না……
সরলীকরণ আমজনতার কাজ তবে আমজনতার নেতৃত্ব অথবা বুদ্ধিজীবীরাও যদি সরলীকরণ করে তাহলে পতন অনিবার্য।
@সংবাদিকা, আপনাদের এই প্যানপ্যানানি খুব বিরক্তি কর। এত নীতিবাক্য না দিয়ে সোজাসুজি যুক্তি দিয়ে ভবঘুরে ভাইয়ের যুক্তিগুলো কে খণ্ডাচ্ছেন না কেন? যদি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও আপনাদের চোখে না পড়ে তবে কি সত্যই আপনারা জন্মান্ধ?আম জনতা থেকেই যে তথাকথিত বুদ্ধিজীবী বেরিয়ে আসে এটা আশা করি বোঝেন? কেউ জন্মসুত্রে বুদ্ধিজীবী হয় বলে আমার জানা নেই। আর সরলীকরণ করলে পতন অনিবার্য মানে? ইউরোপ যে দীর্ঘ সময় ধরে অন্ধকার যুগে পড়ে পচে মরছিল, এটা যে ধর্মের কারনেই সেটা ভুলে গেলেন? আজ যে মুসলিম জাতি অন্ধকার যুগে বসবাস করছে সেটা চোখে দেখেন না? এই সিরিজটার একটি লাইনেও তো আমি অসংলগ্ন আর সরলীকরণের কিছুই পেলাম না। পুরোটাই আমার কাছে জলন্ত আগুনের গোলা বলে মনে হয়েছে আর যাতে আপনারা পুড়ে মরছে। সদালাপ নামের একটি সাইটে দেখছি যে ভবঘুরে ভাইকে ভণ্ড বলে গালি গালাজ করছে, আগে করত আকাশ মালিক ভাইকে। কই আস্তে বলেন এখানে আর প্রমান করতে বলেন। সবসময়েই তো পুন্যবান রা হাজির হয়ে পাপীদের সাথে যুক্তিতে না পেরে চলে যায় আর অন্য সাইটে কাপুরুষের মত মিথ্যাচার করতে থাকে।
এই আয়াতে দেখুন।এখানেও সরলীকরণ করা হয়েছে ( আপনাদের ভাষায়)। আপনি বুঝেন না যে এখানে আমি বলতে মুহাম্মদ নিজেকেই বুঝিয়েছে? আর এটা যদি আল্লাহই বলে থাকে তবে আল্লাহর অন্য বিচারক খোজার দরকার কি? নাকি আল্লাহ জানে যে তার সমান বিচারক আরো অনেকেই আছে? থাকলে আল্লাহই কি মিথ্যাবাদী হয়ে গেল না, কারন তার সমান কেউ থাকার পরেও সে নিজেকেই একমাত্র সত্য সত্তা দাবি করে রীতিমত ঘোড়া আর গাধার নামে শপথ করে?
কাজেই এটা কি পরিষ্কার না যে মুহাম্মদের কথা এটা? অথচ আপনারাই তো দাবি করেন যে কোরান পুরটাই আল্লাহর বানী? তবে? এর কোন ব্যখ্যা আছে? কোরানের অসংখ্য ভুল, বিশেষ করে স্থুল গাণিতিক ভুল গুলো( উত্তরাধিকার আইনে) কি প্রমান করে? অন্য ভুল গুলোকে আপনি যদি, অথবা, কিন্তু দিয়ে কথা প্যাঁচাতে পারেন, কিন্তু ম্যাথএর বেলায় এইসব খাটেনা এটা বুঝেন না? ২+২ সব সময় ৪ ই হবে, কোনদিন ৫ হবে না, এটা বুঝতে গেলে তো মহা পণ্ডিত হতে হয় না। তবু এগুলো বিশ্বাস করেন কেন?সম্মোহিত অবস্থায়, নাকি জাত যাবার ভয়ে নাকি তর্কের খাতিরে শুধুই তর্ক করা?
এরই নাম পাগলামি। এই আদর্শবাদের ভুতটাই মানুষকে যুগে যুগে ধ্বংস করেছে আর কিছু কিছু অতি চালাক মানুষদের ধর্মগুরু বানিয়েছে অন্যদের ঘাড়ে কাঁঠাল ভেঙ্গে খাবার জন্য, কিন্তু আপনারা চোখ বুজে থাকেন বলেই দেখতে পান না। আচ্ছা সত্যই কি আপ্নারা দেখেন না , নাকি দেখতে চান না? অথবা দেখেও না দেখার ভান করেন?
সম্মান সেটাকেই দেখান যায় যেটা সম্মান দেখানোর যোগ্য। আমাকে সম্মান করতে হবে বলে চেঁচালেই সম্মান আসে না। আপনাদের আচার কে আগে সম্মানের যোগ্য পর্যায়ে নিয়ে আসুন, তখন আর সম্মান ভিক্ষা চাইতে হবে না, এম্নিতেই মানুষ সম্মান দেখাবে। আগে অন্যদের সম্মান করুন মসজিদে, চায়ের দোকানে, রাস্তায়, মাঠে ঘাতে, বিশেষ করে ওয়াজ মাহফিলে নোংরা ভাষায় অন্য ধর্মকে শয়তানের তৈরি , আর তাদের ইষ্ট দেবতাদের উপাসনা করা শয়তানের কাজ, এইসব বলা বন্ধ করান। আগে নিজের ঘর সাফ করেন তার পর অন্যকে জ্ঞান দিতে আসেন। কিভাবে অন্যের সমালোচনা করতে পারেন যেখানে নিজেরাই এমন দুর্গন্ধ ছড়ান যে তার অন্যের বিবমিষার কারণ হয়ে দাঁড়ায়?
@অচেনা,
ভাই, খুব ভাল লিখেছেন। :-X :-X
@অচেনা,
অনেক সাদারা বা বাদামিরা এখনো কালোদের সহ্য করতে পারেনা তাই বলে সাদা কিংবা বাদামী চামড়া মাত্রই দোষী
অনেক ভাষা সমৃদ্ধ নয়। ইংরেজি ভাষার উন্নয়ন ধার থেকে। বাংলা থেকেও অনেক সমৃদ্ধ ভাষা আছে। তাই বলে কি আমরা আরও সমৃদ্ধ ভাষা শিখতে যেয়ে নিজের ভাষা বাদ দিয়ে দিব।
অনেক সংস্কৃতি অদ্ভুত মানে বাহিরের মানুষদের কাছে; অনেক গান শুনলে মনে হয় চিল্লা পাল্লা অনেক গুলো শুনলে ঘুম আসে আবার অনেক গুলো খুবই কালার ফুল।
অনেক আচার ব্যবস্থা জানি কেমন কোরিয়ানরা কুকুর খায়, পশ্চিমারা শুকর খায় কিংবা আরবরা গরু কিংবা দুম্বা খায়। কিংবা যারা মাংস খায়না প্রাণী হত্যা বলে তারা কিন্তু আবার পাথর খায়না। ঠিকই উদ্ভিদ খায়, যারও প্রান আছে। এখন আবার অনেক জায়গায় মানুষ নগ্ন থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। আদিম মানুষ গাছ পাতা দিয়ে ঢাকত কিন্তু ঐসব সভ্য আধুনিক দেশের কতক মানুষদের কাছে সমুদ্রের বিচে গায়ে কাপড় রাখাটা বাহুল্য।
শহরে কেউ কারও খোজ রাখেনা সবাই যে যাকে নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু গ্রাম্য সমাজে সবাই সবার সুখ দুঃখে পাশে থাকে আবার এটা অনেক সময় চরম বিরক্তিকর এবং প্রাইভেসি বিরোধী মনে হয়।
ইসরাইল প্যালেস্টানীয়দের উপর, ইরান-ইরাক-তুরস্ক কুর্দিদের উপর, ভারত কাশ্মীরিদের উপর, চীনারা তিব্বতীয়দের অথবা যুক্তরাষ্ট্র সারা পৃথিবীর উপর অন্যায় আচরণ করছে তাই বলে তারা কিংবা তাদের নাগরিকেরা কি চিরাচরিত খারাপ ? তাদের সব কিছু নিশ্চয়ই খারাপ নয়। আমাদের বাংলাদেশরেও অনেক অন্যায় আছে।
হাজ্জাজ, তৈমুর, ইসাবেলা কিংবা আরবান (২) এরা ধর্মের দোহাই দিয়ে, চেঙ্গিস – হিটলার জাতীয়তার দোহাই, পিনোশেট-ফ্র্যাঙ্কো ধনতন্ত্র-গণতন্ত্র কিংবা স্ট্যালিন অথবা মাওসেতুং সাম্যবাদ এবং নাস্তিকতার দোহাই দিয়ে কোটি কোটি মানুষ হত্যা করেছে। তাই বলে ধর্ম, সাম্যবাদ, ধনতন্ত্র, সাম্যবাদ অথবা নাস্তিকতা কোনটিই দোষী নয়। দোষ হল যারা এসবের নামে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে তাদের।
পরবর্তী কিংবা সমসাময়িক কতক লোকের জন্য পুরো বিষয়টি নিয়ে গেল গেল তুললে আসলে কোন লাভই নেই। আদতে ফাক্কিকার এবং ফলাফল শূন্য।
@সংবাদিকা,
আপনার যুক্তি বোধে আমি দারুণ মুগ্ধ। আপনি নিজেই পরিষ্কার করে বুঝাতে চেয়েছেন অঞ্চল ভেদে মানুষের আচার, বিশ্বাস, সংষ্কৃতি, ভাষা, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদিতে সুস্পষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান। তার মানে এই দাঁড়াল চিরন্তন মত বা বিশ্বাস বলে কিছু নেই। আমরা কি তাহলে ধরে নেব আপনি স্বীকার করে নিচ্ছেন সত্য বা চিরন্তন ধর্ম বলে কিছু নেই? ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মীয় বিশ্বাসের মত একটা সাধারণ বিশ্বাস বৈ আর কিছু নয়!
@সংবাদিকা,
এত আগডুম বাগডুমের কিছু নাই। এ সিরিজ নিবন্ধের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো মোহাম্মদকে আবিস্কার ও ইসলামের ব্যবচ্ছেদ। এখানে তুর্কি, কুর্দি, মার্কিনী বা ভারতীয়রা কোথায় কি করছে সেটা বিবেচ্য নয়। সুতরাং অপ্রাসঙ্গিক কথা বাদ দিয়ে মোহাম্মদ ও ইসলাম সম্পর্কে কোন অযৌক্তিক কথা এখানে থাকলে সেটা নিয়ে কথা বলাই যু্ক্তিযু্ক্ত হবে। আপনাদের মত বিশ্বাসী লোকদের এটা একটা সমস্যা যে তারা আসল বিষয় এড়িয়ে আগডুম বাগডুম কথা বেশী বলে।
@সংবাদিকা,
কিন্তু মুসলমানদের বিশ্বাস, তাদের নিজেদের তো বটেই; পৃথিবীর অন্যান্য জাতির মানুষদের জন্যও হুমকিস্বরূপ। এরা বেহেশতের হুরের জন্য সব কিছু করতে পারে। এরা এতটই নির্বোধ যে, তাদের ধর্ম বিশ্বাস যে তাদেরকে কিছুই দিতে পারছে না, সেটাও তারা বুঝতে পারছে না।
@হৃদয়াকাশ,
মুসলমানদের ধর্ম বিশ্বাস তাদের কিছুই দিতে পারছে না।ঠিক আছে,আপনি যে ধর্ম বিশ্বাস করেন তা আপনাকে কি দিয়েছে?দয়া করে জানান ।বেশি কিছু পেলে আমরা আপনার ধর্মে যাবো।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
মানবতাই আমার ধর্ম আর বিজ্ঞান আমার কর্মপন্থা। চাইলেই চলে আসতে পারেন এই দলে। কিন্তু একটা কথা আছে, এ দলে এলে কিন্তু পড়াশুনা করতে হবে। কোরানের মতো এক বইয়ের পাঠক হলে কিন্তু চলবে না। আর মৃত্যুর পর মুহম্মদের মতো কিন্তু বেহেশত আর সেক্স করার জন্য ৭২ জন হুর সাথে আরো কিছু গেলমান দেয়ার গ্যারান্টি দিতে পারবো না।
কি, রাজী ? আছে সাহস ?
@হৃদয়াকাশ,
আপনি বলেছিলেন-
তাই আমি বলেছিলাম ,মুসলমানদের ধর্ম বিশ্বাস তাদের কিছুই দিতে পারছে না।ঠিক আছে,আপনি যে ধর্ম বিশ্বাস করেন তা আপনাকে কি দিয়েছে?দয়া করে জানান ।বেশি কিছু পেলে আমরা আপনার ধর্মে যাবো।
আপনি বললেন-
আপনার ধর্ম কি ,তা আমি জানতে চাই নি।আমি জানতে চেয়েছি-আপনার ধর্মে আসলে আমরা কি পাবো, তাই বলুন।
আগে কথা বুঝুন, পরে জবাব করুন।
সত্য সহায়।গুরুজী
আপনারই প্রবন্ধ হতে,
ভাইজান,
উক্ত আয়াতে সমস্যা তো আর একটা প্রকট আকারে হাজির হয়ে যাচ্ছে।
এটা ও তাহলে একটু সমাধান করে দিন।
এখানে তো পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে উপরোল্লিখিত বাক্যাংস টুকুর বক্তা আল্লাহ নিজে কখনোই হতে পারেন না, অর্থাৎ তাহলে নবী নিজেই। এখানে এই “আমি”টা কে? পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে এই “আমি”নবিজী নিজেই। অনুবাদকের সাহায্য ব্যতিরেকে সরাসরি আরবী বাক্যটা থেকে বুঝতে গেলেও ঐ একই অর্থ দাড়ায়।
আর দ্বিতীয় অংসটুকু অর্থাৎ:
এটার বক্তা আল্লাহ, তা না হয় বুঝে নিলাম।
তাহলে নবীজী কী নিজের বক্তব্যের সংগে আল্লাহর বক্তব্যকে একত্রে মিশিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেল্লেন নাকী ?
অথচ সম্পূর্ণ বাক্যটাকে কোরানের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে ঢালাও ভাবে আল্লাহর বানী বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
কিন্ত ভাইজান, আপনার সত্য প্রকাশের ঠেলায়, আজকাল জনগণ কিন্তু সতর্ক হয়ে গিয়েছে।
যা-তা একটা বাক্যকে জনগণ আর “আল্লাহর বাক্য” বলে মেনে নিতে নারাজ।
তারা নিজেরা একটু পরখ করে দেখে নিতে চায়। কী বলেন?
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনি তো দেখি খুব দ্রুত ইসলামী পন্ডিত হয়ে গেলেন ভাইজান। মনে হচ্ছে আপনি এখনই ভাল ওয়াজ নসিহত করতে পারবেন। এক কাজ করতে পারেন , দেখুন ওয়াজ করাটাকে পেশা হিসাবে নেয়া যায় কি না। একে বারে বিনা পুজির ব্যবসা। পুরোটাই লাভ, আবার লাভটাও কম না। কি বলেন ভাইজান ?
উক্ত আয়াতের ব্যখ্যা অতুলনীয়। আসলেই এখানে আমি মোহাম্মদ নিজেই । অর্থাৎ মোহাম্মদ নিজেই কথা বলে সেটাকে আল্লাহর বানী বলে চালিয়ে দিয়েছেন। এটা ঘটেছে মোহাম্মদের ঠিকমতো ব্যকরণ না জানার কারনে। লেখা পড়ায় একটু চালু হলেই এ ভুলটি এড়াতে পারতেন। এটা আল্লাহর বক্তব্য হলে আয়াত টি হতো নিম্নরূপ:
তবে কি তুমি ( মোহাম্মদ) আমা ( আল্লাহ) ব্যতিত অন্য কোন বিচারক অনুসন্ধান করবে , অথচ আমিই ( আল্লাহ) তোমাদের প্রতি বিস্তারিত গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছি ?</strong
এর কারন কোরানের বক্তা তো স্বয়ং আল্লাহ তাই তিনি সঠিক ব্যকরণ রীতি অনুযায়ী নিজেকে আমি এ সর্বনাম পদে প্রকাশ করবেন। তাই নয় কি ?
এ রকম আরও অনেক আছে! আরও কিছু উদাহরন:
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনি সত্যিই খুব তাড়াতাড়িই কুরানের প্যাঁচ গুলো ধরে ফেলতেছেন। আরবীতে আপনার দখল অসাধারণ!
@গোলাপ,
অনেক ধন্যবাদ। আপনার দেওয়া আয়াৎগুলী আমি save করে রাখছি। এত বড় ধারাল যুক্তির আয়াৎ গুলী সময়মত আমার কাজে লাগবে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনি তো খালি save করেই যাচ্ছেন, কোথায় কি কাজে লাগালেন , কিছুই তো বলেন না । দয়া করে সেটাও একটু জানাবেন।
@ভবঘুরে,
অবশ্যই, এইযে,
আমাদের মসজিদে ১০-১২ জন দলের একটি “তাবলীগ জামাত” এর একটি দল ৩ দিন থেকে কাজ করে গেলেন। তারা বাড়ী বাড়ী গিয়ে ইছলামের দাওয়াত দিতেন।
আমি গত পরশুদিন সকাল ১০টার দিকে মসজিদে ঢুকি। এদের মধ্যে বাংগালী,ভারতীয়.পাকিস্তানী,এরাবিয়ান,ওআফ্রিকান মুছলিমরা ছিলেন।
আমি মসজিদে ঢুকে দেখতে পাই,এরা মসজিদের এক কর্নারে সব একত্রে গোল গাল হয়ে বসে আছে এবং এদের একজন একটি হাদিছ পুস্তক হতে ইংরাজী অনুবাদ পড়তেছেন এবং অন্য সবাই অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে শুনতেছেন।
আমি ও কিছুক্ষন শ্রোতা হিসাবে অংশ গ্রহন করলাম।
এরপর এর মধ্যের একজন সিনিয়র বাংগালী কে বল্লাম আমি একটু আলাপ করতে চাই।
উনি আমার প্রতি অত্যন্ত মনোযোগী হইলেন।
আমি সংগে করে লয়ে গিয়েছিলাম আপনাদেরই কাছ থেকে save করে রাখা নিম্নোক্ত বোখারী হাদিছটির কতকগুলী printed পাতা।
ঐ পাতা গুলী তখন আমি তাদের বাংগালীদের হাতে দিয়ে বললাম এটা বোখারীর গুরুত্বপূর্ণ হাদিছ । এটা পড়ুন ও অনুধাবন করুন?
এরা অনেকক্ষন ধরে অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়িলেন।
এরপর এরা এবিষয়ে আর কোন কথা বলেনা। এরপর আমি বাংগালী মুরুব্বীকে প্রশ্ন করিলাম,
“হাদিছটা বিজ্ঞানের বিপক্ষে যায়না?”
তিনি তখন বলিলেন “এই বিজ্ঞানীরা এখন আবার বলতেছে, সূর্য ও স্থির থাকেনা তারও একটা গতি পথ আছে।”
তখন আমি বল্লাম ” সূর্যের নিজস্ব অক্ষে সামান্য গতিপথ আছে, তবে এটা নিশ্চিত যে, আমরা যে দিবা-রাত্র পাই,সেটা হয় পৃথিবীর ঘুর্ননের ফলেই,কখনোই সূর্যের ঘুর্ননের ফলাফলে এটা হয়না”
তখন উনি ও আমার কথা মেনে নিলেন।
তখন আমি বল্লাম “এভাবে ইসলামের সংগে ও বর্তমান বিজ্ঞানের এতবড় একটা সংঘর্ষ এতে অসুবিধা হয়না?”
উনি এবার ও উত্তর দিলেন “হ্যাঁ”
এরপর আমি বল্লাম আপনাদের যিনি উর্ধতন আছেন তাকে এই হাদিছটা দেখাবেন আর বলবেন এ ব্যাপারে আমি তার সংগে একটু আলাপ করতে চাই।
উনি কথা দিলেন “হ্যাঁ এটা করব।”
কিন্তু এরপর তাদের কেহই এব্যাপারে আর আমার সংগে আলাপ করতে বসেন নাই।যদিও আমি তাদের সংস্পর্ষে ই ছিলাম
এরপর তারা হঠাৎ করে গত কাল দুপুরে চলে গিয়েছেন।
এই হাদিছটির প্রশ্ন আমাদের আধ্যাত্মিক জ্ঞ্যানের অধিকারী জনাব সিরাজুল ইসলামকেও করেছিলাম।
কিন্তু উনি একটি মাত্র উত্তর দিয়ে কেটে দিয়েছেন যে উনি হাদিছ সম্পর্কে আলোচনা করতে আগ্রহী নন।
দেখুন তো এটা কী ধরণের বিপদ”উনি নবীর হাদিছকে মানবেননা অথচ সেই নবীর থেকে আধ্যাত্মিক জ্ঞ্যান টাও নিতে চান?”
উনাকে লয়ে তো বেশ মুসিবতেই আছি-উনি যখন যে ধরনের খুশী নিজের মনগড়া আধ্যাত্মিক কথাবার্তা, কল্প কাহিনী দ্বারা ভরপুর করে দিতে পারেন। উনি বোধ হয় একটা ভাবের/আধ্যাত্মিক জগতে বসবাস করছেন।
আপনার ভাগ্যটা বোধ হয় মঙ্গলের দিকে যাচ্ছে-কারন বর্তমানে আপনার মঞ্চে এধরনের দুই একটা আধ্যাত্মিক লোকের আণাগোনা আরম্ভ হয়ে গিয়েছে।
তাহলে আলোচ্য হাদিছ টি নীচে দেখুন-
,
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজান, ওরা আপনাকে বলে নাই যে আপনার মধ্যে শয়তান বাসা বেধেছে ?
আপনি তো ছাই দিয়ে বাইন মাছ ধরতে লেগে পড়েছেন। দেখুন কয়টা বাইন মাছ ধরতে পারেন।
@ভবঘুরে,
ওদের সে কথা বলার ক্ষমতা আছে? আমার কাছে পাকা পোক্ত দলিল রয়ে গেছেনা ?
আর আমি তো সঠিক বস্তুটি দেখাতে চাচ্ছি।
হা,হা,হা,
ভাইজান, ধরার তো চেষ্টা চালাচ্ছি কিন্তু ধরতে আর পারি কই? আমি তো তাদের কাছাকাছিই
ঘুরা ঘুরি করতেছিলাম এই আশায় যে তারা আমার সংগে বসে একটু আলোচনা করবে।
কিন্তু বিপরীতে তাদের এখান থেকে যাওয়ার নির্ধারিত দিনের পূর্বেই এ স্থান হঠাৎ করে ত্যাগ করে চলে গেছে।
অস্বীকার করবে?
প্রীয় পাঠক বর্গ,
কেয়ামতের ব্যাপারে এত ভয়ের কী আছে?
উপরে একটু লক্ষ করে দেখুন না? স্বয়ং আল্লাহ পাকই তো মানব ও জিন জাতিকে কোন অপরাধ সম্পর্কে কেয়ামতের দিন জিজ্ঞাসিত না হবার নিশ্চয়তা দান প্রদান করতেছেন।
দেখুন তাহলে আল্লাহ পাক কত দয়ালু। কাজেই অপরাধ করার কারনে আর কোনই দুশ্চিন্তা বা দুর্ভাবনা করার কারন থাকতে পারে কী?
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এটাতো অন্ধের হাতি দেখার মত, যেখানে স্পর্শ করলেন পূর্ণাঙ্গটুকুকে তদনুরুপ ভাবার মত হলো।আসলে হাদিস বা প্রচলিত কোরান এভাবে বোঝা সম্ভব নয়।এই প্রচলিত কোরান বুঝতে হলে আগে কোরানের নিজস্ব উদ্দেশ্য বুঝতে হবে।থাক সে কথা,আপনার এই আয়াতের বিষয় নিয়ে কিছু বলি।
আল্লাহর ৯৯ টি গুন বাচক নাম আছে।তার মধ্যে একটি নাম রহমান বা দয়াময়।আর এই সুরাটির নাম দয়াময় বা রহমান।এই দয়াময় এক সময় সৃষ্টির জ্বীন ও মানব কে ৩১ টি নেয়ামত দেন।যা এই সূরাতেই উল্লেখ আছে।এই ৩১ টি নেয়ামতের আওতায় থাকা কালিন জ্বীন ও ইনসানকে তিার কৃতকর্ম বিষয়ে জানতে চাওয়া হবেনা।কেননা এই ৩১ টি নেয়ামতের আওতায় অবস্থান কালিন সময়ে তারা কোন অন্যায় করতে পারবে না।
আর যেখানে আল্লাহ ওয়াহেদুল কাহহার বা কঠিন শাস্তি দাতা।এর আওতাধীন সময়ে জ্বীন ও ইনসান ভালো কোন কাজ করতে পারবে না।সে যাহা করবে তাহাই শাস্তি পাওয়ার কাজ করবে।
আর যখন আল্লাহ আদলু বা ন্যায় বিচারক।এর আওতায় আসলে তো সকলেই জিজ্ঞাসিত হবে।কোন মাফ নাই।
বিস্তারিত জানতে নির্দিষ্ট একটি বিষয় নিধারণ করে আলোচনায় আসুন ।সে বিষয় শেষ হলে আরেকটি তে যাওয়া যাবে।আমি নিশ্চিৎ আপনাদের অসরতা তখন আপনারা নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
আপনি ঐ আজগুবি কাহীনি কোথা থেকে আনিলেন?
নীচে তাহলে সঠিক অর্থটি তাফছীর কারকদের নিকট থেকে শুনুন।
TAFSIRE JALALAIN
55:39
{ فَيَوْمَئِذٍ لاَّ يُسْأَلُ عَن ذَنبِهِ إِنسٌ وَلاَ جَآنٌّ }
Thus on that day no man will be questioned about his sin, nor any jinn, about his sin; but they are questioned on some other occasion: By your Lord, We shall question them all [Q.15:92] (al-jānn in this instance and in what will follow denotes the jinn, and also in both cases al-ins denotes human beings).
IBN KATHIR ENGLISH
(39. So, on that Day he will not be questioned about his sin, (neither) human nor Jinn.)
Sahih International
Then on that Day none will be asked about his sin among men or jinn.
Muhsin Khan
So on that Day no question will be asked of man or jinn as to his sin, (because they have already been known from their faces either white or black).
Pickthall
On that day neither man nor jinni will be questioned of his sin.
Yusuf Ali
On that Day no question will be asked of man or Jinn as to his sin.
Shakir
So on that day neither man nor jinni shall be asked about his sin.
Dr. Ghali
Then upon that Day neither any of humankind nor any of the jinn (race) will be questioned about his guilty deed.
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনি কি মহাম্মদ ও কোরানের সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করছেন ,না মহাম্মদ ও কোরানকে মিথ্যা প্রমানের চেষ্টা করছেন?আপনার মূল উদ্দেশ্য কি?
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
এই কথা বার বার লিখছেন কেন ভাই? আগে ত সিগনেচার \এ লিখতেন হাজি সাহেব।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
হে হে হে , তাহলে তো ভয়ের কিছু নাই। আমরা সেই ফাকে সুড়ুৎ করে জান্নাতে ঢুকে যাব, কি বলেন ?
হজ্জ করতে গেলে কালো পাথর এ kiss করতে হয়,এই টা কি মূর্তি পুজা না।কারন kiss করলে না কি পাপ মুক্ত হয়।আর একটা পাথর কিভাবে পাপ মোচন করে। what a funny belief as like as other religion.
” আল্লাহ সর্বদা বিরাজমান ” কোরান এবং সহি হাদিস কোথাও এ নাকি এ ধরনের কথা নাই।
নবিজীরে এক মহিলা প্রশ্ন করছে আল্লাহ কোথায় থাকে নবিজী হাত দিয়া দেখাইছে উপরের দিকে,মুখ দিয়া কিসুই বলে নাই।কোরান এ না কি বলা হয়ছে,আল্লাহ না কি তার নিজস্ব কিসু
জ্ঞান বুদ্ধি মানুষ এর মধ্য দিছে। এবং আল্লাহ পৃথিবিতে থাকে না। “জাকির নায়েক”
তবে মুসলিমরা কেন কাবা ঘর এর সামনে সেজদা দেয়?
আমি অনেক মুসলিমকে প্রশ্ন করেছি”কাবা ঘর এর সামনে সেজদা দেয় কেন?” তারা বলে “কাবা বরাবর আল্লাহ র আরশ”।
funny belief.
তবে ১ জন বলেছে কাবা এর ভিতর আল্লাহ থাকে। :hahahee:
ভাই জানে রা আমারে ১ টু বুজাইয়া বলবেন কি?
ভবঘুরে ভাই আপনার লেখা টা পরে ভাল লাগল…আমি পব-১৩,১৪,১৫ পরেছি খুব ভাল লাগেছে,অনেক কিছু জানতে পারেছি। ধন্যবাদ
সংশোধন
বান্দাদের গান্ধা যুক্তি ভবঘুরে সাহেবের উড়িয়ে দেওয়া ঠিক হচ্ছে না।
মাননীয় ভবঘুরে সাহেবের নিবন্ধগুলি মুমিন বান্দাদের আজগুবি যুক্তি, গালগল্পগুলি যে ভাবে উড়িয়ে দিচ্ছে, সেটা বহু কারণেই সমর্থন করা যায় না।
হাতে গোনা দু’একটি দেশ ছাড়া মুসলিম দেশগুলো গরীব। রোজগারের বিশেষ কোন উপায়ও নেই। সেখানে কিছু লোক যদি ধর্মের নামে লোকের মাথায় গাধার টুপি পরিয়ে দু’পয়সা আয় করে, তবে ভবঘুরে সাহেবের সমস্যা কোথায়?
কিছু বিশেষ(অ)জ্ঞ লোক যদি ইসলামের নামে গো এষণা করে (যেমন দোজখের তাপমাত্রা বের করা) অধস্তন দু’পুরুষের অন্নসংস্থান করে যেতে পারে, তবে ভবঘুরে সাহেবের সমস্যা কোথায়?
প্রতি বছর যে কয়েক হাজার আলেম (দয়া করে জালেম বলবেন না কিন্তু) মাথায় ঘুঁটে (গোবরগুলো শুকিয়ে গেছে) ভর্তি করে মানুষের কল্যাণ করছে (অপ্রিয় সাড়ে সর্বনাশ মোটেই বলবেন না), সেখানে ভবঘুরে সাহেবের সমস্যা কোথায়? মানছি মাথায় ষাঁড়ের গোবর নিয়ে সমাজের কল্যাণকর কিছুই এদের পক্ষে অসম্ভব। তিনি কি তাদের অন্নসংস্থান করতে পারবেন?
বুকে বোম বেঁধে আত্মঘাতী হামলায় মদত দিয়ে বিশ্বের লোক সংখ্যা কমানোটা অবশ্যই পরিবার পরিকল্পনায় পরোক্ষ সমর্থন। ভবঘুরে সাহেবের সমস্যা কোথায়?
জোকার নরক লোকের মাথায় গাধার টুপি পরিয়ে দু’পয়সা আয় করছে, ভবঘুরে সাহেবের সমস্যা কোথায়?
জোকার নরক তো আর জীবনে নো-বেল (মানে কোন বেল নেই) পাবেন না, সেখানে ওনাকে গোটা কয়েক কৎবেল (এটায় তো বেল আছে!) দিলে ভবঘুরে সাহেবের সমস্যা কোথায়?
মহাম্যাড এবং তার স্বরচিত গ্রন্থের ধোঁকাবাজি, গাঁজাখুরি গালগল্পের আসল রহস্য খুঁজে পেতে বের করাটা কি ঠিক হচ্ছে? যেখানে ৯৯.৯৯৯% মুসলমান জানেন না মহাম্যাডের পেগাম্বর হওয়ার আসল ঘটনা, সেখানে ঢাক পিটিয়ে পর্দা ফাঁই করার ষড়যন্ত্রের পেছনে নিশ্চয় বিদেশি (ইহুদি নাসারা?) মদত আছে।
ইদানিং ভবঘুরে সাহেবের যুক্তিগুলো বড় ধারালো হয়ে যাচ্ছে। শেষে কি বান্দাদের থুতু ফেলে ডুবে মরতে হবে? তার দায় কি ভবঘুরে সাহেব নেবেন? ভবঘুরে সাহেবের বান্দাদের গান্ধা যুক্তি উড়িয়ে দেওয়া ঠিক হচ্ছে না।
@বস্তাপচা,
দারুণ………………… :lotpot: :lotpot: :lotpot: :lotpot:
@ভবঘুরে,
ভাই অনেকেই পড়ে আর পড়ার পর বলে যে ,এইতো পরিষ্কার বুঝাই যাচ্ছে যে ,তৌরাত ও ইঞ্জিল কিতাব বিকৃত হয়ে গেছে আর কোরান কি সুন্দর অবিকৃত আর সত্য। :hahahee:
আপনি তো জানেন ভাই যে কুকুরের লেজ সোজা হয়না আর মুসলিম রা হল একাধারে কুকুরের লেজ আর জন্মান্ধ। তবু যেহেতু আপনাদের সবার লেখা কিছু মানুষকে অন্তত ভাবাচ্ছে এটাই বড় প্রাপ্তি । যেমনটা আমি মনে করি যে আমরা না হলেও আমাদের নাতি নাতনি রা এর সুফল পাবেই। সত্যি এই ইসলাম নামের ক্যান্সার দূর হলে সেটা হবে মানবজাতির জন্য সবথেকে বড় মুক্তি।
বলা বাহুল্য এটা একটা বিশাল মিথ্যা, আর এভাবেই এক মহা মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে ইসলাম নামক এক ভয়াবহ দানব যে দানব ১.৫ বিলিয়নের এক বিশাল জনসংখ্যাকে গ্রাস করতে উদ্যত।
সারা দুনিয়াকেই এই দানব গ্রাস করতে চায় আর আমার মনে হয় তলে তলে রোমান ক্যাথলিক চার্চ এটাকে সমর্থন করে।ইনকুইজিশন তো সফল হয়নি। যাক প্রটেস্টান্ট রা তো পুরাই ইসলামকে বাতিল করে দিয়েছে যেখানে ক্যাথলিক চার্চ, ইসলামেও মুক্তি দেখা শুরু করেছে, অবশ্যই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। ccc841 পড়লেই জানা যাবে।
যাহোক আপনার বাকি লেখা নিয়ে আর কোন মন্তব্য করতে চাইনা, শুধু এটুকুই বলব যে অসাধারণ আর আপনার একটি লেখা সবসময়ে আরেকটি কে ছাড়িয়ে যাবার প্রতিযোগিতা করে 🙂 । অসাধারণ আরেকটি পর্ব উপহার দিবার জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা (Y) (F)
@ভবঘুরে,
আগের লেখায় quote করতে ভুলে গেছিলাম ভাই। এই অংশের উত্তর আগের উত্তরের নিচের অংশটুকু।
@অচেনা,
ইসলামের এটাই সব চেয়ে বড় মিথ্যা। তৌরাত ও ইঞ্জিল বিকৃত হয়ে গেছে না বললে ইসলামের মূল ভিতটাই থাকে না। ইসলামের মূল ভিতটা হলো-
মোহাম্মদ মুসা ও ইসার পরে শেষ নবী
ইসমাইলকে ইব্রাহিম কোরবানী দিয়েছিল
তৌরাত ও ইঞ্জিল কিতাব উক্ত তথ্যের কোনটাই সাপোর্ট করে না। সুতরাং ওগুলো বিকৃত হয়েছে বলা ছাড়া ইসলামের কোন উপায় নেই। অথচ Dead Sea Scroll সহ অনেক দলিল আছে যা প্রমান করে যীশুর জন্মেরও একশত বছর আগে যে তৌরাত কিতাবের অস্তিত্ব ছিল তা বর্তমানে হুবহু একই আছে।
@ভবঘুরে, ভাই আপনার সাথে পুরপুরি একমত আমি যৌক্তিক কারনেই 🙂 ।কিন্তু ইসলামী মিথ্যাচার বিশ্বাস করতে করতে মুসলিমদের মাথা এতটাই বিগড়ে গেছে যে এদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখালেও দেখেনা। আপনি যে দলিলের কথা বললেন, সেটা সুস্থচিন্তা করতে পারে এমন মানুষ গুলো মেনে নিবে, কিন্তু চিন্তাশক্তিরহিত এই মুসলিম জাতি, যারা আসলে কোরআনকে বিশ্বাস করতে হবে বলে রীতিমত প্রোগ্রামড হয়ে আছে, তারা কি মানবে? তাদের তো একই কথা যে কোরানের থেকে বড় দলিল আর নেই। এমনকি কোরানের গাণিতিক ভুল গুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে ধরিয়ে দিলেও প্রায় সবাই বলে যে এর নিশ্চয়ই অন্য ব্যখ্যা আছে যা তুমি আমি বুঝি না।পরে যদি আয়াত দিয়ে বলা হয় যে কোরানেই তো আছে যে, কোরান কে আল্লাহ সহজ করে দিয়েছেন বোঝার জন্য, উত্তর আসে যে ওটা নাকি রূপক আয়াত হতে পারে। প্রশ্নটা সম্প্রতি একজনকে করে এই উত্তর পেলাম। আর তার পরেও কিছু বলতে গেলে সেই পুরনো কাসুন্দি, “তুমি কি এতই জ্ঞানী যে কোরানের ভুল ধরো? কত অমুসলিম মনিষী যা পারল না তুমিআর তোমার পীরেরা( আপনারা মানে আপনাদের লেখা দেখাতে গিয়েই এসব শুনিতো) সেটা কিভাবে করো?তোমরা কি তাদের থেকেও বড় মনিষী? “।
বোঝেন ঠ্যালা কাকে বলে। 😀 ।
যাহোক ভাই কোরানের এইযে রূপক আয়াত বা মুতাশা বিহা না কি যেন, আর আসল আয়াত বা মুহকামাত কোনগুলি এই নিয়ে আপনার কাছে একটা লেখার অনুরোধ রইল। কারণ আজকাল মুসলিমরা যে সব উদ্ভট যুক্তি দিচ্ছে তাতে এগুলো ভাল করে জানা না থাকলে ওদের উত্তর দিতে গিয়ে আমার মনে হয় যে আমি সহ আরও অনেকেই এমন সমস্যাতে পড়তে পারে!
@অচেনা,
এটা নিয়ে কোন না কোন পর্বে লেখা হবে তবে কোরানে এত বেশী অসামঞ্জস্য কোনটা রেখে কোনটা লিখব সেটা নিয়েই মাঝে মাঝে সমস্যায় পড়তে হয়।
তবে আপনি যে বিপদে পড়েছেন তার উত্তর হলো-
তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না। কোরান, ৩:৭
উক্ত আয়াতে বলা হচ্ছে কোরানের আয়াত দুরকম – সুস্পষ্ট ও রূপক। সুস্পষ্টগুলো সহজ সরল ভাষায় লেখা যা বুঝতে কোন সমস্যা হয় না, পক্ষান্তরে রূপক আয়াত গুলোর অর্থ একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।
তাহলে প্রশ্ন-
(১)কোন গুলো রূপক আর কোন গুলো স্পষ্ট তা তো কোরানে উল্লেখ নেই, তাহলে আমরা এ শ্রেনীবিভাজন করব কিভাবে ?
(২) এ প্রেক্ষিতে কেউ যদি স্পষ্ট আয়াতকে রূপক ও রূপক আয়াতকে স্পষ্ট মনে করে অর্থ করতে যায় তাহলে তো সে আল্লাহকেই চ্যলেঞ্জ করল কারন রূপক আয়াতকে স্পষ্ট আয়াত ধরে অর্থ করার চেষ্টা করছে অথচ রূপক আয়াতের অর্থ আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না।
(৩) আল্লাহ যেহেতু কোন আয়াত রূপক আর কোন গুলো স্পষ্ট তা নির্ধারন করে দেয় নি , সেক্ষেত্রে মানুষ তো অহরহই রূপক আয়াতকে স্পষ্ট ও স্পষ্ট আয়াতগুলোকে রূপক বলে ভুল করতে পারে, আর করতে পারে ভুল অর্থ আর যার শাস্তি দোজখের আগুন।
(৪) রূপক আয়াতকে ভুলভাবে ব্যখ্যা করে কিছু মানুষ ফিতনা সৃষ্টি করে, অথচ এর অর্থ আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না , তাহলে প্রশ্ন যার অর্থ আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না , সেগুলো খামোখা কোরানে রাখতে গেল কি কারনে ? এগুলো কোরানের মধ্যে রেখে ফিতনাকারীদেরকেই কি আসলে সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে না ?
(৫) সর্বোপরি, আল্লাহর বিধি মোতাবেক সব চেয়ে জ্ঞানী ব্যাক্তি হলো সেই যে উক্ত আয়াতের বিষয়কে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে। অর্থাৎ যে যত বেশী অন্ধ সেই তত বেশী জ্ঞানী।
আশা করি এর পর থেকে আপনার উত্তর দিতে আর তেমন সমস্যা হবে না।
@ভবঘুরে, অসাধারণ বলেছেন ভাই অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।১ম যুক্তিটি অসাধারণ। ২য় ও ৩য় টী এক কথায় মারণাস্ত্র।
তবে মনে হয় ৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তরে তারা বলতে পারে যে এইগুলো মানুষকে করা আল্লাহর পরীক্ষা। 🙂 .আসলে যদি কেউ কোন যুক্তি মানতে না চায় তবে তাকে দিয়ে মানানো সম্ভব না।
অবশ্য তাতেও সমস্যা নেই কারন , আপনার এই ব্যখ্যা সহকারে করা মন্তব্য আমাকে অনেক সাহায্য করবে বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।এতে করে আসলে তারা আপনার ৫ নং কথাটিকেই নিজেরাই নিজেদের অজান্তেই প্রমান করার মাধ্যমে নিজেদের জাত চিনিয়ে দেবে। 🙂
(৫) সর্বোপরি, আল্লাহর বিধি মোতাবেক সব চেয়ে জ্ঞানী ব্যাক্তি হলো সেই যে উক্ত আয়াতের বিষয়কে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে। অর্থাৎ যে যত বেশী অন্ধ সেই তত বেশী জ্ঞানী।
@অচেনা,
পূর্বেও বলেছি এবং আবরও বলছি সাধারণ শব্দ অর্থে কোরান বুঝা সম্ভব নয়।এটা বুঝতে হলে একজন চিন্ লোকের কাছে চিনে নিতে হবে।
মহাম্মদ যেখানে দাঁড়িয়ে বলেছেন যে পূর্বের কিতাব বিলুপ্ত হয়ে গেছে (বিকৃত নয়),মূলতঃই সেখানে পূর্বের কিতাব বিলুপ্ত হয়ে গেছে।মনে করেন=-একটু পূর্বে চাউল ছিলো, এখন চাউল বিলুপ্ত হয়ে গেছে।তাহলে অবশ্যয়ই চাউল মুড়ি অথবা ভাত হয়ে গেছে।ঠিক এই রকম ।যখন মহাম্মদ বলেছে পূর্বের কিতাব বিলুপ্ত হয়ে গেছে,তখন অবশ্যয়ই ফোরকান সৃষ্টি হয়ে গেছে।এখন এ বিষয়ে জানতে হলে আপনাকে কিতাব কি তা জানতে হব।
না জানলে জানার চেষ্টা করুন।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
খুব সুন্দর ব্যাখ্যা হয়েছে, ভাইজান।
আর আরবী ভাষার চরম গুরুত্ব দেওয়ার কারনে আজ মুসলিমেরা জানতে পারেনা তারা নামাজে দাড়িয়ে কী বলতেছে,খুৎবায় কী বলতেছে। মুনাজাতে কী বলতেছে।
তাই বুঝা যায় নবী ধর্মটি শুধু তৎকালীন আরব দেশের জন্যই আকাংখা করেছিলেন।
কারন নামাজে কী বলতেছে সেটা শুধু আরব বাসীদেরই জানার অধিকার, আর অন্য ভাসাবাসীরা জানতে পারবেনা-এটা তো একটা অবিচার।
তিনি এটা কখনই আশা করেন নাই যে ১৪০০ পরেও বাংলা দেশীরা এটা লয়ে মত্ত হয়ে থাকুক।
আর তাহলে তিনি অবশ্যই বাংলায় নামাজ ও খুৎবার ব্যবস্থা করে যেতেন।
ধন্যবাদ
@ভবঘুরে,
আপনার এই সিরিজটা চমৎকার হয়েছে। সিরিজের বাকি লেখাগুলোর অপেক্ষায় রইলাম।
এই হল মানবতা. ব্যভিচার করলে এখন পাথর ছুড়ে মারা হয় না প্রকাশ্যে গুলি করা হয়. যার সাথে করল তার কোন দোষ নেই. কারন সে পুরুষ. তাই সে ধোয়া তুলসিপাতা..
নিউজটির ১ম কমেন্ট টি পরে ও খুব হাসি পেল..
link:
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-07-09/news/272052
ভাইজান,
এ ধরনের দলিল আপনি কী করে খুজে বের করে আনলেন? এতো আপনি কাটা দিয়ে কাটা তুলে ফেলেছেণ। এ দলিল তো কারো খন্ডন করার ও তো উপায় নাই, যেখানে স্বয়ং আল্লাহ নিজেই সব গোপনীয়তা ফাস করে সোজা সাপ্টা, কোন জটিলতা ছাড়াই, বিশ্ববাসীকে পরিস্কার ভাষায় জানিয়ে দিলেন যে,না,এই কোরান আল্লাহর বানী নয়, এটা রসূলে করীমের বানী।
এর পরেও কী আর এই কোরান আল্লাহর বানী বলে দাবী করার আর কোন পথ আছে?
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
হে: হে: হে: আমি খুজে বার করি নাই। ১৫ পর্বে ই তো একজন ইসলামিস্ট বের করে দিল। আমার অবশ্য মনে হয়েছে সে একজন ভূয়া ইসলামিস্ট। না হলে এই সব আয়াত বার করে ? আমি যায়গা বুঝে তার টাই এ নিবন্ধে কপি পেস্ট করে দিয়েছে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এ দলিল হাজি সাহেব দিয়ে গেছেন।
@সিরাজুল ইসলাম, আপনি হাজি সাহেব নামক সেই আজব চিড়িয়ার কথা বলছেন যিনি এখানে কিছু মন্তব্য করেছিলেন? আপনি উনাকে চেনেন নাকি? একটা কথা বলি কিছু মনে করবেন না, আপনি নিজেই সেই হাজি সাহেব নন তো?
আপনার এই মন্তব্য পড়ে আমার এমন ধারণা হয়েছে।
@অচেনা,
বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে ধর্মঅগুরুজী।।
জ্বি!আমিই সেই হাজি সাহেব।আমার ব্লগে আমার দুটি একাউন্ট আছে ,একটি হাজি সাহেব,অপরটি সিরাজুল ইসলাম।প্রথম আমি হাজি একাউন্ট দিয়ে এখানে প্রবেশ করি।এবং কিছু মন্তব্য ও করি।কিন্তু কিছু দিন আগে আমি আমার কম্পিউটারে নতুন করে উইন্ডোজ সেভেন ইনস্টল করি।তখন মুক্ত মনায় দেখি আমি আর আগের মত প্রবেশ করতে পারছি না।আমাকে আবার আমার ইউজার নাম ইমেইল ঠিকানা ও কোন ব্লগ থেকে এসেছি নতুন ভাবে চাইলো।এদিকে আমি আমার হাজি সাহেব একাউন্টের এর ইমেইল ঠিকানাটা ভুলে যায়, তাই বাধ্য হয়ে আমি হাজি সাহেব নাম বাদ,সিরাজুল ইসলাম নামের একাউন্ট দিয়ে ঢুঁকলাম।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম, আলহামদুলিল্লাহ ভাইজান।welcome back.আশা করি আল্লাহ পাকের অশেষ করুণায় আপনি আমাদের মত নাফরমান বান্দাদের আবার হিদায়েত শুরু করবেন । আমি। 😉
@সিরাজুল ইসলাম,
ধন্যবাদ হাজী সাহেবের মত একজন মা-রেফত বিশেষজ্ঞ কামেল ব্যক্তিকে। তার এখানে আগমন আকাংক্ষিত। তার বিকল্প ব্যক্তি আর দেখা যাচ্ছেনা।
তো তাতে কি? নারী নির্যাতন বা নারী খুন করবার এই আয়াত দেখুনঃ
وَاللاَّتِي يَأْتِينَ الْفَاحِشَةَ مِن نِّسَآئِكُمْ فَاسْتَشْهِدُواْ عَلَيْهِنَّ أَرْبَعةً مِّنكُمْ فَإِن شَهِدُواْ فَأَمْسِكُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ حَتَّىَ يَتَوَفَّاهُنَّ الْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ اللّهُ لَهُنَّ سَبِيلاً
আর তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচারিণী তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য থেকে চার জন পুরুষকে সাক্ষী হিসেবে তলব কর। অতঃপর যদি তারা সাক্ষ্য প্রদান করে তবে সংশ্লিষ্টদেরকে গৃহে আবদ্ধ রাখ, যে পর্যন্ত মৃত্যু তাদেরকে তুলে না নেয় অথবা আল্লাহ তাদের জন্য অন্য কোন পথ নির্দেশ না করেন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
অনুবাদ আর আরবীটা একটু চেক করে দেখেন তো ভাই, ঘাপলা খুঁজে পান কি না
ওহ; এইটা বোনাস সূরা রেফারেন্সঃ
সূরা মোখতাসার ২
(অংশবিশেষ)
নারীকে যদি মারতে চাও, চাইর পুরুষে সাক্ষ্য দাও;
আন্ নিসা সূরা চাও, পনেরো আয়াত দেখায়া দাও।
চারটা পুরুষ যদিনা পাও, একাই চারবার সাক্ষী দাও;
আননূর আয়াত ছয় দেখাও, ওই নারীতে দোষ লাগাও।
@কাজী রহমান,
হ্যাঁ,কাজী সাহেব,
অনুবাদ টি এখানে ঠিকই আছে।
আপনার কবিতাটি তো বেশ ভালই লাগল।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
সম্মানিত পাঠক, লক্ষ করুন।
জনাব @আঃ হাকিম চাকলাদার, সাহেব কোরান থেকে সুন্দর ভাবে উপরিউক্ত আয়াতটি উপস্থাপনের মাধ্যমে,রাসুলের দেয়া আইনটি খুব খারাপ বা নারীর প্রতি অবিচার হয়ে গেছে বুঝাতে চেয়েছেন।তাই তিনি সু কৌশলে সূরা নূরের ৮ ও ৯ নম্বর আয়াতটি গোপন করে বাহবা কুড়ানোর চেষ্টা করেছেন।এটা একটা অনেক বড় প্রতারণা।
এবার আসুন আমরা দেখে নিই। সুরা নূরের ৮ ও ৯ নম্বর আয়াতে কি লেখা আছে।
এই আয়াতে বলেছে-
আর সেই স্ত্রী-লোকটি জ্বীনার অপবাদ থেকে রেহাই পেতে পরে।যদি সে চারবার শপথ করে বলে নিশ্চয় ঐ পুরুষটি মিথ্যা বলিতেছে।এবং পঞ্চমবারে বলে আমার উপর আল্লাহর গযব হউক যদি সে সত্য বাদী হয়।
তাহলে দেখা গেলো, পুরুষ সাক্ষী দিলেই নারী শাস্তি পাবে না।তাহলে আপনারা যারা @আঃ হাকিম চাকলাদার, সাহেবের কথায় এত এত লাফা লাফি করছেলেন।অবশ্যয় এটা তার মিথ্যা তথ্যের কারণে।আর এভাবেই এরা কোরান নিয়ে মিথ্যাচার করে চলেছ।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম,
আসলেই এটা একটা প্রতারণা তবে সেটা আ: হাকিম চাকলাদার নন, আপনি নিজেই করছেন। কিভাবে ?
সূরা নুরের ৪,৫,৬,৭, ৮ ও ৯ নং আয়াত কি বলছে দেখুন:
যারা সতী-সাধ্বী নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে অতঃপর স্বপক্ষে চার জন পুরুষ সাক্ষী উপস্থিত করে না, তাদেরকে আশিটি বেত্রাঘাত করবে এবং কখনও তাদের সাক্ষ্য কবুল করবে না। এরাই না’ফারমান। ৪
কিন্তু যারা এরপর তওবা করে এবং সংশোধিত হয়, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম মেহেরবান। ৫
এবং যারা তাদের স্ত্রীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে এবং তারা নিজেরা ছাড়া তাদের কোন সাক্ষী নেই, এরূপ ব্যক্তির সাক্ষ্য এভাবে হবে যে, সে আল্লাহর কসম খেয়ে চারবার সাক্ষ্য দেবে যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী। ৬
এবং পঞ্চমবার বলবে যে, যদি সে মিথ্যাবাদী হয় তবে তার উপর আল্লাহর লানত। ৭
এবং স্ত্রীর শাস্তি রহিত হয়ে যাবে যদি সে আল্লাহর কসম খেয়ে চার বার সাক্ষ্য দেয় যে, তার স্বামী অবশ্যই মিথ্যাবাদী; ৮
এবং পঞ্চমবার বলে যে, যদি তার স্বামী সত্যবাদী হয় তবে তার ওপর আল্লাহর গযব নেমে আসবে। ৯
চারবার বলে পঞ্চম বারে আল্লাহর গজব পড়ার যে বিধান সেটা কার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ? এটা যদি শুধুমাত্র স্বামী তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যভিচারের অভিযোগ আনে ও আর কোন সাক্ষী হাজির করতে না পারে। উক্ত স্বামী যদি কায়দা ( ভয় বা অর্থের লোভ ) করে তার কতিপয় বন্ধু বান্ধবকে সাক্ষী হিসাবে হাজির করতে পারে সেক্ষেত্রে উক্ত বিধান কার্যকরী হবে না ভাইজান। আর সেক্ষেত্রে বেচারা স্ত্রী লোকটির বেত্রাঘাত, তালাক অথবা মৃত্যু অনিবার্য। ভাইজান কি আমাদেরকে ১৪০০ বছর আগেকার অসভ্য বর্বর আরবদের মত মনে করেন নাকি ? এখানে বক্তব্য দেয়ার আগে কম পক্ষে ১০০ বার বিষয়টি নিয়ে ভাবুন তার পর বক্তব্য প্রদান করুন , নাহলে নিজের ফাদে নিজেই ফেসে যাওয়ার সম্ভাবনা।
@ভবঘুরে,
এই “বেত মারবে” শব্দ টি অতিরিক্ত সংযোজন করার জন্য আয়াতের মূল বিষয়টি দুরে সরে গেছে।তাই আপনি দেখান “বেত মারবে” শব্দটি আয়াতের কোন আরবি শব্দের অর্থ।
আর আমি এই পোষ্টে ব্যাভিচার নিয়ে ব্যাখ্যা করেছি।দয়াকরে পড়ে নিয়েন।সমাধান পেয়ে যাবেন।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@কাজী রহমান,
ভাইয়া খুব আজব তাইনা? এখন যদি ইসলামী নিয়ম পালন করে ৪ পুরুষ মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় তবে কি করা হবে?এতেও কি নারী ব্যভিচারিণী হিসাবে চিহ্নিত হবে? মানে যে কেউ তো অপবাদ দিতে পারে আর সেখানেতো কেউ বুঝতে পারবে না কারন মুহাম্মদের অনুসারীরাতো আর কারো মনের মধ্যে ঢুকতে পারবে না, আর মুহাম্মদও সেটা পারত না।আর মিথ্যা বললে আল্লাহ গজব দিবেন , এইসব উল্টাপাল্টা বলা ছাড়া ব্যাপারটা নিয়ে ইসলামী আলেমরা কি বলেন অথবা কোরান হাদিস কি বলে আমার জানা নেই। আপনি অথবা অন্য কেউ জানলে আমাকে ব্যাপারটা দয়া করে জানাবেন, ধন্যবাদ।
মানে আমি বুঝাতে চেয়েছি যে আলেমরা সহজেই এইসব উলটা পাল্টা যুক্তি হয়ত দিবে, কিন্তু বর্তমানে নাস্তিকদের সাথে তর্ক করতে গিয়ে নিশ্চয়ই এসব ছেলেভুলানো কথা বলে কাজ হবে না এটা তারা বুঝে, কাজেই এর বাইরে তারা কি বলে প্লিজ জানাবেন ভাইয়া আপনি বা অন্য কেউ জানলে।
@অচেনা,
কোরানে তো তাই দেখছি। চারজন পুরুষ সাক্ষী দিলেই সেই নারী শেষ। এই আয়াতের অন্য কোন মানে আছে কি?
@কাজী রহমান,
খুবি সাঙ্ঘাতিক কথা। এত গভির ভাবে কোনদিন ভেবে দেখিনি।আসলে এত গোলমেলে জিনিস এই কোরানে আছে যা খুজতে গেলে তো মাথা নষ্ট হয়ে যাবে ভাইয়া। অন্য মানে তো দেখছিনা আয়াতের। তার মানে একটা নারীকে প্রথমে provoke করো, মেয়েটা সঙ্গমে রাজি না হলে রেপ করে( অথবা না করে) , ব্যভিচারের অপবাদ দাও তার পর ৪ জন সাক্ষী দাও তার পর রজম। আর মেয়েটা ব্যভিচারে রাজি হলে তো মাশাল্লাহ কথাই নেই। মানে পুরুশ চাইলেই মেয়েকে মেরে ফেলতে পারে, কি সুন্দর নিয়ম! 🙁
আমি ত দেখতে পাচ্ছি যে হিটলার সত্যি নবীজির তুলনায় ফেরেশতাই ছিলেন।কারন এই লোক ইহুদী নিধন করলেও মেয়েদের এত সুন্দর করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারেনি, চিন্তাও করেনি।আর মুহাম্মদও তো ইহুদী নিধনকারী।
@অচেনা,
এ আয়াতের সার্মর্ম হচ্ছে।প্রতিটি প্রাণীর দেহেই দু -প্রকারের মহা স্বত্বা আছে।তাহা নারী দেহে ৪০ টি নারী স্বত্বা এবং ৩৩ টি পুরুষ স্বত্বা,আর পুরুষ দেহে আছে ৪০ টি পুরুষ স্বত্বা এবং ৩৩ টি নারী স্বত্বা।আর প্রত্যেক প্রাণীর নারী স্বত্বার অশ্লিলতার জন্যই সৃষ্টিতে অশ্লিলতা আসে।তাই ,যদি কেই অশ্লিল কর্ম করে,তাহলে চারি পুরুষ সাক্ষী অর্থাৎ চার কেতাব।এর ও বস্তু আছে ,সময় হলে অবশ্যয় প্রকাশ করবো।পেলে ঘরে আবদ্ধ করে রাখো যে পর্যন্ত না অশ্লিলতার মৃত্যু ঘটে।ব্যাক্তির নয়।রাসুলের বাণীর মর্মার্থ বুঝতে হলে আগে রাসুলের সাংকেতিক ভাষা বুঝতে হবে।নতুবা কিছুই বুঝা সম্ভব নয়।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম, এই তথ্য আপনি পেলেন কোথায় জানলে সুবিধে হত।
@অচেনা,
নিচে আমার দেওয়া মূল মন্তব্য পড়ুন।তাহলেই বুঝতে পারবেন।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
@সিরাজুল ইসলাম, ধুর যতসব মনগড়া কথাবার্তা . নবীজি যদি সাঙ্কেতিক ভাষায় কথা বলে তাহলে তো তুই ধরলি কিভাবে?
@দুর্বাল,
একটু নাক গলাব কিছু মনে করবেন না। আপনি কি উনার( সিরাজুল ইসলাম সাহেবের) খুব পরিচিত মানুষ বা বন্ধু? যদি সেটা হয়ে থাকেন তবে নাক গলানোর জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
আর যদি পরিচিত কেউ না হন তবে আপনার এই সম্বোধনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমি। কারণ অপরিচিত কাউকে তুই করে বলাটা অসংস্কৃত আচরন, যা সভ্য সমাজে কোনভাবেই কাম্য নয়।
নিশ্চয়ই এই কোরআন একজন সম্মানিত রসূলের বানী। সূরা হাক্কা, ৬৯:৪০
إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ ৬৯:৪০
নিশ্চয় কোরআন সম্মানিত রসূলের বাণী। সূরা তাকবির, ৮১:১৯
إِنَّهُ لَقَوْلُ رَسُولٍ كَرِيمٍ ৮১:১৯
ভাইয়া এই সুরা ২ টা (www.ourholyquran.com )দেখেন।
@নেটওয়ার্ক,
উক্ত net work “www.ourholyquran.com
নিম্ন রুপ অর্থ করা হয়েছে।
উল্লিখিত অনুবাদে “আনীত” শব্দটি অতিরিক্ত যোগ করা হয়েছে। যাদের আরবী ভাষায় কিছুটা দখল আছে তারা খুব সহজেই ধরতে পারবেন,ওখানে “আনীত” শব্দটি কোন ভাবেই অনুবাদে আনবার সুযোগ নাই।
অতএব অনুবাদক গন এত বড় সহজ সোজা সাপ্টা অনুবাদকে ঘুরিয়ে এখানে একটা ভূল অনুবাদ অজ্ঞ পাঠকদের কেন উপহার দিলেন তা বুঝা বড় কঠিন।
আর তা ছাড়া আল্লাহর বানীর ভূল অনুবাদ করাও তো মহাপাপ আমি মনে করি।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এ জন্যেই তো আরবী টাও তুলে দিয়েছি যাতে আরবী জানা লোকরা বুঝতে পারে। কারন আমি আরবীটাতে দেখলাম আনীত শব্দটা অতিরিক্ত যোগ করা। এভাবেই বহু আয়াত কৃত্রিম ভাবে পরিবর্তন করেছে অনুবাদকরা যাতে করে কোরানকে অপেক্ষাকৃত মানবিক ও যৌক্তিক ভাবে উপস্থাপন করা যায়। কিন্তু কোরানে এত বেশী অমানবিক ও অযৌক্তিক কথা বার্তা আছে যে এবাবে আয়াতের অনুবাদ পরিবর্তন করেও সেসব লুকানো সম্ভব নয়।
@ভবঘুরে, আপনি তো ফরেনসিক এক্সপার্ট দেখছি! :))
@ভবঘুরে,
সুতরাং
http://www.ourholyquran.com আরবী থেকে বাংলা অনুবাদ তাহলে আর বিশ্বাসযোগ্য নয়।
রেফারেন্স বা অনুবাদ হিসেবে ওখানে দেখা যে কোন কিছুই ভিন্ন যায়গায় বা ভাষায় তুলনা করে নিতে হবে।
@কাজী রহমান,
ঠিক তাই। কয়েকটা অনুবাদ চেক করতে হবে। একই সাথে কিছু ইংরেজী অনুবাদও । বর্তমানে কোরানকে মানবিক ও যুক্তি যুক্ত করতে তার অনুবাদ গুলোতে ব্যপক পরিবর্তন করা হচ্ছে। যারা এসব করছে তারা বোঝেও না যে আল্লাহর বানীকে এভাবে পরিবর্তন করে তারা নিজেদের জন্য দোজখের রাস্তাই বরং পরিস্কার করছে।
@ভবঘুরে,
ভাই আমারতো মনে হয় যে এই অনুবাদকরাও মুহাম্মদের ভণ্ডামি ধরে ফেলেছে কিন্তু জাত খোয়াবার ভয়ে কোরানের মানবিকতা প্রমান করতে চাইছে যেমন পুর্বে কোরান সংকলনকারীরা করেছিলেন । 🙂
@ভবঘুরে,
না! সে জন্য কোরানের অনুবাদ বিকৃত করেনি। এ জন্যই বিকৃত করেছে যে,মূলতঃকোরান একটি বৈজ্ঞানীকের আবিস্কৃত সুত্র সমষ্টি ।আর তা রাসুল আলিকেই জানিয়েছিলেন।কিন্তু যারা কোরানের অনুবাদ করছেন, তারা কোরানের মূল বিষয় অবগত নয়।তাই তারা নিজেদের বুঝ মত কোরানকে উপস্থাপন করতেই ,সঠিক অর্থ উপস্থাপন করতে পারছে না।কেন না,কোরানের সঠিক অনুবাদ করতে গেলে তারা যা বুঝাতে চাই, তাহা আর থাকছে না ,এবং তারাও কোরানের মূল বিষয় বুঝিতেছে না। তাই তারা কোরানের বিকৃত অনুবাদ করে,তাদের মত করে উপস্থাপনের চেষ্টা করছে।এজন্যই কোরান সব থেকে বেশি বিতর্কিত হচ্ছে।
সত্য সহায়।গুরুজী।।
দাদা অসাধারণ…শেয়ার করলাম । (Y) (F) (F)
মুক্ত মনা এডমিন,
ভবঘুরের প্রবন্ধ গুলী সামাজিক পরিবর্তনে বিশেষ ভূমিকা রাখতেছে। ভবঘুরের কোরান-হাদিছের সঠিক রুপ তুলে ধরার ঠেলায় এখন আমরা যথেষ্ট মুমিন বান্দা দেরকে ডাক-হাক ছেড়ে ঘোষনা করতে দেখতেছি “রাছুলের হাদিছ একেবারেই অবিশ্বাষ যোগ্য”। তারা এখন রাছুলের হাদিছ পরিত্যাগ করে শুধু মাত্র কোরানের মধ্যে আশ্রয় নিয়েছেন।
একথা এর আগে কোন দিন ও শুনতে পাই নাই।
ভবঘুরের এভাবে কোরান-হাদিছের সঠিক রুপ তুলে ধরার ঠেলায় অচিরেই আমরা তাদের মুখেই আবার হয়তো শুনতে পাব “যেহেতু কোরানে অজস্র অবৈজ্ঞানিক ও অসংলগ্ন কথা বার্তা দেখতে পাচ্ছি (ভবঘুরে যা অকাট্য যুক্তি দিয়ে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন) “তাতে আর কোরান কেও আল্লাহর বানী বলে স্বীকার করা যাচ্ছেনা’।
অতএব এহেন সামাজিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে ভবঘুরের প্রবন্ধকে মুক্তমনার প্রথম পৃষ্ঠে কিছু বেশী সময় রেখে পাঠকদের একটু সুবিধা দান করার জন্য মুক্তমনার এডমিনের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছি।
আর এর একটা এভাবে নিখুত ভাবে তুলে ধরাতো একটু খানি কথা নয়,তা সবাই জানে।
ধন্যবাদ।
এইদুটো ত্যানাপ্যাঁচানিকে অ্যাড্রেস করে কিছু লিখুন প্লিজ। এই শুনতে শুনতে মাথা ধরে গেল। যখনই বলি যে কোরানে বিধর্মীদের যেখানেই পাবে সেখানেই কাটো (মসজিদ বাদ্দিয়ে), তখনই আগেপিছের আয়াত এনে লাফঝাঁপ শুরু করে। এইগুলোকে ভেঙে কিছু লিখুন।
@কৌস্তুভ,
ওটাই লিখতে চেয়েছিলাম এ নিবন্ধে , হঠাৎ এর চেয়ে জরুরী বিষয় মনে হওয়াতে লেখার মোড় ঘুরে গেল। তবে নিরাশ হওয়ার কারন নেই। আগামী পর্বে সূরা আত তাওবা ও সূরা আহযাবের বিস্তারিত তাফসির করার আশা রাখি যদি আল্লাহ দয়া করে বাঁচিয়ে রাখে।