আকাশ মালিক
আজ বাংলা সাহিত্যাকাশের উজ্জল নক্ষত্র; বৈষম্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধের আপোষহীন যোদ্ধা, দ্রোহ ও প্রেমের কবি রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহর ৫৫তম জন্মবার্ষিকী। রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর জন্ম তাঁর পিতার কর্মস্থল বরিশাল জেলায়। তাঁর মূল বাড়ি বাগেরহাট জেলার মংলা উপজেলার মিঠেখালি গ্রামে। রুদ্র মাত্র ৩৪ বছরের স্বল্পায়ু জীবনে সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য, শতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন। ঢাকা ওয়েস্ট এন্ড হাইস্কুল থেকে ১৯৭৩ সালে এসএসসি এবং ১৯৭৫ সালে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্সসহ এমএ পাস করেন। ১৯৮১ সালে বহুল আলোচিত নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে বিয়ে করেন। ১৯৮৬ সালে তাদের দাম্পত্য জীবনের অবসান ঘটে।
তার ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক জীবনের সাথে আমি বিদ্রোহী নজরুলের এক আশ্চর্য মিল খুঁজে পাই। রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহকে জানতে গিয়ে যে দুটো চিঠি পড়েছি, আমার মনে হয় তাতেই ফুটে উঠেছে ব্যক্তি রুদ্রের পরিপূর্ণ পরিচয়। বিয়ের পর বাবার কাছে লেখা রুদ্রের চিঠি-
আব্বা,
পথে কোনো অসুবিধা হয়নি। নাসরিনকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে গত পরশু ঢাকায় ফিরেছি। আপনাদের মতামত এবং কোনোরকম আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া আমি বিয়ে করে বৌ বাড়ি নিয়ে যাওয়াতে আপনারা কষ্ট পেয়েছেন। কিন্তু আমি তো আমার জীবন এভাবেই ভেবেছি। আপনার সাথে আমার যে ভুল বোঝাবুঝিগুলো তা কখনই চ্যালেঞ্জ বা পিতা-পুত্রের দ্বন্দ্ব নয়, স্পষ্টতই তা দুটো বিশ্বাসের দ্বন্দ্ব। ব্যক্তি আপনাকে আমি কখনোই ভুল বুঝিনি, আমি জানি না আমাকে আপনারা কিভাবে বোঝেন। এতো চরম সত্য যে, একটি জেনারেশনের সাথে পরবর্তী জেনারেশনের অমিল এবং দ্বন্দ্ব থাকবেই। যেমন আপনার সাথে আপনার আব্বার অমিল ছিলো, আপনার সাথে আমার এবং পরবর্তীতে আমার সাথে আমার সন্তানদের। এই দ্বন্দ্ব ও সংঘাত কোনোভাবেই রোধ করা সম্ভব নয়। আমরা শুধু এই সংঘাতকে যুক্তিসঙ্গত করতে পারি; পারি কিছুটা মসৃন করতে। সংঘাত রোধ করতে পারিনা। পারলে ভালো হতো কিনা জানিনা। তবে মানুষের জীবনের বিকাশ থেমে যেতো পৃথিবীতে।আমার মনে পড়ে না। এই ছাব্বিশ বছরে একদিনও পিতা হিসাবে আপনার সন্তানদের আদর করে কাছে টেনে নেননি। আশেপাশে অন্য বাবাদের তাদের সন্তানদের জন্য আদর দেখে নিজেকে ভাগ্যহীন মনে হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে কখনো কষ্ট প্রকাশ করিনি। ছেলেবেলায় আমার খেলতে ভালো লাগতো। খেললে আমি ভালো খেলোয়াড় হতাম। আপনি খেলতে দিতেন না। ভাবতাম, না খেললেই বোধ হয় ভালো। ভালো মানুষেরা বোধ হয় খেলে না। আবার প্রশ্ন জাগতো, তাহলে আমার খেলতে ভালো লাগে কেনো? আমি কি তবে খারাপ মানুষ? আজ বুঝি, খেলা না খেলার মধ্যে মানুষের ভালো-মন্দ নিহিত নয়। কষ্ট লাগে। আমিও স্বপ্ন দেখতাম, আমি ডাক্তার হবো। আপনার চেয়ে বড় ডাক্তার হয়ে আপনাকে ও নিজেকে গৌরব দেবো। সন্তান বড় হলে পিতারই তো সুখ। আমি সেভাবে তৈরীও হচ্ছিলাম। কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধের পর কি যে এক বিরাট পরিবর্তন এলো ! একটি দেশ, একটি নতুন দেশের জন্ম হলো, নতুন চিন্তার সব হতে লাগলো। নতুন স্বপ্ন এলো মানুষের মনে। সবাই অন্যরকম ভাবতে শুরু করলো। আমিও আমার আগের স্বপ্নকে ধরে রাখতে পারিনি। তারচেয়ে বড় এক স্বপ্ন, তারচেয়ে তাজা এক স্বপ্ন, তারচেয়ে বেগবান এক স্বপ্নকে আমি কাছে টেনে নিলাম। আমি সিরিয়াসলি লিখতে শুরু করলাম। আগেও একটু আধটু লিখতাম, এবার পুরোপুরি। আমি আমার আগের সব চিন্তা-ভাবনার প্রভাব ঝেড়ে ফেলতে লাগলাম। চিন্তা থেকে, জীবন থেকে, বিশ্বাস-আদর্শ থেকে, অনেক কিছুর সঙ্গেই সংঘর্ষ হতে লাগলো। অনেক কিছুর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির শুরু হলো। কখনো ক্ষোভে আমি অপ্রত্যাশিত কিছু করে ফেলতে লাগলাম। আপনার সাথে আমার সাথে বিশ্বাসের সাথে মিল এমন মানুষের দেখা পেলাম। তাদের সাথে সংঘাতও হলো। একি ! সবার সাথে সংঘর্ষ হয় কেন? মনে মনে আমি ভীষণ অস্থির হয়ে পড়লাম। তাহলে কি এপথ ভুল পথ? আমি কি ভুল পথে চলেছি? কখনো মনে হয়েছে, আমিই ঠিক, এই প্রকৃত পথ। মানুষ যদি নিজেকে ভালোবাসতে পারে তবে সবচেয়ে সুন্দর হবে। নিজেকে ভালোবাসতে গেলে সে তার পরিবারকে ভালোবাসবে। আর পরিবারকে ভালোবাসা মানেই একটি গ্রামকে ভালোবাসা। একটি গোষ্ঠীর মানুষকে ভালোবাসবে। আর একটি গ্রাম মানেই তো সারা পৃথিবী। পৃথিবীর সব মানুষ – সব মানুষ সুন্দর হয়ে বাঁচবে। পৃথিবীতে কত বড় বড় কাজ করেছে মানুষ। একটা ছো্ট্ট পরিবারকে সুন্দর করা যাবে না? অবশ্যই যাবে। একটু যৌক্তিক হলে, একটু খোলামেলা হলে কত সমস্যা এমনিতেই মিটে যাবে। সম্পর্ক সহজ হলে কাজ সহজ হয়। আমরা চাইলেই তা করতে পারি।
জানিনা এ চিঠিখানায় আপনি ভুল বুঝবেন কিনা। ঈদের আগে আগে বাড়ি আসবো। আম্মাকে বলবেন, যেন বড় মামার কাছ থেকে হাজার চারেক টাকা নিয়ে আমাকে পাঠায়। বাসায় রান্নার কিছুই কেনা হয়নি। বাইরের খাওয়ায় খরচ বেশী এবং অস্বাস্থ্যকর। আম্মার তদারকিতে দেওয়া সম্পত্তির এটুকুই তো রিটার্ন মাত্র। আপনার সেন্টিমেন্টে লাগতে পারে। লাগাটাই স্বাভাবিক। কারণ আপনার শ্বশুড়বাড়ি। আমাদের কিসের সেন্টিমেন্ট? শিমু মংলায় পড়বে, বাবু স্কুলে। আপনারা না চাইলেও এসব করা হবে। দোয়া করবেন।
– শহিদুল্লাহ।
চিঠির প্রতিটি লাইনে, বাক্যে পারিবারিক জীবন ও জগত নিয়ে রুদ্রের চিন্তা-চেতনা, বিশ্বাস-ভাবনার যথেষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। সে ভাবনা বিশ্লেষণের দায় পাঠকের হাতেই ছেড়ে দিলাম। আমাকে সব চেয়ে বেশী ভাবিয়ে তুলেছে রুদ্রকে লেখা তার স্ত্রী তাসলিমার চিঠিটি। ভালবাসা জিনিসটা কী? জৈবিক সম্পর্ক আমরা বুঝি, মনের সম্পর্কটা কী? বিচ্ছেদের যন্ত্রণা, বিরহের ব্যথা আমরা কতটুকু অনুধাবন করতে পারি? তাসলিমা আজও কেন অপর পারের রুদ্রের কণ্ঠ শুনতে পান? জগতটাকি আসলেই কোন ইন্দ্রজালিক মায়ার বাঁধনে বাঁধা? তাসলিমার চিঠি পড়া যাক-
প্রিয় রুদ্র,
প্রযত্নে, আকাশ
তুমি আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখতে বলেছিলে। তুমি কি এখন আকাশ জুড়ে থাকো? তুমি আকাশে উড়ে বেড়াও? তুলোর মতো, পাখির মতো? তুমি এই জগত্সংসার ছেড়ে আকাশে চলে গেছো। তুমি আসলে বেঁচেই গেছো রুদ্র। আচ্ছা, তোমার কি পাখি হয়ে উড়ে ফিরে আসতে ইচ্ছে করে না? তোমার সেই ইন্দিরা রোডের বাড়িতে, আবার সেই নীলক্ষেত, শাহবাগ, পরীবাগ, লালবাগ চষে বেড়াতে? ইচ্ছে তোমার হয় না এ আমি বিশ্বাস করি না, ইচ্ছে ঠিকই হয়, পারো না। অথচ এক সময় যা ইচ্ছে হতো তোমার তাই করতে। ইচ্ছে যদি হতো সারারাত না ঘুমিয়ে গল্প করতে – করতে। ইচ্ছে যদি হতো সারাদিন পথে পথে হাটতে – হাটতে। কে তোমাকে বাধা দিতো? জীবন তোমার হাতের মুঠোয় ছিলো। এই জীবন নিয়ে যেমন ইচ্ছে খেলেছো। আমার ভেবে অবাক লাগে, জীবন এখন তোমার হাতের মুঠোয় নেই। ওরা তোমাকে ট্রাকে উঠিয়ে মিঠেখালি রেখে এলো, তুমি প্রতিবাদ করতে পারোনি।
আচ্ছা, তোমার লালবাগের সেই প্রেমিকাটির খবর কি, দীর্ঘ বছর প্রেম করেছিলে তোমার যে নেলী খালার সাথে? তার উদ্দেশ্যে তোমার দিস্তা দিস্তা প্রেমের কবিতা দেখে আমি কি ভীষণ কেঁদেছিলাম একদিন ! তুমি আর কারো সঙ্গে প্রেম করছো, এ আমার সইতো না। কি অবুঝ বালিকা ছিলাম ! তাই কি? যেন আমাকেই তোমার ভালোবাসতে হবে। যেন আমরা দু’জন জন্মেছি দু’জনের জন্য। যেদিন ট্রাকে করে তোমাকে নিয়ে গেলো বাড়ি থেকে, আমার খুব দম বন্ধ লাগছিলো। ঢাকা শহরটিকে এতো ফাঁকা আর কখনো লাগেনি। বুকের মধ্যে আমার এতো হাহাকারও আর কখনো জমেনি। আমি ঢাকা ছেড়ে সেদিন চলে গিয়েছিলাম ময়মনসিংহে। আমার ঘরে তোমার বাক্সভর্তি চিঠিগুলো হাতে নিয়ে জন্মের কান্না কেঁদেছিলাম। আমাদের বিচ্ছেদ ছিলো চার বছরের। এতো বছর পরও তুমি কী গভীর করে বুকের মধ্যে রয়ে গিয়েছিলে ! সেদিন আমি টের পেয়েছি।
আমার বড়ো হাসি পায় দেখে, এখন তোমার শ’য়ে শ’য়ে বন্ধু বেরোচ্ছে। তারা তখন কোথায় ছিলো? যখন পয়সার অভাবে তুমি একটি সিঙ্গারা খেয়ে দুপুর কাটিয়েছো। আমি না হয় তোমার বন্ধু নই, তোমাকে ছেড়ে চলে এসেছিলাম বলে। এই যে এখন তোমার নামে মেলা হয়, তোমার চেনা এক আমিই বোধ হয় অনুপস্থিত থাকি মেলায়। যারা এখন রুদ্র রুদ্র বলে মাতম করে বুঝিনা তারা তখন কোথায় ছিলো?
শেষদিকে তুমি শিমুল নামের এক মেয়েকে ভালোবাসতে। বিয়ের কথাও হচ্ছিলো। আমাকে শিমুলের সব গল্প একদিন করলে। শুনে … তুমি বোঝোনি আমার খুব কষ্ট হচ্ছিলো। এই ভেবে যে, তুমি কি অনায়াসে প্রেম করছো ! তার গল্প শোনাচ্ছো ! ঠিক এইরকম অনুভব একসময় আমার জন্য ছিলো তোমার ! আজ আরেকজনের জন্য তোমার অস্থিরতা। নির্ঘুম রাত কাটাবার গল্প শুনে আমার কান্না পায় না বলো? তুমি শিমুলকে নিয়ে কি কি কবিতা লিখলে তা দিব্যি বলে গেলে ! আমাকে আবার জিজ্ঞেসও করলে, কেমন হয়েছে। আমি বললাম, খুব ভালো। শিমুল মেয়েটিকে আমি কোনোদিন দেখিনি, তুমি তাকে ভালোবাসো, যখন নিজেই বললে, তখন আমার কষ্টটাকে বুঝতে দেইনি। তোমাকে ছেড়ে চলে গেছি ঠিকই কিন্তু আর কাউকে ভালোবাসতে পারিনি। ভালোবাসা যে যাকে তাকে বিলোবার জিনিস নয়।
আকাশের সঙ্গে কতো কথা হয় রোজ ! কষ্টের কথা, সুখের কথা। একদিন আকাশভরা জোত্স্নায় গা ভেসে যাচ্ছিলো আমাদের। তুমি দু চারটি কষ্টের কথা বলে নিজের লেখা একটি গান শুনিয়েছিলে। “ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি দিও”। মংলায় বসে গানটি লিখেছিলে। মনে মনে তুমি কার চিঠি চেয়েছিলে? আমার? নেলী খালার? শিমুলের? অনেক দিন ইচ্ছে তোমাকে একটা চিঠি লিখি। একটা সময় ছিলো তোমাকে প্রতিদিন চিঠি লিখতাম। তুমিও লিখতে প্রতিদিন। সেবার আরমানিটোলার বাড়িতে বসে দিলে আকাশের ঠিকানা। তুমি পাবে তো এই চিঠি? জীবন এবং জগতের তৃষ্ণা তো মানুষের কখনো মেটে না, তবু মানুষ আর বাঁচে ক’দিন বলো? দিন তো ফুরোয়। আমার কি দিন ফুরোচ্ছে না? তুমি ভালো থেকো। আমি ভালো নেই।ইতি,
সকাল
পুনশ্চঃ আমাকে সকাল বলে ডাকতে তুমি। কতোকাল ঐ ডাক শুনি না। তুমি কি আকাশ থেকে সকাল, আমার সকাল বলে মাঝে মধ্যে ডাকো? নাকি আমি ভুল শুনি?
চলুন, শারমিন মোস্তফার কণ্ঠে চিঠিটা শুনা যাক- তার আগে বিদ্রোহের কবি, ভালবাসার কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর প্রতি জ্ঞাপন করি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।
httpv://www.youtube.com/watch?v=PebfRu7gzho
@আফরোজা,
অ্যাঁ?
নিজের মৃত্যুদিবস ‘স্বরণ’ করার তরিকাটা কী? :))
@শান্ত,
আমি গতকাল ডাক্তার দেখাতে গিয়ে টিভি খবরের সময় দেখেছি জাহানারা ইমামের মৃত্যু বার্ষিকী গেল। শেষ
কথাটা শোনার সময় তারিখটা খেয়াল করিনি। সম্ভবতঃ ২৫ জুন হবে। আমি সম্ভবত বলেছি।
আর আগের পোষ্টটা তাড়াহুড়াতে ভুল টাইপ হয়ে গিয়েছে। আমাদের বলতে আমি মিন করতে চেয়েছিলাম যে, আমাদের মনে নাই তার এই দিনটা। আশা করি বুঝাতে পেরেছি। ওটা ছিল আমার মিস্টেক।
এখানেই লিখছি। ক’দিন আগে জাহানারা ইমাম মৃত্যু দিবস গেল। আমাদের মৃত্যু দিবস গেল। আমাদের কেউ এটা স্বরণ করলেন না। বিষয়টা দুঃখ জনক। আমি গতকাল টেলিভিশনে দেখে বলছি। আমার কথা যদি ভুল হয়ে থাকে, মুক্তমনা কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা করে দিতে অনুরোধ করছি।
শহিদ জাহানারা ইমাম স্বরণে- (F)
লেখার সময় তাড়াহুড়ায় ভুল থাকতে পারে। মার্জনা চেয়ে নিচ্ছি।
ভালোবাসা জিনিসটা আসলেই বড় অদ্ভূত। আমরা ভালোবাসি, আবার একটা সময় ভালোবাসার মানুষের উপর হয়ত বিরক্ত হয়ে আমরা আলাদা হয়ে যাই, কিন্তু ভালোবাসার মানুষটিকে কিছুতেই হয়ত মন থেকে দূর করতে পারি না, তাই সে যখন অন্য কাওকে ভালোবাসে তখন খুব কষ্ট পাই! ভালোবাসা মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি, ভালোবাসার মাধ্যমেই মানুষের চূড়ান্ত মুক্তি আসতে পারে; আবার এই ভালোবাসাকেই অনেক সময় মনে হয় চূড়ান্ত যুক্তিহীনতার বহিঃপ্রকাশ! আসলে আমার মনে হয় ভালোবাসাকেও সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, নাহয় তা হয়ে ওঠে দিগভ্রষ্ট জাহাজের মত উদ্ভ্রান্ত।
লেখাটা খুব ভালো লাগল।
আকাশ ভাই, আজ আপনার লেখাটা দেখে চমকে উঠলাম। আকাশ মালিক আবার মুক্তমনায় ফিরে এসেছে এটা আমার জন্য আসলেই একটা আনন্দের বিষয়। আমার মুক্তমনার সাথে পরিচয় হয় “যে সত্য বলা হয়নি” এর মাধ্যমে। সুতরাং , বুঝতেই পারছেন আমার কাছে আপনার গুরত্ত কতখানি! আপনি ফিরে এসে মুক্তমনার কত বড় উপকার করলেন সেটা নিয়ে হয়ত একটা ছোট খাট ডিবেট হয়ে যেতেই পারে(আগের লেখাটার পরিপ্রেক্ষিতে)। কিন্তু এইটুকু বলতে পারি আমার বেশ উপকার হল (সেটা অবস্তুগত ও হতে পারে!!)। 🙂 । রুদ্র মহম্মদ শহিদুল্লাহর আমারও একজন খুব প্রিয় কবি। তাকে নিয়ে লেখাটাও খুব ভাল লাগল। ভাল থাকবেন। (F) (F)
শেষ চিঠি পড়ে আসলাম। একটা কমেন্টেও রেখে এসেছি। আর অভিজিতের মত আমিও আশা করি এখন থেকে আমরা সবাই বিষেশণ ছাড়া ব্লগিং করব। এবং সেটা
মেনে চলবে এই আশাবাদ রাখি। ।
সত্যিই পুরো মুক্তমনাই আপনার মুখপানে চেয়ে বসেছিল। ঠিক সময়েই প্রত্যাবর্তন সাথে রুদ্রকে নিয়ে। আমি ব্যক্তি রুদ্র সম্পর্কে তেমন কিছু জানতাম না, দুইটা চিঠির মাধ্যমে যেভাবে তাকে তুলে ধরেছেন; সত্যিই অসাধরন লাগলো।
মুক্তমনার সাথে পরিচয় হওয়ার পর থেকে মন্তব্য করি আর না করি মুক্তমনার প্রতিটা লেখাই পড়ার চেষ্টা করি। আর যতক্ষণ আমার নেট ওপেন থাকে মুক্তমনাকে চোখের আড়াল হতে দেই না। যদিও এর মধ্যে অন্যান্য অনেক ব্লগ, পত্রিকা, ফেইসবুকে চক্কর খেয়ে আসি। কিন্তু মুক্তমনার ব্যাপারটা আমার কাছে সত্যিই অন্যরকম। কিন্তু গত কয়েক দিনের ক্যাচালে সত্যিই হতাশ হয়েছিলাম আর আপনার শেষ চিঠি পড়েতো রীতিমত বিস্মিত হয়েছি। তবে আপনার সেদিনের চিঠিতে যেমন হতাশ হয়েছিলাম আবার রুদ্রের এই চিঠির মাধ্যমে হাজার গুন সজিবতা ফিরিয়ে দিলেন। ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ এই লেখাসহ ফিরে আসার জন্য। আমরা যে মুক্তমনার কোন লেখককেই হারাতে চাই না।
আপনার সংগ্রহ বরাবরই সমৃদ্ধ এবং এবারের চিঠি দুটো ও আবৃত্তির সংগ্রহও এর ব্যতিক্রম নয়।
বিয়ে বিচ্ছেদের পরও কিন্তু তসলিমা রুদ্র এর সাথে মিশেছে। তসলিমার নিজেরই এ সত্য ভাষানে কোন দ্বিধা নেই। ভালবাসা কারে কয়!!
আপনার ভালবাসাও মুক্ত-মনার জন্য অক্ষুণ্ণ থাকুক এ প্রত্যাশা রইল।
@গীতা দাস,
প্রশ্নটা তো আমারও দিদি। এই ভালবাসা জিনিসটাকে কোনদিনই বুঝি জানা যাবেনা। কিসের এই বাঁধন? রুদ্রের কাছে তাসলিমার আকুতি- তুমি পাখি হয়ে ফিরে আসতে পারোনা? মায়া জিনিসটা কী? জগতের সব চেয়ে আশ্চর্য বিস্ময় বুঝি মানুষের মন। লেখাটি পড়ে মন্তব্য করার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ।
সকল পাঠকের প্রতি বিনীত অনুরুধ, প্লিজ পোষ্ট বহির্ভুত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। উল্টো বুড়ি আংগুল, গোলাপের বাহার, সবগুলো আকাশের তারা দিলে যতোটুকু খুশি হবো, তার চেয়ে বেশী আনন্দিত হবো আপনাদের লেখা পড়ে। আপনারা লিখুন জগতের বঞ্ছিত লাঞ্ছিত মানুষের অব্যক্ত মনের কথা। লিখুন নতুন প্রজন্মের জন্যে, আগামী দিনের শিশুর জন্যে।
প্রিয় আকাশ মালিক,
আপনার আগের চিঠি টি পড়ে যারপরনাই হতাশ হয়েছিলাম। মুক্তমনাকে চেনার ঠিক পর থেকেই আমি আপনাকে চিনি, আপনার লেখাকে চিনি। আপনার লেখা বিহীন মুক্তমনা আমি কল্পনাও করতে পারিনা। আপনার ফিরে আসায় যে কি পরিমান আনন্দিত হয়েছি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবনা। আপনি একা কষ্ট পেয়ে চলে যাবেন, আর আমরা যে কতজন আপনার চলে যাওয়ায় কষ্ট পাব তা কি একবারও ভেবে দেখবেন না?
ফিরে আশায় উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছি।
সুখি গম্ভীর পরিবার… :)) নরম দুটো চিঠি। অয়েলকাম ব্যাক…
আকাশ দাদা,
অনেক অনেক অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা আমাদের কাছে ফিরে আসার জন্য। খুব ভাল লাগছে আপনাকে আবার পেয়ে। রুদ্রকে সামান্য যতটুকু জেনেছি তা- তসলিমা নাসরিনের লেখা থেকে। তাঁকে নিয়ে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ। এভাবেই লিখতে থাকুন।
আপনাকে অভিনন্দন ফিরে আসার জন্য, (F) (F) রুদ্রর ভাষা “এতো চরম সত্য যে, একটি জেনারেশনের সাথে পরবর্তী জেনারেশনের অমিল এবং দ্বন্দ্ব থাকবেই। যেমন আপনার সাথে আপনার আব্বার অমিল ছিলো, আপনার সাথে আমার এবং পরবর্তীতে আমার সাথে আমার সন্তানদের। এই দ্বন্দ্ব ও সংঘাত কোনোভাবেই রোধ করা সম্ভব নয়” এবং আপনার সাথে আপনার বন্ধুর,তার পরও আমাদের এগিয়ে যেতে হবে জত দিন বেছে থাকব।
@আকাশ মালিক,
আগেও বলেছি, আপনি আমার সবচেয়ে প্রিয় লেখকদের একজন। মুক্তমনা একটি পরিবার। এ পরিবারে আমরা যারা বহুদিন ধরে আছি, তারা জানি আপনার লিখা মুক্তমনাকে কি পরিমাণ সমৃদ্ধ ও পাঠকদের কি পরিমাণ অনুপ্রাণিত করেছে। আপনার আগের লিখাটি পড়ে খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম। আপনার আজকের লিখাটি পেয়ে খুবই আনন্দিত। আপনি মুক্তমনায় না লিখলে আপনার কোনই ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে না। কিন্তু মুক্তমনার পাঠকরা হারাবে অনেক!
মন্তব্যে ব্যক্তিগত আক্রমণ কারোরই কাম্য নয়। যাবতীয় ভুল বুঝাবুঝি গড়ে উঠে এ করান টিকে ঘিরেই। এ ব্যাপারে আমাদের সবারই খুব সজাগ থাকা দরকার।
আপনার আজকের লিখাটি বরাবরের মতই অনবদ্য। (F) (F) (F)
@গোলাপ,
নিজেও গোলাপ দিলেনও গোলাপ, আমি কী দেবো?
রুদ্রের কাছ থেকে ধার করা একটি কবিতা শুনুন –
httpv://www.youtube.com/watch?v=cBiDAZosBgQ&feature=related
আকাশ দা
আপনার লেখা পড়েই প্রথম মুক্তমনাতে পা রেখেছিলাম তাই ব্যক্তি আমার চোখে আপনি সবসময়ই আলাদা। আপনার শেষ চিঠি পড়ে এতই হতাশ হয়েছিলাম যে মন্তব্য করার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছিলাম। সেই আপনি আবার ফিরে এলেন তাও আবার সাথে করে আনলেন এমন একজন কবির জীবনী সারাটা বিশ্ববিদ্যালয় জীবন আমি যার সাধনা করেছি ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে। শেষ যেবার তাসলিমার রুদ্রের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠিটা পড়েছিলাম, চোখের পানি ঠেকাতে পারিনি কোনভাবেই, অবশ্য চেষ্টাও করিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের পেছনের গেটে উদাস ভাবে “ভালো আছি ভালো থেকো” গানটা করতাম প্রায়ই, সতীর্থদের প্রসংসাও কুড়িয়েছি এই গানটা করে।কেন জানি মনে হয় রুদ্র এই গানটান আমার জন্যই লিখেছিলেন এই গানটা একান্তই আমার। আপনি কি জানেন প্রতিদিন কত নতুন মুখ জড় হচ্ছে মুক্তমনাতে শুধু উৎকৃষ্ট মানের যুক্তির খোজে। এমন সময় আপনি চলে গেলে ওদের কি হবে বলেন? যাই হোক ফিরে আসার জন্য ধন্যবাদ। (F)
আকাশ মালিক
লেখা ভালো হয়েছে।
আর একটা কথা
মুক্তমনাদের এত অল্পতে বিমর্ষ হতে নেই।ভালো থাকবেন।
আপনি শুধু যদি প্রবন্ধের মধ্য দিয়ে একটু বিচরন করে কিছু কিছু অসংলগ্নতার
প্রতি ইশারা ইঙ্গিত দেন, তাও আমাদের নিকট প্রতিপক্ষের যুক্তি খন্ডনের জন্য অনেক বড় ধারাল অস্ত হিসাবে ববহৃত হয়। ইতিমধ্যেই কয়েকবার এর অত্যন্ত সফল প্রয়োগ করা হয়েছেও।আর তা ছাড়া আপনার পুরাতন প্রবন্ধ গুলীও প্রতিপক্ষের যুক্তি খন্ডনে যথেষ্ট শক্তি প্রদান করিতেছে।
আপনার একটি সুন্দর গান উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
লেখা ভাল লেগেছে ।
আসলে আমরা মানুষ, মানুষ বলেই ভুল করি, শুধরে নেই,আবার শুরু হয় পথ চলা!
সবাই ভাল থাকুন, সহমর্মী হন।
@লাইজু নাহার,
অঃটঃ আপনাকে অনেকদিন পরে দেখে এতো ভালো লাগল। আপনাকে মাঝে মাঝে খুব মিস করি 🙁
মেইল দিতে তো পারেন। আমি চিন্তিতঃ ছিলাম কেমন আছেন ইত্যাদি। ভালো আছেন তো 🙂
@আফরোজা আলম,
আপা ব্যস্ততার কারনে সবসময় মুক্তমনায় আসা হয়না।
নেদারল্যান্ড ছেড়ে ২৬ বছরের শিকড় ও সংসার উপড়ে নিয়ে আবার দেশে ফিরে এলাম ও দেশটাও আমার দেশ,ছেলে থাকে মাঝে মাঝে বেড়াতে যাব,মিস করি ওদেশেরও সবকিছু ।ছেলেকে ছেড়ে আসতে খুব কষ্ট হয়েছে প্লেনে বসে কেঁদেছি।
আবার নুতন করে শুরু বাংলাদেশে!
আমার মেইল [email protected]
আপনাদের কথা সবসময়ই মনে পরে 🙂 🙂
আকাশ মালিক ভাই, আপনার কাছ থেকে আবারো অসাধারণ কিছু লেখা পাব এই অপেক্ষায় রইলাম।
@অচেনা,
আপনি কি আমাদের কাছে অচেনাই রয়ে যাবেন? এখন পর্যন্ত কোন লেখা নাই কেন? এই পোষ্টের উপর কোন মতামত নাই? দুটো চিঠি থেকে আমরা কী শিক্ষা নিতে পারি, তা কিছু বলবেন না?
রুদ্রের সেই অগ্নি ঝরা কবিতাটা শুনুন-
httpv://www.youtube.com/watch?v=d8UDTOX_Wb4
@আকাশ মালিক,
আসলে ভাইয়া কেন জানি আমার মনে একটা বদ্ধমুল ধারণা আছে যে আমি কোনদিন গুছিয়ে কিছুই লিখতে পারব না! তাই লেখার চেষ্টা করার সাহসটাই করে উঠতে পারি না! আপনাদের লেখা অনেক পড়েছি পাঠক হিসাবে, কিন্তু লেখার ক্ষমতা আমার নেই বলেই আমার বিশ্বাস।
সাহস পাচ্ছিনা ভাইয়া মতামত দিতে। কারণ রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর কাছে লেখা তসলিমা নাসরিনের চিঠি আমাকে খুব আবেগ আপ্লুত করে ফেলেছে। ভাবছি যে ভালবাসা আসলে কি? এতটাই কি তীব্র হতে পারে?খুব নাড়া দিয়ে গেছে চিঠিটা আমাকে।তবে আমার মনে হয় উনার উচিত ছিল সময় থাকতেই ভালবাসাটাকে অনুভব করা। জানিনা আমার ভাবনাটার আদৌ কোন গভীরতা আছে কিনা!
{ভাইয়া,শুনে অবাক হবেন যে তসলিমার কোন বই পড়া হয়নি আমার। তাই উনার লেখায় রুদ্র কতবার এসেছেন সত্যি জানিনা আমি।একটা ছেলে হয়েও যে পরিমান বিধিনিষেধ ছিল আমার প্রতি পুরো ছাত্রজীবন জুড়ে যে কল্পনাও করতে পারবেন না। আর এখন আমার ছোট হোম টাউনের দোকানগুলোতে চোখেও পড়ছেনা না বইগুলো।}
আরেকটা কথাও মনে হয়েছে যে সুসময়ে অনেক বসন্তের কোকিলের আনাগোনা চারদিকে হয়, কিন্তু দুঃসময়ে তাদের কোন টিকি দেখা যায় না। মানে ওই যে উনার একটি সিঙ্গারা খেয়ে সারাদিন পার করার কথাটার জন্য বললাম,অথচ পরে তাঁর চারপাশে অসংখ্য বন্ধুরূপী বসন্তের কোকিলের আনাগোনার কথাটা পড়ার পর; যাদের কাউকে তাঁর সেই কষ্টের দিনে দেখা যায়না।এটা আমাদের জীবনের একটা বাস্তবতা বলেই মনে হয়েছে আমার। কারন আমি নিজেও দেখেছি যে সুসময়ে অনেকেই বন্ধু হয়ে আসে আর সময়টা পার হলে কেউ কাউকে চেনে না।
আর কবিতা টা শুনতে পারিনি ভাইয়া। আমার এখানে EDGE ( 2.5 Gমোবাইল ইন্টারনেট) ছাড়া কিছু সেই আর এটা এতই স্লো যে অনলাইন ভিডিও বা অডিও কিছুই দেখতে বা শুনতে পারি না।আসলে এটার স্পীড ডায়াল আপ এর মত অনেকটা। তবু আবার চেষ্টা করে দেখব।
ভাল থাকবেন ভাইয়া, আর ইসলামের ভুল ত্রুটি গুলো নিয়ে আগে অনেক সুন্দর সুন্দর লেখা লিখতেন, দয়া করে ঐ রকম লেখাগুলি আবার নিয়মিত লিখবেন , এই অনুরোধ রাখছি আপনার কাছে।
@আকাশ মালিক, অসাধারণ লেগেছে ভাইয়া কবিতাটা। শুনতে পারলাম অবশেষে, “বাতাসে লাশের গন্ধ” কবিতাটা। ধন্যবাদ আপনাকে কবিতাটা পোষ্ট করার জন্য।
ঘটনার ঘনঘটায় একটা জিনিস প্রতিষ্ঠিত হলো- জামাতি ও ইসলাম বিদ্বেষী – দুটোই গালি।
জীবন নিয়ে বড় ঝামেলা–তাই মুক্তমনায় নিয়মিত বিচরণ সম্ভব হচ্ছে না।
তথাপি আজ দুটি কথা না লিখে পারলাম না।
তিনদিন আগে আকাশ মালিকের মুক্তমনা ছেড়ে দিবার সংবাদ জেনে মনে হল যেন আমার হৃদয় স্পন্দন থেমে গেল। তবুও বাস্তবতা মেনে নিলাম।
আকাশ মালিক ছাড়া মুক্তমনা কেমন করে হয়? আকাশ মালিক ছাড়া মুক্তমনা যে আমি চিন্তাই করতে পারিনা।
সেই আকাশ মালিক–যাঁর অনেক প্রেরণায় আমি বাঙলায় লিখা শুরু করলাম। সেই আকাশ মালিক–যাঁর মন্তব্য ছাড়া আমার প্রতিটি রচনাকে আমি বৃথা মনে করি। সেই আকাশ মালিক যাঁর ক্ষুরধার রচনায় অনুপ্রণিত হয়ে আজা কত তরুণ বাঙালি কলম ধরেছে ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে আমাদের সমাজকে মুক্ত করতে–যারা বীজ বপন করছে এক নতুন বিপ্লবের–সেই আকাশ মালিক মুক্তমনায় আর থাকবেন না—এতো চিন্তার বাইরে।
আমার মনে হচ্ছিল—আকাশ মালিক যদি না থাকেন তবে আমার কলমও যে ভোঁতা হয়ে যাবে–হয়ত অন্যদেরও।
আজ আকাশ মালিক ফিরে এসেছেন মুক্তমনার লাড্ডু খাবার জন্য নয়–আকাশ মালিক ফিরে এসেছেন অগনিত পাঠকের বিশাল দাবীতে। আজ বুঝতে হবে মুক্তমনা শুধু মডারেটদের ইচ্ছার ক্ষেত্র নয়। মুক্তমনা এক বিশাল মহীরুহে পরিণত হতে চলেছে–এটা মডারেটর অথবা মালিকদের প্রেরণা অথবা জলসিঞ্চনে নয়।
মুক্তমনার হৃদয় স্পন্দন হচ্ছে এর অগুনতি ছদ্মনাধারী লেখক এবং আরও অগুনতি পাঠকদের জন্য।
আকাশ মালিক প্রমাণ করলেন–মুক্তমনার সত্যিকার লাইফ ফোর্স (বাঙলা পেলাম না) কোথায়।
আকাশ মালিককে অনেক ধন্যবাদ–আপনার জন্যই আমার যে আবার লিখতে ইচ্ছে করছে। আপনার আদর্শ, কোমল স্পর্শকাতর মন এবং সর্বোপরি মনুষত্যের প্রতি অগাধ ভালবাসা চিরতরে অম্লান থাকবে। কোনদিন যদি আমাদের সংগ্রামে ইতিহাস লেখা হয়–তবে দেখা যাবে আপনার নাম শীর্ষে।
আপনি যে ইতিহাস সৃষ্টি করে যাচ্ছেন–তা হয়ত আপনিও জানেন না।
আপনার জন্যই মুক্তমনা ধন্য—মুক্তমনার জন্য আপনি ধন্য নন। কারণ আপনি যেখানেই যাবেন আপনার অগুনতি পাঠক আপনাকে ঠিকই খুঁজে নিবে।
@আবুল কাশেম,
অনেক দিন পর আপনাকে দেখলাম ভাইয়া। ভাল আছেন আশা করি!
আকাশ মালিক ভাই মুক্ত মনা ছেড়ে দিচ্ছেন নাকি? খুব খারাপ নিউজ।উনার লেখাগুলি খুব মিস করব।
যাহোক কাশেম ভাইয়া আপনার কাছ থেকে আরো কিছু নতুন লেখার প্রত্যাশায় রইলাম।
ওহ সরি ভাইয়া আমি আপনার পুরা কমেন্ট না করেই মন্তব্য করেছি। তাহলে আকাশ মালিক ভাই ফিরে এসেছেন এটাই আজ জানলাম। শুনে ভাল লাগল। আশা করি উনার কাছ থেকেও আবার নতুন লেখা পাব
ওহ সরি ভাইয়া আমি আপনার পুরা কমেন্ট না পড়েই মন্তব্য করেছি। তাহলে আকাশ মালিক ভাই ফিরে এসেছেন এটাই আজ জানলাম। শুনে ভাল লাগল। আশা করি উনার কাছ থেকেও আবার নতুন লেখা পাব
@অচেনা,
আপনার অনুরোধ মনে রাখলাম।
ধন্যবাদ, কষ্ট করে আমার রচনা পড়েছেন।
@আবুল কাশেম,
ধন্যবাদ ভাইয়া।
@আবুল কাশেম,
কাশেম ভাই,
দীর্ঘদিন আপনাকে মুক্তমনায় না দেখে উদ্বিগ্ন ছিলাম যে কোন অসুবিধা হল না তো? বা অসুস্থ হলেন নাতো? আপনি আজ মুক্তমনায় না এলে,ভেবেছিলাম,আজই আপনার কাছে একটি ই মেইল পাঠিয়ে খবর লইব। আপনাদের মত লেখকদের কলমের স্পর্ষের অনুপ্রেরনায় তো আজ তরুন প্রজন্ম সমাজের অন্ধত্ব ঘুচাতে ঝাপিয়ে পড়েছে এবং যথেষ্ট সাড়াও জাগতেছে।
পাঠকেরা আপনাকে তাদের সংগে পাইতে ইচ্ছুক। কিছু মন্তব্যে এটা বুঝা যাচ্ছে।আপনাকে সংগে পেলে পাঠকেরা অনেক শক্তি পায়।
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
ভাল থাকুন
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আল্লাহ্ পাকের গজব আমার উপর পড়েছে। আল্লাহ্ আমার মাথা হতে পা পর্যন্ত রোগ-বালাইতে আক্রান্ত করে আমাকে শাস্তি দিচ্ছেন। তওবা করেও কিছু হচ্ছে না।
যারাই ইসলাম বিদ্বেষি লেখা-লেখি করবে তাদেরকেই আল্লাহ তা’লা নাস্তানাবুদ করে ছাড়বেন। আরা যারা ছদ্মনামে লিখবে–তাদের তো কথায়ই নেই। আল্লাহ্র দূত, ভুত, জ্বীন, পরী, ফেরেশতা পাঠিয়ে দিয়েছেন তাদেরকে খুঁজে বের করে গর্দান কেটে দিবার জন্য। আল্লাহ্র হাত থেকে এই ছদ্মবেশী দুর্বৃত্তরা কোন ক্রমেই ছাড়া পাবেনা।
এখন চিন্তা করুন—আমার কী হবে।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আল্লাহ্ পাক যদি একটু নিষ্কৃতি দেন–যদি আমার শরীরের প্রতি সহায় হ’ন তবে….
অনেকেই আবেগী হয়ে অনেক কিছু বলছে এই পোস্টে। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে – মডারেটরের কাজ সব সময়ই ‘থ্যাঙ্কলেস’ জব এর মত। যখন সব কিছু ঠিক ঠাক চলে তখন কেউ কেয়ারও করে না, কিন্তু কোথাও সমস্যা হলেই শুরু হয়ে যায় তুলকালাম। অনেক সময় আবার অসমস্যাকেই সমস্যা হিসেবে চিত্রিত করা হয়। এই যে আপনি বললেন –
আপনার আবেগের আতিশয্য মেনে নিয়েও বলছি – মুক্তমনা কিন্তু কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়। এখানে কারো সাথেই মালিক শ্রমিক সম্পর্ক নেই। সবাই স্বতঃস্ফুর্তভাবেই লিখছে, উপরন্তু মডারেটররা লেখালিখির বাইরে বাড়তি সময় দিয়ে সাইট মডারেশন করছে। রামগড়ুড়ের ছানাের মত টেকনিকাল ডেভেলপাররা আবার লেখালিখির পাশাপাশি সাইটের ফিচার উন্নত করার চেষ্টা করছে নিরলসভাবে। এদেরকে মালিক হিসেবে দেখলে অন্যায়ই করা হবে। এখানে কোন প্রফিট নেই, কোন মালিকানা নেই। স্বতঃস্ফূর্ত লেখালেখির মধ্যে আলোচনা বিতর্ককে মালিক শ্রমিক শ্রেণীর আলোকে দেখলে কিন্তু বিরাট ভুল হবে। মুক্তমনা কেবলই একটি লেখক সঙ্ঘ, অন্য কিছু নয়।
এই পোস্টে আলোচনা এর মধ্যেই অনেক আবেগী দিকে মোড় নিয়েছে। লেখার বিষয়বস্তু বাদ দিয়ে আশে পাশের ঝোপঝাড় পিটানো নিয়েই সবাই অতিরিক্ত ভাবিত আর তাড়িত হয়ে উঠেছে। একটা ব্যাপার – আকাশ মালিকের বা আপনার কোন লেখাই কখনো আটকানো হয়নি। হলে এই লেখাটাও প্রকাশিত হত না। মুক্তমনার মত প্ল্যাটফর্মে লিবারালিজমের চর্চা বেশি বইলেই বহু কিছু বলেও পার পেয়ে যাওয়া যায়, এমনকি মালিক বানিয়ে পরোক্ষভাবে গালমন্দও করা যায়। আশা করব, এগুলো দূরে সরিয়ে রেখে আমরা সবাই বিশেষণ এড়িয়ে ভাল লেখায় নিজেদের নিয়োজিত করব। সেই কামনা রইল।
@অভিজিৎ,
আমি যা লিখার লিখে ফেলেছি–চিন্তা করেই লিখেছি, সুধু আবেগের তাড়নায় নয়। যাই হোক, এই ব্যাপারে বেশী আলোচনা করার ইচ্ছা আমার নেই। মোডারেটরদের কাজ যে ধন্যবাহীন তা আমরা সবাই জানি। আমি যা বলতে চাইছিলাম তা খুব সহজ—মুক্তমনা সবার সহযোগীতার মাধ্যমেই চলছে। এখন ধর, মুক্তমনায় শুধু মডারেটরই থাকল, কোন লেখক বা পাঠক নেই–ত’হলে কি অবস্থা হবে তা আমরা সবাই বুঝি।
মুক্তমনার উপর আমার কোন অভিযোগ অথবা ক্ষোভ নেই। এখানে যারা আসেন, যান এবং যারা মুক্তমনা দেখাশোনা করেন তাঁরা সবাই উঁচুদরের, উচ্চ শিক্ষিত লোকজন। মুক্তমনার সাথে আমার সম্পর্ক অনেক দিনের। আজকের মুক্তমনা দুদিনেই গড়ে উঠেনি। অতীতেও আমারা যতটুকু পেরেছি মুক্তমনাতে অবদান রাখার চেষ্টা করেছি–ভবিষ্যতেও তা চলবে।
মুক্তমনার মঙ্গলই আমার কাম্য। আমি অনিচ্ছুক বশতঃ কারও মনে আঘাত দিয়ে থাকলে তার জন্য দুঃখিত।
@আবুল কাশেম,
আপনার মন্তব্যের সাথে একমত হতে পারছি না। মডারেটররা যত্ন নিয়ে কাজ করেন বলেই মুক্তমনা এখনও অন্যসব দমবন্ধ করা ব্লগ সাইটের মতো হয়ে যায় নি।
সব মডারেটর আর তাঁদের ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো সহযোগীদের জন্য (F)
@মনজুর মুরশেদ,
উপরে দেখুন, অভিজিৎকে লেখা উত্তর।
শুধু মডারেটরই নন, আমরাও যে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াচ্ছি।
তা, লেখক এবং পাঠকেরা যদি ঘরের খেয়ে বনের মোষ না তাড়ায় তবে মুক্তমনা কতদূর যেতে পারে জানার আগ্রহ থাকল।
@আবুল কাশেম,
দেখুন লেখক আর পাঠক না থাকলে ব্লগ সাইট থাকে না এতো স্বতঃসিদ্ধ। আমি তাঁদের ছোট করে দেখিনি। মডারেটর আর সহযোগীরাও লেখক এবং পাঠক। এর বাইরেও সাইটটি ঠিকভাবে চালু রাখার জন্য তাঁদের বাড়তি কাজ করতে হয়। তাঁরা টেকনিকাল দিকগুলো দেখাশোনা করেন; ব্লগ সাইটটির লেখার ধরন সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেন, আবার ব্লগের পরিবেশ যাতে বিষিয়ে না যায় সেদিকেও লক্ষ্য রাখেন। এছাড়া দেখেছি কেউ বিপদে পড়লে পাঠকরা যে তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেন তাতেও তাঁরা সক্রিওভাবে পাশে এসে দাড়ান। এর বাইরেও হয়তো আরও কিছু করেন যা আমি জানি না। আমি শুধু মুক্তমনার মডারেটর আর সহযোগীদের তাঁদের অসাধারণ কাজের জন্য প্রাপ্য প্রশংসাটুকু দিতে চেয়েছি; তবে তা কোন অবস্থাতেই নামী/বেনামী/ছদ্মনামী অগনিত লেখক-পাঠকদের ছোট করার জন্য নয়।
@আবুল কাশেম,
পারফেক্ট উত্তর দিয়েছেন ভাইয়া।মডারেটরদের উপর পরিপুর্ন সম্মান রেখেই বলছি, মুক্ত মনাতে যেসব রুচিশীল পাঠক আসেন ধর্ম সংক্রান্ত লেখা পড়তে , সেই সব লেখা বেশির ভাগই লিখে থাকেন যারা মডারেটর না সেই সব ব্লগার রা।
অভি দার বিজ্ঞান নিয়ে লেখাগুলো অতুলনীয় কিন্তু তার পরও এটাই বলব যে ধর্মকে চ্যালেঞ্জ করে যে লেখাগুলো আসে সেগুলো আসে সাধারণ ব্লগারদের কাছ থেকে, আর এই লেখাগুলই সব সময় মুক্তমনার সেই স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য যা অন্য অনেক সাইটেরই নেই। আর এজন্যেই মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে যে জ্ঞান গুলো সাধারণ পাঠকদের দরকার, সেই সব জ্ঞান গুলোই তাঁরা সেই লেখাগুলোর মধ্যে পেয়ে থাকেন। আপনার অসাধারণ সব মন্তব্য গুলোর জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা ভাইয়া। (Y) (F)
@অচেনা,
এর আগে মালিক শ্রমিকের মতো বিভাজন তৈরি করা হল, এখন আবার বিজ্ঞানের লেখা বনাম ধর্মের লেখা – এধরনের একটা বিভাজন দেখতে পাচ্ছি। এতো সব কৃত্রিম বিভাজনের দরকার কি? মুক্তমনায় ধর্মের সমালচনামুলক লেখা যেমন আসে তেমনি আসে বিজ্ঞানের লেখাও। বিবর্তনের উপর যে বলিষ্ঠ আর্কাইভ মুক্তমনায় গড়ে উঠেছে তা আর কোন ব্লগ সাইটে নেই। বিজ্ঞানের উপর অজস্র বই প্রতি বছরের বইমেলায় বেরুচ্ছে।
কেবল ব্লগে গলা কাঁপানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছাকাছি পোঁছানোর প্রচেষ্টাও তো দরকার। সেটা কিন্তু মুক্তমনার বিজ্ঞান লেখকেরাই মূলত নিয়েছে। না হলে বিজ্ঞানের বই পত্র আর যুক্তি কিংবা মুক্তান্বেষার মত ম্যাগাজিন প্রকাশ করা যেত না। যাকগে, আমার মনে হয় এই থ্রেডে যা মন্তব্য করার তো করাই হয়েছে, সবাই সবার কথা জানলো। এখন নতুন লেখায় মনোনিবেশ করলে হয় না? আপনার প্রোফাইল থেকে দেখলাম আপনি সদস্য হয়েছেন ১০/১০/২০১১ তারিখ থেকে। ৩৫৮ টি মন্তব্য আপনি করেছেন, কিন্তু একটা লেখাও লেখেননি মুক্তমনার জন্য। এবার একটু লেখা টেখা দিলে হয় না? চিঠি নিয়ে চিঠি চালাচালি তো অনেক হল। 🙂
@অভিজিৎ দাদা ,আমি আপনার অনেক লেখা পড়েছি, অনেক কিছু শিখেছি বিজ্ঞান নিয়ে।অনেক ভাল লেগেছে আপনার লেখাগুলো তা আগেও বলেছি। আর দাদা আমার আসলে কলম ধরতে ভয় করে। সাজিয়ে গুছিয়ে কিছুই লিখতে পারব না বলে আমার বিশ্বাস। মানে পুরনাঙ্গ লেখার কথা বলছি।
তবু আপনি যখন বলছেন তখন না হয় একবার লেখার ব্যর্থ চেষ্টা করে দেখতে পারি, তবে সেটা মনে হয়না যে পাঠের উপযোগী হবে । 🙁 ।
কাজেই দাদা আমার মনে হয় যে লেখা লেখির দুঃসাহস আমার আরেকটু পরে করার চেষ্টা করাই ভাল। আর আপনারা যদি দয়া করে দিক নির্দেশনা দেন যে কি নিয়ে লেখার চেষ্টা করলে ভাল হয় একজন নবীশের পক্ষে ,তাহলে হয়ত লেখার চেষ্টা করার দুঃসাহসটা একবার করেও ফেলতে পারি।
🙂 ।
ভাল থাকবেন দাদা।
সত্যি বলতে কি অভিদা, কথা মানুষের সাথে ভালই বলতে পারি, যত গোল বাধে লিখতে গেলে।এটা আসলে আমার একটা বড় লিমিটেশন । দেখি কোনদিন এই সীমাবদ্ধতা দূর হয় কিনা!
এইবার আসি লেখার কথায়। তসলিমা নাসরিনের লেখা আসলেই বারবার দেখতে পাই রুদ্র মোহাম্মদ’কে ভালোবাসার কথা। সেই সব লেখা পড়ার সময় চোখ অশ্রু সজল হয়ে ওঠে। আর রুদ্রর যে অসম্ভব এক গান বিশেষ করে এই গান
ভালো আছি ভালো থেক
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ
এখন বাংলাদেশের মানুষের কন্ঠে কন্ঠে ঘুরে ফেরে। তবে একটা অবাক বিস্ময়ের ব্যপার। কবি জীবনানন্দ
দাশ এর মত কবি রুদ্র মোহাম্মদ ও বেঁচে থাকতে তেমন কদর পেয়ে যাননি । যা তিনি পেলেন তাঁর মৃত্যুর পর।
আমাদের মূল্যায়ন করতে এতো দেরী হয় কেন? কবি শুকান্তের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
এই সব কষ্টের কথা বললে মন কেবল ভারি হয়ে ওঠে। তাই বলি কবি রুদ্র আমাদের সবার মনের মাঝে বেঁচে থাকুন এই কামনা করি।
@আফরোজা আলম,
ধন্যবাদ আফরোজা, পোষ্টের গঠনমূলক আলোচনা করার জন্যে। তাসলিমা বলেছেন রুদ্র একটি সিঙ্গারা খেয়ে সারাদিন কাটিয়েছেন। শুনেছি নজরুলের দিনও নাকি এমনি কাটতো। কি আশচর্য। আচ্ছা, তুমি নিশ্চয়ই রুদ্রকে স্বচক্ষে দেখেছো, তার নিজের কণ্ঠের কোন কবিতা আবৃতি নাই?
@আকাশ মালিক,
না দেখিনি, সেই সৌভাগ্য আমার হয়নি। তসলিমাকে এতো ভালোবাসতেন, যে একছুটে ময়মনসিং চলে আসতেন। তার ভালোবাসা’কে মাঝে মাঝে মনে হয় যেনো ঝড়। এমন ঝড়ের মত ভালোবাসা কেবল বই-পুস্তকে পড়েছি। বাস্তবে দেখা মুশকিল। নিজের প্রতি এত অবহেলা বোধকরি আমার জানা মতে আর কোনো কবি( তরুন কবি) করেন নি। তার শরীরের একাংশে পচন ধরেছিল। তসলিমা নাসরিন অনেক বলে কয়েও চিকিতসা করাতে পারতেন না( যদিও শেষ মেশ করিয়েই ছাড়তেন)। আর সিগারেট ছিল তাঁর নিত্যসঙ্গী। এই সিগারেট তাঁকে শারিরীক ধংশের দিকে এগিয়ে নেয়।
নাহ! বড্ড খারাপ লাগছে এই সব আলোচনা করতে। পারলে আমি আবার আলাদা করে লিখব।
যা জানি, যা পড়েছি, তা এতোটাই করূণ এতো মন কে বিষন্ন করে- বুক থেকে কেবল হু-হু একটা হাওয়া আসে। আজ থাক অন্য একদিন।
রুদ্র মোহাম্মদের স্বরণে- :candle:
একজন সাধারণ পাঠক হিসেবে যে আকাশ মালিক আর ফরিদ আহমদের লেখা পড়ে তার কাছে নীচের দুটো উক্তিই সত্য
– আকাশ মালিককে মুসলীম বিদ্বেষী বলা ভুল
– ফরিদ আহমেদকে জামাতী (বা জামাত প্রীতি পোষোণ করেন) বলা ভুল।
দুপক্ষই শুধু উপরের একটি উক্তই করে যাচ্ছেন যার জন্য ভাল ভাবে ক্লোজড হচ্ছে না ইস্যুটা। সবচেয়ে ভাল হয় সংশ্লিষ্ট দুজনই এটা স্পষ্ট করে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন।
অভিনন্দন এবং অভিবাদন। 🙂
চমৎকার লেখা। ভালো লাগলো।
@ প্রিয় আকাশ মালিক,
বিক্ষুব্ধ রাতের ঝড়-তুফানের পর সকালে যখন ঝিলিক দিয়ে রৌদ্র উঠে, তখন তা সত্যিই ভাল লাগে। গত কয়েকদিন মুক্তমনার অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অনর্থক ক্যাচালের জন্য মন খুব খারাপ ছিল। আমি অপেক্ষায় ছিলাম ক্যাচাল কখন থামবে কিন্তু আপনি যখন ঘোষণা দিলেন এখানে আর লিখবেন না, তখন মন আরো খারাপ হয়ে গিয়েছিল। এ লেখাটা ভয়ে ভয়ে খুললাম, না জানি আবার মন খারাপ করা কি অপেক্ষা করছে! কিন্তু না, ঝড়-তুফান হঠাৎ থেমে রৌদ্র খিলখিল করে হেসে উঠেছে।
আর একটা কথা আপনাকে কানে কানে বলি-
আপনার, ভবঘুরের, আবুল কাশেমের ইসলাম বিষয়ক লেখাগুলো ফরিদ ভাইয়ের ভাল না লাগলেও আমার খুব ভাল লাগে।
আর ছদ্ম নাম? শুধু লেখালেখির মাধ্যমে ( মাঠ-ময়দানে সভা-সমাবেশের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে) মত প্রকাশের স্বাধীনতায় যদি বিশ্বাস করি, তাহলে ছদ্ম নামের জন্য আরেকজনের সমস্যা কোথায় সেটা আমার বোধগম্য হচ্ছেনা। আমি যদি সমাজের চাপে পড়ে নামাজ পড়তেও যায়, এবং ব্লগে ছদ্ম নামে ইসলামরে বাঁশ দেয়, তাতে কি কোন ব্যক্তি মুসলিমের ক্ষতি হচ্ছে। আমি তো আর জঙ্গি দল গড়তেছিনা যে মুসলিমদের গোপন খবর জেনে তলেতলে তাদেরকে আক্রমণ করব। কেউ চাইলে তার আসল নাম পাসপোর্টসহ প্রমাণ করে লেখালেখি করুক, তাতেও কারো কোন ক্ষতি হচ্ছেনা।
আর ক্যাচাল থেকে একটা জিনিস শিখলাম, কারো উপর মনের জ্বাল মিটাইতে চাইলে ‘জামাতি’ শব্দের চেয়ে উত্তম আর কিছু হয়না। ছাগুরা কি জানে তাদের জন্য কত ঘৃণা জমা আছে আমাদের মনে?
ওহ আরেকটা কথা, আপনি যে লেখাগুলো বলেছিলেন অন্য জায়গায় পোষ্ট করবেন, সেগুলো তাড়াতাড়ি এখানে ছাড়েন।
@হেলাল,
ওকে, আপনি এই লেখার উপর আলোচনা করুন আরো খুশী হবো।
@আকাশ মালিক,
(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
কবি রুদ্র মহাম্মদ’কে নিয়ে আপনার সসম্ভব সুন্দর লেখা আশা করি সকল পাঠকের মন কেড়ে নেবে।
আর সেই সাথে মুক্তমনার আঙ্গিনায় আবার মুখর হয়ে উঠবে।আমাকে বলেছিলেন রুদ্রকে নিয়ে লিখতে কিন্তু তখন সময় পার হয়ে গিয়েছে। বড্ড ভুলো মন আগে থেকে তৈ্রী ছিল না তাই পারিনি দিতে লেখা। তবে আপনার লেখা হয়েছে অসাধারণ।
আপনার অসংখ্য ভক্ত, সবাই অনেক অনেক খুশী হয়েছে আপনি আবার ফিরে এলেন তাতে। আপনি বা আপনাদের মত অনেকেই আছেন যাদের ছাড়া মনে হয় এই ব্লগটা অসম্পূর্ণ। আপনাদের লেখা পড়তে পড়তেই আমার মুক্তমনায় আগমন।
আপনিই বলেন সবাইকে ছেড়ে যেতে কী আপনার কষ্ট লাগবে না?
এই যে মইনুল রাজু ভাই, রাজেশ তালুকদার, তামান্না ঝুমু, আরো অসংখ্য মানুষ অনেক’কেই আমি হয়তো চিনিনা, সবার মন আর ভাংবেন না। সবাই এখন অনেক আনন্দিত,তাই বলি,
এই সব বাদ দিয়ে আবার মুক্তমনার আঙ্গিনা হেসে উঠুক, আপনাদের সকলের সুন্দর পদচারনায়।
আপনাকে (F) (F) (F)
সকল অভিমান ভেঙ্গে মুক্তমনায় আপনার এই লেখাটা আমার মত অনেকের মনে স্বস্তি ও আনন্দ দিয়েছে তা র্নিদ্বিধায় বলা যায়। মুক্তমনার পাঠকদের উদ্দেশ্যে এখনো আপনার ঝুলি থেকে উপহার দেয়ার অনেক কিছু বাকি রয়ে গেছে সে বিশ্বাস আমার আছে। আমাদের জন্ম, বেড়ে ওঠা, বিশ্বাস সব গড়ে উঠেছে এক ধর্মান্ধ দেশের গুমোট পরিবেশে। দেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকেও এর নিকষকৃষ্ণ ছায়া আমাদের তাড়া করে প্রতিনিয়ত, সর্বদা টের পাই সংকীর্ণতাবাদীদের গর্জন। এদের মুখে কলুপ দিতে, কোন ঠাসা করতে জন সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নাই। নেট মিডিয়া্র জোরালো উপস্থিতিতে বিশ্বাস জগতে ধীরে ধীরে যে কম্পন শুরু হয়েছে তার অগ্র সেনানীদের মাঝে আপনি বিশেষ একজন। তবে আর কেন মিছে সংশয় মুক্ত মনার পাতা ভরে লিখতে থাকুন মহাশয়।
আপনি মুক্তমনা ত্যাগ না করার জন্য আমরা আনন্দিত ও গর্বিত।
অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সংগে থেকে যাওয়ার জন্য।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
সুতরাং একটা গান শুনা যাক-
httpv://www.youtube.com/watch?v=1ZaYc9cLwkE&feature=related
আপনি এমন সুন্দর বিষয়ের উপর লিখতে পারেন, তাহলে মাঝে মধ্যে আবার চলে যাবার ক্যারা উঠে কেন? আপনেরে মন্তব্যে কে কী বলল না ভেবে বরং লিখে যান।
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ আমার খুব প্রিয় একজন কবি। তাঁকে নিয়ে সুন্দর একটি লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
@অভিজিৎ,
কবিরা বোধ হয় জন্মগত দার্শনিক। আচ্ছা এই যে দুই প্রজন্মের দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাত বা অমিলের কথা রুদ্র বলে গেলেন, এর কোন জীব বিবর্তনীয় ব্যাখ্যা নাই? রুচি, চাহিদা, পছন্দ, আশা-প্রত্যাশায় এতো ভিন্নতা আসে কোত্থেকে? আমার পছন্দের গান শুনলে আমার মেয়েরা কানে তুলো দিয়ে দেয়, আমার কাছে তাদের পছন্দের গান মনে হয় বানরের চেচামেচি, বিষয়টা কী? আর ভালবাসা? থাক, সে কথায় পরে আসবো।
@আকাশ মালিক,
ধন্যবাদ উত্তর দেবার জন্য। কেবল একটা অনুরোধ। আপনি একজন মুক্তমনা মডারেটরকে ভিত্তিহীনভাবে ‘জামাতি’ বলেছিলেন। পরে বহুজন এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলেও আপনি এর পক্ষে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। আমি নিজেও এ ব্যাপারে বেশ কিছু ইমেইল পেয়েছি কেন এ ধরণের মন্তব্য করার পরেও সদস্যের ব্যাপারে কেন কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না ইত্যাদি (আপনার নিশ্চয় জানা আছে যে অন্য ব্লগে হলে এর প্রতিক্রিয়া কী হত, কিংবা সদস্যের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেয়া হত)। এটি আমার এবং আমার মডারেশন টিমের জন্য শুধু নয়, সাধারণ ব্লগারদের জন্যও খুবই বিব্রতকর। আমি চাইবো ভবিষ্যতে যে কোন ধরণের কোনকিছু আকাশে ছুঁড়ে দেবেন না, এতে ক্ষতিটা কিন্তু মুক্তমনা কম্যুনিটিরই হয়। মুক্তমনায় সদস্যরা যে ধরণের উদার পরিবেশের সুবিধা ভোগ করে, সেই পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সবাই যত্নবান হবেন।
ভাল থাকুন।
@অভিজিৎ,
ঠিক একই ভাবে একজন ব্লগারকে ভিত্তিহীনভাবে মুসলিম বিদ্বেষী বললে তার আত্মসম্মানবোধে আঘাত লাগেনা? একজন সাধারণ ব্লগার বা সদালাপী কেউ জীবন ভর এমন গালি দিলেও তো আমি কোনদিন গায়ে মাখিনি। আমার গায়ে যখন বারবার আঘাত দেন তখন তিনি সাধারণ ব্লগার, আর তার গায়ে আঘাত লাগলে মডারেটর, এ কেমন বিচার দাদা? একজন মানুষ যদি জামাতিই হন তবু তিনি মানুষ, কিন্তু একজন মানুষ যদি মুসলিম বিদ্বেষী হয় সে আর মানুষ রইলো কই?
এটা সকলের উপলব্ধিতে আসুক আমিও কায়মনোবাক্যে সেটাই কামনা করি। আমি আশা করবো পাঠকেরা এই লেখায় বিষয়বস্তুমুলক আলোচনা সমালোচনা করে লেখাটাকে আরো সমৃদ্ধ করে তুলবেন।
@আকাশ মালিক,
এত কথায় কাজ নাই। বিশেষণ প্রয়োগ ছাড়া লেখালিখি আর মন্তব্য করতে হবে। এটাই শেষ কথা।
@আকাশ মালিক,
কবিরা দার্শনিক হলে কবিতা লিখবে কীভাবে? ? ;-(