মা
আকাশ মালিক
১৮ মার্চ রবিবার ২০১২, স্কুল ছুটির দিন। ঘরে ছেলে মেয়েদের হুলুস্থুল, বউয়ের মাথা খানিকটা গরম। সন্তানদের উপর মায়ের হালকা ধমক, বকুনি ঝাকুনি, চিল্লাচিল্লি না হলে উইকএন্ডটা পুরোপুরি জমে উঠেনা। এদিকে সন্তানদের মধ্যে ফিসফিস কানাকানি চলছে আজ মা-দিবসে স্নেহময়ী মা জননীকে কার্ড আর উপহার দেয়া হবে। এক পর্যায়ে ছোট মেয়েটি সকল গোপনীয়তা ভঙ্গ করে তার মাকে জিজ্ঞেস করেই ফেললো- ‘বলো মা, তোমার কোন জিনিসটা বেশী পছন্দ’। প্রতিবারের মতো যথারীতি সেই একই উত্তর-‘আমার কিচ্ছুর দরকার নাই, তোমরা ভাল থেকো, ভাল মানুষ হও, তোমরা বেঁচে থেকো অনেক অনেক দিন’। এটা একটা কথা হলো? সন্তান গর্ভে থাকতে নিজের রক্ত-মাংস খাওয়ালে, ভুমিষ্ট হওয়ার পর বুকের দুধ মুখে তুলে দিলে, এতোটা বিনিদ্র রজনী কাটালে, এতোটা বৎসর মল-মূত্র সাফ করলে, বিনিময়ে তোমার কিছুই চাওয়ার নেই? মায়ের হাতে কার্ডটা একজন তুলে দিল। মা কার্ডটা হাতে নিয়ে সন্তানদের দিকে তাকালেন। মায়ের চাহনীতে ছিল এক অকল্পনীয় মায়া, ঠোঁটে ছিল অতুলনীয় আশ্চর্য এক মধুভরা হাসি। এ হাসি শুধু মায়েরাই হাসতে জানেন। আমি নিজে আমার মাকে কোনদিন কিছু দেইনি, দেয়ার সুযোগও পাই নি। খুব ছোটকালে মা মারা যান। আমার বয়স তখন নয় কি দশ হবে। সিনেমায় দেখেছি মৃত্যু শয্যায় শায়ীত সন্তানের সামনে মাকে বিলাপ করতে- ‘আল্লাহ তুমি আমাকে নিয়ে যাও আমার সন্তানকে নিওনা’। আসলে বাস্তবেও একবার এমনটি দেখেছি। প্রায় পয়তাল্লিশ বছর পূর্বে একবার আমাদের গ্রামে কলেরা লেগেছিল। এক মায়ের পরিবারে একদিনের মধ্যে একে একে চারটি সন্তান মারা গেল। মা কখনো আকাশের পানে হাত তুলে, কখনো দুই হাতে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে বারবার মিনতি করছিলেন- ‘আল্লাহ তুমি আমাকে নাও আমার সন্তানদের নিওনা’। আমার মা বোধ হয় এমনই প্রার্থনা করেছিলেন যা আল্লাহর কাছে মঞ্জুর হয়ে গিয়েছিল। মায়ের সাথে একটা ঘটনা চিরদিন মনে থাকবে। আমার মুসলমানী করানোর সময় মায়ের হাতের গোসল। সেই সুগন্ধি সাবান আর মনমাতানো তেল জীবনে দ্বিতীয়বার দেখিনি। কানটার ভেতর তোয়ালে মোড়া আঙ্গুল ঢুকিয়ে মা বলেছিলেন- এতো বড় ব্যাটা হলি, নিজের কানটাও সাফ করতে জানলিনা। আরো একবার মাকে খুব মনে পড়েছিল। বিয়ের সময় গায়ে হলুদের দিন। আমি নিশ্চিত জানি, মা জীবিত থাকলে আমাকে গোসল করাতে আসতেন, নাকে মুখে জোরেজোরে ঘসে দিতেন আর বলতেন- এতো বড় ব্যাটা হলি, নিজের কানটাও সাফ করতে জানলিনা। মায়ের মৃত্যু আমি দেখেছি, সেই মৃত্যুক্ষণটা আমার এখনও ঝাপসা মনে আছে।
ঘরে যখন মা দিবসের উৎসব চলছে, আমি এই মহান দিনটির তাৎপর্য আর ইতিহাস জানার জন্যে গুগলের স্মরণাপন্ন হলাম। ‘মা-দিবস’ এর আইডিয়াটা করেছিলেন, ১৮৭০ সালে Julia Ward Howe নামের আমেরিকান সমাজকর্মী এক মহিয়সী মহিলা। তিনি অনুভব করতে পেরেছিলেন, যুদ্ধে আহত, নিহিত, হারিয়ে যাওয়া সন্তানদের মায়েদের বুকের ক্রন্দন, তাদের অন্তর-আত্মার বেদনা। বিশ্বকে তিনি শুনিয়েছিলেন এক সাম্যের বাণী। সন্তানের জন্যে জগতের সকল মায়ের ভালবাসায় কোন ভিন্নতা নাই। জাতি, ধর্ম, বর্ণের শ্রেষ্টত্বের বিভেদ টিকিয়ে রাখার জন্যে কোন মায়ের বুকের ধন কেড়ে নেয়া অন্যায়। তিনি এর প্রতিবাদে বিশ্বের সকল মাকে একতাবদ্ধ হওয়ার আহবান করেন। যদিও তিনি তার কাজে পুরোপুরি সফলকাম হতে পারেন নি, তার এই মহান কাজটি সম্পন্ন করেছিলেন Anna Jarvis এর কন্যা, দ্বিতীয় Anna Jarvis। জুলিয়া ওয়ার্ডের পথ ধরে সুদীর্ঘ ৩৭ বৎসর সংগ্রামের পর ১৯০৭ সালে প্রথমবারের মতো ‘মা দিবস’ উৎসব পশ্চিম ভার্জিনিয়াতে উদযাপিত হয়। আজ সারা পৃথিবী জুড়ে এপ্রিল থেকে মে মাসের শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে এ মহান দিনটি পালিত হয়।
পৃথিবীতে এমন অনেক শিশু আছে যাদের জন্মের পর থেকেই মা নাই। আবার এমন শিশুও আছে যাদের মা জীবিত থেকেও তাদের জন্যে নাই। মা দিবসের ইতিহাস খোঁজাখুঁজির মাঝেই এক সময় এক অনন্যা অসাধারণ মা ও তার আশির্বাদ প্রাপ্ত এক ভাগ্যবান সন্তানের সন্ধান পেয়ে যাই। সেই ঘটনায় যাওয়ার আগে গানে গানে ‘মা দিবস’ উৎসবটার সমাপ্তি টেনে নিতে চাই। শুরুতে সাদী মুহাম্মদের কণ্ঠে ‘মাকে মনে পড়ে আমার’ ঠিকই ছিল, কিন্তু শেষ মুহুর্তে মনটা আটকা পড়ে গেল মমতাজের একটি গানে। হতে পারে এ জন্যে যে, এই গানের দৃশ্যটিতে আমি দেখতে পাই বহু বছর পূর্বে দেখা মৃত্যুশয্যায় শায়ীত আমার মাকে।
http://www.youtube.com/watch?v=e3G_cP-Ry-I
মমতাজের কণ্ঠে দরদী মায়ের গানটা শুনার পর চলুন আমরা সেই অসাধারণ মায়ের আশির্বাদ প্রাপ্ত সন্তানের কিছু কথা জেনে নিই। কথাগুলো শিশুটির ভাষায়ই শুনা যাক-
আমার সবগুলো কথা মায়ের কাছ থেকে শুনা। তখন সবেমাত্র কথা বলতে শিখেছি। মা যখনই আমার কোন কাজে ‘গুড বয়’ বলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করতেন, আমি মাকে শোধরাতাম এই বলে- ‘গুড বয়’ নয় মা, বলো ‘গুড গার্ল’। মা তখন মনে করতেন সেই বয়সে আমি ‘গার্ল’ আর ‘বয়’ এর পার্থক্য বুঝতাম না। তিনি অবাক হতেন আমি যখন বড় বোনের লিপষ্টিক, নখ পালিশ নিয়ে খেলা করতাম। দিন দিন আমার প্রতি মায়ের সন্দেহ বাড়তে থাকে। দুই বৎসর বয়সের সময় একদিন মাকে যখন বললাম- ‘মা, ফ্যারি গড মাদার তার ম্যাজিক-কাঠি নিয়ে কবে আসবে, আমার শিশ্ন (Genitalia) কেটে ফেলে আমাকে মেয়ে বানাতে’? আমার কথা শুনে মায়ের শরীরের রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার উপক্রম। সিদ্ধান্ত নিলেন আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন। ইত্যবসরে মা, ‘মেন্টেল ডিসওর্ডার’, ‘আইডেন্টিটি ডিসওর্ডার’ এর উপর কিছু বই-পত্র পড়লেন। শেষ পর্যন্ত আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো। ডাক্তার যখন আমাকে জিজ্ঞেস করলেন- ‘হোয়াট ইজ ইয়র নেইম বয়’? আমি বললাম ‘বয়’ নয় বলুন ‘গার্ল’। ডাক্তার মাকে জিজ্ঞেস করলেন- হাউ ওল্ড ইজ হি? আমি বললাম, আই এম নট ‘হি’ আই এম ‘শি’। তারপর ডাক্তার দুটো পুতুল আমার সামনে নিয়ে আসলেন। একটি ‘বয়’ আর একটি ‘গার্ল’। তিনি জিজ্ঞেস করলেন- ‘বলো তো, এদের মধ্যে তুমি কোনটা’? আমি ছেলে-পুতুল দেখিয়ে বললাম- ‘এখন আমি এইটা’। তারপর মেয়ে-পুতুল কোলে নিয়ে বললাম- ‘আমি হতে চাই এইটা’। এর কিছুদিন পর আমাকে কিছু ওষুধ-পত্র দেয়া হলো যাতে আমার গায়ে পুরুষের লোম বা দাড়ি না গজায়।
বিষয়টা পাড়া-প্রতিবেশীর কাছে জানাজানি হয়ে গেল। পাপ-পুণ্যের কথাও আমার কানে আসলো। একদিন মাকে বললাম- ‘মা, ঈশ্বর নিশ্চয়ই ভুল করে আমার দেহে একটি শিশ্ন জুড়ে দিয়েছেন’। মা বললেন- ‘ভুল নয় সোনামণি। কারো ভুল নেই, না তোমার, না আমার, না তোমার বাবার, না ঈশ্বরের। ঈশ্বর তোমাকে স্পেশিয়েল করে গড়ে দিয়েছেন’। তিনি আরো বললেন- ‘দেখো, জগতে তোমার মতো আর কয়জন মেয়েশিশু আছে যার একটা শিশ্নও আছে’? শুনে আমি খুব খুশী হলাম। পাঁচ বৎসর বয়সে মা আমাকে স্কুলে, ও ক্লাবে ভর্তি করাতে গিয়ে প্রচুর অসুবিধের সম্মুখীন হয়েছিলেন। একদিন স্কুলের ক্রিস্টমাস পার্টিতে আমার ক্লাসের মিস্ আমাকে মেয়েদের পোষাক পরে ডান্স করতে দিলেন না। রাগে অভিমানে মাকে জড়িয়ে ধরে প্রচুর কেঁদেছিলাম। সেই দিনই মা সিদ্ধান্ত নিলেন আমাকে মেয়ে হিসেবেই দুনিয়ার সামনে পরিচয় করিয়ে দিবেন।
এ ছিল আমেরিকার একটি শিক্ষিত পরিবারে জন্ম নেয়া একটি হিজড়া বা Transgender শিশুর ছোট্ট কাহিনি। সে তার মায়ের আদরে সোহাগে বড় হয়েছে। তার ইচ্ছেমত জীবন যাপনের সকল সুযোগ সুবিধে ভোগ করতে তার মা, তার দেশ ও তার সমাজ থেকে সমর্থন পেয়েছে। প্রতি বৎসর মা দিবসে সে তার মাকে কার্ড উপহার দিতে পারছে, মাকে মা বলে ডাকতে পারছে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্থে জন্ম নেয়া সকল হিজড়া শিশু এমন ভাগ্য নিয়ে জন্ম নেয় না। অথচ প্রত্যেক মায়ের মাতৃত্ববোধ, সন্তানের প্রতি স্নেহ-মমতায় কোন ভিন্নতা বৈষম্যতা নেই। প্রত্যেক সন্তানের অন্তরেই একজন মা সর্বক্ষণ বাস করেন। আমেরিকার শিশুটির কাহিনি পড়ার পর, হিজড়া সন্তানদের নিয়ে ইউ টিউবে কিছু ডকুমেন্টারি খুঁজছিলাম। হঠাৎ বাংলাদেশে তৈরী একটি ছবিতে চোখ পড়ে গেলো। হিজড়াদের নিয়ে বাংলাদেশে যে এমন একটি শিক্ষণীয়, অভুতপূর্ব ছবি তৈরী হয়েছে জানতাম না। অনেকেই হয়তো ইতোমধ্যে দেখেছেন। যারা দেখেন নাই, অনুরুধ রইলো তারা যেন ফিল্মটির শেষ না দেখে উঠে না যান । চলুন, আজ মা দিবসে ছবিটা আরেকবার দেখে নিই।
আর হ্যাঁ, ছবিটি দেখে কারো চোখ যদি অশ্রুজলে ঝাপসা হয়ে আসে, যদি কারো অন্তরাত্মা কেঁদে উঠে, যদি হতভাগা হিজড়াদের মায়ের বুকের চাপা ক্রন্দনধ্বনি শুনতে পান, এই মা দিবসে তাদের জন্যে দু-কলম লিখুন। দুনিয়াকে জানিয়ে দিন, হিজড়া সন্তান কারো পাপের প্রায়শ্চিত্ত নয়, তাদের মা জগতের সকল মায়েরই মত্। প্রত্যেক হিজড়া সন্তানের তার মাকে মা ডাকার অধিকার আছে। এখানে দেখুন প্রকৃতির আরেক লীলাখেলা।
অসম্ভব সুন্দর একটি লেখা। পড়তে যেয়ে চোখের পাতা ভারী হয়ে এসেছে কয়েকবার।আমি খুব সৌভাগ্যবান যে আমার মা এখনও জীবিত এবং আমি সবসময় তার সেবা যত্নের চেষ্টা করি।এবার মা দিবসে মাকে একটা শাড়ি দিয়েছি। মুখে না না বললেও মনে মনে যে খুশি হয়েছেন তা নিশ্চিত।কিন্তু সমস্যা হলযে আমি বাড়ি গেলেই আমার মার মন খারাপ হয়ে যায় কারন আমি নামায পড়ি না, উল্লেখ্য আমার মা খুব নামাযি ব্যক্তি।তাকে খুশি করার জন্য সেদিন বাধ্য হয়েই নামায পড়লাম।
মনে মনে বললাম হে সৃষ্টিকর্তা এ নত হওয়া তোমার জন্য নয় বরং তার জন্য যে আমাকে ১০ মাস তার শরীরের ভিতর লালন করেছেন,যিনি রাতের পর রাত আমার অসুস্থতায় আমাকে সেবা দিয়েছেন নির্লোভচিত্তে, যিনি পরম মমতায় আমাকে বড় করেছেন আর তাই আমি মানুষকে মানুষ ভাবতে পারছি।
আমি জানি না এই ব্লগে ব্যক্তিগত কথা এভাবে লেখার সুযোগ আছে কি না? যদি ভুল হয় তবে ক্ষমাপ্রার্থী……।
@ছন্নছাড়া,
অবশ্যই আছে। একে অপরের ব্যক্তিগত কথা শেয়ার করার মধ্যেই সমাজ বাস্তবতা জানা যায়। আমিও তো শুরুই করেছি ব্যক্তিগত কথা দিয়ে।
এ জন্যেই আমার সকল লেখার টার্গেট থাকে নতুন প্রজন্ম। বাস্তবতাকে অস্বীকার করা এবং সমাজকে রাতারাতি বদলানো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের লেখা বৃথা যাবেনা, এ সব আগামী দিনের নতুন প্রজন্মের জন্যে পথের দিশারী হয়ে থাকবে।
আকাশ মালিক,
সত্যি মনটা ভালো হয়ে গেলো এবার। আমরা কি আমাদের মনোজগৎটাকে এদের আপন করে কাছে টেনে নেবার মতো করে নিতে পারিনা? অনেক ধন্যবাদ।
প্রকৃতিই হয়েছে যাদের প্রতি বিরূপ;এদের নিয়ে কেউ তেমন লিখেনা। এদের কথা কেউ শোনেনা, কেউ বলেনা। সবাই এড়িয়ে চলে। সাধারণ লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে এই চমৎকার লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। (Y)
কেনো এতো মন খারাপ করে দেন? 🙁
রূপান্তরকামী শিশু মনো জগতের কথা পড়ে ভালো লাগলো। ‘হিজড়া’ শব্দটির বদলে কী অন্যকোনো যুতসই শব্দ ব্যবহার করা যায়? 😕
@বিপ্লব রহমান,
এই গানটা শুনেন, মন কিছুটা ভাল হতেও পারে। প্লে করার পর নিচে ডান দিকে (cc) বোটনে ক্লিক করে সাবটাইটেলে গানের কথাগুলো পড়তে ভুলবেন না।
httpv://www.youtube.com/watch?v=ZCMxEkbPaPY
@আকাশ মালিক,
অপূর্ব। গানটার মাঝামাঝি যাওয়ার আগে বুঝতেই পারিনি কি রহস্য লুকিয়ে ছিলো এতে।
এর গানের ভক্ত হয়ে গেলাম। ধন্যবাদ ভিডিওটা শেয়ার করার জন্য। গানের শেষে শিল্পীর জীবন নিয়ে কথাগুলো আরো মর্মস্পর্শী।
@আকাশ মালিক, আসলেই মন ভালো করা একটা ভিডিও। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
@আকাশ মালিক,
ভাই অনেক দেরী হয়ে গেলো আপনার লেখাটা পড়তে। আমি বেশ অসুস্থ ছিলাম, গরমে যা হয় আর কি।
অস্বাভাবিক ভালো লাগল অনেকদিন পরে আপনার হাতে এমন মাধুর্যময় লেখা পড়ে মন যারপর নাই ভাল হয়ে গেল। আরো এমন লেখা দেবেন আশা রাখি।
@আফরোজা আলম,
ধন্যবাদ, লেখাটি পড়ে আপনার মন্তব্য জানানোর জন্যে। দোজখের শ্বাসের সাথে গরমের সম্পর্ক সেটা নিশ্চয়ই আপনি জানেন। আল্লাহর মর্জি ইংল্যান্ডে এখনও প্রচুর বেহেশতি ঠান্ডা।
ছোটবেলায় এই সব মানুষদের খুব কাছ থেকে দেখেছি আমি। আমাদের বাড়ীর খুব কাছেই ছিলো তাতীপাড়া। তাতীপাড়ার একটা কোনে দশ বারো ঘর উভলিঙ্গ মানবের ছিলো বসতি। ঠিক তাদের পাশেই থাকতো আমার খেলার সাথীদের একজন টাকিবাবু। ওদের একতলা বাড়ীর ছাদে বসে বছরের পর বছর ধরে দেখেছি ওইসব মানুষের জীবন। কখনো গিয়েছি ওদের বস্তিতে; ভয় নিষেধ উপেক্ষা করে। নতুন করে মনে পড়ে গেলো। হয়ত কখনো লিখতে পারবো সেই সব অদ্ভূত অথচ অসহায় মানুষদের নিয়ে। মন ভার করা লেখাটা দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিলো। এই রকম লেখা আরো অনেক বার প্রকাশ করা দরকার (D)
মাকে নিয়ে হৃদয়ষ্পর্শি একটি লেখা উপহার দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। স্নেহময়ী মায়ের মৃত্যু স্মৃতিকে ধারন করতে একজন মানুষের চিন্তার জগত কিভাবে বদলে যেতে পারে আরজ আলীর ঘটনা তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ।
মা দিবসের চমৎকার একটি ব্যানারের জন্যে নিলীমকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অদ্ভুত এক সংমিশ্রণ আমাদের দেশের মানুষের মনোজগৎ। এই ভীষণ ভালো, আবার এই ভীষণ হিংস্র। এই রাস্তার একজন ভিক্ষুক কে ঘরে ডেকে খাবার দেয়া, এই নিজ সন্তানকে অস্বীকার করা… এই ধরণের লিখা অনেক দরকার।
তবে আমাদের দেশে তো শুধু নয়, পৃথিবীর সব দেশেই এ মানুষদের জীবনের প্রতিটি পদে লাঞ্ছনা।
কমন জেন্ডারের জন্য ধন্যবাদ। এমন চলচিত্র আরো তৈরী হওয়া উচিত।
(প্রাসঙ্গিক বলে) পাকিস্তানি মুভি বোল (BOL) যারা পারবেন তাদের দেখার জন্য বিশেষ অনুরোধ করছি। এখানে ইয়ুটুব হতে লিংক দিলাম। এর চাইতে ভালো প্রিন্ট আর খুঁজে পাইনি। আমার দেখা অনেক চলচিত্রের মাঝে অসাধারণ একটি চলচিত্র Khuda ke liye -এর নির্মাতা Shoaib Mansoor এর ২০১১ এর BOL.
এমন সাহসী ছবি আর মানসিকতার খুবই আকাল পড়েছে। দেশে দেশে এ চলচিত্র দেখানো দরকার। ‘কমন জ়েন্ডার” এর মতন না নর, না নারী কিন্তু শুধুই এই মানুষদের নিয়ে অনেক বেদনাময় বিষয় এখানে চলে এসেছে। অন্যান্য মারাত্নক যে বিষয় গুলো এসেছে সেদিকটা না গিয়ে শুধুই দেখতে অনুরোধ করছি।
http://youtu.be/H1ktgjU2PJU
@ছিন্ন পাতা,
হবে, মানুষ জাগছে, আরো প্রচুর লেখালেখি হবে, চলচিত্র তৈরী হবে। আমাদের সব চেয়ে বেশী প্রয়োজন সকল শিক্ষাঙ্গনে জীব বিজ্ঞান, বিবর্তনবাদ পড়ানো বাধ্যতামূলক করে নেয়া।
ভাল লাগলো লেখাটা। বিশেষ করে শেষ দিকে এলজিবিটি সন্তানের এক মার দুঃখ বেদনা আর সামাজিক অধিকারের ব্যাপারটা আপনি যেভাবে লেখায় তুলে এনেছেন, সেটা সত্যই চমৎকার, যদিও মুহম্মদের ব্যাপারটা অনেকটাই ধান ভানতে শীবের গীতের মতো মনে হয়েছে। তবে এটা আমার একেবারেই ব্যক্তিগত অভিমত। 🙂 আপনার লেখার বাকি অংশগুলো অবশ্য খুবই ভাল লেগেছে।
আমি ‘হিজড়া’ শব্দটা পছন্দ করি না। সম্ভবতঃ এত তাচ্ছিল্যভাবে আমাদের সমাজে ব্যবহার করা হয় যে খুব খারাপ লাগে। আমি আমার সমকামিতা বইটির কয়েকটি অধ্যায় জুড়ে এদের নিয়ে বিস্তৃতভাবে লিখেছি । বইটিতে অবশ্য ‘উভলিঙ্গ মানব’ এবং ‘রূপান্তরকামী’ শব্দদুটো ব্যবহার করছি, যখন যেটা প্রযোজ্য মনে করেছি সেভাবে।
আপনার কাছ থেকে এ ধরনের লেখা আরো আশা করছি ভবিষ্যতে।
@অভিজিৎ,
আমার কাছেও। এই লেখায় সেটা উল্লেখ করা মানাচ্ছেনা। আমিও চাইনা আলোচনাটা অন্যদিকে মোড় নিক। হয়তো ধর্মের চোখে Homosexuality আর Trans-sexuality নামে আলাদাভাবে তথ্য ও গবেষণামূলক একটি লেখা সাজালে ভাল হতো। তাই ঐ অংশটুকু বাদ দিয়ে দিলাম।
বেশ মর্মষ্পর্ষী লেখা। তবে মাকে স্মরন করার জন্য এক তারিখ ঠিক করে নিয়ম মেনে কিছু রিচ্যুয়াল পালন করতে হবে এই ধারনা কেন যেন ভাল লাগে না।
এই ধরনের দিবস মনে হয় তাদের জন্য বেশী দরকার যাদের নানান কারনে মা এর সাথে সম্পর্ক নিয়মিত নেই, আমার অন্তত তেমনই মনে হয়।
আকাশ মালিক,
আমার ভালো লাগেনি। খুব কষ্ট পেয়েছি, খুউব।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মা দিবসে এমন একটি হৃদয়স্পর্শী লিখা উপহার দেয়ার জন্য। মায়ের তুলনা শুধুই মা। আমার মা তার মাকে হারিয়েছিলেন তার ৫ বছর বয়সে, ৯ বছর বয়সে তার পিতাকে। মায়ের কাছে শুনেছি তার ছোটবেলার দু:সহ জীবনের কথা!
বিশ্বের সকল মাকে আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা! (F) (F)
কথায় কথায় অনেকেই এই হাদিসটা ঝেড়ে দেন। আমি আজ পর্যন্ত যত হাদিস ঘেঁটেছি, কিন্তু হুবুহু এই হাদিসটা এখনও দেখি নাই। হয়ত থাকতে পারে আমার না জানা কোন হদিসে। অনুগ্রহ করে এই হাদিসটার সূত্র দিলে খুব উপকৃত হ’ব।
মায়ের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে নবীজির গুটি কয়েক হাদিস আছে। তা সত্ত্বেও, উনি উনার মায়ের কবরে গেলেন, কিছু মন্ত্র-তন্ত্র জপলেন, সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন–হুজুর আপনি কি চাইলেন? নবী বললেন, আমি মাকে সম্মান দেখালাম, কিন্তু মাকে ক্ষম করা গেলনা।
কী অপরাধ করেছিলেন নবীর জননী?
কারণ, জননী আমিনা পোত্তলিকতাতেই মারা যান। এই-ই ছিল এই মাতার অপরাধ।
এই ভাবেই কী নবীজি মায়ের চরণতলে সন্তানের বেহেশত চাইলেন?
কী আশ্চর্য ব্যাপার–আজগুবি হাদিস দিয়ে মুসলমানদের কেমন করে ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে। নবিজীর প্রাণ এতই কঠিন ছিল যে নিজের মায়ের জন্যও তাঁর হৃদয় একটু বিচলিত হয়নি। আর সেই মায়ের পায়ের নীচে নবীজি বেহেশত খুঁজে পাবেন–এ কী বিশ্বাসযোগ্য।
ব্যাপারটা আমার কাছে এতই অবিশ্বাস্য যে মন্তব্য না করে পারলাম না।
@আবুল কাশেম,
ওটা নির্ভরযোগ্য কোন হাদিস নয় তবে এখানে আছে-
Mu’aawiyah Ibn Juhaymah relates: My father, Juhaymah, went to the Apostle of Allah and said, ‘I intend to go on Jihaad and have come to seek your advice.’ The Prophet asked him, ‘Is your mother alive?’ ‘Yes’ he replied. ‘Then stay with her and look after her needs. Your Heaven lies under her feet’ said the Prophet. (Ahmad, Nasa’ee)
তবে এখানে আমাদের মেসেইজটা হবে Homosexuality আর Trans-sexuality কোনটাই মানুষের ব্যক্তির পছন্দে নয় বরং প্রকৃতিগত ভাবেই তারা এভাবে জন্ম নেয়। সুতরাং এখানে তাদের বা তাদের গর্ভধারিণী মায়ের কোন দোষ হতে পারেনা এবং তারা অন্য সাধারণ মানুষের মত সকল নাগরিক সুযোগ সুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখে।
@আকাশ মালিক,
হাদিসের ব্যাপারটা অপ্রাসঙ্গিক ছিল–সত্যি। তবে যেহেতু এটা এসে গেছে–তাই লিখছি।
হাদিসের সূত্র দেবার জন্য ধন্যবাদ। হাদিস নম্বর দিলে আরও ভাল হত।
আমার কাছে যে ইংরাজি নাসাঈ আছে–তাতে এই হাদিস পেলাম না। হয়তো অন্য কোন নাসাঈ হতে পারে। আমি আবার যাচাই করব।
@আবুল কাশেম,
কাশেম ভাই, আপনি অনেক হাদিছ পড়েছেন। কোন একটি মাহফিলে একজন ইসলামিক পন্ডিতকে বিপুল জন সংখ্যার সম্মুখে নিম্মোক্ত হাদিছটি বর্নণা করতে শুনেছিলাম।
আপনি একটু বলতে পারবেন? এই হাদিছটি আদৌ কোন হাদিছে আছে কিনা,নাকী এটা একটি নিছক জনগনকে ধোকা দেওয়ার জন্য একটি বানানো গল্প।
হাদিছটি:
“একদা একজন বিধর্মী নবীজির নিকট আসিয়া জানতে চাহিল ,আপনি আল্লাহর প্রেরিত নবী তার কী প্রমান আপনার আছে?
তখন নবীজি তাকে জিজ্ঞাসা করিলেন তুমি কী ধরনের প্রমান চাও?
লোকটি তখন একটি বিরাট বৃক্ষ দেখাইয়া বলিল, আপনি তাহলে ঐ বৃক্ষটিকে আপনার নিকট চলে আসতে বলুন,আর ওটা আপনার নিকট চলে আসুক,,আর আমরা সেটা দেখি।
তখন নবীজি তাকে বল্লেন,যাও তুমিই বৃক্ষটির নিকট গিয়া বল, আল্লাহর নবী তোমাকে তার কাছে যাইতে বলেছেন।
লোকটি বৃক্ষটির নিকট গিয়া ঐ কথা কথা বলার সংগে সংগে বৃক্ষটি প্রচন্ড কট্ কট্ শব্দ করিয়া সমস্ত শিকড় সহ মাটির উপরে উঠতে আরম্ম্ভ করিল।
লোকটি ভয়ে দৌড়িয়া নবিজীর কাছে আসিয়া মুসলমান হয়ে গেল”
এধরনের কাহিনীর কী কোন সঠিক ইতিহাস বা সূত্র পাওয়া যাইবে?
আপনাকে একটু বিরক্ত করিলাম। মনে কিছু নিবেননা।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এই রচনা ‘মা’ দিবস নিয়ে। অনেকটা অপ্রাসঙ্গিক ভাবেই হাদিস এসে গেছে। এই রচনায় হদিস নিয়ে বেশী খুঁচাখুঁচির ইচ্ছে আমার নাই। তবুও আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়।
হাঁ, এই ধরণের হাদিস দেখা যায়–কাসায়েসুল কুবুরা গ্রন্থে, যার লেখক হচ্ছেন ইমাম সিয়ুতি।
এখানে এই ধরণের এক হাদিস দিলাম—
খণ্ড-১, পৃঃ ২২৩
ইবনে আবী শায়বা, আবূ ইয়ালা, দারেমী ও বায়হাকী হযরত আমা’শ, আবু সুফিয়ান ও আনাস (রাঃ) থে্কে রেওয়ায়েত করেন যে, জিবরাঈল (আঃ) রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে এলেন। তিনি তখন মক্কার বাইরে ছিলেন।
মক্কাবাসীরা তাঁকে রক্তাক্ত করে দিয়েছিল। জিবরাঈল (আঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, কি হয়েছে? তিনি বললেন, এরা আমাকে ক্ষতবক্ষত করেছে, একথা বলেছে এবং এমন করেছে।
জিবরাঈল বললেন, আপনি কোন নিদর্শন দেখতে চান? তিনি বলেন, হাঁ।
জিবরাঈল বললেন, এ বৃক্ষটিকে ডাকুন। রসূলুল্লাহ (সাঃ) ডাকলেন। বৃক্ষ মাটি চিরে চলে এল এবং তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে গেল। জিবরাঈল (আঃ) বললেন, একে ফিরে যেতে আদেশ করুন। তিনি বৃক্ষকে বললেন, স্বস্থানে ফিরে যাও। বৃক্ষ স্বস্থানে ফিরে গেল। হুযুর (সাঃ) বললেন, ব্যস, এটা আমার জন্যে যথেষ্ট।
আমি আমার মাকে কখনোই বলতে পারি না তাকে আমি ভালোবাসি। মায়ের সামনে গেলে কিভাবে জানি নিজেকে ৫ বছরের বাচ্চা মনে হয়, আর ওই বয়সের আচরণ করি !! আর এমনিতে আমি সর্বদাই বাতাসের আগে চলি।আমার বাবা-মাকে ছাড়া থাকতে হবে একদিন …আমি ভাবতেই পারি না।একমাত্র মা ই আমাকে বুঝতে পারেন, আমার মনের যে চিন্তাটি এখনি মনে আসে নি , তা ও উনি বুঝতে পারেন। নিজের সারাটা জীবন আমাদের জন্য উৎসর্গ করেছেন।আমাদের উন্নতি একমাত্র জীবনের লক্ষ করে বসে আছেন।
ধন্যবাদ লেখাটির জন্য।
@মোজাফফর হোসেন,
ধন্যবাদ আপনাকেও।
এই ঘটনাটি কখনো জানবার সুযোগ হয়নাই। এই প্রথম শুনিলাম। আরো একটু বিস্তারিত জানতে ইচ্ছা করছে। যদি জানাতেন।
আর তা ছাড়া, এই মাত্রইতো একটি মসজিদে একটি পোষ্টার দেখিলাম, এখানেই (নিউ ইয়র্কে)একটি নামকরা স্কুলে একটি বিরাট সীরাত মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বড় বড় ইসলামিক পন্ডিতরা সেখানে যোগদান করবেন।তাদের আলোচ্য বিষয় “মহানবীর দেওয়া জীবন ব্যবস্থা মানবজাতির জন্য সর্বোত্তম জীবন ব্যবস্থা”।
এদের বাড়াবাড়ি দেখলে মাঝে মাঝে শিহরিয়া উঠতে হয়,নাজানি আবার কখনি আলকায়েদা আত্মঘাতিরা আক্রমন করে বসে।
এই সব ইসলামিক পন্ডিতগন আলকায়েদাদের পূর্ণমাত্রায় সমর্থক। কী সুন্দর জীবন ব্যবস্থা ই না নবীজি দিয়ে গিয়েছেন!! ভাবতেই অবাক লাগে!!
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
সম্পূর্ণ ঘটনাটা হাদিসে বিস্তারিত সুস্পষ্ট ভাবে বর্ণীত আছে, তবে এখানে সে আলোচনায় যাচ্ছিনা, অন্য কোনদিন অন্য কোথাও। ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্যে।
লেখাটা পড়ে চোখের পাতা ভারী হয়ে উঠা। তারপর যা হয়, মনে হলো -এইটুকু দুঃখবোধ জাগিয়ে তোলা, দরকার। ‘কেনা-কাটার বাজারে’ বা ‘আনন্দময় এ পৃথিবীতে’ যেদিন এ কান্নাটুকুও থাকবে না, সেদিন হবে – মনুষ্যত্বের চিতা সাজানোর নাটকের শেষ পর্ব ।
শুধু আপনার লেখা নয়, নাটকের শেষ-দৃশ্য দেখেও কান্না পাচ্ছিল।
@স্বপন মাঝি,
ধন্যবাদ, লেখাটি পড়া ও মন্তব্যের জন্যে।
লিখুন ওদের জন্যে, জানিয়ে দিন জগতকে ওরাও যে মানুষ। মানুষের ভুল ভাঙ্গানোর দায়ীত্ব আপনার আমার আমাদের সকলের।
লেখাটা পড়তে পড়তে হটাৎ যেন সবকিছু ঝাপসা লাগতে লাগল তখন লক্ষ করলাম চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে , এত সুন্দর একটা লেখা উপহার দেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ (F)
@আস্তরিন,
তাহলে চলুন, আমরা সবাই ভোরের পাখি হয়ে যাই-
আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে
তোমার ছেলে উঠলে মাগো রাত পোহাবে তবে।
আমরা জাগি অন্যকেও জাগাই। আমরা যদি না লেখি, মানুষের ভুল ভাঙ্গাবে কে?