১৮৫৯ সালে বৃটিশ প্রকৃতিবিদ চার্লস ডারউইনের প্রায় বিশ বছরের গবেষণালব্ধ ফলাফলের উপর ভিত্তি করে লিখিত বই, ‘অন দ্য অরিজিন অফ স্পিসিজ’ এর মাধ্যমেই মূলত বিবর্তনের ধারণাটি মানুষের সংগৃহীত প্রাকৃতিক জ্ঞান ভাণ্ডারে প্রথমবারের মতো প্রবেশ করে। বিবর্তনের ধারণাটি আমাদের মাথায় পরিষ্কার হতে কেনো এতো দীর্ঘ সময় লাগলো? অরিজিন অফ স্পিসিজ প্রকাশেরও প্রায় দুইশ বছর আগে নিউটনের হাত ধরে, কিংবা যদি বলি আর্কিমিডিসের কথা, তাহলে প্রায় দুই হাজার বছর আগে মানুষের সংগৃহীত সেই প্রাকৃতিক জ্ঞান ভাণ্ডারে যে ধরনের পদার্থবিদ্যা, গণিতবিদ্যা সঞ্চিত হয়েছিলো, তার তুলনায় অনেক সহজ, বৈচিত্র্যময় বিবর্তনের ধারণাটি কেনো আমাদের অনুধাবন করতে এতো দেরি হলো? ডারউইন প্রথম যখন তার বন্ধু হাক্সলিকে ব্যাখ্যা করেছিলেন বিবর্তনের ধারণাটি, হাক্সলি সব শুনে অবাক হয়ে বলেছিলেন- “আমি কতবড় গাধা, এই ব্যাপারটা আগে চিন্তা করি নি !”? [১]

বিজ্ঞানের দার্শনিকরা কারণ হিসেবে অনেক কিছুর কথাই ভেবেছেন। হতে পারে, পৃথিবীতে টিকে থাকার সময়কালের প্রায় ৯৯ ভাগ সময় গুহাবাসী মস্তিষ্কের বিবর্তনের মতো একটি ধারণা গ্রহণের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হতে এতো দীর্ঘ সময় লেগেছে। হতে পারে, স্বল্প আয়ু নিয়ে পৃথিবীতে আসা মানুষ তার তুলনায় অকল্পনীয় এক সময়ের কথা ঠিকমতো ভাবতে পারেনি, বা ভাবার মতো সাহসী হতে পারেনি। হতে পারে চোখের মতো অঙ্গ, চারপাশের জটিল প্রাণ জগত আমাদের ভাবতে বাধ্য করেছে সবকিছুর পেছনের এক অলৌকিক মহা-পরিকল্পক সত্তার অস্তিত্বকে। বিংশ শতকের অন্যতম খ্যাতনামা জীব বিজ্ঞানী আর্নস্ট মায়র অবশ্য ভিন্ন এক কারণের কথা প্রায়ই বলেছেন এখানে, ওখানে। মায়রের কাছে এই সমস্যার মূলে রয়েছে প্রাচীন দর্শনের একটি ভাবধারা, বা ধারণা বা আইডিয়া- আধুনিক সভ্য মানুষের কাছে যার আধুনিক নাম ‘এসেনসিয়ালিজম’। স্রষ্টা প্লেটো। প্লেটোর ভাববাদী দর্শনের কালো হাতই টেনে ধরে রেখেছিলো বিবর্তন বিদ্যার দরজাকে এমনটাই মনে করতেন মায়র [২]।

প্লেটো, অন্তরে তিনিও ছিলেন একজন গণিতবিদ। প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক ইউক্লিডের মতো তিনিও প্রচার করেছেন, সমুদ্রের বালিতে আঙ্গুল দিয়ে আঁকা ত্রিভুজটি আসলে কোনো এক সত্যি ত্রিভুজের আবছা, এলোমেলো নির্যাস বা এসেন্স মাত্র। সত্যি ত্রিভুজের রেখা গুলো খাঁটি ইউক্লিডিয়ান রেখা, যাদের দৈর্ঘ্য আছে কেবল, কোনো প্রস্থ নেই, নেই সামান্যতম উচ্চতাও। সত্যি ত্রিভুজের তিনটি কোনের সমষ্টি সর্বদাই দুই সমকোণ অর্থাৎ ১৮০ ডিগ্রি, সামান্যতম কমবেশি ছাড়া। বালির মধ্যে আঁকা ত্রিভুজটির পক্ষে সত্যি ত্রিভুজের এই শর্তগুলো পূরণ কখনই সম্ভব হবেনা। বালিতে আঁকা ত্রিভুজ এক সত্য ত্রিভুজের নির্যাস ছাড়া কিছু নয়।

মায়রের মতে, জীববিজ্ঞানের চিন্তা ধারাও প্লেটোর এই ভাববাদের জীববিজ্ঞানীয় সংস্করণে বৃত্তবন্দী হয়ে ছিলো। জীববিজ্ঞানীরা মাত্র দেড়শ বছর আগেও খরগোশের অসংখ্য প্রজাতি দেখে ভাবতেন, এক অদৃশ্য সত্যি খরগোশের কথা, পৃথিবীর অসংখ্য প্রজাতির অসংখ্য খরগোশ যেই অদৃশ্য খরগোশের নির্যাস বা ছায়াসত্তা মাত্র। প্রাণের মাঝে এতো এতো বৈচিত্র্য, আবার একই সাথে এতো এতো সাদৃশ্য দেখেও তারা ভাবতে পারেন নি, এরা সবাই হয়তো একে অন্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত। তারা ভেবে নিয়েছেন প্রত্যেকেই আসলে আলাদা আলাদা সত্যি প্রাণীর ছায়া। যে প্রাণীগুলোকে সৃষ্টি করেছেন মহা-পরিকল্পক স্রষ্টা। চরমতম অ-বিবর্তনীয় দৃষ্টিভঙ্গি।

পদার্থবিদ এবং জনপ্রিয় বিজ্ঞান লেখক মিসিও কাকু মনে করেন, মানুষ জন্ম নেয় বিজ্ঞানী হয়েই [৩]। চারপাশের সবকিছুকে সে প্রশ্ন করে, সবকিছু জানতে চায়। এরপর বিদ্যালয়ে যাবার পরেই সমাজ তার প্রশ্ন করার আকাঙ্ক্ষাকে কবর দেবার প্রক্রিয়া শুরু করে। পাঠ্যপুস্তকে ভূগোল পড়াতে গিয়ে একগাদা খনিজ পদার্থের নাম মুখস্থ করানো হয়, শেখানো হয়না, কন্টিনেন্টাল ড্রিফটের মতো বিজ্ঞান যার উপরই দাঁড়িয়ে আছে ভূগোল বিদ্যা। এভাবে ধীরে ধীরে প্রশ্ন করা ভুলিয়ে আমাদের মুখস্থ বিদ্যা আত্মস্থ করানো হয়। আমাদের কাছে বিজ্ঞান আবির্ভূত হয় চেতনাহীন আইপড হিসেবে, কিংবা এক গাদা রাসায়নিক বিক্রিয়া অথবা অংকের সূত্রে মাধ্যমে।

সমাজের চাপে আমাদের আইনস্টাইনীয় গুন খুব সহজেই গুম হয়ে যায়, আমরা হয়ে যাই সাধারণ মানুষ। আমরা প্রশ্ন করা ভুলে যাই, আমরা সত্য অন্বেষণ ভুলে যাই, আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া কেমন হওয়া উচিত সেটা ভুলে যাই, আমরা প্রমাণ ছাড়া কোনো কিছু বিশ্বাস না করার কথাও ভুলে যাই। আমরা একগাদা গল্প আর নিয়মের বেড়াজালে আটকা পড়ে চিন্তাহীন দিন কাটাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি। ভাগ্যিস বিজ্ঞান নামে একটি প্রতিষ্ঠান আমরা মানুষেরা সৃষ্টি করতে পেরেছি। বিজ্ঞানের আওতাভুক্ত হওয়া খুব কঠিন। এখানে গণতন্ত্র চলেনা, চলেনা আবেগ, চলেনা ঘুষ আদান প্রদান। প্রমাণিত প্রাকৃতিক জ্ঞান, প্রাকৃতিক সূত্র, প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যই বিজ্ঞান।

বিবর্তন বিদ্যা প্রস্তাবনার পর সামান্য কিছু সময় জীববিজ্ঞানীরা বিভ্রান্ত ছিলেন, ডারউইন নিজেও বিবর্তনকে একটি হাইপোথিসিস হিসেবেই প্রস্তাব করেছিলেন, কারণ তার হাতেও এখনকার মতো পর্বতসম প্রমাণ ছিলোনা। কিন্তু অত্যন্ত অল্প সময়ের মাঝেই অসংখ্য আবিষ্কার বিবর্তনকে আজকে বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ শাখা অর্থাৎ তত্ত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেই ক্ষান্ত হয়নি, ঘোষণা করেছে আমাদের এখন পর্যন্ত আহরিত জ্ঞানের বিবেচনায়, আমাদের বাস্তবতা বিবেচনায় সকল সন্দেহের ঊর্ধ্বে থাকা বাস্তবতা [৪]। বিজ্ঞানের চোখে বিবর্তন গাছ থেকে আপেল পড়ার মতো বাস্তবতা। জীববিজ্ঞান এবং এই সংক্রান্ত আরও অসংখ্য প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের শাখা যেমন জেনেটিক্স, ফসিলবিদ্যা, অণুজীববিজ্ঞান সব বিষয়ের ভিত্তি বিবর্তন এবং এর বিবর্তনের কারণ ‘প্রাকৃতিক নির্বাচন’ তত্ত্ব [৫]।

বিজ্ঞানে খুব দ্রুত অধিষ্ঠিত হলেও সাধারণ মানুষের কাছে বিবর্তন আজও ব্রাত্য। পাঠপুস্তকে সংযুক্ত হয়না বিবর্তন এখনো বিশ্বের অনেক দেশেই। এর পেছনে মূল কারণ হিসেবে সাধারণ মানুষের মাঝে বিজ্ঞানের চেতনাগত উপলব্ধির অনুপস্থিতিকেই দায়ী করা যায়। আমরা মানুষেরা কোনো বিষয়ের প্রমাণ খোঁজার সময় আমাদের পূর্বে ধারণকৃত অবস্থানকে সমর্থন করে এমন প্রমাণই খুঁজে বেড়াই, আমাদের ধারণকৃত ধারণাকে বাতিল করবে এমন কিছুর সন্ধান না করে [৬]। প্রকৃতিতে আমরা কেবল আমাদের ধারণার সত্যতা খুঁজে বেড়াই। আর এ কারণেই খ্রিস্টানরা চিজের গায়ে যীশুর প্রতিকৃতি দেখে, হিন্দুরা পুকুর ঘাটের শ্যাওলায় দেখে শীতলার পায়ের ছাপ, মুসলমানেরা রুটি কিংবা মাছের গায়ে খুঁজে পায় আল্লাহকে [৭]। বিবর্তন তত্ত্বের থেকে অনেক গুন জটিল, এবং সাধারণ জ্ঞানে চিন্তার সীমারেখার বাইরের বিজ্ঞান কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে মানুষ চিন্তিত না থাকলেও, না জেনে না বুঝে বিবর্তনের বিরোধীতা করতে আগ্রহী। আজ আমরা ধর্মীয় সৃষ্টিগল্পের ধারণা বদলাতে অপারগ, আমরা নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু দেখতে অপারগ, মানুষ হিসেবে আমরা এখনও কতো দুর্বল মানসিকতার। আমরা চিন্তা করতে চাইনা- আমাদের উদ্দেশ্যে জগতের সকল পশুপাখির সৃষ্টি করা হয়নি, আমাদের সেবার করার জন্য তো নাই। আমরা সৃষ্টির সেরা এ ধারণাটি অত্যন্ত স্থূল একটি ভাবনা যে ভাবনা ত্যাগ করে আমরা এখনও স্বীকার করতে পারিনি প্রাণী জগতে আমরা সবাই একে অন্যের আত্মীয়।

সমাজে বিবর্তন আজও তাই সীমাহীন বিতর্কের জনক এক বিষয়ের নাম। সমাজে এখনও তর্ক হচ্ছে বিবর্তন তত্ত্ব নাকি হাইপোথিসিস এই বিষয়ে অপরদিকে বিবর্তন বিদ্যাকে ব্যবহার করে একের পর ওষুধ তৈরি করছে বিজ্ঞান, নেকড়েকে ব্রিডিং করে করে কৃত্রিম নির্বাচন প্রক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে কুকুর। বিবর্তন একমাত্র বিষয়, যে বিষয় সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা না থাকা সত্ত্বেও মানুষ নিজের মতামত প্রকাশ করতে দ্বিধাবোধ করেনা। বিবর্তন আজ সমাজে তাই জন্ম দিয়েছে অসংখ্য প্রশ্নের, বিবর্তন আসলেই পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব নাকি? বিবর্তন তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্রকে লঙ্ঘন করে নাকি, বিবর্তনের পক্ষে সাক্ষ্য প্রমাণ কী, চোখের মতো এতো জটিল একটি জিনিস কেমন করে বিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়া সম্ভব ইত্যাদি, ইত্যাদি।

এমন একটা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মাঝে বিবর্তন জনপ্রিয় করার জন্য এই প্রশ্নগুলোর যথাযথ উত্তর প্রদান করাটাই সবচেয়ে ভালো সমাধান। সত্যি বলতে, এই প্রশ্নগুলো কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষের দ্বারা সৃষ্টি, মানুষকে দ্বিধাগ্রস্ত করে ধর্মের বলয়ে বেঁধে রাখার জন্য। তারপরও অনেকেই আগ্রহী হয়ে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজেন। সে আগ্রহের তৃষ্ণা মেটাতে পারলে তিনি হয়তো আরও গভীরভাবে বিবর্তনকে জানার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠবেন। বলা যায়না, হয়তো অচিরেই চিনতে শিখবেন নিজের অতীতকে, মহাজগতে নিজের সত্যিকার অবস্থানকে।

কাঠগড়ায় বিবর্তনের অবতারণা সে জন্যই। বছর আগে বন্যা আহমেদের ডাকে সাড়া দিয়ে বিবর্তন আর্কাইভের কাজ শুরু হয় [৮],[৯]। যেখানে বাস্তবে এবং ইন্টারনেটে খুঁজে পাওয়া দীর্ঘ এক প্রশ্ন তালিকা তৈরি করে উত্তর লেখার কাজ শুরু হয়। সংক্ষেপে এবং যথাযথ তথ্যসূত্র উল্লেখ করে অল্প কিছু প্রশ্ন ছাড়া অনেক প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই সংযোজিত হয়ে গিয়েছে অভিজিৎ রায়, বন্যা আহমেদ , পৃথ্বী সহ আরও কয়েকজন অনিয়মিত প্রদায়কদের হাত ধরে। এই প্রজেক্টটি আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে মুক্তমনার পক্ষ থেকে এবার আমরা “কাঠগড়ায় বিবর্তন” নামে একটি বই প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছি আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে বিবর্তনকে পৌঁছাবার সুযোগ তৈরি করার জন্য। এখানে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো নিয়ে আরেকটু দীর্ঘ আলোচনা থাকবে, থাকবে প্রাসঙ্গিক তথ্যসূত্র, থাকবে বিবর্তন সম্পর্কে নাতি-দীর্ঘ একটি আলোচনা।

মুক্তমনা পাঠকদের সমীপে এখন থেকে কিছু প্রশ্নোত্তর নিয়মিত ব্লগাকারে পোস্ট করা হবে। উদ্দেশ্য দুইটি। এক. পাঠকের সাথে সেগুলোকে কিভাবে আরও ধারালো, আরও যুক্তিসঙ্গত, আরও প্রাসঙ্গিক করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা সুযোগ নেওয়া। দুই. ফেসবুকের মতো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রশ্নগুলোর উত্তর যতোটা সম্ভব ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা। চোখ রাখুন মুক্তমনায় 🙂

যুক্তির মিছিলে বাজুক মুক্তির গান।

তথ্যসূত্রঃ
১। “How extremely stupid for me not to have thought of that!” (Thomas Huxley’s first reflection after mastering, in 1859, the central idea of Darwin’s Origin of Species)
২। Richard Dawkins, The Greatest Show on Earth: The Evidence For Evolution, Page: 21, Simon & Schuster, 2009.
৩। All Kids are born geniuses,but are crushed by society itself – Michio Kaku. http://www.youtube.com/watch?v=LelNYqVEOZQ&feature=youtu.be
৪। Jerry A. Coyne, Why Evolution is True?, Viking Adult, 2009
৫। Theodosius Dobzhansky, “Biology, Molecular and Organismic”, American Zoologist, volume 4 (1964), pp 443-452. The phrase appears on page 449 as “nothing makes sense in biology except in the light of evolution, sub specie evolutionis.”
৬। Lewis Wolpert, Six Impossible Things Before Breakfast: The Evolutionary Origins of Belief, W. W. Norton & Company, 2007.
৭। Michael Shermer,Why People Believe Weird Things : Pseudoscience, Superstition, and Other Confusions of Our Time, W.H. Freeman & Company, 1998
৮। বিবর্তন নিয়ে প্রশ্নগুলো- বন্যা আহমেদ, মুক্তমনা বাংলা ব্লগ, এপ্রিল, ২০১০। লিংক https://blog.mukto-mona.com/?p=6811
৯। মুক্তমনা বিবর্তন আর্কাইভ- http://mukto-mona.com/evolution/