(বড়দের কল্যানে ছোটবেলা ছেলেধরার ভয়ে ভীত ছিলাম কিছুদিন। অনেক বছর পেরিয়ে ছেলেধরার বদলে দেখা পেলাম অল্প কয়েকটা আলোধরার। কল্যানে মুক্তমনে যারা আলো ধরে আর আমদের দিয়ে যায় এক একটি আলোর ইট; তাদেরকে ভালবেসে আর পথভোলাদের বাতিঘরের জন্য …………বাতিঘর)
আলো জ্বেলে হাইপেশিয়া জ্বলে;
পাদ্রী মোল্লার স্বার্থপর গনিতে।
জাতিভাগে কাটে দাগ মৌ-লোভী
অবিরাম মারে নিরীহ মানুষ।
চেতনাতে তৃপ্ত মগজধোপা বাপমা
স্বর্গবীমা কিনে বেচে বিশ্বাসে।
পাল্টে চলে সভ্যতার সংজ্ঞা;
অসভ্য সভ্যতা অসভ্য রেখে।
তবু বাঁচে কয়েকটা আলোধরা;
একাগ্র কৌতূহল দিয়ে উপহার।
আমাদের শক্তি তুমি আমি
চলো বাতিঘর বুনি যতনে।
সব বাতিঘর একে একে নিভে গেছে
আবার কখন কে জ্বালাবে কে জানে?
হয়ত কেউ এক হাইপেশিয়া
হয়তবা এক ব্রুনো
জ্বালাবে কি আবার বাতি?
অন্ধকারে নিমজ্জিত এক জাতি
বাতিঘরের নীচে বাস করে আলো দেখে না
দিশে হারা পথ হারা…
@সপ্তক,
সেকি কথা, ওটা নিভে গেলে আপনি আমি পথ চিনে এখানে এলাম কি করে? যারা পথ হারাচ্ছে তাদেরকে পথ দেখিয়ে আশ্রয় দেবার জন্যই তো বাতিঘর। হতাশ হবার কিচ্ছু নেই
মজার ব্যাপার হোল, ক দিন আগে টেকি সাফির ‘একলা আমি’ লেখাটার হতাশাবিরুদ্ধ মন্তব্যে এই কবিতাটার মুল লেখাটা এসে গিয়েছিলো।
সাধু! সাধু!
মগজধোপা, স্বর্গবীমা, আলোধরা কবিতার মধ্যে এমন সব শব্দের উপস্থিতি, দেখে চোখ থেমে যায়। খুব ভাল লাগে কবিতার মধ্যে শব্দ নিয়ে খেলা, আর খেলা করতে করতেই কবি আমাদেরকে নিয়ে গেলেন
চমৎকার।
@স্বপন মাঝি,
মগজধোপা, স্বর্গবীমা, আলোধরা শব্দগুলি সত্যিই একটু ভেবে বসিয়েছি। আপনার চোখ এড়ায়নি দেখে খুশী লাগলো।
বাবা মা কিংবা বড়রা শিশুকালেই একটি শিশুকে সৃষ্টি, সৃষ্টিকর্তা, ধর্ম ইত্যাদি বিষয়ে আপন ধারণাগুলো জোর করে চাপিয়ে দেয়। একটি শিশুকে ধর্মের মগজ ধোলাই দিয়ে ছেড়ে দেয়। তাই ওদের নাম দিয়েছি ‘মগজধোপা’। এই শব্দটা প্রচার পেলে বড়ই সূখী হব।
এই পৃথিবীর সব মুক্তমনারাই মগজধোলাই অবস্থার বাইরে বলে মনে করি। তাদের জ্ঞান বাকীদের আলো দেয়। ওরা জ্ঞানের আলো মন খুলে ধরে আর বিলি করে বাকিদের। তাই ওরা আলোধরা।
(D)
বা! বেশ চমৎকার কথা বলেছেন তো। (F)
@রাজেশ তালুকদার,
আইচ্ছা, থাঙ্কু থাঙ্কু, বুইড়া আঙ্গুল না দেহানির জন্য থাঙ্কু (D)
(F)
@সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড,
ধন্যবাদ এবং (F)
“আমাদের শক্তি তুমি আমি
চলো বাতিঘর বুনি যতনে।”
আপনার আহ্বানে বলতে ইচ্ছে করেঃ
“আমি অধম অন্ধ-কানা
ছুটছি আলোর পানে বাতিঘরে।
প্রবেশদ্বারে বন্ধু, কে তুমি দাড়িয়ে ?
দাওনা ওগো, ঢুকতে আমারে……।।”
কবিতাটি অসাধারন, খুব ভাল লেগেছে।
@শামিম মিঠু,
প্রবেশদ্বারে বন্ধু চিনলে আর দেরী কেন; নিঃসঙ্কোচে ঢুকে পড়ুন। আমরা অপেক্ষায়।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। দেরীতে উত্তর দেবার জন্য দুঃখিত।
হ্যাঁ বাতিঘরই সন্ধান দেবে সত্যের।
@তামান্না ঝুমু,
সেই, থেমে যাওয়া চলবেই না। আমরা যেন আমরা থাকি (D)
বেশ ভালো লাগল।
@আফরোজা আলম,
অনেক ধন্যবাদ।
বাতিঘর বুনন অব্যাহত থাকুক।
@গীতা দাস,
অব্যাহত থাকবেই, আমরা একে একে অনেক হব (F)