গত চব্বিশে ফেব্রুয়ারির প্রথম আলোর ভেতরের পাতায় ছোট্ট পরিসরে একটা খবরের প্রতি অনেকের চোখ পড়েছে আশা করি। বাংলাদেশের মত ‘কাজ কম কথা বেশি’র দেশে এরকম খবর খুব একটা সুলভ নয়। সাংবাদিক ফয়েজ আহমদের দান করা দুই চোখের দুই কর্নিয়া দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছে দুই অন্ধ যুবককে। ২৯ বছর বয়সী সফ্টওয়ার ইঞ্জিনিয়ার তাজহারুল ইসলাম ও ২৫ বছর বয়সী ডাক্তার মোঃ সাইফুল ইসলাম এখন দেখতে পাচ্ছেন। তাঁদের চোখে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে ফয়েজ আহমদের কর্নিয়া। দশ বছর আগে সন্ধানীর আন্তর্জাতিক চক্ষু ব্যাংকে মৃত্যুর পর চোখ দান করার অঙ্গীকার করেছিলেন ফয়েজ আহমদ। নিজের শরীরটাও দান করে গেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের কাজে লাগবে বলে। একজন মুক্তচিন্তার মানুষ মৃত্যুর পরেও এভাবেই কাজে লাগে মানুষের। এখানেই সত্যিকারের ‘মানুষ মানুষের জন্য’।
‘মধ্যরাতের অশ্বারোহী’ নামে খ্যাত সাংবাদিক ফয়েজ আহমদ মারা গেছেন ২০শে ফেব্রুয়ারি ভোর বেলা। ১৯২৮ সালের ২রা মে থেকে ২০১২ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি – চুরাশি বছরের নিরলস সংগ্রামী জীবন তাঁর। ছড়াকার, সাহিত্যিক, সংগঠক, রাজনৈতিক কর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব – সর্বোপরি একজন বিশাল মাপের মানুষ ফয়েজ আহমদ ছিলেন দেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক জগতের ‘বটবৃক্ষ’।
১৯২৮ সালের ২রা মে বিক্রমপুরের বাসাইলডোগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফয়েজ আহমদ। তাঁর বাবা মোস্তফা চৌধুরি ছিলেন ব্রিটিশ সরকারের পুলিশ অফিসার। ছোটবেলা থেকেই সত্যিকারের মানুষ হবার শিক্ষা পেয়েছেন ফয়েজ আহমদ। ষোলঘর উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা কালিন শ্রীনগরের রাজা শ্রীনাথ হাসপাতালের প্রখ্যাত ডাক্তার এম এন নন্দীর সংস্পর্শে আসেন তিনি। ডাক্তার নন্দী ছিলেন ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য। তাঁর কাছ থেকে সমাজতন্ত্র ও মানুষের মুক্তির আদর্শে অনুপ্রেরণা পান ফয়েজ আহমদ। মার্কসবাদের প্রতি আকৃষ্ট হন তখন থেকেই।
ব্রিটিশ আমলে তরুণ বয়সেই অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে বাড়ি থেকে পালিয়ে কুর্মিটোলায় এসে ব্রিটিশ এয়ারফোর্সে যোগ দিয়েছিলেন ফয়েজ আহমদ। তারপর ১৯৪৭ থেকে বাংলার মাটিতে যত গণসংগ্রাম ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন হয়েছে – ফয়েজ আহমদ তার সবগুলোর সাথেই যুক্ত ছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। ১৯৪৮ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেন। তারপর একে একে ইত্তেফাক, সংবাদ, আজাদ, পূর্বদেশ ও ইনসাফ-এ কাজ করেন। পাকিস্তান সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ১৯৫০ সালে দিল্লি সাহিত্য সম্মেলনে যোগ দেন। সেই বছর তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ‘হুল্লোড়’। কমিউনিস্ট পার্টির পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার আগেই পার্টির নির্দেশে ১৯৫৪ সালে বিনা পাসপোর্টে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত যুব সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। বামপন্থী আন্দোলনে সক্রিয়তার অপরাধে জেলে যেতে হয় তাঁকে। জেলে বসে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ পান ১৯৬০ সালে। কমিউনিস্ট পার্টির আজীবন সদস্য ছিলেন তিনি।
১৯৬৬ সালে বেইজিং রেডিওতে বাংলা অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয় তাঁর উদ্যোগে। ১৯৬৮-৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ওপর তাঁর ধারাবাহিক প্রতিবেদন সারাদেশে ঝড় তোলে। ১৯৭০ সালে তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক স্বরাজ। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের পাশাপাশি যুদ্ধ করার কৌশলও প্রচার করতো।
মুক্তিযূদ্ধের শুরুতে প্রেসক্লাবে পাকিস্তানিদের গুলিতে আহত হন তিনি। পরে মুজিবনগরে চলে যান তিনি। স্বাধীন বাংলা বেতারে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের রাজনৈতিক যৌক্তিকতা তুলে ধরতেন তিনি তাঁর নিয়মিত প্রতিবেদনে। স্বাধীনতার পর তাঁর নেতৃত্বে গঠিত হয় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)। তিনি ছিলেন বাসস’র প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান সম্পাদক।
স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার পক্ষে বিরাট ভূমিকা রেখেছেন ফয়েজ আহমদ। ১৯৮৩ সালে হো মো এরশাদ ঘোষণা করলেন শহীদ মিনারে ফুল দেয়া ও আলপনা আঁকা ‘বেদাত কাজ’। প্রতিবাদে ফয়েজ আহমদের নেতৃত্বে গঠিত হলো সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। দীর্ঘদিন তিনি সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। লেখক শিল্পী সাংবাদিক সংস্কৃতিসেবীদের সম্মিলিত পদক্ষেপের কারণে ক্ষমতায় থাকাকালীন এরশাদ কখনোই শহীদ মিনারে যেতে পারেন নি। জাতীয় প্রেস ক্লাবেও প্রবেশ করতে পারেন নি এরশাদ। এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার করার লক্ষ্যে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মধ্যে বৈঠক ও যুক্ত ঘোষণা সম্ভব হয়েছিল ফয়েজ আহমদের প্রচেষ্টায়। এর জন্য হুলিয়া জারি হয়েছিল ফয়েজ আহমদের নামে। তাঁকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন এরশাদ সরকার।
কবি হিসেবে নিজেকে জাহির করার জন্য এরশাদ রাষ্ট্রীয় খরচে কবি সম্মেলন ও বঙ্গভবনে কবিতা পাঠের আসর বসালেন। প্রগতিশীল কবিরা প্রত্যাখ্যান করেন এরশাদের কবি-সম্মেলন। ১৯৮৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে এরশাদের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে শামসুর রাহমানের নেতৃত্বে গঠিত হলো জাতীয় কবিতা পরিষদ। এরও প্রাণপুরুষ ছিলেন ফয়েজ আহমদ। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর জাতীয় কবিতা উৎসবের আহ্বায়ক ছিলেন ফয়েজ আহমদ।
এরশাদের পতনের পর ১৯৯২ সালে জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন ফয়েজ আহমদ। গোলাম আজমের বিচারের দাবিতে ১৯৯২ সালের ২৬শে মার্চ যে গণ আদালত গঠিত হয়েছিল তার অন্যতম বিচারক ছিলেন ফয়েজ আহমদ। এর জন্য বিএনপি সরকার ফয়েজ আহমদের বিরুদ্ধেও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেছিল।
শিশুদের জন্য একটা সুন্দর সমাজ গঠনের লক্ষ্যে শিশুদের উপযোগী বই লিখতে শুরু করেন তিনি। শিশুকিশোরদের জন্য লেখা তাঁর বইয়ের সংখ্যা ৬০। সাংবাদিক জীবনের কাহিনি নিয়ে লেখা তাঁর বিখ্যাত ট্রিলজি ‘মধ্যরাতের অশ্বারোহী’, ‘সত্যবাবু মারা গেছেন’ ও ‘নগরে নন্দিনী’। ছড়া, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ মিলিয়ে শতাধিক বই লিখেছেন তিনি। জীবদ্দশায় তাঁর কাজের স্বীকৃতিও তিনি পেয়েছেন অনেক। পেয়েছেন একুশে পদক, বাংলা একাডেমী পুরষ্কার, শিশু একাডেমী পুরষ্কার সহ আরো অনেক পুরষ্কার। তাঁর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ধানমন্ডির শিল্পাঙ্গন গ্যালারি।
চিরকুমার ফয়েজ আহমদ ব্যক্তিগত সুখের কথা ভাবেন নি কখনো। সারাজীবন মানুষের জন্য গঠনমূলক কাজে ব্যস্ত থেকেছেন। জীবনের শেষের দিকে দীর্ঘদিন হৃদরোগ ও চোখের গ্লুকোমায় ভুগছিলেন। চিকিৎসার খরচ চালাতে কষ্ট হয়েছে। ধানমন্ডির যে বাসায় থাকতেন – সেখানে বাড়িওয়ালা তার ভাড়া বাড়ানোর নোটিশ দিয়েছিলেন। ফয়েজ আহমদ কম ভাড়ার বাসা খুঁজতে শুরু করেছিলেন মৃত্যুর কিছুদিন আগে। এই মানুষটির নিজের একটা বাড়িও ছিল না।
তাঁর শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী মৃতদেহ ঢেকে রাখা হয়েছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা দিয়ে। পাশে রাখা হয়েছিল মার্ক্স ও এঙ্গেল্স এর বই ও কমিউনিস্ট পার্টির মেনিফেস্টো। সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করার জন্য চিরদিন সংগ্রাম করে গেছেন যিনি – মৃত্যুর পরেও মানুষেরই কাজে লাগিয়েছেন নিজের শরীর। চোখ দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন দু’জন মানুষের দৃষ্টি। তাঁর চেয়ে মুক্তমনা মানুষ আমরা আর কোথায় পাবো?
ফয়েজ আহমদের জীবন থেকে আমরা যদি সামান্য শিক্ষাও নিই – তাহলে কিছুটা ভালো কাজ তো হয়। মৃত্যুর পরে আমাদের চোখও তো কাজে লাগতে পারে অন্য কোন মানুষের যারা দেখতে পান না!
:candle:
তার মৃত্যুর কয়েক দিন পরে, দেশ টিভি পূর্বে নেয়া একাটা সাক্ষাতকার প্রচার করে। আসাদুজ্জামান নূর নেয় ঐ সাক্ষাতকারটি।
লেখাটি পড়ে খুবই ভাল লাগলো।
@ফরিদভাই, অনেক ধন্যবাদ এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি জানানোর জন্য। ফয়েজ আহমদের মত মানুষদের প্রচার এত কম হয় যে অনেকেই তাঁদের সাহসিকতার কথা জানতেও পারেন না।
মনে করিয়ে দিয়ে ভালো করেছেন। আমার যে ঘুমানোর সময় হয়ে গেছে তা মনেই ছিল না 🙂
হোমো এরশাদ যখন মসনদ দখল করে তখন তিনি বাংলা একাডেমীর কাউন্সিল সদস্য হিসাবে নির্বাচিত। সামরিক শাসনের প্রতিবাদে সেই পদ থেক তিনি পদত্যাগ করেন। খুব কম লোকই সে সময় সেনা শাসনের একেবারে শুরুর দিকে সততার সাথে এ ধরনের সাহসিকতা দেখাতে পেরেছেন।
প্রদীপ দেবকে মুক্তমনায় ইদানিং সক্রিয় দেখে খুবই ভালো লাগছে। শীতনিদ্রায় যাইয়েন না প্লিজ। 🙂
আমার খুব প্রিয় আর অসম্ভব সাহসী একজন মানুষের জন্য (F)
ফয়েজ আহমদের মত এমন মুক্তবুদ্ধির মানুষ আমাদের দেশে খুব বেশি জন্মগ্রহণ করেনি | তাঁর প্রতি সব সময়ই আমার লাল সালাম | আপনার লিখায় তাঁর জীবনের বিশেষ দিকগুলো তুলে ধরার জন্য আপনি গ্রহণ করুন আমার আন্তরিক অভিনন্দন |
@অমল রায়, অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও।
(Y)
প্রদীপদা কে ধন্যবাদ।
আমাদের মরণোত্তর চক্ষুদান
@সৈকত চৌধুরী, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মুক্তমনা তরুণদের চোখ দান করার পোস্টটির কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য। অনন্তদের মত তরুণরা যে দেশে আছে সে দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা তো যায়-ই।
@প্রদীপ দেব,
দাদা, বড্ড লজ্জায় ফেলে দিলেন! 🙂
২০০৮ সালের শেষের দিকে আমরা নয়জন বন্ধু, বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের কর্মী, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের সন্ধানী অফিসে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেছি। এই অঙ্গীকারে আরো বেশ কয়েকজন বন্ধু ও পরিচিত যোগ দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু শেষ মুহূর্তে তারা আসতে পারেন নি। যাই হোক, মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমাদের এই নয়জনের মধ্যে কেউ কেউ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে বিষয়টি গোপন করে সন্ধানীর মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার ফরম পূরণ করেছে। কারণ তারা জানতো রক্ষণশীল পরিবারের সদস্যদের কাছে চক্ষুদানের বিষয়টি জানাজানি হলে অনুমতি তো দিতেনই না বরং হৈচৈ বাধিয়ে দিতেন! :guli:
আর আমাদের অনেকের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মরণোত্তর দেহদানের বিষয়টি এখনো সমাপ্ত করতে পারে নি। এই কাজটি সন্ধানী পরিচালনা করে না। যতদূর জানি দেহদানের গোটা বিষয়টি, অফিসিয়াল ফর্মালিটি পরিচালনা করে মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগ। কিন্তু আমাদের এখানকার ওসমানী মেডিকেল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। তারা কোনো সঠিক ইনফরমেশন দিতে পারে নাই। এরপর মেডিকেল রেজিস্ট্রার, জেলাপ্রশাসকের অফিস, নোটারি পাবলিক উকিলের কাছে দৌঁড়িয়েছি একাধিকবার।
প্রতিবারই দারুন মজার সব অভিজ্ঞতা হয়েছে আমাদের! দেহদান করতে চাই একথা শুনেই কেউ কেউ এমন চমকানো চমকাইছে যে আমরা নিজেরাই চমকে গেলাম মারাত্মক কোনো ভুল করে ফেললাম কিনা!? :-s
আবার কেউবা শোনা মাত্রই জিজ্ঞেস করতো আপনারা কোন ধর্মের? 😕 তারপর নসিহত করতো মুসলমান হয়ে এমন কাজ করা ঠিক না যার জন্য বেহেস্ত যেতে পারবো না!? 😀 :hahahee:
ফয়েজ আহমেদ হোক আমাদের সকল সময়ের প্রেরণা……..চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
@মাহমুদ মিটুল, অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও।
অস্ট্রেলিয়ায় অর্গান ডুনেশনে মেডিকেয়ার আমাকে একটি কার্ড দিয়েছে, যা আমি সব সময় সাথে রাখি।
বাংলাদেশে থাকতে সন্ধানীতে একটি ফরম পূরণ করে আমার অর্গান ডুনেশনে নিবন্ধন করেছিলাম। কিন্তু যতটুকু মনে পড়ে তারা কোন কার্ড বা আই ডি দেয়নি, যাতে মারা গেলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে। অর্গান ডুনেশনের ব্যাপারে বাংলাদেশে সরকারিভাবে কোন প্রতিষ্ঠান আছে কি?
@হেলাল, বাংলাদেশে সন্ধানী এ ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছে। তারা শুধু চোখ নিয়ে কাজ করছে আপাতত। অর্গান ডোনেশান এখনো সেভাবে গড়ে ওঠেনি। কিডনি দেয়ার যে আইন আছে তাতে বলা হচ্ছে শুধু আত্মীয়স্বজন কিডনি দান করতে পারবেন।
ফয়েজ আহমদের জন্য শ্রদ্ধা।
:candle:
মনে পড়ে, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট লেভেলের ১ম কিংবা ২য় সেমিস্টারে এক সহপাঠী মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকারের ব্যাপারে সন্ধানীর কিছু ফরম এনেছিল ক্লাসে। মহা-উৎসাহে পূরণ করেছিলাম। কিন্তু আমি এখনো ঠিক জানিনা তারা কীভাবে তা সংগ্রহ করবে। মৃত্যুর খবর কোন্ জায়গায় কীভাবে জানাতে হবে? কেউ এ ব্যাপারে কিছু জেনে থাকলে জানাবেন, খুশি হবো।
@প্রতিফলন, এখন সন্ধানীতে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার অনলাইনেও করা যায়। মৃত্যুর ছয় ঘন্টার মধ্যে চোখ সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা করতে হয়। এ ব্যাপারে সন্ধানীর ওয়েব-সাইটে বিস্তারিত তথ্য দেয়া আছে। ওয়েব সাইট এখানে।
@প্রতিফলন,
সন্ধানীতে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার কোনো ব্যক্তি করে গেলে তাঁর মৃত্যুর পর নিকটস্থ হাসপাতালের সন্ধানী কেন্দ্রে যতদ্রুত সম্ভব অবহিত করা দরকার। সন্ধানী তখন টিম পাঠিয়ে মৃত ব্যক্তির চোখ থেকে কর্নিয়া সংগ্রহ করে নেয়। আর এই অবহিতকরণের কাজটি একমাত্র করতে পারেন মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা। সন্ধানীতে এমন অনেক ব্যক্তিই চক্ষু দানের অঙ্গীকার করে গিয়েছিলেন কিন্তু ঐ ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা সন্ধানীকে জানায় নি। তাই সন্ধানীও ওই মৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে কর্নিয়া সংগ্রহ করতে পারে নি।– এরকম বেশকিছু ঘটনা সন্ধানীর স্বেচ্ছাসেবীদের মুখ থেকে শুনেছি।
তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আপনি যদি চক্ষুদানের অঙ্গীকার করে যান তবে আপনার পরিবারের সদস্যদের অবশ্যই এ ব্যাপারে অবহিত করবেন, সচেতন করবেন। নয়তো আপনার এই সর্বশেষ মানবসেবামূলক অঙ্গীকার বিফলে যাবে।
প্রদীপ, খুব দরকার ছিলো এই চমৎকার লেখাটার! (Y)
দেশে থাকাকালীন সময়ে আমার ভালবাসা কারে কয় বইটি যেদিন বেরুলো ঠিক পরদিনই এই মর্মান্তিক সংবাদটি পেয়েছিলাম – মুক্তমনা ফয়েজ আহমদ আর নেই। শত দুঃখের মধ্যেও আনন্দ হল জেনে … ফয়েজ আহমদ চলে গেছেন… কিন্তু তার দান করা দুই চোখের দুই কর্নিয়া দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছে দুই অন্ধ যুবককে। যারা স্বর্গের হুরপরী বিহীন জীবনটাকেই আধেয় হিসেবে বেছে নিয়েছেন তারাও ফয়েজ আহমদের মত করে জীবনটাকে সাজাতে পারেন।
ফয়েজ আহমদের দান করা কর্ণিয়া দিয়ে দুই যুবক কি ফয়েজ আহমদের মতো নির্মোহ আর যৌক্তিকভাবে পৃথিবীটা দেখার সাহস করবেন? … কেন যেন এই প্রশ্নটাই ঘুরছে মাথায়!
আপনি দারুন এক প্রশ্ন করলেন। বেয়াদপ উপাধিতে ভুষিত করলাম আরেকবার আপনারে 🙂
@অভিজিৎ, যে দু’জন দৃষ্টি ফিরে পেলেন তাঁরা সেজন্য বাড়িতে মিলাদ পড়িয়েছেন কি না জানি না। হলেও হতে পারে। আবার উল্টোটাও হতে পারে। হুমায়ূন আজাদ মৃত্যুর পর শরীর দান করার অঙ্গিকার করেছিলেন। অথচ কী হলো? তাঁর স্ত্রীপুত্রকন্যা হুমায়ূন স্যারকে কবর দিলেন। সে সময় সংবাদপত্রে এরকমই দেখেছিলাম। তবুও আমরা ‘হোপ ফর দি বেস্ট’।
মরনের পর তো দেহ পচে যায়। শুধু শুধু কীটপতঙ্গের খাদ্যবস্তু হয়। এক্ষেত্রে তো তাও কিছু প্রাণীর উদরপূর্তি হচ্ছে। হিন্দুদের ক্ষেত্রে তো দেহটা পুড়িয়েই ফেলা হয়। কারো কোন কাজে লাগে না।
আমাদের সবারই উচিত মরণের পর দেহটাকে কোন ভাল কাজে উৎসর্গ করা। জীবিত থাকতে সময় এবং সুযোগের অভাবে অনেকের পক্ষেই হয়ত বড় কোন ভাল কাজ করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে আমরা এই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারি।
@রনবীর সরকার, হিন্দুদের মৃতদেহ নিয়ে অনেকদিন ধরে কত রকমের সংস্কার অনুষ্ঠান পালন করা হয় যেগুলোর ধর্মীয় ভিত্তিও নেই অনেক ক্ষেত্রে। নিজে উদ্বুদ্ধ হবার পাশাপাশি পরিবারের সবাইকে উদ্বুদ্ধ না করতে পারলে – মৃত্যুর পরে দেহ বা অঙ্গ দান করার প্রতিশ্রুতি পালনে পরিবার বাধা দিতে পারে। তাই এ ব্যাপারটার গুরুত্ব আমরা যদি বুঝি তাহলে নিজেদের পরিবার থেকেই শুরু করি।
আমি বিক্রমবাসি(শ্রীনগর) হিসাবে দুজন ব্যক্তিত্ব নিয়ে খুব গর্ব বোধ করি, কারন ওনাদের চেতনা আমাকে খুব বেশি আলোড়িত- উদ্বেলিত ও বিমোহিত করে, একজন হলেন ভাষা বিজ্ঞানী,গবেষক, সমালোচক ও কালজয়ী সাহিত্যিক ডঃ হুমায়ূন আজাদ এবং অন্যজন বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট, সংগঠক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিদ্রোহী বীর মুক্তিযোদ্ধা ফয়েজ আহমদ ।
বিশেষ করে ফয়েজ আহমদ এর দেহ-ত্যাগের পর থেকে মনে-মনে তাকে খুব বেশি অনুভব করছিলাম, আমার কেন জানি মনে হচ্ছিল তাকে মিডিয়াতে খুব ভাল করে প্রকাশ করা হয় না। মুক্তমনায় প্রদিব দা তাকে নিয়ে লিখেছেন আমার খুব ভাল লেগেছে, যেমন ভাল লেগেছে হুমায়ূন আজাদ স্যারের একুশের পদক……।।
প্রদিব দেব,দাদা আপনাকে অসংখ্যক ধন্যবাদ
@শামিম মিঠু, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত!
প্রদিব নয়, প্রদীপ দেব হবে…।
@শামিম মিঠু, নামের বানান নিয়ে আমি মোটেও স্পর্শকাতর নই। সুতরাং দুঃখ প্রকাশ করতে হবে না।
@শামিম মিঠু, ডক্টর হুমায়ূন আজাদকে আমাদের সবার গর্ব। কিন্তু আমার কষ্ট লাগে এই কারণে যে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর শরীর দান করার অঙ্গীকার থাকলেও হুমায়ূন আজাদের পরিবারের পক্ষ থেকে তা পালন করা হয়নি।
আমি পত্রিকায় তার কথা পড়েই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম… আমার নিজেরও ইচ্ছে আছে শরীর ও চোখ দান করে দিয়ে যাওয়ার।
অফ টপিকঃ আচ্ছা তার গ্লুকোমা ছিল বলা হয়েছে, তার চোখ যে পেয়েছে তারও কি এই রোগটা থাকবেনা? আমি এ ব্যাপারে জানিনা তো তাই জিজ্ঞাসা করলাম।
@লীনা রহমান, ফয়েজ আহমেদ দান করেছেন কর্নিয়া, যা আসলে চোখের পিছনের দিকে অবস্থিত একটা পর্দার মত, যেখানে প্রতিসরিত রশ্নি পড়ে। আমাদের চোখের সামনের অংশে থাকে চোখের লেন্স, যা জৈব পদার্থের তৈরী একটি প্রতিসারক আসলে, মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকে লেন্স সম্পর্কে পড়েছ নিশ্চয়, তুমি চোখে যে চশমাটা পড় সেটাও একধরণের অবতল উত্তল লেন্স। এর কাজ আলো প্রতিসরিত করে চোখের ভিতরে পাঠানো। লেন্স যে আলো চোখের ভিতরে পাঠালো তা আপতিত হয় চোখের কর্ণিয়াতে। অনেক মানুষের এই কর্ণিয়া নষ্ট হয়ে থাকতে পারে, যার ফলে আসলে লেন্স যতই আলো চোখের ভিতরে পাঠাক, আপতিত হবার পর্দাটা পায়না বলে তার কিছু দেখতে পায় না।
আর ফয়েজ আহমেদের কর্ণিয়া ঠিক ছিল, কিন্তু সমস্যা ছিল লেন্সএ। তুমি চখে ছানি পরার কথা শুনেছ নিশ্চয়, তাতে আসলে চোখের লেন্স ঘোলা হয়ে যায়। বৃদ্ধ বয়সে প্রায় মানুষের চোখে ছানি পড়ে অর্থাৎ চোখের লেন্স ঘোলা হয়ে যায়। চোখের লেন্স ঘোলা হয়ে যাওয়ার পরম পর্যায়টাকে আসলে গ্লুকোমা বলে। এইরকম অবস্থায়, লেন্স ঘোলা হয়ে থাকলেও লেন্সের পিছনে কর্ণিয়া ভালো থাকে। তাই যাদের তিনি চক্ষু দান করেছেন, আসলে তিনি তাদের কর্ণিয়া দান করেছেন, তাদের লেন্স ভালো ছিল, কর্ণিয়া নষ্ট ছিল, কর্ণিয়া দান করায়, তারা দৃষ্টি ফিরে পেয়েছে। তাদের গ্লুকোমা হলে, বৃদ্ধ বয়সে আর দশজনের যেমন গ্লুকোমা হতে পারে, তেমনি হতে পারে, ফয়েজ আহমেদের চোখের কর্নিয়া গ্রহনের সাথে তাদের গ্লুকোমা হবার কোন সম্ভাবনা নেই।
কিছু কিছু মানুষ আছে, যাদের জন্ম থেকেই বা অতি অল্প বয়স থেকেই চোখের লেন্স ঘোলা থাকে, তাই তাদের লেন্স দিয়ে কোন আলো শিশুকালেই কর্নিয়া পর্যন্ত পৌছাতে পারে না বলে, কর্ণিয়াটাও ভালোভাবে গঠিত হয় না। তাদের লেন্স আর কর্ণিয়া দুটোই ত্রুটি পূর্ন, তাদের ক্ষেত্রে এইভাবে দান করা কর্নিয়া দিয়েও চোখের দৃষ্টি ফেরানো সম্ভব হয়না অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। আমার নিজের একটি চোখে এই সমস্যা আছে। আরেকটি চোখ সুস্থ। 🙂
মৃত্যুর পর চক্ষু দান বলতে আসলে চোখের কর্নিয়া দান বোঝায়, আস্তো চোখটি তুলে নিয়ে আরেকজনের চোখে প্রতিস্থাপন নয়।
@নীল রোদ্দুর,
এটা জানি, কিন্তু গ্লুকোমার ব্যাপারটা ভালভাবে বুঝতামনা।
@নীল রোদ্দুর,
আমার একটা প্রশ্ন আছে।অফ টপিক।অন্য কোন অঙ্গদান করলে গ্রহিতার দেহের ইমিউন সিস্টেম তা প্রতিহত করার চেষ্টা করে সাধারনত(organ rejection)। চোখের ক্ষেত্রে তা হয়না কেন?
@অনামী, যদিও বিস্তারিত জানিনা এই ব্যাপারে, কর্ণিয়াল ট্রান্সপ্লান্টেও টিস্যু রিজেকশন হয়, ইনফেকশন হয়। তবে এটা বলা যায়, রিজেকশনের হার কমেছে, সেটা খুব সম্ভবত যে পরিমাণ টিস্যু ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়, তা সামান্য বলে। কর্ণিয়াল ট্রান্সপ্লান্ট রিসার্চে দেখা গেছে, রক্তের গ্রুপ মিসম্যাচিং এর ফলে লক্ষ্যণীয় পরিমাণ কোষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
@অনামী, অন্যান্য অঙ্গের মত কর্নিয়ার সাধারনত রিজেকশন হয়না। কারন কর্নিয়ায় কোন রক্তনালী থাকেনা, মুলত অ্যাভাস্কুলার একটি অঙ্গ (এজন্য কর্নিয়ার রিমুভালটা খুবই গুরুত্বপুর্ণ); আর রক্তনালী না থাকার কারনে যিনি দান করছেন তার নির্দিষ্ট টিস্যু এন্টিজেনগুলো গ্রহীতার রক্তে আসতে পারেনা এবং গ্রহীতার শরীরের ইমিউন কোষগুলো বড় ধরনের রিজেকশন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনা। সাধারনত প্রথম রিজেকশনটা রক্তনালীর মধ্যে থাকা অ্যান্টিজেনগুলো শুরু করে থাকে। তারপরও হতে পারে, তবে সেটার ব্যবস্থা (অন্যান্য রিজেকশনের চেয়ে অনেক অল্প ম্যানেজমেন্ট) নিলে ফলাফল ভালো।
মরে গেলে যেহেতু সব শেষ হয়ে যায়, তাহলে আমাদের প্রত্যেকের উচিত ফয়েজ আহমদের উদাহরন অনুসরণ করা। বেহেস্ত দোজখ থাকলেও আল্লাহ তখন প্রয়োজনীয় অঙ্গ তৈরি করে দেবে ।
@ভবঘুরে, আমাদের দেশে ফয়েজ আহমদের কাজের ব্যাপক প্রচার দরকার। কিন্তু ধর্মীয় অনুশাসন এত বেশি যে অপপ্রচার চালু হতে সময় লাগে না।
খুব ভালো একটি পোস্ট। খুবই ভালো লাগল।
@সপ্তক, অনেক ধন্যবাদ।
সততা, সাহসিকতা, আর ত্যাগের প্রতীক ফয়েজ আহমদ! অন্ধকারের দেশে এক ঝকঝকে তারা, নিভে গেছেন, তবুও থাকবেন স্মৃতিতে চিরজাগরুক, চির উজ্জল।
ধন্যবাদ, প্রদীপ।
@ইরতিশাদ ভাই, অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও। ফয়েজ আহমদের মত মানুষ যে আমাদের কত বেশি দরকার। তাছাড়া এরকম কাজ-পাগল প্রচার বিমুখ মানুষকে তো ধরতে গেলে আমরা চিনিই না।
রইল শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। আপনার দান করা চোখের মাঝে পৃথিবী দেখুন আরও অনেক দিন।
@সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি পড়ার জন্য।
আমাদের যাদের বেহস্তের লোভ বা দোযখের ভয় নেই তাদের মরণোত্তর দেহটিকে কীট-পতঙ্গের খাদ্য না বানিয়ে মানুষের কল্যাণে দান করার ব্যাপারটি নিয়ে ভাবা উচিত। উনার মত ক্ষণজন্মা মানুষ ক্ষণে ক্ষণে জন্মেনা। এক শতাব্দীতে হয়ত কয়েকজন জন্ম নেন। শেয়ার করলাম।
@তামান্না ঝুমু, মরণোত্তর দেহ দান তো দূরের কথা। নিয়মিত রক্ত দান করার ব্যাপারেও আমরা কত পিছিয়ে আছি। বাংলাদেশের অনেক শিক্ষিত মানুষও মনে করেন রক্ত দিলে শরীর খারাপ হয়। মেয়েদের রক্ত দেবার ব্যাপারেও কত রকমের সামাজিক বিধি নিষেধের জন্ম দেয়া হয় বাংলাদেশে।
পুল সিরাত হাইটা কিংবা দৌড়ায়া পার হওয়ার কুনু সম্ভাবনা যাদের নাই তারা মৃত্যের আগে চোখ, শরীর দান কইরা যাওয়ার ব্যাপারটা ভাইবা দেখতে পারেন।
@রায়হান আবীর, পুল-সিরাতের দৌড় প্রতিযোগিতাটা যেন কখন হবে? কেয়ামতের আগে তো নিশ্চয় নয়!
লেখাটি পড়ে অনেক ভালো লাগল। মুক্তমনাদের এইরকম হওয়া উচিৎ। লেখাটি দেওয়ার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
@নিঃসঙ্গ আগুন্তক, অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও।