গাঙপাড় কাশবন শাদাদের মাখামাখি; বিমূর্ত নাবোঝা অন্ধকার,
নিটোল পায়ের শ্যামা মেয়েকে, জ্যোৎস্নারা দেবেনাকো ধার;
শরতের শশী; হায় আবছা হয়েছে সেও, অভিমানে;
কারা যেন নুন ঢেলেছে ওই উজানে অবিরাম,
অরণ্যের কষ্ট শুনি জনান্তিকে, চিংড়ি ঘেরের হাওয়ায়।
বেশী খুব লাগেনা তো মোটে; বাউলের দেশে,
নদী পুকুরের মাছ, আচমকা মাঠেখোঁড়া আলু; কচু;
টেনে তোলা দুটো শাপলা শালুক; বিনে পয়সায়,
ওরা কারা; কারা ওরা, ওটুকুতেও কালোতেল ঢালে?
ছিনতায় মেঠোপথ পাশে, অবহেলা গজানো হেলেঞ্চা লতা?
ছোটক্ষেত, সেইযে ঢেউ বাতাস, প্রজাপতি ওড়া রঙিন,
সর্ষেহলুদ, লাল ভাত, কবিগান, লালন, যাত্রা, পালা,
মোটা ঠোঁট আর বুনো গন্ধঘাঁটা তৃপ্তি ঘুম,
ওরা নাকি সব কেড়ে নেবে, ভিনদেশী রাক্ষস,
তুলে নাও কাঁটাতার, বেড়া, ওমানুষ, বেশীতো চাইনি।
আপনি কি লক্ষ্য করেছেন কিভাবে যেন আপনার যে কোন কবিতার মন্তব্যের ঘরে আরো কিছু কবিতা এসে জুড়ে যায়। খুব যদি ভুল করে না থাকি তবে আগের কিছু কবিতায়ও এমনটি হয়েছিলো। অবশ্যই সুন্দর একটি ব্যাপার! এক সুন্দর কে আরো সুন্দরের অনুসরণ…
কৃতিত্ব অনেকটুকু অরন্যর প্রাপ্য। 🙂
ও হ্যাঁ, স্বপন মাঝির কোন এক কবিতার মন্তব্যের ঘরে বোধ হয় আপনার একটি কবিতা হঠাৎ করে পাওয়া হয়ে যায়। বেশ লাগে এসব। মনে হয় আমরা বাংঙ্গালীরাই এত আবেগী তাই এত সুন্দর করে অন্যের সাথে ভাব বিনিময় করতে পারি।
সকল কবিতা লেখকদের আমার ঈর্ষাভরা অভিনন্দন।
**** গত পঁচিশ মিনিট যাবৎ অনেক কিছু লিখেই আবার মুছে ফেলেছি। কবিতাটি পাঠ করে এর যথাযোগ্য প্রশংসা কিভাবে করি বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এখনো জানি না কিভাবে বললে আপনাকে জানানো হবে এ কবিতার সৌন্দর্য।****
@ছিন্ন পাতা,
কবিতাটা আপনার ভালো লেগেছে এই তো যথেষ্ট।
আপনার মন্তব্যগুলো সব সময়ই মজার আর আনন্দময়। প্রশংসার দরকার নেই মোটেও।
খুব ভালো থাকুন।
রামগড়ুড়ের ছানাকে ইমেইল করে দেখতে পারেন
সবই করছি যা যা কইছেন, কাম হই নাই। ফরিদ একটা প্রক্সি লিঙ্ক দিছে অইডা দিয়া কাম চালাইতাছি,অনেক কিছু আসে না যদিও। বুঝলাম না মুক্তমনার সার্ভার আমারে এমন কঠিন কইরা টার্গেট করলো ক্যান?। সাস্পেসিয়াস আক্টিভিটি কিছু করছি নাকি?। কম্পিউটারের ত “ক’ ও বুঝি না।
আমরা মানুষেরাই ধ্বংস করে দেই সবকিছু। পৃথিবীর সমস্ত অশান্তি ও দোষণের জন্য দায়ী ত শুধু মানুষ,অন্য কোন প্রাণী নয়।
@তামান্না ঝুমু,
মানুষ নামের অমানুষ ওরা, সব খাই সব চাই ওদের, তাই তো ওরা স্বার্থপর লোভী রাক্ষস।
চমৎকার (Y)
@রাজেশ তালুকদার,
আইচ্ছা, ঠিক আছে। আমিও আপনারে আঙ্গুল দেহামু :-[
কাজী রহমান
আমার মোডেম আর রাউটার এক সাথে একই বাক্সে বিল্ট-ইন। আপনার এই বুদ্ধি ফরিদ আমাকে দিয়েছিল, কিন্তু বেটারা টু-ইন-ওয়ান হওয়ায় আলাদা করা যাচ্ছে না। বিপদ যখন আসে সব দিক দিয়ে ই …।।হে।।হে…হে…
@সপ্তক,
ঐ বাক্সের পিছনে দ্যাখেন, নেটওয়ার্ক তার (ডাটা প্যাচ ক্যাবল/ক্যাট ৫ বা ঐ রকম তার) লাগাবার পোর্ট আছে। কম্পিউটার থেকে ওখানে লাগান। ওয়্যারলেস ছাড়া একবার সরাসরি ঢোকেন। কেল্লা ফতে :))
কিছুটা নষ্টালজিক হলাম। সমকালিন টানাপোড়েনগুলো পরিস্কার ভাবে ফুটে উঠেছে। কর্পোরেট লোভের ছোট ছোট শেকড় ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে ছড়িয়ে পড়েছে উচ্চাভিলাশের ছুল ধরে। এখান থকে বেরুবার কি কোন পথ জানা নেই?
@শাখা নির্ভানা,
আপনার আমার মত মানুষেরা জেগে থাকলে আর অবিরাম জনমত তৈরী করে যেতে থাকলে কিছুটা হলেও এগুনো যাবে বলে মনে করি। আপনার ভাবনা গুলো লিখতে থাকুন। সবাই মিলে জেগে থাকি।
জাত কবি বলে কথা। ভালো না হয়ে উপায় ই নাই।
*** পুনসচঃ ফুল দিতে পারলাম না। আমার কম্পিউটারে মুক্তমনা থিক্মত কাজ করছে না। ফরিদ একটা প্রক্সি ওয়েব দিয়েছেন,তাই দিয়ে চালাচ্ছি। মন্তব্যের উত্তর ও দেয়া যায় না।
@সপ্তক,
কম্পিউটার আর মডেমকে সরাসরি তার দিয়ে জুড়ে দিন। এইবার সরাসরি মুক্তমনায় ঢুকে যান। সার্ভার আবার আপনার কম্পিউটারকে চিনে নেবে। তারপর তার খুলে নিতে পারেন। সার্ভারে গোলযোগ হওয়াতে ওয়্যারলেস রাউটার/মডেম যাদের আছে তাদের এই সমস্যা হয়েছে।
ওহ্, মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ (আর পচায়েন না কলাম) :))
(quote) অরণ্যের কষ্ট শুনি জনান্তিকে, চিংড়ি ঘেরের হাওয়ায়।(/quote)
‘দাও ফিরিয়ে সে অরন্য, লও এ নগর’- কবির এ আকুতি শোনার সময় নেই তাদের, যারা ‘নুন ঢেলেছে উজানে অবিরাম’ বা ‘ওটুকুতেও কালো তেল ঢালে’। তবু বঞ্চিতদের কাতর আহবান, ‘তুলে নাও কাঁটাতার, বেড়া, অমানুষ, বেশীতো চাইনি।’
ভাল লেগেছে কবিতা। সময়ের দাবী মিটিয়েছে বলেই না শুধু; শব্দগুলোও আন্দোলন তুলে মনে!
ভাল থাকবেন, রহমান ভাই।
@কাজি মামুন,
ভারী মনটাকে ভালো করে দিলেন রে ভাই (D)
নু ন আ ন তে পা ন্তা ফু রা য়
চা ল নে ই,
শু ধু পা নি চু লা য়
ধা ন নে ই,
শু ধু ইঁ দু র গো লা য়
ব ল’ এ দে র ক থা কে শু ন তে চা য় ? 🙁
@অরণ্য,
আয় হায়
এরকম গুল্লি মন্তব্য
কোবতে ছাড়া শোভা পায়?
ফাটাফাটি লিইখ্যা অরণ্য খালি পলায়;
পোস্ট দিতে ক্যান শরমায়?
দ্যান কবিতাই দ্যান
আয় হায়।
:-[
@কাজী রহমান,
আমি তো কবিতা লিখতে পারি না। যা লিখি তা ছড়া হতে পারে, বড়জোর কাব্য, কোন ভাবেই কবিতা নয়।
যদিও কবিতা লিখবো- এই উদ্দেশ্য নিয়েই লিখি, তাই পোস্ট দেই না। পোস্ট দিলে ওগুলি মেধা তালিকায় তো থাকবেই না, অপেক্ষমাণ তালিকায়ও ঠাঁই পাবে না।
আর কবিতার এই অপমান- আমার সইবে না। 🙁
আমার জন্যে এই মন্তব্যই শ্রেয়
যত খুশী লিখে যাই,
যত লাগে ভাল।
লাগে না কালি ও কলম
কাগজ কিংবা তালপাতা,
সোনালি রুপোলী কিংবা কালো
দামী কী সস্তা সে যাই হোক
প্রয়োজন হয়না ওসব আমার।
মন্তব্যের ঘর-আমার বড়ো আপন
বড়ো বেশি কাছের,
তেমন কোন বাঁধা পেরোতে হয় না এখানে
দিতে হয় না মোডারেটরের পুলসেরাৎ পারি
হতে হয় না পূর্নাঙ্গ লেখকও।
তবু কবিতা প্রকাশ পায়
হয়ত এ বৃক্ষ নয়,
কেবলি বীজ মাত্র
তবু এ আমার শস্য ক্ষেত্র
এ আমার কবিতার খসড়া খাতা
আমার ডিজিটাল ভালোবাসা।
কবিতাটা পড়ে নষ্টালজিক হয়ে পরছিলাম।
@মামুণ,
নস্টালজিয়া; হায় নস্টালজিয়া 🙂
(F)
@নিলীম,
নিলাম নিলীম, ধন্যবাদ (D)
ওরা নব্য দেশপ্রেমিক।
@গীতা দাস,
ওদের দলে লোভী সবাই আছে। বেনিয়াদের সাথে মাখামাখি, স্বার্থপর সব বদমাশেরা আছে। দেশ ছেড়ে পালাবার সব ব্যাবস্থা ওদের পাকা। ভোঁ দৌড়ে ওরাই হবে চ্যাম্পিয়ন। ওদের কাছে গরীব জনতা; ফুঃ, কিসের রাজনীতি, কিসের মানুষ, কিসের আদর্শ? ফুঃ
সম্ভবত এই প্রথম একটা কবিতা পড়ে গালে হাত দিয়ে বসে আছি। বসে আছি তো আছিই। অল্প কথায়, কত কথাই না বলা হলো। কিন্তু চোখে পড়বে কি কারো? যেমনটি পড়ে সচরাচর। আমার কেন জানি মনে হয়, আস্তিকরা যেমন পড়ে থাকে এই চোখ নিয়ে, তার প্রতিবাদে নাস্তিকরাও এক চোখে হাঁটতে শুরু করে, ফলে পার্থক্যটা কি থাকে?
সামনে চলার পথে অনেক কাঁটা, সবগুলো কাঁটা কারো চোখে পড়েনা। আর এটা হয়ে আমাদের কাল।
বেঁচে থাকার জন্য পৃথিবীর বিনাশ কি খুব জরুরী নাকি কতিপয় মানুষের মুনাফা অর্জনের আকাশচুম্বি প্রতিযোগিতা, যার মূল্য পৃথিবীর শরশয্যা। ঘুম কি মানুষের ভাঙবে?
@স্বপন মাঝি,
পরিবেশ বিপর্যয় ক্রমান্বয়ে ব্যাপ্ত হবে। অভাব। মৌলিক চাহিদাও পূরণ হবার অবস্থা থাকবে না বলে মনে করে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। এত বড় জনসংখ্যার দেশ এই বাংলাদেশের মানুষ কোথায় যাবে? এক ইঞ্চি যায়গাও কি থাকবে দম ফেলবার, নড়াচড়া করবার, বেঁচে থাকবার?