নাস্তিকরা বাস্তববাদী, সত্যের নির্ভিক সৈনিক। কোন কল্প কাহিনীতে বিশ্বাসী নয়। কুসংস্কার মুক্ত। ধর্মান্ধতা তাদের কে স্পর্শ করতে পারে না। আর ভাব বাদীরা কল্প কাহিনী নির্ভরশীল। ভাববাদী গ্রন্থ সমূহ বিশ্লেষনে বুঝা যায় সেগুলো নেহায়েৎ বানানো ঘটনা। কল্প কাহিনী গুলোতে বাস্তবতার একান্ত অভাব। গ্রন্থ গুলোর তথ্য উপাত্তে এটি লক্ষণীয় পর্যায়ে।
উল্লেখিত কথাগুলো আবেগের নয়, একান্ত বাস্তব। এখানে বাস্তবতার আলোকে একটা উদাহরণ দিয়ে বলা যায় যে, মনে করুন একজন ব্যক্তি ১টি টেবিল তৈরী করেছে বলে দাবী করছে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, টেবিলটা কিসের তৈরী, কয়টা পাঁয়া, কয় ফুট লম্বা ও পায়ার উচ্চতা কত ?
প্রশ্নের বাস্তব উত্তর পাওয়া না গেলে দাবীর সার্থকতা কোথায় ? ভাববাদী গ্রন্থে মহা বিশ্বের তথ্যে ঐরুপ অবস্থা, যাহা বিজ্ঞান প্রমান করে চলছে। এখানে বলা যায় কেউ যদি এমহা বিশ্ব সৃষ্টি করেন, আর সে যদি তথ্য গুলো প্রেরন করেন, তবে বিজ্ঞানীদের গবেষনায় ভাববাদী গ্রন্থ সমূহের তথ্যে বাস্তবতা পাওয়া যায় না কেন ? ভাববাদী গুরুরা পৃথিবীটাকে বড় হিসাবে দেখে, এখানে বসে বসে মহা বিশ্ব সম্পর্কে কল্প কাহিনী রচনা করছেন আর এগুলোকে ঐশ্বরীক বানী হিসাবে চালিয়ে দিয়েছেন, সমাজে বরনীয় হতে। আজ সমাজ অন্ধ বিশ্বাসে ভড়ে গেছে। মানুষের এ অন্ধ বিশ্বাস মূলে কুঠারাঘাত করতে বিজ্ঞান সদা প্রস্তুত। দরকার শুধু অবাধ প্রচারনার, এক্ষেত্রে ও প্রধান অন্তরায়, উগ্র ভাববাদী সমাজ।
ভাববাদীদের কল্প কাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলার সুযোগ ছিল না কোন সময়ে তা বর্তমানেও নেই। ইতিহাস এর প্রমান। এতো বাধ্যবাধকতা, তর্জন গর্জন কেন ? বাস্তবতার আলোকে মত প্রকাশের বিরুদ্ধে, ভয় হলো, বানিকের পন্য অকেজো হওয়া। এক্ষেত্রে বনিক প্রবর-কে প্রশ্ন করি যে, আপনি আপনার পন্যকে নির্ভেজাল, একান্ত খাটি আদি ও আসল বলে অহংকার করতেছেন, কিন্তু পরীক্ষা করতে চাইলে আপনার গাত্র দাহ কেন? আপনার তর্জন-গর্জন শক্তি সামর্থের মহড়া কি নকল মাল চালানোর অপকৌশল? তা যদি না হয়েই থাকে তবে পৃথিবীতে এত গুলো বিজ্ঞানী তথা মহাজ্ঞানী মানুষের প্রান কেড়ে নেওয়া হলো কেন, বর্বর নির্যাতনের মাধ্যেমে। এ প্রশ্নের উত্তর ভাব-বাদীদের নিকট হতে পাওয়া যাবে না তা পরিস্কার।
আদিকাল হতে ভাওতাবাজ ধর্ম ব্যবসায়ীরা ঐশ্বরীক বানীর ধোয়া তুলে, সত্য প্রকাশে বিঘ্নসৃষ্টি করছে আর বর্তমান সময়েও তারা মোটেই থেমে নেই। ভাব-বাদী ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসাকে সমুন্নত রাখতে একাট্রা। এর প্রমান দেখা গেল বিগত ২৫/১২/১১ ইং তারিখের দৈনিক সকালের খবর পত্রিকায়। পত্রিকাটির ১৫নং পাতায় দেখা গেল, যুক্ত রাষ্ট্রের ইন্টারনেট কোম্পানী কর্তৃক ব্যবহ্নত ফেসবুক, গুগল, ইয়াহু সহ যে সকল ইন্টারনেট কোম্পানী ধর্মীয় আক্রমনাত্ব্যক বিষয় প্রচার করছে তা ইন্টারনেট ওয়েব সাইট থেকে মুছে ফেলতে হবে মর্মে ভারতীয় দুটো আদালত এ আদেশ জারি করেন। আদালতে আরজি পেশ কারী হচ্ছেন একজন ভারতীয় বিশিষ্ট সাংবাদিক ও একজন বিশিষ্ট ইসলামী আলেম, কোটের স্বরনাপন্ন হয়ে প্রচলিত আইনের মাধ্যমে সত্য প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করে, কিন্তু এখানে বলতে হয় যে, ভাব-বাদীরা তাদের মতামত ঢাক-ঢোল পিটিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন, আদি আসল নির্ভেজাল রুপে, তবে নির্ভেজালের পরীক্ষায় গাত্রদাহ।
এক্ষেত্রে বলতে হয়, ডালমে বিলকুল কালা হায়। তাই নয় কি? এতো সব আয়োজনের হেতু মানুষের স্বাধীন সত্য-চিন্তাকে বাধা গ্রস্থ করা । থলের বিড়াল যাতে বেড়িয়ে না পওে তার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
আজ পৃথিবীতে মানুষের বসবাস বহু সম্প্রদায় বিভিক্ত হয়ে। সম্প্রদায় গুলো পরিচালিত হয় তাদের নিজ নিজ ভাব বাদী গ্রন্থের মাধ্যমে। গ্রন্থ গুলোকে ইশ্বরীক বানী হিসাবে জোরাল ভাবে দাবী করা হয়েছে। বিজ্ঞানের কাছে এ বানী গুলোর বেহাল দশা পরিলক্ষিত হয়। সম্প্রদায় ভেদে বানী গুলোর মধ্যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নতা সহ কিছু মিল খুজে পাওায়া যায়। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে অনুকরন বলে মনে হয়। যেমন স্বর্গ-নরক-স্রষ্টা-শয়তান। প্রচলিত ভাববাদ গুলোয় শত্র“তা লক্ষনীয়। এখানে প্রত্যেকেই নিজ নিজ পালনীয় মতবাদকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। অন্যের মতামতকে ঘৃনা সহ অন্যকে শত্র“ রুপে মনে করেন। এ শত্র“তার বসে অনুসারী গনকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তারা চির শত্র“তে পরিণত হয়েছে, যার প্রভাব পৃথিবীতে আজও চলছে। ভাব-বাদী গ্রন্থগুলির ফসল উগ্রবাদী, ভাব-বাদী চিন্তা চেতনা। এ উগ্র মৌলবাদীদের কারনে পৃথিবী জুড়ে অশান্তি ছড়াচ্ছে। তারা নিজ নিজ পালনকৃত মতবাদকে রক্ষার্থে জান প্রান বিসর্জন দিতে প্রস্তুত। এ শিক্ষা তারা পেয়েছেন কথিত ঐশ্বরীক গ্রন্থগুলোতে ফলে অনুসারীগন আত মাত্রায় উগ্রবাদীতে পরিনত হয়েছে। উগ্রবাদীদের কারনে পৃথিবীতে অশান্তি চলছে। সনাতন পন্থিরা অশুর, রাক্ষস যবন নিধনে উৎসাহিত আর ইসলাম পন্থিরা নাস্তিক, নাফরমান, কাফের তথা বিধর্মী নির্ধনে তথা কথিত ঐশ্বরীক বানীতে উজ্জিবিত। ইহা শাস্ত্র সম্মত বিধান। মহা পুরস্কারে লোভ দেওয়া হয়েছে। এ লোভ সহজে সামলানো যায় না।
যেহেতু প্রত্যেক ভাব-বাদে বিরুদ্ধ বাদীকে হত্যার অনুপ্রানিত করা হয়েছে পালন কারীকে পুরস্কৃত করার ঘোষনা আছে এর ফল পৃথিবীতে আজ প্রতিনিয়ত পাচ্ছি।
যবন, রাক্ষস, অশুর, নাস্তিক, নাফরমান, কাফের তথা বিরুদ্ধ বাদীদের কে নিধন উৎসাহিত করা হয়েছে। ভাববাদে পাওয়া যায় কথিত ঈশ্বর সবকিছুর স্রষ্টা। তবে ঈশ্বরের নাস্তিক, নাফরমান, কফের বির্ধমী তথা রাক্ষস, যবন, অশুর সৃষ্টির হেতু কি ? সৃষ্টিতে আনাসৃষ্টি কেন? পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্য তবে কি ঈশ্বরের ? সৃষ্টি করে অনাসৃষ্টির সার্টিফিকেট দেওয়া কেন ? আর ধ্বংস লীলায় মত্ত হওয়ার নির্দেশনা কেন ? ইসলাম ও সনাতন মতে অনুসারীগন কে উজ্জিবীত করা হয়েছে এভাবে ঃ- শ্রীমদ্ভগবদগীতার একটা স্লোক-
স্বধর্মমপি চাবেক্ষ্যন কিম্পিতুর্মহসি
ধর্ম্যাদ্ধি যুদ্ধাচ্ছ্রে য়োহন্যৎ ক্ষতিয়স্যন বিদ্যতে
মদৃচ্ছয়া চোপপন্নং স্বর্গদ্বায়মপাবৃতম
সুখিনঃ ক্ষত্রিয়াঃ পার্থ নমšে যুদ্ধমীদৃশম।
উক্ত শ্লোকের স্বারমর্ম এরুপ ঃ ধর্মরক্ষা, আত্মরক্ষা, সমাজরক্ষা, স্বদেশরক্ষা, প্রজা রক্ষার জন্য যে যুদ্ধ তাহাই ধর্মযুদ্ধ। এরুপ ধর্মযুদ্ধে পরাম্ভমুমতা ক্ষত্রিয়ের পক্ষে পরম অধর্ম। ভাগ্যবান ক্ষত্রিয়রাই এরুপ যুদ্ধ লাভ করেন আরতাদের জন্য স্বর্গদ্বার উম্মুক্ত। সনাতন পন্থিদের ন্যায় আল কোরানের অনেক আয়াতে ইসলাম রক্ষার্থে যুদ্ধে উজ্জীবিত করা হয়েছে, কথিত স্বর্গের লোভ দেখিয়ে। এভাবে কথিত ঐশ্বরীক গ্রন্থগুলো অনুসারীঘনকে অধীক মাত্রায় উগ্রবাদীতে পরিনত করেছে। তাদের কে যে ভাবে, নির্দ্দেশনা দেওয়া হয়েছে এর বাইরে কেহ সত্য তথা বাস্তবতার আলোকে কথা বল্লেও রক্ষা নেই। এক্ষেত্রে তাদের অজুহাত একটাই যে, ধর্ম গ্রন্থের অপব্যাক্ষা করা হয়েছে। কেউ বলে কোরানের অপব্যাক্ষা করা হয়েছে। আরকেউ বলে বেদ পুরান, বাইবেলের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হয়েছে।
জাত গেল জাত গেল বলে সব শেয়ালের একই “রা”ভাবটি দেখা যায়। আবারো বলা হয় সবাই কিন্তু নিজ নিজ প্রচারিত মতবাদকে আসল ও একান্ত খাটি তথা নির্ভেজাল রুপে দাবী করেছেন তবে পরীক্ষা করতে চাইলে এত গাত্র জ্বালা হয় কেন ? শক্তির মহড়া দেখানো হয় কেন ? অপব্যাখ্যার জবাব সু-ব্যাখ্যায় দেওয়া হয় না কেন ? আসল ব্যাপার হলো পথ না থাকলে গাড়ী কি দিয়ে চলবে তাইনা? জবাব নেই বলে শক্তি প্রয়োগে মুখ বন্ধ করে দেওয়াই এরুপ কর্মকান্ডের উদ্দেশ্য।
ভাববাদী গুরুরা তাদের প্রচারিত মতবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে বিরুদ্ধবাদীকে অশুর, রাক্ষস, যবন, নফরমান, নাস্তিক, মোশরেক, কাফের ও বির্ধমী অখ্যায়িত করে তাদের কে হত্যায় উৎসাহিত করা হয়েছে কথিত স্বর্গলাভে, নাস্তিক, নাফরমান, মোশরেক, কাফের আর বির্ধমীদের হত্যা করে তাদের ধন-সম্পদ, জায়া-কণ্যাগন তাদের হস্তগত হতো আর গনি মতের মাল হিসাবে সবকিছু যায়েজ হয়ে যেত, মহা উল্লাসে তাহা ভোগ করা হতো।
বর্তমান যুগে গনি মতের মাল নেই। যেমন নেই নাস্তিক, নাফরমান, মোশরেক ঘোষনা করে মানুষ হত্যার সুযোগ।
ধর্মীয় কারনে ভারত উপমহাদেশ বিভক্ত হয় দু-ভাগে ভারত ও পাকিস্তান। পাকিস্থানের জন্ম হয় মুসলমানদের জন্য আর হিন্দু সম্প্রদায়ের ভারত। দুটো রাষ্ট্রে জন্ম লগ্নে শুরু হয় সাম্প্রদায়িকতা। মৌলবাদীরা এ সুযোগের অপব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বেধে দেয়। তাদের ফায়দা হাসিল হয় , ফলে হিন্দু মুসলিমরা জন্মভূমির মায়া ছেড়ে ভারত পাকিস্তানে পাড়ি জমায় অশেষ দুর্ভোগের মধ্যে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ফলে জন্মভুমি ও বিত্ত বৈভব ছেড়ে পরিবার পরিজন সহ নিজের প্রাণের মায়ার দেশ ত্যাগ, কি নির্মম পরিনীতি সাম্প্রদায়িকতার কারণে। এ সাম্প্রদায়িকতা যে কত নিষ্ঠুর তা তৎকালীন জন্মভূমি ত্যাগী মানুষ হাড়ে হাড়ে অনুধাবন করতে পেড়েছেন। একই মাটিতে জন্ম একই আবহাওয়ায় বেড়ে উঠে, একই উঠানে খেলেধুলে, একই পথে হাতধরে চলাচল করা মানুষগুলো একে অপরের শত্র“রুপে দাড় হলো শুধু সা¤প্রদায়িকতার কারণে। একে অপরের জীবন কেড়ে নিলো, আশ্চর্য্য এ সাম্প্রদায়িকার মন্ত্র¿। জন্মভুমিতে ছেড়ে যাওয়া ভূ-সম্পত্তি গুলো তৎকালীন পাকিস্থান সরকার শত্র“ সম্পত্তি হিসাবে আখ্যায়িত করেন আর ভারত সরকার এরুপ পরিত্যাক্ত সম্পত্তি কে কিভাবে গ্রহন করেছেন তা জানা নেই। ভারত উপমহাদেশে বিভক্তির ফলে হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য আলাদা-আলাদা আবাসভূমি হলো। ভারত উপমহাদেশের প্রধান দুটো সম্প্রদায় হিন্দু মুসলিমগন পেল সম্প্রদায় ভিক্তিক আবাস ভূমি। এখানে শেষ নয়, যে মুসলিম সম্প্রদায় আবাস ভূমির জন্য ইংরেজদের রিরুদ্ধে লড়াই করে আদায় করলেন পৃথক আবাসভুমি পাকিস্তান। এই পাকিস্তান হলো ভারত উপমহাদেশের পূর্ব ও পশ্চিম অংশ নিয়ে, পূর্ব অংশের নাম পূর্ব পাকিস্থান যাহা ছিল পূর্ব বাংলা। পশ্চিমের অংশটি গঠিত হলো পাঞ্জাব, সিন্দু বেলুচিস্থান ও উত্তর সিমান্ত প্রদেশ নিয়ে। দুটি অংশের দুরুত্ব ছিল প্রায় ১১শত মাইল। মাঝখানে ভারত অবস্থিত। ভাষা ও কৃষ্টি কালচারের দিকে দুটো অঞ্চলের মানুষ ভিন্ন ভিন্ন। রাষ্ট্র বিজ্ঞানের সংজ্ঞা বহির্ভূতভাবে গঠিত হয় পাকিস্তান নামক দেশটি । জন্ম শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণে। ধর্মকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে পশ্চিম পাকিস্তানিরা, পূর্ব পাকিস্তান,কে শোষন করতে থাকে। তারা সম্প্রদায়ের বিষ ঢেলে বাংঙ্গালী মুসলমানকে আয়েস্তে রাখার চেষ্টা করে, ভাব বাদী প্রতারনায়।
বাংলার সম্পদের তারা পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়ন করে, আর শাসকরা নিজের ভাগ্য গড়ে। মোট কথা শোষনের যে কলা কৌশল করতে হয় তাই তারা করেছে ধর্মকে ব্যবহার করে। পাকিস্তানের জনসংখ্যায় বাংলা ভাষা-ভাষির সংখ্যা ছিল অনেক বেশী কিন্তু পাকিস্তানি শাষক গোষ্টি জোর করে উর্দ্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা হিসাবে ঘোষনা দেন ফলে ছাত্র-শিক্ষক বুদ্ধিজীবি সহ সর্বস্তরের বাংগালীরা অন্দোলনে নেমে বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষার দাবীতে। ভাষা আন্দোলনে প্রথমে শহীদ হন, সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার সহ নাম না-জানা আরো কয়েক জন। আন্দোলনের মুখে বাধ্য হয়ে পাকিস্তান শাসক গোষ্টি বাংলা ভাষাকে হয় রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেন। সংখ্যা গরিষ্ট মানুষের মুখের ভাষা তথা মায়ের ভাষা কেড়ে নিতে পারে নি তৎকালীন শাসক গোষ্টি। আর পারবেন কি করে ? বাংগালীর অন্তরে তখন বেজেছিল ঃ-
কি সুধা মধু মাখা, মায়ের মুখের ভাষা।।
সে যে আমার মাতৃ ভাষা, আমার বাংলা ভাষা।।
আমি কথা বলি এই ভাষাতে, লিখন লেখি পত্র পড়ি রে……….।।
কত যে তার শিল্পী কবি, গান গায় মায়ের মিঠে আশা।।
ভাষার তরে লড়াই করে, আমার ভাইয়ের রক্ত ঝড়ে রে……….।।
লড়াই করে হলাম স্বাধীন, মুক্ত মা আর স্বাধীন বাসা।।
হৃদয়ে যখন শুর বাজে সে শুর একদিন না একদিন ধ্বণিত হবেই। ভাষা আন্দলন থেকে স্বাধীনতা আন্দলনের সূত্রপাত বলা যায়। পশ্চিম পাকিস্তানীদের শোষন নির্যাতনে অতিষ্ঠ বাংগালী জাতী। শোষনের ধারা অব্যাহত রাখতে শাষক গোষ্ঠি অনেক নাটক রচনা করে। চালু করে বেসিক ড্যামোক্রেসি। পদ দলিত হয় গণতন্ত্র। তাদের ভয় সংখ্যাগোরিষ্ট শোষিত বাংগালী জন গোষ্ঠী। শাসন ক্ষমতা ধরে রাখতে দু’বার সামরিক শাসন জারী করা হয়। কিন্তু বাংগালীদের দুর্বার আন্দোলনের মুখে গনতন্ত্র দিতে বাধ্য হয়। ১৯৭০ ইং নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করে। আতœ পরিচয় আতœমর্যাদা নিয়ে বাঁচার পথ দেখে বাংঙ্গালী। তৎকালীন সামরিক শাসক ও পিপিপি নেতা জুলফিকার আলী ভূট্টুর যোগসাযোসে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা ধরে রাখার ফন্দি ফিকির আঁটতে থাকে। এর ফলশ্র“তিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতা ঘোষনা দেন, ১৯৭১ ইং সালের ২৬ মার্চ তারিখে। এতে পাকিস্তানীদের প্রত্যারনার চিত্র ফুটে উঠে।
এই কালজয়ী পুরুষের নেতৃত্বে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েন। আতœ পরিচয় আর আতœ মর্যাদা নিয়ে বাংঙ্গালী বাঁচার স্বপ্ন দেখেন।
বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানী শাসকরা বন্দি করে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়। পাকিস্তানী সেনার তৎ পরবর্তীতে নির্বিচারে গনহত্যা শুরু করে। তারা এদেশের গোড়া ধর্মান্দ মানুষকে দিয়ে রাজাকার, আল বদর ও আল সামস বাহিনী গঠন করে। এ বাহিনী পাকিস্তানী সেনাদের সর্বস্তরে সহায়তা করে। এদেশের স্বাধীনতা বিরোধীরা পাকিস্তানী সেনাদের সহায়তায় স্বাধীনতা কামী মুক্তি পাগল মানুষকে হত্যা লুন্ঠন সহ মা-বোনদের পাকিস্তানী সেনাদের হাতে তুলে দেয়। অসংখ্য মা-বোনের সম্ভম হানি ঘটে। অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয় ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষ দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় গ্রহন করেন এবং মুক্তি বাহিনীতে যোগ দেন। দেশ মাতৃকাকে হানাদার বাহিনীর হাত হতে রক্ষা করে দেশ কে শত্র“ মুক্ত করার জন্য।
দেশে দুর্বার আন্দোলন শুরু হয়। সর্বস্তরের মানুষ শত্র“ সেনাদের প্রতিরোধের পথ খুজে। খান সেনা এলাকায় আসতেছে শুনে অনেক মানুষকে লাঠি বল্লম হাতে নিয়ে এগিয়ে আসতে দেখেছি। লাঠি বল্লম দিয়ে তো অস্ত্রধারী সেনাদের প্রতিরোধ করা যাবে না কিন্তু মানুষের যে, তাদের কে প্রতিরোধ করার সর্বান্তকরনে ভাব জাগরিত হয়েছিল তার বহিপ্রকাশ ছিল এটা। তৎকালীন সময়ে অনেক স্থানে খালি হাতে খাঁন সেনাদের সাথে ধস্তাধস্তি করে বহু মানুষ প্রান বির্সজন দিয়েছেন।
এদেশ হিন্দুস্থান হবে, ইসলাম ধর্ম তথা মুসলমান থাকবেনা, হিন্দুদের অধিনস্থ্য থাকতে হবে ধর্ম চলে যাবে। এভাবে রটায়ে যখন ফল পায়নি তখন মুসলিমলীগ ও জামাতের কিছু এজেন্ট সারাদেশে হত্যা ধর্ষন চালায় খাঁন সেনাদের সহায়তায়।
এদেশীয় এজেন্টদের সহযোগীতায় খুন ধর্ষন লুৎতরাজ চলে ৭১ সালের মার্চ-ডিসেম্বর বিজয় দিবসের পূর্বদিন পর্যন্ত। রাজাকারদের রক্তচক্ষুতে মানুষ ছিল সদা সঙ্কিত।
জামাত মুসলিমলীগের এজেন্টরা গ্রামে গঞ্জে বলে বেড়াত পাকিস্তানীরা মুসলমান আর আমরাও মুসলমান, আমরা মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই। পাকিস্তানকে রক্ষা করতে হবে তা না হলে এদেশ হিন্দুস্থান হবে। মুসলমান হিসাবে বাঁচতে হলে পাকিস্তানকে রক্ষা কর। আলবদর রাজাকার বাহিনীতে যোগ দাও। এ যুদ্ধটা ধর্মের যুদ্ধ তথা হিন্দু মুসলমানের যুদ্ধ। এযুদ্ধে প্রাণ দিলে শহীদ হওয়া যাবে। এমতাবস্থায় আলবদর রাজাকাররা খুন ধর্ষন লুঠতরাজে মেতে ওঠে পাকিস্তানী সেনাদের সহযোগিতায়।
দালালদের কু-মতলব তথা প্রতারনায় দিক ভ্রষ্ট হয়নি বাংগালীরা। তাঁরা মুক্তির দিনটির অপেক্ষায় থাকে। মুক্তি যোদ্ধাদের অটুট মনবল ও অসীম সাহসীকতা, দেশপ্রেম আর মহা কালের মহা নায়কের ডাকে উজ্জীবিত সন্তানরা মিত্র বাহিনীর সহায়তায় মুক্তি ছিনিয়ে আনে ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ ইং যেটি ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘদিনের আপোষহীন সংগ্রামের ফসল। যার ঐতিহাসিক বাস্তবতা এরুপ ঃ-
জন্ম না হলে, শেখ মুজিবের, উড়তো না পতাকা লাল সবুজের,
“আজকে জাতি হারিয়ে যেত, থাকতো না চিহ্ন বাংলাদেশের, লাল সবুজের”
বর্জ্র্য কন্ঠে তাঁর শুনে ঘোষনা,হাজারো নদীর হয় এক মোহনা,
“বাংগালী তাঁর পাইলো খুজে, শ্রেষ্ঠ এক সন্তানের, সর্বকালের”
জেল যুলুম আর নির্যাতনে রুখতে পারেনি তারে বুলেট বানে
শোষন বঞ্চনায় বাঁচাতে জাতী, জন্ম দিল এক স্বাধীন দেশের, বাংলাদেশের”
বঙ্গবন্ধুর ন্যায় কালজয়ী পুরুষের জন্ম না হলে আমরা আজ স্বাধীন জাতী হিসাবে পৃথিবীর বুকে মাথা তুলে দাড়াতে পারতাম না। তিনি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাংগালী। আমরা যারা তার সংগ্রামী জীবনে অসীম সাহসীকতা আর মনবল প্রত্যক্ষ করেছি, কিভাবে পাকিস্তানীরা বঙ্গবন্ধু কে জেলে ভড়িয়ে শারীরিক আর মানসিক ভাবে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে, তাহা বর্তমান প্রজন্মের জানা দরকার। জানা দরকার ধর্ম ব্যবসায়ীদের ক্ষমতা দখলের অপ-কৌশল তথা প্রতারণার ধারা। পাকিস্তানীরা উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা হিসাবে ঘোষনা দিলে, ভাষা আন্দোলনের জন্ম হয়, তখন হতেই বাংগালীরা শোষন নির্যাতন, স্বাধীকায়ের লক্ষে সোচ্চার হতে থাকেন। সত্তর দশকের নির্বাচনের পর সংখ্যা গরিষ্ট দল আওয়ামীলীগ কে ক্ষমতা না দিয়ে তারা আবারো প্রমান করে, তারা ধর্ম ব্যবসায়ী, ধর্মের আড়ালে তারা প্রতারণা করে ক্ষমতায় থাকার জন্য। তাদের কাছে ধর্মটা ব্যবসায়ী সাইনবোর্ড মাত্র।
বঙ্গবন্ধু হলো সে স্বপ্নে সংগঠক ও সফল নায়ক। এই মহানায়ককে পাকিস্তানী প্রেতাত্বারা স্বপরিবারে নিঃসংষভাবে খুন করে। আবারো ফিরে আসে রাষ্ট্র চালিকায়। তারা অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনানীকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে, বঙ্গবন্ধু তথা মুক্তি যুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তিকে নির্মূল করার মানষে। এভাবে তারা ক্ষমতা দখল করে ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়ের সূচনা করে। যে জাতী বঙ্গবন্ধুর ডাকে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে পারে দেশ মাতৃকার স্বাধীনতায়। সে জাতি ধর্মব্যবসায়ীদের প্রতারণায় প্রতারিত হতে পারে না। এই মুক্তি যুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তিকে চিরতরে নির্মূলের ষড়যন্ত্র কারী তথা আল বদর, রাজাকার ও ধর্ম ব্যবসায়ী হিংস্র বর্বরা ধর্মের নামে মহা প্রতারণা করে। জাতী তাদের ঘ্রিন্ন কর্মকান্ডের উপযুক্ত শাস্তি চায়, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনার কাছে আবেদন রইল। শাস্তি চায় অসংখ্য মা-বোনদের সম্ভম হানি কারী আর ৩০ লক্ষ মানুষের হত্যাকারীদের।
আমরা একাত্তরে দেখেছি পাকিস্তানী সেনা, আলবদর রাজাকারের রক্তচক্ষু। তাদের দ্বারা আমরা নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি। তারা এদেশের মাটিতে আজোও রাজনীতি করছে,অতি দাম্ভিকতার সাথে। একাত্তরে তকাদের নিলর্জ কর্মকান্ড এখনো তারা ভূলে নি ।
একাত্তরের সেই উত্তাল দিনের একটি ভূক্তভোগী চিত্র সম্মানীত পাঠক সমাজের কাছে ধলে ধরতে চাই। বিষয়টি হচ্ছে সেই সময়ে আমি ফ্রি প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক ছিলাম। আমার কর্মরত বিদ্যালয় টি ছিল সীমান্ত সংলগ্ন মুক্ত এলাকায় আর বাড়ী ছিল থানা প্রপারে যাহা খাঁন সেনা ও আল বদর রাজাকারদের নিয়ন্ত্রনে ছিল। চাকুরী করার সুবাদে স্কুলে নিয়মিত ভাবে যাতায়ত করি আর খাঁন সেনা ও রাজাকারদের অবস্থান সম্মর্কে মুক্তি বাহিনীকে মাঝে মধ্যে তথ্য দেই। মুক্ত এলাকায় যাতায়ত করা রাজাকার ও স্থানীয় জামাত-মুসলিমলীগ কর্মীদের নজরে আসে। তারা বিষয়টি পাকিস্তানী সেনাদের অবহিত করে, সীমান্ত এলাকার কর্মরত শিক্ষকের তালিকা তাদেরকে দেয়, সীমান্ত এলাকার স্কুলের নাম সহ। খাঁন সেনাদের পরিকল্পনা মোতাবেক শিক্ষকদের বেতন প্রদানের তারিখ নির্ধারন করে দেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ, আর ঐ নির্ধারিত দিনে বেতন তুলতে গিয়ে আমরা পাঁচজন শিক্ষক গ্রেফতার হই খাঁন সেনাদের হাতে। সেদিনেই অত্র এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে খান সেনাদের যুদ্ধ বাধে তাদের অনেক সেনানি হতাহত হয়। যুদ্ধক্ষেত্র হইতে তারা একজন মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে এনে নির্মন নির্যাতন করে, আমাদের সাথে রেখে দেয়। পরবর্তীতে তাকে আমাদের মাঝ হতে নিয়ে গিয়ে নির্মন ভাবে হত্যা করে তা ছাড়া তারা আমাদের উপরও ভয়ংকর নির্যাতন চালায়। নির্যাতন শিকার দুই জন শিক্ষক এখনো মানসিক ভারসম্যহীন হয়ে বেচেঁ আছেন। প্রানে বাচাঁর জন্য আমরা ছলনার আশ্রয় নেই। মোট কথা আমরা তাদের বস্ব্যতা প্রীকার করি ফলে তারা আমাদের কে তৎকালীন মার্শাল কোটে প্রেরণ করে। আমাদের বিচার হয়। বিচারে জবানবন্দি প্রদান করি যে, স্কুলে চাকুরী করার সুবাদে সীমান্ত এলাকায় গমন করি। সেখানে কোন মুক্তি সেনা থাকেনা তারা সীমান্তের ওপার থেকে রাত্রিবেলা আসে মর্মে শুনেছি তাঁদের সাথে আমাদের কোনদিন দেখা হয়নি। আর আমরা পাকিস্তান সরকারের অধীন চাকুরী করি। আমরা পাকিস্তান চাই এরুপ জবাব বন্দি দেই, প্রাণ বাঁচার তাগিদে। ফলে তারা আমাদের তৎকালীন মার্শাল কোর্টে প্রেরন করে। পাকিস্তানকে মেনে নেওয়ার স্বীকারোক্তি দিলে মার্শাল কোটের বিচারক আমাদেরকে নিদোষ রুপে খালাস প্রদান করে। এই সরল স্বীকারোক্তির ফলে আমরা প্রাণে বেঁচে যাই কিšু‘ তাদের নির্যাতনের কথা আজও ভুলিনি, কি নির্মম তাদের নির্যাতন যা ভূক্তভোগী মাত্রই জানেন। প্রান বাচার তাগিদে পাকিস্তান কে স্বীকার করে নেওয়ার বিষয়টিও ছিল এক প্রকার – প্রতারনা যাহা আমরা প্রান বাঁচার তাগিদে করেছি। খান সেনারা যাহাই বলত সেটাই মেনে হয়েছিল ।
একাত্তরের উত্তাল দিনে বঙ্গবন্ধু ছিল বাংগালীর মনে প্রাণে। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ডাকে এদেশের মুক্তিকামী মানুষ অংশ ন্যায় স্বাধীনতা যুদ্ধে কিন্তু স্বাধীনতার ৪০ বৎসর পরেও এদশে রাজনৈতিক প্রতারণা লক্ষনীয়। একটি বিশেষ শ্রেনী ফয়দা হাসিলের জন্য স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বির্তকের অবতারনায় মত্ত। আমরা যারা তৎকালীন অবস্থার প্রত্যক্ষদর্শী আর আমরা যারা শুনেছি কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্র হতে প্রচারিত বঙ্গঁ বন্ধুর স্বাধীনতার ডাকের ঘোষনা পত্র, যাহা বেতার কেন্দ্রে পাট করেন তৎকালীন মেজর জিয়া-উর-রহমান। এই ঘোষনা পত্র পাঠ করা নিয়ে চলছে রাজনৈতিক ভাবে প্রত্যারনা -মিথ্যা চার। জাতীয়তা বাদী দলের উচ্চ স্তরের অনেক নেতাকে বলতে শুনেছি যে, জিয়া-উর-রহমানের জন্ম না হলে নাকি বাংলাদেশ স্বাধীন হত না । কথাটির নিন্দার ভাষা আমার জানা নাই ।
পাঠক হলো কিনা ঘোষক আর রাজনৈতিক প্রচারণায় মনে হয় যে, জিয় উর রহমানেই স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে মানুষকে সংগঠিত করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। এখানে প্রশ্ন যে, প্রধান মন্ত্রি বা প্রেসিডেন্টের বাণী যদি রেডিও বা টেলিভিশনে কেউ পাঠ করেন। তবে কি আমরা সেই পাঠক কে প্রধান মন্ত্রি বা প্রেসিডেন্ট হিসাবে মেনে নেব ? রাজনৈতিক অঙ্গনে এভাবেই চলছে প্রতারনা মহাপ্রতারনা। ভাওতাবাজির একটা সীমা আছে।
স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪০ বছর পরেও স্বাধীনতা বিরোধী অসুরীও প্রেত্বাতœার দৌড়াত্ব থেমেনি, তাদের ক্ষমতা দখলে সড়যন্ত্র চলছে। বিগত ২৫-২৬ ফেব্র“য়ারী/০৯ ইং তারিখ বি,ডি,আর বিদ্রহর নামে কিছু সংখ্যক উগ্র ভাব বাদী সিপাহীকে উস্কে দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরীর অপচেষ্টা করা হয়। ইহাতে সেনাবাহিনীর কিছু সংখ্যক মেধাবী সেনা সদস্যের প্রাণ ঝরে যায় । উদ্দেশ্যে সরকারের পতন ঘটিয়ে ৩য় শক্তির আর্বিভাব ঘটানো। এখানে স্বাধীনতা বিরোধীদের হাত আছে বলে মনে হয়। আমাদের দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী পরিস্থিতির মোকাবেলা করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্তা রেখে।
ইহাতেও তাদের সড়যন্ত্র থেমে থাকে নি। সম্প্রতি কালে ঘটে যাওয়া ব্যর্থ সেনা অদ্ভদথানের ঘটনা দেখে মনে হয়, ইহা স্বাধীনতা বিরোধীদের সড়যন্ত্র। তারা একটার পর একটা সড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে আর তারা র্ধমানুভূতিকে কাজে লাগিয়ে সর্ব ক্ষেত্রেই বিশৃঙ্খলা তৈরী করে ক্ষমতা দখলের ক্ষেত্র তৈরীতে মত্ত ।
উগ্র ভাব বাদীদের সড়যন্ত্রকে চির দিনের জন্য নিমুল করার দায়িত্ব সরকারের একার নয়, দেশ প্রেমিক জনগনের ও ।
উগ্র ভাব বাদী তথা স্বাধীনতা বিরোধীরা স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তি কে সর্বাক্ষেত্রে নিমুলের অপচেষ্টায় লিপ্ত, তাই মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সমীপে একটা আবেদন রেখে নবম অধ্যয়ের সমাপ্তি করছি।
আর কতকাল কাঁদবি মাগো
অটুট রেখো মনোবল ।।
সারা জনম কাঁদতে গেল,
ফুরাইলোনা চোখের জল ।।
বাপের কোলে ঠাই মেলেনি,
ধরে মায়ের সাড়ির আঁচল,
পার হলি মা কত বাঁধা,
শত বাঁধার বিন্দাচল ।
কু-চক্রি সব রাজাকারে,
দুঃখ দিচ্ছে বারে বারে।।
ভয় নাই মা এগিয়ে চল,
জাগ্রত মুজিব সেনা দল।
বৈদেশিক সাহায্য পুষ্ঠ উগ্র ভাব বাদী সংগঠন গুলো ধমীর্য় অনুভুতিকে কাজে লাগিয়ে এদেশিও বেকার যুবক যুবতি ও গরীব অসহায় মানুষকে ভাব বাদের ছলনায় প্রত্যারনার ফাদে ফেলে অস্ত্র প্রশিক্ষন দিয়ে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আর এই সমস্ত অসহায় গরীব মানুষ অর্থ কড়ির লোভে ফাঁদে বন্দিতে উজ্বিবিত । সীমান্তে নির্বিচারে বাংলাদেশীদের হত্যার ঘটনাগুলিও মৌল বাদী চিন্তা চেতনার ফসল। এখানে মানবতা পদ দলিত হচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিশ্র“তিও ব্যর্থ হচ্ছে, ইহার কারন মৌল বাদী হিংস্রতা , মৌল বাদের বিষ বাষ্প । মৌল বাদ হচ্ছে পৃথিবীর বিষ ফোঁড়া এই বিষ ফোঁড়ায় পৃথিবী অতি মাত্রায় অসুস্থ্য। বিষ
আপনাকে বলি শোনেন, স্রষ্টার প্রসঙ্গ এলে প্রফেসর ডকিন্স প্রায়ই বলেন, “Science is working on it!” কিন্তু বিজ্ঞানীরা কোথায় স্রষ্টার অনস্তিত্ব প্রমাণ করার জন্য কাজ করছেন সেটা কখনোই বলেন না! বিজ্ঞানের নামে অসচেতন লোকজনের মস্তক ধোলাই করার কৌশল আর-কি। প্রফেসর ডকিন্স কি বলতে চান যে, বিজ্ঞানীরা একদিন ল্যাব থেকে হঠাৎ করে বের হয়ে এসে ইউরেকা ইউরেকা করে বলবেন, “এই দেখ! বলেছিলাম না! এই মহাবিশ্বের স্রষ্টা বলে কিছু নাই!” তাই কী? যাহোক, নাস্তিকদের বিশ্বাস অনুযায়ী বিজ্ঞান একদিন সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করবেই, যদিও বিজ্ঞান যে কীভাবে স্রষ্টার প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করবে সেটা তারা জানেন না! তার মানে এটি তাদের একটি অন্ধ-বিশ্বাস।
স্বাধীনতার ৪০ বছরে এসে এই দেশে বসে শুনতে হয় নাস্তিকদের প্রলাপ রাজাকারদের মিথ্যা কথা, নাস্তিকদের ধারনা তারা এতটাই জ্ঞানী যে তারা জ্ঞান সমুদ্র পার হয়ে গেছেন যেখানে নিউটন সে আবার কে? সারাদিন যে বিজ্ঞান বিজ্ঞান করেন ওই বিজ্ঞানের সংজ্ঞা টা বলেন তো? 😛 😛