যে সব উদ্ভট ও অদ্ভুত কথাবার্তা বলে সেই ১৪০০ বছর আগে মোহাম্মদ মানুষের মন ভোলাতেন তা দেখলে সত্যিই সত্যিই আশ্চর্য হতে হয়। শুধু সেই আগে কেন , বর্তমানেও কোটি কোটি মানুষ জেনে না জেনে সেই সব আজগুবি গল্পে মাতোয়ারা হয়ে আছে, এটা নি:সন্দেহে মোহাম্মদের এক বিস্ময়কর সাফল্য যাকে স্বীকার করতেই হবে। সেই সাথে সাথে খুব দু:খও হয় ভাবতে যে কিভাবে আজকে শিক্ষিত নামধারী এক শ্রেনীর মানুষ এ ধরণের আজগুবী কিচ্ছা কাহিনী বিশ্বাস করে তাতে মশগুল থাকতে পারে। এসব আজগুবি কিচ্ছা কাহিনীর মধ্য দিয়ে মোহাম্মদের কোরান ও তাঁর সাহাবীদের লিখিত হাদিসে তাঁর আল্লাহর সম্পর্কে আমাদের যে ধারণা গড়ে ওঠে দেখা যায় সে আল্লাহ চুড়ান্ত রকম স্বেচ্ছাচারী, একনায়ক, বদরাগী, অসহিষ্ণু, প্রতিশোধপরায়ণ, ঈর্ষা পরায়ণ, নিষ্ঠুর, ক্রুদ্ধ এক ব্যক্তিত্ব। যদিও কোরানে মাঝে মাঝে বলা হয়েছে আল্লাহ ক্ষমাশীল কিন্তু ক্ষমার কোন উদারহরণ কোরানে দেখা যায় না, এমনকি এমন একটাও বর্ণনা নেই কোরানে যেখানে বলা হয়েছে আল্লাহর তার সৃষ্ট বান্দা তথা মানুষদেরকে ভালবাসে।
ধরা যাক, একজন পিতার ৩ টি সন্তান আছে, তার মধ্যে একজন পিতার অবাধ্য। যে কারনে সে বাড়ী ত্যাগ করে অন্যত্র বাস করে। পিতার অবাধ্য অর্থ এ নয় যে সে পিতা বা তার অন্য ভাইদের কোন ক্ষতি করার তালে আছে।সে আছে তার মত করে। পিতা বা ভাইদের ধার ধারে না, কাছে পিঠেও আসে না। এমতাবস্থায়, দুনিয়ায় কয়টি পিতা আছে যে সে তার অবাধ্য সন্তানকে ঘৃণা করবে বা তাকে হত্যা করতে চাইবে? সম্ভবত: একটিও নেই। দেখা যাবে, পিতা তার সেই অবাধ্য সন্তানকে ঠিকই ভিতরে ভিতরে ভালবাসে ও তার কল্যাণ কামনাই করে, স্বপ্নেও সে তার কোন অকল্যাণ কামনা করে না, হত্যা করার কথা তো সে কল্পনাও করে না। এখন কিতাব মোতাবেক, দুনিয়ার সকল বান্দা তথা মানুষ প্রকারান্তরে আল্লাহর সন্তান তূল্য, যেহেতু তারা তাঁর দ্বারা সৃষ্ট। এসব বান্দাদের সবাই আল্লাহর বাধ্য হবে এমন নাও হতে পারে। এর যথার্থ কারনও আছে।প্রথম ও প্রধান কারন বোধ হয় এটাই যে- আল্লাহ কোন দিন কোন মানুষের সামনে দেখা দিয়ে বলে নি যে সে আল্লাহ আর সব রকম ক্ষমতাই তার করায়ত্ব। যেটা দেখা যায় তা হলো- হঠাৎ হঠাৎ কোন এক অপ্রকৃতিস্থ ব্যাক্তি নিজেকে আল্লাহ প্রেরিত বা নবী হিসাবে দাবী করে বলছে- তাকে আল্লাহ মানুষের হেদায়েতের জন্য পাঠিয়েছে।কিন্তু অকাট্য ভাবে কোন নবী প্রমান দিতে পারেনি যে সত্যি সত্যি আল্লাহ সেসব নবীদের সাথে দেখা করেছে অথবা আল্লাহ প্রেরিত ফেরেস্তা তাদের সাথে দেখা করেছে। যে কারনে প্রতিটি ধর্মের প্রথম শর্তই হলো- বিশ্বাস বা ঈমান যার সোজা অর্থ হলো অন্ধ বিশ্বাস। ঠিক এরকমই একজন নবী দাবীকারি হলেন- মোহাম্মদ। এমতাবস্থায় যে কেউই সে নবীকে বিশ্বাস করতেও পারে, নাও পারে। যারা বিশ্বাস করে তাদেরকে বাধ্য বলা হলে যারা বিশ্বাস করে না তাদেরকে অবাধ্য বলা যেতে পারে। ঠিক তেমন ভাবেই মোহাম্মদকে কিছু মানুষ তাঁকে বিশ্বাস করেছিল আর কিছু মানুষ বিশ্বাস করে নি। এখন প্রতিটি মানুষ যদি আল্লাহর বান্দা তথা সন্তানের মত হয়, আল্লাহ কিভাবে তার নবীকে বলতে পারে- অবাধ্য সন্তানদেরকে হত্যা করতে, উচ্ছেদ করতে, তাদের ধণ-সম্পদ লুট-পাট করতে ? তার পরেও কথা হলো এ অবাধ্যতার জন্য কিন্তু আবার বান্দাগুলো দায়ীও নয়। তা দেখা যাক নিচের হাদিসে-
আনাস ইবনে মালেক বর্ণিত, হুজুর বলিয়াছেন, আল্লাহ মাতৃগর্ভে একজন ফিরিস্তা মোতায়েন রাখিয়াছেন। ফিরিস্তা বলে, হে প্রভু! এখনও তো ভ্রুণমাত্র, হে প্রতিপালক! এখন জমাটবদ্ধ রক্তপিন্ডে পরিণত হইয়াছে। হে প্রতিপালক! এইবার গোশতের টুকরায় পরিণত হইয়াছে। আল্লাহ যদি তাহাকে পয়দা করিতে চান তখন ফিরিস্তা বলে, হে আমার প্রভু! সন্তানটি ছেলে না মেয়ে হইবে? হে আমার প্রভু! পাপী হইবে, না নেককার হইবে? তাহার রিজিক কি পরিমাণ হইবে ? তাহার আয়ু কত হইবে? অতএব এইভাবে সকল কিছু তাহার মাতৃগর্ভেই লিখিয়া দেওয়া হয়। সহি বুখারী, বই নং-৫৫, হাদিস নং-৫৫০
উক্ত হাদিস দ্বারা বোঝা যাচ্ছে, কোন একজন মানুষ যে ধার্মিক বা নাস্তিক হয় এটা তার নিজের দোষ না, এটা খোদ আল্লাহ নিজেই নির্ধারণ করে দেয়। এর পর কেউ যদি মোহাম্মদকে নবী হিসাবে বিশ্বাস না করে , এর জন্য তাকে আবার আল্লাহ হত্যা করতে বলে কিভাবে , তাকে দোজখের আগুনে পোড়ানোর কথা কিভাবে বলে, তার ধণ-সম্পদ লুন্ঠন করতে কিভাবে বলে ? এটা কোরানেও আছে যেমন-
নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না। আল্লাহ তাদের অন্তকরণ এবং তাদের কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। কোরান-বাকারা,২:৬-৭
অতঃপর তোমাদের কি হল যে, মুনাফিকদের সম্পর্কে তোমরা দু’দল হয়ে গেলে? অথচ আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন তাদের মন্দ কাজের কারনে! তোমরা কি তাদেরকে পথ প্রদর্শন করতে চাও, যাদেরকে আল্লাহ পথভ্রষ্ট করেছেন? আল্লাহ যাকে পথভ্রান্ত করেন, তুমি তার জন্য কোন পথ পাবে না।কোরান, নিসা-৪:৮৮
বস্তুত: কোরানের উপরোক্ত সহি বুখারী, বই নং-৫৫, হাদিস নং-৫৫০ কোরানের ২:৬-৭ আয়াতকে ব্যখ্যা করে। যে মানুষের অন্ত:করণ আল্লাহ আগেই সীল করে দিয়েছে তার পক্ষে কিভাবে সম্ভব আল্লাহ প্রেরিত নবী মোহাম্মদকে বিশ্বাস করা? হাদিস নং -৫৫০ মোতাবেক ও আয়াত নং-২:৬-৭ মোতাবেক অত্যন্ত পরিষ্কার যে- কে বিশ্বাসী বা অবিশ্বাসী হবে তা সে লোক পৃথিবীতে জন্মলাভের আগেই আল্লাহ কর্তৃক পূর্ব নির্ধারিত। আল্লাহ যা নির্ধারণ করে দিয়েছে তা খন্ডাতে পারে কে? ৪:৮৮ আয়াত বলছে- আল্লাহই মুনাফিকদেরকে তাদের মন্দ কাজের কারনে ঘুরিয়ে দিয়েছে। কিন্তু তারা যে মন্দ কাজ করেছে সেটা তো তাদের জন্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল তাদের জন্মের আগেই আর সেটা কিন্তু উক্ত আয়াতের পরের অংশেও অত্যন্ত পরিষ্কার যেখানে বলা হচ্ছে- তোমরা কি তাদেরকে পথ প্রদর্শন করতে চাও, যাদেরকে আল্লাহ পথভ্রষ্ট করেছেন? আল্লাহ যাকে পথভ্রান্ত করেন, তুমি তার জন্য কোন পথ পাবে না। আল্লাহ যাকে পথ ভ্রুষ্ট করেছে সে তো কখনোই বিশ্বাসী হবে না, সে আল্লাহর পথে আসবে না। এখন প্রশ্ন হলো- তারা যদি অবিশ্বাসী হয় তাহলে তাদের জন্য দায়ী কে? তারা নিজেরা নাকি আল্লাহ স্বয়ং? এ বিষয়ে যখন ইসলামী পন্ডিতদেরকে জিজ্ঞস করা হয় তারা নানারকম মনগড়া উত্তর দেয়।বলে- আল্লাহ বলছে সবাইকে বিশ্বাস করতে, ভাল কাজ করতে তাহলে সে অনুযায়ী আল্লাহ তাদেরকে পুরষ্কার প্রদান করবে। কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব যখন সেই একই আল্লাহ মানুষের জন্মের আগেই শুধু নির্ধারণ করেই দেয় না যে কে অবিশ্বাসী হবে বা খারাপ কাজ করবে, পরন্তু আল্লাহ অবিশ্বাসী মানুষের অন্তকরনে সীলও মেরে দিয়েছে? এর পর যদি এদের মধ্যে কেউ দুর্ঘটনাক্রমে বিশ্বাসী হয় ও ভাল কাজ করে তাহলে অন্য একটা বিরোধের সৃষ্টি হয়। তা হলো-আল্লাহর ক্ষমতাকে ভুল প্রমান করা হয় অর্থাৎ আল্লাহর বিধাণ ভুল প্রমানিত হয়, যা পরিশেষে বিশ্বাসী ব্যক্তির ক্ষমতা আল্লাহর ক্ষমতার চাইতে বেশী প্রমান করে, প্রমান করে আল্লাহর ক্ষমতা খুব সীমিত অথবা কোন ক্ষমতাই নেই মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রনের তথা কোন কিছু নিয়ন্ত্রনের। সুতরাং কোন দিক দিয়েই বিষয়টি ঠিক পরিষ্কার নয় ও প্রচন্ডরকম স্ববিরোধী বলেই দৃশ্যমান হচ্ছে। এবার দেখা যাক, যাদেরকে আল্লাহ নিজেই অবিশ্বাসী হিসেবে সৃষ্টি করেছে তাদের সাথে আল্লাহ কি ধরণের আচরণ করছে বা তার বিশ্বাসী বান্দাদেরকে কি ধরণের আচরণ করতে বলছে-
যে ব্যক্তি আল্লাহ তাঁর ফেরেশতা ও রসূলগণ এবং জিবরাঈল ও মিকাঈলের শত্রু হয়, নিশ্চিতই আল্লাহ সেসব কাফেরের শত্রু। কোরান, বাকারা-২:৯৮
নিশ্চয় যারা কুফরী করে এবং কাফের অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করে, সে সমস্ত লোকের প্রতি আল্লাহর ফেরেশতাগনের এবং সমগ্র মানুষের লা’নত। কোরান, বাকারা-২: ১৬১
আর লড়াই কর আল্লাহর ওয়াস্তে তাদের সাথে, যারা লড়াই করে তোমাদের সাথে। অবশ্য কারো প্রতি বাড়াবাড়ি করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। কোরান, বাকারা-২:১৯০
আর তাদেরকে হত্যাকর যেখানে পাও সেখানেই এবং তাদেরকে বের করে দাও সেখান থেকে যেখান থেকে তারা বের করেছে তোমাদেরকে। বস্তুতঃ ফেতনা ফ্যাসাদ বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও কঠিন অপরাধ। আর তাদের সাথে লড়াই করো না মসজিদুল হারামের নিকটে যতক্ষণ না তারা তোমাদের সাথে সেখানে লড়াই করে। অবশ্য যদি তারা নিজেরাই তোমাদের সাথে লড়াই করে। তাহলে তাদেরকে হত্যা কর। এই হল কাফেরদের শাস্তি। কোরান, বাকারা-২:১৯১
তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না। কোরান, বাকারা-২:২১৬
তোমরা যদি আহত হয়ে থাক, তবে তারাও তো তেমনি আহত হয়েছে। আর এ দিনগুলোকে আমি মানুষের মধ্যে পালাক্রমে আবর্তন ঘটিয়ে থাকি। এভাবে আল্লাহ জানতে চান কারা ঈমানদার আর তিনি তোমাদের কিছু লোককে শহীদ হিসাবে গ্রহণ করতে চান। আর আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না। কোরান, আল ইমরান-৩:১৪০
আর এ কারণে আল্লাহ ঈমানদারদেরকে পাক-সাফ করতে চান এবং কাফেরদেরকে ধবংস করে দিতে চান। কোরান, আল ইমরান-৩:১৪১
তোমাদের কি ধারণা, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে? অথচ আল্লাহ এখনও দেখেননি তোমাদের মধ্যে কারা জেহাদ করেছে এবং কারা ধৈর্য্যশীল। কোরান, আল ইমরান-৩:১৪২
যারা ঈমানদার তারা যে, জেহাদ করে আল্লাহর রাহেই। পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা লড়াই করে শয়তানের পক্ষে সুতরাং তোমরা জেহাদ করতে থাক শয়তানের পক্ষালম্বনকারীদের বিরুদ্ধে, (দেখবে) শয়তানের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল। কোরান, নিসা-৪:৭৬
তুমি কি সেসব লোককে দেখনি, যাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তোমরা নিজেদের হাতকে সংযত রাখ, নামায কায়েম কর এবং যাকাত দিতে থাক? অতঃপর যখন তাদের প্রতি জেহাদের নির্দেশ দেয়া হল, তৎক্ষণাৎ তাদের মধ্যে একদল লোক মানুষকে ভয় করতে আরম্ভ করল, যেমন করে ভয় করা হয় আল্লাহকে। এমন কি তার চেয়েও অধিক ভয়। আর বলতে লাগল, হায় পালনকর্তা, কেন আমাদের উপর যুদ্ধ ফরজ করলে! আমাদেরকে কেন আরও কিছুকাল অবকাশ দান করলে না। ( হে রসূল) তাদেরকে বলে দিন, পার্থিব ফায়দা সীমিত। আর আখেরাত পরহেযগারদের জন্য উত্তম। আর তোমাদের অধিকার একটি সূতা পরিমান ও খর্ব করা হবে না। কোরান, নিসা-৭৭
তারা চায় যে তারা যেমন কাফির তোমরা তেমন কাফির হয়ে যাও, যাতে তোমরা সবাই একরকম হতে পার।অতএব তাদের মধ্য থেকে কাউকে বন্ধু রূপে গ্রহন করিও না যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অত:পর তারা যদি ফিরে যায়, তাদেরকে পাকড়াও কর আর হত্যা করো যেখানে পাও, তাদের কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, সাহায্যকারী বানিও না- কোরান, সূরা: নিসা ৪:৮৯
তোমরা যুদ্ধ করো আহলে কিতাবের (ইহুদী ও খৃষ্টান) ঐ লোকদের সাথে যারা কিয়ামতে বিশ্বাস করে না, আর হারাম করে না যা আল্লাহ হারাম করেছে, আর সত্য ধর্মে বিশ্বাস করে না যা তাদেরকে দেয়া হয়েছে, যে পর্যন্ত না তারা জিজিয়া কর প্রদান করে ও আনুগত্য প্রদর্শন না করে। কোরান, আত-তাওবা-৯:২৯
এরকম আরও বহু আয়াত উল্লেখ করা যেতে পারে। এখন প্রশ্ন হলো-যে মানুষের ভাগ্য আল্লাহ তার মাতৃগর্ভে থাকতেই নির্ধারণ করে দিয়েছে তাকে কেন আল্লাহ এতভাবে হুমকি, ধামকি প্রদান করবে, খুন করতে চাইবে বা দোজখের আগুনে পোড়াতে চাইবে? আবার বলা হয় আল্লাহ হলো পরম করুণাময় ও দয়ালু। একজন পরম দয়ালু আল্লাহ কিভাবে একবারও তার বান্দাদেরকে ভালবাসার কথা না বলে ক্রমাগত এতভাবে ভয় দেখাচ্ছে? এ থেকে স্বভাবতই প্রশ্ন আসে সত্যি কি আল্লা বা সৃষ্টিকর্তা বা ঈশ্বর এসব কথা মোহাম্মদকে বলেছে? আর যে সে ভয় নয়, একেবারে খুনখারাবি পর্যন্ত।তার এসব হুমকি ধামকি থেকে কি প্রমানিত হয় যে আল্লাহ সত্যি সত্যি দয়ালু? আল্লাহ কেন তার অবাধ্য বান্দাদের প্রতি করুণাময় নয়, কেন তাদের ভালবাসে না ? আর যেখানে তাদের অবাধ্যতার জন্য তারা নিজেরাই দায়ী নয় ? তাহলে আল্লাহ কি রক্তের হোলিখেলা খেলতে এসব অবিশ্বাসী মানুষ সৃষ্টি করেছিল? এ কোন ধরনের আল্লাহ যে খালি খুন খারাবি পছন্দ করে?
তবে হাদিস থেকে একটা খুব মজার তথ্য বেরিয়ে আসে। সেটা হলো- মোহাম্মদ মানুষদেরকে ইসলামে টানার জন্য উৎকোচ প্রদান করছেন। অনেকটা বাংলাদেশে যেমন এক সময় স্বৈরশাসকদের আমলে রাজনৈতিক দল থেকে মন্ত্রীত্ব বা টাকার লোভ দিয়ে তাদের দলে টানা হতো। যেমন-
ইবনে আব্বাস হুজুর হইতে বর্ণনা করিয়াছেন। হুজুর বলিয়াছেন, প্রত্যূষের সমীরণ দ্বারা আমাকে সাহয্য করা হইয়াছে এবং দুবুর দ্বারা আদ জাতিকে ধ্বংস করা হইয়াছে।
আবু সাইদ হইতে বর্ণিত, আলী হুজুর এর নিকট কিছু স্বর্ণের টুকরা পাঠাইলেন?। তিনি তাহা চারিজন লোকের মধ্যে বন্টন করিয়া দিলেন। তিনি তাহা চারিজন লোকের মধ্যে বন্টন করিয়া দিলেন। তাহারা হইলেন-আকরা ইবনে হাবিস আল হানযালী, যিনি মাজশিরী গোত্রভুক্ত ছিলেন।উয়াইনা ইবনে বদর আল ফাযারী যায়েদ আত্তায়ী যিনি বনু নাবহান গোত্রভুক্ত ছিলেন এবং আলকাম ইবনে উলাছা আল আমেরী যিনি বনু কিলাবের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ইহাতে আনছার ও কুরাইশরা ক্ষুব্ধ হইলেন এবং বলিতে লাগিলেন, তিনি নজদবাসীদের নেতাদিগকে দিতেছেন আর আমাদিগকে উপেক্ষা করিতেছেন।হুজুর বলিলেন, আমি তো তাহাদিগকে (ইসলামে আকর্ষণের জন্য) মন খুশী করিবার জন্য দিতেছি। তখন এক ব্যক্তি সামনে অগ্রসর হইল, যাহার চক্ষুদ্বয় কোটরাগত, গন্ডদ্বয় স্খলিত, ললাট উচু, দাড়ি ঘন ও মস্তক মুন্ডানো। সে বলিল, হে মুহাম্মদ! আল্লাহকে ভয় কর। তিনি বলিলেন, আমি যদি নাফরমানি করি তবে আল্লাহর আনুগত্য কে করিবে? আল্লাহ আমাকে দুনিয়ার উপর আমানতদারি বানাইয়াছেন। আর তোমরা আমাকে আমানতদার মানিতেছ না।তখন এক ব্যক্তি ঐ লোকটিকে হত্যা করার অনুমতি চাহিল। আবু সাইদ বলেন, আমার ধারণা ঐ ব্যক্তি খালেদ ইবনে অলিদ ছিলেন। কিন্তু হুজুর তাঁহাকে বারণ করিলেন। অভিযোগকারী লোকটি চলিয়া গেলে হুজুর বলিলেন, এই ব্যক্তির বংশে বা এই ব্যক্তির পরে, এমন কিছু সংখ্যক লোক হইবে, যারা কুরান পড়িবে কিন্তু তাহা কন্ঠনালী অতিক্রম করিবে না। ধর্ম হইতে তাহারা এমনভাবে বাহির হইয়া যাইবে যেমন ধনুক হইতে তীর বাহির হইয়া যায়। তাহারা মুসলমানদিগকে হত্যা করিবে এবং মূর্তিপূজক দিগকে অব্যহতি দিবে। যদি আমি তাহদিগকে পাইতাম তবে আদ জাতির মত অবশ্যই তাহাদিগকে হত্যা করিতাম। সহি বুখারী, বই-৫৫, হাদিস নং-৫৫৮
আল্লাহর এমনই করুণ দশা যে তার একমাত্র সত্য ধর্ম ইসলাম প্রচার করার জন্য তাকে তার অবাধ্য বান্দাদেরকে শুধুমাত্র খুন খারাবি, দোজখের আগুনের ভয় এসব দিয়েও যখন কাজ হচ্ছে না তখন তার নবীকে ঘুষ প্রদান করতে হয়। আর বলা বাহুল্য এ ঘুষ দিতে কিন্তু নিজেদের সম্পদ ব্যয় করতে হচ্ছে না, অন্যের লুট করা সম্পদ গণিমতের মালের নাম করে গ্রহণ পূর্বক তা দিয়েই কাজ সমাধা হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহর এ ধরণের রহস্যময় আচরণ বোঝা বড় দায়। যাদেরকে আল্লাহ নিজেই বিভ্রান্ত করেছে, যাদের অন্তকরণকে সীল মেরে বন্দ করে দিয়েছে, তাদেরকে নানারকম হুমকি ধামকি দিয়েও ইসলামে আনতে না পেরে অবশেষে ঘুষের আশ্রয় নিতে হচ্ছে। আল্লাহর এ ধরনের করুণ ও অসহায় অবস্থায় তাকে আমাদেরও করুণা ও দয়া দেখানো ছাড়া কোন উপায় নেই। কেন এখানে আল্লাহর ঘুষ দেয়ার কথা বলা হচ্ছে? কারন আমরা জানি, মোহাম্মদ নিজ থেকে কোন কাজ করতেন না, সব কিছুই তিনি করতেন আল্লাহর নির্দেশে। সুতরাং তাঁর এ ঘুষ প্রদানের নির্দেশটি নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে। উক্ত হাদিস থেকে আরও কিছু বিষয় খুব পরিষ্কার। তা হলো- মোহাম্মদের অনুসারীরা যে সব সময় মোহাম্মদের সম্পর্কে উচু ধারণা পোষণ করত তা নয়। যে কারনে তারা প্রকাশ্যে মোহাম্মদের এহেন কাজের প্রতিবাদ করছে। আরও বোঝা যায়, তার সাহাবীরা সব সময় যে মোহাম্মদের ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে তা গ্রহণ করত সেটা ঠিক নয়, তারা লুন্ঠিত ধণ সম্পদ তথা গণিমতের মাল পাওয়ার আশায় মোহাম্মদের দলে ভিড়েছিল। উক্ত হাদিসে দেখা যাচ্ছে উপস্থিত সকল আনসার (মদিনাবাসী) ও মক্কাবাসীরাই বিষয়টির সমালোচনা ও প্রতিবাদ করেছে তার মানে গণিমতের মালের আশায় মোহাম্মদের দলে যোগ দেয়া লোকের সংখ্যাই বেশী। একজন লোক (যে নাকি নিজেও মোহাম্মদের সাহাবি) তো মোহাম্মদের এ ধরণের অনৈতিক কাজ দেখে প্রকাশ্যে বলেছে- হে মোহাম্মদ! আল্লাহকে ভয় কর- যা প্রকারান্তরে মোহাম্মদের নবুয়ত্বকে চ্যলেঞ্জ করার সামিল। কেন সে মোহাম্মদকে আল্লাহকে ভয় করার জন্য বলেছে? কারন তার কাছে মনে হয়েছে মোহাম্মদ যা করল তা খুব অনৈতিক ও খারাপ কাজ। খারাপ কাজ একারনে যে আল্লাহ যদি সত্যি ইসলামকে সত্য ধর্ম ও মোহাম্মদকে তার মনোনীত রসুল গণ্য করে, সেই ইসলামে এ ধরনের অনৈতিক কাজের স্থান হতে পারে না, করতে পারে না কোন আল্লাহর রসুল এ ধরণের হীন কাজ। মোহাম্মদ এ ধরণের একটা হীন ও অনৈতিক কাজ করার কারনে উক্ত লোকটির মনে হয়েছে যে মোহাম্মদ সাময়িকভাবে আল্লাকে ভুলে গিয়ে এ ধরণের কাজ করেছে। সেকারনেই সে মোহাম্মদকে আল্লাহকে ভয় করার কথা বলে প্রকারান্তরে মোহাম্মদকে তওবা করতে বলেছে। আর বলা বাহুল্য, এ কথাগুলো বলে লোকটি মোহাম্মদকে ভুল শোধরানোর কথা বলেছে এবং কোনভাবেই আল্লাহ ও ইসলামকে অবমাননা করতে চায়নি, বরং তাদেরকে সমুন্নত করতেই চেয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র একজন লোক খালেদ বিন অলিদ প্রতিবাদ না করে অভিযোগকারী লোকটিকে তার এ ধরণের ঔদ্ধত্যের জন্য খুন করতে চেয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে, অলিদ বিন খালিদ বিষয়টির গভীরে পৌছতে ব্যর্থ ও এটাকে মোহাম্মদকে অপমান করার সামিল গণ্য করেছে। এ থেকে মোহাম্মদের অন্ধ সাহাবীদের মন মানসিকতার স্তর বোঝা যায়। এক দিকে গণিমতের মালামালের জন্য লোভী একদল বর্বর আরব, অন্য দিকে মোহাম্মদের প্রতি অন্ধ কিছু বর্বর ভক্ত মোহাম্মদের পিছনে দল বেধেছে। মোহাম্মদও সেটা ভাল করেই জানেন আর জানেন বলেই তিনি তাদেরকে সুকৌশলে পরিচালিত করেছেন এবং তার প্রথম সফল যুদ্ধের প্রথমদিনেই তিনি আল্লাহর ওহীর মাধ্যমে লুন্ঠিত দ্রব্যাদি গণিমতের মালামাল রূপে বৈধ করে ফেলেছেন। এখানে আরও লক্ষ্যনীয়, মোহাম্মদ কিন্তু অলিদকে প্রতিবাদকারী লোকটিকে খুন করতে নিষেধ করেছেন। এটা তার অতীব দুরদর্শিতার নিদর্শন।তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এ ধরণের কাজের জন্য সাথে সাথেই লোকটিকে খুন করলে তাতে তার সুনাম হানি হবে, উপস্থিত লোকজন মোহাম্মদের প্রতি আস্থা হারাতে পারে। কারন উপস্থিত আনসার ও কুরাইশদের পক্ষেই মূলত লোকটি কথা বলেছিল। সুতরাং তারা মোহাম্মদের দল ত্যাগ করতে পারে। সুচতুর মোহাম্মদ তাই লোকটিকে সাথে সাথে খুন করার কথা বলে নিজের বিপদ বাড়াতে চান নি। একই সাথে উপস্থিত লোকজন যাতে মোহাম্মদের ঘুষের মত অনৈতিক কাজের ব্যপারে বেশী সমালোচনা করতে না পারে তাই সাথে সাথেই তিনি সে ব্যবস্থাও করেন। বর্বর আরবগুলোকে সাথে সাথেই একটা কিচ্ছা তৈরী করে ভয় প্রদর্শন করেন ও অভিশাপ দেন।
উক্ত হাদিস থেকে আরও একটা বিষয় পরিষ্কার। তা হলো কেন মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে দুর্নীতি, ঘুষ এসবের মাত্রা বেশী। উপরের হাদিস থেকে দেখা যাচ্ছে- মোহাম্মদ তার সাহাবীদেরকে শিক্ষা দিচ্ছেন ইসলামের স্বার্থে ঘুষ প্রদান সঠিক ও বৈধ। বাংলাদেশের ধর্মপ্রান মানুষ যারা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত তারা আপাদমস্তক প্রায় ঘুষখোর ও নানা রকম অবৈধ পন্থায় উপার্জনে বিশেষ দক্ষ ও দ্বিধাহীন। তার কারন হলো তারা বিশ্বাস করে রসুলের দেখানো পথে যে- এভাবে উপার্জন করার পরে তার একটা অংশ যদি ইসলাম প্রচারের কাজে লাগানো হয় তাহলে তার সব অপরাধ মাফ। যেকারনে দেখা যাবে উচ্চ-নীচ সব ধরনের সরকারী কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এরা ব্যপকভাবে মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানাতে দান ধ্যান করে, হজ্জ করে, ফকির মিসকিনকে দান করে, ইসলামী জলসার আয়োজনে আর্থিক সহায়তা করে, ইসলামী সংগঠনগুলোকে নিয়মিত চাঁদা দেয় আর বলাবাহুল্য এর সবগুলোই ইসলাম প্রচার ও প্রসারের উপলক্ষ্য ও ফলত: তাদের যাবতীয় দুর্নীতি ও অপকর্ম জায়েজ। এত যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে তাতে কেন যে কোন কাজ হচ্ছে না, তা আশা করি এখন বোধগম্য। মোহাম্মদ নিজেই যেখানে ইসলাম প্রচারের জন্য লুঠ-পাট, খুন-খারাবি, যুদ্ধ, ঘুষ এসবকে জায়েজ করে গেছেন, তার উম্মতরাও তো সেটাই অনুসরণ করবে, সেটাই তো ইসলামের নির্দেশ। ঠিক একারনেই দেখা যায় অধিকাংশ অমুসলিম দেশ যেখানে প্রায় দুর্নীতি মুক্ত বা মাত্রা অনেক কম সেখানে প্রায় সব কটি মুসলমান রাষ্ট্র আপাদ মস্তক দুর্নীতিগ্রস্থ। আর এ দুর্নীতির জন্য মানুষের চেয়ে ইসলাম বেশী দায়ী বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। খালি উপরে উপরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করলে কি আর দুর্নীতি কমে? সমস্যার মূলে যেতে হবে আগে, তাহলেই না সমস্যা দুর হবে। এ ব্যপারে দলিল দস্তাবেজ সহ বিস্তারিত পরের অধ্যায়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
কিন্তু মোহাম্মদের ইসলাম প্রচারের ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য ছিল আরব রাজ্য প্রতিষ্ঠা, সেটা অনারব মুসলমানরা বুঝতে পারে না।মূলত: আরবদেরকে একত্রিত করে একটা শক্তিশালি আরব রাজ্য গঠন করাই ছিল তার ইসলামের মূল লক্ষ্য। আর সেকারনে তিনি তার তথাকথিত আল্লাহর বানী ছাড়াও কপটতার আশ্রয় নিতেন, আশ্রয় নিয়েছেন লুট-তরাজ, হত্যা-ধর্ষন, হুমকি ধামকির। আধুনিক যুগের বিভিন্ন দেশে যেসব একনায়ক দেখা গেছে বা এখনও যায় এদের প্রত্যেকেই ছিল মোহাম্মদের এ ধরণের কৌশলের একান্ত অনুসারী। হিটলার, স্টালিন, মাও সে তুং থেকে শুরু করে হালের সাদ্দাম হোসেন, গাদ্দাফি সবাই এ তালিকায় পড়ে। যা বলা বাহুল্য, আধুনিক যুগের রাজনীতির একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য। আরবকেন্দ্রিক এ রাজ্য বা সাম্রাজ্যই যে তার মূল লক্ষ্য ছিল তা কিন্তু এক পর্যায়ে মোহাম্মদ লুকান নি, তা প্রকাশ করেছেন সবার সামনেই আর তা করেছেন তখন যখন তিনি তার ক্ষমতা সুসংহত করে স্থায়ী ইসলামী আরব রাজ্যের ভিত্তি শক্তভাবে প্রতিষ্ঠা করেন। যেমন দেখা যাক নিচের হাদিস-
আবু হোরায়রা বর্ণিত, হুজুর বলিয়াছেন, এই খেলাফতের(শাসন) ব্যপারে সমস্ত মানুষ কুরাইশদের অধীন। সহি বুখারি, বই-৫৬, হাদিস নং-৭০০
আব্দুল্লা ইবনে ওমর বর্ণিত, হুজুর বলেন- শাসন কার্যের দায়ীত্ব চিরকাল কুরাইশদের হাতেই থাকবে, যতদিন তাদের দুইজন লোকই অবশিষ্ট থাকবে। সহি বুখারি, বই-৫৬, হাদিস নং-৭০৫
এসবের পরে কি আর বুঝতে বাকি থাকে মোহাম্মদের ইসলাম প্রচারের আসল মাহাত্ম কি ছিল? ঠিক এ তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেই আরবরা নিশ্চিন্তমনে দুনিয়ার সকল মুসলমানদের ওপর তাদের সাম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নিজেরা দুনিয়ার যত আকাম কুকাম(মদ, জুয়া, বেশ্যা সঙ্গম ইত্যাদি) করে দুনিয়ার বাকী সব মুসলমানদের সামনে গিয়ে ইসলামের সুমহান বানী প্রচারের কাজে কোটি কোটি ডলার লগ্নি করেছে যাতে তাদের এ সাম্রাজ্য চিরকাল বজায় থাকে। অনারব মুসলমানরা বুঝে না বুঝে এখনও পর্যন্ত অসভ্য আরবদের দাসত্ব করতে পেরে দারুন রকম পূলক অনুভব করে। তাদের এ লগ্নির কারনেই ইসলাম প্রচারের নামে মুসলিম দেশগুলোতে অসংখ্য টিভি, ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, দরিদ্র মূসলিম দেশে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার মসজিদ, মাদ্রাসা, ইসলামী চরমপন্থি রাজনৈতিক দল। ফলও হাতে নাতে-বাংলাদেশের মত দেশে মাদ্রাসার সংখ্যা হয়েছে মাত্রারিক্ত, ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত ছাত্র বের হচ্ছে প্রতি বছর লাখ লাখ, মেয়েরা দিন দিন বোরখার ভিতরে ঢুকছে, অভিজাত মুসলমানরা আরবদের আলখাল্লা গায় ও মাথায় পাগড়ি পরে নিজেকে আরব মনে করছে। একটাই উদ্দেশ্য- সারা দুনিয়ার সব মানুষ যেন সৌদি আরবে হজ্জ ও ওমরা করতে যায়, এর ফলে ওদের দেশের তেল ফুরিয়ে গেলেও সমস্যা নেই, হজ্জ ও ওমরা ব্যবসা করেই দিব্বি মজা ফুর্তিতে জীবন কাটানো যাবে। দরিদ্র মুসলিম দেশের মুসলমানরা জমি বাড়ী বিক্রি বা বন্দক রেখে, কঠোর পরিশ্রম করে জমা করা টাকা খরচ করে হজ্জ বা ওমরা করতে যাবে, সেই টাকায় আরবরা বসে বসে মজা করবে। আহা মোহাম্মদ সত্যিই খুব দুরদর্শী ছিলেন। উষর আরবের আরবদের প্রতি তার সীমাহীন ভালবাসার কারনে তার সৃষ্ট ইসলাম তার আরব উত্তরাধিকারীদের জন্য চিরস্থায়ী সুখ স্বাচ্ছন্দের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
পরিশেষে মোহাম্মদের উদ্ভট গল্প কিচ্ছার ছোট্ট আর একটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে, যেমন-
আবু হোরায়রা বর্ণিত, হুজুর বলিয়াছেন- আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করিলেন ও তাহার উচ্চতা ছিল ৬০( ষাট) হাত।………………..যে ব্যক্তিই বেহেস্তে প্রবেশ করিবে তাহার আকৃতি হইবে আদমের আকৃতির মত।তবে আদম সন্তানের উচ্চতা কমিতে কমিতে বর্তমান উচ্চতায় আসিয়াছে। সহি বুখারি, বই-৫৫, হাদিস নং-৫৪৩
আবু হোরায়রা বর্ণিত, হুজুর বলিয়াছেন- যে দল সর্বপ্রথম বেহেস্তে প্রবেশ করিবে তাহাদের চেহারা হইবে পূর্ণিমার রাত্রের চন্দ্রের মত…………………………………..তাহাদের স্ত্রীরা সবাই হইবে আয়ত ও কাল চক্ষু বিশিষ্টা হুর। সকলেই তাহারা আদি পিতা আদমের দেহাকৃতির ন্যায় ৬০ হাত দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট হইবে। সহি হাদিস, বই-৫৫, হাদিস নং-৫৪৪
৬০ (৯০ ফুট) হাত তথা ৯ তলা দালানের সমান উচ্চতা বিশিষ্ট বেহেস্তবাসি মানুষ তার মানে প্রত্যেকেই হবে এক একটি বিশাল দৈত্য, তাদের আকৃতি হবে পৃথিবীর বর্তমানে সবচাইতে বিরাট প্রানী নীল তিমির সমান আকৃতির।হাদিসে তাদের স্ত্রী অর্থাৎ হুরদের আকৃতি কেমন হবে তা পরিষ্কার বলা নেই। তবে তা নিশ্চয়ই ৬০ হাতের কাছাকাছি উচ্চতারই হবে ধরে নেয়া যায়। এখন কোটি কোটি বিশাল দেহী বেহেস্তবাসীরা বেহেস্তে যখন বিশাল দেহী হুরদের সাথে যৌনক্রিড়া করবে একই সাথে(কারন যৌন ক্রিড়া করা ছাড়া বেহেস্তে তাদের করনীয় কিছু নেই), তা একটা দেখার মত দৃশ্য হবে। এছাড়া পৃথিবীর প্রথম মানব আদমেরও দৈর্ঘ্য ছিল ৯০ ফুট যা থেকে কমতে কমতে আধুনিক মানুষ গড়ে ৬ ফুটের কাছাকাছি এসেছে। সুতরাং যারা আদিম ফসিল খুজে বেড়ায় তাদের জন্য নোবেল পুরস্কার পাওয়ার একটা সুযোগ আছে। যদি কোন দিন তারা ৯০ ফুট বা তার কাছাকাছি কোন মানব ফসিল খুজে পায় তা যেমন মোহাম্মদের কিচ্ছার সত্যতা প্রমান করবে একই সাথে নির্ঘাত তা তার জন্য চাই কি ডবল নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পথ করে দেবে। আমরা আশা করছি কোন এক মহা প্রতিভাবান ফসিল সন্ধানী খুব তাড়াতাড়ি এ ধরণের ফসিল খুজে পেয়ে আমাদেরকে আশ্বস্থ করবেন। যদি নাও পাওয়া যায়, তাতেও ক্ষতি নেই বলেই মনে হয়, কারন ইসলামী বিজ্ঞানীরা সম্ভবত: ইতোমধ্যেই গোটা দুনিয়া ব্যপী যে সব অতিকায় ডাইনোসরদের কংকাল খুজে পেয়েছে তাদেরকে আদি মানব হিসাবে প্রমান করার জন্য আদা জল খেয়ে লেগে পড়েছে যার ফলাফল সম্ভবত খুব তাড়াতাড়ি ইসলামি টিভি গুলোতে স্বাড়ম্বরে প্রচার করা হবে। সুতরাং পাঠক বৃন্দকে আর কিছুকাল অপেক্ষা করা ছাড়া গতি নেই।
বুখারী, মুসলিম ও আবু দাউদের হাদিসের সাইট
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-10
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-9
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-8
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-7
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-6
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-5
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-4
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-3
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-2
মোহাম্মদ ও ইসলাম, পর্ব-1
সত্যিই তো খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের দিকে ইঙ্গিত করলেন। স্বয়ং সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তাকে তার কথা মানুষদেরকে বিশ্বাষ ধরনোর জন্য তারই সৃষ্ট প্রাণহীনবস্তু চন্দ্র,সূর্য,সূর্যাস্তের,ইত্যাদির উপর একেরপর এক কছম খাওয়ার দরকার হয়ে পড়েছে ,
এটাযে তার একটা মারাত্বক করুন দশা প্রমান করে এটা তো কখনো মাথায় আসে নাই।
সর্বশক্তিমান সৃষ্টি কর্তার এরুপ করুন দশা হবার তো প্রশ্নই উঠতে পারেনা।
আপনার ভিতর তো সত্যিই মস্তিস্ক রয়েছে।
সম্ভবতঃ অজস্র বড়বড় ডিগ্রীধারীদের মস্তিস্ক গুলী নবিজীর নিকট বিক্রীত হয়ে বসে আছে। তাদের মস্তিষ্কের স্বাধীন চিন্তা ক্ষমতা মনে হয় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।কী বলেন?
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
কতটা বিক্রিত হয়ে গেছে তার একটা নমুনা দেখুন- আমার পরিচিত এক লোক বিজ্ঞানের একজন পোষ্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রীধারী। তাকে বোখারি হাদিস থেকে জ্বরের তাপ বা গ্রীষ্মের তাপ যে দোজখ থেকে আসে এ সম্পর্কিত হাদিস দেখালাম। জিজ্ঞাসা করলাম কোনটা ঠিক- হাদিসের টা নাকি বিজ্ঞান যা বলে সেটা ? সে অবলীলায় বলল- বিজ্ঞানের টা ঠিক মনে হলেও হাদিসের টা প্রকৃত সত্য। যেহেতু ওটা মোহাম্মদের বক্তব্য তাই ওটা অবিশ্বাস করা যাবে না।
তো এই হলো বড় বড় ডিগ্রীধারীদের মানসিক অবস্থা। বাকিদের কথা কি আর বলব।
পড়ছি এবং পড়ছি। মূল প্রবন্ধ এবং প্রয়োজনীয় মূল্যবান মন্তব্যগুলো সহ। লেখককে ধন্যবাদ এরকম একটি জনপ্রিয় চরিত্র নিয়ে জনপ্রিয় রচনা লেখার জন্য। আরও কত পর্ব চালাবেন, জানালে অপেক্ষার পালা সাঙ্গ হত।
@মুক্তা,
এটা একটা মেগা সিরিয়ালের দিকে ধাবিত হচ্ছে কারন বিষয়টি এত বিস্তৃত আর ব্যপক যে মেগা সিরিয়াল ছাড়া উপায় নেই।
@ভবঘুরে,
হা,হা,হা,কিন্তু আমি তো আপনার প্রবন্ধ গুলী মনোযোগ সহকারে পড়ে পড়ে জ্ঞান অর্জন ও কৌশল গুলী অর্জন করেছি। মাত্র ৭-৮ মাস আগেও আমি নিতান্ত অজ্ঞ ও তাদের কাছে বিক্রীত ছিলাম।
আপনি মানুষদের নিজ খরচায় বঙ্গানুবাদ কোরান ও হাদিছ কিনে কিনে পড়তে দিয়েছেন না? এতে আপনার টাকাও পর্যন্ত গচ্চা গিয়েছে। এরপর আমি আপনার বাংলা কোরানের লিংকটা পেয়ে যাই।
এইটাই এখন আমার কাছে সব চেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে দাড়িয়েছে।
বাংলায় একটা প্রবাদ বাক্য আছেনা?বিষ দিয়ে বিষ তোলা।
আপনার এই কৌশলটি সম্ববতঃ সর্বোত্তম কৌশল।
স্বয়ং কোরান নিজেই যদি স্বাক্ষী দেয় যে আমি আল্লাহর বানী নই সেখানে সব কিছুই শেষ হয়ে যায়। আর কোন কিছুরই প্রমানের প্রয়োজন থাকেনা।
কোরানে অজস্র ব্যকরনিক ভূল রয়েছে। এটা ধরা শিখেছি আমি আকাশ মালিকের “ঈশ্বরের বানী”পড়ে।
সর্বোজ্ঞ আল্লাহ পাকের কী আবার ভাষাতে জ্ঞান কম থাকবে? এটা ও কী মেনে নিতে হবে?
কোরানে মক্কী সুরা গুলীতে এক ধরনের আপোষ মুলক জীবন ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত। অপর দিকে মদনী সুরা গুলীতে চরম আক্রমনাত্বক হত্যাযজ্ঞের সিদ্ধান্থ।
এটা আপনার কাছ থেকেই ধরা শিখেছি।
এর দ্বারা এটা প্রমান করে আল্লাহ পাক কোরান অবতীর্ণ করেছেন সিদ্ধান্ত হীনতা ও দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যে অবস্থান করিয়া।
সিদ্ধান্ত হীনতা ও দ্বিধাদ্বন্দ এটা একটা মানবীয় গুনাগুন। কারন মানুষ অতি মাত্রায় দুর্বল ও অজ্ঞ।
এই গুনাগুনটা সর্বশক্তিমান সর্বোজ্ঞ আল্লাহপাকের ক্ষেত্রে কখনই প্রযোজ্য হওয়ার যুক্তি রখেনা।
ধন্যবাদ।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ইহা হইতে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে , আল্লাহ আসলে মোহাম্মদ ছাড়া আর কেউই না। মোহাম্মদ তার ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে প্রচন্ড বাধার সম্মুখিন হতে থাকলে তিনি অনেক সময় সিদ্ধান্তহীনতা, দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভুগতেন যে কারনেই কোরানের ছত্রে ছত্রে তা প্রকাশ্য। কোরানের বানী আল্লাহর হলে এ ধরনের বিষয় থাকতো না। আল্লাহকে তার কথা বিশ্বাস করানোর জন্য চাদ, সূর্য, আকাশ, বাতাস, ফিরিস্তার কসম কাটছে। আল্লাহর কি করুন দশা! এর পরেও কি আর দ্বিধা থাকার কথা যে কোরানের বানী কার বানী?
দেখুন আমি বরং মোহাম্মদ বা তার আল্লাহর চাইতে অনেক বেশী সহানুভুতিশীল ও দয়ালু, কারন আমি কোরানের বিষয় বোঝার জন্য সহজ সূত্র আপনাকে বিনা পয়সাতে বাতলে দিয়েছি আর এর জন্য আমি কোন তারিফও আকাংখা করিনি। অথচ আল্লাহ ও তার মোহাম্মদ চায় সব সময় তাদের চাটুকারিতা করতে। তাহলে কে বেশী মহান? 😀
@ভবঘুরে
না,না,এখানে শুধু হুর পরীর ব্যাপার নয়।এর বিপরীতে আগুনে পোড়ানোর ও তো ব্যবস্থা রয়েছে। যাবে কোথায়?
আমি একবার আমার একজন অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ আত্মীয় যিনি উচুদরের বিদেশী শিক্ষায় শিক্ষিত ও নিয়মিত নামাজী,তাকে মুক্তমনা হতে পড়ে শুনাচ্ছিলাম। তিনি সাথে সাথে এটা বন্ধ করতে বল্লেন। বল্লেন তাবলিগীরা বলেছে এসব শুনলে দোজখে পুড়তে হবে।
বেশীর ভাগ লোকদের এই একই অবস্থা।
কোরান নিখুত ও নির্ভূল ভাবে আল্লাহর বানী হওয়ার যোগ্যতা রাখে কিনা,এটা দেখতে গেলে যে জ্ঞ্যানের প্রয়োজন তার সামান্যতম তাদের ভিতর নাই ,তা দেখার ইচ্ছা বা সময় ও তাদের নাই। যার ফলে গতানুগতিক ভাবে চালিয়ে যাওয়াটাই সহজ ও সমিচিন মনে হয়।
ঠিক একই ভাবে হাদিছে কী আছে তা তারা জানেনা। হাদিছ সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞ্যানী নবীর বানী হওয়ার কতটুকু যোগ্যতা রাখে তারা কখনো তলিয়ে দেখতে মোটেই আগ্রহী নয়।
আমি একদিন একজন অত্যন্ত জ্ঞানী নিয়মিত নামাজী ব্যক্তির সংগে ধর্মেরকছু কিছু অসংগতির কথা তুলে ধরতে চাচ্ছিলাম।
তিনি সাথে সাথে আমাকে বল্লেন “হাদিছ বোখারী”সবচাইতে নির্ভর যোগ্য গ্রন্থ।
এই বলে তিনি বেরিয়ে গেলেন।
আমি জানি তিনি কোন দিনও হাদিছ বোখারীর এক পাতাও পড়বেন্ না এবং অভ্যন্তরে কী দুরবস্থা বিরাজ করতেছে তাও কোনদিন জানবেনা।
হ্যা এটাই ঠিক।
অধিকাংশ পাঠকেরা কোরান হাদিছ সম্পর্কে কোন জ্ঞান ই রাখেনা। তারা এটা কীভাবে খন্ডন করতে অগ্রসর হবে?
আর যারা কিছু জানে তারা দেখতে পায় আপনার লেখায় যুক্তি দিয়ে হারানো সম্ভব নয়।
কাজেই তাদের এখানে আলোচনায় আসা সম্পূর্ণ বৃথা।
তাদের একমাত্র বড় যুক্তি “ঈমান” কোন যুক্তিতর্কে বরং না যেয়ে না দেখে অন্ধভাবে কোরান হাদিছকে সত্য বলে মেনে নিলেই তো সব ঝামেলা চুকে গেল।
দোজখের আগুন হইেত ও রক্ষা পাওয়া গেল। কী দরকার এত তর্ক বিতর্ক করার?
বরং আপনিতো এদের বেহেশতের আশ্বাষ ও দিতে পারতেছেন্ না এবং দোজখের আগুনের পোড়ার ভয় ও দেখাতে পারছেননা। যেটা আমাদের নবীজী করে সবারই ঘাড়ের উপর পা টা অনন্ত অনাদিকালের জন্য রেখে দিয়েছেন।
কে বলে নবিজী বর্বর,অজ্ঞ,অশিক্ষিত? তিনিই তো সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী,যিনি সমগ্র বিশ্বের জ্ঞানীদের মস্তিস্ক টি চিরকালের জন্য দখল করে নিয়েছেন। তিনি এব্যবস্থাও করে গিয়েছেন তার বিরুদ্ধে যে কথা বলবে তার অনুসারীরা তাকে যেখানে পাবে হত্যা করবে অথবা শহীদ হবে এবং বেহেশত যাইবে।।আপনি কী কখনো এ ঘোষণা দিতে পারবেন?
কে যাবে এতবড় ঝুকি নিতে?
মুসলমান জাতিটাকে শেষ করতে আর বাকী রাখা হয় নাই কিছু।
তবে ইদানিং দেখা যাচ্ছে আপনাদের আনতর্জালে লেখালেখির কারনে বহু ব্যক্তি এদের ধোকাবাজী ও স্বরুপ ধরে ফেলতে পারতেছে। এটা একটা আসার আলোর চিহ্ন।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
সমগ্র বিশ্বের জ্ঞানীদের পাইলেন কোথায়? মুসলিম বিশ্বে আপনি জ্ঞানী গুণী মানুষ পাইলেন কোথায়? যে দু একজন বের হয় তারা তো কাফির মুরতাদ আখ্যা পায় ও মুসলমান থাকে না। ইবনে সীনা, আবু রুশদ, আল রাজি এরা পর্যন্ত মুরতাদ আখ্যা পেয়েছিল। হালের হুমায়ূন আজাদ, আহমদ শরিফ এরা তো বিখ্যাত কাফির।এদেরকে তো আপনি মুসলমান বলতে পারেন না। ইসলামী বিশ্বে জ্ঞানী গুণী নেই বলেই তো মুসলমানদের আজ করুন দশা। না হলে কি আর আমাদেরকে কাফির মুশরেক দেশে বৈধ বা অবৈধ পথে গিয়ে তাদের দেশে কামলা দিতে হতো নাকি ?
কিন্তু ভাই আপনি তো দেখি নতুন এক ইসলামী পন্ডিত হয়ে গেলেন। এখন তো আমারই আপনার শিষ্যত্ব গ্রহণ করতে হবে । :))
@ভবঘরে,
এত প্রতারনার মধ্যে আমাদের মত সাধারন মানুষেরা কী করে রক্ষা পাবে?
আপনাদের মত কিছু ব্যক্তিবর্গ কছুটা হলেও ঝুকি নিয়ে এগিয়ে না আসলে তারা তো আমাদেরকে রীতিমত ক্রয় করে ফেলে দিয়েছিল।
আমাদের নিজস্ব স্বত্বা,নিজস্ব চিন্তা শক্তি বলে কিছুই অবশিষ্ট ছিলনা।
যারা আল্লাহ পাকের বানীর অর্থ পাল্টায়,বা ভূল ভাবে লিখে বা সংকলন করে অবুঝ মানুষদের জন্য গ্রণ্থ আকারে বাজার জাত করেছেন-তাহারা নিশ্চিত ভাবে সর্বাগ্রে জাহান্নামে প্রবেশ করিবেন,ততে কোন সন্দেহ নাই।
ধন্যবাদ।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এখন দেখুন আপনাদেরকে হুর পরীর লোভ দেখিয়ে কিভাবে অন্ধ করেছে, জাতি হিসাবে মুসলমানদেরকে পঙ্গু করেছে। কিন্তু এর পরেও কয়জনের চোখ আপনার মত খুলছে? আমি তো ইদানিং ভাবছি- কিছু মানুষ চোখ খুলতে চায় আর তার চেয়ে বেশী মানুষ অন্ধ থাকতে চায়, তারা মনে করে অন্ধত্বেই শান্তি।
এখন তো দেখলেন আপনার কোরান কতখানি বেহেশতী কিতাব।
আর একটা বিষয় ইদানিং কাউকে আমার নিবন্ধের বিষয়ে কাউকে রিফিউট করতে দেখি না। কারন কি বলে মনে করেন? বিষয়টি কি এরকম যে লেখার বিষয়বস্তু এতটাই যুক্তিহীন যে রিফিউট যোগ্য নয় বা এত শক্তিশালী যে কেউ রিফিউট করতে পারছে না? আমি তো কিছু বুঝছি না।
@ভবঘুরে, কোরআন শান্তি আর আত্নরক্ষা উভয়ই প্রচার করেছে তবে ধান্দাবাজরা দেখেছে যে রসুল কে ঠিকমত মানতে গেলে তাদের মাইরে বাপ অবস্থা হবে।এজন্য ভুয়া অর্থ আর ভুয়া হাদিস বানিয়েছে। আসলে এখন হাদিসে পিক এন্ড চয়েস ছাড়া আর কোন গতি আছে কিনা জানিনা।অর্থাৎ যেটা বিবেকে বাধবে না মানতে গেলে সেটা মান আর যেটা মানতে গেলে বর্বরতা মনে হবে সেটা ঝেরে ফেল।
@ইমরান হাসান,
এটা ঠিক নয়। কোরান শান্তি ও আত্মরক্ষা ছাড়াও আগ বাড়িয়ে আক্রমন করে হত্যা খুন, লুট পাট, নারী দখল ও ধর্ষণ এটাও ব্যপকভাবে প্রচার করেছে। আর সেটাতেই আমাদের সমস্যা। শান্তি আর আত্মরক্ষার অধিকার সবার রয়েছে, শুধু এটা থাকলে সমালোচনার কিছু ছিল না। ধান্ধাবাদ ইসলামী পন্ডিতরা শান্তি ও আত্মরক্ষার বানীগুলো প্রচার করে , আগ বাড়িয়ে আক্রমনের কথাগুলো প্রচার করে না। এরকম ঘটনাকেও তারা নানা রকম রঙ চড়িয়ে আত্মরক্ষার ঘটনা বলে প্রচার করে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
জনাব,আপনাকে ধন্যবাদ।আপনার গবেষণাকৃত ইসলাম ও মোহাম্মদ শিরোনামের ১১ পর্বে ধারাবাহিক আলোচনায় বর্তমান তথাকথিত প্রচলিত বিভ্রান্ত দর্শনবিহিন অবৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী এজিদি-রাজশক্তি-মৌলবাদী,সন্ত্রাসী ইসলামের সঠিক পরিচয় ইতিহাস প্রকাশিত হয়েছে।
অনেকের মতে,ইসলাম ও মুসলিম শব্দদ্বয় আরবি আসলেম শব্দ হতে উৎপত্তি হয়েছে যার অর্থ সমর্পণ,ভক্তি বা আনুগত্য।মুসলিম বা আত্মসমর্পণকারীর ধর্ম হল ইসলাম বা সমর্পণের ধর্ম।এ ভক্তি বা সমর্পণ কোথায় নেই…।এ বিশ্ব সংসারে তাহা সর্বত্র বিরাজিত।ক্ষুদ্র,ক্ষুদ্র জীব বা প্রাণী বড়,বড় জীব বা প্রাণীর আত্মসমর্পণ করিতেছে।ক্ষুদ্র,ক্ষুদ্র জ্ঞান বা আলো বৃহৎ জ্ঞান বা আলোর নিকট সমর্পণ করিতেছে।আবার ছোট মনগুলি বৃহৎ বা বড় মনের কাছে সমর্পণ করিতেছে।এরূপে বিশ্ব প্রকৃতিতে সমর্পিত ধর্ম সর্বস্তরে চলিতেছে।ইসলাম ফিতরাতি বা প্রাকৃতিক ধর্ম(৩০:৩০দ্রষ্টব্য)।
ধর্ম মানে স্বভাব-প্রকৃতি বা বৈশিষ্ট্য।প্রত্যেকটি ব্যক্তি বা বস্তুর নিজস্ব ধর্ম রয়েছে।মানুষ মাত্রই ধার্মিক,যা তাঁহার আচার-আচারন,স্বভাব-বৈশিষ্ট্যের মধ্যে প্রকাশিত হইতেছে।এই স্বভাব ধর্ম বিশ্ব প্রকৃতির ধর্মের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের সর্বাঙ্গীণ সুন্দর ব্যবস্থা বা বিধানও ধর্ম।মানব মন ব্যতীত পৃথিবীর সমগ্র সৃষ্টি প্রকৃতির নিয়মের অর্থাৎ প্রাকৃতিক ধর্মের সঙ্গে মিশিয়াই চলিতেছে।প্রবল আমিত্বের কারনে মিশিতে পারেনা মানব মন।যখন মানুষ আমিত্ব বর্জন করিয়া প্রকৃতির স্বভাব ধর্মের সঙ্গে সার্বঙ্গিন সুন্দর বিধান ধর্ম মতে মনের সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করে,কেবল তখনি মানবধর্ম সার্থক সুন্দর মুক্ত হতে পারে।
বিশিষ্ট কোরান গবেষক জনাব সদর উদ্দিন আহমেদ চিশতি তাঁহার কোরান দর্শন গ্রন্থে বলেছেন,”ধর্ম অর্থ যে সব বিষয় যাহার চিত্ত চেতনায় মধ্যে আগমন করে সেই সব বিষয়গুলিই ধর্ম।ধর্ম গ্রহণীয় নয়,বরং বর্জনীয়,কেননা ধর্ম মানুষকে সৃষ্টির মধ্যে ধরিয়া রাখে।
সপ্ত ইন্দ্রিয় দ্বার পথে যাহাকিছু উদয়-বিলয় হয়;যথা চক্ষু দিয়া দৃশ্য,কর্ণ দিয়া শব্দ,মন দিয়া ভাব,জিহ্বা দিয়া স্বাদ,চর্ম দিয়া স্পর্শ,মুখ দিয়া কথা,নাক দিয়া ঘ্রান প্রভৃতি ধর্ম।কোরআন বলিতেছে,লা ইকরা ফি দ্বীন,ক্কাদ তাবাইয়ানা রুশদ মিনাল গাইয়ে অর্থাৎ ধর্মের মধ্যে ঘৃণা বা অবাঞ্জিত গুন মিশ্রিত নাই,নিশ্চয় ভ্রান্ত পথ হইতে সুপথের বর্ণনা বা প্রকাশ স্পষ্টভাবে করা হইয়াছে।অতএব প্রশ্ন,ধর্ম কিভাবে গ্রহন করিলে ভ্রান্ত পথ হইতে সুপথ গ্রহন করা যায় ।
ইন্দ্রিয় পথে আগত ধর্মরাশি এক এক করে সালাত বা ধ্যানের মাধ্যমে হিসাব করা, জেন একটি বিষয়ও অজ্ঞাতভাবে গননার বাহিরে মন-মস্তিস্কে প্রবেশ করিয়া মোহের কলুষ কালিমার ছাপ ফেলিতে না পারে। এইরূপে ধর্মগুলিকে পুংখানুপুংখভাবে সালাতের মাধ্যমে মন-মস্তিস্কে মোহের ছাপ ফেলিতে না দিলে,যাকাত হইয়া যায়।অর্থাৎ শুদ্ধ হইয়া যায়।ধর্মের মোহে আকৃষ্ট হইলে উহা শেরেক এবং ধর্ম হয় মিথ্যায়িত।”
জনাব,আপনি সহ মুক্তমনার সম্মানিত লেখক মহদয়ের নিকট আমাদের বা মুক্তমনার পাঠকের অনুরুধ রইল,আপনারা যেন কোরানের অনুবাদের ক্ষেত্রে প্রচলিত ভাবধারা পরিহার করে মুক্তমন নিয়ে নিজস্ব বা বিশুদ্ধ একটি কোরাননুবাদ করে ব্যাখ্যায়িত করেন।
আপনাকে অসংখ্যক ধন্যবাদ।
আল্লার ইচ্ছায় আমি ৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত আযান দিয়া নামাজ ও কোরান তেলোয়াত করতাম আর এখন আল্লার ইচ্ছাই তার সঙ্গী সাথীদের বাশ দেই। কেউ মাইন্ড কইরেন না।
@সত্যের পূজারী,
সবই আল্লাহ ফাকের ইচ্ছা ভাই।
@ভবঘুরে,
যে বাণীটি সর্ব সর্বকালের সর্ব মানুষের জীবনধারনের নীতিনির্ধারনী জীবন ব্যবস্থা তা কী করে মক্কী সুরায় এক ধরনের এবং মদনী সুরায় আর এক ধরনের হতে পারে এটা মারাত্মক ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ!!
লক্ষ করুন,
১০৯) সূরা কাফিরুন ( মক্কায় অবতীর্ণ ), আয়াত সংখাঃ ৬
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ 06
তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ 06
”To you be your religion, and to me my religion (Islâmic Monotheism).”
লক্ষ করুন ১০৯:৬ (মক্কী)
এখানে ইংরাজী অনুবাদে বলা হচ্ছে “তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্য এবং আমার ধর্ম আমার জন্য।”
এই নীতি নির্ধারনী সিদ্ধান্ত বহাল থাকিলে যুদ্ধ করে জোর যবর দস্তি মুলক ভাবে কারো উপর ইসলাম ধর্ম চাপিয়ে দেওয়া প্রশ্নই ঊঠতে পারেনা। এবং এই বাক্যকে রহিতো ও করা হয়নাই।
আরো একটি ব্যাপার লক্ষ করুন ,বাংলা অনুবাদকের কার সাজী। আরবী” دِينِ”
“দীন” শব্দটির নিশ্চিত অর্থ ধর্ম ।আর সবাই তা জানে। বাংলা অনুবাদক সম্ভবতঃ এটা টের পেয়ে ফেলেছেন যে সঠিক অনুবাদ টি দিলে এটা মারাত্মক প্রশ্নের সম্মুখীন হবে,একারনে তিনি “দীন”শব্দটির অর্থ সুকৌশলে পাল্টিয়ে “কর্ম ও কর্মফল”বসিয়ে দিয়েছেন,যাতে “মূল অর্থ “ধর্ম”শব্দটি কেহ না টের পায়।
কত বড় চতুরতা!!
” دِينِ” “দীন” শব্দের অর্থ “ধর্ম”কখনই “কর্ম ও কর্মফল” নয়। এটা সবাই জানে
কিন্তু ইংরেজী অনুবাদক এত চাতুরী প্রয়োগ করিতে যান নাই। তিনি সরল ভাবেই সরাসরি সঠিক অনুবাদ টি করিয়া “RELIGION” অর্থাৎ “ধর্ম” শব্দটিই ঠিক রেখেছেন।
এখানে আরো একটি বিষয় প্রমান করতেছে,যে কোরানের সঠিক অর্থ নিশ্চিত হতে কোন কোন ক্ষেত্রে একাধিক অনুবাদ দেখার প্রয়োজন হতে পারে। শুধু মাত্র এক অনুবাদকের উপর ভরষা করা যায়না।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
তার মানে কাঠ মোল্লারাই ইসলামকে বিকৃত করছে অথচ দোষ দিচ্ছে অন্যের ওপর। কোরানের বানীর অর্থ পাল্টানোর জন্য এরা কোথায় যাবে, বেহেস্তে নাকি দোজখে?
ভাই আপনিও দেখি বিশাল ইসলামী পন্ডিত হয়ে গেলেন। আপনার উন্নতি ঈর্ষণীয়।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
দীনের অনুবাদ ধর্ম বা কর্মই হোক বা এই বাক্য রহিত হোক বা না হোক এতে সহনশীলতার ‘স” ই নাই।
এই আয়াতকে মডারেট ইসলামিস্টরা ইসলামের সহনশীলতার উদাহরণ হিসেবে বিক্রী করে আর বোকা পাবলিকও তা গেলে। এই মিথের জোরাল খন্ডনও ইসলাম সমালোচকেরা করেননি দুর্ভাগ্যবশত। ভবঘুরে আশা করি এই ব্যাপারে আরও সজাগ হবেন। ব্যাপারটা হল এই আয়াতে সহনশীলতার নামগন্ধই নাই। এটা মুহম্মদের মুখে বাস্তবতার এক উল্লেখ মাত্র। এই আয়াতের শানে নাজুল পড়লে (যেমন কাসিরের তাফসির) জানা যায় যে কুরায়েশরা একবার মুহম্মদকে প্রস্তাব দিয়েছিল যে তারা মুহম্মদের আল্লাহকে এক বছর উপাষণা করবে আর বিনিময়ে মুহম্মদও কুরায়েশদের দেবতাদের উপাসনা করবেন এক বছর। সহনশীলতা তো বরং কুরায়েশরাই দেখিয়েছিল। কিন্তু এর জবাবে মুহম্মদ রাগতভাবে জবাব দিয়েছিলেন এই সুরার আয়াতে (১০৯:১-৬) ১০৯:৬ এর আগের আয়াতে স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন যে তিনি তাদের উপাস্যকে উপাসনা করেন না এবং করবেনও না, আর তারাও মুহম্মদের উপাস্যকে উপাসনা করে না বা করবে না। এটা বাস্তবতার বর্ণনা । এতে তো এটা কখনই বলা হচ্ছে না যে জোর জবর দস্তি মুলক ভাবে ইসলাম ধর্ম চাপিয়ে দেওয়া হবে না। এই বাস্তব সত্যকে(১০৯:১-৬) স্বীকার করেই তো ইসলাম চাপানোর প্রশ্ন ওঠে । সহনশীলতা প্রচার করতে চাইলে তো কুরাণের মত তথাকথিত স্পষ্ট বইতে তে বলাই যেত যে যার ধর্ম পালন করতে পারে, তাতে বাধা দেয়া হবে না। সদিচ্ছা থাকলে পরিস্কার ভাষাতেই তা আল্লাহ/মুহম্মদ তা বলতেন কুরাণে। মক্কা বিজয়ের পর কাবার মূর্তি ভেঙ্গে তো প্রমাণই করে দিলেন যে ঐ আয়াতে সহনশীলতার কোন অর্থ ছিল না যেটা আমরাও পড়ে বুঝি।
@যাযাবর,
এ বিষয়টি আমার মাথাতে আছে। আশা করছি কোন এক পর্বে বিষয়টা বিশদ আলোচনা করব। বিষয়টি আলোচনা করতে কোরানের বাতিলকরন বা রহিতকরন প্রথাটা বুঝতে হবে। কোরানের কোন এক বিষয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য থাকলে সে ক্ষেত্রে পূর্বে নাজিলকৃত বক্তব্য বাতিল বা রহিত বলে গণ্য হবে। আর একারনেই মক্কায় নাজিল কৃত সকল শান্তিপূর্ণ আয়াতই পরবর্তীতে মদিনায় নাজিলকৃত হিংসা ও ঘৃণামূলক আয়াত দ্বারা বাতিল হয়ে যাবে। আশা করি বিষয়টি ধরতে পেরেছেন।
Bravo to Bhabogure! Finally, I read all eleven episodes of “Muhammd and Islam” marvelously written by Bhabogure. Many many thanks to Bhabogure for his meticulous work of pointing out most of the historical errors, superstitious, and contradictory blunders in Islamic book called “Holy Koran” which is rather filled entirely with much of unholy stuff instead. Bhabogure’s master piece series on Islam have been written with eloquent descriptions with many incontrovertible tooth-breaking logical arguments and citing many historical references. I thank Bhabogure for writing such a powerful and wonderful critiquing about the moral, ethical and historical mumbo-jumbos of the religion of Islam. Lately, I am also very happy and proud to see the arrivals of many powerful Islamic critics like Bhabogure, Prithivi, and likes of them in the arena of Muktomona site, who can keep-up the beacon of vigorous Islamic criticisms in order to debunk false-hood of this ancient evil of mankind called Islam.
I suggest Bhabogure to consider publishing his series as book form in the future so that these invaluable write-ups can be available for the ordinary Bangladeshi folks to read.
Readers can also go to this URL: http://mukto-mona.com/wordpress/?p=54 ; to read about more Koranic contradictions especially scientific contradictions in Koran.
My heartiest thanks again to those new soldiers of Islamic critics like Bhabogure, Prithivi, and others who will continue debunking Islamic myths to enlightening millions of robots among the muslim society.
Regards,
Syed Kamran Mirza
@Syed K. Mirza,
ধন্যবাদ আপনার প্রশংসার জন্য। আমি আর কি লিখলাম। আমি তো আপনাদের লেখা পড়ে তার পর মোহাম্মদের মত নিজের মাধুরী মিশিয়ে লিখে যাই। যুক্তি তর্কের জাল বিস্তার করি। এছাড়া নতুন কিছুই করি বলে মনে হয় না। জানিনা কয়জন পাঠক এসব পড়ে উপকৃত হয়। তবে যারা পড়ে ধরে নেয়া যায় তাদের অধিকাংশই ধন্যবাদ দেয়ার পরিবর্তে অভিশাপ দেয় আর চিরকাল জাহান্নামের আগুনে যাতে পুড়ে খাক হই -এ বদদোয়াই করে। ভাগ্যিস, জাহান্নামের আগুনটা পারমানবিক বিস্ফোরনের আগুনের তাপের চেয়ে অনেক কম। নইলে তো সর্বনাশ হয়ে যেত। 😀
@ভবঘুরে,
Bhabagure Shaheb,
Sorry, I forgot to use Bangla font writing, though several years back, I used to write quite a good #s of Bangla articles in Vinnomot and MM sites. But now I forgot everything.
You are doing great job of exposing Islamic mumbo-jumos. Please keep up your marvellous job of critiquing Islam. Don’t worry about Allah’s hell fire, your skin may be burned but, immediately your destroyed skin will be replaced by a new one by the mercy of Allah (SWT). You know, Allah is the most Merciful (Dayyer Shagor). Allah will not let you die in the hell but keep burning you for ever. Because, Allah loves to torture human beings. Allah is of course mercifooooool….??? Cheers.
SKM
@Syed K. Mirza,
আপনি এই সাইট থেকে অভ্র ডাউনলোড করে নেন- http://www.omicronlab.com/
এই সফট ইনস্টল করার পর এরকম দেখতে পাবেন
[img]http://4.bp.blogspot.com/_xVMzvVzK6wc/SrzzDUWEQvI/AAAAAAAABGY/XR53PKY96W4/s320/avro+bangla.jpg[/img]
ওখানে বাংলা/English এর উপর ক্লিক করলেই ভাষা পরিবর্তন হবে। অথবা কী বোর্ডে F12 এ প্রেস করলে ভাষা পরিবর্তন হবে। বাংলা দিয়ে বাংলা আর Englinh দিয়ে ইংরেজি লেখতে হবে।
এখন বাংলা সিলেক্ট করার পর কোন বাটনে কোন বর্ণ আসবে তা নিচের ছবি থেকে দেখুন
[img]http://images1.fiberdownload.com/4_screenshoot_large/Avro-Keyboard-Bangla-Software-2.png[/img]
এটি আপনি অভ্র এর বাংলা/English এর ঠিক ডানপাশে মাউস পয়েন্টার ধরলে Avro Keyboard (view current …) দেখায় সেখানে ক্লিক করলেই পেয়ে যাবেন। বড় হাতের ছোট হাতের letter এর ব্যাপারটি খেয়াল রাখেন। আমি Caps Lock অফ রেখে বাংলা লেখি। প্রয়োজনে Shift ব্যবহার করি (যেটিতে বড় হাতের অক্ষর লাগে)। Caps lock off অবস্থায় মনে করুন লেখব ‘ঠ’ । ওখানে দেয়া আছে “ঠ” এর জন্য Th, তাই আমি Shift t প্রেস করে h প্রেস করব। এতে আমার ‘ঠ’ লেখা হয়ে যাবে।
এটিতে অভ্যস্থ হওয়ার আগে মাউস দিয়ে লেখতে পারেন, এতে সময় লাগবে বেশি। মাউস পাবেন আরেকটু ডানে গেলেই, মাউস পয়েন্টার রাখলে Avro Keyboard (…with Avro mouse) দেখাবে। এটি দেখতে দাবার গুটির মত দেখায়। ওখানে ক্লিক করে সহজে বাংলা লেখতে পারেন। যুক্ত বর্ণ লেখার জন্য প্রথম বর্ণের পর ‘হসন্ত’ এ ক্লিক করবেন। দেখেন
[img]http://bestfreedown.de/wp-content/uploads/2011/07/Avro-Keyboard-Bangla-Software_2.png[/img]
আর যে সাহায্য লাগে আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন, যেকোনো সময় প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি বাংলায় অভ্যস্থ হয়ে গেলে দারুন হবে, তাই না? অনেক ধন্যবাদ।
ঘাপলাবাজ চালু মুহাম্মদ এক সময় ঠিকই বুঝতে পেরেছিলো যে বছরের পর বছর ধরে মানুষকে বুদ্ধু বানানো যাবে না। সেজন্যই সুবিধাবাদী একেকটা আয়াত নাযিল করেছিলো, তার মধ্য থেকে একটি দিলামঃ
16:101= সূরা নাহল, আয়াত ১০১
আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেন তিনিই সে সম্পর্কে ভাল জানেন; এবং যখন আমি এক আয়াতের স্থলে অন্য আয়াত উপস্থিত করি এবং তখন তারা বলেঃ আপনি তো মনগড়া উক্তি করেন; বরং তাদের অধিকাংশ লোকই জানে না।
অথবাঃ
2: 106= সূরা বাকারা, আয়াত ১০৬
আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান?
আবার হাদিস, সহি বুখারী বুক ৫৫, নম্বর ৫৪৯, বাংলা বুখারীতে নবীদের ইতিহাস অধ্যায়, নারীদের সাথে নমনীয় আচরণ এখানে দেখা যাবেঃ
Narrated Abdullah: Allah’s Apostle, the true and truly inspired said, “(as regards your creation), every one of you is collected in the womb of his mother for the first forty days, and then he becomes a clot for an other forty days, and then a piece of flesh for an other forty days. Then Allah sends an angel to write four words: He writes his deeds, time of his death, means of his livelihood, and whether he will be wretched or blessed (in religion). Then the soul is breathed into his body. So a man may do deeds characteristic of the people of the (Hell) Fire, so much so that there is only the distance of a cubit between him and it, and then what has been written (by the angel) surpasses, and so he starts doing deeds characteristic of the people of Paradise and enters Paradise. Similarly, a person may do deeds characteristic of the people of Paradise, so much so that there is only the distance of a cubit between him and it, and then what has been written (by the angel) surpasses, and he starts doing deeds of the people of the (Hell) Fire and enters the (Hell) Fire.”
@ ভবঘরে,
নীচে আবু মাছরুরের একটা উত্তর দেখুন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এই সব আবু মাছরুর রা যত অর্থহীন তর্ক বিতর্ক করবে ততই তারা ইসলামের গোমর ফাক করে দেবে। সবাই তো আর এদের মত অন্ধ না।
@ ভবঘুরে,
ভাইজান,আপনার উদ্ধৃত হাদিছ দুইটি একটু লক্ষ করুনতো,নীচের কোরানের ৮৮:২১ও২২ এর সংগে পরশ্পর স্ববিরোরিতায় নেমেছে কিনা? আমি আবার কোরান হাদছ তেমন একটা বুঝিনা।
আল্লাহ এখানে বলতেছেন তিনি নবীকে দেশ শাসক হিসাবে পাঠান নাই।তাকে শুধু উপদেশ দেয়ার জন্যই পাঠাইয়াছেন।
নবী কেন কোরান অবমাননা করে নিজে দেশের শুধু শাসকই হননাই,বরং শাসক হওয়ার জন্য সাহাবীদের উদ্বুদ্ধ করে গেলেন এবং তাও আবার শাসন ক্ষমতাটা নিজ গোত্র কুরাইশ এর মধ্যে রাখার চিরস্থায়ী ব্যবস্থা করে করে গেলেন?
এটা কোরানের মারাত্মক নির্দেশ লংঘন নয় কি?
তা আমার মোটেই বোধগম্য হইলনা। একটু ব্যাখ্যা করিবেন কি?
৮৮:২১,২২
فَذَكِّرْ إِنَّمَا أَنتَ مُذَكِّرٌ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাই কোরান বোঝার একটা সহজ সমীকরণ বলে দেই, বিনা পয়সাতে। সেটা হলো- শান্তিপূর্ণ সকল আয়াত আপনি পাবেন মাক্কী সূরা সমূহে। খুন খারাবি, হুমকি ধামকি এসব পাবেন মাদানী সূরাতে। মক্কায় প্রাথমিক যুগে ইসলাম প্রচার কালে মোহা্ম্মদ ছিল নিতান্ত দীন হীন দুর্বল- তাই তখন তার পক্ষে শান্তির পক্ষে গীত গাওয়া ছাড়া কোন উপায় ছিল না। তো – উক্ত সমীকরন মতে আপনি নির্দ্বিধায় বলে দিতে পারবেন যে উক্ত ৮৮ নম্বর সূরা আল গাশিয়াহ মাক্কি হবে কারন সেটা শান্তির সাথে সংগতি পূর্ন। এর পর অনলাইনের কোরান সাইটে চেক করবেন সাথে সাথে দেখবেন আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সমীকরণ মোতাবেক, ঠিক যেমন, ২+২=৪ । আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
@ভবঘুরে,
ভাবতেসি আপনার এই সূত্র অনুযায়ী একটা মোবাইল app বানাই ফেলব! :))
সবগুলো পর্ব অসাধারন হইসে। টানা পড়ে ফেললাম।
@নির্মিতব্য,
যা ইচ্ছা খুশী করুন ভাই। আমার কোন আপত্তি নেই।
মানুষের উচ্চতা কতটুকু হতে পারে? কেন হলিউডের ৬০ ফুটের কিংকং বা সহী বুখারীর ৯০ ফুটের আদম বাস্তবে সম্ভব না।
লিখেছেনঃ হোরাস্ (তারিখঃ শনিবার, ০৩/০৯/২০১১ – ১৩:৩৫)
পাঠকরা নীচের লিংকটায় দেখতে পারেন।
http://www.amarblog.com/Horus/posts/136314
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাই ৯০ ফুট উচ্চতার মানুষ তার সম উচ্চতার হুরদের সাথে জান্নাতে যৌন মিলন করছে, দৃশ্যটা কল্পনা করতে আপনার কেমন লাগে?
বর্তমানে সিরিয়াতে চলছে ‘মানবিক বিপর্যয়’। হাফেজ আল আসাদের বাহিনী নির্বিচারে নিরস্ত্র মানুষ ও তাদের ঘর বাড়ি ধংশ করছে। বিশ্ব তাকিয়ে তাকিয়ে তা দেখছে!
httpv://www.youtube.com/watch?v=uYCC6YP6ato&feature=player_embedded
@গোলাপ,
হাফেজের কীর্তিকলাপ ইসলাম সিদ্ধ যেমন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের সময়ে পাক বাহিনী ও রাজাকারদের অত্যাচার নির্যাতন খুন খারাবি ইসলাম সিদ্ধ ছিল। বিশ্ব তাকিয়ে দেখবে না তো কি করবে, মুসলমানরা যেখানে সভ্য আধুনিক গণতান্ত্রিক হবে না, সেখানে বিশ্বের অন্য দেশের এমন কি ঠেকা পড়েছে?
@ভবঘুরে
প্রমাণ, প্রমাণিত, প্রাণী, গ্রহণ, ধর্ষণ, নিয়ন্ত্রণ, দারুণ, কারণ, করণীয়, ধন, ধরন, বিধান,-দয়া করে বানান গুলো কী লক্ষ্য করবেন?
আরবে অভিশাপ ব্যাপারটা কী আগে থেকেই ছিল?
আপনার ধারাবাহিকটি পড়ছি, পড়ে ভালোই মজা পাচ্ছি।ভালো থাকুন, ধন্যবাদ।
@আহমেদ সায়েম,
ভাই আমি এই ন ও ণ এগুলো নিয়ে বড় সমস্যায় আছি, কোনমতে ম্যনেজ করতে পারছি না। কম্পিউটারও কোন সংশোধনী দেয় না।
অভিশাপ ব্যপারটা সর্বকালে , সর্ব সমাজেই বিদ্যমান ছিল। তাই আরব দেশেও তা বহাল তবিয়তে ছিল।
খুব সুন্দর হাদিছ। আদমের উচ্চতা ৯০ ফুট ছিল। অর্থাত তার নিকটের পরবর্তি বংশধর গণও ঐরুপ উচ্চতায় বা তার থেকে ক্রমান্বয়ে নীচের দিকে আস্তে আস্তে নামতে নানতে আসতেছিল। হঠাৎ রাতারাতি আর ৬-৭ ফুটে পরিনত হয়ে যেতে পারে নাই নিশ্চয়ই। আর শুনেছি আদম সৃষ্টি হয়েছেন নাকি মাত্র ১০হাজার বছর আগে। তাহলে মাত্র দশ হাজার বৎসরের মধ্যে অতি দ্রুত ভাবে উচ্চতা নামতে নামতে একেবারে ৬-৭ ফুটে নেমে গেল?
আর এখন থেকে ১০ হাজার বৎসরের মধ্যকার সময়ে নিশ্চয়ই ১০-১৫-২০-৩০-৪০-৫০-৬০-৭০-৮০-৮৫-ও ৯০ ফুট উচু মানুষ এ পৃথিবীতে বসবাস করেছেন। এবং তাদের জীবাস্ম অবশ্যই থাকতে হবে।
অন্যদিকে বিজ্ঞানীরা এখন থেকে কয়েক লক্ষ বৎসর মধ্যকার সময়ের অশংখ্য জীবাষ্ম আবিষ্কার করেছেন,কিন্তু এর মধ্যে এযাবত কোথাও কখনো ১০-১৫-২০-৩০-৪০-৫০-৬০-৭০-৮০-৮৫-ও ৯০ ফুট উচ্চতার জীবাষ্মের সন্ধান পাওয়া যায়নাই।
এ সমস্ত উচ্চতার জীবাষ্ম গুলী কি তাহলে পৃথিবী থেকে তুলে লওয়া হয়েছে?
এ কী ধরনের একটা আজগুবী রুপ কথার গল্পের মত একটা হাদিছ আপনি হাজির করে ফেল্লেন?
কেহ এটা মনেপ্রানে সত্য ঘটনা বলে স্বীকার করে নেবে বলে আমার মনে হয়না।
মানুষ এখন আর অতটা বোকা নাই।এখন আগের চেয়ে অনেক সজাগ হয়ে গিয়েছে।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আমি আর হাজির করলাম কই। সহি বুখারি তে আছে , ভাবলাম আপনাদের কাজে লাগবে তাই নিবন্ধে ছাপিয়ে দিলাম। কিন্তু স্বীকার কেন করবে না সেটা বুঝলাম না। অধিকাংশ মুসলমানই সহি বুখারিতে যা লেখা আছে সব চোখ বুজে বিশ্বাস করে, ঠিক কোরান ও মোহাম্মদকে বিশ্বাস করার মত। এরা বিজ্ঞান পরে, আধুনিক জীবন যাপন করে কিন্তু সেই সাথে কোরান ও হাদিসে যা লেখা আছে কোনরকম সন্দেহ ছাড়াই বিশ্বাস করে। আপনার মতে আজগুবি রূপকথা সদৃশ হাদিস গুলোকে তাদের সামনে হাজির করলে তারা বলে- এগুলোর কোন রূপক অর্থ আছে, বা অন্য ব্যখ্যা আছে যদিও সেটা যে কি তা তারা জানে না। অর্থাৎ তাদের প্রথম প্রতিক্রিয়া হলো- বিশ্বাস করা , অত:পর সেটা যত আজগুবিই হোক তা আজগুবি কায়দাতেই যুক্তি সিদ্ধ করার চেষ্টা করা।
আর আপনি বোধ হয় নিবন্ধের শেষ অংশ পড়েন নি। সেখানে বলা আছে ৯০ ফুটের বেশী মানুষের ফসিল পেতে ইসলামী বিজ্ঞানীদের বেশী দেরী হবে না। কারন হয়ত তারা অতি সত্ত্বর দাবী করবে যে ডাইনোসরের বিশাল ফসিলগুলোই আসলে আদমের বংশধর। তাহলে তো আর কোন সমস্যা নেই।
@ভবঘুরে,
জনাব আবু মাছরুর সাহেব সম্ভবতঃ এই আজগুবী হাদিছটির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা করিয়া আমাদেরকে তৃপ্ত করিতে পারিবেন। আমি তাকে এখানে একটু উপস্থিত হয়ে এর ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য বিনীত ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
অন্যথায় এধরনের হাদিছগুলী মানুষের কাছে রুপ কথার কিচ্ছা কাহিনীতে পরিনত হয়ে যাবে।
আমি টের পেয়েছি,জনাব আবু মাছরুর সাহেব আপনার প্রবন্ধগুলী গভীর ভাবে অনুসরন করিতেছেন।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
এই আবু মাছরুর সাহেব টা আবার কে ?
@ভবঘুরে, মজবাসার এর লেখা(যদিওবা লেখাগুলো কাঁচা) থেকে কিছুটা হলেও বোঝা যায় যে বুখারি হচ্ছে অনেকাংশেই কোরআন হাদিস বিরোধী গ্রন্থ। এতে অনেক তথ্যর যেমন অতিরঞ্জন আছে তেমন আছে স্ববিরোধিতা এটা মূলত উগ্র আরব জাতিয়তাবাদের গ্রন্থ।তবে এটা কি ইমামের কারাবাসের জন্য হয়েছিলো কিনা(মানে অন্য কেউ এটা বিকৃত করেছিল কিনা) সেটাও প্রশ্নযোগ্য।আসলে বর্তমান আশআরি ইসলাম রসুলের না উমাইয়া বংশের ইসলাম। কুরআনের অর্থের ভিতরে কোন স্ববিরোধিতা থাকতে পারে না কেউ যদি রাখে তবে সে জাহান্নামি ।কাঠমোল্লাদের জন্য বেচারা নবীকে কথা শুনতে হচ্ছে। অথচ তার বলা প্রতিটা মুক্ত-মনা হাদিস গুলকে কোন সঠিক প্রমান ছাড়াই বাতিল বলা হচ্ছে।কার কাছে যাব আমরা। আমি তো আগে মনে করতাম আপানারা বোধহয় কাঠমোল্লাদের ইসলামকেই সঠিক ইসলাম বলে এর অপপ্রচার করছেন আমি নিজেও এই ব্যাপার(কুরান আর হাদিসের সংঘর্ষ) জানতাম এই জন্যই মুক্তমনা সব হাদিস বিশ্বাস করতাম আর কাথ-হাদিস বর্জন করতাম। আপনারা ঠিক মনে করলে এই কন্ত্রাদিকশান নিয়ে একটা পোস্ট দিতাম :)) :))
@ইমরান হাসান,
বোখারি তো নিজেই একটা হাদিস বই। তাই বুঝলাম না ঠিক কি বলছেন।
ইসলাম কার সেটা আমাদের বিষয় নয়। বর্তমানে ইসলাম কি সেটাই বিষয়। উমা্ইয়ারা যদি ইসলামকে পরিবর্তন করে , কোরানকে পরিবর্তন করে তাহলে আল্লাহর সেই কথাটা মিথ্যা হয়ে যায় যে-
আমি কোরান নাজিলকারী ও এর হেফাজতকারী– এর অর্থ হলো কোরান আল্লাহর নয়, আল্লাহর হলে তো সে এটাকে পরিবর্তন হতে দিত না। তাই নয় কি ? সুতরাং সব দিক দিয়ে এটাই বলা যায় যে – বর্তমানে যে কোরান তা পরিবর্তিত, পরিবর্তিত বলে তা আল্লাহর নয়। ঠিক একারনেই এর সাথে হাদিসের বহু সংঘর্ষ। এতদিন মানুষ এ সব কোরান হাদিস খুলে দেখত না , তাই তা জানত না। যখন খুলে দেখা শুরু করেছে তখনই সব সত্য প্রকাশ হয়ে পড়ছে, ভাই।
কাঠ মোল্লাদের প্রচারিত ইসলামই সত্যিকার ইসলাম।তারা যে বলে- কাফিরদের কল্লা কাটতে, জিহাদ করতে, সব কিছু ধ্বংস করতে- এসবই প্রকৃত ইসলাম। আমাদের বক্তব্য ছিল- কেন কিছু মানুষ খামোখা চেষ্টা করে ইসলামকে শান্তির ধর্ম প্রচার করতে?
উপসংহারে, যে ধর্ম শান্তির পরিবর্তে মারা মারি খুনাখুনি করতে বলে, সেটা কিভাবে আল্লাহর কাছ থেকে আসতে পারে। সেটা আসতে পারে একমাত্র শয়তান থেকে, যদি আল্লাহ বা শয়তান বলে কেউ থাকে। আশা করি এবার বুঝেছেন।
@ভবঘুরে, বোখারি তো নিজেই একটা হাদিস বই। তাই বুঝলাম না ঠিক কি বলছেন। ইসলাম কার সেটা আমাদের বিষয় নয়। বর্তমানে ইসলাম কি সেটাই বিষয়। উমা্ইয়ারা যদি ইসলামকে পরিবর্তন করে , কোরানকে পরিবর্তন করে তাহলে আল্লাহর সেই কথাটা মিথ্যা হয়ে যায় যে- আমি কোরান নাজিলকারী ও এর হেফাজতকারী- উপরে হাদিস শব্দটি ঠিক না কুরআন হবে শুধু। আর উমাইয়ারা কুরআন না কুরআনের অর্থকে পরিবর্তন করেছিল আব্দুল হাকিম সাহেব তো সেটার প্রমান দিয়েছেন। আর কুরআন এমন একটা বই যার ব্যপারে বলাই আছে যে এর অনেককিছুই রূপক। এই রূপকের অর্থ করতে হবে মুক্তমন নিয়ে মৌলবাদ দিয়ে না। যে আয়াতগুলো শুধু যুদ্ধ আর আত্নরক্ষা করার জন্য ছিল তাকে ব্যবহার করে কল্লা কাটলে(বিনা কারণে) কিছু করার থাকেনা। আর রসুলের বিভিন্ন মুক্তমনা হাদিস যেমন(বিদ্যার্থীর কলমের কালি শহীদের লহুর থেকে বেশি পবিত্র) এগুলকে মিথ্যা বানানোর জন্য যে যুক্তিগুলো দেয়া হয়েছে তা একেবারেই হাস্যকর। আর যে ৩০-৩৫ টা অথবা ৫০-৬০ টা ভায়লেনট আয়াতের কথা বলা হয়েছে সেগুলর মূলত অপব্যাখা আর ভুল অর্থে ভর্তি যেখানে আউলিয়া বলতে বোঝায় যুদ্ধের মিত্র বা অভিভাবক সেখানে এর অর্থ করা হয়েছে বন্ধু যার অর্থ হচ্ছে সাদিক। আরও অনেক এমন ভুল অরথ(অথবা উদ্দেশ্যপ্রনিত ভুল)অর্থে কুরআন সয়লাব ছিল বর্তমানে সহিহ ইন্টারন্যাশনাল নামে একটা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য অনুবাদ বের হলেও তাতেও স্বার্থের প্রলেপ আছে সেই জন্য আরও বেশ কয়েকবার এর তথ্যর অর্থ এডিট করা উচিত। আর এই ভুল অর্থ আর ভুতুড়ে বুখারি শিখে সব সত্য আর ন্যায়ের সৈনিক না হয়ে হচ্ছে জঙ্গি
@ইমরান হাসান,
আপনি যে আসলে কি বুঝাতে চান সেটাই বুঝলাম না ভাই। আপনি বলছেন উমাইয়ারা কোরান নয়, কোরানের অর্থ পরিবর্তন করেছে। তার মানে বলতে চাচ্ছেন যে কোরানে আরবী যে বাক্য বা শব্দগুলো আছে সেগুলো পরিবর্তন না করে তার শাব্দিক অর্থ পরিবর্তন করেছে? এটা কিভাবে সম্ভব যে হঠাৎ করে কেউ আম কে কলা বলে চালাতে পারে ? বর্তমানে যারা কোরানের অনুবাদ করছে বা করেছে, আপনার বক্তব্য অনুসারে তারা কেউই বিশুদ্ধ অনুবাদ করতে পারে নি। যার উপসংহার দাড়ায় – কোরান বোঝা যাবে একমাত্র আরবী জানলেই ভাল বোঝা যাবে। যার আবার অর্থ দাড়ায় আরবরা ছাড়া কেউ কোরান ভাল বুঝতে পারবে না। ভাই, এর অর্থ আবার অর্থ দাড়ায়- কোরান তথা ইসলাম একমাত্র আরবদের জন্য। আপনি কি এটা মানতে রাজি আছেন? তবে আপনি মানুন না না মানুন , আল্লাহ কোরানে বার বার কিন্তু এ কথাটাই সমর্থন করেছে। বলেছে- আমি কোরানকে আরবীতে নাজিল করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার. আমি কোরানকে নাজিল করেছি মক্কা ও তার আশে পাশের মানুষকে সতর্ক করার জন্য। আর কি বিস্ময়কর ব্যপার- একমাত্র ইসলাম ছাড়া অন্য কোন ধর্মের ক্ষেত্রে এ সমস্যা নেই। তাদের কিতাবগুলোকে অনুবাদ করলেও তার অর্থ জানতে কোন সমস্যা হয় না্। এর আবার সোজা অর্থ হলো- যারা আরবী না জানলে কোরান জানা যায় না বলে তারা ধান্ধাবাজ, অসৎ ও ধুরন্ধর। তারা কোরানের শত শত স্ববিরোধীতাকে খন্ডন করতে না পেরেই এসব ফালতু কথা বলে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করে।
আপনি বলেছেন-
এটাও একটা ধান্ধাবাজি কথাবার্তা। কোন বাক্য রূপক তা দেখলেই বোঝা যায়। এটা ঘোষণা দিয়ে বলা লাগে না। শুধুমাত্র স্ববিরোধীতা দেখলেই সেটাকে রূপক বানানোর চেষ্টা একটা আধুনিক কৌশল। নিচে একটা আয়াত দেয়া হলো, দেখুন এটা কি রূপক অর্থ প্রকাশ করে-
আপনার রূপক অর্থ জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
@ভবঘুরে,
@ভবঘুরে,(১৫:৯)”ইন্না-নাহানু নাজজালনাজ জিকরা অইন্না-লাহু লাহা-ফিজুন”।অর্থাৎ “আমরা সংযোগ নাজেল করিয়াছি এবং নিশ্চয় উহার জন্য আমরাই হেফাজতকারিরূপে রহিয়াছি”।
ব্যাখ্যা:- “জিকির”শব্দের অর্থ স্মরন ও সংযোগ।”স্মরন”হইতে আরম্ভ করিয়া উহার পরিণতি সংযোগ পর্যন্ত সকল অবস্থাকেই জিকির বলে।নিজ ক্ষমতায় আল্লাহর সঙ্গে সংযোগ লাভ করা মানুষের পক্ষে মোটেই সম্ভবপর নহে।আল্লাহর উচ্চতম পরিষদের ব্যক্তিগনই কেবল মানুষের সঙ্গে আল্লাহর সংযোগ ক্রিয়া সম্পন্ন করিয়া থাকেন এবং এই সংযোগের হেফাজত করা তাঁহাদেরই কাজ। অর্থাৎ তাহাঁরই আল্লাহর সংযোগ দান করিয়া থাকেন এবং দান করার পর উক্ত সংযোগের হেফাজতও তাহাঁরই করিয়া থাকেন। তাঁহাদের মাধ্যম ব্যতীত আল্লাহর সঙ্গে কোনরূপ সংযোগ মানুষের হইতে পারেনা। সংযোগ অবিচ্ছিন্ন রাখা তাহাঁদেরই ক্ষমাতাধিন।
অপরপক্ষীয় লোকেরা “জিকির” শব্দটিকে “কোরান” অর্থে এবং “নাহানু” শব্দটিকে “আমি” অর্থে গ্রহন করিয়া নিন্মরূপ অর্থ প্রকাশ করিয়া থাকে:-” নিশ্চয় আমি (আল্লাহ) কোরান নাজেল করিয়াছি এবং উহার হেফাজতকারিও আমি”। এইরূপে অর্থ গ্রহন করিয়া তাহারা বলিতে চাহেন যে, কোন রাজশক্তির সাধ্য নাই কোরানকে ব্যাতিক্রমে করিয়া প্রকাশ করিবার তাহাদের নিকট ইহাই যদি বাক্যটির অর্থ হইয়া থাকে তবে তাহারাই আবার কেমন করিয়া বলিয়া থাকেন যে, পূর্ববর্তি আহলে কেতাবগন তাহাদের ধর্মগ্রন্থ বদলাইয়া জিকির শব্দটিকে কোরান বলিবার অধিকার তাহারা কোথায় পাইলেন?[পৃ:৯৪ “মাওলার অভিষেক ও ইসলামের মতভেদের কারন” by সদর উদ্দিন আহমেদ চিশতি।]
@শামিম মিঠু,
তার মানে আপনি আর এক নিজস্ব বা ভিন্ন ধরনের অনুবাদ নিয়ে হাজির হলেন। এর অর্থ কোরানের অর্থ কোনভাবেই বোঝা যাচ্ছে না এমনই রহস্যময় গ্রন্থ। কিন্তু আপনি কি বুঝতে পেরেছেন এটাও কোরানকে ভুল প্রমান করে , কোরানই বহু বার বলেছে- আমি কোরানকে সহজ করে নাজিল করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার। আপনারা আবার এ বিষয়টিকে পাশ কাটানোর জন্য এর অর্থ করেন এভাবে যে- আমি কোরানকে সহজ করেছি জিকির করার জন্য। কিন্তু তার পরেও আয়াত আছে যা পরিস্কার করে বলছে- কোরানকে সহজ করে প্রকাশ করে দিয়েছি যাতে তোমরা বুঝতে পার। অথচ কোরানকে বোঝা যাচ্ছে না ঠিক মতো। যে বিষয় বোঝা যায় না তা মানুষের জন্য প্রেরণ করার কি দরকার ছিল আর আল্লাহ কেনই বা তা মানুষের কাছে পাঠিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দিল তা ঠিক বোধগম্য নয়। এর সহজ একটা সমাধান আছে, সেটা কি জানেন? আপনারা যেমন কোরানের অতি রহস্যময়তার হদিস পান, বস্তুত তাতে তেমন কিছুই নেই। আপনাদের মত লোকই অতি সাধারন বক্তব্যের মধ্যে অতি রহস্যের সন্ধান করছেন। অতি সহজ বিষয়কে জটিল করছেন। আপনার আশে পাশের কোন পাগলের প্রলাপকে লক্ষ্য করুন, দেখবেন ওর কথার মধ্যেও অনেক জটিল ও মারেফতি অর্থের সন্ধান পাবেন।
এসব চিশতি বা খাজাবাবা ধরনের কাউকে পন্ডিত বলে অভিহিত করা হয় না যদিও এদের পাগলামিতে আকৃষ্ট হয়ে এ বঙ্গ দেশে বহু মানুষ ইসলাম গ্রহন করেছে। এ ধরনের পাগলদের পাগলামীতে এখনও বহু লোক যে আকৃষ্ট হয় তা তো পীর ফকির খাজাবাবা মাইজভান্ডারীদের আস্তানায় লোকের ভিড় দেখলেই বোঝা যায় ।এদের কথাকে তাই প্রামান্য বলে গ্রহন করার কোন যুক্তিও নেই। এরকম চিশতি খাজা বাবা নাম দিয়ে আমিও কোরানের অতি মারেফতি অর্থ করে একটা বই প্রকাশ করতে পারি আর বলতে পারি-
কোরান যেহেতু লাওহে মাহফুজে রক্ষিত, তাই আল্লাহ তো সত্যি সত্যি তা নিজেই সংরক্ষন করছে। সুতরাং উক্ত ১৫:৯ আয়াত তো ঠিকই আছে। উক্ত আয়াত তো আর পরিষ্কার করে বলেনি আল্লাহ দুনিয়ায় নাকি বেহেস্তে কোরান সংরক্ষন করবে। দুনিয়াতে মানুষ কোরানের আয়াতের অর্থ পরিবর্তন করলে তার শাস্তি তারা পাবে। সুতরাং এসব লোকজনের মতামতকে গ্রাহ্য করার কোন কারন দেখা যায় না। আমরা জোর দেই খোদ কোরান আর হাদিসের ওপর, ওসব চিশতি বা খাজা বাবাদের পাগলামী মার্কা কথাবার্তায় না।
এর পরেও যদি মনে করেন, আরবী ভাষা ভাল করে না জানলে কোরান হাদিস বোঝা যাবে না , তাহলে ভাই কোরান হাদিস শুধুমাত্র আরবী ভাষী লোকদের জন্যই , অনারব লোকজনের জন্য না। যদি অনারব লোকের জন্য কোরান হাদিস হয়ে থাকে অথচ কেউ কোরান হাদিসকে সঠিক ভাবে অনারব ভাষায় অনুবাদ করতে পারছে না , সেক্ষেত্রে হয় আল্লাহ কে না হয় মোহাম্মদকে দায়িত্ব নিতে হবে সেটা অনুবাদ করে দিয়ে যেতে যাতে অনারব লোকরা সহজেই কোরান হাদিস বুঝতে পারে। আপনি আপনার সুবিধা মত কথা বার্তা বলবেন সেটা গ্রহন করার কোন অর্থ দেখা যায় না। আমরা কোরান হাদিসের বাইরে কোন কথা বলছি না আর সেটা বলছি আপনাদের বিভিন্ন ধরনের কোরান হাদিসের অনুবাদ নিয়েই, এখানে আমাদের নিজস্ব কোন বক্তব্য নেই। আশা করি বঝুতে পেরেছেন।
@ভবঘুরে,
জনাব,আমরা কোন যুক্তিতে “জিকির”কে “কোরান” অর্থে,এবং”নাহানু”কে “আমি” অর্থে গ্রহন করব,সেটা বোধগম্য হলনা ।
প্রচলিত ভুলনুবাদকে যদি ভুল বললে নিজস্ব বা ভিন্ননুবাদ হয় তাহলে আপনার মুক্তমন প্রশ্নবিদ্ধ???
সবাইকে ঢালাওভাবে এক পাল্লায় ফেলানুটা আপনার বিবেচনাধীন।
কোরানের সংকলনের ইতিহাস হতে আরম্ভ করে এ পর্যন্ত কোরানকে নিয়ে যে গবেষণা তা একই ভাবধারারই পুনরাবৃত্তি।আপনার যারা মুক্তমনার ধর্মীয় সাহিত্য বা ইতিহাস নিয়ে লেখা-লেখি করেন তাদের কাছে বিনীত অনুরুধ প্রথাগত প্রচলিত তথাকথিত বিতর্কিত রাজশক্তি অহাবি ভাবধারার কোরানিকনুবাদকে গ্রহন না করে মুক্তমন নিয়ে মুক্ত, নিরপেক্ষ সঠিকনুবাদ করলে আমরা যারা মুক্তমনার পাঠক তারা উপকৃত হব।
কোরান কি?
সুরা হাক্কায় ৪০নং ও সুরা তাকবীরে ১৯নংবাক্যে বলেছে,”ইন্না হু লা কাউলিল রসুলিল করিম”অর্থাৎ
“নিশ্চয়ই উহা উহা(কোরান)রসুল করিমের কথা।”
(৮৫:২১-২২)বরং ইহা কোরান মাজিদ,লৌহের মধ্যে হেফাজত প্রাপ্ত।
মানবীয় মস্তিস্কের স্মৃতিফলককে স্মৃতির স্নায়ুতন্ত্রীকে লৌহ বলে। মাহফুজ প্রাপ্ত অর্থ হেফাজতকৃত বা সুরক্ষিত।
আপনাকে ধন্যবাদ,আপনি ভালো থাকবেন।
@ভবঘুরে
“এরকম চিশতি খাজা বাবা নাম দিয়ে আমিও কোরানের অতি মারেফতি অর্থ করে একটা বই প্রকাশ করতে পারি আর বলতে পারি”-
আমাদের অভিযোগ,কার বিরুদ্ধে ব্যক্তির বিরুদ্ধে না ব্যক্তির নীতি বা আদর্শের বিরুদ্ধে???
অবশ্যই নীতি আদর্শের বিরুদ্ধে,কিন্তু বাস্তবে আমাদের অভিযোগ গুলি দেখা যায় ব্যক্তিক পর্যায়।
“নামে নয় গুনে বা কর্মে পরিচয়”আপনি একজন চিশতির নাম শুনে তাকে “পাগল” বললেন এবং বললেন,”আমরা জোর দেই খোদ কোরান হাদিসের ওপর,ওসব চিশতি বা খাজাবাবাদের পাগলামী মার্কা কথাবার্তায় না ।”
কিন্তু ভাই,আমি কি এরকম কোন পাগলামী মার্কা কথা বলেছি?
আমি লেখক সদর উদ্দিন আহমেদ চিশতির বইয়ের রেফারেন্স দিয়েছি মাত্র।যদি আপনার সম্ভব হয় ওনার “কোরান দর্শন” বইটি পড়ে দেখেন।তারপর আশা রাখি এ সম্পর্কে মন্তব্য করবেন।
চিশতি সাহেব তার কোরান দর্শন ৩য় খণ্ডে বলেছেন,”কোরান নাজেল হইল মোহাম্মদ আলাইহেস সালাতু আসসালামু ওয়া তাসলিমার উপর আর সে কোরানের ব্যাখ্যাকারী আমি!ইহা এক উদ্ভট এবং হাস্যকর বিষয়। ইহা আমি যেন কোরান দাতা, তাই আমি ইহা ব্যাখ্যার অধিকার রাখিতেছি। এতবড় একতা উদ্ভট বিষয় আজও জগতে চলিয়া আসিতেছে। এইরূপ হওয়াতে কোরানের সম্পূর্ণ মিথ্যা ব্যাখ্যায় জগতের ধর্মীয় সাহিত্য ভরপুর হইয়া গিয়াছে। এই মিথ্যা ধর্মীয় সাহিত্য পাঠ করিয়া আবার অসংখ্য তথাকথিত আলেম বা শিক্ষিত সমাজ তৈয়ার হইতেছে। আগাগোড়াই একটা মিথ্যার প্রবাহ। এই মিথ্যা দিয়াই জগত চলিতেছে। সত্য কি, জগত জানে না। এমতাবস্তায় জগত জোড়া আলেম-সমাজ মিথ্যা বলিয়া যাইতেছে, লিখিয়াও যাইতেছে। এবং মিথ্যার ধারক-বাহক ও প্রচারক এই আলেম-সমাজ, এবং তাহারাই সমাজের, রাষ্ট্রের এবং বিশ্বের নেতৃত্বে আসীন রহিয়াছে।সেইহেতু বিশ্বের মানুষকে তাহ্রা ছলে-বলে,কৌশলে মিথ্যার অতল তলে ডুবাইয়া রাখিয়াছে। ইহাদেরকে সত্যের আলো দেখানোর কোন ব্যবস্থাই নাই।
জগতের মানুষ মিথ্যার মধ্যে জন্মগ্রহন করে, মিথ্যাতে অতিবাহিত করে এবং মিথ্যাতেই মৃত্যুমুখে পতিত হয়।মিথ্যার সেই ধারক-বাহক আলম-সমাজ মানুষকে কাল্পনিক স্বর্গে পাঠায় এবং তাদেরকে না মানিলে কাল্পনিক নরকে পাঠায়। অথচ এই অন্ধ, মূর্খ আলেম-সমাজ স্বর্গ বা নরকের চিহ্ন মাত্র দেখিল না। এই অসহায় মনুষ্য নামধারী জীবগুলি মিথ্যার মধ্যে জীবন অতিবাহিত করার কারনে অনন্ত কাল ধরে শুধু নরকেই প্রবেশ করিয়া আসিতেছে, যদিও ইহা তাহাদের বোধগম্যের বাহিরে । এই অন্ধ,বধির এবং বোবা মনুষ্য সমাজে কোরানের সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া কি রকম তাহাও একটি চিন্তার বিষয়।
রাসুলাল্লাহর আঃ পরে তাঁহার প্রচারিত ইসলামের উপর শাসকগনের অত্যাধিক অস্রোপাচারের ফলে ইসলাম বহুভাগে বিভক্ত হইয়া গিয়াছে। এই রকম সত্য উদগাটন করা এক বিষম কঠিন ব্যাপার।
মোহাম্মদী ধর্মে ধন-সম্পদের যেরূপ সমবণ্টনের ব্যবস্থা রহিয়াছে তাহা সমাজ হইতে উচ্ছেদ সাধনের জন্য,এবং মানুষের অধীনতা হইতে মানুষের পূর্ণ স্বাধীনতা লাভের বিষয় উচ্ছেদ করার জন্য তৎকালীন শাসক গোষ্ঠি কোরানের ধর্ম দর্শন তথা সার্বিক জীবন দর্শন পরিবর্তন করিয়াছে। পরবর্তী কোন কালেই ধর্মহীন সমাজতন্ত্রের উদ্ভব হইতে পারিতনা, যদি না কোরান-ভিত্তিক বণ্টন ব্যবস্থা এবং সমাজ ব্যবস্থা ব্যাহত করা হইত। তৎকালীন শাসকগন কোরানের সত্যিকার রূপটি যেভাবে সম্পূর্ণ ঢাকিয়া ফেলিয়াছে তাহার কিছুটা উদঘাটন করার চেষ্টা করা হইয়াছে।
বস্তু-ভিত্তিক ক্ষমতা লাভের কোন্দলের কারনে কালক্রমে কোরান উল্লেখিত জীবন দর্শনের উপরে বিকৃতি আনয়ন করা হইয়াছে। অতএব কোরানের মুল ভাবধারা এবং জীবন দর্শন জানিতে চাহিলে কোরানের উল্লেখিত মৌলিক শব্দগুলির প্রকৃত অর্থ জানিয়া লওয়া একান্ত প্রয়োজন । আমরা যতটুকু সম্ভবপর হইয়াছে মুল অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা করিয়াছি। প্রচলিত ধর্মীয় ভাবধারা হইতে শব্দ সংজ্ঞা গ্রহন না করিয়া কোরানের ব্যবহারিক ভাবধারা হইতে শব্দার্থ নির্ণয়ের চেষ্টা করা হইয়াছে।
ইসলামের ইতিহাসের শ্বাসরুদ্ধকর ঘটানাবলির মধ্য দিয়ে তেইশটি বছর ধরে কোরান নাজেল হইয়াছে। এইজন্য বিভিন্ন বাক্যের ঐতিহাসিক যে পটভূমি রহিয়াছে তাহার সম্যক জ্ঞান থাকিতে হইতে হইবে যদিও ঐ পটভূমির মধ্যে উহার ব্যাখ্যা সীমাবদ্ধ নহে।
ইহুদী জাতির মধ্যে প্রচলিত তাহাদের পৌরাণিক কাহিনীগুলিকে বহুক্ষেত্রে কোরানের শানে নজুল হিসাবে গ্রহন করিয়া ক্ষমতাসীন শাসকগন উদ্দেশ্যমূলকভাবে অর্থের বিকৃতি রচনা করিয়াছে। এইকারনে তফসিরগুলির মধ্যে উল্লেখিত প্রচলিত শানে নজুল গ্রহণযোগ্য নয়। এইরূপ দলীয় কোন্দলের ফলে বহু জায়গায় অর্থের ব্যাঘাত ঘটিয়াছে।”
প্রচলিত ভাবধারায় যে আত্মবিরোধী, গড়মিল এবং সাম্প্রদায়িকতা লক্ষ্য করা যায়। তা থেকে অনেকখানি মুক্ত এবং কোরানিক ডিকশনারি অনুসারে কোরানিকনুবাদ,বা কোরান দিয়ে কোরানের ব্যাখ্যা বলতে যা বুঝায় তা তার কোরান দর্শনে কিছুটা হলেও পাওয়া যায়। যা প্রচলিত ভাবধারায় নেই।যদিও আমি নিজেও আরবি ভাষায় অজ্ঞ কিন্তু আপনারা যারা অভিবিজ্ঞ,জ্ঞানী সুধীজন তারা চিশতি নাম শুনে ঔন্যাশিকতা দেখানোর আগে একবার অন্তত পড়ে তার সমালোচনা করাটা যুক্তিক বলে আমার ধারনা।
আমি মুক্তমনার বা আপনার লেখার নবাগত পাঠক মাত্র।আমি ভুলের উরদ্ধে নই,আমার অজ্ঞাতাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা রাখি।
আপনাকে ধন্যবাদ।
,
@শামিম মিঠু,
ভাই আপনার দীর্ঘ মন্তব্য আগে খেয়াল করি নি। দেখুন কোরানকে আপনি যেভাবেই ব্যখ্যা করুন না কেন, এর মধ্যে ভরপুর ব্যাকরনগত ভুল, ঐতিহাসিক ভুল, বিজ্ঞানগত ভুল প্রমান করে এটা সবজান্তা আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত নয়। হাদিস গুলো প্রমান করে মোহাম্মদ কোন সমাজে কাদের সাথে চলাফেরা করতেন ও পরিস্থিতি অনুযায়ী তাদের সাথে কি সব কথা বার্তা বলতেন ও তাদেরকে ম্যানেজ করতেন। এর মধ্যে ধর্ম প্রচারের চেয়ে তার জাতি রাজ্য গঠনের আকাংক্ষাই বেশী ফুটে ওঠে। যেসব নিয়ম কানুন বিধি বিধানের কথা বার্তা তাতে পাওয়া যায় তা ধর্ম প্রচারের চেয়ে একটা ঐক্যবদ্ধ সমাজ গঠনের জন্যেই বেশী উপযোগী। বিষয়টা এভাবে স্বীকার করলে আপনার সাথে আমার কোন বিরোধ নেই। কিন্তু কোরানের মধ্যে নানারকম মারফতি জ্ঞান সহ দুনিয়ার যাবতীয় জ্ঞান বিজ্ঞান নিহিত আছে আর তাই তা আল্লাহ প্রেরিত এ দাবী প্রতিষ্ঠার জন্য যদি নানা রকম ঘোর প্যাচ দিয়ে কথা বলেন তাহলে আমার প্রচন্ড দ্বিমত আছে। কোরান, হাদিস ও এর তাফসির পড়ে পড়ে আমার এ প্রতীতি হয়েছে। যারা ওসব কিতাব সমূহ পড়ে না , তারাই নানা রকম উদ্ভট ও অদ্ভুত কথা বার্তা বলে বেড়ায় ও বিশ্বাস করে। আমার বিশ্বাস এসব পড়লে ৯৯% লোকই কোরান যে একটা ঐশি কিতাব এতে সন্দেহ প্রকাশ করতে বাধ্য।