একদিন দুঃসাহসের পাখায় ভর করে,
ছুঁতে চেয়েছিলাম কবিতার শরীর ।
দ্বিখন্ডিত বাংলার মত কবিতা হয়ে উঠলো
ছন্দহীন ।
অর্থহীন যাত্রার “কা কা” চিৎকারে,
ছুটে এলো
প্রতিবাদী পাঠক।
ছন্দভঙ্গের নায়ক
ডানা ভেঙ্গে পড়ি
পুঁথি পুস্তকের এক দোকানে।
আলোক প্রাপ্তির প্রত্যাশায়,
যোগ ধ্যানে কেটে গেলো
ক’ টা বছর ।
ফসলের গোলা ভরলো
ইঁদুর আর তেলাপোকায় ।
অন্য কেউ নয়
ওদের উৎপীড়নে–
আমি নিজেই এবার উড়াল দিলাম
নীল নয়নার দেশে ।
কুকুর আর বিড়াল নিয়ে
গাল-পল্প করে
বয়ে যায় সময় ।
অথচ তখনো করোটির নিভৃত অন্ধকারে
অখন্ড বাংলার মত খেলা করে কবিতা।
কবিতাটি ভাল লেগেছে । হুমমমমমমমমমমমমমমমমম
কবিতা বেড়ে উঠুক মুক্ত ছন্দে। (Y)
আমরা মহান, এতটাই মহান যে সবটুকু বলতে পারিনা। আমরা মুক্ত, এতটাই মুক্ত যে ঘর আর কর্মস্থলের মাঝখানে কিছু নেই।
দেশ ভাগের দগদগে ঘা-এর সাথে পরিচয় হয়েছিল ওপারে গিয়ে, এতটা বছর, তারপরও
আর হ্যাঁ অর্থনৈতিক ক্ষতিটা পুষিয়ে নে’য়া যায় কিন্তু সাংস্কৃতিক ক্ষতি বা শূন্যতা? কোন কিছুই তো শূন্য থাকে না, তাই অলি-গলি, গ্রামে-গঞ্জে গড়ে উঠছে ব্যাঙের ছাতার মত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। না, এখন আর পালা গান, কবি গান নেই, যাত্রা নেই। বাউলরাও আক্রান্ত । সব দখল হয়ে যাচ্ছে। এলাকার নামগুলোকে পর্যন্ত মুসলমানিকরণ করা হচ্ছে।
অথচ এই মুসলমান নিজেও জানে না, সে সবটুকু মুসলমান নয়।
অতীতটাকে উস্কে না দিলে বর্তমানের সবটুকু কি ধরা যাবে? আর ধরা না গেলে ভবিষ্যত অন্ধকারেই থেকে যাবে।
অনেক কথা বলতে ইচ্ছে করলেও পারছি না। আপনার মন্তব্যে জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।
(quote)অন্য কেউ নয়
ওদের উৎপীড়নে–
আমি নিজেই এবার উড়াল দিলাম
নীল নয়নার দেশে ।(/quote)
কাদের উৎপীড়ন? ইঁদুর আর তেলাপোকার? যদি তাই হয়, তো কাজটি ঠিক করেননি স্বপন ভাই! আমাদের জন্য ইঁদুর আর তেলাপোকার গোলা রেখে আপনি তো উড়াল দিলেন; আর এদিকে আমরা যে ইঁদুর আর তেলাপোকার ভারে জর্জরিত!
(quote)অথচ তখনো করোটির নিভৃত অন্ধকারে
অখন্ড বাংলার মত খেলা করে কবিতা।(/quote)
অসাধারণ। কবিতার ছন্দের সাথে বাংলার অখন্ডতার এই উপমা অসাধারণ লেগেছে। আমাদের অনেকের মস্তিষ্কের গহীনে হয়ত এমন ভাবনাই খেলা করে! কবিতার ছন্দহীণতার মতই বাংলার বিভক্তি অনেককেই পোড়ায় অহর্নিশি!
স্বপন ভাই, আপনার কাছ থেকে নিয়মিত কবিতা চাই। ভাল থাকবেন।
কবিতার সৌন্দর্য্য ছুতে পারলাম। মনের ভেতরে জমে থাকা কষ্ট চারু ও সুগন্ধ শব্দ হয়ে বেরিয়ে এসেছে ব্লগের পাতায়। ভাল লেগেছে কবিতা। ধন্যবাদ।
@শাখা নির্ভানা,
পাঠ প্রতিক্রিয়ার জন্য ধন্যবাদ।
বাঙ্গালী বাংলা তো এক খণ্ডেই রয়েছে। ন্যাংটো পাগল গা ঝাড়তে রাজনৈতিক দাগ কাটলেই কি আর ওর গা থেকে কালো দাগ মুছে যাবে?
যে যাই কুউক, কবিতা কলাম ফাটাফাটি গুল্লি হইসে (D)
@কাজী রহমান,
অনেক চেষ্টা করেও এর অর্থ উদ্ধার করতে পারলাম না। ক্ষমার্হ।
কবিতা ভাল হয়েছে, এটাও বোধগম্য হলো না। ক্ষমার্হ।
তবে সময় ব্যয় করেছেন, তার তো একটা মূল্য দিতে হয়, তাই ধন্যবাদ।
@স্বপন মাঝি,
আধা ন্যাংটোকে চিনে নেবার স্বেচ্ছাশ্রম অর্জনে অভিনন্দন :))
কালো কফি, না হয় নিদেনপক্ষে ছাগদুগ্ধ পানের পরামর্শ দিচ্ছি; এটা জেনেও যে পরামর্শ ব্যাপারটা প্রায় নিখরচায় সারা যায় :))
পাঠকের কাজ পাঠ করে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা। লেখকের কাজ লিখে যাওয়া। দুটোরই প্রয়োজন আছে।
বাংলা ‘দ্বিখন্ডিত ‘ নয়, বরং বাংলা জলের মতই অখন্ড এবং তরল। তবে, বাংলাদেশ একটা বাস্তবতা, অখন্ড এবং সার্বভৌম ।
@সংশপ্তক,
মানুষ ও মানুষের মধ্যকার সম্পর্কের ভেতর অনেকগুলো দ্বন্দ্ব ক্রিয়াশীল, এটি একটি বাস্তবতা। আর এ দ্বন্দ্বগুলোকে দক্ষতার সাথে কাজে লাগিয়ে তার অনুকুল এক নতুন বাস্তবতা রচনা করা হয়, সন্দেহ নেই এটাও এক বাস্তবতা । প্রশ্ন হলো, নতুন এই বাস্তবতা সম্পর্কসমূহের ক্ষেত্রে কতটুকু মানবিক অথবা সাংঘর্ষিক?
বেশী জোশ লাগল স্বপন ভাই। বেশী জোশ।
@সাইফুল ইসলাম,
ভাল লাগাটা কষ্টের দানা হয়ে ছড়িয়ে পড়ুক।
ধন্যবাদ।
ছান্দসিক কবির ছন্দহীন নামে কবিতা ভাল লাগল।তবে —-
আর
বর্তমান মানচিত্রকে না মেনে নেওয়ার কোন কারণ নেই কবি।
@গীতা দাস,
নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মেনে নিয়েছি বলেই তো এতো কষ্ট, আর এ কষ্টটুকুও প্রকাশ করতে দেবেন না, মানচিত্রের ভয় দেখাবেন? তো দেখান, কি আর করা?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
(W) (F) জনাব,কবিতা ভাল বুজিনা,তবে আপনার কবিতার উপমা,রূপক দর্শন অসাধারন।অনেক দিন পর ছোট একটা কবিতা মনটাকে কিযেন কি দিল, পাঠক তা ভেবেই বিভোর…
গত মাস তিনেক যাবত মুক্তমনার সন্ধান পাওয়ার পর থেকে নিয়মিত পাঠক হওয়ার চেষ্টা করেছি ।প্রবাসী সংসারী,বৈষয়িক নানা জামেলায় তা ব্যহত হয় বারে,বারে।
আপনার একবার আমার ভাবনাগুলি জানতে ইচ্ছে হয়েছিল ও লেখা পাঠাইতে বলেছিলেন,জানিনা আপনার তা মনে আছে কিনা…।আমি আমার কিছু ভাবনা লেখেছিলাম কিন্তু তা এখনও পোস্ট করা হয় নাই।জনাব সদর উদ্দিন আহমদ চিশতী প্রাসঙ্গে কোন বিষয় বা তথ্য আপনার জানা থাকলে অনুগ্রহ পূর্বক দিলে খুশি হব।
আপনার আরও সুলিখিত সাহিত্য পাওয়ার অপেক্ষামান এ অধম…
@শামিম মিঠু,
কম-বেশি সবার অবস্থা এরকম। আমার নিজেরও কোন ছুটি-ছাটা নেই, প্রতিদিনই কাজ। তবুও মুক্তমনায় ঢু মারি। মানে আমিও একজন পাঠক, আপনার মত। কখনো কখনো লেখা খুঁজে পেলে দিয়ে দিই।
অন্য অনেক ব্লগে চোখ বুলিয়ে, আপাতত এখানেই থেমে আছি। অন্যান্য ব্লগে মন্তব্যের ঘরে অশালীন শব্দের ব্যাপক ব্যবহার, আমাকে ফিরে আসতে নিরুৎসাহিত করেছে। এখানে এসেছেন, কিছুটা সময় অতিবাহিত করেন, বিভিন্ন লেখায় (আপনার মনে হলে) আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে পারেন, নিজের ভাবনাগুলোও নিয়ে লিখতে পারেন।
সদরুদ্দিন চিশতি সম্পর্কে খুব একটা জানি না, অনেক দিন হলো দেশে নেই, আপনি চাইলে র্যামন পাবলিশার্সের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ওখান থেকে কিছু পাবেন, আশা করি।
আপনি অধম হলে, আমি অধমেরও অধম। আর আমি জনাব নই, তাই আপনাকে জনাব বলে সম্বোধন করতে পারলাম না। ভাল থাকবেন মিঠুদা।
@স্বপন মাঝি,
ঠিক আছে,ভাই সাহেব।আপনার সুপরামর্শের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
নিজের আপন ভাবনাগুলো অনেকের লেখায় খোঁজে পায়।তাছাড়া শরৎবাবুর ভাষায়,”পা থাকলে হাঁটা যায় কিন্তু হাত থাকলে লেখা যায় না।”অর্থাৎ লেখতে মাথা লাগে আর সে মাথা বা মন-মস্তিস্ক আমার এখনও গড়ে ওঠেনি।তারপরও মনের আনন্দে বা সুখদুঃখে গুনগুন করে কখনও গেয়ে উঠি,কখনওবা লেখি সেটাকে গান বা লেখা বললে ভুল হবে।বিশ্ব সাহিত্য ও সঙ্গীত অঙ্গনে লেখক বা গায়কের অভাব নেই।তবে আমার ধারনা সমজদার পাঠক-শ্রোতার বড়ই অভাব।
চিশতী সাহেবের দেহ ত্যাগের পর র্যামন পাবলিশার্স মানে রাজনদা এখন আর ওনার বই প্রকাশ করে না।
আপনার সার্বঙ্গিক শুভ কামনা করি।