আমার জীবনের প্রথম পরীক্ষা ছিলো বাংলা, দ্বিতীয় শ্রেণীর বাংলা। আমি শিশু শ্রেণী কিংবা প্রথম শ্রেণীতে পড়ার জন্য কখনো স্কুলে যাইনি। ঘরে বসে মায়ের কাছে পড়েছি। ভয় পাই বলে আমাকে স্কুলে পাঠানো হয়নি। আমার আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে যারা দুষ্টু প্রকৃতির, তারা বলে, ছোটোবেলায় আমি না-কি রাস্তায় মানুষ দেখলেও ভয় পেতাম; অবশ্য যারা দুষ্টু না, তারাও ওই একই কথাই বলে। কিন্তু, এতদিন ধরে তিনি আমাকে আসলেও কি পড়ালেন সেটা যাচাই করার জন্য, দ্বিতীয় শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার সময় আমাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া হলো। জীবনের প্রথম পরীক্ষাটা সাফল্যের সাথে শেষ করে বাড়ী ফিরে আসলাম। মা জিজ্ঞেস করে, “পরীক্ষা কেমন হয়েছে?” আমি বলি, “খুব ভালো।” মা বলে, “দেখি কি লিখে আসছিস?” আমি বললাম, “প্রশ্নে যা যা ছিলো পুরোটা বানান করে লিখে দিয়ে আসছি।” আমি আসলে পরীক্ষা কি জিনিস জানতাম না, যেটা প্রশ্ন দিয়েছিলো সেটা কপি করে পরীক্ষার খাতায় তুলে দিয়ে আসছি। মা’র প্রচণ্ড মন খারাপ হলো। বলেন, “তুই কি একটা ছড়াও লিখতে পারিস না।” আমি বলি, “পারিতো।” মা বলেন, “তাহলে লিখিস নাই কেন?” আমি বলি, “খালি খালি ছড়া লিখবো কেন। আমাকেতো কেউ ছড়া লিখতে বলেন নাই।”
ততক্ষণে, মা বুঝে গেছেন, ছেলেকে বাসায় বসে অনেক কিছু শিখালে-পড়ালেও পরীক্ষা কি জিনিস সেটাতো কখনো শিখানো হয়নি। অতএব, মন খারাপ হলেও, মা ব্যাপারটা মেনে নিলেন। তবে, মায়ের মন খারাপ দেখে, আমি বুঝতে পারলাম, আর কিছু করি না-করি অন্ততঃ কোনো একটা ছড়া আমার লিখে আসা উচিৎ ছিলো। যাই হোক, পরের দিন গণিত পরীক্ষা। গণিত পরীক্ষা দিয়ে আমার মন খুব ভালো। পরীক্ষা ভালো হয়েছে। গর্বিত ভাবে মায়ের আশপাশ দিয়ে ঘুরঘুর করতে লাগলাম। মা আর আজ জিজ্ঞেস করে না, পরীক্ষা কেমন হয়েছে। না পেরে শেষে আমিই নিজ থেকে বললাম, আজকে পরীক্ষা ভালো হয়েছে। মা বলে, “তাই না-কি! আজকেতো অঙ্ক পরীক্ষা ছিলো? কিভাবে ভালো হলো।” আমি বলি, “আজকে একটা ছড়া মুখস্থ লিখে দিয়ে আসছি।” তারপর, মা সেই যে হাসি শুরু করলো কোনোভাবেই আর হাসি থামাতে পারছিলেন না।
যথাসময়ে পরীক্ষার ফলাফল দেয়া হলো। দুই বিষয়ে মিলিয়ে মিশিয়ে আমি সর্বমোট ডাবল জিরো পেলাম। উপর্যুপরি দুই বিষয়ে ডাবল জিরো পাওয়ার পর আমার প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকরা নিশ্চিত হয়ে গেলেন, এই ছেলে মারাত্মক মেধাবী, একে দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে প্রমোশান দিয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি করিয়ে দেয়া হোক। সম্ভবত সেটাই আমার জীবনে কোথাও কাউকে ডাবল জিরো পেয়ে যোগ্যতার পরিচয় দিতে দেখার একমাত্র উদাহরণ। তবে এখানে একটা কথা বলে নেয়া ভালো যে, সে-সময় আমাদের প্রাইমারি স্কুলে, “কি দিয়ে ভাত খাইসো?”- এই জাতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলে শিশু শ্রেণী পাস। আর, পরীক্ষায় কোনো রকমে একটা গোলাপ ফুল এঁকে দিয়ে আসতে পারলে এবং স্কুলে মধ্যাহ্ন বিরতির সময় কানামাছি ভোঁ ভোঁ করে এদিক সেদিক একটু দৌঁড়াতে পারলে প্রথম শ্রেণী পাস। মূলত, স্কুলে যাওয়ার অভ্যাস করার জন্য এই দুটো শ্রেণী রাখা হয়েছে।
কিন্তু, দৌঁড়াদৌঁড়ি করা হোক আর যাই করা হোক, দুই/তিন বছর টপকে সামনে চলে আসার কারণে যে সমস্যাটা হয়েছে সেটা টের পেতে শুরু করলাম হাই-স্কুলে এসে। যে-ক্লাসেই উঠি না কেন, যত বড়ই হই না কেন, ক্লাসে সহপাঠীদের সবার থেকে বয়স কম। ছেলেদের থেকে বয়স কম সেটা না-হয় মেনে নেয়া গেলো, কিন্তু সমস্যা হলো সাথে সাথে মেয়েদের থেকে বয়সও যে কম। সহপাঠী ছেলেবন্ধুরা যখন কৈশোরের নতুন রঙিন অনুভূতিগুলো সাথে নিয়ে ক্লাসের মেয়েদের দিকে তাকিয়ে থাকছে, কিংবা অযথা অজুহাতে গিয়ে কথা বলার অপচেষ্টা করছে, তখনতো আমার পাত্তাই নেই। ক্ষেত্রবিশেষে বড়দের আলাপ বলে, অনেক সময় আড্ডার মাঝখান থেকে জোর করে তাড়িয়েও দিচ্ছে। স্কুলের সেই দিনগুলো না হয় রয়ে-সয়ে পার করা গেলো। কিন্তু, আসল সমস্যাতো হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে। ভালো কথা, আমি স্কুল ছেড়ে এক লাফে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসিনি, মাঝখানে কলেজও ছিলো। কিন্তু, কলেজের কথা কিছু বললাম না। নটর ডেম কলেজে পড়েছি, সেখানে রঙিন কোনো গল্প নেই। রঙিন বলতে সেখানে আছে শুধু কেমিস্ট্রি ল্যাবএ এক্সপেরিমেন্ট করার জন্য কিছু ‘রাসায়নিক লবণ’।
বাংলা সিনেমায় কত দেখেছি, কত শুনেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেম এর কথা। প্রথমেতো মনে হয়েছিলো, বিশ্ববিদ্যালয় মানেই খালি প্রেম করো। ঘটনা যে একেবারে একশতভাগ মিথ্যা, তাও না। আমার নিজের আশ-পাশেইতো কত কাপল্। ওরা একে অপরের দিকে কেমন করে জানি তাকায়। কিন্তু, শুধু আমার সাথে কথা বলতে আসলে সহপাঠি বান্ধবীরা বলছে, ওরা আমাকে অত্যন্ত ‘স্নেহ’ করে। আরে আজব! ক্লাসমেটকে কেউ স্নেহ করে না-কি। তবে, আজব-গজব কোনো কিছু বলেই কোনো লাভ হয় না। তারা আমাকে অবিরাম স্নেহ করেই গেলো। তখন মনে হতো, এক লাফে দ্বিতীয় শ্রেণীতে না উঠলেই পারতাম, তাহলে এমন করে আর স্নেহের যাতনায় দগ্ধ হতে হতো না। অবশেষে প্রতিজ্ঞা করলাম, এমন কিছু করতে হবে যাতে কেউ আর স্নেহ না করে। এমন সহজ-সরল-সুন্দর ‘স্নেহ’ শব্দটার সাথে তৈরী হলো আমার শত্রুতা।
এবার আরেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা বলি। বনানীর একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। অফিসে বসে আছি। এর মধ্যেই একজন অতি উৎসাহী টাইপের স্টুডেন্ট অফিসে এলো। আমাকে বলে, খুব ভালো সিদ্ধান্ত নিসো। এই বিশ্ববিদ্যালয়টা খুব ভালো। কোন কোন ক্লাস নিতে হবে, সে ব্যাপারে আমি হেল্প করবো তোমাকে। আমি বিশেষ বিব্রত হলাম। সেটা সে খেয়াল করেছে, এবার দ্বিগুণ উৎসাহে আমাকে অভয় দিয়ে বলছে, আরে নার্ভাস হবার কিছু নেই। এখানে এনভায়রোনমেন্ট খুব ভালো। সিনিয়র-জুনিয়র রিলেশানশিপও খুব ভালো। কয়েকদিনে সব ঠিক হয়ে যাবে, তুমি নিজেই বুঝবা। তারপর, আমাকে জিজ্ঞেস করে, পাস করসো কোথা থেকে। অবশেষে, আর না-পেরে জিজ্ঞেস করলাম, “আপনি কোন সাবজেক্টে পড়ছেন এখানে”? উনি বলেন, “কম্পিউওটার সায়েন্স।” আমি বললাম, আমি “কম্পিউটার সায়েন্স” এ লেকচারার পোস্ট-এ অ্যাপ্লিকেশান জমা দিতে এসেছি, ডীন স্যারের জন্য অপেক্ষা করছি। তারপর, যা হবার কথা, সেগুলো সব হয়ে গেলো। কিন্তু, কিছুক্ষণ পর দেখলাম, একজন একজন করে স্টুডেন্ট আসছে, আর অফিস রুমে উঁকি দিয়ে দিয়ে দেখে যাচ্ছে। গ্রামের দিকে বাড়ীগুলোতে কোনো পুরুষ অতিথি এলে, বাড়ীর পর্দানশীল নারীরা টিন, বেড়া কিংবা পর্দার ফাঁক দিয়ে নিজেদেরকে আড়ালে রেখে অতিথিকে দেখার চেষ্টা করে; ক্ষণে ক্ষণে আবার অযথাই খিল খিল করে একযোগে হেসে উঠে। এখানেও সে একই ব্যাপার ঘটে চলছে! বিরক্ত হবো, না হাসবো বুঝতে পারছি না। শুধু মনে হলো, কেন যে এক লাফে তৃতীয় শ্রেণীতে উঠতে গেলাম।
সে যাত্রা সেখান থেকে রক্ষা পাওয়া গেলো। আরো কিছু দিন পর ধানমন্ডির একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিতে গেলাম। ক্লাসে ঢোকার সাথে সাথে স্টুডেন্টরা সব হই-হই কর উঠলো। সবার একই কথা, “স্যার আপনার জন্য অপেক্ষা করছি। ল্যাব দখল নিতে হবে।” দখল নিতে হবে মানে কি? আমি কি লাঠিয়াল সর্দার না-কি। সমস্ত ঘটনা শুনে দেখি, ব্যাপার আরো গভীর। কম্পিউটার ল্যাব এখানে খুব বেশি না, তাই মাঝে মধ্যেই দেখা যায় অন্য কোনো শিক্ষক ল্যাব দখল করে ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছেন। আমার স্টুডেন্টরা গিয়ে ল্যাব-এ বসতে চাইলে যে শিক্ষক ক্লাস নিচ্ছেন তিনি না-কি বলেছেন, “তোমাদের স্যারকে আসতে বলো” তারপর ওদেরকে ল্যাব থেকে বের করে দিয়েছেন। আর, এখন যেহেতু তাদের স্যার এসে গেছেন, তারা এখন তার প্রত্যুত্তর দেবে। ঘটনা বিশাল সাংঘাতিক, অন্য একজন শিক্ষককে তার সমস্ত স্টুডেন্ট সহকারে ল্যাব থেকে বের করে দেয়া হবে এবং সেটার নেতৃত্ব দিবে আরেকজন শিক্ষক। আনন্দে আর উত্তেজনায়, আমার স্টুডেন্টরা শুধু বলছে, “চলেন, স্যার চলেন।” সবাই একযোগে চিৎকার করে বলে, “হ্যাঁ, স্যার চলেন।”
জনগণের জোরালো দাবীর কারণে পিছু হটা সম্ভব হলো না। দরজা নক্ করে ভিতরে ঢুকি। পিছনে এক বিশাল দল দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু, হায়! ওই শিক্ষকের চোখ থেকে আগুন বের হচ্ছে, আগে এরকম টের পেলে আমি ভুলেও আসতাম না। উনি তার সমস্ত চোখের আগুন মুখ দিয়ে বের করে বলছে, “বেয়াদঅঅঅঅঅঅঅঅব! আমি এখানেই ক্লাস নেব। তোমার স্যার আসলে তারপর উনার সাথে আমি কথা বলবো। তোমাদের সাথে কোনো কথা নয়।” আমি উনার হুঙ্কার শুনে ‘থ’ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। পিছন থেকে হো হো করে সমস্বরে হেসে উঠলো দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা স্টুডেন্টরা। মনে হলো, গোটা সিমেস্টারজুড়ে তাদের জন্য এত বড় আনন্দের ঘটনা আর ঘটেনি। তারপর আমি উনাকে আস্তে করে বললাম, “সারা জীবন আমি দেখে এসেছি, শিক্ষকরা ক্লাস নিচ্ছেন না, তাদেরকে কাকুতি-মিনতি করেও ক্লাসে আনা যায় না। নিয়ম মেনে হোক আর নিয়ম ভেঙ্গেই হোক, কারণে হোক আর অকারণেই হোক, আজকে জীবনে প্রথম দেখলাম, একজন শিক্ষককে ক্লাস থেকে বের করা যাচ্ছে না। আপনি নিশ্চিন্তে আপনার ক্লাস নেন স্যার। নো প্রোবলেম।” ততক্ষণে, তিনি যা বুঝার বুঝে গেছেন। সরি বলতে বলতে, আমার সাথে সাথেই এগিয়ে আসলেন। আমি উনাকে বললাম, “আমি খুব সন্তুষ্ট মনেই বলছি, আপনি ক্লাস নেন। আমি এক্সট্রা ক্লাস নিয়ে নেব।” ল্যাব থেকে বেরিয়ে আসতে আসতে মনে মনে শুধু বললাম, কেন যে এক লাফে তৃতীয় শ্রেণীতে উঠতে গেলাম।
এবার বলা যাক সাতাশ নাম্বারের একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্যাররা সব আরামদায়ক বিষয়গুলো নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা করে, এক্সটার্নাল শিক্ষকদের জন্য রাখে সব মহাবিরক্তিকর সাবজেক্টগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় আমিও পেলাম একটা মহাবিরক্তিকর সাবজেক্ট। কত রকমের আরব্য-রজনী, পারস্য-নগরীর গল্প-সল্প বলে যে বিষয়টাকে একটু ইন্টারেস্টিং করার চেষ্টা করতে হয়। হঠাৎ করে একদিন শুনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে না-কি আবার ফাইনাল পরীক্ষা হয়। সেখানে খুব স্বাভাবিকভাবেই আমার পরীক্ষার দিন আমাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকতে হবে। অন্য সবাজেক্ট এর স্টুডেন্টদের সাথে আমার স্টুডেন্টরাও একসাথে পরীক্ষা দিবে। পরীক্ষার দিন যথা সময়ে উপস্থিত হলাম। যথা সময়ে প্রশ্ন দেয়া হলো। প্রশ্ন দিয়ে সামনে থেকে পিছনে যাওয়ার আগেই শুরু হয়ে গেলো ফিস্ফিস্ কথা বলা। আমি বললাম, কথা বলা যাবে না। সাথে সাথে সবাই আকাশ থেকে পড়লো। মনে হয়, এধরণের আজগুবি কথা তারা এ-জীবনে আর কখনো শুনেনি। কিন্তু কোথায় কি! কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হলো ম্যারাথন কথা বলা। একটু আগেত ফিস্ফিস্ করছিলো, এবার সবচেয়ে সামনের টেবিলে বসে, একেবারে পিছনের টেবিলে কথা শুরু হয়ে গেলো। আমি পিছনে যাইতো সামনে থেকে কথা বলে, সামনে যাইতো পাশে থেকে কথা বলে। একজন দুইজন বললে সামলানো যেতো, সবাই একসাথে কথা বলছে। আমি এই পরিস্থিতির সাথে পরিচিত না। আমার মূল কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিরিশ জনের পরীক্ষাকক্ষে আমি একজন খুব ভালোভাবেই পরীক্ষা নিয়ে ফেলতে পারি। কথা বলাতো দূরে থাক, কোনো স্টুডেন্ট এ-দিক সে-দিক সন্দেহজনকভাবে একবার ফিরলেই দুইবার কৈফিয়ত দিতে হয়। আর এখানে একজন কি, আমার সাথে আরো অতিরিক্ত একজন শিক্ষক থাকার পরও কিছুই করা যাচ্ছে না।
কোনোভাবে পরীক্ষা শেষ হবার পর, শিক্ষক লাউঞ্জে এসে দেখতে পাই আরো একজন শিক্ষক আছেন। উনার বিষয়ের পরীক্ষাও ছিলো। তিনি কিছু দিন আগে বুয়েটে থেকে পাস করে বেরিয়েছেন। উনারও আমার মত একই অবস্থা। আসলে আমরা যে সিস্টেমে পরীক্ষা দিয়ে এসেছি, সে হিসেবে আমাদের জন্য এ-ধরণের পরীক্ষা পরিচালনা করা অসম্ভব। কিছুক্ষণ পর বুঝতে পারলাম, ঘটনা এখনো শেষ হয়নি, ঘটনা মাত্র শুরু। একদল ছাত্র এসে বলছে, চেয়ারম্যান কোথায়। এরা উগ্রভাবে চেয়ারম্যানকে খুঁজছে। কিন্তু চেয়ারম্যানকে পাওয়া গেলো না। বুয়েটের উনি যে হলের পরিদর্শক ছিলেন, সে হলের স্টুডেন্ট। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “কি সমস্যা আপনাদের বলেন।” তারা কটকট করে বললো, “প্রশ্নও কঠিন করবেন, আবার কথাও বলতে দেবেন না, আবার পাশে দাঁড়িয়ে গার্ডও দেবেন, এটা কোন ধরণের কথা।” অর্থাৎ, স্টুডেন্টদের দাবি হলো প্রশ্ন যেহেতু কঠিন হলো, পরীক্ষার হল থাকবে ফ্রি, ওরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে লিখবে। সাথে সাথে তিনি উত্তর দিলেন, “প্রশ্ন কঠিন কোথায় হলো, প্রশ্নতো সহজই হয়েছে।” সাথে সাথে শুরু হলো চিৎকার। “আরে মিয়া, এই প্রশ্ন যদি আমাদের কাছে সহজ মনে হতো, তাহলেতো আর আমরা এখানে পড়তাম না, আপনার মত বুয়েটেই পড়তাম।” এ-পর্যায়ে, ‘স্যার’ যখন ‘মিয়া’তে নেমে আসলো, আমার মনে পড়ে গেলো, আমাদের বাড়ির পাশের রহমান মিয়ার কথা। রহমান মিয়া, যেখানে যে ট্যাবলেটই দেখুক না কেন, খেয়ে ফেলবে। সবাই তাজ্জব হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করে, “রহমান মিয়া, এই ট্যাবলেট কেন খেলে তুমি?” রহমান মিয়া হাসতে হাসতে জবাব দেয়, “কোনো না কোনো রোগতো এ ট্যাবলেট সারাবে। খেয়ে রাখলে দোষ কি!” রহমান মিয়ার উত্তর শুনে যে-রকম নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকতাম, স্টুডেন্টদের কথা শুনেও সেভাবেই কিছুক্ষণ নির্বাক তাকিয়ে থাকতে হলো। তারপর কোনোভাবে আমরা দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হতভাগা বুঝিয়ে-সুঝিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে বিদ্রোহ দমন করলাম।
গুলশানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গল্প দিয়ে শেষ করছি। এখানে যাদেরকে পড়াতে হবে তারা বেশিরভাগই আমার বাবা-চাচার বয়সী। বাবা চাচার বয়সী লোকদেরকে পড়ানোটা কোনো সমস্যা না। সে অভিজ্ঞতা আমার আগেই ছিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মাঝে মাঝে কিছু কম্পিউটার বিষয়ক কোর্স করাতে হতো, তারা আমার বাবা-চাচার বয়সীই ছিলেন। এখানে যারা আছেন তারা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার বা সেরকম কিছু একটা। বিশ্ববিদ্যালয় উনাদেরকে বললো, আপনারা সবাই মিলে যদি একসাথে এসে ব্যাচ-এ ভর্তি হোন, তাহলে আমরা একটা সাবজেক্ট চালু করবো এবং আপনাদেরকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বানিয়ে ছেড়ে দেবো। যে কথা, সেই কাজ। বহু বছরের অভিজ্ঞ সব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, এসেছেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হতে। উনাদের ক্লাশে একদিন নাম্বার সিস্টেম পড়াচ্ছিলাম। আমি বললাম, “‘ডেসি’ শব্দটা দশ এর সাথে সম্পর্কযুক্ত। সে-হিসেবে ডেসিমাল নাম্বার সিস্টেমে শূণ্য থেকে নয় পর্যন্ত সর্বমোট দশটি ডিজিট আছে। আর একইভাবে ডেসিমাল মানেও হচ্ছে দশমিক, দশ থেকে দশমিক। এখন প্রশ্ন হলো, “বাই” শব্দের অর্থ যদি হয় “দুই”, তাহলে বাইনারি নাম্বার সিস্টেমে কতটা নাম্বার থাকা উচিৎ অথবা বাইনারি শব্দের এর অর্থই-বা কি হতে পারে?” একজন হাত তুলে বলেন, “স্যার বড় অশ্লীল কথা বললেন।” আমি বলি, “মানে কি?” তিনি বলেন, “বাই” মানে “দুই”, “নারি” মানে- নারী। তাহলে বাইনারি মানে-দুই নারী। সমস্ত ক্লাস কাঁপিয়ে আমার বাপ-চাচারা আদিরসাত্মক কৌতুক নিয়ে হাসিতে মেতে উঠেছে, স্বল্পমাত্রায় হলেও আমিও যোগ দিলাম তাদের সাথে। হাসির রেশ থামতে না থামতেই, আমার এতদিনের সমস্ত প্রচেষ্টা মিথ্যা প্রমাণ করে একজন বলে উঠলেন, “কিছু মনে করবেন না স্যার। আমরা আসলে আপনাকে খুব স্নেহ করি!” তারপর আবার সবার সমস্বরে হাসি। বাবা-চাচার বয়সী বলা হয়তো খানিকটা বেশি হয়ে যায়, সেটা না-হোক, অন্তত পক্ষে বড় কোনো ভাইয়ের বয়সী এই লোকগুলোর হাসি দেখে সেদিন মনে হলো, এভাবে ভাবছি কেন, চাইলেইতো অন্যভাবেও চিন্তা করা যায়। নাহ! সেদিন আর ভাবিনি, “কেন যে এক লাফে তৃতীয় শ্রেণীতে উঠতে গেলাম।” সেইদিন থেকে অন্যভাবে চিন্তা করার শুরু, সেইদিন থেকে আর শত্রুতা নয় ‘স্নেহ’ শব্দটির সাথে, সেইদিন থেকে ‘স্নেহের সাথে ভালোবাসা’।
মইনুল রাজু (ওয়েবসাইট)
[email protected]
[…] রঙ্গ ভরা অঙ্গনে মোর (:: পর্ব ১ :: পর্ব ২ :: পর্ব ৩ :: পর্ব ৪ :: […]
এইটা দেখি আগেরই পড়া। :-X
@ মইনুল রাজু,
পরশ পাথরের ছোয়ায় যা হয়, মঈনুল রাজুর লেখার ছোয়ায় যেন তা-ই হচ্ছে। অনেক মজার মজার স্মৃতি ভেসে উঠছে মনের পর্দায়। মনে হচ্ছে আপনার মত করে লিখি, কিন্তু তেমন করে লেখা সম্ভব নয়।
প্রতিটি পর্বই চমৎকার। আশা করি ভবিষ্যতে রঙ্গ ভরা অঙ্গনে আপনার বৈবাহিক জীবনের মজার মজার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হাসিতে প্রাণ ভরিয়ে দেবেন।
@মাহফুজ,
একটা সময় এখানে পরশপাথর নামে লিখতাম। অনেকদিন পর আপনি আবার সেটা মনে করিয়ে দিলেন।হঠাৎ মনে পড়ে কেমন জানি আমিও একটু অতীতের স্মৃতিতে চলে গেলাম।
অন্য সব সিরিজের মত ‘রঙ্গ ভরা অঙ্গনের’ও অন্তত দশটা পর্ব লিখবো। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। 🙂
জব্বর লিখেছেন ভাই জান। এত সব কথা আপনার মনে থাকে কি করে :-s
@রাজেশ তালুকদার,
বরং উল্টোটা, অনেক কিছুই ভুলে গেছি, দু’একটা ব্যতিক্রম ঘটনা শুধু মনে আছে। :))
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন। 🙂
লেখা নিয়ে বলার কিছু নেই,বরাবরের মত মারাত্নক। csedu তে আমার কয়েকজন শিক্ষকের ক্লাস কখনো করতে না পারার জন্য বিশাল আফসোস হয়। শুরুতেই আছেন প্রোগ্রামিং এ কিংবদন্তীতুল্য মনোয়ার স্যার,তারপর আপনি। আপনি সামনে কখনো ডিপার্টমেন্টে আসলে অবশ্যই জানাবেন।
@রামগড়ুড়ের ছানা,
আমি দেশে থাকলেও ক্লাস পেতে না। কারণ, আমি আসলে জয়েন করেছ আইআইটি তে। আমাদের ব্যাচ এর কেউই সিএসই-তে নেই।আইআইটিতে শুধু বিআইটি০১ ব্যাচ এর একটা ক্লাস নিতে পেরেছিলাম, তারপর ইউএসএ চলে আসি। অন্যদিকে, মনোয়ার ভাই খুবই ইন্টারেস্টিং মানুষ। উনার বাসায়ও যাওয়া হয়েছিলো আমার। আমরা মূলত একই সার্কেল এর লোকজন।
বাংলাদেশে গেলে আমি ২৪ ঘণ্টা ক্যাম্পাসেই থাকি। সায়েন্স কমপ্লেক্স এরিয়াতে, নয়তো ক্যাম্পাসের বাসায়।সিএসই-তে যাওয়াতো হয়ই এবং গেলে তোমাদের সাথে অবশ্যই দেখা হবে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। 🙂
দারুন লিখেছেন ভাইজান, আমি তো আপনার লেখার ভক্ত হয়ে গেলাম।
@ভবঘুরে,
কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনার মন্তব্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। 🙂
খুব সত্যি কথা। আমি ্যেখানে মাস্টারি করে সেখানে অনেক বিদেশী ছাত্র—ভারত, চিন, ইন্দোনেশিয়া, বাঙলাদেশ, নেপাল এই সব দেশ থেকে এসেছ। এদের কাউকে ফেল করানো মহা পাপ।
পাকিস্তানের, ভারতের, চিনের ছাত্ররা আমাকে প্রায়ই বলে ওরা প্রায় সারারাত্রি কাজ করে নিদ্রাহীন থাকে, কাজেই সর্বদা ক্লাশে আসা সম্ভব হবে না। পড়াশোনার বেশী সময় নাই—প্রচুর পয়সা খরচ করে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পেয়েছে—দালালকে অনেক পয়সা দিয়েছে–কাজেই তাদের ্ পরীক্ষার খাতা মো্লায়েম করে দেখতে হবে—-এই সব আর কি।
আর কর্তৃপক্ষ? তারা আমাকে পরিস্কার বলে দিয়েছে–বিদেশী ছাত্রদের আমরা নিরাশ করব না।
আপনার লেখা পড়ে হাসলাম।
কিন্তু আমার হাসব না কাঁদব বুঝছি না।
@আবুল কাশেম,
বাংলাদেশে লেখাপড়া কে যেভাবে দেখা হয়, এখানে এসে দেখছি সেভাবে দেখা হয় না। এখানে বড় ছোট সব বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়াটা নিতান্তই ব্যবসা ছাড়া আর কিছুই নয়। তাদের নিজস্ব যুক্তিও হয়তো আছে।
স্টুডেন্ট যদি জেনে যায়, কর্তৃপক্ষ তাদের নিরাশ করবে না, তাহলে স্টুডেন্ট আর কষ্ট করে পড়ার কথা না। এ-সমস্ত উন্নত দেশের কাছে শিক্ষা নিয়ে এ-ধরণের পদক্ষেপ একেবারেই কাম্য নয়। আপনি কোথায় আছেন বা কি করছেন জানার আগ্রহ ছিলো, কিন্তু আর্টিক্যাল পেইজ-এ গিয়ে বিশেষ কোনো তথ্য পেলাম না।
ভালো থাকবেন। 🙂
“কি দিয়ে ভাত খাইসো?”- এই জাতীয় প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলে শিশু শ্রেণী পাস। আর, পরীক্ষায় কোনো রকমে একটা গোলাপ ফুল এঁকে দিয়ে আসতে পারলে এবং স্কুলে মধ্যাহ্ন বিরতির সময় কানামাছি ভোঁ ভোঁ করে এদিক সেদিক একটু দৌঁড়াতে পারলে প্রথম শ্রেণী পাস। মূলত, স্কুলে যাওয়ার অভ্যাস করার জন্য এই দুটো শ্রেণী রাখা হয়েছে
আমার মা একজন প্রধান শিক্ষিকা,উনিও একই কথা বলেন, তবে তার স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উঠতে হলে জাতীয় সঙ্গীত মুখস্থ বলতে হয়।
কমন পড়ছে। শাদা লবন খুব বিরক্তিকর ছিল।
মোটকথা লেখা পড়ে আমি হাসতে হাসতে শেষ। অনেক ধন্যবাদ।
@সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড,
ভালো বলেছেন। ছোটোবেলা স্কুলে আমাদেরকেও সমস্বরে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে হতো, তবে সেটা অনেক উপরের ক্লাসের দিকে।
শাদা লবণ আমরাতো মজা করে খেয়ে দেখতাম। তারপর বিজ্ঞের মত আবোল-তাবোল একটা নাম বলে দিয়ে ভাব দেখানোর চেষ্টা করতাম।
ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
@মইনুল রাজু,
দেরি হয়ে গেল মন্তব্য করতে। আগেই পড়া হয়ে গিয়েছিল। বেশ মজার লিখেছেন। সবার জীবনেই বোধ করি
এমন এমন অভিজ্ঞিতা আসে। আরো সুন্দর সুন্দর লেখা পাবার আশায় থাকলাম-
@আফরোজা আলম,
অনেক ধন্যবাদ। আপনি আমাদের বই মেলা প্রতিনিধিদের একজন। আপডেট জানাতে আর ছবি তুলতে ভুলবেন না কিন্তু। 🙂
@মইনুল রাজু,
দুঃখজনক হলেও সত্যি কথা, এ পর্যন্ত মেলায় একদিন মাত্র গিয়েছি। একা একা যাওয়া কোনো সঙ্গি না পাওয়াতে একদম মেলায় যাওয়া হচ্ছেনা। অপেক্ষা করছি কবে রণদীপমদা আসবে আর রাজশাহী থেকে মুজাফফর আসবে। তখন নিশ্চয় ছবি তোলা হবে সেই সাথে বাদবাকি সম্ভাব্য যা পারি করা হবে।
মাহফুজ ভাই ঢাকায় এসেছেন। গতকাল কথা হয়েছে।বল্লেন অভিজিতের লেখা নতুন বইটা কিনেছেন বিজ্ঞান ও বিশ্বাস আর তার বন্ধু কিনেছেন ফানুস।
মাহফুজ সাহেব ব্যস্ত থাকায় আজ অথবা কাল দেখা হবে না । আশা রাখি শুক্রবার দেখা হবে। সেই সাথে রামগড়ুড়ের ছানা’কে জানাব।
হা হা দারুন লেখা!
আসলে আমরা প্রাইমারীতে বেশ বিলাসী জীবন কাটিয়েছি
এখনকার বা্চচাদের দেখলে সত্যিই মায়া হয়
ওদের ফাঁকির কোন সুযোগ নেই
আমার চেহারাতেও বোধ হয় ঐ ভাব আছে দেশে একবার একটা কলেজে
এক্সটারনাল হয়ে গিয়ছিলাম , এক ভদ্রমহিলা আমাকে দেখে বলেন পরীক্ষা দিতে
এসেছি কিনা? আর কলেজের ছা্ত্ররা বাসায় ফেরার সময় রি্কসার পেছন পেছন
সাইকেল চালিয়ে আসত!
@লাইজু নাহার,
হা হা, আপনি সাইকেল চালিয়ে যারা পেছন পেছন আসতো তাদের কাহিনী এক করে একটা লেখা দিয়ে ফেলুন না। কেউতো ওরকম অভিজ্ঞতাগুলো নিয়ে লেখেন না।
অন্যদিকে, এখনকার বাচ্চাদের দিয়ে যেটা করানো হচ্ছে সেটা রীতিমত অপরাধ।মানুষের লোভ আর লাভের হিসেব নিকেশের বলি হচ্ছে শিশুরা।খুব দুঃখজনক।
@লাইজু নাহার,
ছাত্র গুলো বেশ ভদ্র গোছের বলতে হবে। শুধু সাইকেই নিয়ে আপনার পিছনে পিছনে এসে পর্বটা শেষ করেছে। পত্র টত্র ছুঁড়ে মারেনি। 😀 :hahahee:
@রাজেশ তালুকদার,
কি যে বলেন দাদা , ওরা ম্যাডামকে পছন্দ করত তাই বাসায় ফেরার
সময় প্রিয় ম্যাডামকে একটু এগিয়ে দিত!
আর আমার ছা্ত্রছাত্রীরা বেশ ভালই ছিল , ট্রেনে কোথাও যাওয়ার সময়
লাগেজ উঠিয়ে দিত , সিনেমা হলে ছাত্রীরা টিকিট কেটে দিত!
বছরের প্রথমে ক্যালেন্ডার এসবতো ছিলই।
এই প্রবাসে ওদের খুব মিস করি!
আপনার লেখার জন্যে যেই হাসিডা দেওয়া দরকার অইডা অইল খ্যাক খ্যাক। :))
@সাইফুল ইসলাম,
:))
হাঃ হাঃ হা, দারুন লেখেছেন রাজু ভাই।
তৃতীয় শ্রেণীতে পরীক্ষা দিচ্ছি। আমার পরীক্ষা অনেক আগে শেষ হয়ে গেল। বার বার খাতা জমা দেই তো স্যার ফিরিয়ে দেন, আরো লেখতে বলেন। অবশেষে বিরক্ত হয়ে ভাবলাম, খাতাটা বরং বাসায় নিয়ে যাই। আব্বু দেখবে। স্যারগুলোর চেয়ে আব্বু অনে-ক অনে-ক ভাল। পরীক্ষার খাতা ভাল করে ভাজ করে পকেটে ঢুকিয়ে চুপি-চুপি বাড়িতে চলে গেলুম। আব্বু দেখে তাজ্জব।
হাই-স্কুলে সহপাঠিদের চেয়ে বেশ ছোট ছিলাম। একটু রাগ-টাগ করলে ওরা আমাকে কোলেই তুলে নিত। 🙂
@সৈকত চৌধুরী,
আপনার ঘটনাতো দেখছি আরো ইন্টারেস্টিং। :)) এখনতো মনে হচ্ছে সবার প্রাইমারি স্কুলের ঘটনা দিয়ে একটা সমগ্র তৈরী করা যেতে পারে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। 🙂
দারুণ মজারু অভিজ্ঞতা সব, বুখে আসেন ভাই :))
@কৌস্তুভ,
ধন্যবাদ আপনাকে। যদি কোনো ভুল না করে থাকি, ‘নো চাইল্ড লেফট্ বিহাইন্ড’ খ্যাত আপনার কার্টুনটা ফেইসবুকে শেয়ার করেছিলাম। সৌজন্যে আপনার নাম উল্লেখ করা ছিলো। 🙂
ভালো থাকুন।
আরে ভাই, এইসব জিনিস মুশরিক জনতার পাবলিক প্রপার্টি, যত শেয়ার দেবেন ততই ভালো। বরং সৌজন্যে আমার নাম দিলে কবে আমেরিকার রাইট-উইং ফান্ডি’রা আমার কল্লা নামিয়ে দেবে 😛
(তাছাড়া আমার ক্লাসে এক ক্যাথলিক ইত্তালীয় বান্ধবীও আছে 😉 )
সময়ের সাথে যে কিভাবে সাংস্ক্রিতি বদলায় তাই আপনার লেখায় ফুটে উঠেছে। যেভাবে বনানী থেকে গুলশান আর গুলশান থেকে ধান্মন্ডি তে বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনি দৌড় পেড়েছেন তাতে মনে হোল এক মুদির দোকান থেকে অন্য মুদির দোকানে যাওয়া। এটা ভাল বিশ্ববিদ্যালয় এখন ঘড়ের দুয়ারে এসে গেছে।প্রয়জনেই এমনটি হয়েছে।
খুবই মজা লাগলো লেখাটা পড়ে :lotpot: :rotfl: :rotfl: :hahahee: :hahahee: :hahahee:
আর আপনি মনে করিয়ে দিলেন
@মেহেদী তুহিন,
ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
মইনুল ভাই,
লেখাটিতে আপনি নিজে হেসেছেন খুবই কম; কিন্তু আমাদের হাসালেন প্রচুর। আপনার এই আত্মত্যাগের জন্য আপনাকে (F)
এখন দিন বদলাইছে; কিন্তু আমি দেখছি ক্লাস টেন পর্যন্ত অবলীলায় চলে যাওয়া যেত অধিকাংশ সাবজেক্টেই উত্তীর্ণ না হয়ে। আর এর ফলাফলই পড়ত এসএসসি পরীক্ষায়।
:hahahee: :hahahee:
:lotpot: :lotpot:
পুনশ্চঃ ”রঙ্গ ভরা অঙ্গনে”-এর ৪র্থ পর্ব আনতে বেশী দেরী কইরেন না। পাঠকের দাবী নিয়াই কইলাম (যদি অনধিকার চর্চা মনে হয়, পাঠকের পাগলামি ভাইবা মাপ কইরা দিয়েন)।
@কাজি মামুন,
এখন দিন বদলে অত্যাচারের পর্যায়ে চলে গেছে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েগুলোকে যে প্রেসার দেয়া হয় সেটা একদমই অমানবিক।
শুনেন, আপনার যখন যা খুশি বলে ফেলবেন, কখনো দ্বিতীয়বার চিন্তা করতে হবে না, একদমই সমস্যা না। চতুর্থ পর্বও তাড়াতাড়ি-ই দেব, তবে মাঝাখানে অন্য আরেকটা লেখা লিখবার ইচ্ছা আছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন। 🙂
খুবই খুবই মজার হয়েছে। (Y)
তবে…
আপনি দুই বছর ছোট হওয়ায় একজন ২৪বছরের যুবকের শারীরিক গঠন খুব একটা তফাত থাকার কথা না।
আমার নিজের বেলাতেও আপনার মতোই অভিজ্ঞতা আছে। আমার শারীরিক গঠনের কারনে অনেক জায়গায় এই সমস্যায় পড়তে হয়। পরিচয় দেয়ার পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষকরা তাদের ছাত্র ভেবেই আচরন করেন। আমি যদিও এনজয় করি। শারীরিক গ্রুথটা সবসময় বয়সের সাথে পাল্লা দিতে পারেনা। :lotpot:
@আসরাফ,
আপনি ঠিকই বলেছেন, ২৪/২৬ এ খুব একটা তফাত থাকার কথা নয়। আমি হয়তো ঘটনার ফ্লো ধরে রাখার জন্য সেভাবে বলছি। কিন্তু, ব্যাপারগুলো হয়তো ২ বছর বেশি হলেও ঘটতো। মূলত, এ ধরণের ঘটনা আমাদের সবার লাইফে কিছু না কিছু ঘটে থাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
যেহেতু আমার একটি লেখায় বানান ভুলের ইঙ্গিত করে বিশেষ উপকার করেছিলেন আজ তারই কিছুটা ঋণ পরিশোধ করার বাসনায় বলতে চাই আপনার এই লেখায় দু একটা টাইপো রয়ে গেছে। দুই জায়গায় ক্লাস বানানটা দুই ভাবে হয়ে গেছে, তেমনি রঙিণ তেমনি পাস শব্দটাও। আর এখানে একজন শিক্ষককে ক্লাশ দেখে না কি (থেকে) বের করা যাচ্ছে না।
আমার লেখায় বানান ভুল স্বাভাবিক কিন্তু আপনার লেখায় টাইপোও অনাকাংখিত।
যাক, আমার মন চায় একবার যদি আপনার ছাত্র হতে পারতাম। দেখতাম আপনার নিরহংকারী মনের ভেতরের মানুষটা কতো ভাল, সহজ, সরল। প্রথম দিকটা তো মনে হলো যেন আমার বাল্যকাল নিয়ে লেখা, পার্থক্য শুধু মাদ্রাসার উল্লেখ নেই। না কি কোনদিন মাদ্রাসায় পড়ারও দুর্ভাগ্য কপালে জুটেছিল? টপকে টপকে উপরের শ্রেণীতে উঠার যাতনা আমার জীবনেও ঘটেছে। মাদ্রসায় বিশেষ করে সঙ্গম (ইন্টারকোর্স) ও নারীদের ঋতুস্রাব সংক্রান্ত মাসলা-মাসায়েলের ক্লাসে।
জীবনে প্রথমবারের মতো বায়োস্কোপ দেখার অভিজ্ঞতা আছে? বয়স বাড়ার আকুতি? চলুন সঞ্জীব চৌধুরীর একটা গান শুনা যাক-
httpv://www.youtube.com/watch?v=uEu7vkjNQfI&feature=related
@আকাশ মালিক,
ধন্যবাদ এবং সাথে সাথে কৃতজ্ঞতাও। বানানগুলো ঠিক করে দিতে চেষ্টা করেছি।
মাদ্রাসায় পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি। নিশ্চিত করে বলতে পারি, সেটা হলে খুব এনজয় করতাম। জীবনের আরেকটা দিক দেখা হতো। তবে মক্তবে পড়েছি।
যে গানটার লিঙ্ক দিলেন। সে গানটার প্রকৃত অর্থ বা ব্যাখ্যা খোঁজার খুব চেষ্টা করেছি। হলে থাকতে আমার রুমে শুধু এই গানটার অর্থ বিশ্লেষণ নিয়ে একটা আড্ডা-আলোচনা বসিয়েছিলাম আমরা। খুব ভালো কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারিনি। অনেক দিন পর, আবারো গানটা শুনে সে কথাই মনেপড়ে গেলো।
ভালো থাকবেন। 🙂
@মইনুল রাজু,
আব্দুল করিমের গান। যতটুকু জানি কাহিনী অনেকটা এই রকম। কোন এক পুকুর ঘাটে সল্পবসনা নারীদের গোসলীয় কর্মকান্ড আব্দুল করিম প্রায়ই উপোভোগ করতেন। উহার উপজাত হিসাবেই উক্ত গানের উৎপত্তি। আপনাকে রেফারেন্সটা দিতে পারছি না। তবে ঘটনা এমনই।
@সাইফুল ইসলাম,
একটু যে তথ্য দিলেন সেটাই বা কম কিসের। তবে অন্য সব লাইনের ব্যাখ্যা দাঁড় করালেও, একটা লাইনের ব্যাখ্যা আমি কখনোই মিলাতে পারিনি-“ডাইনে তোমার চাচার বাড়ী, বাঁয়ের দিকে পুকুর ঘাট, সেই ভাবনায় বয়স আমার বাড়ে না।”
@মইনুল রাজু,
প্রথম শ্রেণী টপকে দ্বিতীয়তে উঠায় আমারও অনুরুপ অবস্হা হয়েছিল! লেখাটা পড়ে তাই ভাল লাগল। 😀
এটার ব্যাখ্যা তো আমার কাছে মনে হয় এইরকম, “বাঁয়ের দিকে বিশেষ কারো জনের পুকুরঘাট (তা না হলে অন্তত বিশেষ জন সেখানে স্নান করতে আসে!) কিন্তু এখানো কোন হাংকি-পাংকি চলে না কারণ ডানে চাচার বাড়ি যেকোন সময় বিশেষ জনের চাচা এসে রামধুলাই দিয়ে যেতে পারে!”
এরকম সরল স্বীকারোক্তির গানগুলো ভালই লাগে! 😛
বিরক্তিকর লাগে ভুলভাল গানগুলো শুনে অথচ এগুলোতে ছেয়ে আছে সারা গ্রাম-বাংলা, যেমন:
“এমন ক্ষতি করছো আমার!
আল্লায় করবে তোমার বিচার!”
আল্লাহর উপর ভর করে না থেকে এই ক্ষতি থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে চলাটাই কি বুদ্ধিমানের কাজ নয়?
@নিশাচর,
পুকুরঘাটের ব্যাখ্যাটা ভালো দিয়েছেন। যৌক্তিক, বোধগম্য।
ভুল গানের ব্যাপারে যেটা বললেন, সেখানে সমস্যাটা গানের নয়। আমার মনে হয়, গান ঠিকই আছে, সমস্যাটা হলো বিশ্বাসের।
ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
@আকাশ মালিক, বায়োস্কোপ দেখলাম ভাইজান। মজা পাইলাম 🙂 :rotfl:
ভাগ্যিস বলেনি যে, এত এত টাকা দেই কি প্রশ্ন কঠিন করার জন্য?
@গীতা দাস,
হা হা গীতা’দি,
তারা বলেনি, না-কি বলার পরও সেটা আমি লিখিনি। :))
(Y) 😀
@নিলীম,
ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
@মইনুল রাজু, আপনার লিখাটি সত্যি অনেক ভালো লেগেছে তাই আরেকবার পড়লাম (Y) । পরীক্ষায় কোন ছড়াটি লিখে এসেছিলেন, মনে আছে ? 🙂
আমার বড় ছেলে ৬ বছর, সে ও অনেকটা এইরকম, প্রথম দিন এর ইস্কুলে টিফিন না খেয়ে ফেরত নিয়ে এসেছে, জিগ্গেস করেছি খাওনি কেন? উত্তরে বলেছে আমাকে তো কেও বক্স খুলে দেয়নি ব্যাগ থেকে।
আপনার কাছ থেকে তালিম নিতে হবে মাঝে মাঝে, কিভাবে এই রকম বাচ্চাদের মানসিকতা বোঝা যায় এই ব্যাপারে 🙂
@নিলীম,
আপনার ছেলের কথা শুনে বেশ মজা পেলাম। আশা করি, সে বড় হলে তার থেকে এই গল্প তার লেখনীর মাধ্যমে আবার শুনতে পারবো।
বাচ্চাদের মানসিকতা না বুঝলেইতো মজা। অবাক হওয়া যায়। আমার বড় বোনের ছেলে, স্কুল থেকে এসে তার মায়ের পায়ের নীচে দেখার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে। আমার বোন কোন কারণই বুঝতে পারে না। সে বলে, “আগে দেখাও আমি দেখি।” অনেকক্ষণ দেখে-টেখে বলে, “কই কোনটা?’ আমার বোন বলে, “কি কোনটা?” সে বলে স্যার ক্লাসে বলছে, “মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেস্ত।আমি বেহেস্ত খুঁজি।” আমরা যারা বড় হয়ে গেছি তারা অনেক কঠিনভাবে চিন্তা করি, শিশুরা অনেক সহজ-সরলভাবে চিন্তা করে।আমার কাছে মনে হয় এখানেই সৌন্দর্যটা, সরলতার মধ্যে।
আমার ছেলের জন্য শুভকামনা থাকলো। 🙂
@মইনুল রাজু, আপনি আমাকে সত্যি আস্বস্ত করলেন এই জন্য যে আমি একা নই এই প্রবলেমগুলো নিয়ে! এই জেনারেশনটা বুদ্ধিমত্তায় যেমন শক্তিশালী তেমনি নাজুক।
আমার ছেলে যখনি নেট কানেকশন এর প্রবলেম এ পড়ে তার দাদাকে বলে নতুবা আমাকে বলে মা আল্লাহকে বল তারাতারি এটা ঠিক করে দিতে। তার কথার উত্তর আমাকে খুব সাবধানে দিতে হয়, কারন একদিকে তার ধার্মিক দাদা তাকে কথায় কথায় বলে আল্লাহ ই সব ঠিক করে দেবেন । এখন আমি যদি বলি আল্লাহ ইন্টারনেট কি জিনিস এটাই বোঝে না তাহলে তো আমার ছেলে এই বয়সেই কনফিউজ্ড হয়ে পরবে।
@নিলীম,
আমাদের হয়তো নেক্সট জেনারেশানকে যুক্তি কিংবা প্রমাণের গুরুত্বটা ধরিয়ে দিতে পারলেই হবে। এরা খুব স্মার্ট। সঠিক জিনিসটা ঠিকই বের করে ফেলবে।আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন। আর, দাদা-দাদী বা নানা-নানী থাকাটাইতো একটা আশীর্বাদ।আরতো কয়টা দিন, তাঁরা নিজের মত করে বলুক না সে কয়টা দিন। অতটুকুও অনেকে মেনে নিতে চান না, তাদের যুক্তিও আছে। কিন্তু, ব্যক্তিগতভাবে আমি অতটুকু ঠিকই মেনে নেই।
ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
@মইনুল রাজু, (Y)
@মইনুল রাজু,
আমরা সবাই মিলে এক বন্ধুর বাসায় আড্ডা দিচ্ছিলাম। তখন বন্ধুর ভাতিজা এসে হাজির। শুধু দুষ্টুমি করে। তো তার দুষ্টুমি বন্ধ করার জন্য আমার বন্ধু তাকে বুঝালো, এরকম করলে কবরে যাওয়ার পর আল্লা তাকে ভয়ানক শাস্তি দিবে। ছেলেটার জবাব, আমার কাছে একটি লম্বা রাইফেল আছে না, কবরে যাওয়ার সময় ওটা নিয়ে যাবো, আল্লাকে ………।
সবাই মুখ চাওয়া চাওয়ি শুরু করল আর আমি মুচকি হাসলাম। এরেই কয় বাচ্চা ভয়ংকর।
@সৈকত চৌধুরী,
নাহ! আপনাদের সাথে আড্ডার আসর বসাতে হবে, এছাড়া আর শান্তি নাই। সবার কাছে অনেক মজার মজার গল্প জমা। আমি নিজে এখনো আমার গল্পের এক দশমাংশও বলে শেষ করতে পারি নি। 🙂
চরম তো! আমার জীবনের ঘটনা একটু বলি, ছোটবেলায় আমি খুব গম্ভীর প্রকৃতির ছিলা্ খুব বেশি কথা বলা বা খেলাধুলা করতাম না। আমার কাজ চিল যেকোন বই পড়ে ফেলার চেষ্টা করা। নার্সারিতে পড়ার সময় আমার বইগুলো আগেই পড়া শেষ হয়ে যাওয়ায় আমি আমার বড় বোনের ক্লাস ওয়ানের বই পড়ে ফেলেছিলাম। বোনকে যখন ক্লাস টুতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে নেয়া হল আমি হঠাৎ গো ধরলাম, আমিও আপুর সাথে পড়ব। হেডমাস্টার পরীক্ষা নিয়ে দেখেন আমিই ভাল করলাম বোনের চেয়ে আর এক ক্লাসে উঠে গেলাম, আর তখন থেকে লম্বায়ও হয়ে গেলাম বোনের চেয়ে বড়! কিন্তু সমস্যা হইল প্রতি জন্মদিনে বন্ধুরা যখন বয়স জিজ্ঞাসা করে তখন আমার বয়স শুনে তারা বলে আমি নাকি চাপা মারতেছি, কি মুশকিল!
@লীনা রহমান,
জন্মদিনে, বন্ধুদের কথায় বিশ্বাস করতে হয় না। বন্ধুরা সারা বছর ধরে মিথ্যা বলার প্ল্যান করে জন্মদিনে বলার জন্য। :))
ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
সহ পাঠি দের মধ্যে কম বয়সী হলে সে সবারই আদর ও স্নেহ পেয়ে থাকে।বেশ মজা পাইলাম।
নিউ ইয়র্কে আর কখনো এলে,আপনাকে ও আপনার স্ত্রী,আর যদি সংগে কোন বাচ্চা থাকে,এই গরীবের তাবু খানিতে অন্তত এক সন্ধার জন্য হলেও ডাল আর আলু ভর্তার নিমন্ত্রন রইল। আমি আপনার বাপ চাচার সমতুল্য হলেও আপনার সম সাময়িক আমার ছেলে মেয়েদের সংগে সময় কাটাতে খারাপ লাগবেনা। আর weekend হলে তো কথাই নাই।আপনাদরকে তারা Car এ লয়ে ঘুরে ব্যাড়াতে আনন্দ অনুভব করবে।
ভাল থাকুন।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আপনার সাথে সময় কাটাতে যে আমার খারাপ লাগবে না, সেটা নিশ্চিত। নিউ ইয়র্ক তো যাওয়া হয়ই। তার উপর আবার খাওয়ার কথা বলছেন। ডাল আলু ভর্তা হলেতো কথাই নেই। আশা করছি দেখা হয়ে যাবে আপনার সাথে। অনেক ধন্যবাদ। 🙂
সবচেয়ে মজা লাগল এই পর্বটা। দারুন।
হাসতে হাসতে পেট ফেটে গেল। :rotfl:
সবগুলো ঘটনাই কি ১০০% সত্য নাকি সত্য-মিথ্যার মিশ্রন?
@রনবীর সরকার,
সবগুলো ঘটনাই সত্য। এই সিরিজের পুরোটাই বাস্তব ঘটনার আলোকে লেখা। তবে, সিরিজটার ধরণ এবং লেখার শব্দবিন্যাসের কারণে কখনো কখনো ঘটনাগুলো খানিকটা অতিরঞ্জিত হয়ে থাকতে পারে।
ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂