তুমি চাইলেই কি গোটা আকাশটাকে
আড়াল করতে পার?
আর কন্ঠ সপ্তমে উঠিয়ে বলতে পার
ওটা আকাশ নয়, তেপান্তরের মাঠ।
তোমার চোখে, আমার চোখ নেই
তুমি যা দেখাবে
আমি তাই দেখব
এর অন্যথা হলেই
আমি শান্তি ভঙ্গকারী।
দিনকে রাত আর রাতকে দিন বানাতে পারঙ্গম
বহুজাতিক বেনিয়াদের মতো তুমিো কি আমাকে
বলবে:
ওটা মরুভূমি নয়, গভীর অরণ্য
আর আমি দ্বিপদী ভেড়াদের মতো ছুটে যাব
নিশ্চিত ঘাসের সন্ধানে।
পোড়া মাটির উপর দাঁড়িয়ে পুড়ে যেতে যেতে
আমি যেদিন কঙ্কালসার
তুমি আমাকে আকাশ দেখালে
আমি দেখলাম, মহাকালের পথ ধরে ভেসে চলা
ক্রন্দনহীন মেঘ।
তুমি স্মিত হেসে বললে,
বৃষ্টিস্নাত লাগছে তোমাকে বেশ!
তুমি পার,
আমি পারিনি ।
তাই,
এই আমি,
আ্জ,
প্রকৃতির মতো বড় বেশি বিপন্ন।
আমি স্বপন ভাই কবিতা তেমন বুঝি না। আমার কাছে মনে হইছে এইটা প্রেমের কবিতা হিসাবে ভালো। প্রতিবাদ হয়ত কষ্ট কইরা বাইর করা যায়। কিন্তু আমি সহজ পথেই গেলাম। ভালো পাগল প্রেমের কবিতা।
লাগল*
@সাইফুল ইসলাম,
কতদিন আগে, ঠিক মনে নেই। সম্ভবত সাপ্তাহিক আউটলুক ম্যাগাজিনে একটা ছবি দেখেছিলাম, আদিবাসী এলাকায় পাহাড়টাকে বিনাশ করে, সবুজ কার্পেট দিয়ে মুড়িয়ে, হেলিকপ্টার থেকে ছবি তুলে জনগণকে বুঝানো হয়েছে, দেখ আমরা প্রকৃতির কোন ক্ষতি করিনি। এটা পরে ফাঁস হয়ে যায়।
এই হলো এ লেখার জন্ম-কথা।
ধন্যবাদ।
কবিতার মাধ্যমে এত শক্ত প্রতিবাদ! :-O :clap (Y)
@মহন,
প্রতিবাদ হয়েছে কি-না জানিনা, তবে কতগুলো বিপরীত ছবি আঁকার চেষ্টা। ধন্যবাদ।
কি বলব জানি না । কোথাও যেন পড়েছিলাম :
পারিব না এই কথাটি বলি বার বাব
কেন পারিব না তাহা ভাবি না তো আর…
একবার না পারিলে দেখি না তো আর। (O)
@সংশপ্তক,
মধ্যবিত্ত বাতাসে বিপন্নবোধটা জেগে ওঠা খুব দরকার। তা হ’লে হয়তো পারা, না-পারার সংকট থেকে অনেকটা বেরিয়ে আসতে পারবে।
ধন্যবাদ।
এখানে যে প্রশ্নটি করা হয়েছে তার ভিতরে একটা শক্তিশালী ‘না’ লুকিয়ে লুকিয়ে আছে! আছে আত্মপ্রত্যের স্বাক্ষর! অথচ বাকী কবিতা জুড়ে শুধুই পরাজয়ের ইঙ্গিত!
”আর” দিয়ে শুরু হওয়া এই চরণটির শেষে প্রশ্নচিহ্ন না থাকাতে আগের চরণের সাথে সাযুজ্য খুঁজে পাওয়া যায় না।
এইখানে আপনার বার্তা পুরোই স্পষ্ট হয়েছে! তবে শুধু বহুজাতিক বেনিয়া নয়, অনেক স্বজাতি বেনিয়াও রয়েছে; আর এদের আহবানও কিন্তু একেবারে নিরীহ নয়!
পুনশ্চঃ কবিতাটি ভাল লেগেছে বলেই এত কথা উঠে এল। ভাল থাকবেন।
@কাজি মামুন,
আপনার এই লাইন ধরে চুল চেরা বিশ্লষণ আমার কাছে সত্যি বেশ উপভোগ্য ঠেকে।
@কাজি মামুন,
আপনি যেভাবে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন, তাতে তো ধন্যবাদ না দিয়ে উপায় নেই। হয়তো আমি যেভাবে চেয়েছিলাম, ঠিক সেভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারিনি।
প্রতিবাদের আভাষ আছে, বিপন্নবোধও আছে। চেয়েছিলাম প্রতিবাদের আভাষ দিয়ে বিপন্নবোধটাকে একটুখানি উস্কে দেই।
আর একটুখানি ছুঁয়ে যাওয়া বা মনে করিয়ে দে’য়া। আবারো ধন্যবাদ।
আজ আর সেই দিন নেই। আমাদের ভেতরে বাইরে চোখ ফুটতে শুরু করেছে। আমরা বেড়িয়ে আসবো গোলক ধাঁধাঁ থেকে।
সুন্দর হয়েছে কাব্যকথন। অভিনন্দন।
@জালাল উদ্দিন মুহম্মদ,
এটা যত দ্রুত হয়, ততই মঙ্গল। পৃথিবী বাঁচলে মানুষও বাঁচবে।
বুঝতে পেরেছি কবিতাটা। খুব বেশী বিমূর্ত নয়। অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা এবং ভঙ্গি দুটোই ভাল হয়েছে।
@শাখা নির্ভানা,
এই যে আপনি একটুখানি বুঝতে পেরেছেন, বা আমি আপনাকে একটুখানি বুঝতে পেরেছি, এ আদান প্রদানটাই হয়তো একদিন প্রতিবাদের কার্যকর ভাষা হয়ে উঠতে পারে।
বিপন্নবোধ থেকে মুক্তির বুঝি পথ নেই!!
@গীতা দাস,
বিপন্নবোধটা তো আগে আসুক, তারপর না হয় জেগে ওঠা। ভুল হলে ক্ষমার্হ।
অনেকদিন পরে আপনার কবিতা। ভালো লাগলো।
@আফরোজা আলম,
সাধারণত আমাদের সবাইকে মুক্ত আর স্বাধীন বলা হলেও, এমন এক বাস্তবতায় আমরা বেঁচে আছি, চাইলে স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারিনা। অর্থাৎ জীবনের সবটুকু সময় চলে যায় শুধু বেঁচে থাকার জন্য। তাই লেখা তো দূরের কথা, অনেক অনেক মন্তব্যের ঘরেও অনুপস্থিত। খুব ইচ্ছে হয়, পারিনা।
ধন্যবাদ।
এই লাইনগুলোর গাঁথুনি একটু দূর্বল মনে হয়েছে, কাব্যিক ঝংকারটা নেই। বাকী পুরো কবিতা-ই বেশ ভালো।
আরো লিখুন। 🙂
@মইনুল রাজু,
সমালোচনার গন্ধ পেলে, মনে হয় কিছুটা হলেও কল্যাণ হলো। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
@মইনুল রাজু,
আমিও এর সাথে একমত
(Y)
@আসরাফ,
ধন্যবাদ, বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করার জন্য।
(F)
শক্ত প্রতিবাদও যে কতটা কাব্যিক হতে পারে তাই দেখলাম আর কেঁপে উঠলাম।
প্রেয়সী ধানক্ষেত পূর্ণিমা নোনাখাল;
আগামীর দুঃস্বপ্ন দেখেনি কৃষক;
ইলিশের মৃত্যু; লবণাক্ত মেঘনায়,
স্থবির প্রতিবাদহীন এখনো নির্বাক।
@কাজী রহমান,
ধন্যবাদ আপনার পাঠ প্র্তিক্রিয়ার জন্য।
ঠিক তাই। আর এ কারণে বিপন্নবোধ কিছুতে পিছু ছাড়ে না।