গোলাম আজম নিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে আলাপ আলোচনা তুঙ্গে। গোলাম আজম কে বন্দী করে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো হয়েছে। কি তার অপরাধ? সে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল, গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, ঘরবাড়ী পোড়ান সহ সব রকম অপকর্মে সে জড়িত ছিল। যারা স্বাধীনতার পক্ষের লোক তারা গোলাম আজমের গ্রেপ্তারে দারুন উল্লসিত, আর যারা ইসলাম পন্থি লোক প্রকাশ্যে না হলেও সবাই ভিতরে ভিতরে এ গ্রেপ্তারে দারুনভাবে ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত। পারলে এখনই এ সরকারকে পতন সহ সরকারের সাথে জড়িত বিশেষ করে আওয়ামী লীগারদেরকে দেশ ছাড়া করতে চায়।
কিছুকাল আগে গোলাম আজমের একটা সাক্ষাতকার প্রচারিত হয়েছিল বাংলাদেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে। সেখানে দেখা গেল, গোলাম আজম বেশ দৃঢ়তার সাথে বলছে- ১৯৭১ সালে সে কোন অপরাধ করে নি, কোনরকম খুন, খারাবি, নারী ধর্ষন, এসবে জড়িত ছিল না- তাকে গ্রেপ্তার করে বিচারে সোপর্দ করলেও তার বিরুদ্ধে কথিত অপরাধের কোন প্রমান কেউ হাজির করতে পারবে না। তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ বায়োনাট, হাস্যকর ও পাতানো। এর পরেও যদি তাকে অন্যায়ভাবে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেয়া হয়, ফাসির আদেশ দেয়া হয় তাহলে সে শহিদের মর্যাদা পাবে। আর এই শেষের বিষয়টিই সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ন মনে হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সবচাইতে বড় শত্রু বোধ হয় এই গোলাম আজম। কারন স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশে জন্মগ্রহনকারী এই গোলাম আজম আর তার দল জামাত ইসলাম পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়েছিল। পাকিস্তানীরা ছিল বাংলাদেশ দখলকারী, যে কোন দখলদারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ফুসে উঠতে পারে, স্বাধীনতার লড়াইয়ে ঝাপিয়ে পড়তে পারে। দখলদার বাহিনী বা দেশ অতি সহজে তাদের দখল ফেলে পাততাড়ি গুটিয়ে চলে যাবে তা ভাবার কোন কারন নেই। একটা শক্তিশালি দেশ কেন অন্য দুর্বল দেশ দখল করে ও তা ধরে রাখতে চায়? একটাই কারন- দখলকৃত দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ভোগ দখল। পাকিস্তানীরা বাংলাদেশ দখল করে ঠিক সেটাই করত। বাংলাদেশের সম্পদ দিয়ে ওরা পাকিস্তানকে গড়ে তুলছিল। বাঙালীরা এটা বুঝতে পেরে স্বাধীনতার ডাক দেয়, শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। এ যুদ্ধে এই গোলাম আজম ও তার দল জামাত ইসলামী সহ অন্যান্য ইসলামি দলগুলো বিরোধীতা করে ও পাকিস্তানীদের পক্ষ নেয়। আপাত দৃষ্টিতে এটা এক অমার্জনীয় অপরাধ এবং দেশ ও দেশের মানুষের সাথে চরম বিশ্বাসঘাতকতা। স্বাধীনতার পর ৪০ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেছে, কিন্তু এর পরেও গোলাম আজম ও তার দল জামাত ইসলাম উপলব্ধি করতে ব্যর্থ যে সে ও তার দল তার স্বদেশ ও স্বজাতির প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা ও অপরাধ করেছিল। এখন প্রশ্ন হলো – কেন গোলাম আজম, তার দল ও তাদের সমমনা দল ও মানুষগুলো এ উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলো?
১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে ভারতীয় উপমহাদেশ দুটি দেশে পরিণত হয়- ভারত ও পাকিস্তান। হিন্দু অধ্যুষিত অঞ্চল ভারত ও মুসলমান অধ্যুষিত অঞ্চল পাকিস্তান। সে সময়ে গোলাম আজমের দল জামাত ইসলাম কিন্ত অবিভক্ত ভারতই চেয়েছিল।কেন সেটা চেয়েছিল সেটার ব্যখ্যায় পরে আসা যাবে।পাকিস্তানের দুটি অংশ পূর্ব ও পশ্চিম। যদিও ভৌগলিক দিক থেকে এক অদ্ভুত রাস্ট্র হয়েছিল কারন পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝখানে বিশাল ভারত, প্রায় ১২০০ মাইলেরও বেশী দুরত্ব, তারপরও মুসলমানরা বিশেষ করে বাংলাদেশের মুসলমানরা শুধুমাত্র ধর্মীয় জোশে এরকম একটা উদ্ভট রাষ্ট্রের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছিল। তার সোজা অর্থ হলো-এ ধরনের ভৌগলিকভাবে উদ্ভট রাষ্ট্র পাকিস্তানের মূল ভিত্তি ছিল ধর্ম তথা ইসলাম। মনে হয় পৃথিবীতে সেটাই ছিল সর্বপ্রথম রাষ্ট্র যা সম্পূর্ন ধর্মীয় ভাবে সৃষ্টি হয়েছিল। তার কারন এ রাষ্ট্রের মানুষগুলো সম্পূর্নত ধর্মীয় জোশেই একত্রিত হয়েছিল।অত:পর ১৯৭১ সালে এসে শুরু হলো স্বাধীনতার যুদ্ধ। সে যুদ্ধের উদ্দেশ্য কি ? পাকিস্তান থেকে ভাগ হয়ে গিয়ে আলাদা রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। যা ছিল সম্পূর্নতই ইসলামী ভাবধারার পরিপন্থি। ইসলামে কোন আলাদা রাষ্ট্রের বিধাণ নেই। ইসলামের মূল বিধাণ হলো- গোটা মুসলমানরা একটা জাতি ও রাষ্ট্র হিসাবে বসবাস করবে যার প্রধান হবে একজন খলিফা যাকে বলা হয় ইসলামী খিলাফত।ইসলামের মূল লক্ষ্য হলো- গোটা দুনিয়ার মানুষ ক্রমশ: ইসলামী পতাকাতলে আসবে এবং একটা বিশ্ব খিলাফতি ব্যবস্থা চালূ করবে। মোহাম্মদের কোরান আরবী ভাষায় নাজিল হয়েছিল আর সে কোরানে বলা হয়েছিল- আমি মক্কাবাসী ও আশপাশের মানুষকে সতর্ক করতে চাই- এর দ্বারা যতই বোঝানো হোক না কেন ইসলাম শুধুমাত্র আরবী ভাষী বা আরব দেশের জন্য, কিন্তু পরবর্তীতৈ ইসলামী শাসক ও পন্ডিতরা একে বিস্তৃত করে বিশ্ব ইসলামী উম্মা ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখে ও তা বাস্তবায়নে ব্রতী হয় যার লক্ষ্য ছিল বিশ্ব ইসলামী খিলাফত। এ খেলাফতে মুসলমানদের জন্য আলাদা কোন জাতি রাষ্ট্রের স্থান নেই। ঠিক একারনেই ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের কালে জামাত ইসলাম তার বিরোধিতা করেছিল কারন তাদের স্বপ্ন ছিল কালে ক্রমে ভারতের অমুসলমানরা ইসলাম গ্রহণ করবে ও গোটা ভারতে একটা ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হবে আর যার অধীনে আসবে আস্তে আস্তে পৃথিবীর সকল মুসলিম দেশগুলো। এটা শুনতে যতই আজগুবি মনে হোক না কেন জামাত ইসলামী এর ধর্মীয় নেতা মওদুদী স্বপ্ন সেটাই ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে ১৯১৮ সালে পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠির কাছে তুর্কী অটোমান খিলাফত চরম ভাবে পরাজিত হওয়ার পরও তাদের বদান্যতায় খিলাফত প্রথা নামে মাত্র চালু থাকে।আর এটাকেই শক্তিশালী করার জন্য এই পরাধীন ভারতের মুসলমানরাই কিন্তু প্যান ইসলামিক খিলাফতের আন্দোলন শুরু করে। মৌলানা মোহাম্মদ আলী ভ্রাতৃদ্বয়, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ সে আন্দোলনের প্রধান নেতা ছিলেন।১৯২৪ সালের দিকে একটা বিপ্লবের মাধ্যমে কামাল আতাতুর্ক কর্তৃক খিলাফত প্রথাকে রদ করে তুরস্ককে আধুনিক পশ্চিমা ধাচের রাষ্ট্র গঠনের পর খিলাফত আন্দোলন প্রায় স্তিমিত হয়ে পড়ে, কারন যাকে ঘিরে ভারতের মুসলমানরা আন্দোলন করছিল তারই তখন পতন ঘটেছিল। এর পর খিলাফত আন্দোলনের নেতারা মূলত: মুসলিম লীগের দিকে ঝুকে পড়ে, লক্ষ্যনীয়ভাবে আবুল কালাম আজাদ কংগ্রেসের সাথেই থেকে যান, যে কারনে তাঁকে ভারতের একজন বীর রাজনীতিবিদ হিসাবে গন্য করা হয়।এর পরেই মুসলিম লীগ ভারতে তাদের রাজনৈতিক ভিত্তি সুদৃঢ় করে ও ক্রমশ মুসলমানদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যায়।তখন ছিল মওদুদীর যৌবন কাল। তিনি এসব কিছু পর্যবেক্ষন করছিলেন আর প্রত্যক্ষ করছিলেন কিভাবে তাঁর চোখের সামনে অটোমান খিলাফতের পতন ঘটল, কিভাবে ভারতে খিলাফত আন্দোলনের যবনিকাপাত ঘটল।একজন নিবেদিত প্রান মুসলমান হিসাবে এর সব কিছুই তার চিন্তাজগতে ব্যপক প্রভাব ফেলে।এরপর শুরু করেন কোরান হাদিস নিয়ে গবেষণা, লেখা, সাংবাদিকতা এসব। আর তারই ফল হিসাবে তিনি ১৯৪১ সালে গঠন করেন জামাত ইসলাম।জামাত ইসলাম কোন স্থানীয় ইসলামি রাজনৈতিক দল নয়।এটা হলো দুনিয়ার সকল মুসলমানদের একটা রাজনৈতিক দল।যে কারনে পাকিস্তানে – জামাত ইসলাম পাকিস্তান, বাংলাদেশে- জামাত ইসলাম বাংলাদেশ, ভারতে- জামাত ইসলাম হিন্দ এরকম বলা হয়। অনেকটা কমুনিষ্ট পার্টির মত। ইসলামী মূল্যবোধ ও ইসলামের বিধিবিধাণ চর্চা প্রসারের পাশাপাশি সমগ্র দুনিয়াকে ইসলামী শাসনে আনার সুদুরপ্রসারী স্বপ্নের ফসল ছিল তার এ জামাত ইসলাম। তার এসব চিন্তাভাবনার বহি:প্রকাশ ঘটে তার বহুল প্রচারিত একটা বই – ইসলামে জিহাদ– নামক বইটিতে। উক্ত বইয়ে তিনি লেখেন-
ইসলামের লক্ষ্য হলো- দুনিয়ার মুসলিম আদর্শ ও রীতি বিরোধী সকল রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে পরিবর্তে তাদেরকে ইসলামী আদর্শ ও বিধি বিধানের আওতায় এনে একটা বিশ্ব ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।— ইসলামের প্রয়োজন সমগ্র দুনিয়া, শুধুমাত্র কিছু খন্ডিত অংশ, রাষ্ট্র বা জনগোষ্ঠী নয়, যাতে করে সমগ্র দুনিয়ার মানুষ ইসলামী আদর্শ ও কল্যানের মধ্যে বসবাস করতে পারে। —–এ লক্ষ্য অর্জনে ইসলামের লক্ষ্য হলো সকল শক্তি প্রয়োগ করে একটা ইসলামী বিপ্লব সংঘতিক করা যাকে জিহাদ বলা হয়। পৃষ্ঠা নং-৬, ৭,২২।
সুতরাং উক্ত বর্ণনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে জামাত ইসলামের আদর্শ ও মূল উদ্দেশ্য কি। কথিত গোলাম আজম এই আদর্শ ও লক্ষ্যকেই তার হৃদয়ে পোষণ করে এসেছে সারা জীবন। আর সেকারনেই ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার বিরোধীতা করা। এটা ছিল আদর্শিক অবস্থান। কারন তার মনে হয়েছিল- হিন্দু অধ্যূষিত ভারতীয় সাহায্য পুষ্ট তথাকথিত ( তার ভাষায়) স্বাধীনতার যুদ্ধ পূর্ব পাকিস্তানের ইসলামকে বিনষ্ট করতে উদ্যত। তার কাছে তাই ইসলাম রক্ষাটাই প্রথম ও প্রধান দায়ীত্ব হয়ে দাড়ায়।আর সে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে সাহায্য করতে হয়েছে সার্বিকভাবে। সে ধরণের সাহায্য করাতে কিছু মানুষ নিহত হয়েছে, কিছু নারী ধর্ষিত হয়েছে, কিছু মানুষের ঘরবাড়ী পোড়া গেছে। তা তো যেতেই পারে। আল্লাহর আইনের যারা বিরোধীতা করে তাদেরকে তো ওভাবেই দমন করতে হবে, যা খোদ নবী মোহাম্মদ নিজ জীবনে করে গেছেন। ইসলাম রক্ষা করতে গিয়ে যে কোন ধরনেরই অপরাধমূলক কাজ জায়েজ, সেটাই ইসলামের শিক্ষা। সেটা করার জন্য আল্লাহ হুকুম করেছেন আর যা নবী স্বয়ং নিজ জীবনে বাস্তবায়ন করেছেন। যারা স্বাধীনতার পক্ষে যুদ্ধ করেছিল বা যুদ্ধকে সমর্থন করেছিল, ইসলামী বিধি অনুযায়ী তারা ইসলামের বিপক্ষে দাড়িয়ে গেছিল, যা মুনাফিকির সামিল, কুফরের সামিল। কোরান ও হাদিসের পাতায় পাতায় কুফর ও মুনাফিকির শাস্তি কি তা ভালমতোই বলা আছে। তারপরেও একটা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে, যেমন-
অতঃপর তোমাদের কি হল যে, মুনাফিকদের সম্পর্কে তোমরা দু’দল হয়ে গেলে? অথচ আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে ঘুরিয়ে দিয়েছেন তাদের মন্দ কাজের কারনে! তোমরা কি তাদেরকে পথ প্রদর্শন করতে চাও, যাদেরকে আল্লাহ পথভ্রষ্ট করেছেন? আল্লাহ যাকে পথভ্রান্ত করেন, তুমি তার জন্য কোন পথ পাবে না।
তারা চায় যে, তারা যেমন কাফের, তোমরাও তেমনি কাফের হয়ে যাও, যাতে তোমরা এবং তারা সব সমান হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর। তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না। সূরা নিসা, আয়াত-৮৮- ৮৯
উপরের ৮৮ নং আয়াত মুনাফিক সম্পর্কে বলছে আর ৮৯ আয়াত বলছে কাফের সম্পর্কে। মুনাফিক তারাই যারা মুসলমান হয়েও অমুসলিমদের সাথে হাত মিলায়, বন্ধুত্ব করে। সেই আরব দেশের মানুষগুলো গোষ্ঠিবদ্ধ হলেও অনেকেই পরস্পরের আত্মীয় স্বজন ছিল। তাদের মধ্যে অনেকেই চাপে পড়ে বা অন্য কারনে ইসলাম গ্রহণ করলেও তাদের অমুসলিম আত্মীয় স্বজনদের সাথে সম্পর্ক রাখত- যা মুনাফিকির সামিল তথা অমার্জনীয় অপরাধ।এর পর মোহাম্মদ যখন তার দলকে উক্ত মুনাফিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্ররোচিত করতেন তখন তারা অনেকেই তাতে সায় দিত না বা ইতস্তত করত, কারন বিনা কারনে আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরবে কে? আর ঠিক তখনই মুহাম্মদ আল্লাহর ওহী নাজিলের মাধ্যমে তাদেরকে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্ররোচিত করতেন আর সে যুদ্ধে কি কি করতে হবে তা পরিস্কার বলা আছে ৮৯ নং আয়াতে। এ ছাড়া অন্যান্য আয়াতে বলা আছে- যুদ্ধের সময় দখলকৃত নারীরা হলো গণীমতের মাল আর তাদের সাথে যৌন সংসর্গ বা ধর্ষণ করা ( কোন বন্দী নারী নিশ্চয়ই স্বেচ্ছায় যৌন সংসর্গ করবে না) হালাল। যেমন-
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্যে সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য-ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে, তাকে তার নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, রহস্যবিদ। সূরা- নিসা, আয়াত-২৪
উক্ত আয়াতে বলছে- এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রীলোক তোমাদের জন্যে নিষিদ্ধ; তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়- অর্থাৎ যে সব নারীকে যুদ্ধে দখল করা হয় তারা নিষিদ্ধ নয়। অনেকে বলতে পারে এটা হলো বিয়ে করার বিষয়। কিন্তু আসলে তা নয়। বলা হচ্ছে কে নিষিদ্ধ আর কে নিষিদ্ধ নয়। কোন বিষয়ে এ বিধি নিষেধ? যৌন উপভোগ করার বিষয়ে, বিয়ে করার বিষয়ে নয়। বিষয়টি যে আসলেই তাই বা প্রতিষ্ঠিত হয় কতকগুলি হাদিস দ্বারা, যেমন-
Abu Said al-Khudri said: “The apostle of Allah sent a military expedition to Awtas on the occasion of the battle of Hunain. They met their enemy and fought with them. They defeated them and took them captives. Some of the Companions of the apostle of Allah were reluctant to have intercourse with the female captives in the presence of their husbands who were unbelievers. So Allah, the Exalted, sent down the Quranic verse, “And all married women (are forbidden) unto you save those (captives) whom your right hands possess”. That is to say, they are lawful for them when they complete their waiting period.” [The Quran verse is 4:24] Abu Dawud 2:2150
Abu Sa’id al-Khudri reported that at the Battle of Hunain Allah’s Messenger sent an army to Autas and encountered the enemy and fought with them. Having overcome them and taken them captives, the Companions of Allah’s Messenger seemed to refrain from having intercourse with captive women because of their husbands being polytheists. Then Allah, Most High, sent down regarding that:” And women already married, except those whom your right hands possess (Quran 4:. 24)” (i. e. they were lawful for them when their ‘Idda period came to an end). Sahih Muslim 8:3432
সুতরাং ইসলাম তখা আল্লাহর বিধাণ অনুযায়ী , গোলাম আজম কোন অন্যায় করে নি।ঠিক একারনেই গোলাম আজম স্বাধীনতার ৪০ বছর পর স্বদম্ভে ঠিক সেই কথাগুলোই উচ্চারণ করছে। বরং গর্বিত ভঙ্গিতে বলছে-তাকে যদি অন্যায়ভাবে শাস্তি দিয়ে হত্যা করা হয় তাহলে তার শহিদী মর্যাদা লাভ হবে যা একজন মুসলমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন। সুতরাং দেখা যাচ্ছে- ইসলামী আদর্শ ও বিধাণ অনুযায়ী, গোলাম আজমের জীবন সত্যি সত্যি সার্থক।
তাহলে দেশের কিছু মানুষ গোলাম আজমের গ্রেফতারে কেন খুশী ও উল্লসিত? তার কারন তারা ইসলামি আদর্শ ও বিধি বিধান সম্পর্কে সম্যক অবগত নয়। তারা নামে মাত্র মুসলমান, হয়ত কিছু কিছু ইসলামী বিধি বিধান মেনে চলে যেমন- নিয়মিত নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, পারলে হজ্জ করে, যাকাত দেয়, কিন্তু একজন প্রকৃত মুসলমানকে আরও অনেককিছু জানতে হয়। যারা সেসব বিষয়ে সম্যক অবগত নয়, তারাই গোলাম আজমের গ্রেপ্তারে উল্লসিত। সুতরাং হলফ করে বলা যেতে পারে যে- যারা ইসলামের একটু গভীরে গেছে তাদের কেউই তার এ গ্রেপ্তারে খুশী নয়। হয়ত প্রকাশ্যে বলতে পারছে না, কিন্তু ভিতরে ভিতরে তারা ভীষণ অখুশী। এখানে মুক্তিযুদ্ধ কোন ফ্যাক্টর নয়। ফ্যাক্টর হলো ইসলাম। আর ইসলামে কোন ভিন্ন ধরণের মুক্তিযুদ্ধের স্থান নেই। ইসলামে একটাই বিধাণ- তা হলো দুনিয়ার সব মানুষকে জিহাদের মাধ্যমে ইসলামের পতাকাতলে আনতে হবে, দুনিয়াব্যপী একটা ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে তাদেরকে ইসলামী আদর্শ, বিধি বিধান ও কল্যানের মধ্যে রাখতে হবে। পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তান এরা একত্রিত হয়ে এ আদর্শেরই সূত্রপাত করেছিল বিংশ শতাব্দীতে তুর্কী খিলাফত পতনের পর, কিন্তু আবেগ প্রবন বাঙালীরা ইসলামকে সম্যক না বুঝে, আত্মস্থ না করে, শেখ মুজিবুর রহমান নামক এক বাঙালী জাতীয়তাবাদী নেতার পাল্লায় পড়ে বাংলাদেশ নামক এক আলাদা রাষ্ট্রের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করে, সে মুক্তিযুদ্ধে অমুসলিম পৌত্তলিক হিন্দু ভারতকে বন্ধু হিসাবে গ্রহন করত: তাদের সাহায্য নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধাচরণ করেছে সেই ১৯৭১ সালে, যা অমার্জনীয় মুশরিকির সামিল। যার বিরুদ্ধে প্রবল বিক্রমে জিহাদি লড়াই করে গেছে ইসলামের বীর সেনানী গোলাম আজম শুধুমাত্র আল্লাহর ধর্ম ইসলাম রক্ষার জন্য। আর আল্লার কি অসীম কুদরত- সে যুদ্ধে পরাজয় বরণ করার পরেও ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশে প্রবেশ করে সুদীর্ঘকাল প্রচন্ড প্রতাপে বসবাস করার পরেও কেউ তার টিকিটি স্পর্শ করতে পারে নি। আর এখন যখন তার বয়স ৯০ বছর এই মরে তো সেই মরে, এমক একটা মৃত্যু পথযাত্রী স্বেত শশ্রু মন্তিত অতি বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত নাচানাচি করছে। হায় সেলুকাস, কি বিচিত্র এ বাংলাদেশ!
৭২ হুরীর সাথে সঙ্গম করতে হবে না?
ভবঘুরে, আপনাকে ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা, অসাধারণ এই লেখাটির জন্য।
@ভবঘুরে,
লক্ষ করুন
হাদিছটা লয়ে গতকাল জোহরের নামাজ বাদে আমাদের শ্রদ্ধেয় মাওলানা ইমাম সাহেবের{কওমি টাইটেল} সংগে আলোচনায় বসেছিলাম। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম”সত্যিই কি সূর্য চলতে চলতে পশ্চিম দিকে অস্ত যায় এবং আর্শের নীচে আশ্রয় নেয় ও আল্লাহর অনুমতিতে আবার পরদিন পূর্বদিক হতে উদয় হয়?”
সম্ভবতঃ মাওলানা সাহেব বর্তমান বিজ্ঞানের এ সম্পর্কিত বিষয়টি আগেই জেনে ফেলেছেন।
তাই তিনি সাথে সাথে উত্তর দিলেন “না,না,সূর্য কখনই অস্ত যায়না,বা উদয় হয়না,এটা আমরা এখন ভাল করে জানি। সূর্য তো একএক সময় পৃথিবীর এক এক যায়গায় অবস্থান করে”
উনি এবিষয়ে আমার সংগে আর একটুও বেশী আলোচনা করতে একেবারেই অনীহা প্রকাশ করিলেন।
তাহলে এবার দেখলেনতো আমি আর কি ছাই,খোদ মাওলানা সাহেবরাই নবীর পবিত্র বানীকে অবিশ্বাষ করে ফেলিলেন।
আর হ্যাঁ,কাশেম ভাই অত্যন্ত আগ্রহী ছিলেন এব্যাপারে মাওলানা সাহেবদের সংগে আমার আলোচনার ফলাফল জানতে। আমি সুযোগ পেলে তাকে জানাব।
আপনি বোখারীর সৃষ্টি সংক্রান্ত যে লিংকটি দিয়েছেন,এজন্য ধন্যবাদ। এ থেকে হাদিছ বিজ্ঞানের অনেক কিছু জানার সুযোগ পাইব।
আপনি তো দেখছি আমাদেরকে কোরান হাদিছ শিক্ষা দিয়ে নিজের বেহেশত যাওয়ার পথটা ঠিকই পরিস্কার করে নিচ্ছেন।
@ ভবঘুরে,
একটি ভিন্ন বিষয়,দুখিতঃ ।আমাদেরকে একটু ব্যাখ্যা দিবেনকি ?
আমি শুনেছি কোরান হাদিছ মহাকাশ বিজ্ঞান সহ সমস্ত বিজ্ঞান বিষয়ে ভরপুর এবং মূল উৎস ও বটে। সমস্ত বিজ্ঞানের সূত্র এখানেই নিহিত ।
আমি খুজতেছিলাম সূর্য সম্পর্কে বিশ্বস্ত হাদিছ গুলীতে কী আছে। আবুল কাশেম ভাইয়ের সৌজন্যে পেয়ে গেলাম সবচেয়ে নির্ভর যোগ্য মাওলানা আজিজুল হকের বাংলা অনুদিত বোখারীর নিম্ন হাদিছটি।
একটু দেখুন তো হাদিছ টায় আমাদেরকে কী ধরনের বিজ্ঞান শিক্ষা দেয়। আমার তো কিছুই বুঝে আসিলনা ভাই।
সূর্য নাকি চলতে চলতে অস্ত গিয়ে আরশের নীচে আশ্রয় নেয় ও আল্লাহর জেকের করে এবং পরবর্তি দিনে পূর্ব দিক হইতে উদয় হওয়ার অনুমতি চায়। অনুমতি পাওয়া গেলেই তবে পূর্ব দিক হতে উদয় হয়।
কিন্ত আমরা তো এখন বিজ্ঞানের অবদানে নিশ্চিত ভাবেই জানি সূর্য কখনই পৃথবী হতে অস্ত যায়না। সব সময়ই পৃথিবীতে কোন না কোন খানে উদিত থাকে।
আমি বড় বড় ইসলামিক পন্ডিত দের মুখে নিজ কানে বলতে শুনেছি “এই বিশ্ব জগতে সবচয়ে মহাজ্ঞানী হযরত মুহাম্মদ।
আর তারই মুখে এমন একটা নিরেট অবাস্তব ও বৈজ্ঞানিক ভাবে অগ্রহন যোগ্য কথা কি করিয়া নির্গত হইল তাহা আমার মোটেই বোধ গম্য হইলনা।
কেহ এ অধমকে এবিষয়ে একটু আলোকিত করিতে পারিলে বাধিত হইব।
সরাসরি হাদিছটি তাহলে একটু দেখে নিন নীচে:
“তবে আমি নীচে বুখারী শরীফ থেকে একটা হাদিস দিলাম–যা সহি এবং যা নিয়ে কোন প্রশ্ন করা যাবে না। এই হাদিসটা আপনার উদ্ধৃত হাদিসের মতই। এর অনুবাদ করেছেন মাওলানা আজিজুল হক।”
৬
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
ভাইজান, আপনি এটা কি বললেন? নিশ্চয়ই উক্ত হাদিসের গুঢ়তর কোন অর্থ আছে, আ্পনি বুঝতে পারেন নি। কোরান হাদিস আরও বেশী করে পড়েন বুঝতে পারবেন। কোরান হাদিসের সব কথা সবাই বুঝতে পারে না। তাই যা বোঝা যায় না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা ঠিক না। ইমান ঠিক রেখে পড়তে থাকুন ভাই , নিশ্চয়ই সব পরিস্কার হয়ে যাবে। আসল কথা হলো ইমান। আর তা ছাড়া এত বোঝার দরকারই বা কি ? যতই বুঝতে যাবেন ততই ইমান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা। ইমান নষ্ট হলেই গুনাহ, গুনাহ হলেই দোজখে অনন্তকাল আগুনে পোড়া। কি দরকার তাই অত জানা শুনা করার ?
তবে তার পরেও যদি জানতে চান নাছোড় বান্দার মতো তবে , সহি বুখারির ৫৪ নং বই- এর সৃষ্টিতত্ত্ব বিষয়ক যে বইটি আছে তা পড়তে পারেন, অনেক গভীর বিষয়াদি জানতে পারবেন যা ইসলাম জানায় বিরাট সহায় হবে। এখান থেকে পড়তে পারেন- সহি বুখারী
দেখুন এই দুইটি আয়াত–নবী সুলায়মান কী করেছিলেন। সুলায়মানও ইসলামের একজন নবী।
৩৮:৩২ তখন সে বলল: আমি তো আমার পরওয়ারদেগারের স্মরণে বিস্মৃত হয়ে সম্পদের মহব্বতে মুগ্ধ হয়ে পড়েছি—এমনকি সূর্য ডুবে গেছে।
৩৮:৩৩ এগুলোকে আমার কাছে ফিরিয়ে আন। অতঃপর সে তাদের পা গলদেশ ছেদন করতে শুরু করল।
PICKTHAL: And he said: Lo! I have preferred the good things (of the world) to the remembrance of my Lord; till they were taken out of sight behind the curtain.
PICKTHAL: (Then he said): Bring them back to me, and fell to slashing (with his sword their) legs and necks.
@আবুল কাশেম,
আপনি জানতে চেয়েছিলেন হাদছটা লয়ে মাওলানা সাহেবের সংগে আলোচনার ফলাফল।
হ্যাঁ,হাদিছটা লয়ে গতকাল জোহরের নামাজ বাদে আমাদের শ্রদ্ধেয় মাওলানা ইমাম সাহেবের{কওমি টাইটেল} সংগে আলোচনায় বসেছিলাম। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম”সত্যিই কি সূর্য চলতে চলতে পশ্চিম দিকে অস্ত যায় এবং আর্শের নীচে আশ্রয় নেয় ও আল্লাহর অনুমতিতে আবার পরদিন পূর্বদিক হতে উদয় হয়?”
সম্ভবতঃ মাওলানা সাহেব বর্তমান বিজ্ঞানের এ সম্পর্কিত বিষয়টি আগেই জেনে ফেলেছেন।
তাই তিনি সাথে সাথে উত্তর দিলেন “না,না,সূর্য কখনই অস্ত যায়না,বা উদয় হয়না,এটা আমরা এখন ভাল করে জানি। সূর্য তো একএক সময় পৃথিবীর এক এক যায়গায় অবস্থান করে”
উনি এবিষয়ে আমার সংগে আর একটুও বেশী আলোচনা করতে একেবারেই অনীহা প্রকাশ করিলেন।
তাহলে এবার দেখলেনতো আমি আর কি ছাই,খোদ মাওলানা সাহেবরাই নবীর পবিত্র বানীকে অবিশ্বাষ করে ফেলিলেন। হাদিছটা মারাত্মক বিজ্ঞান বিরোধী কোন মাওলানা সাহেবরই পক্ষেই এটা মেনে লওয়া সম্ভব নয়। তার মানে তারা নবীকে এখানেই মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করিয়া দিলেন।
ধন্যবাদ আপনাকে হাদিছটা আমাকে দেওয়ার জন্য।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
আমি তেমন বিস্মিত হলাম না। আমার অভিজ্ঞতায় দেখছি যে মাওলানা, মৌলভী, আলেম, খাদেম, মুরিদ, ইসলামি সন্ত্রাসি, ইমাম, শরিয়তি…ইত্যদি ব্যক্তিদের সাথে আসল ইসলাম নিয়ে আলোচনা এবং তর্ক করা অনেক সহজ এবং ফলপ্রসু। এই সব ব্যক্তিরা ইসলাম নিয়ে পানি ঘোলা করে না। তারা সাফ সাফ উত্তর দেয়–যেমন কোরান এবং হাদিসে যা লেখা আছে তাই সত্য–বিজ্ঞান ভুল।
অথবা এরা স্বীকার করে বিজ্ঞান সত্য–কোরান হাদিসে ভুল—কিন্তু জীবন ধারনের কারণে তারা চুপ চাপ থাকে।
সবচাইতে অসুবিধা হয় পাশ্চাত্ত শিক্ষায় শিক্ষিত ইসলামী মহাপণ্ডিতদের নিয়ে। এরা ইসলামকে বাঁচানোর জন্য কোরানে বিজ্ঞান আবিষ্কার করে, ইসরা, মেরাজকে আপক্ষিক তথ্বের সাথে তুলনা করে —এই সব।
আমি যে দুই-তিনজন মাওলানার সাথে ইসলাম নিয়ে আলোচনা করেছি তাঁরা সবাই ছিলেন, অত্যান্ত সৎ, স্পষ্টবাদী এবং নির্ভীক। এরা ইসলামের লজ্জা ঢাকার জন্য কোন অযুক্তি, কুযুক্তি, মিথ্যা, অনুবাদের দোহাই অথবা প্রতারণার আশ্রয় নেন নাই।
মনে হুচ্ছে আপনি যে মাওলানার সাথে আলাপ করেছিলেন উনি কোন কাফের পাশ্চাত্ত দেশে থাকেন। কারণ উনি হাদিস সম্পর্কে যে উক্তি করেছেন তাতে পরিষ্কার যে উনি মোরতাদ। ইসলামি দেশে থেকে এই ধরণের মন্তব্য করলে উনার অবস্থা যে আলুভর্তা হয়ে যেত তাতে কোন সন্দেহ নাই।
আপনাকে প্রচুর দন্যবাদ আমাকে এই সংবাদ জানানোর জন্য।
@ ভবঘুরে,
প্রায়ই শোনা যায় জামাতের ছাত্র সাংগঠনিক শাখা “ছাত্র শিবির” তাদের বিপক্ষীয় ছাত্রদের পায়ের পাতার পিছনের দিকের বড় রগটা কেটে দেয়। আপনার কি জানা আছে তাদের এহেন নৃসংস অমানবীয় কার্যের সংগে কোরানের কোন আয়াতের নির্দেশের সংগে হুবহু মিল আছে কিনা ?বোধ হয় জানেনই না। আমি আপনার দেওয়া বংগানুবাদ কোরানের লিংকটায় পড়তে পড়তে হঠাৎ এক জায়গায় পেয়ে গেলাম নিম্ন আয়াৎ টি। দেখুনতো তারা কোরানের এই আয়াতের নির্দেশকেই হুবহু অনুসরন করতেছে কিনা। আমার কাছে তো মনে হচ্ছে তারা এই আয়াৎকেই হুবহু অনুসরন করে খাটি দীনদার বেহেশতী মুসলমানে পরিনত হয়ে যাচ্ছে। আর বাকী সব জাহান্নামীদের এ অত্যাচার করা হচ্ছে।
আয়াৎটা এই:
5:33
এখানে লক্ষ করুন বলা হয়ছে:
এইটাই তারা অনুসরণ করছে নয়কি? কোন বর্বর যুগে তাহলে আমরা বাস করছি? এটা জানতে পারলে বাকী মুসলমানেরা কোরানের নামে আতংকিত হয়ে পড়তে পারে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
দারুন আবিস্কার! এখন তো দেখছি আমরা আর এক ইসলামী পন্ডিত পেয়ে গেলাম।
আমরা যে বিষয়টি বার বার বলি তা হলো- কেউ যদি কোরান ও হাদিস নিজ মাতৃভাষায় বুঝে পড়ে, তাহলে তার সামনে মাত্র দুটো রাস্তা খোলা থাকবে- এক. ইসলামী উগ্রবাদী দুই. ইসলাম ত্যাগকারী– হবে। মাঝামাঝি কোন পথ তার জন্য খোলা থাকবে না। তারাই মাঝামাঝি অবস্থান করে যারা ইসলাম সত্যিকার ভাবে জানে না , কোরান হাদিস বুঝে পড়ে না, শুনে মুসলমান। তবে আমার কাছে মাঝামাঝিরাই সবচাইতে ক্ষতিকর মনে হয়। কারন, এরা ইসলামকে জানে না, বোঝে না , কিন্তু ইসলাম নিয়ে কথা বলতে গেলে বলবে বা বিশ্বাস করে- ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ঠিক না, ইসলামে সব সমস্যার সমাধান আছে, কোরানের সব আয়াত বোঝা কঠিন, নবীর সমস্ত কাজকারবার মানুষের জন্য বোঝা যায় না, আপাত কোন স্ববিরোধী আয়াতের অবশ্যই অন্তর্নিহিত অর্থ আছে এই সব স্ব আরোপিত ও ধারণাকৃত বক্তব্য। উগ্রবাদী দের কিছু কিছু কাম কাজ দেখে এরা আপাত: অপছন্দ করলেও শেষ বিচারে তাদেরকে ইসলামের বীর সেনানী হিসাবে যার পর নাই সম্মানও করে। শুধু তাই নয়, উগ্রবাদী দলগুলো পরিচালিতও হয় এসব মাঝামাঝি অবস্থানকারী মানুষের দান ও চাঁদার দ্বারা। আর সেকারনেই আমার কাছে মনে হয় এই মাঝামাঝি অবস্থানকারী মানুষগুলোই সমাজের জন্য সবচাইতে ক্ষতিকর। দু:খজনক খবর হলো- সমাজে এদের সংখ্যাই বেশী।
@ভবঘুরে,
একখানা রগকাটা লিঙ্কঃ হও :))
@ভবঘুরে,
আপনার এ লিখাটি আর একটি “ক্লাসিক ভবঘুরে” লিখা। আপনি আমার অত্যন্ত প্রিয় লেখকদের একজন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আপনার লিখা অত্যন্ত বিশ্লেষনধর্মী, গভীর তাৎপর্যপূর্ন এবং সহজপাঠ্য। আপনি সুরা নিসার আয়াত ৮৮- ৮৯ এর যে উদাহরন দিয়েছেন তা ছাড়াও “মুহাম্মাদ কেন মক্কা ছেড়েছিলেন (হিজরত)?” তার ইঙ্গিত পাওয়া যায় এ দুটি আয়াতে। ইসলামের ইতিহাসে “হিজরত” অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন অধ্যায়। পাঠক, একটু মনযোগ দিয়ে খেয়াল করুন কি বলা হচ্ছে এখানেঃ
এখানে বলা হচ্ছে, কিছু মুসলমান তাদের আত্মীয়-স্বজনদের প্ররোচনায় আবার তাদের পূর্ব-বর্তী ধর্মে ফেরত গিয়েছিল কিংবা যেতে চাচ্ছিল তাদেরকেই এখানে বলা বলা হচ্ছে “মুনাফেক, পথভ্রষ্ট”। এখানে সেই ‘পূর্ব-ধর্মে ফিরে গিয়েছে কিংবা যেতে চাচ্ছে’ এরুপ মুসলমানদের বিরুদ্ধে আল্লাহ (আসলে মুহাম্মাদ) অবশিষ্ট মুসলমানদের লেলিয়ে দিচ্ছেন। বিষয়টা পরিষ্কারভাবে বুঝা যায় পরের আয়াতটিতেঃ
বলা হয়ে থাকে মুহাম্মাদকে কুরাইশরা তাড়িয়ে দিয়েছিল, হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু এখানে আমরা কি দেখছি? একদম উল্টা চিত্র! মুহাম্মাদ তার অনুসারীদের “যারা হিজরত করতে চায় না” তাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে বলছেন, “তাদের মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যে পর্যন্ত না তারা আল্লাহর পথে হিজরত করে চলে আসে।অতঃপর যদি তারা বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা কর।”
সত্য হচ্ছে, খাদিজা এবং আবু তালেবের মৃত্যুর পর মুহাম্মাদের ধর্ম-প্রচার কুরাইশদের দ্বারা কঠিন বাধার সন্মুখীন হয়েছিল। প্রকাশ্যে ধর্ম প্রচার তার জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল।কুরাইশরা নয় মুহাম্মাদই তার ধর্মরক্ষার খাতিরে তার অনুসারীদের মক্কা থেকে মদীনায় তাড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।এর আগে আবিসিনিয়াতেও তার অনুসারীদের পাঠিয়েছিলেন একই উদ্দেশ্যে। মোহাম্মাদকে হত্যার “গল্পটা” ডাঁহা মিথ্যা, বানোয়াট।
ভাল থাকুন। (F) (Y)
@গোলাপ,
না ভাই এটা মিথ্যা না। তবে মোহাম্মদকে যে কুরাইশরা হত্যা করতে চেয়েছিল তার জন্য দায়ী কিন্তু মোহাম্মদ নিজেই। ইবনে ইসহাকের সিরাত রাসুল আল্লাহ গ্রন্থে এ বিষয়ে সবিস্তারে বর্ণনা করা আছে। বিষয়টা ছিল- মোহাম্মদ বহু বছর পার করার পরেও যখন তার ইসলাম মক্কায় প্রসারিত হচ্ছিল না, তখন তিনি প্রথমে শয়তানের আয়াত দিয়ে কুরাইশদের মন জয় করার চেষ্টা করেন কিন্তু কিছুদিন পরে আবার সে আয়াত অস্বীকার করার পর কুরাইশরা যার পর নাই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ বিষয়ে এ মুক্তমনাতে লেখা আছে। এরকম পরিস্থিতিতে মোহাম্মদ তার মদিনায় হিজরতকারী অনুসারীদেরকে নির্দেশ দেয় মদিনার সর্দার গোছের লোকদের সাথে আঁতাত করতে ও একটা চুক্তি করতে যাতে তারা মোহাম্মদকে সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগীতা করে, তাদের সহযোগীতায় যদি মক্কা বিজয় করা যায় তাহলে তাতে মদিনাবাসীদের অনেক লাভ। বিষয়টি নিয়ে সরাসরি আলাপ করার জন্য মদিনার কিছু সর্দার গোছের লোক মক্কার সন্নিকটে আসে, রাতের বেলা মক্কা থেকে কিছুদুরে একটা পাহাড়ী অঞ্চলে মোহাম্মদ তাদের সাথে দেখা করে। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে কুরাইশরা এবার সত্যি সত্যি প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে যায় ও মোহাম্মদকে চিরতরে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে। অর্থাৎ মোহাম্মদ নিজে বাইরের শত্রুকে আহ্বান করে মক্কা দখল করার পায়তারা করছিল আর তাই সঙ্গত কারনে কুরাইশরা তাকে হত্যা করার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়। আর বলা বাহুল্য, শুধু কুরাইশরা নয় পৃথিবীর যে কোন দেশে যে কোন জাতি এ ধরনের দেশদ্রোহী বিশ্বাসঘাতক ষড়যন্ত্রকারীকে কঠিন শাস্তিই দিয়ে থাকে। তাই উক্ত ঘটনা সত্য কিন্তু এ ক্ষেত্রে মোহাম্মদ নিজেই সম্পূর্ন দায়ী। কিন্তু মুসলিম বিশ্বে আসল ঘটনা চেপে শুধুমাত্র কুরাইশদের হত্যা ষড়যন্ত্রের কাহিনী ফলাও করে প্রচার করে কুরাইশদেরকে বর্বর হিসাবে চিহ্নিত করার জন্য, একই সাথে এ ধরনের হ্ত্যা প্রচেষ্টা থেকে মোহাম্মদ নিজেকে কায়দা যে রক্ষা করেছিলেন সেটাকে আল্লাহর অসীম কুদরত হিসাবে প্রচার করার জন্য। মোহাম্মদ যে রক্ষা পেয়েছিলেন সেটাও কিন্তু কুরাইশদের অনেকটা উদারতা ও ঐতিহ্যগত কারনে, এ বিষয়ে হয়ত পরে এক সময় বিস্তারিত বলা যাবে।
@ভবঘুরে,
@ভবঘুরে,
আপনার এ জবাবটার সাথে অধিকাংশ মুসলমানই একমত পোষণ করবেন। কিন্তু বিনীতভাবে আমি দ্বিমত পোষণ করছি। কারন, “এর স্বপক্ষে কোন প্রমাণ নেই”। ইসলাম হল মানব ইতিহাসের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ “প্রোপাগান্ডা মেশিন” যা হাজারও মিথ্যাকে সত্যরূপে ‘প্রতিষ্ঠা’ করতে পেরেছে। এ ঘটনাটাও ইসলামের ‘হাজারও’ কাল্পনিক (Myth) ঘটনার একটি।
ইসলামের ইতিহাসে এ ঘটনাকে ‘দ্বিতীয় আকাবা (The second pledge of Al-Aqabah)” বলা হয়। উক্ত ঘটনার রাতে মুহাম্মদের চাচা আল-আব্বাসও মুহাম্মদের সাথে ছিল। সেই গোপন সভায় মদিনা থেকে আগত ৭০ জন পুরুষ এবং দুই জন মহিলার সাথে আল-আব্বাস এবং মুহাম্মদ দেখা করতে যান। সভায় আল-আব্বাস একটা গুরুত্ব-পূর্ণ উক্তি করেছিলেন:
২য় আকাবার পর দুই মাসের ও অধিক সময় মুহাম্মাদ মক্কায় ছিল -মক্কাবাসীরা তাকে হত্যা করতে চাইলে অনেক আগেই তা তারা করতে পারতো।আপনারই এক লিখায় আদিল মাহমুদের সাথে এই একই প্রসঙ্গে বেশ কিছু মন্তব্য বিনিময় করেছিলাম (বিস্তারিত এখানে, মে ২৪-২৬, ২০১১)। ইবনে ইশাকের বর্ণনা, “কুরাইশদের গোপন বৈঠকে ‘শয়তান’ এসে হাজির ( -”the devil came to them in the form of handsome old men clad in a mantle and stood at the door of the house. –” পৃঃ ২২১), ‘মাথার উপর’ (চোখে নয়) ধুলা ছিটায়ে অপেক্ষারত সমস্ত হৃষ্ট-পুষ্ট’-সবল-সুঠাম বলিষ্ঠ কুরাইশ জোয়ানদের চোখের সামনে দিয়ে মুহাম্মাদের পলায়ন, গুহার মধ্যে আবু-বকর ও মুহাম্মাদকে ‘মাকড়শারা তাদের জাল’ দিয়ে গুহার মুখ বন্ধ করে তাদেরকে সুরক্ষিত/নিরাপদ করে পলায়নে সাহায্য” – এসব উদ্ভট ঘটনা যে আদৌ ‘সত্য’ নয় তা আমরা অতি সহজেই বুঝতে পারি। এ মহাবিশ্ব ফিজিক্যাল নিয়ম নীতির দ্বারা পরিচালিত। এখানে কোন অলৌকিকত্বের স্থান নাই। যেখানেই ‘মিরাকল’ সেখনেই ‘ফাঁকিবাজি ও ধোকা’। বিশেষ করে তা যদি হয় কোন “বিশেষ প্রাপ্তির” উদ্দেশ্য নিয়ে শুরু-প্রচার ও প্রসার।
ইসলামিক ইতিহাস জানার তিনটি উৎসের (কুরান, সীরাত এবং হাদিস) সবচেয়ে নির্ভরযোগ্যটি (Most reliable) হল কুরান। Let’s examine the Quran. দেখা যাক এখান থেকে ‘সত্যের সন্ধান’ পাওয়া যায় কিনা। আমার জানা মতে হিজরত সম্পর্কে ৩০ টির ও বেশি আয়াত আছে কুরানে। এর মধ্যে ৮ টি আয়াতে মুহাম্মাদ কেন মক্কা ছেড়েছিলেন তার ‘সরাসরি কারন’ উল্লেখ আছে। এই ৮টি আয়াতের ৭ টিরই জন্মস্থান ‘মদিনা’, এবং “শুধু একটি” ছাড়া আর কোথাও “হত্যার” কথা উল্লেখই করা হয় নাই। সে আয়াতগুলি হলোঃ
সব ক্ষেত্রেই “শুধু বহিষ্কার, বহিষ্কার আর বহিষ্কার”। যে একটি আয়াতে “হত্যার” কথা উল্লেখ আছে সেটা হচ্ছেঃ সুরা আনফাল
সুরা আনফালের (৮ঃ৩০) এই আয়াটি মুহাম্মাদ প্রচার করেন ‘বদর যুদ্ধের সময়’ তার সাগরেদদের তাদেরই আত্মীয় স্বজনের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলে তাদেরই পিতা-ভাতা-স্বজন-পরিবারদের নৃসংষভাবে খুন করার প্রয়োজনে। এখানেও সরাসরি তাকে “হত্যার” পরিকল্পনার কোন উল্লেখ নাই। “এটা অথবা সেটা, এইটা কিংবা ঐটা’ -এই শব্দগুলো প্রায় ক্ষেত্রেই ‘সন্দেহ-প্রবন ভ্রম-গ্রস্থ (Paranoid) মানুষের ধারনারই বহিপ্রকাশ।
এই সব টুকারা টুকরা তথ্য-প্রমানের ভিত্তিতে বলা যায়, “হত্যার পরিকল্পনা” গল্পের প্রবক্তা স্বয়ং (উৎস) মুহাম্মাদ। এবং তা মদিনা যাবার পর (মক্কায় নয়!) এক বিশেষ পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে । উদ্দেশ্যও অতি পরিষ্কার। বদর যুদ্ধে (শুক্রবার, ১৩ই মার্চ, ৬২৪ সাল) ৭০ জন কুরাইশকে নির্মমভাবে খুন করে তাদেরই আত্মীয়-স্বজনরা, ৭০ জনকে করে বন্দী। যাদের অনেকেই ক’দিন আগেও ছিল একই পরিবারভুক্ত। আমার জানা মতে আরব ইতিহাসে ‘ধর্মের নামে’ এত বড় হত্যাকান্ড এর আগে কখনোই হয় নাই। ক্বাব-বিন আশরাফ, আসমা বিনতে মারওয়ান এর প্রতিবাদ করতে গিয়েই খুন হন মুহাম্মাদের আদেশে।
তাই, আপনার সাথে আমি একমত হতে পারছি না। ‘উপযুক্ত প্রমান’ না পাওয়া পর্যন্ত এই প্রচারনা উদ্দেশ্যমূলক লক্ষ লক্ষ ইসলামী “রটনার একটি”। প্রমানের দায়িত্ব তাদের যারা এর স্বপক্ষে।
ভাল থাকুন।
@গোলাপ,
তার মানে আপনি বলতে চাইছেন, মোহাম্মদ আসলে নিজ প্রয়োজনে মদিনায় গিয়ে তারপর তাকে হ্ত্যা করার গল্প ফাদে ? যাতে করে সবাইকে মক্কার বিরুদ্ধে খেপিয়ে তোলা যায়? কারন তার পক্ষে কোনভাবেই মক্কাবাসীদেরকে দলে টানা যাচ্ছিল না ? হলে হতেও পারে। তবে এটাও তো যুক্তি যুক্ত যে , যদি মোহাম্মদ মদিনার লোকদেরকে ফুসলিয়ে মক্কার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়ার পায়তারা করে থাকে , তাহলে মক্কাবাসীরা খেপে গিয়ে তাকে হত্যা করতে চাইতেই পারে ? তাই না ?
@ভবঘুরে,
হ্যাঁ তা পারে। কিন্তু ইতিহাসে তার কোন সাক্ষ্য নাই। কিভাবে এর প্রমাণ পাওয়া যায়? আদি উৎস মুহাম্মদের জীবনী-গ্রন্থে(সিরাত) সবাই যা উল্লেখ করেছেন তা হলো মুহাম্মদের এহেন কর্মকাণ্ড নতুন নয় । আবু-তালেব এবং খাদিজার মৃত্যুর পর (হিজরতের তিন বছর আগে) মুহাম্মদের নবী জীবনের ‘যবনিকাপাত’ কেবল সময়ের ব্যাপার ছিল। কিছু মুসলমান তাদের নিজ নিজ আত্মীয় স্বজনের চাপে আগের ধর্মে ফিরে যাচ্ছিল। সেটাকে ঠেকাতে মুহাম্মদ প্রথমেই যান তায়েফ-বাসীর কাছে। সিরাতে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, সে সেখানকার ‘নেতৃ স্থানীয় ব্যক্তিদের’ মক্কাবাসীর বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলে তার পক্ষ হয়ে সাহায্য কামনা করেছিল। কিন্তু তায়েফবাসী তার কুমতলবে সারা তো দেয়ই নাই, উল্টা পিটিয়ে বিদায় করেছিল। মক্কাবাসীদের কাছে সে খবর যথারীতি পৌঁছেছিল। মুহাম্মদ যখন মার খেয়ে ফিরে এলো তখন এই সমাজ-দ্রোহী ও রাষ্ট্র-দোহী মানুষটিকে কি কেউ কোনরূপ শারীরিক আঘাত করেছিল? হত্যা তো অনেক দূরের কথা! সেরকম কোন ইতিহাসই আমরা জানি না। তারপরে সেই একই কারণে (ধর্ম-রক্ষা) সে তার সাগরেদদের পাঠাল আবিসিনিয়ায়। তার সাগরেদরা ‘মক্কা-বাসিদের বিরুদ্ধে’ ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে মন-গলানো গল্পের অবতারণা না করে ‘রাজার’ মন জয় করেছিল এমনটি ভাবা যুক্তি-সংগত নয়। বিশেষ করে তায়েফের ঘটনার পর (মুহাম্মদের উস্কানি-মুলকভাবে খেপিয়ে তুলার চেষ্টা)। তারপর সেই বিখ্যাত ‘স্যাটানিক ভার্স’ সুরা নজম (53:19-22)। আবিসিনিয়ায় হিজরত কারির অধিকাংশ ফিরেও এলো মক্কায়।
মক্কা-বাসি কাউকে কোনরূপ শারীরিক আঘাত করেছিল এমন ঘটনারও উল্লেখ নাই। তারপরের ঘটনা হলো “১ম ও ২য় আকাবার ঘটনা”। একটা বিষয় আমরা প্রায়ই ভুলে যাই যে, “মুহাম্মদের ১৩ বছরের অর্জন মাত্র ১০০-১২০ জন সাহাবা। যাদের সবাই ছিল (ওমর এবং আবু বকর ছাড়া) সমজের নিম্ন-শ্রেণীর লোক। মুহাম্মদ কখনোই মক্কাবাসীদের জন্য কোন ‘হুমকি” ছিল না। সে ছিল তাদের কাছে “আপদ”। আপদকে কেউ মারে না, বিদায় করে। বিশেষ করে মুহাম্মদের ‘ধর্মের’ অস্তিত্ব নিয়েই যখন টানা-টানি, অনুসারীরা ফিরে যাচ্ছে তাদের পিতা-মাতার ধর্মে- সে অবস্থাতে মুহাম্মদকে কুরাইশরা ‘হত্যা’ করতে চাইবে কেন?
প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণ তাইই বলে। আমরা যারা নির্মোহ ভাবে ইসলামকে জানার চেষ্টা করি, সত্যকে বুঝার চেষ্টা করি, লেখালেখি করি, মন্তব্য করি তাদের যে বিষয়টা সব সময় মনে রাখা দরকার তা হল আমরা ‘কাদের লিখা ইতিহাস, কাদের প্রামাণিক সাক্ষ্য (Testimony) এবং কি পরিস্থিতি ও পরিবেশের যাঁতাকলের মধ্যে লিখিত ইসলামের ইতিহাসকে’ আমরা পর্যালোচনা করছি’ ।ইবনে ইশাকে (৭০৪-৭৬৮), আল ওয়াকিদি (৭৪৭-৮২৩), মুহাম্মদ বিন সা’দ (৭৮৪-৮৪৫), আল তাবারি (৮৩৯-৯২৩), ইমাম বুখারি (৮১০-৮৭০), ইমাম মুসলিম (৮২১ -৮৭৫), আবু দাউদ (৮১৭-৮৮৮), আল-তিরমিজী (মৃত্যু ৮৯২), ইবনে মাআজা ((মৃত্যু ৮৮৬), ইমাম নাসাই (জন্ম ২১৫ হিজরি) – সবাই প্রচণ্ড ধর্ম ভীরু ও নিবেদিত প্রাণ মুসলিম।যাদের কাছ থেকে প্রামাণিক সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তারা ইতিহাস ও হাদিস লিখেছেন তারাও ধর্ম ভীরু ও নিবেদিত প্রাণ মুসলিম (তা না হলে কারও সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় নাই)। তাদের সে মূল্যবান ‘দলিল’ লিখার পূর্বে ২০০-২৫০ বছরের মুসলিম রাজত্ব। যে রাজত্বে মুহাম্মদ এবং তার ইসলাম বিষয়ে কোনরূপ বিরূপ মন্তব্য করা বা লিখার একমাত্র শাস্তি “মৃত্যু দণ্ড”। যা এখনো চালু আছে বহাল তাবিয়তে ! এ পরিস্থিতিতে কারও নিরপেক্ষ তথ্য দেওয়া বা পাওয়ার কোনই অবকাশ ছিল না। কিন্তু তাদের ‘সেই ইতিহাস’ গুলোই আমাদের একমাত্র ইতিহাস। এ ছাড়াও ইসলামের সবচেয়ে “বড় কৃতিত্ব” হলোঃ সে পিছনের সমস্ত সত্যকে (ইতিহাস) সমূলে উৎপাটন করে বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী সবাইকে “ভ্রান্ত ধারনার” বেড়াজালে আবদ্ধ করে। এমতাপরিস্থিতিতে সত্যিকারের ইতিহাস জানা আদৌ কি সম্ভব?
কদিন আগে ধর্মকারীতে “Third Jihad’ এর সংক্ষিপ্ত ভার্সান (৩০ মিনিট) দেখলাম। যেখানে প্রথমেই
বলা হয়েছে, “This is not a film about Islam. It is about the threat of ‘Radical Islam’.” যারা ইসলাম নিয়ে ভালভাবে পড়াশুনা করেছেন তারা খুব ভালভাবেই জানেন যে ‘ইসলামে’ কোন Radical /Moderate ভাগ নাই। মুহাম্মাদের ইসলামই একমাত্র ইসলাম।
The Third Jihad (abridged version) -32minutes
http://blip.tv/islamtv/the-third-jihad-1388671
Third Jihad- wake-up-full movie
http://www.blip.tv/file/1382254
ভবঘুরের এই পর্যবেক্ষণ খুবই গভীর ও তাৎপর্যপূর্ণ। যারা ইসলাম নিয়ে ভালমতো পড়াশুনা করেছেন তারা জানেন ইসলামের মৌলিক শিক্ষা অনুযায়ী কোন মুসলমান কোন অমুসলিমকে সমর্থন করতে পারে না, কোন নামাজী কোন বে-নামাজীকে সমর্থন করতে পারে না। গো-আজম একজন খাঁটি মুসলমান। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজী। সে আল্লাহ-রসুলের শিক্ষা বলবত, প্রচার ও প্রসারে নিবেদিত প্রাণ কর্মী। তাই কোন সত্যিকারের মুসলমানই গো-আজমের গ্রেফতারে খুশী হতে পারে না। যারা খুশী হয়েছে/হচ্ছে তারা ভাল মানুষ হতে পারেন, মুক্ত-মনা হতে পারেন; কিন্তু “সত্যিকারের ইসলাম অনুসারী” কক্ষনোই নয় (জেনে বা না জেনে)।আল্লাহ্ (মুহাম্মদের) আদেশ (কুরান) এ ব্যাপারে স্পষ্টঃ (অল্প কিছু উদাহরন)
ইসলামের দৃষ্টিতে গো-আজম, গং জামাতী ইসলামী কিংবা অন্যান্য যারাই “ইসলাম রক্ষার নিয়তে” আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে তাদের কোনই অপরাধ নাই। যারা ইসলাম প্রচার ও প্রসারে বাধা দেবে তাদেরকে কোন অবস্থাতেই একজন মুসলমান কোন ক্রমেই “ছাড়” দিতে পারে না । এমনকি সে ব্যক্তি যদি তার পিতা-মাতাও হয়। আল্লাহ (মুহাম্মদ) এ ব্যাপারে একদম দ্বার্থহীন। কুরানে আল্লাহ (মুহাম্মদ) কতৃক অবিশ্বাসীদেরকে হুমকি,শাসানী, ভীতি প্রদর্শন, অসম্মান ও দোষারোপ সম্পৃক্ত সর্বনিম্ন মোট আয়াত সংখ্যা =৫২১; এবং যারা ইসলাম প্রচার ও প্রসারে বাধা দেবে সেরুপ অবিশ্বাসীদেরকে হামলা, খুন ও তাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের আদেশ সংক্রান্ত নূন্যতম মোট আয়াত সংখ্যা ১৫০। অল্প কিছু উদাহরন (পাছে পাঠকরা একঘেয়েমীতে বিরক্ত না হন)ঃ
লুট-তারাজ, যুদ্ধ-বন্দী মা-বো্নদের ধর্ষন সম্পূর্ন ইসলাম সম্মতঃ। কুরান বলছেঃ
সুতরাং ইসলামের ‘শিক্ষা অনুযায়ী’ গো-আজম একজন আদর্শ মুসলীম। এ সত্যটা বুঝতে না পারলে
‘গো-আজমদের’ কোন মৃত্যু হবে না। ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এক গো-আজমের পরিবর্তে নিবেদিতপ্রান লক্ষ ‘গো আজম’ তৈরী হবে। সেই গো-আজমরা একই পরিস্থিতিতে ‘ঠিক অনুরূপ কাজটিই করবেন’ যা তারা করেছিলেন আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধ ১৯৭১ এ।
@গোলাপ,
এ বিষয়টা শতকরা ৯৯% মুসলমানরা সম্যক জানে না। ইসলামের মৌলিক শিক্ষা অনুযায়ী- একজন মুসলমান যে একজন অমুসলমানকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করতে পারে না , এটাও তারা জানে না। যদি এটা তথাকথিত মডারেট মুসলমানদেরকে বলা হয় তারা বলে- ইসলামে কোন বাড়াবাড়ি নেই। কিন্তু তারা জানে না , প্রাথমিক যুগের এ মাক্কি সূরার আয়াত পরবর্তীতে মাদানী সূরার আয়াত দ্বারা বাতিল হয়ে গিয়ে বলা হয়েছে-অমুসলিম, কাফির , মোনাফেককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতে তা তারা জানে না , যেমন উদা্হরণ স্বরূপ: উক্ত সুরা নিসার ৮৮-৮৯ আয়াত, এ ছাড়া ০৯:২৯ বা ৫৮:২২ আয়াতও উল্লেখ করা যেতে পারে। ইসলামে বাতিলকরন বা রহিতকরন বলে যে একটা বিষয় আছে তা ৯৯% মুসলমানই অবগত নয়। এ সব বিষয়ে কোন ওয়াজ মাহফিল, বা কোন ইসলামী পন্ডিতরাও কোন বিতর্ক বা জলসা বা আলোচনায় মনের ভুলেও উল্লেখ করে না। বলা বাহুল্য এর মূল উদ্দেশ্য হলো- সাধারণ ধর্ম প্রাণ মুসলমানদেরকে বিভ্রান্ত করা বা অন্ধকারে রাখা।
@ভবঘুরে,
মুসলমানদের তো ইসলামী দেশ ছাড়া অন্য কোথাও থাকা উচিৎ নয়। তাই আর একটু যোগ করি।
আল ইমরান 3:73 যারা তোমাদের ধর্মমতে চলবে, তাদের ছাড়া আর কাউকে বিশ্বাস করবে না। বলে দিন নিঃসন্দেহে হেদায়েত সেটাই, যে হেদায়েত আল্লাহ করেন। আর এসব কিছু এ জন্যে যে, তোমরা যা লাভ করেছিলে তা অন্য কেউ কেন প্রাপ্ত হবে, কিংবা তোমাদের পালনকর্তার সামনে তোমাদের উপর তারা কেন প্রবল হয়ে যাবে! বলে দিন, মর্যাদা আল্লাহরই হাতে; তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন এবং আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও সর্বজ্ঞ।
@কাজী রহমান,
অথচ কি অদ্ভুত ব্যপার এসব মুসলমানরা নিজেদের দেশে বাসস্থান, অন্ন ও আয় রোজগারের ব্যবস্থা করতে না পেরে , বৈধ, অবৈধ নানা কায়দায় এমন কি জীবন বিপন্ন করে ইহুদী নাসারা কাফেরদের দেশে পাড়ি জমায়। ইসলাম কিন্তু কোন ইসলামী দেশেই আজ পর্যন্ত সব মানুষের ভাত, কাপড়, বাসস্থান, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান এসবের যোগান দিতে পারে নি। অথচ ইহুদী নাসারা কাফিরদের দেশে গিয়ে তারস্বরে চিৎকার করছে ইসলামী বিধাণ চির শান্তির বিধাণ, এ বিধানে সবার সব চাহিদা পূরণ হয়, কিন্তু খোদ তাদের নিজেদের মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ দেশেই তার নিশ্চয়তা দিয়ে চরম ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এটা যে একটা মহা স্ববিরোধীতা ও মূর্খতা এটা তারা বুঝতেও অক্ষম।
@ভবঘুরে,
সেটাই তো কথা। মানুষ, যারা দাঁড়িয়ে ঘুমায়, তাদের ঘুম ভাঙ্গানো কি কোন সহজ কাজ?
লেখককে অভিনন্দন তাঁর চমৎকার বিশ্লেষনধর্মী লেখার জন্য!
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল; তবুও সরকারকে ধন্যবাদ জানাই, শেষ পর্যন্ত কিছুতো হচ্ছে! স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকবাহিনীর দেশীয় সহযোগীদের কারনে অনেক পরিবার অত্যাচারের শিকার হয়েছেন, স্বজন হারিয়েছেন। এই পরিবারগুলো গত চল্লিশ বছর যে ব্যথা বয়ে বেড়িয়েছেন, আমরা তা ভুলিয়ে দিতে পারবো না। তবে দেরীতে হলেও, অপরাধকারীদের শাস্তি তাঁদের যন্ত্রনা কিছুটা লাঘব করবে বলেই আমার বিশ্বাস। আমাদের দেখতে হবে এই বিচার যেন হঠকারী না হয়। কিছুদিন আগে শ্রদ্ধেয় জাফর ইকবালের লেখায় পড়েছিলাম, কেউ তাঁর কাছে জানতে চেয়েছেন, রাজাকাররা কোন আইন মেনে মানুষ মেরেছিল যে এখন তাদের আইনসঙ্গত বিচারের দাবী উঠছে। এই প্রশ্নে আবেগ আছে; তবে প্রশ্নকারীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমরা নিজেদের রাজাকারদের পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পারি না।
@মনজুর মুরশেদ,
আপনি যা বলেছেন এটা কিন্তু সম্পূর্ন মানবিক ও মানবাধিকারের ব্যপার। ইসলামের দৃষ্টিতে আপনার মন্তব্য গ্রহণযোগ্য না, এটা কি বুঝতে পারেন ? একাত্তরের ঘাতকদের বিচার করা যায় শুধুমাত্র মানবিকতার দায় ও মনুষ্য সৃষ্ট আইনের দ্বারা, আল্লাহর আইন দ্বারা নয়। আর তাই একজন মোমিন মুসলমান কিছুতেই গোলাম আজমের বিচার চাইতে পারে না। তাহলে আমাদের কাছে কোনটা বড়? মানবতা নাকি ইসলাম? নিবন্ধের মূল প্রতিপাদ্য সেটাই।
@ভবঘুরে,
আমার আশেপাশের বাংলাদেশীরা কেউ গোঁড়া মুসলিম, আবার কেউ নামমাত্র মুসলিম। এই দুই দলের মাঝে যারা আছেন তাঁদেরও অনেক রকমফের। এদের সবাই নিজেদের কমবেশী মুসলিম হিসাবে দাবী করেন। আমার ধারনা গোঁড়া মুসলিমদের কাছে আমার মন্তব্য গ্রহনযোগ্য হবে না, তবে যারা গোঁড়া নন তাঁদের অনেকেই আমার মন্তব্য সমর্থন করবেন।
আমি ধর্মীয় আইন দিয়ে রাস্ট্র পরিচালনার ঘোর বিরোধী। সঠিকভাবে প্রয়োগ হলে একাত্তরের ঘাতকদের বিচারের জন্য মনুষ্য-সৃষ্ট বাংলাদেশ পেনাল কোডই যথেষ্ট। আল্লাহর আইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানা না থাকায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে এর কার্যকারীতা নিয়ে মন্তব্য করতে পারছি না। তবে আমি ঠিক মোমিন মুসলমানও নই 🙂 ।
অবশ্যই মানবতা।
@মনজুর মুরশেদ,
ভাই মানুষের মধ্যে এদের সংখ্যাই সবচাইতে বেশী আর এ কারনেই কিন্তু আসলে সমস্যা বেশী। আপনি যদি খেয়াল করেন , এদের একটা বড় অংশই কিন্তু অনেকটা না বুঝে গোলাম আজমের বিচার হোক তা চায় না। আবার অনেকেই চায়। এর কারন হলো – ইসলাম সম্পর্কে সম্যক অবগত না থাকা কিন্তু একই সাথে ইসলাম সম্পর্কে অগাধ বিশ্বাস থাকা যে কোরান হলো আল্লাহর কিতাব , মোহাম্মদ হলো তার রসুল।
@ভবঘুরে,
আমাদের কাছে মানবতা আর “জানোয়ার”দের কাছে ইসলাম! কারণ সর্বজন শ্রদ্ধেয় পটুয়া কামরুল তথকালীন পাকিস্তানী সামরিক শাসক এবং তাদের সহযোগীদের ঐ নামে চিত্রিত করেছিলেন।
@পি. পত্রপূট,
আপনার মতে এই জানোয়ারগুলো কারা ?
@ভবঘুরে,
আপনার চিন্তাশক্তির তারিফ করতেই হয়। আর লেখার ধার- বলার অপেক্ষা রাখেনা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। :guru: :guru:
গোলাম আজমের এই দাম্ভিকতার জন্য আমার মনে হয় আমাদের দেশের রাজনীতিই দায়ী যতটা না ইসলাম। তাছাড়া এই রাজাকার যেভাবেই মরুক না কেন, জামাত ইসলামী ঐ মৃত্যু কে শহীদ ডিক্লেয়ার করবেই। অবাকই হতে হয় যখন কোনো নির্যাতিত পরিবারের কোনো সদস্য এইসব রাজাকারদের পক্ষে সাফাই গায় শুধু ধর্মের দোহাই দিয়ে। সত্যি সেলুকাস।
@আমি আমার,
ভাই আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গিতে তারা ১০০% ভাগই ঠিক। বরং নির্যাতিত পরিবারের কোন মুক্তিযোদ্ধা মারা গেলে ( শহিদ হবে না, কারন এরকম কাজে মারা গেলে তাকে ইসলামের দৃষ্টিতে শহিদ বলে না) এখন পরিবারটি এ কারনে আফসোস করতে পারে যে মানুষটা নাফরমানী বা মোনাফেকী কাজ করতে গিয়ে মারা গেছে। তবে যারা ইসলাম সম্পর্কে অবগত নয়, তারা এ নিয়ে তুমুল তর্ক করে যাবে। এটাও কিন্তু মহা সমস্যা, ইসলাম কি তা জানে না সামান্যতমও অথচ সেটাকে ডিফেন্ড করতে জানবাজি তর্ক করে যাবে।
@ভবঘুরে,
একটু ভিন্ন বিষয়,দুঃখিত।
আপনি একটি বংগানুবাদ কোরানের লিংক দিয়েছিলেন।বাংলায় কোরান বুঝতে এটা অত্যন্ত সুন্দর ও সহজ। এর আগে কখনো কখনো ইংরাজী অনুবাদ পড়িতে গেলে স্বাছ্বন্দ বোধ করিতামনা। এটায় অত্যন্ত সহজ ভাবে মাতৃ ভাষায় বুঝা যায়
লিংকটি:
(http://www.ourholyquran.com/)
আজ এক জায়গায় পড়তে গিয়ে পেলাম।
২৭:৭৫
মুক্ত মনায় যথেষ্ট কোরান বিশষজ্ঞ রয়েছেন। এই আয়াতটির একটু ব্যখ্যা দিবেন কি ?
এর দ্বারা কি এইটাই দাবী করা হয় নাই যে এখনো পর্যন্ত সমস্ত অনাবিষ্কৃত বৈজ্ঞানিক অজানা গোপন ভেদ গুলী এই কোরানে বর্নিত আছে ?
কিন্ত নিতান্ত দুঃখের বিষয় নয় কি যে এ পর্যন্ত কোন ইসলামক পন্ডিৎ গন একটাও বৈজ্ঞ্যানিক সুত্র বের করে আমাদের সমাজ কে অবদান রাখিয়া বলিলেননা যে এটা কোরানের অমুক আয়াত হতে বের করেছি।
তা হলে কোরানে সমস্ত “গোপন ভেদ গুলি যে বর্ণিত আছে” সে গোপন ভেদ গুলী বলতে কি কি বুঝায় ?
কোরান বিশেষজ্ঞরা একটু ব্যাখ্যা দিয়া বুঝাইয়া দিলে এ অধম বিশেষ ভাবে বাধিত হইবে।
আমি নিতান্ত অবুঝ।
ধন্যবাদ
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
সেরকমই তো মনে হয়। আর সেকারনেই বোধ হয়, ইসলামিস্টরা প্রচার করে কোরানের মধ্যে সব জ্ঞান বিজ্ঞান তত্ত্ব ও তথ্য লুক্কায়িত। ইহুদি নাসারারা সব কোরান রিসার্চ করে বিজ্ঞানের সব তত্ত্ব আবিষ্কার করছে।
হা হা হা , সেটাই তো আসল কথা। কোরানের মধ্যে সব কিছু থাকার পরও কেন তারা কিছুই আবিষ্কার করতে পারে না সেটাই তো আজব। খালি আবিষ্কার হয়ে যাওয়ার পর হৈ চৈ করে।
সেটা আল্লাহ আর তার নবী মোহাম্মদই ভাল জানেন। দু:খের বিষয় মোহাম্মদ তা তার উম্মতদেরকে জানিয়ে জান নি।
তবে আসল কথা হলো এই যে- অরিজিনাল আরবী কিতাবে যে ভাবে আছে বাংলাতে তা অনেকটাই পরিবর্তিত আকারে অনুবাদ করা হয়েছে- গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য ও স্ববিরোধীতা এড়ানোর জন্য। এমন কি অধিকাংশ ইংরেজী অনুবাদেরও একই অবস্থা। তার পরেও আপনি বাংলা কোরান পড়ার সময় ইউসুফ আলী, পিকথাল বা শাকির এদের কারও কারও অনুবাদের সাথে একটু মিলিয়ে পড়লে কিছুটা আসল বক্তব্য ধরতে পারবেন।
গোলাম আজমের ফাসি হলে তিনি শহিদের মর্যাদা লাভ করবেন, এটাই তার বিশ্বাস। উনি বিশ্বাসের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত। এই পরিণত বয়সে (৯০) কীভাবে তার জীবন থেকে ভাইরাস মুক্ত করা সম্ভব? উত্তর একটাই- তা হচ্ছে, আইনী মৃত্যু।
@মাহফুজ,
ভাই ভুল বললেন। এ আইনি মৃত্যুকে গোলাম আজম শহিদী মৃত্যূ মনে করছে আর সেকারনে একে স্বাগত জানিয়েছে। তাই ভাইরাস মুক্ত কেমনে হবে সেটা বোঝা গেল না।
(Y)
আমার এক বন্ধুর সাথে এই ব্যাপারে কথা হয়েছিল। সে বলে তার আত্মীয়রা অনেকে জামাত করে(এইটা আসলে সত্য)। এবং সেই সূত্রে সে জানে যে গোলাম আজম নিয়মিত নামাজই পড়ে না। অনেকেই তাকে মিটিং এ নামাজ পড়ার সময় নাকি নামাজ পড়তে দেখেনি।
এজন্য সে বলল গোলাম আজম খাটি মুসলমান না।
@রনবীর সরকার,
এই তথ্য গোলাম আজমের চরম শত্রু–যেমন গাদনিকও যে বিশ্বাস করবে না তা আর বলতে? ইসলাম কে রক্ষা করার জন্য কত কসরতই না করা হচ্ছে।
কেউ কি প্রমাণ করতে পারবেন গোলাম আজম এবং তার দল এক বিন্দু ইসলাম এবং নবীজির আদর্শ হতে বিচ্যুত হয়েছে?
সম্পুর্ন সহমত,১০০% সত্যি কথা বাংলা্দেশের অধিকাংশ মুসলমানই সত্যিকারের ইস্লাম কি তা জানে না ,তাই যখনই কিছু বলা হয় তখনই বলবে ওটা ব্যাখ্যার ভূল ।আমি অনেকের সাথে আলাপ করতে গিয়ে বিফল হয়েছি
এরকম একটা লেখারই অপেক্ষাছিলাম ,অসংখ্য ধন্যবাদ ।
ক্লাসিক ভবঘুরে–আপনি ইসলামকে উলঙ করে দেখালেন এবং দেখাচ্ছেন।
একেবারে খাঁটি কথা। গোলাম আজমকে কে তৈরি করেছে?
এর সাফ সাফ উত্তর হচ্ছে ইসলাম। গোলাম আজম এবং তার সাঙপাঙরা যা করেছে এবং করছে তা ১০০% ইসলাম সম্মত। এদের প্রতিটি বাক্যের সমর্থন পাওয়া যাবে কোরান, হাদিস, সুন্না এবং নবীজির আদর্শের মাঝে।
গোলাম আজমরাই সত্যিকার মুসলিম–এরা বিধর্মী এবং ভণ্ড মুসলিমদের হত্যা করতে এর বিন্দুমাত্র বিচলিত হয় নি এবং হবে না। কারণ–এরা যে কোরান মেনে চলেছে —কোরানে আল্লা পাক বলেছেন,
পৌত্তলিকদের যেখানেই পাবে সেখানেই হত্যা করবে।
সত্যিকার মুসলমানের ইসলামের জন্য জীবন দেয় এবং জীবন নেয়–এরা ঘর বাড়ী, পরিবার সংসার বিলিয়ে দেয় জেহাদের জন্য। এরা অমুসলিম এবং ভণ্ড মুসলিম নারী যুদ্ধবন্দীদের উপভোগ করে এবং উপভোগের পর দাস বাজারে বিক্রি করে দেয়।
কেউ কি প্রমাণ করতে পারবেন গোলাম আজম এবং তার দল এক বিন্দু ইসলাম এবং নবীজির আদর্শ হতে বিচ্যুত হয়েছে?
@আবুল কাশেম,
আমারও একি প্রশ্ন। অনেককে বলতে শুনেছি, গোলাম আজম এ অপরাধ সে অপরাধ করেছে। যখন তাকে জিজ্ঞেস করি এত সব অপরাধের কোনটা সে ইসলামের বিরুদ্ধে করেছে? তখন আর কেউ যথার্থ উত্তর দিতে পারে না। মনগড়া কিছু কথা বলে যায়। বলা বাহুল্য তার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই, তাতে থাকে আবেগ ।
@আবুল কাশেম,
কেউ পারবে না। যে কারনে বাংলাদেশে ইসলামী দলগুলো তো বটেই তাদের সমর্থন করে যারা তারাও কেউ কিন্তু এ বিচার চায় না।
এতো দিন পর জামাতের সঙ্গা বুঝতে পারলাম তাও উদাহারনসহ। 🙂
(Y) (Y)
তাহলে দেশের কিছু মানুষ গোলাম আজমের গ্রেফতারে কেন খুশী ও উল্লসিত? তার কারন তারা ইসলামি আদর্শ ও বিধি বিধান সম্পর্কে সম্যক অবগত নয়। তারা নামে মাত্র মুসলমান, হয়ত কিছু কিছু ইসলামী বিধি বিধান মেনে চলে যেমন- নিয়মিত নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, পারলে হজ্জ করে, যাকাত দেয়, কিন্তু একজন প্রকৃত মুসলমানকে আরও অনেককিছু জানতে হয়।
সহমত, কিন্তু প্রকৃত ইসলাম যা মোহাম্মদ অনুশীলন করেছে তা এতই নোংরা ও দুর্গন্ধময় তার সন্ধান পেলে এদের কয়জনের ঈমান থাকবে বলে মনে হয়।
@অ বিষ শ্বাসী,
সব কিছু জানার পরেও যে অধিকাংশ মানুষ ইমান নষ্ট করে ফেলবে তাড়াতাড়ি আমার তা মনে হয় না।
গোলাম আযম নিজের নামে একটা সুরা নাজিল করার আগেই কি ফাঁসি হবে ?এতদিনে উনি দুইবার নবুয়ত প্রাপ্ত হতে পারতেন ।
@ছোট্ট কিশোর,
গোলাম আাজম আবার কবে সুরা নাজিল করল?
@ছোট্ট কিশোর,
আমার তো মনে হয় যে বাংলাদেশের কিছু মানুষ অই শয়তান গোলাম আজম কে ইতিমধ্যেই নবী জাতীও কিছু একটা মানা শুরু করেছে। আর ধরে নিন অর বানী গুলোই ওর নিজের সুরা!
আপনার লেখাটিতে গোলাম আজমকে নিয়ে আমাদের সমাজের এক অংশের মনোভাব বেশ ভালভাবেই ধরা পড়েছে! অনেক ধন্যবাদ এমন একটি সময়োপযোগী লেখা উপহার দেয়ার জন্য!
আরও একটি পক্ষ আছে; ”গোলাম আযমের গ্রেপ্তার” নামক মুলা ঝুলিয়ে আরো এক টার্মের জন্য ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার সরকারী কু-মতলবে এই পক্ষটি যারপরনাই উদ্বিগ্ন!
@কাজি মামুন,
অন্য অনেক পক্ষ আছে গোলাম আজমকে কেন্দ্র করে। তবে ভবঘুরের লেখায় —
এ নাচানাচিরও ( যদিও এ প্রসঙ্গে নাচানাচি শব্দটি নিয়ে আমার আপত্তি আছে।) প্রয়োজন আছে। এক মহিলা নারীপক্ষ’র ‘আলোর স্মরণে কাটুক আঁধার” অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে বলেছিলেন পাক বাহিনীর তাড়া খেয়ে তারা তাদের বৃদ্ধ, অসুস্থ দিদিমাকে রেখে চলে গিয়েছিলেন। দিদিমা চলতে না পারলেও সজ্ঞানে তাকে নিয়ে যেতে অনুনয় করার সত্ত্বেও তারা তা করতে পারেনি। যা এখনও তাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। কাজেই ছিল ৯০ বছরের গোলামকে মৃত্যু দুদিক থেকেই তাড়া করুক। এক প্রাকৃতিক মৃত্যু আরেক আইনের ভয়ে মৃত্যু।
@গীতা দাস,
সহমত। এ প্রসঙ্গে শামসুর রহমানের কবিতার লাইন মনে পড়েছেঃ
@কাজি মামুন,
ইসলামি বিধি বিধাণে কবি সুলভ আবেগের কোন স্থান নেই।
@গীতা দাস,
একমত। এত টুকুও তো এপর্যন্ত কারো করার ক্ষমতা বা সাহস হয়নাই।
এজন্য আওয়ামে লীগের যথেষ্ট ধন্যবাদ পওনা,মনে করি।
@গীতা দাস,
ইসলামী বিধাণে আবেগের কোন স্থান নেই। গোলাম আজম তো বলেই ফেলেছে তাকে যদি বিচারে ফাসি দেয়া হয়- তা হবে তার জন্য মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি অর্থাৎ সেটা হবে তার শহিদী মৃত্যু যা প্রতিটি মুমিন মুসলমান মাত্র কামনা করে থাকে।
@কাজি মামুন,
এসব নিয়ে রাজনীতি তো থাকবেই।
@ভবঘুরে,
আপনার এই কথার সাথে একমত। ইসলাম সম্মত কাজ করেছে এই গোলাম আজমেরা। সেই অর্থে তারা দোষের কিছু করেনি। সত্যি কথা বলতে গেলে অপ্রিয় হয়ে যাবার সম্ভবনা।
ইসলাম অর্থে ঠিক। মানবিক অর্থে গুরুতর অন্যায়। এর চাইতে বেশি কিছু বলছিনা।
আপনার লেখা তাই (Y)
@আফরোজা আলম,
একেবারে চুম্বক কথাটা বলেছেন। নিবন্ধের সারাংশ সেটাই। এখন মানুষকেই বিচার করতে হবে কোনটা সে অনুসরণ করবে।
হ্যাঁ,আমরা আপনার অপেক্ষায় ছিলাম।
একেবারে হাটে হাড়ী ভেঙ্গে দিয়েছেন। বিশ্লেষনটা এতই চমৎকার হয়েছে যে একটা ৫/৬ শ্রেনীর ছাত্ররাও ‘জামাত কি?জামাত কত বড় ভয়ংকর অজগর রুপে সমাজকে গ্রাস করতে চলেছে,মোহম্মদ ও ইসলাম ও কোরানের সংগে তার সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যতা,অতি সহজেই বুঝতে পারবে।
জামাতের ইতিহাস সহ প্রবন্ধ টি অত্যন্ত তথ্যবহল,সমৃদ্ধ ও আকর্ষনীয় হয়েছে।
তবে এটাও ঠিক আজ আপনাদের দ্বারা কোরান ও ইসলামের স্বরুপ বিশ্লেষনের কারনে বহু মুসলমানেরা উনাদের ধর্মের নামে ধোকাবাজী,ধর্মের নামে ব্যবসা,ধর্মের নামে রজনীতি.ধর্মের নামে ক্ষমতা দখলের উদ্যেশ্য,এসব কারসাজী বুঝে ফেলেছে।
@আঃ হাকিম চাকলাদার,
জামাতের পুরো ইতিহাস আর লিখলাম কই। নিবন্ধের প্রয়োজনে যতটুকু দরকার সেটুকুই লিখেছি।
জানিনি ঠিক কতজন এসব কারসাজি বুঝে ফেলেছে। চেনা জানা মানুষের মাঝে নানাভাবে কত কথাই তো বলি , কারও মধ্যে পরিবর্তন তো তেমন দেখি না।