ফেসবুকে একটা লিঙ্ক বেশ কবার শেয়ার হয়েছে দেখলাম। খবর24 নামের একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। শিরোনাম- “কাকে বিয়ে করবেন? জেনে নিন পাত্রী খোজের গাণিতিক সূত্র”।
‘খোঁজ’ শব্দটির বানান তারা ভুল করেছে, তবে সেটা নিয়ে আসলে কথা বলার কিছু নেই; আছে তাদের নির্লজ্জ মিথ্যাচার নিয়ে।
পাত্রী বা সহধর্মিনী কিংবা প্রেমিকা খোঁজার জন্য গাণিতিক গবেষণা হতেই পারে। বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণাকে সবারই স্বাগত জানানো উচিত। এবং সেটা হয়েছেও। যদি গুগল করেন, “Mathematical formula for the perfect wife”, তাহলে শ’য়ে শ’য়ে সার্চ রেজাল্ট পাবেন, এবং উপরদিকেই পাবেন দ্যা টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এই খবর। এই খবরের ওপর ভিত্তি করে টপিকটি অনেক জায়গাতে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকগুলো লেখা পড়ে দেখলাম, প্রায় সবই লেখা হয়েছে টেলিগ্রাফের রিপোর্টটির ওপর ভিত্তি করে। তারপর আরেকটি লেখা পাওয়া গেলো, ক্রিস মাতিস্ক এর নিবন্ধ। এই লেখা থেকে সূত্র নিয়ে মূল গবেষণাটির অ্যাবস্ট্রাক্ট পড়ার সুযোগ ঘটল।
এই অ্যাবস্ট্রাক্টে কী রয়েছে? বয়সের ব্যবধান, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং লেখাপড়ার পরিমাণ এবং বুদ্ধিমত্তার মাপের সাথে পারিবারিক অবস্থার সম্পর্ক নিয়ে গবেষণাটি করা হয়েছে, এমনটাই আমরা অ্যাবস্ট্রাক্ট থেকে দেখতে পাই। টেলিগ্রাফের খবর এবং ক্রিস মাতিস্কের লেখাতেও এই জিনিসগুলোই মূল ফোকাস পেয়েছে। নেটে পাওয়া অন্যান্য লেখাগুলোর অধিকাংশই টেলিগ্রাফের লেখাটির অংশত বা পূর্ণাঙ্গ কপিপেস্ট। অ্যাবস্ট্রাক্টে যে লেখাটি দেখেছেন, তার সাথে এই খবরগুলোর কোনোই ব্যত্যয় নেই। আছে কেবল এক জায়গায়, এবং হতাশা, সেটি বাংলা ভাষায় লেখা।
খবর24 এ প্রকাশিত লেখাটি নিয়ে কিছু বলার আগে, ফেসবুক বন্ধু রথীর কিছু লেখা উদ্ধৃত করি। তাঁর প্রোফাইলে লিঙ্কটি দেখার পরই আমার খোঁজাখুঁজির শুরু।
সমমর্যাদার মোড়কের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে “গনিত” কেও ব্যবহার করা হচ্ছে “নারী”দের ক্লাসিফাই করতে!”
গবেষণায় দেখা গেছে ফর্সা মেয়েদের তুলনায় শ্যামলা, উজ্জ্বল শ্যামলা কিম্বা কালো রং এর মেয়েরা স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের বেশী ভক্তি করে।”–এইটা বলে আসলে মেয়েদের মনের ভেতরেই একটা বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে, একটা মানুষ কালো না সাদা- এইটার জন্য যদি তার মেন্টালিটি ভিন্নতা পায় তার জন্যেও কিন্তু এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ দায়ি, একটা কালো মেয়ে “স্বামী”র বাধ্য হবে, কারন তার একটা দোষ আছে-সে কালো,দোষওয়ালা মেয়ে বিয়ে করছে আর “স্বামী”র বাধ্য হবে না-এইটা তো মানা যায় না,আচ্ছা, গবেষণা মতে তাইলে আফ্রিকান মেয়েরা খুব পতিভক্ত, তাই না?
”গবেষণায় আরো দেখা গেছে স্বাস্থ্যবতী মেয়েরা শান্ত শিষ্ট ও ধর্য্যশীল হয় আর ক্ষীন স্বাস্থ্যের মেয়েরা খিটখিটে মেজাজের হয়।”-ওহ তাইলে তো এখন হইতে চিকন স্বাস্থ্য মোটা ও সুন্দর করিবার আশায় গরুর ট্যাবলেট সেবন শুরু করিতে হইবে, না কি?
এবার আসি সবচেয়ে হাইলাইটেড কোথায়-“জানা গেছে, যে পাত্রীরা তুলনামূলক আলজেবরায় ভালো, তারা সাংসারিক দুঃখ সুখ শেয়ারিং এ ভালো, আর যারা পাটীগণিতে ভালো তারা কিছুটা স্বার্থান্বেষী ধরণের হয়। আর জিওমেট্রিতে ভালো যারা, তাদের লোভ বেশী থাকে। “এই তো তোমাদের গবেষণার আসল পর্যবেক্ষণ পরিলক্ষিত হইল…মেয়েদের পড়ালেখার গন্ডি তাইলে এস, এস, সি পর্যন্তই যথেষ্ট! এর পরের শিক্ষা আসলে মেয়েদের বুদ্ধি, চিন্তা বিকাশে নিতান্তই অর্থহীন, এখানে ইনিয়ে-বিনিয়ে বুঝানো হয়েছে, “ইয়ে মানে, শেষমেশ সংসারই তো করবা, আর ওই মেট্রিকের লেখাপড়া দিয়াই কিন্তু তোমাদের বৈশিষ্ট্য স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে, এরপর যত পড়ালেখা কর, তোমাদের মানসিক বিকাশ এখানেই স্থগিত থাকতেছে কিন্তু”
খবর24-এ প্রকাশিত এই যে কথাগুলো, এগুলো কি আসলেই গবেষণায় ছিল? একটা অংশ দেখে দ্বিধার সূত্রপাত, সেটা হল ফর্সা-শ্যামলা-কালো। ইউরোপিয়ান একটি গবেষকদল ফর্সা-শ্যামলা পাবে কোথায়? ককেশিয়ান আর নিগ্রোদের নিয়ে কথা বলা এক কথা, ফর্সা-শ্যামলা নিয়ে কথা বলা একেবারেই অন্য কথা। ফর্সা-শ্যামলার এই বিষয়টি উপমহাদেশের একচেটিয়া। ইউরোপের গবেষণায় এটা ফিচার্ড অংশ হবার কথা নয়। এই দ্বিধা নিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করলাম, এবং স্তব্ধ হয়ে লক্ষ্য করলাম, খবর24 ছাড়া অন্য কোনো খবরেই এরকম কোনো কথা লেখা নেই! একইভাবে লেখা নেই স্বাস্থ্যবতী-ক্ষীণস্বাস্থ্য, পাটিগণিত-অ্যালজেব্রা এবং চিকনকন্ঠ-সুরেলাকন্ঠ-মোটাকন্ঠের কোনো কথা।
এই মিথ্যাচারের অর্থ কী?
মিলিয়ে দেখুন, যেসব তথ্য তারা ইউরোপিয়ান গবেষণালব্ধ তথ্যের ভিত্তিতে পেয়েছে, সেই তথ্যগুলো শেষ হয়েছে ‘হতে হবে’ শব্দবন্ধটি দিয়ে- ‘হতে হবে’ নিশ্চিত একটি সুর প্রকাশ করে। এর পরে তারা মিশিয়েছে তাদের গোবরে ভর্তি মস্তিষ্কের অবদান, যেগুলো শেষ হয়েছে ‘হয়’ দিয়ে। অনিশ্চিত সুর, বিশ্বাসের সুর। কোনো একটি গর্দভ পুরুষ এই লেখাটি প্রসব করেছে, এবং নিজের পুরুষবাদী ভ্রান্ত ধারণা এখানে ঢোকানোর সময়ে দুর্গন্ধটা লুকোতে পারেনি। খবর24-এর লেখাটা আরেকবার পড়ে নিন, এবারে স্পষ্ট বুঝবেন।
আমার দুটো পয়েন্ট।
পয়েন্ট ১. একটি গবেষণা সম্পর্কে প্রকাশিত খবরের সাথে নিজের দুর্গন্ধযুক্ত মস্তিষ্কের প্রসব করা কথা মিশিয়ে দেবার সাহস এই লোকের কী করে হয়? গবেষণা জিনিসটা কি ফাজলামি জাতীয় কিছু? একটা পরিসংখ্যানিক গবেষণাকে অপমান করার সাহস এদের কী করে হয়? কেউ যদি এই ফিচারকারীকে চিনে থাকেন, তাহলে আমার পক্ষ থেকে তার দুগালে সজোরে দুটো চপেটাঘাত করে দিলে, আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ হব।
পয়েন্ট ২. নারীদের সম্পর্কে এই দেশের পুরুষের কী ধারণাগুলো পোষণ করে, সেটা যতবার প্রকাশিত হয়ে পড়ে, শিউরে উঠতে হয়। নারীদের শিক্ষাগত অবস্থান, বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ বা অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নকে এড়িয়ে সমাজের অধিকাংশ পুরুষ, এবং অনেক নারীও, মজে আছে নারীর শারিরীক বৈশিষ্ট্য, এবং তার গায়ের রঙ নিয়ে। আমাদের এই বর্ণবাদীতার শেষ হবে কখন?
খবর24 এর মিথ্যাচার নিয়ে পড়লেন। এখন মূল রিপোর্টের প্রধান ফিচার্ড ধারণাগুলো আরেকবার নিশ্চিত হয়ে নিন।১. বর-কনের বয়সের পার্থক্য পাঁচ বছরের কাছাকাছি হওয়া উচিত।২. তাদের একইরকম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য থেকে উঠে আসা উচিত।৩. নারীর পুরুষের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হওয়া উচিত।৪. পুরুষের চেয়ে নারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি থাকা উচিত।৫. এবং বিয়ে বিষয়টি মূলত পারস্পরিক সহযোগিতার ওপরে সবচাইতে বেশি নির্ভরশীল।
এর বাইরে কালো-ফর্সা, চিকন-মোটা, পাটিগণিত-বীজগণিত বিষয়ক বেহায়া মতবাদগুলো আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে দিন। আর একটা গবেষণার ফলাফল নিয়ে যারা ফাজলামি করতে পারে, তাদের মুখে আমার পক্ষ থেকে কয়েকদলা থুতু নিক্ষেপ করলাম।
সব কথার শেষ কথা, আপনার আশপাশে যেসব পুরুষবাদী পশু আছে, তাদের জন্য কী বিধান?
পরিমল ঘটনার কথা মনে আছে? সেসময় কিছু মানুষরূপী পরিমলসমর্থককে বলতে দেখেছিলাম, “এক হাতে তালি বাজে না।”
আমার দেখা শ্রেষ্ঠ উত্তর, “এক হাতে কষে থাপ্পড় মারা যায়।“
পুঁথিগত বিদ্যা আর পর হস্তগত ধন
নহে বিদ্যা নহে ধন
হ`লে প্রয়োজন ।
আপনাদের মতো পণ্ডিত গবেষকদের যারা মাইনে দিয়ে পোষেন তাদের প্রয়োজনীয় ন্যূনতম দায়িত্ববোধ কতটুকু ?
অবর্ণন রাইমস মনে হচ্ছে, আজকাল নারীদের অধিকার আদায়ে লুঙ্গি পইরা আপনি মাঠে নাইমা পরসেন। 😛
খুব ভাল লাগল। অন্তরজাল জগতে বিভিন্নভাবেই নারীকে হেও করা হচ্ছে।আর কাজটি করছেনিচু মন-মানসিকতার লোকজন-ধর্মান্ধরা, আর এসবকে পুজিঁ করে মুনাফা বের করার নিমিত্তে কাজটি করছে কোর্পোরেট সোসাইটি। গবেষনাটি ছড়িয়ে যাবার পর তেমনই দেখা গিয়েছে।
আপনার সাথে পুরোপুরি একমত।এর বাইরে কালো-ফর্সা, চিকন-মোটা, পাটিগণিত-বীজগণিত বিষয়ক বেহায়া মতবাদগুলো আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে দিন। আর একটা গবেষণার ফলাফল নিয়ে যারা ফাজলামি করতে পারে, তাদের মুখে আমার পক্ষ থেকে কয়েকদলা থুতু নিক্ষেপ করলাম। শুভকামনা।
@অনিচ্ছুক, মুক্তমনায় এই লেখাটি পাবলিশ করার পরে যে আপনারা নিজেদের লেখার নিচে “দুটি ভিন্ন গবেষণার ফলাফল” কথাটি জুড়ে দিয়েছেন, এটা আমাদের কারো নজর এড়ায়নি। তা, বলুন দেখি, এই রহস্যময় দ্বিতীয় গবেষণাটি কোথায়? কোথাও এর নাম নেই কেন?
@অবর্ণন রাইমস, এত তেল আপনার? :guru: এই ছাগলটারে যুক্তি বুঝানোর চেষ্টা করতেছেন! ওই পাবলিক যুক্তি বুঝলে তো এইরকম বেহুদা মনগড়া পোস্ট লিখতোও না আর সেইটারে এমন হাস্যকর অযৌক্তিক উপায়ে “ডিফেন্ড” করতেও আসতনা…
@লীনা রহমান,
(Y)
@লীনা রহমান, :))
@অবর্ণন রাইমস,
‘অনিচ্ছুক’ আর ‘বলার নেই’ এর সাথে আপনার আর ইচ্ছে করে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। উনারা বাজে বকছেন। বকুক। আমাদেরও এসব প্যাঁচাল পড়ে সময় নষ্ট হয়।
@গীতা দাস, মাঝে মাঝে নিজেকে সামলে রাখাটা কষ্টকর হয়ে পড়ে আরকি! থাক, এখন তো শেষ হল। আপনার কথাটা জানানোর জন্য আপনি ধন্যবাদার্হ। 🙂
আপনে মনে হয় ফেয়ার আ্যন্ড লাভলি মেখে অভ্যস্ত ভাইয়া!, আর কয়েক জায়গা থেকে করা সেটা দেখেন! একবার বলেন মনগড়া, একবার বলেন কপিপেস্ট নিজেদের মুখেও কি ফেয়ার আ্যান্ড লাভলী মেখে ছাল ফেলে দিছেন ভাইয়া? আপনার কাছে বলার জন্য আমরা বাধ্য নই, নিজের চুলকাইলে নিজে গুগলিং করেন তারপর বলেন!
@অনিচ্ছুক,
the verb is “google”. গুগল বললেই হয়, আর ইং যোগ করতে হবে না।
কেউ আপনাকে কিছু বাধ্য করতেসে না বলতে। একটা ফালতু ফিচারের পর্যালোচনা আমরা করতে পারি।
হাবলুরা দেখি ফেসবুক থেকে উঠে এসে, কপি-পেস্ট-বমি প্রেস থেকে এসে এখন মুক্তমনাতেও কিছু বলার পাইতেসে না। পেস্ট করে মহান পত্রিকার ভাব মুর্তি নষ্ট হয় নাই, কিন্তু কপি করসে কোথা থেকে তা বেমালুম ভুলে গেসে!! গাজা খুড়ির উপরে আরো ফেয়ার এন্ড লাভলি মাখো!!
আপনি মিয়া খারাপ মানুষ।হাটে হাড়ি ভেঙে দিলেন। :-Y
১. বর-কনের বয়সের পার্থক্য পাঁচ বছরের কাছাকাছি হওয়া উচিত। ……বুঝলাম।
২. তাদের একইরকম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য থেকে উঠে আসা উচিত।……মানলাম।
৩. নারীর পুরুষের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হওয়া উচিত।……কেন? বোধগম্য নয়।
৪. পুরুষের চেয়ে নারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা বেশি থাকা উচিত।……কেন? বোধগম্য নয়।
৫. এবং বিয়ে বিষয়টি মূলত পারস্পরিক সহযোগিতার ওপরে সবচাইতে বেশি নির্ভরশীল।……মানলাম।
@ব্রাইট স্মাইল্, আমি এর জবাব দিচ্ছি না! কিন্তু সম্ভবত, নারীর বুদ্ধিমত্তা বেশী হওয়া উচিত কারণ, কোনো এক গবেষণায় দেখেছিলাম, সংসারের খরচ বা অন্যান্য কর্তব্য বন্টনে পুরুষদের চেয়ে নারীদের ভাগ বেশী। বিশেষত পশ্চিমদেশগুলোতে, মে বি এসব ক্ষেত্রে মেয়েদের একটু বেশীই বুদ্ধি খাটাতে হয়, কেননা এর মাঝে অনেকের ইমোশোনালঘটিত ব্যপার স্যপার থাকে এবং লজিক অনেকাংশে কাজ করে না! সো সবদিক সামাল দিয়েই এগুলো করতে হয়! এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। আর নিচেরটা আসলেই বোধগম্য নয়, কারণে আমাদের সমাজে স্বামীর চেয়ে স্ত্রী বেশি শিক্ষিত হলে, স্বামীর ইগোতে লাগে বা কিছু… যাকগে আরেকটা কথা খবরটির নিচে পরিস্কার লেখা ছিল
তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, বিয়ে বিষয়টি অনেকটাই টিম ওয়ার্ক এবং পারিবারিক ঐতিহ্যের বিষয়। তবে একজন আরেক জনের ওপর বেশি আধিপত্য দেখাতে গেলেই সর্বনাশ ঘটতে পারে।
@ব্রাইট স্মাইল্,
গবেষণাটি নিউরোলজির ভিত্তিতে করা হয়নি, আমার জানামতে। এখানে ভিত্তি করা হয়েছে পরিসংখ্যানগত উপাত্ত। আপনার প্রশ্নের উত্তর বিবর্তন এবং মস্তিষ্কবিন্যাসের ওপর ভিত্তি করে আসা উচিত। আমি এতে অপারগ। আমার লেখার মূল উদ্দেশ্য কেবল ফলাফলটি তুলে ধরা এবং মিথ্যাচারের বিরোধিতা করা।
আর আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, যেভাবে হলে ছেলেরা মেয়েদের জন্য লাইন দিবে মেয়েরা তার জন্য মরে যাচ্ছে? আমাদের দেশে তুলনামূলক ভাবে রং বৈষম্য বেশী তাই বলে কি সবাই ফেয়ার আ্যান্ড লাভলী কিনতে চলে গেছে? ছেলেরা মোটা মেয়ে পছন্দ করে না! তাই বলে কি অষুধ খেয়ে শুকিয়ে গেছে!! এই একটা পোস্টে আপনাদের আঁতে ঘা লাগার কারণে বলছি!! এটা কোথাও থেকে সংগৃহীত, পোস্টের নিচে সম্পূর্ণ পরিস্কার ভাবে লেখা, সংগৃহীত! আজাইরা কোনো একটা পত্রিকার পিছে এভাবে লাগার কোনো মনে হয়না, আমরা বিনাবেতনে কিন্তু খেটে যাচ্ছি না! আপনাদের মেকি নারীবাদি লোকদের রাসায় কথা বলার খোরাক হিসেবে!
@বলার নেই,
মিথ্যা একটা খবর সাজিয়ে এখন সেটা নিয়ে আপনি আর্গুমেন্টে যেতে চান? আমি কি হাসবো নাকি কাঁদবো!!
আপনার প্রকাশিত খবরের তথ্যগুলো গবেষণালব্ধ তথ্য না। কাজেই এগুলো মিথ্যা। মিথ্যা কথার সত্য-মিথ্যা নির্ধারণ করতে হয় না। কারণ এটা ইতোমধ্যেই নির্ধারিত! এটা মিথ্যা!
@বলার নেই,
অসংলগ্ন কথা বলছেন কেন? ধরা খাবার কারণে মন খারাপ? :))
কিছু করার নেই। দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছেন, এখন ফলাফল মেনে নিতেই হবে।
@অবর্ণন রাইমস, আপনিই বা অসংলগ্নের মতো ব্যক্তিগত আক্রমণে মাতছেন কেনো??? যেখানে আপনি ভাবছেন আপনি সত্য???? আর আপনি কে ফলাফল ধরানোর??? আপনি বুঝি, গবেষণাটি করেছেন রাইট? আর আপনাদের মতো মেকি নারীবাদীরা কথায় কথায় “না” বললেও সেখানে নারী তুলে আনবেন!!আর এটি মিথ্যা নয়! আমরা যখন কোনো ফিচার করি, তখন একটা না বেশ কয়েকটা সূত্র ধরেই করি! আমি এটা বলবো, যে হ্যা! প্রথম কিছু পয়েন্ট জেনেভা’র থেকে নেয়া! আর বাকিগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বেশ কিছু গবেষণা থেকে নেয়া। বিশ্বাস নাহয় গুগলিং করুন!! আর সত্যি বলছি!! আপনার মতো আহম্মকের এই সামান্য জিনিষ নিয়ে এর ভিতরে নারী গন্ধ আর গুতানো স্বভাবের সমালোচনা করারও আমার ইচ্ছে নেই! আফটার অল! আপনার কয়েকটা বানোয়াট কথায়, পত্রিকার কিছুই যায়ে আসে না
মন খারাপ হওয়ার কারণ মানে? কিসেরি বা ধরা??? নিচে ভালোমতো লেখা ছিল!! আপনি যদি ইচ্ছে করে এড়িয়ে যেতে চান! তাহলে কি করা! আর আপনার মতো ছাগলের কথার জবাব দেয়াটাই মে বি আমার ভুল ছিলো! কারণ, প্রতিটা জিনিষের বিপরীতধর্মী আকর্ষণ থাকে। আমাদে রকাজ পজেটিভ বেছে ধরা! আপনার মতো কয়েকজন থাকেনই, যারা ভুড়ি দুলিয়ে খোচাতে ভালোবাসেন!! আমি এও জানি! এরপর আামাদের পিছে লেগে থাকবেন, লাগুন গিয়ে! আপনি ওটা ভালো করে পড়লে বা বুঝলে! অথবা সত্যি সত্যি রিসার্চ করলে মেবি এমনটা হতো না!! যাই হোক!! আমাদের দেশের এখনো অনেক মানুষ অশিক্ষিত! সো,আপনি একাই অশিক্ষিত ভেবে মনে কষ্ট পাবেন না প্লিজ
@অনিচ্ছুক,
‘অনিচ্ছুক’ আর ‘বলার নেই’ ভাই অথবা বোনেরা আপনারা দুজন মিলে কি একজন? আচ্ছা এই মারাত্ত্বক ভুলটা স্বীকার করে নিচ্ছেন না কেন? দুইটা রিপোর্ট সামনেই আছে, পার্থক্যটা ধরতে কারো অসুবিধে হচ্ছেনা। মূল পত্রিকার নাম বা লিঙ্ক দিলেন না কেন? আপনি বলছেন একটি পত্রিকা থেকে কপি করেছেন অথচ সেই পত্রিকার নাম এখন মনে নেই। বাংলায় লিখছেন অথচ ‘সো’ ‘মে বি’ এসব কী? আপনাদেরকে যারা বেতন দেয় তারা ঘাস না কাঠালপাতা খায়?
ভাইরে, হেমায়েতপু্রের বাসের রাস্থা এদিকে না।
unfortunately যেই নিজটা নিয়ে গবেষণা করছেন, ওটা আমার হাত দিয়েই পোস্ট করা। এবং আমি একটি পত্রিকা থেকেই পেয়েছি, কিন্তু কোনটি সেটি মনে করতএ পারছি না!! আর গবেষণা নিশ্চয় আমি করিনি!! আর তার চেয়ে বড় কথা!! ওটা সাধারণ একটা গবেষণা ছিল! ওটি দিয়ে একটা পত্রিকার ভাবমূর্তি খারাপ করার আমি কোনো মানে বুঝি না!! আমি একটা মেয়ে হয়ে নিশ্চয় পুরুষবাদী কথার কথা তুলে ধরবো না!! কারো মুখে কয়েক দলা থুতু মারার আগে, আয়নায় নিজের মুখে কতবার বমি করেন আপনারা??? আপনারা পুরুষরাই মেয়েদের নিচে নামান! আর এধরণের গবেষণার ফল দেখলে সবার সামনে গিয়ে পুরুষত্ব দেখান
@বলার নেই,
আপনাকে পাওয়াতে ভালো হল। থুতুটা দেবার লক্ষ্যস্থল এতক্ষণ অনির্দিষ্ট ছিল। আপনি পুরুষ নাকি নারী, এই অনলাইনে সেটার কোন প্রমাণ নেই। কাজেই সহানুভূতি টানার চেষ্টা করে লাভ হবে না।
আসল কথায় আসি। আপনি পুরো পোস্ট সম্ভবত পড়েও দেখেননি। আমি স্পষ্ট করে দেখিয়েছি, নেটে কোথাও খবর -এ প্রকাশিত খবরের মত কোন কিছু নেই। কাজেই অনুবাদ করেছেন নাকি মনগড়া কথা লিখেছেন, এই বিষয়টা খুবই স্পষ্ট। তার ওপর, আপনি স্বীকার করছেন যে আপনি কোন সূত্র উল্লেখ করতে পারবেন না। এর মানে কী দাঁড়ায়, নির্লজ্জ বেহায়া? এখানে এসেছেন সহানুভূতি কিনতে? কোন তথ্যসূত্র ছাড়া? কোন প্রমাণ আর ব্যাকগ্রাউন্ড না রেখেই? একটা গবেষণাসংশ্লিষ্ট খবর প্রকাশ করার জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম দায়িত্ববোধটুকু আপনার বা আপনাদের নেই, আর এখানে এসেছেন নিজেদের ইজ্জতের লুঙ্গি বাঁচাতে?
অর্থহীন বকবকানি দিয়ে নিজের লুঙ্গিটা বাঁচাতে পারছেন না, দুঃখিত।
আপনি বলছেন,
যে গবেষণার কথা বলছেন, সেই গবেষণার সাথে মনগড়া কথা মিশিয়ে তাকে গবেষণার স্তর থেকে নামিয়ে এনেছেন, তাকে একটা নির্লজ্জ মিথ্যা কথা বানিয়ে ছেড়েছেন, তারপরও আপনার বিন্দুমাত্র লজ্জা নেই? এতোটা নির্লজ্জ বেহায়াপনা কী করে সম্ভব!
@অবর্ণন রাইমস, আমার কমেন্টও মেবি দেখেন নি! এজন্যই বলতে পারছেন না! ছেলে না মেয়ে!! আর আপনার সহানূভুতি নিয়ে আমার কি কঁচুটা হবে?? আর ওটা মনগড়া নয়! আপনার মতো গাধারাই সেটা ভাববে! আর একবার বলছেন নিজের মনগড়া!! আবার বলছেন, নিজে পড়েও দেখিনি!! ভাইয়া কি কিছু খেয়ে মাতলামি করতে বসেছেন??
@অনিচ্ছুক,
আপনার লেখা পোস্টটিকে মনগড়া এবং মিথ্যা বলেছি। এবং বলেছি আপনি আমার লেখাটি পড়ে দেখেননি। পার্থক্য দেখা যায়?
@বলার নেই,
তাই? আপনার কি মনে হয় নারী মানেই নারীবাদী? মেয়েদের জীবনে বিয়েই আসল, এই কথা যেসব নারীরা বলেন, তাদের সম্পর্কে আপনার কি মনে হয়? স্বামী সন্তান নিয়ে সুখে থাকা স্বতী নারীই তো আদর্শ নারী চরিত্র তাদের কাছে? সংসারের সুখের জন্য স্বামীর বাধয থাকা, বদ্ধ ঘরে দু’চারটা কটু কথা কি গায়ে হাত তুললেও তার প্রতিবাদ করলে সমাজে নারীর অসম্মান হয়, তাই মুখ বুজে থাকে, শুধু তাই নয়, সুযোগ পেলেই পড়ালেখা চাকুরী নিজের স্বাধীনতা ছেড়ে সংসারী হবার জন্য যারা পরামর্শ দিতে ভুলেন না, তাদের আপনার কি মনে হয়? নাকি বলতে চান, এমন নারী গোটা বাংলাদেশে আপনি দেখেন নি!
আর পুরুষ তান্ত্রিক সমাজের যে ভালো বউ খোঁজার ব্যাপারে, বাধ্য স্ত্রী খোঁজার ব্যাপারে মহা আগ্রহ, এবং আপনারো তাতে তেল দেবার মহা আগ্রহ, এটাই বুঝেই তো খুঁজে টুঁজে এমন গবেষণার সন্ধান করে তাই ছাপালেন মিডিয়ায়, সাথে আবার মনের ইচ্ছামত মিথ্য কথায় ভরিয়ে দিয়ে, তাই না? এখন লেখককে উলটো কথা শুনাতে আসলেন যে ভারী! আপনাদের মত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীদের দিয়ে মিডিয়া চলে বলেই দেশটায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীতার চর্চা এইহারে চলছে।
কেন, আমার মনে হয় চিড়িয়াখানা,
এবং চিড়িয়াখানায় বসতকালীন সময়ে বিস্তর গবেষনা;
এর উপশম এনে দিতেও পারে।
একটু মন খারাপ হলো ভেবে যে, ফেসবুকে অনেক অনেক হাবলু মানুষ আছে যারা এগুলো আবার শেয়ার করে, সত্যিও ভাবে!!