:: নিউ ইয়র্ক (দ্বিতীয়ার্ধ) :: পোর্টল্যান্ড (ওরিগন) :: সিলিকন ভ্যালি (ক্যালিফোর্নিয়া) :: ওয়াশিংটন ডিসি :: ডেট্রয়েট (মিশিগান) ::

নিউ ইয়র্ক! নোংরা-অপরিচ্ছন্ন, উদ্ধত-বিত্তশালী নিউ ইয়র্ক। তবে, এই নোংরা কাওরান বাজারের নোংরা নয়। আমেরিকার অন্য আর শহরগুলির যে পরিমাণে পরিচ্ছন্ন, সেই তুলনায় কিছুটা নোংরা-অপরিচ্ছন্ন। অবশ্য, যথার্থ কারণও আছে। আমেরিকায় সবচেয়ে বেশি মানুষ বসবাস করে এই শহরে। দ্বিতীয় শহর লস এঞ্জেলেস, এবং তারপর শিকাগো। অন্য দুটি শহরের থেকে নিউ ইয়র্কের পার্থক্য হলো, ইমিগ্র্যান্টদের জন্য স্বর্গরাজ্য বলে বিবেচিত এই শহর ভিনদেশিদের ভারে এতটাই ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ছে যে, শহর সামলে রাখতে সিটি অথরিটিকে রীতিমত হিমিশিম খেতে হচ্ছে। বৈধ-অবৈধ সব অভিবাসীদের প্রতি কিছুটা নমনীয়ভাব দেখানোর বদৌলতে, বিশ্বের নানা-প্রান্ত থেকে নানা-রকমের মানুষ এসে জড়ো হয়েছে এই শহরে। নানা রকমের সংস্কৃতি থেকে আসা লক্ষ-লক্ষ ইমিগ্র্যান্টদের রাতারাতি পরিচ্ছন্নতার ধারণা দিয়ে পরিবর্তনতো সম্ভবই-না, বরং ইমিগ্র্যান্টদের আচার-আচরণকে উপলক্ষ্য করে পরিবর্তন হয়ে গেছে খোদ আমেরিকান সংস্কৃতি। অন্য আর সবকিছু বাদ দিলেও, অন্ততপক্ষে রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন হয়ে গেছে নিশ্চিতভাবেই।

ঢাকা শহরকে বুঝানোর জন্য বাংলা সিনেমার পরিচালকরা যেমন শাপলা কিংবা দোয়েল চত্বর দেখিয়ে থাকেন, তেমনটি নিউ ইয়র্ক শহর বুঝানোর জন্য তামাম দুনিয়ার চিত্র পরিচালকেরা দেখিয়ে থাকেন ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’। নিউ ইয়র্ক শহরের গর্ব আর সৌন্দর্যের নিদর্শন হয়ে লিবার্টি আইল্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছে ‘লেডি লিবার্টি’। সচেতন যে-কোনো মানুষই চেনেন নিউ ইয়র্কের এই জগদ্বিখ্যাত স্থাপনাটি। আরো একটু বেশি সচেতনরা জানেন, আমেরিকার জনগণের প্রতি বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসবে ১৮৮৬ সালে ফ্রান্সের জনগণ এটি উপহার দিয়েছলো আমেরিকাকে। কিন্তু, যদি বলা হয় যে, ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’ নিউ ইয়র্কে অবস্থিতই না, তাহলে ব্যাপারটা কেমন দাঁড়ায়। সচেতন মহল আপাতত অচেতন না হয়ে চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন গুগোল ম্যাপএ। উত্তর নিজেই পেয়ে যাবেন। তবে, এই ফাঁকে বলে নেয়া যাক, ঠিক কেমন করে নিউইয়র্কের রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমেরিকান স্টাইল ছেড়ে তৃতীয়-চতুর্থ বিশ্বের দূর্বল গণতন্ত্রের ধারা অনুসরণের পথ ধরেছে। আর, সেই সংস্কৃতির সবচেয়ে বড় ধারক-বাহক হয়ে উঠেছেন খোদ নিউ ইয়র্ক শহরেরই মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ, গোটা আমেরিকায় যিনি এক নামে পরিচিত।

              ছবিঃ স্ট্যাচু অব লিবার্টি

              ছবিঃ দূর থেকে তোলা ম্যানহাটন্‌

আমেরিকার অন্য আর পাঁচ-দশজন ক্ষমতাবানের মত তিনিও যে ইহুদী পরিবার থেকে এসেছেন সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বাদশতম ধনী ব্যক্তি ব্লুমবার্গ, সারাজীবন ডেমোক্রেট দলের একনিষ্ঠ সমর্থক হয়েও শুধুমাত্র নমিনেশান পাওয়ার লক্ষ্যে ২০০১ সালে দলপরিবর্তন করে যোগ দেন রিপাবলিকান দলে। সেইতো কেবল শুরু। রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ব্লুমবার্গ সাফল্যের ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক উত্থান অব্যাহত রেখে পরপর দুইবার নির্বাচিত হলেন মেয়র। কিন্তু, সমস্যাটা দেখা দিলো তৃতীয়বার নির্বাচন করতে গিয়ে। শহরের আইন হচ্ছে একজন প্রার্থী পরপর সর্বোচ্চ দুইবার মেয়র পদে নির্বাচিত হতে পারবেন। কিন্তু আইন! সেতো মাকড়শার জাল। বড়বড় রুই কাতলা ঠিকই বেরিয়ে যায়, আটকা পড়ে থাকে ক্ষুদ্র পোকা-মাকড়। দুষ্টু লোকেরা বলে, ‘আইন’ আর ‘নিয়ম’, জগতে এ-দুটো জিনিস নাকি তৈরীই হয় ভাঙ্গার জন্য। অতএব, দুষ্টুমির নিত্যতা সূত্র অনুযায়ী ২০০৮ সালে শহরের আইন পরিবর্তন হয়ে গেলো হইহই রইরই করে। নিজের সই করা আইনের বদৌলতে ব্লুমবার্গ আবারো নির্বাচনের সুযোগ পান এবং তৃতীয় বারের মত নির্বাচিত হোন। এ-পর্যায়ে ডিগ্‌বাজী হলো, ঠগ্‌বাজীও হলো, কিন্তু নাটকতো হলো না। অতএব, নাটকের অবতারণা করতে গিয়ে ব্লুমবার্গ ঘোষণা দিলেন, সারা বছর তার কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে সিটি অব নিউ ইয়র্ক থেকে বেতন নিবেন মাত্র এক ডলার। এমনিক, সেই ঘোষণা মেনেও চললেন। কিন্তু, মেয়র পদ ব্যবহার করে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কত মিলিয়ন ডলার ঘরে তুললেন, সেটার কোনো ঘোষণা দিলেন না। এতো গেল পূর্ববঙ্গীয় স্টাইলের নাটক। পশ্চিমবঙ্গীয় স্টাইল যে এখনো বাকী। অতএব পশ্চিমবঙ্গীয় নাটকের অবতারণা করতে গিয়ে মেয়র বললেন, নিজ বাড়ী থেকে নিয়মিত পাবলিক ট্রেনে চড়ে অফিসে যাবেন এবং বাস্তবে সেভাবেই যাতায়াত করতে লাগলেন। ব্যাপারগুলো ভালোই, মন্দ না। আসলে নাটক জিনিসটাই মন্দ না। পাবলিক খায়, অভিনেতারা খাওয়ায়।

কিন্তু কথা হচ্ছে, নিউ ইয়র্কের নির্বাচনতো আর ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের নির্বাচন নয়। তাহলে, কি করে ভোটারদের মাঝে অসম্ভব রকমের জনপ্রিয় এই ব্লুমবার্গ। আসলে শহরের জন্য তিনি দক্ষভাবে অসামান্য অবদান রেখেছেন। নিজের পকেট ভারী করলেও, শহরের ভাণ্ডার কিন্তু এতটুকুও খালি করে ফেলেননি। সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য অকাতরে বিলিয়ে গেছেন নিজ প্রতিষ্ঠানের অর্থ। দানবীর হিসেবে আছে সুখ্যাতি, মাথায় আছে বুদ্ধি। বুদ্ধির রূপ কিন্তু একটাই, ব্যবহারে হয়তো এ-দিক সে-দিক হতে পারে। ব্যবহারের উপর ভিত্তি করে সু-বুদ্ধি, কু-বুদ্ধি নাম দেয়া হয়। তবে, ‘সু’ আর ‘কু’ উভয় প্রকারের বুদ্ধির মধ্যেই যে জিনিসটা কমন সেটা হলো ‘বুদ্ধি’। সেই কমন জিনিসটাই তার আছে, নিদেনপক্ষে রাজনৈতিক মানদণ্ডে। আমেরিকার বিখ্যাত জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়েছেন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ব্যাচেলর ডিগ্রি আর সারা দুনিয়ার বিখ্যাত হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে নিয়েছেন ব্যবসায় প্রশাসন ডিগ্রি। কিন্তু, ইমিগ্র্যান্ট অধ্যুষিত নিউ ইয়র্ক শহরের মেয়রের তাতে কি আর পেট ভরে। অতএব, চাই অনারারী ডক্টরেট ডিগ্রি। ঢেলেছেন টাকা, পেয়েছেন ডিগ্রি। ডজনে হিসেব না করতে হলেও, হালিতে হিসেব করতে হবে। ব্লুমবার্গের এত বর্ণনার মধ্যেও কি যেন একটা বাদ থেকে যাচ্ছে, কিছু যেন অপূর্ণ রয়ে যাচ্ছে। ঠিক আছে, নিউ ইয়র্ক টাইমস্‌ থেকে সরাসরি তুলে দিয়েই সে অপূর্ণতা দূর করা যাক-

Ms. Garrison alleged that when she told Mr. Bloomberg in the company snack area in 1995 that she was pregnant, he responded, ”Kill it!” He then muttered, according to her complaint, ”great, No. 16” — an apparent unhappy reference, her complaint said, to a total of 16 pregnant women in his company…(বিস্তারিত)

১৬ নাম্বারটা দেখে অনেকে হয়তো হতাশ হয়ে থাকতে পারেন। মাত্র ১৬, এটা কিছু হলো! তবে নীচের অংশটুকু দেখে আশা করি নিরাশ হবেন না।

“now total 72, out of about 500 women who [worked in his company] took maternity leave during that time” …(বিস্তারিত)

নিউ ইয়র্কে শহরে একটা স্ট্যাচুও এত দিন এত বছর, কোনো প্রকার সংস্কার ছাড়া, কোনো প্রকার বিপত্তি ছাড়া নির্বিঘ্নে দণ্ডায়মান থাকতে পারতো কি-না সন্দেহ আছে। কিন্তু স্বাধীনভাবে ঠিকই মেয়র পদে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছেন মাইকেল ব্লুমবার্গ। ব্লুমবার্গই হচ্ছে নিউ ইয়র্কের সত্যিকারের স্ট্যাচু অব লিবার্টি। তবে পার্থক্যটা শুধু এই যে, লিবার্টি জিনিসটা অন্য কারো নয়, শুধুই উনার নিজের ।

অন্যদিকে যে বেচারী ‘লেডি লিবার্টি’ সারা পৃথিবীতে স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্বের প্রতীক হয়ে লিবার্টি আইল্যান্ডে রাত-দিন দাঁড়িয়ে আছে, সে ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’ নিজেই পরাধীন। তার নিজেরই কোনো স্বাধীনতা নাই। সত্যিই সেলুকাস, বিচিত্র এই পৃথিবী। বছরের পর বছর ধরে নিউ ইয়র্ক আর নিউ জার্সি দুই স্টেইট-ই দাবী করে আসছে স্ট্যাচু অব লিবার্টির মালিকানা। দুই স্টেটের গাড়ীর লাইসেন্স প্লেটে কিংবা কয়েনের উপর বর্তমানে না হলেও কোনো না কোনো সময় স্ট্যাচু অব লিবার্টি খোদাই করা ছিলো। দুই স্টেটের নামেই লিবার্টি আইল্যান্ডে দেয়া আছে লট নাম্বার। এবং আজও দ্বীপের গ্যাস-পানি সহ যাবতীয় ইউটিলিটি সার্ভিস সরবরাহ করে থাকে নিউ জার্সি স্টেইট, অন্যদিকে পোস্টাল সার্ভিস, যেটা আমেরিকায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকর, সেই সার্ভিস দিয়ে থাকে নিউ ইয়র্ক স্টেইট।

                      ছবিঃ টুইন টাওয়ারের জায়গায় নির্মিত হয়েছে এই ভবন দু’টি

নিউ ইয়র্ক শহর এক সময় সমস্ত আমেরিকার রাজধানী ছিলো। এখন সমস্ত আমেরিকার রাজধানীতো নয়ই, এমনকি নিউ ইয়র্ক স্টেটের রাজধানীও নয়। নিউ ইয়র্ক স্টেটের রাজধানী আলবেনী। তবে স্টেটের রাজধানী সে হোক আর নাই-বা হোক, আজ থেকে বহু সময় আগে যে প্রশাসকরা নিউ ইয়র্ক রাজ্যের সীমানা আদায় করে নিয়েছিলন, তারা যে ভীষণ রকমের দূরদর্শী ছিলো তাতে কোনো সন্দেহ থাকে না। স্টেটের বেশিরভাগ অংশ উপকূল থেকে ভিতরের দিকে থাকলেও, দুই পাশ থেকে বন্ধ হতে থাকা ট্রেন কিংবা লিফট্‌ এর দুই দরজার মাঝে মানুষ যেমন করে একটা হাত ঢুকিয়ে দেয়, খানিকটা সেভাবেই আটলান্টিকের ভিতর যেন একটা হাত ঢুকিয়ে দিয়েছে নিউ ইয়র্ক স্টেইট। আটলান্টিকের ভিতর ঢুকিয়ে দেয়া নিউ ইয়র্ক স্টেটের সেই হাতই আজকের পৃথিবীর সবচাইতে দামী শহরগুলোর একটি, দ্যা সিটি অব নিউ ইয়র্ক বা নিউ ইয়র্ক শহর। হাতের পাঁচটা আঙ্গুলের মত নিউ ইয়র্ক শহরেরও আছে পাঁচটা ভাগঃ ব্রংকস্‌, ব্রুকলিন্‌, ম্যানহাটন্‌, কুইনস্‌ এবং স্ট্যাটেন আইল্যান্ড। আটলান্টিকের ভিতর ঢুকিয়ে দেয়া সেই হাতই আজকের পৃথিবীর শিল্প-সংস্কৃতি-স্থাপত্য, ব্যবসা-বাণিজ্য-রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু।

                  ছবিঃ আমেরিকার মানচিত্রে নিউ ইয়র্ক স্টেটের অবস্থান (লাল অংশটুকু)

আমি যে সময়টাতে নিউ ইয়র্কে এসেছি, তখন চলছে ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ আন্দোলন। শত শত মানুষ এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করছে। আন্দোলকারীদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিউ ইয়র্ক পুলিশকে। এরা সবাই কাঁথা-বালিশ সাথে করে এসে উপস্থিত হয়েছে ‘জুকুটি’ পার্কে, আন্দোলন করে, খায়-দায়-ঘুমায়। টুইন টাওয়ার যে জায়গাটাতে ছিলো তার পাশেই। আসলে টুইন টাওয়ারের কথা না বলে বলা উচিৎ ওয়ালস্ট্রিটের পাশে। আন্দোলনটা মূলত ওয়াল স্ট্রিটের পাশেই অবস্থিত নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জকে ঘিরেই। প্রত্যক্ষ হোক আর পরোক্ষই হোক, কোনো ধরণের ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও, ‘অকুপাই ওয়াল স্ট্রিট’ মুভমেন্টের অংশ হয়ে গেলাম। তবে, অনেক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অংশগ্রহণ করতে পারলাম না সমস্ত বিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠা ‘আট বাংলাদেশীর শিরশ্ছেদ’ করার প্রতিবাদ’-এ । ইউনাইটেড নেশানস্‌ তাদের ভবনের সামনে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। কোথায় এবং কবে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হবে কোনোভাবেই সেই তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হলাম।

          গ্যালারীঃ ব্রঙ্কস্‌ জু, অকুপাই-ওয়াল-স্ট্রিট এবং নিউ ইয়র্কে থেকে তোলা বেশ কিছু ছবি।

এই নিউ ইয়র্ক শহর আসলে বিশ্বের প্রতিবাদ কেন্দ্র, দাবী জানানোর কেন্দ্রস্থল। একটি দেশে মানুষ প্রতিপক্ষ দলের পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলে, আর এই নিউ ইয়র্কে মানুষ পুরো একটা দেশের পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলে। এই নিউ ইয়র্কের আন্দোলনের সফলতা বা ব্যর্থতা নির্ধারণ করে বিশ্বের ভবিষ্যত। ওয়াল স্ট্রিট থেকে নিয়ন্ত্রিত হয় বিশ্বের অর্থনীতি। এই নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ার পরিবর্তন করে ফেলেছে গোটা মানব জাতির ইতিহাস। এই নিউ ইয়র্কের উঁচু উঁচু ভবনগুলোতেই নির্ধারিত হয় বহুজাতির আগামীদিনের রঙ। এই নিউ ইয়র্কেই অবস্থিত ইউনাইটেড নেশানস্‌ এর সন্মেলনস্থল। এই নিউ ইয়র্কেই নির্ধারিত হয় পরবর্তী বছর আফ্রিকায় কত শিশু অভুক্ত থাকবে, কত রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে। নিউ ইয়র্ক স্টেটের রাজধানী নিউ ইয়র্ক শহর নয়। কারণ, তাতে যে শহরটাকে খাটো করা হয়। নিউ ইয়র্ক শহরতো সারা বিশ্বের রাজধানী। (চলবে…)

পরবর্তী পর্ব (বাঙলাদেশি কমিউনিটি এবং আলো ঝলমলে রাতের অপূর্ব নিউ ইয়র্ক)।

মইনুল রাজু (ওয়েবসাইট)
[email protected]